Saturday, July 30, 2016

কোরান কার বানী ? মুহাম্মদের নাকি আল্লাহর ?



পর্ব-১ কোরান কার বানী ? মুহাম্মদের , নাকি আল্লাহর ?


কোরান কার বানী ? মুহাম্মদের নাকি আল্লাহর? আল্লাহর বানী যদি হয়, তাহলে আল্লাহর নামেই কি মুহাম্মদ নিজের কথাকে চালিয়ে দিয়েছিলেন কি না ? সর্বপ্রথমেই বলতে হবে , কোরান হলো মুহাম্মদের বানীকারন মুহাম্মদই কোরানের নামে যেসব বাক্য বলেছিলেন , সেসবই তার সাহাবীরা লিখে রাখতমুহাম্মদ সেই বানীগুলোকে দাবী করেন যে সেই সব বানী আসলে আল্লাহর , আর জিব্রাইল নামের এক ফেরেস্তা তার কাছে সেই বানী পৌছে দেয়সুতরাং এখন প্রশ্ন হলো - জিব্রাইল সত্যি সত্যি আল্লাহর বানী মুহাম্মদের কাছে পৌছে দেয় , সেটা প্রমানিত হলেই প্রমানিত হবে , মুহাম্মদের বলা বানীগুলো আল্লাহরঅন্তত: যৌক্তিকভাবে যদি বিচার করা হয় বিষয়টা সেরকমই দাড়ায়

সর্বপ্রথমেই দেখা যাক নিচের আয়াত ---

সুরা তাকবির - ৮১:১৯: নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের বাণী,
কোরান হলো রসুলের বানী অর্থাৎ মুহাম্মদ যে বানী বলছে সেটাই কোরান , পরে মুহাম্মদ দাবী করছেন যে তার সেই বানী সব আল্লাহরএখন আমরা বিষয়টা বিশ্লেষণ করে দেখিযে কোন দাবীকারীর দায়ীত্ব হলো তার দাবীকে নিজেকেই প্রমান করতে হবেমুমিন বান্দারা বিতর্কের একই মূল নীতিটাকেই অনেক সময় বুঝতে পারে না বা বোঝে নাযেমন - করিম দাবী করল , তার এক কোটি টাকা আছেতখন করিমকেই ব্যাংকের যথাযথ স্টেটমেন্ট জোগাড় করে তাকেই প্রমান করতে হবে যে তার সত্যি সত্যি এক কোটি টাকা আছেএখানে করিম হলো প্রথম সাক্ষী, আর ব্যাংক স্টেটমেন্ট হলো দ্বিতীয় সাক্ষীঅর্থাৎ কোন দাবীকে প্রমান করতে , কমপক্ষে দুইজন সাক্ষী দরকারতা ছাড়া কোন দাবীকারীর দাবী প্রমানিত হয় নাসুতরাং মুহাম্মদ দাবী করছেন , যে কোরান হলো আল্লাহর বানী যা জিব্রাইল ফিরিস্তা তাকে দিয়ে যায়, সুতরাং এখানে মুহাম্মদ হলেন প্রথম সাক্ষীএখন মুহাম্মদকেই দ্বিতীয় সাক্ষী হাজির করে প্রমান করতে হবে যে কোরান সত্যি সত্যি আল্লাহর বানী যা জিব্রাঈল ফিরিস্তা মাঝে মাঝে এসে তাকে দিয়ে যায়তো সেই দ্বিতীয় কোন সাক্ষী আছে মুহাম্মদের ?
দীর্ঘ ২৩ টা বছর ধরে মুহাম্মদের কাছে জিব্রাইল ফিরিস্তা মুহাম্মদের চাহিদা মোতাবেক আল্লাহর বানী দিয়ে গেছে , মুহাম্মদ প্রথম সাক্ষী, কিন্তু কোন দ্বিতীয় সাক্ষী আছে যে জিব্রাাইল ফিরিস্তাকে কোনদিন মুহাম্মদের কাছে আসতে দেখেছে ?
দুর্ভাগ্যজনকভাবে উত্তর হচ্ছে , না , নেইকোন দ্বিতীয় সাক্ষী নেইঅর্থাৎ মুহাম্মদ নিজেই বলছেন যে কোরান আল্লাহর বানী , আবার সেই কোরান বলছে মুহাম্মদ হলো আল্লাহর রসুলযা আসলে একটা লজিক্যাল ফ্যালাসী, অর্থাৎ দুটো বক্তব্যের দাবীদারই হলো মুহাম্মদ একা , দ্বিতীয় কোনই সাক্ষী মুহাম্মদ হাজির করতে পারেন নিবিষয়টা এরকম----

কোরান== মুহাম্মদের বানী = মুহাম্মদ দাবী করছেন আল্লাহর বানী = কোরান বলছে মুহাম্মদ নবী= মুহাম্মদ নিজেই নিজেকে নবী দাবী করছেন
তাহলে অন্যান্য নবীদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সাক্ষী কোথায় ? আসলে অন্যান্য নবীদের ক্ষেত্রেও কোন প্রত্যক্ষ দ্বিতীয় সাক্ষী ছিল নাতবে পরোক্ষ দ্বিতীয় সাক্ষী ছিল্, অন্তত: বাইবেলে সেরকমই দেখা যায়যেমন - একজন নবী অবশ্যই অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে পারবেন, যাকে মোজেজা বলেআর সেই অলৌকিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে , বহুজন, শত শত এমনকি হাজার হাজার মানুষআর তাহলেই প্রমানিত হবে , নবুয়ত্ব দাবীকারীর দাবী সঠিকমূসা নবীর ক্ষেত্রে সেই দ্বিতীয় সাক্ষী বহু , যেমন - ফেরাউনের দরবারে লাঠিকে সাপে পরিনত করা , সিনাই পাহাড়ের ওপরে আগুন সদৃশ ঈশ্বরের সাথে সাক্ষাত করা, সাগর দুইভাগ করে তার মধ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ অনুসারীদেরকে নিয়ে পার হয়ে যাওয়া ইত্যাদি যীশু বা ঈশা অন্ধকে , খোড়া, কুষ্টরোগীকে সুস্থ করত, মৃতকে জীবিত করত এমন কি মাটি দিয়ে তৈরী পাখিতে জীবন দিত ইত্যাদিবলা বাহুল্য, এর প্রতিটা ঘটনারই হাজার হাজার প্রতক্ষ্য দর্শী সাক্ষী ছিল, যা খুব সুন্দর করে লেখা আছে তৌরাত বা গসপেলেসুতরাং সেই হিসাবে আমাদেরকে দেখতে হবে , মুহাম্মদের এ ধরনের কোন পরোক্ষ কোন দ্বিতীয় সাক্ষী ছিল কি নামক্কা বা মদিনায় যেসব ইহুদি খৃষ্টানরা বাস করত , তারা কিন্তু বার বার মুহাম্মদের এই পরোক্ষ দ্বিতীয় সাক্ষীর তালাশ করতকারন তারা পূর্বোক্ত নবীদেরকে বিশ্বাস করত , আর তারা এটাও বিশ্বাস করত যে সেইসব নবি একের পর এক অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শনের দ্বারা নিজেদেরকে নবী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলতাই তারা মুহাম্মদকে মোজেজা দেখানোর জন্যে চ্যালেঞ্জ করত , যা দেখা যায় কোরানেই -
সুরা আল আনআম- ৬: ৩৭: তারা বলেঃ তার প্রতি তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয়নি কেন? বলে দিনঃ আল্লাহ নিদর্শন অবতরণ করতে পূর্ন সক্ষম; কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না
দেখুন কি বলছেইহুদি খৃষ্টানরা যখন মুহাম্মদকে কোন মোজেজা দেখাতে বলত , যা দেখিয়েছিল মুসা বা অন্যান্য নবী , তখন সেই কোরানই বলছে আল্লাহ মোজেজা দেখাতে সক্ষমতা তো বটেই আল্লাহ তো সব কিছুই করতে সক্ষম , কিন্তু সেটা তো ইহুদি খৃষ্টানরা জানতে চাচ্ছে না , তারা দেখতে চাচ্ছে মুহাম্মদের মোজেজা, যা কি না তার নবুয়ত্বের প্রমানমুহাম্মদ সেটা দেখাতে পারছেন না মুহাম্মদ সেটাতো দেখাতে পারছেনই না , এর পরেই নানারকম আগডুম বাগডুম কথা বলে যাচ্ছেন , সেটা দেখা যায় এর পরের আয়াতগুলোতেই -
সুরা আনআম- ৬: ৩৮: আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দুডানাযোগে উড়ে বেড়ায় তারা সবাই তোমাদের মতই একেকটি শ্রেণীআমি কোন কিছু লিখতে ছাড়িনিঅতঃপর সবাই স্বীয় প্রতিপালকের কাছে সমবেত হবে
আর এর পরে এমন কথা বললেন যা আসলে সত্য নাযেমন -
আনআম- ৬: ৩৯: যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের মধ্যে মূক ও বধিরআল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন
এখানে আমার নিদর্শনসমূহ বলতে বুঝাচ্ছে আল্লাহর নিদর্শনসমূহ৬:৩৮ নং আয়াতে যে বিভিন্ন ঘটনার কথা বলা হলো সেগুলোই হলো এই নিদর্শনসমূহতো প্রশ্ন হলো - ইহুদি বা খৃষ্টান কেউই কিন্তু তাদের ঈশ্বরের নিদর্শনে অবিশ্বাস করে না , অর্থাৎ তারাও বিশ্বাস করে , যে সারা বিশ্বে যা কিছু আছে সবই ঈশ্বরের সৃষ্টি, অথচ কোরান বলছে তারা নাকি এসব নিদর্শনসমূহ অবিশ্বাস করে, কি অদ্ভুত চিন্তা ভাবনা বা জোর করে একজনকে দোষারোপ করা !
এরপর দেখা যাক নিচের আয়াত -
সুরা বাকারা -২:১১৮: যারা কিছু জানে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছেতাদের অন্তর একই রকমনিশ্চয় আমি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্যে যারা প্রত্যয়শীল
এখানেও ইহুদি খৃষ্টানরা আবারও মুহাম্মদকে তার মোজেজা দেখাতে বলছে , কিন্তু কোরান বলছে মুহাম্মদের আগের লোকরাও এভাবে নবী দাবীকারীদের কাছে মোজেজা দেখার জন্যে দাবী জানাত ঠিকই তো , রাস্তার যে কোন ল্যাংটা পাগল ছাগলেই তো নিজেকে দেশের রাজা দাবী করতে পারে , তাহলেই কি তাকে রাজা বলে বিশ্বাস করতে হবে ? আর এরপরেও মুহাম্মদ কিন্তু কোন মোজেজা দেখাতে পারছেন না , অর্থাৎ ইহুদি খৃস্টানদের চ্যালেঞ্জের কাছে মুহাম্মদ বার বার তার দ্বিতীয় সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থএভাবে দ্বিতীয় সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হয়ে কিভাবে মুহাম্মদ নিজেকে নবী দাবী করতে পারে , কিভাবেই বা কোরানকে আল্লাহর কিতাব বলে প্রমান করতে পারে ?

