Friday, September 7, 2018

হযরতের অনুকরণীয় সুমহান চরিত্র

প্রশ্নঃ আপনারা নাস্তিকরা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বহুবিবাহ নিয়ে নানান কটূক্তি করেন। কিন্তু আপনারা জানেন না, নবী মুহাম্মদ (সাঃ কখনই নিজ ভোগ বিলাস আর যৌনতার জন্য বিবাহগুলো করেন নি। বেশিরভাগ সময়ই বিয়েগুলো করেছেন রাজনৈতিক কারণে। অভাবী দরিদ্র নারীদের তিনি বিয়ে করে সম্মান দিতেন। ঐ সময়ের প্রেক্ষাপট এবং পরিপ্রেক্ষিত বুঝতে হবে। শুধু কোরান হাদিস পড়লেই তো হবে না। সেগুলোর ব্যাখ্যাও জানা থাকতে হবে।
উত্তরঃ তা তো অবশ্যই। তবে এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই যেই বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন, তা হচ্ছে ব্যাখ্যা (Explanation), অজুহাত (Excuse) এবং ন্যায্যতা প্রদান (Justification) করার মাধ্যে পার্থক্য। এগুলোর সংজ্ঞা।
১। যেমন ধরুন, জানা গেল, করিমন বিবি নামক এক গার্মেন্টস শ্রমিক নারী তার গার্মেন্টসের ম্যানেজার ইদ্রিস আলীকে খুন করেছে। এরকম অবস্থায় গ্রেফতার হওয়া করিমন বিবি জানালেন, ইদ্রিস আলী তাকে ধর্ষণ করতে এসেছিল। আত্মরক্ষার জন্য তিনি খুন করে ফেলেছেন। উনার খুনের কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না৷ উনি প্রমাণ দেখালেন। দেখা গেল, ইদ্রিস আলী আগেও বেশ কয়েকবার করিমন বিবিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। সে আরো বেশ কিছু মেয়ের গায়ে নিয়মিত হাত দিতো। অনেক মেয়েই এই নিয়ে অভিযোগ করেছে। শেষমেশ করিমন বিবির হাতে সে মারা গেল।
> এই ঘটনাটি একই সাথে ব্যাখ্যা এবং খুনের ন্যায্যতা প্রদান করা৷ আমরা সাহজেই বুঝে নিই, করিমন বিবি ঐ অবস্থায় সঠিক কাজটিই করেছেন।

২। আবার ধরুন, এরশাদ আলী প্রথম স্ত্রীকে রেখেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এই বিষয়ে এরশাদ আলী জানালেন, তার প্রথম স্ত্রী অসুস্থ, যৌনতায় অক্ষম। এবং তাকে তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করাটাও অমানবিক। তাই প্রথম স্ত্রীকে রেখে, চিকিৎসা এবং সেবা করেই তিনি শারীরিক ও মানসিক সুখের জন্য আরেকজন স্ত্রী এনেছেন৷
এই ঘটনার ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য এবং কাজটিও ন্যায্য। এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। একজন মানুষের যৌন চাহিদা থাকবেই। অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়ে তিনি যদি আরেকজন স্ত্রী আনেন, তাতে বড় কোন সমস্যা নেই।

৩। কিন্তু ধরুন, হাসান আলী নামক লোক একই সাথে চারটি বিবি রাখেন। কাজের লোকের সাথেও সেক্স করেন। আবার পতিতালয়েও যান। ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি জানালেন, অভাবী কাজের লোকের দুঃখ দুর্দশা দেখে তার মন কাঁদে। তাই কাজের মেয়েদের সাথে সেক্স করে তিনি তাদের সুখ দিয়ে দুঃখ ভোলাতে চান। আবার, কোন অসহায় নারীকে দেখলে তার মনে কষ্ট লাগে। তাই তিনি তাদের বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসেন। আবার পতিতালয়ের মেয়েদের দেখে তার খুব খারাপ লাগে৷ তাই ঐসব মেয়েদের তিনি টাকাপয়সা দিতে পতিতালয়ে চলে যান। পতিতারা তো সেক্স না করলে টাকা নেবে না। তাই নিতান্তই বাধ্য হয়ে উনি পতিতালয়ের মেয়েদের সাথে অনিচ্ছুকভাবে সেক্স করে টাকাগুলো দিয়ে আসেন। আসলে অভাবী অসহায় মেয়েদের সাহায্য করাই উনার উদ্দেশ্য। উনি যৌনতার জন্য বা উনার কামুক স্বভাবের জন্য এগুলো করেন না। মানবিক কারণেই করেন। উনি নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান এবং সুমহান মর্যাদা দিতে চান।

