Wednesday, September 30, 2015

আল্লাহ সেই কাজই করেছেন।


গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, ইলেকট্রন, প্রোটন, অণ্ডকোষ ইত্যাদি শব্দগুলো আগে ছিল না। এগুলো নতুন শব্দ আর কিছুদিন আগে ডিকশনারীতে যোগ হয়েছে। তবে ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রশ্ন হলো------ যেভাবে বর্তমানে আমরা প্রতিটি অংশ আলাদা আলাদা করে পড়ি, আলাদা অালাদা করে উল্লেখ করি হাজার বছর আগে কেনো আল্লাহ কুরআনে সেভাবে উল্লেখ করল না??? আল্লাহ কি তাহলে জানত না??? তাহলে এটা আল্লাহর বাণী হলো কি করে???
দেখছেন নি অবস্থা!!! আগের যুগের মানুষদের যদি বলা হতো বস্তু ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন পাওয়া যায়। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিলে পানি উৎপন্ন হয়। হাইড্রোজেনের ভর এতো.......... অক্সিজেনের ভর এতো............। তাহলে কি সে যুগের মানুষ এসব বুঝত???
সেই যুগের কথা বাদই দিলাম। আজকের যুুগের মানুষকে যদি বলা হয় এসব কথা তাও তো অনেকেই বুঝবে না। আর কেউ বুঝল না তবে আল্লাহ সেরকম কথা বললো তাহলো কি কিছু হতো? এজন্য আল্লাহ সম্পূর্ণ কুরআনেই এমনভাবে কথা বলেছেন যেনো তা সেই যুগের মানুষরাও বুঝতে পারে আর বর্তমান যুগের মানুষরাও সেসব আয়াত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। তবে ইসলাম বিদ্বেষীদের একটাই কথা------- কুরআন যদি আল্লাহর বাণী হয় তাহলে কেনো বর্তমান যুগের মতো বৈজ্ঞানিকভাবে পার্ট পার্ট করে লিখল না????
তারা কখনোই চিন্তা করে না সে যুগের মানুষের কথা!!!
আল্লাহ কথা বলেছেন একেবারে সহজ ভাষায় যেনো সেই যুগের মানুষ তা বুঝতে পারে। আর কোনো অঞ্চলের মানুষকে বুঝানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ভাষা হলো প্রচলিত ভাষা। সে যুগের মানুষ যে শব্দ দ্বারা যে অর্থ বুঝত সেভাবেই আল্লাহ কুরআন নাযিল করেছেন। আর এটাই স্বাভাবিক কাউকে বুঝাতে হলে।
তাহলে আল্লাহর কি ‍ উচিত ছিল???---- সেই যুগের মানুষদের সেই যুগের প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা??????????????
নাকি বর্তমান যুগের মতো বৈজ্ঞানিক শব্দগুলো পার্ট পার্ট আকারে আলাদা আলাদা করে বলা?????
তাহলে তো সেই যুগের মানুষ কিছুই বুঝত না। উল্টো নবীজী (সা:) এর কথায় কোনো ভ্রুক্ষেপই করত না কেউই। এমনিতেই সেই যুগের অনেক মানুষ নবীজীকে পাগল বলেও ডাকত????
অথচ এসব বিষয় ইসলাম বিদ্বেষীরা জেনেও কখনো লক্ষ্য করবে না।
আপনি যদি মূর্খ একজনকে বলেন--------“ভাই, আমি মারা যাচ্ছি। আমার খুব পিপাসা লেগেছে। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর মাঝে বিক্রিয়া ঘটে যে খাদ্যবস্তু পাওয়া যায় তা আমাকে এনে দিন।”
ফলাফল কি হবে: আপনি মারা যাবেন মাগার মরার আগে পানি পাবেন না। তাই না? তাহলে বুদ্ধিমানের কাজ বা সঠিক কাজ কোনটি???---- প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা যে শব্দ মানুষ বুঝবে।
আল্লাহ সেই কাজই করেছেন।

আল্লাহ সেই কাজই করেছেন।


গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, ইলেকট্রন, প্রোটন, অণ্ডকোষ ইত্যাদি শব্দগুলো আগে ছিল না। এগুলো নতুন শব্দ আর কিছুদিন আগে ডিকশনারীতে যোগ হয়েছে। তবে ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রশ্ন হলো------ যেভাবে বর্তমানে আমরা প্রতিটি অংশ আলাদা আলাদা করে পড়ি, আলাদা অালাদা করে উল্লেখ করি হাজার বছর আগে কেনো আল্লাহ কুরআনে সেভাবে উল্লেখ করল না??? আল্লাহ কি তাহলে জানত না??? তাহলে এটা আল্লাহর বাণী হলো কি করে???
দেখছেন নি অবস্থা!!! আগের যুগের মানুষদের যদি বলা হতো বস্তু ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন পাওয়া যায়। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিলে পানি উৎপন্ন হয়। হাইড্রোজেনের ভর এতো.......... অক্সিজেনের ভর এতো............। তাহলে কি সে যুগের মানুষ এসব বুঝত???
সেই যুগের কথা বাদই দিলাম। আজকের যুুগের মানুষকে যদি বলা হয় এসব কথা তাও তো অনেকেই বুঝবে না। আর কেউ বুঝল না তবে আল্লাহ সেরকম কথা বললো তাহলো কি কিছু হতো? এজন্য আল্লাহ সম্পূর্ণ কুরআনেই এমনভাবে কথা বলেছেন যেনো তা সেই যুগের মানুষরাও বুঝতে পারে আর বর্তমান যুগের মানুষরাও সেসব আয়াত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। তবে ইসলাম বিদ্বেষীদের একটাই কথা------- কুরআন যদি আল্লাহর বাণী হয় তাহলে কেনো বর্তমান যুগের মতো বৈজ্ঞানিকভাবে পার্ট পার্ট করে লিখল না????
তারা কখনোই চিন্তা করে না সে যুগের মানুষের কথা!!!
আল্লাহ কথা বলেছেন একেবারে সহজ ভাষায় যেনো সেই যুগের মানুষ তা বুঝতে পারে। আর কোনো অঞ্চলের মানুষকে বুঝানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ভাষা হলো প্রচলিত ভাষা। সে যুগের মানুষ যে শব্দ দ্বারা যে অর্থ বুঝত সেভাবেই আল্লাহ কুরআন নাযিল করেছেন। আর এটাই স্বাভাবিক কাউকে বুঝাতে হলে।
তাহলে আল্লাহর কি ‍ উচিত ছিল???---- সেই যুগের মানুষদের সেই যুগের প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা??????????????
নাকি বর্তমান যুগের মতো বৈজ্ঞানিক শব্দগুলো পার্ট পার্ট আকারে আলাদা আলাদা করে বলা?????
তাহলে তো সেই যুগের মানুষ কিছুই বুঝত না। উল্টো নবীজী (সা:) এর কথায় কোনো ভ্রুক্ষেপই করত না কেউই। এমনিতেই সেই যুগের অনেক মানুষ নবীজীকে পাগল বলেও ডাকত????
অথচ এসব বিষয় ইসলাম বিদ্বেষীরা জেনেও কখনো লক্ষ্য করবে না।
আপনি যদি মূর্খ একজনকে বলেন--------“ভাই, আমি মারা যাচ্ছি। আমার খুব পিপাসা লেগেছে। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর মাঝে বিক্রিয়া ঘটে যে খাদ্যবস্তু পাওয়া যায় তা আমাকে এনে দিন।”
ফলাফল কি হবে: আপনি মারা যাবেন মাগার মরার আগে পানি পাবেন না। তাই না? তাহলে বুদ্ধিমানের কাজ বা সঠিক কাজ কোনটি???---- প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা যে শব্দ মানুষ বুঝবে।
আল্লাহ সেই কাজই করেছেন।

রিয়েল লাভ]


[রিয়েল লাভ]
.
-তোকে আমি ভালবাসি..প্লিজ বিয়েতে
রাজি হয়ে যা।
-সেটা ভালবাসা না করুণা.
-তুই এই রকম করছিস ক্যান,পুরনো সব কিছু
অতীত মনে করে ভূলে যা।।
-পারব না।।।
-কেন,,তখন তো বলেছিলাম বেশি
ইমোশনাল কখনো হবি না নইলে ব্লাক
মেইল এর শিকার হবি কিন্তু সেটা তো
শুনলি না।।
-হ্যাঁ আমার ভূল হয়েছে এটার শাস্তি আমি
পাচ্ছি এখান থেকে এখন তুই যা।।
-বিশ্বাস কর আমি তকে সত্যি অনেক
ভালবাসি কিন্তু এত দিন শুধু বন্ধুক্ত্ব নষ্ট
হবে বলে বলিনি।।
-তো এখন বলছিস কেন???
-এত দিন না বলে ভূল করেছিলাম তাই আজ
একদম বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে এসেছি।তর সাথে
বিয়ের পর প্রেম করব।।
-আমি পারব না।।
-তকে পারতে হবে।।
-বললাম তো পারব না।।
-ঠাস ঠাস ঠাস....
(৩টা চড় অনেকটা জুড়েই নিলার গালে
বসিয়ে দিয়েছে।।জানি এই চড় গুলা মারতে
আমার অনেক কষ্ট হয়েছে কিন্তু ওর কথা
গুলায় অনেক জ্বলছিলাম তাই মেরেছি।।।ওর
কাছ থেকে উঠে চলে এসেছি..এখন
নিরিবিলি একটা জায়গায় বসে আছি আর
ওর কথা ভাবছি)
.
কিছুটা পিছন থেকে বলি নিলা আর আমি
সেইম ক্লাসেই পড়ি এবছরই আমাদের
অনার্স শেষ হবে।।।ওর একমাত্র বেষ্ট
ফ্রেন্ড আমি ছিলাম আমারও নীলাই
একমাত্র শুরু থেকে এখন পর্যন্ত।।।একটা সময়
যখন বুঝলাম নিলার উপর আমি দূর্বল হয়ে
পরেছি তখন ওকে বলতে পারছিলাম না যদি
ফ্রেন্ডশিপ টা নষ্ট হয়ে যায়।ওর ফ্যামিলি
এমনিতেই আমাকে অনেক পছন্দ করে এবং
তারা ভাবছে আমাদের রিলেশন আছে।।।
সো আমাদের অনার্স শেষ হবার পর
আমাদের বিয়ের ডেইট ফাইনাল হবে সেটা
আমি জেনে গেছিলাম তাই একদিক থেকে
খুশিও হয়েছিলাম কিন্তু বাদ সাজল তখন
যখন জানতে পারলাম নিলা এই বিয়েতে
রাজী না।।এই নিয়ে নিলার সাথে বেশ
কথাও হয়েছে...
.
৭দিন আগের কথা..
-নিলা তুই তো আমার চিরজীবন এর জন্য
হয়ে যাবি।।।
-দেখ অর্ক ফাজলামি করবি না।তুই শুধু
আমার বন্ধু এর বেশি না।।
-ও আচ্ছা।।তা বন্ধুকে কি বিয়া করা
হারাম।।
-না তবে আমি তকে বিয়ে করতে পারব
না।।
-কেন??আমি কি দেখতে অনেক খারাপ।।
-সেটা না।।আমি অন্য একজন কে
ভালবাসি।।
-(শুনার সাথে সাথে মাথায় যেন আকাশ
ভেঙ্গে পরল ওর সাথে এত দিনের
ফ্রেন্ডশিপ আর ও তার রিলেশন এর
ব্যাপারে আমাকে কিছুই বলেনি তবুও অনেক
কষ্টে হাসি মুখে বলেছিলাম ছেলেটা
কে??)
-নীল...এবার ওর অনার্স শেষ হয়েছে।।।
-ভাল..তবে বেশি বিশ্বাস করিস না।।
ছেলেটা তেমন সুবিধার না।।
-তকে সে ব্যাপারে না ভাবলেও চলবে।।।
.
সেদিন চলে আসার পর অনেক কেঁদে ছিলাম
এতটা দিনের মনের ভিতরের লুকিয়া রাখা
ভালবাসাটা অন্যের হয়ে গেল।।তবে
আসলেই নীল নামের ছেলেটা ভাল ছিল না
ওর সম্পর্কে অনেক বাজে কথা শুনেছি ওর
প্রেম নাকি বেশি হলে ২-৩মাস স্থায়ী
হয়।।।
তাই ঘটল ওই ঘটনার পর আমার সাথে নিলার
যোগাযোগ প্রায় অফ হয়েগেছিল ২দিন
আগে নিলা আমাকে ফোন দিয়ে নদীর
পারে ডাকল ভাবলাম হয়ত বিয়ার
কিনাকাটা করতে হবে তাই এর চেয়ে বেশি
কিছু হবে ভাবিনি..
-হুম কি জন্য ডাকলি..
-অর্ক আমি মরে যাব।।তুই সেদিন অনেক
কষ্ট দিয়েছিলাম প্লিজ দোস্ত রাগ করিস
না।।নীল এর সাথে রিলেশন হওয়ার পর নীল
বলেছিল আমাদের রিলেশন এর ব্যাপারে
কাউকে না বলতে তাই তুই আমার অনেক
ক্লোজ হওয়ার পর ও বলি নি।।
-আচ্ছা এসব বাদ দে।।।মরবি কেন??কি
হয়েছে।।
(দেখলাম নিলার চোখ গুলা লাল রাতে
সম্ভবত অনেক কেঁদেছে আর এখনো কেঁদেই
চলেছে)
-অর্ক আমি শেষরে।।।কিছুদিন আগে নীল
আমার সাথে অনেকটা ইমোশনাল ভাবেই
ব্লাক মেইল করে ফিজিক্যাল রিলেশন
করেছে।।।
-(এটা শুনার পর আমি পুরাই অবাক হয়েছে
গিয়েছিলাম নিলার মত একটা মেয়ে
বিয়ের আগে কিভাবে পারব)নিল এখন
কোথায়।।
-ওকে আজ ৪দিন হল খুঁজে পাচ্ছিনা।।শুনলা
ম ও নাকি তার গ্রামের বাড়ি চলে গেছে
আর গতকাল নাকি ওর বিয়ে ছিল।।(কেঁদে
কেঁদে বলছিল নিলা)
-দেখ যা হবার তা তো হয়ে গিয়েছে এখন
নিজেকে শক্ত কর।।।শুন সবাই দেহ টাকে
ভালবাসে না মন কে ভালবাসে হয়ত তুই ভূল
মানুষ টা বেছে ছিলি সেজন্য এমন
হয়েছে।।।নিজেকে শক্ত কর।।।
(নিলা শুধু কেঁদেই চলেছে সেই দিনের পর
থেকে নিলা এতটাই নিরব হয়েছিল যে
কারো সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলত না
সব সময় যেন একটা অজানা পাপ তাকে
ঘিরে রাখত।।ওর বাবা-মা সে ব্যাপারে
জানেন না শুধু আমি ছাড়া এই ব্যপার টা
আর কেউই জানে না।।।
.
অনেক চিন্তা করে ডিসিশন নিলাম নিলা
কে আমি বিয়ে করব কারণ সব ভালবাসা কি
দেহের মাঝে তাকে নাকি আর আমি একটা
সুযোগ পেয়েছি এত দিনের ভালবাসাটা
নিজের করে পাওয়ার।।সত্যিই নিলা আমি
অনেক বেশি ভালবেসে ফেলেছি।।।আর সে
জন্যই আজ ওকে ডেকেছিলাম কিন্তু নিলা
মানছে না ও ভাবছে ওকে আমি করুণা করছি
ও পাপ করেছে সেটার দায়বার আমি কেন
নিব এসব ভেবেই ও আমাকে বার বার না
করছে কিন্তু ও তো জানে না ওকে আমি
কতটা চাই।।কতবার ভালবাসার কথা বলতে
গিয়েও পারিনি।।।কিন্তু ও বার বার আগের
রিলেশনের জন্য নিজেকে দুষি ভাবছে আর
আগের ঘটনা মনে রেখে কাঁদছে তাই আমিও
রেগে গিয়ে ওকে ৩টা চড় মেরে এখানে
এসে বসে আছি।।।
.
হঠাৎ ফোন আসল ফোনের স্কিনে চেয়ে
দেখলাম আমার ফ্রেন্ড শাওন এর ফোন
রিসিভ করার সাথে সাথে ও বলে উঠল
হারামী তুই কই নীলা হাসপাতে সুইসাইড
এর চেষ্টা করছিল।।।।কোন হাসপাতাল আর
কেবিন নাম্বার জেনে তাড়াতাড়ি
ওইখানে পৌছে গেলাম।।।
আসলে কিভাবে যে অতটা পথ এসেছি
জানিনা দৌড়েই এসেছি আসার পথে কোন
রিকসা বা সিএনজি পাই নাই।।দেখলাম
হাতটা অনেক টা কেটে গেছে রক্ত ও পরছে
কিন্তু তাতে খেয়াল নেই আমার চিন্তা শুধু
নিলা কে নিয়া ও ঠিক আছে তো।।।।
নীলা বাসায় এসে বিষ খেয়েছিল তবে
বেশি খেতে পারেনি তার আগেই ওর ছোট
বোন দেখে ফেলে ওকে নিয়ে তাড়াতাড়ি
হাসপাতালে নেয়া হয়।নিলাদের পাশের
বাসায় শাওন থাকে তাই শাওন ব্যাপার টা
জেনে যায়।।এবং আমাকে ফোন করে
বলে।।।
এখন নিলার অবস্থা টা মোটামুটি ভাল..ওর
মাথার পাশে আমি বসে আছি আর ওর আব্বু
কিছু ঔষধ কিনতে গেছেন আর বাকিসব
বাহিরে বসে আছেন।।।
-এই নিলা তুই এই রকম করলি কেন।।
-তুই আমাকে চড় মারলি কেন?
-রাগে মেরেছি জানিস তকে কতটা
ভালবাসি।।
-আমার সব কিছু জেনেও ভালবাসিস।।
-হ্যাঁ বাসি এবার শুধু না কর আমি তকে
মেরে ফেলব।।(বলেই আমার চোখ দিয়ে
অজান্তেই চলে আসল।।)
-আমাকে ওই নীল কুত্তার বাচ্চার মত ছেড়ে
যাবিনা তো।।।
-কখনই না।।।কারণ তুই সুস্থ হওয়ার সাথে
সাথেই বিয়ে করে ফেলব আর তুই সারা
জীবনের মত আমার হয়ে যাবি।।।
-হু।।।(হাসি এবং কান্না দুটোই যেন
একসাথে চলে আসল নিলার)
-কিরে তুই ও আমাকে ছেড়ে যাবি না
তো।।।
-জীবনেও না।।।
-আমার লক্ষী সোনা l love youuu///
-I love you toooo...

