Wednesday, June 29, 2016

আল-কুরআনে পরস্পরবিরোধিতার অভিযোগ ও তার জবাব)


অভিযোগ-১: আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি ছয় দিনে না আট দিনে?
১.১

কুরআনের বেশ কিছু আয়াতে(৭:৫৪, ১০:৩, ১১:৭, ২৫:৫৯, ৩২:৪, ৫০:৩৮, ৫৭:৪) বলা হয়েছে আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে।
১.২

কিন্তু ৪১:৯-১২ নং আয়াত অনুসারে দেখা যায় আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন আট দিনে।
অভিযোগের জবাব:
[আনুষঙ্গিক পাঠ:
১টা গর্ত খুঁড়তে একজন শ্রমিকের ১ ঘন্টা লাগলে, ৩টা গর্ত খুঁড়তে ৩ জন শ্রমিকের কয় ঘন্টা লাগবে? গণিতে যারা কাঁচা, তারা বলবে ৩ ঘন্টা। যারা গণিত মোটামুটি বুঝে তারা হয়ত বলবে ১ ঘন্টা। যারা আরেকটু বেশি বুঝে তারা বলবে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া সম্ভব না। কারণ এখানে বিভিন্ন রকমের কেস হতে পারে।
কেস ১:
৩ জন শ্রমিক একসাথে কাজ শুরু করল সেক্ষেত্রে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ।
১।।১।।১ = ১
কেস ২:
২ জন শ্রমিক একসাথে কাজ শুরু করল। তাদের কাজ শেষ হল। অত:পর ৩য় শ্রমিক কাজ শুরু করল। এক্ষেত্রে সময় লাগবে ২ ঘন্টা।
(১।।১)+১=১+১=২
কেস ৩:
১ম শ্রমিক কাজ শেষ করল। অত:পর ২য় শ্রমিক কাজ শুরু করল।
২য় শ্রমিক কাজ শেষ করল। অত:পর ৩য় শ্রমিক কাজ শুরু করল।
এক্ষেত্রে সময় লাগবে ৩ ঘন্টা।
১+১+১=৩
এ ধরণের কেস হতে পারে অগণিত। কাজেই এ প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে জানতে হবে কে কখন কাজ শুরু করল। তথ্য পাবার সাথেই ১+১+১=৩ হিসাব করা যাবে না।]

১.১ এর আয়াতসমূহ: (প্রাসঙ্গিক অংশ)
৭:৫৪

তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন
১০:৩

নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে
১১:৭

তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন
২৫:৫৯

তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন
৩২:৪

আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন
৫০:৩৮

আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি
৫৭:৪

তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে
বিশ্লেষণ:
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করা হয়েছে মোট ছয় দিনে।
আবার, নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে ছয় দিনে।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে,
এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুকে সৃষ্টি করতে কোন আলাদা সময় নেওয়া হয় নাই। নভোমণ্ডল/আকাশ এবং ভূমণ্ডল/পৃথিবী সৃষ্টির সাথে সাথে সমান্তরালভাবে এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুকে সৃষ্টি করা হয়।
অর্থাৎ ৬ দিনের মধ্যে পৃথিবী এবং আকাশ সৃষ্টিকালে সমান্তরালভাবে অন্যান্য কাজও হয়েছে।
১.২ এর আয়াতসমূহ:
৪১:৯ বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
৪১:১০ (وَجَعَلَ ) তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
৪১:১১ (ثُمَّ اسْتَوَى )অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
৪১:১২ (فَقَضَاهُنَّ)অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
লক্ষ্যণীয়:
১১ এবং ১২ নম্বর আয়াতের শুরুতে 'অতঃপর' শব্দ আছে (আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা')।
কিন্তু ১০ নম্বর আয়াতের শুরুতে কোন 'এর পর' /'আরো'/'অত:পর'/'তারপর' এ জাতীয় কোন শব্দ(আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা') নেই।
বিশ্লেষণ:
৯ নম্বর আয়াতের কাজ তথা পৃথিবী সৃষ্টির জন্য লেগেছে ২ দিন।
১০ নম্বর আয়াতের অন্যান্য কাজের জন্য সময় লেগেছে ৪ দিন। কিন্তু ১০ নম্বর আয়াতের শুরুতে যেহেতু 'এর পর' /'আরো'/'অত:পর'/'তারপর' এ জাতীয় কোন শব্দ(আরবীতে 'সুম্মা' বা 'ফা') নেই, কাজেই এই কাজ যে পৃথিবীর সৃষ্টি শেষ হবার পর শুরু হয়েছে এমন কোন তথ্য এখানে নেই, বরং এই কাজ কখন শুরু হয়েছে তা এখানে বলা নেই।
১১ নং আয়াতের নির্দেশ দেওয়া হয় ১০ নং আয়াতের অন্যান্য কাজের পর (আয়াতের শুরু হয়েছে ‘অত:পর’ দিয়ে), এখানে কোন কাজ নাই, কোন সময়ের প্রয়োজনও হয় নাই, উল্লেখও নেই।
১২ নম্বর আয়াতের কাজ তথা আকাশ সৃষ্টির জন্য লেগেছে ২ দিন। এই কাজ শুরু হয়েছে ১১ নং আয়াতের নির্দেশের পর (আয়াতের শুরু হয়েছে ‘অত:পর’ দিয়ে) তথা ১০ নম্বর আয়াতের অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) শেষ হবার পরপরই।
এক নজরে আয়াত ৪টি হতে প্রাপ্ত তথ্য:
পৃথিবী সৃষ্টিতে ব্যয়িত সময়= ২দিন
অন্যান্য কাজে (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) ব্যয়িত সময়= ৪ দিন
আকাশ সৃষ্টিতে ব্যয়িত সময়= ২ দিন
আকাশ সৃষ্টি শুরু হয় অন্যান্য কাজের পরে এটা বলা থাকলেও অন্যান্য কাজ যে পৃথিবী সৃষ্টি শেষ হবার পর শুরু হয়েছে এমন কোন তথ্য এখানে নেই।
কাজেই এই আয়াতগুলো থেকে যারা হিসাব করেন যে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে (২+৪+২) বা ৮ দিন লেগেছে, তারা আনুষঙ্গিক পাঠের গণিতে কাঁচাদের মতোই হিসেব করেন। সমান্তরালভাবে যে একাধিক কাজ হতে পারে এটা যেন তাদের ধারণাতেই আসে নাই।
প্রথমে যেহেতু পৃথিবী সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে কাজেই পৃথিবী সৃষ্টিতে লেগেছে প্রথম ২ দিন।
শেষে যেহেতু আকাশ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে কাজেই আকাশ সৃষ্টিতে লেগেছে শেষের ২ দিন।
আর ১০ নং আয়াতের অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা) সম্পাদিত হয়েছে আকাশ সৃষ্টির আগের ৪ দিনে।
ফলাফল:
১.১ এর আয়াতগুলো হতে আমরা জেনেছি:
মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে মোট সময় লেগেছ ৬ দিন এবং একাধিক কাজ সমান্তরালেও ঘটেছে। এখন ১.২ এর আয়তগুলোতে প্রাপ্ত কাজগুলোকে এই ৬ দিনের ফ্রেমের সাজানো যায় কিনা দেখি-

দিন-১

দিন-২

দিন-৩

দিন-৪

দিন-৫

দিন-৬
৯ নং আয়াত

পৃথিবী সৃষ্টি
(প্রথম ২দিনে)

১০ নং আয়াত

অন্যান্য কাজ (যথা খাদ্যের ব্যবস্থা)
(শেষের ২দিনের আগের ৪ দিনে)

১২ নং আয়াত





আকাশ সৃষ্টি
(শেষের ২ দিনে)
কাজেই আমরা বলতে পারি, পৃথিবী সৃষ্টির সাথে অন্যান্য কাজ ও সমান্তরালে সম্পাদিত হতে থাকে। ২য় দিনে পৃথিবী সৃষ্টি শেষ হয়, ৪র্থ দিনে অন্যান্য কাজ (খাদ্যের ব্যবস্থা) শেষ হয়, শেষের ২ দিনে আকাশ সৃষ্টি শেষ হয়। এভাবে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু হতে আকাশ সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত মোট ৬ দিনই লাগে।
(২||৪)+২=৪+২=৬
সুতরাং, এখানে পরস্পরবিরোধিতার অভিযোগ একেবারেই অযৌক্তিক।

মামলা বা জি ডি করার প্রক্রিয়া।


♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣
মামলা করার প্রক্রিয়া  ও তার পরবর্তী  কার্যক্রম।

১। কোন ধর্তব্য অপরাধের খবর পেলে জনগণ তা সাথে সাথে পুলিশকে জানাবে।

২। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে জনগণ বা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিতে বা নিতে পারে।

৩। ধর্তব্য অপরাধের ক্ষেত্রে পাবলিক বাদী হয়ে মামলা দিতে হলে  …

ক) থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর  একটি লিখিত অভিযোগ দিতে হবে ।

খ) অভিযোগ প্রাপ্তির পর পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ঘটনাটি  সঠিক পাইলে উক্ত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে থানায় মামলা হবে।

গ) মামলা রুজু হবার পর মামলাটি    তদন্ত করার জন্য পুলিশ উপ-পরিদর্শক বা তার উর্ধতন কোন পুলিশ অফিসার মানলাটি  তদন্ত করবেন ।

ঘ) পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার চেষ্টা করবে।

ঙ) তদন্ত শেষে তিনি ঘটনার সাথে আসামিদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমান পাইলে  তাদের   বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

চ)  প্রমান না পাইলে মামলাটি নিস্পত্তির জন্য আদালতে চুরান্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন।

ছ) অভিযোগ প্রাপ্তির পর কোর্ট আসামীদের গ্রেফতার করিয়া আদালতে সোপর্দ করার জন্য আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করবে।

জ)  ওয়ারেন্ট জারির পরও যদি আসামীদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা না যায় তবে কোর্ট আসামীদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য আদেশ দিয়ে থাকেন।

ঝ) তার পরও যদি আসামীরা আদালতে হাজির না হয় বা তাদের হাজির করা না যায় তবে তাদের আদালতে একটি নিদ্রিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির হবার জন্য দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বলা হবে।

ঞ) বিজ্ঞপ্তি জারির পরও যদি আসামিরা আদালতে হাজির না হয় তবে আদালত তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শুরু করে থাকে।





সাধারণ ডাইরী (জিডি) করার নিয়মাবলী



সাধারণত কোন কিছু হারিয়ে গেলে বা অধর্তব্য  অপরাধের ক্ষেত্রে থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়।

সাধারণ ডাইরী করার ধাপ সমুহঃ



ক) যে থানা এলাকায় ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে সে থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ঘটনাটি কখন, কোথায়, কিভাবে  ঘটেছে  ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে  সাধারণ ডাইরী করার আবেদন করতে হয়।

খ) থানায় ডিউটি অফিসার,  অফিসার ইনচার্জ এর পক্ষে উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণত সাধারণ ডাইরী লিপিবদ্ধ করে থাকে ।

গ) বাদীর আবেদনপত্রে সাধারনত কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার স্বাক্ষর করে বাদীকে সাধারণ ডাইরীর এক কপি বুঝিয়ে দিবেন।



জিডি তদন্ত করার নিয়ামবলীঃ





ক) প্রথমে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের অনূমতির চাহিয়া তদন্তকারী অফিসার আদালতের কাছে আবেদন করিবেন।

খ) আদালতের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে তদন্তকারী অফিসার ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে যাবেন।

গ)প্রাপ্ত সাক্ষী প্রমানে বিবাদীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে  প্রমানীত হইলে প্রমানীত হইলে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আদালতে বিচারের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতের বরাবর নন এফ আই আর প্রসিকিউসন নিতে হয় ।

Online Bangla Typing (বাংলা লিখুন)


কম্পিউটারে বাংলা লেখার অনেক গুলো পদ্ধতি আছে। সাধারণত বাংলা লেখার জন্য কম্পিইটারে কিছু সফ্টওয়ার যেমন অভ্র, বিজয় ইত্যাদি ইনস্টল করতে হয়।এসব সফ্টওয়ারে বিভিন্ন লেআউট যেমন Avro Easy, Bornona, Probhat, Bengali Inscript, Phonetic, Click n Type layout ইত্যাদি ব্যবহার করে সহজেই বাংলা টাইপ করা যায়। সফ্টওয়ার ইনস্টল করা ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বাংলা লেখা সম্ভব। English-bangla.com ওয়েবসাইটেও সফ্টওয়ার ইনস্টল ছাড়া বাংলা লেখা যায়।
তবে বাংলা টাইপ করার সবচেয়ে সহজ দুটি পদ্ধতি হলো Phonetic (English-bangla) and Click n Type লেআউট ব্যবহার করা।
English-bangla.com এ দুটো পদ্ধতিতে সহজেই বাংলা টাইপ করা যায়।এ দুটো পদ্ধতিতে বাংলা লেখার নিয়ম এখানে দেখানো হলো।

Phonetic (ফনেটিক):
Phonetic হলো উচ্চারণের সাথে সঙ্গতি রেখে বানার পদ্ধতি। যেমন- ‘আমি’ শব্দটি ইংরেজি অক্ষরে ‘Ami’ লিখতে হয়। এভাবেই phonetic পদ্ধতিতে বাংলা লিখতে হয়। Phonetic পদ্ধতিতে বাংলা টাইপ করার জন্য আলাদা ভাবে কীবোর্ড মুখস্থ করার প্রয়োজন নেই। ২-৫ মিনিট চর্চা করে যে কেউ বাংলা লিখতে পারবে।
যা যা মনে রাখতে হবে:
১. ইংরেজি ছোট অক্ষর এবং বড় অক্ষর (Small Letter and Capital Letter) এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
যেমন: small ‘y’ চাপলে ‘য়’ হয় আর capital ‘Y’ চাপলে যফলা হয়।
২. যুক্ত বর্ণ লেখার নিয়ম জানতে হবে। সাধারণত হসন্ত (্) যোগে দুটো বা তার বেশি বর্ণকে যুক্ত করতে হয়। Phonetic নিয়মে প্লাস (+) দিয়ে হসন্ত হয়।
যেমন:
k+l= ক্ল;    s+t= স্ট;    S+N= ষ্ণ;    T+T+b=ত্ত্ব;    Ng+k=ঙ্ক;    Ng+g=ঙ্গ ;   j+NG=জ্ঞ;    NG+c=ঞ্চ;    NG+j=ঞ্জ;    NG+C=ঞ্ছ;    N+d=ণ্ড ইত্যাদি।
উদাহরণ:
- Amra baNgali : আমরা বাঙালি ।
- bangla: বাংলা
- Ingreji- ইংরেজি
- Dh+bniTT+T+b : ধ্বনিতত্ত্ব
- ras+t+r bYbs+Tha : রাস্ট্র ব্যবস্থা


নিম্নে বাংলা অক্ষরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ইংরেজি অক্ষর গুলো দেওয়া আছে।
ক   খ     গ
k,  kh,   g
gঘ
gh,Gঙ
Ngচ
cছ
ch, Cজ
jঝ
jh, Jঞ
NGট
tঠ
thড
dঢ
dhণ
Nত
Tথ
Thদ
Dধ
Dhন
n প
pফ
ph, fব
bভ
bh, vম
mয
zর
rল
lশ
shষ
Sস
sহ
hক্ষ
k+Sড়
Rঢ়
Rhয়
yৎ
ttং
ngঃ
Hঁ
NNঅ
Ao আ
a, Aই
iঈ
IIউ
Uঊ
UU ঋ
WRএ
Eঐ
OIও
Oঔ
OUব ফলা
+bয ফলা
Yর ফলা
+rরেফ
r+ঋ কার
wr্(হসন্ত)
HH, +ডট(.)
.. ে
eৈ
oiো
oৌ
ouু
uূ
uuি
iী
iiা
a।(দাড়ি)
http://www.english-bangla.com/posts/bangla_typing

থানায় জিডি করার নিয়ম-কানুন ও একটি নমুনা কপি।


নানাবিধ সমস্যায় পড়ে আমরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দ্বারস্থ হয়ে থাকি। কিন্তু কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা থানায় লিখিত আকারে জানালে পুলিশ এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে। আর কিভাবে আমরা থানা থেকে সেই সহযোগিতা নিতে পারি তা অনেকেরই জানা নেই।