পর্ব-২ (চাঁদ দ্বিখন্ডন)

প্রথম পর্বে মুহাম্মদের মোজেজা দেখানোর বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছেকারন মুহাম্মদ নিজেকে আব্রাহামিক ধর্মের একজন নবী দাবী করতেনআব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খৃষ্টান ধর্মের কথিত নবীদের মোজেজা প্রদর্শন ছিল তাদের নবুয়ত্ব প্রমানের প্রধান অবলম্বনতাই ইহুদি ও খৃষ্টানরা প্রায়ই মুহাম্মদকে মোজেজা দেখাতে বলতেনকিন্তু তিনি সেটা দেখাতে পারতেন নাতাই তারা তাকে নবী হিসাবে স্বীকার করতেন নাসেই মোজেজার বিষয়ে আরও কিছু বলতে হবেঅবশেষে মুহাম্মদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার মোজেজা হাজির হলো , সেটা দেখা যাক ----
সুরা কামার- ৫৪: ১-৩কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছেতারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু তারা মিথ্যারোপ করছে এবং নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করছেপ্রত্যেক কাজ যথাসময়ে স্থিরীকৃত হয়
অর্থাৎ মুহাম্মদ চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে দেখালেন , কিন্তু তারপরেও ইহুদি খৃষ্টান পৌত্তলিকরা বলল ,সেটা মুহাম্মদের যাদুকিন্তু বাস্তবেই কি চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল ? কোন দ্বিতীয় সাক্ষী আছে ? যদি কোন সাক্ষী থাকেও সেটা কি বাস্তব সম্মত ? সেটা বুঝতে এবার আমাদেরকে একটু হাদিসে যেতে হবে ,
সহিহ মুসলিম :: বই ৩৯ :: হাদিস ৬৭২৫:
আবু বকর ইবন আবু শায়বা,আবু কুরায়ব ইসহাক ইবন ইবরাহীম, উমার ইবন হাফস ইবন গিয়াস, ও মিসজাব ইবন তামিমী (র)......আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মিনায় আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সঙ্গে ছিলাম এমতাবস্হায় হঠাৎ করে চন্দ্র বিদীর্ন হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল এক খন্ড পাহাড়ের এ পাশে পড়ল এবং অপর খন্ড পড়ল পাহাড়ের ওপাশে তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক
উক্ত হাদিসের বয়ান বুঝতে গেলে প্রথমেই আমাদেরকে একটু চাঁদের আকার আকৃতি সম্পর্কে জানতে হবেসেটা নিম্নরূপ:
চাদেঁর ব্যাসার্ধ: ১৭৩৭ কিলোমিটার, পরিধি: ১০,৯২১ কিলোমিটার, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রের পরিমান: ৩,৭৯,৩০,০০০ বর্গকিলোমিটার
সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Moon
চাদেঁর এই আকার আকৃতির সাথে পৃথিবীর আকার আকৃতির তুলনা করা যাক -
পৃথিবীর ব্যসার্ধ: ৬৩৭১ কিলোমিটার, পরিধি: ৪০,০৭৫ কিলোমিটার, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রের পরিমান: ৫১,০০,৭২,০০০ বর্গকিলোমিটার
সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Earth
সুতরাং পৃষ্ঠতলের হিসাবে , পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল হলো ১৩. ৫১ টা চাঁদের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রেফলের সমান
এখন চাঁদ যদি সমানভাবে দ্বিখন্ডিত হয়, তাহলে তার অর্ধ পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের আকার হবে ৩,৭৯,৩০,০০০/২=১,৮৯,৬৫,০০০ বর্গকিলোমিটার
সুতরাং এই খন্ডটা পৃথিবীর কোন অংশের উপর পড়লে সেটা ঠিক এই ১,৮৯, ৬৫,০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে , তবে সেই খন্ডাংশের এক পাশ গোলাকার হওয়ায় , সরাসরি সেটা মাটি স্পর্শ করবে না , তবে উক্ত অঞ্চলের সকল মানুষই সেটা দেখতে পাবে , আর তারা প্রানের ভয়ে এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করবেএখন দুই খন্ডই পড়েছিল , এক খন্ড পাহাড়ের ( ওহুদ পাহাড়) এক পাশে আর অপর খন্ড পাহাড়ের অন্যপাশে পড়েছিলএই ঘটনা যদি বাস্তব হয়, তাহলে এই সমগ্র আরব অঞ্চল তো বটেই , গোটা আফ্রিকা , এশিয়া ও ইউরোপ থেকেই সেটা ঘটনা দেখা যাবে , তার হাজার হাজার না , বরং কোটি কোটি প্রত্যক্ষদর্শী থাকবেতারা সেই ভয়ংকর ও বিস্ময়কর ঘটনা দেখে প্রানের ভয়ে ছোটাছুটি করবে সেই সময় বাইজান্টাইন , পারস্য, ভারত ইত্যাদি অঞ্চলে বহু শিক্ষিত ব্যাক্তি ছিল , ইতিহাসবিদ ছিল , বহু রাজা বাদশা ছিল , আর তারা এই অবিস্মরনীয় ও অভূতপূর্ব বিস্ময়কর ঘটনাটা সবিস্তারে লিখে রাখবে যা পরে আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে প্রচারিত হবে এভাবেই কিন্তু প্রাচীনকালের সকল ঘটনার কথা লিখে রাখা হয়েছে , আর তাই আজকে আমরা সেসব ঘটনার কথা জানতে পারি, এটাই ইতিহাসকিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে , মুহাম্মদের কিছু মূর্খ ও অশিক্ষিত অনুচর ছাড়া আর কেউই এই ঘটনাটা দেখতে পারে নি
তবে , পৃথিবী থেকে চাঁদকে চাক্ষুষ যে আকারে অর্থাৎ বড় একটি থালার আকারে দেখা যায়, সেটাই যদি চাদেঁর প্রকৃত আকার হয়, তাহলে সেটা ভেঙ্গে দুই টুকরো হয়ে যেখানেই পড়ুক না কেন , তা মুহাম্মদের কিছু অনুচর ছাড়া দেখা সম্ভব নয়, এমন কি দেখা সম্ভব নয় মক্কা বা মদিনার অধিবাসীদের পক্ষেওআর সেটা ওহুদ পাহাড়ের আশপাশে পড়লেও সেটা মুহাম্মদ ও তার সাথে থাকা কিছু মূর্খ ও অশিক্ষিত অনুচর ছাড়া আর কেউই দেখতে পারবে না , সেটা নিশ্চিত
সুতরাং চাঁদের প্রকৃত আকার বিবেচনায়, মুহাম্মদের এই চাঁদ দ্বিখন্ডনের ঘটনাটা স্রেফ একটা উন্মাদীয় কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না , যা শুধু মাত্র কোন পাগল বা উন্মাদই দাবী করবে আর সেটা বিশ্বাস করবে তার মতই একদল উন্মাদ ও পাগলঅতএব চাঁদ দ্বিখন্ডনের এই মোজেজারও কোন দ্বিতীয় সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে নাআর তাই এটাকে মোজেজা হিসাবে গ্রহন করার কোন সুযোগ নেইআর তাই মোজেজা প্রদর্শনের ভিত্তিতে যে আব্রাহামিক ধর্মের নবীরা নিজেদের নবুয়ত্ব প্রমান করতেন , সেই ভিত্তিতে মুহাম্মদ নিজেকে নবী প্রমান করতে ব্যর্থ

