Thursday, August 31, 2017

মহানবী মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১,২,৩, ৪শেষ

মহানবী মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১

মানব জাতির শ্রেষ্ট মানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ এর চরিত্র ফুলের মত পবিত্র সেটাই আমরা জানি, প্রতিটি মুসলমান তাই জানে বা জন্মের পর থেকে জেনে এসেছে।প্রতিটি মুসলমান জন্মের পর জ্ঞান হওয়া থেকে শুরু করে শুনে এসেছে, মোহাম্মদ অতীব সৎ, অতীব দয়ালু, অতীব মহৎ, অতীব ন্যায় পরায়ন ইত্যাদি। এর বাইরে কখনই তারা শোনেনি যে মোহাম্মদ একজন লুটেরা/ডাকাত বা নারী লোলুপ বা কামার্ত বা খুনী বা ক্ষমতা লোভী হতে পারে।এসব হতে পারা তো দুরের কথা- এসব হওয়ার কল্পনাও কোন মুসলমান করতে পারে না, কারন যদি করে তাহলে তার জন্য জাহান্নামের কঠিন আগুন অপেক্ষা করবে। সুতরাং কার এমন বুকের পাটা যে সে আল্লাহর নবী মোহাম্মদের সম্পর্কে এমন ধারনা পোষণ করবে ? কারন কোরানের আল্লাহ আর মোহাম্মদ সে তো একই ব্যাক্তি। সুতরাং সঙ্গত কারনে এটা মনে হয় যে মোহাম্মদ সর্বপ্রথম যে বিষয়টির আশ্রয় নিয়েছেন তা হলো প্রতারনা ও মিথ্যার। অথচ ইসলামি বিশ্বে তিনি হলেন আল আমীন বা মহা সৎ লোক।তিনি সর্বপ্রথমেই যে অসত্যের আশ্রয় নিয়েছেন তা হলো নিজের বানীকে আল্লাহর বানী হিসাবে চালিয়ে দিয়ে আরবদেরকে প্রতারনা করেছেন ও তাদেরকে বোকা বানিয়েছেন।বিষয়টিকে এবার একে একে বিবৃত করা যাক।
মোহাম্মদ ও আল্লাহ যে একই ব্যাক্তি তা পরিস্কার হয় নিচের আয়াত সমূহে:
যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের আদেশ মত চলে তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন যেগুলোর তলা দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। ০৪:১৩
যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে, তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন যেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। ০৪: ১৪
উপরোক্ত আয়াত থেকে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে আল্লাহ ও তার রসুলের আদেশ সমার্থক। তার অর্থ আল্লাহ ও তার রসুল একই ব্যাক্তি।
কোরান যদিও বলছে আল্লাহ এর সাথে কাউকে শরিক করা যাবে না, কিন্তু স্বয়ং আল্লাহ তো মোহাম্মদের রূপ নিয়ে দুনিয়াতে আসতে পারে,আর আল্লাহর জন্য তা খুবই সম্ভব,সেক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে কারো শরিক করাও হয় না। কেন জানি মুসলমানরা সেটাকেও তেমন একটা আমল দেয় না, বোধ হয় তা হলে তা হিন্দুদের অবতার তত্ত্বের সাথে মিলে যাবে এই ভয়ে।কিন্তু যে কেউ একটু মন দিয়ে খোলা দৃষ্টি দিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবে যে , কোরানের কথাগুলো স্রেফ মোহাম্মদের নিজের কথা। কোরানের কথা যে খোদ মোহাম্মদের নিজের কথা তা বুঝতে কোরানের নিচের আয়াতগুলো দেখা যেতে পারে:
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালূ । ০১:০১
কথাগুলো আল্লার হলে, আল্লাহ নিজেই নিজের নামে শুরু করতেন না ।
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি ও তোমার সাহায্য কামনা করি। ০১:০৫
কথাগুলো আল্লাহর হলে আল্লাহ নিজেই নিজের ইবাদত করবেন না।
এখানে প্রশ্ন আসে , কে শুরু করছে? কারা ইবাদত করে ? যদি ধরা হয় এগুলো মানুষকে লক্ষ্য করে বলা হচ্ছে তাহলে সঠিক বাক্যগুলো এরকম হলেই তা বরং আল্লাহর কথা হতো-
শুরু কর আমার( আল্লাহর) নামে, আমি পরম করুনাময়, অতি দয়ালূ।
তোমরা একমাত্র আমারই ইবাদত কর ও আমার সাহায্য কামনা কর।

