Saturday, August 25, 2018

মুমিনিও যুক্তি খন্ডন (পর্ব-১,২,৩,৪,৫,৬)

মুমিনিও যুক্তি খন্ডন (পর্ব-১)
(::)আল্লাহ যদি আমাদের ভাগ্য আগে থেকেই পূর্বনির্ধারণ করে থাকবেন,, তাহলে কেনো আমরা জান্নাত বা জাহান্নামে যাবো?
এই প্রশ্নের উত্তর মুমিন সমাজ কুটিলতার সহিত অনেকটা এরকম ভাবে দেয়,,
আল্লাহ জানেন বান্দা পৃথিবীতে কি করবে,, এবং সেভাবে তিনি সেই বান্দার তকদির লেখেন। কিন্তু তারমানে এই না যে আল্লাহ তাকে দিয়ে খারাপ কোন কাজ করায়,, আল্লাহ সর্বদ্রষ্টা হওয়ার দরুন সে সব কিছু আগের থেকে জানেন এবং তাকদিরে লিখে দেন,, কিন্তু কোন ভাবেই আমরা যা করি তা আল্লাহ আমাদের দিয়ে করায় না,, বরং এগুলা আমরাই করি,,,।
এই হোচ্ছে মুমিনিও যুক্তি।
কিন্তু কোরান বলছে অন্য কথা,,,

""আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমাদের কর্মসমূহকেও সৃষ্টি করেছেন"" (সূরা আস্তসাফ্‌ফাতঃ ৯৬)
হে মুমিন সমাজ,, একটু লক্ষ কইরা দেখেন আল্লাহ শুধু আমাদের ভাগ্য বা তাকদির'ই লিখে রাখেন নাই বরং আমাদের কর্মসসমূহ'ও সৃষ্টি করেছে
যিনি আমাদের কর্মসমূহ সৃষ্টি করে তিনি আল্লাহ তাই সেই কর্মের দোষ-গুনে কেনো আমরা জান্নাত জাহান্নামে যাবো?

(পর্ব-২)
(::) সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছেন?
এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে গিয়ে ৯৫% মুমিন জড়ায় প্যাচায় ফেলে।। কিছু মুমিন আবার #প্যারাডক্সিকাল_সাজিদ,, আরিফ আজাদ ভাইয়ের বই পইড়া,, বিজ্ঞান বুঝুক আর না বুঝুক কুটিলতার সহিত বিজ্ঞানের ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে এটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে,,, তাদের ব্যাখ্যা অনেকটা এ রকম,,,,,
বাই ডেফিনিশন x এর সৃষ্টিকর্তাকে যদি y ধরি। তাহলে এ প্রশ্ন চলে আসে y এর সৃষ্টি কর্তা কে। আবার যদি y এর সৃষ্টি কর্তাকে z ধরি তাহলে প্রশ্ন চলে আসে z এর সৃষ্টি কর্তা কে? যেহেতু এভাবে সৃষ্টিকর্তা খুজতে গেলে অসীমে পৌছেলেও সমাধানে পৌছানো যাবে না, তাই এভাবে সৃষ্টিকর্তাকে খোজা বোকামি,,,,,
আহা কি সুন্দর ডেফিনিশন!!! অংক তো আর আপনাদের নিয়মে তৈরি হবে না,, বা কারোর ব্যাক্তিগত সার্থে তৈরি হবে না,, এটা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট ও তাৎপর্য নিয়ে এগিয়ে যাবে,,,

এখন বলি ভায়েরা,, আপনি যদি আপনার দাদার দাদার দাদার নাম না জানেন,, তাহলে কি আপনি অপানার বাবাকে অস্বীকার করবেন?
এখন এই ডেফিনিশনটা এখানে একটু খাটিয়ে দেখেন,,আসল বাবার খোজে,, বাবার বাবা x তার বাবা z তার তার বাবা a। এখন এই ভাবে অংক করলে শুধুই চলতে থাকবে কোন সমাধানে পোছানো যাবে না,, এই ভাইবা যদি আপনি মেনেই নেন যে বাবার বাবা নাই,, তাহলে কেমন কথা হলো?
আরিফ_আজাদ ভাই বলেছেন,,,
সৃষ্টির একটা নির্দিষ্ট শুরু আছে,,,,,,,,,(১)
থার্মোডাইনামিক্সের তাপীও বিবর্তন ও এডুইন হাবলের নক্ষত্র দূরে সরে যাওয়া তত্ত্ব থেকে বোঝা যায় মহাবিশ্বের একসময় সৃষ্টি হয়েছিলো।
সুতরাং যেহেতু শুরু আছে,,,তাই
মহাবিশ্ব একটি সৃষ্টি,,,,,,,(২)
(১) নং ও (২) নং সমীকরন ম্যাচ করে,,, আমি ভাই আপনাদের মতের সাথে সহমত,,,,
কিন্তু এখানে বলছেন,, যেহেতু সৃষ্টিকর্তার কোন নির্দিষ্ট শুরু নেই তিনি আদি অনন্ত,,তাই তিনি সৃষ্টি হননি,,,
হোয়াট এ জোক!
যিনি এখনো শুরুই হননি,, যিনি এখনো সৃষ্টি'ই হয়নি তার অস্তিত্য কিভাবে থাকে?,,,এটা আমার মাথায় ঢোকে না।
সৃষ্টিকর্তা এখনো সৃষ্টি'ই হয়নি কিভাবে তার অস্তিত্য থাকে?