পর্ব-২(চাঁদ দ্বিখন্ডন)


প্রথম পর্বে মুহাম্মদের মোজেজা দেখানোর বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারন মুহাম্মদ নিজেকে আব্রাহামিক ধর্মের একজন নবী দাবী করতেন। আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খৃষ্টান ধর্মের কথিত নবীদের মোজেজা প্রদর্শন ছিল তাদের নবুয়ত্ব প্রমানের প্রধান অবলম্বন। তাই ইহুদি ও খৃষ্টানরা প্রায়ই মুহাম্মদকে মোজেজা দেখাতে বলতেন। কিন্তু তিনি সেটা দেখাতে পারতেন না। তাই তারা তাকে নবী হিসাবে স্বীকার করতেন না। সেই মোজেজার বিষয়ে আরও কিছু বলতে হবে। অবশেষে মুহাম্মদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার মোজেজা হাজির হলো , সেটা দেখা যাক ----
সুরা কামার- ৫৪: ১-৩কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু। তারা মিথ্যারোপ করছে এবং নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করছে। প্রত্যেক কাজ যথাসময়ে স্থিরীকৃত হয়।
অর্থাৎ মুহাম্মদ চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে দেখালেন , কিন্তু তারপরেও ইহুদি খৃষ্টান পৌত্তলিকরা বলল ,সেটা মুহাম্মদের যাদু। কিন্তু বাস্তবেই কি চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল ? কোন দ্বিতীয় সাক্ষী আছে ? যদি কোন সাক্ষী থাকেও সেটা কি বাস্তব সম্মত ? সেটা বুঝতে এবার আমাদেরকে একটু হাদিসে যেতে হবে ,
সহিহ মুসলিম :: বই ৩৯ :: হাদিস ৬৭২৫:
আবু বকর ইবন আবু শায়বা,আবু কুরায়ব ইসহাক ইবন ইবরাহীম, উমার ইবন হাফস ইবন গিয়াস, ও মিসজাব ইবন তামিমী (র)......আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, মিনায় আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সঙ্গে ছিলাম । এমতাবস্হায় হঠাৎ করে চন্দ্র বিদীর্ন হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল । এক খন্ড পাহাড়ের এ পাশে পড়ল এবং অপর খন্ড পড়ল পাহাড়ের ওপাশে । তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক ।

উক্ত হাদিসের বয়ান বুঝতে গেলে প্রথমেই আমাদেরকে একটু চাঁদের আকার আকৃতি সম্পর্কে জানতে হবে। সেটা নিম্নরূপ:
চাদেঁর ব্যাসার্ধ: ১৭৩৭ কিলোমিটার, পরিধি: ১০,৯২১ কিলোমিটার, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রের পরিমান: ৩,৭৯,৩০,০০০ বর্গকিলোমিটার।
সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Moon
চাদেঁর এই আকার আকৃতির সাথে পৃথিবীর আকার আকৃতির তুলনা করা যাক -
পৃথিবীর ব্যসার্ধ: ৬৩৭১ কিলোমিটার, পরিধি: ৪০,০৭৫ কিলোমিটার, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রের পরিমান: ৫১,০০,৭২,০০০ বর্গকিলোমিটার ।
সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Earth
সুতরাং পৃষ্ঠতলের হিসাবে , পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল হলো ১৩. ৫১ টা চাঁদের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রেফলের সমান।
এখন চাঁদ যদি সমানভাবে দ্বিখন্ডিত হয়, তাহলে তার অর্ধ পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের আকার হবে ৩,৭৯,৩০,০০০/২=১,৮৯,৬৫,০০০ বর্গকিলোমিটার।
সুতরাং এই খন্ডটা পৃথিবীর কোন অংশের উপর পড়লে সেটা ঠিক এই ১,৮৯, ৬৫,০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে , তবে সেই খন্ডাংশের এক পাশ গোলাকার হওয়ায় , সরাসরি সেটা মাটি স্পর্শ করবে না , তবে উক্ত অঞ্চলের সকল মানুষই সেটা দেখতে পাবে , আর তারা প্রানের ভয়ে এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করবে। এখন দুই খন্ডই পড়েছিল , এক খন্ড পাহাড়ের ( ওহুদ পাহাড়) এক পাশে আর অপর খন্ড পাহাড়ের অন্যপাশে পড়েছিল। এই ঘটনা যদি বাস্তব হয়, তাহলে এই সমগ্র আরব অঞ্চল তো বটেই , গোটা আফ্রিকা , এশিয়া ও ইউরোপ থেকেই সেটা ঘটনা দেখা যাবে , ও তার হাজার হাজার না , বরং কোটি কোটি প্রত্যক্ষদর্শী থাকবে। তারা সেই ভয়ংকর ও বিস্ময়কর ঘটনা দেখে প্রানের ভয়ে ছোটাছুটি করবে। সেই সময় বাইজান্টাইন , পারস্য, ভারত ইত্যাদি অঞ্চলে বহু শিক্ষিত ব্যাক্তি ছিল , ইতিহাসবিদ ছিল , বহু রাজা বাদশা ছিল , আর তারা এই অবিস্মরনীয় ও অভূতপূর্ব বিস্ময়কর ঘটনাটা সবিস্তারে লিখে রাখবে। যা পরে আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে প্রচারিত হবে। এভাবেই কিন্তু প্রাচীনকালের সকল ঘটনার কথা লিখে রাখা হয়েছে , আর তাই আজকে আমরা সেসব ঘটনার কথা জানতে পারি, এটাই ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে , মুহাম্মদের কিছু মূর্খ ও অশিক্ষিত অনুচর ছাড়া আর কেউই এই ঘটনাটা দেখতে পারে নি।
তবে , পৃথিবী থেকে চাঁদকে চাক্ষুষ যে আকারে অর্থাৎ বড় একটি থালার আকারে দেখা যায়, সেটাই যদি চাদেঁর প্রকৃত আকার হয়, তাহলে সেটা ভেঙ্গে দুই টুকরো হয়ে যেখানেই পড়ুক না কেন , তা মুহাম্মদের কিছু অনুচর ছাড়া দেখা সম্ভব নয়, এমন কি দেখা সম্ভব নয় মক্কা বা মদিনার অধিবাসীদের পক্ষেও। আর সেটা ওহুদ পাহাড়ের আশপাশে পড়লেও সেটা মুহাম্মদ ও তার সাথে থাকা কিছু মূর্খ ও অশিক্ষিত অনুচর ছাড়া আর কেউই দেখতে পারবে না , সেটা নিশ্চিত।
সুতরাং চাঁদের প্রকৃত আকার বিবেচনায়, মুহাম্মদের এই চাঁদ দ্বিখন্ডনের ঘটনাটা স্রেফ একটা উন্মাদীয় কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না , যা শুধু মাত্র কোন পাগল বা উন্মাদই দাবী করবে আর সেটা বিশ্বাস করবে তার মতই একদল উন্মাদ ও পাগল। অতএব চাঁদ দ্বিখন্ডনের এই মোজেজারও কোন দ্বিতীয় সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাই এটাকে মোজেজা হিসাবে গ্রহন করার কোন সুযোগ নেই। আর তাই মোজেজা প্রদর্শনের ভিত্তিতে যে আব্রাহামিক ধর্মের নবীরা নিজেদের নবুয়ত্ব প্রমান করতেন , সেই ভিত্তিতে মুহাম্মদ নিজেকে নবী প্রমান করতে ব্যর্থ।
- See more at: http://www.istishon.com/?q=node/21644#sthash.YRQnkLKj.mByvDBGt.dpuf

