Friday, October 30, 2015

ওহে পাকনার দল , বাচ্চার বাপ কে এইটা মা নিজেও জানেন না ।


 সবার প্রথম কথা বইলা নিই । এইখানে যেই মা এর কথা বলা হইছে, তারা হইলো প্রেগন্যান্ট হওয়ার আগে যারা একাধিক পুরুষের সাথে যৌন সংগম করছে তারা । বিবাহে সৎ অথবা শুধু একজন যৌন সংগী যাদের, তারা খুব ভালোভাবেই জানে তাদের সন্তানের জনক কে ।

দরিদ্র দেশে লোকজনের মধ্যে মিস্টিক জিনিসে বিশ্বাস করার প্রবণতা বেশি । বাস্তবতার ** মারা হয়ত সবসময় খাইতে হয় বইলা মিস্টিক, রহস্যময় জিনিসে বিশ্বাস কইরা বোধহয় লোকজন একটু বাস্তবতা থাইকা মুক্তি চায় । গত কয়েকদিনের পুস্টের পইড়া দেখলাম ধার্মিকদের পাশাপাশি বেশিরভাগ যুক্তিবাদি নাস্তিকও দেখা যায় এইটা স্বীকার কইরাই নিছেন যে, বাচ্চার আসল বাপ কে এইটা কোন এক রহস্যময় কারণে মা নিশ্চিত ভাবে জানেন । অন্য কেউ জানে না ।

কথা হইলো, যেই মা একাধিক যৌন সংগীর সাথে নিয়মিত সংগম করে প্রেগন্যান্ট হইলেন, তার নিজের পক্ষেও কোনভাবে জানা সম্ভব না বাচ্চার বায়োলজিক্যাল বাপ কে । এইখানে কোন মিস্টিক ফিস্টিক নাই । সিম্পল প্রোবাবিলিটি ডিস্ট্রিবিউশন । ব্যাখা করার আগে কিছু প্রাথমিক জিনিস জাইনা নিই আসেন,

গর্ভধারণ কিভাবে হয় > এর জন্য আসেন আগে নারী প্রজননতন্ত্রের ছবি দেখি ।

প্রতিবারের ঋতুচক্রে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বক (ওভাম) বের হয়ে ফেলোপিয়ান নালীতে আসে । সংগমের মাধ্যমে পুরুষের সিমেন (ধাতু, হাহাপগে) যোনীপথে জমা হয় । যোনীপথ থেকে শুক্রাণুরা সাঁতার কাটতে থাকে উপরের দিকে । বেশীরভাগই বেঘোরে মারা যায়, সারভিক্স এবং যোনীপথের চাপে, এসিডিটিতে । মাত্র ২০০ টার মত ফেলোপিয়ান নালীতে পৌঁছাইতে পারে । ফেলোপিয়ান নালীতে পৌঁছাইলে এরা সেন্সরের মত ডিম্বাণু খুঁজতে থাকে । পাওয়া গেলে সবাই ডিম্বাণুর চারদিক ঘিরে ফেলে । শেষ পর্যন্ত ভিতরে ঢুকার টিকেট পায় একজন । বাকীগুলা ইন্নালিল্লাহ । ভিতরে শুক্রাণু ঢুকার পরে ডিম্বাণু এক্টিভেটেড হয় , জাইগোট তৈরী হয়, এবং এই জাইগোট নীচে নেমে জরায়ুর ভিতরের দিকের পেশীর গায়ে লাগে । জরায়ুর ভিতরের দিকের পেশী আগে থাইকাই প্রস্তুত থাকে । আঠালো, নরম হয়ে । এরপর থেকে এই জাইগোট বড় হইতে হইতে একটা শিশু হয় ।

মোটামুটি এইটা হইলো ফার্টিলাইযেশন বা নিষেকের কিচ্ছা । এই নিষেকের সফলতা কিছু জিনিসের উপর নির্ভর করে । তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হৈলো, ডিম্বাণুটা ঠিক কোনদিন কোনসময়ে ডিম্বাশয় থাইকা বাইর হৈয়া ফেলোপিয়ান নালীতে আসলো ।

গড়পড়তা সুস্থ্য যুবতীর ঋতুচক্র ২৮ দিন । এইটা গোণা হয়, এইবারের রজঃস্রাব শুরু হওয়ার দিন থেকে পরেরবার শুরু হওয়ার দিন পর্যন্ত । এই হিসাবে, ইম্পিরিকাল স্টাডিগুলাতে পাওয়া গেলো, মোটামুটি ঋতুচক্রের ১৩-১৫ দিন হচ্ছে ডিম্বায়নের (ওভুলুশন) সবচে সম্ভাব্য সময় । আরো ব্রডলি , মোটামুটি ১০-১৬ এই ৭ দিন হৈলো ওভুলুশন (ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়ে আসে) এর সম্ভাব্য সময় । কিন্তু ঠিক কখন কোনক্ষণে হৈলো, এইটা জানা খুব কঠিন । এখন নিষেকের সফলতার জন্য আরো কয়েকটা তথ্য গুরুত্বপূর্ণ

১. একবার বের হওয়ার পরে একটা ডিম্বাণু বাঁচে সর্বোচ্চ ১ দিন ।
২. নারীদেহের ভিতরে একটা শুক্রাণু বাঁচতে পারে সর্বোচ্চ ৫-৬ দিন (গড়পড়তা ৩-৪দিন)
৩. শুক্রাণু মোটামুটি ঘন্টায় ৮ ইন্চি বেগে সাঁতার কাটে । যোনীপথ, জরায়ু, ফেলোপিয়ান নালী মিলে মোটামুটি ১০-১২ ইন্চির মত জায়গা । তারমানে বীর্যপাতের পর ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছাইতে ১-২ ঘন্টার বেশী লাগে না ।

এইবার নিষেকের সময়ের অনিশ্চয়তার দিক দেখা যাক । ওভুলুশনের অনিশ্চয়তা উপরে দেখলাম ৭ দিন । এখন ডিম্বাণু যেহেতু ১ দিন বাঁচে, তাইলে ৭+১ = ৮ দিন হৈলো ওভুলুশনের দিক থেকে দেখা নিষেকের সম্ভাব্য সময় ।

এখন আবার শুক্রাণু নারীদেহের ভিতরে সর্বোচ্চ ৬ দিন বাঁচতে পারে । এর মানে কি । এর মানে হৈলো, ওভুলুশনের ৬ দিন আগেও যদি সর্বশেষ যৌন-মিলন হয় তাইলেও গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাব্যতা থাইকা যায় ।

এই দুইটা মিলাইয়া দেখা গেলো, নিষেকের সম্ভাব্য রেন্জ হৈলো ৮+৬ = ১৪ দিন । অর্থাৎ পরের ঋতুচক্রে যদি দেখা গেলো একজন গর্ভবতী, তার সন্তানের জনক হৈতে পারে উপরে দেখানো ১৪ দিনের মধ্যে যতজনের সাথে যৌনমিলন হৈছে তাদের যেকোন একজন । কখন কোনদিন কে, এইটা বুঝার কোন উপায় নাই ।

তবে ওভুলুশন কখন হৈছে এইটা বুঝার একটা উপায় আছে । এইটা হৈলো ঋতুচক্রের প্রতিদিনের জন্য শরীরে তাপমাত্রার চার্ট তৈরী করা । চার্ট মোটামুটি এইরকম হয় ।

চার্ট থেকে দেখা যায়, ওভুলুশনের দিন শরীরের তাপমাত্রার একটা লাফ দেখা যায় । এবং ওভুলুশনের আগে ও পরে , তাপমাত্রার দিক থেকে দুইটা আলাদা তাপমাত্রার রেন্জ দেখা যায় । অর্থাৎ প্রতিদিন সকালে শরীরের তাপমাত্রা মেপে মেপে চার্ট করলে ওভুলুশনের সময় মোটামুটি সফলতার সাথেই বের করা যায় ।

কিন্তু চার্টখানা ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে এইখানে যেই কেস দেখানো হৈছে সেইটার জন্য তাপমাত্রার লাফের পরিমান ১.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট । তবে গড়পড়তা এই লাফের পরিমাণ ০.২-০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট । অর্থাৎ নিজের অনুভুতি দিয়া বুঝার কোন উপায় নাই । এমনকি সাধারণ ব্যবহারের থার্মোমিটারের মার্জিন অফ এররের মধ্যেও পড়ে যেতে পারে । এইধরণের চার্ট ব্যবহার করে যারা খুব ডেসপারেটলি গর্ভবতী হৈতে চায়, কিন্তু পারতেছে না তারাই ।

এখন ওভুলুশনের টাইম পিনপয়েন্ট করা গেলেও, শরীরের ভিতরে শুক্রাণুর আয়ুস্কাল পিনপয়েন্ট করার কোন উপায় নাই । এইকারণে ওভুলুশনের টাইম পিনপয়েন্ট কৈরা ওভুলুশন সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা ৮ দিন বাদ দেয়া গেলেও, শুক্রাণুর আয়ুষ্কাল সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা ৬ দিন দূর করার কোন উপায় নাই । অর্থাৎ এই ছয়দিনের মধ্যে যতজনের সাথে যৌনমিলন হৈছে তাদের যে কেউ-ই সন্তানের জনক হৈতে পারে ।

মজার কথা হৈলো, কেউ যদি স্যাবোটাজও করতে চায় , (তসলিমার শোধ উপন্যাসের মত) অর্থাৎ, এই অনিশ্চিত ১৪ দিনে অন্য কারো সাথে যৌনমিলন করে , বাচ্চার জনক বৈলা অন্য কাউরে চালাইয়া দিতে চাইলে, খুব সহজেই মেমোরী ঘাটলে বাইর করা সম্ভব যে এই সন্তানের জনক সে ছাড়া অন্য কেউ ।

এইগুলা ছাড়াও আরো বেশ কিছু ব্যতিক্রম আছে । কারো ঋতুচক্র ৩২ দিন পর্যন্ত হয় । অনেকের ওভুলুশন ছাড়াও রজঃস্রাব হয়, অনেকের গর্ভধারণ ছাড়াও রজঃস্রাব বন্ধ হৈয়া যায় । এইরকম হাজারটা সমস্যা আছে ।

মাগার সকল কথার শেষ কথা হৈলো , পিতা একটা বায়োলজিক্যাল সম্পর্কের চাইতে বরং সামাজিক সম্পর্ক । যে লোক আমাকে কষ্ট করে পালন করলো, শিক্ষা দিলো, বিপদ থেকে রক্ষা করলো, সে আমার জনক না হৈলেও তারে পিতা, বাবা ডাকতে আমার কোন সমস্যা নাই । সে আমার জনক না এইটা জানলেও তার প্রতি আমার ভালোবাসা বা সম্মানে বিন্দুমাত্র ঘাটতি হবে না ।

*এই পোস্টের সব কথা কনডম বা অন্য কোনরকম জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছাড়া যৌনমিলনের জন্য প্রযোজ্য ।*



Thursday, October 29, 2015

আর নয় বিকৃতি ৷ দয়া করে থামুন ৷ 


'ক' আর 'খ' এর উচ্চারন কেউ কখনো বই থেকে শিখতে পারেনা ৷ যতক্ষন না তাকে হাতে কলমে এই উচ্চারন শিখানো হবে ততক্ষন সে 'বাবা' আর 'ভ্যা ভ্যা' এর তফাৎ বুঝতে পারবেনা ৷
আমরা যেই জিনিসটা চোখ কান দিয়ে দেখি শুনি সেই জিনসটা সবচেয়ে বেশি মনে থাকে ৷
অষ্টম শ্রেনীতে সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে ইতিহাসের আদ্যোপান্ত মুখস্ত করে নিউটন আর আইনস্টাইন হয়েছেন এই রকম নজীর দেখা মিলেনা ৷তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জানা দরকার ৷ এটা আমাদের গর্ব করার মত একটা ইতিহাস ৷ সারাবিশ্বের কাছে মাথা উচু করে বলার মত ইতিহাস ৷ কিন্তু এই ইতিহাসের সঠিক তথ্য কি আমরা জানি??জন্মের বিশ বছর হওয়া পরও এখনো যুদ্ধ ক্ষেত্রের আসল ইতিহাস জানার উৎস পাই নি ৷ জিয়া পরিবার যখনই ক্ষমতা নামক বস্তুটি হাতে নেন তখনই শেখ মুজিব নামে কোন আদর্শ আছে সেটা ভুলে যায় ৷ একই ঘটনা আওয়ামিলীগ এর ক্ষেত্রেও ৷ যেন সেই নামদুটি চিরতরে মুছে দিতে পারলেই শান্তি ৷
শেখ মুজিব আর জিয়াউর রহমান এর নাম পাচঁ বছর পরপর অন্তত একবার করে হলেও শুনা যায় ৷ কিন্তু শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক,আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর মত আদর্শ ব্যাক্তিদের নাম সেই ৯বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় শুনেছিলাম ৷ এর পর তাদের নাম আর উচ্চারিত হয়নি ৷ তাদের সম্পর্কে কোন রাজনীতিবীদ কখনো কিছু বলেনা ৷ তাদের জন্ম মূত্যু সম্পর্কে অনেকে হয়ত কিছুই জানেনা ৷
১৭কোটি মানুষের কাছে যদি বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে চাওয়া হয় ১৭ কোটি রকম উত্তর আসবে ৷ আসল উত্তরটাই বা কী?
একদল জোর করে জাতির পিতা তৈরী করেন অন্যদল জাতির কাথাঁ তৈরিতে ব্যস্ত ৷ প্রতিহিংসার রাজনীতির কারনে ইতিহাসের পাতা ছিড়ে একটা প্রজন্মকে পুরোপুরি অন্ধ করে দিচ্ছেন ৷ একই ধারাবাহিকতা যদি চলতে থাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম 'হাসিনা' আর 'খালেদা' বলতে বাসার কাজের বুয়াকেই চিনবে ৷ আপনাদের নয় ৷ একটি দেশের জন্মলগ্নে যে এত মানুষের অবদান তাদের নাম স্বর্নাক্ষরে লিখে রাখলে কি এমন ক্ষতি হয়?? হয়ত বইয়ের পাতায় দু তিনটা পাতা বেশি যাবে ৷ তাও অন্তত কিছু মানুষের প্রতি সম্মান বাড়বে ৷ যেই খেলায় আপনারা এখন মেতে উঠেছেন খেয়াল করলে দেখবেন অনেকে এখন আপনাদের নাম দিয়ে গালি দেয় ৷ সত্যিই খুব মজার ৷ অনেক কথা এখন বলতে ভয় করে ৷ সংবিধানের বেড়াজালে আবদ্ধ ৷ কিন্তু আসল সংবিধানটাইবা কোথায়? আসল নিয়মটিই বা মানছে কয়জন?

Wednesday, October 28, 2015

সমকামী এবং উভয়কামীদের অজানা ও অন্ধকার অধ্যায়ঃ প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