মূল্যবান যে কোনো জিনিস হারালে যেমন- সার্টিফিকেট, দলিল, লাইসেন্স, পাসপোর্ট, মূল্যবান রশিদ, চেকবই, এটিএম বা ক্রেডিট স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ইত্যাদি। অথবা কোনো প্রকার হুমকি পেলে বা হুমকির আশংকা থাকলে কিংবা কেউ নিখোঁজ হলেও জিডি করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে মামলা হয় না সেসব ক্ষেত্রেই থানায় জিডি করা যায়। জিডি করার কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নতুন করে হারানো কাগজ তুলতে হলেও জিডির কপির প্রয়োজন হয়।

এসব ক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজ হলো নিকটবর্তী থানাকে জানানো। আর এটি জানাবেন একটি সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে, যাকে আমরা সংক্ষেপে জিডি বলে থাকি। এ ধরনের জিডি করার অর্থ হলো- বিষয়টি সম্পর্কে থানাকে অবগত করা, যাতে থানা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য অপরাধটি সংঘটিত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারে।

এবার আসুন জেনে নেই জিডিতে কী কী উল্লেখ করতে হবে:

১. থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সম্বোধন করে লিখতে হবে এবং থানার নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে।

২. বিষয় : ‘জিডি করার জন্য আবেদন’- এভাবে লিখতে হবে।
৩. অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা করলে জিডিতে আশঙ্কার কারণ উল্লেখ করতে হবে।
৪. হুমকি দিলে হুমকি দেওয়ার স্থান, তারিখ, সময়, সাক্ষী থাকলে তাদের নাম, পিতার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৫. হুমকি প্রদানকারী পরিচিত হলে তার/তাদের নাম, পিতার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৬. অপরিচিত হলে তাদের শনাক্তকরণের বর্ণনা দিতে হবে।
৭. জিডি নথিভুক্ত করে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে হবে।
৮. সর্বশেষ জিডিকারীর নাম, স্বাক্ষর, পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা ও তারিখ লিখতে হবে।

উল্লেখ্য, জিডি দুই কপি করতে হবে। এক কপি নথিভুক্ত করার জন্য থানায় জমা দিতে হবে, আরেক কপি থানার কর্মকর্তার সিল এবং জিডির নম্বর সংবলিত কপিটি যত্ন করে সংরক্ষণ করতে হবে। জিডি করতে থানায় কোনো ফি দিতে হয় না।

জিডির একটি নমুনা কপি:

তারিখঃ ………………

বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………………..থানা, ঢাকা।

বিষয় : সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির জন্য আবেদন।

জনাব,

আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নাম: …………………………………
বয়স : ………………………………………………………
পিতা/স্বামী : ………………………………………………..
ঠিকানা : …………………………………………………….

এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত …………………….. তারিখ ……………. সময় …………….জায়গা থেকে  আমার নিম্নবর্ণিত কাগজ/মালামাল হারিয়ে গেছে।

বর্ণনা : (যা যা হারিয়েছে)

বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি।

বিনীত

নাম:

ঠিকানা:

মোবাইল নম্বর:

Wednesday, June 22, 2016

কাল্পনিক ঈশ্বর।

কাল্পনিক ঈশ্বরকে সন্ত্তষ্ট করার জন্য আস্তিকদের কোরবানী প্রথার সমালোচনা করলেই শুনতে হয়,- কোরবানী পছন্দ নয়, কিন্তু মাংস তো ঠিকই খান। জ্বি নাস্তিকরাও মাংস খায়। খেতেই হয়। বেঁচে থাকার জন্য এটা খাদ্যচক্র।
কথা হচ্ছে- মাংস কে কিভাবে খায়। এই পৃথিবীতে অনেক জাতিগোষ্ঠী আছে যারা মানুষের মাংস ভক্ষণ করে। একে বলে ক্যানিবালিজম, অর্থ্যাৎ যারা মানুষ হয়েও অন্য মানুষের মাংস খায়। লিবিয়া ও কঙ্গোর বেশ কিছু যুদ্ধে এই ক্যানিবালিজমের চর্চ্চা হয়েছিল। কঙ্গোর লেন্দু উপজাতি মানুষের মাংস খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে পরিচিত। আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোর বিভিন্ন প্রদেশের গহীন জঙ্গলে বাস করে তারা। লেন্দুরা যখন তখন পিগমি উপজাতিদের হত্যা করে তাদের কাঁচা মাংস খেয়ে ফেলে। উল্লাস করে মানুষের মাথা নিয়ে। লেন্দুরা মূলত জীব-জন্তুর মাংস খেয়ে থাকে। পিগমিরা জঙ্গলে বাস করে বলে লেন্দুরা তাদের জীব-জন্তুর ন্যায় মনে করে এবং হত্যা করে। এছাড়া করোওয়াই নামে একটি উপজাতি আছে যারা এখনো বিশ্বাস করে যে নরমাংস ভক্ষণ তাদের সংস্কৃতিরই একটি অংশ। এখনও মিলেনেশিয়ান উপজাতিরা তাদের ধর্ম চর্চ্চায় ও যুদ্ধে ক্যানিবালিজমের চর্চ্চা করে। ক্যানিবালিজম এমন একটি প্রথা যা নৃতত্ত্ববিদদের সমস্যায় ফেলে দেয় মানুষের আচরণের গ্রহণযোগ্যতার সীমানা নির্ধারণে।
আফ্রিকার মাসাই আদিবাসী আর উত্তর মেরু বা সুমেরুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের পশুর রক্ত পান বা কাঁচা মাংস খাওয়ার সংস্কৃতি আমরা সবাই জানি। আফ্রিকার মাসাইরা পশু জবাই করেই তার রক্ত মাটিতে পড়তে দেয়না। তারা পাত্রে সংগ্রহ করে সঙ্গে সঙ্গে জবাই করা পশুর তাজা রক্ত পান করতে শুরু করে। এস্কিমো জনগোষ্ঠীর মানুষেরা শুধুমাত্র কাঁচা মাংস খেয়েই জীবন ধারণ করে। সিদ্ধ মাংস খায় সভ্য সমাজে এমন মানুষ যেমন কম নয়, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য- পশু জবাই করে সঙ্গে সঙ্গেই কাঁচা মাংস খেতে শুরু করে এমন মানুষের সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয়। আবার অনেক জনগোষ্ঠী কাঁচা মাংস খায় রক্তসহ। মাংস ধোয়ারও প্রয়োজন মনে করে না এরা। আফ্রিকা আর ব্রাজিলে এমন অনেক জনগোষ্ঠী আছে- যারা পশু জবাই করেই প্রথমে পশুটির হৃদপিন্ড, ফুসফুস আর কলিজার মতো নরম অংশগুলো নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে। হাতে পাওয়া মাত্রই তা কাঁচা খেতে শুরু করে। এরা সভ্য বিশ্ব থেকে এখনো অনেক দূরে।
ভারতেও এমন অনেক ধর্মীয় জনগোষ্ঠী আছে- যারা পশুর তাজা রক্ত পান করে। তুলনামূলক ভাবে এরা অনেকটা সভ্য হলেও এ রক্ত এরা পান করে ধর্ম বিশ্বাস থেকে। হিন্দুরা এখনো পশুবলি দেয় প্রকাশ্যে, তবে মাংস এরা রান্না করে খায়।
মুসলমানরাও বেশ সভ্য। এরা রক্ত বা কাঁচা মাংস না খেলেও পশু কোরবানী দেয় প্রকাশ্যে এবং উৎসব করে। উৎসবের দিন তাদের লক্ষ লক্ষ পশু কোরবানী দেবার দৃশ্য শিশু থেকে শুরু করে দূর্বলচিত্তের বা অসুস্থ মানুষেরাও উপভোগ করে। তারা প্রকাশ্যে পশু কোরবানীর এ উৎসবকে মোটেও বিভৎস বা বর্বর মনে করে না। বরং এটাকে খুবই সভ্য এবং স্বভাবিক ধর্মীয় আচরণ বলে মনে করে।
ইউরোপিয়ানরাও মাংস খায়। তবে উত্তর ও মধ্য ইউরোপের উন্নত ও শিক্ষিত দেশগুলোতে প্রকাশ্যে পশু এমনকি পাখি জবাই করাও অনেক আগে থেকেই নিষিদ্ধ। কাল্পনিক ঈশ্বরের সন্ত্তষ্টিতে পশু বলি- এ অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস করেনা। এরা পশু বা পাখির মাংস বাজার থেকে কিনে খায়। পশু বা পাখি কোথায় বা কিভাবে জবাই হয়- এ অঞ্চলের মানুষদের তা দেখতে হয় না। ইউরোপের শিশুরা মুরগী বা পশু জবাইয়ের দৃশ্য কখনো দেখেনি। কসাইখানায় পশুর মাংস প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পেশাগত শিক্ষা এবং দক্ষতা অর্জন করার পরই একজন কসাই মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় কসাইয়ের কাজ করার সুযোগ পায়। আর প্রতিটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় থাকে মাংসের গুনগত মান আর রোগ-জীবানু পরীক্ষা করার জন্য নিজস্ব ল্যাবরেটরী। আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া সহ আরো অনেক উন্নত দেশে এরকম ব্যাবস্থা আছে।
মাংস খাওয়ার এত রকম উদাহরণ এজন্য দিলাম যে, আপনাকে আমি এখন প্রশ্ন করতেই পারি,- কোন্ জনগোষ্ঠীর মাংস খাওয়ার সংস্কৃতি বা ধরণ আপনার কাছে সবচেয়ে সভ্য বলে মনে হয়? কোরবানীর প্রশ্নে নাস্তিকরা মুসলমানদের আরেকটু সভ্য হতে পরামর্শ দেয়। অন্য সব ধর্মের ধার্মিকদের পশু বলির বেলায়ও তাই। মাংস খাবার জন্য বা কাল্পনিক ঈশ্বরকে সন্ত্তষ্ট করার জন্য প্রকাশ্যে পশুহত্যা বা রক্তের উৎসব আর যাই হোক, সভ্য মানুষের সুস্থ আচরণ হতে পারে না। আপনারা খেয়াল করলেই দেখবেন, বিশ্বের যে অঞ্চলগুলোতে প্রকাশ্যে পশু জবাইয়ের সংস্কৃতি প্রচলিত আছে, সেসব অঞ্চলে মানুষ জবাইয়ের মত অপরাধও সংঘঠিত হয় বেশি। রক্তারক্তির খেলা শুরু হয় পশু থেকেই, আর তা শেষ হয় মানুষে।

মুসলিম বিজ্ঞানীদের সাথে ১ সাংবাদিকের সাংঘাতিক সাক্ষাৎকার!


বাছাইকৃত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর–

পৃথিবীর গঠন কেমন?
–বিছানা বা কার্পেট এর মত।

রাতের বেলা সূর্য কোথায় যায়?
–আরশের তলায়।

আকাশ কী পদার্থের তৈরী?
–কোনো কঠিন পদার্থের।

পাহাড়-পর্বতের কাজ কী?
–পৃথিবীকে স্থির রাখা।

পৃথিবী, চন্দ্র এবং সূর্যের মধ্যে কোনটা ঘূর্ণায়মান?
–চন্দ্র এবং সূর্য।

উল্কাপিণ্ডের কাজ কী?
–শয়তান তাড়ানো।

শুক্রানুর উৎপত্তি কোথায়?
–মেরুদণ্ড ও পাজরের হাড়ের মধ্যস্থল।

বজ্রপাত কেন হয়?
–মানুষকে ভয় দেখাতে।

মানবভ্রুণে আগে হাড়, নাকি মাংস তৈরী হয়?
–হাড়।

আদমের উচ্চতা কত ছিল; সে কত বছর বেঁচেছিল?
–৯০ ফুট; ৯৬০ বছর।

চাঁদের নিজস্ব আলো আছে?
– হ্যাঁ, আছে।

চন্দ্র-সূর্যগ্রহণ কেন ঘটে?
–মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য।

পুত্রসন্তান কিভাবে হয়?
–ছহবতের সময় ‘ইনশাল্যাহ’ বললে।

জন্মের সময় বাচ্চা কাঁদে কেন?
–শয়তানের আঘাতে।

শয়তান কোথায় ঘুমায়?
–মানুষের নাকের ছিদ্রে।

মানুষের অন্ত্র কয়টা?
–অমুসলিমদের ৭টা, মুসলমানদের ১টা।

ছহিহ বিবর্তন কাকে বলে?
–ইহুদি থেকে ইঁদুর আর শুকর হয়ে যাওয়া।

সন্তানের চেহারা কিভাবে নির্ধারিত হয়।
–আগে বাবার বীর্যপাত হলে সন্তানের চেহারা হবে বাবার মত; আগে মায়ের বীর্যপাত হলে সন্তানের চেহারা হবে মায়ের মত।

চোখ নষ্ট হয় কিভাবে?
–প্রার্থনার সময়ে উপরের দিকে তাকালে।

জ্বরের সময় গা গরম হয় কেন?
–দোজখ থেকে তাপ আসার ফলে।

কী খেলে সব রোগ সেরে যায়।
–কালোজিরা।

মোরগ কেন ডাকে?
–ফেরেস্তাকে দেখলে।

গাধা কেন ডাকে?
–শয়তানকে দেখলে।

রোগের সংক্রমন হতে পারে?
–না, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই।

সাঁপে কাঁটলে কী করা উচিত?
–ঝাড়-ফুঁক করা।

সীরাত অনুসারে পৃথিবীর বয়স কত?
–৬ হাজার বছরের মত।

কিসে প্রমাণ হয় মুহাম্মদ একজন নবী ছিল?
–তার পিঠে নবুয়তির সিল-স্বরূপ একটা তিল ছিল।

‘কাহফবাসীরা’ গর্ত আর গুহার মধ্যে কতদিন ঘুমিয়ে ছিল?
–৩০০ বছর।

ফেরেস্তারা কাকে ভয় পায়?
–কুত্তাকে।

দাবা খেললে কী হয়?
–হাতে শুকরের মাংস ও রক্ত লেগে থাকে।

কিছু কাজ না করেও নবীজি কেন ভাবতেন তিনি তা করে ফেলেছেন?
–তাকে যাদু করা হত।

মদিনার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কী করতে হবে?
–উটের মূত্র পান করতে হবে।

নবীজি কিভাবে খেঁজুর গাছের কান্না               থামাতেন?
–গাছের গায়ে হাত বুলিয়ে।

পানি সংকটের সময় প্রায় ৩০০ জন লোকের ওজুর পানি কোথা থেকে পাওয়া গেছিল?
–নবীজির হাতের তালু ও আঙুলের ফাঁক থেকে।

খাওয়ার সময় খাদ্যদ্রব্য কী করে?
–আল্যার প্রশংসা করে।

নবীজির তিনটি পছন্দের জিনিস কী কী?
–সুগন্ধী, নারী ও খাদ্য।

নামাজ না পড়ে ঘুমালে কী হয়?
–শয়তান কানের মধ্যে প্রস্রাব করে।

পেঁয়াজ-রসুন খেলে কী করতে হবে?
–মসজিদ থেকে দূরে থাকতে হবে।

নবীজি দোজখে কী দেখেছিলেন?
–দোজখবাসীর বেশিরভাগই নারী।

সূর্যগ্রহণ দেখে নবী কী ভেবেছিলেন?
–কেয়ামতের দিন এসে গেছে।

কবরের উপর খেঁজুর পাতা দিলে কী হয়?
–আজাব লাঘব হয়।

ইসলামে মেয়েদের সর্বনিম্ন বিয়ের বয়স কত?
–বয়স কোনো ব্যাপার না।

আফ্রিকানদের চুল দেখে নবী কী বলেছিলেন?
–তাদের চুল কিশমিশের মত।

সিনা-চাক কী জিনিস?
–জিব্রাইল নবীর বুক কেটে জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে বুকের মধ্যে জ্ঞান ও ঈমান ভর্তি সোনার কলস স্থাপন করে দিয়েছিল।

==========================
এরকম জ্ঞানভর্তি সাক্ষাৎকার সবার বুকের মধ্যে স্থাপন করুন।