পর্ব-২(চাঁদ দ্বিখন্ডন)


প্রথম পর্বে মুহাম্মদের মোজেজা দেখানোর বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারন মুহাম্মদ নিজেকে আব্রাহামিক ধর্মের একজন নবী দাবী করতেন। আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খৃষ্টান ধর্মের কথিত নবীদের মোজেজা প্রদর্শন ছিল তাদের নবুয়ত্ব প্রমানের প্রধান অবলম্বন। তাই ইহুদি ও খৃষ্টানরা প্রায়ই মুহাম্মদকে মোজেজা দেখাতে বলতেন। কিন্তু তিনি সেটা দেখাতে পারতেন না। তাই তারা তাকে নবী হিসাবে স্বীকার করতেন না। সেই মোজেজার বিষয়ে আরও কিছু বলতে হবে। অবশেষে মুহাম্মদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার মোজেজা হাজির হলো , সেটা দেখা যাক ----
সুরা কামার- ৫৪: ১-৩কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু। তারা মিথ্যারোপ করছে এবং নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করছে। প্রত্যেক কাজ যথাসময়ে স্থিরীকৃত হয়।
অর্থাৎ মুহাম্মদ চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে দেখালেন , কিন্তু তারপরেও ইহুদি খৃষ্টান পৌত্তলিকরা বলল ,সেটা মুহাম্মদের যাদু। কিন্তু বাস্তবেই কি চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল ? কোন দ্বিতীয় সাক্ষী আছে ? যদি কোন সাক্ষী থাকেও সেটা কি বাস্তব সম্মত ? সেটা বুঝতে এবার আমাদেরকে একটু হাদিসে যেতে হবে ,
সহিহ মুসলিম :: বই ৩৯ :: হাদিস ৬৭২৫:
আবু বকর ইবন আবু শায়বা,আবু কুরায়ব ইসহাক ইবন ইবরাহীম, উমার ইবন হাফস ইবন গিয়াস, ও মিসজাব ইবন তামিমী (র)......আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, মিনায় আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সঙ্গে ছিলাম । এমতাবস্হায় হঠাৎ করে চন্দ্র বিদীর্ন হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল । এক খন্ড পাহাড়ের এ পাশে পড়ল এবং অপর খন্ড পড়ল পাহাড়ের ওপাশে । তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক ।

উক্ত হাদিসের বয়ান বুঝতে গেলে প্রথমেই আমাদেরকে একটু চাঁদের আকার আকৃতি সম্পর্কে জানতে হবে। সেটা নিম্নরূপ:
চাদেঁর ব্যাসার্ধ: ১৭৩৭ কিলোমিটার, পরিধি: ১০,৯২১ কিলোমিটার, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রের পরিমান: ৩,৭৯,৩০,০০০ বর্গকিলোমিটার।
সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Moon
চাদেঁর এই আকার আকৃতির সাথে পৃথিবীর আকার আকৃতির তুলনা করা যাক -
পৃথিবীর ব্যসার্ধ: ৬৩৭১ কিলোমিটার, পরিধি: ৪০,০৭৫ কিলোমিটার, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রের পরিমান: ৫১,০০,৭২,০০০ বর্গকিলোমিটার ।
সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Earth
সুতরাং পৃষ্ঠতলের হিসাবে , পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল হলো ১৩. ৫১ টা চাঁদের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রেফলের সমান।
এখন চাঁদ যদি সমানভাবে দ্বিখন্ডিত হয়, তাহলে তার অর্ধ পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের আকার হবে ৩,৭৯,৩০,০০০/২=১,৮৯,৬৫,০০০ বর্গকিলোমিটার।
সুতরাং এই খন্ডটা পৃথিবীর কোন অংশের উপর পড়লে সেটা ঠিক এই ১,৮৯, ৬৫,০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে , তবে সেই খন্ডাংশের এক পাশ গোলাকার হওয়ায় , সরাসরি সেটা মাটি স্পর্শ করবে না , তবে উক্ত অঞ্চলের সকল মানুষই সেটা দেখতে পাবে , আর তারা প্রানের ভয়ে এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করবে। এখন দুই খন্ডই পড়েছিল , এক খন্ড পাহাড়ের ( ওহুদ পাহাড়) এক পাশে আর অপর খন্ড পাহাড়ের অন্যপাশে পড়েছিল। এই ঘটনা যদি বাস্তব হয়, তাহলে এই সমগ্র আরব অঞ্চল তো বটেই , গোটা আফ্রিকা , এশিয়া ও ইউরোপ থেকেই সেটা ঘটনা দেখা যাবে , ও তার হাজার হাজার না , বরং কোটি কোটি প্রত্যক্ষদর্শী থাকবে। তারা সেই ভয়ংকর ও বিস্ময়কর ঘটনা দেখে প্রানের ভয়ে ছোটাছুটি করবে। সেই সময় বাইজান্টাইন , পারস্য, ভারত ইত্যাদি অঞ্চলে বহু শিক্ষিত ব্যাক্তি ছিল , ইতিহাসবিদ ছিল , বহু রাজা বাদশা ছিল , আর তারা এই অবিস্মরনীয় ও অভূতপূর্ব বিস্ময়কর ঘটনাটা সবিস্তারে লিখে রাখবে। যা পরে আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে প্রচারিত হবে। এভাবেই কিন্তু প্রাচীনকালের সকল ঘটনার কথা লিখে রাখা হয়েছে , আর তাই আজকে আমরা সেসব ঘটনার কথা জানতে পারি, এটাই ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে , মুহাম্মদের কিছু মূর্খ ও অশিক্ষিত অনুচর ছাড়া আর কেউই এই ঘটনাটা দেখতে পারে নি।
তবে , পৃথিবী থেকে চাঁদকে চাক্ষুষ যে আকারে অর্থাৎ বড় একটি থালার আকারে দেখা যায়, সেটাই যদি চাদেঁর প্রকৃত আকার হয়, তাহলে সেটা ভেঙ্গে দুই টুকরো হয়ে যেখানেই পড়ুক না কেন , তা মুহাম্মদের কিছু অনুচর ছাড়া দেখা সম্ভব নয়, এমন কি দেখা সম্ভব নয় মক্কা বা মদিনার অধিবাসীদের পক্ষেও। আর সেটা ওহুদ পাহাড়ের আশপাশে পড়লেও সেটা মুহাম্মদ ও তার সাথে থাকা কিছু মূর্খ ও অশিক্ষিত অনুচর ছাড়া আর কেউই দেখতে পারবে না , সেটা নিশ্চিত।
সুতরাং চাঁদের প্রকৃত আকার বিবেচনায়, মুহাম্মদের এই চাঁদ দ্বিখন্ডনের ঘটনাটা স্রেফ একটা উন্মাদীয় কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না , যা শুধু মাত্র কোন পাগল বা উন্মাদই দাবী করবে আর সেটা বিশ্বাস করবে তার মতই একদল উন্মাদ ও পাগল। অতএব চাঁদ দ্বিখন্ডনের এই মোজেজারও কোন দ্বিতীয় সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাই এটাকে মোজেজা হিসাবে গ্রহন করার কোন সুযোগ নেই। আর তাই মোজেজা প্রদর্শনের ভিত্তিতে যে আব্রাহামিক ধর্মের নবীরা নিজেদের নবুয়ত্ব প্রমান করতেন , সেই ভিত্তিতে মুহাম্মদ নিজেকে নবী প্রমান করতে ব্যর্থ।
- See more at: http://www.istishon.com/?q=node/21644#sthash.YRQnkLKj.mByvDBGt.dpuf