(১)
সমকামিতা, উভয়কামিতা এবং বাংলাদেশের সমকামীদের সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারণা পাবেননা, যদিও আপনি বাংলাদেশে সমকামিতার উপর সমকামীতার সমর্থকদের বিভিন্ন লেখা পড়েন। তারা আপনাকে সমকামীদের পজিটিভ কিছু সাইড এবং বৈশিষ্ট দেখিয়ে আপনাদের সামনে সমকামীতাকে নারী-পুরুষের স্বাভাবিক সম্পকের মতই প্রাকৃতিক একটা বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করে আসেন। এখানে উল্লেখযোগ্য যে তারা শুধু সমকামীতা সম্মন্ধেই বিভিন্ন কথা বলে বা এর পক্ষে যুক্তি দেখায়। উভয়কামীতা – যা কিনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমকামীতার সঙ্গে যুক্ত এবং সমকামীতার চেয়েও আরও বেশি মারাত্মক – তার সম্পর্কে এরা বলতে গেলে কোন কথাই বলেন না।
আবার, কিছু মানুষ আছে সমকামিতার বিরুদ্ধে একেবারে খগহস্ত; ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে তারা সমকামিতাকে একেবারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করেন। তারাও বুঝতে চাননা যে, সমকামিতাকে একেবারে মুছে ফেলা সমভব নয়। তাদের লেখা বা আলোচনা পড়লেও আপনি এই সম্পর্কে পুরো ধারণা পাবেন না।
তবে কি বাংলাদেশে চলে আসা সমকামিতা, উভয়কামিতাকে সমর্থন দেয়া যায়? এগুলো কি আসলেই ভালো কিছু? বাংলাদেশে যারা সমকামিতা (গেইসম ও লেসবিয়ানিজম) এবং উভয়কামিতাকে সমর্থন করছেন তারা কি সঠিক পথে আছেন?
আসুন আমরা বুঝতে চেষ্টা করি বাংলাদেশের সমকামী ও উভয়কামীদের প্রকৃত অবস্থা, এদের বৈশিষ্ট, জীবনাচারণ ইত্যাদি সম্পর্কে একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করি সবাইকে। এই কাজে আমার, আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আমাদের ‘ইয়ুথ ওয়াচ’ সংগঠনের থেকে করা সমকামী ও উভয়কামীদের উপর করা গবেষণা যথেষ্ট সাহায্য করবে।
(২)
মানুষ যে সমকামী হয়, তার পিছনে অনেক কারণ বিদ্যমানঃ
(১) কেউ ভিন্ন স্বাদের সেক্সের জন্য সমকামী হয়
(২) কেউ সাময়িক বিকৃতির জন্য সমকামি হয়
(৩) কোন কোন মানুষ স্বজাতি, নারী বা পুরুষের উপর বিতশ্রুদ্ধ বা হতাশ হয়ে সমকামি হয়ে থাকে
(৪) কেউ কেউ জন্ম থেকেই সমকামী হয়ে জন্মায়
সেই হিসাবে, সমকামিতা মোটামুটি বেশ কয়েক ধরণের হয়ে থাকে। যেমনঃ
১। সাময়িক সমকামিঃ
যারা কিনা জীবনে ক্ষণিকের বিকৃতি বা ক্ষণিকের ভুলের কারণে নিজ লিঙ্গের মানুষের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়ায় ।
২। পারট্টাইম সমকামি বা উভয়কামিঃ এরা নিজের লিঙ্গের প্রতিই আকর্ষিত হয়। বিয়েও করে একসময়; কিন্তু, সেক্সুয়াল লাইফে ভিন্নতার জন্য, বা একটা বিকৃত স্বাদ লাভের জন্য সম লিঙ্গের মানুষদের সাথেও যৌনতায় মত্ত হয়। এদেরকে উভয়কামিও বলা যায়।
৩। পারমানেন্ট সমকামিঃ এরা জন্ম থেকেই সমলিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। বিপরীত লিঙ্গের মানুষেরা এদের তেমন একটা টানেনা বললেই চলে। তারা সমলিঙ্গের মানুষের সাথেই স্বাচ্ছন্দ্য; তাই চাইলেও তারা বিপরীতকামী হতে পারবেনা।
এখানে, উল্লেখ করা প্রয়োজন যে যারা কিনা জন্ম থেকেই প্রাকৃতিকগতভাবেই সমকামি, তাদের সেটা কোন দোষ নয়। কারণ, প্রকৃতিই তাদের সেরকমভাবে সৃষ্টি করেছে। এটার বাইরে যাওয়া তাদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসম্ভব। এটাই বরং তাদের জন্য স্বাভাবিক যে, তারা নিজেদের মতই সমকামি সঙ্গি খুজে নিবে।
কিন্তু, সাময়িক সমকামিতা বা পার্টটাইম সমকামিতার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম কিছু নয়। এগুলো একরকম স্বাভাবিকতার বিকৃতি বা অসুস্থতা।
উদাহরণ হিসেবে, আমাদের পরিচিত একজন মানুষের কথা বলা যেতে পারে। তার নামটা প্রকাশ করছিনা সঙ্গত কারনেই। তিনি একজন ব্যাংকার ও খন্ডকালিন মিডিয়া কর্মী। বিভিন্ন চ্যানেলে তিনি সংবাদ পাঠ করেন এবং সংবাদ পাঠক হিসেবে তার ভালোই সুনাম রয়েছে। তিনি বিয়ে করেছেন অনেক আগে, তার দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু, তিনি সমকামি হয়ে পড়েন হঠাত করেই, এবং তার বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানতে পারি যখন তিনি আমারই এক ক্লোজ ফ্রেন্ডকে টার্গেট করেছিলেন, তার অসুস্থ চাহিদা মেটাবার জন্য। বলাই বাহুল্য, আমার বন্ধুটি তাকে পাত্তা দেয়নি। পরে সেই উভয়কামী ব্যক্তি আমার ফ্রেন্ডের কাছেই দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, সে জীবনে কোন এক সময় মেয়েদের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে পরবর্তীতে সমকামী হয়ে গেছে।
এই ধরণের ব্যক্তিকে বলা যেতে পারে পার্টটাইম সমকামী, অথবা উভয়কামী। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশে যারা সমকামী, তাদের বেশিরভাগই উভয়গামী। আমাদের ইয়ুথ ওয়াচের গবেষণায়ও আমরা এর সত্যতা খুজে পেয়েছি।
এই ধরণের অসুস্থ সমকামী বা উভয়কামীদের শিকার যে, আমার বন্ধুবান্ধবেরাই হয়েছে, তা নয়। আমারও এদের পাল্লায় পড়ে ইরিটেটেড হওয়ার দূরভাগ্য হয়েছে। কিছুদিন আগে ফেসবু আমি কোকড়াচুলো একটা ছেলের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করি। ছেলেটি মোটামুটি বিখ্যাত মডেল। টিভির অ্যাড, পত্রপত্রিকা, এবং বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনে তার ভালোরকম উপস্থিতি। সম্প্রতি একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেও ছেলেটি ভালো খ্যাতি অর্জন করেছে। এই ছেলেটিকে ফেসবুকে অ্যাড করার পর থেকেই সে আমাকে নানাভাবে ফেসবুকে জ্বালাইছে। আমাকে সে একদিন বলেই বসেছে, “এই, তুমি নাকি খুব সেক্স পাগল! আমাকে তোমার কেমন লাগে?”
বলাই বাহূল্য, আমার কাছ থেকে পাত্তা না পেয়ে সে বেশিদূর আগাতে পারে নাই। এখানে উল্লেখযোগ্য এই যে, সে আমাকে ইনডাইরেক্টলী সেক্সের অফার দিয়ে বসেছিল।
পরে, তার সাথে মিডিয়ায় কাজ করেছে, আমাদের এমন এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে তার সম্মন্ধে আরও অনেক কিছুই জেনেছি। সেই, কোকড়া চূলওয়ালা মডেল আমাদের সেই ছোট ভাইকেও সরাসরি সেক্সের অফার দিয়েছিল। আমার সে ছোট ভাই সেই মডেলকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, সে কন মেয়ের সাথে সেক্স করেছে কিনা। মডেল সাহেব বলেছিলেন, ‘হ্যা, করছি’। তখন আমার ছোট ভাই ঐ মডেওলকে প্রশ্ন করলো, ‘তাহলে তুমি ছেলেদের সাথে করতে চাও কেন?’ কোকড়াচূলো মডেল বললো, ‘আরে বুঝছোনা, এটা একরকম এনজয়!’
আসলে, বাংলাদেশের এই, সমকামি বা উভয়গামিরা এরকমই। এদের মধ্যে দুটো বৈশিষ্ট কাজ করেঃ
১। এরা রিলেশন তৈরির ক্ষেত্রে স্টেপ বাই স্টেপ আগানোতে বিশ্বাস করেনা। এরা সরাসরি সেক্সুয়াল রিলাশানে চলে যেতে চায়। সেক্সটাই এদের কাছে মূখ্য। রিলেশনশিপটা নয়।
২। এরা শুধু সমকামী বা উভয়গামিদেরি নক করেনা, অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার হলো এরা স্ট্রেইট পিপল বা বিপরিতকামী সাধারণ মানুশদেরও টার্গেট করে থাকে। একজন বিপরীতকামি বা স্ট্রেইট স্বাভাবিক মানুষ কখনো সমকামি বা উভয়কামিদের কাছে রিলেশান বা সেক্সের জন্য যায়না। কিন্তু, এই সমকামী ও উভয়কামী মানুষেরা স্ট্রেইট মানুশদেরও টার্গেট করে থাকে; তাও আবার সেক্সের জন্য, এবং এদের জন্যই কিনা বাংলা ব্লগে অভিজিৎ রায়, এমএস নীলয় , নীলয় নীল, আকাশ মালিক প্রমুখেরা ব্লগিং চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদেরকে প্রমোট করে চলেছেন।
এই সমকামী বা উভয়কামিরা এভাবে তাদের অসুস্থতা আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার চেস্টায় লিপ্ত। তাদের কাছ থেকে কেহই বলা চলে নিরাপদ নয়। এমনকি এরা রাস্তা-ঘাটে ওপেন প্লেসে অপরিচিত মানুষদের পেলেও তাদের সাথে সবকিছু করার মনোবাসনা প্রকাশ করে থাকে। আমার এই দাবির স্বপক্ষে একটা ছোট ঘটনা উল্লেখ করছি --
আমি আর আমার ফ্রেন্ড আরিফের অফিস পল্টনের ওদিকে। আমরা মাঝে মাঝে শাহবাগে আড্ডা মারতে আসতাম। একদিন অফিস থেকে দুজন একসাথে শাহবাগে যাওয়ার পথে রমনা পার্ককে শর্টকাট হিসেবে ব্যাবহার করেছিলাম। পার্ক দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় আমরা বাংলাদেশে যে সমকামির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা নিয়ে কথা বলছিলাম। ঠিক তখনই আমাদের পাশ দিয়ে একটা ছেলে হেটে গেল আমাদের দিকে খুব আগ্রহ নিয়ে তাকাতে তাকাতে । কিছুদুর গিয়ে সে আমাদের দিকে তাকিয়ে খুব আগহ নিয়ে হাত দিয়ে কাছে আসার জন্য ইশারা করলো। আমরা দুজনই বুঝে গেলাম যে, এই ছেলেটা সমকামি এবং সে আমাদের সমকামিতা নিয়ে আলোচনা করতে দেখে সে আমাদেরকে তার মতই ভেবেছে।
এখন, সাপোজ, যদি আমরা সেই ছেলেটার ডাকে সাড়া দিতাম, তাহলে পার্কের ভিতরেই গাছপালার আড়ালেই হয়তো আমাদের সাথে সে ত্রিমুখী যৌনক্রিয়ায় মেতে উঠত । ( শুধু আমরা নয়, সমকামী আর উভয়কামী লোকজনের কাছ থেকে প্রাপ্ত এরকম বিব্রতকর অভিজ্ঞতা অনেকেরই জীবনে রয়েছে)।
আমরা এরই মধ্যে পার্কের ভিতর দিয়ে মাঝে মধ্যে আশা যাওয়া করতে করতে দেখেছি কয়েকটা জায়গায় কিছু ছেলে কাপল মিলে রোমাঞ্চ করতেছে। অনেকের কাছেই এইসব বিষয় আজব লাগতে পারে, কিন্তু ঘটানা সত্য, এবং সমকামী ও উভয়কামীদের এটাই আসল রুপ। প্রাকৃতিকভাবে যারা সমকামি, তাদের বিষয়টা আলাদা। কিন্তু, সমকামিতার নামে বাংলাদেশে যা চলছে, তা অসুস্থতা, বিকৃতি আর পারভারশনের নামান্তর।
সমকামিতা ও উভয়কামিতার উপর আমাদের ‘ইয়ুথ ওয়াচ’ সংগঠনের একটি জরিপ থেকে আমরা জানতে পারি যে, একজন যুবক তার ছোটবেলায় সমকামী যৌন-বিকৃতদের শিকার হয়েছিল। তখন তাঁর বয়েস ছিল ১০ বা ১২। সে তাঁর প্রতিবেশী এক পরিবারের তিন ভাইয়ের দ্বারা একই সময়ে সমকামি নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল, যারা তাকে নানাভাবে প্ররোচিত করে এই কাজে তাকে রাজি করিয়েছিল।


অভিজিতের সমকামিতার পক্ষে নেয়া বেশিরভাগ যুক্তিই অসার ও হাস্যকর; এখানে সেগুলোর সবগুলো খন্ডন করা সম্ভব নয়। সেটা করতে গেলে হয়তো পুরো একটা বইই লিখে ফেলতে হবে!
সমকামিতার নিদর্শন প্রকৃতির মধ্যে খুঁজে দেখতে গেলে পারভারসন, ইনসেস্ট, গ্রুপ সেক্সের মত জঘন্য জিনিসের সাথে মেলে এমন কিছু ছোট-খাট উদাহরণও হয়তো প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যাবে। কিন্তু, তাই বলে এগুলোকে কখনোই স্বাবিক বা নৈতিক বলে জায়েজ করা যাবেনা। তেমনি, সমকামিতাকেও প্রাকৃতিক বিষয় বলে স্বাভাবিক মনে করা হাস্যকর; এটা স্বাভাবিকের বাত্যয় এবং অস্বাভাবিক। যেমন সমকামিতাকে প্রাকৃতিকভাবে দেখার বাজে অজরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সদাশয় নিকনেমের লেখক ‘আমার ব্লগ’-এ সমকামিতার স্বপক্ষে লেখা একটা লেখার নিচে মন্তব্য করেছিলেন,
“মাকামিতা, বোনকামিতা বা মেয়েকামিতা। আর কবে বাংলাদেশ!
বর্বর ধর্ম আর নিষ্ঠুর সামাজিক নিয়ম মানুষের মাঝে বিভিন্ন সম্পর্কের সৃষ্টি করেছে। একজন মানুষকে শুধুই মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। সম্পর্কের বেড়াজালে দুজন মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাকে বাধা দেওয়া সম্পুর্ণ মানবতা বিরুদ্ধ কাজ। তাছাড়া আমরা যদি প্রকৃতির দিকে লক্ষ্য করি তবে দেখা যায় যে, এই ধরনের কাজ প্রানীকুলের মাঝে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ভারতবর্ষসহ বাংলাদেশের গৃহে পালিত গরুদের ক্ষেত্রে ১০০%। একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, অ্যাঁড়া বাছুর যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হয় তখন তার মা-বোনের পাছা শুকে বা পিঠে উঠে তার সেক্স্যুয়াল লাইফ শুরু করে। এছাড়া, আর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, একটি ষাঁড়ের বীর্্যয থেকে যে বকনা বাছুরটি জন্মেছে, সেই বাছুরটি বড় হওয়ার পর একই ষাঁড় দিয়ে সেটিকে গর্ভবতী করা হয় অহরহ। সুতরাং এক্ষেত্রে গরুকুলে বাবা-মেয়ে সেক্স্যুয়াল সম্পর্ক পারমিট করে।
এইসকল কথা বিবেচনা করে সাম্প্রতি ভারতবর্ষে মাকামিতা, বোনকামিতা বা মেয়েকামিতাকে বৈধ্য করে আইন পাশ করা হয়েছে বিশ্বের ১১১তম দেশ হিসাবে। আইনপাশের সাথে সাথে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করে স্বাগত জানিয়েছে এই সুন্দর ও সভ্য সিদ্ধান্তকে। অবশ্য এর অনেক আগেই উন্নত ও সভ্য বিশ্ব এই আইন পাশ করেছে। অনেক পরে হলেও ভারতবর্ষ এই আইন পাশ করে উন্নত ও সভ্য দেশ হিসাবে নিজেদের প্রমান করলো।
বাংলাদেশে কবে এই আইন পাশ করে মানুষকে ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার থেকে মুক্ত করবে বাংলাদেশের একজন চরম হিতাকাংক্ষী হিসাবে সেই দিকে চেয়ে আছি।"

(https://www.amarblog.com/index.php?q=arijitku/posts/121827)
আসলেই, সমকামিতা আর উভয়কামিতার সমর্থকদের যুক্তি আর প্রচারনা কতটা হাস্যকর, তা উপরের কমেন্টের মর্মার্থ থেকেই বোঝা যায়।
(৪)
সমকামী, উভয়কামি আর এদের সমর্থকেরা সমকামিদের স্বপক্ষে অনেক ভালো ভালো কথা লিখে সমাজের মধ্যে সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন। যেমন, বাংলাদেশের সমকামী পুরুষদের সংগঠন ‘বয়েজ অব বাংলাদেশ’-এর পেজে ‘ভালবাসা’কে সমকামিদের শক্তি হিসাবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা প্রায়ই করা হয়। 'বয়েজ অব বাংলাদেশ' থেকে বের হওয়া সমকামিতার উপর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাগাজিন ‘রুপবান’ –এর স্লোগানই হলো, “ঘৃণা নয়, আমরা ভালোবাসার ফেরিওয়ালা" :

আর, সমকামি লোকজন এবং তাদের সমর্থকেরা নিজেদের মুক্তচিন্তার অধিকারী বলে মনে করেন এবং সমকামিতাকে মুক্ত ও উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার জন্য মানুষের কাছে আহ্বান জানান। কিন্তু, অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার হলো সমকামি লোকজন এবং তাদের সমর্থকেরা আদতে না ভালোবাসার ফেরিওয়ালা, না উদারমনের অধিকারী। এরা প্রকৃতপক্ষে, ঘৃণার ব্যাপারি, প্রচন্ড উগ্রবাদি, প্রতিক্রিয়াশীল, এবং ভন্ড।
আমার এই দাবি অনেক মানুষের কাছেই অদ্ভুত মনে হতে পারে; কিন্তু এটাই বাস্তব। আমি ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাসে ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছিলাম, “Bangladesh against Homosexuality and Bisexuality” নামে। এই পেজটি বাংলাদেশ থেকে সমকামিতা আর উভয়কামিতার বিরুদ্ধে খোলা প্রথম পেজ ছিল। আমি যেহেতু সমকামিতা আর উভয়কামিতার নামে পারভারশন আর নোংরা সংকৃতির বিরুদ্ধে, তাই এই ধরণের পেজ খোলার অধিকার আমার শতভাগ ছিল, যেমন বাংলাদেশে সমকামি লোকদের অধিকার ছিল, “Bangladesh against Homophobia” ও “Boys of Bangladesh” নামে দুটো পেজ খোলার। আমার খোলা পেজটি যদি সমকামি ও তাদের সমর্থকদের ভাল না লাগে, তাহলে সেটা ভদ্র ভাষায় আমাদের জানাতে পারতো, যুক্তি দিয়ে আমাদের পোস্টের প্রতিবাদ করতো। কিন্তু, সেটা না করে তারা যা করেছে, তার কিছু নমুনা স্ক্রীনশট -- এর মাধ্যমে আমি নিচে তুলে ধরছিঃ

স্ক্রীণ শর্টের ছবিগুলো জুম করলেই আপনারা এদের কদর্যতার চিত্র দেখতে পারবেন। ঠিক উপরের ছবিটাতেই দেখা যাচ্ছে যে, আমরা সমকামিতা আর উভয়কামিতার বিরুদ্ধে পেজ খুলেছি বলে তারা এমনকি আমাদের দেশ ও জাতি তুলেও গালিগালাজ করেছে।

কাজেই সহজেই বুঝতে পারছেন যে সমকামি ও উভয়কামী লোকদের মনমানসিকতা আসলে কোন পর্যায়ের। বিরুদ্ধ মতবাদকে নিশ্চিহ্ন করার ফ্যাসিস্ট চিন্তাভাবনা এদের মধ্যে শতভাগ বিদ্যমান এবং এদের চিন্তা-ধারণা ও লাইফস্টাইলের উপর বাধা আসতে পারে এমন যে কোন কিছুর বিরুদ্ধে তারা প্রচন্ড উগ্র এবং দলবদ্ধ অশ্লীল আক্রমণ তাদের রক্তে।
এই উগ্র, প্রতিক্রিয়াশীল, অশ্লীল এবং ভন্ড জনগোষ্ঠীটি ফেসবুকে অনেকবারই আমাদের পেজটির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছে; অশ্লীল আর উগ্র ভাষায় গালিগালাজ করেছে অনলাইনে। এক কথায় বিরুদ্ধ কোন কিছুই এরা সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু, আমরা কখনোই সমকামিতার পক্ষে প্রচারণা চালানো পেজগুলোর বিরুদ্ধে কখনোই রিপোর্ট করি নাই; তাদের পেজে গিয়ে অশ্লীল আর উগ্র ভাষায় গালাগালি করা তো দূরের কথা...!
আজ এদের অবস্থা এমন যে, ভবিষ্যতে এরা বাংলাদেশে যারা সমকামিতা আর উভয়কামিতার নামে নোংরামি ছড়ানোর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদেরকে সরাসরি বাস্তব জগতেও আক্রমণের স্বীকার বানাতে পারে – এমন ধারণাও ঊড়িয়ে দেয়া যায়না। কারণ, এদের হাতটা যথেষ্ট শক্তিশালী আর লম্বা – সমকামিতা আর উভয়কামিতার স্বীকৃতি বা প্রচারের জন্য এরা দেশে বিদেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করে চলেছে। বিদেশে এদের পক্ষে লবিয়িস্ট গ্রুপের ক্ষমতাও কমনা। আর যারা ভন্ড, অসভ্য ও নোংরা, তাদের পক্ষে কোন কিছুই অসম্ভব না।
(৫)
এরা বাংলাদেশে ধীরে ধীরে যথষ্ট শক্তি সঞ্চয় করেছে। ‘বয়েজ অব বাংলাদেশ’ নামে বাংলাদেশে ছেলে সমকামীদের সংগঠনটি নিয়মিত ইভেন্ট আর প্রোগ্রাম অরগানাইজ করে যাচ্ছে। তা তারা করতেই পারে; সেটা করার অধিকার তাদের আছে; যেমন সমকামিতা ও উভয়কামিতার নামে সমাজে ছড়ানো বিকৃতি রোধ করার বিরুদ্ধে কথা বলার ও প্রচার চালানোর অধিকার আমাদেরও রয়েছে। আমরা স্বীকার করি সমকামিতার নামে সবটুকুই বিকৃত না বা অস্বাভাবিক না।
কিছু মানুষ চাইলেও বিপরীতগামী হতে পারবেনা; কারণ প্রকৃতিই তাদের এভাবে তৈরি করেছে। কিন্তু, যুক্তি ও তথ্য-প্রমাণ দিয়ে আমরা এটা অন্ততঃ এই প্রবন্ধে বোঝাতে পেরেছি যে সমকামিতা ও উভয়কামিতার নামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা হচ্ছে, তা অসুস্থতা আর বিকৃতিরই নামান্তর – আর এই জিনিসটাই সমকামী ও উভয়কামি মানুষজন আর তাদের সমর্থকেরা মেনে নিতে চাননা। আপনি তাদের সমকামিতা বা উভয়কামিতার বিরুদ্ধে যতই কঠিন যুক্তি দেখান না কেন, এগুলোর অসারতা যতটাই তুলে ধরেননা কেন, তারা শেষ পর্যন্ত একটা কথাই বলবে, “মানুষ সমকামি হবে না উভয়কামি হবে কিনা, সেটা তাঁর পার্সোনাল চয়েজ”, এবং তারা ঘুরে-ফিরে এই কথাটাই বলবে। এটা যেন ধর্ম মৌলবাদী রাজনীতির প্রচারকারীদের মতই সেই এক গোঁ, যখন তারা ধর্ম নিয়ে কোন কিছু কাউকে বোঝাতে যায়, তখন শেষ পর্যন্ত একটা কথাই বলবে, “ভাই, আপনি কি ইশ্বরে বিশ্বাস করেন না...”।
সমকামীতা কোন কোন ক্ষেত্রে হয়তো স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেয়া যায়; কিন্তু আবার উভয়কামীতা কেন? উভয়কামীতার ক্ষেত্রে ঘৃণ্য ব্যাপারতা হল এখানে একজন নারী বা পুরুষ নারী-পুরুষ সবার সাথেই রিলেশান, স্পষ্ট করে বলতে গেলে সেক্সুয়াল রিলেশান তৈরি করে। এখানে উল্লেখযোগ্য এই যে, সমকামী কাপলদের হয়তো একজন পার্টনার নিয়ে জীবনে চলতে দেখা যায়; কিন্তু, উভয়কামী যেহেতু ছেলে-মেয়ে উভয়ের প্রতিই আকর্ষিত, তাই এখানে সে পার্টনার কাকে বানাবে? কাজেই, উভয়কামীতায় কোন মেন্টাল এটাচমেন্ট বা কমিটমেন্ট থাকেনা সেক্সুয়ায়াল পারভারসন ছাড়া।
কাজেই, উভয়কামীতার মত নোংরা জিনিসকে কেন বৈধতা দিতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তরেও সমকামী, উভয়কামী লোকজন এবং তাদের সমর্থকেরা ঘুরে-ফিরে একই কথা বলবেন, “……এটা মানুষের ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা।”
কিন্তু, সমকামিতাকে, উভয়কামিতাকে বা এই ধরণের আচরণকে যে চিকিৎসা বা মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব, সেটাও অস্বীকার করা যায়না। নিচের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করলে আপনারা সেটার সত্যতা উপলব্ধি করবেনঃ
http://www.drcsilverstein.com/publications/history
http://www.skepticink.com/gps/2013/11/07/treating-homosexuality-as-a-dis...


