Saturday, August 18, 2018

মুহাম্মদ কি মানব জাতির জন্য সেরা আদর্শ: হজরত মুহাম্মদের যৌন অনৈতিকতা।


আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগের সুদূর মক্কায় জন্ম নেয়া একজন মানুষের প্রতি কোনো রাগ বা অভিমান থাকতে পারে না। কিন্তু যেহেতু আজও তার আদর্শ বাস্তবায়নের নামে আমাদেরকে হত্যার মিশনে নেমেছে তারই কিছু অন্ধ অনুসারী তখন এগুলো বিশ্লেষণ জরুরী হয়ে পড়েছে। কোরান ও হাদিস থেকে হুবহু তুলে দেব উপযুক্ত রেফারেন্স সহ। প্রথমেই আমরা হাদিসটি পড়ি-
আনাছ ইবনে মালিক ও কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তারা বলেন, নবি (সাঃ) দিনে বা রাতে পর্যায়ক্রমে (মধ্যবর্তি ফরজ গোসল ছাড়া) ১১ জন বিবির সঙ্গে সঙ্গম করতেন। (৯ জন বিবাহ সুত্রে ও ২ জন শরিয়তী স্বত্বাধিকার সুত্রের)
কাতাদা বলেন, আমি আনাছকে (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলাম, হযরতের কি এতই শক্তি ছিল? তিনি বললেন,আমাদের মধ্যে এই কথা প্রসিদ্ধ ছিল যে, রাছুলাল্লাহর ৩০ জন পুরুষের শক্তি আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত ছিলেন।
[দ্র: বোখারী, ১ম খণ্ড, আজিজুল হক, হাদিছ নং-১৯০, হামিদিয়া লাইব্রেরী]
বইটি কিনতে পাবেন বাজারে, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক অনূদিত, হাদিস নং ১৯০ স্মরণ রাইখেন, পিডিএফ ফাইলের সাথে পৃষ্টা নম্বর মিলবে না। কিছু কিছু অনুবাদে হাদিস নম্বর ভিন্ন হবে, খুঁজে নিতে হবে।
এই হাদিসটি পাবেন বুখারি শরিফের বাংলা অনুবাদের এই অংশ থেকে- (পৃষ্টা ১৯৪, হাদিস নম্বর ১৯০)
লিংক, ক্লিক করেন
আর ইংরেজি অনূবাদে হাদিসটি পাবেন -Volume 1, Book 5, Number 268 তে।
লিংক
আর সম্পূর্ণ বুখারির অনুবাদ ডাউনলোড করতে হলে এই লিংকে ক্লিক করেন।
আরেকটি হাদিস দেই
عن أنس، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم طاف ذات يوم على نسائه في غسل واحد
One day the Messenger of Allah (ﷺ) went to have intercourse with (all) his wives with a single bath.(Ahmad Hasan’s translation of Sunan Abū Dāwūd, Hadith 218 >New Delhi: Kitab Bhavan, 1990)
হজরত মুহাম্মদ নাকি সর্ব-কালের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ, তিনি সিরাজাম মুনিরা বা জ্বলন্ত প্রদীপ (মুহাম্মদ কে সিরাজাম মুনিরা বলা হয়েছে আল-কোরানে, কী সুন্দর উপাধি উপর থেকে নামিয়ে নিয়েছেন!)। যিনি মানব জাতির জন্য আদর্শ হবেন তার ১১ বিবি থাকবে কেন? এ কোন ধরণের আদর্শ? মুহাম্মদের ৯ বা ১১ জন স্ত্রী থাকাই তাকে প্রতারক বলে প্রমাণ করে দেয়, আর কিছুর প্রয়োজন নেই, ভাল করে ভেবে দেখেন। আর সহিহ হাদিস মতে উনি তো ৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেছেন আর ৯ বছর বয়সেই আসল ইসলামি কারবার শুরু করে দিয়েছেন (বর্তমানে কোনো সভ্য সমাজেই এটা গ্রহণ করার প্রশ্নই উঠে না ও একে শিশু ধর্ষনের অপরাধ বলা হয়, আর উপরে বর্ণিত ১১ বিবির ঘটনা তো আছেই)। এটাও কি আধুনিক কালে মুমিন মুসলমানের জন্য অনুসরণযোগ্য?