একটি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা।


ডাকাত চিৎকার করে বললেন, “কেউ নড়াচড়া বা কোন চালাকির চেষ্টা করবেন না, ব্যাংকের সব টাকা আর আপনাদের জীবন আমাদের হাতে”। প্রত্যেকেই শুয়ে পড়লো।
→ এটাকে বলে, ' তাৎক্ষনিক মনের পরিবর্তন '।
অর্থাৎ চিন্তার প্রচলিত ধারনা থেকে বের হয়ে আসা।
,
 যখন একজন মহিলা একটু অন্যরকম ভাবে টেবিলে শুয়ে পড়লেন, তখন ডাকাত চিৎকার করে বললেন, “দয়া করে ভদ্র ভাবে থাকবেন, এটা ডাকাতি, ধর্ষন নয়”।
→ এটাকে বলে, ‘পেশাদারীত্ব’, নির্দিষ্ট কাজের প্রতি মনোনিবেশ করা।
,
যখন ডাকাতরা বাড়ি ফিরলেন, তখন কম বয়সি ডাকাত (BBA পাশ করা) বয়স্ক ডাকাতকে (অশিক্ষিত) বললেন, “বড় ভাই টাকা গুলো গুনে দেখি, কি পরিমাণ টাকা
আমরা ডাকাতি করলাম”।
বয়স্ক ডাকাত চিৎকার করে বললেন, “তুমি কি বোকা
নাকি। এতগুলো টাকা গুনতে অনেক সময় লাগবে। তার চেয়ে আজকের খবর দেখলেই বুঝতে পারব কত টাকা ডাকাতি করেছি”।
→ এটাকে বলে ‘অভিজ্ঞতা’।
বর্তমান যুগে অভিজ্ঞতা; যোগ্যতার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপুর্ণ।
,
ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর ব্যাংক ম্যানেজার আর সুপারভাইজারকে দ্রুত পুলিশ ডাকতে বললেন। কিন্তু
সুপারভাইজার ম্যানেজারকে বললেন,
“আমরা আগে ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা সরায় ফেলি আর আগের ৭০ লাখ টাকা যেটা আমরা আত্মসাৎ করেছি তার সাথে যোগ করি”।
→ এটাকে বলে, ‘মওকা বুঝে চওকা মারা’।
অর্থাৎ বিপদের ফায়দা নেয়া।
,
সুপারভাইজার বললেন, “খুব ভাল হতো যদি প্রতি মাসে একবার করে ব্যাংক ডাকাতি হতো”।
→ এটাকে বলে, ‘একঘেয়েমি কাটিয়ে ওঠা’।
অর্থাৎ চাকরির চেয়ে নিজের সুখটাই মুখ্য।
,
পরদিন টিভিতে খবর এলো, ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা ডাকাতি, ডাকাতরা টাকা গুনতে শুরু করলো। কিন্তু তারা কিছুতেই বিশ লাখের বেশি গুনে পেলনা। ডাকাত সর্দার
খুব রেগে গেলেন আর বললেন, “আমরা আমাদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে মাত্র বিশ লক্ষ টাকা আনতে পেরেছি। আর ব্যাংক ম্যানেজার মাত্র দুই আঙ্গুল দিয়েই আশি লক্ষ টাকা মেরে দিল।
তাহলেতো একটা ডাকাত হওয়ার চেয়ে একজন শিক্ষিত মানুষ হওয়াই ভাল”।
→ এটাকে বলে ‘জ্ঞান স্বর্নের চেয়েও দামি’।
ব্যাংক ম্যানেজার অনেক খুশি। কারন তার শেয়ার মার্কেটের লস ডাকাতির মধ্য
দিয়ে পুষিয়ে গেছে।
→ এটাকে বলে ‘সুযোগের সদ্বব্যবহার করা’।

প্রেম ও পারিবারিক বিয়ে করলে যা ঘটে!+স্বামীর কাছে যা শুনতে চান স্ত্রী!+যে কারণে নারীরা যৌন কল্পনা করে+যে কারণে বিদেশী পুরুষ পছন্দ সৌদি নারীদের---




প্রেম করে বিয়ে নাকি পারিবারিক বিয়ে? পড়াশুনা, বা চাকরি, ফোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর কল্যাণে আজকাল একাধিক মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঘটে চলেছে । পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় মোড়। আজকাল এসব ঘটনা সবার কাছেই মামুলি হয়ে গেছে। পারিবারিক পছন্দের বদলে নিজের পছন্দকেই প্রাধান্য দেয়ার পক্ষে অনেকেই। অনেকে আবার এটার ঘোর বিরোধী। মূলকথা হল উভয় ধরনের বিয়েরই পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। আসুন দেখে নেয়া যাক।

পারিবারিক বিয়ে সুফল

.পরিবারকে পাশে পাবেন সব সময়। দেখাশোনা থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন তারা।

.যৌথ পরিবারে থাকার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে বাধ্য ছেলে বা মেয়ের তকমাও জুটে যাবে আপনার কপালে।

.নতুন সংসারে নতুন মানুষ আপনাকে আদিক্ষেতাও করবে বেশ। তাদের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করবেন নতুন ভাবে।

.আত্মীয় স্বজনের ভালো লাগাকে সঙ্গে রেখে নতুন সম্পর্কে যাত্রা হবে আপনাদের।

পারিবারিক বিয়ে কুফল

.প্রেমের চেয়ে সাংসারিক দায়বদ্ধতা থাকবে বেশি।

.সম্পূর্ণ নতুন সদস্য হিসেবে পরিবারের সব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।

.স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সবকিছু খোলাখুলি আলোচনা করতেও দ্বিধা কাজ করতে পারে।

.পরিবারের সবার মন রক্ষা করে চলতে নতুন বৌদের পোহাতে হয় মানসিক চাপ।

.দুজনের একান্ত ব্যাপারগুলোতেও বাড়ির লোকেরা হস্তক্ষেপ করতে পারে।

এসব সমস্যা এড়াতেই যে প্রেমের বিয়ে বেছে নেয়া হচ্ছে তা নয়, প্রেমে পড়ে যাওয়ার কারণেই সাধারণত এ ধরণের বিয়ে হয়ে থাকে। তবু প্রেমের বিয়েতেও রয়েছে বেশ কিছু সুফল-কুফল। দেখে নেয়া যাক-

প্রেমের বিয়ে সুফল

.নতুন মানুষকে নয়। মনের মানুষকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া যায়।

.ঝগড়ার আশঙ্কা কম থাকে।

.চাওয়াপাওয়ার হিসেব নিয়ে গোলমাল হয় না।

.সব বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা যায়।

.দু-জনে মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

.একজনের কথা অন্যজনের বুঝতে সমস্যা হয় না।

.ঝগড়া হলে তাড়াতাড়ি মিটমাট হয়ে যায়।

.ব্যক্তিগত বিষয়ে বাইরের লোকজন কম নাক গলাতে সাহস পায়।

প্রেমের বিয়ে কুফল

.পরিবারের সমর্থন নাও পেতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেকটা নির্বাসিত জীবন হতে পারে দুজনের।

.নতুন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার আগে যেমন টান টান উত্তেজনা ও ভয় কাজ করে, প্রেম করে বিয়ে করলে সেই রোমাঞ্চটা থাকে না।

.অনেকক্ষেত্রেই বাড়ির অমতে বিয়ে করলে দু-পরিবারের মধ্যে সুখকর সম্পর্ক তৈরি হয় না।

.পরিবারের মধ্যে মৈত্রী করতে অনেক পরিশ্রম করতে হতে পারে।

.প্রেমের চর্চা থাকায় সঙ্গী অপরের দিকে ঝুকতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় অনেক বেশি।

.একে অপরের সামনে ধৃষ্টতা দেখাতেও দ্বিধা করেনা। বায়না থাকে বেশি। আর তখনই ঝগড়ার উৎপত্তি ঘটে।




স্বামীর কাছে যা শুনতে চান স্ত্রী!---

স্বামীর কাছে স্ত্রীই সব, তাকে ঘিরেই স্বামীর স্বপ্ন, তাকে ছাড়া অন্য কারও কথা ভাবতে পারেননা তিনি। এই কথা গুলি মনের মধ্যে ঝড় তুললেও মুখে আনতে পারেন না পুরুষ মানুষ। সব কথা সরাসরি মুখে না বলে অন্য ভাবে বোঝাতে চান অনেকবার। স্ত্রী হয়তো তার কাছ থেকে একটা মিষ্টি আলিঙ্গন বা আবেগঘণ কথা আশা করেন। সেখানে পুরুষরা স্ত্রীর প্রিয় খাবার কিনে আনে, সাজগোজের জিনিস উপহার দেয় বা ঘরের কাজে সাহায্য করে। তখন বুজতে হবে মনের সেই না বলা কথায় জানান দিতে এতো প্রচেষ্টা তার।

স্বামী বিরুদ্ধে স্ত্রী অভিযোগের শেষ থাকে না। বিশেষ করে বাপের বাড়ির লোকদের সামনে বা নিজের বান্ধবীদের সামনে স্বামীকে নিয়ে ঠাট্টা পর্যন্ত হয়। সব শুনে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে কুঁকড়ে যান পুরুষটি। এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে স্বামীর মনে হতাশার জন্ম দিবে। বিষয়টি এক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করবে। উভয়ের কাছে উভয়ের গুরুত্ব কমতে শুরু করবে। তাই স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কোন অভিযোগ থাকলে সেটা সরাসরি বলা উচিৎ। অযথা অন্যের সামনে স্বামীর বদনাম করে তাকে ছোট করা ঠিক নয়।

নিজের সন্তানদের প্রতি স্ত্রীর দায়িত্বশীলতা দেখে খুশি হলেও মনে মনে নিজেকে অনেক সময় একা ভাবতে পারেন একজন স্বামী। শিশুদের জীবনে মায়ের ভূমিকা জানা সত্ত্বেও স্ত্রীকে যেন কিছুতেই অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাননা তিনি। তিনি চান হাজার কাজের মাঝেও স্ত্রী তাকে সময় দিক।স্বামীকে প্রতিমুহুর্তের ভালোবাসায় সিক্ত রাখুক।স্বামী হয়তো চান শুধু স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যেতে।তাই স্ত্রীর উচিৎ হাজার কাজের মাঝে সময় বের করে তাকে সময় দেয়া।

স্বামীর হঠাৎ করে যদি চাকরি চলে যায় বা কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে তবে দাম্পত্য জীবনে তার প্রভাব দেখা দেয়। স্বামী চান স্ত্রী তাকে মানসিক ভাবে সাহস জোগাবে। স্ত্রী বেশি চিন্তিত হলে স্বামী আরও বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তাই একজন সচেতন স্ত্রীর উচিৎ স্বামীকে সাহস জোগানো। তার পাশে থেকে সঙ্গ দেয়া। চিন্তা থেকে বের করে এনে নতুন পরিকল্পনায় সাহায্য করা।

সব ভাল কাজের জন্য প্রশংসা পেতে কেনা চায়। ভাল কাজের জন্য একজন স্বামীর সব চেয়ে বড় স্বীকৃতি স্ত্রীর প্রশংসা। এমনকি স্ত্রীর জন্য কিছু করলেও সেই কাজের প্রশংসা পেতে আশা করেন স্বামী। তাই স্বামীকে প্রশংসা করতে কার্পণ্য না করে উদারতা দেখানোই ভাল।এতে দুজনেরই সম্পর্ক ভাল থাকবে।

একজন স্ত্রীর উচিৎ তিনি যেমন তাকে সেভাবেই ভালবাসেন সেটা বুঝিয়ে দেয়া। কারণ একটানা যদি স্বামীর ভুল নিয়েই অভিযোগ উঠতে থাকে তবে তিনি বুঝেই উঠতে পারেননা স্ত্রী আদৌ তাকে মূল্য দেন কিনা। তাই গল্পের সময় হালকা কথায় স্বামীকে বুঝিয়ে দেয়া ভাল তার সমস্যার কথা। এতে একদিন প্রায় সব সমস্যারই সমাধান হবে। সংসার হবে সুখের।



যে কারণে নারীরা যৌন কল্পনা করে---
আমাদের মাঝে অনেকের ধারণা, খুব খারাপ বিষয় নাকি যৌন কল্পনা এবং এই নিয়ে খোলামেলা আলোচনাও নাকি খারাপ। যদিও বিশেষজ্ঞদের মত উল্টো ধারণা। তাঁরা আবার অভয় দিয়ে বলেন, যৌনতা নিয়ে আলোচনা একেবারেই খারাপ বিষয় নয়। যৌনতা নিয়ে আলোচনা হল সুস্থতারই লক্ষণ।

স্যান্ডউইচ স্টাইল

কোনও কোনও নারীর একজন পুরুষে ক্রিয়া সমাপ্ত হয় না। একই সঙ্গে একাধিক পুরুষের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাস্তবে সবক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। ফলে কল্পনাই সই। ফ্যান্টাসির জগতে কিছু সংখ্যক নারীকে সঙ্গ দেয় একের অধিক পুরুষ।

রোল বদল

যৌনসুখে বিভোর কোনও কোনও নারী পুরুষকে নানা রূপে কল্পনা করতে ভালোবাসেন। সঙ্গীর পরিবর্তে এমন কোনও ব্যক্তিকে তিনি কল্পনা করেন, যাঁর সঙ্গে বাস্তবে যৌনমিলন করায় বাধা আছে। মোদ্দা কথা হল, সেই সব নারী সেক্স করার সময় পরপুরুষের কথাই চিন্তা করে সুখ খুঁজে পান।

টু পিস ও উষ্ণতা

আলুথালু চেহারার রমণীও এমন কল্পনা করেন মনে মনে। সুদীর্ঘ সোনালি বালুতটের উপর দিয়ে তিনি টু পিস পরে দৌড়ে এসে জাপটে ধরেন সঙ্গীকে। সমুদ্রের ঢেউ স্পর্শ করে যায় তাঁদের অর্ধনগ্ন শরীর।

রোম্যান্টিকতা

আবেগপ্রবণ রমণীর ক্ষেত্রে রোম্যান্সটাই প্রথম কথা এবং সেটাই শেষ কথা। কল্পনার জগৎ জুড়ে ছেয়ে থাকে দারুণ সুসজ্জিত কোনও শোওয়ার ঘর, সুগন্ধি ক্যান্ডেল ও ঘরের লাগোয়া কোনও বাথটাব। টাব ভর্তি গোলাপের পাপড়ি। সেই আবহে রতিলীলায় মত্ত দুটি মন, দুটি প্রাণ। অনেকটা হিন্দি সিনেমার গানের দৃশ্যের মতোই মাখোমাখো ব্যাপার।

আমার সঙ্গী আজ তোমার হল

কোনও কোনও নারী কিন্তু তাঁর কল্পনার দুনিয়ায় অনেক বেশি উদার। ফ্যান্টাসির দোহাইতেই তিনি সঙ্গীকে অন্য কারোর সঙ্গে মিলিত হতে অনুমতি দেন। এবং মনে করেন সেই দৃশ্য তিনি বসে বসে দেখছেন। তাতে নাকি অদ্ভুত উত্তেজনা হয় শরীরে।

আগন্তুকের সঙ্গে সহবাস

নারী কল্পনার আরও একটি আশ্চর্য বিষয় হল, তিনি কোনও আগন্তুক বা অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে নিজেকে কল্পনা করতে ভালোবাসেন। বাসে, ট্রামে, ট্রেনে – যে পুরুষটিকে মনে ধরে খানিকক্ষণ, মনে মনে কল্পনা করে নেন আশ মিটিয়ে।



যে কারণে বিদেশী পুরুষ পছন্দ সৌদি নারীদের---
সৌদি পুরুষদের স্বামী হিসেবে কমই পছন্দ করেন সে দেশের নারীরা। দাম্পত্য জীবনে স্থিতি ও নিরাপত্তার জন্য সৌদি নারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিদেশীদেরই স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে চান। বেশির ভাগ সৌদি নারীই চান না তাদের বিয়ে ডিভোর্স কিংবা স্বামীর বহুবিবাহের কারণে শেষ হোক। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের বাইরে গিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনেক স্বাধীনতা পাওয়া যায় এ ক্ষেত্রে। সে জন্যই স্বামী হিসেবে বিদেশী পুরুষদেরই বেশি পছন্দ সৌদি নারীদের। জরিপ রিপোর্টের উদ্বৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।

হাদি মাক্কি নামের এক হাসপাতালের নার্স বলেন, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এড়াতে ও বিবাহবিচ্ছেদের হার বেশি হওয়ায় অগণিত তরুণী সৌদি পরিবারে বিয়ে করতে ভয় পান। অনেকে চান বিদেশে গিয়ে আরেকটু স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে, যা তারা নিজেদের সমাজে পারেন না।

সৌদি অনেক নারীই আরবের অন্য দেশের পুরুষদের বিয়ে করেছেন। আরবের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সত্তার মধ্যে মিল থাকায় এটি সম্ভব হয়েছে। তবে গভীর উপজাতীয় শেকড় যাদের মধ্যে বিদ্যমান, তারা খুব কমই নিজের সংস্কৃতির বাইরের মানুষকে বিয়ে করতে আগ্রহী। আইন পরামর্শদাতা আবদুল আজিজ দাশমান বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের মধ্যে কুয়েতের বেশি নাগরিককে বিয়ে করেছেন সৌদি নারীরা। ২০১২ সালের এক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া যায়। তবে উপসাগরীয় নয়, এমন দেশগুলোর মধ্যে ইয়েমেনের পুরুষরাই বেশি বিয়ে করেছেন সৌদি নারীদের।

এ ছাড়া দেখা গেছে, অন-আরব কাউকে বিয়ে করার ব্যাপারে সামাজিক টাবু থাকা সত্ত্বেও ১১৮ সৌদি নারী পাকিস্তানিদের বিয়ে করেছেন। তবে তিনি আরও জানান, অনেক সৌদি নারীর কাছে সৌদি নন এমন পুরুষদের বিয়ে করাটা অনেকটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো বিষয়। তবে এ ক্ষেত্রে আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। তিনি নারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তাদের অর্থের ওপর আগ্রহ আছে এমন পুরুষের প্রতি যাতে তারা ঝুঁকে না পড়ে।

নোরা নামের এমন এক সৌদি নারী নিজ সংস্কৃতির কাউকে বিয়ে না করার কারণে আক্ষেপে পুড়ছেন। তিনি বলেন, আমি যদি আমার আত্মীয়দের কথা শুনতাম তবেই ভাল হতো। খাইরিয়াহ আলি নামের ভিনদেশী পুরুষকে বিয়ে করা এক সৌদি নারী বলেন, তিনি ও তার সন্তানরা এখন আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন। কেননা, অভিবাসী স্বামী তার নিয়োগকারী কোম্পানির সঙ্গে এক ঝামেলায় জড়িয়ে এখন জেল খাটছেন।

এ ছাড়া এ ধরনের দম্পতির সন্তানের নাগরিকত্ব নিয়েও সমস্যা হয়। সৌদি শূরা পরিষদের সদস্য সাদাকাহ ফাদেল জানান, প্রায় ৭ লাখ সৌদি নারী বিদেশী বিয়ে করেছেন, যা মোট বিয়ে করা সৌদি নারীদের ১০ শতাংশ। শূরা পরিষদ সৌদি নারীদের বিদেশী স্বামী বা পুরুষদের বিদেশী স্ত্রী ও তাদের সন্তানদের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত আইন পরিবর্তন করতে চাইছে। তবে অনেকে আশঙ্কা করছেন, এ আইনের অপব্যবহার হতে পারে।

সার্টিফিকেট সংশোধন ও হারিয়ে গেলে যা করতে হবে

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হলে ও হারিয়েগেলে শিক্ষার্থীদের
বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, নিজের নাম অথবা বাবা-মায়ের নাম ভুল লেখা হয় সনদে। আসুন যেনে নেই সার্টিফিকেটে নাম, জন্ম তারিখ ভুল হলে এবং হারিয়ে গেলে যা করতে হবে।

প্রথম ধাপ:

নাম বা জন্ম তারিখ ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে যে কোন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেটের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ:

পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষা দিয়েছেন সেই বোর্ডে। শিক্ষা বোর্ডের ‘তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া এ ফরম এখন আনলাইনেও পাওয়া যায়। এবার ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।

তৃতীয় ধাপ:

এবার প্রার্থীর নাম, বাবার বা মায়ের নাম কিংবা জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য (জরুরি ফিসহ) ৫৩০ টাকা জমা দিতে হয়। এ ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে।

চতুর্থ ধাপ:

এ ধাপে আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক ড্রাফটের মূল কপি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকর্তৃক সত্যায়িত এক কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছে নাম বা জন্মতারিখ সংশোধন সম্পর্কে এফিডেভিট করে তার মূল কপি জমা দিতে হবে।

প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তাঁর বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে এবং মূল কপি জমা দিতে হবে।

পঞ্চম ধাপ:

নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণের এক মাসের মধ্যে বোর্ড আবেদনকারী এবং তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকসহ একটি মিটিংয়ে বসে। এ মিটিংয়েই প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। তবে জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিশেষ বিবেচনায় এক দিনের মধ্যেও নাম ও জন্মতারিখ সংশোধন করতে পারেন।

সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে যা করবেন:-

সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে প্রথমে আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর, পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট, নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।

থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা বোর্ডে আপনি চলে যান। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে পূরণ করুর। এরপর নির্ধারিত ৫০০ টাকা ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।মনে রাখবেন টাকা জমা হওয়ার পর আপনার আবেদন কার্যকর হবে।

আবেদনপত্রে যা পূরণ করতে হবে

আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক) কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্ম তারিখসহ বিভিন্ন তথ্য লিখতে হবে।

পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে। এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে। আর প্রাইভেট প্রার্থীদের আবেদনপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।

সার্টিফিকেট নষ্ট হলে কি করবেন?

নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশ বিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশ বিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

Tuesday, September 29, 2015

হুজুগে বাঙালির ভবিষ্যৎ---


হুজুগে বাঙালিপনা দৈনন্দিন সংঘটিত প্রায় প্রতিটা ঘটনাতেই কমবেশি দেখা যায়! না যাওয়ারও অবশ্য বিশেষ কোনো কারণ নেই!আসলে আমাদের এইসব “হুজুগ” সহসা যে বিলুপ্ত হবেনা সেটাও অবধারিত। আমরা চিরকাল “কান নিয়েছে চিলে” শুনে কান যথাস্থানে আছে কীনা তা নিজের কানে হাত দিয়ে পরীক্ষা না করেই চিলের পিছে ছুটতে থাকবো! জনগণ যতই চিলের পিছে ছুটবে কর্তাব্যক্তিরা ততই ইচ্ছামাফিক দেশ চালাবার লাইসেন্স পাবেন। আমাদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে না দিতে কর্তাব্যক্তিরা প্রয়োজনে “উদ্দেশ্যহীন সিলেবাস” প্রণয়ন করবেন, প্রশ্ন আউট করে গণমাধ্যমে দিয়ে দিবেন (গতবার ফেবুতে পাওয়া গেছিলো, এবার কি তাহলে ইনবক্সে…!?); পাছে সবাই ঠিকঠাক শিখে ফেলে আর চিলের পিছে ছোটা বন্ধ হয়ে যায়! হিসাব খুব সোজা!
তার মানে কী এসব হুজুগ জিইয়ে রাখার জন্য কেবল কর্তাব্যক্তিরা দায়ী?
উত্তর: নেতিবাচক

মানুষ আসলে শেখে বহুভাবে! পড়ে, দেখে, ঠেকে কিংবা ঠকে। বাঙালি যে পড়ে কিংবা দেখে শিখবে না তা তো সুস্পষ্ট! (তেমনটা হলে আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কিংবা চিন-জাপানকে দেখে অনেক কিছুই শিখতে পারতাম) এর মানে হলো তারা হয় ঠেকে শিখবে নাহয় ঠকে!

আমাদের দেশে মোটামুটি গোটা শতেক প্রিন্ট মিডিয়া ও গোটা চল্লিশেক ইলেকট্রনিক মিডিয়া আছে যারা দৈনিক গড়ে বেশ কয়েকটি “রোমহর্ষক” ঘটনা প্রচার করে। আশ্চর্য্যজনকভাবে খবরগুলো পড়ে/দেখে আমাদের কোনো বিকারই হয়না, যেখানে এসব পড়লে/দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার কথা। আমরা দৈনিক নিদেনপক্ষে ৫-১০ জন মানুষের অপঘাতে মৃত্যুর খবর শুনি বা পড়ি।
খেয়াল করুন! আমরা কী অবলীলায় ৫-১০ জন মানুষের (হ্যাঁ! আমার-আপনার মতোই রক্তমাংসের মানুষ! যার একটা পরিবার আছে, কর্মক্ষেত্র আছে, কিছু স্বপ্ন আছে, আছে নিজস্ব একটা জগৎ!) মৃত্যুর খবর পড়ে ফেললাম! যেখানে আমরা আমাদের নিজেদের মৃত্যুর কথাটা চিন্তাও করতে পারি না; সেই আমরাই আমাদের মতো অপর এক বা একাধিক রক্ত-মাংসে গড়া মানুষের মৃত্যুতে তেমন বিচলিত বোধ করলাম না! আসলে সামান্য মাত্রায় নিয়মিত বিষ গ্রহণ করতে থাকলে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর ডোজ বাড়াতে থাকলে একসময় এমন হয় যে খোদ বিষধর গোখরার ছোবলেও কিছু হয় না। আমাদের দশা হয়েছে সেরকমই!
দৈনিক এতো এতো রোমহর্ষক খবর পড়তে পড়তে এখন এসব আমাদের গা সহা হয়ে গেছে! এখন লাশের সংখ্যাটা “ডাবল ফিগার” না হলে আমাদের যেনো চোখেই পড়ে না!

অাবার, আমরা যারা নিজেদের সুশীল বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি তাদের আড্ডা অাবার রগরগে ঘটনা ছাড়া ঠিক “জমে” না; আর কোনো ইস্যু ঠিকঠাক না জমলে আমাদের পেটের ভাতও হজম হয়না; দিনটাই কেমন মাটি মাটি মনে হয়! মিডিয়াগুলোর কাহিনিও তাই! ওরা যার যার পত্রিকা\ চ্যানেলের কাটতি বাড়ানোর জন্য রগরগে খবর কামনা করে! আর কেউ কেউ তো “সাংবাদিকতা মহান পেশা” – এ আপ্তবাক্যটি ভুলে গিয়ে কারো স্বার্থেই হোক কিংবা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে- সংবাদকে “মনের মাধুরী মিশিয়ে” প্রচার করতেই পছন্দ করেন!
আর এই করতে করতে আমাদের মানসিকতাটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে! আমরাই চাই না সরকারী দল ও বিরোধী দল এক হোক! কারণ তাহলে যে এদের মধ্যকার “লাইভ গ্যাঞ্জাম” দেখতে পাবো না!
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে আমি আমার আশ-পাশের অনেককে বলতে শুনেছি, “ধুর! বিম্পি কোনো দলই না! এরা কি বালের হরতাল ডাকে?! রাস্তায় তো দেখি জ্যাম লেগে যাচ্ছে! তার চাইতে জামাত-শিবিরের হরতালই ভালো! সব টাইট থাকে!”
সংবাদ পাঠককে বলতে শুনি, “সারাদেশে ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালন হয়েছে” -ভাবখানা এমন যে এতে ওনারা যার-পর-নাই “কষ্টিত” হয়েছেন!
অনেকে আবার হরতালকে “ছুটির দিন” হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায় বলে কিছুদিন পর পর হরতাল কামনা করেন!
এসব কিসের আলামত? আমরা কি “ব্যক্তিস্বার্থে”র পেছনে ছুটতে ছুটতে “মনুষ্যত্ববোধই” হারিয়ে ফেলছি? তাহলে এখন থেকে আর আমরা নিজেদের “মানুষ”বলে দাবি করতে পারবোনা!

বাস্তবতা হলো, আগামী প্রজন্মের জন্য হলেও আমাদের এ রাস্তা হতে ফিরে আসতে হবে; তা না হলে জাতি এই বিশ্বায়নের যুগে নিজেরা নিজেরা কামড়া-কামড়ি করেই ধ্বংস হয়ে যাবে- অচিরেই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে বাংলাদেশীরা.…
আসুন আমরা আবার সেই আগের ধ্যান-ধারণায় ফিরে যাই, যখন প্রতিটা মানুষের অপঘাতে মৃত্যুকে “মানুষের” মৃত্যু বলে ভাবতাম; কেউ চোখের সামনে বিপদে পড়তে দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়তাম…
পথ আপনার সামনে; বেছে নিন আপনার পছন্দ কোনটা- ত্যাগের পরিপূর্ণ শান্তি কিংবা স্বার্থের মেকি শান্তি…

আজ যে পিটিয়ে মেরে ফেলা ছেলেটার জন্য (রাজন) আমাদের দয়া উথলে উথলে পড়ছে তার কতটুকু সত্য আর কতটুকু মেকি সেটা নিয়েও অামি সন্দিহান! কারণ, যারা আজ হা-হুতাশ করছেন তাদের হাত থেকে দামী মোবাইলটা যদি কেউ নিয়ে যেতো আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে (ছিনতাইকারী) যদি তারা বমাল ধরতে পারতো তাহলে তারা গার দুই গালে দুইটা চুম্বন দিতো না নিশ্চয়ই!

খবরটা প্রচারিত হওয়ার পর সবগুলো পত্রিকাতেই দেখলাম “আসলে চুরি করেনি/ চুরির সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি” টাইপের কথাকে হাইলাইট করতে। তার মানে কী? যদি ছেলেটা আসলেই চুরি করতো তাহলে তাকে মারা জায়েজ হয়ে যেতো? তখন কি ছেলেটা এতগুলো লোকের সহানুভূতি পেতো?
যারা সহানুভূতি প্রকাশ করছেন তারা কি জানেন না সারা দেশেই এমন “সন্দেহের বশে” পিটিয়ে হত্যা করা কিংবা পঙ্গু করে ফেলা ঘটনা এখন অার অপ্রতুল নয়? তাহলে এই ছেলেটার জন্যই কেনো বিশেষভাবে সহমর্মিতা জ্ঞাপন? বাকিগুলো মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় অতটা ফোকাস হয় না বলে? তাহলে কী দাঁড়ালো?
-দিনশেষে আমরা সবাই হুজুগে বাঙালি…
কিংবা দিন শেষে আমরা সবাই পশু…
হাজার বছরের বিবর্তনে শারিরিক দিক থেকে হয়ত আমাদের বিবর্তন হয়েছে কিন্তু মানসিক দিক থেকে আমরা এখনো পশুত্বকে ত্যাগ করতে পারিনি।

এবার অাসুন এসবের কার্যকারণ জানা যাক! বাস্তবতা কী বলে? সরকার যতই “বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ” কিংবা “জিডিপি বৃদ্ধি”র ভিডিও/ বিলবোর্ড দেখিয়ে বেড়াক না কেনো, এখনো সব মানুষের স্বচ্ছ্বলতা আসেনি। সমাজের সর্বস্তরে যখন স্বচ্ছলতা অাসবে তখন এতো ঝামেলা করে সেসব দেখাতে হবে না; ব্যক্তির মুখ দিয়েই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেড়িয়ে আসবে সরকারের জয়গাঁথা।
যাহোক! চারপাশের খবরাখবর দেখে মনে হচ্ছে, আমরা ফিরে যাচ্ছি অামাদের একসময়কার পূর্বপুরুষেরা যখন পশু (এপ) ছিলো তখনকার মানসিকতায়; ধীরে ধীরে , একটু একটু করে। ঠিক নিচের ছবিগুলোর মতো…

এটা হলো রাগের চরম মূহূর্ত, যখন অামাদের নাক-কান রক্তিম বর্ণ ধারণ করে

ক্রোধের সময় এমন কাজ সম্ভব যা স্বাভাবিক অবস্থায় সম্ভব নয়

অন্ধকারে ভয়, অজানাকে না জানার ভয়, প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয়ের ভয় ধর্মের উৎপত্তিতে বড় প্রভাব রেখেছে। এরই মধ্যে মানব মস্তিষ্কের বিবর্তন এতোটা হয়েছে যে আমাদের মধ্যে এপদের তুলনায় বেশ কয়েকটি নতুন ও ভিন্নধর্মী (ততোধিক জটিল) আবেগের সঞ্চার হয়েছে। একদিকে সেসবকে আয়ত্বে আনতে আর অন্যদিকে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে গিয়ে মানুষকে নানারকম চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। মানুষ প্রতি পদে পদে শিক্ষা নিয়েছে। এভাবে তাদের মধ্যে ভিন্নধর্মী একটা “অবসারভেশন টুলস” চলে এসেছে ।
যদিও ঋতুগুলো একই চক্রে ঘূর্ণায়মান তথাপি প্রকৃতি একটু-আধটু ভিন্ন অাচরণ সারা বছরই করে। প্রকৃতি যখন ভিন্ন অাচরণ করে তখন অবসারভেশনেও উল্টাপাল্টা রেজাল্ট আসে। সেসব রেজাল্ট দেখে তাদের আবার গ্রাস করে অজানাকে না জানার ভয়। এরকম কোনো একটা অবস্থা থেকে শুরু হয় প্রকৃতি পূজা। তাদের দক্ষতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষতা বাড়ার সাথে সাথে তাদের ঈশ্বর পরিবর্তন হতে থাকলেও ধর্মবিশ্বাসে ছেদ পড়ে না। আসলে তখন সামগ্রিকভাবে ধর্মকে উড়িয়ে দেয়ার মতো অতটা শক্তিশালী এভিডেন্স ছিলো না। এর মধ্যেই ধর্ম মোটামুটিভাবে সার্বজনীন হয়ে উঠতে সমর্থ হয়েছিলো। যারা এসব ধর্মের গোড়ার দিকে ছিলেন তারাও দেখতে পেলো বসে বসে খাওয়ার এরচাইতে উৎকৃষ্ট পন্থা হতেই পারেনা। এছাড়াও এটি পরবর্তীতে সাম্রাজ্যবাদী রাজাদের দ্বারাও প্রমোট লাভ করে। কারণ এর দোহাই দিয়ে অনেক কাজই সাধারণদের দিয়ে করিয়ে নেয়া যায়। মোটামুটি এভাবেই ধর্ম দাঁড়িয়ে যায় নিজের পায়ে। অনুকূল পরিবেশ ও যত্নআত্তি পেতে পেতে সময়ের সাথে সাথে এর প্যাটার্ন পরিবর্তন হয় কেবল।

ধর্মপ্রচারকারীরা ধর্মগুলোকে নৈতিকতার মাপকাঠি বললেও আসলে কিন্তু তা নয়।

পর্নগ্রাফিঃ সতর্ক হোন--


পর্নোগ্রাফি, কামসূত্র আর বিকৃত যৌনাচার যেভাবে পরিবারগুলোকে ধ্বংস করছে পশ্চিমা ইন্টেলেকচুয়ালর এই সমাজটিকে “হাইপার সেক্সুয়ালাইজড” সমাজ হিসেবে বলে থাকেন।
চিন্তা করে দেখুন, টুয়েন্টি-টুয়েন্টি খেলা দেখতে বসলেন, তাতে কমার্শিয়াল দেখছেন মোবাইল হ্যান্ডসেটের, তাতেও নারী-পুরুষ চুম্বনদৃশ্য।
আপনি যদি টেলিভিশন থেকে দূরেও থাকেন, বিলবোর্ডে, পোস্টারে, ফেসবুকের অ্যাডগুলোতে আপনি যথেষ্টই যৌনতা দেখতে পাবেন। পুরুষ-নারীর কামকে জাগিয়ে এসব পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হয়। পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত বিকৃত সংস্কৃতি ও বলিউডেরর নির্লজ্জ-অশ্লীল সংস্কৃতি প্রভাবে দেশের সংস্কৃতিও এখন বিকৃত, অসুস্থ হয়ে উঠেছে। পশ্চিমারা নারীদেরকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে তুলে এনেছিলো অনেক আগেই। যদিও গত
কয়েক শতাব্দী আগেও যে যৌনতার বিষয়গুলো এতটি প্রকট ছিলো না তা আমাদের স্বাভাবিক জ্ঞানের চোঁখেই আমরা জানি। নারীর মাঝে জাগিয়ে তুলেছে এমন চিন্তা যেটিকে থাকতে হলে পুরুষের কাছে শারীরিকভাবে আকর্ষণীয় হতেই হবে… তারাও সেই চেষ্টা করেছে উন্মাদের মতন। পুরুষের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে নারীর শারীরিক সৌন্দর্য। ফলে, সেই পুরুষ- নারীদের কাছে ব্যক্তি জীবনে, বিবাহিত জীবনের
স্বাভাবিক শারীরিক আনন্দগুলো আর সাধারণ লাগে না। তখন তারা কুরুচিপূর্ণ উপায় বের করে যৌনতাকে মেটাতে চায়। শরীরের যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ব্যবহার করেও তাদের খায়েশ মেটে না।
তারা পর্নোগ্রাফিতে এইসব বিকৃত যৌনাচারকে সহজ করে আনতে চায়, কেননা স্বাভাবিক কোন কিছুই তাদের কাছে আর স্বাভাবিক নেই। যে শারীরিক বিষয়গুলো মানুষকে তৃপ্তি দেয়ার কথা, সেগুলোই তাদেরকে নিকৃষ্ট বিকৃত জন্তুতে পরিণত করে। শেষ পর্যন্ত তারা নারী-পুরুষ ছেড়ে সমলিঙ্গে আনন্দ খুঁজে, পশুদেরকেও ছাড়ে না (আস্তাগফিরুল্লাহ্‌)
.
এসব সমাজ থেকে মুসলিম সমাজের মাঝে অনেক ধারণা যেভাবেই হোক চলে এসেছে; ফলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে কিছু বিষয় জায়েজ/ নাজায়েজ কিনা এমন প্রশ্ন মুসলিম স্কলারদেরকে অবাক করে দেয়। বছরের পর বছর ধরে কামসূত্র পাঠ, পর্নোগ্রাফিক গল্প, চটি গল্প পড়তে ওয়েবসাইটে ঢুঁ দেয়া, পর্নোগ্রাফিক
মুভিতে বিকৃত ভঙ্গিমায় ও বিকৃত নিষিদ্ধ উপায়ে কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করার দেখে দেখে পুরুষগুলোর মনে (ইদানিং নারীদেরও) গেঁথে যায়। সরলমনা স্ত্রীরা তাদের স্বামীর পাশবিক আচরণ টের পান বিয়ের পরে অন্তরঙ্গতায় আসে। সমাজে অজস্র পরিবারে সুখ পালিয়েছে, অনেক নারী নীরবে কেঁদেছেন, কাঁদছেন! পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি সেসব পুরুষদের মস্তিষ্কে ও চিন্তায় স্থায়ী বিকৃতি এনেছে। কী ভীতিকর! এইসব মানুষদের চিকিৎসা প্রয়োজন তা সাইকোলজিস্টরা বলে থাকেন। ধীরে ধীরে থেরাপির মাধ্যমে এই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তাতে আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাওবাহ করা প্রয়োজন। তাছাড়া ইসলাম সবকিছুতেই কোমলতা, লজ্জাশীলতা, হায়া শেখায়। সেটি অন্তরঙ্গ সম্পর্কতে গিয়ে পশুদের মতন বল্গাহীন হওয়াটা রুচিবিকৃতির পরিচায়ক, যা পরকালে ভয়াবহ পরিণতির সম্ভাবনা ধারণ করে। পর্নগ্রাফি এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে ডালভাত হয়ে যাচ্ছে, যা বিশাল গুনাহ।
পর্নোগ্রাফি থেকে শেখা বিকৃত যৌনাচার যখন পারিবারিক জীবনে প্রয়োগ করতে যায় তখন সেটা আরেকধাপ এগিয়ে যায়। এই ধরণের মানুষ কখনো সন্তুষ্ট হয় না। পর্নগ্রাফির নেশা তাদের শারীরিক তৃপ্তিকে নষ্ট করে ফেলে। অথচ মুসলিম পুরুষ বা নারী নিজেদেরকে নতদৃষ্টিতে, সংযত আবেগে চলার পরে বিবাহিত জীবনে পরস্পরের মাঝে সুন্দর উপায়েই আনন্দ খুঁজে পাওয়ার কথা ছিলো। স্বামী- স্ত্রীর স্বাভাবিক অন্তরঙ্গতাই তাদের পূর্ণ আনন্দের বিষয় হবার কথা ছিলো।
আজকাল ছেলে মেয়েরা অন্তরঙ্গ জীবন সম্পর্কে শিখতে যায় ‘কামসূত্র’ থেকে, যা অশ্লীলতা আর নগ্নতার চুড়ান্ত বিষয়। স্কলারদের অনেকেই বলেন দাম্পত্য জীবনের প্রয়োজনীয়টুকু মানুষ আপনা আপনি শিখে যায়। তবে, ইসলামে অন্তরঙ্গতায় কতটুকু অনুমুতি আছে, কতটুকু নিষেধ – এগুলো সময়মতন জেনে নেয়া উচিত। ব্যাস! মনে রাখা উচিত, আল্লাহ কোমলচিত্ত, লজ্জাশীল ও পবিত্র মানুষদের পছন্দ করেন!
কেন এই কথা বলছি? দেখুন ভাই, আপনি একজন মানুষ। আল্লাহ মানুষকে কিছু শারীরিক, মানসিক যোগ্যতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। ইসলাম আমাদেরকে সেগুলোর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য বলেছে। আমাদের উদ্দেশ্য অনেক অনেক উঁচু, অনেক বিশাল, তাতে আছে শুধু মানুষ না, এই গোটা প্রাণীকূলের,পরিবেশকেও যথাযথ রাখার দায়িত্ব। আমাদের মন-হৃদয় আর চিন্তাগুলোই হবার কথা অনেক বিশাল। সেখানে আমাদের যুবসমাজও যেন যৌনতাকেন্দ্রিক অদ্ভুত বিচিত্র কিছু জান্তব চিন্তা নিয়ে বেড়ে উঠছে… আল্লাহ আমাদের মুসলিম সমাজকে নগ্নতা- অশ্লীলতা - বেহায়াপনা- বিকৃতকাম-অবৈধ যৌনাচারের হাত থেকে রক্ষা করুন।
আল্লাহ আমাদেরকে এমনভাবে চলার তাওফিক দিন যেন আমরা দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি পেতে পারি...!