এর স্বপক্ষে অত্যন্ত শক্ত উদাহরণ হল প্রাক্তন ফ্রেঞ্চ টেনিস খেলোয়াড় আয়ামেলি মরেসমো, যে কিনা তাঁর এক সময়ের লেসবিয়ান লাইফ থেকে বের হয়ে পরবর্তীতে একজন বয়ফ্রেন্ডও জোগাড় করে নেয়; জোর গুজব আছে যে তারা বিয়েও করেছে এবং অ্যামেলি প্রেগন্যান্টও হয়েছেন। চাইলে এরকম আরও অনেকের উদাহরণই দেয়া যায়, বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে...।
http://en.mediamass.net/people/amelie-mauresmo/engaged.html
তাইতো, বলা যায়, বাংলাদেশে অভিজিৎ রায়, দেশের বাইরে রেইনার এবারটসহ যারা কিনা বাংলাদেশে সমকামিতা ও উভয়কামিতাকে প্রমোট করছেন, তারা নোংরামি আর বিকৃতিকেই প্রমোট করছেন। ধরমান্ধতা ও কূপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে একজন অভিজিৎ রায়ের অবস্থানকে স্বাগত জানানো যায়; কিন্তু সঙ্গত কারণেই সমকামিতা ও উভয়কামিতার পক্ষে অভিজিৎ ও তাদের সমমনাদের অবস্থানকে নয়।
পরিশিষ্টঃ আমার মনে হয় সমকামিতা আর উভয়কামিতাকে নতুনভাবে দেখার সময় এসেছে; এর নামে সমাজে চলে আসা নোংরামি আর বিকৃতির বিরুদ্ধে আরও জোরালোভাবে কথা বলার সময়ও সমাগত। কিছু মানুষ যে জন্মগত বা স্বভাভগতভাবে সমকামী সেটা আমরা অস্বীকার করিনা; কিন্তু, সমকামীতা আর উভয়কামিতার নামে চলে আসা বেশিরভাগ বিষয়ই স্বাভাবিকতার বা সুস্থতার মধ্যে পড়েনা। তাই ঢালাওভাবে এবং আগাগোড়াই সমকামিতাকে গ্রহণযোগ্যতা এবং অনুমোদন দেয়াটা মানবিকতা আর মানুষের সুস্থ বিকাশেরই পরিপন্থি।


Tuesday, October 27, 2015

মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা জানা প্রয়োজন!

সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে আলোচনার পূর্বে প্রথমে মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
যেমন মানুষ প্লেন আবিস্কার করেছে, কম্পিউটার আবিস্কার করেছে, মোবাইল আবিস্কার করেছে, অনেক ঔষধ আবিস্কার করেছে।
যারা আবিস্কার করে তাদেরকে বলে আবিস্কারক।
ইংলিশ ডিকশনারী অনুযায়ী (ডিসকভারিয়ান / ইনভেন্টর) বলে।
প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে কেন ক্রিয়েটর বলা হয়না। 
ক্রিয়েটর হতে হলে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। 
যেমন: মহাবিশ্ব থেকে কোন উপাদান/পদার্থ গ্রহন না করেই নিজ থেকে সবকিছু তৈরী করতে হবে। 
(হও বললেই পদার্থ অথবা উপাদান হয়ে যাবে) যদি পদার্থ এবং উপাদানসমূহ নিজ থেকে সৃষ্টি করতে পারে তাহলেই তাকে সৃষ্টিকর্তা বলা হবে।
তাহলে আমাদের অর্থাৎ মানবজাতির ক্ষমতা এখানেই শেষ। 
মানুষ নিজ থেকে কোন কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা। 
এই জন্য নোবেল বিজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী প্রফেসর এম এ সালামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল পৃথিবী সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন “তিনি বললেন তোমরা আমাকে উপাদান দাও আমি তোমাদের পৃথিবী উপহার দেব” তার মানে এই বিজ্ঞানী মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন মানুষ উপাদান সৃষ্টি করতে পারেনা।
মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ মতবাদ দিযেছেন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মার্শাল। তিনি উৎপাদন অধ্যায়ে বলেন “প্রকৃতপক্ষে মানুষ কোন কিছুই সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়, মানুষ শুধু উপাদান গুলোর সমম্বয় সাধন করে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পন্য আবিস্কার করতে সক্ষম”।
তাহলে অধ্যাপক মার্শালও স্পষ্ট করে মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন যে মানুষ কোন উপাদান অথবা পদার্থ সৃষ্টি করতে সক্ষম নয় এবং এটা মানুষের ক্ষমতার বাইরে।
আরও সহজভাবে বুঝানোর জন্য একটি অরেঞ্জ জুস এর উদাহরণ তুলে ধরলাম।
পানি + কমলালেবু = অরেঞ্জ জুস। এখন যদি কোন মানুষকে বলা হয় আপনি কমলালেবু সৃষ্টি করেন তাহলে সে পারবে না। 
আপনি পানি সৃষ্টি করেনে তাহলে সে পারবেনা।
মানুষ দুটো উপাদানকে সমম্বয় সাধন করে জুস তৈরী করতে পারে কিন্তু কোন উপাদান সৃষ্টি করতে অতিতে পারেনি, বর্তমানে পারবেনা, ভবিষ্যতেও কোন সম্ভাবনা নেই,
১০০% গ্যারাটি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে: মানুষ নামের এই বিষ্ময়কার প্রাণীটি কে সৃষ্টি করলো। 
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে অবাক ও বিস্ময়কর প্রাণী। 
বিশ্বভ্রহ্মান্ডের আশ্চর্যজনক উপাদান/পদার্থ।
কে সৃষ্টি করলো প্রাণীসমূহের বেড়ে ওঠা, বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদানাসমূহ।
এখানে চিন্তাশীল মানুষদের জন্য আছে গবেষণা করার অন্যতম.



Monday, October 26, 2015

আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল এর গতি বাড়িয়ে নিন সহজেই ।

আমাদের মাঝে যারা স্মার্টফোন ব্যাবহার করি তার মধ্যে ৭০ ভাগ ইউজার এন্ড্রয়েড ব্যাবহার করি। যেহেতু এন্ড্রয়েড একটি লিনাক্স বেইসড অপারেটিং সিস্টেম তাই কম দামের মধ্যেই এই ওএস টি আমরা ব্যাবহার করতে পারছি। তবে ব্যাবহার করাটাই শেষ না। ইউজ করতে গিয়ে আমরা অনেক প্রশ্ন জেগে উঠে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ও কমন একটি প্রশ্ন হলো যা আমরা সবাই কমবেশি করে থাকি তা হল ভাই আমার মোবাইল টা SLOW হয়ে গেছে। এটার স্পীড টা কিভাবে বাড়াবো? আমার এন্ড্রয়েড মোবাইল টির পারফরমেন্স আরও ইম্প্রুভ করবো কিভাবে?? যদিও প্রশ্ন টি ছোট তবে এটার উত্তর অথবা সমাধান করতে হলে একটু পথ আপনাকে হাঁটা লাগবে। তাই আমি আজ এই স্পীড বাড়ানো ও পারফরমেন্স ইম্প্রুভ নিয়ে বিস্তারিত সমাধান দিচ্ছি যা আপনি অনুসরন করলে আপনার ডিভাইস এর ৩০-৪০% স্পীড বাড়াতে পারবেন।

১- ডিভাইস সম্পর্কে জানুনঃ সবার আগে আপনি আপনার নিজের মোবাইল অথবা এন্ড্রয়েড ডিভাইস সম্পর্কে জানুন। যেমন আপনার মোবাইল এর মডেল, এটার প্রসেসর স্পীড, RAM কতটুকু আছে ইত্যাদি। কারন আপনি যদি বুঝেন যে এক লিটার বোতল এ দুই লিটার পানি রাখা যাবেনা তাহলে সেই বোতল এ দুই লিটার পানি রাখার চিন্তা করবেন না। এন্ড্রয়েড ডিভাইস এর পারফরমেন্স ও স্পীড অনেক টা এরকমই। কারন আপনার ডিভাইস এর কেপাসিটি এর উপর ডিপেন্ড করবে তার স্পীড কতটা হবে এন্ড্রয়েড ভার্সন এর উপর না।

২- ভার্সন ও সিস্টেম আপডেট করুন– এবার আসুন আপনার মোবাইল এ চালিত এন্ড্রয়েড এর ফার্মওয়্যার ভার্সন টি আপডেট করে নিন। যেমন এখন জেলি বিন 4.2.2 ভার্সন চলছে কিন্তু আপনি ইউজ করছেন ICS 4.0 ভার্সন। তাই আপনার ডিভাইস টি তুলনামূলক ভাবে SLOW থাকবে। তাই আপডেট করে নিন। তবে হাঁ… আপডেট করার আগে ১ নাম্বার এ যেটা বলেছি সেটা মাস্ট দেখতে হবে। মানে নতুন আপডেট আপনার ডিভাইস এ চলবে কিনা অথবা আপনার ডিভাইস সেটা সাপোর্ট করবে কিনা।

৩- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করুন– আমাদের ডিভাইস SLOW হয়ে যাওয়ার প্রধান কারন এই অ্যাপ। কারন আমরা অনেকেই করি কি অ্যাপ দেখলেই ডাউনলোড ও ইন্সটল করি যা আমরা ইউজ করিনা। করলেও মাঝে মাঝে ইউজ করি বলতে গেলে করি না বললেই চলে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই অ্যাপ টি আপনার ডিভাইস এর জায়গা দখল করে আছে। অনেক অ্যাপ আছে বেকগ্রাউন্ড এ রানিং থাকে আর তাই একটু হলেও RAM ইউজ হচ্ছে। ধরেন এরকম ৫ টি অ্যাপস আছে আপনার ডিভাইস এ । যদি ৫ টি ৫এমবি করে RAM খায় তাহলে ২৫ এমবি যাচ্ছে এবং এটি অযথা। এতে করে আপনার ডিভাইস স্পীড কমে যাচ্ছে। তাই অযথা অ্যাপ গুলো রিমুভ করুন এখনই।

৪- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিসেবল করুন–  ৩ নাম্বার পয়েন্ট থেকে ধরে নিলাম আপনি অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ রিমুভ করলেন। এবার আসুন জেগুলা রেখেছেন সেগুলারে একটু মডিফাই করি। যেমন ধরুন Skype,Nimbuzz,Fring,Facebook,Twitter,Viber,Tango,WhatsApp ইত্যাদি অ্যাপ গুলো আমরা বেশিরভাগ ইউজার রা ইউজ করি। এখানে কথা হল এই অ্যাপ এর সবগুলাই ওপেন করলে তা ব্যাকগ্রাউন্ড এ রানিং থাকে যতক্ষণ না আপনি তাদের স্টপ করবেন। সুতরাং ২৪ ঘণ্টা যেই সার্ভিস টি তে আপনি অনলাইন থাকার দরকার নেই সেটি স্টপ অথবা ডিসেবল করে নিন। Settings>App>Running এ গেলে আপনি দেখতে পারবেন কোন অ্যাপ গুলো এখন রানিং এ আছে। যেমন আমি একটি অ্যাপ স্টপ করলাম যা ফাও ফাও ১০ এমবি RAM ইউজ করতেছিল এবং সেখানে আমার অনলাইন থাকার দরকার নাই।

৫- আপডেট অ্যাপঃ রানিং অ্যাপ ও স্টপ করলেন। আসুন এবার আরেকধাপ কিছু করি। আমি যেই অ্যাপ গুলো ব্যাবহার করছি তার মধ্যে এই সপ্তাহে কোন না কোন একটি অ্যাপ নিউ ভার্সন আসতে পারে। মানে সেটি আপডেট করা দরকার। আমরা অনেকে মনে করি অ্যাপ আপডেট করে শুধু শুধু ফাও ইন্টারনেট খরচ হচ্ছে । কিন্তু আসলে তা না… অ্যাপ ডেভেলপাররা সবসময় তাদের অ্যাপ গুলো কে এমনভাবে করতেছে যাতে আপনি খুব ভালভাবে তাদের অ্যাপ ইউজ করতে পারেন। এছাড়াও নতুন নতুন অনেক ফিচার এড করে তাদের অ্যাপ এ । তাই কিছু সময় পর পর অনেক অ্যাপ এর আপডেট পাওয়া যায়। তাই আপনার ডিভাইস এ থাকা অ্যাপ গুলো আপডেট করে নিন। আপডেট করতে Play Store>Option>My Apps এ যান। ওখানে আপনার ডিভাইস এ ইন্সটল করা অ্যাপ গুলোর লিস্ট পাবেন এবং যে অ্যাপ গুলোর আপডেট আছে সেগুলো ও দেখাবে। নিচের ছবিতে দেখুন উদাহরন…

৬- ভালো মানের এসডি/মেমোরি কার্ডঃ এখানে আরেকটি বড় ফেক্ট আপনার ডিভাইস এর স্পীড এ। আমরা মাস্ট মেমোরি কার্ড ব্যাবহার করি প্রায় সকলেই। যদিও আমি করিনা কারন আমার ডিভাইস এর সাথে আসা মেমোরি আমার জন্যে যথেষ্ট কারন মোবাইল টা ওরকম ব্যাবহার করা হয় না শুদু রিসার্চ এর কাজে। যাই হোক, আপনাদের জন্যে বলছি… আমরা অনেকে করি কি ২০০-৩০০ টাকা দিয়া একটা চীনা মেমোরি কিনে সেটা মোবাইল এ ব্যাবহার করি। এখানেই বড় ভুল আমাদের। কারন সাইজ এ এক রকম হলেও চীনা অথবা কম দামি মেমোরি কার্ড এর স্পীড অনেক কম থাকে। অ্যাপল এর ম্যাক ও উইন্ডোজ পিসি এর কনফিগ এক রকমই থাকে তবুও অ্যাপল এর ম্যাক এর স্পীড বেশি। কারন ম্যাক এ ব্যাবহার করা হয় SSD ( Solid State Drive) আর উইন্ডোজ পিসি তে ব্যাবহার করা হয় HDD ( Hard Disk Drive ) । এইটুকু পার্থক্য যা ম্যাক এ ব্যাবহার করা হয়। আর এই ম্যাক এ ব্যাবহার করা এই এসএসডি এর স্পীড HDD এর তুলনায় কয়েকগুন বেশি তাই ম্যাক এর স্পীড বেশি হয়। তাই ভালো মানের মেমোরি কার্ড ব্যাবহার করুন।

৭- Widgets এর ব্যাবহারঃ আরেকটা ইম্পরট্যান্ট ব্যাপার হলো এই Widgets এর বেবহার। আমরা সবাই করি কি হোমস্ক্রিন গুলো রে বাগান এর মতো সাজাই  Widgets দিয়া। হুদাই ফাও ফাও… এতো সাজাইয়া লাভ কি। বুঝলাম মোবাইল টা স্টাইলিশ করতেছেন। কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে স্টাইলিশ করতে গিয়া আপনার মোবাইল টা যে অচল হইয়া যাইতেছে!!! এছাড়াও মোবাইল এ আছে ৫০০এমবি RAM. কিন্তু আপনি যে পার্লার এর দায়িত্ব নিছেন সেটায় খরচ হয়ে যাচ্ছে এমনকি ২০০ MB RAM. এছাড়াও এন্ড্রয়েড সিস্টেম এ লাগে ২০০ MB এর মতো। তাইলে আর থাকলো কি!! তার মানে আপনার মোবাইল টি গণ্ডার এর মতো কাজ করবে। টাচ করবেন এখন আর সেটা রেসপন্স করবে ৫ সেকেন্ড পর। তাই বলছি যত পারবেন কম  Widgets বেবহার করুন।

৮- লাইভ ওয়ালপেপার এর ব্যাবহারঃ আমরা অনেকেই  Live Wallpapers ইউজ করি। এখানে ইউজ করায় বাধা দিলে আমি মাইর ও খাইতে পারি কারন এটা একটু ডায়নামিক ভাব আসে মোবাইল এ । আমিও আগে  Live Wallpapers ইউজ করতাম তবে এখন করিনা। তবে এটা সত্যি যে  Live Wallpapers ইউজ করলে এটি মোবাইল এর অনেকটা মেমোরি ইউজ করে যা অনেকটা অপ্রয়োজনীয়। তাই বলছি পারলে এটা ইউজ না করলেও হয় যদি আপনি আপনার ডিভাইস এর স্পীড ইম্প্রুভ করতে চান।

৯-  Syncing অফ রাখুনঃ এন্ড্রয়েড সিস্টেম এর আরেকটি সুবিধা হলো লাইভ Syncing । আমাদের মাঝে অনেকেই এটা ইউজ করি। তবে বলছি কি খুব বেশি দরকার না হলে এটা ইউজ কইরেন না। কারন আপনার ডিভাইস টি ২৪ঘণ্টা ইন্টারনেট এ কানেক্ট থাকবে এই অপশন অন থাকলে এবং ডিভাইস এর মেমোরি ইউজ হবে। এতে করে ডিভাইস টি একটু স্লো হবে এবং ইন্টারনেট ডাটা খরচ হবে। ( আমি এটা সবসময় অন রাখি কারন এটা আমার অনেক দরকার। যেমন উপরে দেয়া ছবিগুলো Syncing এর মাধ্যমে আমার পিসি তে পেয়েছি, ক্যাবল দিয়া কানেক্ট করতে হয় নি এছাড়াও  আমার নেট ওয়াইফাই এ চলে।)

১০-  Animations অফ রাখুনঃ এই অপশন টি আমাদের মাঝে ৭০% ইউজাররা জানিনা। তবে এটা বাই ডিফল্ট অন করা থাকে। তবে এটা হুদাই আকামলা না থাকলেও প্রবলেম নাই। আমি অফ করেই রেখেছি শুরু থেকে। তার মানে এই না আমি মোবাইল ইউজ এ মজা পাই না। আসুন দেখি কিভাবে  Animations অফ রাখতে হবে। এটি অফ করার জন্যে- Settings > Developer Options এ যান। এর পর নিচের ছবিতে দেখুন আমি তিনটি অপশন অফ রেখেছি। আপনি চাইলে তিনটি অথবা প্রথম দুইটি অফ রাখলেই হবে।

এই ১০ টি টিপস আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি… এবং আপনি এই টিপস গুলো অনুসরন করলে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি যে আপনার ডিভাইস এর স্পীড ও পারফরমেন্স বাড়বেই। তবে হাঁ অনেকেই বলতে পারেন ভাই অনেক অ্যাপ আছে যেমন মেমোরি বুস্টার,স্পীড বুস্টার ইত্যাদি। তো আমরা কি সেগুলা ইউজ করতে পারি?? হাঁ পারেন… তবে আমি বলি কি সেগুলা ইউজ করা তা হেলথ এর জন্য উপকারি না। কারন ওইসব অ্যাপ ইউজ করলে ডিভাইস বেশিদিন টিকে না। তবে আমিও ইউজ করি কারন এক ডিভাইস সারাজীবন ইউজ করবো নাকি!! আচ্ছা ঠিক আছে… বুঝলাম এখন প্রশ্ন করবেন তাহলে ওইসব অ্যাপ এর মধ্যে কোনটা বেশি ভালো?? কোনটা ইউজ করবো?? আপনাদের ওই সব অ্যাপ নিয়ে বিস্তারিত লিখবো পরের পোস্ট এ। ততক্ষন আমাদের সাথেই থাকুন।

Source : http://bddroid.com/bddr/category/bangla-android-tips

নিজের মধ্যে যে দোষগুলো আছে

ও গুলোর কথা কেউ বললে রাগিনা। বরঞ্চ শোধরানোর চেষ্টা করি... মিথ্যা বলার চেষ্টা মোটেও করিনা। মানুষের সাথে সহজে মিশি। তাই বলে 'মূলো সবজী' না! যে এক্কেবারে সস্তা...!

₹ নতুন একজন বন্ধু না হউক, কিন্তু নতুন একজন শত্রু হবে কেনো ?

₹ যে তোমার প্রশংসা করে, তার চেয়ে বেশি মূল্যায়ন করো যে তোমার সমালোচনা করে !