পর্ব-২(চাঁদ দ্বিখন্ডন)


প্রথম পর্বে মুহাম্মদের মোজেজা দেখানোর বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারন মুহাম্মদ নিজেকে আব্রাহামিক ধর্মের একজন নবী দাবী করতেন। আব্রাহামিক ধর্ম যেমন ইহুদি, খৃষ্টান ধর্মের কথিত নবীদের মোজেজা প্রদর্শন ছিল তাদের নবুয়ত্ব প্রমানের প্রধান অবলম্বন। তাই ইহুদি ও খৃষ্টানরা প্রায়ই মুহাম্মদকে মোজেজা দেখাতে বলতেন। কিন্তু তিনি সেটা দেখাতে পারতেন না। তাই তারা তাকে নবী হিসাবে স্বীকার করতেন না। সেই মোজেজার বিষয়ে আরও কিছু বলতে হবে। অবশেষে মুহাম্মদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়ার মোজেজা হাজির হলো , সেটা দেখা যাক ----
সুরা কামার- ৫৪: ১-৩কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু। তারা মিথ্যারোপ করছে এবং নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করছে। প্রত্যেক কাজ যথাসময়ে স্থিরীকৃত হয়।
অর্থাৎ মুহাম্মদ চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে দেখালেন , কিন্তু তারপরেও ইহুদি খৃষ্টান পৌত্তলিকরা বলল ,সেটা মুহাম্মদের যাদু। কিন্তু বাস্তবেই কি চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল ? কোন দ্বিতীয় সাক্ষী আছে ? যদি কোন সাক্ষী থাকেও সেটা কি বাস্তব সম্মত ? সেটা বুঝতে এবার আমাদেরকে একটু হাদিসে যেতে হবে ,
সহিহ মুসলিম :: বই ৩৯ :: হাদিস ৬৭২৫:
আবু বকর ইবন আবু শায়বা,আবু কুরায়ব ইসহাক ইবন ইবরাহীম, উমার ইবন হাফস ইবন গিয়াস, ও মিসজাব ইবন তামিমী (র)......আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, মিনায় আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সঙ্গে ছিলাম । এমতাবস্হায় হঠাৎ করে চন্দ্র বিদীর্ন হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল । এক খন্ড পাহাড়ের এ পাশে পড়ল এবং অপর খন্ড পড়ল পাহাড়ের ওপাশে । তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তোমরা সাক্ষী থাক ।

উক্ত হাদিসের বয়ান বুঝতে গেলে প্রথমেই আমাদেরকে একটু চাঁদের আকার আকৃতি সম্পর্কে জানতে হবে। সেটা নিম্নরূপ:
চাদেঁর ব্যাসার্ধ: ১৭৩৭ কিলোমিটার, পরিধি: ১০,৯২১ কিলোমিটার, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রের পরিমান: ৩,৭৯,৩০,০০০ বর্গকিলোমিটার।
সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Moon
চাদেঁর এই আকার আকৃতির সাথে পৃথিবীর আকার আকৃতির তুলনা করা যাক -
পৃথিবীর ব্যসার্ধ: ৬৩৭১ কিলোমিটার, পরিধি: ৪০,০৭৫ কিলোমিটার, পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রের পরিমান: ৫১,০০,৭২,০০০ বর্গকিলোমিটার ।
সূত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Earth
সুতরাং পৃষ্ঠতলের হিসাবে , পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল হলো ১৩. ৫১ টা চাঁদের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রেফলের সমান।
এখন চাঁদ যদি সমানভাবে দ্বিখন্ডিত হয়, তাহলে তার অর্ধ পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফলের আকার হবে ৩,৭৯,৩০,০০০/২=১,৮৯,৬৫,০০০ বর্গকিলোমিটার।
সুতরাং এই খন্ডটা পৃথিবীর কোন অংশের উপর পড়লে সেটা ঠিক এই ১,৮৯, ৬৫,০০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে , তবে সেই খন্ডাংশের এক পাশ গোলাকার হওয়ায় , সরাসরি সেটা মাটি স্পর্শ করবে না , তবে উক্ত অঞ্চলের সকল মানুষই সেটা দেখতে পাবে , আর তারা প্রানের ভয়ে এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করবে। এখন দুই খন্ডই পড়েছিল , এক খন্ড পাহাড়ের ( ওহুদ পাহাড়) এক পাশে আর অপর খন্ড পাহাড়ের অন্যপাশে পড়েছিল। এই ঘটনা যদি বাস্তব হয়, তাহলে এই সমগ্র আরব অঞ্চল তো বটেই , গোটা আফ্রিকা , এশিয়া ও ইউরোপ থেকেই সেটা ঘটনা দেখা যাবে , ও তার হাজার হাজার না , বরং কোটি কোটি প্রত্যক্ষদর্শী থাকবে। তারা সেই ভয়ংকর ও বিস্ময়কর ঘটনা দেখে প্রানের ভয়ে ছোটাছুটি করবে। সেই সময় বাইজান্টাইন , পারস্য, ভারত ইত্যাদি অঞ্চলে বহু শিক্ষিত ব্যাক্তি ছিল , ইতিহাসবিদ ছিল , বহু রাজা বাদশা ছিল , আর তারা এই অবিস্মরনীয় ও অভূতপূর্ব বিস্ময়কর ঘটনাটা সবিস্তারে লিখে রাখবে। যা পরে আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে প্রচারিত হবে। এভাবেই কিন্তু প্রাচীনকালের সকল ঘটনার কথা লিখে রাখা হয়েছে , আর তাই আজকে আমরা সেসব ঘটনার কথা জানতে পারি, এটাই ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে , মুহাম্মদের কিছু মূর্খ ও অশিক্ষিত অনুচর ছাড়া আর কেউই এই ঘটনাটা দেখতে পারে নি।
তবে , পৃথিবী থেকে চাঁদকে চাক্ষুষ যে আকারে অর্থাৎ বড় একটি থালার আকারে দেখা যায়, সেটাই যদি চাদেঁর প্রকৃত আকার হয়, তাহলে সেটা ভেঙ্গে দুই টুকরো হয়ে যেখানেই পড়ুক না কেন , তা মুহাম্মদের কিছু অনুচর ছাড়া দেখা সম্ভব নয়, এমন কি দেখা সম্ভব নয় মক্কা বা মদিনার অধিবাসীদের পক্ষেও। আর সেটা ওহুদ পাহাড়ের আশপাশে পড়লেও সেটা মুহাম্মদ ও তার সাথে থাকা কিছু মূর্খ ও অশিক্ষিত অনুচর ছাড়া আর কেউই দেখতে পারবে না , সেটা নিশ্চিত।
সুতরাং চাঁদের প্রকৃত আকার বিবেচনায়, মুহাম্মদের এই চাঁদ দ্বিখন্ডনের ঘটনাটা স্রেফ একটা উন্মাদীয় কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না , যা শুধু মাত্র কোন পাগল বা উন্মাদই দাবী করবে আর সেটা বিশ্বাস করবে তার মতই একদল উন্মাদ ও পাগল। অতএব চাঁদ দ্বিখন্ডনের এই মোজেজারও কোন দ্বিতীয় সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাই এটাকে মোজেজা হিসাবে গ্রহন করার কোন সুযোগ নেই। আর তাই মোজেজা প্রদর্শনের ভিত্তিতে যে আব্রাহামিক ধর্মের নবীরা নিজেদের নবুয়ত্ব প্রমান করতেন , সেই ভিত্তিতে মুহাম্মদ নিজেকে নবী প্রমান করতে ব্যর্থ।
- See more at: http://www.istishon.com/?q=node/21644#sthash.YRQnkLKj.mByvDBGt.dpuf

