Friday, July 27, 2018

জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বাস্তববাদী এবং বিজ্ঞান মনষ্করাই যুগে যুগে নতুন নতুন তত্ব তৈরী করেছে।

লিখেছেন: মগজ
তারা বলে ইশ্বরকে যুক্তি প্রমান দিয়ে বোঝা যায় না !
তাদের দাবী ইশ্বরকে শুধুমাত্র পরম বিশ্বাস (নিরর্থক) এবং ভক্তির মাধ্যমেই উপলব্ধি করা যায় ।
তাঁহারা দাবী করে ইশ্বরকে কেবল মন বা অন্তকরন দিয়েই অনুধাবন করা যায়,যুক্তিবুদ্ধি বা বাস্তবতা দিয়ে নয় ।
তাদের দাবী শুনে মনে হয়, নেশাগ্রস্থ হলে যে ভালোলাগা বা সুখ অনুভূত হয় ইশ্বর ওরকমই কিছু একটা হবে ।

পাগলের জ্বীন বা ভুত দেখা যেমন, শুধু পাগলেই দেখতে পায় অন্য কেউ পায় না, তেমনি ইশ্বরকে অনুভব করতে হলে হতে হয় অন্ধবিশ্বাসী যে যুক্তি ও বাস্তবতা বোঝে না, বোঝে শুধু তার কাল্পনিক অনুভুতি ( বিকৃত অনুভুতি) । আর তাইতো ধর্মান্ধরা মাঝে মাঝে উন্মাদের মতো আচরন করে ।
ইশ্বর আরাধনার বিষয়,আরাধনা ছাড়া ইশ্বরকে পাওয়া যায় না । বিজ্ঞান বা দর্শন দিয়ে নয়, ইশ্বরকে পেতে হলে চাই একান্ত বিশ্বাস এবং আরাধনা । অনেক আরাধনার পরেই কেবল ইশ্বরের সন্ধান মেলে । যুক্তি তর্ক এবং অবিশ্বাস দিয়ে কখনও ইশ্বরের সন্ধান পাওয়া যায় না ।
বিজ্ঞ (অজ্ঞ) দাবীটা এমন-
জ্ঞান চর্চা বাদ দিয়ে শুধু ধ্যান করতে হবে ইশ্বরের । আর তাইতো পথে ঘাটে প্রায়ই সন্যাসী দেখা যায় লম্বা লম্বা চুল দাড়িওয়ালা, বস্ত্রহীন হয়ে ঘুরে বেড়ায় (আবার তাদের পিছু পিছু ভদ্র বেশী মুরিদও থাকে) । বাস্তব জ্ঞান, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান চর্চা বাদ দিয়ে শুধু আরাধনা বা ধ্যান করলে মানব জাতির কী উন্নতি হতে পারে সেটা সবাই ভালো করে জানে মানে অধার্মিকরা ।

আরাধনা করে কখনও মানব জাতির কোন উপকার করা যায় না । বাস্তব জ্ঞান, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই মানব জাতির উন্নতি হয়েছে; আরাধনা বা ধ্যানের মাধ্যমে নয় ।
এজন্যই ধর্মান্ধরা কখনই কোন কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি অথবা কোন বৈজ্ঞানিক তত্ব দিতে পারেনি বরং নানা প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই এবং নানারকম বিপদ থেকে মানুষকে রক্ষা করেছে ।

কোন ধ্যানমগ্ন ধার্মিক অন্ধবিশ্বাসী করেনি এবং করতে পারেওনি । এর প্রমান ধর্মান্ধ, অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন জাতির তথ্য প্রযুক্তি এবং জীবন যাত্রায় অনগ্রসরতা ।
ওদের প্রাচীনকালের ধ্যান ধারনা, অন্ধবিশ্বাস এবং বাস্তবতা বহির্ভুত কার্যকলাপই প্রমান করে ইশ্বর বলে কিছু নেই । আর তাই ইশ্বরের কোন প্রমান পাওয়া যায় না । ফলে অন্ধবিশ্বাসী হয়ে, কল্পনায় মগ্ন থেকে এবং ধ্যান করে যে ইশ্বরকে পাওয়া যায় তা পাগলের পাগলামি, নেশাগ্রস্থের নেশাচ্ছন্নতা এবং মানুষিক ভারসাম্যতারই প্রমান বহন করে । কোন বাস্তব ইশ্বরের প্রমান বহন করে না । আর তাই পৃথিবীতে নানা মানুষের পাগলামী, নেশাচ্ছন্নতা এবং মানুষিক ভারসাম্যহীনতা যেমন নানা রকম, ঠিক তেমনি ইশ্বরের রকমফেরও নানা রকম । নানা রুপি ইশ্বরের ধারনা এটাই প্রমান করে পৃথিবীর নানা রকমের ধর্মান্ধ মানুষের ইশ্বর অনুভুতি নানা রকম হয় । এই ইশ্বর অনুভুতি নানা রকম হওয়ার কারন নানা রকম পাগলের নানা রকম পাগলামি, নানা রকম নেশাগ্রস্থের নানা রকম নেশাচ্ছন্নতা এবং নানা রকমের মানুষিক রোগির নানা রকম মানুষিক ভারসাম্যতা ।

আর এর দ্বারা এটাই প্রমানিত হয় ইশ্বর বলে কিছু নেই । আর তাই পৃথিবীতে এতো রকমের ইশ্বর এবং এতো রকমের ইশ্বর অনুভূতি ।
নানা রকমের ভ্রমগ্রস্থদের ভ্রমই যে ইশ্বর এটা বুঝা খুব কঠিন নয় !