এ ব্যাডা হোনছোছ ....... শাকিল্লারে নাকি কেমন করতাছে, জীনে টিনে ধরছে মনে হয়।
সেদিনই টেষ্ট পরীক্ষা মাত্র একটা দিয়া শুরু করলাম। পরীক্ষা দিয়া আমরা হলের সামনে মাঠে গিয়া বাতাস খাইতেছি এমন সময় এই খবর।
শামীমের কথা শুইন্না তো টাস্কি খাইলাম।
কস কি ? চল তো দেহি।
বাতাস খাওয়া খাওয়ি বাদ দিয়া গেলাম শাকিলের রুমে। রুমে শাকিল ছাড়া সালাউদ্দিন নিজের সিটে বইয়া শাকিলের তামশা দেখতাছে আর হুজ্জাতের লগে শাকিল করতেছে তেড়িং বেড়িং। বাবু আর আমি গিয়া রুমে ঢুকতেই খাইলাম ফাঁপর। শাকিল দেড় গজের মোডা এখখান রড লইয়া ঘুরাইতেছে । আমি তো ভীতুর ডিম, ডর আর ওর কাছেই গেলাম না।
বাবু কাছে গিয়া কইলো ........
এ শালিক কি হইছে রে?
কোন উত্তর নাই শাকিলের ... রড লইয়া ফ্লোরে বাইরা বাইরি করতেছে।
হঠাৎ ......... ধা........ম কইরা মারলো সামনের দেয়ালে। বাবু তারতারি একদিকে সইরা গেছে দেইখ্যা গায়ে লাগে নাই।
সাহসী পোলা বাবু আবারো গেলো ...... কি হইলো তা জানতে কিন্তু কে হোনে কার কথা............ কাছে গেলে বাবুর লগেই রেসলিং এর লাহান ধস্তাধস্তি, কোস্তাকুস্তি। ফ্রি ফ্রি কত্তুগুলা কিল, ঘুষি খাইয়া হালাইছে পোলাডা।
আকামে কিল ঘুষি খাইয়া কাম নাই ,দূরে দাড়াইয়া শাকিলের তামশা দেহাই ভালো।
এর মইদ্যে পুরা হলে গেলো চাউর হইয়া, তারভীরের পরে এবার শাকিলরে জীনে ধরছে।হগলে বিশ্বাসও করলো তারাতারি কারণডা হইল কয়দিন আগেই পাশের হলের বামরুম থেইক্কা পরীতে ধরছিলো নাকি সিনিয়র ভাই তানভীররে। আর যায় কৈ, পোলাপান সব আইলো জীন পরীতে ধরলে কেমনে কি করে তা দেখতে। চামে যদি সুন্দরী পরীর লগে ভাব জমাইয়া ফ্রি ফ্রি উড়াল দ্যাশে যাওয়া আর সুন্দরী একখান পরীরে পটাইয়া প্রেম করা যায় তাইলে খারাপ কি?
কিন্তু কৈ হালার জীন-পরী? কাউরেই তো দেহা যায় না। খালি দেহা যায় শাকিলরে।
টেংটেইংগা পোলা শাকিল বড় একটা রড লইয়া সামনে যারে সামনে পাইবে তারেই মারবে মারবে ভাব। কারো লগে কোন কথা কয় না................ খালি গোখরা সাপের লাহান ফোঁস ফোঁস করতেছে আর দরজার সামনের সিটে বইস্যা মাথাডা নিচের দিকে দিয়া খালি রড নিয়া বাইরা বাইরি। আর মাঝে মাঝ হাঁক ডাক মারে........ কোন হালারপুত কাছে আবি না, এক্কারে খাইয়া হালামু।
পোলাপানের কি আর কাম আছে হলের পাতলা ডাইলের লাহান ফ্রি মাইর খাওবো? খাম্বা আরিফের লাহান যাগো কইলজাডা এট্টু চিতাইন্না ওরা দরজার সামনে যায় আর আয় কিন্তু শাকিলের ভাবসাব দেইক্খা আর বেশী আগায় না, আর যাগো গুই হাপ দেখলে এট্টুতেই বুক ধুক ধুক করে অরা জালনা দরজার ফাঁক দিয়া শিশু মাছের লাহান ভুচকি মাইরা তারতারি দূরে সইরা যায়, যদি জীনে পরীতে অগো দিকে নজর দেয় হেই ডরে। নাহ, …….আপতত কোন কিছুতে কাম অইবে না।
হলে ঝামেলা বাড়াইয়া লা্ভ নাই বাপ মার হাতে পোলাতে তুইল্লা দেয়ার লইগ্গা অফিস দিয়া ফোন দিলো অর বাসায়। শাকিলরে এহন ওর রুমে তালা দিয়া পোলাপানে আটকাইয়া রাকছে, যা ব্যাডা রুম বইয়া যা পারোস কর। স্যারেরা আইলে আর বাপ মা আইলে খুলবে। হলের স্যাররা আইলো কিন্তু জীন পরীর ডর দেহাইয়া কাছে না যাওয়ার লইগ্গা পোলাপানে নিষেধ করলো।
কেমনে কি করন যায় হেই প্লান বানাইতেছে হগলে মিল্লা .......
