নাস্তিক ও ওলামায়ে ছুঃ-
(ক) নাস্তিকঃ-
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সকল মিডিয়াতে নাস্তিক্যবাদ বা নাস্তিকদের নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
নাস্তিক্যবাদ (ইংরেজি ভাষায়: Atheism; অন্যান্য নাম: নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ) একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। ইংরেজি ‘এইথিজম’(Atheism) শব্দের অর্থ হল নাস্তিকক্য বা নিরীশ্বরবাদ। এইথিজম শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক ‘এথোস’ শব্দটি থেকে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে স্বীকৃতি দেয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পরলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের মত যেসব ধর্মে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না, সেসব ধর্মালম্বীদেরকেও নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা, হিন্দু ধর্মের দর্শন, যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ এবং প্রকৃতিবাদে বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা কোন বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ, যে কোন মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে,নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই, আর তা হল সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করা।
নাস্তিকতাবাদের ভিত্তি হচ্ছে বস্তুবাদ। বর্তমানে এটা বিজ্ঞানের নামে বিবর্তনবাদ তত্ত্বের খোলসে প্রচার করা হয় । এর নৈতিকতার ভিত্তি হচ্ছে ডারউইনবাদ।
অন্যদিকে ডারউইনবাদী নৈতিকতার কোন মাপকাঠি নেই। এটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যা দরকার সেটাই হচ্ছে বিবর্তনবাদীয় নৈতিকতার ভিত্তি। যেমন খুন, ধর্ষণ, সমকামীতা, প্রতারণা, মিথ্যা বলাও এই নৈতিকতার অন্তর্ভূক্ত হতে পারে।
নাস্তিকরা নিজেদের পশু মনে করে থাকে :
ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষকে উন্নত প্রজাতির পশু হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই পশুর স্বভাব-চরিত্রের সাথে মিল রেখে প্রতিনিয়ত রচিত হয় নাস্তিক্যবাদী/ডারইউনবাদী নৈতিকতার গাইড লাইন!
আস্তিক্য নৈতিকতা অনুযায়ী পৃথিবীর সব সমাজেই অবৈধ কর্ম অত্যন্ত নিন্দনীয় ও প্রচণ্ড শাস্তিমূলক অপরাধ। কিন্তু নাস্তিক্য/ডারউইনবাদী নৈতিকতা অনুযায়ী ধর্ষণকে পজিটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়! বায়োলজি প্রফেসর রান্ডি থর্নহীল ও নৃ-বিজ্ঞানী ক্রেইগ পালমার তাদের লিখিত “Natural History of Rape” বই-এ ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদ অনুযায়ী দাবী করেন অবৈধ কর্ম হচ্ছে প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল বা এডাপ্টিভ (Adaptive), কেননা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে কোন প্রজাতিকে টিকে থাকার জন্য অবৈধ কর্ম সহায়ক! পুরুষেরা নাকি অবৈধ কর্মের মাধ্যমে তাদের জীন ছড়িয়ে দেয় যা তার বংশধারা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে!
নাস্তিকরা নিজেদের পশু হিসাবেই মনে করে থাকে।যার কারণে এদের আচার আচরণ হয় পশুর মত ।
তাহলে সহজেই বোঝা গেলো, এসকল নাস্তিকরা মানুষ সমাজের লোক নয়। এরা পশু। সূতরাং এসকল পশুদের মানব সমাজে থাকার কোন উপযুক্ততা দেখি না। এদেরকে সভ্য সমাজ থেকে বের করে দিয়ে জঙ্গলে পাঠিয়ে দিয়ে শুয়োর , শৃগালের সাথে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া উচিত বলে মনে করি।
(ক) নাস্তিকঃ-
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সকল মিডিয়াতে নাস্তিক্যবাদ বা নাস্তিকদের নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
নাস্তিক্যবাদ (ইংরেজি ভাষায়: Atheism; অন্যান্য নাম: নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ) একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। ইংরেজি ‘এইথিজম’(Atheism) শব্দের অর্থ হল নাস্তিকক্য বা নিরীশ্বরবাদ। এইথিজম শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক ‘এথোস’ শব্দটি থেকে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে স্বীকৃতি দেয়। পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পরলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের মত যেসব ধর্মে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না, সেসব ধর্মালম্বীদেরকেও নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা, হিন্দু ধর্মের দর্শন, যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ এবং প্রকৃতিবাদে বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা কোন বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ, যে কোন মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে,নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই, আর তা হল সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করা।
নাস্তিকতাবাদের ভিত্তি হচ্ছে বস্তুবাদ। বর্তমানে এটা বিজ্ঞানের নামে বিবর্তনবাদ তত্ত্বের খোলসে প্রচার করা হয় । এর নৈতিকতার ভিত্তি হচ্ছে ডারউইনবাদ।
অন্যদিকে ডারউইনবাদী নৈতিকতার কোন মাপকাঠি নেই। এটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যা দরকার সেটাই হচ্ছে বিবর্তনবাদীয় নৈতিকতার ভিত্তি। যেমন খুন, ধর্ষণ, সমকামীতা, প্রতারণা, মিথ্যা বলাও এই নৈতিকতার অন্তর্ভূক্ত হতে পারে।
নাস্তিকরা নিজেদের পশু মনে করে থাকে :
ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষকে উন্নত প্রজাতির পশু হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই পশুর স্বভাব-চরিত্রের সাথে মিল রেখে প্রতিনিয়ত রচিত হয় নাস্তিক্যবাদী/ডারইউনবাদী নৈতিকতার গাইড লাইন!
