Thursday, August 16, 2018

আল্লাহর সাথে মুমিনের সাক্ষাৎ।

লিখেছেন: সরকার আশেক মাহমুদ
মুমিন: আমি কোথায়?
ফেরেশতা: (নিরব)
মুমিন: শেষ স্মৃতি আমার যদ্দুর মনে পড়ে আমি নামাজ পড়তে ছিলাম - রুকু থেকে সিজদায় গেলাম। না, না, না । আমি কি মৃত আমি কি মারা গেছি?
ফেরেশতা: (হাঁ সুচক মাথা নাড়ল)
মমিন: এটা শেষ বিচারের দিন (উচ্ছ্বসিত) হেই .. আমি সঠিক, সব বিজ্ঞানীরা ভুল । আপনি কি আল্লাহতালা?
ফেরেশতা: (নিজের অর্ধঢাকা মুখমণ্ডল অনাবৃত করলেন) আপনি কি এখানে মজা করছেন? এখন এখানে বিশাল কাজ চলছে। আল্লাহ এখন যিশুর সাথে ব্যস্ত আছেন।
মমিন: ও আচ্ছা। আসলে আমি নামাজ রত অবস্থায় মারা গেছিলাম। আমি নামাজ থেকে সরাসরি এখানে এসেছি । 'সবার কাজকর্মে র তো হিসাব হওয়ার কথা।' তাই না?
ফেরেশতা : তোমার রব কে?
মুমিন: ও ঐ তিনটা প্রশ্ন? এর সঠিক উত্তর আমি ভালভাবেই জানি। কিন্তু আপনাদের তো নিজের থেকে জানার কথা যে আমি এর উত্তর জানি।
ফেরেশতা: (রাগান্বিত কন্ঠে) এত কথা বাড়াইয়েন না যা জিজ্ঞেস করছি উত্তর দেন।
মমিন: অবশ্যই আল্লাহ
ফেরেশতা: আপনার ধর্ম কি ?
মমিন: ইসলাম
ফেরেশতা: আপনার নবী কে?
মমিন: মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম
ফেরেশতা: ঠিক আছে আপনি এখন বেহেশতে যেতে পারেন।
মুমিন: সত্যি? ধন্যবাদ, আল্লাহ তোমার অনেক দয়া।
ফেরেশতা: আরে থামেন থামেন দাড়ান। কই যাচ্ছেন। এত সোজা
মুমিন: আবার কি হইল।
ফেরেশতা: আপনার কি মনে হয় বেহেশতে যাওয়া কি এত সোজা?
মুমিন: কিন্তু.. আপনি যে বললেন.. তাছাড়া এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল তাই না।
ফেরেশতা: হওয়ার কথা মানে। আমার কি এখন আপনার কাছ থেকে কাজ শিখতে হবে।
মুমিন: না তা না। সবাই আমাকে বলতো... এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনটা সহজ প্রশ্ন করা হবে। যদি উত্তর দিতে পারি সঙ্গে সঙ্গে বেহেশতে যাওয়া যাবে।
ফেরেশতা: কে বলছে আপনাকে এসব কথা?
মমিন: লোকজন । আমাদের এলাকার মসজিদের আল্লামা শফী হুজুর। ধর্মীয় কিতাবাদি, কোরআন এবং হাদিস। চৌদ্দশ বছর আগে মারা যাওয়া মানুষ।
ফেরেশতা: এবং আপনার একবারও মনে হয়নি যে তারা হয়তো মিথ্যা বলছে কিংবা ভুল বলছে।
মমিন: না।
ফেরেশতা: আপনার সমস্যাটা কি?
মমিন: আমি আপনাকে এমনভাবে কথা বলতে দেবো না। দয়া করে তাদেরকে অপমান করবেন না। ঐ মানুষেরা আমার আপনার চেয়ে অনেক ভাল মানুষ ছিল।
ফেরেশতা: ভালো মানুষ ? কার চেয়ে ভালো । আরে মিয়া এটা হচ্ছে শেষ বিচারের দিন। আমরা এত এত সৌরজগৎ, অগণিত গ্যালাক্সি, সর্বগ্রাসী ব্ল্যাক হোল এবং রহস্যময় সমান্তরাল মহাবিশ্ব সমূহ তৈরি করেছি । এতসব কি সৃষ্টি করেছি কি শুধুই আপনার কাছ থেকে তিনটে প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য? আপনার কি মাথা খারাপ হয়েছে, বেকুব কোথাকার ?
