Saturday, December 8, 2018

রহস্যজনকভাবে ধর্ম ব্যবসায়ী তেতুল সাহেব আর রাজনীতির ভন্ডপীরের আলিঙ্গন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক প্রেস নোটে ১০ মে ২০১৩ সালে বলা হয়েছিলঃ হেফাজতে ইসলাম নামে একটি অনিবন্ধিত সংগঠন গত ৬ এপ্রিল ঢাকার শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে ৫ মে ঢাকা অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করে। পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচি অনুসারে তারা ঢাকার চারদিকে ছয়টি স্থানে অবরোধের আয়োজন করে। অবরোধ কর্মসূচি পালনের একদিন পূর্বে ৪ মে শনিবার তারা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি সংক্ষিপ্তকরণের কথা বলে ৫ মে দুপুর ২টা থেকে শাপলা চত্বরে তাদের নেতা হাটহাজারী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আহমদ শফীর নেতৃত্বে দোয়া কর্মসূচি পালনের অনুমতি চায়। পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচিতে ঢাকা শহরের ভেতনরে কোন সভা-সমাবেশ করার কার্যক্রম না থাকলেও সরকার গণতান্ত্রিক উদারতার পরিচয় দিয়ে হেফাজতে ইসলামকে শর্তাধীনে সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত দোয়া কর্মসূচি প্রতিপালনের অনুমতি প্রদান করে।
কিন্তু ৫ মে অবরোধ কর্মসূচির প্রথম থেকেই হেফাজতে ইসলাম ঢাকার চারপাশে ৬টি পয়েন্টে অবরোধ স্থাপন করে শহরে ঢুকে এবং শাপলা চত্বরে অবস্থান নিতে থাকে। সেই সঙ্গে বায়তুল মোকাররম এলাকায় জমায়েত হয়ে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকা- চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ব্যাপক জমায়েত করে লুটপাট, অগি্নসংযোগ, ভাঙচুরে লিপ্ত হয়। তারা নির্বিচারে গাড়ি পোড়াতে থাকে, পুরানা পল্টন সড়কে অবস্থিত কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে অগি্নসংযোগ করে। অতঃপর পাশেই মুক্তি ভবনে লুটপাট চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। হকারদের দোকানসমূহ লুটপাট করে, বইয়ের দোকানসমূহ তছনছ করে এবং পবিত্র কোরআন শরীফের স্টল বিভিন্ন দিক থেকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। উন্মত্ত হেফাজত কর্মীরা ফুটপাতে স্থাপিত জায়নামাজ, তসবি ও টুপির দোকান এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকান পুড়িয়ে দিয়ে শত শত নিরীহ কর্মজীবী মানুষকে সর্বস্বান্ত করে।

হেফাজতের লোকজন হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন কার্যালয়ে হামলান্ন চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং তাদের ১১টি মূল্যবান গাড়িতে অগি্নসংযোগ করে। এ সময়ে দমকল বাহিনীর লোকজন আগুন নিভাতে গেলে তাদের মারধর ও আহত করে তাড়িয়ে দেয়। দুপুরের পর অবরোধ স্থলসমূহে আন্দোলনরত লোকজন শাপলা চত্বর ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় হাজির হলে হেফাজতি কর্মীরা উন্মত্ত হয়ে ডিসি (ট্রাফিক) পূর্ব জোন অফিসে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে অগি্নসংযোগ করে। এতে ডিসি মতিঝিলসহ একজন পুলিশ আগুনে পুড়ে আহত হয়।

দুপুরের দিকে একপর্যায়ে তারা গুলিস্তানে অবস্থিত আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালাতে উদ্যত হয় এবং গোলাপ শাহ মাজারে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় হামলা চালায় এবং লুটপাটের চেষ্টা করে এবং নিচতলায় অবস্থিত এটিএম বুথ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা মতিঝিলে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের বাস ডিপোতে ঢুকে সরকারি কর্মচারী পরিবহনের কয়েক ডজন বাস পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। তাদের তা-ব থেকে রক্ষা পায়নি আন্তর্জাতিকমানে সজ্জিত স্টেডিয়াম, রাস্তায় লাগানো বৃক্ষরাজি, রাস্তা বিভাজক, লাইট পোস্ট ও বিভাজকে স্থাপিত স্টিল স্ট্রাকচার। এমনকি সৌর বিদ্যুৎ পোস্টও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্রে যখন নজিরবিহীন লুটপাট ও অগি্নসংযোগ চলছে তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমে হেফাজতে ইসলামকে সত্বর নৈরাজ্য বন্ধ করে সন্ধ্যার পূর্বেই তাদের প্রতিশ্রুতিমতো শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু হেফাজতের নেতৃবৃন্দ তাতে কর্ণপাত করেনি, বরং তাদের বেআইনি অবস্থান কার্যক্রম বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যেতে থাকে। শেষ বিকেলে তাদের নেতা আহমদ শফী তার অবস্থানস্থল লালবাগ মাদ্রাসা থেকে শাপলা চত্বরের সমাবেশস্থলে রওনা হন। কিন্তু কিছুদূর এসেই তিনি বিএনপির নেতৃত্বপর্যায় থেকে ফোন পেয়ে শাপলা চত্বরে না এসে ফিরে যান। এদিকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির ব্যাপকতাও বাড়তে থাকে। রাত এগিয়ে এলে বিএনপি নীতিনির্ধারকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে মাননীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের নেতাকর্মীদের হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দেন এবং ঢাকা নগরবাসীকে হেফাজত কর্মীদের সহায়তা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান। অবশ্য ঘটনার সূচনা থেকেই বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীরা নৈরাজ্যকর কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।