আস্তিক্য নৈতিকতা অনুযায়ী পৃথিবীর সব সমাজেই অবৈধ কর্ম অত্যন্ত নিন্দনীয় ও প্রচণ্ড শাস্তিমূলক অপরাধ। কিন্তু নাস্তিক্য/ডারউইনবাদী নৈতিকতা অনুযায়ী ধর্ষণকে পজিটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়! বায়োলজি প্রফেসর রান্ডি থর্নহীল ও নৃ-বিজ্ঞানী ক্রেইগ পালমার তাদের লিখিত “Natural History of Rape” বই-এ ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদ অনুযায়ী দাবী করেন অবৈধ কর্ম হচ্ছে প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল বা এডাপ্টিভ (Adaptive), কেননা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে কোন প্রজাতিকে টিকে থাকার জন্য অবৈধ কর্ম সহায়ক! পুরুষেরা নাকি অবৈধ কর্মের মাধ্যমে তাদের জীন ছড়িয়ে দেয় যা তার বংশধারা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে!
নাস্তিকরা নিজেদের পশু হিসাবেই মনে করে থাকে।যার কারণে এদের আচার আচরণ হয় পশুর মত ।
তাহলে সহজেই বোঝা গেলো, এসকল নাস্তিকরা মানুষ সমাজের লোক নয়। এরা পশু। সূতরাং এসকল পশুদের মানব সমাজে থাকার কোন উপযুক্ততা দেখি না। এদেরকে সভ্য সমাজ থেকে বের করে দিয়ে জঙ্গলে পাঠিয়ে দিয়ে শুয়োর , শৃগালের সাথে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া উচিত বলে মনে করি।
পশুদের কাছ থেকে কখনো বিবেক সম্পন্ন কথা আশা করা বোকামী। তাই এসকল নাস্তিকরা পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে। পবিত্র জীবন বিধান নিয়ে কটাক্ষ করে।সভ্য জগতের সমাজে কি বনের পশুরা বাস করতে পারে ?অথচ মিডিয়াতে এসকল নাস্তিক নামক বিকৃত রুচির পশুদের নিয়ে দালালী দেখে অবাক হতে হচ্ছে !!!
আজ ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে নাস্তিকদের স্থান দেওয়া হয়। মৃত্যুর পর যেখানে নাস্তিকদের পশুর আস্তানায় নিক্ষেপ করার কথা সেখানে এদের সম্মান দেখান হয় ! নাউযুবিল্লাহ!
(খ) বাংলাদেশে নাস্তিকতাঃ-
২০০৫ সালে সামহোয়ার ইন ব্লগ এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম নাস্তিকতা ব্যাপকাকারে বিস্তার লাভ করে । যার পরবর্তিতে নাগরিক ব্লগ, সচলায়তন , ইষ্টিশন ব্লগ সহ অনেক ইসলামবিদ্বেষি ব্লগ তৈরি হয়।
প্রথম সারীর ১৮ জন ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক এর লিস্ট যারা এই বাংলাদেশে নাস্তিকতার জন্ম দিয়ে পবিত্র দিন ইসলামের বিরোধিতা করে গেছে আজিবন।
১। আহম্মক শরীফ: নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই নাস্তিকের নাম জানে না। তার একটা বিখ্যাত উক্তি- “পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নাউযুবিল্লাহ । স্বঘোষিত নাস্তিক তার ইচ্ছা মেনে মৃত্যূর পর তার জানাজা এবং কবর কোনটাই হয়নি।
২। হনুমান আজাদ: বাংলা সাহিত্যের অশ্লীল ও কুরুচিপুর্ণ লেখার জনক। সারাজীবন ধর্মের প্রতি বিষোদগার করে গেলেও মৃত্যূর পর ধর্ম মেনে ঠিকই তার জানাজা ও কবর দেয়া হয়েছে, সে এটাই চেয়েছিল কারন মুখে নাস্তিকতার বড় বড় বুলি আওড়ালেও মৃত্যূ পরবর্তী জীবন নিয়ে সম্ভবত সে ভীত ছিল।তার মেয়ে মৌলি আজাদের ভাষায়-মাত্রাতিরিক্ত অশ্লীল শব্দ থাকায় ঘৃনাবোধ করত।
৩। আরজ খবিস মাতব্বর: অতি সাধারন অশিক্ষিত এক কৃষক হয়েও সে বাংলার নাস্তিক সমাজের মধ্যমনি। ইসলামী জ্ঞানের স্বল্পতা থাকার দরুন না বুঝেই ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছিল।
৪। কবি শামসু শয়তান: শামসু শয়তান পবিত্র আযান নিয়ে বাঝে মন্তব্য করেছিল। নাউজুবিল্লাহ। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি কি চান আপনার কবর হোক আপনার খালার কবরের পাশে? নাস্তিকটা জবাব দিয়েছিল-আমি তো আমার কবর হোক এটাই চাই না।
৫। তসলিমা মালউন: তাকে চেনে না এমন লোক খুব কমই আছে। তার একটি বিখ্যাত উক্তি-পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে। সে কি মাপের ইসলামবিদ্বেষী সেটা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না।
৬। লইত্যা কাজ্জাবঃ তাকে তো সবাই চেনেন। যে কিছুদিন পুর্বে পবিত্র হজ্ব সম্পর্কে বাঝে মন্তব্য করেছে।
৭। লালন উম্মাদঃ সুবিধাবাদী সেক্যুলার। কোন ধর্ম পালন করতো না। জীবনে যতবার নেশা টেনেছে ততবার ভাত খেয়েছে কিনা সন্দেহ।
৮। জাফর ষাড়ঃ বাংলাদেশের নাস্তিকতা প্রচারের মিশন দিয়ে আমেরিকার একটি বিশেষ সংস্থা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তরুন সমাজকে নাস্তিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও জাফর এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে পেট চালায়।
৯। লেখক আনিসুল বকঃ সেক্যূলারপন্থী লেখক আনিসুল হক নাস্তিকপন্থী পত্রিকা প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক। ১৯৯১ সালে সে কুরআনের একটি সূরাকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি সূরা রচনা করে, বছরখানেক আগে তার ঐ লেখা পুনঃপ্রকাশিত হলে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে।
