Sunday, July 31, 2016

ঈশ্বর বলে কেউ থেকে থাকলেও তার সাথে ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের কোন সম্পর্ক নাই!



সূরা কামারের ৪টা আয়াত। হুবহু এক। মনে হচ্ছে কোন মাতাল বা পাগলের প্রলাপ, একই কথা বার বার বিড়বিড় করছে।
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? [সূরা কামার, ৫৪ : ১৭]
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? [সূরা কামার ৫৪ : ২২]
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? [সূরা কামার, ৫৪ : ৩২]
আমি কোরআনকে বোঝবার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? [সূরা কামার, ৫৪ : ৪০]
অনেকে তর্কের খাতিরে বলেন, যেসব আয়াত বার বার বলা হয়েছে সেগুলার উপর নাকি বাড়তি জোর দেয়া হয়েছে। আচ্ছা, আমরা এখানে বাড়তি জোর দিলাম এবং তাতে বুঝলাম, কোরান খুব সহজ সরল ভাবেই নাজিল হয়েছে এবং এসব নিয়ে অযথা না বোঝার বা বাড়তি চিন্তার কিছু নাই।
এই আয়াতের আরেকটা বাংলা অনুবাদ দেখি-
//বুঝার ও মনে রাখার জন্য কুর-আনকে আমি অবশ্যই সহজ করেছি (৫১৪৩)। এরপরে এমন কেউ আছ কি যে উপদেশ গ্রহণ করবে ?//  [সূরা কামার, ৫৪ : ১৭]
কোন সন্দেহ নাই, আল্লায় নিজেই বুঝার ও মনে রাখার জন্য কোরানকে সহজ করে দিয়েছে। এরপর অন্যের কাছ থেকে উপদেশ বা পাঠ নিয়ে এটা আলাদা ভাবে বুঝার কিছু নাই, অর্থাৎ অক্ষর জ্ঞান থাকলে নিজে পড়লেই কোরান বুঝতে পারার কথা।
তারপরও আসেন, এই আয়াতের একটা তাফসির দেখি-
//৫১৪৩। মানুষের জীবন দর্শন ও আধ্যাত্মিক জীবনের এক সুস্পষ্ট চিত্র আল্‌ – কোরাণ। যে জীবন বিধান মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনকে সমৃদ্ধির পথে ইহকালে ও পরকালে শান্তির পথে পরিচালিত করবে, কোরাণে তা সমৃদ্ধ ভাষাতে সহজ সরল ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যেন সাধারণ মানুষের তা বোধগম্য হয়। আধ্যাত্মিক শান্তি ও প্রশান্তি লাভের উপায় বর্ণনা করা হয়েছে কোরাণের পাতায় পাতায়। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌র এ এক অসীম করুণা সাধারণ মানুষের জন্য। না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পথের দিশা অন্বেষণ করে ফিরতো অন্ধের মত। এর পরেও কোরাণ থেকে পথের দিশা সন্ধান করে না কোন মূর্খ ?
মন্তব্য : আরবীতে কোরাণ পাঠের সাথে সাথে মাতৃভাষাতে কোরাণ পাঠ প্রয়োজন যেনো আল্লাহ্‌র দেয়া পথ নির্দ্দেশকে হৃদয়ের মাঝে বুঝতে পারে ও অনুসরণ করতে পারে।//
[এখানে একটা ব্যাপার লক্ষনীয়, কোরানকে যে জীবনবিধান বলা হয়েছে, সেটা আসলে “দর্শন ও আধ্যাত্মিক” জীবনের সুস্পষ্ট চিত্র। এই কথাটা ব্যক্তিগত ভাবে আমার মানতে কোন আপত্তি নাই। অর্থাৎ কেউ কোরানকে দর্শন এবং আধ্যাত্মিক ভাবে নিলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখানের দর্শন এবং আধ্যাত্মিকতা একান্তই ব্যক্তিগত উপলব্ধির বিষয়। অর্থাৎ কোরান বা ধর্ম মানেই ব্যক্তিগত বিষয়। এসবকে আক্ষরিক অর্থে নিয়ে সেই মতে জীবনবিধান সাজালেই সমস্যা। এবং বাস্তবে তাই হচ্ছে। যেমন, কোথাও বলা আছে- জিহাদ করো বা বিধর্মীদের কোতল করো– এটাকে দর্শন বা আধ্যাত্মিক ভাবে না নিয়ে আক্ষরিক অর্থে নিয়ে বিধর্মীদের কোতল করার জন্য তাদের উপর হামলে পড়ছে বলেই দুনিয়ায় ইসলাম আজ অশান্তির ধর্ম।
যা হোক, দর্শনগত ভাবে এটা ভিন্ন আলোচনা।]
প্রসঙ্গে আসি- আয়াতে বলা হয়েছে বুঝার এবং মনে রাখার সুবিধার্থে আল্লায় নিজেই কোরান সহজ ভাবে নাজিল করেছে এবং সেটা বুঝতে অন্য কারো সাহায্য বা উপদেশ নেয়ার দরকার নাই।
এবার দেখি-
আলিফ লাম মীম। [সূরা বাকারা, ২:১]
আলিফ্‌ লাম্‌ মিম্‌ -এই তিনটি অক্ষর সূরা বাকারা এবং আরও ৩, ২৯, ৩০, ৩১ এবং ৩২ এই সূরাগুলির (মোট সংখ্যা ৬) প্রারম্ভে স্থাপন করা হয়েছে।
এবং, আলিফ-লাম-রা। [ সূরা ইব্রাহীম, ১৪:১]
এই আয়াতগুলোর প্রকৃত অর্থ কেউ বুঝে না। এর মানে জানেন একমাত্র আল্লা। অর্থাৎ আল্লার আগের জোর দিয়ে বলা কথাগুলা এখানে মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আল্লায় স্ববিরোধী কথা বলছে কোরানে। একবার বলছে কোরান বুঝা সহজ, আবার আরেক জায়গায় এমন কঠিক করা হয়েছে যে দুনিয়া কোন মানুষ আজ অবধি এর মানে বুঝতে পারে নাই।
কোরানের বর্ণিত আল্লা যদি সত্যই “ঈশ্বর” হয়ে থাকত, তাহলে তার এরকম ভুল হওয়ার কথা নয়। এ থেকে বুঝা যায়, কোরান মানুষের লেখা। আর মানুষ মাত্রই ভুল হয়।
আল্লা/ঈশ্বর আছে কি নাই, সেই তর্কে যাচ্ছি না, এবং এই তর্কটাই অবান্তর। তবে এটা স্পষ্ট যে ধর্মগ্রন্থগুলা কোন ঈশ্বরের লেখা নয়, এগুলা মানুষেরই তৈরী এবং আসলেই ঈশ্বর বলে কেউ থেকে থাকলেও তার সাথে ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের কোন সম্পর্ক নাই।

আমার ঈশ্বর ভাবনা ও ঈশ্বর কি সত্যি আছে?!

১.১ ঈশ্বর কোন ব্যক্তিক কিংবা মানবীয় সত্তা নয়_ঈশ্বর হলো সমগ্র, একটি সিস্টেম বা তন্ত্র যা পদার্থিক-অপদার্থিক-ভৌতিক-আদিভৌতিক-চতুর্মাত্রিক-অচতুর্মাত্রিক সকল সত্তা ও সত্তাসমূহকে ধারন করে যা থেকে প্রাকৃতিক ও নৈতিক বিধি ও নিয়মসমূহ নিঃসৃত হয় যেখানে বিধি ও নিয়মসমূহ আমাদের নিকট আপেক্ষিকভাবে ধরা দেয়
১.২ এ ঈশ্বর অবশ্যই ব্যক্তিক, মানবিক কিংবা ধর্মীয় ঈশ্বর নয় যার সঙ্গে পাপ-পূন্য-স্বর্গ-নরক-পূজা-অর্চনা কিংবা প্রার্থনা সম্পর্কিত
১.৩ এ ঈশ্বর যান্ত্রিকও নয়, জৈবিকও নয়_ইহা জগতের ভেতর ও বাহিরের এক আন্তঃজালিক বন্ধন যা থেকে সকল কিছুর উদ্ভব ঘটে এবং যাতে সবকিছু পুনরায় একিভূত হয়_এ এক রহস্যময় আধ্যাত্মিক মহা-মহা কর্ম যজ্ঞ যার বাইরে কিছু নেই
১.৪ জগতের ভেতর ও বাহির সব কিছুতেই ঈশ্বর প্রকাশমানজগতটা তারই রুপ_তুমি, আমি ও সে তাতেই বর্তমান
১.৫ ঈশ্বর সম্পর্কিত এই উপলব্ধি আস্তিক-নাস্তিক-সংশয়বাদী-অজ্ঞেয়বাদী সকল মত পার্থক্যের ঊর্ধ্বের উপলব্ধিকারন এই উপলব্ধি সকল মত ও পথকে ধারন করে
১.৬ অনন্য মানুষ গুলো ( Supper man) ঈশ্বর সম্পর্কিত এ উপলব্ধিই ধারন করেআর তখন Voice of Supper Man is the voice of God.