Monday, June 20, 2016

শিয়া ও সুন্নীর হত্যা কান্ড।

আজকের দিনটা মুসলমানদের জন্য শোকের। বেদনাময়। নবী মুহাম্মদের দৌহিত্র হাসান আর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে এদিন। কারা করেছে এই হত্যাকাণ্ড? হত্যাকারী কি ইহুদি বা খ্রিস্টান ছিল কিংবা পৌত্তলিকরা? না। তারা কেউ অমুসলিম ছিল না। তারা ছিল মুসলমান। নবীরই আত্মীয়। হত্যাকারীরা কি সাহাবি ছিল না? হ্যা, তারাও সাহাবি ছিল। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর যে ইসলামে একের পর এক প্রাসাদ ষড়যন্ত্র আর ক্যু ঘটতে থাকে ক্ষমতা দখল নিয়ে তারই পরিণতি কিন্তু এই কারবালার ঘটনা। এমন কী চার জন খলিফার মধ্যে তিনজন খলিফাকেই জনতার রোষানলে পড়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। আমাদের ইসলামী রাজনৈতিক দলেরা প্রায়ই দাবি করে তারা নাকি খেলাফতের যুগে ফিরে যেতে চান!! হায়রে কপাল, খেলাফতের যুগে গোটা ইসলামি রাজ্যে যে কল্লাকাটাকাটি হয়েছিল, গৃহযুদ্ধের মুখে পড়েছিল মুসলমানেরা, সেটা কিভাবে অস্বীকার করে এই ধর্মান্ধের দল।
মুহাম্মদের মৃত্যুর পরপরই লাশ দাফনের আগেই আমির নির্বাচন নিয়ে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। মক্কা থেকে আগত মোহাজের আর মদিনাবাসীর মধ্যে বাধে এ লড়াই। এরপর আবু বকরকে নির্বাচন করা হলে নবী মুহাম্মদের কাজিন হজরত আলী এর বিরোধিতা করেন। তিনি ভেবেছিলেন, রক্তের সম্পর্ক হিসাবে তিনিই বোধহয় হবেন খলিফা। কিন্তু হতে না পেরে মনোক্ষুণ্ন হন। বিরোধিতা করেন। সেই থেকে শুরু ইসলাম জুড়ে ফ্যাৎনা-ফ্যাসাদ। ফ্যাসাদের তীব্রতা এই যে প্রথম খলিফা আবু বকরের সন্তানই হত্যা করেন তৃতীয় খলিফা হজরত উসমানকে। যখন উসমান নামাজরত অবস্থায় ছিলেন, তখন কোরান বুকে চেপেও নিস্তার পাননি নবীর স্ত্রী আয়েশার ভাই, এবং প্রথম খলিফা আবু বকরের পুত্র মুহাম্মদ ইবনে আবু বকরের রক্তাক্ত ছুরি থেকে। এমন কী উসমান হত্যার পিছনে আয়েশারও হাত ছিল। তার মদদ ছিল। উসমানের পরবর্তী খলিফা আলীর সাথে লড়াই হয় মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশার। জঙ্গে জামাল নামে পরিচিত এই যুদ্ধ। এটা কি গৃহযুদ্ধ নয়? এই যুদ্ধে কত লোক প্রাণ হারিয়েছিল? অগণিত লাশ পড়েছিল সেই যুদ্ধে। কেন, এতো মৃত্যু? কিচ্ছু না। কোনো গায়েবি নির্দেশ না। কোনো জনকল্যাণের কিছু না। জাস্ট ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। প্রাসাদ দখলের লড়াই। এরপর আলীর সাথে যে যুদ্ধ হয় সাহাবি মুয়াবিয়ার সিফফিনের মাঠে তাতে ৭০ হাজার লাশ পড়ে উভয় পক্ষে। যে খারিজিদের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন আলী, সেই খারিজিরাই হত্যা করে আলীকে। আজকে যে আমরা বোকো হারাম, আইএস দেখতে পাই, এরা হচ্ছে সেযুগের খারিজি। মসজিদ প্রাঙ্গনে হত্যা করে আলীকে। খারিজিরা কিন্তু অমুসলিম ছিল না। ছিল না ইহুদি কিংবা খ্রিস্টান। এরা মুসলমানই ছিল। তারপরও তারা নবীর ভ্রাতা আলীকে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।
হজরত আলি নবীর ভ্রাতা হলেও তিনি নবীর কন্যা ফাতেমাকে বিয়ে করেছিলেন। এরপর আর বিয়ে করেন ৮টি। তার সন্তান-সন্ততি ছিল ৩৩। এদের মধ্যে কেবল বিখ্যাত হাসান আর হুসেন। বাকিদের নাম বেশিরভাগই মুসলমান জানেন না। যাইহোক, মুয়াবিয়া আর তার পুত্র এজিদ মিলে হত্যা করেন হাসান আর হোসেনকে। মুয়াবিয়া কিংবা এজিদ এরা হত্যাকারী হলেও নবীরই আত্মীয়। এরা সাহাবি। এরা মুসলমান। ভাই হয়ে ভাইকে এরা হত্যা করে হাত রাঙিয়েছে। অর্থাৎ ইসলামের ইতিহাসে ভয়ঙ্কর দলাদলি, ফ্যাৎনা-ফ্যাসাদ বহিরাগত কিংবা বিধর্মীরা কেউ করেননি। সৃষ্টি হয়েছে নিজেদের মধ্যে। এটাই বাস্তবতা।
আজকে ১০ই মহরম, পবিত্র আশুরা, যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল কারবালার প্রান্তরে তা ভুলে যাবার নয়। ভাইয়ে ভাইকে হত্যা করেছে এইদিন। এদিনকে স্মরণ করে শিয়ারা কাজিয়া মিছিল করে সারা বিশ্বেই। শুনলাম নাইজেরিয়াতে বোকো হারাম বোমা হামলা চালিয়ে আজকে এই কাজিয়া মিছিলে ১৫জন শিয়া মুসলমানকে হত্যা করেছে! কারবালার এই দিনে শিয়াদের হত্যা না করলেই কি হতো না বোকো হারামজাদাদের! এদেরকে ধিক্কার জানাবার ভাষা আমার নেই!! পাকিস্তানে প্রতি বছরই, প্রতি মাসেই শিয়াদের উপর হামলা করে সুন্নীরা। বোমা হামলা করে, কচু কাটা করে, গুলিতে ঝাঝরা করে। উভয়েই নিজেদের মুসলিম দাবি করে, কিন্তু কেউ কাউকে মুসলমান বলে স্বীকার করে না। আবার ইরাকে শিয়া-সুন্নী লড়াই দীর্ঘদিনের। সেই সাদ্দামের মন্ত্রী যিনি ক্যামিকেল আলী নামে পরিচিত ছিল, তিনি সুন্নী মুসলমান। উত্তরে কুর্দি বিদ্রোহ দমনে এবং দক্ষিণে শিয়া বিদ্রোহ দমনে রাসায়ানিক গ্যাস প্রয়োগ করে বিশালাকারে গণহত্যা চালিয়েছিল। ইরাকের জনগোষ্ঠীর শতকরা ৬০ ভাগ শিয়া হলেও শিয়ারা কখনো ক্ষমতার স্বাদ পায়নি। সাদ্দাম আমলে বরং এদেরকে ভয়ঙ্করভাবে নিপীড়ণ করা হয়েছে। সাদ্দামের পতনের পর ক্ষমতার প্রথম স্বাদ পায় শিয়ারা। সুন্নীরা এখন বঞ্চিত। তারা এখন নিগৃহীত। আজকে খবর পেলাম সুন্নী জঙ্গি সংগঠন যারা এতোদিন শিয়া মুসলমান হত্যা করে আসছিল, তারা নাকি গত কয়েকদিনের ভেতর নিজের স্বগোত্রীয় দুই শতাধিক সুন্নীকে হত্যা করেছে। হোয়াট অ্যা সারপ্রাইজ!!
আসলেই ইসলাম মহান! আসলেই ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু এই ধর্ম এমনই একটা ইউটোপিয়ান রাজনৈতিক মতবাদ যা কোনো মুসলমানই অনুসরণ অনুসরণ করতে পারেন না। তাইতো এতো ফ্যাৎনা, ফ্যাসাদ, হত্যাকাণ্ড, আর প্রাসাদ ষড়যন্ত্র।


Simple Electronic Circuit of Power Bank 4200 mAh with 10 Volt and output 5 Volt.


 - As we know that power bank is very useful for our gadget this day. With using power bank we can charge our gadget with electric power whenever and wherever. And now we can find in many electronic market or gadget market sold the power bank.

In this time we will not share you about How to Choose and Buy the Power Bank because we has posted this article several day ego. In this time we want to give you simple electronic circuit schematic Power Bank 4200mAh with input 10 volt and output 5 volt. We hope you can make your own power bank easily with this electronic circuit.

Before we give you this electronic circuit schematic of Power Bank 4200 mAh with Input 10 Volt and output 5 Volt, we will describe you globally about How is the Power Bank Work to charge our gadget.

Power bank itself is a resource that contains a set of batteries with high power. On the market range from 2000mAh - 10000 mAh. This battery has a voltage of 7.4 volt regulator IC is reduced by 7805. Order compatible with mobile devices that range is 3.7 volts. Why must 5 volt?

It is because usually our gadget like handphone using voltage 3.7 volt, the voltage to charge should be higher. So use 5 volts. And if your gadget more than 3.7 volt so you must using power bank with other voltage like 7.4 volt that usually will charge our gadget like smartphone and iPhone.

Electronic Circuit Schematic:


Figure 1. Power Bank Circuit Schematic

Component List:
BT1 = Battery 7.4 Volt, 4200mAh
C2 = 1000uF/16V
C3 = 470uF/16V
R1 = 150 ohm
D1 = LED
U1 = LM 7805

Circuit Performances:
We can charge the battery BT1 with input 10V, 1 Ampere from adapter with open the switch SW1
And we can use to this simple power bank to charge our gadget like handphone with close the switch SW1.
When we close SW1 it mean that power battery from BT1 will regulated into 5 volt using U1 LM 7805 as the output of this Power Bank to charge our gadget.
LED D1 is indicator when we use this power bank to charge our gadget and it is also indicate that switch SW1 is closed.

Note:
That this circuit schematic not using LED indicator to know the Battery BT1 is full or not yet, so we must estimate how long we must charge the battery BT1.
Please open the switch SW1 when the power bank is not used.

Tuesday, June 14, 2016

নবী মুহাম্মদের বহুবিবাহ ও যৌক্তিকতা নাস্তিকদের কটুক্তির ঠ্যাংভাঙ্গা জবাব (পর্ব-১,২,৩)