১০। সুলতানা চক্রবর্তি: জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও বিয়ে করেছে শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে। কপালে সবসময় একটা ট্রেডমার্ক টিপ থাকে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই কুখ্যাত সেক্যুলার।
১১। কবির খবীস: চরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল- তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও ঐ কালেমা শুনাবে না, বরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে
১২। আসিফ ক্রাইষ্ট: বর্তমান সময়ের আরেক কুখ্যাত নাস্তিক। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও চরিত্রহীন ও লম্পট।
১৩। শফিক শয়তান: বাংলাদেশে “ভ্যালেন্টাইন ডে” নামক বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবর্তক। ১৯৯৩ সালে এই নাস্তিক সর্বপ্রথম তার পত্রিকা যায়যায়দিন এর মাধ্যমে এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়।
(গ) ওলামায়ে ছুঃ-
উলামায়ে ‘ছূ’দের নিকৃষ্ট ধারণা সম্পর্কে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘তারা মনে করে যে, তারা কিছু একটা হয়েছে। বড় কিছু একটা সম্পদ অর্জন করেছে, কিন্তু প্রকৃত কথা এই যে, এই ধারণা ও বিশ্বাস সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা শয়তানের প্রভাবে পড়েছে। শয়তান তাদেরকে আল্লাহ পাক-এর যিকির ও কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। ফলে তারা শয়তানের দলভুক্ত হয়েছে। নিশ্চয়ই জেনে রাখ, যারা শয়তানের দলভুক্ত-শয়তানের দোসর, উলামায়ে ‘ছূ’- তাদের জীবন ব্যর্থ, ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ২১৭ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের মধ্য থেকে যে বা যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম থেকে ফিরে যায় অর্থাৎ মুরতাদ হয়ে যায় অতঃপর সে বা তারা কাফির অবস্থায় মারা যাবে। যার ফ্ললে তাদের ইহকালীন ও পরকালীন সব আমলই নষ্ট হয়ে যায় এবং তারা অনন্তকাল ধরে জাহান্নামে থাকবে।”
মূলত ওলামায়ে ছু আর নাস্তিক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ । নাস্তিকেরা সরাসরি ইসলাম উনার বিপক্ষে যায় আর ওলামায়ে ছুরা মুসলমান নাম ধারন করে ইসলাম এর বিপক্ষে যায় । দুদলই জাহান্নামী ।
কুখ্যাত কিছু ওলামায়ে ছুদের হাকিকত জানলে বুঝতে পারবেন এরা নাস্তিক হতেও নিকৃষ্ট ।
a) দেওহিন্দু -
সম্মানিত নবী ও রসূল, আবুল বাশার হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে হিন্দুদের কথিত দেবতা ‘শিব’ এবং উনার সম্মানিত আহলিয়া উম্মুল বাশার হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম উনাকে হিন্দুদের কথিত দেবী ‘পার্বতী’ বলে-হিন্দুদের দালাল উলামায়ে হিন্দের কুলাঙ্গার দেওবন্দী খারিজী ওহাবী মালানা ইলিয়াছ ও তার সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদ হয়ে গেছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে দেওবন্দীরা ইতিহাসের আরেক জঘন্য কুফরীমূলক বক্তব্য দিয়েছে, যা কোনো মুসলমানের আক্বীদা হতে পারে না। দেওবন্দের মুফতে ইলিয়াস বলেছে যে, হিন্দুদের দেবতা শিব মুসলমানদের প্রথম নবী। (নাউযুবিল্লাহ)। সে আরো বলেছে যে, দেবতা শিব ও দেবী পার্বতী সকলের আদি পিতা-মাতা। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
প্রকৃত সত্য হলো- দেওবন্দীরা যেহেতু জাতে হিন্দু তাই তাদের মধ্যে হিন্দুপ্রীতিও এত গভীর। আর এই গভীর হিন্দুপ্রীতির কারণেই শুধু এবারেই প্রথম নয় বরং এর আগেও আরো বহু বার তারা হিন্দুদের ব্যাপারে মিথ্যা ছাফাই গেয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! যেমন-
১. দেওবন্দ মাদরাসার ১৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৩০তম মাহফিলে ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’-এর মালানাদের আমন্ত্রণে হিন্দুদের প্রধান ইয়োগা গুরু রামদেব উপস্থিত হয়ে মাহফিলে গীতা পাঠ করে শোনায়। আর রামদেবের সাথে সাথে দেওবন্দী মালানারা ও ছাত্ররা গীতা পাঠ করে এবং যোগ ব্যায়াম করে।
২. দেওবন্দীরা ২০১১ সালে ফতওয়া দিয়েছিল যে, দেওবন্দী ও হিন্দুরা ভাই ভাই। নাউযুবিল্লাহ!
৩. দেওবন্দীরা আরো ফতওয়া দিয়েছিল যে, হিন্দুদের কাফির বলা যাবে না। নাউযুবিল্লাহ!
৪. ২০০৫ সালের ২৯মে দেওবন্দী মালানা আসাদ মাদানী জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ২৮তম বার্ষিক সভায় সোনিয়া গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানায় ও একসাথে মিটিং করে। নাউযুবিল্লাহ!