ঈশ্বর কি সত্যি আছে?!
১.১ প্রত্যেকের মা আছে কিন্তু সমগ্র মানব জাতির কোন মা নেইঅনেকে মনে করেন বৈচিত্রময় এই জগত আমাদেরকে স্মরন করে দেয় যে, এর একটা ডিজাইনার আছেআর সেই ডিজাইনারই হলো সৃষ্টিকর্তা কিংবা ঈশ্বর যুক্তিটি আমার নিকট "মানব জাতির একটি মা আছে" এর মতই মনে হয়
১.২ অনেক মুক্তমনা ধর্ম নিরপেক্ষ ঈশ্বরের খোজ করেন এবং অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি আছেন যাঁরা ধর্ম নিরপেক্ষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেনতাঁরা মনে করেন সকল ধর্ম মানুষের সৃষ্টি; তারপরেও একজন ঈশ্বর আছেএদলের ব্যক্তিগনকে অজ্ঞানী মনে করার কোন সুযোগ নেই
১.৩ জ্ঞান-গরিমায় মানুষ যতই উন্নত হোকনা কেন প্রকৃতি এমনই রহস্যময় যে, একজন ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তিক ঈশ্বর কিংবা একজন বৌদ্ধিক সত্তার সম্ভবনাকে সম্পুর্ন নাকচ করবেনা
১.৪ ইহা অবশ্যই সম্ভবনাময় যে, সকল ধর্মীয় ঈশ্বর বাতিল কিংবা নাকচ হয়ে যাবে
১.৫ মানুষের উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তায় ধর্মীয় ঈশ্বর গুলো বাতিল হচ্ছে এবং হতেই থাকবে
১.৬ তারপরেও আস্তিক থাকবেতাঁরা বিশ্বাস করবে ধর্ম নিরপেক্ষ একটি উচ্চতর বুদ্ধি বৃত্তিক সত্তাকে ( Higher Intelligence).
১.৭ ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞান কিংবা সাহিত্য অসীমকে খুজতেই থাকবে
১.৮ অসীমের মাঝে নিজেকে এবং নিজের মাঝে অসীমকে খোজার নামই আধ্যাত্মিক সাধনা
-মানুষের ভাষা পরিবর্তন হয়, যেমন সিকচিল্লি, কুর্তা, সাম+সন্ধা, এই সব বাংলা ভাষা বা উর্দুর সংমিশ্রণ দিয়ে গড়া ভাষার পরিবর্তন হচ্ছেপৃথিবীতে সকল কিছুর ধংস অনিবার্য, সেটা গড মেড হোক বা মেন মেইডভাষা যেমন হারিয়ে যায় ঠিক ধর্মও পরিবর্তন হয়ধর্ম তার খলশ ছেড়ে অন্য রুপে পরিবর্তন হয়মনে হচ্ছে খুব শিগরি একটা নতুন ধর্মের আবির্ভাব হবে, হয়তো এখন নয়তো আরো একশত বছর পরে ঈশ্বর যা একটা অনুভবের বিষয়, যাকে প্রমান করে দেখানো যায় না, এই অনুভূতি প্রত্যেকে নিজে নিজে উপলব্ধি করে বুঝতে পারে কেউ প্রকাশ করতে পারে কেউ পারে নাখুবি চরম ভাবে দেখলে বুঝা যায় প্রত্যেকেই ঈশ্বর সকল সৃষ্ট জিনিসে নিজের প্রকাশের নাম স্রষ্টাখাবারের জন্ম তিনিই করেছেন, আবার খাবারের স্বাদ মানুষ হয়ে তিনিই গ্রহন করেন।। শিরীরের একটি একটি অংশ বাদ দিলে অবশিষ্টাংশ অংশ তিনিই


-মহাগ্রন্থ আল কুরআনে মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের কে সব্বোর্চ চারটি বিবাহ করার অনুমতি দিয়ে ধন্য করেছেন এবং আল কুরআনের কোথাও আমাদের প্রিয় নাবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে চারটির অধিক বিবাহ করার স্পষ্ট অনুমতি দেওয়া হয়নি আমাদের প্রিয় নাবি পবিত্র কুরআনের নির্দেশ উপেক্ষা করে এক ডজনের অধিক নারীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালার নির্দেশ অমান্য করেও আমাদের প্রিয় নাবির নবিত্ব এতটুকু ক্ষুন্ন হয়নি কতো প্রভাবশালী আমাদের দোজাহানের সর্দার কামলেওয়ালা !!!ভাবুক কবি যথার্থই লিখেছেন-আল্লাহর ধন নবিকে দিয়া, আল্লাহ গেছেন ফকির হইয়া ।।


-ধর্মীয় মতবাদগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যে মতবাদগুলো যত বেশি আগ্রাসী, সেই মতবাদগুলো তত বেশি সফল
ইসলাম বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী হওয়ার কারণে বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম
হিন্দুদের ইসকনও অত্যন্ত আগ্রাসীএরা কৃষ্ণ বাদে অন্যান্য দেব দেবীর পুজা অর্চনা বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেহিন্দুদের বাকি হিন্দু সমাজ কাছে অস্পৃশ্য করে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে নিরামিষ ভোজী বানাচ্ছেএর ফলে ইস্কন অতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী একটি বিশাল সংগঠনে পরিণত হচ্ছে
এক সময় ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্মের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছিলফ্রান্সের অনেক এলাকা মুসলিমদের দফলে চলে গিয়েছিলতখন চার্চ আগ্রাসী হয়ে উঠে এবং ক্রুসেডারের ডাক দিয়ে ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্মের অস্তিত্ব রক্ষা করে
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা লাখ লাখ মুসলিম অধিবাসি পুনরায় ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্মের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছেকিন্তু এখনকার চার্চ মানবতাবাদিতারা অধিবাসিদের ইউরোপে আশ্রয় দেয়ার পক্ষপাতিতাদের এ সিদ্ধান্তটি হয় তো শেষ বিচারে একদিন ইউরোপ থেকে খ্রিস্ট ধর্ম বিনাশের কারণ হবে
সম্রাট অশোক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ার পর হঠাত্‍ করে অত্যন্ত মানবতা বাদি হয়ে উঠেনতার ছেলে মেয়ে ও নাতি নাতনীদেরও মানবতা বাদের শিক্ষায় দীক্ষিত করেনএর ফলশ্রুতিতে অশোকের মৃত্যুর ৫০ বছরের মধ্যে সাম্রাজের পতন ঘটে

--- হযরত মুহাম্মদ কি চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করেছিলেন?

