Monday, December 10, 2018

কোরান যে কোন ভাবেই সৃষ্টিকর্তার কিতাব হতে পারে না , তার সহিহ প্রমান।

মূর্খ বা মডারেট বা উগ্র পন্থি সব মুসলমানই দাবী করে , মুহাম্মদের কাছে যে আল্লাহর বানী নাজিল হয়েছিল , তার সবই আছে বর্তমান কোরানে। গত ১৪০০ বছর ধরে তার কোন পরিবর্তন , সংশোধন বা কোন আয়াত বাদ পড়ে নাই। কিন্তু তাদের দাবীটা কি সত্য ? এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা ও তথ্য কি বলে ? এই দাবীটা তারা করে কোরানেরই দাবী অনুযায়ী- যেমন কোরান বলছে –

মূর্খ বা মডারেট বা উগ্র পন্থি সব মুসলমানই দাবী করে , মুহাম্মদের কাছে যে আল্লাহর বানী নাজিল হয়েছিল , তার সবই আছে বর্তমান কোরানে। গত ১৪০০ বছর ধরে তার কোন পরিবর্তন , সংশোধন বা কোন আয়াত বাদ পড়ে নাই। কিন্তু তাদের দাবীটা কি সত্য ? এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা ও তথ্য কি বলে ? এই দাবীটা তারা করে কোরানেরই দাবী অনুযায়ী- যেমন কোরান বলছে –
আল হিজর-১৫:০৯: আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
সুতরাং এখন যদি দেখা যায় , কোরান সংকলনের সময় কিছু আয়াত বাদ পড়েছে , তাহলে বুঝতে হবে যে কোরান কোনভাবেই সৃষ্টিকর্তার বানী নয়। কারন সৃষ্টিকর্তা যদি বলে থাকে , সে তার বানী বিশুদ্ধভাবেই রক্ষা করবে , সে তাতে ব্যর্থ হতে পারে না। এবারে আমরা দেখি কোরান সংকলনের সময় কোন আয়াত বা বানী বাদ পড়েছিল কি না। নিচের হাদিস দুইটা দেখি –

সহিহ বুখারি(ইফা), হাদিস নং-৬৩৬৯। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাঃ) বলেছেনঃ, আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, দীর্ঘ যুগ অতিক্রান্ত হবার পর কোন ব্যাক্তি এ কথা বলে ফেলতে পারে যে, আমরা আল্লাহর কিতাবে রজমের বিধান পাচ্ছি না। ফলে এমন একটি ফরয পরিত্যাগ করার দরুন তারা পথভ্রষ্ট হবে যা আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন। সাবধান! যখন প্রমাণ পাওয়া যাবে অথবা গর্ভ বা স্বীকারোক্তি বিদ্যমান থাকবে তখন ব্যভিচারীর জন্য রজমের বিধান নিঃসন্দেহ অবধারিত। সুফিয়ান (রহঃ) বলেন, অনুরূপই আমি স্মরণ রেখেছি। সাবধান! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজম করেছেন, আর আমরাও তারপরে রজম করেছি।

সহিহ মুসলিম(ইফা), হাদিস নং-৪২৭১। আবূ তাহির ও হারামালা ইবনু ইয়াহইয়াহ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বারের উপর বসা অবস্থায় বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সত্য ধর্ম সহকারে প্রেরণ করেছেন এবং তার উপর কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহর নাযিলকৃত বিষয়ের মধ্যে آيَةُ الرَّجْمِ (ব্যাভিচারের জন্য পাথর নিক্ষেপের আয়াত) রয়েছে। তা আমরা পাঠ করেছি, স্মরণ রেখেছি এবং হৃদয়ঙ্গম করেছি। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ব্যাভিচারের জন্য) রজম (এর হুকুম বাস্তবায়িত) করেছি। আমি ভয় করছি যে, দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর কেউ একথা হয়তো বলবে যে, আমরা আল্লাহর কিতাবে (ব্যভিচারের শাস্তি) রজমের নির্দেশ পাচ্ছিনা। তখন আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত এই ফরয কাজটি পরিত্যাগ করে তারা মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট করে ফেলবে। নিশ্চই আল্লাহর কিতাবে বিবাহিত নর-নারীর ব্যাভিচারের শাস্তি رجم (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) এর হুকুম বাস্তব বিষয়। যখন সাক্ষ্য দ্বারা তা প্রমাণিত হয়, কিংবা গর্ভ প্রকাশ পায়, অথবা (সে নিজে) স্বীকার করে।
উপরের দুইটা সহিহ হাদিসে পরিস্কার বলছে – ব্যাভিচারের শাস্তি পাথর ছুড়ে হত্যার বিধান সম্বলিত আয়াত নাজিল করা হয়েছিল। হযরত ওমরসহ সবাই মুহাম্মদ বেঁচে থাকতে সেটা তেলাওয়াতও করত।কিঁন্তু বর্তমান কোরানে কি সেই আয়াত আছে ? উত্তর হলো – নাই। তার মানে কোরান সংকলনের সময় সেই আয়াত বাদ দেয়া হয়েছে। কিভাবে সেটা বাদ গেল , এবার সেটা দেখা যাক —
সুনান ইবনে মাজাহ(তাওহিদ প্রকাশনী), হাদিস নং-১৯৪৪। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে।

উক্ত হাদিসে দেখা যাচ্ছে , রজমের আয়াত ছাগলে খেয়ে ধ্বংস করে ফেলেছে। তার মানে বোঝা গেল , কোরানের আয়াত একটা সামান্য ছাগলেও ধ্বংস করতে সক্ষম। যে কোরানের আয়াত একটা ছাগলে ধ্বংস করতে পারে , সেই কোরান কিভাবে সর্ব শক্তিমান সৃষ্টিকর্তার বানী হতে পারে ? সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে , কোরানে যে বলেছে , আল্লাহই তার বানী সংরক্ষন করবে , সেটাতে আল্লাহ ব্যর্থ। সুতরাং প্রমানিত যে , কোরানের আল্লাহ কোন ভাবেই সর্ব শক্তিমান সৃষ্টিকর্তা নয়, যদি কোরানের বানী সৃষ্টিকর্তার বানী হতো , ছাগলে কোনভাবেই কোন আয়াত খেয়ে ধ্বংস করতে পারত না। বরং কোরান হয় মুহাম্মদ বা তার সাগরেদদের দ্বারা রচিত একটা কিতাব।
বি:দ্র: হাদিসগুলো বাংলাদেশ সরকার এর ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত এবং তাওহীদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হাদিস থেকে নেয়া হয়েছে।
যার সাইট : www.hadithbd.com