একটু উদাহরন দেই,,, সমীকরন রুপে
স্পাইডারম্যান রুপে কেউ কখনো সৃষ্টি হয় নি তাই বাস্তবে এমন কেউ নাই,,,(১)
ব্যাটম্যান রুপে কেউ কখনো সৃষ্টি হয় নি তাই বাস্তবে এমন কেউ নাই,,,(২)
তাগ জ্বীন রুপে কেউ কখনো সৃষ্টি হয় নি তাই বাস্তবে এমন কেউ নাই,,,(৩)
আল্লাহ রুপে কেউ কখনো সৃষ্টি হয় নি তাই বাস্তবে এমন কেউ নাই,,,(৪)
সমীকরন চারটি'ই পুরাপুরি মিলে যাচ্ছে কোন শর্ত ছাড়া,,, তাই এ সিদ্ধান্তে আসা যায় যে,, বাস্তবে সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নাই।।
আরিফ আজাদ ভাই বলেছেন,,,,
যিনি টাইম স্পেস মেটার তৈরি করেছেন,, তাকে কিভাবে এই বাটকারায় মাপা সম্ভব?
এখন ভাই আপনাকে বলবো,, যেহেতু তিনি টাইম স্পেস মেটার তৈরি করেছেন,,, সেহেতু এগুলার একটা শুরু আছে ফলে এগুলা একসময় ছিলো না,,,
তাহলে একটু হিসাব করে দেখুন,, যার যন্য একসময় একবিন্দু সময়, একটু যায়গা ও একটু ভর বা শক্তি ছিলো না সে কিভাবে তাহলে সে সময় অস্তিয়মান থাকে,,,?!!
অর্থাৎ স্রষ্টা বলতে কিছুই নেই তাই তাকে lows of causality দিয়ে মাপা সম্ভব নয়!

(পর্ব-৩)
(::)স্রষ্টা কি এমন কিছু তৈরি করতে পারবে? যা সে নিজেই তুলতে পারবে না।
এ ধরনের প্রশ্ন করলে সাধারণ মুমিনেরা উত্তর দিতে পারে না,, নাউজুবিল্লাহ, কাফের বলে পালিয়ে যায়।
কিন্তু, অতিকুটিল গোছের কিছু মুমিন, বিশেষ করে যারা #আরিফ_আজাদের (#প্যারাডক্সিলা_সাজিদ) বইটি পড়েছে তারা সুনিপুন ভাবে #কোরানের মিথ্যাচার করে এই প্রশ্নের উত্তর ন্যাম-ছ্যাম ভাবে দিয়ে চলে যায়।

তাদের যুক্তি বা আরিফ আজাদের যুক্তি অনেকটা এরকম,,,
আমরা জানি স্রষ্টা আসীম,, (প্যারাডক্সিকাল সাজিদ পৃষ্ঠা নং-১৫৬,১৫৭)
এখন,, জগতে যাই কিছু আমরা কল্পনা করি সবি সসীম,, একজন অসীম সত্ত্বা সসীম কিছু তুলতে পারবে কিনা,, এ ধরনের প্রশ্ন করা বোকামি। আরিফ আজাদ বলেছেন এ ধরনের প্রশ্ন কোন মূল্য নাই,,,
নীল রঙের স্বাদ কেমন?
বা ব্যাথা দেখতে কেমন?
এসব প্রশ্ন যেমন কোন সঠিক অর্থ বহন করে না। ঠিক তেমনি অসীম বা নীরাকার কোন সত্ত্বার সম্পর্কে এ ধরনের প্রশ্নও যৌক্তিক না।
#আরিফ_আজাদ ভাই আমি আপনার সাথে একমত। অসীম বা নিরাকার কোন কিছুর ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশ্ন করা বোকামি।।
কিন্তু ভাই কোরান তো আল্লাহকে অসীম বা নিরাকার বলেনি
আল্লাহর ব্যাপারে সূরা ইখলাস বলছে,,
১/তিনি এক এবং অদ্বিতীয়।
২/তিনি কারোর মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার মুখাপেক্ষী।
৩/তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি।
৪/তার সমকক্ষ কেউ নেই।।
কোরানের কোন একটা আয়াত থেকেও বোঝা যায় না যে, আল্লাহর আকার,, নিরাকার বা অসীম।
এ ব্যাপারে আপনাদের জাকির নায়েকও বলেছেন,, সৃষ্টিকর্তা আসীম নন তার একটা আকার আছে,, তবে সেটা কেমন তা আমরা জানিনা,, আল্লাহ মালুম,,,,,,
আল্লাহ যে অসীম বা নিরাকার না,,
এ ব্যাপারে আমি কিছু রেফারেন্স দিচ্ছি,,,
আল্লাহ প্রতি রাতে প্রথম আসমানে আসেন, (ইবনে কুদামা, আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ পৃ-২২)
///আল্লাহ যেহেতু প্রথম আসমানে আসেন তাহলে নিশ্চই তার একটা আকার আছে,,,
আল্লাহ মুসার সাথে সুষ্পষ্ট ভাবে কথা বলেছে (নিসা-১৬৪,, আরাফ-১৪৩)
আল্লাহ যেহেতু কথা বলেছে এ থেকে বোঝা যায় আল্লাহর মুখ আছে,, অর্থাৎ তিনি অসীম বা নিরাকার নন।