সুরা কামারের ১ নং আয়াতে বলাহয়েছে- ﺍﻗْﺘَﺮَﺑَﺖْ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻭَﺍﻧْﺸَﻖَّ ﺍﻟْﻘَﻤَﺮُ ‘‘কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে গেছে এবং চন্দ্রদ্বিখন্ডিত হয়েছে’’। (সূরা কামারঃ ১)। ইবনে কাথির এই সুরার ব্যাখ্যায় একদম শুরুতেই বলেছেন চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়াকে কিয়ামত আসন্ন হিসেবে বুঝানো হয়েছে। (ইবনে কাথিরের তাফসির, সুরা কামার, খন্ড-১৭, পৃষ্ঠা-১৭৯)। এছাড়া হাফেয ইবনে রজব বলেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়াকে কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার অন্যতম আলামত হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু ইসলামী স্কলার, আলেম-ওলামাবৃন্দ দাবী করেছেন যে, নবী মুহাম্মদ মক্কাবাসীদের দাবীর মুখে চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করেছিলেন। এ বিষয়ে মুসলিম শরীফ ও সহি বুখারীতে হাদিসও রয়েছে। কিন্তু এই হাদিস ও কুরআনের আয়াত নিয়ে বড় ধরণের ঘাপলা রয়ে গেছে তা এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রথমত সুরা কামারে মুহাম্মদের চন্দ্র দ্বি-খন্ডিত করার মত ঘটনাকে কেন পরিস্কার বর্ণনা করা হলো না? সুরা কামারের কোথাও বলা নেই মুহাম্মদ আঙ্গুল দ্বারা আকাশের চাঁদকে দুইভাগ করে ফেলেছেন। এটা বর্ণনা করা হয়েছে হাদিসে। বরং এই সুরার তাফসির করতে গিয়ে ইবনে কাথির উল্লেখ করেছেন নবী তার তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল দুটি দেখিয়ে বলেছেন আমার আগমন ও কিয়ামতের সূচনা এভাবে নিকটবর্তী। আমরা হাদিসের চন্দ্র দ্বিখন্ডিত ঘটনাকে ব্যাখ্যা করার আগে প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, কুরআনে মুহাম্মদকে কোন রকম অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শনের বিষয়ে আল্লাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, এটা তার হাতে এবং তিনি এই জাতিকে সেটা দেখাবেন না, কারণ এটা দেখালে যদি তারা ঈমান না আনে তাহলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে আল্লাহর গজবে…(সুরা আন’আম)। এছাড়া যতবার নবী মুহাম্মদকে আকাশ থেকে আল্লাহ’র কোন প্রমাণ, তার কাছে আগত ফেরেস্তাদের উপস্থিতির প্রমাণ মক্কাবাসী দেখতে চেয়েছে তখন মুহাম্মদ তার অপরাগতা জানিয়ে দিয়েছেন। যখনই মুহাম্মদকে কোন অলৌকিক ক্ষমতা দেখাতে বলা হয়েছে তখনই তিনি বলেছেন তিনি তো একজন সতর্ককারী মাত্র। তোমরা ঈমান আনলে ভাল, না আনলে কিছু করার নেই। এমতবস্থায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করার মত ঘটনা শুধুমাত্র হাদিসেই সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু হাদিসের এই ঘটনাকে আজকের যুগের ইসলামী বক্তা, ইসলাম ও বিজ্ঞানকে জগাখিচুরী বানানো স্কলারদের কিন্তু বেশি একটা উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় না! বলতে গেলে নিজে থেকে তারা চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করার ঘটনাকে সামনে আনেন না। কেন আনতে চান না সেটাই এখন ব্যাখ্যা করা হবে। তার আগে হাদিসে যেভাবে চন্দ্রকে দুই ভাগ করার কথা বলা আছে তা একটু জেনে নেই। জানা গেছে হাদীস সংকলনের তৃতীয় যুগের (নবী মুহাম্মদের মৃত্যুর ২৫০ বছর পর) মোহাদ্দেসীনে কেরামের মধ্যে একজন বিখ্যাত মোহাদ্দেসেুর যার নাম আবু নাঈম আহমদ ইবনে আবদুল্লাহ ইস্কাহানী (৪৩১ হি.) তার সংকলিত ‘দালায়েলুন নবুওয়াতি’ হাদীস গ্রন্থে বলা হয়েছে, আতা ও জেহাক নামক দুইজনের সূত্রে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর একটি বর্ণনা (খেয়াল করুন কতজনের মুখে ঘুরে ফিরে নবীর মৃত্যুর ২৫০ বছর পরে, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের উদ্ধৃত করা একটা হাদিস বর্ণনা করছে- //তিনজন কাফের নেতা ছাড়াও আছ ইবনে হিশাম, আসওয়াদ ইবনে মোত্তালেব এবং নজর ইবনে হারেসের নবী মুহাম্মদের নিকট উপস্থিত হয়ে চাঁদদ্বিখণ্ডিত করার দাবী জানিয়েছিল। এই বর্ণনায় তারা স্পষ্ট দাবী জানিয়েছিল, ‘ইনকুনতা ছাদেকাফা শাক্কে লানা আল কামারা কিরকাতাইনো নিছফান আলা আবি কোবাই সে ওয়া নিছকাল আলা কাইকুআনে।’ কাফেররা বলল, আপনি যদি সত্যবাদী হন তা হলে চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে আমাদেরকে দেখান, যার অর্ধেক আবু কোবাইস পর্বতে এবং অর্ধেক কাইকুআন পর্বতে পতিত হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি যদি তা করে দেই তাহলে তোমরা ঈমান আনবে কি? তারা বলল, হাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, রাতটি ছিল পূর্ণিমার। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন, তারা (কাফেররা) যা চায় তা যেন আল্লাহ তাকে দান করেন। অতঃপর চাঁদ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অর্ধেক আবু কোবাইল পর্বতে পতিত হয় এবং অর্ধেক কাইকুআনপর্বতে পতিত হয়//। আজকের যুগে বিজ্ঞানের নবম শ্রেণীর একজন ছাত্রও জানে যে এরকম কোন ঘটনা নবী মুহাম্মদের পক্ষে ঘটানো কোন ক্রমেই সম্ভব নয় কেননা এখানে যে দাবী করা হয়েছে সেটা উদ্ভট আর অবাস্তব। যদি আপনি ধার্মীক হন, অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাসী হোন তবু আপনার পক্ষে নবীর চন্দ্র দ্বি-খন্ডিত করার ঘটনাকে বিশ্বাস করার কোন উপায় নেই! মুসার লাঠিকে শাপ হওয়া কিংবা সাগরকে দুইভাগ করে রাস্তা করাও “অলৌকিক” হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে কিন্তু চন্দ্রকে দুইভাগ করে দুই পাহাড়ে ফেলা খোদ আল্লার পক্ষেও সম্ভব নয়! কেন নয়, সেটাই এখন বলছি। মানুষ যদি আকাশের চাঁদকে একটি পাতলা ঝলসানো রুটির মত মনে করে থাকে তাহলে তাকে মাঝ বরাবর ছিড়ে দুই পাহাড়ের মধ্যে এনে ফেলা সম্ভব বৈকি! সম্ভবত যে বা যারা এই হাদিসটি মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করেছিলেন তাদের চন্দ্র সম্পর্কে জ্ঞান এরকমই ছিল। তারা মনে করেছিল চাঁদ একটা লেপাপোছা মাখনের রুটি। তাদের ধারণা নেই চাঁদ পৃথিবীর মতই একটি গোল বলের মত বস্তু, পৃথিবীর মতই এর ভূমি আছে, পাহাড়বপর্বত, খাদ, গিরিখাদ সমেত এক পাখুরে ভূমি। এর আকার ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল)। এবার বলুন সৌদি আরবের চেয়ে হাজার হাজার গুণ বড় একটা চাঁদ কিভাবে মক্কার দুটো পাহাড়ে গিয়ে পতিত হয়!! পুরো পৃথিবী যেখানে চাঁদ ভেঙ্গে পড়লে ধ্বংস হয়ে যাবার কথা সেখানে মক্কাবাসী চেয়ে চেয়ে দেখল চাঁদ টুকরো হয়ে দুই পাহাড়ের নিচে গিয়ে পতিত হচ্ছে! আকাশে রোজ দেখা চাঁদকে যে আকারে আমরা দেখি সেভাবেই তাকে কল্পনা করলে এরকম কল্পনা শক্তি প্রয়োগ করাই সম্ভব। চাদেঁর যে আয়তন সেটা পৃথিবীর কয়েকটি বৃহৎ মহাদেশ বা রাষ্ট্রের মিলিত আয়তনের চেয়ে বড়। বলা বাহুল্য গোটা সৌদি আরবের যে আয়তন তাতে চাদেঁর অর্ধেকও যদি সেখানে ভেঙ্গে পড়ে সেটা দেখার জন্য কোন মানুষ আস্ত থাকবে না। আর সেখানে কিনা মক্কার মত ছোট একটা এলাকায়, যেখানে মানুষ তার দৃষ্টি সীমার মাত্র কয়েক মাইল পর্যন্ত তার চোখ দ্বারা দেখতে সক্ষম, সেই তারাই নাকি বিশাল আকারে চাঁদকে মক্কার দুটো পাহাড়ে গিয়ে দুই ভাগ হয়ে পড়ে থাকতে দেখল! কি হাস্যকর শিশুসুলভ কল্পনা। যারা অলৌকিক ঘটনা বিশ্বাস করেন ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার কারণে তাদের পক্ষেও তাই এটা বিশ্বাস করা কোন রূপে উপায় নেই। অলৌকিকেরও একটা ভিত্তি থাকতে হবে। যেমন ধার্মীক ব্যক্তি বিশ্বাস করতে পারেন আল্লাহ পৃথিবীর ঘূর্ণনকে বন্ধ করে রেখেছেন, আমাদের বিজ্ঞান ও যুক্তি জানে এটা সম্ভব নয়, তবু অলৌকিক বিশ্বাসে বিশ্বাসী মানুষের এসব বিশ্বাস করতে যুক্তি লাগে না। তবু ঘূর্ণন একটা বস্তু থেমে রয়েছে এর একটা ভিত্তি রয়েছে, এমন কি আকাশে একটা হাতি উড়ছে, গরু গাছে চড়েছে- এরকম কথাতে তবু একটা ভিত্তি রয়েছে কিন্তু আকাশের একটা টুকরা ভেঙ্গে পড়ছে যেমন কোনভাবেই সম্ভব নয় কেননা শূন্যের কোন টুকরা হয় না তেমনি আমাদের চেয়ে বিশাল বস্তু, যার সামনে আমরা পিঁপড়ার চেয়েও তুচ্ছ সেটাকে অনতিদূরে পতিত হতে দেখাও সম্ভব না! “অলৌকিক” হলেও সম্ভব নয়! এবার আসুন পরিসমাপ্ত করার আগে কিছু বেসিক জ্ঞান দেই। নবী মুহাম্মদ যখন দুনিয়াতে কিছু ছাগলের রাখলকে সাহাবী বানিয়ে মক্কা চষে বেড়াচ্ছেন তখন প্রসিদ্ধ গ্রীক সভ্যতা বর্তমান। তাদের মহান বিজ্ঞানীগনের বইপুস্তক বর্তমান। ভারতবর্ষে তখন জ্ঞান- বিজ্ঞানের চর্চা বিশেষত জ্যোতিষ্ বিজ্ঞানের চর্চা দুনিয়ার সভ্য জগতে চালু পুরোদমে। আজ পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিক নথি পাওয়া যায়নি যেখানে আকাশ হতে চাঁদ হঠাৎ তার স্থান থেকে বিচুৎ হয়ে গিয়েছিল। চাঁদকে দ্বি-খন্ডিত হতে দেখেছে এরকম কোন নথি মহাকাশ গবেষণাগারে পাওয়া যায়নি। পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার মত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার জন্য চাঁদের অবস্থান দায়ী। এটা মক্কার রাখালদের জানার কথা নয়। চাঁদ ভেঙ্গে দুটুকরা হয়ে গেলে পৃথিবীর জলসীমার কি অবস্থা হবে সে সম্পর্কেও তাদের কোন ধরণা নেই। সবচেয়ে বড় কথা পৃথিবীতে ডায়নোসারের মত প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ভেদে করে একটা বড় ধরণের গৃহাণুর পতনের কারণে। সেখানে বৃহৎ আকারে একটা উপগ্রহ দুই টুকরা হয়ে মক্কার দুটো পাহাড়ে পড়ে গেলো আর সেটা মক্কার রাখলরা চেয়ে চেয়ে দেখলেন! বাহ্, আজকের এই বিজ্ঞানের যুগেও যদি কিছু মানুষ এইরকম রূপকথাকে যুক্তিহীনভাবে বিশ্বাস করে যান তাহলে ১৪০০ বছর আগের উট আর দুম্বা চড়ানো রাখালদের আর দোষ কি?