মমিন: এখন এমনভাবে বলতেছেন, যেমন আমি এতকিছু বানায় সময় নষ্ট করছি । আপনারা বানাইছেন এগুলো।
ফেরেশতা: তাই নাকি? ! তাহলে তিনটা প্রশ্ন কেন?! কেন চারটা বা পাঁচটা না? আপনি মগজ টি ব্যবহার করে একটু চিন্তা করে দেখুন। একটু ভাবুন
মমিন: কিন্তু আমি এমন কিছু চিন্তা করতে পারি না। এমন কিছু জিনিস আছে যা মানুষের মন ও বুঝতে পারে না। মানুষের মনের ক্ষমতা তো অসীম নয়।
ফেরেশতা: আবার সেই একই ফালতু কথা
মমিন: আবার মানে?
ফেরেশতা: আমি আবার বললাম কারন শুধু আপনি না আপনার আগেও যারা এসেছে তারাও একই রকম যুক্তি দেখাতে চেয়েছে- মানুষের জ্ঞান সীমিত। এসব কথা কি আপনারা এখানে আসার আগে মুখস্ত করে আসেন?
মমিন: না মানে আমি যে কোন যুক্তি প্রদর্শন কে সাথে সাথে এটা বলে থামিয়ে দিতে পারি । অর্থাৎ কেউ আপনাকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করেছে যার উত্তর আপনি জানেন না কিংবা যে উত্তর দিতে আপনাকে একটু বেশি বুদ্ধি খাটাতে হবে । তখন এটা আপনি বলে দিতে পারেন - "এমন কিছু জিনিস আছে যা তোমার মন ও বুঝতে পারে না।"
ফেরেশতা: ওয়াও আপনি তো খুবই স্মার্ট।
মুমিন: ধন্যবাদ ভাই।
ফেরেশতা: একটা কথা শুনেন
মমিন : কি?
ফেরেশতা: যদি আমার হাতে থাকত তাহলে আমি আপনাকে নরকে পাঠাইতাম।
মমিন: কেন ভাই ? (Why man)
ফেরেশতা: সৌভাগ্যবশত আপনার পরিনতি আমার হাতে না। তা পরম করুণাময়ের হাতে। এবং তিনি খুবই সিরিয়াস কে বলেছেন আপনাকে লাথি দিয়ে নরকে ফেলে আগুনে জ্বালাবার আগে আপনাকে সুযোগ দিচ্ছেন আপনি কি করেছেন তার ফিরিস্তি আপনার কাছ থেকে শুনে নিতে। যাতে আপনার উপর কোন অন্যায় না হয়।
মমিন: পরম করুণাময় কত দয়ালু।
ফেরেশতা: আমরা যাই হই না কেন আমরা তো অন্যায়কারী হতে পারি না। কেউ যাতে বলার সুযোগ না পায় আমরা তাদের সাথে অন্যায় করেছি।
মমিন: ঠিক আছে তাহলে আমাকে তো এখন আর জেরা করা হবে না তাই না?
ফেরেশতা: অবশ্যই না এমন কিছু হবে না।
মমিন: তাহলে কিভাবে কি করা হবে।
ফেরেশতা: দেখুন আমরা যা করি তা হল ….
মুমিন: আশেপাশে আমি তোর কোন লোকজন দেখছি না। (চারদিকে তাকিয়ে দেখল কাউকে দেখা যাচ্ছে কিনা) সবাই ভয় পেয়ে পালাইছে নাকি।
আমি কাপড় পড়ে আছি কেন? আমার না এখানে ন্যাংটা থাকার কথা? আপনি কি চান আমি কাপড় খুলে ফেলি। (কাপড় খুলতে উদ্যত হলেন)
ফেরেশতা: আরে না না। সংযত হোন।
মোমিন: তাহলে আমার কি করা উচিত।
ফেরেশতা: আমরা যা করব তা হল…
মমিন: সুতা-টা কই। আমি বলতে চাচ্ছি পুলসিরাতের সেতু।
ফেরেশতা: সুুতা ? কিসের সুতা?
