Sunday, July 31, 2016

আমার ঈশ্বর ভাবনা ও ঈশ্বর কি সত্যি আছে?!

১.১ ঈশ্বর কোন ব্যক্তিক কিংবা মানবীয় সত্তা নয়_ঈশ্বর হলো সমগ্র, একটি সিস্টেম বা তন্ত্র যা পদার্থিক-অপদার্থিক-ভৌতিক-আদিভৌতিক-চতুর্মাত্রিক-অচতুর্মাত্রিক সকল সত্তা ও সত্তাসমূহকে ধারন করে যা থেকে প্রাকৃতিক ও নৈতিক বিধি ও নিয়মসমূহ নিঃসৃত হয় যেখানে বিধি ও নিয়মসমূহ আমাদের নিকট আপেক্ষিকভাবে ধরা দেয়
১.২ এ ঈশ্বর অবশ্যই ব্যক্তিক, মানবিক কিংবা ধর্মীয় ঈশ্বর নয় যার সঙ্গে পাপ-পূন্য-স্বর্গ-নরক-পূজা-অর্চনা কিংবা প্রার্থনা সম্পর্কিত
১.৩ এ ঈশ্বর যান্ত্রিকও নয়, জৈবিকও নয়_ইহা জগতের ভেতর ও বাহিরের এক আন্তঃজালিক বন্ধন যা থেকে সকল কিছুর উদ্ভব ঘটে এবং যাতে সবকিছু পুনরায় একিভূত হয়_এ এক রহস্যময় আধ্যাত্মিক মহা-মহা কর্ম যজ্ঞ যার বাইরে কিছু নেই
১.৪ জগতের ভেতর ও বাহির সব কিছুতেই ঈশ্বর প্রকাশমানজগতটা তারই রুপ_তুমি, আমি ও সে তাতেই বর্তমান
১.৫ ঈশ্বর সম্পর্কিত এই উপলব্ধি আস্তিক-নাস্তিক-সংশয়বাদী-অজ্ঞেয়বাদী সকল মত পার্থক্যের ঊর্ধ্বের উপলব্ধিকারন এই উপলব্ধি সকল মত ও পথকে ধারন করে
১.৬ অনন্য মানুষ গুলো ( Supper man) ঈশ্বর সম্পর্কিত এ উপলব্ধিই ধারন করেআর তখন Voice of Supper Man is the voice of God.

ঈশ্বর কি সত্যি আছে?!
১.১ প্রত্যেকের মা আছে কিন্তু সমগ্র মানব জাতির কোন মা নেইঅনেকে মনে করেন বৈচিত্রময় এই জগত আমাদেরকে স্মরন করে দেয় যে, এর একটা ডিজাইনার আছেআর সেই ডিজাইনারই হলো সৃষ্টিকর্তা কিংবা ঈশ্বর যুক্তিটি আমার নিকট "মানব জাতির একটি মা আছে" এর মতই মনে হয়
১.২ অনেক মুক্তমনা ধর্ম নিরপেক্ষ ঈশ্বরের খোজ করেন এবং অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি আছেন যাঁরা ধর্ম নিরপেক্ষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেনতাঁরা মনে করেন সকল ধর্ম মানুষের সৃষ্টি; তারপরেও একজন ঈশ্বর আছেএদলের ব্যক্তিগনকে অজ্ঞানী মনে করার কোন সুযোগ নেই
১.৩ জ্ঞান-গরিমায় মানুষ যতই উন্নত হোকনা কেন প্রকৃতি এমনই রহস্যময় যে, একজন ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তিক ঈশ্বর কিংবা একজন বৌদ্ধিক সত্তার সম্ভবনাকে সম্পুর্ন নাকচ করবেনা
১.৪ ইহা অবশ্যই সম্ভবনাময় যে, সকল ধর্মীয় ঈশ্বর বাতিল কিংবা নাকচ হয়ে যাবে
১.৫ মানুষের উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তায় ধর্মীয় ঈশ্বর গুলো বাতিল হচ্ছে এবং হতেই থাকবে
১.৬ তারপরেও আস্তিক থাকবেতাঁরা বিশ্বাস করবে ধর্ম নিরপেক্ষ একটি উচ্চতর বুদ্ধি বৃত্তিক সত্তাকে ( Higher Intelligence).
১.৭ ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞান কিংবা সাহিত্য অসীমকে খুজতেই থাকবে
১.৮ অসীমের মাঝে নিজেকে এবং নিজের মাঝে অসীমকে খোজার নামই আধ্যাত্মিক সাধনা
-মানুষের ভাষা পরিবর্তন হয়, যেমন সিকচিল্লি, কুর্তা, সাম+সন্ধা, এই সব বাংলা ভাষা বা উর্দুর সংমিশ্রণ দিয়ে গড়া ভাষার পরিবর্তন হচ্ছেপৃথিবীতে সকল কিছুর ধংস অনিবার্য, সেটা গড মেড হোক বা মেন মেইডভাষা যেমন হারিয়ে যায় ঠিক ধর্মও পরিবর্তন হয়ধর্ম তার খলশ ছেড়ে অন্য রুপে পরিবর্তন হয়মনে হচ্ছে খুব শিগরি একটা নতুন ধর্মের আবির্ভাব হবে, হয়তো এখন নয়তো আরো একশত বছর পরে ঈশ্বর যা একটা অনুভবের বিষয়, যাকে প্রমান করে দেখানো যায় না, এই অনুভূতি প্রত্যেকে নিজে নিজে উপলব্ধি করে বুঝতে পারে কেউ প্রকাশ করতে পারে কেউ পারে নাখুবি চরম ভাবে দেখলে বুঝা যায় প্রত্যেকেই ঈশ্বর সকল সৃষ্ট জিনিসে নিজের প্রকাশের নাম স্রষ্টাখাবারের জন্ম তিনিই করেছেন, আবার খাবারের স্বাদ মানুষ হয়ে তিনিই গ্রহন করেন।। শিরীরের একটি একটি অংশ বাদ দিলে অবশিষ্টাংশ অংশ তিনিই