৫. প্রতি বছর দেওবন্দ মাদরাসা থেকে মুসলমান উনাদেরকে গরু কুরবানী করতে নিষেধ করা হয়। যেমন- গত ২০১১ সালে তারা ফতওয়া দিয়েছে, মুসলমানদের গরু কুরবানী দেয়া উচিত নয়; কারণ গরু হিন্দুদের দেবতা। নাউযুবিল্লাহ!
৬. ভারতে মুসলমানরা এত নির্যাতিত হওয়ার পরও তারা বলছে ভারতে মুসলমানদের জিহাদ করার কোনো দরকার নেই। তারা ভারতকে দারুল আমান বলে ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে জিহাদের কোন প্রয়োজন নেই।
b) কওমি -হেক্বারতে ইসলাম- যাদের আক্বিদা দেওহিন্দুদের আক্বিদা। এরা মুখে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে বলে থাকে কিন্তু হাক্বিকত ভিন্ন। । লালা বাবা তেতুল পুজারী আহাম্মক শফি একসময় গর্তে লুকানো ইদুরের মত হুংকার দিয়ে বলেছিল " নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আমরন লরাই চলবে " দিন গেল, মাস পার হয়ে বছর চলে যায় কিন্তু নাস্তিকদের বিরুদ্ধে তেতুল শফির বচন আর শুনা যায়না।
কাট্রা নাস্তিক অভিজিৎ জাহান্নামে গেল ,সরকার নিরাপরাধ মুসলমানদের হয়রানী করছে কিন্তু তেতুল শফী এখন আর কিছু বলেনা। কিন্তু লালা শফির কোন মিউ মিউ শুনা যায়না।কারন সরকার লালা বাবার মুখে ঝোয়াল (গরুর মুখ বন্ধনি) পরিয়ে দিয়েছে জনগনের ৩২ কোটি টাকা মুল্যের রেলের সম্পত্তি দিয়ে। যার কারনেই লালা বাবার মুখে বের হয় "সরকার, আ.লীগ, ছাত্রলীগ সবাই আমাদের বন্ধু" …
এই হেক্বারতে ইসলাম উলটা অভিজিৎ হত্যার নিন্দা করছে ও বিচারের দাবী করছে !! এরাই হল প্রকৃত ধর্ম ব্যবসায়ী যারা দুনিয়ার বিনিময়ে দ্বীন বিক্রি করে , পরকালে যাদের স্থান জাহান্নামের অতল গহবরে।
c) জামায়াতঃ- ”ধর্ম ব্যবসায়ো জামায়াত নাকি আল্লাহর আইন চালু করবে । এই সি আই এ এর এজেন্ট নাস্তিকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে উলটা নাস্তিক অভিজিৎ হত্যায় এরা নিন্দা ও হত্যার বিচার দাবি করে।নাউযুবিল্লাহ । এরা কি জানেনা ইসলামে নাস্তিক হত্যাকারির বিচার হয়না ?
d) গাট্রি তাবলীগ জামায়াত - ল্যাংড়া ইলিয়াসের স্বপ্নে পাওয়া এই গাট্রি ছয় উছুলী তাবলীগ হল পৃথিবী সেরা কাপুরুষের কাফেলা । দেশ ধ্বংস হয়ে যাক, নাস্তিকে দেশ ভরে যাক, দেশ থেকে ইসলাম নিশ্চিনহ হয়ে যাক তাতে এদের কিছু যায় আসেনা। গাট্রি কাধে নিয়ে ফায়দার কথা বলে কিন্তু ঈমান যে এদের নাই তা ফিকির করেনা। এই ছয় উছুলী তাবলীগ বিশ্ব ইস্তেঞ্জায় চার্লি এবদো পত্রিকায় কার্টূন ছাপানোয় কাফিরদের পক্ষাবলম্বন করে বিবৃতি দিয়েছিল ।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পৃথিবীর পূর্বপ্রান্তে যদি একটা বদ কাজ হয় পশ্চিমপ্রান্ত থেকে কেউ তা সমর্থন করে তবে সেও সমান গুনাহে গুনাহগার হবে।
৪. কাফির মুশরিক
কাফিরেরা এবং তাদের অনুসারিরা সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী । উভয়ের পরিণামও সবচেয়ে ভয়াবহ ।মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্ট জীবের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে কাফিরেরা- এ কথা মুসলমান মাত্রই সকলকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। এ কথা যে মুসলমান বিশ্বাস করবে না, সে মুসলমান থাকতে পারবে না। কেননা এ কথা মুবারক স্বয়ং খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার। আর মুসলমানকে মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম বা উনার নাযিলকৃত কিতাবসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেই মুসলমান হতে হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কাফিরেরাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
কাফিরদের পরিণতি সম্পর্কে স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই যারা কাফির এবং কুফরী অবস্থায় মারা গেছে, তারা যদি তাদের কুফরীর কাফফারা বাবদ যমীন পরিপূর্ণ স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেয় (শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য) তবুও তা গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি এবং তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারীও থাকবে না। অর্থাৎ কাফিরদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি এত অসন্তুষ্ট যে, এরা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে কোনো রকম সাহায্য তো পাবেই না; বরং মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত এবং উনার কঠিন আযাবে-গযবে অনন্তকালের জন্য গ্রেফতার থাকবে।
আমেরিকা ইউরোপ ইহুদী সংঘ প্রতিবাদ জানায় । মানধিকারের কথা বলে । যে সন্ত্রাসী আমেরিকা নিজের দেশে প্রমানিত হত্যাকান্ডের তদন্ত করে বিচার করতে পারেনা সে আমেরিকা - কোন সাহসে বাংলাদেশে নাস্তিক হত্যার তদন্তে সাহায্য করতে চায় ?