আমি তোমার প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও (ত্বা-হা-৩৯)
///এ থেকে বোঝা যায় আল্লাহর চোখ আছে কিন্তু সে চোক কেমন তা আমরা জানি না,, অর্থাৎ তিনি নিরাকার নন।
সেদিন পায়ের গোছা উন্মুক্ত করা হবে এবং তাদের ডাকা হবে সেজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা কোরতে সক্ষম হবে না (আল ক্বালাম-৪২)
///আল্লাহর পা আছে অর্থাৎ তিনি নিরাকার নন।
বরং তার দুহাত প্রসারিত (মায়িদাহ-৬৪)
কিয়ামতের দিন আকাস থাকবে মুষ্টিতে আকাস সমুহ ডান হাতে ভাজ করা থাকবে (যুমার-৬৭)
/// অর্থাৎ আল্লহর হাত আছে,, তিনি নিরাকার নন তিনি অসীম নন তিনি সসীম তার আকার আছে,, কেমন তা আমরা জানি না।।
#আরিফ_আজাদ ভাই সৃষ্টিকর্তা অসীম বা নিরাকার এই বেজের উপর ভিত্তি করে যে খোড়া যুক্তি উপস্থাপন করেছে তা টোটাল একটা বুঝরুকি,, কেননা কোরান'ই বলছে আল্লা সসীম তার আকার আছে
এখন তাহলে প্রশ্নটি আবার করি,,
আল্লাহ কি এমন কিছু তৈরি করতে পারবে যা সে নিজেই তুলতে পারবে না,,,
আল্লাহ যেহেতু সসীম এবং যা তৈরি করবে তাও সসীম,, তাহলে প্রশ্নটি এখন ভ্যালিড
এখানে উত্তর হ্যা দিলে আল্লাহ উঁচু করতে পারবেনা,, আবার উত্তর না দিলে আল্লাহ বানাতে পারবেন না।। তাই আল্লাহ সর্বশক্তিমান না

(পর্ব-৪)
(::)ইসলাম যদি মানবতার ধর্ম হয়ে থাকে তাহলে কাফের মুশরিকদের যেখানে পাবে সেখানে হত্যা করার নির্দেশ কেনো দেওয়া হলো?
এ ধরনের প্রশ্ন করলে কুটিল মুমিন শ্রেনী কোরানের কিছু তাফসির বিকৃত করে সরাসরি উত্তর দেয় যে,, ইসলাম কাউকে হত্যার নির্দেশ দেয় নি বরং আত্মরক্ষার জন্য হত্যা বৈধ করেছে,,,
যেমন,,,
কাফের মুসরিকরা যদি প্রথমে আগ বাড়িয়ে আক্রমন করতে আসে সেখানে তাদের প্রতিহত করার জন্য হত্যা করা যাবে,,,,,
#প্যারাডক্সিকাল_সাজিদ বইয়ের রচিয়তা আরিফ আজাদ ভাই'ও একই কথা বলেছেন,,,, ইসলাম কখনোই আগ বাড়িয়ে কাউকে হত্যা করার কথা বলে নি,,,
তবে যুদ্ধের ময়দানে,, হত্যা করা যায়েজ কেননা,,
সেখানে হত্যা না করলে নিজেদের পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়,,, তাই এটা কোন অপরাধ না,, যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালীদের জন্য বলেছিলেন,,, ""তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়"" ""আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো"" ইত্যাদি,,, এটা যদিও মুজিবরের হত্যার ডাক,, তবুও এটা কোন অপরাধ নয়।।।।
#আরিফ_আজাদ ভাইকে বলবো,, জ্বি ভাই আমি আপনার সাথে একমত আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করা বৈধ হলেও হতে পারে,,,যদিও এখানে আপনার সেই সত্রু আপনার প্রানের জন্য কতটুকু হুমকি সরুপ তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ,,,,,
এবার আসি ইসলামের কথায়,,,
ইসলামে কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার ক্ষেত্রে দুই ধরনের (নমনীয়তা, কঠোরতা) আয়াত দেখতে পাওয়া যায়,,, যার একটার সাথে আরেকটার আদর্শিক কোন মিল নাই
নমনীয়তাঃ মুহাম্মদের নবুয়াত প্রাপ্তির প্রথম দিকের নাযিলকৃত (তৈরিকৃত) আয়াতে কাফের মুশরিকদের সাথে যুদ্ধের ব্যাপারে নমনীয়তা দেখানে হয়,,,
কেননা এসময়ে মুহাম্মদের সমর্থক সংখ্যা কম ছিলো,, সরাসরি আগ বাড়িয়ে যুদ্ধে যাওয়ার মত শক্তিও তখন মুহাম্মদের ছিলো না।।