কোনো মেয়েকে কাছে পেতে চাইলে তার আগে কলেমা পড়ে বিয়ে করে সঙ্গীসাথীদের মুখ বন্ধ করে রাখতেন। কুৎসা রটনা থেকে নিজেকে বাচাতেই বিয়ে করে তারপর মেয়েদের কাছে নিতেন। এ কথাগুলো শুনে রাগ হচ্ছে প্রচন্ড? ভাবছেন শুরুতেই আমার মনগড়া কথা বলে চলেছি? না, তা নয়। নিচের হাদিসটি পড়লেই বুঝতে পারবেন যে বিয়ে কতটুকু গুরুত্ব বহন করত নবির জীবনে।
[Muslim, Book 8, Hadith 3243 | http://sunnah.com/muslim/16/13 ]
“আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিযে করার জন্য অনুমতি দিলেন”
-- হাদিসটি লক্ষ্য করুন। নবি যখনই তার সঙ্গীসাথীদের নিয়ে অভিযানে যেতেন, তাদের সাথে নারী রাখতে হতো সেক্স করার জন্যে। উক্ত অভিযানে সাথীদের সেক্স আকাঙ্ক্ষা মিটানোর জন্যে নবি স্বল্প সময়ের জন্যে কিছু উপহারের বিনিময়ে মেয়ে বিয়ে করতে বলেছিলেন। আর কি বুঝতে বাকি থাকে যে, নবির কাছে বিয়েটা ছিল সেক্স করার আগে লোকমুখ বন্ধ করার জন্যে একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
যাহোক, আর এসব আলোচনা না করে মুল আলোচনায় চলে যাই। নবির বউদের নাম, বিয়ের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
১। খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদঃ
নবির প্রথম বউ। নবী ও খাদীজার মধ্যে ফুফু-ভাতিজার অনেক দূরের সম্পর্ক ছিল। এজন্যই নবুওয়ত লাভের পর খাদীজা নবীকে তার চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবন নাওফিলের কাছে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, "আপনার ভাতিজার কথা শুনুন"। যাক, দূর সম্পর্কের ফুফুর কোন ভ্যালু নেই, বিয়ে হতেই পারে। নবির সাথে বিয়ে হওয়ার আগে খাদিজার আরও দুটি বিয়ে হয়। খাদিজা ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের ও একজন ধনী মহিলা। এতিম নবিকে তিনি তার ব্যাবসার দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। একসময় তাদের বিয়ে হয় । খাদীজার গর্ভে নবীর কন্যা জয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতিমা এবং পুত্র কাসিম ও আবদুল্লাহ জন্ম নেয়। বিয়ের সময় নবির বয়স ছিল ২৫ এবং খাদিজার বয়স তখন ৪০। নবি নিজের থেকে ১৫ বছর বড় একজন মহিলাকে কেন বিয়ে করলেন? এতিম নবির তখন কিচ্ছু ছিল না, খাদিজার বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়াও একটা সাম্ভাব্য কারন।এটা কারও বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। যাহোক, আমরা সেদিকে গেলাম না, এই বিয়েটাকে স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিলাম।
২। সাওদা বিনতে জাময়াঃ
খাদিজার মৃত্যুর পর ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে নবি সাওদাকে বিয়ে করেন। সাওদা তার বৃদ্ধ বাবা ও ভাইয়ের সাথে থাকতেন। তাদের পরিবার ধনী না হলেও তারা স্বচ্ছল ছিল। পরিবারের সম্মান ছিল। তাই সাওদা কোন অসহায় মেয়ে ছিল না। নবির সাথে বিয়ের পুর্বে সাওদার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল এবং সন্তানও ছিল। ধারনা করা হয় বিয়ের সময় সাওদা ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ মহিলা। তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্যের অভাব রয়েছে। সাওদাকে নবি বিয়ে করেছিলেন নবি ও খাদিজার সন্তানদের দেখাশুনা করার উছিলায়। বলা হয়ে থাকে যে এই বয়স্ক মহিলাকে নবি যৌন তাড়নায় বিয়ে করেন নি। তাই যদি হবে, তাহলে সওদার শেষ বয়সটাতে কেন সে স্ত্রীর মর্যাদা হারাবে? দাসী বাদীর মত করে মুহাম্মদের সংসারে থেকে যাবে? কি ভাবছেন? আন্দাজে কথা বলা শুরু করে দিয়েছি? উহু... তা নয়। নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন।
[Muslim, Book 8, Hadith 3451 | http://sunnah.com/muslim/17/62 ]
“Never did I find any woman more loving to me than Sauda bint Zam'a. I wished I could be exactly like her who was passionate. As she became old, she had made over her day (which she had to spend) with Allah's Messenger to 'A'isha. She said: I have made over my day with you to 'A'isha. So Allah's Messenger allotted two days to 'A'isha, her own day (when it was her turn) and that of Sauda.”
[See also: Bukhari, Volume 3, Book 47, Number 766]
[See also: Bukhari, Volume 3, Book 48, Number 853]
সাওদা নবি কর্তৃক অবহেলিত হচ্ছিলেন তার ভাটা পড়া যৌবনের কারনে এবং তালাক পাওয়ার আশংকা করছিলেন। তাই তিনি নবিজি থেকে প্রাপ্য তার ভাগের রাতটি নবির প্রিয় শিশুবউ আয়েশাকে দিয়ে দিলেন। একজন নারী কতটা দুর্ভিষহ পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে? তিনি নবির বউ অথচ নবিকে কাছে পান না! এটা কি নিছক দাসীবাদী হয়ে দিন কাটানো নয়?
অনেকেই বলবেন তিনি বয়সের কারনে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আচ্ছা, তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন বুঝলাম। কিন্তু এমন একটা সিদ্ধান্ত নবি কেন মেনে নিবেন? তিনি কেন তার বউদের সাথে সমান আচরন করবেন না? তাহলে তিনি কেমন মহামানব হলেন? সাওদা বললেন আর অমনি তার সাথে রাত কাটানো ছেড়ে উক্ত সময় আয়েশার সাথে থাকা শুরু করলেন? শুধু তাই নয়, নবির সাওদা প্রতি এমন তাচ্ছ্বিল্য আর তার সাথে রাত কাটানো থেকে বিরত থাকাকে হালাল করতে তাৎক্ষনিক কুরানে এক আয়াত পয়দা করে দিলেন। নিচে লক্ষ্য করুনঃ
[Quran 4:128 | http://quran.com/4/128 ]
“যদি কোন নারী স্বীয় স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে পরস্পর কোন মীমাংসা করে নিলে তাদের উভয়ের কোন গোনাহ নাই। মীমাংসা উত্তম। মনের সামনে লোভ বিদ্যমান আছে। যদি তোমরা উত্তম কাজ কর এবং খোদাভীরু হও, তবে, আল্লাহ তোমাদের সব কাজের খবর রাখেন।”
আর এভাবেই নিজের সুবিধামত আয়াত পয়দা করে তার সব কাজ বৈধ করে ফেলতেন নবীজি।
৩। আয়েশা বিনতে আবু-বকরঃ
আয়েশা ছিলেন নবির সবচেয়ে প্রিয় বউ। উপরোক্ত দুটি বিয়ে করেও নবী আরববাসীর কাছে কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হন নি। সবাই তা স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিয়েছিল। কিন্তু নবি যখন ৬ বছরের মতান্তরে ৭ বছরের বাচ্চা মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেন এবং তার ৯ বছর বয়সে তাকে ঘরে বিছানায় নিয়ে আসেন, তখনই আরববাসী এ নিয়ে নানা কথা শুরু করে। অসংখ্য হাদিস আয়েশার বিয়ের বয়স নিশ্চিত করে। যেমনঃ
[Muslim, Book 8, Hadith 3310 | http://sunnah.com/muslim/16/82 ]
“আয়শা হতে বর্নিত- যখন নবী আমাকে বিয়ে করেন তখন আমার বয়স ছয় বছর , আর আমার বয়স যখন নয় বছর বয়সে তাকে ঘরে বিছানায় নিয়ে আসেন, তখনই আরববাসী এ নিয়ে নানা কথা শুরু করে। অসংখ্য হাদিস আয়েশার বিয়ের বয়স নিশ্চিত করে। যেমনঃ
[Muslim, Book 8, Hadith 3310 | http://sunnah.com/muslim/16/82 ]
“আয়শা হতে বর্নিত- যখন নবী আমাকে বিয়ে করেন তখন আমার বয়স ছয় বছর , আর আমার বয়স যখন নয় বছর তখন আমি স্ত্রী হিসাবে তার গৃহে গমন করি।”
[See also: Bukhari, Vol. 7, Book 62, Hadith 64 | http://sunnah.com/bukhari/67/69 ]
[See also: Bukhari, Vol. 7, Book 62, Hadith 65 | http://sunnah.com/bukhari/67/70 ]
[See also: Bukhari, Vol. 7, Book 62, Hadith 88 | http://sunnah.com/bukhari/67/93 ]
[See also: Bukhari, Vol. 5, Book 58, Hadith 236 | http://sunnah.com/bukhari/63/122 ]
সহিহ মুসলিম শরীফের একটি হাদিসে বলা হয়েছে বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ছিল ৭, নবির ঘরে যাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৯। সে নবির ঘরে বউ হয়ে যাওয়ার সময় তার খেলার পুতুলগুলোও সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল!
[Muslim, Book 8, Hadith 3311 | http://sunnah.com/muslim/16/83 ]
“আয়শা বর্ননা করেন যে – যখন আল্লাহর নবীর সাথে তার বিয়ে হয় তখন তার বয়স ছিল সাত, আর যখন তার বয়স নয় বছর তখন নবী তাকে স্ত্রী হিসাবে ঘরে তোলেন আর তখন আয়শা তার সাথে তার খেলার পুতুল গুলিও নিয়ে যান। আর যখন নবী মারা যান তখন তার বয়স আঠার”
অনেক কাঠমোল্লা নবির এমন অপকর্ম ঢাকতে বলে যে, আবু বকর আর মুহাম্মদ ছিলেন বন্ধু। তারা বন্ধুত্বের সম্পর্ক পাকা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অনেকে আবার বলে বেড়ান যে আবু বকরই আগে নবিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আচ্ছা, নবি কেমন নিম্ন মন মানসিকতার ছিলেন যে বন্ধুত্ব পাকা করতে পঞ্চাশোর্ধ বয়সে ৬ বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করলেন? তার মেয়েকে বিয়ে করা ছাড়া কি সম্পর্ক পাকা হয় না? আপনি কি পারবেন আপনার পঞ্চাশোর্ধ বয়সকালে আপনার ৬ বছরের মেয়েকে আপনার আরেক পঞ্চাশোর্ধ বেস্ট ফ্রেন্ডের কাছে বিয়ে দিতে? আপনি নিশ্চয়ই এমন কাজ করবেন না। এমন বন্ধুর দরকার নেই যার সাথে সম্পর্ক পাকা করার জন্যে পিচ্ছি বোন কিংবা মেয়েকে বিয়ে দেয়া লাগে। তেমনি, আবু বকরও এই বিয়ের কথা শুনার জন্যে প্রস্তুত ছিলেন না, তিনি নবির মুখ থেকে এমন প্রস্তাব শুনে বিব্রত হয়েছিলেন। নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করুন।
[Bukhari, Vol. 7, Book 62, Hadith 18 | http://sunnah.com/bukhari/67/19 ]
“উর্সা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী আবু বকরকে তার কন্যা আয়শাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন।আবু বকর বললেন- কিন্তু আমি তো তোমার ভাই হই। নবী বললেন-তুমি তো আমার ধর্ম সম্পর্কিত ভাই, তাই আয়শাকে বিয়ে করাতে আমার কোন বাধা নেই”
হাদিসটি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই বুঝা যায় যে, আবু বকর নবিকে ভাইয়ের মত দেখত। তিনি মোটেই নবির মুখে এমন প্রস্তাব আশা করেন নি। কিন্তু নবি তাকে কনভিন্স করার চেষ্টা করেছেন। অনেকেই আবার বলতে চাইবেন যে, আগের যুগে বাচ্চা মেয়ে বিয়ে করা স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। আগের যুগে কম বয়স্ক মেয়েদের বিয়ে করলেও তা করতো যুবকরা, পঞ্চাশোর্ধ বৃদ্ধরা নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নবি যদি সে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ওসব কাজ করে যাবেন, তাহলে তিনি আর নবি রইলেন কিভাবে? তাকে তো সেই যুগেই রেখে দেয়া উচিত। এই যুগে কেন তাকে সবাই অনুসরন করবে? নবি এই যুগে আর অনুসরনীয় নয়। নবি তো এসেছিলেন মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে, ভাল মন্দের পার্থক্য বুঝাতে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিশু বিবাহ করার জন্যে নিশ্চয়ই তিনি আসেন নি? তিনি যদি সমাজে চলমান প্রথাই মেনে নিবেন, তাহলে এমন নবি কিভাবে মানুষকে সঠিক পথ দেখাবে?
আয়েশা ছিলেন আবু বকরের কন্যা এবং তারা বেশ স্বচ্ছল ও সম্ভ্রান্ত পরিবার ছিলেন। আয়েশা তো কোন বিপদের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিল না, সে বিধবাও ছিল না, তার পিতা বকর সাহেব কন্যা দায়গ্রস্ত ছিলেন না... এমন একটি পুতুল খেলা বাচ্চা মেয়েকে ঠিক কোন যুক্তিতে বিয়ে করেছিল মুহাম্মদ?
৪। জয়নব বিনতে খুযায়মাঃ
তিনি ছিলেন উবায়দা ইবনে হারিথ এর স্ত্রী। হারিথ বদরের যুদ্ধে মারা যান। তার স্বামী মারা যাওয়ার ৭ মাস পর জয়নবের ২৯ বছর বয়সে (তিনি বৃদ্ধা ছিলেন না) নবি তাকে বিয়ে করেন। এই বিয়েটি ঠিক কি কারনে? মেয়েটি বিধবা বলে নবি তাকে বিয়ে করেছিলেন? প্রথমত, নবির ঘরে তখন আরও স্ত্রী রয়েছে। ঘরে আরও একাধিক স্ত্রী রেখে বিধবা নারী পেলেই তাদের বিয়ে করতে হবে নবির? আশেপাশে কোন সাহাবী ছিল না? আর, নবি তখন মদিনায় হিজরত করেছিলেন। ঐ সময় নবির খুব আর্থিক দুর্দশা চলছিল। আয়েশা কর্তিক বর্নিত হাদিস থেকে জানা যায় এমন অনেক দিন যেত তাদের চুলায় আগুন জ্বলতো না। নিজের এমন দারিদ্রতার মাঝে বিয়ে করে তাদের কিভাবে ভরন পোষন করতেন নবি? পক্ষান্তরে, জয়নব ছিলেন ধনাঢ্য হিলাল গোত্রের মেয়ে, তাদের পরিবার ছিল ধনী। সুতরাং, নবি তাকে বিয়ে করে উদ্ধার করেছেন, এমনটা ভাবাই অনুচিত।
৫। উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবি উমাইয়াঃ
উম্মে সালামার স্বামী ছিল আবদুল আসাদ। তারা ইসলাম গ্রহনের কারনে মক্কা ছাড়তে বাধ্য হন এবং আবিসিনিয়া হয়ে মদিনায় হিজরত করেন। উহুদের যুদ্ধে আসাদ মারাত্মকভাবে আহত হয়ে তারপর বেশ কিছুদিন ভুগে সে মারা যায়। এসময় তাকে বিয়ে করার জন্যে প্রস্তাব পাঠায় আবু বকর। উম্মে সালামা তাকে প্রত্যাখ্যান করে দেন। এরপর তাকে প্রস্তাব পাঠায় উমর। উম্মে সালামা উমরের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন। সবশেষে তাকে প্রস্তাব পাঠায় নবি মুহাম্মদ। সালামা মুহাম্মদের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন। এই ঘটনার পর মুহাম্মদ তার সাথে ব্যাক্তিগতভাবে সাক্ষাত করেন এবং পুনরায় তাকে বিয়ে করার ইচ্ছে ব্যাক্ত করেন [Bewley/Saad 8:63]। উম্মে সালামা জানান যে, তার ছেলেমেয়ে আছে, তারা বিয়ের পর নতুন সংসারে উপেক্ষিত হতে পারে। তাছাড়া নবির অন্য বউদের সাথে থাকতে তার হিংসাবোধ জাগবে। উম্মে সালামা চর্মকারের কাজ করতেন এবং তারা স্বচ্ছলভাবেই চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, নবিজি তাকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করালেন বিয়েতে। নবির অন্য বউদের সাথে থাকতে সালামার হিংসাবোধ হবে, এই কথার উত্তরে নবি বলেছিলেন যে হিংসা কমার জন্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন! তবুও সালামাকে বিয়ে করতেই হবে! যাহোক, বিয়ের সময় সালামার বয়স ছিল ২৭ (তিনি বৃদ্ধা ছিলেন না) এবং নবির বয়স তখন ৫৭। সুতরাং, উম্মে সালামা বিধবা ছিলেন কিন্তু বৃদ্ধাও ছিলেন না এবং অসহায় অসচ্ছ্বল ছিলেন না। উপরন্তু, তিনি আবু বকর, উমর, মুহাম্মদ সহ অনেকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুহাম্মদের কাছে পেরে উঠেন নি।
৬। হাফসা বিনতে উমর:
হাফসা ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমরের মেয়ে। হাফসার সাথে প্রথম বিয়ে হয় হুজাইফার। কিন্তু হুজাইফা বদর ও উহুদ যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়টাতে মারা যান। হাফসার বয়স তখন ১৯ এবং হাফসা বিধবা হয়ে পরেন। ফলে, আবারও দিলের নবীর একটা দায়িত্ব বেড়ে যায়। উমর তার মেয়েকে বিয়ে করার জন্যে প্রথমে আবু বকর ও পরে উসমানকে প্রস্তাব করেন। তারা দুজনেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন কারন তারা জানতেন যে নবি মুহাম্মদ তাকে বিয়ে করার ইচ্ছে পোষন করেছেন। অতঃপর উমর তাদের এমন ব্যবহার সম্পর্কে নবির কাছে অভিযোগ করার জন্যে গেলে নবি উমরকে দেখে মুচকি হাসেন এবং বলেন যে, হাফসা এমন কাউকে বিয়ে করতে চাচ্ছে যে উসমানের থেকে উত্তম। নবির কথা শুনে উমর বুঝতে পারেন যে নবি তাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। অতঃপর উমর খুশি হন এবং হাফসার সাথে নবির বিয়ে হয় যখন হাফসা বয়স ছিল ১৯ বছর। হাফসা উক্ত সময়ের গুটিকয়েক লেখাপড়া জানা মেয়েদের মধ্যে একজন ছিলেন। তার বাবা উমর ছিলেন কুরাইশ বংশের অন্যতম একজন ধণী ব্যক্তি। কাজেই হাফসা মোটেই অসহায় এবং বয়স্কা কোন মেয়ে ছিলেন না।
যাহোক, নবির সাথে হাফসার সাংসারিক জীবন সুখের ছিল না। অশান্তি শুরু হয় যখন হাফসার অনুপস্থিতিতে তার বিছানায় নবি তাদের দাসী মারিয়ার সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়। এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে মারিয়াকে নিয়ে আলোচনার সময়। এখন এ বিষয় থেকে বিরত থাকলাম।
(চলবে...)
পর্ব-২> https://www.facebook.com/AtheistBangla/photos/a.1590604184514029.1073741828.1590339541207160/1702629236644856/
পর্ব-৩> https://www.facebook.com/AtheistBangla/photos/a.1590604184514029.1073741828.1590339541207160/1702630396644740/


নবী মুহাম্মদের বহুবিবাহ ও যৌক্তিকতা
নাস্তিকদের কটুক্তির ঠ্যাংভাঙ্গা জবাব (পর্ব-২)
==============================
(... ১ম পর্বের পর থেকে...)