ঈশ্বর!!!!!একটি প্রাচীন ধারনা---


যদি ঈশ্বর থেকেই থাকেন তাহলে তার তো একটা শুরু থাকবে। প্রথমে তার নিজেরই অস্তিত্বে আসতে হবে। নাহলে তিনি সৃষ্টি করবেন কীভাবে? তাহলে স্রষ্টার অস্তিত্বে আসার আগে কী ছিল? স্রষ্টা কীভাবেই বা অস্তিত্বে এলেন? এগুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যৌক্তিক প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর ধর্মগ্রন্থে থাকাটা বাঞ্চনীয় ছিল। নেই যখন তখন কী আর করা। আর অস্তিত্বে আসার পর তিনি ঠিক প্রথম কী সৃষ্টি করেছিলেন তা জানাটা খুবই দরকার। কারন তার প্রথম সৃষ্টি কী তাই যদি না জানি তাহলে এত শত ধর্ম পালন মানবজাতির জন্য বৃথা। আর স্রষ্টা নিজে কী দিয়ে তৈরী তাও ধর্ম গ্রন্থে স্পষ্ট নয়।অনেক ধর্মে বলা হয় ঈশ্বরের নাকি নূরের পর্দা আছে। আচ্ছা ঈশ্বরের পর্দা লাগবে কেন? তিনি নাকি আরশে সমাসীন। সেই আরশটা কীসের তৈরী। এইসব প্রশ্নের উত্তর হাবিজাবি কথা বলে এড়ানো মানে নিজের ধর্মের প্রতিই অনাস্থা। কারন ধর্মের মতে জীবন চালাতে হলে ঈশ্বর সম্পর্কে যদি সেই ধর্মই নীরব থাকে তাহলে সেই ধর্মের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বর প্রথম কী সৃষ্টি করেছিলেন তার চেয়ে বড় ব্যাপার তিনি তার প্রথম সৃষ্টি কী দিয়ে বানিয়েছিলেন? কেনইবা বানিয়েছিলেন। তার প্রথম সৃষ্টির উপকরন কী ছিল? তার উদ্দেশ্যই বা কী ছিল। ঈশ্বর যখন প্রথম নিজেই আত্মপ্রকাশ করলেন তখনতো একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া আর কিছুই ছিল না। কিছুই যখন ছিল না তাহলে বুঝা যায় কোন খারাপ কিছুও ছিল না। তাহলে প্রথম খারাপ কিছু কীভাবে অস্তিত্বে এলো? বিশাল মহাবিশ্বের অনেক সৌরজগতের অত্যন্ত ছোট্ট একটা গ্রহে মানুষের বসবাস। তাহলে বাকী গ্রহগুলো বানানোর কীইবা দরকার ছিল। এখনো অনেক গ্রহই আবিষ্কার হয়নি। হয়ত অন্যান্য গ্রহেও থাকতে পারে প্রান। তাদের বুদ্ধিমত্তা হয়ত মানুষের চেয়েও বেশি হতে পারে কিংবা নাও হতে পারে। ঈশ্বর কেনইবা তৈরী করলেন স্বর্গ-নরক। তার সৃষ্টির প্রক্রিয়া কী এটাও ধর্মে বলা যায় অনেকটা জাদুর মত। হও বললেই নাকি হয়ে যায়। তাহলে তার মুখ দিয়ে উচ্চারন করতে হয়। কেন ঈশ্বরকে কেন মুখ দিয়ে উচ্চারন করতে হবে? তিনি কি মুখ দিয়ে উচ্চারন করা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারেন? তার ভাষা কী? তিনি কি অস্তিত্বে আসার পরই ভাষার ব্যবহার করতে লাগলেন? এই পৃথিবীতে একমাত্র মানুষ কথা বলে। তাহলে ঈশ্বরও কি মানুষের মতই কথা বলেন নাকি তার কথা অন্যরকম।তার কন্ঠ কেমন তা কোন ধর্ম গুরুই বলে যাননি। ঈশ্বরের কথার কম্পাংক কেমন? তা কি কোন মানুষের শ্রবনযোগ্য হতে পারে? নাকি তিনি তার কন্ঠের কম্পাংক কমিয়ে ফেলেন।
ঈশ্বরের কন্ঠের বর্ননা কোন ধর্ম গ্রন্থেই নেই। মহাবিশ্বে প্রতিনিয়ত অনেক বিস্ফোরণ হচ্ছে যেগুলো পৃথিবীতে শোনাই যায়না, কারণ সেগুলোর কম্পাংক মানুষের শ্রবনশক্তির বাইরে। ঈশ্বর কথা বলেন তার মানে তাকেও ভাবের প্রকাশ করতে হয়। প্রকাশ না করেও কি কাউকে কিছু জানাতে পারবেন এই ঈশ্বর নামক প্রাচীন ধারনাটি। ধর্ম গুরুরা বিনা বাঁধায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতেন অথচ আজকের যুগে একজন প্রেসিডেন্টও ভিসা ছাড়া অন্য দেশে যেতে পারেননা। তাহলে কেন ধর্ম গুরুদের যুগে ছিল না ভিসার সিস্টেম। তাহলে কি ভিসা পদ্ধতি ধর্মানুভুতিতে তীব্র আঘাত হানার কথা নয়? তাহলে কেন আজ ধার্মিকেরা ভিসার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন দীর্ঘ লাইনে। দিন দিন কেন কমে যাচ্ছে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা। দূর্বল চিত্তের মানুষকে নরকের ভয় দেখানো ঈশ্বর নামক ধারনা নিজেই কেন সর্ব প্রথম খারাপ বা নেতিবাচকতা তৈরী করেছিলেন। আগে থেকেই নাকি নরক বানানো এবং ঈশ্বর নাকি পরীক্ষা নিচ্ছেন তা তিনি নিজে কয়টা পরীক্ষা দিয়েছেন? যদি ঈশ্বর নামক প্রাচীন ধারনা থেকেই থাকেন তাহলে অন্তত একটা দিনের জন্য কি পুরো সৃষ্টির কন্ট্রোল অটো মুডে দিয়ে একজন মানুষ হয়ে পৃথিবীতে এসে মানুষের জীবন কাটাতে পারেন না? যে কোন একটি ধর্ম পালন করতে পারেন না? তারপর নিজেই বুঝে যাবে পরীক্ষার ধান্দায় পড়ে আজ এই পৃথিবীই হয়ে যাচ্ছে নরক। ঈশ্বরের তো কোন স্বজন নেই। তাহলে তিনি কীভাবে বুঝবেন স্বজন হারানোর ব্যাথা। ঈশ্বর নামক এই প্রাচীন ধারণা পৃথিবীকে প্রাচীনই রাখতে চায়।

আপনার ধর্মই শ্রেষ্ঠ…

আপনার ধর্মই শ্রেষ্ঠ। হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি। আমি মেনে নিচ্ছি আপনার ধর্মই এ পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এবং আমি এসব কথা সব কিছু বিচার বিবেচনা করেই বলছি। এতদূর শুনে আপনার মনে বেশ একটা ফুর্তির ভাব হয়েছে তো? সে তো হওয়ারই কথা।  এই ফুর্তির ভাবটা বজায় রাখতে বাকি লেখা না পড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুন ও চিৎকার করে বলতে থাকুন আপনার শ্রেষ্ঠত্বের কথা। আর সেই সময়ে আমরা একটু বিচার করে দেখি আপনি কোন ধর্মাবলম্বী । 

আপনি যদি হিন্দু হন, এই ভারতে সংখ্যাতত্বের বিচারে যেটা হওয়ার সম্ভবনাই বেশি, তাহলে বলব, একটু বুজরুকি ছেড়ে খোলা মনের আলোচনায় আসুন। আগে ঠিক করুন, প্রাচীন হিন্দুত্ব নিয়ে বড়াই করবেন না বর্তমান নিয়ে। কারণ আপনারা এতটাই জগাখিচুড়ি গোত্রের ধর্ম যে আপনারা নিজেরাই বোঝেন না নিজেদের ধর্মকে। হিন্দু ধর্মের বর্তমান রীতিনীতি, আচার আচরণ নিয়ে বললে আপনারা দোহাই দেন অতীতে এই ছিল, ওই ছিল, বস্তুত ‘আপনাদের ব্যাদেই সব আছে’! আর প্রাচীন যুগের অপকর্মের প্রসঙ্গ তুললে যেসব কতিপয় জিনিস পাল্টে নিয়েছেন বা পাল্টানোর চেষ্টা করেছেন (সতীদাহ, বাল্য বিবাহ ইত্যাদি) সে সব প্রসঙ্গ তোলেন। আপনারা নিজেরাই ঠিক করে উঠতে পারেন না আপনাদের ঈশ্বর নিয়ে ধারণা। বহু ধরনের মূর্তি পূজা নিয়ে বলতে গেলে, এক ঈশ্বর – পরমেশ্বর এর উদাহরণ দিয়ে উপনিষদ টানেন – আবার ধেই ধেই করে ভূত চতুর্দশী থেকে দুর্গা ভাসান সবেতেই  নেত্য করেন। এই সব শুনে আবার কিছু সনাতনপন্থী যাঁরা ইতিহাসটা একটু আধটু জানেন আবার হিন্দুত্বের গোঁড়ামি থেকে বেরোতেও পারেননি তাঁরা  বলবেন, আপনাদের ধর্ম কেউ সৃষ্টি করেননি, এটা একটা জনজাতির  জীবন জীবিকা অভ্যাস থেকে তৈরী হয়েছে। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে কেন এত পুরনো জিনিসপত্র নিয়ে পরে আছেন? এখনকার জীবনাভ্যাসকে মেনে নিন,  বর্তমানকে গ্রহণ করুন, মেয়েদের জিন্স পরতে দিন, সবাইকে রুচিমত গরু শুয়োর খেতে দিন,  বিজ্ঞানকে খোলা মনে গ্রহণ করুন, কারণ নেই অকারণ নেই একটা করে পুজোর দোহাই দিয়ে অপচয় বন্ধ করুন। আসলে, আপনাদের মত ঝালে-ঝোলে-অম্বলে, প্রসাদে ও বিষ্ঠায় (যারা বুঝলেন না, তাদের জন্যে বলি গো-বিষ্ঠা) থাকা  বহুচারী (দ্বিচারিতা বললে অনেক কম বলা হয়) ধর্ম, সত্যি বলছি, ভূভারতে আর একটিও নেই। এরপরেও যদি নিজেকে হিন্দু বলে শ্রেষ্ঠ ধর্মকারী মনে হয়, আপনি আপনার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে পিছন চুলকান, আমি পরবর্তী ধর্মের দিকে নজর দিই। 

আপনি যদি ইসলাম ধর্মাবলম্বী হন, সংখ্যাতত্বের বিচারে সে সম্ভবনা ভারতে দ্বিতীয়, তাহলে তো আপনার মত “শান্তি”প্রিয় ধর্মকারী এই মুহূর্তে এই বিশ্বে আর একটিও নেই। স্বীকার করুন আর নাই করুন এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ঘটে চলা ধর্মজনিত হত্যার বেশির ভাগই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা সংঘটিত এবং বেশিটাই পরিকল্পিত হত্যালীলা। মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, ছোটবেলায় পড়েছিলাম ইসলাম শব্দের অর্থ “শান্তি”, সেটা কি সত্যিই পড়েছিলাম? নাকি যাঁরা এই নাম দিয়েছিলেন তাঁরা শ্লেষার্থে এই নাম রেখেছিলেন। কেননা ইতিহাস ঘাঁটলেও দেখা যায় শুরুর থেকেই এই ধর্মের সাথে জড়িত নানা হত্যাকান্ড। এই অশান্তির ধর্ম শুধু অশান্তিতেই সীমায়িত নয়, নারীদের বোরখা পরিয়ে রাখতে বাধ্য করা, শিক্ষার থেকে সকলকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা এবং সংঘবদ্ধ ভাবে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষদের ধর্মীয় গোঁড়ামিতে আটকে রাখার জন্যে মধ্যযুগীয় বর্বরচিত পন্থা অবলম্বন করা কোন কিছুতেই পিছু পা নয়। দেড় হাজার বছরের পুরনো একটা বইকে সর্বস্ব মেনে আজকের আধুনিক বিজ্ঞানমনস্কতাকে অস্ত্র নিয়ে মোকাবিলা করে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা এখনও ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা করে যাচ্ছে। আর সব থেকে আশ্চর্য লাগে, তথাকথিত মডারেট ইসলামীরা এর বিরুদ্ধে চুপ থাকে। আর তাই, যুগ যুগ ধরে নিজেদের ধর্মকে সংখ্যাতত্বের বিচারে (দশ বারোটা করে বাচ্চা পয়দা করে)বিশ্বে এক নম্বর করার চেষ্টা করে গেলেও ইসলামকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলতে পারব না। আপনি বরং চাপাতি নিয়ে তৈরি হন আমাকে হত্যা করার, এর বেশি কিছু আপনার ধর্ম করতে পারেও নি, পারবেও না।

খৃষ্টান – ভারতীয় বিচারে তিনে আনলেও আপনার ধর্ম এই মুহূর্তে বিশ্বে এক নম্বরে। এবং আপনারাও ভারতে দম নেই বলে চুপ করে আছেন এবং বিশ্বে এক নম্বরে বলে কিছুটা ভাইরা যা করছে করুক টাইপের মনোভাব; “আমি তো সেরা বলে কিছু বলছিনা”র ভাণ করছেন! কিন্তু একটু গায়ে আঁচড় পড়লেই আপনারা যেভাবে ক্ষেপে ওঠেন তার হাতের সামনে উদাহরণ একটা দেশকে শ্মশানে পরিণত করে দেওয়া থেকেই বোঝা যায়। আপনাদের একটা বিল্ডিং জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের দ্বিতীয় ধর্মের লোকেরা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ঘোষণা করে দিলেন ক্রুসেডের। হ্যাঁ, জর্জ বুশের ক্রুসেডকে সমর্থন করলেন পোপ জন পল-২ – ফলত একটা দেশ প্রায় জনশূন্য হয়ে গেল! আরও পিছনে তাকাতে গেলে লক্ষাধিক মানুষ এবং নারীকে হত্যা করেছেন আপনারা আপনার ধর্মকে মহান করে তোলার জন্যে। আধুনিক যুগে ভয় দেখিয়ে বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করে গেছেন সারা বিশ্বে। খুব সুন্দর – কর্পোরেট স্টাইলে এমন ভাবে নিজেদের দলে লোক বাড়িয়ে গেছেন যে কেউ কিছু বুঝতেও পারেনি। সাবাশ বিশ্বের এক নম্বর ধর্ম! আপনি খুশি, আপনার ধর্মের অনুগামীরা খুশি- আমরা শুধু জানি আপনার ইতিহাস। আপনি বরং আর কয়েকটা বছর বিশ্বে এক নম্বর হওয়ার গর্ব অনুভব করুন আমরা যাই পরবর্তী ধর্মে।

আপনার শিখ ধর্মালম্বী হওয়ার সম্ভবনা প্রায় দু-শতাংশ। আপনাদের দরাজ দিলের কথা অনেকে বলে থাকেন – তা দিল আছে বইকি! শিখ বললেই যেসব দৃশ্য চোখের সামনে উঠে আসে তা হল তরবারি খুলে কাওকে মারতে যাচ্ছে! এবং এটা নিয়ে তর্ক করার প্রশ্নই ওঠে না কারণ আপনারা নিজেদের সিংহ মনে করেন এবং ধর্মের বিষয়ে চরম অসহিষ্ণু। লড়াই, আরও লড়াই এবং আরও আরও লড়াই আপনার ধর্মের মূল কথা। অন্ততঃ সেরকম কোন ধর্মের কথা আমার সীমিত জ্ঞানে নেই যেখানে সঙ্গে কৃপাণ রাখাটা ধর্ম পালনের একটা মূল নিয়ম! আপনি বরং ঘুরে শুন; দেখবেন আবার ঘুরে শুতে গিয়ে যেন কৃপাণের খোঁচা নিজেই না খেয়ে যান!