সন্ধ্যা হইয়া গেছে। না এমনে আর চলতে দেওন যায় না। কাইল আবার পরীক্ষা, পড়ালেহা করতে হইবে। ওরে ধইরা ডাক্তারের ধারে পাডাইতে হইবে নাইলে বাইন্দা বাসায় পাডাইয়া দিতে হইবে। কিন্তু কে যাইবে অর সামনে...... যেমনে রড দিয়া দাঙ্গা পুলিশের লাহান আৎকা বারি দেয় বারি একখান লাগলে খবরই আছে।
এরমদ্যে আইলো হগলে যারে ডরায়, দেকলেই হাত পা কাপাকাপি শুরু করে হেই কালাম স্যার। হের বেতের একবারি খাইলে দুই বেলা ডাত মাইক্খা খাওন যায় না ব্যথায় আর পাছায় দুইডা মারলে তো পাছা চুলকাইতে চুলকাইতে দিন শ্যাষ। হাক ছাড়লো.............. আরে দরজা খোল, দেহি শাকিল কয় কি? স্যাররে দেইক্খা শাকিল ডরাইতে পারে। খুল্লো দরজা। স্যারও এট্টু এট্টু ডরাইছিলো মনে হয় হেরলইগ্গা বেশী ভিতরে আগাইলো না, দরজার সামনে গিয়াই শাকিলরে ডাক দিলো , এ শাকিল কি হইছে তোর? বেত আনমু নাকি? এ তোরা ধরতো অরে.........
পোলাপানের ডর ভয় কইম্মা গেলো, সাহসী পোলা মোবারক, বাবু, অহিদ, সালাউদ্দিন সহ কয়েকজন দরজা খুইল্লা একলগে ঢুকলো ভিতরে। হা ডু ডু খেলায় যেমনে একটারে বাগে পাইলে সবগুলায় ঐডার উপ্রে ঝাপাইয়া পরে হেমনে কইরা একলগে ঢুইক্কা ধরলো ঝাপটাইয়া।
আর যায় কৈ............ কিন্তু হায় রে এই চিকনা বাশের কাডির লাহান চেংড়া পোলার গায় এতো শক্তি আইলো কোনহান থেকে?
৪/৫ জনে মিল্লা ধইরা রাখতে পারতেছে না। হা ডু ডু লাহান একলগে ধরায় আর বেশী সুবিধা করতে পারলো জীন-পরীতে ধরা শাকিলরে। ধইর্রাই নিয়া নিলো রডটা।যাহ তোর অর্ধেক কাম শ্যাষ। ভাইগ্য ভালো ......... যেমনে মারা ধরছিলো এট্টুর লইগ্গা মোবারকের মাথাডা ফাডে নাই। নাইলে তো জীন সামলানোর বদলে মোবারকের মাথা সামলানোর কামে ভ্যাজতে হইতো হগলরে।
৪/৫ জনে ঝাপটাইয়া ধইর্রা আটকানোর চেষ্টা করতেছে কিন্তু চেংড়া পোলার গায়ে এতো শক্তি কোন থেইক্কা আইলো কেডা কইবে? বহুত চেষ্টায় বাগে আনতে পারতেছে না। হাত পা ছুডাছুডির করে কত লাত্থিগুতা যে পড়ছে তার কোন হিসাব দিতার বে না কেউ। দিবেই বা কেমনে, কেউতো আর ডাইনিং ম্যানেজার ওহাব ভাইর লাহান হিসাবের খাতা লইয়া জীন পরী দেখতে যায় নাই। আমরা আর করমু কি, খাড়াইয়া খাড়াইয়া তামশা দেখতেছি।
রুম থেইক্কা র্যা বের ক্রস খাইলে যেমনে চাইর হাত পায় ধইরা উচকাইয়া ভ্যানে আনে হেমনে উচকাইয়া নিয়া আইলো বারান্দায়। চাইপ্পা ধাইরা খাওয়াইলো এক জগ পানি। খাইতে চায় না কিন্তু পোলাপানের কথা ……খাবি না ক্যা, খা…….। মাথায়, গায়ে পানি ঢাইল্লা ঢাইল্লা একক্কারে গোসল করাইয়া দিলো। নাহ এইবার মনে হয়, পোলার কুইত শেষ............. প্রায় ৩০ মিনিট মোচড়ামুচড়ি, কোস্তাকুস্তি, ধস্তাধস্তির পর শান্ত হইলো। তখন প্রায় অজ্ঞান।
জীন পরী দ্যাকতে দর্শক আইছে প্রচুর, দুই টাহা কইরা উডাইলেও রাইতে একখান জাম্পেস মুড়ি ভোজ দেওন যাইতো, হেইডা আর দেয়া হইলো না। এর মইদ্য আইলো অর বাপ মা। বাপে না কানলেও পোলারে দেইখ্খা মায়ে তো কাইন্দা কাইট্টা শ্যাষ, এহন আন্টিরে সামাল দিতে আবার আরেক ঝামেলা। স্যারেরা শাকিলরে তুইল্লা দিলো অর বাবা মায়ের হাতে। বড় পোলারে জীনে নাকি পরীতে ধরছে এই চিন্তা লইয়া সিএনজি নিয়ে আঙ্কেল আন্টি গেলো বাসায় আর পরদিন পরীক্ষা বইল্লা আমরা গেলাম পড়ার টেবিলে।
শাকিলরে বাসায় নেওয়ার সময় তেমন কিছু মনে হইলো না কিন্তু সপ্তাহ খানেক পরই হালকা কানাঘুষার আওয়াজ পাওয়া গেলো।
"শাকিল নাকি পরীক্ষা না দেয়ার লইগ্গা ভংচা ধরছিলো"
কস কি?
হুম। হুনছি একজনের ডে।
হলে তখন জীন পরীর ডর ভয়...... কারে কোনহান দিয়া ধরে কেডা জানে? বামরুমে গেলেও দুইজন একলগে যায় এই অবস্থা।পোলাপানে কানে কানে ফিসফাস করলেও আওয়াজ হয় না । যারা হুনছে ........ তারা তো তাজ্জব!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তাই নাকি!!!!!!!!!!!!!!!!!! আরে না........ জীনেই ধরছে , দেখছস না পাশের হলে তানভীররে কয়দিন আগেই পরীতে ধরছিলো, অরেও মনে হয় ঐডাতেই ধরছে।
আরে ব্যাডা ....... ভংচা হইতেও পারে ।.... আর শাকিল যে বান্দরের বান্দর অরে বিশ্বাস করা কঠিন। আরে হুনছি ওইদিন নাকি অর পরীক্ষা ভালো হয় নাই। জীন,পরীর ডরে আলোচনা বেশী গড়াইতো না।
শাকিল আর আইলো না পরীক্ষা দিতে। মাস খানেক পর যখন আইলো তখন পরীক্ষা শেষ হইয়া রেজাল্টও দিছে। শাকিল পুরাই স্বাভাবিক, তয় কিছুডা চুপচাপ। জীন পরীর ডরে তেমন কেউ কথাও কয় না অর লগে, খালি জিগায়..... কিরে শাকিল ভালো আছোস তো? আর ভংচা ধরার কথা জিজ্ঞাস করা হ্যাতো আরো পরে................
শাকিলের কাছাকাছি কয়েকজন হয়তো পুরাডা জানে কিন্তু কখনো কয় নাই কি হইছিলো?
রহস্যের আর সমাধান করা হয়নি........... কি হয়েছিলো সেদিন??
জীনে ধরা নাকি পরীক্ষার ডর!
সেদিনই টেষ্ট পরীক্ষা মাত্র একটা দিয়া শুরু করলাম। পরীক্ষা দিয়া আমরা হলের সামনে মাঠে গিয়া বাতাস খাইতেছি এমন সময় এই খবর।
শামীমের কথা শুইন্না তো টাস্কি খাইলাম।
কস কি ? চল তো দেহি।
বাতাস খাওয়া খাওয়ি বাদ দিয়া গেলাম শাকিলের রুমে। রুমে শাকিল ছাড়া সালাউদ্দিন নিজের সিটে বইয়া শাকিলের তামশা দেখতাছে আর হুজ্জাতের লগে শাকিল করতেছে তেড়িং বেড়িং। বাবু আর আমি গিয়া রুমে ঢুকতেই খাইলাম ফাঁপর। শাকিল দেড় গজের মোডা এখখান রড লইয়া ঘুরাইতেছে । আমি তো ভীতুর ডিম, ডর আর ওর কাছেই গেলাম না।
বাবু কাছে গিয়া কইলো ........
এ শালিক কি হইছে রে?
কোন উত্তর নাই শাকিলের ... রড লইয়া ফ্লোরে বাইরা বাইরি করতেছে।
হঠাৎ ......... ধা........ম কইরা মারলো সামনের দেয়ালে। বাবু তারতারি একদিকে সইরা গেছে দেইখ্যা গায়ে লাগে নাই।
সাহসী পোলা বাবু আবারো গেলো ...... কি হইলো তা জানতে কিন্তু কে হোনে কার কথা............ কাছে গেলে বাবুর লগেই রেসলিং এর লাহান ধস্তাধস্তি, কোস্তাকুস্তি। ফ্রি ফ্রি কত্তুগুলা কিল, ঘুষি খাইয়া হালাইছে পোলাডা।
আকামে কিল ঘুষি খাইয়া কাম নাই ,দূরে দাড়াইয়া শাকিলের তামশা দেহাই ভালো।
এর মইদ্যে পুরা হলে গেলো চাউর হইয়া, তারভীরের পরে এবার শাকিলরে জীনে ধরছে।হগলে বিশ্বাসও করলো তারাতারি কারণডা হইল কয়দিন আগেই পাশের হলের বামরুম থেইক্কা পরীতে ধরছিলো নাকি সিনিয়র ভাই তানভীররে। আর যায় কৈ, পোলাপান সব আইলো জীন পরীতে ধরলে কেমনে কি করে তা দেখতে। চামে যদি সুন্দরী পরীর লগে ভাব জমাইয়া ফ্রি ফ্রি উড়াল দ্যাশে যাওয়া আর সুন্দরী একখান পরীরে পটাইয়া প্রেম করা যায় তাইলে খারাপ কি?
কিন্তু কৈ হালার জীন-পরী? কাউরেই তো দেহা যায় না। খালি দেহা যায় শাকিলরে।
টেংটেইংগা পোলা শাকিল বড় একটা রড লইয়া সামনে যারে সামনে পাইবে তারেই মারবে মারবে ভাব। কারো লগে কোন কথা কয় না................ খালি গোখরা সাপের লাহান ফোঁস ফোঁস করতেছে আর দরজার সামনের সিটে বইস্যা মাথাডা নিচের দিকে দিয়া খালি রড নিয়া বাইরা বাইরি। আর মাঝে মাঝ হাঁক ডাক মারে........ কোন হালারপুত কাছে আবি না, এক্কারে খাইয়া হালামু।
পোলাপানের কি আর কাম আছে হলের পাতলা ডাইলের লাহান ফ্রি মাইর খাওবো? খাম্বা আরিফের লাহান যাগো কইলজাডা এট্টু চিতাইন্না ওরা দরজার সামনে যায় আর আয় কিন্তু শাকিলের ভাবসাব দেইক্খা আর বেশী আগায় না, আর যাগো গুই হাপ দেখলে এট্টুতেই বুক ধুক ধুক করে অরা জালনা দরজার ফাঁক দিয়া শিশু মাছের লাহান ভুচকি মাইরা তারতারি দূরে সইরা যায়, যদি জীনে পরীতে অগো দিকে নজর দেয় হেই ডরে। নাহ, …….আপতত কোন কিছুতে কাম অইবে না।
হলে ঝামেলা বাড়াইয়া লা্ভ নাই বাপ মার হাতে পোলাতে তুইল্লা দেয়ার লইগ্গা অফিস দিয়া ফোন দিলো অর বাসায়। শাকিলরে এহন ওর রুমে তালা দিয়া পোলাপানে আটকাইয়া রাকছে, যা ব্যাডা রুম বইয়া যা পারোস কর। স্যারেরা আইলে আর বাপ মা আইলে খুলবে। হলের স্যাররা আইলো কিন্তু জীন পরীর ডর দেহাইয়া কাছে না যাওয়ার লইগ্গা পোলাপানে নিষেধ করলো।
কেমনে কি করন যায় হেই প্লান বানাইতেছে হগলে মিল্লা .......
সন্ধ্যা হইয়া গেছে। না এমনে আর চলতে দেওন যায় না। কাইল আবার পরীক্ষা, পড়ালেহা করতে হইবে। ওরে ধইরা ডাক্তারের ধারে পাডাইতে হইবে নাইলে বাইন্দা বাসায় পাডাইয়া দিতে হইবে। কিন্তু কে যাইবে অর সামনে...... যেমনে রড দিয়া দাঙ্গা পুলিশের লাহান আৎকা বারি দেয় বারি একখান লাগলে খবরই আছে।
এরমদ্যে আইলো হগলে যারে ডরায়, দেকলেই হাত পা কাপাকাপি শুরু করে হেই কালাম স্যার। হের বেতের একবারি খাইলে দুই বেলা ডাত মাইক্খা খাওন যায় না ব্যথায় আর পাছায় দুইডা মারলে তো পাছা চুলকাইতে চুলকাইতে দিন শ্যাষ। হাক ছাড়লো.............. আরে দরজা খোল, দেহি শাকিল কয় কি? স্যাররে দেইক্খা শাকিল ডরাইতে পারে। খুল্লো দরজা। স্যারও এট্টু এট্টু ডরাইছিলো মনে হয় হেরলইগ্গা বেশী ভিতরে আগাইলো না, দরজার সামনে গিয়াই শাকিলরে ডাক দিলো , এ শাকিল কি হইছে তোর? বেত আনমু নাকি? এ তোরা ধরতো অরে.........
পোলাপানের ডর ভয় কইম্মা গেলো, সাহসী পোলা মোবারক, বাবু, অহিদ, সালাউদ্দিন সহ কয়েকজন দরজা খুইল্লা একলগে ঢুকলো ভিতরে। হা ডু ডু খেলায় যেমনে একটারে বাগে পাইলে সবগুলায় ঐডার উপ্রে ঝাপাইয়া পরে হেমনে কইরা একলগে ঢুইক্কা ধরলো ঝাপটাইয়া।
আর যায় কৈ............ কিন্তু হায় রে এই চিকনা বাশের কাডির লাহান চেংড়া পোলার গায় এতো শক্তি আইলো কোনহান থেকে?
