Saturday, December 25, 2021

সৈয়দপুরের সেই অভিশপ্ত ট্রেন!


১৯৭১ সালের ১৩ জুন সকাল ১০টায় সৈয়দপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল এ ট্রেনটি। কয়েক দিন ধরে সৈয়দপুর শহরে, পা‌কিস্তা‌নি সেনাদের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার হ‌চ্ছিল- “শহরে যেসব হিন্দু মাড়োয়ারি আটকা পড়ে আছেন, তাদের নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এ জন্য একটা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনটি সৈয়দপুর রেলস্টেশন থেকে ভারতের শিলিগুড়ির উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।” 

মাইকে ঘোষণা শুনে যুদ্ধে লুটতরাজের হাত থেকে তখনও যা কিছু সম্বল বেঁচে গিয়েছিল, তা-ই গোছাতে শুরু করেন হিন্দু বাঙালী ও মাড়োয়ারিরা। ১৩ জুন সকালে তারা সমবেত হতে থাকেন সৈয়দপুর রেলস্টেশনে। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো এই ট্রেনটিতে গাদাগাদি করে উঠে বসেন সবাই।
৪৬ বছর পর এ ঘটনার বর্ণনা দেন সেই ট্রেনে চেপে বসা মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী শ্যামলাল আগরওয়ালার, তপন কুমার দাস ও গোবিন্দলাল দাস।

ঐদিন ঠিক সকাল ১০ টার দিকে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। চলছিল ধীরে ধীরে। শহর থেকে বেরিয়ে রেলওয়ে কারখানা পেরিয়েই হঠাৎ থেমে যায় ট্রেন। জায়গাটা স্টেশন থেকে দুই মাইল দূরে। নাম গোলাহাট। ট্রেন থামার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেন তপন। বন্ধ জানালা একটু ফাঁক করতেই তিনি শিহরে উঠেন। বাইরে সারি সারি পাকিস্তানি হানাদার সেনা। সঙ্গে তাদের দোসর বিহারিরা। সেনা সদস্যদের হাতে রাইফেল। আর বিহারিদের হাতে ধারালো রামদা। থেমে থাকা ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে ঢুকেই পাকিস্তানি সেনারা চিৎকার করে উর্দুতে বলতে থাকে, “একজন একজন করে নেমে আসো। তোমাদের মারতে এসেছি আমরা। তবে পাকিস্তানের দামি গুলি খরচ করা হবে না। সকলকে এক কোপে বলি দেওয়া হবে।“ 

সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় বেপরোয়া হত্যাযজ্ঞ। ধারালো রামদা দিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছিল গলা, যেন বলি দেওয়া হচ্ছে। ওই হত্যাযজ্ঞে শিশু, বৃদ্ধ, নারীরাও রেহাই পায়নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন ওই ট্রেন হত্যাযজ্ঞে ৪৪৮ জনকে একে একে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

এ ঘটনাকে নিয়ে সেলিনা হোসেন 
লেখেন তাঁর উপন্যাস “ট্রেন”।

Saturday, December 18, 2021

❝ যে-কারণে পৃথিবী নয়, সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে ❞

❝ যে-কারণে পৃথিবী নয়, সূর্যই পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে ❞

(এযাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী অখণ্ডনীয় যুক্তি দিয়ে প্রমাণ)

[বি.দ্র. পোস্ট পুরো না পড়ে অযথা কমেন্ট করে ক্ষীণবুদ্ধির পরিচয় দেবেন না। তবে যদি ক্ষীণবুদ্ধির পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন, তাহলে আমার কিছু বলার নেই।]

১৫০০/১৬০০ সালের দিকে কোপার্নিকাস আর গ্যালিলিওর কাহিনী আমরা সবাই জানি। তারাই প্রথম, যারা সূর্যকেন্দ্রীক সোলার সিস্টেমের ব্যাপারে প্রমাণ-পর্যবেক্ষণসহ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “পৃথিবীই ঘুরছে সূর্যের চারদিকে, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে না।” 
অথচ আপনি কি এটা জানেন, গ্যালিলিও নিজেই নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে একসময় এই কথাকে ভুল প্রমাণ করে গেছেন? আপনি কি জানেন সেই চাপা পড়া আসল সত্যটা, যেটা চারশ বছর ধরে মানুষের চোখের আড়াল করে রাখা হয়েছে? 