তাই মুহাম্মদ এসময়ে সব সময় কাফির মুশরিকদের সাথে ভালো ব্যাবহার করতো ও সহীহী ভাবে দাওয়াত দিতো,, এ সময়ে নাজিলকৃত আয়তগুলোতে আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করার কথা বলা হয়,,, অসংখ্য আয়াতের ভিতর এ ধরনের একটা আয়াতের উদাহরন দিচ্ছি,,,
"তোমাদের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে, তোমরাও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, তবে বাড়াবাড়ি করনো" (বাকারাহ-১৯০)
এ ব্যাপারে তাফসির বলে,,,
এই আয়াতে প্রথমবার সেই লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল। আর 'বাড়াবাড়ি করো না'র অর্থ হল, শত্রুর আঙ্গিক বিকৃতি ঘটায়ো না, মহিলা, শিশু এবং এমন বৃদ্ধকে হত্যা করো না, যে যুদ্ধে কোন প্রকার অংশগ্রহণ করেনি। অনুরূপ গাছ-পালা বা ফসলাদি জ্বালিয়ে দেওয়া এবং কোন অভীষ্ট লাভ ছাড়াই পশু-হত্যা করা ইত্যাদিও বাড়াবাড়ি বলে গণ্য হবে, যা থেকে বিরত থাকতে হবে। (ইবনে কাসীর)
🔔🔔কঠরোতাঃ ধিরে-ধিরে যখম মুহাম্মদের অনুসারী বাড়তে বাড়তে একটা মোটামুটি পর্যায়ে গেলো তখন মুহাম্মদ সরাসরি কাফির মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করার ঘোষনা দেয়,,,
এক্ষেত্রে সে কাফের মুশরিকদের শর্ত বেধে দিত যে দু-মাস ছয়-মাস এর ভেতর যদি তারা ইসলাম না গ্রহন করে তাহলে তাদের সাথে যুদ্ধ ও তাদের হত্যা করা হবে যেমন,,,,
""অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের যেখানে পাবে সেখানে হত্যা কর, পাকড়াও কর, অবরোধ কর, ঘাটিতে ওৎ পেতে থাকো, কিন্তু তারা যদি তওবা করে, সালাত কায়েম করে যাকাত দেয় তবে তাদের ছেড়ে দাও""(ত্বোওবা-৫)
এছাড়াও কোরান ও হাদিসে অসংখ্য যায়গায় কাফির মুশরিকদের সরাসরি হত্যা করার কথা বলা হয়েছে আমি তার অল্পকিছু উদাহরন দিচ্ছি,,,
হাদিসে আসছে,,
""আনাস ইবনে মালিক হতে বর্নিত,, তিনি বলেন,, রাসূল (সঃ) আমাকে বলেছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে যতক্ষন না তারা স্বীকার করছে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ" (সহীহ বুখারী, অধ্যায়-৮, হাদিস নং-৩৯২)
এই হাদিসটি থেকে বোঝা যায় ইসলাম কি নৃসংস ভাবে যুদ্ধ করার আহব্বান জনাইছে বিধর্মিদের বিরুদ্ধে।
অনেকেই এ পর্যায়ে এসে আবার বলবেন যে হত্যার বদলে হত্যা করার নির্দেশ আছে ইসলামে,,
এখানে একটু দেখেন,,
""কুফর, শিরক হত্যা অপেক্ষা গুরুতর"" (বাকারহ-১৯১)
অন্যান্য ধর্মালবাম্বিরা নিঃসন্দেহে মুসলিমদের কাছে কাফের মুসরিক,, তাই এই আয়াতের মাধ্যমে তাদের সাথে শুধু শুধু যুদ্ধ করা যায়েজ
সমকামীতার সাস্থি নাকি মৃত্যুদন্ড
চোরের সাস্থি নাকি হাত কাটা
ব্যাভিচারির সাস্থি ১০০ বেত্রাঘাত
মদ্যপায়ীর সাস্থি বেত্রাঘাত
এখন আপনারাই বলেন,, আপরাধির সাস্তি কি এভাবে রেডিমেট ভাবে নির্নয় করা যায়?
অপরাধির সিচুয়েশন বুঝে, কোন প্রেক্ষাপটে সে অপরাধটি করেছে,, সেটা বোঝাও জরুরি,,,,
উদাহরন দিলে পরিষ্কার হবে,,
যেমন একজন মদ্যপায়ী কে বেত্রাঘাত করলেন,, পরে জানা গেলো সে তার শারীরিক প্রয়োজনে মদ্যপান করেছে,,, যেমন শীত প্রধান দেশের মানুষ শারীরিক প্রয়োজনে এলকোহল খায়,,,বা ঔষধের কথা চিন্তা করেন,,, ডেক্সপর্টেন কাসির গুরুত্বপূর্ন একটা ঔষুধ,, তবে কেউ কেউ এটা নেষা করার জন্য ব্যাবহার করে,,,
এখন যে যে ডেক্সপোর্টেন খায় সবাইকে আপনি কি এক কাতারে ফেলাতে পারেন?

(পর্ব-৫)
কোরান নাজীল হতে ২৩ বছর সময় লাগলো কেনো?