₹ বাহির থেকে দেখতে অনেক কিছুই ভাললাগে। কিন্তু ভিতরে হয়তো ভালো নাও হতে পারে। তাই আপনার ভালোলাগাকে একটু সময় নিয়ে প্রকাশ করুন। সুখ পান আর না পান। অন্তত দুঃখ পাবেন না।

₹ যার মা,বাবা নেই সে এতিম। কিন্তু তারচেয়ে বড় এতিম সে,
যার জীবনে ভালো একজন বন্ধু নেই !

₹ জীবনে হাজার রকমের স্টাইল থাকে। আমার মতে তার  মধ্যে সব চেয়ে বড় স্টাইল হলো "কথা দিয়ে কথা রাখা"।

₹ আমরা তখন খুব ভালো বিচারক, যখন আমরা নিজে কোন ভুল করি, আর তখন খুব ভালো আইনজীবী, যখন অন্য কেউ
ভুল করে। 

₹ চলে যেতে চাইলে যাও, কিন্তু যাওয়ার আগে বলে যেও। যাতে করে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করে আমার মূল্যবান
সময় নষ্ট করতে না হয়।

₹ বিশ্বাস হইলো ডিমের মতো। একবার ভাঙলেই শেষ...!

₹ যার পেটে কথা হজম হয়না তারে গোপন
কথা বলার চেয়ে ভালো পোস্টার ছাপিয়ে দেয়ালে দেয়ালে লাগিয়ে দেওয়া...!

₹ সব হারানোর মাঝেই কিছুকিছু পাওয়া থাকে। প্রকৃত হতভাগা সে, যে কিছু হারিয়েও বুঝলোনা সে কি পেয়েছে ...!

₹ মানুষের হাসিটি এমন হওয়া উচিত্, যে হাসি দেখার জন্য কেউ না কেউ রাত - দিন - সপ্তাহ - মাস - বছর অপেক্ষা করে! এমন হওয়া উচিৎ না! যে হাঁসি দেখে কেউ না কেউ বলে ফেলে "এতো হাঁসো কেনো?"

₹ সবার হৃদয়ের ভালোবাসার জায়গায় থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। ঘৃনা বিরক্তিতেও থাকা যায় বরঞ্চ ওটাই আমার পছন্দ। কারন মানুষ প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে বন্ধুর চেয়ে শত্রুকে বেশি ভাবে।

ভালোবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা কি?প্রেম বলতে কি বুঝি?


বিজ্ঞানের ভাষায়, প্রেম বা ভালবাসা হলো আমাদের মস্তিষ্কের থ্যালামাসের একধরনের রাসায়নিক অবস্থা | যার জন্য একাধারে দায়ী আমাদের জিন। প্রেমের প্রথমদিকে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গাল – কান লাল হয়ে যাওয়া, হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার উপসর্গ গুলো দেখা যায়; বিজ্ঞানীদের মতে সেসবের পেছনে দায়ী হলো ডোপামিন, নরেপিনেফ্রিন হরমোন।
মাঝে মাঝে দেখা যায় কারো কারো প্রেমের আবেগ কমে যায়। তার কারণ মস্তিষ্ক থেকে ওই হরমোনগুলো নিঃসৃত হয় না। আবার এও দেখা গেছে যে কোনো মানুষের শরীরে কৃত্রিমভাবে এই হরমোন রসায়ন প্রয়োগ করা হলে তাদের মাঝে সেই প্রেমের অনুভূতি হয়। প্রেম ভালবাসা যাই বলি না কেন স্বর্গীয় ফরগীয় যাই বলি না কেন রে ভাই সবই রসায়নের রসের খেলা!
ডাঃ. মোহিত কামালের দারুণ একটা বই আছে "মানব মনের গতি প্রকৃতি"। ওখানে দারুণ করে ভালবাসা সহ মনের অন্যান্য রাসায়নিক ব্যাবচ্ছেদ করা হয়েছে’।
তো শ্রাবণের রসায়ন থেকে ঘুরে আসা যাক আরো গভীরে। দেখা যাক প্রেম ভালোবাসা নিয়ে শ্রদ্দেয় অভিজিৎ রায় তাঁর ‘ভালোবাসা কারে কয়’ বইতে কী বলেছেন।
দুই প্রেমিক প্রেমিকার সদা ঘোর লাগা অবস্থার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? এ নিয়ে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ হেলেন ফিশার এবং স্নায়ুচিকিৎসক লুসি ব্রাউন, আর্থার অ্যারোন প্রমুখ বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪০ জন প্রেমে পড়া ছাত্রছাত্রীদের উপর এক গবেষণা চালান। তাদের গবেষণার ধরনটি ছিলো এরকমের। প্রেমিক-প্রেমিকাদের সামনে তাদের ভালবাসার মানুষটির ছবি রাখা হল, এবং তাদের মস্তিষ্কের ফাংশনাল এমআরআই (fMRI) করা হলো। দেখা গেলো, এ সময় তাদের মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল এবং কডেট অংশ উদ্দিপ্ত হচ্ছে, আর সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ডোপামিন নামক এক রাসয়ায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটছে। অবশ্য কারো দেহে ডোপামিন বেশি পাওয়া গেলেই যে সে প্রেমে পড়েছে তা নাও হতে পারে। আসলে নন-রোমান্টিক অন্যান্য কারণেও কিন্তু ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়তে পারে। যেমন, গাঁজা কিংবা কোকেইন সেবন করলে। সেজন্যই আমরা অনেক সময়ই দেখি ভালবাসায় আক্রান্ত মানুষদের আচরণও অনেকটা কোকেইনসেবী ঘোরলাগা অবস্থার মতোই টালমাটাল হয় অনেক সময়ই।
তবে ভালবাসার এই রসায়নে কেবল ডোপামিনই নয় সেই সাথে জড়িত থাকে অক্সিটাইসিন, ভেসোপ্রেসিনসহ নানা ধরনের বিতিকিচ্ছিরি নামের কিছু হরমোন। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই হরমোনগুলো নাকি ‘ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে’ মানে প্রেমিক প্রেমিকার বন্ধন দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে। এমনকি বিজ্ঞানীরা এও বলেন কেউ মনোগামী হবে না বহুগামী হবে – তা অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করছে এই হরমোনগুলোর তারতম্যের উপর। দেখা গেছে রিসেপটর বা গ্রাহক জিনে ভেসোপ্রেসিন হরমোনের আধিক্য থাকলে তা পুরুষের একগামী মনোবৃত্তিকে ত্বরান্বিত করে। বিজ্ঞানীরা প্রেইরি ভোলস আর মোন্টেইন ভোলস নামক দুই ধরনের ইঁদুরের উপর গবেষণা চালিয়ে তারা দেখেছেন, একগামিতা এবং বহুগামিতার মত ব্যাপারগুলো অনেকাংশেই হরমোনের ক্রিয়াশীলতার উপর নির্ভরশীল। এমনকি বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম উপায়ে ভেসোপ্রেসিনের প্রবাহকে আটকে দিয়ে একগামী ইদুঁরকে বহুগামী, কিংবা অতিরিক্ত ভেসোপ্রেসিন প্রবেশ করিয়ে বহুগামী ইঁদুরকে একগামী করে ফেলতে সমর্থ হয়েছেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে তীব্র প্রেমের সময়গুলোতে কেন দ্বিগবিদ্বিগশুন্য নেশার ঘোর লাগা ভাবের উদয় হয়, কেন বুদ্ধিশুদ্ধি একেবারেই লোপ পায়? কেনই বা ভয়ভীতি উবে যায় রাতারাতি? এ সময় বন্ধুদের পরামর্শও মাথায় ঢোকে না। যদি কেউ কুদ্দুসকে বলতো ‘ঐ ব্যাটা কুদ্দুস – সিমির পিছে অযথা ঘুইরা লাভ নাই, ওর জগৎ আর তোর জগৎ আলাদা…’ কুদ্দুসের মাথার দেওয়াল সেই তথ্য পৌঁছুবেই না। কিন্তু কেউ যদি আবার উলটো বলে যে,‘সিমি আজকে তোর সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিলো …’ সাথে সাথেই কুদ্দুসের মনে হবে এ যেন ‘মক্কা বিজয়’! আসলে তীব্রপ্রেমের সময়গুলোতে কেন মানুষজনের বুদ্ধিসুদ্ধি লোপ পায় তার একটা ভালো ব্যাখ্যা আছে বিজ্ঞানীদের কাছে। আমাদের মস্তিস্কে অ্যামাগডালা বলে একটি বাদাম আকৃতির প্রত্যঙ্গ আছে। সেটা এবং মস্তিস্কের কর্টেক্সের কিছু এলাকা আমাদের ভয়-ভীতি নিয়ন্ত্রণ করে, অকস্ম্যাৎ বিপজ্জনক পরিস্থিতি আসলে আমাদের আগাম সতর্ক করে দিতে পারে। দেখা গেছে প্রেমের রোমাঞ্চকর এবং উত্তাল সময়গুলোতে মস্তিকের এ এলাকাগুলোর কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভয় ভীতি কিংবা ‘ক্রিটিকালি’ চিন্তাকরার ব্যাপার স্যাপারগুলো পুরোপুরি লোপ পায় তখন। দুর্মুখেরা বলে, বেশি পরিমাণে গাঁজাভাঙ খেলেও নাকি ঠিক এমনটিই হয়’।

Sunday, October 25, 2015

PC কিংবা Android মোবাইল এর সাহােয্য Trafficmonsoon BD থেকে আয় করুন খুব সহজে 10$ পর্যন্ত bangla বর্ণনা...


https://trafficmonsoon.com/?ref=mahir88

Trafficmonsoon কাজ করতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবেঃ

*ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটার /  laptop / Android  mobile

*একটি ইমেইল একাউন্ট।

* ১টি paypal/ payza account. account খোলার আগেই paypal/payza account খুলতে হবে। acount খোলার সময় paypal/payza এর email দিতে হবে। (বাংলাদেশে paypal support করে না, তই payza দিয়ে dollar withdraw করাই ভালো।

যাদের পেজা নেই তারা  যেকোনো একটি Email দিন এবং পরে সেই Email দিয়ে পেজা অ্যাকাউন্ট কুলে নিবেন। পেজা অ্যাকাউন্ট খুলতে www.payza.com  এ জান।
* দিনে সবোচ্চ 20 মিনিট  সময়

* আর সবথেকে বেশি প্রয়োজন আপনার ইচ্ছা & ধৈয।

কাজের ধাপঃ
1. সঠিকভাবে একাউন্ট তৈরি করা।

2. সব এড সময় মতো দেখা।

3. রেফারেল বানানো।

4. 10টি surf এড নিয়মিত দেখা।  (Referral থাকলে আবশ্যক)

5. ডলার কেস আউট করা।

অথ্যাৎ টাকা আয়  থেকে শুরু করে হাতে পাওয়ার  A to Z.

এবার কাজ শুরু করা যাকঃ

1. সঠিকভাবে একাউন্ট তৈরি করাঃ প্রথমে আপনাকে Trafficmonsoon রেজিস্টার করতে হবে। রেজিস্টোর করতে নিচে Click here ক্লিক করুন।

https://trafficmonsoon.com/?ref=mahir88

এবার সাইটের হোম পেইজটি আসবে এখান থেকে Signup button এ ক্লিক করে নিচের তথ্যগলো সঠিক ভাবে দিয়ে আপনার একাউন্টটি তৈরি করুন। এবার যে পেইজটি আসবে তাতে ক্লিক করে নিচের তথ্যগলো সঠিক ভাবে দিয়ে আপনার Trafficmonsoon একাউন্টটি তৈরি করুন।


* First Name : or Last Name : (এখানে আপনার নাম দিন)

* Phone: (এখানে আপনার মোবাইল নম্বার দিন)অবশ্যই আপনি সবসময় যে নাম্বার ব্যবহার করেন সেই নাম্বার দিবেন।

* Email Address : (এখানে আপনার ইমেইল একাউন্টটি দিন। এই একাউন্টে আপনার একাউন্টের সকল তথ্য দেওযা হবে)

* Retype E-mail: (একই ইমেইল একাউন্ট আবার দিন।)

* Enter Username: (এখানে একটি ইউজার নেইম নির্বাচন করুন। এর মধ্যে কোনো স্পেইস হবে না)

* Setup a Withdraw Code  & Retype Code: (এখানে চার ডিজিটের বেশি একটি পিন নম্বার দিন। ডলার withdraw করার সময় এই পিন দিতে হবে। এই pin টি মনে রখবেন)

* Define Password (Letters and Numbers): or Retype Password: (এখানে আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন।)

* Payment Information: (এখানে যদি আপনার এতিমধ্যে পেইজা অথবা পেপাল অথবা ‍সলিডসার্স্টে একাউন্ট থাকে তাহলে দিয়ে দিন।  (বাংলাদেশে paypal support করে না, তই payza দিয়ে dollar withdraw করাই ভালো।

এবার I understand and fully agree to ট্রাফিকমনসুন Terms and Conditions Including that any purchase of service is non-refundable. মার্ক করে কেপচা পূরণ করে “Proceed” এ ক্লিক করুন। এবার আপনি একটি সমস্যা দেখতে পারেন যে, সাইট আপনাকে বলবে আপনার আইপি দিয়ে ইতিমধ্যে একটি একাউন্ট খুলা হয়েগিয়েছে। এখন আপনি কি করবেন। আমি বলে দিচ্ছি, আপনি আপনার মডেমটি ডিকানেক্ট করে আবার কানেক্ট করুন। এবার Setup a Withdraw Code: or Retype Code: এবং Define Password (Letters and Numbers): or Retype Password: গুলো আবার আগের মত দিয়ে “Proceed” এ ক্লিক করুন। যদি আবারও না হয় তাহলে এভাবে দুই তিনবার চেষ্টা করার পরই একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।

“procced” button এ click করলে যদি আসে যে A verification code was sent to your account তাহলে বুঝবেন আপনার account হয়ে গেছে। এখন আনার gmail/ yahoo তে log in করুন। যদি উপরের লিখার মত না আসে তাহলে আপনার internet connection Disconnect করে আবার connect করে কয়েক বার চেষ্টা করুন, আসা করি হয়ে যাবে।

(Note: IP সমস্যা এর জন্য এমন না হতে পারে। এ সমস্যা দূর করতে Connection Off করে On করুন। বেশ কিছুবার করতে হতে পারে। তবে Register Under System এ যাবেন না।)
এবার আপনাকে আপনার Trafficmonsoon একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। ভেরিফাই করতে আপনার ইমেইল একাউন্ট চেক করুন।
ট্রাফিকমনসুন থেকে আপনাকে একটি ইমেল দেওয়া হবে। ইমেইলে আপনার একউন্টের তথ্যসহ আপনার একাউন্ট একটিব করার একটি লিংক দেওয়া হবে। লিংকটিতে ক্লিক করে আপনার একাউন্টে পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার একাউন্টে লগিং করুন। আপনার একাউন্ট তৈরির কাজ শেষ।

2. সব এড সময় মতো দেখাঃ একাউন্ট তৈরি করার পর আপনার কাজ হল প্রতিদিন নিয়মিত এডগুলো দেখা।  এড দেখতে দিনে ২-৩ বার  প্রতি ৩-৪ঘণ্টা পর পর account এ একাউন্টে লগিং করুন। [একাউন্টে লগিং করার সময়ও IP সমস্যা হবে। সমস্যা হলে  মডেম ডিসকানেক্ট করে আবার কানেক্ট করে লগিং করুন।] লগিং করে কিছু এড পাবেন এড ভেলু 0.01 ও 0.02 হয় প্রতিদিন এই সাইট তিনবার এড দেয় তিনবারে ১০-২০ টি এড দেয়। প্রতিদিন নিয়মিত এডগুলো দেখুন। প্রতিদিন রাত ১২টার পর;  দর  এড দেয় তারপর সকাল ৫টার পর আবার এড দেয় আবার বিকালেও কিছু কিছু এড দেয় তবে প্রতিদিন দেয় না। ads দেখার ধাপ সমুহ… account এ login করে নিচে গেলে নিচের picture এর মত দেখতে পাবেন। তবে রেজিস্টার করার সাথে সাথে এতো add নাও পেতে পারেন, তবে ২-৩ ঘন্টা পর পেয়ে যাবেন। তখন claim button click করে নিচের ধাপ সমুহ অনুসরন করুন… claim button এ click করলে নিচের picture এর মত আসবে…

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে নিচের মত আসবে। তখন captcha টা box এ সংখ্যা লিখে “credit click” button এ click করুন।

box এ সংখ্যা লিখে “credit click” button এ click করলে নিচের মত আসলে বুজবেন আপনি সফল ভাবে ad দেখেছেন।

এমন আসলে বুঝবেন আপনার earn হয়েছে। তখন আপনার account এ $ যোগ হয়ে গেছে।
এখন “back to account” button এ click করে এভাবে সব ad গুলো 3-4 ঘণ্টা পর পর দিনে 4-5 বার account এ log in করে  দেখুন।
3. রেফারেল বানানোঃ এই সাইটের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে ১০০% রেফারেল কমিশন। আপনি যেভাবে ১০-২০ সেন্ট প্র্রতিদিন পাবেন টিক একই ভাবে আপনার রেফারেল যদি নিয়মিত কাজ করে তাহলে আপনার রেফারেল থেকে আপনি আরও ১০-২০ পাবেন প্রতিদিন। তাহলে আপনার যদি ১ জন রেফারেল থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন আয় করতে পারবেন ১০ + ১০ = ২০ সেন্ট। এখন আপনি যত বেশি রেফারেল করতে পারবেন আপনি তত বেশি আয় করতে পারবেন।

★★★


যদি আপনি Android Phone ব্যবহার করেন তবে,

** কয়েকদিন আগে থেকে mCent এর Referrals এ Amoumt
বৃদ্ধি করেছে । আগে ছিলো 10 টাকা আর এখন
50 টাকা । So, যারা এখনো mCent ব্যবহার
করেননি তারা জলদি নিচের Trick খেয়াল করুন

----------------------------------------------
প্রথমে এই Link থেকে App টি নামিয়ে নিন।
I https://mcent.com
# যা করতে হবে..................
১) আপনার Phone Number দিয়ে Sign Up করুন ।
২) mCent ওপেন করে দেখুন নিচে কিছু App অথবা
Game দেওয়া আছে ।
৩) ইচ্ছা মত একটা App এ ক্লিক করুন ।
৪) Get The App এ Click করুন ।
৫) Uc Browser অথবা Opera Mini সিলেক্ট করুন ।
দেখবেন Play Store এ Download শুরু হবে ।
৬) Download শেষ হলে সাথে সাথে Play Store
থেকে App টা ওপেন করে ৩০ সেকেন্ড Wait করুন

৭) এরপর Account চেক করে দেখুন টাকা Add হয়ে
যাবে ।
Note : -----
* Sign Up করার সাথে সাথে যদি কোনো App না
থাকে তবে Log Out করে আবার Log In করুন......
দেখবেন App Show করবে ।
* Ekhanei.Com এর App টা শুধু Open করলেই হবে না
ঐটাতে আবার Post Add করতে হয়..... So, সব
থেকে ভালো হয় TakaTap নামের App টা Install
দেওয়া ।
* Referrals শেয়ার করে বেশী টাকা Earn করতে
পারবেন ।

★★★
***  অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনি নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারেন:-
১. গুগল এডসেন্স
২. ফিল্যান্সিং
৩. আউটসোসিং
এই কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

*** ইন্টারনেট থেকে আয় করার ভিবিন্ন মাধ্যম রয়েছে
ভালো ডোমেইন হোস্টিং নিয়ে নিজের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয় করা যায়

ইউটিউবে  চ্যানেল খুলে ভিডিও শেয়ার এর মাধ্যমে
গুগল অ্যাডসেন্স কাজ করে
থেকে প্রতিমাসে হাজার
ডলার আয় করা যায়
 ভালো আউটসোর্সিং এর কাজ করে
অনলাইনে পিটিসি সাইটে কাজ করে
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ জানলে ইন্টারনেটের বড় কোনো কোম্পানির ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিয়ে বা ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনের টিউটোরিয়াল তৈরী করে বিক্রি এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব
বর্তমানে ইনটারনেটে ভিবিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে আয় করার জন্য শুধু মাত্র দক্ষতা, ধৈর্য্য এবং কাজের মাধ্যমেই তা সম্ভব।