৪। আবার ধরুন, সায়দাবাদী পীর সাহেব তার অনেক ভক্ত নারীর সাথে যৌনকর্ম করেন। ব্যাখ্যা হিসেবে উনি বললেন, আল্লাহ পাক স্বপ্নে এসে উনাকে এসব কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি তার ভক্ত নারীদের দোজখের ভয়ভীতি দেখান, এবং আল্লাহর হুকুমের কথা বলে আতঙ্কিত করেন। শিক্ষাদীক্ষাহীন অসংখ্য নারী দোজখে যাওয়ার ভয়ে রাজী হয়ে যান। তখন সায়দাবাদী পীর সাহেব, আল্লাহর হুকুমে নিতান্তই নিরুপায় হয়ে উনি উনার নারী ভক্তদের কাপড় খোলেন। উনার আসলে কোন ইচ্ছাই থাকে না। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ বলে কথা! বরখেলাপ করা তো যায় না।

৩ এবং ৪ ঘটনাগুলো লক্ষ্য করুন। এরকম ব্যাখ্যাকে আমরা বলবো, অজুহাত তৈরি। এরকম ঘটনা কোনভাবেই জাস্টিফাই হয় না৷ তা যত জোর গলাতেই এইসব তথাকথিত ব্যাখ্যা দেয়া হোক না কেন। কাবজাব বলে গোঁজামিল দিয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হলেই তো হলো না। ব্যাখ্যাটি ভ্যালিড হতে হবে। তাহলেই সেটি ন্যায্য হতে পারে। নতুবা সেটি হবে অজুহাত।
এবারে মহানবীর জীবনের ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা, প্রেক্ষাপট এবং পরিপ্রেক্ষিত আমরা বুঝবো। আসুন আলাপের আগে একটি সহিহ হাদিস পড়ে নিই চলেন।
পরিচ্ছদঃ ২. কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়
৩২৯৮-(৯/১৪০৩) আমর ইবনু আলী (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর বের হয়ে সাহাবীগণের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়ত্বানের বেশে এবং ফিরে যায় শায়ত্বানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়।
* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ৩২৭৩, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭১)
এই হাদিসটি থেকে আমরা জানতে পারি, হযরত মুহাম্মদ মাঝে মাঝে রাস্তাঘাটে কোন কোন মহিলাকে দেখে এতটাই উত্তেজিত হয়ে যেতেন যে, দৌঁড়ে তার স্ত্রীর কাছে গিয়ে তার ঠাণ্ডা হওয়ার দরকার হতো। মানে তিনি আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন না। তার যৌন কামনা এতটাই চাগার দিয়ে উঠতো যে, তিনি পরিমরি করে ছুটতেন বিবির কাছে। বিবি যেই অবস্থায় থাকতেন, উপরের হাদিসে দেখুন তার বিবি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন, তাকে ধরে নিয়ে “প্রয়োজন” পূরণ করতেন। আমি সহিহ হাদিসের রেফারেন্স দিয়েছি। আবার বলবেন না এই হাদিস ইহুদীরা লিখেছে।