এ প্রসঙ্গে হিন্দুদের কাছে পবিত্র গীতার কথা উল্লেখ করা যায়। হিন্দুদের বিশ্বাস গীতার বানী হলো স্বয়ং তাদের ভগবান তথা কৃষ্ণের নিজের বানী। শ্রী কৃষ্ণকে তারা স্বয়ং ভগবান বলে বিশ্বাস করে যিনি মানুষ রূপে এ পৃথিবীতে অবতরন করেছিলেন পাপীদেরকে শাস্তি দিতে ও সাধুদেরকে রক্ষা করতে। গীতার দু একটি শ্লোক নিচে দেখা যাক:
হে ধনঞ্জয়, আমা অপেক্ষা শ্রেষ্ট পরম তত্ত্ব আর কিছু নেই।সূত্রে যেমন মনি সমূহ গাথা থাকে, ঠিক তেমনি ভাবে জগতের সবকিছু আমার মধ্যে বিরাজ করছে। ০৭:০৭
হে অর্জুন, আমি ভুত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমানকে জানি। কিন্তু আমাকে কেহই জানে না। আমি সর্বজ্ঞ, আমি কোন মায়ার অধীন নহি, কারন আমি মায়াধীশ। কিন্তু জীব মায়ার অধীন তাই তারা অজ্ঞ। কেবল আমার অনুগৃহীত ভক্তগনই আমার মায়াকে অতিক্রম করিয়া আমাকে জানিতে পারে। ০৭:২৬
লক্ষ্যনীয় এখানে বক্তা যেহেতু স্বয়ং ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাই তিনি সর্বদা নিজেকে প্রথম পুরুষ অর্থাৎ আমি , আমাকে এ সর্বনাম পদ দিয়ে প্রকাশ করছেন। শ্রী কৃষ্ণ তার শিষ্য অর্জুনকে উপদেশ দিচ্ছেন আর সেই উপদেশ বানী সমূহের সমাহার হলো গীতা।অথচ কোরানের বানী খোদ আল্লাহর বানী হওয়া সত্ত্বেও তার সব বাক্য এরকম প্রথম পুরুষ তথা আমি, আমাকে এ সর্বনাম পদ দিয়ে প্রকাশ করেন নি।কোথাও কোথাও যদিও সেভাবে প্রকাশ করেছেন, যেমন-
সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরন রাখ, আমিও তোমাদেরকে স্মরন রাখব এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, অকৃতজ্ঞ হইও না। ০২: ১৫২
অবশ্যই আমি তোমাদেরকে কিছুটা পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, জান ও মালের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। ০২: ১৫৫
যা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, নিরক্ষর মোহাম্মদ আসলে নিজের বাক্যকে আল্লাহর বানী বলে চালাতে গিয়ে এ ভুলটি করে ফেলেছেন।বাক্য গঠন সম্পর্কে তার কোন সম্যক ধারনা ছিল না, যেমন খুশী তার নিজের বানানো কিচ্ছা বলে গেছেন, আর সাহাবীরা যারা একটু শিক্ষিত ছিল তারা শুনে তা তাদের মত লিখে রেখেছে বাক্যগুলোকে কিছুটা পরিমার্জন করে। কিন্তু মোহাম্মদের বর্ননা করা বাক্যগুলোর সংখ্যা ও ব্যকরনগত অসাম্যঞ্জস্যতা এত বেশী ছিল যে সাহাবীরা সব গুলোকে তাদের মত লিখতে পারে নি।।অনেকগুলোই তারা মোহাম্মদ হুবহু যেমন বলেছিল সেরকম ভাবেই লিখে রেখে গেছে আর পরবর্তীতে সেরকম ভাবেই আমাদের কাছে এসেছে।কিন্তু তখন এসব নিয়ে তেমন কেউ তখন চ্যলেঞ্জ করেনি, করার হিম্মতও কেউ দেখায়নি।দেখালে গর্দান যাওয়ার ভয় ছিল। নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করা যাক-
যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে, তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন যেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। ০৪: ১৪
অথচ ঠিক এর পরের আয়াতটি হলো –
আর তোমরা তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যাভিচারিনী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চারজনকে সাক্ষী হিসাবে হাজির কর, অত:পর তারা যদি সাক্ষী প্রদান করে তাহলে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ যে পর্যন্ত তাদের মৃত্যু না হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য ভিন্ন কোন পথ না প্রদর্শন করেন। ০৪:১৫
০৪:১৪ যদি ঠিক ০৪:১৫ আয়াতের ব্যকরনগত বাক্য রীতি অনুসরন করত তাহলে তা হতো নিম্নরূপ:
যে কেউ আমার(আল্লাহ) ও আমার রসুলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে, আমি তাকে আগুনে প্রবেশ করাব যেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।
কিন্তু তার পরেও ০৪: ১৫ আয়াতে কিছুটা গোলমাল করে ফেলেছে। বলছে- অথবা আল্লাহ তাদের জন্য ভিন্ন কোন পথ না প্রদর্শন করেন। এখানে আল্লাহ স্বয়ং বক্তা হওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ করে নিজেকে তৃতীয় পুরুষ হিসাবে উল্লেখ করছেন যা ব্যকরনগত ভুল।আল্লাহর বক্তব্য হলে এটা হতো এরকম – অথবা আমি তাদের জন্য ভিন্ন কোন পথ না প্রদর্শন করি। অর্থাৎ আল্লাহ নিজেকে তৃতীয় পুরুষ রূপে উল্লেখ না করে প্রথম পুরুষ রূপে উল্লেখ করতেন।
আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ইসাকে প্রেরন করিয়াছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তাওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। ০৫: ৪৬
আল্লাহ পরিস্কার ভাবে বলছেন- আমি, অর্থাৎ প্রথম পুরুষে নিজেকে বর্ননা করছেন। অথচ ঠিক এর পরের আয়াতটি হলো –
ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিৎ আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ন করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ন করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারা পাপাচারী। ০৫: ৪৭
আল্লাহর বানী হলে আয়াতটি হতো এরকম-
ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিৎ আমি তাতে যা অবতীর্ন করেছি সে অনুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আমি যা অবতীর্ন করেছি সে অনুযায়ী ফয়সালা করে না , তারা পাপাচারী।
আর একটি আয়াত-
হে মুমিন গন, তোমরা ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না। তারা একে অপরের বন্ধু।তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদের পথ প্রদর্শন করেন না।০৫:৫১
আয়াতের প্রথম অংশটি আল্লাহর বানী বলে মনে হলেও আল্লাহ জালেমদের পথ প্রদর্শন করেন না– এ অংশটুকুকে তা মনে হয় না।এটা যদি এরকম হতো- আমি জালেমদের পথ প্রদর্শন করি না-তাহলে তা আল্লাহর সরাসরি বানী মনে হতো।
গোটা কোরানে এরকম উদ্ভট ব্যকরনগত ভুলের ছড়াছড়ি। যে কেউ একটু দিল মন খোলা রেখে পড়লে তা পরিস্কার বুঝতে পারবে। তবে যাদের হৃদয়ে সীল মারা তারা বুঝতে পারবে না। এ বিষয়ে দু একজনের সাথে আলাপ করে দেখেছি তাদের যুক্তি হলো- আরবী ব্যকরনে নাকি এ ধরনের বাক্যরীতি সিদ্ধ। অর্থাৎ বক্তা নিজেকে প্রথম পুরুষ বা দ্বিতীয় পুরুষ বা তৃতীয় পুরুষ যে কোন ভাবেই প্রকাশ করতে পারে।আরও গভীর ভাবে আলাপ করতে গিয়ে শুনেছি আরও অদ্ভুত কথা। তা হলো- আরবী ব্যকরন তারা অনুসরন করে কোরানের ভিত্তিতে অর্থাৎ কোরানে যে রকমভাবে আরবী ব্যকরনকে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটাই শুদ্ধ আরবী ব্যকরন রীতি। কোরানকে আল্লাহর বানী প্রমান করতে গিয়ে এক শ্রেনীর অন্ধ মানুষ নিরক্ষর মোহাম্মদের উদ্ভট কথা বার্তাকেই আদর্শ ব্যকরন রীতি ধরে একটা ভাষার আদি ও অকৃত্রিম ব্যকরনের রীতি নীতিকেই বিসর্জন দিয়ে ফেলেছে।
মুসলমানদের কাছে পৌত্তলিক হিসাবে আখ্যায়িত হিন্দুদের কিতাব গীতায়ও কিন্তু এ ধরনের অসামঞ্জস্যতা নেই অর্থাৎ বাক্য গঠনে ব্যকরনগত ভ্রান্তি নেই। এর কারনও সহজ বোধ্য। তা হলো- গীতার রচয়িতারা ছিল সেই প্রাচীনকালের ভারতের উচ্চ শ্রেনীর শিক্ষিত সম্প্রদায়।তারা ব্যকরণে ছিল বিশেষ পারদর্শী।যে কারনে তাদের রচনায় আর যাই হোক ব্যকরণগত ভুল ছিল না।পক্ষান্তরে,মোহাম্মদ নিজে ছিল অশিক্ষিত, নিরক্ষর , ব্যকরণ কি জিনিস তাই তার জানা ছিল না। ব্যকরণ না জানলেও কিচ্ছা কাহিনী বলতে তো কোন অসুবিধা ছিল না।তবে তা বলতে গেলে ব্যকরণ সঠিক না হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক আর তারই প্রমান ভুরি ভুরি তথাকথিত আল্লাহর কিতাব কোরানে। যেটুকু সঠিক বাক্য বিন্যাস আমরা কোরানে দেখি তার কৃতিত্ব মোহাম্মদের নয়, বরং কিছুটা শিক্ষিত কতিপয় সাহাবীদের। তারাই যতটুকু পারা যায় শুদ্ধ ভাবে মোহাম্মদের বলা কাহিনী কিচ্ছা গুলোকে মুখস্থ করে রেখেছিল বা কাঠ চামড়াতে লিখে রেখেছিল।আর সবাই জানে যে কোরান সংকলিত হয়েছিল মোহাম্মদের কালে নয়, তৃতীয় খলিফা ওসমানের কালে। এটাও সবাই জানে যে , ওসমানের সময় কালে ইসলামী সাম্রাজ্য আরবের পুরো জায়গাতে ছড়িয়ে পড়েছিল কিন্তু সমস্যা হয়েছিল, বিভিন্ন যায়গাতে মানুষ বিভিন্নভাবে কোরান পাঠ করত।এক অঞ্চলের কোরানের সাথে অন্য অঞ্চলের কোরানের মিল ছিল না। যে কারনে কোরানে আল্লাহ নিজের কোরান নিজেই হেফাজত করবেন বলে হুংকার ছাড়ার ( আমি নিজে কোরান অবতারন করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।১৫:০৯) পরেও অবশেষে সে কাজটা ওসমানকেই করতে হয়।কারন ততদিনে যার যার মত কোরান পাঠ শুরু হয়ে গেছিল।তা করতে গিয়ে যে কাজটি তিনি করেন তা হলো- কতিপয় ব্যাক্তি নিয়ে গঠিত কমিটি তাদের পছন্দমত কোরানের আয়াতগুলো সংকলন করেন ও কোরানের বাকী কপি সমূহ পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলেন।আর সে সংকলনের সময় তারা হুবহু মোহাম্মদের কাছ থেকে পাওয়া কোরানের বানী সংরক্ষন করেছিল তা মনে করার কোন সংগত কারন নেই। তা করলে কোরানে আরও অসংখ্য গাজাখুরী তথ্য ও ব্যকরণগত ভ্রান্তি খুজে পাওয়া যেত।যারা কোরান সংকলন কমিটিতে ছিল তারা মোটামুটিভাবে সেখানকার সেকালের শিক্ষিত মানুষ ছিল। যার ফলে তারা অনেকটাই পরিমার্জিত আকারে কোরান সংকলন করেছে তা বোঝাই যায়।বিষয়টি যে এরকম তা বোঝা যায় নিচের হাদিসটিতে:
আবু আনাস বিন মালিক বর্নিত- যখন সিরিয়া ও ইরাকের লোকেরা আজারবাইজান ও আরমেনিয়া বিজয়ের জন্য যুদ্ধ করছিল তখন হুদায়ফিয়া বিন আল ইয়ামান উসমানের নিকট আসল। হুদায়ফিয়া একারনে ভীত ছিল যে সিরিয়া ও ইরাকের লোকেরা ভিন্ন ভাব ও উচ্চারনে কোরান পাঠ করত।তাই সে উসমানের নিকট বলল- হে বিশ্বাসীদের প্রধান,কিতাবকে বিভক্ত করার আগেই মুসলমান জাতিকে রক্ষা করুন, যেমনটা ইহুদি ও খৃষ্টানরা তাদের কিতাবকে পূর্বে বিভক্ত করেছিল।সুতরাং উসমান হাফসার নিকট কোরানের আসল কপি চেয়ে পাঠালেন যাতে করে তা থেকে বেশ কিছু কপি তৈরী করা যায়।হাফসা সেটা উসমানের কাছে পাঠালে উসমান যায়েদ বিন তাবিতকে প্রধান করে আব্দুল্লাহ বিন আয-যুবায়ের, সাইদ বিন আল আস এবং আব্দুর রহমান বিন হারিথ বিন হিসাম এ কয়জনের এক কমিটি করে দিয়ে কোরান সংকলন করতে আদেশ করলেন। তিনি আরও বললেন- যদি যায়েদ বিন তাবিত এর সাথে কোন বিষয়ে ঐকমত্য না হয়,তাহলে সেটা যেন কুরাইশ কথ্য রীতি অনুযায়ী লেখা হয় কারন কোরান কুরাইশ এ রীতিতেই প্রকাশ হয়েছিল।তারা সেভাবেই কোরান সংকলন করেছিল ও আসল কপি হাফসার নিকট পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল। অত:পর এ সংকলিত কপির এক খন্ড করে প্রতিটি প্রদেশে পাঠান হয়েছিল এবং বাকী যেসব পান্ডুলিপি যা আংশিক বা সম্পুর্ন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জিনিসে লিখিত ছিল তা সব পুড়িয়ে ফেলার আদেশ দেন উসমান।যায়েদ বিন তাবিত আরও বলেন- যখন তিনি কোরানের কপি তৈরী করছিলেন তখন সূরা আহযাবের একটা আয়াত হারিয়ে ফেলেছিলেন যা তিনি নবীকে বলতে শুনেছেন। তখন সেটার খোজ শুরু হয় এবং সেটা খুজাইমা বিন তাবিত বিন আল আনসারীর কাছে পাওয়া যায় ( আয়াতটি: মুমিনদের মধ্যে কতক তাদের ওয়াদা পূর্ন করেছে।তাদের কতক মারা গেছে,কতক এখনও অপেক্ষা করছে।তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেনি।৩৩:২৩)।সহি বুখারী, বই-৬১, হাদিস-৫১০
উপরোক্ত হাদিস থেকে কতকগুলি বিষয় পরিস্কার। তা হলো-
১। আল্লাহ নিজে কোরানের রক্ষাকর্তা বলে ঘোষণা দিলেও তিনি তা পালনে ব্যর্থ।আল্লাহ নিজেই রক্ষা করবেন বলেই মোহাম্মদ নিজ জীবনে কোরান সংরক্ষন করেননি। কিন্তু আল্লাহ তো মোহাম্মদের নিজেরই কল্পিত চরিত্র যাকে তিনি অনুভব করতেন তার হিস্টিরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময়, সুতরাং বলাই বাহুল্য যে সে আল্লাহ কোরান সংরক্ষন করবেন না বা করতে পারার কথাও না। সেকারনেই কোরান খুব তাড়াতাড়ি সিরিয়া বা ইরাকে বিভিন্নভাবে পড়া হতে থাকে । বলা বাহুল্য, বিভিন্ন উচ্চারনে পড়ার অর্থ হলো কোরানের বিভিন্ন অর্থ হওয়া, অর্থাৎ কোরান বিকৃত হয়ে যায় খুব দ্রুতই।
২। কোরান যে উক্ত কমিটি বা মোদ্দা কথায় কমিটির নেতা যায়েদ বিন তাবিত কর্তৃকই অনেকাংশেই নিজের বা নিজেদের মত করে লেখা তা উসমানের নিজের কথায় প্রতিফলিত কারন তিনি বলছেন, কোন বিষয়ে যায়েদ বিন তাবিতের সাথে ঐকমত্য না হলে যেন কুরাইশ কথ্য রীতি অনুযায়ী কোরান লেখা হয়। আর পরে সেভাবেই কোরান লেখা হয়। উল্লেখ্য, যায়েদ বিন তাবিত হল মূল লেখক। সে যদি কমিটির অন্যের কোন বলা আয়াতের সাথে এক মত না হয় শুধু তখন মাত্র কুরাইশ কথ্য রীতি অনুসরন করতে হবে। কিন্তু তার নিজের বলা আয়াত সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা যাবে না। সে কোরান সংকলনের সর্বে সর্বা ক্ষমতার অধিকারী আর সে ক্ষমতা তাকে প্রদান করা করেছেন উসমান।
৩।পূর্ন একটি কোরানের কপি যদি মোহাম্মদের অন্যতম স্ত্রী হাফসার কাছে থেকেই থাকে তাহলে তো সোজা সেটা কপি করে নিলেই হতো। সেখানে উসমানের উপরোক্ত আদেশ দেয়ার কোন অর্থই হয় না। তার মানে হাফসার কাছে রক্ষিত কোরান পূর্নাংগ ছিল না বা থাকলেও উসমান ও তার কমিটি নিজেদের কিছু কথা নতুন কপি করা কোরানে জুড়ে দিয়েছেন। তবে পূর্নাঙ্গ যে ছিল না তা বোঝা যায় সূরা আহযাবের একটি আয়াত হারিয়ে যাওয়ার ব্যপারে। হারিয়ে যাওয়া সে আয়াত খোজার জন্য তখন খুজাইমার নিকট যাওয়ার দরকার পড়ত না।আর একটা আয়াত হারিয়ে যাওয়ার কথা যখন স্বীকার করা হয়েছে তখন আরও কত আয়াত যে হারিয়ে গেছে বা উক্ত কমিটি নিজেদের মত বানিয়ে কতকগুলো আয়াত কোরানে জুড়ে দিয়েছে তার হদিস কে দেবে?
৪।চামড়া, খেজুর পাতা বা হাড়ের ওপর যেসব সূরা লেখা ছিল, তার মধ্যে সংকলিত কোরানের সূরার সাথে যে গুলোর মিল ছিল সেসব পান্ডুলিপি কেন পুড়িয়ে ফেলতে উসমান আদেশ দিলেন? সেগুলো তো পুড়িয়ে ফেলার কোন সঙ্গত কারন দেখা যায় না।আর যদি আয়াত ভিন্ন ভাবে লেখা থাকে সেগুলোই বা কে লিখল? কেন লিখল?
৫। উপরোক্ত বিষয় গুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে- মোহাম্মদের কোরানের সাথে উসমানের কোরানের অনেক পার্থক্য বিদ্যমান।সে পার্থক্যের অন্যতম একটি হলো- মোহাম্মদের কোরানে অনেক বেশী ভূল ভ্রান্তি বা ব্যকরণগত ভূল ছিল কারন তিনি ছিলেন নিরক্ষর। উসমানের করা কমিটির লোকজন ছিল শিক্ষিত, তাই তারা যে কোরান সংকলন করেছে তা অনেকটাই নিজেদের সম্পাদিত, অনেকটাই শুদ্ধ করে লেখা।কিন্তু তারাও বেশী শুদ্ধ করতে পারেনি তার কারন তখনও কোরানের বহু আয়াত সাহাবীদের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল যাকে খুব বেশী সংস্কার করে পাল্টে ফেলা যায় নি। তা করলে সংকলিত কোরানের গ্রহন যোগ্যতা নিয়ে ব্যপক প্রশ্ন উঠত। আর ঠিক সেকারনেই আমরা কোরানের যে ভার্সন আজকে পাই তাও ব্যপকভাবে ব্যকরণগত ভুলে ভরা।যখন একটা সংকলন তৈরী হয়েই গেল তখন থেকে তার অনুলিপিই শুধুমাত্র প্রকাশ হতে থাকে। এভাবেই গত ১৪০০ বছর ধরে কোরান অবিকৃত থেকেছে। অথচ কি অদ্ভুত ব্যাপার – এ বিষয়টিকেই কিছু তথাকথিত ইসলামী পন্ডিত বর্গ আল্লাহর অশেষ কুদরত হিসাবে বিবেচনা করে। তারা স্বাড়ম্বরে প্রচার করে- চৌদ্দ শ বছর ধরে একটি কিতাব অবিকৃত থেকেছে, এটা আল্লাহর কুদরত ছাড়া কিভাবে সম্ভব? উদ্ভট যুক্তিতে এসব তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতদের জুড়ি মেলা ভার।
বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছি, মোহাম্মদের মত অত বুদ্ধিমান ও সুচতুর ব্যাক্তি এমন ব্যকরণগত ভুল কিভাবে করলেন? ভাবতে ভাবতে এর একটা সমাধান সূত্রও আমি বের করেছি যার অভিজ্ঞতা খোদ আমার নিজ জীবনেই প্রত্যক্ষ করেছি। যেমন একবার যে কোন কারনে আমার এক বন্ধুকে আমি মিথ্যা বলেছিলাম। রংপুরে অবস্থান করেও আমি বন্ধুকে বলেছিলাম আমি ঢাকা আছি। বন্ধুটি আমার ছিল চট্টগ্রামে।তো হঠাৎ করে বন্ধুটি বলল সে একটা ব্যবসায়িক কারনে রংপুর যাবে। আমি তাকে বললাম- এখন এখানে আসাটা বুদ্ধিমানের মত কাজ হবে না। কারন এখানে এখন বন্যা , চারদিকে শুধু পানি আর পানি। একটু খেয়াল করলেই কিন্তু আমার বক্তব্য থেকে বের হয়ে আসে যে আমি আসলে বন্ধুকে আমার অবস্থান সম্পর্কে মিথ্যা বলেছি।অর্থাৎ আমি যে ঢাকা অবস্থান না করে রংপুর অবস্থান করছি তা বোঝা যাবে সহজেই।আমি মনের অগোচরে বলে ফেলেছি- এখানে এ শব্দটা। এখানে এ শব্দটা একজন বক্তা সে যায়গা সম্পর্কেই বলে যে যায়গাতে বক্তা বক্তব্য প্রদানের সময় অবস্থান করে। কিন্তু কেন আমি এ ভুলটি করলাম? এর কারন হলো অবচেতন মন। আমি অনেক কথাই তার সাথে সুচতুর ভাবে বলেছি যা থেকে আমার বন্ধু বুঝতে পারবে না আসলে আমি কোথায় অবস্থান করছি। কিন্তু তার পরেও যেহেতু আমি অনেক কথাই বলেছি আর সে কারনে অবচেতন মনে বলে ফেলেছি আসল সত্যটা। মানুষের মন ঠিক এরকমভাবেই কাজ করে। কোরানের বিষয়টিও হুবহু তাই। মোহাম্মদ অবচেতন মনেই ভুলগুলো করে ফেলেছেন।আর সেকারনে গোটা কোরান পাঠ করে সহজেই বোঝা যায় যে তার নিজের বানীকে আল্লাহর বানী বলে চালাতে গিয়ে বার বার ঠিক সেই ভুলটি করেছেন। যে কারনে বার বার আল্লাহ নিজে তৃতীয় পুরুষ রূপে উল্লেখিত হয়েছে কোরানে যদিও কোরান হলো আল্লাহর নিজের মুখের বানী। এর সোজা অর্থ ইসলাম একটা মিথ্যা দিয়ে শুরু হয়েছিল যদিও মোহাম্মদকে সবাই আল আমীন বলে জানে ও বিশ্বাস করে।
তার ওহী পাওয়ার ঘটনা যে একটা কাল্পনিক কিচ্ছা বা হিস্টিরিয়া গ্রস্থ মানুষের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময়কার ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়, তা বোঝা যায় কতিপয় ঘটনায়।
আয়শা থেকে বর্নিত- আল্লাহর নবীর কাছে ওহী আসত স্বপ্নের মাধ্যমে অনেকটা দিনের আলোর মত।—-আল্লাহর নবী আল্লাহর ওহী নিয়ে ফিরে আসলেন তখন তার হৃৎপিন্ড প্রচন্ড রকম কাঁপছিল, -অত:পর তিনি বিবি খাদিজার কাছে ফিরে গেলেন ও বললেন, আমাকে আবৃত কর, আবৃত কর। তিনি তাকে কম্বল দিয়ে আবৃত করলেন যে পর্যন্ত না তার ভয় দুরীভুত হলো। তার পর আল্লাহর নবী হেরা পর্বতের গুহায় কি ঘটেছে সবিস্তারে খাদিজার নিকট বর্ননা করলেন ও বললেন- আমার ভয় হচ্ছে আমার ওপর কিছু একটা ভর করেছে।—— এর পরদিন খাদিজা তাকে নিয়ে তার চাচাত ভাই ওয়ারক্কা ইবনে নওফেলের কাছ নিয়ে গেলেন যিনি ইহুদী থেকে খৃষ্টান হয়েছিলেন ও হিব্রু ভাষায় গসপেল লিখতেন।তিনি বৃদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন ও তার দৃষ্টি শক্তি ক্ষীন হয়ে পড়েছিল।খাদিজা ওয়ারাক্কাকে বললেন- হে চাচাত ভাই, আপনার বোন জামাইয়ের কাছে শুনুন তার কি ঘটেছে। তখন ওয়ারাক্কা মোহাম্মদকে জিজ্ঞেস করলেন- তোমার কি ঘটেছে? আল্লাহর নবী সবিস্তারে তখন সব বর্ননা করলেন।সব কিছু শুনে ওয়ারক্কা বললেন- এই ব্যক্তি সেই ব্যাক্তি যিনি মূসা নবীর নিকট আল্লাহর বানী নিয়ে আসত ।—–এর কিছুদিন পর ওয়ারাক্কা ইবনে নওফেল মারা গেলেন এবং ওহী আসা কিছুদিনের জন্য বন্দ থাকল। জাবির বিন আব্দুল্লাহ আল আনসারি বর্নিত- একদা ওহী আসা বন্দ হওয়া নিয়ে কথা বলার সময় আল্লাহর নবী বললেন- যখন আমি হাটছিলাম হঠাৎ আকাশ থেকে একটা শব্দ শুনলাম। আমি আকাশের দিকে তাকালাম আর সেই ফেরেস্তাকে দেখলাম যাকে আমি হেরা গুহায় দেখেছিলাম। সে বসেছিল আকাশ আর পৃথিবীর মাঝখানে একটা চেয়ারে।আমি আবার ভীত হয়ে পড়লাম ও তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে গেলাম ও খাদিজাকে বললাম- আমাকে কম্বল দিয়ে আবৃত কর, আবৃত কর। আর তখন আল্লাহ সেই ওহী নাজিল করলেন- হে চাদরাবৃত, উঠুন সতর্ক করুন, আপন পালনকর্তার মাহাত্ম ঘোষণা করুন, আপন পোশাক পবিত্র করুন ( কোরান, ৭৪:১-৪) সহী বুখারী, বই-০১, হাদিস নং-০৩
উপরের হাদিস থেকে বোঝা যাচ্ছে, মোহাম্মদ নিজেই আসলে নিশ্চিত নন কিভাবে তার কাছে ওহী আসত।। একবার বলছেন স্বপ্নের মাধ্যমে, একবার বলছেন জিব্রাইল ফিরিস্তা সরাসরি তার কাছে বানী নিয়ে আসত।স্বপ্নে ওহী পাওয়া তো আমাদের দেশে প্রচলিত স্বপ্নে নানা রকম ওষুধ পাওয়ার ব্যবসার মত।এর সাথে মোহাম্মদের ওহী পাওয়ার কোন তফাৎ তো দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও ওহী আসার অন্য নানা পদ্ধতি আছে, যেমন, ঘন্টা বাজার ধ্বনির মত। তো এসব তো একজন মানুষ হিস্টিরিয়াতে আক্রান্ত হলেই এসব ঘন্টা ধ্বনি শুনতে পায় আরও কত কিছু শোনে ও দেখে দ্বীন দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট ও শেষ নবী জিব্রাইল ফিরিস্তাকে দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে গেছেন তিনি বুঝতেই পারলেন না যে তিনি আল্লাহ প্রেরিত নবী। শুধু তাই নয় তিনি এমনকি জিব্রাইল ফিরিস্তাকে চিনতেও পারলেন না।কি আজব কথা! তার পরে এমন ভয় পেয়ে গেছেন যে তার গায় জ্বর এসে গেছে আর তার মনে হচ্ছে কোন অশুভ আত্মা তার ওপর ভর করেছে যে কারনে তিনি বলছেন – আমার ভয় হচ্ছে আমার ওপর একটা কিছু ভর করেছে। শুভ আত্মা ভর করলে তো ভয়ের কোন কারন নেই।এসব তো একজন হিস্টিরিয়া রোগীর লক্ষন যা আমরা হর হামেশা দেখি।কেউ হিস্টিরিয়াতে আক্রান্ত হলে ঠিক এরকম লক্ষনই প্রকাশ পায়। সে মনে করে কি যেন অশরিরী তার ওপর ভর করেছে, তার সাথে কে যেন দেখা করেছে, তার ওপর আবোল তাবোল অনেক আধি ভৌতিক কথাবার্তা বলে যার কোন মাথা মুন্ডু নেই।অনেক সময় তার গায়ে প্রচন্ড জ্বর আসে ও পাগলের মত প্রলাপ বকতে থাকে। এভাবে কিছুক্ষন চলার পর সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে। জিব্রাইল নিজে মোহাম্মদের কাছে পরিচয় দিল না সে কে।কেনই বা সে তার কাছে এসেছে তাও বলল না।আল্লাহর কি মহিমা! আল্লাহর মহিমা বোঝা বড় দায়! কে বুঝতে পারল মোহাম্মদ আল্লাহর নবী? অশিতি পর এক বৃদ্ধ ওয়ারাক্কা, তাও বোঝার কয়েক দিনের মধ্যেই পটল তুলল ও সে নিজেও আর কাউকে এ কিচ্ছা প্রচার করার সুযোগ পেল না যা যথেষ্ট রহস্যজনকও বটে। যে জিব্রাইল হেরা পর্বতের ছোট্ট একটা গুহার মধ্যে দিব্যি ঢুকে গেল, সেই জিব্রাইলকে মোহাম্মদ আবার দেখল আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে রাখা চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায়।তার মানে সে চেয়ার মোটেও ছোট খাট চেয়ার নয়, অতি বিশাল চেয়ার, তা না হলে আকাশ আর পৃথিবীর মাঝখানে রাখা চেয়ার– এভাবে চেয়ারের বর্ননা দেয়া হতো না। আর বিশাল চেয়ারে বসে থাকা জিব্রাইলের আকারও নিশ্চয়ই অতি বিশাল। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা বলে কথা, তাই অতি বিশাল জিব্রাইল অতি ছোট আকার ধারন করে ঢুকে পড়েছিল হেরা পর্বতের ছোট্ট গুহার মধ্যে। মজার কথার সেটাই শেষ নয়। ইতোপূর্বে তো মোহাম্মদ জেনে গেছেন তিনি আল্লাহর নবী, জিব্রাইল হলো ফেরেস্তা যে আল্লাহর বানী তার কাছে নিয়ে আসে। প্রথমবার তিনি তাকে চিনতে পারেননি বলে ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু পরের বার তো তার আর ভয় পাওয়ার কথা নয়। অথচ এবারও তিনি আকাশে তাকে দেখে ভয় পেয়ে গেলেন।তার গায়ে জ্বর চলে আসল। এটা কি প্রমান করে যে তিনি সত্যি সত্যি জিব্রাঈলকে দেখেছেন? নাকি হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আধি ভৌতিক জিনিস দেখেছেন? ভাবতেও অবাক লাগে এসব আধি ভৌতিক উদ্ভট কিচ্ছা কাহিনীর মাধ্যমে তিনি একদল মানুষকে স্রেফ বোকা বানিয়েছিলেন আর আজকেও কোটি কোটি মানুষ সেই বোকামীর শিকার জেনে , না জেনে।শুধু শিকার নয়, কিছু কিছু লোক তো সেই বোকামীর শিকার হয়ে রীতিমতো ফ্যানাটিক, জীবন দিতেও তাদের কোন দ্বিধা নেই।যা আমরা নানা সময়ে নানা রকম আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করছি।
এই জিব্রাইল একবার মোহাম্মদের সাথে কি অদ্ভুত ও গাজাখুরি কান্ডটি করেছে তা এবার দেখা যাক:
আবু দার বর্নিত- আল্লাহর নবী বলেছিলেন- আমি যখন মক্কার বাড়ীতে ছিলাম একদিন বাড়ীর ছাদ খুলে গেল ও সেখানে জিব্রাইল অবতরন করল এবং আমার বক্ষ বিদীর্ন করল।,জম জমের পানি দিয়ে আমার বক্ষ ধুয়ে সাফ করে দিল।তারপর সে একটা জ্ঞান ও বিশ্বাস ভর্তি সোনার পাত্র নিয়ে তা দিয়ে আমার বক্ষে প্রবিষ্ট করে অত:পর বক্ষ বন্দ করল ।তারপর সে আমার একটা হাত ধরে নিকটবর্তী বেহেস্তে নিয়ে গেল। আমরা বেহেস্তের দ্বারে গেলাম ও জিব্রাইল দ্বার রক্ষককে দ্বার খুলে দিতে বলল—-( এর পরের ঘটনা হলো মোহাম্মদ অত:পর সমস্ত বেহেস্ত ঘুরে ঘুরে দেখলেন ও অনেক পূর্ববর্তী নবীদের সাথে খোশ গল্প করলেন)– সহী বুখারী, বই-০৮, হাদিস নং-৩৪৫
মজার কান্ডটি হলো-জিব্রাইল ফিরিস্তা বক্ষ বিদীর্ন করল অর্থ হৃৎপিন্ড বিদীর্ন করেছিল আর তা জম জম কুপের পানি দ্বারা পরিস্কার করে দিল যেন তাতে কোন ময়লা বা অপবিত্রতা না থাকে। শুধু সেটা করেই ক্ষান্ত হয় নি।অত:পর জ্ঞান ও বিশ্বাস দিয়ে হৃৎপিন্ডটাকে ভর্তি করে তা আবার বন্দ করে দিল। বর্তমানে এমন কোন পাগল বা উন্মাদ আছে যে বিশ্বাস করবে হৃৎপিন্ড ধুয়ে দিলে শরীর ও মনের যাবতীয় ময়লা দুর হয়ে যায়।তার চাইতে বড় আজব ব্যপার হলো- মানুষের জ্ঞান ও বিশ্বাস কি হৃৎপিন্ডে থাকে ? আমরা সবাই আজকে জানি, জ্ঞান বা বিশ্বাস সেটা থাকে মানুষের মাথায় মগজ বা ব্রেইন নামক যে পদার্থ আছে তাতে, হৃৎপিন্ডে নয়।অথচ আল্লাহ প্রেরিত জিব্রাইল ফেরেস্তা তা জানে না, জানে না মানব জাতির তথাকথিত সর্বশ্রেষ্ট মানব, সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী মোহাম্মদ। বাস্তবতা হলো , সেই ১৪০০ বছর আগে মানুষ বিশ্বাস করত মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক আবেগ ভালবাসা এসব হৃৎপিন্ডে থাকে। আমরা নিজেরা এখনও সেই হাজার হাজার বছরের সংস্কার অনুযায়ী বলে থাকি- তোমার হৃদয়ে ভালবাসা নেই।কিন্তু ভালবাসা কি হৃদয়ে থাকে ? হৃদয় বা হৃৎপিন্ড সে তো একটা রক্তের পাম্প মেশিন ছাড়া আর কিছুই নয়।ভালবাসা বলি আর জ্ঞান বলি তা তো থাকে আমাদের মস্তিষ্কে। মোহাম্মদও অকাতরে সেই সরল স্বীকারোক্তিটা করেছেন। কিন্তু নিজেকে সাহাবীদের কাছে অধিকতর গ্রহনযোগ্য ও ঐশি হিসাবে প্রমান করতে এই আজগুবি কিচ্ছা অত্যন্ত সুন্দর করে সাজিয়েছেন। আল্লাহর পেয়ারা নবী সর্বশ্রেষ্ট মানুষ, আল আমীন বলে কথিত মোহাম্মদের এ কিচ্ছা ও কাহিনী কি প্রমান করে তিনি সত্যি আল আমীন বা সত্যবাদী? ব্যক্তিগত ভাবে কেউ যদি অন্যের গচ্ছিত সম্পদ যত্ন করে রেখে আবার ফিরিয়ে দেয় অথচ আদর্শিক ভাবে মিথ্যা ধ্যান ধারনা পোষণ করে আর তা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকে কি সৎ লোক বলা যায়? সততার সংজ্ঞা কি এত সহজ ও সরল? মোহাম্মদের যে ধরনের সততার কথা আমরা শুনি, বাস্তবে ও ধরনের সৎ লোক এই কঠিন দুনিয়াতে ভুরি ভুরি দেখতে পাওয়া যায়। নইলে এক রিক্সাওয়ালা কিভাবে যাত্রীর ফেলে যাওয়া টাকা ভর্তি মানি ব্যাগ পুলিশের কাছে জমা দিয়ে আসে?


