Monday, June 13, 2016

ইসলামী যৌনতা!


মেয়েদের ছবিযুক্ত যেকোন পেইজ বা প্রোফাইলে পাবলিক কমেন্ট চালু থাকলেই বাঙ্গালী মুমিন বান্দারা ওইখানে যেয়ে অশ্লীল শব্দ দিয়ে হাদিস কোরান ঝাড়েন, ধর্ম শিখাতে, পর্দা শিখাতে লেগে যান। সাকিবের বউ, সদ্য জন্মলাভ করা মেয়ে শিশু, নাসিরের বোন এমন যেখানেই নারীকুলের ছবি পাওয়া যাবে কমেন্ট অপশন খোলা থাকলে বাঙালী মুমিন বান্দারা ঝাঁপিয়ে পড়েন কে কার থেকে তীব্রভাবে ভাষা দিয়ে লিখনির মাধ্যমে ধর্ষণ করতে পারেন।

মুহাম্মদ বা ইসলামের সমালোচনায় কিছু বললেই উম্মতে মুহাম্মদি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বকাবকি শুরু করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বকাগুলো যৌনকামনা কেন্দ্রিক। আমি আমার ফেসবুকে ইসলামের সমালোচনায় লিখাগুলোতে ইসলামের পক্ষে বড়বড় কথাবলা লোকগুলোর প্রোফাইল চেক করে প্রায়ই দেখি এদের প্রোফাইলভর্তি থাকে নোংরা-যৌনউত্তেজক পেইজে লাইক দিয়ে।

মুসলিম ছেলেপেলেরা বয়ঃসন্ধির পর থেকে সহজাত যৌন চাহিদাজনিত কারণে অবচেতনভাবে তীব্র অশান্তিতে ভুগে। সহজাত যৌনচাহিদা স্বাভাবিক উপায়ে মেটাতে না পেরে স্বমেহনই ওদের একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়ায়।  ধর্মে আবার সেটাও নিষিদ্ধ থাকায় সেটা করেও একটা তীব্র আত্বগ্লানি/অনুশোচনা ওদের ভিতর কুড়েকুড়ে খায়।

বাইরে এরা নিজেকে একদম যৌনতাহীন সাঁচ্চা মুসলমান দেখাতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে এরা চরম কামুক প্রকৃতির হয়। এই কারণে গুগলে পর্ণোগ্রাফি সার্চে তালিকার প্রথমদিক মুসলিম দেশগুলোই দখল করে ।  এইক্ষেত্রে পাকিস্তান বরাবরই প্রথম স্থান দখল করে।

[পড়ুন পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট  http://tribune.com.pk/story/823696/pakistan-tops-list-of-most-porn-searching-countries-google/   ]

বয়স বৃদ্ধির সাথেসাথে তলেতলে সহজাত যৌনচাহিদাও বাড়তে থাকে কিন্তু সেটা স্বাভাবিক উপায়ে পুরণের কোন উপায় না পেয়ে এদের যৌনতা ক্রমশ বিকৃতরুপ নিতে থাকে আর তাই গুগল সার্চে শিশুদের সাথে সেক্স, ছাগলের সাথে,শুয়রের সাথে, গরুর সাথে সেক্স এইসব সার্চ লিস্টেও তালিকায় সবচেয়ে উপরে থাকে মুসলিম দেশগুলো এবং প্রথমস্থান থাকে পাকিস্তানের দখলে। [ পাকিস্তানী জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট পড়ুন  http://www.pakistantoday.com.pk/2015/01/18/entertainment/pakistan-tops-list-of-most-porn-searching-countries/  ]

মুমিন বান্দারা যৌন সক্ষম বয়স হওয়ার পরেও বিয়ের আগ পর্যন্ত যৌনতার সহজাত সুখ পেতে না পেরে বিকল্প পথ বেছে নেয়। ( বিকল্প পথগুলোর মধ্যে চরম নোংরা ব্যাপার আছে, সমকামী না হয়েও সুযোগে সমলিঙ্গের শিশুকিশোর ধর্ষণ এর মধ্যে সবচে ভয়ানক আর অত্যন্ত দুঃখজনক যে এইসব ঘটনা আড়ালেই গোপন থেকে যায়, ধর্ষিত শিশুকিশোর কখনোই এইগুলো প্রকাশ করেনা)