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রাস্তাঘাটে অফিস আদালতে কাউকে দেখে যৌন কামনা জাগ্রত হওয়া খুব অস্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে একজন সভ্য ভদ্র মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, বেসামাল হয়ে যান, পরিমরি করে বিবির কাছে ছুটে যাওয়া লাগে, তাদের আমরা খুব একটা সভ্য মানুষ বলে বিবেচনা করি না। এই যে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখাটা, এ থেকেই একজন মানুষকে আপনি চিনতে পারবেন। তিনি কেমন, তিনি কতটা সভ্য এবং কতটা মানবিক মানুষ। মেয়ে দেখে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, তবে সেই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারা ভয়াবহ বিষয়। নবী মুহাম্মদ অনেক সময় মেয়ে দেখে এত বেশি উত্তেজিত হতেন যে, তা নিজে নিজে কমাতে না পেরে বিবির কাছে দৌঁড়ে যেতেন।
এবারে আসুন আরেকটি হাদিস পড়ি।
পরিচ্ছদঃ ৫/১২. একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।
২৬৮. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা‘ঈদ (রহ.) ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযি.) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
উপরের হাদিসটি থেকে আমরা জানতে পারি, মহানবীর ত্রিশজন সক্ষম পুরুষের সমপরিমান যৌনশক্তি থাকার কারণে একই দিনে/রাতে নয়জন অথবা এগারোজন স্ত্রীর সাথে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। এই নিয়ে সাহাবীদের মধ্যে আবার কানাঘুষাও চলতো। এত সেক্স পাওয়ার তিনি কই পেতেন, তা ভেবে সাহাবীগণ অবাক হয়ে যেতেন। অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। ৯ জন বা ১১ জনার সাথে একইদিনে বা রাতে পর্যায়ক্রমে সেক্স করা আজকের যুগে সবচাইতে বড় পর্নস্টার জনি সিন্সের পক্ষেও অসম্ভব ব্যাপার।

ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ কিংবা এরকম কোন পরিস্থিতিতে ঘটেছিল, সে বিষয়ে অবশ্যই আমরা জানবো। কিন্তু সেসব জানা আসলে এই হাদিসটিকে ভুল প্রমাণ করে না। যেমন ধরুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টিভি টক শোতে মন্তব্য করেছিলেন, তার নিজের কন্যা দেখতে খুব সেক্সি এবং হট, তার মেয়ে তার মায়ের স্তনের মত বড় স্তন পেয়েছে ( ট্রাম্প হাত দিয়ে ইশারা করে দেখিয়েছেন) এবং এটাও বলেছেন, তিনি তার মেয়ের পিতা না হলে অবশ্যই মেয়ের সাথে ডেইট করতেন।
এখন এই মন্তব্যের নানাধরণের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আপনি পাবেন ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছ থেকে। তারা নানাভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে এই বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু যত সাফাই গাওয়া হোক না কেন, বক্তব্য থেকে কিন্তু একদমই স্পষ্ট সবকিছু। ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পরিপ্রেক্ষিত প্রেক্ষাপট বিবেচনা ইত্যাদি আর খুব বেশি এই বক্তব্যকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে না।
তারপরেও, এই হাদিসগুলো পড়ার পরেও ধরে নিচ্ছি, মহানবী যৌন কাতর ছিলেন না। নিতান্তই মানবিক কারণে, অথবা রাজনৈতিক কারণে, অথবা আল্লাহর চাপাচাপিতে বাধ্য হয়ে একের পর এক বিয়ে করতেন। মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ তালাহ মহাবিশ্বের এত এত সমস্যা রেখে মহানবীর বিয়ে নিয়ে সারাক্ষণ এত পেরেশান কেন থাকতেন, খালি বিয়ে কেন করতে বলতেন, সেগুলো বোঝা খুবই কঠিন ব্যাপার। ধরুন, আজকে প্যালেস্টাইনে মুসলমানরা মারা যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চলছে। এখন আল্লাহর সাথে আপনার মাঝে মাঝেই ফোনে কথাবার্তা হয়। আল্লাহ ঐসব সমস্যা রেখে আপনাকে খালি বিয়ে করতে বলে। কেন ভাই দুনিয়ায় সমস্যার কোন অভাব আছে? দুনিয়ার একমাত্র সমস্যা কী মুহাম্মদের বিবাহ? অদ্ভুত ব্যাপার স্যাপার।
