Wednesday, August 12, 2015

আমার যৌবনের ডাকে সারা দেয়া ও বিপত্তি---

মাত্র ৮ম শ্রেণী’র বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলো। দৌড় দিলাম গ্রামের বাড়ি। কাজিনের বাইক দিয়ে মোটামোটি চালানো শিখলাম সবে মাত্র। সে এক বিরাট ফিলিংস। এটা কোন সমস্যা নয়, বিপত্তি আসলে অন্য যাগায়। বাসায় এসেই আব্বুর সাথে মিটিং এ বসলাম।
মিটিং এ আমি, আব্বু আর আম্মু বসে আছি
আমিঃ আব্বু, আমি যৌবনের ডাকে সাড়া দিতে চাই।
আব্বুঃ তো আমি কি করতে পারি তোমার জন্য?
আমিঃ আমাকে বাইক কিনে দাও। আমি ভাল চালাতে পারি।
আব্বুঃ এই কথা আর কোনদিন বলবা না। ২ চাক্কা কোনদিন কিনে দেয়া হবে না। যদি কোনদিন তোমার বাবার টাকা হয়, তাহলে ৪ চাক্কা কিনে দেয়া হবে।
আমিঃ কেন? আমি কি যৌবনের ডাকে সাড়া দিব না? আমি এক্সিডেন্ট করব না।
মাঝ থেকে আম্মু বিপত্তি দেখিয়ে কথা ধরলেন,
আম্মুঃ তোর ফুফু মারা গেছে বাইক এক্সিডেন্ট এ। তাই তোর আব্বু বাইক কিনে দিবে না।
আমিঃ আচ্ছা, ঠিক আছে।
আসলে আমার একমাত্র আপন ফুফু যখন ফুফার পেছনে বসে আমাদের বাসায় আসচ্ছিলেন, তখন বাইক এক্সিডেন্ট এ মারা যান। আমি তখন বেশ ছোট, তাই মনে নাই। তখন থেকেই পুরা ফ্যামিলিতে বাইক অনেকটা হারাম টাইপের। যাই হোক, অনেক বছর পার হয়ে গেছে। আব্বু আম্মুর যৌথ প্রযোজনায় এটা আমার লাইফের একমাত্র ‘না’। যেটা আমি আর কোনদিন দাবী করিনি। সেই চার চাক্কাও আর আসেনি জীবনে।