বৌদ্ধ এবং জৈন – মাফ করবেন এক সাথে করে দেওয়ার জন্যে। সত্যি কথা বলতে কি আপনাদের কেউ ধর্তব্যেও আনে না। দুই রকম মিলিয়ে আপনারা মেরে কেটে দেড় শতাংশ। তবে সেটা কথা না, কম হলেই যে আপনার ধর্ম শ্রেষ্ঠ হতে পারে না এমন অদ্ভুত লজিকে আমি চলি না। কিন্তু বলছি অন্য কারণে, যখন আপনাদের রমরমা ছিল, তখন আপনারা নিজেদের মধ্যেই লড়াই লাগিয়ে রাখতেন। মুখে শান্তির বাণী – চন্ডাশোক কে ধর্মাশোক বানানোর গল্প, এতোই জীবে প্রেম যে মুখে জীবাণু ঢুকে গেলে তাদের হত্যা হতে পারে ভেবে মুখও বেঁধে রাখতেন, এদিকে একে অন্যকে সহ্য করতে পারতেন না। সেই নিয়ে লড়াইও কম হয়নি! আর হিন্দুদের সাথে তো লেগে ছিলই! আসতে আসতে লোকবল গেল – ফলত হানাহানিও কমল। এখন শিবরাত্রির সলতে হয়ে জ্বলছেন কোথাও কোথাও! জ্বলছেন জ্বলুন, ধর্মের বড়াই আপনাদের মুখে মানায় না!

তাহলে? এতটা পড়ে এসে হতাশ হয়ে পড়লেন? আর মনে মনে আমাকে গালি দিচ্ছেন যে উজবুকটা প্রথমে বলল ‘আপনার ধর্মই শ্রেষ্ঠ’ এদিকে সব কটাকে কাটিয়ে দিল। গালি দেবেন না, আমি এখনও বলছি, হ্যাঁ, আপনার ধর্মই শ্রেষ্ঠ। আপনি মানুষ হয়ে জন্মেছেন, সেই মানুষের কিছু সহজাত ধর্ম থাকে, যেমন প্রতিটি পদার্থের থাকে, তবে নিতান্তই অপদার্থ হলে আপনার মধ্যে সে ধর্ম থাকবে না। তাই আপনার ধর্মই শ্রেষ্ঠ এবং তা মানব ধর্ম। মানুষের মত আচরণ করুন, পাশের মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়ান, অন্য মানুষের ধর্ম, বর্ণ, অর্থ, দেশ, ভাষা ইত্যাদি দিয়ে বিভেদের বেড়াজাল না টেনে, পান থেকে চুন খসলেই খুন করতে না বেড়িয়ে ভালবাসুন। নোখ, দাঁত, পেশির শক্তি দিয়ে আক্রমণ তো পশুরাও করতে পারে, আপনার ধর্ম তো পাশবিক নয়। মানবিক হোন কারণ আপনি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ‘মানব ধর্মাবলম্বী’-দের একজন।

ক্যালকুলাস---1.প্রথম পর্ব (অস্তিত্বের শেকড় সন্ধানী) 2 ক্যালকুলাস, ২য় পর্ব (সীমার একটা ফাজলামি আছে !) 3 ক্যালকুলাস, তৃতীয় পর্ব (বিন্দু এবং অসীমের গল্প)

ক্যালকুলাস---

    1 ক্যালকুলাস, প্রথম পর্ব (অস্তিত্বের শেকড় সন্ধানী)
    2 ক্যালকুলাস, ২য় পর্ব (সীমার একটা ফাজলামি আছে !)
    3 ক্যালকুলাস, তৃতীয় পর্ব (বিন্দু এবং অসীমের গল্প)

ক্যালকুলাস, প্রথম পর্ব (অস্তিত্বের শেকড় সন্ধানী) https://blog.mukto-mona.com/2015/08/28/47458/#i

ক্যালকুলাস বিশ্লেষণী জ্যামিতির একটি শাখা। এবং সবচাইতে সমৃদ্ধশীল অধ্যায়এর নাম । গণিত আর বিজ্ঞানের কত সমস্যা যে এটা দিয়ে সমাধান করা গেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। পদার্থবিদ্যার প্রায় সব থিওরিয়ের ভিত্তি বলতে গেলে এই ক্যালকুলাসই। এক কথায় বলা যায়, ক্যালকুলাসের অবদানের কথা বলে শেষ করা সম্ভব না।

কিন্তু এখনও ক্যালকুলাস কি সেটাই তো জানা গেল না। সমস্যা নেই। শুরু করছি। অন্তত এতটুকু তো বোঝা গেল যে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং শিখলে খুব একটা ভুল হবে না,উপকার ছাড়া।

ক্যালকুলাস জানার জন্য একটা প্রয়োজনীয় বিষয় জেনে নিতে হবে যার নাম – লিমিট। লিমিট আসলে কি?
লিমিট আবার কি? সীমা।

মনে করুন, কিছু দিন আগে আপনাকে একজন বলল, খাওয়ার একটা সীমা আছে। এর মানে আসলে কি ?
মানে হচ্ছে, আপনি যেই পরিমানে খানা পিনা শেষ করছেন সেটা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বাড়তে বাড়তে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের যদি বেশি হয়ে যায় তবে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারে ! হয়ত আপনি ফুটে বাস্ট হয়ে যেতে পার, অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারনে তাই আগে থেকেই সাবধান বানী। – খাওয়ার একটা সীমা আছে।

গনিতেও গণিতবিদরা এরকম কিছু জায়গা আছে, এরকম কিছু কাজ আছে যেগুলো করার আগে আপনাকে সাবধান করে দেবে । খবরদার ! সীমা অতিক্রম কর না । ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যাবে।
একটা উদাহরণ দেই – মনে করুন একটা ফাংশন আছে –
F(x) = \{(x+3). (x-3)\} / (x-3)

উপরে একটা ফাংশন দেখছি? এখানে f(x) এ x এর জায়গায় বিভিন্ন মান কিংবা সংখ্যা বসিয়ে আমরা নতুন নতুন সংখ্যা পাব। মনে রাখুন এটা কিন্তু ফাংশন। এটা কোন সমীকরণ নয় যে এখানে x এর একটা বা দুইটা মান থাকবে। এখানে x এর জায়গায় অসীম সংখ্যক মান বসতে পারে। আচ্ছা আমরা এই ফাংশনের একটা ছক তৈরি করি না কেন?
x  F(x) = \{(x+3). (x-3)\} / (x-3)
0  3
1  4
2  5
3  !?!
1  2
5  8
-4  -1

এখানে আমি x এর মাঝে এলোপাতারি কতগুলো মান বসিয়েছি । যার কারনে F(x) এর বিভিন্ন মান পেয়েছি। তাই না? কিন্তু x এর মাঝে একটা মান আমি বেশ সচেতনভাবেই বসিয়েছি। সেটা হচ্ছে 3 । কারণ আমি জানতাম x এর মাঝে 3 বসালে কেলেঙ্কারি কিছু হবে। আর তাইই হয়েছে। এই যে কেলেঙ্কারির চিহ্ন !? !
কারণ ফাংশনে 3 বসাবার আগেই অনেকে ফাংশনটাকে সুন্দর করবার জন্যে উপরে নিচে (x-3) কাটাকাটি করে দিতে পারে। এরপরে বাকি থাকবে শুধু মাত্র (x=3)। তো এখন x এরজায়গায় ৩ বসিয়ে দিলেই চলে। তবে ফাংশনের মান হবে ৬ । হয়েই তো গেল।
কিন্তু না আপনি সেটা করতে পারেন না। আপনি যখন ধরে নিচ্ছেন x এর মান 3 বসাবেন তখন কিন্তু ভুলেও (x-3) কাটাকাটি করতে পারবেন না। এটা কাটাকাটি করার অর্থ আপনি শূন্যকে শুন্য দিয়ে ভাগ করছেন। যেটা আসলে গণিতের ভাষায় একটা কেলেঙ্কারি।
০ কে ০ দিয়ে ভাগ করলে বা কাটাকাটি করলে কি ধরনের ভয়ানক জিনিস হতে পারেন একটু দেখুন –
X = Y
XY = Y^2
দুই পাশে X^2 বিয়োগ করে পাই –
XY - X^2 = Y^2 - X^2
X(Y - X) = (Y+X)(Y-X)
এখন দুই পাশ থেকে ( Y - X ) কাটাকাটি করে ফেললে বাকি থাকে,
X = X + Y
যেহেতু X = Y কাজেই Y এর জায়গায় X লিখে পাই-
X = X + X
অর্থাৎ, X = 2X
অর্থাৎ, 1 = 2
কি ভয়ানক কথা !
আসলে এখানে, X = Y
তাই
X-Y=X-X=O

সুতরাং দুই পাশ থেকে X-Y কাটাকাটি করলে সেটা অংকের ভাষায় অনির্ণেয় হবে। আর এই সমস্ত অনির্ণেয় সংখ্যাকে আমরা কখনও নির্ণয় করতে পারি না। ( ক্যালকুলাস জানার আগে পর্যন্ত এটাই বিশ্বাস করে নিতে হবে )
তার মানে আমরা কিন্তু F(x) এর ক্ষেত্রে একটা জিনিস বলে দিতে পারি। তুমি x এর ক্ষেত্রে যেকোনো মান নিতে পার, সব, মান গ্রহণ করতে পার। কিন্তু এই, ভুল করেও তিনের ধারে কাছে যাবে না। 3 হচ্ছে তোমার সীমা। অর্থাৎ তুমি সব সংখ্যা নিতে পার, সবখানে যেতে পার, কিন্তু ভুলেও ৩ এর ধারে কাছে যাবে না !
অর্থাৎ আমাদের শুধু খাওয়া দাওয়া, দুষ্টামি কিংবা লুচ্চামির ক্ষেত্রেই নয় গণিতের ক্ষেত্রেও সীমা নামের একটা ব্যাপার আছে। আজকে এখানেই থাক এক দিনে এর চাইতে বেশি আর লিখতে চাচ্ছি না। তবে এরপরের পর্বে আমরা সীমার একটা সার্বজনীন সংজ্ঞা দেব। ফাংশনের সীমা কি করে বার করতে হয় সেটাও শিখব। এবং দেখব সব কিছুর আসলে সীমা নাও থাকতে পারে !

ক্যালকুলাস, ২য় পর্ব (সীমার একটা ফাজলামি আছে !)
https://blog.mukto-mona.com/2015/08/28/47458/#i-2

ক্যালকুলাস নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে ফিরে এলাম। এর আগের অধ্যায়ে আমরা কি দেখেছি? ০/০ এটা আসলে অনির্ণেয়। এর মান বের করা সম্ভব না। আচ্ছা আমরা গনিতে দুইটি শব্দ খুব বেশি করে শুনি, অসঙ্গায়িত আর অনির্ণেয় তাই না? কিন্তু এই শব্দ দুইটির আসল অর্থই কি আর এদের মাঝে কি কোন পার্থক্য আছে? শাব্দিক দিক থেকে তো এদের অর্থ প্রায় কাছাকাছি মনে হয়। কিন্তু না, আসলে এদের মাঝে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে।

অসঙ্গায়িতঃ গণিতের যেই ক্যাল্কুলেশন কে আসলে কোন সংজ্ঞাতেই ফেলা যায় না সেটাই অসঙ্গায়িত।

প্রথমে বলে নেই এখানে অপারেশন বলতে আমরা যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগের কথা বলব।
আমরা যদি একটু লক্ষ করি তবে দেখতে পাব যে গণিতের প্রত্যেকটি অপারেশনের একটি ইউনিক মানে আছে। মনে করা যাক ৫+৬ এর মান কত, ১১। তাই না? কিন্তু আপনি কি কখনও ৫+৬ এর ১১ বাদে অন্য কোন মান পাবেন? পাবেন না। এই অপারেশনটির একটিই মান। প্রতিটি অপারেশনের ক্ষেত্রে অঙ্কে এরকম ইউনিক মান পাওয়া যায়। আবার ২/৪ সমান কত .৫ তাই না? কিন্তু আপনার পক্ষে কি ২/৪ এর .৫ বাদে অন্য কোন মান বা ফলাফল পাওয়া সম্ভব। আসলে আদৌ কখনও সম্ভব না। প্রতিটি অপারেশনের শুধু একটি ও কেবলমাত্র একটিই মান পাওয়া যাবে। এই কারনেই এই মানকে আমরা এখানে ইউনিক ভ্যেলু নাম দিচ্ছি।

এখন মনে করুন কখনও যদি দেখেন একটা অপারেশনের কোন ইউনিক মান নেই, বরং দুই তিনটা মান চলে আসছে তখনই সেটা হবে অসঙ্গায়িত। অর্থাৎ যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগের মত কোন অপারেশনে যদি একের অধিক মান চলে আসে তখনি তাকে অসঙ্গায়িত বলা হয়। যেমন ৫+৬ = ১১ আবার আরেকবার আসছে ৫+৬ = ১৩।

তার মানে যাহাই এগার তাহাই তের? আসলে উপরের এই ক্ষেত্রটা কখনও সম্ভব না। কখনও এরকম হতে পারে না, কারন ৫+৬ এর সবসময়ই একটা ইউনিক মান আসবে যদি ভুল না করে থাকেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্র আছে এই সমস্ত অপারেশনের ক্ষেত্রে যেখানে ইউনিক মান আসে না, তাই অসাঙ্গায়িত হয়। কারন একাধিক মান সেখানে তৈরি হয়।
যেমন, একটা উদাহরণ দেই ১/০ সমান কত?

কেউ কেউ হয়ত অপারেশনটা দেখেই দুম করে বলে দেবেন, পাগল না কি? এটা তো অসঙ্গায়িত ! এর আবার মান আসে কি করে? কিন্তু কেন এটা অসঙ্গায়িত সেটা কি আমরা জানি। তাই দেখব, যে কেন অসঙ্গায়িত?

আচ্ছা আমরা তো সরাসরি ০ দিয়ে কিছুকে ভাগ করতে পারি না, তাই একটা বিকল্প পদ্ধতি বের করবার চেষ্টা করব। একটু ভিন্ন কায়দায়, কিছু করা যায় না কি। আচ্ছা 1/n এ একের নিচে n এর জায়গায় দুই বসালে কত হয়? .৫। এরপরে ৩ বসালে হয় ০.৩। এখন একটা উলটা কাজ করি। বরং ১ কে তার চাইতে ছোট সংখ্যা দিয়ে ভাগ করি। ১ কে .৫ দিয়ে ভাগ করলে হয় ২। নিচের চার্টটা দেখি

chart

আমরা কি চার্টটার মাঝে একটা জিনিস লক্ষ করেছি? যতই n এর মান ০ এর কাছাকাছি যাচ্ছে, ছোট হচ্ছে, 1/n এর মান ততই অসীমের দিকে চলে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি ১ এর মান ০ এর একেবারে কাছাকাছি এসে পরলে 1/n এর মান ধনাত্মক অসীমের দিকে চলে যাবে। সারাংশ হিসেবে বলতে পারি ১/০ এর আসন্ন মান ধনাত্মক অসীম।

তো এখন কেউ যদি বলে যে 1/n এর বেলায় আপনি তো ০ এর কাছে ধনাত্মক দিক থেকে এগিয়েছেন। .00000001, .000000001 এরকম করে এগিয়েছেন, তাই পেয়েছেন ধনাত্মক অসীম। কিন্তু আপনি যদি ঋণাত্মক দিক থেকে আগাতেন তবে তো ধনাত্মক অসীম পেতেন না। নিচের চার্টটা খেয়াল করলেই আসলে ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারবেন

chartneg

এর মানে কি? এর মানে হচ্ছে আসলে আমরা যদি সংখ্যা রেখায় ঋণাত্মক বা নেগেটিভ দিক থেকে ০ এর কাছে এগোই তবে আমরা দেখব ১/০ এর মান ঋণাত্মক অসীমের দিকে চলে যাচ্ছে। তো কেউ যদি বলে ১/০ এর আসন্ন মান ঋণাত্মক অসীম তবে তো সেটাও ভুল হবে না। আমরা জানি যোগ বিয়োগ গুন ভাগের মত অপারেশনের ক্ষেত্রে একটির বেশি মান এলে তার ইউনিক মান থাকে না, সে ক্ষেত্রে তা অসঙ্গায়িত হয়ে যায়। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে ১/০ এর মান অসঙ্গায়িত। কারন এর দুইটি মান আসে। ধনাত্মক দিক থেকে এগুলে ধনাত্মক অসীম আবার ঋণাত্মক দিক থেকে এগুলে ঋণাত্মক অসীম। তার মানে এর কোন ইউনিক মান নেই। তাই এটা অসঙ্গায়িত। যদিও এটা অসঙ্গায়িত কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ১/০ এর মান কি হতে পারে সেটা আমরা বিবেচনা করে বের করতে পারি। ওই যে গনিতে অনেক সময় দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান করলে পজিটিভ নেগেটিভ দুইটা মান চলে আসে না। কিন্তু মনে করলাম ওই দ্বিঘাত সমীকরণ দিয়ে আমাকে কোন একটা পরিবারের সদস্য সংখ্যা বের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমি শুধু ধনাত্মক মানটাই নেব, কারন লোক সংখ্যা তো আর ঋণাত্মক হতে পারে না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি ঠিক করতে পারব যে কোন মানটা নেয়া সবচাইতে যুক্তিযুক্ত।

যাইহোক একটা জিনিস দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। অনেকে বলতে পারেন একের অধিক মান চলে আসলে তার আর কোন ইউনিক ভেলু থাকে না, অসঙ্গায়িত হয়ে যায়। তাহলে তো বেশিরভাগ ফাংশনই অসঙ্গায়িত। কারন একটি ফাংশনের সমাধান করলে কত মানই তো বের হয়। প্লিজ, বিষয়টাকে গোলাবেন না। আমি কিন্তু এখানে অপারেশন বলতে আমরা যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগের কথা বলেছি। আমি ফাংশনের কথা বলি নাই। এখানে আরও অনেক সূক্ষ্ম বিষয় আছে। সেগুলো বলে জল ঘোলা করব না।

তার মানে যোগ, বিয়োগ, গুন ভাগের ক্ষেত্রে যেখানে ইউনিক ভেলু থাকবে না, একের বেশি মান দেখা যাবে সেটাই অসঙ্গায়িত।

এখন আলোচা করা যাক অনির্ণেয় কি?

অনির্ণেয় এক ধরনের অসঙ্গায়িত। অসঙ্গায়িতের মাঝে এক ধরনের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জাতকে অনির্ণেয় বলা হয়। কোন জাতকে?

যোগ, বিয়োগ, গুন ভাগের মত অপারেশনের ক্ষেত্রে যেই সমস্ত অসঙ্গায়িতের অসংখ্য মান আছে, এত মান আছে যে হিসেব করে বের করা সম্ভব না সেগুলাই আসলে অনির্ণেয়। এই যেমন মনে করুন ০/০ এর মান আসলে কত? এটা একটা অনির্ণেয়। এর অসংখ্য মান আছে।
কেউ কেউ বলতে পারে ০/০ কে ভাগ করা সম্ভব না। কারন আমরা জানি নিচে ০ থাকলে ভাগ দেয়া যাবে না।

আবার কেউ বলবেন উপরে ০, নিচেও ০। কাটাকাটি করলে হয় ১ !