মহানবী মোহাম্মদের চরিত্র ফুলে মত পবিত্র, পর্ব-২

মহানবীর সততার আর এক মহা পরাকাষ্ঠা আমরা দেখতে পাই তার মিরাজ গমনের কিচ্ছাতে।হঠাৎ একদিন মোহাম্মদ প্রচার শুরু করলেন তিনি সাত আসমান অতিক্রম করে আল্লাহর কাছে গেছিলেন। যাকে সবাই মিরাজ বলে জানে। কুরানে সেটার উল্লেখ আছে-
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি যিনি তার বান্দাকে এক রাত্রিতে ভ্রমন করিয়েছিলেন মসজিদে হারেম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি ও যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। কুরান, ১৭:০১
তোমরা কি বিষয়ে বিতর্ক করবে যা সে দেখেছে? নিশ্চয়ই সে তাকে আর একবা দেখেছিল, সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে,যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত।যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ার, তদ্বারা আচ্ছন্ন ছিল।তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি, সীমা লংঘনও করেনি।নিশ্চয়ই সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে। ৫৩: ১২-১৮
কিন্তু মেরাজ ভ্রমনের পটভূমিকাটা কি? এক রাতে মোহাম্মদ তার সাহাবীদের নিয়ে কাবা শরীফে অবস্থান করছিলেন।গভীর রাতে তিনি চুপি চুপি উঠে উম হানি( তার চাচাত বোন) এর বাড়ী হাজির হন। উম হানি তার চাচা আবু তালিবের মেয়ে যার প্রেমে পড়েছিলেন মোহাম্মদ ও বিয়ে করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার চাচা রাজী হয় নি।উম হানির বিয়ে হয়েছিল এক কুরাইশ প্যগানের সাথে। সে রাতে তার স্বামী বাড়ী ছিল না।গভীর রাতে মোহাম্মদের সঙ্গীরা হঠাৎ মোহাম্মদকে কাবা ঘরে দেখতে না পেয়ে তার তালাশে বের হয়।তাদের কেউ কেউ উম হানির প্রতি মোহাম্মদের দুর্বলতার কথা জানত। ওদিকে কিছুকাল আগেই মোহাম্মদের স্ত্রী খাদিজা মারা গেছে। তাই মনের অবস্থা তার বিশেষ ভাল না।সঙ্গীরা সারারাত ধরে তাকে খুজতে খুজতে অবশেষে উম হানির ঘরে যায় ও সেখানে তাকে ভোরবেলা পায়। মোহাম্মদ ও উম হানি উভয়ে দারুন লজ্জায় পড়ে যায় আর সাহাবীদের মধ্যে কিছু কিছু মোহাম্মদের এহেন লাম্পট্যের কারনে সে আসলেই আল্লাহর নবী কি না এ ব্যপারে সন্দেহ করতে থাকে, কিন্তু ভীষণ বুদ্ধিমান ও প্রত্যুৎপন্নমতি মোহাম্মদ ঘাবড়ে না গিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে এক কিচ্ছা তৈরী করেন যা হলো ইসলামী বিশ্বে পরিচিত সেই বিখ্যাত আকাশ ভ্রমন বা মিরাজ।
মিরাজের বিষয় নিয়ে কতকগুলি প্রশ্ন জাগে, যেমন-
প্রশ্ন-১।একা একা গভীর রাতে মোহাম্মদ উম্মে হানির ঘরে কেন গেলেন ও সেখানে রাত কাটালেন যখন তার স্বামী ঘরে ছিল না? এ নিয়ে কথা উঠত না যদি আগে মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করতে না চাইতেন বা তার প্রেমে না পড়তেন। যদি ধরে নেই মোহাম্মদ উম্মে হানির সাথে এক বিছানায় রাত কাটান নি , কিন্তু সেটা বিশ্বাস কেন করতে হবে যখন তিনি গোপনে সেখানে গেছেন?
প্রশ্ন-২। তিনি উম্মে হানির ঘরে গেলেন কিন্তু কেন তার সাহাবীদেরকে বলে গেলেন না? কেন চুপি চুপি একা চোরের মত গেলেন ?
প্রশ্ন-৩। তিনি যদি জরুরী কোন কাজে যেয়েই থাকেন তাহলে কাজ শেষ করে সাথে সাথে চলে না এসে সারা রাত কেন সেখানে কাটালেন? তিনি কি জানতেন না যে , যে কেউ বিষয়টি জানবে সে কখনই বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেবে না ? নাকি স্ত্রী বা স্ত্রী-সঙ্গ বিহনে তার দেহ মন এত উন্মাতাল হয়ে উঠেছিল যে সব কান্ড জ্ঞান তিনি হারিয়ে ফেলেছিলেন ? আমরা জানি এরকম পরিস্থিতিতে অনেক লম্পট লোক নারী ধর্ষণের মত জঘন্য কাজ করে থাকে কান্ড জ্ঞান হারিয়ে।যেন এটা কোন বিষয়ই নয়।
প্রশ্ন-৪: মিরাজের মত একটা অতি মহান ও তুলনাহীন ঘটনা কোন পর নারীর ঘর থেকে শুরু হওয়া শোভনীয় বা যুক্তিযুক্ত কোনটাই নয়।সেটা তথাকথিত আল্লাহর ঘর কাবা থেকে শুরু হলেই মানাত ভাল। তাই নয় কি?
এ ধরনের রহস্যময় ও সন্দেহজনক ঘটনাকে হালকা করার জন্য ইসলামী লেখকরা যেভাবে ঘটনাটাকে বর্ননা করে তা নীচে দেখা যাক, (যেন বিষয়টি কোন ঘটনাই নয়, ভাবখানা এমন):
It was during this period that al-Isra and al-Miraj had taken place. Al-Asra means the night journey when Muhammad was reported to have taken from Mecca to the Mosque of Aqsa, the distance mosque of Jerusalem. Al-Miraj means Muhammad’s ascension to heaven and his visit to paradise and hell. On the night of al-Isra, Muhammad was staying in the house of his cousin, Hind, daughter of Abu Talib, who was also called Umm Hani. Hind relates that the Prophet of God spent the night in my quarters. He recited the night prayers and went to sleep. Just before dawn, the Prophet of God awoke us and we all prayed the dawn prayer together. When the prayer was through, he said, “O Umm Hani, I prayed with you the night prayer in this place; then I went to Jerusalem and I prayed there, and as you see, I have just finished praying with you the dawn prayer.” I answered, “O Prophet of God! do not tell this to the people, for they will belie you and harm you.” He said, “By God, I shall tell them.” ( http://ismaili.net/histoire/history03/history313.html)
এখানে দেখা যাচ্ছে খুব নিষ্কলুষ একটা বাক্য- Muhammad was staying in the house of his cousin, Hind, daughter of Abu Talib, who was also called Umm Hani- যেন এটা কোন বিষয়ই নয়। এখানে মোটেও বলা হয় নি কেন তিনি উম্মে হানির ঘরে অবস্থান করছিলেন।মোহাম্মদ বলছেন- “O Umm Hani, I prayed with you the night prayer in this place; এটা কি সম্ভব মোহাম্মদ গভীর রাতে উম্মে হানির সাথে এক সাথে নামাজ পড়বেন যখন তার স্বামী একজন প্যাগান? তার স্বামী কি তাকে অনুমতি দিত যদি সে সেই রাতে বাড়ী থাকত? এ বর্ননার মধ্যেই নিহিত যে সে রাতে উম্মে হানির স্বামী বাড়ীতে ছিল না আর গভীর রাতে মোহাম্মদ গোপন অভিসারেই তার ঘরে ঢুকেছেন।
That night was the twenty-seventh night of the month of Rajab, a Monday night. He proceeded to the house of Umm Hani who was the daughter of Abu Talib, the sister of Ali. She lived in her father’s house, which was situated between Safa and Marwa. The Muhammad {s} arrived at her house, and finding him downcast and dispirited, she asked him for the reason of this. The Muhammad {s} explained to her what had happened and why he felt as he did. Now, Umm Hani was an intelligent and resourceful woman.
(http://www.muhammadanreality.com/ascentionmiraj.htm)
লক্ষ্যনীয়, বলা হচ্ছে মোহাম্মদ উম্মে হানির বাড়ী গেলেন।বিষয়টি আপত্তিকর মনে হওয়াতে পরে সেটা ঢাকা দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে- সে তার বাপের বাড়ী থাকত। এরপর আবারও বলা হচ্ছে- যখন মোহাম্মদ উম্মে হানির বাড়ী পৌছালেন ।যদি উম্মে হানি সত্যিই বাপের বাড়ী থেকে থাকে তাহলে প্রথমে উম্মে হানির বাড়ীর কথা কেন বলল ? তার বাপ আবু তালিবের বাড়ী তো তার বাড়ী নয়, বিয়ের পর স্ত্রীর বাড়ী হয় তার স্বামীর বাড়ী।এ ক্ষেত্রে যদি বলত মোহাম্মদ আবু তালিবের বাড়ী গেলেন উম্মে হানির সাথে দেখা করতে – তাহলে সেটা হতো যুক্তি যুক্ত। ঘটনাটাকে লুকাতে চাওয়ার আপ্রান চেষ্টা করার পরও আসল সত্য প্রকাশ হয়ে পড়েছে। The Muhammad {s} explained to her what had happened and why he felt as he did. Now, Umm Hani was an intelligent and resourceful woman.- এখানে বলা হচ্ছে আবার মোহাম্মদ প্রথমে মিরাজে গেছিলেন তারপর সে ঘটনা সবিস্তারে বলার জন্য তিনি উম্মে হানির নিকট গমন করেন।আজব কথা ! কাবা ঘরে তার সাথে ছিল বেশ কিছু সাহাবী, তিনি তাদেরকে আগে বলার দরকার বোধ করলেন না, গভীর রাতে চুপি চুপি অন্ধকারে উম্মে হানির নিকট গমন করে তার কাছে বলার এত তাড়াটা কিসের? সুতরাং আসল কেলেংকারী চাপা দেয়ার জন্য যতই বাক্য বিন্যাশ করে ঘটনাটাকে অন্যভাবে সাজানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, কোন ভাবেই তাকে চাপা দেয়া সম্ভব নয়। আসল ঘটনা বের হয়ে আসবেই। একেই বলে ধর্মের ঢোল আপনি বাজে। এছাড়া, মিরাজের এ ঘটনা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। প্রতিটি ইসলাম সম্পর্কিত বইতে লেখকের নিজস্ব ধ্যান ধারনা প্রকাশিত যার কোন ভিত্তি নেই। যার যেমন ইচ্ছা তেমন বর্ননা করেছেন অবশ্যই মোহাম্মদ যাতে কলংকিত না হয় সে লক্ষ্যকে মাথায় রেখেই।কারন ইসলামি সকল উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে , ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল উম্মে হানির ঘরে আর শেষও হয়েছিল সেখানে যা বাস্তবে অত্যন্ত আপত্তিকর বিশেষ করে গভীর রাতে যখন উম্মে হানি তাদের বাড়ীতে একা অবস্থান করছিল।
যাহোক, কথিত মিরাজ ঘটনার সেই রাতে আল্লাহ তাকে মক্কা থেকে জেরুজালেমের মসজিদুল আকসাতে নিয়ে গেছিলেন। যাওয়ার বাহন হিসাবে ছিল বোরাক।বোরাক হলো গাধার চাইতে একটু বড় একটা জন্তু যার মূখটা ছিল মানুষের মত, আর ছিল দুইটা ডানা। এ বর্ননা থেকে একটা বিষয় অত্যন্ত পরিস্কার যে বোরাক একটা অদ্ভুত জন্তু ছিল, কোন মতেই উন্নত প্রযুক্তির কোন যান্ত্রিক বাহন ছিল না।
এছাড়াও বোরাক যে কি জিনিস তা এখানে ভাল বর্নিত আছে-
“Jibra’il, Mika’il and Israfil brought Buraq [5] to the Prophet . One of these (three) held the reigns of Buraq, while the other one held on the saddle and the third one held on to the clothing of the Prophet while he was ascending it. When the Prophet mounted onto the Buraq, its entire body started to tremble. Jibra’il pointed with his hand towards Buraq and told him, `O’ Buraq! Keep calm! Before the Noble Prophet no other Prophet has ever ridden you and after him too no one like him will ever ride upon you again.”
(সূত্র: http://www.al-islam.org/al-miraj/)
বোরাকের বর্ননা হাদিসে যা আছে তা নিম্নরূপ:
Then a white animal which was smaller than a mule and bigger than a donkey was brought to me.” (On this Al-Jarud asked, “Was it the Buraq, O Abu Hamza?” I (i.e. Anas) replied in the affirmative). The Prophet said, “The animal’s step (was so wide that it) reached the farthest point within the reach of the animal’s sight. I was carried on it, and Gabriel set out with me till we reached the nearest heaven. (Sahih Bukhari 5:58:227)
Al-buraq, a white animal, smaller than a mule and bigger than a donkey was brought to me and I set out with Gabriel. (সহি বুখারী, Book #54, Hadith #429)
It is narrated on the authority of Anas b. Malik that the Messenger of Allah (may peace be upon him) said: I was brought al-buraq Who is an animal white and long, larger than a donkey but smaller than a mule, who would place his hoof a distance equal to the range of version. (সহি মুসলিম, Book #001, Hadith #0309)
I was then brought a white beast which is called al-buraq, bigger than a donkey and smaller than a mule. Its stride was as long as the eye could reach. I was mounted on it, and then we went forth till we reached the lowest heaven. (সহি মুসলিম, Book #001, Hadith #0314)
ইবনে কাথিরের বর্ননা মতে- মোহাম্মদ সেই বোরাকের পিঠে চড়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে (মসজিদুল আকসা) যান, তার গেটে বোরাককে বাধেন,যেমন করে মানুষ ঘোড়া বাঁধত আগের দিনে।ভেতরে গিয়ে দু রাকাত নামাজ পড়েন। । এর পরেই তার তথাকথিত বেহেস্ত ভ্রমন শুরু হয়। শুধু তাই নয় এক এক করে সাত টি বেহেস্ত ও সাতটি দোজখ ভ্রমন করেন , প্রতিটি বেহেস্তে পূর্ববর্তী সকল নবীরা ছিল, তাদের সাথে নানা খোশ গল্প, তামাশা করেন,এর পর আল্লাহর সাথে দেখা করেন, তার সাথেও খোশ গল্প করেন। অত:পর পূনরায় মসজিদুল আকসাতে প্রত্যাবর্তন করেন, সাথে তার সাথে দেখা সকল নবীরাও আসে তাকে বিদায় জানাতে।সেখানে তার ইমামতিতে তিনি ফজরের নামাজ পড়েন।
(সূত্র:http://www.central-mosque.com/quran/isramiraj.htm)
একটা ডানা ওয়ালা ঘোড়ার মত জন্তুর পিঠে চড়ে মোহাম্মদ মহাকাশ ভ্রমনে বের হলেন। সে ভ্রমনে তিনি কোটি কোটি আলোকবর্ষ দুরত্ব নিমেষে অতিক্রম করে সাত বেহেস্ত ও সাত দোজক ভ্রমন করে আসলেন। এটা তো দেখি আরব্য রজনীর কিচ্ছাকেও হার মানাচ্ছে।কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এটা বিশ্বাস করতে পারে ? আর যে সব লোক এ উদ্ভট গাজাখুরি ও আজগুবি গল্প বিশ্বাস করবে তাদেরকে কি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ বলা যায়? এ কিচ্ছাকে সত্য প্রমান করতে আবার তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা আরও নানা রকম উদ্ভট ও গাজাখুরী যুক্তি তর্কের অবতারনা করে থাকে।
মিরাজের কথা প্রচার করার পর কুরাইশরা তাকে নানা রকম প্রশ্ন করতে থাকল তা ঘটনার প্রমান দাখিল করার জন্য। মোহাম্মদ তখন বললেন- তিনি এক মরুভুমির এক জায়গায় কিছু মানুষকে দেখলেন যাদের উট পালিয়ে গেছিল ও তারা সেগুলো খোজাখুজি করছিল।তিনি তাদের উটগুলো খুজে বের করে দিলেন ও দামাস্কাসের দিকে তাদেরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলেন। ফেরার পথে আমি দেখলাম এক জায়গাতে এক দল লোক ঘুমাচ্ছিল, আমি তাদের পাত্র থেকে পানি পান করলাম ও পাত্র যেমন ছিল তেমন রেখে দিলাম। ( সূত্র: http://www.questionsonislam.com/index.php?s=article&aid=10849)
উনি চলেছিলেন বোরাকের পিঠে সওয়ার হয়ে উর্ধ্বাকাশ দিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা করার জন্য সেই আল্লাহর আরশে। হঠাৎ আকাশপথে যাত্রা বিরতি করে মরুভূমিতে নেমে পড়েন এবং উপরোক্ত কর্মকান্ড সমূহ করেন ।এমন উদ্ভট গল্প কে কবে শুনেছে? আর এসব গাজাখুরী কিচ্ছা যারা বিশ্বাস করে তারা কি মানসিক ভাবে সুস্থ?
তার মানে বোঝাই যাচ্ছে, মোহাম্মদ যখন জেরুজালেম যান তখন সেখানে আল আকসার জায়গাতে একটা মসজিদ বা এ জাতীয় কিছু ছিল। অথচ খলিফা ওমর যখন জেরুজালেম দখল করেন তখনও সেখানে কোন মসজিদ বা মন্দির ছিল না। যেখানে টেম্পল অব সলোমন ছিল তার ধ্বংসাবশেষের ওপর তিনি নামাজ আদায় করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায় সেখানে বাদশাহ সলোমন একটা মন্দির তৈরী করেন যাকে বলা হয় টেম্পল অব সলোমন। অথচ আমরা আবার সেই ইতিহাস থেকেই জানতে পারি, রোমানরা জেরুজালেম দখল করে ৭০ খৃষ্টাব্দে সে মন্দির ধ্বংস করে ফেলে। আর ৬৯১ খৃষ্টাব্দে খলিফা আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান সেখানে একটা মসজিদ তৈরী করেন।আর বর্তমান কালে মসজিদুল আকসা বলে যা আছে তা নির্মিত হয় আরও পরে। আর মোহাম্মদ তার তথাকথিত আল আকসা রাতের বেলায় ভ্রমন করেন ৬২১ বা ৬২২ খৃষ্টাব্দে। তার মানে আল আমীন বলে কথিত আমাদের দ্বীনের নবী যখন সেখানে রাতের বেলা বোরাকে চড়ে হাজির হন, সে সময় সেখানে কিছুই ছিল না। অথচ তিনি সেখানে শুধু যান ই নাই, সেখানে প্রথমে নিজে একা পরে ফিরতি পথে সাত বেহেস্তে বসবাসরত আগের কালের সব নবীরসূল সহ সদলে নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো- মহানবীর মেরাজ ভ্রমনেরও প্রায় ৭০ বছর পর সেখানে মসজিদ নির্মিত হয়।তার মানে গভীর রাতে উম্মে হানির সাথে তার গোপন অভিসারকে চাপা দেয়ার জন্য তিনি এমন এক উদ্ভট কিচ্ছা তৈরী করেন যার জের গত ১৪০০ বছর ধরে মুসলমানরা অন্ধের মত বয়ে চলেছে প্রশ্ন ছাড়াই। এ ব্যপারটিকে ঢাকা দেয়ার জন্য কিন্তু ইসলামী পন্ডিত এক অদ্ভুত মনগড়া ব্যখ্যা হাজির করেছেন। আর সেটার ভিত্তি হলো নিচের হাদিস-
আবু ধার বর্নিত- আমি আল্লাহর নবীকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন মসজিদ সর্বপ্রথম নির্মিত হয়েছিল? তিনি উত্তর করলেন- মসজিদুল হারাম অর্থাৎ কাবা শরীফ। আমি জিজ্ঞেস করলাম- এর পর কোন মসজিদ তৈরী হয়েছিল ? তিনি উত্তর করলেন- মসজিদুল আকসা। আমি জিজ্ঞেস করলাম- এদের নির্মানের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত ? তিনি উত্তর করলেন- চল্লিশ বছর। অত:পর তিনি আরও বললেন- যেখানেই নামাজের সময় হয়ে যাবে, সেখানেই নামাজ পড়বে, কারন সমস্ত দুনিয়া নামাজের স্থান। সহী বুখারী, বই-৫৫, হাদিস-৬৩৬