দেখেন-
Muslim (8:3309) -
Book 008, Number 3309:
'A'isha (Allah be pleased with her) reported: Allah's Messenger (may peace be upon him) married me when I was six years old, and I was admitted to his house at the age of nine.
আরো দেখেন-
Volume 5, Book 58, Number 234:
Narrated Aisha:The Prophet engaged me when I was a girl of six (years). ...Unexpectedly Allah's Apostle came to me in the forenoon and my mother handed me over to him, and at that time I was a girl of nine years of age.
অর্থাৎ ছয় বছর বয়সে বিয়ে করে নয় বছর বয়সে পুরোদমে দাম্পত্য জীবন শুরু করে দেন।
অনেকে দাবি করেন মুহাম্মদের একসাথে চারটির বেশি স্ত্রী ছিল না। উপরের হাদিসগুলো দেখলেন, এবার এই হাদিসটি পড়েন-
লিংক
Volume 7, Book 62, Number 142:
Narrated Anas bin Malik:
The Prophet used to pass by (have sexual relation with) all his wives in one night, and at that time he had nine wives.
মুহাম্মদের স্ত্রী ও রক্ষিতাদের একটা তালিকা এখানে-

Timeline of marriages (The vertical lines in the graph indicate, in chronological order, the start of prophethood, the Hijra, and the Battle of Badr)

এখন ইসলামকে বলা হয় complete code of life, পরিপূর্ণ জীবন বিধান। আচ্ছা, তাহলে এবার বলেন, ইসলাম অনুসারে মেয়েকে সর্বনিম্ন কত বৎসর বয়সে বিয়ে দেয়ার অনুমোদন আছে? আর, মেয়ের অনুমতি এক্ষেত্রে নেয়া হয় কিনা? আর মেয়ের বয়স যদি ৬ বছর হয় তবে অনুমতি নিবেন কিভাবে? আর এটা কিসের অনুমতি? এটা কোন ধরণের নারী অধিকার? নারী অধিকার কি এভাবেই ইসলামে স্বীকৃত?
আরেকটি প্রশ্ন, মুহাম্মদের আদর্শ যদি সর্বোত্তম আদর্শ তবে তিনি এতগুলো বিয়ে করলেন কেন? অনেকে নবীজিকে বাচানোর জন্য আজগুবী যুক্তি হাজির করেন- মেয়েগুলো নাকি অসহায় ছিল!! আচ্ছা বাবা, মেয়েগুলো অসহায় হলে তো মুহাম্মদ তার সাহাবীদের কাছে তাদের বিয়ে দিলে পারতেন ।যখন মুহাম্মদ হবেন সবার জন্য আদর্শ তখন তাকে তো এ কাজটা ইন্দ্রিয় ভোগ-বিলাসী বলে প্রমাণ করে দিল না? আমরা সবাই কি অন্তত মুহাম্মদের চেয়ে অধিক চরিত্রবান নই? আমাদের কারো ইচ্ছা হয় না এক ডজন বিয়ে করার, ছয় বছরের মেয়েকে দেখলে বরং পিতৃত্ববোধ জেগে উঠে।
যিনি সবার জন্য আদর্শ হবেন তার চরিত্র রক্ষার্থে মুমিনরা যখন বিশাল একখান ত্যানা প্যাঁচায় তখন নবীজি আমাদের কাছে পুরোপুরি একটা জীবন্ত-কৌতুক হয়ে উঠেন। সাফিয়া বিনতে হুয়াইকে নবী বিয়ে করেন যুদ্ধের ময়দানে যেখানে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল। যার স্বামী ও আত্মীয় স্বজনকে কিছু আগে হত্যা করা হয়েছিল সে কি বিয়ের অনুমতি দেবে? স্পষ্টত স্বাধীন অনুমতির তোয়াক্কা না করে, জোর-জবরদস্তি করেই মুহাম্মদ সাফিয়াকে বিয়েতে বাধ্য করেছেন-
(রেফারেনস সহ বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে)।
আরেকটি তথ্য, ইসলামে দাস ব্যবস্থা সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য এবং দাসী ধর্ষণ বৈধ। এ ধর্ম আধুনিক কালে ঠিকে থাকবে কিভাবে?
আমরা জানি,
মুহাম্মদের একটি পালক পূত্র ছিল যার নাম জায়েদ। তাকে ডাকা হত জায়েদ বিন মুহাম্মদ। তখনকার যুগে পালক পূত্রকে নিজ পূত্রের মর্যাদা দেয়া হত। সমস্যার বিষয় হল, জায়েদ বিয়ে করেছিলেন জয়নব নামক এক রুপসীকে। এই রুপসীকে দেখে হজরতের অনুভূতি তীব্র আকার ধারণ করল। তিনি বুদ্ধি করে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানোর ব্যবস্থা করেন। পরে মুহাম্মদ জয়নবকে বিয়ে করলে ছি ছি রব পড়িয়া যায়। নিজেকে রক্ষা করার জন্য এবার মুহাম্মদ আয়াত নাজিল করালেন-
"আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর জায়েদ যখন জয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পুষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে”। (সূরা আহযাব, ৩৩:৩৭)