আবার কেউ হয়তো বলবেন, মনে করি
0/0 = n

বা, 0= n.0

এখন আমরা জানি ০ এর সাথে যাই গুন করেন মান ওই ০ ই হবে। তাহলে n এর জায়গায় যতো বাস্তব সংখ্যাই বসান, যাই বসান ০ ই হবে। তার মানে আমরা বলতে পারি,
0/0 = n হলে, n এর মান সমস্ত সংখ্যাই হতে পারে। এর যে আসলে কত মান হতে পারে সেটা গুনে শেষ করা যাবে না। তাই এটা আসলে অনির্ণেয়। আর মনে রাখতে হবে সমস্ত অনির্ণেয়ই আসলে অসঙ্গায়িত। কিন্তু সমস্ত অসঙ্গায়িত অনির্ণেয় না।

এবার সীমা নিয়ে খুব সামান্য আলোচনা করব আজকের জন্য। আচ্ছা আপনারা খেয়াল করেছেন কি না জানি না, আমি কিন্তু বলি নি ১/০ এর মান ধনাত্মক অসীম বা ঋণাত্মক অসীম। আমি এখানে আসন্ন ( হতে পারে) কথাটা ব্যবহার করেছি। আমি দেখিয়েছি, ১ কে যেই সংখ্যা দিয়ে ভাগ করব তার মান যদি ০ এর কাছাকাছি যায় সংখ্যারেখার ধনাত্মক দিক থেকে তবে তার মান ধনাত্মক অসীমের দিকে যাবে। আর ঋণাত্মক দিক থেকে এগুলে ঋণাত্মক অসীমের দিকে যাবে। অর্থাৎ এই কথাটাকে গাণিতিক ভাবে প্রকাশ করলে –
\lim_{x\to +0} 1/n = +\infty

এবং
\lim_{x\to -0} 1/n = +\infty

এর মানে কি? এই সমীকরণ দুইটা কি বলছে?

এরা বলছে যে n এর মান ০ এর দিকে যাবে, সারাজীবন ধরে ছোট হতে থাকবে, কিন্তু কখনও শূন্য হতে পারবে না। এখন n যদি o এর খুব কাছাকাছি একটা সংখ্যা হয় তবে 1/n এর মান, n কোন দিক থেকে ০ এর কাছে যাচ্ছে তার উপরে ভিত্তি করে ধনাত্মক বা ঋণাত্মক অসীমে পরিণত হবে।

অর্থাৎ আমি এই লেখার কোথাও ভুলেও বলি নি যে, ১/০ এর মান ধনাত্মক অসীম বা ঋণাত্মক অসীম। বরং বলেছি ১ এর নিচের সংখ্যাটি ০ এর কাছাকাছি গেলে ১/০ এর মান ধনাত্মক বা ঋণাত্মক অসীম হবে। সেই হিসেবে ১/০ এর মান ধনাত্মক বা ঋণাত্মক অসীম হতে পারে। ১/০ এর প্রকৃত মান আমরা কখনই বের করতে পারি না, কিন্তু আমরা বলতে পারি কোন দিক থেকে ০ এর দিকে আগাচ্ছি তার উপরে ভিত্তি করে ১/০ এর মান ধনাত্মক বা ঋণাত্মক অসীম হতে পারে। হতে পারে আর হওয়া কিন্তু এক না।

তো এখানে আমাদের n এর মান ০ এর কাছাকাছি যাচ্ছে। কিন্তু কখনও ০ হচ্ছে না। আর n এর মান কখনও ০ হতেও পারবে না, হলে বড় ধরনের সমস্যা হবে। কিন্তু n এর মান ০ এর অনেক অনেক, খুব খুব কাছে যেতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ০ হতে পারবে না। এর মানে আসলে কি? এর মানে হচ্ছে n এর সীমা ০। n চাইলে ০ এর অসীম পরিমাণ নিকটে যেতে পারে, কিন্তু কখনও ০ হতে পারবে না। তার সীমারেখার ০ এর আগ পর্যন্ত বন্ধি। এই হচ্ছে গণিতের সীমার ধারনা। কিছু বিষয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করে ফেলতে পারি। কিন্তু এর পরের পর্বে আপনারা পুরোপুরিভাবে সীমার ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।

শেষ কথা ১/০ এর প্রকৃত কোন মান নেই। তবে এর দুইটা মান হতে পারে। ধনাত্মক অসীম বা ঋণাত্মক অসীম। এর দুইটা মান হতে পারে তো তাই এটা অসঙ্গায়িত। এরকম করে যারই একের অধিক মান হতে পারে সেটাই অসঙ্গায়িত। আর যাদের ইউনিক ভেলু বা নির্দিষ্ট মান নেই তাদের সবার ক্ষেত্রেই মান হবে না বলে হতে পারে বলা যেতে পারে। হতে পারে বলাটাই তো যুক্তিযুক্ত, তাই না?

ক্যালকুলাস, তৃতীয় পর্ব (বিন্দু এবং অসীমের গল্প)
https://blog.mukto-mona.com/2015/08/28/47458/#i-3

ক্যালকুলাসের সীমা বিষয়টাকে আরও গভীরভাবে ফিল করবার জন্য প্রয়োজন বিন্দুর ধারনা। তাই এই পর্ব। পুরাটাই বিন্দু নিয়ে, এরপরের পর্বে আমরা সীমা নিয়ে আলোচনা একটা মোটামুটি উপসংহার টানব।
অসীম এমন একটা ধারণা যা আমাদের অনুভূতিকে শিহরিত করে। সসীমতা ধারণ করে অসীম কে বুঝা আসলে বেশ কঠিন ব্যাপার। তবুও মানুষ কৌতূহলী, সে এই কঠিন বিষয়টাকেও ফেলে দিতে চায় না। তাকে বুঝতেই হবে। বুঝতে গিয়ে সে দেখেছে তার মাঝেও রয়েছে অসীম। সীমার মাঝেই যে অসীম !
আর বিন্দু হচ্ছে ক্ষুদ্রতার শেষ সীমা।
অসীম আর বিন্দুর মত ক্ষুদ্রতাকে বুঝতে গিয়ে আমাদের যে কত নাকানি চুবানি খেতে হয়েছে তা নিচের প্যারাডক্সটা থেকেই বুঝা যায় –

ধরুন, আমি একটা ইট ছুড়লাম। ইটটা ১০ মিটার দূরে গিয়ে পরল। এখন আমি ইটটা ছোঁড়ার সময় থেকে ১০ মিটার দূরে গিয়ে পরার আগ পর্যন্ত ইটটার অসংখ্য ছবি তুলেছি। আচ্ছা বলুন তো ছবিতে ইটের গতি বেগ কত? আসলে ছবিতে ইটটার গতি শুন্য। সেইখানে ইটের কোনও গতি থাকতে পারে না। ছবিটা একটা নির্দিষ্ট মুহূর্তে ইটটির অবস্থা প্রকাশ করছে। আমরা জানি মুহূর্তের সময় ব্যবধান শুন্য। সুতরাং সেইখানে ইটের গতিবেগ ও শুন্য। সেইখানে ইটের কোনও গতি থাকতে পারে না। ছবিটা একটা নির্দিষ্ট মুহূর্তে ইটটির অবস্থা প্রকাশ করছে। আমরা জানি মুহূর্তের সময় ব্যবধান শুন্য। সুতরাং সেইখানে ইটের গতিবেগ ও শুন্য।
এখন আমরা যদি ইটের এক স্থান থেকে অন্য একটা স্থানে যাওয়াকে এরকম অসীম মুহূর্তের সমষ্টি মনে করি, তবে আমাদের ভাবতেই হবে জগতে গতি বলে কিছুই নেই। কারন সবগুলো ছবিতে (মুহূর্তে) ইটের শুন্য গতি। তবে একটা গতিহীন বস্তু কিভাবে একস্থান থেকে অন্য একটা স্থানে যেতে পারে? তবে কি পুরো জগতটাই একটা ভ্রান্তি। আমরা কি সেই ভ্রান্তির মাঝেই বসবাস করছি। সময়, গতি এসবের কি কোন অস্তিত্বই নেই?সবই কি আমাদের দেখার, বুঝার ভুল?

চলুন, সমস্যাটাকে সমাধান করা যাক। আচ্ছা আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি সংখ্যারেখায় ১ এর ঠিক পরের বিন্দুর অবস্থান টা কোথায়? আপনি কি বলবেন?
২?
না সংখ্যারেখায় একের আরও কাছের বিন্দু রয়েছে, আমি যদি এবার বলি, ১.০৫
এবার আপনি বলতে পারেন, ১.০০০১
আমি এবার ১ এর আরও কাছের সংখ্যার কথা বলতে পারি, ১.০০০০০০০০০০০১

এভাবে আমরা অসীম কাল পর্যন্ত যেতেই থাকব কিন্তু ১ এর ঠিক পরের বিন্দুর অবস্থাণটা আমরা কখনই বলতে পারব না।( এখানে আমরা একের ঠিক পরের সংখ্যাটাকে, সংখ্যা না বলে বিন্দু বলেছি, এতে কোনও অসুবিধা নাই )।
বিন্দু জিনিসটা কি?

আমি খাতায় কলম দিয়ে একটি ফোঁটা আঁকলাম, এটা কি একটা বিন্দু? আমি হলপ করে বলতে পারি আপনি এটাকে বিন্দু বলবেন।
কিন্তু আমরা যেই পিথাগরিয়ান বিন্দুর কথা কল্পনা করি, তার কিন্তু মাত্রা শুন্য, আয়তনও নেই। অথচ আপনি যেই জিনিসটাকে বিন্দু বলেছেন খুব সূক্ষ্ম যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করলে দেখতে পাবেন, এর একটা দৈর্ঘ্য আছে। এটা কিছুটা জায়গাও দখল করেছে। কালির একটা স্তর তার উপরে পরেছে, তাই এর একটা উচ্চতাও রয়েছে। যাকে আমরা আলোচনার সুবিধার জন্য বিন্দু বলে থাকি তা আসলে আমাদের সেই পিথাগরিয়ান বিন্দু নয়, যা শুন্য মাত্রার, শুন্য আয়তনের। পিথাগরিয়ান এই বিন্দুকে আপনি কোনও কিছুর মাঝেই নির্দিষ্ট করতে পারবেন না। কারন তা অনেক ছোট, শুননের অসীম পরিমাণ নিকটে, এই বিন্দু অসীম পরিমাণ ক্ষুদ্র। আপনি যেমন কোন কিছুর মাঝে পিথাগরিয়ান বিন্দুর অবস্থান বলতে পারছেন না, ঠিক তেমন ভাবেই আপনি সংখ্যারেখায় একের ঠিক পরের বিন্দুর অবস্থানটাও বলতে পারছেন না।সংখ্যা রেখায় ১ এর ঠিক পরের সংখ্যা বা বিন্দুর অবস্থান বলা আর যেকোনো জায়গায় একটি বিন্দুর অবস্থান নির্দিষ্ট করা আসলে একই ব্যাপার। আমাদের এই সীমাবদ্ধতা কেন, তা একটু পরেই বলব।
যাই হোক, গণিতে ১ এর ঠিক পরের সংখ্যাটিকে এইভাবে প্রকাশ করা হয় –
মনে করি, ১ এর ঠিক পরের বিন্দুটি হচ্ছে X।
সুতরাং

$\lim_{x to 1} x $
এখানে বোঝানো হয়ছে ‘x’ tends to ‘1’ অর্থাৎ x অসীম কাল ধরে 1 এর কাছে যাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যেখানে x এর সীমা হচ্ছে ১।

সংখ্যারেখায় ১ এর ঠিক পরের বিন্দুটি বা সংখ্যাটি ধরতে গিয়ে আপনি x আর ১ এর ব্যবধান শুননের কাছাকাছি নিয়ে এসেছেন,যেখানে ‘x’ এর সীমা হচ্ছে ১। তবুও আপনি ১ এর পরের বিন্দুটি বলতে পারছেন না। কারন x আর ১ এর ব্যবধান শুধুমাত্রই একটি বিন্দু, যা অসিমতর ক্ষুদ্র এবং আমরা তা নির্দিষ্ট করতে পারি না। এ থেকে বুঝা যায় আমরা চাইলেই যত ইচ্ছে ছোট কোনও কিছু ভাবতে পারি না। আর একটি পিথাগরিয়ান বিন্দুর মত ক্ষুদ্র কোনও কিছুকে তো নয়ই। তো যা আমরা কল্পনা করতে পারছি না, কোনও কিছুর মাঝে তার অবস্থানটুকু কি করে বলব?

এতক্ষণ আমরা আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানলাম। চলুন এবার এই জ্ঞানটাকে কাজে লাগানো যাক। আমরা বলেছি ইচ্ছে মত ছোট জিনিস জ্ঞাপন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর অন্যদিকে বাস্তবে দেখা যায় একটা নির্দিষ্ট মাত্রার চাইতে ছোট কোন কিছু হতেই পারে না। এই মাত্রাটা হচ্ছে প্ল্যাঙ্ক স্কেল।আমাদের এই চিরাচরিত জগতে প্ল্যাঙ্ক স্কেল এর চাইতে ক্ষুদ্র সময় যেমন নাই, তেমনিভাবে এত ছোট দৈর্ঘ্যও নাই। এই প্ল্যাঙ্ক স্কেল আবার পিথাগরিয়ান বিন্দু থেকে ছোট নয় কিন্তু। তার তুলনায় অনেক বড়।
তো আপনি যখন বলেন ইটটির গতিবেগ শুন্য,কারন প্রতিটি ছবিতেই সে স্থির। সেখানে কিন্তু একটি ভুল থেকেই যায়। ভুলটি হচ্ছে সত্যই ছবিতে ইটের বেগ শুন্য। কিন্তু আপনি যখন ছবি তুলছেন প্রতি দুইটা ছবি অন্তর কিছুটা সময় ব্যয় হচ্ছে। যার সম্ভাব্য সবনিন্ম মান হচ্ছে প্ল্যাঙ্ক সময়। আপনি দুইটি পরপর তোলা ছবি লক্ষ করলে দেখতে পাবেন ইটটি প্রথম তোলা ছবিতে যেই অবস্থানে, দ্বিতীয় তোলা ছবিতে তার অবস্থানের সর্বনিন্ম হবে ব্যবধান প্ল্যাঙ্ক দৈর্ঘ্য। ইটটি পরের ছবিতে কিন্তু বিন্দু ব্যবধান অতিক্রম করে নি। যা করেছে তার সীমা প্ল্যাঙ্ক দৈর্ঘ্য, যা পিথাগরিয়ান বিন্দুর চাইতে অনেক অনেক বড়। এবার বোঝা গেল গলদটা যে গোড়াতেই।

(জেনোর প্যারাডক্স এর উপরোক্ত ব্যাখ্যাটি আমার তৈরি করা)

মিডিয়া – সববয়সী আর ১৮+ সংক্রান্ত জটিলতা---


অনেক ধরনের নাটক, সিনেমা, শর্ট ফিল্ম তৈরি হচ্ছে। এবং সবকিছু সববয়সীর উপযুক্ত নয়। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে সবাই সবকিছু উপভোগ করতে পারছে, কথা সত্যি। তাই বলে কি আমরা টিভিতে এমন কিছু আর প্রচার করবো না, যা বাচ্চাদের উপযুক্ত না? ইন্টারনেট থেকে এমন সব কিছু সরিয়ে ফেলবো যা গলা চেপে ধরা নিয়মনীতি না মেনে বানানো হয়নি? অবশ্যই না। আর্টিস্টিক লিবারেশনকে এভাবে আটকে ফেলা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

যেটা উচিৎ হবে, সেটা হচ্ছে প্রযুক্তির আরো উন্নতি ঘটানো। এবং এমন এক প্রযুক্তি তৈরি করা যেখানে প্রত্যেকে তার বয়সের বাইরে “নিষিদ্ধ” কিছু দেখার সুযোগ পাবে না। আমি নিষিদ্ধের আগে-পরে উদ্ধৃতি চিহ্ন দিয়েছি, কারণ কোনটা নিষিদ্ধ, কোনটা নয়, এটা জাজ করার সিস্টেম নিয়ে আমার প্রভূত প্রশ্ন আছে।

যাই হোক, যেটা বলতে চাইছিলাম, সেটা হচ্ছে – আমাদেরকে ঐ ধরনের প্রযুক্তির কথা চিন্তা করতে হবে। প্রযুক্তিটা এমন হতে পারে – প্রত্যেকের এমন একটা ইউনিভার্সাল আইডি থাকবে, যা দিয়ে ইন্টারনেটে বা টিভিতে লগিন করলে যেটা শুধু ঐ প্রোগ্রামগুলোই বীম করবে, বা ঐ সার্চ রেজাল্টগুলোই দেখাবে – যা ওর বয়সের জন্য প্রযোজ্য। এটা নিকট ভবিষ্যতে হবেই, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তখনো বয়সে বড় বন্ধু বা কাজিনদের কাছ থেকে (বা ওদের আইডি ব্যবহার করে) “নিষিদ্ধ” তথ্য পাওয়া কমবে না, স্রেফ ইন্টারনেট থেকে সার্চ করে পাওয়াটা আরেকটু কঠিন হবে, এই আর কি।

এখন উন্নত বিশ্বে কাছাকাছি একটা সিস্টেম আছে। ওরা প্রত্যেক প্রোগ্রামের প্রত্যেক এপিসোডের জন্যই একটা রেটিং দেয়। যেমন, গেইম অফ থ্রোনস এর বেশির এপিসোডই থাকে TV-MA ক্যাটাগরির। এখানে MA হচ্ছে Matured Audience এর সংক্ষিপ্ত রুপ. এটা দিয়ে বোঝাচ্ছে এটার ভাষা শিশুদের উপযুক্ত নয়, এখানে নগ্নতা আছে, হিংস্রতা আছে। বাংলাদেশেও সবকিছুতে এ ধরনের ক্যাটাগরি করা প্রয়োজন।

এখন নাকি অনেকে পরিবারের সাথে একত্রে কোনো প্রোগ্রাম দেখতে গিয়ে বিব্রত হন। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, সেগুলোর অনেক প্রোগ্রামই হয়তো এমন যেগুলো নিয়ে হয়তো বিব্রত হবার কথা না। তারপরেও অনেকেই হয়, অতিরিক্ত রক্ষণশীলতার কারণে। আবার কিছু হয়তো আসলেই ওরকম প্রোগ্রাম, যেগুলো সববয়সীরা একসাথে দেখতে গেলে সমস্যা হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে এই ক্যাটাগরিগুলো খুব কাজে দেবে। বড়রা প্রোগ্রাম শুরুর আগেই দেখে নিতে পারবেন, কত বয়সের ওপরের বাচ্চারা সেই প্রোগ্রাম দেখার উপযুক্ত। এবং সেই অনুসারে বাচ্চাদেরকে ঘুমাতে পাঠাতে পারবেন, বা সাথে রাখতে পারবেন।

এই ব্যাপারগুলো নিয়ে উদারনীতি অবলম্বন করা বেশ ঝামেলার ব্যাপার। অনেকেই হৈ হৈ করে উঠবেন হয়তো; বলবেন, আমাদের মত লোকেরাই নাকি সবকিছু ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, রক্ষণশীলতা দিয়ে কিছুই ঠেকানো যাচ্ছে না কিন্তু। শুধু মাঝে মাঝে খারাপটাই উঠে আসছে। তার চেয়ে বরং আসুন, এমন একটা সিস্টেম তৈরি করি যেখানে সবকিছুকে সহজভাবে নিয়ে অধিকতর সুন্দরটাকে বেশি করে উঠিয়ে আনা যায়। আমি বলছি না যে, এই ব্যবস্থাগুলো নিলে সব ঝামেলা চলে যাবে। সব সিস্টেমই প্যাঁচালো, এর মধ্যে থেকেই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রযুক্তি এখনো তার দুরন্ত শৈশব পেরোচ্ছে। আস্তে আস্তে সে যুবক হয়ে উঠবে। সৃজনশীলতার প্রতি খড়গহস্ত হবার কিছু নেই।

মেয়ে মানুষের লাশ---


বহুকাল আগে শ্রদ্ধেয়া কবি লিখেছিলেন,
” মেয়ে মানুষের লাশ,”
আজও মেয়ে মানুষের লাশ ভাসে
ঐ দূরে ইচ্ছামতী নদীর জলে,
মেয়ে মানুষের নগ্ন লাশ ভাসে জলে, ‘

বড় হিংস্র মাছেরা খুবলে, খেয়েছে শরীর।
ভীড় করে এসেছে নানা বয়সের পুরুষ, নারীরা মাথায় ঘোমটার আড়ালে আড় চোখে চেয়ে ফেলে দীর্ঘশ্বাস, চাপা শ্বাস, ফেলে চলে যায় নিঃশব্দে, তাদের বুকের ভেতর এক অসহ্য চাপা যন্ত্রনার ঢেউ আছড়ে পড়ে।
ভীড় করে আসা পুরুষেরের মাঝে ওঠে গুঞ্জন নানা লোকে নানা কথা বলে;
” বিভত্স্য ধর্ষনের শিকার,
ব্যর্থ প্রেমের আঘাতে আত্মহত্যা,
” দাঁত বে ড় করে নিজের তামাশায় নিজেই হেসে উঠে”।
” নির্ঘাত বিবাহের প্রতিশ্রুতি নির্ধারিত সহযোগিতায় আনন্দে মাতাল সহবাসের ফলাফল।

” যথারীতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে অন্তস্বত্তায় হওয়ার পর আত্মহত্যা ছাড়া গতি কী ?
অনেকেই অট্ট হাস্যে ফেটে পড়ল, সব পুরুষের নজর কিন্তু ঐ উলঙ্গ মেয়ে মানুষের শরীরে দিকে, পুরুষের দৃষ্টি লেহন করছে মেয়ে মানুষের নগ্ন লাশ; জল থেকে ডা ঙ্গায় তোলা হয়েছে লাশ, ভীড় এগিয়ে গিয়ে ছেঁকে ধরে লাশ; ” চেনা চেনা লাগে এ তো কুুসুম,
খাল পারের খানকী পাড়ায় বাস।
” না না না, দূর এই মেয়েটা বাবু পাড়ার ঝিনুক,
পরশু রাতেও দেখলাম বাইকের পেছনে বসে জাপটে জড়িয়ে ধরে আছে-”
” ছোঁড়াটা কে ছিল ঘুড়ো ?