আজ আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে হত্যাকান্ড হয়েছে । কারন এর পুর্বে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় আমেরিকা বিচার করেননি । আবার এই আমেরিকাই ৩ মুসলিম শিক্ষার্থীকে গুলি করে শহীদ করার প্রতিবাদ করেনি ।বলেনি এর তদন্ত করে বিচার করবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে আমেরিকা নিজেই নিজের দেশে আইন এর সঠিক প্রয়োগ করছেনা।তাহলে কি করে সে বাংলাদেশে আসার কথা বলে ?আবার এসকল হত্যাকান্ডে না ইহুদি সংঘ না ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কোন প্রতিবাদ জানিয়েছে ।
আমেরিকায় ডাঃ আফিয়া সিদ্দিকি , কৃশাঙ্গ হত্যা , ৩ মুসলিম হত্যা , গুয়ানাতানামো , আবু গারিব কারাগার , মুসলিম নির্যাতন এর সময় এরা কোথায় ছিল? এরাই তো নাস্তিক ইসলামবিদ্বেষিদের শেল্টার দেয় ।
অথচ এরাই এক নাস্তিকের জাহান্নামে যাওয়ায় ঘেউ ঘেউ শুরু করেছে ।ওহে শুয়োর আমেরিকা ,গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল বনার দিন শেষ । এখন তদের উপর একশন ,ডাইরেক্ট একশন শুরুর সময়।
নাস্তিক , ওলামায়ে ছু আর কাফির একই সূত্রে গাঁথা।
৪. সরকারের করনীয় - সরকার কাট্রা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক অভিজিৎ হত্যার কারণে এক ব্লগারকে আটক করেছে ।অভিজিৎ রায় হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মাহাতুল মুমীনিন আলাইহিন্নাস সালাম ও দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে যে বাঝে মন্তব্য করত তা একজন মুসলমানের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন।নিজের মায়ের বিরুদ্ধে যদি কেউ কটূ কথা কিম্বা বাঝে মন্তব্য করে তখন কোন সন্তানই তা সহ্য করতে পারেনা । উক্ত সন্তান তীব্র প্রতিবাদ করে ,এমনকি খুনাখুনিও হয় । তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মুমীনিন আলাইহিন্নাস সালাম হলেন সকল উম্মতের মাতা , উনাদের নিয়ে বাঝে মন্তব্য করলে কোন মুসলমান কি সইতে পারবে ?আজ অনলাইনে, মিডিয়ায় লাগাতার ইসলাম এর বিপক্ষে লিখা লিখেই যাচ্ছে কিন্তু সরকার কি তার ব্যবস্থা নিয়েছে ?যারা অন্যায় করে লিখল তাদের গ্রেপ্তার না করে সরকার কি করে তাদের অন্যায় এর প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করল ?
তাহলে কি মুসলমান অন্যায় এর প্রতিবাদ করতে পারবেনা?মুসলমান কি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেনা?সরকার কি পারবে ১৮ কোটি জনগণের মুখ বন্ধ রাখতে?
সরকার জনগনকে কি বার্তা জানাল?
জনগন কি মনে করবে? জনগন মনে করবে সরকার নাস্তিকদের পক্ষে আর ইসলামের বিপক্ষে ,যার বদনাম অলরেডী সরকার বহন করছে। আর সরকারকে উচ্ছেদ করতে ষড়যন্ত্রকারীরা ইহাই চায় যেন আরও একটি ৫ মে এর উত্থান হয়,যাতে সরকারের ভিত নড়ে ওঠে ।
সরকারের নাস্তিকদের বিচার না করে যদি এভাবে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দেয় তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সহজেই জনগণকে উষ্কে দিয়ে গনআন্দোলনের পটভুমি তৈরি করে দিবে। আর এ ব্যাপারে দেশি-বিদেশি উভয়পক্ষই কাজ করছে। অবাক হল যে বিদেশী ষরযন্ত্রকারী আমেরিকা সরকারকে উৎখাত করতে চায় সে আমেরিকাকে একটা জাহান্নামের কীট এর মৃত্যু তদন্তে ঢেকে আনছে!!!
-সকল নাস্তিকদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।
-ইসলামের খিলাপ কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে ।
-কাফির ,ফকির আমেরিকাকে ঝেটে বিদায় করে দিতে হবে।
অন্যথায় সরকারকে কঠিন কাফফারা আদায় করতে হবে ।
ওর মাথা ফুলে গিয়েছিল। প্রায় দ্বিগুণ!! ঢাকায় ডাক্তার দেখানো হয়, কিছু ধরা পরে না ,ভারতেও বোধ হয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল- নিষ্কাম প্রচেষ্টা। পরে এক কবিরাজকে দেখানো হয়, তিনি নাকি দেখেই সব কিছু বলে দেন। সন্তান হবার সময় আমার বোনের বাসায় যে সমস্যা ছিল, তাও তিনি বলে দেন। সবাই অবাক। এরপর ওই কবিরাজ বাড়িতে এসে মাটি খুঁড়ে তাবিজ বের করেন। একটা ঔষধ দেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে সব ঠিক হয়ে যায় আস্তে আস্তে। কবিরাজ কোন টাকা পয়সা নেয়নি। জিনিসটা আমার নিজ চোখে দেখা, আমার পরিবারের কাহিনী। তাই অস্বীকার করার ওয়ে নাই।
প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমাকেও ছোটবেলায় “জীন ধরেছিল”। মহাস্থানগড়ের ওই জীন নাকি তার ছোট বোনের “খেলার সাথী” হিসেবে আমাকে চুজ করেছিল! এরকম ঘটনা অনেক শোনা যায়। ব্যাপারটা আউলফাউল, বুজরুকি দিয়েই আমি উড়িয়ে দিতাম। (তবে ভাবতে ভাল লাগত, ছোটবেলায় আমি না জানি কত্ত সুন্দর ছিলাম... মানুষ তো মানুষ, জীন ও...... :P)
কিন্তু এবার আর ওড়াতে পারলাম না...