মমিন: এমন সুতা যা কিনা তলোয়ারের চেয়ে বেশি ধারালো এবং চুলের চেয়েও শরু। যার উপরে ঘোড়ার মতো হেটে যাওয়া যাবে।
ফেরেশতা: সূতের উপরে ঘোড়ার মত করে হেঁটে যাওয়া কিছু আজগুবি কথা বলছেন আপনি কি ভাবছেন আপনি সার্কাসে এসেছেন। এখানে যেটা হয় তা হলো সবার জন্য ন্যায্যভাবে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হয়। কারো প্রতি আমরা অন্যায় করি না।
মুমিন: তাহলে তো আমাকে নিশ্চিত বেহেশত দিতে হবে । আমি নামাজ পড়া অবস্থায় মারা গেছি। আমি বুঝতে পারছি না আপনি আমার কিস টা কে সাধারণ হিসেবে ট্রিট করছেন কেন। এটা স্বাভাবিক না। সবাই তো আমার মতো হবে না। আমার তো এতক্ষণে নবীর সাথে লাঞ্চ করার কথা।
ফেরেশতা: কি করতে এসেছেন এখানে ? - নবীর সাথে লাঞ্চ করতে মনে? কিসের নবী?
মুমিন: আমাদের নবী যার কাছে আপনারা ঐশ্বরিক বাণী পাঠিয়েছেন।
ফেরেশতা: কিসের ঐশ্বরিক বাণী ?
মুমিন: আপনারা যা পাঠিয়েছেন?
ফেরেশতা: কি আমরা পাঠিয়েছি?
মমিন: হা আপনারা পাঠিয়েছেন এবং আমাদের নবী বোরাকে চড়ে এখানে এসে ৫০ ওয়াক্ত নামাজকে ৫ ওয়াক্ত নামাজে কমিয়ে এনেছে। যা আমাদের প্রতিদিন পড়তে হয়েছে। এত তাড়াতাড়ি আপনি ভুলে গেলেন।
ফেরেশতা: (অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে)
মুমিন: আমি নিজে কখনও নামায মিস করি নাই। রোজার মাসে দিনের বেলা না খাইয়া থেকেছি। কোন কিছু চুরি করিনি। আমার কথা বিশ্বাস না করলে আমার হাত কে জিজ্ঞেস করে দেখুন।(হাত উচিয়ে রেখে)
ফেরেশতা: (দেখতে চেষ্টা করলো হাত দিয়ে কোন দিকে ইংগিত করছে) কি কাকে জিজ্ঞেস করবো?
মুমিন: আমার হাত কে।আমার হাত না সাক্ষী হবার কথা আমি কিছু চুরি করেছি কিনা তা প্রমাণ করার জন্য? জিজ্ঞেস করুন। আমার কথা না বিশ্বাস করলে আমার হাত কে জিজ্ঞেস করুন।
ফেরেশতা: (কানের কাছে হাত এনে ফোনে কথা বলার মত করে) এই লোকটা সম্ভবত পাগল। Hello জিব্রাইল !
অন্য প্রান্ত থেকে ফোনে: কি সমস্যা?
ফেরেশতা: আমি একটা কথা জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছি।
অন্য প্রান্ত থেকে ফোনে: হা কি জানতে চাও?
ফেরেশতা: আমার সামনে একজন দাঁড়ায়ে আছে - আমি জানতে চাচ্ছিলাম তাকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ না করে সরাসরি বেহেশতে পাঠায় দেওয়া যায় কিনা।
অন্য প্রান্ত থেকে ফোনে: কেন কি হইছে সে কি ভাল কোন কাজ করছে?