৭। জয়নব বিনতে জাহশঃ
উপরোক্ত একের পর এক বিয়ে ও সমালোচনা সামলে নিয়েছিলেন দিলের নবী। কিন্তু জয়নব বিনতে জাহশ এর সাথে বিয়ের পর যে সমালোচনা শুরু হয়েছিল সাহাবিদের মধ্যে, তা সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হয় নবির। বেশ কিছু কুরানিক আয়াতও পয়দা করতে হয়েছিল পরিস্থিতি সামাল দিতে। আসছি সে কথায় একটু পর। জয়নব ছিলেন সম্পর্কে মুহাম্মদের ফুফাতো বোন। একই সাথে মুহাম্মদের পালিত পুত্র জায়েদের স্ত্রী। মুহাম্মদ কর্তৃক পুত্রবধুকে বিয়ে করার কাহিনীটা একটু লম্বা। যথাসম্ভব সংক্ষেপে আলোচনা করছি। আশা করি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন।

জায়েদ ও জয়নবের বিয়ের মধ্যস্ততা করেছেন নবি নিজেই। নবিই জয়নবকে তার পালিত পুত্র জায়েদের জন্যে পছন্দ করেছিলেন। সে সময় জয়নবের প্রতি নবির অন্যরকম কোন আকাক্ষা ছিল না এবং সরল মনেই পুত্র জায়েদ ও জয়নবের বিয়ে দেন। জায়েদ ও জয়নবের বিবাহ সম্পন্ন হবার পর স্বামী-স্ত্রী মদীনায় তাদের নিজ বাসগৃহে বাস করতেন।

জারীর তাবারীর বর্ননা অনুসারে,
একদিন জায়েদ যখন বাড়ীর বাইরে ছিলেন, তখন অপ্রত্যাশিতভাবে মুহাম্মদ তাদের বাসগৃহে আসেন। ঘরের ভিতর জায়েদ আছে কিনা দেখার জন্য দরজার ফাক দিয়ে মুহাম্মদ উকি মারলে ঘরের ভিতরে থাকা জয়নবকে দেখতে পান বেশামাল পোশাকে। মুহাম্মদ এরুপ পোশাকে যুবতী জয়নবকে দেখে হতচকিত হন এবং তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসেঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ্র, হৃদয় যেভাবে চায় তিনি সেভাবে বদলে দিতে পারেন।” তারপর তিনি ফিরে যান।(বলে রাখা ভালো, “হৃদয় বদলে যাওয়া”র অর্থ নবি আগে তাকে ভ্রুক্ষেপ না করলেও এই ঘটনার পর তার মন পরিবর্তন হতে শুরু করে।) জায়েদ বাড়ি আসলে এই ঘটনা জয়নব সগর্বে তার স্বামী জায়েদকে বলে যে নবি তার প্রেমে পড়েছেন।

জায়িদ মুহাম্মদের প্রকৃতি সম্পর্কে এতটাই জানতেন যে, আরবের সাধারণ মানুষের জন্য যেটা অচিন্তনীয় ছিল যে, সে ধরনের কথাও তিনি মুহাম্মদকে বলতে সাহস করেছিলেন। ঘটনা জানার পর আতঙ্কিত জায়েদ মুহাম্মদকে খুঁজে বের করেন। জায়েদ খোলাখুলি পালক-পিতাকে বললেনঃ “আপনি হয়ত জয়নবকে পছন্দ করেছেন। সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য আমি তাকে ত্যাগ করছি।”এ কথা শুনে মুহাম্মদ উত্তর দিলেন, “তুমি তোমার স্ত্রীকে রাখ।” [Quran 33:37] এ এ সম্পর্কিত আয়াতও রয়েছে। ঘটনার সম্পর্কিত এই হাদিসটিও দেখতে পারেন [Sahih Bukhari 9:93:516 | http://sunnah.com/bukhari/97/48 ]।
লক্ষ্য করুন, ভালো মনের লোক হলে সে জায়েদকে তাৎক্ষনিক তিরস্কার করে বলতো যে, জায়েদ, তুমি এসব কি বলছো? সে আমার পুত্রবধু। তুমি এমন কথা বলার সাহস করলে কিভাবে? কিন্তু নবিজি এমন উত্তর না দিয়ে বললেন যে তুমি তোমার স্ত্রীকে রাখ। তার মানে সে মনে মনে রাজি। এবং তার মনের এই রাজি ভাব ও লোকলজ্জার ভয় Quran 33:37 (...আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন…) দ্বারা প্রমানিত হয় এবং তা পানির মত পরিস্কার।

জায়েদ সম্পূর্ণরূপে সচেতন ছিলেন যে, মুহাম্মদ যা চান তা পাবার পথে যে ব্যক্তি প্রবিন্ধক হওয়ার সাহস করবে, তাকে ধ্বংস করার মত সামর্থ্য মুহাম্মদের আছে। নইলে স্ত্রীকে যখন রক্ষা করার জন্য জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করার কথা, সেখানে নিজে থেকেই জয়নবকে মুহাম্মদের হাতে তুলে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারতেন না।মুহাম্মদ আপাতত জয়নবকে রাখতে বললেও তার মনে ছিল অন্য কথা, সে মনে জয়নবকে পাওয়ার ইচ্ছে গোপন করছিল। এবং লোকলজ্জার ভয়ে তা বলতে পারছিল না। এ সম্পর্কে কুরানের উক্ত আয়াতটি না দিয়ে পারলাম না।

[Quran 33:37, | http://quran.com/33/37 ]
“আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে।”

আয়াতটি লক্ষ্য করুন। নবি যখন জায়েদকে বলেছিল যে তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও, সে সময় সে অন্তরে অন্য কিছু গোপন করছিল যাতে কিনা লোকলজ্জার ভয় রয়েছে। একজন মুর্খও বুঝবে যে নবি কি বাসনা গোপন করেছিল। আবার এও বলা হচ্ছে যে, আল্লাহ সেই গোপন বাসনা প্রকাশ করে দিবেন, মানে নবি কিন্তু আশা ছাড়েন নি জয়নবের, প্ল্যান করেছেন পরবর্তীতে আল্লার উপর দিয়ে চালিয়ে দিবেন তার বিয়ের দায়ভার।

জায়েদ বুঝতে পেরেছিলেন যে মুহাম্মদ তার বাসনা চরিতার্থ করবেই। অবশেষে জায়েদ তার বউকে তালাক দেয় এবং নবি তাকে বিয়ে করেন। বিয়েতে নবি বেশ বড় রকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং অনেক অতিথি দাওয়াত করেন। কিছু অতিথি দাওয়াত খাওয়া শেষ করেও গল্পগুজবে মেতে ছিল এবং ফিরে যাওয়ার নাম করছিল না। আর এদিকে নবি অপেক্ষায় আছেন যে কখন তিনি জয়নবের সাথে সাক্ষাত করবেন। তাছাড়া অতিথিদের কেউ যদি জয়নবের রুপ লাবন্য দেখে ফেলে! এটাও ভয় হচ্ছিল। তাই, নবি অতিথিদের নিজ বাড়ি থেকে তাড়াতে এবং বউদের পর্দায় রাখতে তাৎক্ষনিক কুরানে এক আয়াত পয়দা করে দিলেনঃ

[Quran 33:53, http://quran.com/33/53 ]
“হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ।”

মেরু অঞ্চলে যেখানে ৬ মাস দিন ৬ মাস রাত থাকে, সেখানে নামাজ রোজার নিয়ম নিয়ে কুরানে কোন বাণী নেই, অথচ দাওয়াত খেয়ে অতিথিদের তাড়াতাড়ি মুহাম্মদের বাড়ি ছাড়তে হবে, এ নিয়ে কুরানে এত বড় আয়াত! কা্রো বুঝতে কষ্ট হয় না যে মুহাম্মদ নিজ প্রয়োজনে অতি তুচ্ছ বিষয়েও আয়াত পয়দা করতেন।

যাহোক, এই বিয়ের পর মুহাম্মদের এরকম কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যায়ক্রমে বেশ কিছু আয়াত কুরানে পয়দা করেছিলেন। কিছু তুলে ধরা হলো নিচে।

**Quran 33:4 | http://quran.com/33/4
“আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন।”
-- দেখুন আল্লাহ নামধারী মুহাম্মদ কত অমানবিক। জয়নবের সাথে বিয়ে হালাল করতে পালক পুত্রদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো এই আয়াতের মাধ্যমে। এটা কতটুকু মানবিক? পালক কারা আসে? যারা অসহায়, যাদের মাতা পিতা নাই কিংবা থাকলে তাদের ভরন পোষন করেন না কিংবা করতে পারেন না। এমন অসহায় শিশুরাই তো পালক আসে নাকি? শুধুমাত্র নবির কু স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে তিনি সকল পালক সন্তানদের বঞ্চিত করলেন। কুরান যদি সত্যিই সৃষ্টিকর্তার বাণী হতো, তাহলে বলা উচিত ছিলে যে, হে মানবজাতি, তোমরা পালক সন্তানদের নিজ সন্তানদের মত দেখবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করবে। তাই কি উচিত ছিল না?

**Quran 33:50 | http://quran.com/33/50
“হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”
-- সেই সময় নিজের নিকটস্থ আত্মীয় দের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা কে ভাল চোখে দেখা হতো না । তাই ফুফাতো বোন জয়নব কে বিবাহ করার নিন্দা যারা করছিল , এই আয়াতের দ্বারা তাদের নির্দেশ দেওয়া হলো যে ,জয়নব মহম্মদের ফুফাতো বোন হলেও , মহম্মদের বিবাহের জন্য বৈধ । যেহেতু আল্লাহ পারমিশান দিয়েছেন, তাই এই নিয়ে কারো কিছু বলার থাকতে পারে না।

**Quran 33:52 | http://quran.com/33/52
“এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন।”
-- লোকনিন্দা বন্ধ করার শেষ উপায় হিসেবে তিনি আর বিয়ে করবেন না, এই মর্মে আয়াত তৈরি করে নেন। আয়াতটি ভালো করে লক্ষ্য করুন, এখানে নারীর রুপলাবন্যের প্রতি নবির মুগ্ধতার কথা প্রমানিত হচ্ছে এবং সেই সাথে দাসীচর্চার পথ পরিস্কার করা হচ্ছে। {এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে, সুরা আহযাবের এই আয়াত নাযিল হয় ৫ম হিজরিতে, ৬২৭ খ্রিষ্টাব্দে। কিন্তু এই আয়াত নাযিলের পরও মুহাম্মদ জুওয়ারিয়া, মায়মুনা, সাফিয়া, রামলাসহ একাধিক বিয়ে করেন যা স্পষ্ট কুরানের আয়াতের লংঘন! সেক্স এমন একটা বিষয়, নবি নিজেই এক্ষেত্রে কুরানের আদেশ মানতে পারেন না! হাস্যকর।

৮। রায়হানা বিনতে জায়েদঃ
রায়হানা ছিলেন বনু নাদির গোত্রের মেয়ে। তার বিয়ে হয়েছিল বনু কুরাইযা গোত্রে। মুহাম্মদ যখন তাকে আশ্রয় দেন তখন রায়হানা ছিলেন বিধবা, গরীব ও অসহায়। মনে হচ্ছে এই একটি খুবই ভালো কাজ করেছেন নবিজী। সুবহানাল্লাহ!
রায়হানার সাথে বনু কুরাইযা গোত্রের গনহত্যার ইতিহাস জড়িত। নবি বনু কুরাইযা নামক ইহুদি গোত্রকে পরাজিত করে তাদের মধ্যে সকল সাবালক পুরুষদের শীরচ্ছেদ করে ইতিহাসের ঘৃন্যতম গনহত্যা সংগঠিত করেছিলেন। আর সকল শিশু ও মহিলাদের বানিয়েছিলেন দাসদাসী এবং সকল সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন।

কুরানে এ সম্পর্কে নবী বলেন,
[Quran 33:26-27 | http://quran.com/33/26-27 ]
“কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ। তিনি তোমাদেরকে তাদের ভূমির, ঘর-বাড়ীর, ধন-সম্পদের এবং এমন এক ভূ-খন্ডের মালিক করে দিয়েছেন, যেখানে তোমরা অভিযান করনি। আল্লাহ সর্ববিষয়োপরি সর্বশক্তিমান।”

এ সম্পর্কিত বহু হাদিস রয়েছে। আমরা কিছু হাদিস দেখে আসি।
[Bukhari Vol. 5, Book 58, Hadith 148, http://sunnah.com/bukhari/63/30 ]
[See also: Bukhari 4:52:280 | Bukhari 8:74:278 | Muslim 19:4368]
“Narrated Abu-Sa'id al-Khudri: When the tribe of Banu Qurayza was ready to accept Sad's judgment, Allah's Apostle sent for Sad who was near to him. Sad came, riding a donkey and when he came near, Allah's Apostle said (to the Ansar), "Stand up for your leader." Then Sad came and sat beside Allah's Apostle who said to him. "These people are ready to accept your judgment." Sad said, "I give the judgment that their warriors should be killed and their children and women should be taken as prisoners." The Prophet then remarked, "O Sad! You have judged amongst them with (or similar to) the judgment of the King Allah.”

[Bukhari, Vol. 5, Book 59, Hadith 362 | http://sunnah.com/bukhari/64/77 ]
“Narrated Abd-Allah ibn Umar: Banu Nadir and Banu Qurayza fought (against the Prophet violating their peace treaty), so the Prophet exiled Bani An-Nadir and allowed Bani Quraiza to remain at their places (in Medina) taking nothing from them till they fought against the Prophet again). He then killed their men and distributed their women, children and property among the Muslims, but some of them came to the Prophet and he granted them safety, and they embraced Islam. He exiled all the Jews from Medina. They were the Jews of Banu Qaynuqa, the tribe of Abdullah bin Salam and the Jews of Bani Haritha and all the other Jews of Medina”

তাদের গনহত্যা কতটা নির্মম ছিল তা দেখুন নিচের হাদিসে।
[Abu Dawud, Book 14, Hadith 2665 | http://sunnah.com/abudawud/15/195 ]
Narrated Aisha:
“No woman of Banu Qurayzah was killed except one. She was with me, talking and laughing on her back and belly (extremely), while the Messenger of Allah was killing her people with the swords. Suddenly a man called her name: Where is so-and-so? She said: I I asked: What is the matter with you? She said: I did a new act. She said: The man took her and beheaded her. She said: I will not forget that she was laughing extremely although she knew that she would be killed.”
-- গনহত্যার নির্মমতা দেখুন। উক্ত গনহত্যার সময় সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে হত্যা করা হয়। সকল মহিলাদের দাসী বানানো হয়, তবে একজন মাত্র মহিলাকে হত্যা করা হয়েছিল। নবি সেই মহিলার দের দাসী বানানো হয়, তবে একজন মাত্র মহিলাকে হত্যা করা হয়েছিল। নবি সেই মহিলার সামনেই তার পরিবারের লোকজনকে শীরচ্ছেদ করে চলছিলেন, এমন মুহুর্তে যে কারোরই পাগলের মত আচরন করা স্বাভাবিক। মহিলাটি এসময় জোরে জোরে হাসা শুরু করল। এমন হাসাহাসির অপরাধে তাকেও হত্যা করা হয়েছিল।

যাহোক, বনু কুরাইযার সেই গনহত্যায় রায়হানার স্বামীকে খুন করা হয়। তাই রায়হানা বিধবা হয়েছিল। রায়হানাদের সকল সম্পত্তি মুসলিমরা দখল করে নেয়, তাই রায়হানা গরীব ও অসহায় হয়ে গিয়েছিল। এমন একটি বিধবা গরীব মেয়েকে আশ্রয় দিয়ে দিলের নবি বহুত সওয়াবের কাজ করেছিলেন। নবি তাকে যৌনদাসী হিসেবে রেখেছিলেন, তাকে বিয়ে করেন নি। তবে, এ বিষয়ে দ্বিমত আছে, কতক ইসলামি পন্ডিত দাবি করেন নবি তাকে বিয়ে করেছিলেন।

৯। জুওয়ারিয়া বিনতে হারিথঃ
জুওয়ারিয়া ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী এবং বনু মুস্তালিক গোত্রের প্রধান আল হারিথ এর কন্যা। এই মেয়েটির ঘটনাও প্রায় রায়হানার অনুরুপ। নবির সাথে বিয়ের সময় এই মেয়েটিও ছিল বিধবা, কারন ঐ একই। যুদ্ধে মুসলিমরা তার স্বামীকে হত্যা করে, সে বিধবা হয় [Bewley/Saad 8:83]। এরপর সকল নারীদের মত করে সেও যুদ্ধবন্দী দাসীতে পরিণত হয়। সে নবির কাছে গিয়ে গোত্রপ্রধানের কন্যা হওয়ার সুবাধে তার মুক্তি দাবি করে। কিন্তু নবি তা প্রত্যাখান করে। যুদ্ধের সময় হারিথ পালিয়ে বেচে যান। পরে তিনি তার মেয়ে জুওয়ারিয়াকে মুক্ত করতে নবির কাছে মুক্তিপন দিতে চান [Ibn Hisham note 739]। কিন্তু এতেও রাজি হলেন না নবি মুহাম্মদ। নবি মুহাম্মদ বরং জুওয়ারিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন [Guillaume/Ishaq 629; Ibn Hisham note 918; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 182-183.]। অসহায় জুওয়ারিয়া বাধ্য হয়ে বিয়েতে মত দিলেন। তাদের বিয়ের সময় জুওয়ারিয়ার বয়স ছিল ২০ বছর। এভাবেই অসহায় বিধবাদের বিপদের সাগর থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে থাকেন ঘরে ইতোমধ্যে অনেকগুলো বউ থাকা নবি মুহাম্মদ।

১০। রামলা বিনতে আবু সুফিয়ান (উম্মে হাবিবা) :
রামলা ছিলেন মুহাম্মদের শত্রু আবু সুফিয়ানের কন্যা। রামলা ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহ নবি মক্কায় অবস্থানকালেই ইসলাম গ্রহন করেছিলেন। পরে তারা আবিসিনিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বসবাসের এক পর্যায়ে রামলার স্বামী ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করে। অবশ্য এর কিছুদি পর সে মারা যায়। রামলা বিধবা হয়ে পরে। মুহাম্মদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে সে রাজি হয়, ফলস্রুতিতে তাদের বিয়ে হয়, তখন রামলার বয়স ছিল ত্রিশোর্ধ। এই নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কেননা, রামলার বাবা ছিলেন কুরাইশদের নেতা আবু সুফিয়ান। নবি তখন মদিনায় অবস্থানরত এবং তিনি কুরাইশদের সাথে সন্ধি করার উদ্দেশ্যে এই বিয়ে করে বলে ধারনা করা হয়। তাছাড়া আবিসিনিয়ায় তখন অনেক মুসলিমই রামলাকে বিয়ে করার জন্যে আগ্রহী ছিল।

(...চলবে...)