পৃথিবীতে অনেক সময়েই শোনা যায় অতিপ্রাকৃত ঘটনার কথা। জীন ভুত , “মুজিজা” এসব তো আছেই, সাথে আছে বৌদ্ধ ও হিন্দু সন্ন্যাসীদের নিজেদের শরীরের ওপর অসাধারণ কন্ট্রোলের কাহিনী, মার্শাল আর্ট পারদর্শীদের “স্পিরিট বম্ব” এর কথা, ব্ল্যাক আর্টের কথা। আগে সব উড়িয়ে দিতাম। এবার এগুলোর সত্য মিথ্যা নিয়ে আমি একটু স্টাডি করি। বুঝতে পারি, সব যদি সত্য নাও হয়, কিছু সত্য। আমি ধাঁধাঁয় পড়ে যাই। নতুন থিউরী খুঁজি।
প্রাথমিকভাবে আমি সব পর্যালোচনা করে নিচের থিউরী বের করি –
“হজরত মুহাম্মদ, গৌতম বুদ্ধ, ব্ল্যাক আর্টিস্ট- এদের হয়ত মুজিজা ছিল। তারা অনেক কিছু পারত, যা অন্য কেউ পারত না। অলৌকিক কিছু। সত্য – মিথ্যা যাই হোক, ব্লাফ হোক আর পবিত্র হোক, ধরে নেই এর কিছু অন্তত সত্যি। অন্তত ব্ল্যাক আর্ট সত্য। বৌদ্ধ সন্যাসীদের ক্ষমতা সত্য। তাহলে এরা এই ক্ষমতা কই পেল?? কে দিল?? সাধারনভাবে এর উত্তর হবে- “ঈশ্বর।”। আমারও প্রথমে তাই মনে হয়। ধর্ম টর্ম কিছু না। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি দেন। সেটা যেই হোক। কিন্তু আরেকবার রিভাইজ দিতে গিয়ে আমি এর খুত পেলাম-
হজরত মুহাম্মদ ছিলেন আস্তিক, গৌতম নাস্তিক আর ব্ল্যাক আর্টিস্টরা স্রষ্টা বিরোধী, রাস্পুটিন ছিল চরিত্রহীন। কিন্তু সবার “অলৌকিক ক্ষমতা ছিল”। তারমানে এই ক্ষমতা অর্জন সৃষ্টিকর্তার কাছে চাওয়া, তার ওপর বিশ্বাসের ওপর ডিপেন্ড করে না, সাধু হবার ওপরও না। অন্য কোন ব্যাপার আছে। সেটা কি?? সেটা হল স্টাইল... পদ্ধতি।
মুহাম্মদ হেরার গুহায় ধ্যান করেছিলেন, গৌতম গাছের নিচে। বুদ্ধিস্টরা মেডিটেশন করে। ব্ল্যাক আর্টিস্টরাও ধ্যান, “জিকির” টাইপ কি সব করে (যতদুর জানি...) অর্থাৎ ব্যাপারটা সিমিলার। তাহলে কি দাঁড়ালো?? এই লোকগুলা একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে, নির্দিষ্ট কারণে নির্দিষ্ট প্যাটার্নে ধ্যান, তথা চিন্তা করেছিল। এর ফলে তারা প্রকৃতির কিছু নতুন নিয়ম (যা আর কেউ জানে না) উপলব্ধি করে। পুরোটা চিন্তা দ্বারা উদ্ভাবিত। তারা নিজেরাও তেমন একটা ব্যাখ্যা জানত না জিনিসটার। কিন্তু করতে পারত। ... আচ্ছা, কি জানি মিল মিল লাগছে না???...
মনে আছে রামানুজনের কথা?? ভারতের অশিক্ষিত “গণিতবিদের গনিতবিদ”। তিনিও তো গনিত সল্ভ করতে পারতেন, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারতেন না। গনিতের বিশাল বিশাল সমস্যা তিনি সমাধান করতেন ভাসা ভাসা ভাবে। তিনি বলতেন- তার কাছে রাতে স্বপ্নে দেবী আসত – বলে দিত গনিতের সমস্যার সমাধান। তিনি মাঝ রাতে উঠে অংক করতেন।
মানুষ স্বপ্নে কি দেখে?? তিনি যা তার অবচেতন মনে ভাবেন, তাই দেখেন। রামানুজন তার এই চিন্তার ফলাফল পেয়েছিলেন দেবীর মুখ থেকে। কারণ তিনি ছিলেন অসম্ভব গোঁড়া ধার্মিক। ঠিক যেমনটা মুহাম্মদ পেয়েছিলেন আলোর তৈরি “ফেরেস্তা”র কাছ থেকে। স্বপ্ন হোক, কল্পনা হোক, হেলুসিনেশন হোক- একই ব্যাপার ... সবার ক্ষেত্রে একই জিনিস খাটছে ... হঠাৎ আইনস্টাইনের কথা মনে পড়ল। আপেক্ষিক তত্ত্ব কিভাবে আবিষ্কার করলেন – তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন যে তিনি ভাবতেন তিনি আলোর কনার ওপর বসে ঘুরে বেরাচ্ছেন। তখন দেখলেন জগত কত আলাদা। এভাবেই জাস্ট একটা ভাবনা থেকেই আসলে এসেছে সবকিছু – বিজ্ঞান, গনিত, ধর্ম ,সমাজ কিছুই এর বাইরে না। নবী ভেবেছিলেন তার সমাজের কথা, উত্তর পেয়েছিলেন। তখনকার সমাজের জন্য এটা ছিল দরকারী। আবার বিজ্ঞানী ভাবেন বিজ্ঞানের সমস্যার কথা- উত্তর পান... আর অলৌকিক কাজ?? ১০০ বছর আগে ব্যাঙ্গের পাখা গজানো কি ছিল?? অলৌকিক, তাই না?? এখন?? জিনেটিক ইঞ্জিনিয়াররা চাইলেই তা করতে পারবেন। একটা নির্দিষ্ট যুগের মানুষের ধারনা ও জ্ঞানের বাইরে যা ঘটে, তাই আমরা “অলৌকিক”, “জাদু” বলি। এগুলোও কিছু নতুন নিয়ম, আর কিছু না...কিছু অজানা সুত্র। ওই সুত্রই তারা পারফর্ম করেন।