ফেরেশতা: না, ভাল কোন কাজের জন্য না। আমার মনে হয় ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। (He has lost his mind)
অন্য প্রান্ত থেকে ফোনে: মাথা খারাপ হোক বা ধন খারাপ হোক - আমি কেয়ার করি না। তাকে স্বাভাবিক ভাবে বিচার কর। (I don't care if he has lost his mind of his penis)। জিজ্ঞেস করে দেখ সে কখনো ভালো কিছু কাজ করেছে কিনা।
ফেরেশতা: ওকে। আমি দেখছি। (এই বলে কান থেকে হাত সরিয়ে নিল যেন ফোনে কথা শেষ করল) সে বলল আপনাকে এভাবে বেহেশত দেওয়া যাবে না ।
মমিন: কেন দেয়া যাবে না।
ফেরেশতা: আপনি শান্ত হন। আমাদের শুধু জানা দরকার আপনি জীবনে আদৌ কোনো ভালো কাজ করেছেন কিনা, যাতে আপনাকে বেহেশতের যোগ্য বলে বিবেচনা করা যায়।
আমি বলতে চাচ্ছি যদিও আমরা জানি আপনার সারা জীবন কি করছেন না করেছেন। সত্যি বলতে ঈশ্বর জানতে চান উনি যা পরিকল্পনা করেছেন তা ঘটে কিনা।
মমিন: কি? (বিস্মিত চোখে)
ফেরেশতা: না হা হা। আমি ঠাট্টা করছিলাম। কথা সত্য যে আমরা সবকিছু ই জানি। তারপরও আপনাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে যাতে করে আপনি আবার কান্নাকাটি না করেন এই বলে “আমাকে ক্ষমা করে দেন” বা “যে আমাকে ফেরত পাঠায় দেন আমি এবার ভালো কাজ করব” কিংবা “আমি ধূলোকণা হয়ে যেতে চাই” । তাছাড়া আমাদের অনেক কাজ এখনো বাকি শেষ করতে হবে সবকিছু।
মমিন: ওকে যদি তাই হয় আমি আসলে বেহেশত যাবার জন্য যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি কোন কাজ করি নাই।
ফেরেশতা: তাহলে বলুন আপনি কি করেছেন। (গতানুগতিক নোটবুকে কলম দিয়ে নোট করছে)
মমিন: যেমন আমি বলেছি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই। (ফেরেশতার দিকে তাকিয়ে কোন positive reaction আশা করছে)
ফেরেশতা: (ভাবটা যেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু শোনে নাই) হা বলুন কি এমন ভালো কাজ করেছেন?
মমিন: আমি বললাম তো। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই।
ফেরেশতা: আমি বুঝলাম না আমার কি করা উচিত!
মমিন: “আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই “ আমরা সবাই জানি এই কথা যে বলেছে তাতেই আমাদের বেহেশত পাওয়ার কথা। এটা সু প্রতিষ্ঠিত সত্য।
ফেরেশতা: এইটাই কি আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা আপনি করেছেন যার কারণে আমার আপনাকে বেহেশত দেওয়া উচিত?
মমিন: হা।
ফেরেশতা: (ধমকের সুরে) থামুন। (মমিন আঁতকে উঠলো। আর ফেরেশতা কানের মধ্যে হাত রেখে জিব্রাইল এর সাথে ফোনে কথা বলা শুরু করলো)
“জিব্রাইল”
অন্য প্রান্ত থেকে ফোনে: হা কি হইছে।
ফেরেশতা: হা শোনো কি বলে “আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই”
অন্য প্রান্ত থেকে ফোনে: আমি বুঝলাম না আমার কাছে কি চাও?
ফেরেশতা: তুমি বুঝনা মানে। আমি এইমাত্র বললাম আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই।
অন্য প্রান্ত থেকে ফোনে: তো আমার কি করতে হবে। ছাতার মাথা। (Then what the f*** should I do you piece of s***)
ফেরেশতা: ওকে বেহেশত যেতে দাও।
অন্য প্রান্ত থেকে ফোনে: (রাগান্বিত উচ্চ কণ্ঠস্বরে) তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে নাকি?
ফেরেশতা: (মমিন এর দিকে তাকিয়ে) শুনলেন তো জবাব।
মমিন: কিন্তু আপনারা বলেছেন যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাই বলবে তারা বেহেস্তে যাবে।
ফেরেশতা: আপনি এটা বললেন । আমাদের এমন কিছু বলতে শুনছেন। ঈশ্বর আকাশ থেকে নেমে এসে আপনাকে বলেছেন এই কথা বললি আপনাকে বেহেশতে দেওয়া হবে ?