নবী মুহাম্মদের বহুবিবাহ ও যৌক্তিকতা
নাস্তিকদের কটুক্তির ঠ্যাংভাঙ্গা জবাব (পর্ব-৩ । শেষ পর্ব)
==============================
(... ২য় পর্বের পর থেকে...)

১১। সাফিয়া বিনতে হুয়াইঃ
সাফিয়া, আরেকটি দুর্ভাগা মেয়ের নাম। খায়বার দখলের পর সাফিয়ার বাবা স্বামীসহ সকল আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করা হয়। এরপর অন্যান্য সব নারীর সাথে সাফিয়াও যুদ্ধবন্দী দাসী হিসেবে মুসলিমদের কাছে আসে। নবি তার অনুসারীদের আদেশ দেন দাসীদের পছন্দ অনুযায়ী ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে। দাসী বন্টন শেষে সাফিয়া পরেছিল দাহিয়া নামে এক সাধারন মুসলিমের ভাগে। কিন্তু সাফিয়া অনেক সুন্দরী ছিলেন এবং কিছু সাহাবী তাকে দেখে বিস্মিত হলেন। তাছাড়া সে ছিল বনু নাদির গোত্রপ্রধানের কন্যা। তারা ব্যাপারটি মুহাম্মদকে জানান এবং মুহাম্মদ দাহিকে বিরত রেখে সাফিয়াকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন এবং বিয়ে করেন। তখন সাফিয়ার বয়স ছিল ১৬ বছর। যাহোক, নবি আবারও একই কায়দায় স্বামী হত্যা করে সাফিয়াকে বিধবা করলেন এবং বিয়ে করে নিলেন। কারও বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা না যে সদ্য বাবা আত্মীয় স্বামী সব হারা একটা মেয়ে তখনই শত্রুকে বিয়ে করে তার বিছানায় যেতে কি কষ্ট হয়েছিল। মুমিন বান্দাদের হাতে বন্দী মেয়েটির রাজি না হয়েই কি কোন উপায় ছিল?

কথা বাড়াবো না, এ ঘটনা সম্পর্কিত কিছু হাদিস জেনে আসি।
[Bukhari, Vol. 1, Book 8, Hadith 367 | http://sunnah.com/bukhari/8/23 ]
“…We conquered Khaibar, took the captives, and the booty was collected. Dihya came and said, 'O Allah's Prophet! Give me a slave girl from the captives.' The Prophet said, 'Go and take any slave girl.' He took Safiya bint Huyai. A man came to the Prophet and said, 'O Allah's Messenger ! You gave Safiya bint Huyai to Dihya and she is the chief mistress of the tribes of Quraidha and An-Nadir and she befits none but you.' So the Prophet said, 'Bring him along with her.' So Dihya came with her and when the Prophet saw her, he said to Dihya, 'Take any slave girl other than her from the captives.' Anas added: The Prophet then manumitted her and married her…”

[Bukhari, Vol. 3, Book 34, Hadith 437 | http://sunnah.com/bukhari/34/181 ]
“The Prophet came to Khaibar and when Allah made him victorious and he conquered the town by breaking the enemy's defense, the beauty of Safiya bint Huyai bin Akhtab was mentioned to him and her husband had been killed while she was a bride. Allah's Messenger selected her for himself and he set out in her company till he reached Sadd-ar-Rawha' where her menses were over and he married her…”
এ সম্পর্কিত আরও বহু হাদিস রয়েছে। পোস্ট ছোট রাখার স্বার্থে আর উল্লেখ করা হলো না।

১২। মায়মুনা বিনতে হারিথঃ
মায়মুনার স্বামী মারা যাওয়ার পর সে তার বোনের আশ্রয়ে ছিল। তার দুলাভাই ছিলেন মুহাম্মদের চাচা আব্বাস ইবনে আবদুল মোতালিব। সুতরাং, মায়মুনা ছিল নবির চাচীর বোন। মুহাম্মদের চাচা আব্বাস ছিলেন অন্যতম একজন ধনী ব্যক্তি। তাদের কোন অভাব থাকার প্রশ্নই আসে না। এদিকে, নবি তখন মক্কাবাসীর সাথে চুক্তি করে মক্কায় প্রবেশাধীকার পায় এবং সে উমরাহ পালনের জন্যে মক্কায় আসে। মায়মুনা এসময় নবিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং নবি তাতে সম্মত হলে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মায়মুনার বয়স ছিল ৩৫ বছর। লক্ষ্য করুন, মায়মুনা বিধবা ছিল, কিন্তু সে দরিদ্রতার মধ্যে ছিল না। নবি তাকে নিজে বিয়ে না করে অন্য কাউকে বিয়ে করার পরামর্শ দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে নবি নিজেই ঘরে অনেকগুলো বউ রেখে একেও বিয়ে করে নিলেন। আরেকটি মেয়েকে উদ্ধার করলেন দিলের নবী!

১৩। মারিয়া আল কিবতিয়াঃ
নবিজীর যৌনদাসী ছিলেন তিনি। এই দাসী মারিয়ার গর্ভে মুহাম্মদের পুত্র সন্তান ইব্রাহিমের জন্ম হয়েছিল যে কিছুদিন পরেই মারা যায়। মিশরের বাদশাহ মুকাওকিস উপহার হিসেবে নবির জন্যে এই দাসীকে প্রেরন করেন। নবি তাকে গ্রহন করেন এবং হাফসার দাসী হিসেবে নিয়োগ দেন। তাকে নিয়ে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা আছে।
একদিন নবী হাফসার ঘরে যান। হাফসাকে বললেন যে তার বাবা উমর তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। হাফসা তার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে নবি দাসী মারিয়াকে নিয়ে হাফসার বিছানায় যৌনকর্মে লিপ্ত হয়ে যান। হাফসা যখন বাবার বাড়িতে গিয়ে দেখলেন যে তার বাবা তাকে ডাকেনি, তখনই হাফসা বুঝতে পেরেছেন যে নবি তাকে মিথ্যা বলেছে। সে তাৎক্ষনিক ফিরে আসে। ফিরে এসে নবী ও মারিয়াকে যৌনকর্মে লিপ্ত দেখে উন্মত্ত হয়ে উঠেন।

জারীর তাবারীর তাফসীর অনুযায়ী, এসময় হাফসা চিৎকার করতে করতে বলতে থাকেন, “আমার বিছানায় এ কাজ কারবার?” উত্তরে নবি বলেন, “আল্লাহর কসম, আমি তাকে আমার উপর হারাম করে নিলাম”।

চলুন, এ ঘটনাটি সম্পর্কে হাদিস এর বর্ননা দেখে আসি।

[Sunan an-Nasa'I , Vol. 4, Book 36, Hadith 3411 | http://sunnah.com/nasai/36/21 ]
“It was narrated from Anas, that the Messenger of Allah had a female slave with whom he had intercourse, but 'Aishah and Hafsah would not leave him alone until he said that she was forbidden for him. Then Allah, the Mighty and Sublime, revealed:
"O Prophet! Why do you forbid (for yourself) that which Allah has allowed to you.' until the end of the Verse.”
(অনেকেই মারিয়াকে নবীর বউ বলে দাবি করেন। এই হাদিস দ্বারা এটাও প্রমানিত হয় যে মারিয়াকে নবি বিয়ে করেন নি। সে শুধুই যৌনদাসী ছিল।)

হ্যা, নবি উক্ত পরিস্থিতিতে হাফসাকে শান্ত করতে বলেছিলেন যে, দাসী মারিয়াকে তার উপর হারাম করে নিলেন। সেই সাথে এই ঘটনার কথা অন্য কাউকে বলতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আফসোফ হচ্ছিল মারিয়ার জন্যে এবং তাকে হারাতে চাইলেন না নবি। কিন্তু এই কথা হাফসাকে বলার সাহসও পাচ্ছিলেন না। সমস্যা কি, কুরান তো আছেই! তিনি এসময় দাসী মারিয়ার সাথে তার যৌনকাজ হালাল করার জন্যে কুরানে আয়াত পয়দা করলেন। দেখুন নিচে।

[Quran 66:1-2 | http://quran.com/66/1-2 ]
“হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।”

ওদিকে হাফসা ঘটনা গোপন রাখতে পারলেন না নবির নিষেধ সত্যেও। তিনি এই ঘটনা আয়েশার কাছে বলে দিলেন। একই সাথে অন্য স্ত্রীরাও ব্যাপারটা জেনে গেলো। সকল স্ত্রীরা নবির সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল। তখনই নবি ক্ষীপ্ত হয়ে গেলেন স্ত্রীদের উপর এবং শপথ নিলেন যে এক মাস কোন স্ত্রীদের কাছে যাবেন না শুধু দাসী মারিয়ার সাথে থাকবেন। সব স্ত্রীদের একই সাথে তালাক দিতেও চেয়েছিলেন (কিন্তু শেষ পর্যন্ত তালাক দেয়া থেকে বিরত ছিলেন) । ঘটনার সত্যতা জানতে নিচের হাদিসটি দেখুন। অনেক বড় হাদিস, আমি মুল কিছু অংশ তুলে ধরছি, লিঙ্কে গিয়ে পুরো হাদিসটি পড়ে নিন।

[Bukhari, Vol. 3, Book 43, Hadith 648 | http://sunnah.com/bukhari/46/29 ]
“…Who were the two ladies from among the wives of the Prophet to whom Allah said: 'If you two return in repentance (66.4)? He said, "I am astonished at your question, O Ibn `Abbas. They were Aisha and Hafsa."…
…The Prophet did not go to his wives because of the secret which Hafsa had disclosed to `Aisha, and he said that he would not go to his wives for one month as he was angry with them when Allah admonished him (for his oath that he would not approach Maria). When twenty-nine days had passed, the Prophet went to Aisha first of all…”

হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে উক্ত ঘটনাটি নবির নিষেধ সত্যেও হাফসা তা আয়েশাকে বলে দিয়েছিল। এ সম্পর্কে কুরান এও আয়াত পয়দা হয়েছিল। চলুন দেখে আসি।

[Quran 66:3-4 | http://quran.com/66/3-4 ]
“যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন,ঃ যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন। তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।”
এভাবে নবি কুরানের আয়াত দ্বারা আয়েশা ও হাফসাকে গোপন কথা চালাচালি করার জন্যে তওবা করতে তাগিদ দিলেন।

ও আচ্ছা, নবি যে তার সকল স্ত্রীদের তালাক দিতে চেয়েছিলেন, এ বিষয়ে স্ত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কুরানে আয়াতও পয়দা করেছিলেন নবি মুহাম্মদ। চলুন দেখে আসি।

[Quran 66:5 | http://quran.com/66/5 ]
“যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।”
দেখুন, নিজের অপকর্ম ঢাকতে কি সুন্দর করে কুরানে আয়াত পয়দা করতেন আমাদের দিলের নবি। কুরানটাকে ব্যবহার করতেন নিজের প্রয়োজন মত, তার স্বার্থ অনুযায়ী কুরানে আয়াত হাজির করতেন।

***এছাড়াও নবির আরও স্ত্রী ছিলেন যাদের তিনি দ্রুত তালাক দিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সাথে এদের সম্পর্কে খুব একটা তথ্য পাওয়া যায় না এবং সত্যতা নিয়ে স্কলারদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। চলুন, তাদের নামগুলোও দেখে আসি।

১৪। মুলায়কা বিনতে কায়াবঃ
কয়েক সপ্তাহ পরেই নবি এই মেয়েটিকে তালাক দিয়ে দিয়েছিলেন। [Al-Tabari, Vol. 8, p. 187; Al-Tabari, Vol. 39, p. 165; Bewley/Saad 8:106.]

১৫। ফাতিমা বিনতে আল দাহাকঃ
এই মেয়েটিরও একই অবস্থা। কয়েক সপ্তাহ পরেই তালাক পেয়ে যান নবির কাছ থেকে। [Al-Tabari, Vol. 9, p. 138; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 186-188; Bewley/Saad 8:100-101.]

১৬। আসমা বিনতে আল নুমানঃ
ইয়েমেনের রাজকন্যা ছিলেন এবং অত্যন্ত অভিজাত জীবনযাপনে অভ্যস্থ ছিলেন নবির এই বিবি। [Al-Tabari, Vol. 39, p. 189. Her tribe, the Kindah, were the rulers of Yemen]

১৭। আমরাহ বিনতে ইয়াযিদঃ
বিয়ের প্রথম দিনেই তালাক পেয়ে যান এই মেয়ে। [Al-Tabari, Vol. 39, p. 188; Bewley/Saad 8:101.]

১৮। তুকানাহ আল কুরাযিয়াহঃ
এই মেয়েটি যুদ্ধবন্দি হয়ে পরে এবং নবিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। [Al-Majlisi, Hayat al-Qulub vol. 2 chapter 52. Translation by Rizvi, S. A. H. (2010). Life of the Heart. Qum, Iran: Ansariyan Publications]

নবির জীবনি পড়লে আরও কিছু স্ত্রী/দাসীর নাম চলে আসে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের অভাবে আর কারও কথা তুলে ধরা হলো না।

Monday, June 13, 2016

ইসলামী যৌনতা!


মেয়েদের ছবিযুক্ত যেকোন পেইজ বা প্রোফাইলে পাবলিক কমেন্ট চালু থাকলেই বাঙ্গালী মুমিন বান্দারা ওইখানে যেয়ে অশ্লীল শব্দ দিয়ে হাদিস কোরান ঝাড়েন, ধর্ম শিখাতে, পর্দা শিখাতে লেগে যান। সাকিবের বউ, সদ্য জন্মলাভ করা মেয়ে শিশু, নাসিরের বোন এমন যেখানেই নারীকুলের ছবি পাওয়া যাবে কমেন্ট অপশন খোলা থাকলে বাঙালী মুমিন বান্দারা ঝাঁপিয়ে পড়েন কে কার থেকে তীব্রভাবে ভাষা দিয়ে লিখনির মাধ্যমে ধর্ষণ করতে পারেন।

মুহাম্মদ বা ইসলামের সমালোচনায় কিছু বললেই উম্মতে মুহাম্মদি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বকাবকি শুরু করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বকাগুলো যৌনকামনা কেন্দ্রিক। আমি আমার ফেসবুকে ইসলামের সমালোচনায় লিখাগুলোতে ইসলামের পক্ষে বড়বড় কথাবলা লোকগুলোর প্রোফাইল চেক করে প্রায়ই দেখি এদের প্রোফাইলভর্তি থাকে নোংরা-যৌনউত্তেজক পেইজে লাইক দিয়ে।

মুসলিম ছেলেপেলেরা বয়ঃসন্ধির পর থেকে সহজাত যৌন চাহিদাজনিত কারণে অবচেতনভাবে তীব্র অশান্তিতে ভুগে। সহজাত যৌনচাহিদা স্বাভাবিক উপায়ে মেটাতে না পেরে স্বমেহনই ওদের একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়ায়।  ধর্মে আবার সেটাও নিষিদ্ধ থাকায় সেটা করেও একটা তীব্র আত্বগ্লানি/অনুশোচনা ওদের ভিতর কুড়েকুড়ে খায়।

বাইরে এরা নিজেকে একদম যৌনতাহীন সাঁচ্চা মুসলমান দেখাতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে এরা চরম কামুক প্রকৃতির হয়। এই কারণে গুগলে পর্ণোগ্রাফি সার্চে তালিকার প্রথমদিক মুসলিম দেশগুলোই দখল করে ।  এইক্ষেত্রে পাকিস্তান বরাবরই প্রথম স্থান দখল করে।

[পড়ুন পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট  http://tribune.com.pk/story/823696/pakistan-tops-list-of-most-porn-searching-countries-google/   ]