-মহাগ্রন্থ আল কুরআনে মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের কে সব্বোর্চ চারটি বিবাহ করার অনুমতি দিয়ে ধন্য করেছেন এবং আল কুরআনের কোথাও আমাদের প্রিয় নাবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে চারটির অধিক বিবাহ করার স্পষ্ট অনুমতি দেওয়া হয়নি আমাদের প্রিয় নাবি পবিত্র কুরআনের নির্দেশ উপেক্ষা করে এক ডজনের অধিক নারীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালার নির্দেশ অমান্য করেও আমাদের প্রিয় নাবির নবিত্ব এতটুকু ক্ষুন্ন হয়নি কতো প্রভাবশালী আমাদের দোজাহানের সর্দার কামলেওয়ালা !!!ভাবুক কবি যথার্থই লিখেছেন-আল্লাহর ধন নবিকে দিয়া, আল্লাহ গেছেন ফকির হইয়া ।।


-ধর্মীয় মতবাদগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যে মতবাদগুলো যত বেশি আগ্রাসী, সেই মতবাদগুলো তত বেশি সফল
ইসলাম বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী হওয়ার কারণে বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম
হিন্দুদের ইসকনও অত্যন্ত আগ্রাসীএরা কৃষ্ণ বাদে অন্যান্য দেব দেবীর পুজা অর্চনা বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেহিন্দুদের বাকি হিন্দু সমাজ কাছে অস্পৃশ্য করে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে নিরামিষ ভোজী বানাচ্ছেএর ফলে ইস্কন অতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী একটি বিশাল সংগঠনে পরিণত হচ্ছে
এক সময় ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্মের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছিলফ্রান্সের অনেক এলাকা মুসলিমদের দফলে চলে গিয়েছিলতখন চার্চ আগ্রাসী হয়ে উঠে এবং ক্রুসেডারের ডাক দিয়ে ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্মের অস্তিত্ব রক্ষা করে
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা লাখ লাখ মুসলিম অধিবাসি পুনরায় ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্মের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছেকিন্তু এখনকার চার্চ মানবতাবাদিতারা অধিবাসিদের ইউরোপে আশ্রয় দেয়ার পক্ষপাতিতাদের এ সিদ্ধান্তটি হয় তো শেষ বিচারে একদিন ইউরোপ থেকে খ্রিস্ট ধর্ম বিনাশের কারণ হবে
সম্রাট অশোক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ার পর হঠাত্‍ করে অত্যন্ত মানবতা বাদি হয়ে উঠেনতার ছেলে মেয়ে ও নাতি নাতনীদেরও মানবতা বাদের শিক্ষায় দীক্ষিত করেনএর ফলশ্রুতিতে অশোকের মৃত্যুর ৫০ বছরের মধ্যে সাম্রাজের পতন ঘটে