Thursday, August 16, 2018

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ছিল একজন মুর্তাদ , মুনাফিক ও কাফের।

ইসলামের ব্যপারে নবী মুহাম্মদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। কেউ যদি কোন বিষয়ে নবী মুহাম্মদের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে , সমালোচনা করে ও সেই সিদ্ধান্ত মানতে না চায়, তাহলে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। সে হয়ে যাবে মুনাফিক , মুর্তাদ , কাফের। এটাই ইসলামের বিধান। এবার দেখা যাক নিচের হাদিস --
সহিহ বুখারি( ইফা), হাদিস নং- ১৫১০। সা’ঈদ ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হাজরে আসওয়াদকে লক্ষ্য করে বললেন, ওহে! আল্লাহর কসম, আমি নিশ্চিতরূপে জানি তুমি একটি পাথর, তুমি কারও কল্যাণ বা অকল্যাণ করতে পার না। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না। এরপর তিনি চুম্বন করলেন।
কাবা ঘরের দেয়ালে বর্তমানে যে কাল পাথর খন্ডটা আছে উক্ত সম্পর্কে ওমর সিদ্ধান্ত দিচ্ছে - সেই পাথরের কোনই ক্ষমতা নেই। অথচ উক্ত পাথর খন্ড সম্পর্কে মুহাম্মদ কি সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ? সেটা দেখা যাক নিচের হাদিসে --
সুনানে তিরমিজি(ইফা) হাদিস নং-৮৭৮. কুতায়বা (রহঃ) ....... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে অবতীর্ন হয়েছিল তখন সেটি ছিল দুধ থেকেও শুভ্র। মানুষের গুণাহ- খাতা এটিকে এমন কালো করে দিয়েছে। - মিশকাত ২৫৭৭, তা'লীকুর রাগীব ২/১২৩, আল হাজ্জুল কাবীর, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮৭৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
সুনানে তিরমিজি(ইফা) হাদিস নং- ৯৬২. কুতায়বা (রহঃ) ...... উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) চাপাচাপি করে হলেও হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামনী বায়তুল্লাহর এই দুই রুকনে যেতেন। আমি একদিন তাঁকে বলাম, আপনি এ দুটি রুকনে ভীড়ে চাপাচাপি করে হলেও গিয়ে উপস্থিত হন কিন্তু অন্য কোন সাহাবী তো ইমন চাপাচাপি করে সেখানে যেতে দেখি না। তিনি বললেন, যদি আমি এরূপ চাপাচাপি-ধাক্কাঁধাক্কি করি তাতে দোষ কি? আমি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, এ দুটো রুকন স্পর্শ করণে গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যায়--- তা'লীকুর রাগীব ২/১২০, সহিহ ইবনু মাজাহ ২৯৫৬, মিশকাত ২৫৮০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৫৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
তার অর্থ- উক্ত কাল পাথরের ক্ষমতা আছে মানুষের পাপ কাফফারা করার বা মোচন করার। মুসলমানদের পাপ মোচন করার ক্ষমতা আছে বলেই তারা ধাক্কাধাক্কি করে কাল পাথরকে স্পর্শ বা চুম্বন করে থাকে। সেসময় অনেক সময় বহু মানুষ পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে মারাও যায়। আরও একটা হাদিস দেখা যাক -
সুনানে তিরমিজি( ইফা) , হাদিস নং- ৯৬৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কসম, এটি কিয়ামতের দিন এভাবে উত্থিত হবে যে, এর দুটি চোখ থাকবে যদ্বারা সে দেখবে। একটি যবান হবে যদ্বারা সে কথা বলবে সত্য হৃদয়ে যে ব্যক্তি এর ইস্তিলাম করে এ তার সম্পর্কে আল্লাহর কাছে স্বাক্ষ্য দিবে। - মিশকাত ২৫৭৮, তালীকুর রাগীব ২/১২২, তা'লীক আলা ইবনু খুযাইমাহ ২৭৩৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৬১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

তার অর্থ- যারা যারা কাল পাথরকে চুম্বন বা স্পর্শ করেছে , তাদের পক্ষে এই পাথর কেয়ামতের সময় সাক্ষ্য দেবে। যারা এই পাথরকে চুম্বন বা স্পর্শ করে নি , তাদের আর রক্ষা নাই। তাদের স্থান সোজা জাহান্নামের আগুন।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে , এই কাল পাথরের ব্যাপারে নবী মুহাম্মদ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে যে , এর পাপ মোচনের ক্ষমতা বিদ্যমান , কেয়ামতের মাঠে এই পাথর সাক্ষ্য দেবে , অথচ ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা সিদ্ধান্ত দিচ্ছে - এই পাথরের নাকি কোনই ক্ষমতা নেই। সুস্পস্টভাবেই ওমর তার নবী মুহাম্মদের সিদ্ধান্তকে অমান্য করছে , বিরোধীতা করছে। নবী মুহাম্মদের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে , বিরোধীতা করে ওমর কিভাবে আর মুসলমান থাকতে পারে ? সে কি তখন মুনাফিক , মুর্তাদ ও কাফের হয়ে যায় না ?
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হাদিসের সাইট: www.hadithbd.com