বয়স বৃদ্ধির সাথেসাথে তলেতলে সহজাত যৌনচাহিদাও বাড়তে থাকে কিন্তু সেটা স্বাভাবিক উপায়ে পুরণের কোন উপায় না পেয়ে এদের যৌনতা ক্রমশ বিকৃতরুপ নিতে থাকে আর তাই গুগল সার্চে শিশুদের সাথে সেক্স, ছাগলের সাথে,শুয়রের সাথে, গরুর সাথে সেক্স এইসব সার্চ লিস্টেও তালিকায় সবচেয়ে উপরে থাকে মুসলিম দেশগুলো এবং প্রথমস্থান থাকে পাকিস্তানের দখলে। [ পাকিস্তানী জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট পড়ুন  http://www.pakistantoday.com.pk/2015/01/18/entertainment/pakistan-tops-list-of-most-porn-searching-countries/  ]

মুমিন বান্দারা যৌন সক্ষম বয়স হওয়ার পরেও বিয়ের আগ পর্যন্ত যৌনতার সহজাত সুখ পেতে না পেরে বিকল্প পথ বেছে নেয়। ( বিকল্প পথগুলোর মধ্যে চরম নোংরা ব্যাপার আছে, সমকামী না হয়েও সুযোগে সমলিঙ্গের শিশুকিশোর ধর্ষণ এর মধ্যে সবচে ভয়ানক আর অত্যন্ত দুঃখজনক যে এইসব ঘটনা আড়ালেই গোপন থেকে যায়, ধর্ষিত শিশুকিশোর কখনোই এইগুলো প্রকাশ করেনা)

অন্তর্নিহিত অবচেতন মনের তীব্র যৌন চাহিদা মিটাতে না পেরে এরা এমনই সুযোগ পাওয়া মাত্রই চরম অশ্লীল শব্দ ব্যাবহার করে বিকল্প উপায়ে যৌন আনন্দ খুঁজে পায়। এজন্য ওদের আসলেও দোষও দেওয়া মোটেই ঠিক হবেনা। যৌন সক্ষমতা পাওয়ার পর প্রাণিজগৎ এর নিয়মানুযায়ী তীব্র যৌন আকাঙ্ক্ষা বোধ করবেই আর অবচেতনায় এমন অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করে আর অশ্লীল কল্পনা করেই ওদের সেই চাহিদা মেটাতে হবে। কষ্ট হয় আফসোস হয় এই লোকগুলোর জন্য।

সভ্য মানুষ মাত্রই সেক্স ভালোবাসার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। আর সেই অর্থে প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য সেক্স একটি অত্যাবশ্যকীয় জৈবিক/জৈবনিক  চাহিদা। যৌনতাকে যতোই ট্যাবু করে রাখা হবে যতোই বাধা দিয়ে বা দমিয়ে রাখা হবে ব্যক্তিজীবন ততোই অসহনীয় অশান্ত হবে যার ফলশ্রুতিতে সমাজে নানারুপ বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি হবে আর হচ্ছেও তাই।
 
মুসলমানদের কাছে সেক্স যে ধর তক্তা মারো পেরেক টাইপের কিছু যেখানে ভালোবাসার অনুভবের কোন স্থান নেই। নবীজী সাথে তার বেহিসেব স্ত্রী আর যৌনদাসীদের যৌনক্রিয়ায় ভালোবাসা নামের কোন বিষয়ের বিন্দুমাত্র উপস্থিতি ছিলোনা। হাদিস থেকেই সেটি স্পষ্ট প্রমাণিত হয়।

★ বোখারী ১.৫.২৮২ -এ আনাস বিন মালেক (রাঃ) বর্ণিতঃ রাসুল (সাঃ) একরাত্রিতেই তার সকল স্ত্রীগণের সাথে সহবাস করতেন আর এইসময় তার নয় জন স্ত্রী ছিলেন।
[♦ আরোও দেখুন ৭ম খণ্ড ৬২তম অধ্যায়ের  ৬ নং  এবং ১৬২ নং হাদিস]

নবীজী একরাত্রেই যদি নয়জনের সাথে সহবাস করেন তবে সেখানে মিলনের পূর্বকালীন ভালোবাসা প্রকাশের সময় আর সুযোগ কোথায়। ব্যপারটি কি এমন ছিলো যে নবীজী একজন পরে একজন স্ত্রীর হুজরায় ঢুকতেন আর ঠুসঠাস দিয়ে চলে আসতেন। এটাতো মানুষের আচরণ নয়, ভালোবাসার সময় সুযোগ এইখানে নেই। এতো মানুষ নয় বরং সেক্স মেশিনের মতো একজন পরে একজনকে এইভাবে একরাতে নয়জনকে দিতে থাকা। ছিঃ ছিঃ!!  বিষয়টি ভাবতেই বিচ্ছিরী অশালীন  লাগে।

সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হলো নবীজী নিজেও চরম পর্যায়ের কামুক হতে হতে রীতিমতো কামোন্মত্ত হয়ে পড়েছিলেন।  বিষয়টি সরাসরি হাদিস থেকেই দেখি চলুন।

বোখারী ৭ম খণ্ড অধ্যায় নং ৭১ হাদিস নং ৬৬০ এবং ৬৬১-তে আয়েশা (রাঃ) বর্ণিতঃ আল্লাহর রসুলের উপর কোন অশরীরী ক্রিয়া বা জাদু ভর করতো তাই রাসুল প্রায়ই কল্পনা করতেন তিনি ওই মুহুর্তে যৌনমিলন করছেন কিন্তু আসলে তিনি কিছুই করছেননা।
কি চরম হাস্যকর ব্যপার, বেহিসাব স্ত্রী আর যৌনদাসীর সাথে সেক্স করতে করতে নবীজী কল্পনায়ও সেক্সের ঘোড়া দৌড়াতেন।
♠♠ মুমিন ভাইয়েরা অবান্তর বকাবকি না করে হাদিস-কোরান খুলে নিজের ভাষায় পড়ুন রমজান মাস তাতে আপনাদের সওয়াব হবে আর নিজের ভাষায় হাদিস-কোরান পড়ে আমাদের দলে ভিড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

Sunday, June 12, 2016

ঈশ্বর কি তাহলে সর্ব শক্তিমান নন?


এই বিষয় টা নিয়েই কেন- সেটা আগে বলি, "জনাব জাকির" সাহেবের একটি লেকচারে শুনেছিলাম। তিনি বলছেন,
   "ঈশ্বর সবকিছু করতে পারবেন না। তিনি মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না। তিনি সন্তান রাখতে পারবেন না।"
   সেই সাথে একটি কুটাভাসের (প্যারাডক্স) কথা তিনি বলেন,
     "ঈশ্বর কি জানেন যে আগামীকাল তিনি কি করবেন? যদি জানেন তবে আগামীকাল কি তার ব্যাতিক্রম করতে পারবেন না? যদি ব্যাতিক্রম করতে পারেন তবে গতকাল তিনি ভুল জানতেন। আর যদি ব্যাতিক্রম করতে না পারেন তবে তিনি সর্বসশক্তিমান নন।"
   
এর পর তিনি বলেন তিনি নাকি এরোকম হাজার টি কাজের লিষ্ট করতে পারবেন যা ঈশ্বার করতে পারবেন না।
তাই তার মতে ঈশ্বর সর্ব শক্তিমান নন।
এটা যে কুরয়ানের শিক্ষা বিরোধী তাতে সন্দেহ নাই। এ ইস্যুতে অনেক বিখ্যাত আলেম জাকির নায়েক কে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন।
"ঈশ্বর কি তাহলে সর্ব শক্তিমান নন?"
সতর্ক বার্তাঃ এটি কোনো "ধর্মীয়" পোষ্ট নয় বরং "যুক্তি ও সাধারণ দর্শনবিদ্যার" র পোষ্ট।
১টি প্রশ্নঃ
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কি এমন কোনো ভারি জিনিস তৈরি করতে পারবেন যেটা তোলা সম্ভব নয়?"
উক্ত প্যারাডক্স বা "কুটাভাস" অনুসারে ঈশ্বর যদি এমন জিনিস তৈরি করতে সক্ষম হন- যা তোলা সরানো সম্ভব নয়;
তাহলে,
     (ক) তিনি যদি তার তৈরি করা জিনিস তুলতে না পারেন তবে তিনি সর্বশক্তিমান থাকেন কিভাবে?
     (খ) আর তিনি যদি তার তৈরি করা জিনিস তুলতে পারেন তবে তা "তোলা সম্ভব নয়" কথাটি সত্য হলো কি করে? অর্থাৎ তিনি যা ইচ্ছা তাই তৈরি করতে পারেন নি।
তাহলে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হন কি করে?
এটি আসলে এমন একটি "প্যারাডক্স" বা "কুটাভাস" যা লজিক বা যুক্তির বিপরীত।
এরোকম আরো একটি "কুটাভাস" হলো,
    "ঈশ্বর কি এমন একটি বৃত্ত আঁকতে পারবেন যা বর্গাকার?"
ঈশ্বর আসলে আমাদের কে এমন একটি জগতে পাঠিয়েছেন যুক্তি যে জগতের অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি নিয়ম। যুক্তির বিপরীতে কিছু ঘটা তো দূরে থাক আমাদের জন্য কিছু কল্পনাও করা দূরহ।
যুক্তির নিয়ম হলো, "যুক্তিকে খন্ডন করতে হয় যুক্তি দিয়ে।"
আর আপনার উক্ত এই প্রশ্ন গুলো আসলে সাধারণ যুক্তির বিপরীত। অর্থাৎ এই সমস্যা গুলো "অযৌক্তিক"
তাই "অযৌক্তিক" জিনিস খন্ডন করতে হবে "অযুক্তি" দিয়ে, অর্থাৎ যুক্তির বিপরীতে। কারণ এটাই যুক্তির নিয়ম।
আর কোন ঘটনা ঘটার "যুক্তি" বা "কারণ" হয় শুধুমাত্র একটি (একাধিক ও হতে পারে কিন্তু ঘটনা সমষ্টি একটি) কিন্তু সেই ঘটনা টা ঘটার "অযুক্তির" কোনো সীমানা নাই। একটি ঘটনা ঘটার যুক্তি একটি কিন্তু ঐ ঘটনা টি ঘটার "অযুক্তি" অসীম সংখ্যক।
কি তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে? তাহলে একটি পানির মত সহজ উদাহরণ দেই,
মনে করেন আপনি আমার গালে একটি থাপ্পড় মেরেছেন তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
তাহলে এখানে আমার "গাল লাল" হওয়ার যুক্তি শুধুমাত্র একটি সেটি হলো, "আপনি আমাকে থাপ্পর মেরেছেন।"
কিন্তু আমার গাল লাল হওয়ার "অযুক্তি" -র সংখ্যা হাজারটি- যেমন,
      ১। পানির রঙ স্বচ্ছ, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
      ২। ১+১ এ ২ হয়, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
      ৩। ১+১ এ ৫ হয় না, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
      ৪। ইংরেজ একটি তেল চোরা জাতি, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
      ৫। প্রেসিডেন্ট ওবামা দাঁত মাজেন না, তাই আমার গাল লাল হয়েছে।
     …….  
     ……..
    ……..
এভাবে আমার গাল লাল হওয়ার পেছনে "অযুক্তি" অসীম সংখ্যক হতে পারে। কিন্তু আপনার কাছে "যুক্তি" হতে পারে মাত্র একটি। কারণ আপনি আমাকে নিজ হাতে থাপ্পড় মেরেছেন।
তাই প্রথমোক্ত "অযৌক্তিক" সমস্যার সমাধান অসীম সংখ্যক ভাবে "অযুক্তি" দিয়ে করা সম্ভব হবে।
আর এই সমস্যার সমাধান যখন "অযুক্তি" দিয়ে করা হবে তা "আপনার বোধগম্য" হবে না। কারণ আপনি বাস করেন যুক্তির জগতে যেখানে আপনি "অযৌক্তিক" কিছু কল্পনা পর্যন্ত করতে পারেন না।
কিন্তু বিশ্বাস করুন মানুষের মস্তিষ্কে এত সহজে কোনো অযৌক্তিক কিছু যৌক্তিক বা বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গৃহীত হয় না।
উক্ত সমস্যার সমাধানঃ
তাই যৌক্তিক উপায়েই প্যারাডক্স গুলোর সমাধানে যুক্তি দাঁড় করানো যায়। এখন আমি উক্ত প্যারাডক্স টির যৌক্তিক সমাধান দেব।
তাই,
ওপরের শুধু প্যারাডক্স টি ছাড়া যত কথা বলেছি সব ভুলে যান, মনে করেন যুক্তি নামক মানবিক দূর্বলতা দ্বারা আমি আপনার মস্তিষ্ক নিয়ে একটু খেলা করলাম। আর ওপরের কথা গুলো আপনার মাথার ওপরে দিয়ে গেলে আরো ভালো।
এখন আসেন শুরু করি,
উক্ত কুটাভাস টি যুক্তিবিদ্যার অনেক ক্লাসিক একটি বিষয়। এবং যৌক্তিক সমাধান ও আছে।
তাহলে "ঈশ্বর কি এমন কিছু ভারি বানাতে সক্ষম যা তোলা সম্ভব নয়।"
উত্তর হলো "হ্যা" অবশ্যই তিনি এরূপ কিছু বানাতে পারবেন।
   *"তাহলে তিনি সেই জিনিস টা তৈরি করার পর নিজে সেটি তুলতে পারবেন?"
এর উত্তর হলো "অবশ্যই সেটি তুলতে পারবেন?"
  *তিনি যদি সেটিকে তুলতে পারেন তবে সেটি "তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস হলো কি করে?
এর উত্তর হলো- অবশ্যই "সেটি তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস। কিন্তু তিনি সেটাকে তুলতে পারবেন কারণ, "তিনি অসম্ভব কে সম্ভব করতে পারেন।" জিনিস টা তখনো আসলেই "তোলা সম্ভব নয়" এমন জিনিস।
কিন্তু তিনি সেটা তুলতে পারছেন কারণ, "ঈশ্বারের গুণাবলী ই হচ্ছে অসম্ভব কাজ করা।"
তাই লজিক টা হলো,
তিনি যেহেতু "অসম্ভব" কাজ করছেন অর্থাৎ "জিনিস টাকে তুলছেন" সেহেতু জিনিস টা তোলা "অসম্ভব"।
সমাধান সব কিছু লজিকের মধ্যই আছে; লজিকের বিপরীতে কিচ্ছু যাচ্ছে না।
(অবশ্যই এটি আমার যুক্তি নয়, যুক্তি টি নিশ্চই কোনো বড় মাপের ফিলোসফারের। আমি শুধু নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করে লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র।)
লজিক হলো জগতের একটি সীমাবদ্ধতা। জীবদ্দশায় আমরা কখনো লজিকহীন হতে পারবোনা। যেমনঃ "পাগল লজিক ছাড়া কথা বলে" এ ঘটনার লজিক হলো, "সে তো পাগল তার বৈশিষ্ট হলো লজিক ছাড়া কথা বলা"
যুক্তির সম্পর্ক আসলে মানুষের মস্তিষের সাথে। মস্তিষ্ক নাই তো যুক্তিও নাই। যুক্তি যে মনের সাথে সম্পর্কিত তার একটি প্রমাণ দেই, মনের সাথে সম্পর্কিত বললে ভুল হবে, শুধুমাত্র সচেতন মনে যুক্তির বাস, সাবকনসাস মাইন্ডে যুক্তির প্রচন্ড অভাব লক্ষনীয়, প্রমান টা দেখুন,
এই পৃথিবী তে একটি মাত্র বিশেষ অবস্থা আছে যখন মানুষ লজিক্যাল জগতের একটু হলেও বাইরে চলে যায়, সেটা হলো "স্বপ্ন"
"স্বপ্নের" একটি বৈশিষ্ট্য হলো "স্বপ্নের ঘটনার কোনো লজিক নাই। কারন সাব কন্সাস মাইন্ড লজিক বোঝায় অত্যন্ত অজ্ঞ"
যেমন, আপনি একটি মানুষকে স্বপ্নে দেখছেন পরক্ষনেই দেখছেন সেই মানুষ টি হলো অন্য কোন মানুষ; অথবা সে হয়ে গেছে হয়ে গেছে- অন্য কোন মানুষ। আগে যে মানুষটিকে আপনি দেখছিলেন এ সে নয়; এবং ঠিক তখন (অর্থাৎ স্বপ্ন দেখার সময়) এই অযৌক্তিক ঘটনা কিভাবে ঘটলো এ চিন্তা করা ছাড়াই আপনি অকপটে মেনে নেন যে হ্যা সেই আগের মানুষ টি অন্য মানুষ হয়ে গিয়েছে।
লজিক হলো মানুষের মনের "সীমাবদ্ধতা" ;
মানবসম্প্রদায় যুক্তির সীমায় আবদ্ধ।
এবং যুক্তি কখনোই জগত সমূহের নিয়ম নয়। যুক্তি হলো শুধু আমি বা আমরা যে জগতে বাস করি সেই জগতের নিয়ম।
কোন যুক্তিবাদী বন্ধু হয়ত বা বলবেন যুক্তির অস্তিত্ব সব জগতেই আছে; কিন্তু তা আপেক্ষিক। অর্থাৎ বিভিন্ন জগতে যুক্তি বিভিন্ন রকম।
   -এ কথা কেউ বললে আমি তার বিরোধীতা করতে চাইলেও করতে পারবো না।
"বিভিন্ন জগতে যুক্তি বিভিন্ন রকম" বরং একটা উদাহরণ দেই,
আচ্ছা একটা উদাহরণ দিচ্ছি,
(আপনাকে এখন একটু কল্পনা প্রবন হতে হবে)
মনে করেন, একটি জগৎ আছে যেটি দ্বিমাতৃক অর্থাৎ সেই জগতের মাত্রা মাত্র দুটি, দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ।
ব্যাপার টা আরো সহজ করার জন্য একটি সাদা কাগজ কে দ্বিমাতৃক জগৎ ধরে নেই।
এবার সেই দ্বিমাতৃক জগতে একটি বৃত্ত কল্পনা করুন। অর্থাৎ সাদা পৃষ্ঠায় একটা বৃত্ত অংকন করুন। এখন মনে করেন বৃত্তের পরিসীমার বাইরে একটি বিন্দু আছে।
এখন কোনো ভাবে কি বৃত্তের পরিসীমা ক্রস না করে বিন্দুটি কি বৃত্তের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে?
অসম্ভব, ওই বিন্দু টি যদি বৃত্তের পরিধী ভেদ করা ছাড়াই বৃত্তের ভেতরে ঢুকরে চায় সেটা দ্বিমাত্রিক জগতে কোনো ভাবেই সম্ভব না।
কিন্তু এই ঘটনা টিই ত্রিমাতৃক জগতে ঘটা অত্যন্ত সাধারন একটি ব্যাপার।
নিচের চিত্রদুটি দেখুন ক্লিয়ার হবে ব্যাপারটা,