এখানে বলা হচ্ছে পৃথিবীর যে কোন জায়গাই হলো নামাজ পড়ার স্থান, তার মানে হিন্দুদের মন্দির, খৃষ্টানদের গীর্জা, ইহুদীদের সীনাগগ, বৌদ্ধদের প্যগোডা এসবও নামাজের স্থান। যাহোক, মোহাম্মদ মসজিদুল আকসাতে আসলে নামাজ পড়েন নি, পড়েছেন সেখানে যেখানে আসলে আল আকসা মসজিদ ছিল। কিন্তু ইবনে কাথিরের বর্ণনায় দেখা যাচ্ছে- বোরাককে মসজিদুল আকসার গেটে বেধে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, কুরাইশদের নানা প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আল আকসা মসজিদের কয়টি দরজা, কয়টি গেট, আশে পাশে কি আছে তারও একটা বর্ননা দিয়েছিলেন বলে কথিত আছে যা সকল ধর্ম প্রান মুসলিম বিশ্বাসও করে বিনা প্রশ্নে। তার মানে তখন মসজিদের অস্তিত্ব ছিল। আধুনিক কালে এসব ইতিহাস নিয়ে যখন টানাহেচড়া শুরু হয়েছে তখনই ইসলামী পন্ডিতরা নানা কায়দায় ওখানে মসজিদ ছিল না , নবী ও জায়গায় এমনিতেই নামাজ পড়েছেন, নামাজের স্থানকেই ইসলামে মসজিদ বলা হয় ইত্যাদি নানা রকম ব্যখ্যা হাজির করা শুরু করেছে। এর আগে হাজার বছর পর্যন্ত ওখানে একটা জল জ্যান্ত মসজিদ ছিল সেটাই কিন্তু প্রচলিত বিশ্বাস ছিল, আর এ বিশ্বাসের ভিত্তিতেই কিন্তু মোহাম্মদের আল আকসা মসজিদের বর্ননাকে অলৌকিক ঘটনা ধরা হতো। যাহোক, আরও একটা গুরুতর সমস্যা হলো- খৃ:পূ: প্রায় ২০০০ সালের দিকে আব্রাহাম দুনিয়াতে আসেন বলে ধারনা করা হয় যার কিছু কিছু ঐতিহাসিক প্রমানও আছে।আর মসজিদুল হারাম তথা কাবা শরীফ তার হাতেই নির্মিত-সেটাই সবাই বিশ্বাস করে।পক্ষান্তরে খৃ:পূ: ৯৫০ সালের দিকে সলোমন তার রাজত্ব কালে টেম্পল অব সলোমন তৈরী করেন। ৭০ সালে রোমানরা সে টেম্পল গুড়িয়ে দেয় ও মোহাম্মদের মৃত্যুরও প্রায় ৬০ বছর পর সেখানে মুসলমানদের হাতে একটা মসজিদ নির্মিত হয়। যুক্তির খাতিরে যদি সলোমনের টেম্পলকে মসজিদুল আকসা ধরি তাহলেও এ দুইয়ের তৈরীর সময় ব্যবধান হলো কম পক্ষে এক হাজার বছর। আর মুসলমানদের তৈরী বাস্তব মসজিদুল আকসা ধরলে সময়ের ব্যবধান দাড়ায় আরও বেশী। অথচ দ্বীনের নবী বলছেন মাত্র চল্লিশ বছর। কি আজব কথা !নাকি নবী যদি সব আজগুবি কথা বলেন তাহলে দরকার মত ইতিহাস পাল্টে বা গোজামিল দিয়ে হলেও তাকে সত্যি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ? মানুষ কেন বুদ্ধি বৃত্তির চর্চা বাদ দিয়ে এহেন অন্ধত্বের ও মূর্খতার দাসত্ব করবে ? (সুত্র: http://en.wikipedia.org/wiki/Al-Aqsa_Mosque, http://www.islamic-awareness.org/Quran/Contrad/External/aqsa.html, http://www.nawajee.com/AlArthAlMuqaddasa/AlMasjidAlAqsa.html, http://www.noblesanctuary.com/HISTORY.html, http://www.jewishvirtuallibrary.org/jsource/Society_&_Culture/geo/Mount.html)
মেরাজের ঘটনাকে সত্য প্রমানের জন্য কি আজগুবি ও গাজাখুরী যুক্তির অবতারনা করা হচ্ছে তার নমুনা নীচে-
In an attempt to prove that the Prophet (s.a.w.) was lying, those Makkans who were familiar with Jerusalem and the Sacred Mosque (al-Aqsa) quizzed him about his journey. The Prophet (s.a.w.) described everything in detail, and no one could fault his description. Additionally, the Prophet (s.a.w.) told the Makkans about a caravan travelling from Jerusalem to Makkah, mentioning the number of camels, their condition, and the time that they would arrive in Makkah. The caravan from Jerusalem appeared exactly when the Prophet (s.a.w.) said it would, and everyone saw that his description was accurate. But the pagans remained fettered to their disbelief.
( http://www.islamiclandmarks.com/saudi_house_of_umme_hani.html)
Those who had journeyed to Damascus and who had seen Masjid-al–Aqsa came to our Holy Prophet (PBUH) and asked, “Could you describe Masjid-al- Aqsa to us?” Our Holy Prophet (PBUH) said, “I went there and I can describe it.” Our Holy Prophet (PBUH) reported it as follows: I was very tired of their denial and questions. In fact, I had not experienced such difficulty until that moment. Just then, Allah showed me the Baytu’l Maqdis. While looking at it, I described every detail one by one. They even asked me, “How many doors does the Baytu’l Maqdis have?” however, I had not counted its number of doors. When I saw the Baytu’l Maqdis across from me, I began to look at it, count each of its doors and told them the number.” 3
Thereupon, the polytheists said, “By God, you perfectly and correctly described it.” Nevertheless, they still did not become Muslims. (http://www.questionsonislam.com/index.php?s=article&aid=10849)-
বলা হচ্ছে- মোহাম্মদ জেরুজালেম থেকে একদল লোককে মক্কায় আসতে দেখেন। মোহাম্মদ সেখানে যাচ্ছিলেন বোরাকের পিঠে সওয়ার হয়ে আকাশ পথে উড়ে তাও আবার গভীর রাতে।জেরুজালেম থেকে মক্কা সোজা বিমান উড্ডয়ন দুরত্ব হলো ১,২১৫ কি. মি.।আর স্থল পথ দুরত্ব নিশ্চয়ই ১,৩০০ কি. মি. এর নীচে হবে না। সেই কালে কঠিন ও দুর্লঙ্ঘ এত বিরাট দুরত্ব অতিক্রম করে মানুষ সচরাচর জেরুজালেম থেকে মক্কা বা মক্কা থেকে জেরুজালেম যেত না। সেকারনে মক্কাতেও জেরুজালেম আগে গেছে এরকম মানুষ না থাকার সম্ভাবনাই বেশী ছিল।তার মানে জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ কোথায় আছে তা দেখতে কেমন তা জানার মত লোক মক্কাতে ছিল বলে বিশ্বাস করা কঠিন।অন্য কথায়, আল আকসা নামের মসজিদ বা মন্দির-এর বাস্তব অস্তিত্ব আদৌ আছে কি না তা কেউ জানত না। তবে তারা সে মসজিদ বা মন্দির আছে বা ছিল এমন কিছু শুনে থাকতে পারে, কারন সেটা বিখ্যাত স্থান সেই কালেও। সর্বোপরি, ইতিহাস বলছে তখন সেখানে আদৌ মসজিদ বা মন্দির কিছু ছিল না।ছিল কিছু ধ্বংসাবশেষ। অথচ মোহাম্মদ পরিস্কার ভাষায় বলে দিলেন সে মসজিদের বর্ননা, তার কয়ট দরজা এসব, আর কেউ তার ভুল ধরতে পারল না। কেউ যদি মসজিদ না দেখেই থাকে তাহলে ভুল ধরবে কিভাবে?
এমন কোন গাধা আছে যে এ ধরনের অলৌকিক ঘটনার চাক্ষুষ প্রমান থাকা সত্ত্বেও মোহাম্মদকে নবী মানত না ? এই এক বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান মনষ্ক মানুষগুলোর সামনেও যদি এ ধরনের অলৌকিক ঘটনা প্রমান করা যেত, সিংহ ভাগ মানুষই মোহাম্মদকে নবী মানত। আর সে সময়ে তো ঐ সব আরব বেদুইনরা ছিল নিতান্তই অশিক্ষিত, নিরক্ষর, অজ্ঞ।তাদের সামনে এত বড় অলৌকিক কান্ড দেখানোর পরও তারা মোহাম্মদকে নবী মানেনি, তার মানে মোহাম্মদ কোন অলৌকিক কান্ড দেখান নি। সুতরাং মোহাম্মদ যদি এসব কথা বলে থাকেন তাহলে তিনি ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। আর তিনি মিথ্যা বলার সাহস পাচ্ছেন কারন তখন সেখানে সম্ভবত আল আকসা চাক্ষুস কেউ দেখেছে তেমন কেউ ছিল না।
এ ছাড়াও মিরাজ ঘটনা আমাদেরকে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন করে।
প্রথমত: বোরাক নামক একটা জন্তু যার ডানা আছে সে কিভাবে বায়ুমন্ডলের বাইরে গিয়ে এক এক করে সাত টা বেহেস্ত ভ্রমন করল? কারন বায়ূমন্ডলের বাইরে তো ডানা দিয়ে উড়ে যাওয়া যায় না।
দ্বিতীয়ত: পৃথিবীর সবচাইতে কাছের নক্ষত্র প্রক্মিমা সেন্টরাই এর দুরত্ব হলো ৪ আলোকবর্ষ।তার মানে আলোর গতিতে চললেও সেখানে পৌছে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসতে মোট সময় লাগবে ৮ বছর। জানা মহাবিশ্বের প্রান্ত সীমায় পৌছতে আলোর গতিতে চললেও কম পক্ষে ৩০ বিলিয়ন বছর লাগবে। তাহলে বেহেস্ত আসলে কোথায়? পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বায়ুমন্ডল যতদুর তার মধ্যে অর্থাৎ মাত্র ৫০/৬০ কিলোমিটার উপরে? কারন তার বাইরে বোরাক তো তার ডানা দিয়ে উড়ে যেতে পারবে না। বেহেস্ত এত কাছে হলে তো অনেক আগেই মানুষ বেহেস্ত আবিস্কার করে ফেলত আর মনে হয় এতদিনে সেখানে কলোনী বানিয়ে ফেলত। তা হতো- অতিরিক্ত জনসংখ্যা ভারাক্রান্ত পৃথিবীর জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কিন্তু সেটা এখনও করা যায় নি।বিজ্ঞানীদের উচিৎ তাদের সব কাজ বন্দ করে পৃথিবীর অতি নিকটবর্তী এ বিশাল সাতটা বেহেস্ত আবিস্কারে মনোনিবেশ করা।
বোরাককে এক মহা উন্নত আল্লাহর মহাকাশযান প্রমান করার জন্য ইদানিং কিছু তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছে। কিন্তু হাদিস ও কাথিরের বর্ননায় পরিস্কার বলা আছে ( আগেই দেখানো হয়েছে) – বোরাক হলো ঘোড়ার মত দেখতে একটা প্রানী যার চারটা পা আছে, দুইটা ডানা আছে, আর মুখটা মানুষের মত।তাছাড়া মোহাম্মদ বেহেস্তে ভ্রমনের সময় এ ধরনের বোরাক নামক জন্তুকে মাঠে চরে ঘাস খেতে দেখেছেন। সুতরাং কোনভাবেই বোরাককে অতি উন্নত মহাকাশযান বানান সম্ভব নয়।কারন আর যাই হোক,কোন অতি উন্নত আকাশযান নিশ্চয়ই মাঠে চরে ঘাস খেয়ে বেড়াবে না, তাদের কোন পাখীর মত ডানা থাকবে না, গরুর মত চারটে পা ও থাকবে না।
উপরোক্ত কারন সমূহ দ্বারা দিনের মত পরিস্কার যে, মেরাজ বলে আদৌ কিছু ঘটেনি। আগেই বলা হয়েছে, সদ্য পত্নীবিয়োগের কারনে ভারাক্রান্ত মোহাম্মদ হঠাৎ গভীর রাতে নিজের দৈহিক ও মানসিক যন্ত্রনায় ভুগতে থাকেন, তা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তিনি কাউকে কিছু না বলে সেই গভীর রাতে গোপনে উম্মে হানির ঘরে গমন করেন যখন তার স্বামী বাড়ীতে ছিল না। দুর্ঘটনাক্রমে, তার সঙ্গী সাথীরা তাকে সেভাবেই অপ্রস্তুত অবস্থায় উম্মে হানির ঘরে আবিষ্কার করে ফেলে।যা থেকে তাৎক্ষনিক পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রত্যূৎপন্নমতি মোহাম্মদ খুব দ্রুত মিরাজ নামক এক আজগুবি ও গাজাখুরী কিচ্ছা তৈরী করে আপাতত তার সঙ্গী সাথীদেরকে ধোকা দেন। আমরা নিজেরাও ছোট কালে এ ধরনের অনেক আজগুবি ঘটনার কথা শুনেছি। যেমন- তখন কেউ কেউ রাতের বেলা জঙ্গলাকীর্ন কবরখানার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভুত-পেত্নী বা জ্বীন-পরী তাদের রাস্তা আটকে দাড়িয়ে ছিল।অত:পর ভীষণ সাহসী মানুষ নানা রকম দোয়া দরুদ পড়ে সেসব ভুত পেত্নী বা জ্বীন পরীকে পরাস্ত করে বীর দর্পে সেখান থেকে চলে এসেছেন। তারপর তারা সেসব গল্প বলতেন অকাতরে এমন ভাবে যা অবিশ্বাস করার মত লোক তখন পাওয়া যেত না একেবারেই।দু:খের বিষয় বর্তমান কালে আর কোন ভুত -পেত্নী বা জ্বীন পরীর দেখা পাওয়া যায় না। শোনা কথা- এরা নাকি সব বৈদ্যুতিক লাইনের ভয়ে চাঁদের দেশে ভেগে গেছে। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই বেশ পরিতাপের বিষয়।কারন অত:পর আমরা জ্বীন-পরী বা ভুত-পেত্নী দেখা থেকে বঞ্চিত আছি।
কিছু কিছু ইসলামী পন্ডিত আবার আরও অগ্রসর হয়ে মেরাজের এ ঘটনাকে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের সাথে তুলনা করে বলতে চায়, মূলত আপেক্ষিকতাবাদের জনক মোহাম্মদ নিজেই। তার অর্থ নিরক্ষর মোহাম্মদ মহা বিজ্ঞানী। আর একজন নিরক্ষর মানুষ যদি মহা বিজ্ঞানী হয় তাহলে তিনি আল্লাহর নবী না হয়ে পারেন ই না। এবার দেখা যাক, মোহাম্মদের আপেক্ষিকতাবাদ আবিস্কারের মাজেজা:
কেউ কেউ বলে থাকে যে-আল্লাহর সকাশে যেতে মোহাম্মদের সাড়ে তের বছর সময় লেগেছিল আর ফিরে আসতেও একই সময় লেগেছিল।অর্থাৎ মোট সময় লেগিছিল সাতাশ বছর। কিন্তু মোহাম্মদ বোরাকে চড়ে এ দুরত্ব অতিক্রম করেছিলেন মূহুর্তের মধ্যে। এমনও বলা হয়- উনি ওজু করে নাকি মেরাজে রওনা হয়েছিলেন,ফিরে এসে দেখেন সে অজুর পানি তখনও গড়াচ্ছে।তার মানে মুহুর্তমধ্যে মোহাম্মদ মক্কা থেকে জেরুজালেম গেলেন, সেখান থেকে সাত আসমান ও সাত দোজখ ঘুরতে গেলেন, আল্লাহর সাথে খোশ গল্প করলেন, তারপর পুরনো সব নবীদের দল সহ জেরুজালেমে আসলেন, আল আকসাতে জামাতের নামাজ পড়লেন ও অত:পর মক্কাতে উম্মে হানির ঘরের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করলেন। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে এর সম্পর্কটা কি ? এর ব্যখ্যা নিচে-
আপক্ষিক তত্ত্ব মতে – কোন ব্যাক্তি যদি আলোর গতিতে চলমান হয় তাহলে তার কাছে সময় থেমে যাবে।মোহাম্মদ বোরাকের পিঠে চড়ে আলোর গতিতে আল্লাহর কাছে গেছিলেন ও ফিরে আসলেন। তাই তার কাছে সময় থেমে গেছিল। যে কারনে যখন তিনি পৃথিবীতে উম্মে হানির ঘরে চুপিসারে প্রত্যাবর্তন করলেন তখনও তার কাছে মনে হলো তিনি মুহুর্তমাত্র সময় সময় ব্যয় করেছেন এ মহান ও সীমাহীন দীর্ঘ মহাকাশ ভ্রমনে।যারা আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে আদৌ অবগত নন, তাদের কাছে বিষয়টি খুবই বিস্ময়কর ও অলৌকিক।আসল ফাকিটা হলো এরকম। আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুযায়ী আলোর গতিতে ভ্রমনকারী ব্যক্তির কাছে সময় স্থির হলেও যারা এক জায়গায় স্থির হয়ে অবস্থান করছে তাদের কাছে তো সময় চলমান।তার অর্থ- মোহাম্মদ আলোর গতিতে বোরাকের ডানায় ভর করে উড়ে চললে সময় তার কাছে থেমে থাকবে কিন্তু উম্মে হানি বা মক্কার লোকের কাছে থেমে থাকবে না।সুতরাং মোহাম্মদ যদি সাড়ে তের আলোক বর্ষ দুরত্ব ভ্রমন করে আবার ফিরে আসেন তার কাছে সেটা মুহুর্তমাত্র মনে হতে পারে কিন্তু উম্মে হানি বা তার সাহাবীদের কাছে সেটা হবে মোট সাতাশ বছর।অর্থাৎ দুনিয়াতে তখন বাস্তবেই সাতাশ বছর পার হয়ে যাবে। এর সোজা অর্থ- মোহাম্মদ দুনিয়াতে ফিরে এসে দেখবেন তার গোপন প্রেমিকা উম্মে হানি বৃদ্ধা হয়ে পড়েছে(এমনকি মারাও যেতে পারে), তার সাহাবীরাও সবাই বৃদ্ধ হয়ে গেছে , কেউ কেউ মারাও গেছে- অথচ তার নিজের কাছে সময়টা মনে হবে মুহুর্তমাত্র।ঘটনাটা এরকম হলেই সেটা হতো সত্যিকার আপেক্ষিকতাবাদের পক্ষে এক দারুন উদাহরন আর তখন মোহাম্মদকে আল্লাহর নবী হিসাবে বিশ্বাস না করে উপায় থাকত না। অথচ কোন কিছু না বুঝেই কিছু কিছু তথাকথিত ইসলামী পন্ডিত যাদের পর্দার্থ বিজ্ঞান সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞান আছে বলেও মনে হয় না তারা মোহাম্মদের এক আজগুবি ও ভুয়া মিরাজ কিচ্ছার মধ্যে আপেক্ষিকতাবাদের সূত্র খুজে মরছে।
এবার নীচের আয়াত গুলো দেখা যাক-
নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না। কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা। সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল। উর্ধ্ব দিগন্তে, অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল। তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।তখন আল্লাহ তাঁর দাসের প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার, তা প্রত্যাদেশ করলেন। রসূলের অন্তর মিথ্যা বলেনি যা সে দেখেছে। তোমরা কি বিষয়ে বিতর্ক করবে যা সে দেখেছে? নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল, সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে, যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত। যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার, তদ্দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল। তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয় নি এবং সীমালংঘনও করেনি। নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে। ৫৩: ০১- ১৮
মিরাজের কিচ্ছা যে সত্যি তা বলতে গিয়ে আল্লাহ নক্ষত্রের মত একটা জড় বস্তুর কসম করছে।মানুষ কখন কসম কাটে? কারা কসম কাটে? সাধারনত মিথ্যাবাদী প্রকৃতির মানুষ যাদেরকে অন্যরা বিশ্বাস করে না তারাই কসম কাটে, কসম কাটে আল্লাহ বা খোদার নামে।যেমস বলে- খোদার কসম আমি মিথ্যা বলছি না।আল্লাহ নিজে নক্ষত্রের নামে কসম কাটছে, তার মানে নক্ষত্র আল্লাহর কাছে তার চাইতেও আরও বড় এক আল্লাহ।আল্লাহর দেখি মাথাই খারাপ হয়ে গেল।সে নিজেই নিজের সাথে শিরক করছে।এখানে সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল অর্থ- আল্লাহ এখানে নিজ আকৃতিতে মোহাম্মদের সাথে দেখা দিলেন।কোন কোন অনুবাদকৃত কোরানে এটাকে জিব্রাইল ফিরিস্তা বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু এটা মোটেও তা না।ইদানিং অনুবাদকরা কোরানের দুর্বলতার কথা বুঝতে পেরে নিজেদের মত অনুবাদ করে।তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।তখন আল্লাহ তাঁর দাসের প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার, তা প্রত্যাদেশ করলেন,– নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল, সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে, যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত। -এ বর্ননা থেকে পরিস্কার বোঝা যায় এটা আল্লাহ।মিরাজের প্রায় দশ বছর আগেই জিব্রাইল মোহাম্মদের কাছে নিয়মিত আসা যাওয়া করে, কথাবার্তা-আড্ডা হয়।তখন কতবারই তো তারা খুব কাছাকাছি ছিল। তাছাড়া হেরা গুহার মধ্যে সে তো মোহাম্মদকে জড়িয়ে ধরেছিল। মেরাজের শুরু থেকে সাত বেহেস্ত ও দোজখ ভ্রমনে সব সময় সে মোহাম্মদের সাথে ছিল, সকল নবীকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল, সুতরাং সে তাকে আরেকবার দেখেছিল– এখানে তাকে বলতে আল্লাহকেই বুঝানো হচ্ছে, কারন জিব্রাইল মোহাম্মদের সাথে সব সময়ই ছিল সুতরাং তাকে বলতে জিব্রাইল বুঝালে বাক্যটির কোন অর্থই হয় না।এর অর্থ কোরানের আল্লাহ বলছে তার আকার আছে, অথচ ইসলামের মূল বক্তব্য হলো আল্লাহর কোন আকার নাই।সোজা কথায়, গোপন অভিসারে ধরা খেয়ে মোহাম্মদ আল্লাহর বানীর নামে এমন সব আবোল তাবোল কথা বার্তা শুরু করেছিলেন যা ছিল সরাসরি ইসলামের মূল ভাবধারার বিপরীত।এক দিকে গভীর রাতে উম্মে হানির ঘরে গিয়ে ধরা খাওয়া, তারপর তা গোপন করতে গিয়ে গাজাখুরি গল্প চালু করা, একে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে আল্লাহর বানীর নামে আরও উদ্ভট ও আজগুবি কথাবার্তা বলাতে, মক্কাতে তার পক্ষে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। কারন এর পর থেকে কুরাইশরা তাকে আরও বেশী অপমান করতে থাকে ও তাকে সবাই মিলে উন্মাদ সাব্যাস্ত করতে থাকে। এরকম একটা অসহনীয় ও অপমানকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই অবশেষে তিনি মদিনাতে হিজরত করেন।তাকে হ্ত্যা করার চক্রান্ত হচ্ছিল বলে যে কিচ্ছা আমরা শুনি তা সবই বানানো ও ভিত্তিহীন।কারন কোন উন্মাদ লোককে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী জ্ঞান করে না আর তাকে কেউ মেরেও ফেলতে চায় না।
সুতরাং এখানেও মোহাম্মদ যে একজন সত্যবাদী ছিলেন তার কোন প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না। আগেই বলেছি- কারো নিকট অন্য কেউ যদি সম্পদ গচ্ছিত রাখে আর তা ফেরত দেয় অথচ একই সাথে সেই একই ব্যাক্তি যদি বানিয়ে বানিয়ে কিচ্ছা তৈরী করে মানুষকে ধোকা দেয় বা বিপথে পরিচালিত করে- তাকে আর যাই হোক সত্যবাদী বলা যায় না।
মহানবী মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১


মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-৩

দ্বীনের নবী মোহাম্মদ যার জীবন আদর্শ সারা জাহানের সব মানুষের জন্য সব সময় অনুকরনীয়,এহেন দ্বীনের নবী মাত্র ২৫ বছর বয়েসে ৪০ বছর বয়েসের বিবি খাদিজাকে বিয়ে করেন নিজের দারিদ্র থেকে রেহাই পেতে।বলাই বাহুল্য, একটা টগবগে তরুনের জন্য বিশেষ করে রিপু তাড়িত আরবীয় মানুষের জন্য তা অত্যন্ত বেমানান কারন সেই তখনকার সময়। এমনকি বর্তমান সময়েও আরবদের রিপু তাড়নার তীব্রতা সবিশেষ লক্ষ্যনীয় তাদের জীবন আচরনে।কিন্তু উপায় নেই। মোহাম্মদ অন্য আরবদের মত শৌর্য বীর্যের অধিকারী নয়, তারপর আবার সহায় সম্বলহীন এক এতিম। দুইবার বিবাহিতা প্রায় প্রৌঢ় খাদিজার ব্যবসায়ে খাদেমের কাজ করতে আসা তরুন মোহাম্মদের প্রতি নজর পড়ে খাদিজার, বিয়ের লোভনীয় প্রস্তাব পেশ করে সে এই আশায় যে হত দরিদ্র এতিম মোহাম্মদের কাছে আর্থিক সচ্ছলতা পাওয়ার এর চাইতে ভাল কোন বিকল্প নেই সেই কঠিন আরব দেশে। বলাই বাহুল্য, খাদিজার অনুমান শত ভাগ সত্য ছিল।প্রায় প্রৌঢ় কালে জোয়ান স্বামী, এর চাইতে বেশী কি চাওয়ার থাকতে পারে একটা নারীর কাছে।বিষয়টি এভাবেও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যে, মোহাম্মদ এতই উদার ও মহান হৃদয় ব্যাক্তি ছিলেন যে তার কাছে খাদিজার বয়স কোন বাধা হয়ে দাড়ায়নি। এখন কেমন উদার ও মহান ছিলেন তার একটু ব্যখ্যা করা যেতে পারে।
প্রথমেই আমরা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নজীর নিয়ে আলোচনা করতে পারি।যদি আমরা মোহাম্মদের জীবনকে পুংখানুপুংখ রূপে বিচার করি তাহলে দেখব অন্য যে কোন মানুষের চেয়ে তিনি খাদিজার কাছেই সব চেয়ে বেশী ঋণী। কারন খাদিজাকে বিয়ে করার পরই তার দারিদ্র ঘোচে, খাদিজা তার পুরো ব্যবসার দায়িত্ব মোহাম্মদের ওপর অর্পন করে। আর মোহাম্মদের নবুয়ত্বের প্রথম বিশ্বাসী ব্যাক্তি হলেন খাদিজা যা তাকে আল্লাহর পয়গম্বর হতে উৎসাহিত করে। হাদিসে বর্নিত আছে- হেরা গুহায় জিব্রাইল ফিরিস্তা মোহাম্মদকে আল্লাহর ওহী শুনিয়ে যাওয়ার পর মোহাম্মদ মনে করেছিলেন কোন অশুভ আ ত্মা বা ভুত বা প্রেত তাকে আশ্রয় করেছে। এমন অবস্থায় একমাত্র খাদিজাই মোহাম্মদকে আশ্বস্ত করে যে ভুত বা প্রেত নয় বরং আল্লাহর শুভ দৃষ্টি তার ওপর পতিত হয়েছে। বিষয়টি আরও নিশ্চিত করার জন্য সে মোহাম্মদকে তার চাচাত ভাই নওফেলের কাছে নিয়ে যায় ও নওফেল তাকে নিশ্চিত করে যে যে ফিরিস্তা আগে নবীদের কাছে আসত সেই ফিরিস্তাই মোহাম্মদের কাছে এসেছিল। এর পর থেকেই মোহাম্মদের নবুয়ত্ব শুরু ও ইসলামের পত্তন ঘটে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে- বিবি খাদিজা যদি মোহাম্মদকে সেই রাতের বেলা আশ্বস্ত না করত বা তাকে নওফেলের কাছে নিয়ে না যেতো তাহলে মোহাম্মদকে ভুতে পাওয়া রোগী হয়েই সারা জীবন থাকতে হতো ( কারন এর পর থেকেই মোহাম্মদকে প্রায়ই ভুতে পেত ও এ ঘটনাকে তিনি আল্লাহর ওহি আসার ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতেন), নবী হওয়া আর হয়ে উঠত না, মানব জাতিও ইসলাম নামের অমানবিক ও বর্বর ধর্ম থেকে চিরতরে রেহাই পেত।এভাবে বিচার করলে মোহাম্মদের সব চাইতে বেশী কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত খাদিজার প্রতি, পক্ষান্তরে খাদিজা মোহাম্মদকে নবী হিসাবে বিশ্বাস করে ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করার কারনে মানব সভ্যতার জন্য সীমাহীন ক্ষতির জন্য দায়ী। অথচ আমরা দেখি খাদিজার প্রতি মোহাম্মদ ন্যুনতম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন নি, বরং যত প্রকারে পারা যায় খাদিজাকে অসম্মান ও অমর্যাদা করেছেন পরোক্ষভাবে। কারন খাদিজার অর্থের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থেকে সরাসরি তাকে অমর্যাদা করার সাহস ও শক্তি কোনটাই তার খাদিজা বেঁচে থাকতে ছিল না। কিভাবে মোহাম্মদ খাদিজাকে অসম্মান করেছে তার কিছু বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
খাদিজা মোহাম্মদকে ভালবেসে বিয়ে করে তার সব সম্পদ মোহাম্মদকে বিলিয়ে দিয়েছিল।খাদিজা মোহাম্মদের নবুয়ত্বের প্রথম বিশ্বাসী ও সমর্থনকারী।খাদিজা বেঁচে থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ মক্কাতেই সমস্ত সময় কাটিয়েছেন ও সে সময়ে তার কোন প্রভাব প্রতিপত্তি সেখানে একেবারেই প্রতিষ্ঠিত হয় নি।খাদিজা ও মোহাম্মদের চাচা আবু তালিব মারা যাওয়ার পর মক্কাতে থাকাটা যখন মোহাম্মদের জন্য নিরাপদ বা সুখকর স্থান হিসাবে আর ছিল না তখন তিনি তার দল বল সহ মদিনাতে প্রবাসী হন ও সেখানে বিভিন্ন কারনে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়।এর পরেই তার ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে শুরু হয় নারী লিপ্সা যার ফলশ্রুতিতে তিনি শুরু করেন একের পর এক বিয়ে।মদিনাতে হিজরতের পর থেকে তিনি মোট তের বছরের মত বেঁচে ছিলেন আর এ সময়কালে তিনি বিয়ে করেন মোট ১২ টা, গড়ে প্রতি বছর একটি করে।ইসলামিষ্টরা তার এ সব বিয়ে করার নানা কারন প্রদর্শন করে থাকে , কিন্তু তার এ এক ডজন বিয়ে কখনই খাদিজার প্রতি মোহাম্মদের মর্যাদা প্রদর্শন বা ভালবাসা প্রদর্শনের নমুনা হতে পারে কি না তা বিচার্য।দ্বীন দুনিয়ার শেষ ও শ্রেষ্ট নবী যার জীবনাদর্শ জগতের শেষ দিন পর্যন্ত সবাইতে অনুসরন করার কথা বলা হয়েছে, তিনি প্রৌঢ় বয়েসে ( ৫১ বছরের পর) একের পর এক শিশু ( ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেন, আয়শার বয়স যখন ৯ বছর তখন মোহাম্মদ তার সাথে স্বামী স্ত্রীর মত সংসার শুরু করেন) থেকে যুবতী বয়েসের এক ডজন নারীকে বিয়ে করে তাদের সাথে পালা ক্রমে রাত কাটাচ্ছেন, এটা আর যাই হোক কোন মহান মানুষের কর্ম হতে পারে না , একই সাথে এটা হতে পারে না মোহাম্মদের খাদিজার প্রতি সম্মান বা কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন।যদি ধরে নেয়া হয় যে , বহুবিবাহ বা শিশু বিবাহ সেই আরব সমাজের ঐতিহ্য ছিল, সেকারনে মোহাম্মদের এসব কর্মকান্ডকে নিন্দনীয় বলা যাবে না , তাহলে প্রশ্ন হলো- তার জীবনাদর্শ কিভাবে সকল সময়ের জন্য সব মানুষের জন্য আদর্শ হয় ? একজন মানুষের আচার আচরন সকল সময়ের জন্য অনুসরনীয় হতে পারে যদি তার আচার আচরন সকল যুগের ঐতিহ্যের পরীক্ষায় পাশ করে তাহলে। বর্তমান ঐতিহ্য হলো- এক স্বামী ও এক স্ত্রী এবং শিশু বিয়ে করে তাদেরকে বলৎকার না করা।শুধু তাই নয়, শিশু বিয়ে করা বর্তমানে প্রতিটি সভ্য দেশে একটি মারাত্মক দন্ডনীয় অপরাধ, আর শিশুকে বিয়ে করে তাকে বলৎকার করা তো প্রায় মৃত্যু দন্ডতূল্য অপরাধ। বর্তমান এ ঐতিহ্য যদি আদর্শ না হয় তাহলে বলতে হবে- সর্বকালীন আদর্শ ঐতিহ্য হলো- বহু বিবাহ ও শিশু বিয়ে করে তাদেরকে বলৎকার করা আর যেটা স্বয়ং নবী তার জীবনে বাস্তবায়ন করে গেছেন।মোহাম্মদের এহেন কর্মকান্ডের খারাপ পরিনতি বিবেচনা করে ইদানিং কিছু ইসলামী পন্ডিত উঠে পড়ে লেগে গেছে তার এসব বিয়ের জন্য অতীব জরুরী কিছু কারন ছিল। আর শিশু আয়শাকে বিয়ে করার বিষয় যে কোনভাবেই যুক্তি সিদ্ধ করা যায় না তা উপলব্ধি করে ইদানিং কেউ কেউ আয়শার বয়স বেশী ( যেমন বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৭ ) প্রমান করার জন্য নানা রকম আজগুবি তথ্য ও ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছে, আর বলা বাহুল্য তার কোনটাই ধোপে টিকছে না। বরং এ ধরনের প্রচেষ্টা যতই করা হচ্ছে- মোহাম্মদের আসল চরিত্র ক্রমশ: ফুটে উঠছে। নিম্নে মোহাম্মদের স্ত্রীদের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হলো-
(১)খাদিজা- বয়স্ক বিধবা, এতিম ও হত দরিদ্র মোহাম্মদ দারিদ্র থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধনী ব্যবসায়ী বিধবা খাদিজাকে মোহাম্মদ বিয়ে করেন।
(২)সওদা- বয়স্ক বিধবা মহিলা। খাদিজা মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদের যে বাচ্চা কাচ্চা ছিল তা দেখা শোনা করার জন্য কেউ ছিল না। মূলত: সেকারনেই মোহাম্মদ সওদাকে বিয়ে করেন। কারন মোহাম্মদ তখনও মক্কাতে বাস করতেন ও তখনও মোহাম্মদের এমন কোন প্রভাব প্রতিপত্তি মক্কাতে ছিল না যাতে তিনি বংশীয় একজন যুবতী নারীকে বিয়ে করতে পারতেন।
(৩)আয়েশা বিনতে আবু বকর- আবু বকরের মেয়ে। ৬ বছরের বাচ্চা আয়শাকে মোহাম্মদ তার ৫১ বছর বয়েসে বিয়ে করেন নানা রকম ছলা কলার মাধ্যমে। প্রৌঢ় মোহাম্মদ যখন আয়শাকে বিয়ে করেন তখনও আয়শা পুতুল নিয়ে খেলা করত আর সে বুঝতেই পারেনি কোন ফাকে মোহাম্মদের সাথে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার বয়স যখন ৯ বছর তখন তাকে সাজিয়ে গুজিয়ে হঠাৎ একদিন মোহাম্মদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, আয়শা তার পুতুলকে সাথে নিয়ে মোহাম্মদের ঘরে ঢোকে।
(৪)হাফসা বিনতে ওমর- ওমরের মেয়ে। সে যখন বিধবা হয় , ওমর তখন প্রথমে আবু বকরের নিকট তাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু আবু বকর তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে মোহাম্মদের নিকট প্রস্তাব করলে মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
(৫)উম্মে সালামা- বিধবা
(৬)উম্মে হাবিবা- বিধবা
(৭)জয়নাব বিনতে জাহস- পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী। একদিন অকস্মাৎ জায়েদের বাড়ীতে গিয়ে হাজির হন মোহাম্মদ তখন সে বাড়ীতে ছিল না। তখন ঘরের মধ্যে স্বল্প বসনে থাকা সুন্দরী বউ জয়নবের প্রতি মোহাম্মদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আর মোহাম্মদের মধ্যে তার জন্য কামভাব জেগে ওঠে। অত:পর আল্লাহর কাছ থেকে ওহি এনে মোহাম্মদ জায়েদকে তার বউকে তালাক দিতে বাধ্য করে ও পরে মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেন।
(৮)জয়নাব বিনতে খুজাইমা- তালাকপ্রাপ্তা
(৯)জুরাইয়া বিনতে হারিথ-বিধবা
(১০)সাফিয়া- বিধবা ইহুদী রমনী, খায়বার দখলের পর সব পুরুষকে হত্যা করে তাদের সর্দারের স্ত্রীকে ভাগে পান মোহাম্মদ। পরে বিয়ে করেন।বিশেষ বিষয় হলো- যেদিন মোহাম্মদ ও তার দলবল সাফিয়ার স্বামী সহ সকল আত্মীয় স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যা করেন সেদিনই রাতে তিনি সাফিয়ার সাথে রাত কাটান। একজন অতি বড় নির্লজ্জ লম্পটও এ রকম কাজ করতে দুবার ভাববে।
(১১)রায়হানা বিনতে জায়েদ- বিধবা, বানু কুরাইজা গোত্রের লোকদেরকে পরাজিত করার পর তাকে গণিমতের মাল হিসাবে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেছিলেন কি না তা নিয়ে মতভেদ আছে।
(১২)মায়মুনা বিনতে হারিথ-
(১৩)মারিয়াম- মিশরের বাদশার কাছ থেকে দাসী হিসাবে উপঢৌকন পান ও এর সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌন সঙ্গম করতেন।
উপরোক্ত তালিকাতে দেখা যায়- খাদিজা ও সওদাকে মোহাম্মদ অতি প্রয়োজনে বিয়ে করেছিলেন যা দৃষ্টি কটু নয়। খাদিজা মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদ একাকী হয়ে পড়েন, তার সন্তানদের দেখা শোনা করার জন্য কেউ ছিল না , এমন অবস্থায় অন্য একজনকে বিয়ে করে সংসার সামলানো একান্ত আবশ্যক ছিল। কিন্তু এর পর অকস্মাৎ কথা বার্তা নেই ৬ বছরের আয়শার প্রতি নজর পড়ে প্রৌঢ় মোহাম্মদের( ৫১ বছর)। কারন সেই বাচ্চা বয়েসেই আয়শা বেশ দেখতে সুন্দরী ছিল। আর তাই লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে তার খায়েশ জাগে শিশু মেয়েটিকে বিয়ে করার। নানা রকম ভনিতা করে অবশেষে তিনি আবুবকরের কাছে তার মনের বাসনা প্রকাশ করেন। নিমরাজি আবুবকর দিশা না পেয়ে মোহাম্মদের আবদার মেনে নিয়ে প্রৌঢ় মোহাম্মদের সাথে তার শিশু মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দেন। বর্তমানে কিছু কিছু ইসলামী পন্ডিত আছে যারা প্রমান করার চেষ্টা করে যে আবু বকরই মোহাম্মদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এ বিয়ে দেয়ার জন্য চাপা চাপি করে। বিষয়টি যে ডাহা মিথ্যা তা দেখা যাবে নিচের হাদিসে-
উর্সা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী আবু বকরকে তার কন্যা আয়শাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন।আবু বকর বললেন- কিন্তু আমি তো তোমার ভাই হই। নবী বললেন-তুমি তো আমার ধর্ম সম্পর্কিত ভাই, তাই আয়শাকে বিয়ে করাতে আমার কোন বাধা নেই। সহি বুখারী, ০৭:১৮
অথচ এই মোহাম্মদ ছিলেন আবু বকরের প্রায় সমবয়সী, মাত্র দুই বছরের ছোট। তারা ছিলেন পরস্পরের বন্ধু বা সাথী। তার মানে মোহাম্মদ যখন আবু বকরের বাড়ী যেতেন আয়শা তাকে চাচা বলে সম্বোধন করতেন। আর খোদ মোহাম্মদের নিজের মেয়ে ফাতিমার বয়স তখন ছিল বার বছর। কারন ফাতিমা আয়শার চেয়ে ছয় বছরের বড় ছিল। যার নিজের বার বছরের একটা মেয়ে ঘরে আছে , আরও আছে বয়সী একটা বউ সওদা, সেই ব্যাক্তি কোন কান্ডজ্ঞানে তার বন্ধুর শিশু মেয়েকে বিয়ে করতে চায়, আর তা কোন সভ্য সমাজে গ্রাহ্য হতে পারে কি না তা গবেষণার বিষয়। যে শিশু মেয়েটি একদা মোহাম্মদকে চাচা বলে সম্বোধন করত তাকে স্বয়ং মোহাম্মদ কিভাবে বিয়ে করতে পারে তা সত্যি বোঝা অতীব দুরুহ। তাও আবার সেই লোক যেন তেন কোন ব্যাক্তি নন, তিনি হলেন – আল্লাহ প্রেরিত শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ যার জীবনাদর্শ ও আচার আচরন দুনিয়া শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত সব মানুষের জন্য বিনা প্রশ্নে অনুকরনীয় আদর্শ।
এখানে স্পষ্ট যে, মোহাম্মদের দাসানুদাস আবু বকর সরাসরি মোহাম্মদকে প্রত্যাখ্যান করতে না পেরে অন্য রাস্তার আশ্রয় নেয়। কিন্তু মোহাম্মদ তাতেও দমবার পাত্র নয়, অতি দ্রুত উছিলা বের করে ফেলেন অনেকটা দুর্জনের যেমন ছলের অভাব হয় না এ কায়দায়। এভাবে আয়শার বিয়ের ব্যপারটিকে ধামা চাপা দিতে না পেরে অবশেষে ইসলামী পন্ডিতরা এখন নানা রকম গোজামিলের মাধ্যমে প্রমানের চেষ্টায় আছে বিয়ে কালীন সময়ে আয়শার বয়স বাড়ানোর, যেমন বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৫ বা ১৬ বা ১৭ এরকম। কিন্তু সহি হাদিসে এ সম্পর্কিত এত হাদিস আছে যে , দুর্বল হাদিস বলে চালিয়ে দিয়েও আয়শার বয়স বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকটি উদাহরন যেমন-
আয়শা হতে বর্নিত- যখন নবী আমাকে বিয়ে করেন তখন আমার বয়স ছয় বছর , আর আমার বয়স যখন নয় বছর তখন আমি স্ত্রী হিসাবে তার গৃহে গমন করি। সহি মুসলিম, বই -০৮, হাদিস-৩৩১০
আয়শা হতে বর্নিত- যখন আল্লাহর নবী তাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছয় বছর, যখন তার বয়স নয় বছর তখন তিনি তার সাথে স্বামী হিসাবে বসবাস শুরু করেন ও তিনি তার সাথে মোট নয় বছর অতিবাহিত করেন( নবীর মৃত্যু পর্যন্ত)। সহি বুখারী, বই -৬২, হাদিস-৬৪
আয়শা থেকে বর্নিত – যখন আল্লাহর নবী তাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল ছয়, তার নয় বছর বয়েসে তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস শুরু করেন। হিসাম বর্ননা করেন- আমি জ্ঞাত আছি যে আয়শা নবীর সাথে নয় বছর ঘর সংসার করেন। সহি বুখারী, বই – ৬২, হাদিস- ৬৫
উর্সা হতে বর্নিত- নবী তার বিয়ের কাবিন নামাতে লিখেছিলেন যে আয়শার বয়স যখন ছয় তখন তিনি তাকে বিয়ে করেন , যখন তার বয়স নয় বছর হয় তখন তার সাথে সংসার শুরু করেন। সহি বুখারী, বই- ৬২, হাদিস-৮৮
হিসামের পিতা হতে বর্নিত- খাদিজা মারা যাওয়ার তিন বছর পর নবী মদিনাতে হিযরত করেন। তার মারা যাওয়ার প্রায় দুই বছর পর নবী আয়শাকে বিয়ে করেন যখন তার বয়স ছিল ছয় বছর আর তার বয়স নয় বছর হলে তার সাথে ঘর সংসার শুরু করেন। সহি বুখারী, বই -৫৮, হাদিস- ২৩৬
আয়শা থেকে বর্নিত- আমার বয়স যখন ছয় কি সাত আল্লাহর নবী তখন আমাকে বিয়ে করেন। আমরা মদিনা গমন করলাম ও কিছু মহিলা আসল। বিশর’র বর্ননা মতে- যখন আমি খেলছিলাম তখন উম রূমান আমার কাছে আসল। তারা আমাকে নিয়ে সজ্জিত করল। অত:পর আমাকে আল্লাহর নবীর নিকট সমর্পন করা হলো আর আমার বয়স তখন নয় বছর। সুনান আবু দাউদ, বই- ৪১, হাদিস-৪৯১৫
আয়শা বর্ননা করেন যে – যখন আল্লাহর নবীর সাথে তার বিয়ে হয় তখন তার বয়স ছিল ছয়, আর যখন তার বয়স নয় বছর তখন নবী তাকে স্ত্রী হিসাবে ঘরে তোলেন আর তখন আয়শা তার সাথে তার খেলার পুতুল গুলিও নিয়ে যান। আর যখন নবী মারা যান তখন তার বয়স আঠার। সহি মুসলিম, বই-০০৮, হাদিস – ৩৩১১

শুধু তাই নয় যখন আয়শার বয়স নয় বছর তখনও যে বিয়ে শাদীর ব্যপারে তার কোন জ্ঞান গম্যি হয় নি তা বোঝা যায় নিচের হাদিসের প্রানবন্ত বর্ননায়-
নবী আমার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন যখন আমার বয়স ছয় বছর ছিল। আমরা মদিনাতে গমন করলাম ও সেখানে হারিথ বিন খারাজের বাড়ীতে অবস্থান করছিলাম। সেখানে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম ও আমার মাথার চুল পড়ে গেল। পরে আবার চুল গজাল। একদিন আমার মা আমার উম রুমান আমার কাছে আসলেন তখন আমি আমার বান্ধবীদের সাথে খেলাধুলা করছিলাম। তিনি আমাকে ডাকলেন , আমি তার কাছে গেলাম কিন্তু তিনি আমার সাথে কি করতে চান তা বুঝতে পারলাম না। তিনি আমার হাত ধরে টেনে দরজার কাছে নিয়ে গেলেন, আমার দম বন্দ হয়ে যাওয়ার যোগাড় হলো, যখন দম স্বাভাবিক হলো, তিনি কিছু পানি নিয়ে আমার মুখ ও মাথা তা দিয়ে ভাল করে ধুয়ে মুছে দিলেন। অত:পর তিনি আমাকে একটা ঘরে নিয়ে গেলেন যেখানে আগে থেকেই কিছু আনসার মহিলা ছিল। তারা আমাকে বললেন- শুভ কামনা ও আল্লাহর রহমত তোমার ওপর বর্ষিত হোক। আমার মা আমাকে তাদের কাছে দিয়ে চলে গেলেন, তারা আমাকে ভালমতো সজ্জিত করল। অপ্রত্যাশিতভাবে দুপুরের আগে আল্লাহর নবী হাজির হলেন ও আমার মা আমাকে তার কাছে হস্তান্তর করলেন, তখন আমার বয়স ছিল নয় বছর। সহি বুখারি, বই -৫৮, হাদিস-২৩৪
ইসলামি পন্ডিতরা বহু গবেষণা করে দুর্বল আর সবল হাদিস বের করে যতই প্রমান করার চেষ্টা করুক না কেন যে আয়শার বয়স ছয় বছর ছিল না যখন তার বিয়ে হয় প্রৌঢ় মোহাম্মদের সাথে , তা হালে পানি পাবে না কারন যতগুলো হাদিস উল্লেখ করা হলো তার সবই সহি হাদিস মানে পরীক্ষিত হাদিস। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেই এসব হাদিসকে সংকলন করা হয়েছে। এখন কেউ এসে হঠাৎ করে বলল এসব দুর্বল হাদিস আর তাই এসব বাদ দিতে হবে- এরকম মামা বাড়ীর আবদার চলবে বলে মনে হয় না।
এ বিষয়ে একজন ইসলামী পন্ডিতের সাথে আলাপ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি বললেন- সেই নয় বছর বয়েসে আয়শার নাকি মাসিক রজস্রাব শুরু হয়। আর তাই তখন মোহাম্মদের সাথে তার ঘর করার বিষয়ে কোন আপত্তি থাকতে পারে না।কোথা থেকে এ পন্ডিত এ তথ্য অবগত হলেন তা অবশ্য জ্ঞাত করেন নি। যদিও আমরা জানি ১৩/১৪ বছর হলো মেয়েদের মাসিক রজস্রাব হওয়ার সাধারন সময়। ব্যাতিক্রম হিসাবে কোন কোন মেয়ের ৭/৮ বছরেও হতে পারে যা নিতান্ত অস্বাভাবিক।এখন আয়েশার ৯ বছরে রজস্রাব হলেও সে মানসিক বা দৈহিক ভাবে একজন ৫৪ বছরের প্রৌঢ়ের সাথে স্ত্রী হিসাবে ঘর করার যোগ্য ছিল কি না তা এসব পন্ডিতদের কাছে গুরুত্বপূর্ন নয় কারন মোহাম্মদের সব কাজ কারবারই তাদের কাছে আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে বিশ্বাস্য। তাই তা আদর্শ ।এমন কি এটাও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন না যে , অন্য সাধারন মানুষরা যা করবে একজন আল্লাহর নবীর পক্ষে তা করা মানানসই কিনা।পুতুল হাতে নিয়ে শিশু আয়শা ৫৪ বছরের প্রৌঢ় মোহাম্মদের ঘরে তার বিছানায় যাচ্ছে স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে তাও তাদের কাছে দৃষ্টি কটু লাগে না। খোদ মোহাম্মদের মনেও এ নিয়ে কোন বিকার নেই। বেশ খুশী ও ফুর্তি নিয়েই তিনি আয়শার সাথে সহবত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।এ হেন নবীর আদর্শ অনুসরন করতে গিয়ে সকল মুমিন মুসলমানের উচিত ৬/৭ বছরের মেয়েকে বিয়ে করা।আয়েশাকে বিয়ে করে মোহাম্মদ প্রমান করতে চেয়েছিলেন যে বন্ধুর কন্যাকেও বিয়ে করা যায়।তাই এখন থেকে মুমিন বান্দাদের উচিত তাদের সমবয়স্ক বন্ধুদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের শিশু মেয়েদেরকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়া কারন সেটাই আদর্শ , স্বয়ং মহানবী তা নিজ জীবনে প্রদর্শন করে গিয়েছেন।মুমিন বান্দারা কতটা মানসিক প্রতি বন্ধি হলে তারা এ বিষয়টাতে বিন্দু মাত্র খারাপ কিছু দেখে না তা বিশেষ বিবেচ্য।
আসলে কথা হলো- দুনিয়াতে এমন কোন সভ্য মানুষ পাওয়া যাবে না যে নয় বছরের একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী হিসাবে ঘর করবে ও তার সাথে যৌনমিলন করবে। বিয়ে করারই প্রশ্ন ওঠে না। যদি কেউ করে তাকে লোকে লম্পট বদমাশ ছাড়া আর কিছু বলবে না। অথচ সেই কাজটিই করেছেন আমাদের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ট নবী মোহাম্মদ যার জীবনাদর্শ ও আচার-আচরন আমাদের সবাইকে দুনিয়ার শেষদিন অবধি অবশ্যই পালন করতে হবে। এর পরে যদি আমরা তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলি সেটা খুব বেশী অন্যায় করা হবে ? যুক্তি হিসাবে বলা হয়- সেই সময়ে শিশু বিয়ে প্রচলিত ছিল তাই নবী খারাপ কিছু করেননি। কিন্তু সে বিয়ে ছিল কম বয়সী ছেলে মেয়ের মধ্যে।যেমন এই ভারতীয় উপমহাদেশেও এক সময় সেটা বহুল প্রচলিত ছিল।কিন্তু একটা প্রৌঢ় মানুষের সাথে তার নাতনীর বয়সী শিশুর বিয়ে সেই তথাকথিত অন্ধকার যুগেও ছিল বিরল। তার চাইতে বড় কথা হলো- আয়শাকে তিনি বিয়ে করলেন কি কারনে ? আয়শা কি অসহায় বিধবা রমনী ছিল, নাকি কোন গো্ত্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের দরকার পড়েছিল ? আবু বকর তো তার দশ বছর আগে থেকেই মোহাম্মদের খাস দাসানুদাস হয়ে গেছে, তার কথায় ওঠে-বসে , এমনকি তার আজগুবি কথাবার্তাকেও ( যেমন মিরাজের কিচ্ছা) সে বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করে। তার কচি বাচ্চাকে বিয়ে করে তো নতুন করে কোন সম্পর্ক স্থাপনের কোন দরকার এখানে অত্যাবশ্যক দেখা যায় না। হয়ত বা যায়, কিন্তু যা আমরা বুঝতে পারছি না, তবে তা হতে পারে একমাত্র দুর্জনের ছল খুজে বের করার যুক্তির মতই যা সভ্য সমাজে গ্রাহ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। নিজের যথেচ্ছ যৌনাজীবন উপভোগ করার জন্য মোহাম্মদ কিভাবে আল্লাহর ওহীকে ব্যবহার করেছেন তার একটা উজ্জ্বল নমূনা নিচের আয়াত টি:
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, ৩৩: ৫০
উক্ত আয়াতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কারা মোহাম্মদের কাছে হালাল এবং বলা বাহুল্য তার অনুসারীদের জন্যও হালাল।কি উদ্দেশ্যে হালাল? যৌন সঙ্গমের উদ্দেশ্যে। ইসলামে ব্যাভিচারের শাস্তি মৃত্যু দন্ড যা এখনও আরব দেশগুলোতে প্রচলিত। আমরা প্রায়ই সৌদি আরবে ব্যাভিচারের শাস্তি স্বরূপ মাথা কেটে নেয়া বা পাথর ছুড়ে হত্যা করার খবর পত্রিকায় পড়ি।কিন্তু কোরানের উপরোক্ত আয়াত স্পষ্টভাবে ব্যাভিচারকে অনুমোদন করছে। সেটা কেমন ? যেমন -হালাল হলো- স্ত্রী গন, বিয়ের জন্য হালাল হলো- চাচাতো/ফুফাতো/মামাতো/খালাতো/ ভাগ্নি। লক্ষ্যনীয় বাক্যটি হলো- আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন। কাদেরকে বিয়ে করে যৌন সঙ্গম করা যাবে তা কিন্তু খুব পরিস্কার ভাষায় বলা আছে। কিন্তু দাসীদের বেলায় কিন্তু বিয়ে করার বিষয়টি উল্লেখ নেই। তার মানে দাসীদেরকে ( যুদ্ধ লব্ধ বন্দিনী নারী) বিয়ে ছাড়াই উপভোগ করা যাবে।ইসলাম মোতাবেক বিয়ে বহির্ভুত যৌন সঙ্গম হলো ব্যাভিচার যার শাস্তি মৃত্যু দন্ড, অথচ কি অবলীলায় সেই ব্যাভচারকেই আবার মোহাম্মদ আল্লাহর নামে অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছেন এবং নিজ জীবনে সেটা দেদারসে করছেন। কি আজব কথা , যিনি আল্লাহর নবী, শ্রেষ্ট নবী, সারা জাহানের আদর্শ সকল যুগের জন্য তিনি যখন তখন দাসী বাদীর সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌন আনন্দে মেতে উঠছেন। মারহাবা! আবার তিনি বলছেন – তার এ জীবনাদর্শ সবাইকে কঠোর ভাবে অনুসরন করতে। ঠিক একারনে শোনা যায়- সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়া ফিলিপিনো বা ইন্দোনেশীয় নারীরা যে সৌদি পরিবারে কাজ করে সে পরিবারের প্রায় সকল প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ দ্বারা পর্যায় ক্রমে ধর্ষিতা হয়।অর্থাৎ অবলীলায় বাপ ও পূত্র পর্যায়ক্রমে একই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে যাচ্ছে কোন রকম বিবেকের তাড়না ছাড়াই। বিবেকের তাড়না এখানে হওয়ার কথাও নয় , কারন খোদ মহানবী তো সেটা অনুমোদন দিয়ে গেছেন। এখানে আরও একটা বাক্য লক্ষ্যনীয়- কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। অর্থাৎ যে কোন নারী চাইলেই নবী তাকে বিয়ে করতে পারবেন , আর তার কোন সীমা পরিসীমা নেই। বলা বাহুল্য, মদিনার রাজা মোহাম্মদকে বিয়ে করতে চাওয়া নারীর অভাব থাকার কথা নয় সেই দরিদ্র আরব দেশে, কারন তখন বহু বিবাহ কোন নিন্দনীয় ব্যপার না। সারা জাহানের সর্বশ্রেষ্ট ও সকল যুগের আদর্শ মানব মোহাম্মদ তার অবাধ যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য আল্লাহ ওহীর নামে এটা কি চরম মিথ্যাচার নয় ? তিনি আল্লাহর মূখ দিয়ে বলাচ্ছেন- শুধু তিনি যত ইচ্ছা তত বিয়ে করতে পারবেন অন্য কেউ নয়।তার মানে যেমন খুশী বিয়ে করে যৌন ফুর্তি করবেন। এ ধরনের কথা বার্তাকে কিভাবে মুমিন বান্দারা আল্লাহর বানী মনে করে তা আমি ভেবে সত্যিই অবাক হয়ে যাই। অথচ আমাদের মুমিন মুসলমান ভাইরা এসব জেনে শুনেও তাদের মনে হচ্ছে এটাও মোহাম্মদের কোন মহান কায়কারবার। কি লজ্জার কথা, শরমের কথা। ব্রেইন কতটা ওয়াশড হলে মানুষের এ ধরনের পরিনতি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। শুধু তাই নয়-
আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। কোরান, ৩৩: ৫১

উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলে দিচ্ছেন- মোহাম্মদ যখন খুশী তার যে কোন স্ত্রী বা দাসীর সাথে যৌন সঙ্গম করতে পারেন আর তার জন্য অন্য স্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করতে হবে না, অর্থাৎ সবার সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে না অথচ যা আবার তিনি তার উম্মতদের জন্য উপদেশ দিচ্ছেন। অর্থাৎ তার উম্মতদের জন্য বিধান হলো- তারা চারটি বিয়ে করতে পারে তবে তাদের সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে, যদি তা না পারে তাহলে একটি মাত্র বিয়ে করতে হবে। উক্ত আয়াতে শানে নুযুল হলো- মোহাম্মদ তার এক ডজন স্ত্রী ও এক ডজন দাসীর মধ্যে কাউকে কাউকে বেশী পছন্দ করতেন ও তাদের সাথে যৌন সঙ্গম করতে বেশী আগ্রহী ছিলেন। তার মধ্যে আয়শা ও জয়নব অন্যতম, দাসীদের মধ্যে মরিয়ম। বিশেষ করে জয়নব ছিল আকর্ষণীয় দেহ বল্লরীর অধিকারিনী। যখন তখন মোহাম্মদ তার ঘরে ঢুকে তার সাথে যৌন সঙ্গম করতেন। আর আয়শার সঙ্গ তার বেশী ভাল লাগত। ফলে অধিক সময় তিনি আয়শার সাথে কাটাতেন ও জয়নবের সাথে অধিক যৌন সঙ্গম করতেন। বিষয়টি তার অন্য স্ত্রীরা সহ্য করতে পারে নি। তারাও দাবী করত তাদের সাথেও মোহাম্মদ যেন সমান সময় কাটান। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। আর তাই নিজের খায়েশ মিটানোর জন্য আল্লাহর ওহী নাজিল। সহজ সমাধান ।
অবশ্য এর পরেই নাজিল হয় –
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২
ততদিনে আল্লাহর নবী মোহাম্মদকে নিয়ে তার সাহাবীদের মধ্যেই কানা ঘুষা শুরু হয়ে গেছে যে মোহাম্মদ হলো নারী লিপ্সু। সেকারনেই তিনি একের পর এক বিয়ে করে যাচ্ছেন। সুচতুর মোহাম্মদ তাদের সামনে নিজের ভাব মূর্তি অক্ষুন্ন রাখার উদ্দেশ্যে উক্ত আয়াত নাজিল করেন। তবে দাসীর ব্যপার ভিন্ন, অর্থাৎ বিয়ে করতে না পারলেও যখন ইচ্ছা খুশী যে কোন দাসীর সাথে যৌন মিলন করতে পারবেন সে অপশন উনি রেখে দিলেন।মোহাম্মদের উদ্দেশ্য বৈচিত্রপূর্ন যৌন আনন্দ উপভোগ করা।সে জন্য তার দরকার নিত্য নতুন নারী। তা সে বিয়ে করেই করতে হবে এমন কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই।তাই উক্ত আয়াতে কায়দা করে বলা হচ্ছে- তবে দাসীর ব্যপার ভিন্ন। মোহাম্মদের এসব কর্মকান্ড দেখে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে , তিনি মহানবী হয়েছিলেন কি অগনিত নারীদের সাথে অবাধ যৌন আনন্দ উপভোগ করার জন্য? এতদিন জেনে আসা বিশ্বাস করে আসা মহান ও শ্রেষ্ট মানুষ মোহাম্মদের সাথে এ মোহাম্মদের তো কোন মিল করা যাচ্ছে না।
আলা তাবারি বর্নিত মোহাম্মদের জীবনী তে উল্লেখ আছে এ কাহিনী।একদা মহানবী তার পালিত পূত্র জায়েদের বাড়ীতে গেলেন তার সাথে দেখা করতে। জায়েদ তখন বাড়ীতে ছিল না। ঘরে তার স্ত্রী জয়নাব চামড়া রং করছিল। তার পোশাক ছিল আলু থালু। দরজার ফাক দিয়ে মোহাম্মদের নজর আলু থালু বেশে থাকা জয়নাবের ওপর পড়ল। আকর্ষণীয় দেহ বল্লরীর অধিকারী জয়নাবকে দেখে মোহাম্মদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি হলো ও তিনি মুচকি হাসি উপহার দিলেন।অত:পর তিনি বিড় বিড় করতে করতে চলে গেলেন, জয়নাব শুধু শুনতে পারল- আল্লাহ যে কখন কার মনকে পরিবর্তন করে দেন। এর ফলে জয়নাব বুঝে গেল মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়ে গেছেন।এর পর জায়েদ বাড়ীতে আসার সাথে সাথেই জয়নাব মোহাম্মদের এ প্রেমের খবর খুব গর্বের সাথে অবগত করে।জায়েদ কাল বিলম্ব না করে মোহাম্মদের সকাশে হাজির হয়ে পেশ করে- আমি জয়নাবকে তালাক দিয়ে দিচ্ছি, আপনি তাকে বিয়ে করুন। আহা কি অপরিসীম ভক্তি তার পালক পিতার প্রতি। বোঝাই যায় জায়েদের এ বক্তব্য অতিরঞ্জিত।কারন জায়েদ মোহাম্মদকে আব্বা বলে ডাকত, লোকজনও জায়েদকে জায়েদ বিন মোহাম্মদ বা মোহাম্মদের পূত্র জায়েদ বলে সম্বোধন করত। এ জায়েদ একেবারে বাল্য অবস্থা থেকে মোহাম্মদ ও খাদিজা কে তার আব্বা আম্মা বলে জানত।তারাও তাকে পুত্র স্নেহে লালন পালন করত।অর্থাৎ তাদের মধ্যে স্বাভাবিক পিতা-মাতা ও পূত্রের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল কারন তাদের কোন পূত্র সন্তান ছিল না।জায়েদের মত জয়নাবও মোহাম্মদকে আব্বা বলে সম্বোধন করত। এমতাবস্থায় কোন মানসিকভাবে সুস্থ ব্যাক্তি তার নিজের স্ত্রীকে তার পিতার সাথে বিয়ে দিতে চাইতে পারে না। তাহলে শুধুমাত্র মোহাম্মদকে লাম্পট্য এর অভিযোগ থেকে বাঁচাবার জন্য জায়েদ সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে- বলে মনে হওয়া কি স্বাভাবিক নয়? আরও বলা হয়েছে- মোহাম্মদ শোনা মাত্রই জায়েদকে বলেন- তুমি তোমার স্ত্রীকে নিয়ে সুখে ঘর সংসার কর।অর্থাৎ জোর করে মোহাম্মদকে এখানে মহান ও নিষ্কলুষ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই পরে বলা হয়েছে- জয়নাব কোরাইশ বংশের মেয়ে ও মোহাম্মদের চাচাত বোন আর মোহাম্মদের সাথে তার বিয়ের হওয়ার কথা ছিল। পরে মোহাম্মদ জায়েদের সাথে তার বিয়ে দেন । জায়েদ ছিল একজন দাস যে মোহাম্মদের সাথে বিয়ের আগে থেকেই খুব ছোট বেলা থেকে খাদিজার বাড়ীতে থাকত।দাসের সাথে বিয়ে দেয়ার কারনে জয়নাব সুখী ছিল না। অত:পর মোহাম্মদের সাথে সেই একান্ত সাক্ষাতের পর মোহাম্মদের প্রতি তার দুর্বার প্রেম বৃদ্ধি পায় ও জায়েদের সাথে তার দাম্পত্য জীবন কলহপূর্ন হতে থাকে।এ থেকে রক্ষা পেতেই অবশেষে জায়েদ জয়নাবকে তালাক দেয়। এর পরেই মোহাম্মদ জয়নাবকে মহা সমারোহে বিয়ে করেন। যদি জায়েদের প্রস্তাব সত্যি হয় তাহলে সংলাপটা কেমন হবে ? এরকম হবে –
জায়েদ- আব্বা হুজুর, আপনার পূত্র বধু বলেছে আপনি নাকি তার প্রেমে পড়েছেন। আমি আপনার জন্য সব কিছু উৎসর্গ করতে পারি। তাই আমি আপনার জন্য আমার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাই যাতে আপনি আপনার পূত্র বধুকে বিয়ে করে সুখী হতে পারেন।
মোহাম্মদ- হে পুত্র, আমার পুত্র বধুকে তালাক দিও না। তুমি তার সাথে সুখে ঘর কর।