হেফাজত কর্মীরা ডিভাইডারের মাঝে থাকা গাছগুলো কেটে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়, ডিভাইডার ভেঙে দেয় এবং নির্বিচারে গাড়িতে অগি্নসংযোগ করতে থাকে। লোহার ডিভাইডার ও কাঁটাতার উপড়ে ফেলে দেয়। রাস্তায় বড় বড় অগি্নকা- ঘটিয়ে গণআতঙ্কের সৃষ্টি করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কতিপয় গণমাধ্যমে তাদের এহেন বিভীষিকাময় কর্মকা- ও উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করতে থাকলে নগরবাসী আতঙ্কিত হন। ফলে দেশবাসী চরম উদ্বিগ্ন অবস্থায় সময় কাটাতে থাকেন।

দেশ যখন মহাদুর্যোগের দ্বারপ্রান্তে, তখন জনগণের নির্বাচিত সরকার দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নৈরাজ্য থেকে দেশকে রক্ষার নিমিত্তে এবং নগরবাসীর জানমাল রক্ষার্থে উচ্ছৃঙ্খল ও উন্মত্ত ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হেফাজত কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। নৈরাজ্য প্রতিরোধ, গণতন্ত্র রক্ষা, আইনের শাসন সুরক্ষা, গণনিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যই এই অভিযান অপরিহার্য হয়ে উঠে। অনন্যোপায় হয়ে রাত প্রায় ২টায় ঢাকা মহানগর পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়। অভিযানের শুরুতেই মাইকে একাধিকবার সতর্ক করে সবাইকে চলে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। আরামবাগ ও দৈনিক বাংলা মোড় থেকে শাপলা চত্বরমুখী সড়ক দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আস্তে আস্তে এগোতে থাকে এবং ইত্তেফাক মোড় অভিমুখী রাস্তা খোলা রেখে জনতাকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অভিযান শুরুর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অবস্থানরত জনতা শাপলা চত্বর ছেড়ে সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ীর পথে সরে যায়। অভিযানকালে মঞ্চের পাশে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো ৪টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় সারাদিন বিভিন্ন পর্যায়ের সংঘাতে ৩ জন পথচারী, একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ১১ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় হাজার হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে অবাস্তব ও ভিত্তিহীন গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে জনসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত গুজবসমূহ সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেননা :
(ক) অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও ব্যাপক তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে হাজার হাজার লোক হত্যা করে লাশ গুম করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেটের এই যুগে এটি নিতান্তই অবিশ্বাস্য।
(খ) এত প্রাণহানি হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই নিহতদের পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব প্রিয়জনদের সন্ধানে তৎপরতা চালাতেন এবং গণমাধ্যমে তা প্রকাশ পেত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণও কোন মহল থেকে হাজির করা হয়নি। এতেই প্রমাণ হয় ব্যাপক লোক হননের বিষয়টি অসত্য ও পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব।
(গ) অভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সময় টিভি ও স্টিল ক্যামেরাসহ বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা ঘটনা আনুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ ও সমপ্রচার করেছেন। উঁচু ভবন থেকে বহু লোকজন ঘটনাক্রম অবলোকন করেছেন ও ছবি ধারণ করেছেন। কিন্তু কোথাও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের চিত্র পাওয়া যায়নি, দৃশ্য দেখা যায়নি। কাজেই বিপুল প্রাণহানির গুজব ছড়ানোর বিষয়টি অশুভ মহলের অসৎ উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার। বরং বাস্তবতা হলো সুশৃঙ্খল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুচিন্তিত পরিকল্পনা অনুযায়ী অপরিসীম ধৈর্য ও কঠোর সংযমের সঙ্গে পুরো অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন গলিতে ও ভবনের ফাঁকে যারা আশ্রয় নিয়েছিল তাদের অভয় দিয়ে যত্নের সঙ্গে উদ্ধার করে নিরাপদে সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এদের মধ্যে প্রচুর কিশোর ও তরুণ ছিল যারা প্রথমবার ঢাকা মহানগরীতে এসেছে, তাদের গন্তব্যস্থল সম্পর্কে পথ নির্দেশ দিয়ে চলে যেতে সহায়তা করেছে যা টিভি সমপ্রচারে দেখা গেছে। পুরো অভিযান পরিচালনাকালে কারোর প্রতি কোন নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করেছে মর্মে কোথাও কোন সংবাদ বা ছবিও দেখা যায়নি।