মুমিন শ্রেনী একবাক্যে সমস্যরে চিল্লায় বলবে আরে মুর্খ কোরান নাজিল হয়েছে নবীজির জীবনের বাস্তবতা দিয়ে,, নবীজীর যখন যে আয়াত দরকার পড়েছে, তখন সেভাবে আয়াত নাজীল হয়েছে আল্লহর তরফ থেকে,,,,,
যেমন সুরা বাকারায় জিহাদ সংক্রান্ত আয়াত সুরা ত্বাওবার জিহাদ সংক্রান্ত আয়াত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ১৯০
وَقَٰتِلُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلْمُعْتَدِينَ
উচ্চারণঃ ওয়া কা-তিলূ ফী ছাবীলিল্লা-হিল্লাযীনা ইউকা-তিলূনাকুম ওয়ালা-তা‘তাদূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল মু‘তাদীন।
অর্থঃ আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন ন।
ইহুদি নাসারাদের সাথে যুদ্ধের ব্যাপারে এক ধরনের নমনীতা দেখানো হয়েছে।।
সূরা আত-তাওবাহ্‌ (التوبة), আয়াত: ৫
فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلْأَشْهُرُ ٱلْحُرُمُ فَٱقْتُلُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَٱحْصُرُوهُمْ وَٱقْعُدُوا۟ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّوا۟ سَبِيلَهُمْ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
উচ্চারণঃ ফাইযানছালাখাল আশহুরুল হুরুমুফাকতুলুল মুশরিকীনা হাইছুওয়াজাত্তুমূহুম ওয়া খুযূহুম ওয়াহসুরূহুম ওয়াক‘উদূলাহুম কুল্লা মারসাদিন ফাইন তা-বূওয়া আকা-মুসসলা-তা ওয়া আ-তাউঝঝাকাতা ফাখাললূছাবীলাহুম ইন্নাল্লা-হা গাফুরুর রাহীম।
অর্থঃ অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
এখানেই আবার তাদের প্রতি কঠরতা দেখানো হয়েছে,,,,
অর্থাৎ তাদের ভাষ্যমতে আল্লাহ সঠিক সময়ে সঠিক আয়াত নাজিল করেছে।।
ভাই আমি আপনাদের সাথে একমত,, যেহেতু সমাজ পরিবর্তনশীল তাই যে কোন সময়, সময়ের প্রয়োজনে সমাজের আইন কানুন গুলা পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে,,,,,,
এর বাস্তব উদাহর কোরান,,,,যার সত্যতা প্রমান হয় জিহাদ সংক্রান্ত আয়াত গুলা দেখলে,,,
এখন আপনারাই বলেন? ২৩ বছরেই যদি কোরানের এতো আইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে তাহলে ১৪০০ বছরের আগের সেই আইন পৃথিবীতে এখন কিভাবে চলে?
যেহেতু সময়ের প্রয়োজনে আইন পরিবর্তিত হয়,,
উদাহরন দেই,,,
এক সময়ে আরবে চোরের উপদ্রব বেশি ছিলো,, যার কারনে তখন চোরের শাস্থি হাত কেটে ফেলা করা হত,,, কিন্তু এই আইন এখন চলে না।।
কারনঃ১/ চুরির জন্য হাতকাটা রায় প্রাপ্ত লোকটি আত্মহতাসায় ভুগে পরবর্তিতে এর থকেও খারাপ কোন কাজে লিপ্ত হতে পারে যেমন আত্মঘাতী বোমা হামলা।
২/রাষ্ট্রিয় প্রয়োজনে কোন কোন ক্ষেত্রে চুরি করার প্রয়োজন পড়ে,, এক্ষেত্রে যে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে চুরি করবে রাষ্ট্রের আইন কি তারই হাত কাটবে
৩/ভালো কোন লোক অতিদারিদ্রের মাথায় ভুল বসত যদি চুরি করেও ফেলে তবে এ ক্ষত্রেও শাস্তি হিসেবে হাত কাটা অমানবিক,।
ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রন করা নিষেদ,,,
একটা সময় এই আইন হয়তো আরবে সমাজের কল্যানে কার্যকর ছিলো,,
কিন্তু এই আইন বর্তমানে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু যৌক্তিক,,,?
১/ জন্ম নিয়ন্ত্রন না করলে জন্মহার বৃদ্ধি পায় যার কারনে দেশের নানামুখি সমস্যা সৃষ্টি হয়।
যেমন, খাদ্য সংকট, বস্ত্রের অভাব, চিকিৎসা অর্থাৎ সকল মৌলিক চাহিদা হতেই জনগন ও শিশু বঞ্চিত হয়,,,
এখন এক্ষেত্রে কিছু মুমিন বলবে,,
উৎপাদিত সন্তানকে যদি সঠিক ভাবে মানুষ করে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানানো যায় তাহলে এই জনগন তো কল্যানকর'ই।।
এখন ভাই আপনি বলেন,, সচেতন নাগরিক কয়জন আছে যে তাদের ছেলেমেয়েদের প্রত্যেকটাকেই মানুষ করতে পারে?
হয়তো কিছু মানুষ তার পনেরো বিশটা ছেলেমেয়েকেই আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারবে,, তবে ম্যাক্সিমাম পারবে না।
তাহলে সবার জন্য ইসলামের এই একই আইন কিভাবে চলে?

(পর্ব-৬)
(পুরা পোষ্ট না পড়ে কেউ কমেন্ট করবেন না)
ভবিষ্যতে কি হবে, আল্লাহ কি তা জানেন?