মমিন: না কিন্তু।
ফেরেশতা : তাহলে কি।
মমিন: আমি হাদিস পড়ে দেখেছি ঠিক এই কথা লেখা আছে।
ফেরেশতা: আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন এই কথা আমরা লিখে রেখেছি।
মমিন: কারণ এটা সহি হাদীস ছিল।
ফেরেশতা: কি ?
মমিন: সহি হাদিস বুখারী এবং মুসলিম শরীফে বর্ণিত।
ফেরেশতা: কেউ এটাকে সহি বলেছে তাতে এটা সহি হয়ে যাবে?
মমিন: হা।
ফেরেশতা: আপনি দ্রুত অন্য কোন ভাল কাজের কথা বলুন যাতে আপনার বিপদ না এসে পড়ে। এমন ভালো কিছু খুঁজে বের করুন যাতে আমি আপনাকে বেহেশতে দিতে পারি। বেহেশত কি জিনিস জানেন মিয়া। মদের নদী । মাতাল হতে পারবেন। তারপর আছে কুমারী হুর। বাই চান্স যদি তারপরও দরকার পড়ে গেলমান। (ফেরেশতা চোখ টিপ দিল )
মমিন: কিন্তু এসব তো হারাম কাজকর্ম।
ফেরেশতা: না বেহেশতের মধ্যে হারাম বলতে কিছু নাই।
মমিন: কিন্তু ঐসব অভিশপ্ত ব্যক্তিদের কথা যে শুনেছি যাদের পাপের জন্য ঈশ্বরের সিংহাসন কেঁপে উঠেছে যখনই কেউ এই জাতীয় পাপ করেছে। কিংবা লুত সম্প্রদায়ের একটি গ্রাম ধ্বংসের যে কাহিনী পড়েছি।
ফেরেশতা : আমি কি কিছু করেছি?
মমিন: ঠিক আছে তাহলে আমাকে বলুন
ফেরেশতা: আপনি আমাকে কিছু করতে দেখেছেন।
মমিন: কিন্তু
ফেরেশতা: এ কাজ যিনি করেছেন তিনি ঈশ্বর। এবং যদিও এটা খুবই স্বাভাবিক জিনিস যা তিনি সৃষ্টি করেছেন এবং আপনাদের মধ্যে দিয়েছেন কিন্তু আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে ওনার মহাপরিকল্পনা আছে।
কিন্তু আমার মনে হয় আপনি বুঝতে পারছেন যদিও আমি এখানে থাকি আমি অস্বীকার করতে পারব না উনি মাঝে মাঝে কোন আজগুবি কাজ করে বসে।
একসময় উনি রাগান্বিত হয়ে গিয়েছিল কারণ লোকজন উনার কথা শুনছিল না। তাই উনি পুরো গ্রহটাকে পানিতে ডুবিয়ে সবাইকে পানিতে দিল চুবিয়ে মারলো।
মমিন: ওয়াও আল্লাহতালা কত শক্তিশালী।
ফেরেশতা: তারপরও আমি এবং আজরাঈল মিলে উনাকে শান্ত করতে চেষ্টা করলাম। বললাম তারা তো নিতান্ত মানুষ। আপনি তো চাইলে তাদের এমনও বানাতে পারতেন যাতে তারা শুধুমাত্র ভালো কাজ করে। কারণ পানিতে ডুবিয়ে মারলে আপনি একটি সুযোগ হারাচ্ছেন যদি তাদের কেউ অনুতপ্ত হয়।
কিন্তু উনি আমাদের কথা শুনলেন না। আমি যেমনটা বলেছিলাম সবকিছুতে ঈশ্বর একটা মহাপরিকল্পনা আছে।
এখন এমন কিছু বলেন যা আপনি করেছেন যাতে আমি আপনাকে সহজে পাঠাতে পারি।
মূল: Sherif Gaber
https://youtu.be/s1AKpD49KmQ
অনুবাদ: সরকার আশেক মাহমুদ