ভয়ে ভয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে ঢোক গিলে আমতা আমতা স্বরে বলে, রাতের অন্ধকারে ঠিক ঠাওর হলো না, চার কুড়ি এ বয়সে !”

অন্য এক জন লাশের খুব কাছে গিয়ে, হ্যা ! আমি ঠিক ধরেছি, এই তো শর্বানী,
অমল বাবুর বাপ মা মরা ভাগ্নী !

” ভীড় ঠেলে এগিয়ে এলেন এক সৌম্য বদ্ধৃ নিজের পাট করা সাদা উত্তরিও যত্নে বিছিয়ে দিলেন লাশের উপর, ঢাকা পড়ল; মেয়ে মানুষের নগ্ন লাশ।

বৃদ্ধের প্রতি সম্ভ্রমে শ্রদ্ধায় নত মস্তকে নীরবে কুর্ণিশ জানালো অনেকে।

পুলিশ ভ্যানের সশব্দে, সদর্পে আগমন বার্তার আওয়াজ শুনে সবাই শুয়েরের শাবকের মতন দৌড়ে পালালো।
এক কিশোর গাছের আড়াল থেকে চোখের জল ফেলে ঝাপসা দৃষ্টি মেলে
গভীর মর্মবেদনায় তাঁর হারিয়ে যাওয়া চিরদিনের মতো দিদিকে লুকিয়ে দেখছে।
গত মাসে টিউশানী করে ফেরার পথে দিদিভাইয়ের সাথে ছিল সেদিনের ঘটনা কী চরম লাঞ্ছনা, ভাইকে লাথি মারতে মারতে দূরে ঠেলে দিলো।

তারপর মেতে উঠলো এক পৈশাচিক আনন্দে, ময়নার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে নির্যাতনের ক্ষত বিক্ষত, হঠাৎই পুলিশের টহলদারি ভ্যানের
সিরাতের মতো রেহাই পেয়ে ছিল ময়না, ছোট ভাইয়ের চোখে সে রাতের ক্রোধে জ্বলছিল দৃষ্টি—
কিন্তু আজ বাপিনের প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে, দ্বিগুন !
আবার বাপ মায়ের বারন করা সত্ত্বেও বাপিনের প্রতিশোধের অগ্নি শিখা লক লক হৃদয়ে জ্বলছে।
আবার হাতে অস্ত্র বাসনা মনে প্রবল হয়ে ওঠে, শুধু সুযোগের অপেক্ষায়।

উজবুক মোল্লাদের বলছি---

দুই বন্ধু গাড়িতে বোমা লাগাতে গিয়েছে। হামাগুড়ি দিয়ে গাড়ির তলায় দুজন ঢুকেছে। দুজন পাশাপাশি চিৎ হয়ে শুয়ে গাড়িতে বোমা লাগানোর তোড়জোড় করছে। প্রথম বন্ধু বোমাটি বের করে আশঙ্কা প্রকাশ করে দ্বিতীয় বন্ধুকে বলল- গাড়িতে বোমা লাগাতে গিয়ে যদি বোমাটি ফেটে যায়?

দ্বিতীয় বন্ধু বলল- কোনও ভয় নেই আমার কাছে আরও একটি বোমা আছে।

গল্পটির মূল সারাংশ এই, দুজনেরই নিজেদের সর্বনাশ সম্বন্ধে কারও কোনও কান্ডজ্ঞান নেই।

বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার খতম করে, ইসলামিক দেশগুলির লেখকদের দেশছাড়া করে, প্রয়োজনে তাদের খতম করে আপনার কী বার্তা দিতে চাইছেন? বন্ধ করে দিতে চাইছেন এদের মুক্ত চিন্তায় লেখার ক্ষমতাকে? স্তব্দ করে দিতে চাইছেন এদের কর্মকান্ডকে? এদের কর্মকান্ড স্তব্দ হওয়ার বদলে আপনাদের কর্মকান্ড কোনঠাসা হয়ে পড়ছে, একবার ভেবে দেখেছেন কী?

আপনারা তসলিমাকে দেশছাড়া করলেন। সলমন রুশদিকে দেশছাড়া করলেন। ভাবলেন সব ল্যাঠা চুকে গেল। একটা বিরাট বড় কাজ করেছি। দেশের যুব সমাজকে রক্ষে করেছি ইত্যাদি ইত্যাদি।

তসলিমাকে দেশছাড়া করার আগে বাংলাদেশে কতজন নাস্তিক ছিলো? কতজন নাস্তিকতার পক্ষ নিত? যতদুর জানি, আজকে যেভাবে যুব সমাজ এগিয়ে এসে নাস্তিকতার পক্ষ নিচ্ছে এত ব্যাপক সংখ্যায় তো দুর অস্ত, মুষ্টিমেয় কিছু আসত কিনা তা নিয়েও সন্দহ রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে নাস্তিকদের এত সাফল্যের পিছনে কারা রয়েছে? নাস্তিকদের সংখ্যা বাংলাদেশে বাড়ানোর মুলে কারা আছে? তখনও তো আমেরিকা ছিলো ইউরোপ ছিলো। তাই এদের কথা বাদ দেওয়াই ভালো। বাংলাদেশে নাস্তিকতার প্রসারে তসলিমা হুমায়ুন আজাদদের ভুমিকা যতটা না আছে তার থেকে বেশী আছে মুসলিম মৌলবাদের হাত। অর্থাৎ আপনার বাড়িয়েছেন নাস্তিকদের। কীভাবে বাড়িয়েছেন তবে দেখুন –

অনেক সাহিত্যিক, সমালোচক, গবেষকরা তসলিমা নাসরিনকে সাহিত্যিক হিসেবে বিশেষ প্রাধান্য দিতে চান না। তার কবিতা প্রবন্ধ জীবনীকে তারা সাহিত্য বলে মনে করেন না। তাদের যুক্তি- “যিনি সাল তারিখ উল্লেখ করে ধর্ষনের খবর বইয়ে লেখেন, পত্র পত্রিকার খন্ডাংশ নিজের বইয়ে সাল তারিখ উল্লেখ করে লিপিবদ্ধ করেন তিনি সম্ভবত রিপোর্টার, সাহিত্যিক নন’’। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি এসব সনাতনপন্থী সাহিত্যিকের বচন। সাহিত্যের যুগে যুগে কালে কালে বদল ঘটে। কালের চাহিদা অনুসারে তার চলন। সমাজের ছায়া দর্পনে কীভাবে পড়বে তা সনাতন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।

তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম তসলিমা সাহিত্যিক নন, একজন জোলো লেখিকা, যিনি রিপোর্টার, যার লেখনীর কোন সাহিত্য মূল্য নেই, তার কলম থেকে সমাজ সংস্কারমূলক লেখা বেরোয় না অর্থাৎ তার লেখনিতে ধার নেই, যিনি প্রচার পাওয়ার উদ্দেশ্যে লেখেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

দেখুন বড় বড় সমালোচক যখন তসলিমাকে এই সার্টিফিকেট দিয়েছে তবে তো তার লেখনী খুব জোরালো বলা যায় না। আপনাদের তাকে নিয়ে নাড়াচাড়া না করাই ভালো ছিলো। কিন্তু আপনারা “নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর” বলে মিছিল করে তার বাড়ির সামনে ধর্না দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছেন। হাজার হাজার লোক জড় করে রাজপথে তার ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেছেন। তাকে দেশ থেকে শেষপর্যন্ত উৎখাত করেছেন। কলকাতাতেও তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় মিডিয়ার সামনে আপনারা লুঙ্গি উঁচু করে পুরুষাঙ্গ দেখিয়েছেন। তাকে বাংলা ছাড়া করেছেন।

কী প্রয়োজন ছিলো এসবগুলো করার? আপনাদের এসব বাড়বাড়ন্তির আগে তসলিমাকে কতজন চিনত? দেশে কিংবা বিদেশে, কে এই তসলিমা অতসব খবর কি কেঊ রাখত? কিন্ত এখন রাখে অর্থাৎ আপনাদের বাড়বাড়ন্তির পর রাখে। একবাক্যে সবাই চেনে তসলিমা নাসরিনকে। ধনী, দরিদ্র, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নাস্তিক, আস্তিক সবাই তসলিমাকে না পড়েই চেনে। তার লেখনীতে সাহিত্যমূল্য থাকুক আর না থাকুক সারাবিশ্বে তাকে সাহিত্যিক হিসেবে আপনারাই প্রচার পাইয়ে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা সাহিত্যে সর্বাধিক আলোড়ন সৃষ্টিকারী, আলোচিত বাঙালি, তসলিমা নাসরিন। যাকে এক ডাকে সবাই চেনে। সারা বিশ্ব চেনে। তিনি সারা বিশ্বের বিভিন্ন সম্মানজনক পুরস্কারে ভুষিত। এত তাড়াতাড়ি একটা লেখিকাকে কারা এই ভিত প্রস্তূত করে দিলো একবার ভেবে দেখেছেন কী??

সলমন রুশদির ক্ষেত্রেও আপনারা একই পদক্ষেপ নিলেন। “দ্যা স্যাটানিক ভার্সেস” লেখার দরুন তার মাথার দাম ধার্য করে ফতোয়া দিলেন। এক্ষেত্রেও একজন লেখককে অসম্ভব জনপ্রিয়তা পাইয়ে দিলেন। তার যতটা প্রচার পাওয়ার কথা ছিলো তার চেয়ে অসম্ভব জনপ্রিয় করে তুললেন আপনারই।

হুমায়ুন আজাদকে নৃশংসভাবে খুন করলেন। সমস্ত মানুষ জেনে গেল একজন নাস্তিক লেখক খুন হয়েছে। কী এই নাস্তিকতা? এর পক্ষে মানুষ কেমন ভাবে যুক্তি সাজায়? মসজিদে গিয়ে নামায পড়া, মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করা, চার্চে গিয়ে বাতি জ্বালানোর বাইরেও কী কিছু হয়? মানুষের মধ্যে আপনারাই কৌতুহল বাড়িয়ে দিলেন।

বর্তমান বিশ্বে ব্লগ শব্দটা নতুন। খুব বেশী মানুষ ব্লগ সম্মন্ধে জানে না। ব্লগ খায় না মাথায় দেয় এখনো বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ধারনা নেই। আপনারা মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক, লেখক অভিজিৎ রায়কে দুম করে অত্যন্ত বর্বরভাবে খুন করে ফেললেন। সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী বন্যা আহমেদকে মারাত্মকভাবে জখম করলেন। তার স্ত্রীকেও খুনের পরিকল্পনা ঘটনাক্রমে ব্যর্থ হয়েছিলো সেদিন। আপনারা তার জন্য অলক্ষ্যে হাত কামড়েছেন। কী সুযোগ মিস করলেন এই ভেবে। এক্ষেত্রেও অভিজিৎ রায়, বন্যা আহমেদকে আপনার সারা বিশ্বে চিনিয়ে দিলেন। হয়ত অল্প অল্প করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল ব্লগটি। হয়ত অভিজিৎ রায়, বন্যা আহমেদের লেখনীতে ধার ছিলো। কিন্তু এই দম্পতির উপর আক্রমনের আগে তাদেরকে এবং ব্লগটিকে কতজন চিনত? কিন্তু আপনাদের নৃশংসতার পরে এখন অভিজিৎ রায় এবং তার প্রতিষ্ঠিত ব্লগকে বহু মানুষ চেনেন। তার স্ত্রী বন্যা আহমেদকে চেনেন। যারা চেনেননি তারা দলে দলে চিনতে চায়। দলে দলে মানুষ নাস্তিকতা সম্মন্ধে জানতে চায়। অনেকেই সরাসরি নাস্তিক হতে চায়। এইসব কাহাদের দান??? একবার ভেবেছেন কী?

শুধু অভিজিৎ রায় নয় তারপরও আপনার একের পর এক ব্লগার খুন করে চলেছেন। লেখক বুদ্ধিজীবী তাড়িয়ে অথবা খুন করে চলেছেন। এদের বই নিষিদ্ধ করার জন্য আদালতে ছুটেছেন। ব্লগগুলো নিষিদ্ধ করার করার দাবি তুলেছেন। ব্লগারদের মৃত্যুদন্ডের জন্য মিছিল করেছেন। সমস্ত রকমভাবে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা হল নিষিদ্ধ সংস্কৃতির একটি বৃহৎ সমস্যা আছে। সমস্যাটি হল- পৃথিবীতে যা কিছু নিষিদ্ধ এবং যা কিছু গোপন তা জানার সুপ্ত কৌতুহল মানুষের মধ্যে জাগ্রত হয়। সেজন্য কোন কিছু নিষিদ্ধ করাটাও একটি প্রচার। বিশেষ করে যুব সমাজ এর প্রতি আকৃষ্ট হবেই। কী এমন জিনিস যা নিষিদ্ধ হল? এই সুপ্ত কৌতুহলে। বারংবার এই কৌতুহল শুধুই যুব সমাজ নয়, আপামর জনসাধারনের মধ্যে আপনারাই সৃষ্টি করেছেন এবং দিনের পর দিন তার পরিধি বাড়াচ্ছেন। এই বাড়বাড়ন্তি আপনারা যতই করছেন ততই পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছেন, ততই মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন। আপনাদের হাতে আক্রান্ত সমস্ত নাস্তিক লেখকের বই দিনের পর দিন বেস্টসেলারের তালিকায়। নাস্তিক ব্লগগুলিতেও দিনের পর দিন মানুষের উঁকি বাড়ছে। নাস্তিকদের মতাদর্শ জানার জন্য মানুষের ঢল নামছে ব্লগগুলিতে। একটা নাস্তিক আক্রান্ত হলে হাজার নাস্তিকের জন্ম হচ্ছে। এখন আপনাদের কর্মকান্ড দেখে দূরদর্শীরা অলক্ষ্যে হাসছেন। আপনারা দিনের পর দিন নিজেদের পায়ের তলার জমি হারিয়ে হায়েনার মতো হয়ে উঠছেন। অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে আপনাদের। শান্ত হয়ে ভাবতে না বসলে আপনাদের মতবাদ কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। সেটা ভাববার প্রয়োজনবোধ করেছেন কী??