এ প্রশ্নের উত্তরে মুমিন সমাজ একবাক্যে বলবে,,,, এতো আল্লাহর কাছে সহজ কাজ, কেননা পবিত্র কোরানে আল্লাহ নিজেই বলেছে ভবিষ্যতে কি হবে তা সে জানে,,,,,
সূরা নামাল, আয়াতঃ-৬৫
قُل لَّا يَعْلَمُ مَن فِى السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ ۚ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ
বলুন, ‘আল্লাহ্‌ ব্যতিত আসমান ও যমীনে কেউই গায়েব জানে না, এবং তারা উপলব্ধিও করেনা কখন উত্থিত হবে
আল্লাহ হলো“আলেমূল গায়েব” অদৃশ্য জ্ঞানী উপাধি একমাত্র আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের সাথে সংশ্লিষ্ট।
আল্লাহ্‌ বলেনঃ
"আর তাঁর কাছেই আছে অদৃশ্যের চাবিগুলো, সেগুলো তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না।” (সূরা আল-আন‘আম ৫৯)
তিনি আরও বলেনঃ “একমাত্র আল্লাহ্‌ই রাখেন কিয়ামতের জ্ঞান। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তিনিই জানেন মাতৃগর্ভে কি (লালিত) হচ্ছে, কোন প্ৰাণী জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কোন প্রাণী জানে না কোন ভূমিতে তার মৃত্যু হবে।” (সূরা লুকমানঃ ৩৪)
তিনি আরও বলেনঃ “তিনি জানেন যা কিছু সৃষ্টির সামনে আছে এবং যা কিছু আছে তাদের অগোচরে। আর তাঁর জ্ঞানের কিছুমাত্র অংশও তারা আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যে জিনিসটির জ্ঞান তাদেরকে দিতে চান, দেন। (সূরা আল বাকারাহঃ ২৫৫)
এ ব্যাপারে আরো দেখুনঃ সূরা আল-আন‘আমঃ ৫০, সূরা আল-আ‘রাফঃ ১৮৭, সূরা আত-তাওবাহঃ ১০১, সূরা হূদঃ ৩১, সূরা আল- আহযাবঃ ৬৩, সূরা আল-আহকাফঃ ৯, সূরা আত-তাহরীমঃ ৩, এবং সূরা জিনঃ ২৬।।
অর্থাৎ কোরানে আল্লাহ বলেছে বলেই এটা পরম সত্য,, এ ধরনের খোড়া যুক্তি মেরে মুমিনরা দাত ক্যালায়।।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয়,,,
কোরান বলেছে বলেই কি সত্য হবে ?
এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে?
এ প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই মুমিনরা বলবে, মহাবিশ্বের ৪% বিজ্ঞানিরা জানে যা খুবই সামান্য অতএব এই সীমিত জ্ঞান দিয়ে আল্লাহর ক্ষমতা ব্যাখ্যা করা যায় না।।
হা হা হা, মুমিন ভায়েরা শোনেন বিজ্ঞান ৪% জানুক আর ২% জানুক। যা যানে সেটা পরিক্ষালব্দ বাস্তব প্রমানিত সমীকরণ ভিত্তিক সত্য।।
বিজ্ঞান যা জানেনা তা নিয়ে বিজ্ঞান গবেষনা করে,,, সেরকম বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যা পসিবল না বাস্তবে সে রকম কিছু থাকে না,,,,
এটা নিশ্চই আপনারা অস্বীকার করবেন না?
এক্ষেত্রে কিছু মুমিন কুটিলতার সহীত আইনস্টানের সময়ের আপেক্ষিকতার সাহায্যে আল্লহর ক্ষমতা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে যা খুবি হাস্যকর!,,,, তারা বলে,,, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের সাহায্যে প্রমান করা যায় যে ভবিষ্যৎ এ যাওয়া পসিবল এবং আল্লাহ ভবিষ্যৎ জ্ঞান,, বিজ্ঞান সম্মত।।।
তাদের এ ধরনের উত্তর শুইনা আমি অবাক হয়ে যাই,,,যদি তারা এ ব্যাপারে কিঞ্চিত পড়াশোনাও করতো,,, তাহলেও তারা এই ভুলভাল কথা বলতে পারতো না।
আসুন আমরা দেখে নেই,,,,কেনো ভবিষ্যতে যাওয়া বৈজ্ঞানিক ভাবে অসম্ভব,,,,,
আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতার সমীকরনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন,,,,
"সময় বেগের হ্রাস বৃদ্ধির উপর নির্ভরশীল,,, সমীকরনটি,,
T"= T/[root{1-(v2/c2)}]
T= পর্যবেক্ষকের সময়।
T=পৃথিবীর সময়।
v=পর্যবেক্ষকের বেগ।
c=300000000 ms*-1। (ধ্রুবক)
এ সমীকরনের মাধ্যমে আইনস্টাইন ৩ টি সিদ্ধান্তে এসেছিলেন,,,
১/ সাধারনত বাস্তব জগতে সকল কিছুর'ই বেগ আলোর থেকে অনেক কম হওয়ায়,, বাস্তব জগতের কোন ঘটনা দিয়েই সময়ের আপেক্ষিকতাকে পর্যবেক্ষন করা সম্ভব নয়।।
২/আলোর কাছাকাছি বেগে ছুটতে পারলে পৃথিবীর ঘড়ির থেকে পর্যবেক্ষকের ঘড়িতে সময়ের মান বেশি আসবে।।
৩/আলোর বেগে যদি ছোটা যায়,,, তাহলে পর্যবেক্ষক ঐ মুহুর্ত অনিশ্চয়াতার মধ্যে হারিয়ে যাবে,,, অর্থাৎ ঐ নির্দিষ্ট মুহুর্তে তার সময়ের মান অসীম হয়ে আটকে যাবে তাই,,,, ঐ নির্দিষ্ট মুহুর্তের আগেও যেতে পারবে না পিছেও যেতে পারবে না,,, ফলে তার সময় স্থির হয়ে যাবে।
কেউ কেউ বলতে পারেন আলোর থেকে বেশি বেগে গেলে নিশ্চই ভবিষ্যতে যাওয়া যাবে?