ধরে নিচ্ছি, মুহাম্মদ মোটেও কামুক স্বভাবের ছিলেন না। তাহলে তো ৯ বা মতান্তরে ১১ জন বা মতান্তরে ১৩ জন বিবি নিয়েই হিমশিম খাওয়ার কথা। মারিয়া কিবতিয়া নামক যৌনদাসীর গর্ভে ইব্রাহিম নামক সন্তানের জন্ম কীভাবে হলো? একজন মানুষের যখন ৯ বা ১১ জন স্ত্রী থাকে, তাদের সকলের সাথেই তার যৌন সম্পর্ক হয় নিয়মিত, তারপরেও সে যৌনদাসীর সাথে যৌনসম্পর্ক রাখে, সে কামুক নন, এরকম বলার জন্য কতটা স্টুপিডিটি দরকার হয়, তা নির্ণয় করাই মুশকিলের বিষয়।
প্রশ্নঃ কিন্তু নবী করিম (সাঃ) যদি এতই কামুক হতেন, তাহলে তিনি বিবি খাদিজার মত বয়ষ্ক নারীকে কেন বিয়ে করলেন? তিনি থাকা অবস্থায় আর একটা বিয়েও কী তিনি করেছেন?
উত্তরঃ না, করেন নি। ধরুন আপনি সহায় সম্বল চালচুলাহীন এক রাখাল বালক। হিসেব নিকেশ ভাল করতে পারেন। এক সম্ভ্রান্ত মহিলা আপনাকে চাকরি দিলো। খেতে পরতে দিলো। এরপরে সেই নিঃসঙ্গ মহিলা আপনাকে বিয়ে করে নিলো। আপনাকে ভাল ঘর, খানাপিনা, ভাল কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিলো। মানে সে আপনার বউ হলেও সেই আসলে মালিক। সব ধন সম্পত্তির মালিক সে। আপনি হচ্ছেন চান্স মুহাম্মদ। চান্স পেয়েছেন এরকম একজন ধনী বউকে বিয়ে করার। বিয়ে করে আপনার আর টাকাপয়সা নিয়ে টেনশন রইলো না। কাজ করে খাওয়ার দরকার হলো না। এখন আপনি হেরা গুহায় গিয়ে ঠ্যাঙের ওপর ঠ্যাঙ তুলে আরাম আয়েস করতে পারবেন। গাজাটাজার অভ্যাস থাকলে সেটাও করতে পারেন গুহায় গিয়ে।
এখন আপনি যদি এই অবস্থায় আরেকটা বিয়ে করেন, আপনার ধনী বউ আপনার পশ্চাতদেশে লাথি মেরে আপনাকে ঘর থেকে বের করে দেবে, তাই না? কী মনে হয়? আপনি যদি একদিন দাসীর সাথে সেক্স করতে গিয়ে তার কাছে ধরা খান, সে কী করবে? নির্ঘাত নুনু কেটে দিবে। তাই লুইচ্চামি বদমাইশি সেই সময়ে না করাই আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার অল্পস্বল্প বুদ্ধি থাকলেও আপনার জানার কথা, লুইচ্চামি করতে গেলেই বিপদ।
খাদিজা মারা যাওয়ার পর ব্যবসাবাণিজ্য থেকে শুরু করে পরিবার সামাল দেয়া নিয়ে মুহাম্মদ বিশাল ক্যারাফার মধ্যে ছিলেন৷ এই ক্যারফা খানিকটা সামাল দেয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন, তার মালিক পত্নী আর নেই। এখন ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সময় হয়েছে। এরপরে তিনি বিবাহ করা শুরু করেন। দাসীবাদী কাউকেই বাদ রাখেন নি। ৬ বছরের বালিকা থেকে শুরু করে যাকে পেলেন তাকেই ধরলেন। আল্লাহর কাছ থেকে আয়াতও নামিয়ে নিলেন নিজের কামনা চরিতার্থ করার জন্য। মানে যাকে বলে লাইসেন্স টু ফাক। আল্লাহ পাক বলেন,
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে।
আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। [ আল কোরান, ৩৩: ৫০]
এখন আমাকে বলুন তো, মুসলমান পুরুষের জন্য একইসাথে কয়টি বিবি রাখার অনুমতি আছে? আর কয়টি যৌন দাসী বা উপপত্নি রাখার অনুমতি আছে?