পর্ব-৩ (মূহুর্তের মধ্যে আয়াত পরিবর্তন) লিখেছেন: কাঠমোল্ল।

আগের দুই পর্বে মুহাম্মদের মোজেজা প্রদর্শনে ব্যর্থতার কথা বলা হয়েছে। এবার বলা হবে , কিভাবে মুহাম্মদ তাৎক্ষনিকভাবে আয়াত পরিবর্তন করতেন। আল্লাহ প্রথমে একটা আয়াত পাঠাত, কিন্তু এরপর কেউ একজন ভিন্ন কিছু দাবী করলেই সাথে সাথে আল্লাহ ভিন্ন আয়াত পাঠাত, যা প্রমান করে , মুহাম্মদের আল্লাহ বস্তুত: সর্বজ্ঞানী না , আর তাই এই আয়াত মুহাম্মদ ও তার সাহাবীরাই দরকার মত রচনা করত।

এবার সেটা দেখা যাক ----
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৬ :: অধ্যায় ৬১ :: হাদিস ৫১২:
উবায়দুল্লাহ ইব্ন মূসা (র)...... বারা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,"যারা ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-প্রান দিয়ে জিহাদ করে তাদের মর্যাদা এক নয় ( ৪:৯৫)" আয়াতটি নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ্(সা) বলেন, যায়দকে আমার কাছে ডেকে আন এবং তাকে বল সে যেন কাষ্ঠখন্ড, দোয়াত এবং কাঁধের হাড় রাবী বলেন, অথবা তিনি বলেছেন, কাঁধের হাড় এবং দোয়াত নিয়ে আসে। এরপর তিনি বললেন, লিখ--- "যারা ঘরে বসে থাকে -----------"-। এ সময় অন্ধ সাহাবী আমর ইব্ন উম্মে মাকতূম (রা),রাসূলুল্লাহ্(সা) এর পেছনে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তো অন্ধ, আমার ব্যাপারে আপনার কি নির্দেশ? এ কথার প্রেক্ষিতে পূর্বোক্ত আয়াতের পরিবর্তে নাযলি হল: “মু’মিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয়, অথচ ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে তারা সমান নয়” (৪:৯৫)।
সহিহ মুসলিম :: বই ২০ :: হাদিস ৪৬৭৬:
মুহাম্মাদ ইবন মুসান্না ও মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র)......আবু ইসহাক (র) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বারা (রাঃ)-কে কুরআন শরীফের আয়াতঃ “মুমিনদের মধ্যে যারা ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারা সমান নয় ।(নিসা-৪:৯৫)” সম্পর্কে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যায়িদ (রাঃ) কে একটি হাড় নিয়ে আসতে আদেশ করলেন এবং তিনি-তাতে তা লিখলেন । তখন ইবন উম্মে মাকতূম (রাঃ) তাঁর (অন্ধত্বের) ওযর সম্পর্কে অমুযোগ করলেন । এ প্রসঙ্গে নাযিল হলো: মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নহে অথচ ঘরে বসে থাকে তারা সমান নয় ।(নিসা-৪:৯৫)” শুবা (র) বলেনঃ, আমার কাছে সাদ ইবন ইবরাহীম বর্ণনা করেছেন জনৈক ব্যক্তি সুত্রে তিনি যায়িদ (র) থেকে এ আয়াত সম্পর্কে “ যারা বসে থাকে তারা সমান নয় ।” বাকী হাদীস বারা (রাঃ)-এর হাদীসের অনুরুপ । ইবন বাশশার তাঁর বর্ণনায় বলেছেনঃ, সাদ ইবন ইবরাহীম (র) তাঁর পিতা থেকে তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে তিনি যায়িদ ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে ।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে , কোরানের আল্লাহ সর্বজ্ঞানী না। যদি সর্বজ্ঞানী হতো তাহলে প্রথমেই সম্পূর্ন অর্থবোধক আয়াত পাঠাত, অন্ধ মাখতুমের আপত্তির অপেক্ষায় থাকত না। এছাড়া দেখা যাচ্ছে , আয়াতটা পাল্টান হচ্ছে কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের মধ্যেই কারন কথিত উক্ত ৪:৯৫ আল্লাহর বানী প্রথমে ও পরে নাজিল হয়েছে মাখতুম ও মুহাম্মদের এক সাথে বসে থাকা অবস্থায়ই। এটা যে আসলে মুহাম্মদেরই বানান আয়াত , আর পরে সেটার অর্থ সম্পূর্ন না এটা বুঝতে পেরে মুহাম্মদ নিজেই যে সাথে সাথে আয়াত পাল্টে ফেলছে , অর্থাৎ তিনি নিজেই নিজের বানান কিচ্ছা কাহিনী বা কথাবার্তাকে আল্লাহর বানী বলে চালাচ্ছেন, সেটা বুঝতে বিশাল বিজ্ঞানী বা পন্ডিত হওয়ার দরকার নেই।
সেই সময়ের আরবের লোকরা সেটা বুঝত , আর বুঝত বলেই মক্কাতে মুহাম্মদের এইসব বানীকে উন্মাদের প্রলাপ বলত আর মুহাম্মদকে বলত উন্মাদ বা পাগল। কিন্তু মুহাম্মদ মক্কাতে দুর্বল ছিলেন তার কোন লোকজন ছিল না, সেই কারনে তিনি তাকে উন্মাদ বলে অভিহিতকারীকে কিছুই বলতে পারতেন না। কিন্তু যখনই মুহাম্মদ মদিনায় গিয়ে একটা রাজ্য গঠন করলেন,তারপর গঠন করলেন একটা বাহিনী, তখনই তিনি বলা শুরু করলেন , তার কথাকে বিনা প্রশ্নে বিনা দ্বিধায় গ্রহন করতে হবে , কোন প্রশ্ন করা যাবে না। প্রশ্ন করলেই সে হয়ে যাবে কাফের মুনাফিক আর তার শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। কারনটাও বোধগম্য, প্রশ্ন করলেই তো মুহাম্মদের জারিজুরি সব বের হয়ে যাবে। সেকারনেই প্রশ্নকে এতটা কঠিনভাবে নিষেধ করে দেন , আর বলে দেন , বিনা প্রশ্নে সম্পূর্ন বিশ্বাস করে ইসলাম গ্রহন করতে হবে , যার অর্থ হলো বিনা প্রশ্নে আত্মসমর্পন। এভাবে নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে বিনা প্রশ্নে আত্মসমর্পন যে করবে সেই হবে খাটি মুমিন। সেটা সুন্দরভাবে কোরানেই মুহাম্মদ বলেছেন , যেমন -
সুরা মায়দা - ৫: ১০১: হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
তার মানে কোন কিছু জিজ্ঞেস করা যাবে না , করলেই সমস্যা। এই যেমন মুহাম্মদ মিনিটের মধ্যে কোরানের আয়াত (নিসা -৪: ৯৫)পাল্টে ফেলল, সেটা কিন্তু জিজ্ঞেস করা যাবে না কেন আর কিভাবেই বা আল্লাহ এভাবে কিছু পূর্বে অসম্পূর্ন আয়াত পাঠাতে পারে । এ ধরনের প্রশ্ন করলেই কিন্তু কল্লা পড়ে যাবে মুনাফিক বা কাফির হিসাবে।



পর্ব-৪ (নবুয়ত্বের দাবী সঠিক?)