(ঘ) পুলিশ ও বিজিবির তরফ থেকে সংবাদ মাধ্যমে ‘অসংখ্য জনগণের মৃত্যু সংবলিত অপপ্রচার’ অসত্য, যুক্তিবিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে চিহ্নিত করা হয়।
শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের লোকজনকে সরিয়ে দিলে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে আবারও জমায়েত হতে থাকে। পরদিন ৬ মে ভোর থেকেই তারা রাস্তায় ব্যারিকেড বসায়। সেই সঙ্গে নির্বিচারে রাস্তার পাশে রাখা গাড়িতে অগি্নসংযোগ করতে থাকে। এরই মধ্যে পূর্ব নির্দেশমত
বিএনপি-জামায়াত কর্মীরাও ধ্বংসযজ্ঞে যোগ দেয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, শিমরাইল, সানারপাড়, কোয়েত মার্কেট ও মাদানী নগর এলাকায় উন্মত্ত ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ ভয়াবহরূপ ধারণ করে। তারা মাদানী নগর মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে আশপাশের মসজিদের মাইক ব্যবহার করে চরম উত্তেজনাকর গুজব ছড়িয়ে লোক জড়ো করে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের পরিকল্পিত সংঘবদ্ধ আক্রমণ প্রতিরোধ করতে গিয়ে ২ জন পুলিশ, যথাক্রমে নায়েক ফিরোজ ও কনস্টেবল জাকারিয়া এবং ২ জন বিজিবি সদস্য যথাক্রমে শাহআলম ও লাভলু গুরুতর আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে এবং হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্মত্ত সহিংসতার ফলশ্রুতিতে ১৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে জানা যায়। ঘটনা আরও চরম আকার ধারণ করতে থাকলে অধিক সংখ্যক ফোর্স সমাবেশ ঘটিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সুত্রঃ somewhereinblog
এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রেস নোট।
এখানেই শেষ নয়, হেফাজতে ইসলাম পল্টন থেকে বিজয় নগর পর্যন্ত সকল গাছ কেটে ফেলে, ইলেকট্রিক খাম্ব উপড়ে ফেলে, যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেয়।
কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগসহ ১৩দফা দাবি তুলে সংগঠনটি এ ধরণের কর্মসূচি নিয়েছিল।
মতিঝিলের সমাবেশে তাদের ১৩টি দাবি তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম, এবং যারা শাহাবাগ গনজাগরন মঞ্চে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছিলো তাদের মধ্যে ৮৪ জনের একটি লিস্ট করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে দিয়ে তাদের বিচারের দ্বাবি জানিয়েছিলো, এবং পরবর্তীতে সেই লিস্ট ধরে ১৬ জন লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, শিক্ষক ও পুরোহিত দেরকে হত্যা করে।
আজ পাঁঁচ বছর পরেও সেই হত্যাকারী র বিচার হয়নি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতির বিচার হয়নি।
অথচ, আজ আবার হেফাজতে ইসলামের সারা দেশ থেকে মাদ্রাসা ছাত্রদের ঢাকায় এনে প্রধানমন্ত্রীকে সম্বর্ধনা দে​​বার আয়োজন করেছে। এইজন্য সারা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থায় বিশেষ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিছু কিছু রাস্তা পরিহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ঢাকার নাগরিকদের। এমনকি জুনিয়র স্কুল স্তরের এমন দুটি পরীক্ষা আকস্মিকভাবে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে অংশ নেবার কথা সাতাশ লাখ পরীক্ষার্থীর।
হেফাজতিরা এবার সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসভার জন্যে বেছে নিয়েছে যেখানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, অথচ এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে ৭ ই মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, আমরা অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্নঃ আজকের হেফাজতের মঞ্চ থেকে আপনি কি দেশের জনগনকে বলবেন কেনো এই অরাজনৈতিক সংগঠনের সাথে আপনার রাজনৈতিক সখ্যতা? তাদের ধ্বংসাত্মক কৃতকর্মের জন্যে গত ৫ বছর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেনো?