কুরআন এর নাযিলের পর থেকে মানবজাতির জন্যে পথনির্দেশ পাবার একমাত্র নির্ভুল গ্রন্থ। এ সত্য সকল নিষ্ঠাবান মুসলিমের পাশাপাশি অনেক অমুসলিম গবেষকও স্বীকার করে গেছেন। এখানে এমন কিছু উক্তি দেওয়া হলো। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকেই তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কুরআনকে বিবেচনা করেছেন।
২. আর্নেস্ট রিনান: “কুরআন নির্ভুল, এ বইয়ে কোন রদবদল ঘটেনি। আর যখনই কুরআন শুনবেন আপনি ম্পন্দিত হবেন। আর আপনি এর বিধানগুলো যতই পর্যালোচনা করবেন ততই একে সম্মান করতে থাকবেন।”
৩. লিও টলস্টয় –বিখ্যাত রুশ দার্শনিক: আমি কুরআন পড়বার পর বুঝলাম মানবতার জন্যে এই আসমনী বিধানাবলীই দরকার”
তিনি আরো বলেন, “কুরআনের বিধিবিধান সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে কারণ এটা মন-মানস, যুক্তি ও প্রজ্ঞার সাথে সংগতিপূর্ণ”
৪. গীবন বলেছেন, “জীবনের প্রতিটি শাখার কার্যকরী বিধান কুরআনে মওজুদ রয়েছে”
৫. মাইকেল এইচ হার্ট: “ কুরআন ছাড়া ইতিহাসে এমন দ্বিতীয় বই নেই যেটা কোন সংশোধন ছাড়াই নিজস্ব ভাষা দিয়েই পূর্ণাঙ্গ”
৬. জেইমস জেন্জ- জ্যোতির্বিদ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, “কুরআন ঈশ্বর কতৃক নাযিলকৃত গ্রন্থ”
৭. অধ্যাপক আইরিন বার্গ- অসলো বিশ্ববিদ্যালয়: সন্দেহাতীতভাবে কুরআন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর থেকেই প্রদত্ত
৮. ড. মরিস বুকাইলি: “এটা অসম্ভব যে মুহাম্মাদ সা. নিজেই এই বই রচনা করেছেন,.. কীভাবে তিনি বৈজ্ঞানিক বিষয়াবলী কোন ভুল না করেই ঘোষণা করেছেন যা আর কেউ পারেনি?”
৯. ইউশিদো কোজান-জাপানী প্রফেসর: আমি কুরআনকে ঈশ্বরের সত্য বাণী হিসেবে মেনে নিতে কোন জটিলতা দেখিনা”
১০. আলবার্ট আইনস্টাইন: কুরআন হচ্ছে কিছু বিধানের সমষ্টি যেগুলো মানুষকে সঠিক পথনির্দেশনা দেয় আর তা এমনভাবে যে সকল মহান দার্শনিকগণই এটা স্বীকার না করে পারেননা।”
১১. উইল ডোরান্ট: ”কুরআনের ধর্মীয় সমাধান পার্থিব দিকের সমাধানও বটে আর এর সবকিছুই আল্লাহ কতৃক নাযিলকৃত, এতে রয়েছে বিধানাবলী যেমন ভালো আচরণ, স্বাস্হ্য, বিবাহ, তালাক, শিশু,দাস ও প্রাণীদের সাথে আচরণের নীতিমালা, বাণিজ্য, রাজনীতি, অবৈধ মুনাফা, ঋণ, চুক্তি, শিল্প, সম্পদ, শাস্তি, যুদ্ধ এবং শান্তি বিষয়ক”
১২. পি. এইচ করবিন: ”মুহাম্মাদ সা. যদি কুসংস্কারাচাছান্ন হতেন আর কুরআন যদি ওহী না হতো তাহলে তিনি মানুষকে বিজ্ঞানের প্রতি আমন্ত্রণ জানাতে সাহস পেতেননা…”
১৩. জর্জ বার্নাড’শ: একদিন ইউরোপ এই ধর্ম (ইসলাম) কে ও মুহাম্মাদ সা. এর বইটিকে গ্রহণ করে নিবে”
১৪. মহাত্মা গান্ধী: কুরআন শেখার মাধ্যমে প্রত্যেকেই ঐশী ও ধর্মীয় গূঢ জ্ঞান অর্জন করবে। আমরা কুরআনে অন্য ধর্মকে পরিবর্তনের মত কোন বাধ্যবাধকতা দেখিনা। এই গ্রন্থ সাবলীলভাবে বলেছে, ‘ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই’”
১৫. ডক্টর অসওয়েল জনসন, “ কুরআনের প্রজ্ঞাময় বিধানাবলী এতই কার্যকরী এবং সর্বকালের উপযোগী যে সর্বযুগের দাবীই উহা পূরণ করতে সক্ষম। কর্ম কোলাহলপূর্ণ নগরী, মুখর জনপদ, শুণ্য মরুভূমি এবং দেশ হতে দেশান্তর পর্যন্ত সব জায়গায় এ বাণী সমভাবে ধ্বনিত হতে দেখা যায়।”
কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্যে কুরআনই যথেষ্ট, তাদের উক্তির প্রয়োজনীয়তা সে জন্যে দরকার নেই। তবে তাদের উক্তি হয়তো অন্য সংশয়বাদীদেরকে সত্য চিনতে সাহায্য করবে।