*** আপনি কম্পিউটার এর যে কাজ ভাল পারেন সেই কাজের নাম http://google.com এর সার্চ ফিল্ডে লিখে নামের পরে Contest এবং আগে Online লিখে সার্চ দিতে পারেন, এতে আপনি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে টাকা আয় করতে পারেন একদম সহজে।

এছাড়া http://www.freelancer.com.bd এবং https://www.odesk.com এ কাজ করে নিয়মিত আয় করা যায়। যদিও এগুলো কারো কারো জন্য জটিল তবে বিশ্বাস যোগ্য।

আমি প্রতিযোগিতা করে আয়কে প্রাধান্য দিচ্ছি , যেমন আপনি যদি ডিজাইনিং এ দক্ষ হোন তবে https://99designs.com এমন ই একটি সাইট যাতে আপনার নিজের প্রোফাইল থাকবে এবং প্রচুর কাজ করার সুযোগ পাবেন।

*** টাকা আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে যে কোন একটা কাজের উপর দক্ষ হতে হবে ।যেমন - ওয়েব ডিজাইন , এস ই ও ,ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি যে কোন একটা কাজ জানা থাকলে আপনি Odesk,Freelancer,Elance ইত্যাদি সাইট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন ।

*** আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় বলছি আপনার কোন ধরনের কাজ জানার প্রয়োজন নেই।


যেমনঃ ওয়েবসাইট ডিজাইনইং, এসইও এসব কোন কিছুর জানার দরকার নাই। আপনি টাকা আয় করতে পারবেন ফেসবুক,টুইটার,ইউটিউব এছাড়াও আরও অনেক সামাজিক সাইট দিয়ে। আপনি আপনার পেমেন্ট পাবেন বিকাশ (bKash) এর মাধ্যমে। এই সাইট থেকে খুব ভাল আয় করা যায় প্রতি মাসে প্রায় ২৫-৩০ ডলার খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।

এই সাইট এ কাজ করতে চাইলে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন  http://bit.ly/KQI7jm
তারপর আপনার অ্যাকাউন্ট খুলুন আর টাকা আয় করুন ফেসবুক,টুইটার,ইউটিউব এছাড়াও আরও অনেক সামাজিক সাইট দিয়ে। পেমেন্ট পাবেন বিকাশ এর মাধ্যমে।

যদি আরও জানতে চান যেমন পেমেন্ট প্রুফ, কিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, কিভাবে কাজ করতে হয় তাহলে এই পেজটা দেখতে পারেনঃ
http://muhammadshuvo.blogspot.com/2014/01/bkash.html

*** কোন দক্ষতা ছাড়াই আপনি নেওবাক্স আর ক্লিক্সেন্স থেকে আয় করতে পারবেন । ৯৯% PTC সাইট ভুয়া , কিন্তু এই দুইটা একাবারেই রিয়াল । যাহোক , শুরুর দিক আয় কম হলেও ২-৩ মাস পর ১০০০০৳ আয় করা জায় প্রতিদিন ১৫-১৭ মিনিট খরচ করে ।

Registration Link : 1) http://goo.gl/LqOQ3s

                          2) http://www.clixsense.com/?6831976



Registration করার পর এই দুইটা সাইট এর ফোরাম এ ঢুকলে সবকিসু জানতে পারবেন, এই সাইট দুইটাতে প্রচুর বাংলাদেশি আছে ।

*** অনলাইনে আয় করার হাজারও রাস্তা আছে একটি বেছে নিলেই আয় করতে পারবেন, আপনার যদি Seo,  গ্রাফিক্স ,  এবং আর্টিকেল লিখতে পারেন,  সেল ম্যানেজ করতে পারেন, তাহলে আপনি Odesk.com কাজ করতে পারেন ১০০% টাকা পাবেন,  এছাড়া 99degins.com, Fiver.com কাজ করে আয় করতে পারেন। আর যদি কোন কাজ না যানেন সেক্ষেত্রে  PTC সাইটে কাজ করতে পারেন এটির জন্য নির্ভরযোগ্য সাইট হল Neobux.com।

*** প্রশ্ন ও উওর ***
১. আমি একটি অনলাইন নিউজ পেপার সাইট বানাতে চাই। ডোমেইন ও হোষ্টিং সর্বমোট কত টাকা লাগবে এবং এতে আমার লাভ কি। বিস্তারিত জানাবেন।?
★ গ্রীন হোস্ট থেকে ডোমেইন ও হোস্ট নিতে পারেন।  কত লাগবে তা দেখতে ভিজিট করুন http://greenseotools.com/greenhosting/

আপনার ভিজিটর এর ভিত্তি করে এড দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।

২. আমি একটি ওয়েবসাইট খুলতে চাচ্ছি, যার মাদ্ধমে আমি টাকা আয় করতে পারব। যার উপর ভিত্তি করে আমি সচ্ছল হতে পারি।কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারছি না যে কী ভাবে শুরু করতে পারি বা কোন কম্পানি হতে খুলতে পারি বা এতে debit card লাগবে credit card লাগবে?
★ওয়েবসাইট খুললেন আর আয় শুরু হয়ে গেল এমনিটি নয়, ওয়েব সাইট পরিচালনা করতে হলে আপনার ওয়েব ডেভেলপ জানতে হবে, আপনার একটি ক্রেডিট কার্ড লাগবে, এবং কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ডোমিইন ও হোস্টিং নিতে হবে,  তাছাড়া প্রচরনা করে ভিজিটর বাড়াতে না হলে আয় হবে না,  প্রচরনার জন্য Seo, ও এডসেন্সে আপনার এ্যাকাউন্ট যোগ করতে হবে। ওয়েব সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুন 01788202573

৩. কিভাবে আমার ওয়াপকা সাইটও থেকে টাকা আয় করব হেল্প মি?
★www.green-red.com এ আপনার সাইট সাবমিট করুন। তারা যদি আপনার সাইট পছন্দ করে তাহলে আপনাকে বিজ্ঞাপন কোড দিবে। সেগুলো আপনার সাইটে সেট করুন।
★আপনি এই দুটো সাইট থেকে আয় করতে পার
http://wap4dollar.com/‎
http://adsensebd.com/
   
★আপনি যদি চান তবে #freebkash.tk এই সাইট থেকেও টাকা আয় করতে পারেন।
ধন্যবাদ।

গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকরা - কে কোন যুগের সাহিত্যিক (শর্টকাট)


-------------------------
# Romantic Period:
"Australia ও Scotland এর Blake Keats রা Shelley কে Wordsworth বলে Call করে"।
বিস্তারিত :
Australia= Austen
Scotland = Walter Scott
Blake = William Blake
Keats = John Keats
Shelley = P.B Shelley
Wordsworth = William Wordsworth
Call = ST Coleridge
---------------------------
# Modern Period:
"Lawrence এর Maugham Forster বলে, Yes (Yeats), Hemingway Well keeping করে।"
বিস্তারিত :
Lawrence = D.H Lawrence
Maugham = Somerset Maugham
Forster = E.M Forster
Yes (Yeats) = W. B. Yeats
Hemingway = Earnest Hemingway
keeping = Rudyard Kipling
--------------------------
# Renaissance Period:
Henry Wife (Wyatt) Moore Swovy ডাকে।
বিস্তারিত :
Henry = O Henry
Wife (Wyatt)
-------------------------
It's interesting !
1789 : French Revolution
1798 : Romantic period of English Literature started
1879 : Birth of Edward Forster
1888 : Birth of T.S Eliot
বি: দ্র: এদেরকে মনে রাখাই কষ্টকর। বাকিগুলো সহজ। এতটুকই করেছিলাম।
==========================
যে জ্ঞানের সন্ধানে বের হয়, সে আল্লাহর পথে বের হয়। [ তিরমিযী]
যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। [ সহীহ মুসলিম ]
যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করেন। [ সহীহ বুখারী ]
The roots of education are bitter, but the fruit is sweet (Aristotle)
Enjoy your Learning
Have a nice day !
__________________
ALLAH IS ALMIGHTY

Saturday, October 24, 2015

বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল


পৃথিবীতে মানুষের পদচারণা শুরু হয়েছিল সেই অনেক বছর আগে অর্থাৎ হোমো সেপিয়ান্সদের রাজত্ব শুরু হয়েছে বহুকাল আগে থেকেই। তারপর আর থেমে থাকে নি মানুষ। ধীরে ধীরে জয় করেছে পৃথিবীকে, রহস্য উদঘাটন করেছে প্রকৃতির। কিন্তু প্রকৃতির অনেক রহস্য এখনও অজানা রয়ে গেছে। এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে আজ পর্যন্ত মানুষের কোনো পদচিহ্ন পড়ে নি। সেই রকম রহস্যময় জায়গাগুলোর মধ্য অন্যতম একটি “বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল”। আটলান্টিক মহাসাগরে যার অবস্থান। নাম থেকেই বোঝা যায় এর আকার ত্রিভুজের মত। কিন্তু অনেকের মতে এটি দেখতে ট্রাপিজিয়ামের মত; যা ছড়িয়ে আছে স্টেট অব ফ্লোরিডা, বাহামা, মেক্সিকো হয়ে পূর্ব দিক দিয়ে আটলান্টিক অঞ্চলজুড়ে। কিন্তু বেশিরভাগ ভু-তত্বব্বিদদের মতে এর অবস্থান পুয়ের্তো রিকো হতে বারমুডা এবং সেখান থেকে পশ্চিমে স্টেট অব ফ্লোরিডার পূর্ব উপকূল জুড়ে। যার আকৃতি দেখতে ত্রিভুজের মতো। অনেকে এটাকে ‘Devil’s triangle’ বা ‘শয়তানের ত্রিভুজ’ বলে থাকে। কোনো অজ্ঞাত কারণে এর সীমানার মধ্য প্রবেশ করা অনেক জলযান এমনকি উড়জাহাজও হারিয়ে গেছে চিরতরে। যাদের কোনো হদীস আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নি। বর্ণণাকৃত জায়গাটির আবস্থান মূলত জলভাগের উপরেই। অর্থাৎ স্থলভাগের উপর যেসব অঞ্চল পড়েছে সেইসব জায়গায় কখনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।

এই ত্রিভুজ সম্পর্কে প্রথম বর্ণণা দেন ক্রিস্টোফার কলোম্বাস ১৪৯২ সালে। তার বর্ণণায় এসেছে যে, তিনি দিগন্তে অদ্ভূদ আলোর নাচানাচি এবং আকাশে ধোয়া দেখতে পান। তা ছাড়া ঐ অঞ্চলের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তার কম্পাস উল্টা পাল্টা নির্দেশনা দিচ্ছিল। তারপর ‘ফ্লাইট নাইন্টিন’ এর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ই. ভি. ডব্লিউ জোন্স – এর ১৯৫০ সালে লেখা একটি রিপোর্টের মাধ্যমে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের কাহিনী সবার সামনে উঠে আসে।

এর রহস্য নিয়ে অনেক আজগুবী কাহিনীও রচিত হয়েছে। কেউ মনে করে সেখানে ভিন গ্রহের প্রাণী অর্থাৎ এলিয়েনদের কোনো আস্তানা রয়েছে। যার ফলে সেখানে কোনো মানুষ প্রবেশ করতে পারে না। কেউ বা মনে করে ফোর্থ ডাইমেনশনাল ক্র্যাক বা চতুমাত্রার ফাটলের কথা। অর্থাৎ সেখানে টাইম ও স্পেসের মাঝে একটি ফাটল বিদ্যমান, যার ভিতর পড়লে সবকিছু হাড়িয়ে যায় সময়ের গহবরে। কেউ আবার মনে করে সেখানে রয়েছে এক অজানা সভ্যতা। এসব নিয়ে অনেক লেখকও লিখেছেন কাহিনী। তাদের মধ্যে ভিনসেন্ট গডিস –এর ‘ Invisible Horizon ‘, জন ওয়ালেন্সের ‘Limbo of the lost’ , রিচার্ড উইনারের ‘Devil’s island’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

চলুন এবার আসা যাক আসল রহস্যের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার কথা - ফ্লাইট নাইন্টিন, ইউ. এস. নেভীর একটি ফ্লাইং স্কোয়াড তাদের প্রশিক্ষণ মিশন শেষ করে রওনা দিয়েছিল ফ্লোরিডার উদ্দেশ্যে। উড়তে উড়তে হঠাৎ হাড়িয়ে গেল কোনো অজ্ঞাত কারণে ঐ অঞ্চল দিয়ে উড়ে আসার সময়। কন্ট্রোল টাওয়ার থেকেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। হঠাৎ একটি বার্তা ভেসে আসে স্কোয়াড ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে – “We don’t know where we are, water is green and there is no white”. “আমরা জানি না আমরা কোথায় আছি, পানির রঙ সবুজ এবং কোথাও কোনো সাদা নেই”। এরপর চিরতরে অদৃশ্য হয়ে যায় ফ্লাইট নাইন্টিন স্কোয়াড। অনেক খোজাখুজির পর তাদের ধ্বংসাবশেষও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নি। তারপর একদিন সান জুয়ান থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি অটার প্লেন যার নাম ‘ডগ্লাস ডি. সি. – ৩’ একইভাবে হাড়িয়ে যায়। সেই প্লেনে ৩২ জন যাত্রী ছিল। তারা হটাৎ ককপিটের সাথে যোগাযোগ হাড়িয়ে ফেলে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরপর তারা বার্তা পাঠাতে সক্ষম হচ্ছিল। এমনকি সমুদ্র তীর থেকেও প্লেনটাকে দেখা যাচ্ছিল। এভাবে ত্রিশ মিনিট তারা এলোপাতাড়ি চক্কর দিতে দিতে সবার চোখের সামনে থেকেই হাড়িয়ে যায়। এরপর আরও দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে। কিন্তু তাদের কারণ বিশ্লেষণ করে কোনো উপযুক্ত ব্যাখ্যা দাড় করানো সম্ভব হয় নি। কারণ কোনো দুর্ঘটনারই কোনো ধবংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায় নি। যদিও ১৯৭৫ সালে লরেন্স ডেভিড কুসচে ‘বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল মিস্ট্রি সলভড’ নামে একটি বই বের করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেছেন যে, এই রহস্যকে লেখকরা জিইয়ে রেখেছেন কিছু মনগড়া কাহিনীর উপর ভিত্তি করে। তিনি এর কিছু ব্যাখ্যাও দাড় করান। যদিও তার ব্যাখ্যাগুলো সর্বস্মম্মতভাবে গৃহীত হয় নি কিন্তু তিনি এই রহস্যকে ঘিরে যে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল তার মুখোশ খুলে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।

কি ? ব্যাপারটা এখনও ভূতুড়ে মনে হচ্ছে ? বিজ্ঞানীরা এই ভূতুড়ে কাহিনীগুলো বিশ্লেষণ করে মোটামুটি একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করেছেন। ব্যাখ্যাটি হল – মিথেন হাইড্রেড সেলভে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ মিথেন হাইড্রেড অনেক সময় বুদবুদ আকারে বেরিয়ে আসে। বাতাসের বুদবুদ পানির প্লবতা কমিয়ে দেয়। যার ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাহাজ ডুবে যায়। আরও একটি কারণ হতে পারে ‘গলফ স্ট্রিম’। এটি হল স্টেট অব ফ্লোরিডা থেকে উত্তর আটলান্টিকের দিকে প্রবাহিত হওয়া একটি উষ্ণ সমুদ্র স্রোত যা যে কোনো ভাসমান বস্তুকে তার বলের বিরুদ্ধে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে স্রোতের অভিমুখে। কিন্তু উড়োজাহাজ নিখোঁজ হওয়ার কোনো ব্যাখ্যা এখনও দেয়া সম্ভব নি।

রহস্য যত গভীরই হোক না কেন অযৌক্তিক কোনো কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের জ্ঞান ও প্রযুক্তি হয়তো বা এখনও সেই পর্যায়ে পৌছায় নি বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের রহস্য উদঘাটন করার জন্য। কিন্তু তাই বলে কখনও হবে না এটা বলাও তো ঠিক না। একদিন না একদিন আমরা অবশ্যই পারব এই রহস্যের ইতি টানতে। কারণ মানুষ কখনও হার মানে না।

বারমুডা ট্রায়াংগেলের ভিতরে কি আছে ? এখানে মানুষ কেন যেতে পারে না?


 বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সর্ম্পকে যতগুলো রহস্য ছিল বা যতগুলো দূর্ঘটনা ঘটে ছিল সবই বিতর্কিত। যা আপনি নিচের লেখাটি পড়ে বুঝতে পারবেন=>
১৯৭৫ সালে লরেঞ্জ ডেভিড কুশে নামের এক লাইব্রেরিয়ান কয়েকবছরের সংবাদ পত্র ঘেটে এবং সব দুর্ঘটনার খবর অনুসন্ধান করে,
The Bermuda Triangle Mystery: Solved নামের একটি
বই লিখলেন এবং দেখিয়ে দিলেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের নামে যত রহস্যময়তা এবং তত্ত্ব বর্ণনা করা হয়েছে তার সবই হয় অতিরঞ্জিত, সন্দেহমূলক কিংবা প্রমাণহীন। কুশের গবেষণা দেখিয়ে দিল যে অধিকাংশ ঘটনার বর্ণনা, সক্ষীর বর্ণনা, পর্যবেক্ষকদের বর্ণনা সামঞ্জস্যহীন। তিনি দেখলেন আগে যে ঘটনাগুলোকে
সম্পূর্ন নিখোঁজ বলা হয়েছিলো সেগুলোর বর্ণনাও পত্র-পত্রিকায় পাওয়া যাচ্ছে। এবং তিনি আরো দেখতে পেলেন যে অনেক ঘটনাই ঘটেছে এই এলাকার বাইরে যেগুলোকে ইতিপূর্বে এই এলাকার সাথে সম্পৃক্ত দেখানো হয়েছে। তার গবেষনা ছিলো অত্যন্ত সরল প্রকৃতির এবং তিনি পত্রপত্রিকা ঘেটেই বারমুডা রহস্য উদঘাটন করেন। পরিশেষে তিনি এই উপসংহারে আসেন যে,
১. দুঘটনা কবলিত জাহাজ এবং উড়োজাহাজের সংখ্যা অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ  করা হয়েছিল।
২. এটা এমন একটি এলাকা যেখানে প্রতিনিয়ত মৌসুমী ঝড় বহমান। এবং ঝড়ের সাথে দুর্ঘটনার সংখ্যা তুলনা করলে সেটা যথেষ্ট বাস্তব-সম্মত মনে
হয়।
৩. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এলাকাটি অত্যন্ত ব্যস্ত নৌ-পথ। ব্যস্ততা তুলনা করলে এখানে ঘটা দুর্ঘটনার সংখ্যা সমুদ্রের অন্যান্য এলাকায় ঘটা দুর্ঘটনার সাথে সমতুল্য।
৪. ব্যস্ত নৌপথ হওয়ায় এখানে প্রচুর জলদস্যুর আনাগোনা ছিল। এরা সাধারণত ছোটখাটো জাহাজে লুটপাট চালিয়ে সেগুলোকে ডুবিয়ে দিত।
৫. অনেকসময় খবর আংশিকভাবে প্রকাশ করা হত। কোন জাহাজ বা প্লেনের
নিখোঁজ হওযার খবর প্রচার হত। কিন্তু ফিরে আসার খবর প্রচার হত না।
কুশের বইটি প্রকাশের পর সবার টনক নড়ে এবং আরো যা পাওয়া যায়:
৬. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এলাকায় প্রচুর সাবমেরিন মোতায়েন হয়। এদের  আক্রমনে যেসব জাহাজ ও প্লেন ডুবি হত সেগুলো সামরিক কর্তৃপক্ষ গোপন রাখত।
৭. এই এলাকার নীচ থেকে প্রচুর মিথেন গ্যাস নির্গত হয় যা পানির সাথে মিশে হাইড্রেটেড মিথেন তৈরি করে। এই হাইড্রেটেড মিথেন বেশ হালকা। একারনে কিছু কিছু ভারী জাহাজ পানিতে ডুবে যায়।
৮. মেক্সিকান উপসাগরীয় প্রবল স্রোতে(এই স্রোতটি অনেকটা নদীর
মত) অনেক দুর্ঘটনা কবলিত যান দুরে ভেসে যায়।
৯. কম্পাসের ব্যপারে তথ্য হল পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানেই কম্পাসের
বিক্ষেপের ভিন্নতা দেখা যায় যেহেতু পৃথিবীর ভৌগলিক মেরু এবং চৌম্বকীয়
মেরু এক নয়। খুব অল্প কিছু যায়গায় অবস্থানকালে একই দুই মেরু একই দিকে
থাকে এবং কম্পাস সঠিক দিক নির্দেশ করে। অন্যত্র কম্পাস চৌম্বকমেরুর দিক
নির্দেশ করে।
১০. মানুষের ভুলেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ইউএস নেভীর তথ্য থেকে
জানা যায়। এসবের বাইরেও কথা আছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যময়তার সুযোগে কিছু কিছু কোম্পানী তাদের অপেক্ষাকৃত পুরোনো জাহাজ বা বিমানগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ডুবিয়ে দিয়ে বীমার টাকা আদায় করত বলেও শোনা যায়।

যে ৫ টি কারণে পরকীয়ার সম্পর্কে আগ্রহী হতে পারেন আপনার স্ত্রী!