তার মানে মোহাম্মদকে নিষ্কলুষ প্রমান করতে গিয়ে তার চরিত্রে আরও বেশী কালিমা লিপ্ত করা হয়েছে যা বোঝার বোধ মনে হয় মুমিন বান্দাদের নেই। সেটা কিভাবে? উপরের সংলাপ টি দেখলেই সেটা বোঝা যাবে ভালভাবে।কোন পরিস্থিতে পড়লে স্বয়ং পূত্রকে তার আব্বাজানের কাছে উপরোক্ত কথাগুলো বলতে হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়।সভ্যতার উষা লগ্ন হতে এ পর্যন্ত কোন পূত্র কোন পিতাকে এ ধরনের নৈতিকতা বিরোধী প্রস্তাব দিয়েছে বলে শোনা যায় নি।দুনিয়ায় অনেক আকাম কুকাম ঘটে তবে সেগুলোকে কেউ ভাল বলে না বা তা প্রথা সিদ্ধ বলে না, সেসব ঘটনার নিন্দাই মানুষ করে। যেমন শোনা যায়- পশ্চিমা দেশ সমূহে অনেক সময় পিতা কর্তৃক সৎ কন্যা এমনকি নিজের কন্যা ধর্ষিত হয়। এসব ঘটনা জানাজানি হলে কেউ সেটাকে ভাল বলে না, বরং প্রচন্ড নিন্দা করে যার ফলে অভিযুক্ত লোক এক প্রকার সমাজচ্যুত হয়ে পড়ে।অথচ সেই একই ঘটনা ঘটিয়ে মোহাম্মদ বিগত ১৪০০ বছর ধরে মুমিন বান্দাদের কাছে রয়ে গেছেন চিরকালের সর্বশ্রেষ্ট ও আদর্শ মানুষ। যদি জয়নাব সত্যি সত্যি জায়েদের কাছে মোহাম্মদের প্রেমের কথা বলে থাকে, তাহলে মোহাম্মদ যখন জায়েদের বাড়ীতে দেখা করতে যায় তখন শুধুমাত্র দরজা থেকেই মোহাম্মদ বিদায় নেয়নি। আরও ঘটনা সেখানে ঘটেছে এবং সে ঘটনা শুধু মাত্র একদিন ঘটেছে তা মনে হয় না। কারন শুধুমাত্র মুচকি হাসি দিয়ে দরজা থেকে মোহাম্মদ বিদায় নিলে জয়নাব তার স্বামীর কাছে গর্বের সাথে বলতে পারত না যে – মোহাম্মদ তার প্রেমে পড়েছেন।বিষয়টি মিথ্যা হলে জয়নাবের জীবনের জন্য তা ভীষণ সমস্যার কারন হতে পারত, নবীর নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার কারনে তার মাথা কাটা যেতেও পারত। তাই প্রেমে পড়ার ব্যপারটিতে জয়নাবকে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হয়েছে।সে নিশ্চয়তা পেতে তাকে মোহাম্মদের সাথে শুধু একবার নয় বেশ কয়েকবার দেখা সাক্ষাত করতে হয়েছে বা তাদের দেখা সাক্ষাত হয়েছে।অবশেষে মোহাম্মদকে তার নিজের মনের কথা অকপটে বলতে হয়েছে জয়নাবের কাছে।আর তার পরেই বিবাহিতা জয়নাব নিশ্চিত ভাবে তার স্বামীর কাছে তালাকের কথা বলতে পেরেছে। সব দিক বিবেচনায় মোহাম্মদই যে এ অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য পুরোপুরি দায়ী – এ সন্দেহ কি অমূলক ?
আমাদের মহানবী তার এ কর্মকান্ডকে জায়েজ করতে গিয়ে তিনি আল্লাহর বানীকে যে ভাবে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছেন, একজন সাধারন বোধ সম্পন্ন মুমিন বান্দা যদি তা মনযোগ দিয়ে খেয়াল করেন তাহলে তার সহজেই সন্দেহ হবে যে ওগুলো কিভাবে আল্লাহর কথা হতে পারে।যেমন-
আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন। কোরান, ৩৩: ০৪
মনে হয় যেন ওগুলো আল্লাহর কথা নয়, বরং মনে হয় মোহাম্মদ তার ব্যক্তিগত যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য অকাতরে বিনা দ্বিধায় আল্লাহর ওহীর নামে বলে দিচ্ছেন- তোমাদের পোষ্য পূত্রদেরকে তোমাদের পূত্র করেন নি। বাক্যটি যে সত্যি সত্যি মোহাম্মদের তা কিন্তু বাক্যটির গঠনের দিকে তাকালেও বোঝা যায়। আল্লাহর কথা হলে এটা হতো এরকম – আমি তোমাদের পোষ্য পূত্রদেরকে তোমাদের পূত্র করিনি।আসলে জয়নাবের সাথে মোহাম্মদের অবৈধ এ প্রেম, যদি সত্য না হতো তাহলে মোহাম্মদ তা গোপন বা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করতেন।কিন্তু ততদিনে মোহাম্মদ মদিনাবাসীর ওপর তার নিরংকুশ আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছেন। তার বিরুদ্ধে সামান্যতম কথা বলারও কেউ নেই। এমতাবস্থায়, মোহাম্মদ তার এ গোপন বাসনা গোপন না করে তা প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা থেকেই আসলে তার এ ওহী নাজিল।আর তার বলি হয়েছে দত্তক সন্তান পালন করার এক মহান কাজ।যারা নি:সন্তান তারা বঞ্চিত হয়েছে সন্তান দত্তক নেয়া থেকে , অনেক এতিম শিশু বঞ্চিত হয়েছে প্রেম ভালবাসা পূর্ন পরিবেশে মানুষ হওয়ার সুযোগ থেকে।বর্তমানে ইসলামি পন্ডিতরা এর সপক্ষে বক্তব্য দিয়ে বলে- সন্তান দত্তক নিলে পরে দত্তক পিতার পৈত্রিক সম্পদের বন্টন নিয়ে সমস্যা হয়।সেকারনেই মোহাম্মদ এ কাজটি করেন।কিন্তু আলোচ্য বিয়ের সাথে কোথাও এ সম্পদ বন্টনের কোন সমস্যা জড়িত নয়।সবার জানা আছে- নবী যখন বিপদে পড়তেন, তখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করতেন।আর সাথে সাথেই আল্লাহ ওহী নাজিল করতেন। এ ওহী নাজেল হয় যখন মোহাম্মদ জয়নাবের সাথে সমস্ত রকম সভ্যতা ও নীতি বিগর্হিত প্রেমে লিপ্ত হন তখন। তা ছাড়া, যে লোক একটা এতিম বাচ্চাকে একেবারে শৈশব থেকে নিজের বাচ্চার মত মানুষ করে যুবকে পরিনত করল, অত:পর এক ঝটকায় তাকে মুখের ওপর বলে দেয়া হলো- সে কেউ না। বিষয়টা কি চরম অমানবিকতা পূর্ন নয়? বরং কোরানের আয়াত যদি বলত- যাদেরকে তুমি পোষ্য করেছ তারা তোমার নিজের সন্তানের মত ও তারা নিজের সন্তানের মতই সকল সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য হবে। তাহলেই তা হতো সত্যিকার আল্লার বানীর মত কথা, মানবিকতা ও সামঞ্জস্যপূর্ন। বলা হচ্ছে- ইসলাম তো সন্তান দত্তক প্রথা নিষিদ্ধ করেছে, তার পর তো এ সমস্যা আর হতে পারে না।কিন্তু প্রশ্ন হলো- মোহাম্মদের প্রশ্ন বিদ্ধ আকাংখার কারনে এ ধরনের একটা মহান কাজ নিষিদ্ধ হবে কেন ?
উক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার পরেও মদিনাবাসী কানুঘুষা করতে থাকে মোহাম্মদের এ হেন অনৈতিক কাজের, যদিও সরাসরি এ নিয়ে মোহাম্মদের সাথে কথা বলার কোন সাহস আর তাদের ছিল না। ফলে আল্লাহও আর দেরী করেন নি , সাথে সাথে জিব্রাইলকে দিয়ে নিচের সূরা পাঠিয়ে দিলেন:
আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে। কোরান, ৩৩: ৩৭
উক্ত আয়াত খুব পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ করছে যে মোহাম্মদ শুধু মাত্র সাধারন মদিনাবাসীর কানাঘুষা বন্দ করার জন্যই আল্লাহর নামে এ সুরা নাজিল করেন।এখানে বলা হচ্ছে- আল্লাহ ও মোহাম্মদ উভয়ের অনুগ্রহ জায়েদের ওপর ছিল ও মোহাম্মদ জায়েদকে তার স্ত্রীকে তার কাছে রাখতে বলেছিলেন।অর্থাৎ মোহাম্মদের কোনই দোষ নেই। কিন্তু আসল বিষয় হল ভিন্ন। মোহাম্মদ লোক নিন্দার ভয়ে তার অন্তরের কথা গোপন করছিল।তার মানে মোহাম্মদের মনের ভিতর ভিন্ন খায়েশ ছিল যা সে লোক নিন্দার ভয়ে প্রকাশ করছিল না। এর সোজা অর্থ – উপরে উপরে মোহাম্মদ জায়েদকে বলছে তার বউকে নিজের কাছে রাখতে , কিন্তু ভিতরে সে পোষণ করছে বদ মতলব- কিভাবে জয়নাবকে তাড়াতাড়ি নিজের করে পাওয়া যায়। আহা , মহানবীর চরিত্র কি ফুলের মত পবিত্র! ভিতরে এমন মতলব পোষণ ও তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ না নিলে জায়েদ তার বউকে পরে তালাক দিত না। কারন নবীর আদেশ অমান্য করার মত সাহস জায়েদ বা জয়নাব কারোরই ছিল না। বলা হয়- জয়নাবই তাদের দাম্পত্য জীবন অশান্তি ময় করে তোলে, তাই জায়েদ তাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়।কিন্তু গোপনে গোপনে মদিনার বাদশাহ মোহাম্মদ যদি জয়নাবকে আশ্বাস ভরষা দিতে থাকে, পরকীয়া প্রেমে উৎসাহ যোগায় জয়নাব কেন জায়েদের জীবনকে সুখী করবে? যাহোক, শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদের খায়েশেরই জয় হলো, কারন স্বয়ং আল্লাহই তাকে তার যাবতীয় খায়েশের সহযোগীতাকারী।এমন সহযোগীতাই করল যে – পরে জয়নাব , মোহাম্মদের সাথে তার বিয়েকে আল্লাহর ঘটকালির বিয়ে বলে অহংকার করত।আল্লাহর নাম করে চালিয়ে দেয়া এসব অনৈতিক কথা বার্তা ও কাজকর্ম আমাদের মুমিন বান্দাদের সামনে তুলে ধরলেও তাদের কোন বিকার নেই, নেই কোন বোধদয়। কারন তাদের বুদ্ধি ও বিদ্যা সব তারা সেই ১৪০০ বছর আগের মোহাম্মদের নিকট বন্দক দিয়ে রেখেছে। যাহোক, জায়েদ জয়নাবকে তালাক দিল ও মহা ধুমধামে মোহাম্মদ ও জয়নাবের বিয়ে হলো।ঘটনা শুধু এখানেই থেমে থাকল না। বিষয়টি চাপিয়ে দেয়া হলো সকল মুমিন বান্দাদের ওপরও।অর্থাৎ কোন মুমিন বান্দাই আর কোন সন্তান দত্তক নিতে পারবে না।

মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১

মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-২


মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-৪(শেষ পর্ব )

মহানবীর চরিত্র বিশ্লেষনের সময় আমাদের কতকগুলো বিষয় খেয়াল রাখা বিশেষ জরুরী। সেটা হলো –কোন শিষ্য বা মুরিদ যখন তার পীর বা গুরুর জীবনী রচনা করে বা তার কার্যাবলী লিপিবদ্ধ করে তখন সে সর্বদাই তার গুরুর সমালোচনা মূলক বা নেতি বাচক বিষয়গুলো এড়িয়ে তা রচনা করবে।বরং এমন ভাবে তাদের জীবনী লেখা হবে যে – যে গুন তার ছিল না , সেটাও ফুলিয়ে ফাপিয়ে জীবনীতে লেখা হবে। বিষয়টা যে এরকম তার প্রমান পাওয়া যাবে আশে পাশেই। যেমন – একজন আওয়ামী লীগার যদি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী লেখে, দেখা যাবে তাতে মুজিবুর রহমানের কোন দোষ ত্রুটির উল্লেখ নেই, একই কথা খাটে একজন জাতীয়তাবাদী লেখকের জিয়াউর রহমানের জীবনী লেখাতে।এসব জীবনী পড়লে দেখা যাবে- মুজিবুর রহমান বা জিয়াউর রহমান ছিলেন ফুলের মত পবিত্র চরিত্রের অধিকারী ব্যাক্তিত্ব আর ছিলেন ১০০% পারফেক্ট।তেমনি ভাবে মোহাম্মদের কার্যাবলী লিখে রেখে গেছে তার নিবেদিত প্রান শিষ্যরা যেমন- ইমাম বোখারী, মুসলিম , আবু দাউদ এরা। এরা নিশ্চয়ই তাদের রচনায় এমন কিছু লিখবে না যা তাদের গুরুর চরিত্রকে হনন করে বা কালিমালিপ্ত করে।যে সময় তারা এসব বিবরন লিখে রেখে গেছে সেই তখনকার সময়ে মোহাম্মদের কার্যাবলী নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠত না, সে সময়ের ঐতিহ্য অনুযায়ী সেসব ছিল সিদ্ধ ও ন্যয় সম্মত। যেমন তার অসংখ্য বিয়ে, দাসি বাদি দের সাথে যৌন সংসর্গ, শত্রুদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক হুংকার ইত্যাদি এসব। তখন এসব কিছুই ছিল ন্যয় সঙ্গত। আর তাই তারা বিনা দ্বিধায় সেসব সরল মনে লিপিবদ্ধ করে গেছে। যদি তারা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারত হাজার বছর পরে মহানবীর এসব কর্মকান্ডই তাকে নৈতিক মানদন্ডের কাঠগড়ায় দাড় করাবে তাহলে এসব ঘটনাবলী তারা কস্মিনকালেও লিপিবদ্ধ করত না।বিষয়টা মুমিন বান্দাদের যে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছে তা বোঝা যায় তাদের কথা বার্তা ও কর্মকান্ডে। একদল কোরান-হাদিস ও সুন্নাহ হুবহু অনুসরন করার পক্ষে, আর এক দল পুরো হাদিস কে বাদ দিয়ে শুধু কোরান অনুসরন করার পক্ষে, এ ছাড়া আর এক দল আছে যারা হাদিসের মধ্যে যে সব স্ববিরোধাত্মক বা সমালোচনামূলক বিষয় আছে সেসবকে দুর্বল হাদিস বলে বাদ দেয়ার পক্ষে।অথচ সহি হাদিস বলে আমরা যা জানি- তা কিন্তু যারা লিপিবদ্ধ করে গেছে তা বহু রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমেই তারা করে গেছে, আর সেকারনেই সেগুলোকে সহি বা পরীক্ষিত বলা হয়। তা করতে গিয়ে হাজার হাজার হাদিস বাদ দিতে হয়েছে।এসব সহী হাদিসকেই মুমিন বান্দারা তের চৌদ্দশ বছর ধরে সত্য বলে বিশ্বাস ও পালন করে এসেছে , কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় নি।বর্তমান যুগে এসে যখন অমুসলিমরা সেসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে, অমনি কিছু মুমিন বান্দা তাদেরকে আর সহি হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকার করছে। অথচ তারা কিসের ভিত্তিতে সহি হিসাবে মেনে নিতে পারছে না , তার কোন যৌক্তিক কারন নেই। তাদের ভাবখানা এরকম যে- সেই কালের ইমাম বোখারী বা ইমাম মুসলিম বা আবু দাউদ এসব নিবেদিত প্রান মুসলমানদের চাইতে এখনকার বান্দারা বেশী ইসলাম বোঝে ও নবীর কার্যাবলী তারা বেশী জানে।কত সহজ সরল ভাষায় তারা এসব হাদিস সংরক্ষন করেছে তার প্রমান নিচের হাদিসটি-
জাবির থেকে বর্নিত, আল্লাহর নবী একজন নারীকে দেখলেন এবং সাথে সাথে তিনি তার অন্যতম স্ত্রী জয়নবের কাছে আসলেন যিনি তখন তার ত্বক রঙ করছিলেন এবং তার সাথে যৌনক্রীড়া করলেন। তারপর তিনি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলেন ও তাদের বললেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল। তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস- ৩২৪০
অত্যন্ত সহজ সরল ও প্রাঞ্জল বর্ননা। কোন রকম প্যাচগোছ বা লুকো ছাপার ব্যপার নেই।আর রূপক হিসেবে ধরার তো প্রশ্নই ওঠে না। রূপকের প্রসঙ্গ আসল একারনে যে , অনেক বিতর্কিত বক্তব্যকে রূপক হিসাবে ধরার একটা প্রবনতা ইদানিং লক্ষ্যনীয়।আর সুবহানআল্লাহ, কি অনুকরনীয় আচরনই না মহানবী আমাদেরকে সহজ সরল ভাষায় শিক্ষা দিচ্ছেন। আর বলা বাহুল্য, এ থেকে মহানবীর নিজের স্বভাব চরিত্রটাও ভাল করে বোঝা যায়। তিনি এমনই মানুষ ছিলেন যে রাস্তায় বের হয়ে কোন যুবতী নারী দেখলেই তার দেহে উত্তেজনার সৃষ্টি হতো আর তা প্রশমনের জন্য তিনি কাল বিলম্ব না করে তার ডজন খানেক স্ত্রীদের একজনের কাছে হাজির হতেন ও তার দেহের উত্তেজনা প্রশমন করতেন।মহানবীর এ ধরনের আচরন বা স্বভাব দেখে যদি বলা হয়, মোহাম্মদ ছিলেন একজন অতি মাত্রায় কামুক ব্যাক্তি, তাহলে কি ভূল বলা হবে ? ঠিক এই প্রশ্নটা করার জন্য হয়ত বহু ইমানদার মুমিন বান্দারা আমার ওপর তেড়ে আসবেন, বলবেন আমি মোহাম্মদের চরিত্রে কালিমা লেপন করছি।কিন্তু আমি কি কালিমা লেপন করলাম আর কিভাবেই বা করলাম এখনও বুঝতে অক্ষম। কারন আমি সহি মুসলিম হাদিসে যা পরিষ্কার ভাষায় বর্ননা করা হয়েছে ঠিক সেটাই বর্ননা করলাম সহজ সরল ভাষায়।তবে মনে হয় মুমিন বান্দাদের একটা ভাল যুক্তি আছে আর তা হলো –যেহেতু মোহাম্মদ রাস্তার ওপর একটা নারী দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন, এর পর তিনি তো উত্তেজিত অবস্থায় উক্ত নারীর ওপর ঝাপিয়ে পড়েন নি, বরং নিজের উত্তেজনা প্রশমন করার জন্য নিজ বিবাহিত স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন ও শরীরটাকে ঠান্ডা করেছেন।যা একটা খুব শালীন আচরন। অন্তত: উক্ত নারীটি ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পেল।কিন্তু এর সাথে সাথে তিনি যে কথা কয়টি বলছেন তা খুব গুরুত্ব পূর্ন।
প্রথমত: তিনি বলছেন- স্ত্রীলোকটি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল।
তার মানে আমাদের দ্বীনের নবী ,আল্লাহর প্রিয় দোস্ত মোহাম্মদের নিকট স্ত্রী লোক হলো শয়তান।আর এই শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিটি পুরুষ মানুষের কি করনীয় তাও তিনি সুন্দরভাবে বলে দিচ্ছেন-
তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কাছে সত্ত্বর চলে যাবে যাতে তোমরা তোমাদের মনের চাঞ্চল্যভাব দুর করতে পার।

আহা মহানবীর কি মহান উপদেশ!এ থেকে আরও একটা বিষয় খুব পরিস্কার , তা হলো- সেই আরবের লোকগুলোর ও খোদ মোহাম্মদের মানসিক স্তর। যদি আজকের যুগে, মোহাম্মদ এসে হাজির হয়ে, নিজে একাজ করে পরে মানুষকে এ ধরনের উপদেশ দিতেন তাহলে মানুষরা তাকে কি নজরে দেখত? নিশ্চয়ই একজন প্রচন্ড কামুক মানুষ হিসাবেই চিহ্নিত করত আর তাকে আল্লাহর নবী হিসেবে মেনে নেয়া তো দুরের কথা, একটা অতি মাত্রার কামুক মানুষ হিসেবে তারা তাকে পরিত্যাগ করে চলে যেত। শুধু তাই নয় এর পর মোহাম্মদের পক্ষে সমাজে টিকে থাকাই মুস্কিল হতো।তাহলে প্রশ্ন জাগে সেই কালের আরবগুলো তাকে পরিত্যাগ করে নি কেন ? তার উত্তর একটাই- তাদের মন মানসিকতা ও মানসিক স্তর তো তাদের ওস্তাদ মোহাম্মদের মতই ছিল আর তাই তারা এটাকে মোটেও খারাপ কোন কিছু হিসাবে গন্য করেনি।
আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিযে করার জন্য অনুমতি দিলেন। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৩২৪৩
মহানবী আসলেই পুরুষ মানুষদের জন্য মহানই ছিলেন যার প্রমান উপরিউক্ত হাদিস।তিনি সেই আরবদের মন মানসিকতা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারতেন। তিনি বুঝতেন তার সঙ্গী সাথীদেরকে যদি যৌন ফুর্তি থেকে বঞ্চিত করা হয় তাহলে তারা তাকে ত্যাগ করে চলে যাবে। বিশেষ করে তিনি যখন কোন দলের সাথে নিজেই বের হতেন তখন তিনি কোন না কোন স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যেতেন, ফলে তার জন্য কোন সমস্যা হতো না। কিন্তু দলের অন্যরা তো সে সুযোগ পেত না। তাই তাদের সহজ সরল আর্জি – মোহাম্মদের নিকট, তাদের যেন যৌনানন্দ থেকে বঞ্চিত করা না হয়। দয়ার সাগর মহানবী সাহাবীদের দু:খ বুঝতে পারলেন আর সাথে সাথেই নিদান দিলেন- নারী ধর, এক বা দুদিনের জন্য বিয়ে কর, যত পার ফুর্তি কর, তারপর লাথি মেরে বিদায় কর।এটা বলা বাহুল্য, পতিতা বৃত্তিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ আবার প্রচার করা হচ্ছে- ইসলাম পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করেছে।একদিন বা দুদিনের জন্য বিয়ের নামে প্রহসন করে , তাদের সাথে যৌনানন্দ করে পরে তাদেরকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেয়া যদি পতিতাবৃত্তি না হয়, তাহলে পতিতা বৃত্তি কাকে বলে ? আহা , মহানবীর কি অসীম করুনা!আমাদের মহানবী জয়নাবকে পাওয়া ও তার সাথে শারিরীক ভাবে মিলিত হওয়ার জন্য কতটা উতলা ছিল তার প্রমান পাওয়া যায় নিচের হাদিসে:
আনাস বর্নিত: যখন নবী জয়নাবকে বিয়ে করলেন, নবী তার কিছু সাহাবীকে খানাপিনায় দাওয়াত করলেন, তারা আসল ও খাওয়া দাওয়া শেষে বসে গল্প গুজব শুরু করে দিল।নবী উঠে যাওয়ার উপক্রম করলেন কিন্তু লোকজনের তবুও যাওয়ার নাম নেই।তখন তিনি উঠেই পড়লেন, তা দেখে কিছু লোক উঠে চলে গেল কিন্তু কিছু লোক তারপরেও বসে থাকল।অত:পর ফিরে এসে যখন তিনি জয়নবের ঘরে ঢুকলেন , তখন লোকজন উঠে সব চলে গেল।বুখারী, বই-৭৪, হাদিস- ২৫৬
খুব সহজ সরল ভাষায় বর্ননা, কোন রাখ ঢাক নেই।জয়নাবকে যেদিন মোহাম্মদ বিয়ে করেন সেদিন বৌভাত উপলক্ষ্যে তার বিভিন্ন সাহাবীদেরকে খানা পিনায় দাওয়াত করেন।লোকজন এসে খাওয়া দাওয়া করে সবাই চলে না গিয়ে কিছু লোক বসে বসে গল্প গুজব করতে থাকে।লোকজন বসে গল্প গুজব করতে থাকায় মোহাম্মদ জয়নাবের ঘরে ঢুকতে পারছেন না, কারন তার আর তর সইছে না।অনেক ঝড় ঝঞ্ঝার পর তিনি জয়নাবকে তার ফুলশয্যায় পেয়েছেন। আর তাই তিনি বিরক্ত হচ্ছেন।তিনি এমনও ভাব দেখালেন যে তিনি উঠে পড়ছেন কিন্তু তার পরও লোকজনদের হুশ নেই- বোঝাই যাচ্ছে জয়নাবের কাছে যাওয়ার জন্য কি পরিমান ব্যকুল তিনি হয়ে পড়েছিলেন।তবে লোকজনকে দোষ দেয়া যায় না। কারন তারা তো মোহাম্মদের মনের খবর জানত না। অন্য কোন নারী হলে হয়ত তারা বর-বউয়ের মিলনের সুযোগ দিয়ে চলে যেত। কিন্তু তারা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারে নি যে মোহাম্মদ তার পালিত পুত্রবধূ জয়নাবের জন্য আগে থেকেই কেমন উতলা হয়ে আছেন।আমি জানিনা কোন মুমিন বান্দা এটাকে আবার কোন রূপক বলে ব্যখ্যা বা অন্যভাবে ব্যখ্যা করে কি না।যদি কেউ তা করতে চায় তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।তবে একটা ব্যখ্যা থাকতে পারে : বিয়ে করার পর সব স্বামী তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে, মোহাম্মদ যদি সেটা করে থাকেন তাতে অসুবিধা কি হলো।যথার্থ ব্যখ্যা।কিন্তু সমস্যা হলো- ঐ যে জয়নাব তো আর অন্য কোন সাধারন নারী না, সে হলো মোহাম্মদের নিজের পালিত পূত্র জায়েদের প্রাক্তন স্ত্রী,যার সাথে মোহাম্মদ আল্লাহর নির্দেশে পরকীয়া প্রেম শুরু করেন।অথচ মোহাম্মদকে আবার পরকীয়া প্রেমের দায়ে দায়ী করতে চায়না সাচ্চা মুমিন বান্দারা বরং বলতে চায় এটা ছিল মোহাম্মদের একটা বৈপ্লবিক সংস্কার । আসলে যে মোহাম্মদ জয়নাবের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েই কাজ টি করেছেন ও এর পিছনে কোন সংস্কারের পরিকল্পনা ছিল না , বরং ঠেলায় পড়ে পরে ওহীর মাধ্যমে এ ধরনের অসামাজিক ও অনৈতিক রিপুতাড়িত কাজকে জায়েজ করতে হয়েছে তা তাদেরকে কোরান হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝালেও বুঝতে চায় না।আর মোহাম্মদের রতিক্রিয়ায় শক্তিমত্তার প্রমানও পাওয়া যায় নিচের হাদিসে:
কাতাদা বর্নিত: আনাস ইবনে মালিক বলেন, “ নবী দিনে রাতে পালাক্রমে তার স্ত্রীদের সাথে মিলিত হতেন,আর তার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল এগার।আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম- “ নবীর কি এত শক্তি ছিল ?” আনাস উত্তর দিলেন-“ আমরা শুনেছি নবীর শক্তি ছিল ত্রিশজন মানুষের সমান”। বুখারি, বই-০৫, হাদিস-২৬৮
মারহাবা, দ্বীনের নবী!রতিক্রিয়ায় এ বিশ্বজগতে আপনার সমান কেউ নেই, ছিলও না কেউ কোন কালে, সত্যিই আপনি অসাধারন ও অনন্য। আল্লাহ আপনাকে অসীম শক্তি দিয়েছেন।আর সেকারনেই আপনার দরকার ডজনেরও বেশী স্ত্রী, আর ততোধিক দাসী।কারন আপনি যখন তখন উত্তেজিত হয়ে পড়েন আর তখন যে কোন একজন স্ত্রীকে আপনার জন্য রেডি থাকতে হবে। একজন স্ত্রী থাকলে তো সে আপনার কাম যন্ত্রনার সময় মাসিক পিরিয়ডের মধ্যে থাকতে পারে।তাই কাম যন্ত্রনায় মহানবী কষ্ট পাবেন এমন কষ্ট তো পরম করুনাময় আল্লাহ আপনাকে দিতে পারেন না।সুবহানাল্লাহ।এখানে এটাও একটা বড় প্রশ্ন- পালাক্রমে রাত দিন এগার জন স্ত্রীর সাথে সহবত করার পর ধর্ম প্রচারের সময় উনি কখন পেতেন ?
উক্ত হাদিস থেকে পরিস্কার বোঝা যায়, যেমন ছিল তার সাহাবীরা তেমনি ছিলেন মোহাম্মদ। যোগ্য লোকের যোগ্য সাথী। ওস্তাদের সাথে শিষ্যদের যৌনতা নিয়ে এমনতর প্রকাশ্য আলাপ ইতোপূর্বে আর কোন ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে আমরা দেখি নি।আর এখানেই মহানবী মোহাম্মদের মাহাত্ম, তার বিশেষত্ব।যীশু,বুদ্ধ,চৈতন্য এদের জীবনী থেকে জানি কেউ রিপু তাড়নায় তাড়িত হয় নি।যীশু বিয়ে করেন নি, বুদ্ধ ও চৈতন্য বিয়ে করেও স্ত্রী ফেলে রেখে তারা মহত্বের সন্ধানে বের হয়ে পড়েন।আর কৃষ্ণের কথা বলা হয়- তার ছিল ষোল হাজার গোপী বা স্ত্রী। সে তাদের সাথে লীলা করত। কিন্তু এমনতর কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া যায়নি যে কৃষ্ণ বলে সত্যি কেউ কোন কালে ছিল।পৌরাণিক চরিত্র হিসাবে গণ্য করে তাকে আলোচনা থেকে অব্যহতি দেয়া যেতে পারে।ব্যতিক্রম শুধু আমাদের মহানবী।আল্লাহ তাকে ৩০ টা পুরুষের সমকক্ষ করে তৈরী করেছেন।তাই তার ১৩টা স্ত্রী আর সমসংখ্যক দাসী লাগে । আর কিছু অন্ধ বিশ্বাসী প্রমান করার জন্য উঠে পড়ে লাগে তার বহু বিবাহ ছিল অসহায় নারীদেরকে সমাজে সম্মানের সাথে ঠাই দেয়ার জন্য আর কোনটা নাকি ছিল রাজনৈতিক কারনে।দ্বীনের নবীর দয়ার সীমা নাই,তাই বিধবা নারী বিবাহেও তার ক্লান্তি নাই, ভাগ্য ভাল তিনি আরবদেশের সব গুলো বিধবাকে বিয়ে করেননি।খাদিজা মারা যাওয়ার সময় মোহাম্মদের বয়স ছিল পঞ্চাশ, তার মানে বাকী ১২ টা বিয়ে তিনি করেছিলেন বাকী ১৩ বছরের মধ্যে, কারন ৬৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।।আরও বছর দশেক বাঁচলেই সম্ভবত: আরবের সবগুলো বিধবাসহ কিছু নাবালিকাও বিয়ে ফেলতেন আর তখন তার সাহাবীরা বিয়ের জন্য কোন নারী খুজে পেত না, আল্লাহ বিষয়টি বুঝতে পেরেই দ্রুত তাকে দুনিয়া থেকে তুলে নিয়ে যায়।আল্লাহ মোহাম্মদের মনের কথা বুঝতে পেরেছিল মনে হয়, আর এও বোধ হয় বুঝতে পেরেছিল যে- ওহী নাজিলের মাধ্যমে তার বিয়ে করা বন্দ করার বিধান জারী করলেও মোহাম্মদ মনে হয় তা কেয়ার করতেন না , সেই ভয়ে তিনি তাকে তাড়াতাড়ি তার কাছে নিয়ে যান। নিচের আয়াতটি দেখা যাক-
হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। সূরা আততাহরিম ৬৬: ১-২
বিষয়টি কি ? আল্লাহ নবীর জন্য কি হালাল করেছে? আল্লাহ নবীর জন্য দাসী নারীদের সাথে বিয়ে বহির্ভুত যৌনকাজ হালাল করেছে। আল্লাহ নিচের আয়াতের মাধ্যমে তা হালাল করেছে-
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন——- ।কোরান, ৩৩: ৫০
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন———-। কোরান, ৩৩: ৫২