কোরান যে আল্লাহর বানী , সেটার স্বপক্ষে মুমিনেরা একটা যুক্তি দেখায় : "দুনিয়ায় লক্ষ লক্ষ হাফেজ আছে যাদের কোরান মুখস্থএটাই প্রমান করে কোরান সৃষ্টিকর্তার বানী।" কোন একটা কিতাব যদি কোটি কোটি মানুষের মুখস্থ থাকে , তাহলে সেটা কিভাবে সৃষ্টিকর্তার বানী হয় ? কিন্তু কোরান নিজেই আসলে প্রমান করে যে সে কোনভাবেই সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত কিতাব হতে পারে নাসেটা কিভাবে ? এবারে সেটাই বলা হবে
কোরান স্বীকার করে , তার আগের কিতাব যেমন তৌরাত ও ইঞ্জিল দুইটাই আল্লাহর বানীতার অর্থ মুহাম্মদের সময়ে যে তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব বিদ্যমান ছিল, সেগুলোকেই কোরান আল্লাহর বানী হিসাবে স্বীকার করে নিচ্ছেসেটা বলা আছে কোরানে , যেমন -
সুরা আল ইমরান- ৩: ৩: তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের(তৌরাত ও ইঞ্জিল)
সুরা নিসা-৪: ১৩৬: হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বেযে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে
তার মানে কোরান বলছে আগের কিতাবগুলো আল্লাহর বানীশুধু এটুকুতেই শেষ না, আরও বলছে --------------
সুরা আল আরাফ-৭:১৫৭: সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিলসুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে
উক্ত আয়াতে বলছে যে তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে মুহাম্মদ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী করা আছেতার মানে মুহাম্মদের সময় যে তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাব ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছে ছিল , তাতে মুহাম্মদ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী করা আছেউল্লেখ্য, মুহাম্মদের সময়কালে ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছে যে তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব ছিল, হুবহু সেই কিতাবই আমরা এখন সারা দুনিয়াতে দেখতে পাইআর যে কেউই সেটা পড়তেও পারে এবার দেখা যাক , তৌরাত বা ইঞ্জিল কিতাবে মুহাম্মদ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী করা আছে কি নাবিভিন্ন ইসলামী পন্ডিতদের দাবী তৌরাতের নিচের বানীগুলোতে মুহাম্মদ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে, যেমন -
দ্বিতীয় বিবরনী- ১৮: ১৮: ১৮ আমি তাদের কাছে তোমার মতোই একজন ভাববাদী পাঠাবএই ভাববাদী তাদের লোকদের মধ্যেই একজন হবেসে য়ে কথা অবশ্যই বলবে সেটা আমি তাকে বলে দেবআমি যা আদেশ করি তার সমস্ত কিছু সে লোকদের বলবে
মুসার কাছে ঈশ্বর বলছে , সে তাদের লোকদের মধ্য থেকেই একজন ভাববাদী বা নবী পাঠাবে, মুসলিম স্কলারদের দাবী, সেই নবী হলেন মুহাম্মদবিষয়টা এবার আলোচনা করা যাকমুসা যখন সকল ইসরাইলিদেরকে মিশর থেকে নিয়ে দরিয়া পাড়ি দিয়ে সিনাই পর্বতের নিচে অবস্থান করছিল, ঠিক তখন ঈশ্বর মূসাকে এই নবী পাঠানোর কথা বলে সেই নবী হবে , তাদের মধ্য থেকেই অর্থাৎ মুসার সাথে যারা ছিল সেই ইসরাইলিদের মধ্য থেকেতাহলে এখন বুঝতে হবে , ইসরাইলি কারা ? সবাই এটা জানে ইব্রাহীমের দুই পুত্র ছিল - ইসমাইল ও ইসহাকইসমাইলকে শিশু বয়সেই তা মা হাজেরা সহ ইব্রাহীম নির্বাসন দেয়মুসলমানরা বিশ্বাস করে তাদেরকে মক্কায় নির্বাসন দেয়া হয় , আর সেই ইসমাইল থেকে যে জনগোষ্ঠি তৈরী হয় তাদেরকে বলা হয় ইসমাইলি
ইসহাকের ছিল এক পূত্র যার নাম ইয়াকুব, যার সাথে ঈশ্বর কুস্তি লড়ে, অত:পর তার নাম দেয় ইসরাইলএই ইসরাইলের ছিল বারটা পুত্র , সেই বার পুত্র থেকে যে বংশধারা তৈরী হয় তাদেরকেই ইসরাইলি বলা হয়সেই বার পুত্রের একজন ছিল বিখ্যাত ইউসুফ যাকে অন্যান্য ভাই মিলে কুপে ফেলে দেয়, পরে কিছু ব্যবসায়ী তাকে উদ্ধার করে মিশরে নিয়ে যায়, মিশরের রাজদরবারে তার ঠাই হয় , একজন রাজ কর্মচারি হিসাবে সে প্রতিষ্ঠা পায়তার সময়ে বর্তমানের ইসরাইল অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হয়, ইউসুফের অন্য এগার ভাই সেখানে বাস করত , তাদের পিতা ইয়াকুব সমেততারা দুর্ভিক্ষের তাড়নায় মিশরে গেলে , ইয়াকুব তাদেরকে আশ্রয় দেয় অত:পর তারা সবাই মিশরেই থেকে যায়এরপর প্রায় এক হাজার বছর পার হয়ে যায়, তখন সেই বার ভাই থেকে যে বংশধারা তৈরী হয়, তারা তখন প্রায় ছয় লক্ষে পরিনত হয় , আর তারাই হলো সবাই ইসরাইলিএদের মধ্যেই জন্ম নেয় মুসা , যে অত:পর সবাইকে মিশর থেকে সিনাই উপত্যকায় নিয়ে আসেআর তখনই ঈশ্বর তাকে উক্ত নবী পাঠানোর কথা বলেঅর্থাৎ কথিত ভবিষ্যৎ নবি হবে অবশ্যই ইসরাইলি বংশ থেকে , ইসমাইলি বংশ থেকে নয়কিন্তু মুহাম্মদ নিজেকে দাবী করছেন তিনি নাকি ইসমাইলি বংশের লোক , সেটা যদি সত্যও হয়, তাহলে মুহাম্মদ কিভাবে সেই কথিত নবী হন ? তিনি তো ইসরাইলি নন !
এছাড়াও সেই বানীতে বলছে -" আমি তাদের কাছে তোমার মতোই একজন ভাববাদী পাঠাব"- অর্থাৎ মুসার মতই একজন ভাববাদী পাঠাবেমুহাম্মদ কি মুসার মত ছিল ? মোটেই না
মুসা অলৌকিভাবে বেঁচে ছিল, তাকে জন্মের পর একটা বাক্সে করে পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়, তার মারা যাওয়ার কথা কিন্তু ফেরাউনের স্ত্রীর কল্যানে সে বেঁচে যায়মুহাম্মদ অতি সাধারনভাবে জন্মগ্রহন করেন ও বেঁচে থাকেন
মুসার সাথে ঈশ্বর সরাসরি কথা বলত , মুহাম্মদের সাথে তার আল্লাহ সরাসরি কথা বলত না
মুসা বহুবিধ অলৌকক ক্ষমতা দেখাতে পারত, মুহাম্মদের সেই ক্ষমতা ছিল না
মুসার কাছে ঈশ্বর নিজেই দশ আদেশ লিখে দিয়েছিল সিনাই পাহাড়ে , মুহাম্মদের তেমন কোন কিছুই ছিল না
মুসা তার জাতিকে ফেরাউনদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ইসরাইলে নিয়ে আসে , মুহাম্মদের সাথে কতিপয় মক্কাবাসী মদিনায় গমন করে পরে মদিনার লোকদের সহায়তায় মক্কা দখল করেন
মুসার ডজনের ওপর স্ত্রী ছিল না, তার কোন যৌন দাসীও ছিল না, মুহাম্মদের ডজনের ওপর স্ত্রী ছিল, এছাড়া ছিল যৌন দাসী
মুসার ওপর ঈশ্বরের নির্দেশ ছিল , মিশর থেকে তার জাতিকে উদ্ধার করে ইসরাইলে নিয়ে আসা , সেটা করতে তাকে যুদ্ধ করতে হয়, বহু মানুষ হত্যা করতে হয় , কিন্তু সেটা ছিল সাময়িক , অর্থাৎ ইসরাইলিদের জন্যে নির্দিষ্ট রাজ্য প্রতিষ্ঠার পরই তার ওপর আর কোন যুদ্ধের বা হত্যার আদেশ ছিল নাপক্ষান্তরে মুহাম্মদের আল্লাহ তাকে চিরকালীন যুদ্ধ ও হত্যার আদেশ দেয় যা আসলে ইসলামকে করেছে দুনিয়ার সবচাইতে নিষ্ঠুর ও হিংস্র এক জঙ্গিবাদী আদর্শ
সুতরাং মুহাম্মদ কোনভাবেই মুসার মত ছিলেন নাআর তাই তৌরাতের বানী মোতাবেক মুহাম্মদ কোনভাবেই সেই কথিত নবী ছিলেন নাযার অর্থ- মুহাম্মদের কোরান ভুল ভবিষ্যদ্বানী করেছে , কিন্তু কোরান যদি সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসত , তাহলে এ ধরনের কোন ভুল ভবিষ্যদ্বানী করত নাযা প্রমান করে , কোরান কোন সৃষ্টিকর্তার বানী নাবস্তুত: মুহাম্মদ ইহুদিদের কাছ থেকে তাদের তৌরাতে কথিত ভবিষ্যতের নবীর কথা শুনে থাকবেন , আর সেটারই সুযোগ নিয়ে মুহাম্মদ তার কোরানে এই কিচ্ছার অবতারনা করে নিজেকে সেই কথিত নবী হিসাবে দাবী করেছিলেন ঠিক সেই কারনেই ইহুদিরা কখনই মুহাম্মদকে নবী স্বীকার করে নি
জন্যেই ইহুদিদের ওপর মুহাম্মদের ছিল সীমাহীন ক্ষোভ ও রাগসেই ক্ষোভ ও রাগের কারনেই মুহাম্মদ যখন বিজয়ী বীর তখন মক্কা মদিনা থেকে সকল ইহুদিকেই তাদের চৌদ্দ পুরুষের ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করেনএরপরেও ইহুদিদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করার জন্যে নির্দেশ জারি করে যানযা প্রমান করে , মুহাম্মদ জোর জবরদস্তি করে নিজের নবুয়ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন
বর্তমানের কোন মুমিনই তৌরাত কিতাব পাঠ করে না , পাঠ করাকে গুনাহ মনে করে , তাই তারা এসব কাহিনী জানে নাজানে না বলেই তারা যখনই ইসলাম ও মুহাম্মদ সম্পর্কে কোন সত্য তথ্য পায় , তখনই তাদের ভিতরে জিঘাংসার জন্ম হয়, তারা ধর্মান্ধ খুনিতে পরিনত হয়, হিংসায় তাদের কলিজা জ্বলে যায়, আর তখনই চাপাতি নিয়ে খুন করতে বের হয়ে যায় এই আশায় যে, এভাবে ইহুদি বা খৃষ্টান বা অমুসলিমদেরকে হত্যা করতে পারলেই সে চলে যাবে সোজা বেহেস্তে যেখানে তার জন্যে অপেক্ষা করছে ৭২ টা কুমারি নারী !