উত্তরঃ-
পরকীয়ার সম্পর্ক আজকাল কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। যে হারে মানুষ পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেন এতে করে বিষয়টি দিনকে দিন উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে সকলের কাছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ ঠিক কি কারণে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে যান? যদি মনে করেন পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ানোর জন্য শুধু আপনার সঙ্গীই দায়ী তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। মানুষ ঠিক কেন পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান এই সম্পর্কে রুটজার ইউনিভার্সিটির বায়োলজিক্যাল অ্যান্থ্রোপলজিস্ট হেলেন ফিশার, তার বইয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শুধু একপক্ষের ভুলের কারণে পরকীয়ার সম্পর্কের উৎপত্তি নয়। পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ানোর জন্য দুই পক্ষেরই ভুল রয়েছে। বিশেষ করে একজন নারী যখন পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান তখন তার স্বামীর অনেকটা ভূমিকা থাকে। জানতে চান কীভাবে?

১) তিনি আপনার ব্যাপারে অনেক দ্বিধায় ভোগেনঃ

আপনার তার প্রতি অনীহা এবং অতিরিক্ত কাজের ব্যস্ততায় তাকে অবহেলা করার বিষয়টি একজন নারী পুরোপুরি উল্টো ভাবে দেখেন। নারীরা ভাবেন আপনার নিজের অন্য কোথাও সম্পর্ক রয়েছে যার কারণেই এই অবহেলা। আর এই দ্বিধা থেকেই তার জড়িয়ে যান পরকীয়ায়।

২) তার প্রয়োজনে আপনি কখনোই সাপোর্ট দেন নাঃ

স্বাভাবিকভাবেই একজন পুরুষ একজন নারীর থেকে একটু কম আবেগী হয়ে থাকেন এবং মানসিক দিক দিয়ে যদি আঘাত প্রাপ্ত হন তাহলে সাপোর্ট খুঁজে থাকেন। আবার, অন্য একটি পরিবারে এসে মানিয়ে নেয়ার সময়েও তারা স্বামীর কাছ থেকেই সাপোর্ট খোঁজেন। এই সময়টাতে যদি স্বামীর কাছ থেকে সাপোর্ট না পান তখন তারা অন্য দিকে আগ্রহী হয়ে পড়েন।

৩) আপনি তার প্রতি নমনীয় নন একেবারেইঃ

নারীরা সবসময়েই চান তার স্বামী তার প্রতি যতোটা সম্ভব নমনীয় হোন যাতে তার নিজের সব কিছু ছেড়ে আসার যন্ত্রণাটা কিছুটা হলেও ভুলে থাকতে পারেন। কিন্তু যখন নিজের স্বামীর কাছ থেকে এইধরনের কিছু না পেয়ে থাকেন তখন অন্য কারো কাছে সামান্য কেয়ার পেলেও তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন মনের অজান্তেই। আর এ থেকেই ভুল পথে পা বাড়ান অনেকে।

৪) আপনার কোনো কাজে তিনি অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছেনঃ

ব্যাপারটি ঠিক প্রতিশোধ পরায়নতা নয়। অনেক সময়েই স্বামীর কাছ থেকে প্রচণ্ড কষ্ট পেয়ে তার কাছ থেকে একটু সুখ পান তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন অনেক নারীই। বিষয়টি পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কষ্ট ভুলে থাকার জন্য মানুষ অনেক অন্যায় পথেও পা বাড়িয়ে থাকেন।

৫) আপনার স্ত্রী একাকী বোধ করেনঃ

আপনি হয়তো নিজের কাজে অনেক বেশি ব্যস্ত এবং স্ত্রীকে তার প্রাপ্য সময়টুকু দিতে আপনার কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আপনি বুঝতেই পারছেন না আপনার এই ব্যস্ততা তার কাছে অবহেলার অনুভূতি দিচ্ছে, এবং তিনি প্রচণ্ড একাকীত্বে ভুগছেন। আর এই ধরণের সময়ে কারো সঙ্গ পেলে তার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েন অনেকেই। এভাবেও কিন্তু জন্ম নেয় পরকীয়ার সম্পর্কটি।

Thursday, October 22, 2015

জেনে নিন তথ্য প্রযুক্তিতে দুই বাঙ্গালীর অপ্রকাশিত ইতিহাস


১৯৯৪ সালের কথা ।আমার স্টার্টআপটা শুরু হয়েছিল সিলিকন গলি থেকে । আমি তখন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন গলি’তে ( আজকের সিলিকন ভ্যালী ) ২০ একর জায়গা কিনে নতুন কিছু করার চিন্তা করছি । সেইসময় সিলিকন গলিতে আজকের মতো এতো জনবল, অফিস, ব্যস্ততা কিছুই ছিলো না । চারিদিকে শুনশান নীরবতা। অফিস বলতে আমারটাই প্রথম । ‘জাম্বুরা’ নামের একটি অফিস খুললাম কারণ সেখানে আমি বিশাল সাইজের একটি টাইপ মেশিনকে আরও আধুনিক করার কাজ করবো । টাইপ মেশিনটার সাইজের কারণে ওটার নাম দিয়েছিলাম ‘জাম্বুরা’ । সেই অফিসে আমিই মালিক ,আমিই কর্মচারী । আমার ঠিক পাশের জায়গাটি কিনে আরেক বাঙালি মেধাবি মাসুদ রহমান ভাই অফিস বানিয়ে ক্যালকুলেটর থেকে কম্পিউটার বানানোর জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমি বাঙালি জেনে মাসুদ ভাই আমার সাথে পরিচিত হলেন এবং অল্পদিনেই আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম । মাসুদ ভাই আমার অফিসটাকেই কাজে লাগানোর চিন্তা করলেন আর আমিও জনমানবহীন এই ভূতুরে সিলিকন গলিতে মাসুদ ভাইকে পেয়ে খুব উচ্ছসিত ও সাহসি হয়ে গেলাম । আমার অফিসের সামনের বিশাল জায়গাটাটুকুকে অনেক ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়ে ছোট খাটো বাগান তৈরি করে ফেললাম আমি ও মাসুদ ভাই । সেই বাগানে একটি আপেল গাছও লাগিয়েছিলাম যার নিচে বসে আমি ও মাসুদ ভাই অনেক গবেষণা করেছি কিন্তু কোনদিন একটা আপেল টুপ করে মাথায় পরে আমাদের গবেষণায় নতুন কিছু যুক্ত করার কোন সুত্র দিয়ে সাহায্য করেনি , আফসোস!!! মাসুদ ভাই একদিন আমাকে বললেন ‘’ এলাহী ভাই, আসেন আমাদের কাজের সুবিধার জন্য অল্প বেতনে কিছু ছাত্রকে নিয়োগ দেই এবং এখানে কিছু মানুষ বাড়ানোর চেষ্টা করি । পুরো এলাকা জুড়ে আমি আর আপনি দুজনে সব সামলাতে পারবো না’’ । মাসুদ ভাইয়ের কথায় রাজি হয়ে গেলাম এবং ডেভিড ফিলো, ষ্টিভ জবস, আল্পাগোভিচিনাই স্লোকভিদিচ নামের তিন তরুন ও রান্না বান্না করার জন্য ইয়াং জেরি নামের আরেক তরুণকে নিয়োগ দিলাম । সবগুলাকেই পরীক্ষায় একাধিকবার ডাব্বা মারার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ' ইউনিভার্সিটি অব মেসোপটেমিয়া ' থেকে বের করে দিয়েছে । সবার থাকা খাওয়া ঐ সিলিকন গলির আমার ‘জাম্বুরা’ অফিসের এরিয়াতেই । ষ্টিভ জবসকে রাখলাম আমার সাথে জাম্বুরা নিয়ে কাজ করতে আর ফিলোকে নিলো মাসুদ ভাই , কঠিন আল্পাগোভিচিনাই নামের তরুনটিকে কাজে লাগালাম পরিত্যাক্ত ১০ একর জায়গার উপর নির্মিত বিলের মাঝে ইলিশ মাছ চাষ ও সাথে গরুর খামারের কাজে । ছেলেটি সবসময় বিলের প্রাচীরের সিমানা ঘেঁষা ফটকে বসে থাকতো যেন আমরা ডাক দিলেই শুনতে পায় । তার কঠিন নামটি বাদ দিতে ডাকার জন্য সহজ নাম রাখতে মাসুদ ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করে নাম দিলাম ‘বিল গেইটস’ যে নামটি পছন্দ হওয়ায় ছেলেটি আজো এই নামেই সবখানে নিজেকে পরিচিত করেছে ।

শুরু হলো আমাদের বিশাল গবেষণার কাজ । আমি জাম্বুরা টাইপ মেশিনের সাথে একটি টেলিভিশনের পর্দা লাগিয়ে যা টাইপ করি সেটা দেখতে পারার ব্যবস্থা করলাম । জবস আমার কাজে সাহায্য ফুট ফরমায়েশ খাটতো আর গ্যারেজে আমার ' Lamborghini' ও মাসুদ ভাইয়ের ‘BMW’ সিরিজের দুটো জীপ ধোঁয়ামোছা করতো। জবসকে আমার কাজের সুবিধার জন্য আমার জাম্বুরা টাইপ মেশিনের মতো আরেকটা টাইপ মেশিন বানিয়ে দিলাম । পাশের টেবিলে মাসুদ ভাইও ক্যালকুলেটারের সাথে বিশাল পর্দা লাগিয়ে কি সব হাবিজাবি হিসাব নিকাশ করেন কিছুই বুঝিনা । মাসুদ ভাইয়ের আবার আমার মতো বোতল প্রীতি ছিলো না। উনি শুধু মাঝে মাঝে বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য ছোট ছোট লতাপাতা কল্কির ভেতর জ্বালিয়ে ‘সিদ্ধি’ নাম দিয়ে টানতেন । আমি প্রায় সময় বোতলের জুস খেতে খেতে রাস্তায় পড়ে গেলে মাসুদ ভাই আমাকে বাড়ীতে নিয়ে আসতেন । রাত জেগে কাজ করতে দেখলে প্রায় সময় এসে বলতেন ‘’ভাই আপনি আপনার অমানুষিক মেধা নিয়ে যেভাবে অমানুষিক পরিশ্রম করছেন তা অবিশ্বাস্য , একটু ঘুমান ভাই ,ঘুমান ‘’ ।

ইন্টারনেট তখনও আবিস্কার হয়নি । একদিন সকালে অফিস ঘরে ঢুকেই দেখি মাসুদ ভাই উনার বিশাল ক্যালকুলেটরের স্ক্রিনের পেছনে নাইলনের রশি ও কিছু তারের এক প্রান্ত লাগালেন আর আরেক প্রান্ত আমার জাম্বুরা টাইপমেশিনের পর্দার পেছনে লাগালেন । আমি দেখে বললাম ‘’ কি করেন? কি করেন মাসুদ ভাই? ‘’ জবাবে মাসুদ ভাই হেসে বললেন ‘’ একটা নতুন কিছু মাথায় ঘুরতেছে সেটাই টেস্ট করার চেষ্টা করতেছি ‘’ বলে উনার চেয়ারে বসলেন । কিছুক্ষণ ক্যালকুলেটরে কি যেন গুঁতো গুঁতো করে আমাকে বললেন ‘’ এলাহি ভাই আপনার মেশিনের পর্দাটা অন করেন তো ‘’ । অন করেই আমার ‘’ টিনের চালে কাক আমি তো অবাক ‘’ হওয়ার উপক্রম । পর্দায় দেখি ‘’ প্রতিঃ এলাহী ভাই , বিষয় – হাবিজাবি , ১+১= ২ , ২+২=৪ ‘’ এমন সব লিখা যা আমি লিখিনি । মাসুদ ভাই আমার জাম্বুরার পর্দার সামনে এসে লিখাগুলো দেখে ‘’ইয়াহুহহহহহহহহহু বলে চিৎকার করে উঠলেন যা শুনে কফি নিয়ে আসা ইয়াং জেরি ছেলেটা হাত থেকে ট্রে ফেলে কফির মগ দুটো ভেঙ্গে ফেললো । আমি মাসুদ ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম ‘’ কি করলেন ভাই ? কিছুই তো বুঝলাম না । ‘’ মাসুদ ভাই আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন ভাই ‘’ আমি আমার ক্যালকুলেটরে টাইপ মেশিন যুক্ত করে টাইপ যুক্ত করে নাইলনের রশি ও তার দিয়ে আপনাকে চিঠি /মেইল পাঠালাম যা আপনার পর্দায় দেখা গেছে । ‘’ ......... এইভাবে সেদিন মাসুদ ভাই ইন্টারনেট ও ইমেইল আবিস্কার করে ফেলেন যা সেদিন জোরে ‘ইয়াহু’ শব্দটি উচ্চারন করায় অফিসের স্টাফ ইয়াং জেরির অনুরোধে ‘ইয়াহুমেইল/ Yahoomail’ নাম দেন ।
ক'দিন পর মাসুদ ভাই ও আমি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেই । এতো ‘অমানুষিক মেধা’ নিয়ে বিদেশে পরে থাকার কোন মানে নেই , এর চেয়ে এই মেধা দিয়ে দেশের কাজে লাগাই এমন সিদ্ধান্তে দুজনেই উপনীত হয়ে সিলিকন গলির সবকিছু বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম । আমাদের চলে আসার কথা শুনে ছেলেগুলোর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো । ওদের সেই কি কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেলো । এই দুইটা বছরে সবাই খুব আপন হয়ে গিয়েছিলাম । ছেলেগুলার কান্নাকাটি দেখে আমাদের দুজনের দয়ার শরীর মোচড় দিয়ে উঠলো । সিদ্ধান্ত নিলাম বিক্রি না করে সবকিছু ওদেরকে দান করে দিবো যেন ওরা কিছু করে খেতে পারে । আমরা তো দেশে গিয়েই নিজেদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিরাট করে খেতে পারবো । মাসুদ ভাই উনার বিরাট ক্যালকুলেটরটি বিল গেইটস কে দিয়ে দিলেন আর ইন্টারনেটের নাইলনের দড়ি, তারগুলো ও ইয়াহু মেইলের ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড ডেভিড ফিলো ও ইয়াং জেরিকে দিয়ে দিলেন । আমি আমার ‘জাম্বুরা’ টাইপ মেশিন জবসকে দিয়ে দিলাম আর পুরো ২০ একর জায়গা ৪ জনের নামে সমান ভাগে ভাগ করে দানপত্র দিয়েদিলাম । ফেরার দিন সবাই যখন আমাদের এগিয়ে দিতে অফিসের গেইট পর্যন্ত আসছিল তখন আমি প্রিয় আপেল গাছটির নিচে দাঁড়িয়ে জবসকে কিছু পরামর্শ দিচ্ছিলাম । জবস আমাকে জড়িয়ে ধরে শুধুই কাঁদছিল আর বলছিল ‘’স্যার আমি আপনাকে কোনদিন ভুলবো না । আমার জীবনের সবকিছুতে আপনি জড়িত থাকবেন চিরদিন । আপনার নাম জড়িত থাকবে চিরদিন ‘’ । আমি জবসকে বলছিলাম ‘’জবস যদি এই জাম্বুরা টাইপ মেশিনকে আরও উন্নতি করাতে পারো তাহলে এর নাম জাম্বুরা থেকে বদলে ফেলো এবং সুন্দর একটা নাম দিও ‘’ । জবস বলছিল ‘’ আমি যদি কিছু করতে পারি তাহলে আপনার এলাহী নামের ‘A’ অক্ষর দিয়ে কোন ফলের নামে রাখবো নাম ‘’ । আশ্চর্যের বিষয় হলো যে আপেল গাছটি থেকে কোনদিন কোন ঝড় তুফানে একটি আপেল মাটিতে পড়লো না অথচ সেইসময়ে টুপ করে একটা আপেল জবসের মাথায় পড়লো। জবস আপেলটি হাতে নিয়ে বললো ‘’ স্যার আমি পেয়ে গেছি , জাম্বুরার নামটি বদলে আমি আপেল রাখবো যার শুরুটা আপনার এলাহি নামের ‘A’ দিয়ে ।‘’ আমি সেদিন জবসকে কিছুই আর বলিনি শুধু জবসের মাথায় হাত রেখে অনেক আশীর্বাদ দিয়ে এলাম । সত্যি সত্যি জবস তাঁর কথা রেখেছিলো , আমার জাম্বুরাকে সে আপেল নামে পরিচিত করে তুলেছে আজ সারাবিশ্বে। একই ভাবে মাসুদ ভাইয়ের সেই ক্যালকুলেটরের সাথে আরও অনেক কিছু যুক্ত করে প্রোগ্রাম তৈরি করে ফেলে বিল গেইটস নামের আমাদের সেই খামারের তত্ত্বাবধায়ক ছেলেটি যে প্রোগামের নাম সে মাসুদ ভাইয়ের নামের ‘M’ দিয়ে ‘Microsoft’ রাখলো যার সাথে আমাদের দুজনের নরম মন ও অফিস কক্ষটির স্মৃতি বুঝাতে ‘’Microsoft Office’’ যুক্ত করে সিলিকন গলির সেইসব সংগ্রামী দিনগুলোকে আজো স্মরণ করে চলেছে । ......... মাসুদ ভাই দেশে এসে আজ চাকরী করছে ও উত্তরায় সংসার পেতে সুখে দিনযাপন করছে আর আমি সিলেটে বসে বসে মাথার চুল ছিঁড়ে আঁটি বেঁধে বস্তায় ভরছি । আহ।।
এবার ফেইসবুক শুরু হওয়ার আগের একটি ঘটনা বলবো । ২০০১ সালের দিকে আমি আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাই । জাকারবার্গ তখন নিউইয়র্কের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে । ২০০৩ সালের একদিন আমি নিউইয়র্ক শহরে গেলে কনকনে শীতের রাতে আমার কালো ' Lamborghini' জীপটা চালিয়ে নিজের বাড়ীতে ফিরছিলাম । বাড়ির গেইটের কাছে আসা মাত্র দেখলাম বিপরীত পাশের ফুটপাতে একটা ছেলে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে। দেখে খুব মায়া লাগলো। আমার আবার খুব দয়ার শরীর , কারো কষ্ট সহ্য হয়না। আমি ছেলেটিকে আমার গায়ের ১০০০০ ডলার দামের জ্যাকেটটা ওর গায়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম '' কি নাম তোমার ? '' উত্তরে বললো ''জাকারবার্গ।'' । আমি জিজ্ঞেস করলাম '' কি করো ? এখানে কেন এসেছো ?'' সে জানালো '' পড়ালিখায় ডাব্বা মারতে মারতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে । এখন একটা চাকরী খুঁজছি।তাই আপনার সাথে দেখা করতে এসেছি স্যার। '' ছেলেটিকে দেখে সেদিন খুব মায়া লেগেছিল এবং চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম ছেলেটার ভেতর কিছু একটা আছে তাই সেদিন রাতে আমার বাড়ীতে আশ্রয় দিলাম । পরের দিন সিলিকন গলিতে আমার 'ফজলেবুক ' নামের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অফিসে নিয়ে গেলাম । তাঁকে ''fazlaybook'' নামের আমার আবিষ্কৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়েবপেইজটা দিয়ে বললাম '' এটা রাখো। আমি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছি দুদিন পর ।এইদেশে থাকবো না । আমার দেশের জন্য কিছু কাজ করতে হবে তাই দেশে চলে যাচ্ছি, তোমাকে চাকরী দিতে পারিনি কিন্তু একটা অমূল্য সম্পদ দিয়ে গেলাম ,তুমি বুদ্ধি খাটিয়ে এটা দিয়ে কিছু করে খেয়ো । এটা তোমাকে একদিন অনেক বড় করবে । '' আমার কথা শুনে ছেলেটি আমাকে ধরে কেঁদে দিলো এবং আমার পা ছুঁয়ে সালাম করে বললো '' স্যার , আমি আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আপনার এই ঋণ আমি কোনদিন শোধ করতে পারবো না তবে আপনাকে চিরদিন স্মরণ রাখতে আমি জীবনে যা কিছুই করবো বা বানাবো সেগুলোর নাম আপনার 'fazlay' নামটির প্রথম অক্ষর 'f' দিয়ে রেখে আপনাকে আমি চিরদিন স্মরণ করবো।'' ...... সেদিন সেই ছেলেটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দেশে আসার পর প্রায় প্রতিদিন সে আমাকে তার কাজের আপডেট দিতো, আমার খোঁজ খবর নিতো। ২০০৫ সালে এক মধ্যে রাতে ছেলেটি আমাকে ফোন করে বলে '' স্যার , আমি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির ওয়েবপেইজ ডেভেলপ করে এখন বাণিজ্যিক ভাবে সবার জন্য ওপেন দিচ্ছি ।'' খবরটা শুনে খুব খুব ভালো লাগলো । জানতাম ছেলেটি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে ।ছেলেটিকে সেদিন বললাম '' তুমি ফজলেবুক নামটা চেঞ্জ করে তোমার পছন্দমতো একটা নাম দাও , আমার নামটি মুছে দাও ''। আমার কথা শুনে ছেলেটি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললো '' না স্যার, আমি আপনার দেয়া নামটি রাখবো'' । আমি ওকে বুঝিয়ে বললাম জাকা শোন , সেদিন তোমাকে আমি যা দিয়েছিলাম সেটা ছিল আমার ব্যক্তিগত পরিচিত মানুষদের সাথে যোগাযোগ ব্যক্তিগত ওয়েবপেইজ যার নাম সেদিন তাই ' fazlaybook রেখেছিলাম । আজ তুমি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে এই যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের পরিচিতজনদের সাথে যুক্ত করবে সেখানে কোন একজন ব্যক্তির নাম রাখাটা খারাপ দেখায় । সে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললো ''স্যার রাখি, আমার জন্য দোয়া করবেন , সব সময় ভালো থাকবেন '' । ২ দিন পর সে আমাকে ফোন দিয়ে জানালো ''স্যার , আমি আপনার কথাটা রেখেছি তবে 'বুক' শব্দটি রেখে আগের মতো রেখেই তার আগে আপনার নামের একটি নয় প্রথম ও ২য় অক্ষর রেখে আমি এমন একটা নাম রেখেছি যে নামটি বুঝাবে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের মুখ কিন্তু কোটি কোটি মানুষ নীরবে আপনার মুখটিই দেখবে আর আমার চোখে আপনার মুখটি সবসময় ভাসবে যার নাম দিলাম '' facebook'' ।এই ফেইসবুক দিয়েই আপনি চিরদিন আমার পাশে থাকবেন। প্লিজ স্যার না করবেন না ।'' সেদিন জাকারের কথা শুনে আমার চোখে জল এসেছিল এই ভেবে যে আমি নিউইয়র্ক শহরে ২০০৩ সালের সেই শীতের রাতে মানুষ চিনতে ভুল করিনি তবে এতো ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পাবো সেটা ভাবিনি । আমার চোখের আনন্দ অশ্রু নিয়ে '' জাকা তুমি একদিন অনেক্কক্কক্কক্কক্কক বড় হবে। বিশ্বের সেরা মানুষগুলোর একজন হবে '' বলে ফোনটি রেখে দিলাম ।
তথ্যসুত্রঃ জাতীয় তথ্যবাবা কবি ও কাব্যর অপ্রকাশিত ‘ আমার যত আবিস্কার’ শীর্ষক গ্রন্থ থেকে চুরি করে অনূদিত ।।