ভাই,,, আলোর থেকে বেশি বেগে ছোটা কোন কিছুর পক্ষে সম্ভব না।। আলোর বেগ একটি ধ্রুবক। তারপরও যদি আল্লাহকে ধরে নেই যে সে পারে,,
তাহলেও এই সমীকরন দ্বারা প্রমান হয় না যে,, সে ভবিষ্যতে যেতে পারে,,, বরং আলোর থেকে বেশি বেগে ছুটলে অতিতে চলে যায়।।
বিশ্বাস না হলে বিভিন্ন বেগ দিয়ে সমীকরনটিতে এপ্লাই করুন।।
আবার কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের ভাষ্যমতে,, ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় অনিশ্চয়তার মাধ্যমে।।
ভবিষ্যৎ যানা সম্ভব নয়,, এই যুক্তিকে প্রধান বেজ হিসেবে ধরেই হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তার সূত্রটি আবিষ্কার হয়েছে।
এবং এই সুত্রের মাধোমে আলোর বর্নালীর সুক্ষ বিশ্লেষন করা হচ্ছে যা পরিক্ষালব্দ সমীকরন নির্ভর সত্য।
এখন কেউ কেউ বলবেন,, ভাই বিজ্ঞানের অনেক বিষয় তো ভুল প্রমানিত হয়েছে,,,
আপেক্ষিক তত্ত্ব বা অনিশ্চয়তার নিতী যে ভুল প্রমান হবে না তার গেরান্টি কি??
আমি একমত ভাই অনেক জিনিশ ভুল প্রমানিত হয়েছে,,, কিন্তু যেগুলো ভুল প্রমানিত হয়েছে আপনি সেগুলো লক্ষ করলে দেখবেন,,
সেগুলো সমিকরন ভিত্তিক পর্যবেক্ষন নির্ভর সত্য না।।
কোনটা ছিলো যাষ্ট হাইপো-থিসিস। আবার কোন কোন হাপোথিসিস ফ্যাক্ট এর দুই দুই একটা কার্যকারন শুধু ব্যাখ্যা করতে পারতো,, কিন্তু কোন গানিতিক সমাধান দিতে পারতো না।
কিন্তু আপেক্ষিকতা বা কোয়ান্টাম বলবিদ্যা তাদের বিষয়ভুক্ত সব কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারে।
তাহলে উপরের আলোচনার মাধ্যমে একথা প্রমানিত হলো যে,, আল্লাহ বা যে কোন সত্ত্বার পক্ষেই ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আল্লাহকে #আলিমুল_গায়েব বলা বৈজ্ঞানিক ভাবে যুক্তিহীন
 
(পর্ব-৭)
 আয়েশা (রাঃ) এর বিয়ে,, ইতিহাসের একটি জঘন্যতম দৃষ্টান্ত নয় কি? এ প্রশ্নের উত্তরে মুমিন সমাজ অনেকটা আবেগে আপ্লুত হয়ে বলে, না,,,,
--কেনো,,! আপনারা শিশু বিবাহ সমর্থন করেন?
হাদিসে আসছে,,,
আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তার ছয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। তাকে নয় বছর* বয়সে তার ঘরে বধুবেশে নেয়া হয় এবং তার সঙ্গে তার খেলার পুতুলগুলোও ছিল। তাঁর আঠারো বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন।(সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নংঃ ৩৩৭২)(ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৫)
এই হাদিসটি থেকে বোঝা যায় মুহাম্মদ ছয় বছর বয়সে আয়েশাকে বিবাহ করে,,, এবং নয় বছর বয়সে তার সাথে যৌন সম্পর্ক করে।।
#প্যারাডক্সিকাল_সাজিদ বইয়ের রচিয়তা আরিফ আজাদ সহ কুটিল মুমিন গোষ্টি এর উত্তরটা অনেকটা এরকমভাবে দেয়,,,,
মেয়েদের যৌন পরিপক্কতা ছেলেদের তুলনায় তাড়াতাড়ি হয়,,, যেকারনে কোন মেয়ের মিন্স শুরু হওয়ার পর পরই সে বিবাহের উপযোগি হয়।।।
এখন মুমিন ভাই আপনারাই বলেন,,,
মিন্স শুরু হলেই কি একটা মেয়ে বিয়ের উপযোগি হয়?
মিন্স শুরু হলেই কি একটা মেয়ে গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসবের উপযোগি হয়ে যায়?