(Waqidi has informed us that Abu Bakr has narrated that the messenger of Allah (PBUH) had sexual intercourse with Mariyyah in the house of Hafsah. When the messenger came out of the house, Hafsa was sitting at the gate (behind the locked door). She told the prophet, O Messenger of Allah, do you do this in my house and during my turn? The messenger said, control yourself and let me go because I make her haram to me. Hafsa said, I do not accept, unless you swear for me. That Hazrat (his holiness) said, by Allah I will not contact her again. Qasim ibn Muhammad has said that this promise of the Prophet that had forbidden Mariyyah to himself is invalid – it does not become a violation (hormat). [Tabaqat v. 8 p. 223 Publisher Entesharat-e Farhang va Andisheh Tehran 1382 solar h (2003) Translator Dr. Mohammad Mahdavi Damghani])
(Also it is reported that the Prophet had divided his days among his wives. And when it was the turn of Hafsa, he sent her for an errand to the house of her father Omar Khattab. When she took this order and went, the prophet called his slave girl Mariyah the Copt who bore his son Ibrahim, and who was a gift from the king Najashi and had sexual intercourse with her. When Hafsa returned, she found the door locked. So she sat there behind that locked door until the prophet finished the business and came out of the house while pleasure[?] was dripping from his face. When Hafsa found him in that condition she rebuked him saying you did not respect my honor; you sent me out of my house with an excuse so you could sleep with the slave girl. And in the day that was my turn you had intercourse with someone else. Then the Prophet said, be quiet for although she is my slave and halal to me, for your contentment I at this moment make her haram to myself. But Hafsa did not do this and when the Prophet went out of her house she knocked at the wall that separated her room from that of Aisha and told her everything. She also gave the glad tiding about what the Prophet had promised about making Mariyah haram to himself. [Published by Entesharat-e Elmiyyeh Eslami Tehran 1377 lunar H. Tafseer and translation into Farsi by Mohammad Kazem Mo’refi])
কি এমন ঘটনা ঘটল যে হঠাৎ মোহাম্মদ তার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্য দাসীর সাথে যৌন কাজকে হারাম করছেন? গুরুত্বপূর্ন বিষয়।আসলে ঘটনাটা এরকম।মিশরের বাদশা থেকে মোহাম্মদ মারিয়া নামে একটা দাসী উপহার পেয়েছিলেন যে ছিল দারুন যৌনাবেদনময়ী দেহ বল্লরীর অধিকারী।একদিন মোহাম্মদ তার অন্যতম স্ত্রী হাফসা( ওমরের মেয়ে) কে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দেন এই বলে যে – ওমর তাকে দেখা করতে বলেছে ও পরে তার ঘরে মারিয়ার সাথে মিলিত হন।হাফসা বাপের বাড়ী গিয়ে দেখে ওমর বাড়ী নেই, সাথে সাথে সে ফিরে আসে আর এসেই দেখে তার ঘরে তার বিছানায় তার স্বামী প্রবর আল্লাহর নবী শ্রেষ্ট মানুষ মোহাম্মদ তার এক দাসি মারিয়ার সাথে মৌজে ব্যস্ত আছেন ও তা দেখে হাফসা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে।অথচ সেদিন হাফসার সাথে থাকার পালা ছিল মোহাম্মদের। তো খোদ হাফসার ঘরে মারিয়ার সাথে দেহ মিলনের ব্যপারটা অবশ্যই হাফসার সাথে একটা বিশ্বাসঘাতকতার পর্যায়ে পড়ে অথবা কম পক্ষে হাফসার জন্যে ছিল সেটা অসম্মানজনক। আর হাফসা ছিল ওমরের কন্যা ও তার পিতার মতই তেজস্বীনি।মোহাম্মদের সাথে অনেক কথা কাটাকাটি হয়, হাফসা ঘটনাটা অন্য সব সতীনদেরকে জানিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।আল্লাহর নবী সম্মান হানির হুমকির মুখে পড়ে যান।তাই অনেক অনুনয় বিনয় করে তিনি হাফসার কাছে এই বলে প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি আর কোন দাসী বাদির সাথে যৌন সংসর্গ করবেন না।কিন্তু এটা ছিল একটা উপস্থিত ছলনা মাত্র।আপাতত হাফসার মুখ বন্দ করার কৌশল। ভিতরে ছিল অন্য কথা। মানুষের রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘ যেমন বার বার মানুষের ওপর হামলে পড়ে, কোনমতেই তাকে ফেরানো যায় না, মোহাম্মদও ইতোমধ্যে সুন্দরী যৌবনবতী মারিয়ার দেহ বল্লরীর স্বাদ পেয়ে গেছেন, তিনি কি অত সহজে তাকে ত্যাগ করবেন? কিন্তু তিনি তো প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছেন হাফসার কাছে। প্রতিজ্ঞাও তো ভঙ্গ করা যায় না।তাহলে তার নবীগিরির ভবিষ্যত খারাপ হতে পারে। আসলে হাফসা কিন্তু এমন কান্ড করেছিল যাতে মোহাম্মদের নবীয়ত্বের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছিল। হাফসা ঘটনাটা তার সব সতীনদেরকে জানিয়ে দিয়েছিল।মোহাম্মদ দেখলেন সমূহ বিপদ।অত্যন্ত প্রখর বুদ্ধির অধিকারী মোহাম্মদ কাল বিলম্ব না করে আর এক অভিনয় শুরু করলেন। কথা নেই বার্তা নেই তিনি সকল স্ত্রীদের কাছ থেকে দুরে দিন যাপন করতে লাগলেন আর হুমকি দিতে থাকলেন যে তিনি তাদের সবাইকে তালাক দিয়ে দেবেন।আর ঠিক সেই মুহুর্তেই অসীম দয়ালু আল্লাহ তার প্রিয় দোস্ত মোহাম্মদের মন ও দেহের জ্বালা জুড়ানোর জন্য জিবরাইল মারফত অতি দ্রুত পাঠিয়ে দেয় উক্ত ৬৬: ১-২ আয়াত। অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় এখানে আল্লাহ বলছেন- দাসীদেরকে তোমার বা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, তাই তুমি এ বিষয়ে তোমার স্ত্রীর কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছ তা পালন করার তোমার দরকার নেই। অর্থৎ তুমি যখন খুশী যেখানে খুশী তোমার দাসীর সাথে সঙ্গম করতে পার, কোন অসুবিধা নেই।আহা, মহানবীর প্রতি দয়াল আল্লাহর কি অপরিসীম করুনা! তার প্রতি আল্লাহর দয়া ও করুনা এতটাই বেশী যে তিনি কোন প্রতিজ্ঞা করলেও তা রক্ষা করার দায় তার নেই। যে কোন সময়ই তিনি তা ভঙ্গ করতে পারেন।উক্ত ৬৬:১-২ আয়াত কিন্তু আরও একটা বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলছে যা অতীব গুরুত্বপূর্ন। তা হলো- স্ত্রীকে খুশী করার কোন দায় স্বামীর নেই।তাই আল্লাহ বলছে- হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? তার মানে ইসলামে নারীদের মর্যাদা দেয়ার ব্যপারে যেসব মনগড়া কথা বার্তা বলা হয় তার কোন ভিত্তি নেই যা আল্লাহর ভাষাতে একদম পরিষ্কার।স্বামী প্রবর যা ইচ্ছে খুশী করে বেড়াবে, দাসী বাদির সাথে স্ত্রীর সামনেই যৌনক্রিড়া করবে, স্ত্রীর বলার কিছু নেই। একজন স্ত্রীকে এর চাইতে আর কোনভাবেই বেশী অপমান করা যায় না। যদি কোন মুমিন বান্দাকে প্রশ্ন করা হয়- ইসলাম নারীকে কিভাবে মর্যাদা দিল? তাদের প্রথম বক্তব্যই হলো- হাদিসে বলা আছে- মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত।আর সেই মায়ের সামনে তার বাপ দাসী বাদী বা অন্য আর ৩ টা স্ত্রীর সাথে রঙ্গ ঢঙ্গ করবে বা সন্তানের সামনেই তার বাপ তার মা কে সামান্য কারনে মারধোর করবে, লাথি উষ্টা মারবে( যা আল্লাহর বিধান, আয়াত: ০৪: ৩৪) , আর তাতে তার মায়ের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে না।এসব মুমিন বান্দাদের বুদ্ধি এতটাই ভোতা যে-
তারা বুঝতে অক্ষম নারীর প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় তার সাথে তার সন্তানের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং তা নির্ধারিত হয় তার স্বামীর সাথে সম্পর্কের ভিত্তিতে।তারা এটাও বুঝতে অক্ষম যে – মা ও সন্তান- এটা সম্পূর্ন ভিন্ন একটা সম্পর্ক। এ সম্পর্ক দিয়ে মা বা সন্তান কারোরই মর্যাদা নির্ধারন করা যায় না।অথচ তোতা পাখীর মত এ উদাহরন তারা আউড়ে চলে অবিরল।
উপরিউক্ত মারিয়া সংক্রান্ত ঘটনা প্রমান করে মোহাম্মদ প্রয়োজনে মিথ্যা বলতেন। মারিয়ার সাথে মৌজ করার জন্য তিনি হাফসাকে মিথ্যা কথা বলে ওমরের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।আহা সত্যবাদী মহানবী মোহাম্মদ! অন্য সাধারন বিষয়ে মিথ্যা বলার হয়ত তার দরকার পড়ত না, কিন্তু তার পরও প্রয়োজন হলে তিনি মিথ্যা বলতেন ও অন্যকে মিথ্যা বলার অনুমতিও দিতেন।যেমন নিচের হাদিস-
জাবির বিন আব্দুল্যা বর্নিত- আল্লাহর নবী বললেন – “ আল্লাহ ও তার নবীকে অবমাননাকারী কা’ব বিন আল আশরাফ কে খুন করার জন্য কে ইচ্ছুক?” এ কথায় মোহাম্মদ বিন মাসলামা উঠে দাড়িয়ে বলল-“ হে আল্লাহর নবী, আপনি কি চান আমি তাকে খুন করি ?” মোহাম্মদের উত্তর-“হ্যা”। মোহাম্মদ বিন মাসলামা তখন বলল-“ তাহলে আমাকে যে কেন একটা মিথ্যা অজুহাত বলার অনুমতি দিন”।নবী বললেন – “ তুমি সেটা বলতে পার”। সহী বুখারী, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯
খুব পরিস্কারভাবে দ্বীনের নবী আল আমীন বলে খ্যাত মোহাম্মদ তার সাগরেদকে একজন মানুষকে খুন করার জন্য মিথ্যা বলার অনুমতি দিচ্ছেন।আর কেন তিনি খুন করার অনুমতি দিচ্ছেন? আর কিভাবে মাসালামা কা’ব- কে খুন করে তার বিস্তারিত বিবরন নিম্নে-
Narrated Jabir Abdullah:
Allah’s messenger said “Who is willing to kill Ka`b bin al-Ashraf who has hurt Allah and His apostle?” Thereupon Maslama got up saying, “O Allah’s messenger! Would you like that I kill him?” The prophet said, “Yes”. Maslama said, “Then allow me to say a (false) thing (i.e. to deceive Ka`b). The prophet said, “You may say it.”
Maslama went to Ka`b and said, “That man (i.e. Muhammad) demands Sadaqa (i.e. Zakat) [taxes] from us, and he has troubled us, and I have come to borrow something from you.” On that, Ka`b said, “By Allah, you will get tired of him!” Maslama said, “Now as we have followed him, we do not want to leave him unless and until we see how his end is going to be. Now we want you to lend us a camel load or two of food.” Ka`b said, “Yes, but you should mortgage something to me.” Maslama and his companion said, “What do you want?” Ka`b replied, “Mortgage your women to me.” They said, “How can we mortgage our women to you and you are the most handsome of the Arabs?” Ka`b said, “Then mortgage your sons to me.” They said, “How can we mortgage our sons to you? Later they would be abused by the people’s saying that so and so has been mortgaged for a camel load of food. That would cause us great disgrace, but we will mortgage our arms to you.”
Maslama and his companion promised Ka`b that Maslama would return to him. He came to Ka`b at night along with Ka`b’s foster brother, Abu Na’ila. Ka`b invited them to come into his fort and then he went down to them. His wife asked him, “Where are you going at this time?” Ka`b replied, None but Maslama and my (foster) brother Abu Na’ila have come.” His wife said, “I hear a voice as if blood is dropping from him.” Ka`b said, “They are none by my brother Maslama and my foster brother Abu Na’ila. A generous man should respond to a call at night even if invited to be killed.”
Maslama went with two men. So Maslama went in together with two men, and said to them, “When Ka`b comes, I will touch his hair and smell it, and when you see that I have got hold of his head, strike him. I will let you smell his head.”
Ka`b bin al-Ashraf came down to them wrapped in his clothes, and diffusing perfume. Maslama said, “I have never smelt a better scent than this.” Ka`b replied, “I have got the best Arab women who know how to use the high class of perfume.” Maslama requested Ka`b “Will you allow me to smell your head?” Ka`b said “yes.” Maslama smelt it and made his companions smell it as well. Then he requested Ka`b again, “Will you let me (smell your head)?” Ka`b said “Yes”. When Maslama got a strong hold of him, he said (to his companions) “Get at him!” So they killed him and went to the prophet and informed him.”সহী বুখারী, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯
এ ঘটনা পড়লে বোঝা যায় মোহাম্মদ তার বিরুদ্ধে সামান্যতম সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন না, ঠিক যেমন পারত না আধুনিক যুগের স্বৈরাচারী একনায়ক শাসকরা- হিটলার, মুসোলিনি, স্টালিন এরা। আমাদের দেশের শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমান বা এরশাদ এরাও ছিল অনেকটা স্বৈরাচারী একনায়ক।এসব স্বৈরাচারী একনায়করা যেমন তাদের সমালোচনাকারীদেরকে জীবনে শেষ করে দিত, আমাদের আল্লাহর নবী ঠিক একই কায়দা অনুসরন করতেন।এ কেমন আল্লাহর নবী যিনি তার বিরুদ্ধে সামান্যতম সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন না ? তার সত্য ধর্ম ইসলাম কি এতই ঠুনকো যে তা সামান্য সমালোচনাতেই উবে যেত? আর তার আল্লাহ কেমন দয়ালু যে সামান্য সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতাও সে মোহাম্মদকে দেয় নি ? আর এ কেমন মহানবী যে তার সমালোচনাকারীকে খুন করতে তাকে প্রয়োজনে মিথ্যা বা প্রতারনার আশ্রয় নিতে হয় ? তিনি নাকি আবার আল আমীন মানে সত্যবাদী? আল্লাহ কি এতই ভীত যে তার সামান্য সমালোচনা করলে তার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে ?
এত সব বিচার বিশ্লেষণ করলে আমাদের মনে প্রশ্ন উদিত হওয়া স্বাভাবিক যে মোহাম্মদের নামে আমরা এতদিন যা শুনেছি তা কি আসলে সত্য নাকি মিথ? বিগত ১৪০০ বছর ধরে তাকে ও তার ইসলাম নিয়ে সত্যিকার অর্থে ব্যাপক কোন গবেষণা হয় নি, তার প্রয়োজনও পড়েনি, যে কারনে তার জীবনের অনেক সত্য জিনিস সাধারন মানুষের নজরে আসেনি, তাই তিনি রয়ে গেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে।মাঝে মাঝে কেউ যদি সামান্য চেষ্টা করেছে, তাকে মোহাম্মদের দেখানো কায়দায় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, যে প্রক্রিয়া আজও বিদ্যমান।আর একারনে মুসলমানদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তারা শত শত বছর পিছিয়ে পড়েছে জ্ঞান- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, দর্শন , রাজনীতি সর্ব ক্ষেত্রেই।পক্ষান্তরে, অমুসলিমরা এগিয়ে গেছে বহুদুর, যা আবার মুসলমানদের মধ্যে একটা হীনমন্যতা বোধের সৃষ্টি করেছে।এ হীনমন্যতা বোধ থেকেই ইসলামের অনুসারী কিছু উগ্র ও অন্ধ মানুষ গোটা সভ্যতাকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিয়ে ধ্বংস করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক সভ্যতার সব কিছুই যে শুদ্ধ তা কোনভাবেই বলা যায় না। অনেক কিছুই হয় ত শুদ্ধ নয়, ছিলও না কখনো আগে, কিন্তু মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে সেগুলোকে সংশোধন করে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।তার পর হয়ত এমন একদিন আসবে যখন মানুষ এ নীল গ্রহ ছেড়ে মহাবিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে, সভ্যতাকে ছড়িয়ে দেবে মহাবিশ্বের আনাচে কানাচে। মানুষের বিজয়বার্তা ধ্বনিত হবে বিশ্বের অন্যত্র। এমন বিপুল সম্ভাবনাময় মানব সভ্যতাকে কোন অন্ধ ও বদ্ধ আদর্শ দ্বারা কলুষিত ও ধ্বংস হয়ে যেতে দেয়া যায় না কোন মতেই।আমরা তা হতে দেব না। বিজয় আমাদের হবেই।
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-১
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-২
মোহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, পর্ব-৩