প্রেম ও কাম দেশ চেনে না, সমাজ চেনে না, ধর্ম চেনে না


লিখেছেন: হাসিবুল হাসান শারদ
দুটি মেয়ে যারা লেসবিয়ান, ঘর থেকে পালিয়ে যায় এবং সংসারজীবন আরম্ভ করে। প্রথমেই তাদের দুঃসাহসের কথা ভেবে বিস্মিত হতে হচ্ছে। এটা বাংলাদেশ। তা আবার ঐ মেয়ে দুটির একটি হিন্দু, অপরটি মুসলমান।
কিন্তু প্রেম ও কাম দেশ চেনে না, সমাজ চেনে না, ধর্ম চেনে না। মেয়ে দুটি কাউকে খুন করেনি, কোনো দুর্নীতি করেনি, অর্থপাচার করেনি, আয়কর ফাঁকি দেয়নি, ধর্মরাজনীতি করেনি, মাদকব্যবসা করেনি বা ধর্ষণ করেনি; তারা কেবল নিজেদের যৌনস্বাধীনতা চেয়েছিল। তাদের অত সাহসী কাণ্ড দেখে বোঝা গেছে কারোরই যথেষ্ট কাণ্ডজ্ঞান হয়নি। বয়সেও প্রায় অপরিণত উভয়েই। তারা বুঝতেই পারেনি ধরা পড়লে কী দুর্বিষহ হয়ে উঠবে তাদের জীবন। ধরা পড়ারই কথা ছিল, পড়েছেও। পুলিশ, সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যসহ যারাই এ খবর শুনেছে, ছি ছি করেছে। এখন মেয়েদুটোর জীবনে নেমে আসবে আক্ষরিক অর্থেই নরক। বাবা-মা রাগলে যেমন বলে যে, তোকে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেব, সেইভাবে পরিবার দুটি এখন সত্যিই রাগে, লজ্জায়, ক্ষোভে ও সর্বনাশে মেয়ে দুটিকে কেটে কেটে টুকরো করে ফেললেও আশ্চর্য হব না। এ সমাজে সবকাম সবচেয়ে গর্হিত, তা আবার যদি হয় মেয়েদের সমকাম। এটা শুনেই হয়তো কূপমণ্ডুকেরা কেউ কেউ হার্টফেল করে বসবে, অথচ কাম থাকলে সমকাম থাকবেই, কাম আর সমকাম সমান বাস্তব। সমকামকে ঘৃণা করা যায়, সমকামীকে শাস্তি দেয়া যায়, কিন্তু কেউ সমকামী হতে পারবে না, সকলকেই হতে হবে বিষমকামী, তা বলা যায় না। জন্মগতভাবেই কেউ কেউ সমকামী হয়ে জন্ম নেয়। এটাকে তাই ঘৃণা করার কিছু নেই। এবং বিশ্বে অসংখ্য নারীপুরুষ ছিল ও আছে সমকামী।
উন্নতবিশ্ব এখন তাদের বিয়ে করার আইনগত অধিকার দিচ্ছে এবং ওসব দেশের ক্ষমতাশালী সমকামীরা তা নির্দ্বিধায় এবং খোলামেলা স্বীকারও করছে। তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না তাদের। কিন্তু এটা বাংলাদেশ। এখানে অগণিত অপরাধ সাধনযোগ্য, অপরাধের প্রবণতা সমাধান-অযোগ্য। তাই অপরাধীদের তীর্থভূমি স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু নিরপরাধ সমকাম, যা একান্তই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের ব্যাপার, তা এখানে বোধ করি সবচেয়ে গর্হিত ব্যাপার। বৈজ্ঞানিক ও মানবিক দৃষ্টিতে সমকাম অপরাধ নয়, অথচ সমকামীমাত্রেই এখানে একটি গণহত্যাকারীর চেয়েও জঘন্য অপরাধী।

এদেশে বহু মাদ্রাসা শিক্ষকসহ অনেকেই আছেন যারা সমকামী। তারা ধরা খান শিশুধর্ষণ করে। আর তারাই ধরা খাবার আগে মুখে বলেন যে সমকাম ঘোরতর অপরাধ। এটা ভণ্ডামি। সমকামীর অধিকার তাদের দেয়া হলে তারা যেখানে-সেখানে যখন-তখন যাকে-তাকে যৌনহয়রানি হয়তোবা করত না, অথচ সেই স্বাধীনতার পথও তারা নিজেরাই আটকে রেখেছে। ফলে একদম নিরীহ সমকামী ছেলে বা মেয়েটিও বঞ্চিত হচ্ছে তার প্রকৃতিগত অধিকার থেকে।

সমকাম সমাজের বড় কোনো অসঙ্গতি বা অবক্ষয় না, কিন্তু এটাতে বাধা দেয়ার জন্য প্রাণপণ লাগাটা একটা বড় রোগের মতোই। একটা প্রকৃতিগত ব্যাপারে কাউকে বাধা দিতে গেলে তার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি ও কারণ থাকা চাই। কী কারণ আছে নির্বিবাদ একজন সমকামীকে তার সঙ্গীর সাথে থাকতে বাধা দেয়ায়? ওরা সমকামী বলে ওদের ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে মারা যতটা মর্মান্তিক ও পৈশাচিক তার সহস্রভাগও কি ন্যাক্কারজনক ওদের প্রকৃতিগত সমকাম? তবে কেন মানুষজন একজন সমকামীর ওপর এত ক্রুদ্ধ?
অবশ্য কথা আছে : সমকামী যদি কাউকে বলপূর্বক ধর্ষণ করতে চায় সেটা আলাদা কথা। কিন্তু তাদের নিজস্ব জগতে তারা কী করল, না করল সেটা আমাদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ হবে? ধর্মে সমকামকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে? ধর্মে তো কত কিছুই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কত কিছু করারই আদেশ আছে, সেগুলো কি সবাই যথাযথভাবে পালন করছে প্রতিদিন? একজন ঘুষখোর পুলিশ অফিসার বা মন্ত্রীর ঘুষ খাওয়া ঠেকানোর জন্য কেউ কি আছে এই ষোলো কোটি লোকের দেশে? অথচ নির্দোষ একজন নিরীহ মানুষ, যে কেবলমাত্র জন্মগতভাবে লেসবিয়ান বা গে, তাকে ঘৃণা করার- এমনকি পিটিয়ে মারবার মতো সমাজসচেতন বীরে ভরতি এদেশ। ছিঃ!

যাহোক, আমার শুভকামনা রইল পিরোজপুরের মেয়ে দুটোর জন্য। আর অন্যান্য সমকামীদের বলব, এদেশে থেকে ওদের মতো কাঁচা কাজ করবেন না কেউ, খুব পস্তাবেন, নিষ্ঠুরেরা হত্যাও করতে পারে আপনাদের। শত হলেও এদেশের সমাজকে উপেক্ষা করতে পারি না আমরা কেউ। এদেশ কখনো একটু উদার হবে একদিন, সেদিন যৌন স্বাধীনতা পাবেন, এই প্রত্যাশা রাখুন। তার আগে এখানে রইতে হলে অকারণ অজাচার সইতে হবে আপনাদেরকে, কিছু করার নেই। এদেশে শুধু আপনারা না, মানবিক অনেক প্রশ্নেই তারা নিজেরাও আটকে পড়ে আছে, বের হতে চাচ্ছে না। যত দিন পারে, থাকুক এভাবে। মনে রাখবেন, তারা সব কিছুর গতিই কেবল কমিয়ে দিতে পারে, কিন্তু একেবারে বন্ধ করে দিতে পারে না।

মুহাম্মদ কি আল্লাহর বানীর নামে, শয়তানের বানী প্রচার করেছিল ?

মুহাম্মদ কি আল্লাহর বানীর নামে, শয়তানের বানী প্রচার করেছিল ?