==================
প্রথম চিত্রে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন A থেকে B তে যাওয়ার জন্য দ্বিমাতৃক স্পেসে বৃত্তকে ক্রস করতেই হবে।
কিন্তু ২য় চিত্রে আপনারা দেখছেন একই বৃত্ত তৃমাতৃক জগতে আনলে তাকে ক্রস না করেই z অক্ষ অর্থাৎ উচ্চতার দিকে লাফ দিয়ে সহজেই বৃত্ত ক্রস না করে A থেকে B তে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
তাহলে বুঝেছেন তো, দ্বিমাত্রিক জগতে যা একেবারেই অসম্ভব, ত্রিমাতৃক জগতে তা অনায়াসে সম্ভব।
এতো বক বক করলাম এখন আপনারা নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে, সত্য বা যুক্তির নিয়ম বিভিন্ন জগতে বিভিন্ন রকম। এক জগতে যার ব্যাখ্যা নাই, অন্য জগতে তা অনায়াসে সম্ভব।
তাই আপনার জগতে (তিন মাত্রার জগতে) যা যুক্তিতে কুলায় না; সেটা যে অসম্ভব তা আপনি বলতে পারেন না। কারণ, জগতের দশ মাত্রার কথা আমরা জানি একটি অপরিপক্ব থিউরি “ষ্ট্রিং” থিউরির দ্বারা।
তাই ত্রিমাতৃক জগতে যে যুক্তি ভেংগে পড়ে তা চতুর্মাত্রিক জগতে খুবি সম্ভব। থিউরি মতে চতুর্মাত্রিক জগতের কোনো দর্শক ত্রিমাতৃক প্রানীর জন্ম ও মৃত্যুর সম্ভব্য সকল উপাই একসাথে সময়ের ব্যাবধান ছাড়াই দেখতে পারবে। যা ত্রিমাতৃক জগতের যুক্তি ভেংগে ফেলে।
শেষ একটা কথা বলি, এটুকু যা বলব ধর্মের ব্যাপারে আমার অনুভূতি ও নিজস্ব মন্তব্য এবং সাথে আরো কিছু কথা।
সেটা হলো ধর্ম এমন একটা বিষয় যেটা যুক্তি থেকে পবিত্র। যুক্তি দিয়ে বিচার করে করে ধর্মের নিয়ম মানা মানে ধার্মিক হওয়া নয় বরং কপটতা বা ভান্ডামী করা।
কারণ যুক্তি দাঁড়িয়ে থাকে তথ্যের ওপর আর তথ্য ধ্রুব কোন জিনিস নয়। তথ্য প্রতিনিয়ত নবীকরণ হচ্ছে।
তাই যুক্তি দিয়ে ধর্ম মানলে যুক্তি যখন ভেংগে পড়বে তখন আপনি ধর্ম থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত হবেন যুক্তি দ্বারাই।
আচ্ছা আমি আসলে ধর্ম মানি কেন? কারণ যুক্তি দিয়ে আমি কূলকিনারা করতে পারিনি বলেই তো আমি অলৌকিকের আশ্রয় নিয়েছি, ধর্মের নিয়ে জমা হয়েছি।
তাই অলৌকিক কে অলৌকিক মানার পর যদি যুক্তি দিয়ে সেই অলৌকিকে বিচার করতে যান তবে আপনি সিরিয়াল ভন্ড (সিরিয়াল কিলারের মত)। একের পর এক ভন্ডামী আপনি করেই যাচ্ছেন।
তাই ধার্মিক হতে হলে আপনাকে ধর্মান্ধ হতেই হবে।
কারণ আপনার বিশ্বাস সংক্রান্ত যুক্তি উপস্থাপন পর্ব শেষ। এ ব্যাপারে আপনি আপিল অবশ্যই করতে পারবেন। তবে বর্তমান অবস্থানে দাঁড়িয়ে নয়, আপনাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে গিয়ে আপিল করতে হবে।
তবে, ধর্মের অভ্যন্তরীণ বিদ্যমান থাকা একই বিষয়েরএকাধিক আইন আপনি অবশ্যই যুক্তি দিয়ে একটি মেনে নিতে পারেন (অবশ্যই যুক্তি হতে হবে ঔ ধর্মের সূত্রাঅনুযায়ী। আপনার মন গড়া যুক্তি হতে পারবে না।)
তাই আপনার বিশ্বাস ও যুক্তির দন্দ্ব আপনার নিজস্ব চিন্তার ও দর্শনের ব্যাপার। এবং আপনার নিজস্ব দর্শন ধর্মের ওপর চাপানোর কোনো অধিকার নাই আপনার।

আসুন বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি!!!


শিরোনাম দেখে অবিশ্বাস বা চমকানোর দরকার নাই, প্রথমে ভালো করে পড়ুন চিন্তা করুন তারপর যেখানে বুঝতে সমস্যা সেটা প্রশ্ন করুন।

প্রথমে বলে রাখি ইলেক্ট্রিক বিষয়ে আমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তাই হয়তো বিষয়টা ভালো করে বুঝাতে পারবো কিনা জানি না। যদি রুবেল ভাই বা সেন্টু ভাই এই বিষয়ে টিউন করতো তাহলে হয়তো সবাই পনির মত বুঝতে পারতো। যাইহোক আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।

এই পদ্ধতিতে আপনি হয়তো বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন না, হতে পারে মাসে তিন ইউনিট বা তার একটু বেশি আর এতে ভোল্ট পাবেন ৫-১২ এর মত, তাতে কি এই পদ্ধতি মোডিফাই করে হয়তো কোনো টিউনার আরো কোনো ভালো উপায় বের করবেন।

মূল টিউনে আসি, আমরা জানি বাসা বাড়ির সিঙ্গেল ফেজ লাইনে দুইটা তার থাকে একটা পজেটিভ আর একটা নিউট্রাল। আমরা জানি নিউট্রালে কোনো কারেন্ট থাকে না! সত্যই কি তাই? আপনার কাছে যদি ভোল্ট মিটার থাকে তাহলে নিউট্রাল আর ভালো কোনো আরথিং এর ভিতরে ভোল্ট মেপে দেখেন! কি পেলেন? হাঁ ক্ষেত্র বিশেষে ২০ থেকে ৪০ ভোল্ট পাবেন। এখন এই কারেন্ট আপনি ধুমাইয়া ব্যবহার করেন কোনো বিদ্যুৎ বিল উঠবেনা। হি: হি:

কিন্তু এই কারেন্ট ব্যবহার করতে হলে তাকে একটু প্রসেস করে ব্যবহার উপযোগী করে নিতে হবে। খুবই সহজ! উপরে আমরা যে কারেন্ট পেয়েছি সেটা এসি কারেন্ট আর ২০-৩০ ভোল্ট এসি কারেন্ট আমাদের কোন কাজেই লাগবে না কিন্তু এটাকে যদি আমরা ডিসি কারেন্ট করে নিতে পারি তাহলে এটা দিয়ে এলইডি লাইট বা ডিসি ফ্যান চালাতে পারবো। ছোট একটি ডায়োড যার দাম ৩ বা ৫ টাকা লাগিয়ে দিলেই এসি কারেন্ট ডিসি হয়ে যাবে। তবে আমি পরামর্শ দিবো ৪টি ডায়োড দিয়ে ব্রিজ করে নিতে। কি খুবই সহজ! তাই না? আর একটু কাজ বাকি আছে!


আমরা এখানে যে কারেন্ট পাবো তা উঠা নামা করবে। যখন সন্ধ্যার সময় বাসার সব লোড পরবে তখন আমাদের ভোল্টেজ বেরে যাবে আবার যখন রাতে বাসার ভোল্টেজ বাড়বে তখন আমাদের ভোল্টেজ কমে যবে। তাছাড়া আমারা যখন আমাদের ফ্রি কারেন্টে কোনো লোড দেবো কখনো এর ভোল্টেজ কমে যবে। এর জন্য আমাদের ছোট একটি আইসি ব্যবহার করতে হবে L7805 বা L7812 । ৫ভোল্ট চাইলে L7805 আর ১২ ভোল্ট চাইলে L7812 দাম ১৫টাকার মত সংযোগ দেওয়া একদম সহজ নিচের ছবিতে দেখুন । মাঝ খানেরটা নিউট্রাল বাম পাশেরটা ইনপুট আর ডান দিকে আউটপুট। কাজ শেষ। কিছু কথা...

সর্তকতা: মূল লাইন থেকে নিউট্রাল সঠিকটা চিনে নিন। ছবিতে দেখেন যে পয়েন্টে টেস্টটার জলে তার পাশের টা থেকে নিন। আইসির সাথে একটি ভালো হিটসিন ব্যবহার করুন। যারা ৩০/৪০ ভোল্টকে ৫ করতে চান তারা প্রথমে ১২ ভল্টে রুপান্তর করুন তারপর ১২ কে ৫ বানান। না হলে আইসি টিকসই হবে না।


যাদের ওখানে আরথিং করা সমস্যা বা যারা দুতালা-তিনতালার উপরে থাকেন তারা আমার মত ডিস লাইনকে আরথিং হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ডিস তারের উপরের দিকে জালের মত যে তার থাকে সেটার সাথে সংযোগ দিতে হবে।

এটা কোনো চুরি নয় এমন কি জাতীয় গ্রিডেরও কোনো ক্ষতি হচ্ছেনা বরং তাদের নিউট্রালকে পরোক্ষ ভাবে আরথিং এর সাথে সংযোগ করে কিছুটা তাদের উপকার করছেন।

যাদের মনে সন্দেহ এতে মূল মিটারে বিল উঠে কিনা তারা মেইন লাইনের উপরের দিকে যে এলোমিনিয়ামের খুলা তার থাকে তার সাথে সরাসরি সংযোগ দিতে পারেন কেউ কিছ্ছু বলবেনা।


আপনি যদি ৫ ওয়াট করে দুইটা ড্রিম লাইট ব্যবহার করেন তাহলে ১০ দিনে ১ ইউনিট বিদ্যুৎ সেভ করতে পারবেন। আর যদি আপনি ডিসি ফ্যান দিয়ে দিনে রাতে হাওয়া খান তবে সেভের পরিমান আরো বেশি করতে পারবেন।



যেহেতু টিউনে আমার হাত পাক নয় তাই  গুছিয়ে করতে পারলাম না বলে অনেকের বুঝতে সমস্যা হতে পারে, কিন্তু আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন বা মতামত দিতে পারেন ফ্রিলি...

সবাইকে ধন্যবাদ!

আপডেট: আপনি যদি একটি মাত্র ডায়োড ব্যবহার করতে চান তাহলে মাল্টিপ্লাগ থেকে নিউট্রাল এনে ডায়োডের কালো মাথায় সংযোগ দিন সাদা মাথা দিয়ে ডিসি হয়ে কারেন্ট বের হবে


আর যদি ব্রিজ করতে চান নিচের ছবির মত ২ ও ৪ নং পয়েন্টে এসি লাইন ইন করেন, ১ নং দিয়ে ডিসি পজেটিভ আর ৩ নং দিয়ে ডিসি নেগেটিভ আউট হবে।




আমিতো ৬ ভোল্ট ডিসি ফ্যান দিয়ে ভালোই বাতাস খাচ্ছি

অটো চার্জার বা আইপি এস না থাকলে ৫০ টাকায় বানিয়ে নিন।


আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর  রহমতে ভালই আছেন। আর আছেন টেক টিউনস এর সাথে।

 আজ আপনাদের কাছে একটি ছোট্ট, সুন্দর ও মজার সার্কিট উপস্থাপন করব।  ইদানিং আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় লোডসেডিং একটি নিয়মিত সমস্যা। বাড়িতে অটোচার্জার বা আইপিএস না থাকলে,রাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে, আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তখন হাতে কাছে থাকা দেয়ারশলাই বা মোম বাতিটিও আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আলোচ্য সার্কিটটি আমাদের এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করবে।
Resistor :
R1=100 k
R2=420 k
Veriable Resistor:
VR1=10 k
Transistor:
T= BC 148 B
Light Dependent Resistor
LDR
Light Emeting Diode:
LED = White or Green(Any One)

তৈরী পদ্ধতি বর্ণনা:
প্রয়োজনীয় Parts গুলো ইলেকট্রনিক্সের দোকান থেকে সংগ্রহ করে একটি ভেরো  বোর্ডের উপর চিত্রের সার্কিট অনুসারে সংযোগ করতে হবে। ভেরো বোর্ডের পরিবর্তে শক্ত মোটা কাগজের উপরে প্রয়োজনীয় ছিদ্র করেও সাকির্টটি তৈরী করা যেতে পারে। সার্কিট এ ব্যবহৃত LDR টি সেন্সর হিসেবে কাজ করে। যখন সেন্সরটির উপরে আলো পড়ে তখন সার্কিটে ব্যবহৃত LDR টি নিভে থাকে। কিন্তু যখনই লোডসেডিং হয় তখন LDR এর উপর আলো পড়ে না এমতাবস্থায় ট্রানজিস্টর T এর সাহায্যে LED এর মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় এবং LED জ্বলে উঠে। প্রদত্ত সার্কিটে পাওয়ার হিসেবে ৩টি পেন্সিল ব্যাটারী অথবা হাতঘড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারীও (৩টি) ব্যবহার করা যেতে পারে। সমস্ত সার্কিট সহ ব্যাটারীকে একটি ছোট আকর্ষনীয় বক্সে এমন ভাবে আবদ্ধ করতে হবে যাতে LED থেকে আগত আলো সরাসরি LDR এ না পড়ে এবং LDR এর উপর রুমে ব্যবহৃত আলো সরাসরি পড়ে। VR1 কে এমন ভাবে এ্যাডজাস্ট করতে হবে যাতে রুমের লাইট অফ করলে খঊউ জ্বলে। সর্ম্পূণ প্রজেক্টটি তৈরী করতে প্রায় পঞ্চাশ টাকা লাগবে। আশাকরি প্রজেক্টটি তৈরী করে আপনারা বাড়িতে ব্যবহার করবেন।