৪/৫ জনে মিল্লা ধইরা রাখতে পারতেছে না। হা ডু ডু লাহান একলগে ধরায় আর বেশী সুবিধা করতে পারলো জীন-পরীতে ধরা শাকিলরে। ধইর্রাই নিয়া নিলো রডটা।যাহ তোর অর্ধেক কাম শ্যাষ। ভাইগ্য ভালো ......... যেমনে মারা ধরছিলো এট্টুর লইগ্গা মোবারকের মাথাডা ফাডে নাই। নাইলে তো জীন সামলানোর বদলে মোবারকের মাথা সামলানোর কামে ভ্যাজতে হইতো হগলরে।
৪/৫ জনে ঝাপটাইয়া ধইর্রা আটকানোর চেষ্টা করতেছে কিন্তু চেংড়া পোলার গায়ে এতো শক্তি কোন থেইক্কা আইলো কেডা কইবে? বহুত চেষ্টায় বাগে আনতে পারতেছে না। হাত পা ছুডাছুডির করে কত লাত্থিগুতা যে পড়ছে তার কোন হিসাব দিতার বে না কেউ। দিবেই বা কেমনে, কেউতো আর ডাইনিং ম্যানেজার ওহাব ভাইর লাহান হিসাবের খাতা লইয়া জীন পরী দেখতে যায় নাই। আমরা আর করমু কি, খাড়াইয়া খাড়াইয়া তামশা দেখতেছি।
রুম থেইক্কা র্যা বের ক্রস খাইলে যেমনে চাইর হাত পায় ধইরা উচকাইয়া ভ্যানে আনে হেমনে উচকাইয়া নিয়া আইলো বারান্দায়। চাইপ্পা ধাইরা খাওয়াইলো এক জগ পানি। খাইতে চায় না কিন্তু পোলাপানের কথা ……খাবি না ক্যা, খা…….। মাথায়, গায়ে পানি ঢাইল্লা ঢাইল্লা একক্কারে গোসল করাইয়া দিলো। নাহ এইবার মনে হয়, পোলার কুইত শেষ............. প্রায় ৩০ মিনিট মোচড়ামুচড়ি, কোস্তাকুস্তি, ধস্তাধস্তির পর শান্ত হইলো। তখন প্রায় অজ্ঞান।
জীন পরী দ্যাকতে দর্শক আইছে প্রচুর, দুই টাহা কইরা উডাইলেও রাইতে একখান জাম্পেস মুড়ি ভোজ দেওন যাইতো, হেইডা আর দেয়া হইলো না। এর মইদ্য আইলো অর বাপ মা। বাপে না কানলেও পোলারে দেইখ্খা মায়ে তো কাইন্দা কাইট্টা শ্যাষ, এহন আন্টিরে সামাল দিতে আবার আরেক ঝামেলা। স্যারেরা শাকিলরে তুইল্লা দিলো অর বাবা মায়ের হাতে। বড় পোলারে জীনে নাকি পরীতে ধরছে এই চিন্তা লইয়া সিএনজি নিয়ে আঙ্কেল আন্টি গেলো বাসায় আর পরদিন পরীক্ষা বইল্লা আমরা গেলাম পড়ার টেবিলে।
শাকিলরে বাসায় নেওয়ার সময় তেমন কিছু মনে হইলো না কিন্তু সপ্তাহ খানেক পরই হালকা কানাঘুষার আওয়াজ পাওয়া গেলো।
"শাকিল নাকি পরীক্ষা না দেয়ার লইগ্গা ভংচা ধরছিলো"
কস কি?
হুম। হুনছি একজনের ডে।
হলে তখন জীন পরীর ডর ভয়...... কারে কোনহান দিয়া ধরে কেডা জানে? বামরুমে গেলেও দুইজন একলগে যায় এই অবস্থা।পোলাপানে কানে কানে ফিসফাস করলেও আওয়াজ হয় না । যারা হুনছে ........ তারা তো তাজ্জব!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তাই নাকি!!!!!!!!!!!!!!!!!! আরে না........ জীনেই ধরছে , দেখছস না পাশের হলে তানভীররে কয়দিন আগেই পরীতে ধরছিলো, অরেও মনে হয় ঐডাতেই ধরছে।
আরে ব্যাডা ....... ভংচা হইতেও পারে ।.... আর শাকিল যে বান্দরের বান্দর অরে বিশ্বাস করা কঠিন। আরে হুনছি ওইদিন নাকি অর পরীক্ষা ভালো হয় নাই। জীন,পরীর ডরে আলোচনা বেশী গড়াইতো না।
শাকিল আর আইলো না পরীক্ষা দিতে। মাস খানেক পর যখন আইলো তখন পরীক্ষা শেষ হইয়া রেজাল্টও দিছে। শাকিল পুরাই স্বাভাবিক, তয় কিছুডা চুপচাপ। জীন পরীর ডরে তেমন কেউ কথাও কয় না অর লগে, খালি জিগায়..... কিরে শাকিল ভালো আছোস তো? আর ভংচা ধরার কথা জিজ্ঞাস করা হ্যাতো আরো পরে................
শাকিলের কাছাকাছি কয়েকজন হয়তো পুরাডা জানে কিন্তু কখনো কয় নাই কি হইছিলো?
রহস্যের আর সমাধান করা হয়নি........... কি হয়েছিলো সেদিন??
জীনে ধরা নাকি পরীক্ষার ডর!