হ্যাঁ, আসুন, আজকে সেই চারশ বছর আগের লুকিয়ে রাখা প্রমাণ নিয়ে কথা বলি, যেটা কি না বলে— সূর্যই পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে! 
সবচেয়ে আশ্চর্যের হলেও সত্যি, মডার্ন সায়েন্সও সেটাকে মেনে নিয়েছে, অথচ আমাদের পাঠ্যবই আর কিছু জ্ঞানস্বল্পতায় ভোগা মানুষেরা আমাদের কাছ থেকে এখনও সেটা লুকিয়েই রেখেছে। এই লেখাটা পড়ার পর তাদের সিক্রেট এজেন্ডা আশা করি ধরতে পারা যাবে৷ 

.
.
.

১.
সবার আগে একটা চেনা-জানা, হাজারবার শুনে আসা  বোরিং উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক।

পৃথিবীর মানুষ দেখে, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে।

সৌরজগতে সূর্যের বাসিন্দারা দেখে, পৃথিবীর মানুষ মিথ্যে বলে, ওরা বোকা, আসলে পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, তাও আবার ৩০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড দ্রুতিতে!

মিল্কিওয়ের বাসিন্দা বসে বসে মুড়ি খেতে খেতে দেখে, সূর্য ২৩০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে দৌড়াচ্ছে, আর পৃথিবী তারপাশে স্পাইরাল আকৃতি তৈরি করে সামনে আগাচ্ছে। তার কাছে পৃথিবী আর সূর্যের বাসিন্দাদের কামড়াকামড়ির কোনো মানেই চোখে ধরে না!

এদিকে মিল্কিওয়ের লোকাল গ্রুপে বসে থাকা এলিয়েনটা দেখে, চুয়ান্নটা গ্যালাক্সির মাঝে মিল্কিওয়ে ৬০০ কি.মি./সেকেন্ড দ্রুতিতে এদিকওদিক তাকাচ্ছে। কী পৃথিবী, কী সূর্য, সবারই র‍্যান্ডম গতি৷ 

এদিকে ভার্গো সুপার-ক্লাস্টার আর Laniakea সুপার-ক্লাস্টারে স্পেসশিপ খাড়া করে E58g001 নামের এলিয়েন এইসব ঘোরাঘুরির কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না, মাথা চুলকাচ্ছে।

আবার কোনো এক এলিয়েন কেমনে যেন মহাবিশ্বটার অনেক অনেক দূরে গিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখছে কসমিক ফ্লুইড! কোথাও যেন কোনো পার্থক্য নেই, পুরো মহাবিশ্ব সমান, সব জায়গা সমান, কেউ ঘুরছে না! শুধুমাত্র এই বিশাল দেখতে তরলের ফুটবল মহাবিশ্বটা বড়ো হচ্ছে…! 

আচ্ছা, কোনটা সত্যি?

২.
“সকল গতি আপেক্ষিক, সকল স্থিতিও আপেক্ষিক — কোনোটাই পরম নয়।” 
পদার্থবিজ্ঞান শিখতে গিয়ে যে এই লেখাটা পায়নি, এমন কেউ বোধহয় নেই। সে যা-ই হোক, এটার মানে যে কেউ ভালো করে শেখে না, সেটা হলফ করে বলা যায়। শুধু আপেক্ষিক ভেবে চলে যায়। শেষে যখন মডার্ন ফিজিক্স পড়তে আসে, স্পেশাল রিলেটিভিটির দৈর্ঘ্য সংকোচন, সময় প্রসারণ হাবিজাবি দেখে, ভাবে— 
ওসব বুঝি বেগের জন্য এমন দেখা যাচ্ছে মাত্র, আসলে কেউ ছোটো হয় নাই, স্লোও হয় নাই! 

আমি যখন এই কথাটা কাউকে প্রথম বলতে শুনি, অনেকটা অবাক হই, সাথে সেটা থেকেই এই লেখাটা লেখার প্রেরণা পাই। এতদূর এসে একটা মিথ্যে ফাঁস করে দিই — না থাক, পাঠক ধরেই ফেলেছেন আশা করি! আর বলতে হবে না!

আচ্ছা যাক।
আপেক্ষিক মানে বুঝাচ্ছে যে কোনো কিছু ‘এবসেল্যুট’ না। ‘এবসেল্যুটের’ অস্তিত্ব নেই। 
মানে, আপনি নিজে যা পর্যবেক্ষণ করবেন, সেটাই সত্যি। আরেকজন সেটাকে যেভাবেই পর্যবেক্ষণ করুক, আলাদা রেজাল্ট দিলে সেটাও সত্যি, তার নিজের সাপেক্ষে। 
এটা আরও ভালো করে বলতে গেলে বলব— কোনো এবসেল্যুট রেফারেন্স ফ্রেম নেই। রেফারেন্স ফ্রেম মানে— ‘আপনি যার সাপেক্ষে মাপছেন’ সেটা বলা যেতে পারে। 

আপনি যে সিস্টেমকে মাপছেন, মেপে যা পাচ্ছেন, সেটাই সত্যি। সামনে আরেকজন আরেকটা রেফারেন্স ফ্রেম থেকে যদি একই ঘটনা আপনার মাপার উলটাও মাপে, তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, আসলে কোনটা সঠিক? 
একটা মাত্র সঠিক ঘটনাই তো থাকবে, তাই না? দুইটা আলাদা আলাদা রেজাল্ট কীভাবে একইসাথে সত্যি হয়?
আসলে এই প্রশ্ন নিজেই ত্রুটিপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্ন করা মানে গোপনে গোপনে একটা ‘এবসেল্যুট রেফারেন্স ফ্রেম’ আছে বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়ে যায়। 
তার মানে, আপনি এই প্রশ্ন করতে পারেন না। 
সব পর্যবেক্ষণই একটা রেফারেন্স ফ্রেমের সাপেক্ষেই হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, রেফারেন্স ফ্রেম যেমনই হোক, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র আর নিয়মগুলো পালটায় না। পর্যবেক্ষণের রেজাল্ট হয়তো আলাদা আলাদা হতে পারে, কিন্তু মূল সূত্রগুলো একই থাকবে। 
ঠিক এই ব্যাপারটাকে পুঁজি করেই পদার্থবিজ্ঞান চলে। এই জিনিসটার সাহসেই পদার্থবিজ্ঞান বলে, ‘যে নিয়ম এই বারো হাজার কিলোমিটারের পৃথিবীতে চলে, একই নিয়ম বারো হাজার আলোক বর্ষ দুরের নক্ষত্রেও চলে।’ 

এটাই হচ্ছে ‘আপেক্ষিক’–এর আসল মানে। জিনিসটা যতই অদ্ভুত লাগুক, এটাই সত্যি।

মোটামুটি থিওরির কচকচানি হচ্ছিল ওপরে। এবার একটু সহজে বলি। 

ধরুন, একেবারেই ফাঁকা স্পেসে আপনি আর আপনার বন্ধু আলাদা দুইটা রকেটে পাশাপাশি একইদিকে আলাদা আলাদা বেগে যাচ্ছেন। তাহলে আপনাদের মাঝে আপেক্ষিক বেগ আছে। 
এইবার বলেন তো, আপনি আর আপনার বন্ধুর রকেট বাদে তো বাইরের স্পেসে কিচ্ছু নেই। আপনি যে বেগ দেখবেন সেটা, v₁ – v₂ । আপনার বন্ধু দেখবে v₂ – v₁। 
নিজের কাছে নিজে স্থির। 
এইবার ভালো করে বুঝুন, আপনাদের বাইরে কোনো অবজার্ভারই নেই! 
আপনি যদি বলেন, ‘একটা ঘটনা ঘটছে’ তাহলে সেটা ভুল হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ— বাইরে কোনো অবজারভার নেই যে দুইটা রকেটকেই একইসাথে পর্যবেক্ষণ করতে পারছে রকেটের বাইরে থেকে। 

এইধরনের অবজার্ভার না থাকায় লাভটা কী হলো? 
আমাদের চিরন্তন বিশ্বাস, ‘একটাই রিয়েল ঘটনা' –এই ধারণার যে ওপরে-নিচে ফুটো, সেটা চোখে পড়ছে ভালো করে। 

ওকে। তাহলে এখন ওপরের উদাহরণকে প্রশ্ন করে দেখেন, কে আসলটা দেখবে? আসলে কী ঘটছে? 

ঘটনা টের পেলেন? 
হে হে, স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটির মাঝে আশ্চর্যের কিছুই নেই, সব আশ্চর্য এই ‘আপেক্ষিক’ কথাটার মাঝে, যেটা কি না সেই ১৬০০ বা তারও অনেক আগে থেকেই মানুষ জেনে বসে আছে! গ্যালিলিওর রুপান্তর তো সবাই পড়েছেন, এবার বুঝেছেন কীভাবে গ্যালিলিও পৃথিবীর চারদিকে সূর্যের ঘোরাকে প্রমাণ করেছিল? 

৩.
সব কথার সামারি করি চার লাইনে।

a. 
আপেক্ষিকই একমাত্র সত্যি। যা মাপছেন, সেটাই আসল সত্যি। এর বাইরে কে কী মাপছে দেখার দরকার নেই। সবাই নিজের জায়গায় নিজে ঠিক, কেউ মিথ্যা বা সত্য বলে আলাদা করতে পারে না! 

b. 
পর্যবেক্ষণ আপেক্ষিক, কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলো অনেকাংশেই আপেক্ষিক না। 

c. 
সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে বললে কেউ সেটাকে ভুল বলতে পারবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না সে একটা রেফারেন্স ফ্রেমের কথা তোলে। 
কিছুদিন আগে একটা ভিডিয়ো মোটামুটি প্রচার পেয়েছিল, যেটাতে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সাপেক্ষে পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহসহ সূর্য কীভাবে সামনে আগায়, সেটা দেখাচ্ছিল। সেটা দেখে অনেকে দেখি কমেন্টে ফলাও করে প্রচার করে, পৃথিবী নাকি সূর্যের চারদিকে ঘোরে না বরং স্পাইরাল হয়ে চলে। তাদেরকে বলব ভাই, এদিকে কসমিক ফ্লুইডের সাপেক্ষে পৃথিবীর গতি যে কী পরিমাণ র‍্যান্ডম, সেটা একটু শুরুর উদাহরণটা চিন্তা করে ভাবেন। এরপর আপনি আপনার গ্যালাক্সি দেখান আর যা-ই দেখান, কার সাপেক্ষে সেটা ক্লিয়ার করে বলে দিয়েন। এতে বোধহয় কমেন্টের তথ্যটা ক্যুলনেস হারিয়ে সাধারণ কথায় পরিণত হবে, কিন্তু মানুষ মিসকন্সেপশনে পড়বে না। 

d.
মডার্ন ফিজিক্স বুঝতে হলে অবশ্যই আপেক্ষিক ব্যাপারটা নিয়ে ভালো করে বোঝা থাকতে হবে। না হলে জাস্ট ম্যাজিকের মতোই অবাস্তব মনে হবে।

সোর্স:
উদাহরণের তথ্য উইকি থেকে। 
বাকিগুলো ফিজিক্সের বই থেকে।

এই বাচ্চা ছেলেটার নাম আদৌ জানা যায়নি।

তখন ১৯৬৯ সাল!
এই বাচ্চা ছেলেটার নাম আদৌ জানা যায়নি।

ঢাকায় প্রতিটি রাজপথে মিছিল চলছে। হঠাৎ এই ছোট্ট নাবালক শিশু মিছিলের সামনে চলে আসে, ওকে সামনে রেখেই মিছিল আগাতেই থাকে। এক সাংবাদিক এই ছবিটি তোলার পর ২য় ছবি তোলার জন্য রিল টানতে গিয়ে হঠাৎ বিকট গুলির শব্দ হয় তারপর তাকিয়ে দেখে ছেলেটির বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছে মিলিটারিরা।
বাচ্চা ছেলেটার ২য় ছবি আর তোলা হয়নি।

(সুত্রঃ রাশিদ তালুকদার, তৎকালীন ফটোসাংবাদিক)

'৩০ লক্ষ' শহীদদের মধ্যে একটি মাত্র 'গল্প' এইটি।

স্বাধীনতার ওজন বুঝতে হবে। শুধু নামমাত্র গদ্য রচনা করলেই হবেনা।
আসুন এই বিজয়ের মাসে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এদেরকে স্বরন করি।

Monday, November 29, 2021

টাইম ট্রাভেল মেশিন। গানিতিক সমীকরণ কি বলে?

আমরা জানি বস্তু থেকে আলোর প্রতিফলন ই হলো বস্তুর অস্তিত্ব। 
আলোর প্রতিফলন না হলে আমরা কখনো কোন বস্তুকে দেখতে পেতাম না। 
ধরেন আজ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে আমাদের পৃথিবীতে ডাইনোসরের বসবাস ছিলো!
এখন ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে যখন পৃথিবীতে থাকা ডাইনোসরের উপর আলোর যে প্রতিফলন হয়েছে তা আলোর গতিতে ভ্রমন করে ৬৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে চলে গেছে। এখন এই মূহুর্তে  ৬৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের কোন বুদ্ধিমান প্রানী যদি উন্নতমানের একটা টেলিস্কোপ নিয়ে তাদের স্পেসে আলো ডিটেক্ট করতে তাকে তখন সে আমাদের বর্তমান পৃথিবী কে আন্দাজ ও করতে পারবেনা।কারন সে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগের পৃথিবী কে দেখতে পাবে আইমিন ডাইনোসর।  এটা সত্যি এতে কোন সন্দেহ নেই। অবাক হচ্ছেন ৬৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের কোন বুদ্ধিমান প্রানী  আজকে ৬৫ মিলিয়ন আগের পৃথিবীতে অবস্থান করা ডাইনোসর দেখতেছে! উফ!  বিষয় টা কেমন যেন তাই না?  আসলে আপনি যদি আলোর প্রতিফলন, আর গতি প্রকৃতি সম্পর্কে বুঝেন তাহলে উফ মনে হবেনা। 
এইবার আসি মূল কথায়,  টাইম ট্রাভেল  মানে আলোর গতিতে ভ্রমন  যা সময় কে স্থীর করে দেয়!
টাইম ট্রাভেল করে ভবিষ্যতে যাওয়া একেবারে অসম্ভব কারন যা ঘটেনি তার কোন অস্তিত্বই নেই।সুতরাং আগামীকালের অস্তিত্ব মহাজাগতিক কোন স্থানেই নেই।
তাহলে অতীতে ভ্রমন করা সম্ভব  কি? 
এখন ভ্রমন বলতে আমরা কি বুজি?  আজ থেকে ১০০ বছর আগেও মানুষ ভার্চুয়াল ভ্রমন সম্পর্কে জানতোনা,অর্থাৎ  থ্রী ডি গ্লাস পরে বন্ধ একটা রুমে বসে থাকলে মনে হবে আপনি ঐ সমস্ত জায়গা গুলো স্বশরীরে ভ্রমণ করতেছেন!যারা করেছেন তারা জানেন,আমিও করেছি। এরকম ভ্রমন হলে আপনি থ্রীডির মাধ্যমে কোটি কোটি বছর অতীত কিংবা ভবিষ্যতে কল্পনা করে ভ্রমন করতে পারবেন নিঃসন্দেহে! আমরা টাইম ট্রাভেল করে আমাদের পৃথিবীর অতীত কে কখনো স্বশরীরে কিংবা প্রতিফলিত আলোকে ও ডিটেক্ট করতে পারবোনা।
আমরা জানি আলো ৩লক্ষ কিলোমিটার গতিতে প্রতি সেকেন্ডে এক বছরে যে পথ অতিক্রম করে সেই পরিমাণ দূরত্ব কে এক আলোকবর্ষ বলে। 
ধরেন আজকে আমরা টাইম ট্রাভেল প্রথম করতে সক্ষম হলাম, মানে আলোর গতিতে ভ্রমন করতে সক্ষম হলাম।আর তাই আলোর গতিতে আমরা ৬৫ মিলিয়ন বছর ভ্রমন করলাম। করে আমরা সেখানে গিয়ে  একটা গ্রহে অবস্থান করলাম,, করার পর পৃথিবীর দিকে একটা টেলিস্কোপ বসালাম  আর পৃথিবী থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আসছে এই গ্রহে  তখন আমরা কি দেখতে পাবো সেই টেলিস্কোপে? সহজ উত্তর আমাদের পৃথিবী ছাড়ার পর সেখানের মানুষ জন বা প্রকৃতি কি আচরণ করেছে সেসব দেখতে পাবো। হ্যাঁ এটা অতীত দেখা হলো কিন্তু তা স্ব শরীরে নয়,বরং সেই থ্রীডির মত।
আমাদের সেই অতীত কে পরিবর্তন করার কোন শক্তি থাকবেনা কারন তা অলরেডি ঘটে গেছে।
যদি কখনো মানুষ  এক সেকেন্ডে  ৫ বিলিয়ন আলোকবর্ষ পাড়ি দিতে সক্ষম হয় আর সেখান থেকে আমাদের সৌর জগত কে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করে তাহলে সে যে পৃথিবী থেকে এসেছে তা কখনো দেখতে পাবেনা!কারন তখন পৃথিবীর অস্তিত্ব ছিলোনা।
এখন গানিতিক সমীকরণ আমাদের কে বলে মিনিমাম ভরযুক্ত কোন বস্তু আলোর গতিতে ভ্রমন অসম্ভব  আর আলোর গতির চেয়ে দ্রুত সেটাতো বিলাসী মনোভাব ছাড়া কিছু নয়! অতএব গানিতিক এবং লজিক্যালি পৃথিবীর অতীত দেখা সম্ভব হলেও বাস্তবে তা অসম্ভব। 
তবে হ্যাঁ আমরা অন্যান্য গ্যালাক্সি এবং কি আমরা যা স্বচক্ষে দেখি তাও অতীত! আমাদের ধ্রুবতারা যেটা আমরা এখন আজকে দেখতেছি সেটাও ৩.২ বছর আগের তারা দেখতেছি।আজকের ধ্রুবতারা দেখা যাবে পৃথিবী থেকে আগামী ৩.২ বছর পর! 
আশাকরি টাইম ট্রাভেল আর টাইম মেশিন নিয়ে কিছুটা বুজাতে সক্ষম হয়েছি।