মুহাম্মদ শয়তানের কাছ থেকে বানী পেততা বলা আছে কোরানে , হাদিসে , সিরাতেঅথচ তার পূর্বেকার কোন নবী রসুল যেমন - ইব্রাহিম , ইসহাক , যাকোব , দাউদ , সলোমন , মূসা ইত্যাদিরা কখনই বলে নি যে তারা শয়তানের কাছ থেকে বানী পেতবাইবেলের গসপেলেও দেখা যায় না যীশু শয়তানের কাছ থেকে বানী পেয়েছিল, যদিও শয়তান তাকে প্রলুব্ধ করছিল বলে দেখা যায় , কিন্তু যীশু তাতে প্রলুব্ধ হয় নি বরং অভিশাপ দিয়ে শয়তানকে তাড়িয়ে দিয়েছে
সুরা নাজম- ৫৩: ১৯-২১: তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে?পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য?
এই বানীগুলোর প্রেক্ষাপট হলো এরকম -
মুহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে মক্কায় ইসলাম প্রচার করছে কিন্তু তার গোত্রের লোকজন সেটা গ্রহন না করে বরং তাকে উন্মাদ পাগল বলে সাব্যাস্ত করছেতখন মুহাম্মদ খুব দু:খ ভারাক্রান্ত হলে নিচের আয়াত নাজিল হয় -
সুরা নাজম- ৫৩: ১৯-২১: তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে? এরা উচ্চে উড়ন্ত শারশ যারা আল্লাহর সাথে মধ্যস্থতাকারী
অর্থা এমন আয়াত নাজিল হলো যাতে স্বীকার করে নেয়া হলো যে পৌত্তলিক কুরাইশদের যে তিন প্রধান দেব-দেবী লাত , উজ্জা ও মানাত , তারা মানুষের প্রার্থনাকে আল্লাহর কাছে পৌছে দেয়এই আয়াত নাজিল হয়েছিল কাবা ঘরের মধ্যে অবস্থানকালেএ খবর শুনে কিছু কুরাইশ কাবা ঘরে আসলমুহাম্মদ তাদের দেব দেবীদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেখে তারা খুবই আনন্দিত হলো তারপর মুহাম্মদ, তার সাহাবী ও কুরাইশরা সবাই কাবা ঘরে সিজদা দিলএই খবর মদিনা ও আবিনিসিয়াতে অবস্থিত প্রবাসী মুসলমানদের নিকট পৌছে গেল, তারা শুনতে পেল কুরাইশরা ইসলাম গ্রহন করেছে , তাই তাদের অনেকেই মদিনা ও আবিনিসিয়া থেকে ফিরে আসলতখন জিব্রাইল মুহাম্মদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করল- হে মুহাম্মদ , তুমি কি করেছ? আমি তোমাকে যা বলিনি তুমি তাই বলেছ তুমি তো শয়তানের বানী পেয়েছএ শুনে মুহাম্মদ খুবই দু:খিত হলোতার এ দু:খ দেখে আল্লাহ নাজিল করল -এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন তখন মুহাম্মদ ২১ নং আয়াতের এরা উচ্চে উড়ন্ত শারশ যারা আল্লাহর সাথে মধ্যস্থতাকারী এই লাইনটা বাদ দিয়ে তার স্থলে -এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন এই লাইনটা জুড়ে দিলএবং একই সাথে দু:খ ভারাক্রান্ত মুহাম্মদকে শান্তনা দেয়ার জন্যে নিচের আয়াত নাজিল হলো -
সুরা হাজ্জ- ২২: ৫২: আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছেঅতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করেএরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়
=======================================================
সূত্র : (Source: Ibn Ishaq, The Life of Muhammad: A Translation of Ishaq's Sirat Rasul Allah, Translated by A. Guillaume, Oxford University Press, Oxford, England, (Re-issued in Karachi, Pakistan, 1967, 13th impression, 1998) 1955, p. 165-166. https://archive.org/details/TheLifeOfMohammedGuillaume)
এখন অনেকেই এসে বলবে , ইবনে ইসহাকের এই বক্তব্য সহিহ ইসলাম নাকিন্তু সুরা হাজ্জেই কিন্তু স্বীকার করছে যে মুহাম্মদের কাছে শয়তানের বানী এসেছিল এমন কি সহিহ হাদিসেও সেটা বলা হয়েছে -
সহিহ বুখারী :: খন্ড ২ :: অধ্যায় ১৯ :: হাদিস ১৭৭
মুসাদ্দার (র.)ইব্ন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) সূরা ওয়ান্-নাজ্‌ম তিলাওয়াতের পর সিজ্‌দা করেন এবং তাঁর সঙ্গে সমস্ত মুসলিম, মুশরিক, জ্বিন ও ইনসান সবাই সিজ্‌দা করেছিল
খেয়াল করতে হবে , মুহাম্মদের সাথে মুসলমান ও মুশরিক তথা কুরাইশরা সিজদা করলমুহাম্মদ শয়তানের আয়াত অনুযায়ী কুরাইশদের দেব দেবীদেরকে স্বীকার করে না নিলে তো কুরাইশরা মুহাম্মদ ও মুসলমানদের সাথে সিজদা করার কথা নয়
এটা খুবই বিস্ময়কর যে যখন শয়তান জিব্রাইলের বেশে মুহাম্মদের কাছে শয়তানের বানী দিচ্ছিল , তখন আল্লাহ তা টের পেল নাএমন কি আল্লাহ শয়তানকে ঠেকাতেও পারল নাএর মধ্যে অনেক দিন পার হয়ে গেছে , এ খবর সুদুর মদিনা ও আবিনিসিয়াতে চলে গেছে , তারপরও আল্লাহ টের পেল না , টের পেল জিব্রাইল যখন মুহাম্মদ তার কাছে সুরা নাজম বলছিল
তাহলে আমরা কিভাবে নিশ্চিত হবো যে , এই সুরা নাজম ছাড়া অন্য আরও অনেক আয়াত জিব্রাইলের বেশে শয়তান মুহাম্মদকে দিয়ে যায় নি? বরং কোরানের বিভিন্ন বানী দেখে তো মনে হয় কোরানের অধিকাংশ বানীই হলো শয়তানের , কারন দেখা যাচ্ছে কোরানের বানী মুহাম্মদকে ডাকাতি করার স্বীকৃতি দিচ্ছে ( সুরা বাকারা -২: ২১৭) , মুহাম্মদকে বন্দিনী নারী ধর্ষন ও মুতাহ বিয়ের স্বীকৃতি দিচ্ছে ( সুরা নিসা - ৪: ২৪), মুহাম্মদকে অবিশ্বাসীদেরকে নির্বিচারে হত্যা করতে বলছে ( সুরা তাওবা -৯: ৫) , মুহাম্মদকে নির্বিচারে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যেতে বলছে ( সুরা তাওবা -৯: ২৯)- এসব অনৈতিক ও হিংসাত্মক বানী তো পরম করুনাময় দয়াল সৃষ্টিকর্তার বানী হতে পারে না

কেন মুহাম্মদকে নেতিবাচক বিশেষনে( লম্পট, ডাকাত, শিশুকামী ইত্যাদি) ডাকা উচিত ?


কেন মুহাম্মদকে নেতিবাচক বিশেষনে( লম্পট, ডাকাত, শিশুকামী ইত্যাদি) ডাকা উচিত ?


ধর্মপ্রান মুমিন মাত্রেই বিশ্বাস করে মুহাম্মদ হলো সত্যবাদী, ন্যায় পরায়ন ও দয়ার সাগরএটা তারা জানে শৈশব থেকে তাদেরকে এভাবেই জানান হয়েছেকখনও কোরান হাদিস পড়ে দেখে নি যে মুহাম্মদ আসলেই এরকম কি নাপক্ষান্তরে , তারা এও বিশ্বাস করে যে , মুহাম্মদকে নেতিবাচক বিশেষনে ডাকলে অর্থা- লম্পট , কামুক , ডাকাত ইত্যাদি নামে ডাকলে, যে লোক এভাবে ডাকছে তার সীমাহীন ক্ষতি হয়ে যাবে এই দুনিয়াতেইএই প্রচন্ড ভয়ই মূলত: মুহাম্মদকে আজও মহা প্রতাপে বাঁচিয়ে রেখেছেমানুষের এই ভয় ভাঙ্গানোর জন্যেই মুহাম্মদকে তার আসল বিশেষনে ডাকা উচিত
মুহাম্মদ কি লম্পট ও কামুক ছিলেন ?
আমরা জানি কোন লোক যদি একটার পর একটা বিয়ে করে , তাহলে তাকে সমাজে লম্পট হিসাবেই অভিহিত করা হয়তবে কি না অতীতে সমাজে এই লাম্পট্যকেই বিশেষ গুন হিসাবে বিবেচনা করা হতোঅর্থা কারও যদি বহু স্ত্রী থাকত , তাকে মনে করা হতো সম্মানীয় ব্যাক্তিআমাদের নবীর কম পক্ষে ১৩ টা স্ত্রী ছিলসুতরাং ৭ম শতাব্দির আরবের প্রেক্ষিতে তিনি এ জন্যে সম্মানীয় ব্যাক্তি হিসাবে বিবেচিত হলেও বর্তমান সমাজের প্রেক্ষিতে তিনি একজন লম্পট ছাড়া আর কিছু ? নিচের হাদিসগুলো দেখা যাক -
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৫ :: হাদিস ২৬৮
মুহাম্মদ ইব্ন বাশ্‌শার (র) .......... আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময় পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেনতাঁরা ছিলেন এগারজনবর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেওয়া হয়েছে
এ ছাড়াও আমরা জানি মুহম্মদের অনেক দাসী ছিল যাদের সাথে তিনি নিয়মিত যৌন সঙ্গম করতেনআর মুহাম্মদ যে কতটা কামুক ছিলেন তার প্রমান নিচের হাদিস -
সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৮ :: হাদিস ৩২৪০
আমর ইবন আলী (র)......জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা) এক মহিলাকে দেখলেন ও উত্তেজিত হয়ে পড়লেন তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব (রাঃ)-এর নিকট আসলেন তিনি তখন তার একটি চাড়মা পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাথে যৌন সংগম করে শান্ত হলেন তারপর বের হয়ে সাহাবীদের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়তানের বেশে এবং ফিরে যায় শয়তানের বেশে অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়
মনে হচ্ছে মুহাম্মদ সব সময় উত্তেজিত থাকতেনকারন রাস্তায় নারী দেখা মাত্র যাকে স্ত্রীর কাছে যেতে হয় যৌন সঙ্গমের জন্যে , তাও আবার তার সাথীদেরকে রাস্তায় দাড় করিয়ে , সেই লোক কতটা কামুক ছিলেন , তা বুঝতে বিরাট মনোবিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই
এ ছাড়া তিনি প্রতিটা মুমিনকে লম্পট হওয়ার বিধান দিয়ে গেছেনঅর্থা যেমন ওস্তাদ , তেমন তার সাগরেদ হতে হবেকোরানে বলা হয়েছে - একজন লোকের সামর্থ থাকলে সে চারটা বিয়ে করতে পারে ( সুরা নিসা -৪: ৩)তার মানে প্রতিটা মুসলমানকে আদর্শ লম্পট হতে হবেএই বিবেচনায় , বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হলো সব চাইতে খাটি মুমিন , কারন সে অনেক গুলো বিয়ে করে মুহাম্মদের আদর্শ অনুসরন করেছে
অনেক মুমিনে বলতে চায়, অসহায় বিধবা নারীদেরকে বিয়ে করে মুহাম্মদ তাদেরকে মর্যাদা দিয়েছেনসেই আরবের চারপাশে মুহাম্মদ ও তার বাহিনী যত্রতত্র হঠা করে আক্রমন করতেনমানুষ হত্যা করে তাদের স্ত্রীদেরকে বন্দি করতেনআর তারপর যদি তিনি সেইসব স্ত্রীদেরকে বিয়ে করে আশ্রয় দিয়ে থাকেন , তাহলে তো দেখা যাচ্ছে - তিনি গরু মেরে জুতা দান করছেনযেমন তিনি খায়বার আক্রমন করে ইহুদিদের সর্দার কিনানাকে নির্মমভাবে হত্যঅ করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে বিয়ে করেনযদি এই ধরনের বিয়ে তার মানবতার প্রতীক হয়, তাহলে বরং বলতে হবে , আরবের যত মানুষকে তিনি হত্যা করেছিলেন , তাদের সকলের স্ত্রীকে বিয়ে না করে বরং মহা অন্যায় করেছেন
মুহাম্মদ কি ডাকাত ছিলেন ?
মুহাম্মদ ও তার দলবল মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছেনসেখানে দরিদ্র মদিনাবাসীরা বেশীদিন মুহাম্মদ ও তার দলবলকে খাদ্য ও আশ্রয় দিতে পারছিল না তখন মুহাম্মদ শুরু করেন মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া বানিজ্য পথে বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন , বনিক হত্যা ও তাদের মালামাল লুটপাটএটা কি ডাকাতি নয় ? তাই যদি হয়, মুহাম্মদকে কেন ডাকাত বলা হবে না ?
একবার মুহাম্মদ তার ৮ জন সাহাবীকে মক্কা ও তায়েফের মাঝখানে নখলা নামক স্থানে বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে লুটপাট করে নিয়ে আসতে বলেনতারা সেইমত একটা বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে , দুইজনকে হত্যা ও দুইজন বনিককে বন্দি করে আর তাদের মালামাল লুট করে মুহাম্মদের কাছে নিয়ে যায়ঘটনাচক্রে সেই ডাকাতিটা ঘটেছিল তখনকার প্রচলিত নিষিদ্ধ মাসেআর তখনই সেই ডাকাতিকে বৈধ করার জন্যে মুহাম্মদ নিচের আয়াত নাজিল করেন -
সুরা বাকারা -২: ২১৭: সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপআর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপবস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবেআর তারাই হলো দোযখবাসীতাতে তারা চিরকাল বাস করবে
এই ডাকাতির ঘটনা বর্নিত আছে তাফসির ইবনে কাসিরে www.qtafsir.com
বাংলা তাফসির : http://www.quraneralo.com/tafsir/
এই যদি হয় অবস্থা , তাহলে মুহাম্মদকে কেন ডাকাত বলা যাবে না ?
মুহাম্মদ কি শিশুগামী ছিলেন ?
একথা আজকে সবাই জানে যে, ৫১ বছর বয়সী মুহাম্মদ ৬ বছর বয়সী আয়শাকে বিয়ে করেন , আর তার বয়স যখন ৫৪ আর আয়শার মাত্রই ৯ তখন সেই শিশু আয়শার সাথে মুহাম্মদ যৌন সঙ্গম করেনআজকের সকল সভ্য দেশ তো বটেই এমন কি অনেক মুসলিম দেশের আইনের বিধান অনুযায়ী , মুহাম্মদ যদি আজকের দিনে এই কাজ করতেন , তাহলে তার উম্মতরাই তার কঠিন বিচার করে সারা জীবন জেলের ভাত খাওয়াত
আজকেও কেন মুহাম্মদের এই শিশুগামিতার বিচার করা উচিত ?
কারন , উম্মতরা বিশ্বাস করে , মুহাম্মদ হলেন সকল যুগের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ আর তার আদর্শ অনুসরন করা হলো সকল মুমিনের জন্যে আবশ্যকএখন মুহাম্মদ শিশুর সাথে যৌন সঙ্গম করেছেন , যদিও বিয়ে করেই , তার মানে প্রতিটা মুমিনের উচিত একটা করে শিশু বিয়ে করে , তার সাথে যৌন সঙ্গম তথা তাকে ধর্ষন করাঅথচ সেই মুমিনেরাই কিন্তু অধিকাংশ মুসলমান দেশে এই শিশু বিয়ে ও শিশুর সাথে যৌন সঙ্গম উভয়কেই কঠিন অপরাধ বলে বিবেচনা করে
তো তাই যদি হয় , তাহলে কেন তারা মুহাম্মদের বিচার করে না ? কেন তারা মুহাম্মদকে শিশুগামীতার অপরাধে তার বিচার না করে , বরং তার নামে মুর্ছা যায় ?
সুতরাং , মুহাম্মদ সম্পর্কে আমাদেরকে যা জানান হয় , মুহাম্মদ আসলে সেরকম লোক ছিলেন না , কোরান হাদিসে মুহাম্মদ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে মুহাম্মদ ছিলেন আসলে সেরকমইআর তাতে দেখা যাচ্ছে মুহাম্মদ আসলে একটা লম্পট , ডাকাত ও শিশুগামী ছিলেনএই মত অবস্থায় মুহাম্মদকে যদি আমরা লম্পট , ডাকাত বা শিশুগামী বলি , তাহলে আমাদের কিছুই হবে নাবরং সত্য জেনে আমরা প্রকৃত আলোর পথে এগিয়ে যাব


কেন মুহাম্মদকে নেতিবাচক বিশেষনে( লম্পট, ডাকাত, শিশুকামী ইত্যাদি) ডাকা উচিত ?



