Thursday, August 16, 2018

ইসলাম ধর্ম নিয়ে এক মুমিনের সাথে আলোচনা।

লিখেছেন: রবিউল আলম ডিলার
আমি আজকে এক মুমিনকে জিজ্ঞেস করলাম- নবীজি ৫১ বছর বয়সে ৬ বছরের শিশুকন্যা আয়শাকে বিয়ে করেছিলেন , জানেন ?
সে বলল- না তা তো জানিনা, তবে আয়শা নবীজির স্ত্রী ছিলেন তা জানি।
বললাম- আপনার ৬ বছরের মেয়েকে ৫১ বছরের একজন পুরুষ বিয়ে করতে চাইলে আপনি তাকে কি বলবেন ?
সে বলল- তাকে লম্পট, বদমাইশ বলব।
সাথে সাথে আমার প্রশ্ন- তাহলে নবীজির বেলায় কি বলতে হবে ? ,সে নিরুত্তর রইল।
– আপনি কি জানেন , নবীজি ১৩ টা বিয়ে করেছিলেন আর এছাড়া তার আরও দাসী বাদি ছিল ?
– আমি তো জানি তার ৪ টা বউ ছিল।
– আপনি কি জানেন তিনি লুঠ করার উদ্দেশ্যে মদিনাবাসীদের একত্র করে ৩১২ জন লোক নিয়ে মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন করতে বেরিয়েছিলেন?
– আমরা তো জানি মক্কাবাসীরা আক্রমন করার জন্য মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল, ওহুদ প্রান্তরে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। মক্কাবাসীদের সৈন্যসংখ্যা ছিল ১০০০ এর বেশী। আল্লাহর সাহায্যে নবীজি তাদেরকে পরাস্ত করেন।
– ভুল জানেন, সিরিয়া থেকে মক্কায় ফেরার বানিজ্য কাফেলায় ৫০ জনের মত লোক ছিল, যখন তাদের নেতা সুফিয়ান জানতে পারল তাদের মালামাল লুট করার জন্য মোহাম্মদ দল বল নিয়ে রওনা হয়েছে তখন সে বানিজ্য কাফেলাকে একটু ঘুর পথে নিয়ে যায়। আর মক্কায় সাহায্যের জন্য খবর পাঠায়। খবর পেয়ে মক্কাবাসীরা তাদের মালামাল রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসে, মদিনা আক্রমন করার জন্য নয়। এর পর ওহুদ প্রান্তরে মোহাম্মদের সাথে মরুভুমিতে দীর্ঘ পথ ভ্রমনে ভীষণ ক্লান্ত মক্কাবাসীদের যুদ্ধ হয় ও মক্কাবাসীরা পরাজিত হয়। পরাজয়ের অন্য কারনের মধ্যে আছে -মক্কাবাসীদের মধ্যে কিছু মোহাম্মদের অনুসারীও ছিল যাদেরকে মক্কাবাসীরা জোর করে তাদের সাথে এনেছিল যারা যুদ্ধের সময় মক্কাবাসীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। যাহোক, যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর বিপুল মালামাল মোহাম্মদের দলের আয়ত্বে আসে। তখন মক্কাবাসী আর মদিনা বাসীদের মধ্যে লুঠের মালামাল বন্টন নিয়ে কোন্দল শুরু হয়। মক্কাবাসীরা মদিনাবাসীদেরকে লুঠের মালের ভাগ দিতে অস্বীকার করে। পক্ষান্তরে মদিনাবাসীরা বলে তারা মোহাম্মদ ও অন্য হিজরতকারী মক্কাবাসীদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, তারপর মক্কাবাসীদের সাথে তাদের কোন দ্বন্দ্ব না থাকা সত্ত্বেও তারা মোহাম্মদের কথা মত(প্রথমে মদিনাবাসী মক্কার বানিজ্য কাফেলাকে আক্রমন করতে চায়নি, মোহাম্মদ তখন কোরানের বানী নাজিল করে ও লুঠের মালের ভাগ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ান) তাদের আক্রমন করেছে তাই লুঠের মাল তাদের প্রাপ্য। এ নিয়ে প্রায় মারামারির পর্যায়ে গেলে মোহাম্মদ একটা সমঝোথা করে দেন। তার মানে মদিনাবাসীরা ইসলামের জন্য যতটা নয় , তার চাইতে লুঠের মালের ভাগ পাওয়ার জন্যই এসেছিল। অন্যদিকে হিজরতকারী মক্কাবাসীরা ছিল ভীষণ পাজি ও স্বার্থপর, তারা মদিনা বাসীদের সাহায্যকে স্বীকার করতে চায়নি। এখন প্রশ্ন হলো- খোদ আল্লাহর নবী যেখানে উপস্থিত সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটে কিভাবে ? আজকের যুগে আমরা যদি কাউকে আল্লাহর নবী হিসাবে চুড়ান্ত ভাবে জানি ও বিশ্বাস করি তাহলে আমরা এহেন লুটের মাল বন্টনের মত তুচ্ছ ঘটনা ঘটানোর কথা তো কল্পনাও করতে পারি না ।
আমি তাকে তখন বদর যুদ্ধের যাবতীয় ঘটনা বের করে দেখালাম। আরও বললাম- ইসলাম আর মোহাম্মদ সম্পর্কে আপনাদের শূধু ভাল ভাল খবর গুলো জানানো হয় , বিতর্কমূলক ঘটনাগুলো গোপন করা হয়। কখনো জানতেও দেয়া হয় না । আর এটাই একটা বড় সমস্যা।
এর পর সে আর কোন কথা না বাড়িয়ে বলল- ভাল করে পড়ে দেখতে হবে বিষয়টি কি ও এই বলে সে আমার কাছ থেকে তড়ি ঘড়ি উঠে চলে গেল।
ইসলাম যে মোটেও কোন শান্তির ধর্ম নয়, এটা বোঝার জন্য সত্যিকার অর্থে কোরান বা হাদিসের আর কোন কিছুই পড়ার দরকার হয় না।