অন্তর্নিহিত অবচেতন মনের তীব্র যৌন চাহিদা মিটাতে না পেরে এরা এমনই সুযোগ পাওয়া মাত্রই চরম অশ্লীল শব্দ ব্যাবহার করে বিকল্প উপায়ে যৌন আনন্দ খুঁজে পায়। এজন্য ওদের আসলেও দোষও দেওয়া মোটেই ঠিক হবেনা। যৌন সক্ষমতা পাওয়ার পর প্রাণিজগৎ এর নিয়মানুযায়ী তীব্র যৌন আকাঙ্ক্ষা বোধ করবেই আর অবচেতনায় এমন অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করে আর অশ্লীল কল্পনা করেই ওদের সেই চাহিদা মেটাতে হবে। কষ্ট হয় আফসোস হয় এই লোকগুলোর জন্য।

সভ্য মানুষ মাত্রই সেক্স ভালোবাসার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। আর সেই অর্থে প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য সেক্স একটি অত্যাবশ্যকীয় জৈবিক/জৈবনিক  চাহিদা। যৌনতাকে যতোই ট্যাবু করে রাখা হবে যতোই বাধা দিয়ে বা দমিয়ে রাখা হবে ব্যক্তিজীবন ততোই অসহনীয় অশান্ত হবে যার ফলশ্রুতিতে সমাজে নানারুপ বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি হবে আর হচ্ছেও তাই।
 
মুসলমানদের কাছে সেক্স যে ধর তক্তা মারো পেরেক টাইপের কিছু যেখানে ভালোবাসার অনুভবের কোন স্থান নেই। নবীজী সাথে তার বেহিসেব স্ত্রী আর যৌনদাসীদের যৌনক্রিয়ায় ভালোবাসা নামের কোন বিষয়ের বিন্দুমাত্র উপস্থিতি ছিলোনা। হাদিস থেকেই সেটি স্পষ্ট প্রমাণিত হয়।

★ বোখারী ১.৫.২৮২ -এ আনাস বিন মালেক (রাঃ) বর্ণিতঃ রাসুল (সাঃ) একরাত্রিতেই তার সকল স্ত্রীগণের সাথে সহবাস করতেন আর এইসময় তার নয় জন স্ত্রী ছিলেন।
[♦ আরোও দেখুন ৭ম খণ্ড ৬২তম অধ্যায়ের  ৬ নং  এবং ১৬২ নং হাদিস]

নবীজী একরাত্রেই যদি নয়জনের সাথে সহবাস করেন তবে সেখানে মিলনের পূর্বকালীন ভালোবাসা প্রকাশের সময় আর সুযোগ কোথায়। ব্যপারটি কি এমন ছিলো যে নবীজী একজন পরে একজন স্ত্রীর হুজরায় ঢুকতেন আর ঠুসঠাস দিয়ে চলে আসতেন। এটাতো মানুষের আচরণ নয়, ভালোবাসার সময় সুযোগ এইখানে নেই। এতো মানুষ নয় বরং সেক্স মেশিনের মতো একজন পরে একজনকে এইভাবে একরাতে নয়জনকে দিতে থাকা। ছিঃ ছিঃ!!  বিষয়টি ভাবতেই বিচ্ছিরী অশালীন  লাগে।

সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হলো নবীজী নিজেও চরম পর্যায়ের কামুক হতে হতে রীতিমতো কামোন্মত্ত হয়ে পড়েছিলেন।  বিষয়টি সরাসরি হাদিস থেকেই দেখি চলুন।

বোখারী ৭ম খণ্ড অধ্যায় নং ৭১ হাদিস নং ৬৬০ এবং ৬৬১-তে আয়েশা (রাঃ) বর্ণিতঃ আল্লাহর রসুলের উপর কোন অশরীরী ক্রিয়া বা জাদু ভর করতো তাই রাসুল প্রায়ই কল্পনা করতেন তিনি ওই মুহুর্তে যৌনমিলন করছেন কিন্তু আসলে তিনি কিছুই করছেননা।
কি চরম হাস্যকর ব্যপার, বেহিসাব স্ত্রী আর যৌনদাসীর সাথে সেক্স করতে করতে নবীজী কল্পনায়ও সেক্সের ঘোড়া দৌড়াতেন।
♠♠ মুমিন ভাইয়েরা অবান্তর বকাবকি না করে হাদিস-কোরান খুলে নিজের ভাষায় পড়ুন রমজান মাস তাতে আপনাদের সওয়াব হবে আর নিজের ভাষায় হাদিস-কোরান পড়ে আমাদের দলে ভিড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।