ধর্মপ্রান মুমিন মাত্রেই বিশ্বাস করে মুহাম্মদ হলো সত্যবাদী, ন্যায় পরায়ন ও দয়ার সাগর। এটা তারা জানে শৈশব থেকে তাদেরকে এভাবেই জানান হয়েছে। কখনও কোরান হাদিস পড়ে দেখে নি যে মুহাম্মদ আসলেই এরকম কি না। পক্ষান্তরে , তারা এও বিশ্বাস করে যে , মুহাম্মদকে নেতিবাচক বিশেষনে ডাকলে অর্থাৎ- লম্পট , কামুক , ডাকাত ইত্যাদি নামে ডাকলে, যে লোক এভাবে ডাকছে তার সীমাহীন ক্ষতি হয়ে যাবে এই দুনিয়াতেই। এই প্রচন্ড ভয়ই মূলত: মুহাম্মদকে আজও মহা প্রতাপে বাঁচিয়ে রেখেছে।মানুষের এই ভয় ভাঙ্গানোর জন্যেই মুহাম্মদকে তার আসল বিশেষনে ডাকা উচিত।
মুহাম্মদ কি লম্পট ও কামুক ছিলেন ?
আমরা জানি কোন লোক যদি একটার পর একটা বিয়ে করে , তাহলে তাকে সমাজে লম্পট হিসাবেই অভিহিত করা হয়। তবে কি না অতীতে সমাজে এই লাম্পট্যকেই বিশেষ গুন হিসাবে বিবেচনা করা হতো। অর্থাৎ কারও যদি বহু স্ত্রী থাকত , তাকে মনে করা হতো সম্মানীয় ব্যাক্তি। আমাদের নবীর কম পক্ষে ১৩ টা স্ত্রী ছিল। সুতরাং ৭ম শতাব্দির আরবের প্রেক্ষিতে তিনি এ জন্যে সম্মানীয় ব্যাক্তি হিসাবে বিবেচিত হলেও বর্তমান সমাজের প্রেক্ষিতে তিনি একজন লম্পট ছাড়া আর কিছু ? নিচের হাদিসগুলো দেখা যাক -
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৫ :: হাদিস ২৬৮
মুহাম্মদ ইব্ন বাশ্‌শার (র) .......... আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময় পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও আমরা জানি মুহম্মদের অনেক দাসী ছিল যাদের সাথে তিনি নিয়মিত যৌন সঙ্গম করতেন। আর মুহাম্মদ যে কতটা কামুক ছিলেন তার প্রমান নিচের হাদিস -
সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৮ :: হাদিস ৩২৪০
আমর ইবন আলী (র)......জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাসুলুল্লাহ (সা) এক মহিলাকে দেখলেন ও উত্তেজিত হয়ে পড়লেন । তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব (রাঃ)-এর নিকট আসলেন । তিনি তখন তার একটি চাড়মা পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাথে যৌন সংগম করে শান্ত হলেন । তারপর বের হয়ে সাহাবীদের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়তানের বেশে এবং ফিরে যায় শয়তানের বেশে । অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে । কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয় ।

মনে হচ্ছে মুহাম্মদ সব সময় উত্তেজিত থাকতেন। কারন রাস্তায় নারী দেখা মাত্র যাকে স্ত্রীর কাছে যেতে হয় যৌন সঙ্গমের জন্যে , তাও আবার তার সাথীদেরকে রাস্তায় দাড় করিয়ে , সেই লোক কতটা কামুক ছিলেন , তা বুঝতে বিরাট মনোবিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই।
এ ছাড়া তিনি প্রতিটা মুমিনকে লম্পট হওয়ার বিধান দিয়ে গেছেন। অর্থাৎ যেমন ওস্তাদ , তেমন তার সাগরেদ হতে হবে। কোরানে বলা হয়েছে - একজন লোকের সামর্থ থাকলে সে চারটা বিয়ে করতে পারে ( সুরা নিসা -৪: ৩)। তার মানে প্রতিটা মুসলমানকে আদর্শ লম্পট হতে হবে। এই বিবেচনায় , বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হলো সব চাইতে খাটি মুমিন , কারন সে অনেক গুলো বিয়ে করে মুহাম্মদের আদর্শ অনুসরন করেছে।
অনেক মুমিনে বলতে চায়, অসহায় বিধবা নারীদেরকে বিয়ে করে মুহাম্মদ তাদেরকে মর্যাদা দিয়েছেন। সেই আরবের চারপাশে মুহাম্মদ ও তার বাহিনী যত্রতত্র হঠাৎ করে আক্রমন করতেন। মানুষ হত্যা করে তাদের স্ত্রীদেরকে বন্দি করতেন। আর তারপর যদি তিনি সেইসব স্ত্রীদেরকে বিয়ে করে আশ্রয় দিয়ে থাকেন , তাহলে তো দেখা যাচ্ছে - তিনি গরু মেরে জুতা দান করছেন। যেমন তিনি খায়বার আক্রমন করে ইহুদিদের সর্দার কিনানাকে নির্মমভাবে হত্যঅ করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে বিয়ে করেন। যদি এই ধরনের বিয়ে তার মানবতার প্রতীক হয়, তাহলে বরং বলতে হবে , আরবের যত মানুষকে তিনি হত্যা করেছিলেন , তাদের সকলের স্ত্রীকে বিয়ে না করে বরং মহা অন্যায় করেছেন।
মুহাম্মদ কি ডাকাত ছিলেন ?
মুহাম্মদ ও তার দলবল মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছেন। সেখানে দরিদ্র মদিনাবাসীরা বেশীদিন মুহাম্মদ ও তার দলবলকে খাদ্য ও আশ্রয় দিতে পারছিল না। তখন মুহাম্মদ শুরু করেন মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া বানিজ্য পথে বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন , বনিক হত্যা ও তাদের মালামাল লুটপাট। এটা কি ডাকাতি নয় ? তাই যদি হয়, মুহাম্মদকে কেন ডাকাত বলা হবে না ?
একবার মুহাম্মদ তার ৮ জন সাহাবীকে মক্কা ও তায়েফের মাঝখানে নখলা নামক স্থানে বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে লুটপাট করে নিয়ে আসতে বলেন। তারা সেইমত একটা বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে , দুইজনকে হত্যা ও দুইজন বনিককে বন্দি করে আর তাদের মালামাল লুট করে মুহাম্মদের কাছে নিয়ে যায়। ঘটনাচক্রে সেই ডাকাতিটা ঘটেছিল তখনকার প্রচলিত নিষিদ্ধ মাসে। আর তখনই সেই ডাকাতিকে বৈধ করার জন্যে মুহাম্মদ নিচের আয়াত নাজিল করেন -
সুরা বাকারা -২: ২১৭: সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।
এই ডাকাতির ঘটনা বর্নিত আছে তাফসির ইবনে কাসিরে www.qtafsir.com
বাংলা তাফসির : http://www.quraneralo.com/tafsir/
এই যদি হয় অবস্থা , তাহলে মুহাম্মদকে কেন ডাকাত বলা যাবে না ?
মুহাম্মদ কি শিশুগামী ছিলেন ?
একথা আজকে সবাই জানে যে, ৫১ বছর বয়সী মুহাম্মদ ৬ বছর বয়সী আয়শাকে বিয়ে করেন , আর তার বয়স যখন ৫৪ আর আয়শার মাত্রই ৯ তখন সেই শিশু আয়শার সাথে মুহাম্মদ যৌন সঙ্গম করেন। আজকের সকল সভ্য দেশ তো বটেই এমন কি অনেক মুসলিম দেশের আইনের বিধান অনুযায়ী , মুহাম্মদ যদি আজকের দিনে এই কাজ করতেন , তাহলে তার উম্মতরাই তার কঠিন বিচার করে সারা জীবন জেলের ভাত খাওয়াত।
আজকেও কেন মুহাম্মদের এই শিশুগামিতার বিচার করা উচিত ?
কারন , উম্মতরা বিশ্বাস করে , মুহাম্মদ হলেন সকল যুগের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ আর তার আদর্শ অনুসরন করা হলো সকল মুমিনের জন্যে আবশ্যক। এখন মুহাম্মদ শিশুর সাথে যৌন সঙ্গম করেছেন , যদিও বিয়ে করেই , তার মানে প্রতিটা মুমিনের উচিত একটা করে শিশু বিয়ে করে , তার সাথে যৌন সঙ্গম তথা তাকে ধর্ষন করা। অথচ সেই মুমিনেরাই কিন্তু অধিকাংশ মুসলমান দেশে এই শিশু বিয়ে ও শিশুর সাথে যৌন সঙ্গম উভয়কেই কঠিন অপরাধ বলে বিবেচনা করে।
তো তাই যদি হয় , তাহলে কেন তারা মুহাম্মদের বিচার করে না ? কেন তারা মুহাম্মদকে শিশুগামীতার অপরাধে তার বিচার না করে , বরং তার নামে মুর্ছা যায় ?
সুতরাং , মুহাম্মদ সম্পর্কে আমাদেরকে যা জানান হয় , মুহাম্মদ আসলে সেরকম লোক ছিলেন না , কোরান হাদিসে মুহাম্মদ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে মুহাম্মদ ছিলেন আসলে সেরকমই। আর তাতে দেখা যাচ্ছে মুহাম্মদ আসলে একটা লম্পট , ডাকাত ও শিশুগামী ছিলেন। এই মত অবস্থায় মুহাম্মদকে যদি আমরা লম্পট , ডাকাত বা শিশুগামী বলি , তাহলে আমাদের কিছুই হবে না। বরং সত্য জেনে আমরা প্রকৃত আলোর পথে এগিয়ে যাব।
- See more at: http://istishon.com/?q=node/20812#sthash.wdnQiMUc.dpuf

কেন মুহাম্মদকে নেতিবাচক বিশেষনে( লম্পট, ডাকাত, শিশুকামী ইত্যাদি) ডাকা উচিত ?