আবার এই “ধ্যানে” কিছুর ব্যাখ্যা তারা বের করেন, কিছু পারেন না। বিজ্ঞানে তাকে বলি প্রস্তাবনা, আর ধর্মে সেটাকে “মনে রেখ আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক” বলে ব্যাক্ষার উরধে রাখা হয়। ”
আমার এই তত্ত বের করার পর আমি আমি প্রচণ্ড আনন্দিত হই। এটা ছিল আমার কাছে সবকিছুর একযোগীকরণ। স্ট্রিং থিউরীর মতো। কিন্তু সমস্যা থেকে যায়। অনেকে শারীরিকভাবে লিমিটের বাইরে চলে যান। যেমন পানির নিচে অনেকক্ষণ থাকা, ব্যাথা সহ্য করা- এটা কিভাবে হয়?? উত্তর পেলাম কদিন পরই – মেডিটেশন নিয়ে পড়ার সময়।
মেডিটেশন করে আমাদের শরীরের “লিমিট” অনেকদুর বাড়ানো যায়। অনৈচ্ছিক অংশের ওপর নিজের কন্ট্রোল আনা যায়। যেমন হৃদকম্পন মিনিটে ২ বার পর্যন্ত করা যায়, তখন নিশ্বাস না নিয়ে অনেকক্ষণ থাকা যায় ... আর এ সবই সাইন্টিফিক। বৌদ্ধ সন্যাসী রা তো আছেনই, ক্রিস অ্যাঞ্জেলস ও এই মেডিটেশন করে। আমি টিভি তে দেখেছি।
বাকি থাকল “স্পিরিট বম্ব”, টেলিপ্যাথি। আমি ন্যাট জিও তে দেখেছি - এগুলো আসলেই আছে। স্পিরিট বম্ব দিয়ে দূর থেকে টাচ না করেই মানুষকে আঘাত করা, ইভেন দেয়ালের ওপাশ থেকে অজ্ঞানও করে দেয়া সম্ভব। এসব সাইকিক সমস্যার ব্যাখ্যা আমি পেয়েছি অনেক পর। “কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্ট” সম্পর্কে জানার পর। দুটি কোয়ান্টাম কণার উৎস একই হলে, এদেরকে যদি মহাবিশ্বের ২ মাথায়ও নিয়ে যাওয়া হয়, একটার পরিবর্তনে আরেকটাও একা একা পরিবর্তিত হবে ...অর্থাৎ আমি একটা জিনিস চিন্তা করার সময় ব্রেন থকে যে ওয়েভ (তথা কণা) তৈরি হয়, তা অন্য কিছুকে বদলে দিতেই পারে ... “কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্ট” সম্পর্কে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না, তাই ব্যাখ্যা করতে পারব না। এটা আদৌ সম্ভব কিনা- আমি তা জানি না। “অলৌকিক” কিছুতে বিশ্বাস করার চেয়ে অন্তত বিজ্ঞানের সম্ভাবনায় আস্থা রাখা ভাল... তাই না??
এরপর আমার ধর্মীয় চিন্তা আর তেমন চেঞ্জ হয় নাই। ডক্টর সি জে ভেন্টর এর কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি এ চেতনাকে দিয়েছে আরও শক্তি। মাঝখানে দুনিয়ায় খারাপ জিনিস এত বেশি দেখে আমি “ম্যালথিস্ট” হয়েছিলাম। গড আছে, কিন্তু সে ভাল না... আসলেই কিন্তু, আমরা ভাবি সব ভাল জিনিস গডের গুন, আর খারাপ গুলা সে “আমাদেরকে পরীক্ষা করতে দিসে”... উল্টাটা কি হতে পারে না??
যাই হোক, এই চিন্তা বেশিদিন থাকে নাই ...
আমরা এখনও শিওর না যে ঈশ্বর নাই। আমি তার কোন প্রমান পাই নাই। আমার বিশ্বাস আগামীদিনের পদার্থবিজ্ঞান তা বের করবে। তবে অনেকে মনে করেন এটা কখনও প্রমাণ করা যাবে না। হ্যাঁ, যদি মহাবিশ্ব ১টা বিচ্ছিন্ন সিস্টেম হয়। অর্থাৎ ঈশ্বর বাইরে থেকে এতে ভর, শক্তি কিছুই না দেন, তাহলে দুনিয়ার সব কিছু সুত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করার পর ও শিওর হওয়া যাবে না তার অনস্তিত্তে ।তবে তখন প্রশ্ন জাগে তাকে বিশ্বাসে প্রয়োজনীয়তায়। এই বিষয়ে গবেষণা বাইরে এখন হচ্ছে। স্টিফেন হকিন্স সম্প্রতি প্রমান করেছেন যে মহাবিশ্ব তৈরি হতে ঈশ্বর লাগে না। প্রমাণটা অতি সুন্দর। আমরা জানি ব্ল্যাক হোলের আশপাশে সময় ধীর হয়ে যায়। হোলের ওপর বা ভিতরে সময়ের পরিবর্তন থেমে যায়। অর্থাৎ তা আক্ষরিক অর্থেই “নাই” হয়ে যায়।
আমাদের এই বিশাল মহাবিশ্ব একসময় একটা কনায় পুঞ্জিভুত ছিল। (বিগ ব্যাং) এটার আয়তন ছিল ক্ষুদ্র। ভর ছিল অসীম। অর্থাৎ এটাও ছিল একটা ব্ল্যাক হোল। বিস্ফরিত হবার আগে এটা ব্ল্যাক হোল-ই ছিল। অর্থাৎ সময় বলে কিছু ছিল না। তার মানে কার্যকারণ সম্পর্ক (CASUALITY) ছিল না। এই বিস্ফরনের “আগে” কিছু হয় নাই। “কারও জন্য” বা “কোন কারণে” এই বিস্ফোরন ঘটে নাই। অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে কারও কোন হাত নাই ... অর্থাৎ গড নাই ...