এ আয়াত থেকে জানতে পারলাম, মুমিন-মুসলমানরা তদের পালক পুত্রের স্ত্রী বিয়ে করতে পারছে না তা আল্লার নিকট অনেক বড় সমস্যা!! আরেকটা বিষয় বুঝলাম না। কোরান ও হাদিস অনুসারে জয়নব নিজেই মুহাম্মদকে বিয়ে করার জন্য উতাল হয়ে উঠলে জায়েদ তাকে তালাক দিয়ে দেন। জয়নব যদি ঠিকই মুহাম্মদকে বিয়ে করার জন্য উতাল হয়ে উঠলেন তবে মুহাম্মদ কেন জয়নবকে স্বামীর প্রতি সৎ থাকার নির্দেশ দিলেন না বা দোজখের ভয় দেখালেন না বা এরকম অনাচার বন্ধ করার জন্য আয়াত নাজিল করালেন না বা জয়নবের অন্য কারো সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করলেন না বরং জয়নবকে বিয়ে করে নিজেকে বাচানোর জন্য মহান একটা আয়াত নাজিল করালেন?? ভণ্ডামির একটা সীমা থাকা কি দরকার ছিল না? বলাবাহুল্য, এই সময় মুহাম্মদের একাধিক স্ত্রী থাকলেও জায়েদের আর কোনো স্ত্রী ছিল না। ঘটনাটির রসাল বিবরণ পাবেন খোঁজলে।
মুহাম্মদের এ অপকর্মের ফলে মুসলমান সমাজে অসহায় শিশুদের দায়িত্ব্ব নেয়া বা লালন পালন করার মহৎ কর্মকে বিশেষভাবে নিরুৎসাহিত করা হল। কারণ মুসলমান সমাজে একজন মহিলা তার পালক পুত্রের সাথে পর্দা রক্ষা করতে হবে সে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর, আর একজন পুরুষও তার পালিত মেয়ের কাছে পর্দা রক্ষা করতে হবে সে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর- কারণ পালক পুত্র ও মাতা এবং পালিত কন্যা ও পিতার মধ্যে বিয়ে মুহাম্মদের ঐ কর্মের দ্বারা বৈধ হয়ে গেল। সূতরাং মুসলিম সমাজে পালক পুত্র বা কন্যার সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখা খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার। ইতিমধ্যে ইরানের পার্লামেন্টে একটি বিল প্রকাশিত হয়েছে যাতে একটি মেয়েকে ১৩ বছর বয়সে তার পালক পিতা বিয়ে করতে পারেন। লিংক
উপরে পালক পুত্রের স্ত্রীকে ছলে-বলে-কৌশলে, আয়াত নাজিল করিয়ে বিয়ে করার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। আসলে বিবাহের ক্ষেত্রে মুহাম্মদ ছিলেন সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন। নিজ কন্যা ফাতেমাকে বিয়ে দিয়েছেন চাচাত ভাই আলীর কাছে। হজরত আলী মুহাম্মদের আপন চাচা আবু তালিবের সন্তান।
এবার নিচের আয়াতটি পড়ে তাজ্জব বনে যান -
"হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ্ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে,নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল,দয়ালু”।(৩৩:৫০)
এখন নিচের হাদিসটি দেখেন -

লিংক
Sahih al-Bukhari Book 60 Hadith 311
English
Narrated Aisha:
I used to look down upon those ladies who had given themselves to Allah's Apostle and I used to say, "Can a lady give herself (to a man)?" But when Allah revealed: "You (O Muhammad) can postpone (the turn of) whom you will of them (your wives), and you may receive any of them whom you will; and there is no blame on you if you invite one whose turn you have set aside (temporarily).' (33.51) I said (to the Prophet), "I feel that your Lord hastens in fulfilling your wishes and desires."
এ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে মুহাম্মদ ছিলেন আপাদমস্তক ভণ্ড এবং তার আদর্শ সর্বকালের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে না। তিনি নবি বা রসুল ছিলেন না এবং কোরানে যেহেতু তাকে সর্বোত্তম আদর্শ বলে ঘোষণা করেছে তাই কোরানও আল্লাহর বাণী নয় বরং তা মুহাম্মদ ও তার নিজের লোকদের রচনা।
আরেকটি লেখার লিংক দিচ্ছি
আমরা বলি, বাচো এবং বাচাও; দয়াময় আল্লাহপাক বলেন, মারো এবং মরো