মুমিনদের ধর্ম পরীক্ষা সিরিজ: ইসলাম ধর্ম বনাম বিজ্ঞান - (পর্ব ১, ২, ৩)


ইসলাম ধর্ম বনাম বিজ্ঞান - (পর্ব - ৩)

প্রশ্ন – ১
কুরআন জানায়, আমাদের মহাবিশ্ব সাত স্তর বিশিষ্ট (Quran 71:15) ! কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এই মহাবিশ্ব ট্রিলিয়ন সংখ্যক ছায়াপথ আর সাথে বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র নিয়ে গঠিত, যেখানে সপ্তস্তর বলে কিছু নেই ! তবে কেন এ ধরনের অসত্য তথ্য ?
http://en.wikipedia.org/wiki/Galaxy

অনেকেই দাবি করেন আয়াতে উল্লেখিত সপ্তস্তর বলতে আকাশের বায়ু মন্ডলিয় স্তর বোঝানো হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর উপরিভাগে বায়ুস্তর রয়েছে পাঁচটা Click This Link

প্রশ্ন – ২
কুরান অনুসারে, সূর্য এবং নক্ষত্র (Stars) সম্পূর্ণ দুটো ভিন্ন জিনিস (Quran 7:54) ! প্রকৃত সত্যটা কি তাই ?

প্রশ্ন – ৩
কুরানের আয়াত 21:30, 41:9-11 এবং 2:29 থেকে বোঝা যায় যে পুরো ইউনিভার্স সৃষ্টির আগেই পৃথিবী তৈরি করা হয়েছে বা বর্তমান ছিল ! কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বিগব্যাং সংগঠিত হওয়ার মুহুর্তে কোন ম্যাটারেরই অস্তিত্ব ছিলো না, আর পৃথিবী ও তৈরি হয়েছে বহু পড়ে ! আল্লাহ কেন এমন ভুল তথ্য সরবরাহ করলেন ?
http://en.wikipedia.org/wiki/BigBang

প্রশ্ন – ৪
কুরান অনুসারে, আল্লাহ এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন কোন ধরনের অসঙ্গতি (বা ফাটল) ব্যতীত (Quran 67:3) ! তিনি কি ব্লাক হোলের (Black Hole) ব্যাপারে কিছুই জানতেন না ?
The evidence of Black Hole indicates certain degree of instability in the galaxy. Black holes absorb stars and even galaxies in regions of space where from which no entity, including light, can escape.
http://en.wikipedia.org/wiki/Black_hole



প্রশ্ন – ৫
বজ্রপাত (একজন ফেরেস্তা যে আল্লাহর প্রশংসা করে সভয়ে) ঘটার উদ্দেশ্য কি মানুষকে ভয় দেখানো বা কাউকে আঘাত করা (Quran 13:12-13 see Tafsir Ibn Abbas) ?

প্রশ্ন – ৬
একমাত্র আল্লাহ জানেন গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে, একমাত্র আল্লাহই জানেন কখন বৃষ্টি হবে যা অন্য কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয় (Quran 31:34) (Sahih Bukhari 2:17:149) ! তিনি কি জানতেন না ভবিষ্যতে আল্ট্রাসনোগ্রাফি, আবহাওয়া অফিস আবিষ্কৃত হবে ?

প্রশ্ন – ৭
কুরান দাবি করে, ছায়া পড়ে সূর্যের আবর্তনের কারনে (পৃথিবীর নয়) (Quran 25:45) ! আসলেই কি তাই ?

প্রশ্ন – ৮
আসমান কি শক্ত কিছুর তৈরি যে তা স্তম্ভ বা পিলার (যা মানুষের কাছে অদৃশ্য) দিয়ে খাড়া রাখতে হবে (Quran 13:2) ? (This originated from the ancient Greek myth)

প্রশ্ন – ৯
আল্লাহ যদি পৃথিবী এবং আকাশমণ্ডলী ছয় দিনে সৃষ্টি করে থাকেন (Quran 50:38) [ যা মানুষের হিসেবে ১০০০ বছর (Quran 22:47, 32:5) অথবা ৫০০০০ বছর (Quran 70:4) ], তবে বিজ্ঞান কেন বলে বিগব্যাং সংগঠিত হওয়ার পর পৃথিবী তৈরি হতে প্রায় কয়েক বিলিয়ন বছর লেগেছে ?

প্রশ্ন – ১০
আপনার কি মনে হয় পাশাপাশি অবস্থিত সমুদ্রের মাঝে আসলেই কোন অন্তরাল রয়েছে যা তারা অতিক্রম করতে পারে না (Quran 55:19-20) ?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৮
৯৮ বার পঠিত০০ ১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
১. ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৯ ০
 পিচ্চি হুজুর বলেছেন: প্রথমত, স্রষ্টারে বিশ্বাসীরাও দেখেনাই, অবিশ্বাসীরাও দেখে নাই; সুতরাং দেখি না তাই মানি না এই থিওরীতে চলনেওয়ালাদের যদি বিজ্ঞান দিয়া স্রষ্টারে মানাইতে হয় সেইটা কখনই সম্ভব না। বিজ্ঞান এখনও নিজেদের সৌরজগত ঠিকঠাকমত এক্সপ্লোর করতে পারে নাই, দিল্লী ত বহুদূর। তাও যেই সকল তরংগ মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে এইগুলার অস্থির মার্কা নয়েজ এর জন্য এইগুলা থেকে ডাটা ইন্টারপ্রেট করা যায় না। আমাদের এখনও বহুদূরের পথ পাড়ি দিতে হবে।

কুরান অনুসারে, সূর্য এবং নক্ষত্র (Stars) সম্পূর্ণ দুটো ভিন্ন জিনিস (Quran 7:54) ! প্রকৃত সত্যটা কি তাই ? আপনি যা করতেছেন তা হইল মিসইন্টারপ্রিটেশন।
indeed, your Lord is Allah , who created the heavens and earth in six days and then established Himself above the Throne. He covers the night with the day, [another night] chasing it rapidly; and [He created] the sun, the moon, and the stars, subjected by His command. Unquestionably, His is the creation and the command; blessed is Allah , Lord of the worlds.

এইখানে কোথাও বলা নাই সূর্য আর নক্ষত্র দুইটা আলাদা। আরবের বেদুঈন রা নেভিগেশন এর জন্য নক্ষত্র ফলো করত। কিন্তু তখন সায়েন্স অন্তত এই জায়গায় ছিল না যে সূর্য আর নক্ষত্র কি জিনিস দুইটা এক না আলাদা সেইটা বর্ণনা করে। যেই ভাষায় তারা বুঝবে ঠিক সেই ভাষায় উপমা ব্যাবহার করা হইছে। যেমন আপনি যদি রিলিজিয়াস এসকেটেলজি পড়েনঃ মান সম্মান জনিত কারণে ইসলাম এর টা পড়ার দরকার নাই, আজকাল ত লোকজন আবার কথায় ওল্ড টেস্টেমন্ট, স্ক্রল অফ মোজেজ এর কথা বলে সবই পাওয়া যায় ওইখানের এস্কেটলোজি পড়ে দেইখেন। ডুমস ডে অথবা লাস্ট আওয়ার এর প্রফেসিতে বলা আছে লাস্ট আওয়ার একজন ফলস মেসাইয়া আসবে যার নাম হবে দাজ্জাল, যার বাহন হবে উড়ন্ত গাধা; গাধার কানের মত তারা ডানা থাকবে। সেই সময়ে যদি বলা হইত ফলস মেসাইয়ার বাহন হবে প্লেন তাইলে সেইটা বুঝাইতে গেলে আরও চার পাচটা গ্রন্থ নাযিল করা লাগত। (আপনি যদি ত্যানা প্যাচাইতে চান, এখন আপনার ব্যাপার আমার এই রকম ম্যালা ত্যানা প্যাচানো ফ্রেন্ড আছে)

আল্লাহ যদি পৃথিবী এবং আকাশমণ্ডলী ছয় দিনে সৃষ্টি করে থাকেন (Quran 50:38)
And We did certainly create the heavens and earth and what is between them in six days, and there touched Us no weariness.

আপনি যদি এরাবিক জানেন তাইলে দেখবেন এইখানে ইয়াওম (মূল আয়াহ তে আইয়াম) শব্দটির ব্যাবহার করা হইছে। শুধু জি আর ই এর ওয়ার্ড এর থার্ড অথবা ফোর্থ মিনিং থাকে না, আরবী শব্দের ও থাকে। আইয়াম একটি নির্দিষ্ট সময় বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয় (অনেকটা ইনডেফেনিট নাউন এর মত স্পেসিফিক রেফারেন্স অথবা লিমিট নাই)। এখন আপনি যদি এইটার মিস ইন্টারপ্রেট করেন তাইলে আপনার সমস্যা।

সময় পাইলে বাকীগুলার এক্সপ্লেনেশন দিয়ে যাব। আপনাকে ছোট করার কোন ইচ্ছা আমার নাই। কারণ কোরআন এ এইটা বলা আছে। ওয়ালাক্বাদ কাররাম না বানী আদাম যার অর্থ উই হ্যাভ অনরড দা এভরি সন অফ আদাম। সুতরাং আপনিও সম্মানিত, কাজেই আপনাকে সম্মান করা আমার দায়িত্ব।

আপনি যদি মনে করেন এই রকম মিস ইন্টারপ্রিটেশন টাইপ কথা দিয়ে কাউকে ধর্ম থেকে ফেরাবেন তাহলে সেইখানেও আপনি ভূল ভাবলেন। কারণ আল্লাহ বলেছেন
So whoever Allah wants to guide - He expands his breast to [contain] Islam; and whoever He wants to misguide - He makes his breast tight and constricted as though he were climbing into the sky. Thus does Allah place defilement upon those who do not believe
Verse (6:125)

বিবাহিতদের উদ্দেশ্যে কিছু তিতা মিডা কথাঃ-

সংখ্যাধিক্যের কারণে ঘটনাগুলোর গুরুত্ব আপনার কাছে হ্রাস পেতে পারে, কিন্তু কোন ঘটনাই গুরুত্বহীন নয়, এই চরম সত্যটা উপলব্দিতে আসবে তখনি যখন আপনিও হবেন ভুক্তভোগীদের একজন। মূল কথা বার্তায় যাওয়ার আগে দুএকটি ঘটনার উল্লেখ করছি।


দৃশ্যপটঃ ১

বাড়িতে বৃদ্ধ মা এবং অবিবাহিত ছোট ভাই। ফ্যামিলির দেখভালো করার দায়িত্ব পড়ে ছোট ভাইটির উপর। সংসারের দায়িত্বই শুধু নয়, এক সময় দেহভোগ করার বরের খাস অধিকারটুকু ভাবী দেবরের হাতে তুলে দেয়। কয়েক বছর পর ভাসুর বিদেশ থেকে এসে আবিষ্কার করে এবং হাতে নাতে ধরেও। বরের কানে বিষয়টি বারবার পাচার করার পরেও কোন অজানা কারণে আজও তিনি নীরব নির্বার। হয়ত চারজন সাক্ষী আনার ঝামেলা এড়াতে অথবা মান সম্মানের ভয়ে কবি নীরব!

দৃশ্যপটঃ ২

বউয়ের আবদার শহরে একটা বাড়ি চাই। বউয়ের আবদার মেটাতে সংসারের অন্যসব সদস্যদের জন্য টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এদিকে বউ তার চমৎকার প্রতিদান হিসেবে দেবরের সাথে নিষিদ্ধ সম্পর্কে মেতে ওঠে। বিষয়টি জেনেও সব টাকা পয়সা বউয়ের হাতে দেওয়ায় তালাকও দিতে পারে না, এই নষ্টাকে নিয়েই ঘর করতে বাধ্য হয়। দেশে এসে বউকে শহরে একলা বাসায় ছেড়ে দিয়ে আবার উড়াল মারেন। যে নারী ভরা বাড়িতে যৌনাঙ্গের হেফাজত করতে পারে না, সে যে একলা বাসায় দেবর অথবা অন্য কাউকে ডাকবে না, তা নিশ্চিত করে কিভাবে বলা যায়!

দৃশ্যপটঃ ৩

নতুন বউকে রেখে বর বিদেশ যায়। এদিকে সামান্য ক’দিনের ব্যবধানে আপন দেবরসহ পাড়াতো, চাচাতো, মামাতো, খালাতো দেবরদের সাথে নিষিদ্ধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমন কি, বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা দিয়ে প্রেমিক পুরুষদের তাজা করে। এতো কিছুর পরেও কোন অজানা কারণে আবাল স্বামী আজও স্ত্রীর আচলেই বাঁধা পড়ে আছে।


দৃশ্যপটঃ ৪

শ্বশুর বাড়ি আসার পর শ্যালক/সম্বন্ধীর বউদের সাথে হাসি তামাসা না করলে শ্বশুর বাড়ির ভাতই হজম হয় না। হাসি ঠাট্টা ধীরে ধীরে নিষিদ্ধ সম্পর্কে রূপ নেয়। অতঃপর একদিন চাচাতো শ্যালকের বউয়ের সাথে শারীরিক মেলামেশায় ধরা পড়ে।

দৃশ্যপটঃ ৫

স্বামী-স্ত্রী দুজনই প্রেক্টিচিং ইসলাম ফ্যামিলি থেকে বেড়ে ওঠা। বর পেশায় ব্যাংকার। বদলির কারণে স্ত্রী এবং ছোট দুটি সন্তান থেকে দূরে থাকতে হয়। সপ্তাহে একবার আসে, খাওয়া ঘুম, সংসারের কিছু হিসেব নিকেষ, তারপর ছুট লাগায়। এসব ছাড়াও যে, স্ত্রীর মনো-দৈহিক চাহিদা আছে, সেদিকে খেয়াল নেই। যার ফলে ফেসবুকে কাউকে ভাই বা বন্ধু, আবার সমআদর্শের কাউকে পেলে চ্যাট করে একাকীত্ব দূর করার চেষ্টা করে। এভাবে ধীরে ধীরে চলে যায় অন্য দুনিয়ায়।

বিবাহিতা স্ত্রী অথবা স্বামীকে আপনি কি ভাবেন? আর সবার থেকে বিশেষ কিছু, নাকি স্বামী/স্ত্রী নামে অথর্ব টাইপের কিছু যাদের কাজ সময়ে সময়ে বিছানায় সঙ্গী হওয়া, কত্তগুলো পোলা মাইয়া জন্মানো, একজনে কাজের বুয়া অন্যজনে কামলাগিরি করা? আপনি কি ভাবেন স্বামী স্ত্রীর মিলন এবং পশুপাখিদের মিলনে কোন পার্থক্য নেই? মা-বাবা, ভাই-বোন, পাড়া প্রতিবেশি, তেষ্টা পেলে যাকে সামনে পায় তার সাথেই দৈহিক চাহিদা মেটায় পশুরা, আপনি কি মনে করেন বউ হতে পারে পশুদের মত এজমালি সম্পত্তি?

শুধু ভোগ করার জন্যই যদি কাউকে দরকার, তাহলে বিয়ের বদলে রক্ষীতা রাখাই বেটার। কাবিনের টাকাসহ বিয়ের আগে পরের অন্যান্য খরচতো বাঁচবেই। স্বামীর টাকা দিয়ে যদি বউ প্রেমিক পুরুষকে তাজা করে তাহলে পতিতার কাছে যাওয়াই ভাল, তাতে কিছুটা টাকা অন্তত সেইভ হবে।

আর যদি শুধু কাজ করানোর জন্য একজন মানুষ দরকার, তাহলে বিয়ে না করে চাকরানী রাখলেই পারেন। বউকে ছোট ভাইদের ভোগ করাতে যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে হাজার জনে ভোগ করাতেও আপত্তি থাকার কথা নয়, ঘরটাকে পতিতালয় বানালেই পারেন।

পতিতাকে ভোগ করায় সামান্য হলেও প্রেম জন্মায়, কিন্তু ওই একই পতিতাকে আরো অসংখ্য খদ্দর ভোগ করাতে আগের খদ্দরের কিছু যায় আসে না। বউয়ের ব্যভিচারে অনুভূতিহীন থাকা মানে বউকে পতিতাদের কাতারে শামিল করা। নষ্টাকে ডিভোর্স দিতে ভয়! ১৫/২০লাখ টাকা কাবিন লিখিয়ে বড়লোকিপনা দেখান, তালাক দিতে গেলেইতো বাপের ভিটাসহ টান পড়বে। বউ এখন গলার কাটা, না পারছেন গিলতে, না পারছেন ফেলতে!