এর উত্তর হবে,, না,,, (উইকিপিডিয়া)
এখন আপনারা বলতে পারেন,, ইসলামে মেয়েদের মিন্স শুরু হওয়ার সাথে সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বলা আছে,,
কিন্তু মেয়েটির যে সন্তান নেওয়া লাগবে এমন তো কোন কথা নাই,,,,,
ভুল ভাই,, ইসলামে গর্ভনিরোধক কিছু ব্যাবহার করা হারাম,,,কেননা হাদিসে আসছে,,
""তোমর উৎপাদনশীল মেয়েদের বিয়ে কর, যাতে আমি সংখ্যায় কাফেরদের পরাস্থ করতে পারি""(সূনান আবুদাউদ বই,১১ হাদিস নং-২০৪৫)
এখানে নবী বলেছে উৎপাদন করতে, আপনি যদি জন্ম নিয়ন্ত্রন করেন!! সেটাতো ভাই ইসলাম বিরোধি হবে
এখন যদি বলেন,,ভাই আমি আর্থিক সমস্যায় আছি সন্তান নিতে চাই না,,, এক্ষেত্রে কোরান কি বলে দেখুন,,,
وَلَا تَقْتُلُوٓا أَوْلٰدَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلٰقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُمْ ۚ إِنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيرًا
অভাব-অনটনের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিয্ক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ। (বনী ইসরাইল, আয়াত নং-৩১)
এক হাদীসে এসেছে,,, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, “সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি বললাম, এটা অবশ্যই বড় কিন্তু তারপর কি? তিনি বললেন, এবং তোমার সাথে খাবে এ ভয়ে তোমার সন্তানকে হত্যা করা”। (বুখারীঃ ৪৪৭৭)
এখন বলতে পারেন স্ত্রি সেক্স করতে চায় না,, তো এক্ষেত্রে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনাও নাই,,
কিন্তু ভাই হাদিসে আসছে,,,
""কোন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সেক্স করতে চায়, কিন্তু যে কোন কারনেই হোক স্ত্রি যদি তা না দেয়,,, তাহলে সারারাত ঐ স্ত্রীকে ফেরেস্তারা অভিষাপ দেয়"" (সহীহ মুসলিম হাদিস নংঃ ৩৩৬৭)
যেহেতু আপনি একজন পুর্নবয়স্কা যুবক,, তাই আপনার সেক্সের চাহিদা থাকবেই,,, এবং আপনার স্ত্রীও তা করতে বাধ্য আবার এক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না,,,
ফলে আপনার শিশু বউটি প্রেগন্যান্ট হতে বাধ্য।
এর অপকারিতার দুই একটা পয়েন্ট লিখি,,,
১/মায়ের মৃত্যুর ঝুকি
২/শিশু মৃত্যুর ঝুকি
৩/মা ও শিশুর অপুষ্টিহীনতা
৪/জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার অত্যাধিক
৫/মৌলিক চাহিদার দুঃষ্প্রাপ্যতা, ইত্যাদি।
শিশু বিবাহের ক্ষতিকর দিক জানতে উইকিপিডিয়ায় সার্চ দিন।।
এখন কেউ কেউ বলতে পারেন ভাই,, নবিজী করেছে বলেই কি আমাদেরও শিশু বিবাহ করতে হবে?
--ভাই নবিজী যা করেছে যা বলেছে এবং যার সমর্থন করেছে তা মুমিন শ্রেনীর পালন করা অবশ্য কর্তব্য,,,
কোন কোন মুমিন বলে,, ভাই খ্রিষ্টান ধর্মে হিন্দু ধর্মে এমন কি #আরিফ_আজাদ তো কয়েক গ্রেড উপরে গিয়ে মুজিবরের কথাই উল্লেখ করে বলেছেন,,, ইতিহাসে তারাও তো শিশু বিবাহ করেছে তাদের কোন দোষ নাই,, অথচ ১৪০০ বছর আগে মুহম্মদ করেছে তাতেই দোষ হয়ে গেছে?
উদাহরন দেয়,, রাম যখন সীতাকে বিবাহ করে তখম সীতার বয়স ছিলো ছয় বছর ( স্কন্ধ পূরাণ, ৩য় পর্ব, ২য় খন্ড, ৩০ নং অধ্যায়, ৮-৯ নং শ্লোক)
আবার খ্রিষ্টান ধর্মের থেকে উদাহরন দেয়,,
"তোমরা যুদ্ধ ক্ষেত্রে সকলকে হত্যা করে ছোট কুমারী মেয়েদের নিজেদের জন্য রেখে দাও"
আবার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসার বয়স যখন ৮ তখন মুজিব তাকে বিয়ে করে,,,,(অসমাপ্ত আত্মজীবনী)
ভাই আপনাদের মাথায় কি আছে আমি জানিনা,,, মুজিব বিয়ে করেছে ঠিকই , কিন্তু সে কি বলে গেছে, সবাইকে শিশু বিবাহ করতে হবে? হিন্দু ধর্ম কি বলে গেছে? বা খ্রিষ্টান, ইহুদি ধর্ম?
যদিও ধরে নিলাম হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ধর্ম গুলাও সমর্থন দিছে শিশু বিবাহের,,, কিন্তু তাদের উম্মতেরা কি তা এখন মানে?
তারা মানেনা কারন তারা এর কুফল জানে,,,
কিন্তু আপনারা মুমিনরা এখনো শিশু বিবাহের পক্ষে কথা বলেন!! যা হাস্যকর।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হয়তো শিশু বিবাহেএ কূফল যানতো না,, তাই সে বিয়ে করেছিলো,, মুহাম্মদও জানতো না,,তাই সে বিয়ে করেছে।
আপনি তো জানেন এর কুফল, তাহলে আপনি কেনো এখনো এটা সমর্থন করবেন?
এখন আপনারা আবার প্রশ্ন করতে পারেন,, সক্কলেই তো শিশুবিবাহ করেছে,, তাহলে মুহাম্মদ, আয়েশার বিয়ে কেনো জঘন্যতম?
ভাই,, হয়তো তারা এর কুফল জানতো না,, তাই তারা বিবাহ করেছে। কিন্তু কেউ কি বলে গেছে আমার আইনই চুড়ান্ত? আমি যা করবো তাই সত্যি! কেউ বলে নাই, একমাত্র মোহাম্মদ ছাড়া।
তাই তার এ বিবাহ ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনার মধ্যে একটা।