 

 

পর্ব-৫(পরিস্কার প্রমান)

কোরান কখনই কোন সুস্পষ্ট সাক্ষী হাজির করতে পারে নি , যারা প্রমান করবে কোরান আল্লাহর বানীমুহাম্মদ নিজেও সেটা জানতেনজানতেন বলেই মুসলমানদেরকে প্রশ্ন করতে কঠিনভাবে নিষেধ করে গেছেনসুতরাং প্রমান বিহীনভাবেই কোরানকে মুমিনেরা পূর্ন অন্ধভাবে চোখ বন্দ করে বিশ্বাস করেঠিক সেই কারনেই কোরান নিয়ে কোন প্রশ্ন করলে মুমিনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায় , যা মুহাম্মদের শিক্ষা তারপরেও কোরান নিজেই একজনকে সাক্ষী মানছেদেখা যাক, সেই সাক্ষী কোরানকে ঐশী কিতাব প্রমান করে কি না
সুরা বাকারা -২: ৮৯: যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব এসে পৌঁছাল, যা সে বিষয়ের সত্যায়ন করে, যা তাদের কাছে রয়েছে এবং তারা পূর্বে করতঅবশেষে যখন তাদের কাছে পৌঁছল যাকে তারা চিনে রেখেছিল, তখন তারা তা অস্বীকার করে বসলঅতএব, অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত
কোরান ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছে থাকা তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাবকে সত্যায়ন করছেসত্যায়ন কাকে বলে ? যারা চাকরীর দরখাস্ত করেছেন তারা ভালই জানে সত্যায়ন কাকে বলেনিজের শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের হুবহু ফটোকপি কোন সরকারী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে, সেই কর্মকর্তা অরিজিনাল সার্টিফিকেটের সাথে ফটোকপির হুবহু মিল দেখেই সেটা সত্যায়ন করেতার অর্থ অরিজিনাল ও ফটোকপি হুবহু একই জিনিসএখন কোরান মুহাম্মদের সময়কালে ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছে থাকা তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাবকে সত্যায়ন করছেতার মানে আল্লাহ ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছে শত শত বছর আগে যে তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব নাজিল করেছিল , মুহাম্মদের সময়কার আমলে ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছে থাকা তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাবকেই সত্যায়ন করে বলছে - তাদের সেই কিতাবে কোন ভুল নেইঠিক সেই কারনেই কোরান বলছে ----
সুরা ইউনুস- ১০: ৯৪:সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে কিতাব পাঠ করছেএতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছেকাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না
অর্থাৎ কোরান বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকলে সন্দেহকারী যেন ইহুদি ও খৃষ্টানদের কাছে সন্দেহ নিরসনের জন্য যায়, তাহলে কোরান যে ঐশী কিতাব সেটা প্রমানিত হবেইহুদি ও খৃষ্টানরা তাদের তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাবের ভিত্তিতে কোরানকে বিচার করেই কোরানের সত্যতা প্রমানিত হবেএখন দেখি ইঞ্জিল কিতাবে কি বলা আছে -
যোহন- অধ্যায়-৫
২১ পিতা মৃতদের জীবন দান করেন, তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন
২২ পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার তিনি পুত্রকে দিয়েছেন
২৩ যাতে পিতাকে য়েমন সমস্ত লোক সম্মান করে তেমনি পুত্রকেও সম্মান করেয়ে পুত্রকে সম্মান করে না, সে পিতাকেও সম্মান করে না, কারণ পিতাই সেইজন যিনি পুত্রকে পাঠিয়েছেন
২৪ আমি তোমাদের সত্যি বলছি; য়ে কেউ আমার কথা শোনে, আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন লাভ করে এবং সে অপরাধী বলে বিবেচিত হবে নাসে মৃত্যু থেকে জীবনে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে
২৫ আমি তোমাদের সত্যি বলছি সময় আসছে; বলতে কি এসে গেছে, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনবে, আর যাঁরা শুনবে তারা বাঁচবে
মার্ক, অধ্যায়- ১৪:
৬১ কিন্তু তিনি চুপচাপ থাকলেন, কোন উত্তর দিলেন নাআবার মহাযাজক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি সেই পরম খ্রীষ্ট পরম ধন্য, ঈশ্বরের পুত্র?’
৬২ যীশু বললেন, হ্যাঁ, আমিই ঈশ্বরের পুত্র তোমরা একদিন মানবপুত্রকে ঈশ্বরের ডানপাশে বসে থাকতে আকাশের মেঘে আবৃত হয়ে আসতে দেখবে
সুতরাং ইঞ্জিল কিতাবে পরিস্কারভাবেই বলছে ,যীশু হলেন ঈশ্বরের পূত্র গোটা ইঞ্জিলে এরকম আরও বহু উদাহরন দেখা যাবেকোরান সত্যায়ন করেছে ইঞ্জিল আল্লাহর কিতাব , আর তাতে কোন ভুল নেইসুতরাং কোরান স্বীকার করছে যীশু হলেন ঈশ্বরের পূত্র কারন সেটাই ইঞ্জিল কিতাবে বলা আছেকিন্তু অত:পর কোরান যীশুর সম্পর্কে কি বলছে _
সুরা তওবা - ৯: ৩০: ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে মসীহ আল্লাহর পুত্রএ হচ্ছে তাদের মুখের কথাএরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলেআল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে
অর্থাৎ কোরান বলছে , খৃষ্টানরা যীশুকে যে ঈশ্বরের পূত্র বলে সেটা তারা কুফুরি করেআর এই কুফুরির জন্যে আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করবেশুধু তাই নয়, এই কুফুরির জন্যে কি করতে হবে খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে সেটাও বলা আছে কোরানে যেমন -
সুরা তওবা - ৯: ২৯:তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে
খৃষ্টানরা যীশুকে ঈশ্বরের পূত্র বলার কারনে , আল্লাহ মুহাম্মদকে ও মুসলমানদেরকে বলছে খৃস্টানদের বিরুদ্ধে চিরকালীন যুদ্ধ করতে, তাদেরকে হত্যা করতেতাহলে কি অর্থ দাড়াল ? কোরান নিজেই ইঞ্জিল কিতাবকে সত্য স্বীকার করে যীশুকে ঈশ্বরের পূত্র হিসাবে স্বীকার করল , আবার পরক্ষনেই বলছে যীশুকে ঈশ্বরের পূত্র বলার কারনে তাদের বিরুদ্ধে চিরকাল যুদ্ধ করতে হবে , তাদেরকে হত্যা করতে হবে
সুতরাং পাঠকবৃন্দ , আপনারা নিজেরাই বলুক কোরান কিভাবে ঐশী কিতাব ?