দেবর যদি সমস্যা না হত, তাহলে যে চৌদ্দ জনকে বিয়ে করা যায় না বা দেখা দেয়া যায়, তাদের মধ্যে দেবরও থাকতো। দেবর ভাইয়ের মত কিন্তু ভাই নয়। ভাবী মায়ের মত, মা নয়। পোশাকে অসতর্ক বোনকে দেখে ভাই বিব্রত হয়, কামনা জাগে না অথচ ভাবীকে একই অবস্থায় দেখে বিব্রত এবং কামনা দুটোই হয়। ভাইয়ের মৃত্যু অথবা তালাক দানের পরে ছোট ভাই ভাবিকে বিয়েও করতে পারে এবং তা অনুমোদিত।

ইসলাম ব্যাকডেটেড, দেবরের সাথে ভাবীকে মিশতে দেয় না অথবা শ্যালিকার সাথে দুলাভাইকে, মেনে চলতে হয় নির্দিষ্ট সীমারেখা। আপনারাতো আধুনিকতার ধ্বজাধারী, দেবরের সাথে মিশবেন, গল্প ঠাট্টা করতেই পারেন, বিছানায় যান কেন? এক ভাইয়ের বউকে সবাই ভোগ করা জানোয়ারের কাজ, আপনি আধুনিক কিন্তু জানোয়ারও!


মায়ের পেটের ভাই ভাইয়ের বউকে লুটে পুটে খায়, বিবেকে বাঁধে না, আর কিনা বন্ধুর বাঁধবে! আপনার হাজারটা বন্ধু থাকতেই পারে, কেননা বন্ধু ছাড়া জীবনে চলা খুব কঠিন কিন্তু বন্ধুদের ভিড়ে বউকে টেনে আনা কেন? বউ বন্ধুদের সামনে আসতে চায় না তবুও জোর করে নিয়ে আসেন, আর পরে যখন বন্ধুদের দ্বারাই বউ হয় এজমালি সম্পত্তি, তখন থাকে না কিছু করার।

আপনি কি মনে করেন, যে সমস্যাগুলো উপরে বর্ণিত হয়েছে, তা আপনার ঘরে সংঘটিত হবে না বউ ইসলামী আন্দোলনের পথে সক্রিয় বলে? কিন্তু এটা ভুলে যান কেন কর্মী হলেও আগে পরে সে একজন মানুষ। আর দশ জন মানুষের মত তারও মাঝেও কুপ্রবৃত্তিগুলো বর্তমান রয়েছে যা সে দাবিয়ে রেখেছে অনুশীলনের মাধ্যমে, নৈতিকতার বাঁধন শিথিল হয়ে গেলে কুপ্রবৃত্তিগুলো তাকে পরিচালিত করবে, যা দৃঢ় করতে আপনার ভূমিকা অনন্য। অতএব আপনার দাওয়াতী কাজসহ নানান ব্যস্ততার ভীড়ে তাকে গাইড করার সময় যদি না হয়, তাহলে আপনি অক্ষত থাকলেও তাকে কিন্তু গুনে খাওয়া শুরু করবে!

স্বামী বিদেশ, যৌবন জ্বালা সইতে না পেরে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছেন! কেন, অকালেই যাদের স্বামী মারা গেছে, তারা কিভাবে সহ্য করে। তবুও জ্বলন যদি এতোই তীব্র হয়, দু চার মাস অথবা ছর অপেক্ষা করা অসম্ভব, পর পুরুষকে বুকে টানতেই হয় তাহলে আপনাকে সংসারধর্ম মানায় না, বেশ্যাগিরিতে নাম লেখান। জ্বালাও মিটবে, উপড়ি পাওনাতো আছেই!

আপনার যা করণীয় তা কতটুকু করেছেন?

ধর্ষণ, বলাৎকার ইত্যাদি অধিকাংশক্ষেত্রে আকস্মিক উত্তেজনার বশে হয়ে থাকে কিন্তু পরকীয়া স্বাভাবিক ওঠাবসায় ভাললাগা থেকে, সময়ের ব্যবধানে তা দৈহিক সম্পর্কে রূপ নেয়। আপনি কি বোধ শক্তিহীন? এতোকাল এক সাথে থেকেও মতি গতি বুঝতে পারেন না? আমার ধারণা মতে, পরকীয়ায় নিমজ্জিত প্রায় সবাই প্রথম দিকে কাজটাকে পাপ বলেই বোধ করে, পরকালীন ভয়ে অথবা কেউ জানাজানি হওয়ার ভয়ে এগোতে চায় না। ঠিক এই সময়, চূড়ান্ত রূপ নেওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

যে কাজগুলো করতে বউকে বারবার পরপুরুষের দারস্থ হতে হয় সে কাজগুলো আপনি ব্যবস্থা করে দিন, অনিচ্ছাসত্ত্বেও পুরুষদের অবিরাম খোঁচাখুঁচিতে নারীর পদস্খলনের যে সম্ভাবনা থাকে তা অন্তত আপনার বউয়ের দ্বারা হবে না।

বাড়ির বউয়েরা অধিকাংশ সময় পাড়ার পুরুষদের লালসার বস্তুতে পরিণত হয়, পুকুরে খোলামেলা গোসল, কলতলা বা হাউজে যথাযথ পর্দার ব্যবস্থা না থাকা, ঘরের রুমগুলো আর সরাইখানায় কোন পার্থক্য না থাকায়। মা, বোন আর বউয়ের জন্য আলাদা ঘর, টয়লেট, গোসল খানা, বাড়ির চারপাশে দেয়াল, দরজায় পর্দা টাঙ্গাতে পারেন না? টাকাতো কম খরচ করেন না! এইসব ব্যবস্থা নিন, অন্তত আরো একটা সম্ভাবনা কমে যাবে।

বরের পরনারী আসক্তি থামানোর শক্তি নেই? বিশাল অংকের টাকা কাবিন লেখিয়েছেন যাতে স্বামী তালাক দিতে না পারে, আর সেটাই এখন উল্টো ঝামেলা হয়ে দাঁড়ালো। স্বামী তালাক দিতে গেলে এই টাকা দিতে বাধ্য, কিন্তু আপনি তালাক নিতে গেলে টাকা পাওয়ার চান্স কম, তাই সবকিছু জেনেও পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীকে নিয়েই বসবাস করছেন। বেশি বুঝলে যা হয়! অতএব, ছোট বোনদের বিয়েতে নিশ্চয় এই লোভটার পুনরাবৃত্তি করবেন না!

তাছাড়া আপনার ভালবাসায় জোর এতো কম কেন, বিয়ের আগেই নিশ্চিত হয়ে যান স্বামী ছেড়ে দিবে! অল্প বেতনের চাকুরী আপনার পোষায় না, বেশি টাকা আয় করতে স্বামীকে সক্ষমতার বাইরে গিয়ে ঘুষ খেতে, অবৈধপথে টাকা আয় করতে স্বামীকে বাধ্য করতে পারেন, চোখ রাঙ্গানীতে বাবা, মা, ভাই বোন ছেড়ে আপনার কথায় উঠবস করাতে পারেন অথচ বিপথগামী থেকে বাচাতে পারেন না কেন? ছোট বোনসহ নানা সম্পর্কীয়া বোন, ভাবীদের সাথে স্বামীর অবাধ মেলামেশা দেখেও কখনো বাধা দিয়েছেন কি? না দিয়ে থাকলে বাধা দিন তবে কৌশলে, আশা করা যায় আপনি সফল হবেন।


স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে অন্যায় কাজ থেকে ফেরাতে বা কৃত অপরাধের শাস্তিস্বরূপ যে ব্যবস্থা ইসলাম বাতলে দিয়েছেন, এটাকে যারা সেকেলে মনে করেন, তারা এথিকস না নৈতিকতা দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চান। অথচ এথিকস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পর তার জন্য চূড়ান্ত শাস্তি ও পুরষ্কারের ব্যবস্থা না থাকলে এথিকসের কার্যকারিতা খুব কম। ইসলামে আছে এথিকস এবং চুড়ান্ত পরিণতি (জান্নাত ও জাহান্নাম) যা কেবল পারে ব্যভিচার রোধ করতে পারে।

হারার আগেই হেরে গেলে চলবে? সৃষ্টিকর্তার নির্দেশিত পথে একটু চেষ্টা করে দেখেন। খোলামেলা কথা বলুন, তাতে মাইন্ড করলে সাধারণভাবে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরুন তাতে করে তার দ্বারা সংঘটিত অপরাধটির উল্লেখ না করলেও শুনতে শুনতে তার ভেতরে অনুশোচনার আগুন দায় দায় করে জ্বলে উঠবে, নিজের ভেতরে পরিবর্তন আনতে মন ছটপট করবে।

যদি ভেবে থাকেন, ভালবাসা দিয়ে তার সব জয় করবেন, রাখবেন পাপ থেকে দূরে, তাহলে বলব, এই কমন কোয়ালিটি কম বেশি সবার মধ্যেই থাকে। অন্য কারো কাছে গেলেও ভালবাসা পাবে। হয়ত আপনি ছাড়া আর কারো কাছে যাওয়া হয় নি বলে ভালবাসাও পাইনি, তাই আপনিই তার ধ্যান-জ্ঞান। শুধু ভালবাসবেন, তা নয়, সাথে সাথে অলঙ্ঘনীয় বিধানগুলো নিজে অনুশীলন করুন এবং আপনার জীবন সঙ্গীকেও অনুশীলন করান, তবেই হবে পাপ পংকিলতামুক্ত একটি সংসার, সর্বোপরি বিশ্ব সমাজ। আপনার প্রচেষ্টায় আল্লাহ সহায় হোন।



Wednesday, October 21, 2015

স্থান-কালের শুন্যতা, শুন্য স্থান-কাল, আলোকের দ্বৈতনীতি এবং আমার অনুভূতিl


আমরা জানি আলোকে পদার্থ এবং শক্তির দ্বৈতচরিত্র বিদ্যমান । অর্থাৎ আলোক যুগপৎ শক্তি এবং কণা, যেটা আমার কাছে সূক্ষ্মত্রুটি বলেই মনে হয় ।
১) আলোক যদি কনিকার মতো আচরণ করে, তবে মহাকর্ষ বলে তার ক্রিয়া থাকবে এবং আলোকের বেগ শুন্যমাধ্যমে ধ্রুব না হয়ে কম বেশীও হতে পারে । কিন্তু মহাবিশ্বে শুন্যস্থান কি আসলেই শুন্য, যেখানে সবগুলো ভৌতরাশি যুগপৎ শুন্য হয়ে যাবে ? আসলে দৃশ্যমান মহাবিশ্বে এমন কোন শুন্যস্থান নেই, কারন তাতে স্থান শুন্যতার সংকটে পড়বে মহাবিশ্ব, সেই সাথে কল্পিত ধর্মের ঈশ্বরও অস্তিত্ত্ব সংকটে পড়বে, যেটা বিগব্যাঙ্গের আগের কল্পিত অবস্থাকে বোঝায়, যা বর্তমান মহাবিশ্বে আদৌ সম্ভব নয় । তারমানে মহাবৈশ্বিক সকল শুন্যতা আপেক্ষিক, পরম শুন্যতা নয় ।
২) আলোক যদি শক্তিই হয়, তাহলে বৃহৎ ভরের বস্তুর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গতিপথ বেকে যায় কীভাবে ? আলোক কি মহাকর্ষ বলে ক্রিয়া করে কিংবা সংবেদনশীল ? অথবা মহাকর্ষ বল কি (আলোকসহ অন্যান্য) শক্তির উপর ক্রিয়াশীল ? বৃহৎ ভরের বস্তুর পাশ দিয়ে আলোকের গতিপথে কল্পিত স্থানের বেকে যাওয়া আমার কাছে কৌতুক বলেই মনে হয় । তাহলে স্থান কি কণিকা সম্বলিত একটি ভৌত রাশি ? মহাকর্ষ বল সেই কণিকাকে আকর্ষণ করে ঠিকই তবে ফোটনকে নয়, কিন্তু জানামতে ফোটন কনিকার নামমাত্র ভর আছে, তাহলে আলোক মহাকর্ষ বলে কেন আকর্ষিত হবেনা ? তাহলে স্থানিক বক্রতার কল্পিত ধারনা প্রনয়ন কেন ? তবে এও ঠিক আলোক চলার পথে(স্থানে) কখনই পরম শুন্যতা পাবেনা, এবং আলোকের বেকে যাওয়া মুলত স্থানিক কনিকার বঙ্কিম গতিপথের ধারনা, যেটা কণাবাদী কল্পিত রাশির স্বেচ্ছা বঙ্কিম চিন্তামাত্র ।
৩) ভরসম্পন্ন কোন কণার বেগই আলোকের বেগে পৌছাতে পারবেনা, কোন বস্তু আলোকের বেগে ছুড়ে দিলে তা সম্পুরণ শক্তিতে রূপান্তর হয়ে যাবে, তাহলে বলা যায় আলোক কনা নয় । অথবা আলোক তরঙ্গ এবং কনার অস্থিতিশীল আপেক্ষিক অবস্থামাত্র । তাহলে বুঝতে হবে কোন বস্তুকেই সম্পূর্ণ শক্তিতে যেমন রূপান্তর করা যায়না, তেমনি কোন শক্তিই সম্পূর্ণ ভরমুক্ত নয়, কিছু না কিছু ক্ষুদ্রতর ভর শক্তিও বহন করে যেটা পরিমাপ করার মতো সুক্ষ্মতায় আমাদের পদারথবিজ্ঞান এখনও পৌছাতে পারেনি । তাই আলোকের দ্বৈতনীতি আমাদের সীমাবদ্ধ পর্যবেক্ষণগত একধরনের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি বলেই মনে হয়, তার উপর একটি কনার স্থিরত্ত্ব বা গতিবেগকে মাপার ক্ষেত্রে রয়েছে হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তানীতি বা পদার্থ বিজ্ঞানের চরম সীমাবদ্ধতা, কারন কোন একটি বিশেষ কণার স্থিতি বা গতির সঠিক দশা পর্যবেক্ষণ করতে হলে তার উপর আলোকপাত করতে হবে, কোথাও আলোকপাত করতে হলে কনাবাদী বলবিদ্যামতে কম্পক্ষে এক কোয়ান্টা বা কণিকাগুচ্ছ আলোক নিক্ষেপ করতে হবে, নিক্ষেপিত আলোক কনার সংস্পরশে পরযবেক্ষনীয় কনাটি অস্থির হবে, অস্থিরতায় অবস্থানের পরিবর্তন হবে, যাতে করে ঐ একক কনাটির সঠিক দশা আমরা কোনদিনই নির্ভুলভাবে জানতে পারবোনা, সেই সাথে কনাবাদী পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে কোনদিনই একটি কনার নিশ্চিত একটি রাশি পাবোনা, তার বদলে পাবো সম্ভাব্য সকল দশার ইতিহাসের সমষ্টি, কারন কণিকার একটিমাত্র গতিপথে চলাচল করেনা বরং যুগপৎ সম্ভাব্য সকল পথেই তাকে পাওয়া যেতে পারে, এটাই অনিশ্চয়তানীতির মুলকথা । আলোকের দ্বৈত চরিত্র চিহ্নিত করে একক চরিত্র দিতে পারলেই মহাকর্ষ বলকে গ্রান্ড ইউনিফায়েড থিউরিতে রূপান্তর করতে পারবো, যাতে করে পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা মহাবিশ্বের শুরু এবং পরিণতি বা গন্তব্যকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারি, সেই সাথে অনুধাবন করতে পারি আমাদের ধারন করা একমাত্র ক্ষুদে মানব বা অন্যান্য জীবনের নিঘুঢ় সত্যটিকেও, যেটা পদার্থবিজ্ঞানের চুড়ান্তভাবে অর্জনের লক্ষ্য । তবে সেটা চাট্টিখানি কথা নয়, অনেকটাই অন্ধকার গুহায় নিকষ কালো বিড়ালটাকে খুঁজে পাবার মতোই ।
পূর্বে বিদ্যুৎ এবং চুম্বকীয় বল আলাদা ধরে নিলেও ম্যাক্সওয়েল বলদুটিকে একত্র করে বিদ্যুত-চুম্বকীয় বলে রূপান্তর করেন, পরবর্তিতে উইনবারগ এবং আব্দুস সালাম নিউক্লীয় দুর্বল বলকে, ইলেক্ট্রো-ম্যাগ্নেটিক বলের সাথে একত্র করেন যা ইলেট্রো-উইক ফোরস হিসেবেই পরিচিত । কিন্তু এখনও আমরা নিউক্লিয় সবল বল এবং মহাকর্ষীয় বলকে একত্র করতে পারিনি, সেই দুটি বলের সম্পূর্ণ আচরণ এখনও অনেক অজানা । বিশেষ করে অতিভরের বস্তুর দূরবর্তী মহাকর্ষীয় বলের প্রাবল্য !!
৪) পুঞ্জিভুত আন্তঃআণবিক শক্তির কণিকা পর্যায়ে বিস্ফোরনই আলোকের সৃষ্টি, আলোকের বেগে E=mc2 , ব্যাপক আপেক্ষিকতাবাদের সমীকরণে, আলোকে রুপান্তরিত বস্তুর ভর কি শুন্য নাকি অসীম হয়ে যাবে যখন আলোকের বেগ c ? তাহলে m কি রূপান্তরিত বস্তুর ভর নাকি অবশিষ্ট বস্তুর ভর ? এমন অস্পষ্টতা মাঝে মাঝে স্মৃতিতে প্রতারণা করে বেড়ায় । সীমানাহীন মাল্টিভারসের আধুনিক ধারনাটা বেচে থাকার আশা জাগানিয়া, আমি মরে গেলেও কালে মানুষ বেচে থাকবে আলোকের তরঙ্গের অগ্রভাগের গতিপথেই, ভুত-ভবিষ্যত-অতীতের নিয়ন্ত্রন হাতে নিয়েই ।
৫) যাহা স্থান, তাহাই কাল । তাই স্থান-কাল একটি একক ভৌতরাশি, কালের বহুরূপতা আছে, যেমন, সমকাল, অতীতকাল, ভবিষ্যতকাল, মহাকাল, বাস্তবকাল এবং স্টিফেন হকিং প্রস্তাবিত কল্পিতকাল, যা মহাবিশ্বের ব্যাপক অর্থে বাস্তবকালের মতোই আচরণ করে । এখন অতীতকালকে ঋণাত্মক কালও বলতে পারি । মহাবিশ্ব শুন্যতা থেকে , তাহলে ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক দুটি রাশিই যুগপৎ সৃষ্টি হওয়ার কথা, যেহেতু এন্টি-প্রোটন বা এন্টি-নিউট্রনের অস্তিত্ত্ব আমরা অনুধাবন করি ; আরেকটি এন্টিভারসের অস্তিত্ত্ব কল্পনা করিই তাহলে স্থান-কালের এমন ঋণাত্মক রাশি, বা এন্টিস্পেসের অস্তিত্ত্ব কেমন ? কনাবাদী পদারথবিজ্ঞানে মহাবিশ্ব সীমানাহীন, সীমানাহীন মহাবিশ্বে এন্টি স্পেসের আলাদা অস্তিত্ত্ব বা অবস্থান থাকার কথা নয়, থাকলে তাদের বিভেল তলের ক্রিয়া কী ? যেহেতু সকলি একই মহাবিশ্বের অধীন, একই মহাবিশ্বে স্পেস এবং এন্টি-স্পেস বিদ্যমান; তাহলে একই মহাবিশ্বাধীন পরস্পর বিপরীত কনা প্রতিকণার ঘটমান ক্রিয়া কেমন ?
যে দুটি স্পেস একত্র হলে মুহূর্তেই এ দৃশ্যমান বা অদৃশ্য মহাবিশ্ব বিকট বিস্ফোরণে শুন্যতায় ফের মিলিয়ে যাবে ! যার পূর্বে নিশ্চিত কোন পূর্বাভাসটুকু আমরা পাবোনা, আলোকের দ্বৈতনীতি এবং হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তানীতি এই দুই আপেক্ষিক-অনিশ্চয়তায় পর্যবেক্ষণগত চরম সীমাবদ্ধতার জন্য, যে সীমাবদ্ধতা আমরা কোনকালেই অতিক্রম করতে পারবোনা, যার জন্য অনাগত সেই শুন্যতায় মিলিয়ে যাওয়ার ভবিষ্যত বানীটুকু সম্ভাব্যতার দোলাচলেই রয়ে যাবে চিরকাল, মহাবিশ্বের নিিশ্চিত পরিণতির কোন ভবিষ্যত বানী নাই..সকলি সম্ভাব্যতার ইতিহাসের সমষ্টিমাত্র.।