মুমিনঃ সামর্থ্য থাকলে এবং সবার প্রতি সমান আচরণ করতে পারলে, সবাইকে সমান ভালবাসা দিতে পারলে চারজন বিবি রাখা যাবে৷ আর দাসীর বিষয়ে কোন নিয়ম নাই।
আমিঃ কিন্তু মুহাম্মদ নাকি খুবই দরিদ্র ছিলেন, আপনারাই বলেন। ক্ষুধার জ্বালায় নাকি উনি কষ্ট পেতেন। তার কোন পেশাও ছিল না। কোন কাজও করতেন না৷ জিহাদ করে খুমুস বা গনিমতের মালের অংশ যা পেতেন তা দিয়েই চলতো। মানে উনার পেশাই ছিল যুদ্ধ করা। তাহলে সামর্থ্য না থাকার পরেও এত বিয়ে করার মানে কী? আর তিনি আয়শাকে সবচেয়ে ভালবাসতেন তা সকলেই জানেন। তিনি তো আপনার নিয়মেরই বিরখেলাপ করেছেন।
মুমিনঃ কিন্তু আয়শা(রাঃ)কে তো উনি যৌন কামনার জন্য বিয়ে করেন নি। আল্লাহ পাকের হুকুমেই বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন। এই বিয়েতে উনার কোন ইচ্ছাই ছিল না।
আমিঃ তাই নাকি? উনার কোন ইচ্ছাই ছিল না? উনি শিশু মেয়ের প্রতি যৌন কামনা বোধ করেন নি? কিন্তু, ইসলামী বিশ্বে বিশেষ করে সৌদি আরব এবং ইরানে Mufaakhathah বলে একটি শব্দ বহুল প্রচলিত। এই শব্দটির মানে হচ্ছে, স্ত্রীর থাইতে লিঙ্গ হালকাভাবে ঘষাঘষি করা। এই বিষয়ে একটি বিখ্যাত ফতোয়া রয়েছে, ফতোয়াটি তুলে দিচ্ছি।
ফতোয়া নম্বর 41409 7/5/1421 তারিখঃ ৮ আগস্ট, ২০০০
সৌদি আরবের বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি প্রদত্ত ফতোয়া।
আব্দেল আজিজ বেন আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আ’ল শেইখ, চেয়ারম্যান
বাকের বেন আব্দুল্লাহ আবু জেইদ, সদস্য
সালেহ বেন ফোজান আল ফোজান, সদস্য
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং নবীগণের প্রতি দু’আ।
প্রশ্নঃ সাম্প্রতিক সময়ে, খুব বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পরেছে যে, বিশেষ করে বিবাহে, পুরুষ মানুষের অল্প বয়সী ছেলেদের গায়ে লিঙ্গ ঘর্ষণ করে যৌন সুখ লাভ করা। এই বিষয়ে কুরআনের নিয়ম কী? বিশেষতঃ আল্লাহর রসূল (সাঃ) আয়েশা (রাঃ)’র শরীরে লিঙ্গ ঘষতেন বলে জানা যায়।
উত্তরঃ ইসলামের শত্রু কাফেরদের দ্বারা প্রেরিত অনৈতিক ভিডিওগুলির মাধ্যমে আমাদের দেশে আমদানি হওয়া বহু অনৈতিক বিষয়াদি বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে, যা মুসলমানদের জন্য করা সঠিক নয়।
ইসলামের সঠিক শিক্ষাটি হচ্ছে, আল্লাহর রাসুল বিবি আয়শাকে বিয়ে করার জন্য মনোনীত করবার সময় আয়শার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। এই সময়ে আয়শা যৌন কর্মের জন্য পরিপক্ক ছিলেন না। সেই কারণে আল্লাহর রাসুল আয়শাকে কোলে নিয়ে তার দুই থাইয়ের মাঝে আল্লাহর রাসুলের লিঙ্গ মুবারক স্থাপন করে হালকাভাবে নাড়াচাড়া করতেন। আরো উল্লেখ্য, আল্লাহর রাসুলের লিঙ্গ মুবারকের ওপর আল্লাহর রাসুলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল, যা বিশ্বাসীদের নেই। তাই বিশ্বাসীদের মধ্যে এই কাজ প্রাকটিস করার কোন অনুমতি নেই।