Wednesday, November 24, 2021

Excel SUMIF with VLOOKUP: Formula Examples.

#1: Excel SUMIF with VLOOKUP for looking up the criteria value

Suppose you have the following spreadsheet that contains Orders and Products data in two separate tables. Then, you want to add up the amount for Firecracker and put the result in I3

But, as you can see, the Orders table does not have a column for product names. This means that you can’t just sum up the amount for your orders where the product name is equal to Firecracker directly with the SUMIF function.

The solution? You need to get the product number of Firecracker first, then use it as the criteria in your SUMIF function. Here are the steps:

Step 1: Write the VLOOKUP formula in I3 to get the product number of Firecracker.

=VLOOKUP(H3,E3:F10,2,FALSE)

The formula looks for a value that exactly matches “Firecracker” in the first column of the range E3:F10. Then, it returns “SF706” from the second column of the range (column F).  

Step 2: Use the VLOOKUP in a SUMIF, as shown below:

=SUMIF(B3:B14, VLOOKUP(H3,E3:F10,2,FALSE), C3:C14)

The SUMIF formula adds the amount in C3:C14 where any value in B3:B14 equals “SF706“. You can see the final result in I3, which is $400.

#2: Excel VLOOKUP with SUMIFS to lookup with multiple criteria

For this example, we use a small subset of an Employee dataset stored in Airtable. We exported data from Airtable to Excel because, as you know, Microsoft Excel is one of the most convenient tools for data analysis. We manage the process automatically using Coupler.io, an integration tool for exporting data from different sources to Excel. With Coupler.io, anyone can set up seamless Microsoft Excel integrations with other apps, such as Airtable, Jira, Shopify, Slack, and many more!

Now, with the following Employee data, suppose you want to find an employee’s email address based on their first name, last name, and department.

Assume that each Employee ID value is unique, and each department does not contain any employees with the same full name.

It would be easy if you only need to lookup based on the Employee ID. You could just use VLOOKUP, and it’s done. But unfortunately, you can’t use VLOOKUP because you need to do a lookup on multiple columns.