ধর্মপ্রান মুমিন মাত্রেই বিশ্বাস করে মুহাম্মদ হলো সত্যবাদী, ন্যায় পরায়ন ও দয়ার সাগরএটা তারা জানে শৈশব থেকে তাদেরকে এভাবেই জানান হয়েছেকখনও কোরান হাদিস পড়ে দেখে নি যে মুহাম্মদ আসলেই এরকম কি নাপক্ষান্তরে , তারা এও বিশ্বাস করে যে , মুহাম্মদকে নেতিবাচক বিশেষনে ডাকলে অর্থা- লম্পট , কামুক , ডাকাত ইত্যাদি নামে ডাকলে, যে লোক এভাবে ডাকছে তার সীমাহীন ক্ষতি হয়ে যাবে এই দুনিয়াতেইএই প্রচন্ড ভয়ই মূলত: মুহাম্মদকে আজও মহা প্রতাপে বাঁচিয়ে রেখেছেমানুষের এই ভয় ভাঙ্গানোর জন্যেই মুহাম্মদকে তার আসল বিশেষনে ডাকা উচিত
মুহাম্মদ কি লম্পট ও কামুক ছিলেন ?
আমরা জানি কোন লোক যদি একটার পর একটা বিয়ে করে , তাহলে তাকে সমাজে লম্পট হিসাবেই অভিহিত করা হয়তবে কি না অতীতে সমাজে এই লাম্পট্যকেই বিশেষ গুন হিসাবে বিবেচনা করা হতোঅর্থা কারও যদি বহু স্ত্রী থাকত , তাকে মনে করা হতো সম্মানীয় ব্যাক্তিআমাদের নবীর কম পক্ষে ১৩ টা স্ত্রী ছিলসুতরাং ৭ম শতাব্দির আরবের প্রেক্ষিতে তিনি এ জন্যে সম্মানীয় ব্যাক্তি হিসাবে বিবেচিত হলেও বর্তমান সমাজের প্রেক্ষিতে তিনি একজন লম্পট ছাড়া আর কিছু ? নিচের হাদিসগুলো দেখা যাক -
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ৫ :: হাদিস ২৬৮
মুহাম্মদ ইব্ন বাশ্‌শার (র) .......... আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময় পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেনতাঁরা ছিলেন এগারজনবর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেওয়া হয়েছে
এ ছাড়াও আমরা জানি মুহম্মদের অনেক দাসী ছিল যাদের সাথে তিনি নিয়মিত যৌন সঙ্গম করতেনআর মুহাম্মদ যে কতটা কামুক ছিলেন তার প্রমান নিচের হাদিস -
সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৮ :: হাদিস ৩২৪০
আমর ইবন আলী (র)......জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা) এক মহিলাকে দেখলেন ও উত্তেজিত হয়ে পড়লেন তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব (রাঃ)-এর নিকট আসলেন তিনি তখন তার একটি চাড়মা পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাথে যৌন সংগম করে শান্ত হলেন তারপর বের হয়ে সাহাবীদের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়তানের বেশে এবং ফিরে যায় শয়তানের বেশে অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়
মনে হচ্ছে মুহাম্মদ সব সময় উত্তেজিত থাকতেনকারন রাস্তায় নারী দেখা মাত্র যাকে স্ত্রীর কাছে যেতে হয় যৌন সঙ্গমের জন্যে , তাও আবার তার সাথীদেরকে রাস্তায় দাড় করিয়ে , সেই লোক কতটা কামুক ছিলেন , তা বুঝতে বিরাট মনোবিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই
এ ছাড়া তিনি প্রতিটা মুমিনকে লম্পট হওয়ার বিধান দিয়ে গেছেনঅর্থা যেমন ওস্তাদ , তেমন তার সাগরেদ হতে হবেকোরানে বলা হয়েছে - একজন লোকের সামর্থ থাকলে সে চারটা বিয়ে করতে পারে ( সুরা নিসা -৪: ৩)তার মানে প্রতিটা মুসলমানকে আদর্শ লম্পট হতে হবেএই বিবেচনায় , বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হলো সব চাইতে খাটি মুমিন , কারন সে অনেক গুলো বিয়ে করে মুহাম্মদের আদর্শ অনুসরন করেছে
অনেক মুমিনে বলতে চায়, অসহায় বিধবা নারীদেরকে বিয়ে করে মুহাম্মদ তাদেরকে মর্যাদা দিয়েছেনসেই আরবের চারপাশে মুহাম্মদ ও তার বাহিনী যত্রতত্র হঠা করে আক্রমন করতেনমানুষ হত্যা করে তাদের স্ত্রীদেরকে বন্দি করতেনআর তারপর যদি তিনি সেইসব স্ত্রীদেরকে বিয়ে করে আশ্রয় দিয়ে থাকেন , তাহলে তো দেখা যাচ্ছে - তিনি গরু মেরে জুতা দান করছেনযেমন তিনি খায়বার আক্রমন করে ইহুদিদের সর্দার কিনানাকে নির্মমভাবে হত্যঅ করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে বিয়ে করেনযদি এই ধরনের বিয়ে তার মানবতার প্রতীক হয়, তাহলে বরং বলতে হবে , আরবের যত মানুষকে তিনি হত্যা করেছিলেন , তাদের সকলের স্ত্রীকে বিয়ে না করে বরং মহা অন্যায় করেছেন
মুহাম্মদ কি ডাকাত ছিলেন ?
মুহাম্মদ ও তার দলবল মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছেনসেখানে দরিদ্র মদিনাবাসীরা বেশীদিন মুহাম্মদ ও তার দলবলকে খাদ্য ও আশ্রয় দিতে পারছিল না তখন মুহাম্মদ শুরু করেন মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া বানিজ্য পথে বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন , বনিক হত্যা ও তাদের মালামাল লুটপাটএটা কি ডাকাতি নয় ? তাই যদি হয়, মুহাম্মদকে কেন ডাকাত বলা হবে না ?
একবার মুহাম্মদ তার ৮ জন সাহাবীকে মক্কা ও তায়েফের মাঝখানে নখলা নামক স্থানে বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে লুটপাট করে নিয়ে আসতে বলেনতারা সেইমত একটা বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে , দুইজনকে হত্যা ও দুইজন বনিককে বন্দি করে আর তাদের মালামাল লুট করে মুহাম্মদের কাছে নিয়ে যায়ঘটনাচক্রে সেই ডাকাতিটা ঘটেছিল তখনকার প্রচলিত নিষিদ্ধ মাসেআর তখনই সেই ডাকাতিকে বৈধ করার জন্যে মুহাম্মদ নিচের আয়াত নাজিল করেন -
সুরা বাকারা -২: ২১৭: সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপআর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপবস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবেআর তারাই হলো দোযখবাসীতাতে তারা চিরকাল বাস করবে
এই ডাকাতির ঘটনা বর্নিত আছে তাফসির ইবনে কাসিরে www.qtafsir.com
বাংলা তাফসির : http://www.quraneralo.com/tafsir/
এই যদি হয় অবস্থা , তাহলে মুহাম্মদকে কেন ডাকাত বলা যাবে না ?
মুহাম্মদ কি শিশুগামী ছিলেন ?
একথা আজকে সবাই জানে যে, ৫১ বছর বয়সী মুহাম্মদ ৬ বছর বয়সী আয়শাকে বিয়ে করেন , আর তার বয়স যখন ৫৪ আর আয়শার মাত্রই ৯ তখন সেই শিশু আয়শার সাথে মুহাম্মদ যৌন সঙ্গম করেনআজকের সকল সভ্য দেশ তো বটেই এমন কি অনেক মুসলিম দেশের আইনের বিধান অনুযায়ী , মুহাম্মদ যদি আজকের দিনে এই কাজ করতেন , তাহলে তার উম্মতরাই তার কঠিন বিচার করে সারা জীবন জেলের ভাত খাওয়াত
আজকেও কেন মুহাম্মদের এই শিশুগামিতার বিচার করা উচিত ?
কারন , উম্মতরা বিশ্বাস করে , মুহাম্মদ হলেন সকল যুগের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ আর তার আদর্শ অনুসরন করা হলো সকল মুমিনের জন্যে আবশ্যকএখন মুহাম্মদ শিশুর সাথে যৌন সঙ্গম করেছেন , যদিও বিয়ে করেই , তার মানে প্রতিটা মুমিনের উচিত একটা করে শিশু বিয়ে করে , তার সাথে যৌন সঙ্গম তথা তাকে ধর্ষন করাঅথচ সেই মুমিনেরাই কিন্তু অধিকাংশ মুসলমান দেশে এই শিশু বিয়ে ও শিশুর সাথে যৌন সঙ্গম উভয়কেই কঠিন অপরাধ বলে বিবেচনা করে
তো তাই যদি হয় , তাহলে কেন তারা মুহাম্মদের বিচার করে না ? কেন তারা মুহাম্মদকে শিশুগামীতার অপরাধে তার বিচার না করে , বরং তার নামে মুর্ছা যায় ?
সুতরাং , মুহাম্মদ সম্পর্কে আমাদেরকে যা জানান হয় , মুহাম্মদ আসলে সেরকম লোক ছিলেন না , কোরান হাদিসে মুহাম্মদ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে মুহাম্মদ ছিলেন আসলে সেরকমইআর তাতে দেখা যাচ্ছে মুহাম্মদ আসলে একটা লম্পট , ডাকাত ও শিশুগামী ছিলেনএই মত অবস্থায় মুহাম্মদকে যদি আমরা লম্পট , ডাকাত বা শিশুগামী বলি , তাহলে আমাদের কিছুই হবে নাবরং সত্য জেনে আমরা প্রকৃত আলোর পথে এগিয়ে যাব
- See more at: http://istishon.com/?q=node/20812#sthash.wdnQiMUc.dpuf