আপনাদের গোঁড়ামির চাপে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলো লেখক, লেখিকা, শিল্পীদের জন্য বিশেষ ধরনের আইন প্রনয়নে বাধ্য হয়েছে বা হচ্ছেন। এই আইনের বলে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন রকমভাবে লেখক, লেখিকা, শিল্পীদের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড থেকে শুরু করে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান রেখেছেন। শুধু ইসলাম নিয়ে সমালোচনা করলেই এ ধরনের শাস্তি ভোগ করতে হবে। যা সম্পুর্ন মানবতা বিরোধী। যা আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটা শোরগোল সৃষ্টি করার মতই একটা বৃহত্তর ইস্যু।

এখানে একটা বিষয় পরিস্কার হওয়া ভালো- যেসব লেখক, লেখিকা, শিল্পী, ব্লগারদের কথা বললাম তাদের যে বাইরের বিশ্বে পরিচিত হওয়ার যোগ্যতা নেই কিংবা তাদের ব্যক্তিত্বের বলে তারা যে প্রচার পাচ্ছে না তা কিন্তু নয়। অবশ্যই তারা প্রচার পাওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব। এই প্রচারটা যতটা পাওয়ার তার কয়েকগুন বেশী পাইয়ে দেওয়ার অনুঘটক হিসেবে আপনারা কাজ করছেন এবং এটা করছেন তাদের জীবদ্দশায়। আমাদের দেশের লেখকদের নিয়ে একটা প্রবাদ আছে যে- লেখকরা জীবদ্দশায় খুব বেশী করে প্রচার পায় না যত প্রচার তার মৃত্যুর পরে। এটা আমাদের দেশের লেখকদেরই একটা বড় আক্ষেপ।

আপনারা আত্মপক্ষ সমর্থনে বলবেন এটা কী শুধু আমরা করি? হিন্দু মৌলবাদীরাও কী করে না? ওরাও তো শিল্পী মকবুল ফিদা হোসেনকে নগ্ন সরস্বতী আঁকার দায়ে দেশছাড়া করেছিলো। এ প্রসঙ্গে সবপক্ষের মৌলবাদীদের বলছি- নিজেদের মতবাদকে যদি আরও কিছুদিন দীর্ঘায়ু করতে চান তবে এখনই সতর্ক হোন। নইলে যতই আপনারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়বেন ততই মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবেন। এবার ভেবে দেখুন নিজের ভালো নিজেরা বুঝবেন কিনা? একটা কথা চিরদিনই মনে রাখবেন- “আপন ভালো পাগলেও বোঝে”।

Thursday, September 24, 2015

train tracking service

banglalink introduces train tracking service through which from now on you will be able to know the current location of desired train along with train departure schedule, location of next stoppage and many more information via sms. to get train travel related information on your phone via sms, type tr<space>train number and send to 16318.
charge: tk. 4/sms (15% vat & 3% supplementary duty will be applicable)

train number information:
dhaka to chittagong
sl. train id train code name from to
1 701 subarna subarna express chittagong dhaka
2 702 subarna subarna express dhaka chittagong
3 703 godhuliu mahanagar godhuli chittagong dhaka
4 704 provatid mahanagar provati dhaka chittagong
5 721 provatiu mahanagar provati chittagong dhaka
6 722 godhulid mahanagar godhuli dhaka chittagong
7 741 turnau turna chittagong dhaka
8 742 turnad turna dhaka chittagong

dhaka to sylhet
sl. train id train code name from to
9 709 para parabat express dhaka sylhet
10 710 para parabat express sylhet dhaka
11 717 joyantu joyantika express dhaka sylhet
12 718 joyantd joyantika express sylhet dhaka
13 739 upabanu upaban express dhaka sylhet
14 740 upaband upaban express sylhet dhaka
15 773 kaloni kalani express dhaka sylhet
16 774 kaloni kalani express sylhet dhaka

dhaka to dinajpur
sl. train id train code name from to
17 705 ekota ekota express dhaka dinajpur
18 706 ekota ekota express dinajpur dhaka
19 757 druta drutajan express dhaka dinajpur
20 758 druta drutajan express dinajpur dhaka

dhaka to dewanganj
sl. train id train code name from to
21 707 tista tista express dhaka dewanganj bazar
22 708 tista tista express dewanganj bazar dhaka
23 743 brahma bhramanputra express dhaka dewanganj bazar
24 744 brahma bhramanputra express dewanganj bazar dhaka

dhaka to noakhali
sl. train id train code name from to
25 711 upakul upakul express noakhali dhaka
26 712 upakul upakul express dhaka noakhali

dhaka to lalmonirhat
sl. train id train code name from to
27 751 lal lalmoni express dhaka lalmonirhat
28 752 lal lalmoni express lalmonirhat dhaka

dhaka to rangpur
sl. train id train code name from to
29 771 rangpur rangpur express dhaka rangpur
30 772 rangpur rangpur express rangpur dhaka

dhaka to bbe
sl. train id train code name from to
31 745 jamuna jamuna express dhaka b.b setu purbo
32 746 jamuna jamuna express b.b setu purbo dhaka

dhaka to kishorganj
sl. train id train code name from to
33 737 egaropu egarosindhur provati dhaka kishorganj
34 738 egaropd egarosindhur provati kishorganj dhaka
35 749 egarogu egarosindhur godhuli dhaka kishorganj
36 750 egarogd egarosindhur godhuli kishorganj dhaka
37 781 kishor kishorgonj express dhaka kishorganj
38 782 kishor kishorgonj express kishorganj dhaka

dhaka to mohanganj
sl. train id train code name from to
39 777 haor haor express dhaka mohanganj
40 778 haor haor express mohanganj dhaka

dhaka to tarakandi
sl. train id train code name from to
41 735 agni aghnibina dhaka tarakandi
42 736 agni aghnibina tarakandi dhaka

dhaka to khulna
sl. train id train code name from to
45 725 sundar sundarban express khulna dhaka
46 726 sundar sundarban express dhaka khulna
47 763 chitra chitra express khulna dhaka
48 764 chitra chitra express dhaka khulna

dhaka to rajshahi
sl. train id train code name from to
49 753 silk silk city express dhaka rajshahi
50 754 silk silk city express rajshahi dhaka
51 759 padma padma express dhaka rajshahi
52 760 padma padma express rajshahi dhaka
53 769 dhum dhumketu express dhaka rajshahi
54 770 dhum dhumketu express rajshahi dhaka

dhaka cantt to chilahati
sl. train id train code name from to
55 765 nil nilsagar dhaka cantt chilahati
56 766 nil nilsagar chilahati dhaka cantt

dhaka cantt to kolkata
sl. train id train code name from to
57 3107 moitree moitree express dhaka cantt kolkata
58 3108 moitree moitree express kolkata dhaka cantt
59 3109 moitree moitree express kolkata dhaka cantt
60 3110 moitree moitree express dhaka cantt kolkata

ctg to sylhet
sl. train id train code name from to
61 719 paharu paharika express chittagong sylhet
62 720 pahard paharika express sylhet chittgong
63 723 udayu udayan express chittagong sylhet
64 724 udayd udayan express sylhet chittgong

ctg to chandpur
sl. train id train code name from to
65 729 meghna meghna express chittagong chandpur
66 730 meghna meghna express chandpur chittgong

khulna to saidpur
sl. train id train code name from to
67 727 rupshau rupsha express khulna saidpur
68 728 rupshad rupsha express saidpur khulna
69 747 simau simanta express khulna saidpur
70 748 simad simanta express saidpur khulna

khulna to rajshahi
sl. train id train code name from to
71 715 kapot kapotaskh express khulna rajshahi
72 716 kapot kapotaskh express rajshahi khulna
73 761 sagar sagardari express khulna rajshahi
74 762 sagar sagardari express rajshahi khulna

rajshahi to chilahati
sl. train id train code name from to
75 733 titu titumir express rajshahi chilahati
76 734 titu titumir express chilahati rajshahi
77 731 baren barendra express rajshahi chilahati
78 732 baren barendra express chilahati rajshahi

rajshahi to goalonda ghat
sl. train id train code name from to
79 755 madhu madhumati express goalonda ghat rajshahi
80 756 madhu madhumati express rajshahi goalonda ghat

dinajpur to santahar
sl. train id train code name from to
81 767 dolan dolanchapa express santahar dinajpur
82 768 dolan dolanchapa express dinajpur santahar

santahar to burimari
sl. train id train code name from to
83 713 karo karotoa express santahar burimari
84 714 karo karotoa express burimari santahar

ট্রেন কোথায় আছে, কখন স্টেশনে আসবে, আমার স্টেশনে ট্রেন কখন পৌঁছাবে?

           আমরা যারা ট্রেনে যাতায়ত করি বা আমাদের কোন আত্তীয়রা করে, তাদের ট্রেন বিড়াম্বনা আর নয়।
           গ্রামীনফোনের নতুন সেবা Introducing Train Tracker!      
ট্রেন কোথায় আছে, কখন স্টেশনে আসবে, আমার স্টেশনে ট্রেন কখন পৌঁছাবে?
Train Tracker Service! grameenphone.com

এই সেবাটি পেতে হলে আপনার মোবাইল থেকে এস এম এস করতে হবে।
To avail this, all you have to do is: Go to the message option, type TRTrain ID or Train Code and send SMS to 16318.

একটি দিনিষ্ট ট্রেনের কোড দিয়ে এস এম এস করলে ফিরতি এস এম এস বলে দিবে ট্রেইনটি কোথায় আছে?

> আপনার মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যান। > তারপর টাইপ করুন—TR স্পেস ট্রেনের আইডি or train Code পাঠান 16318 নম্বরে।
> তার জন্য প্রতি এস এম এস ৪ টাকা করে লাগবে
train tracker dhaka

train tracker dhaka

grameenphone কি ভাবে করে?
এটি জিপিআরএস (GPRS)এর মাধ্যেমে ট্রেনটির বর্তমান অবস্থান নির্ণয় করে আমাদের মোবাইলে এস এম এস মাধ্যেমে পৌছেয়ে দেয়।

নিচে প্রতিটি ট্রেনের কোড দেওয়া হলোঃ
Train Tracker Service! grameenphone.com

Grameenphone brings for the convenience of our valued subscribers a brand new service called Train Tracker Service. Thorough this service, any GP customer will be able to locate their desired trains locations and its movement schedule by Push-Pull SMS through a Tracking Solution. So from now on wards, train travelers will no longer have to worry about Origin-destination, Departure time, Next Station, Next Stop, Trip Cancellation, Unscheduled waiting information of trains and many more!! In short, travelling by trains has now become more convenient than ever for all our GP customers!!

To avail this, all you have to do is: Go to the message option, type TR<space>Train ID or Train Code and send SMS to 16318.

To avail this, all you have to do is: Go to the message option, type TR<space>Train ID or Train Code and send SMS to 16318.
Terms & Conditions:

    BDT 4 per SMS (excluding VAT)
    This service can be availed from any Grameenphone package
    There is no monthly subscription fee

Train Code Train Tracker Service! grameenphone.com

DHAKA TO CHITTAGONG
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
1    701    Subarna    Subarna Express    Chittagong    Dhaka
2    702    Subarna    Subarna Express    Dhaka    Chittagong
3    703    Godhuliu    Mahanagar Godhuli    Chittagong    Dhaka
4    704    ProvatiD    Mahanagar Provati    Dhaka    Chittagong
5    721    ProvatiU    Mahanagar Provati    Chittagong    Dhaka
6    722    GodhuliD    Mahanagar Godhuli    Dhaka    Chittagong
7    741    TurnaU    Turna    Chittagong    Dhaka
8    742    TurnaD    Turna    Dhaka    Chittagong

Train Tracker Service! DHAKA TO SYLHET

DHAKA TO SYLHET
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
9    709    Para    Parabat Express    Dhaka    Sylhet
10    710    Para    Parabat Express    Sylhet    Dhaka
11    717    JoyantU    Joyantika Express    Dhaka    Sylhet
12    718    JoyantD    Joyantika Express    Sylhet    Dhaka
13    739    UpabanU    Upaban Express    Dhaka    Sylhet
14    740    UpabanD    Upaban Express    Sylhet    Dhaka
15    773    Kaloni    Kalani Express    Dhaka    Sylhet
16    774    Kaloni    Kalani Express    Sylhet    Dhaka

Train Tracker Service!DHAKA TO DINAJPUR

DHAKA TO DINAJPUR
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
17    705    Ekota    Ekota Express    Dhaka    Dinajpur
18    706    Ekota    Ekota Express    Dinajpur    Dhaka
19    757    Druta    Drutajan Express    Dhaka    Dinajpur
20    758    Druta    Drutajan Express    Dinajpur    Dhaka

Train Tracker Service! DHAKA TO DEWANGANJ

DHAKA TO DEWANGANJ
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
21    707    tista    Tista Express    Dhaka    Dewanganj Bazar
22    708    tista    Tista Express    Dewanganj Bazar    Dhaka
23    743    brahma    Bhramanputra Express    Dhaka    Dewanganj Bazar
24    744    brahma    Bhramanputra Express    Dewanganj Bazar    Dhaka

Train Tracker Service! DHAKA TO DHAKA TO NOAKHALI

DHAKA TO NOAKHALI
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
25    711    Upakul    Upakul Express    Noakhali    Dhaka
26    712    Upakul    Upakul Express    Dhaka    Noakhali

Train Tracker Service! DHAKA TO LALMONIRHAT

DHAKA TO LALMONIRHAT
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
27    751    Lal    Lalmoni Express    Dhaka    Lalmonirhat
28    752    Lal    Lalmoni Express    Lalmonirhat    Dhaka

Train Tracker Service! DHAKA TO RANGPUR

DHAKA TO RANGPUR
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
29    771    Rangpur    Rangpur Express    Dhaka    Rangpur
30    772    Rangpur    Rangpur Express    Rangpur    Dhaka

Train Tracker Service! DHAKA TO DHAKA TO BBE

DHAKA TO BBE
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
31    745    Jamuna    Jamuna Express    Dhaka    B.B Setu Purbo
32    746    Jamuna    Jamuna Express    B.B Setu Purbo    Dhaka

DHAKA TO LALMONIRHAT

DHAKA TO KISHORGANJ
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
33    737    egaropu    Egarosindhur Provati    Dhaka    Kishorganj
34    738    egaropd    Egarosindhur Provati    Kishorganj    Dhaka
35    749    egarogu    Egarosindhur Godhuli    Dhaka    Kishorganj
36    750    egarogd    Egarosindhur Godhuli    Kishorganj    Dhaka
37    781    Kishor    Kishorgonj Express    Dhaka    Kishorganj
38    782    Kishor    Kishorgonj Express    Kishorganj    Dhaka

Train Tracker Service! grameenphone.com

DHAKA TO MOHANGANJ
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
39    777    Haor    Haor Express    Dhaka    Mohanganj
40    778    Haor    Haor Express    Mohanganj    Dhaka

DHAKA TO TARAKANDI

DHAKA TO TARAKANDI
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
41    735    agni    Aghnibina    Dhaka    Tarakandi
42    736    agni    Aghnibina    Tarakandi    Dhaka

Train Tracker Service! grameenphone.com

DHAKA TO KHULNA
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
45    725    Sundar    Sundarban Express    Khulna    Dhaka
46    726    Sundar    Sundarban Express    Dhaka    Khulna
47    763    Chitra    Chitra Express    Khulna    Dhaka
48    764    Chitra    Chitra Express    Dhaka    Khulna


Train Tracker Service! grameenphone.com

DHAKA TO RAJSHAHI
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
49    753    Silk    Silk city Express    Dhaka    Rajshahi
50    754    Silk    Silk city Express    Rajshahi    Dhaka
51    759    Padma    Padma Express    Dhaka    Rajshahi
52    760    Padma    Padma Express    Rajshahi    Dhaka
53    769    Dhum    Dhumketu Express    Dhaka    Rajshahi
54    770    Dhum    Dhumketu Express    Rajshahi    Dhaka

Train Tracker Service! grameenphone.com

DHAKA CANTT TO CHILAHATI
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
55    765    Nil    Nilsagar    Dhaka Cantt    Chilahati
56    766    Nil    Nilsagar    Chilahati    Dhaka Cantt

Train Tracker Service! grameenphone.com

DHAKA CANTT TO KOLKATA
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
57    3107    Moitree    Moitree Express    Dhaka Cantt    Kolkata
58    3108    Moitree    Moitree Express    Kolkata    Dhaka Cantt
59    3109    Moitree    Moitree Express    Kolkata    Dhaka Cantt
60    3110    Moitree    Moitree Express    Dhaka Cantt    Kolkata

Train Tracker Service! grameenphone.com

CTG TO SYLHET
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
61    719    PaharU    Paharika Express    Chittagong    Sylhet
62    720    PaharD    Paharika Express    Sylhet    Chittgong
63    723    UdayU    Udayan Express    Chittagong    Sylhet
64    724    UdayD    Udayan Express    Sylhet    Chittgong

Train Tracker Service! grameenphone.com

CTG TO CHANDPUR
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
65    729    Meghna    Meghna Express    Chittagong    Chandpur
66    730    Meghna    Meghna Express    Chandpur    Chittgong


Train Tracker Service! grameenphone.com

d

KHULNA TO SAIDPUR
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
67    727    RupshaU    Rupsha Express    Khulna    Saidpur
68    728    RupshaD    Rupsha Express    Saidpur    Khulna
69    747    SimaU    Simanta Express    Khulna    Saidpur
70    748    SimaD    Simanta Express    Saidpur    Khulna


Train Tracker Service! grameenphone.com

KHULNA TO RAJSHAHI
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
71    715    Kapot    Kapotaskh Express    Khulna    Rajshahi
72    716    Kapot    Kapotaskh Express    Rajshahi    Khulna
73    761    Sagar    Sagardari Express    Khulna    Rajshahi
74    762    Sagar    Sagardari Express    Rajshahi    Khulna


Train Tracker Service! grameenphone.com

RAJSHAHI TO CHILAHATI
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
75    733    Titu    Titumir Express    Rajshahi    Chilahati
76    734    Titu    Titumir Express    Chilahati    Rajshahi
77    731    baren    Barendra Express    Rajshahi    Chilahati
78    732    baren    Barendra Express    Chilahati    Rajshahi

Train Tracker Service! grameenphone.com

RAJSHAHI TO GOALONDA GHAT
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
79    755    Madhu    Madhumati Express    Goalonda Ghat    Rajshahi
80    756    Madhu    Madhumati Express    Rajshahi    Goalonda Ghat

Train Tracker Service! grameenphone.com

DINAJPUR TO SANTAHAR
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
81    767    Dolan    Dolanchapa Express    Santahar    Dinajpur
82    768    Dolan    Dolanchapa Express    Dinajpur    Santahar



SANTAHAR TO BURIMARI
S/L    Train ID    Train Code    Name    From    To
83    713    Karo    Karotoa Express    Santahar    Burimari
84    714    Karo    Karotoa Express    Burimari    Santahar



Details:  http://www.grameenphone.com/whats-new/introducing-train-tracker


দিনাজপুর ট্রেনের সময়সূচী

Intercity Trains from Dinajpur:
Train No
Name
Off Day
From
Departure
To
Arrival
706
Ekota Express
Monday
Dinajpur
9:20:00 PM
Dhaka
7:15:00 AM
758
Drutajan Express
Wednesday
Dinajpur
7:40:00 AM
Dhaka
5:55:00 PM
768
Dolonchapa Express
NO
Dinajpur
5:40:00 AM
Santahar
12:20:00 PM

Mail/Express Trains From Dinajpur :   
Train No
Name
Off Day
From
Departure
To
Arrival
7
Uttarbonga Mail
No
Dinajpur
6:30:00 PM
Panchagar
11:10:00 PM
8
Uttarbonga Mail
No
Dinajpur
12:40:00 PM
Santahar
8:40:00 PM
41
Kanchan Commuter
No
Dinajpur
9:30:00 AM
Thakurgaon Road
12:30:00 PM
42
Kanchan Commuter
No
Dinajpur
4:30:00 PM
Parbatipur
5:15:00 PM
60
Ramsagar Express
No
Dinajpur
2:40:00 PM
Panchagar
9:00:00 PM
62
Dinajpur Commuter
No
Dinajpur
11:30:00 AM
Lalmonirhat
3:00:00 PM

Thakurgaon Commuter-1
No
Dinajpur
4:10:00 PM
Thakurgaon Road
6:20:00 PM

Thakurgaon Commuter-2
No
Dinajpur
8:45:00 PM
Parbatipur
9:45:00 PM

 
 


দিনাজপুর ট্রেনের সময়সূচী

Intercity Trains from Dinajpur:
Train No
Name
Off Day
From
Departure
To
Arrival
706
Ekota Express
Monday
Dinajpur
9:20:00 PM
Dhaka
7:15:00 AM
758
Drutajan Express
Wednesday
Dinajpur
7:40:00 AM
Dhaka
5:55:00 PM
768
Dolonchapa Express
NO
Dinajpur
5:40:00 AM
Santahar
12:20:00 PM

Mail/Express Trains From Dinajpur :   
Train No
Name
Off Day
From
Departure
To
Arrival
7
Uttarbonga Mail
No
Dinajpur
6:30:00 PM
Panchagar
11:10:00 PM
8
Uttarbonga Mail
No
Dinajpur
12:40:00 PM
Santahar
8:40:00 PM
41
Kanchan Commuter
No
Dinajpur
9:30:00 AM
Thakurgaon Road
12:30:00 PM
42
Kanchan Commuter
No
Dinajpur
4:30:00 PM
Parbatipur
5:15:00 PM
60
Ramsagar Express
No
Dinajpur
2:40:00 PM
Panchagar
9:00:00 PM
62
Dinajpur Commuter
No
Dinajpur
11:30:00 AM
Lalmonirhat
3:00:00 PM

Thakurgaon Commuter-1
No
Dinajpur
4:10:00 PM
Thakurgaon Road
6:20:00 PM

Thakurgaon Commuter-2
No
Dinajpur
8:45:00 PM
Parbatipur
9:45:00 PM