এই ফতোয়াতে ছেলে শিশুদের গায়ে লিঙ্গ ঘষাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা একটি চমৎকার কাজ। তবে তা নিষিদ্ধ করতে গিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হয়েছে যে, হযরত মুহাম্মদ বিবি আয়শার থাইয়ের মাঝে লিঙ্গ ঘষাঘষি করে যৌনসুখ লাভ করতেন। একটি অপ্রাপ্তবয়ষ্ক মেয়ে শিশুকে দেখে, তার গায়ে লিঙ্গ ঘষে যৌন সুখ লাভ করার মত রূচি আধুনিক সময়ের বড় বড় পর্নস্টারদেরও হবে কিনা আমি জানি না। কিন্তু নবী মুহাম্মদ তা করতেন বলেই এই ফতোয়া থেকে বোঝা যায়। তাই নবী মুহাম্মদ যৌন কামনার বশবর্তী হয়ে আয়শাকে বিয়ে করেন নি, শুধুমাত্র আল্লাহর নির্দেশ রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছেন, এরকম দাবী করা খুবই হাস্যকর হয়ে যায়।
এবারে আসুন, শেষে আরেকটি হাদিস পড়ে নেয়া যাক।  আয়শা থেকে বর্ণিত একটি হাদিস
৪৭৮৮. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেসব মহিলা নিজেকে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হেবাস্বরূপ ন্যস্ত করে দেন, তাদের আমি ঘৃণা করতাম। আমি(মনে মনে) বলতাম, মহিলারা কি নিজেকে ন্যস্ত করতে পারে? এরপর যখন আল্লাহ্ তা‘আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ‘‘আপনি তাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট হতে দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট স্থান দিতে পারেন। আর আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে আপনার কোন অপরাধ নেই।’’
তখন আমি বললাম, আমি দেখছি যে, আপনি যা ইচ্ছা করেন আপনার রব, তা-ই শীঘ্র পূর্ণ করে দেন।
[৫১১৩; মুসলিম ১৭/১৪, হাঃ ১৪৬৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিসটি মন দিয়ে পড়ুন। এবং বুঝুন। এরকম অসংখ্য হাদিস বর্ণনা করা যেতে পারে। হাদিস এবং সিরাত থেকে বিবরণ দিতে থাকলে শেষ হবে না। তাই অল্প কথাতেই বললাম। এরপরেও যদি মনে করেন, আপনার নবী সমস্ত মুসলমানের জন্য আদর্শ, অনুসরনীয় এবং অনুকরণীয় মহান চরিত্র, তাহলে আর কিছু বলার নেই। তবে, অনুরোধ থাকবে, কোন সভ্য সমাজে এই ধরণের জীবন যাপন অনুসরণ করতে যাবেন না। তাহলে আপনাকে সভ্য মানুষ লুইচ্চা লম্পটই বলবে। এমনকি, নবী মুহাম্মদের অনুসারী মুসলমানরা পর্যন্ত বলবে, আপনি একজন আদর্শ লম্পট।

রেফারেন্স সমূহঃ
১।


২।


৩।