So, what’s the solution? Well, luckily, you can combine both Excel VLOOKUP and SUMIFS to get the result you want! Use SUMIFS to get the ID of the specified employee based on their first name, last name, and department. Then, use that ID in a VLOOKUP function to return the email address. 

Here are the steps:

Step 1: Use SUMIFS to get the ID of the specified employee:  

=SUMIFS(A2:A10,B2:B10,H1,C2:C10,H2,D2:D10,H3)

As you can see, the above formula in H4 returns the ID of Janie Jones from the Engineering department, which is 113004.

Step 2: Use the SUMIFS within a VLOOKUP to find an email address based on the employee ID, as shown below:

=VLOOKUP(SUMIFS(A2:A10,B2:B10,H1,C2:C10,H2,D2:D10,H3),A2:E10,5,FALSE)

The VLOOKUP formula above uses the result of the SUMIFS function as the lookup value. It then finds the exact match in range A2:E10 and returns “jjones@keizztrr.com“, which is located in the fifth column of the range.

#3: Excel SUMIF + SUMPRODUCT + VLOOKUP to sum values across multiple sheets

Suppose you have the following spreadsheet with four worksheets: Summary, Apr, May, and Jun. In the Summary worksheet, you want to calculate the quarterly bonus for each salesperson using the lookup table on the right. 

In this scenario, you will sum up the sales across Apr, May, and Jun for each salesperson. With these numbers, you will be able to determine the bonuses based on the idea of breakpoints, as follows:

Total salesBonus
$0 – $9,999$0
$10,000 – $19,999$1,250
$20,000 – $29,999$2,500
$30,000 – $39,999$3,750
>= $40,000$5,000


So, let’s say you do the math manually and find that Lisa Brown made $38,000 in total sales, Betty Cole made $15,000, while Elizabeth Gardner was more successful with her total sales of $22,000. So, based on their performance, they will be receiving bonuses of $3,750, $1,250, and $2,500, respectively.

Doing calculations manually is not always fun. So, let’s see the below steps to calculate the bonus using formulas in Excel:

Step 1: In the Summary sheet, list all the sheet names you will sum. For example, in G2:G5, as shown below:

Step 2: For the first salesperson, write a SUMIF Formula for one sheet only – for example, Apr.

=SUMIF(Apr!A2:A10,Summary!A3,Apr!C2:C10)

Step 3: Wrap the SUMIF inside SUMPRODUCT.

=SUMPRODUCT(SUMIF(Apr!A2:A10,Summary!A3,Apr!C2:C10))

We need to do this because, in the next step (Step 4), we’re going to use SUMIF to sum across multiple sheets using the sheets’ reference in G2:G5. The SUMIF will return an array, so we use SUMPRODUCT to make sure that everything will get summed up correctly.

Step 4: Sum across the sheets by using the list of sheet names as a reference. Let’s use an absolute range — so, in this case, 

  • Replace 
    Apr!A2:A10
     with 
    INDIRECT("'"&$G$3:$G$5&"'!"&"A2:A10")
  • Replace 
    Apr!C2:C10
     with 
    INDIRECT("'"&$G$3:$G$5&"'!"&"C2:C10")

The complete formula will be:

=SUMPRODUCT(SUMIF(INDIRECT("'"&$G$3:$G$5&"'!"&"A2:A10"),Summary!A3,INDIRECT("'"&$G$3:$G$5&"'!"&"C2:C10")))

From the result in B2, you can see that Lisa Brown’s total sales for the months of April, May, and June were $38,000 in total. Her bonus will be calculated based on this amount.

Step 5: Calculate the bonus by finding the approximate matches in the lookup table. To do this, wrap the SUMPRODUCT inside VLOOKUP:

=VLOOKUP(SUMPRODUCT(SUMIF(INDIRECT("'"&$G$3:$G$5&"'!"&"A2:A10"),Summary!A3,INDIRECT("'"&$G$3:$G$5&"'!"&"C2:C10"))),$D$3:$E$7,2,TRUE)

Step 6: Drag the formula down to B5 to apply the formula for other salespeople.

Congratulations! You’ve calculated the bonus for each salesperson across multiple sheets by using three functions: SUMIF, SUMPRODUCT, and VLOOKUP!