তবে এখানে আমার কিছু প্রস্ন আছে। বলা হয়েছে এই সুপারএটম এসেছে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন দিয়ে। আমি জতদুর জানি, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন হয় ভার্চুয়াল কনার। আর তাছাড়া কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন হয় একটা নির্দিষ্ট জায়গা, তথা স্পেসে। অর্থাৎ, আমাদের মহাবিশ্ব আরেকটার ভেতরে আছে?? আমি জানি না... পরাশুনা করা দরকার...:) আবার পুরো জিনিসটাই সময়ের ওপর নির্ভরশীল। নিচে ছবি হিসেবে সমীকরণটা দেয়া আছে ...
যেখানে সময়ই (t)নাই, সেখানে কিভাবে ফ্লাকচুয়েশন হবে?? কেউ যদি জানেন, আমাকে জানাবেন। আমি জানি না।
তবে আমি যা জানি, তা হল- আমি সব কিছুই আমার যুক্তিবোধ, জ্ঞান এর নিরিখে ব্যাখ্যা করব। এর বাইরে হুদাই কাউকে আনব না। কারণ যদি টানি, তাহলে তার সৃষ্টি, সে কিছু স্রিষ্টি করার আগে তার অবস্থান নিয়ে ক্যাচাল লাগবে। তাহলে তো একই হইল। দরকার কি?? উনি থাকলে কি আর না থাকলেই বা কি?? আমাদের জীবনে তো তার কোন প্রভাব নাই... আর উনি থাকলে তো অনেক বড় কিছু উনি – আমার মানা না মানায় তার কি এসে যায়?? আমি আমার মতই থাকি...??
তবে আমরা যদি ঈশ্বরে বিশ্বাসী হই, তাহলে ভাবতে হবে তিনি একা একা তৈরি হয়েছেন- কেউ বানায় নাই তাকে।
একা একা একটা ক্ষুদ্র কণা সৃষ্টি হওয়া আর একটা জটিল সত্ত্বা (বস্তুত সবচেয়ে জটিল) ঈশ্বর তৈরি হওয়া - কোনটা বেশী গ্রহণযোগ্য??
আমার কাছে প্রথমটা...
ওর মাথা ফুলে গিয়েছিল। প্রায় দ্বিগুণ!! ঢাকায় ডাক্তার দেখানো হয়, কিছু ধরা পরে না ,ভারতেও বোধ হয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল- নিষ্কাম প্রচেষ্টা। পরে এক কবিরাজকে দেখানো হয়, তিনি নাকি দেখেই সব কিছু বলে দেন। সন্তান হবার সময় আমার বোনের বাসায় যে সমস্যা ছিল, তাও তিনি বলে দেন। সবাই অবাক। এরপর ওই কবিরাজ বাড়িতে এসে মাটি খুঁড়ে তাবিজ বের করেন। একটা ঔষধ দেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে সব ঠিক হয়ে যায় আস্তে আস্তে। কবিরাজ কোন টাকা পয়সা নেয়নি। জিনিসটা আমার নিজ চোখে দেখা, আমার পরিবারের কাহিনী। তাই অস্বীকার করার ওয়ে নাই।
প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমাকেও ছোটবেলায় “জীন ধরেছিল”। মহাস্থানগড়ের ওই জীন নাকি তার ছোট বোনের “খেলার সাথী” হিসেবে আমাকে চুজ করেছিল! এরকম ঘটনা অনেক শোনা যায়। ব্যাপারটা আউলফাউল, বুজরুকি দিয়েই আমি উড়িয়ে দিতাম। (তবে ভাবতে ভাল লাগত, ছোটবেলায় আমি না জানি কত্ত সুন্দর ছিলাম... মানুষ তো মানুষ, জীন ও...... :P)
কিন্তু এবার আর ওড়াতে পারলাম না...
পৃথিবীতে অনেক সময়েই শোনা যায় অতিপ্রাকৃত ঘটনার কথা। জীন ভুত , “মুজিজা” এসব তো আছেই, সাথে আছে বৌদ্ধ ও হিন্দু সন্ন্যাসীদের নিজেদের শরীরের ওপর অসাধারণ কন্ট্রোলের কাহিনী, মার্শাল আর্ট পারদর্শীদের “স্পিরিট বম্ব” এর কথা, ব্ল্যাক আর্টের কথা। আগে সব উড়িয়ে দিতাম। এবার এগুলোর সত্য মিথ্যা নিয়ে আমি একটু স্টাডি করি। বুঝতে পারি, সব যদি সত্য নাও হয়, কিছু সত্য। আমি ধাঁধাঁয় পড়ে যাই। নতুন থিউরী খুঁজি।
প্রাথমিকভাবে আমি সব পর্যালোচনা করে নিচের থিউরী বের করি –
“হজরত মুহাম্মদ, গৌতম বুদ্ধ, ব্ল্যাক আর্টিস্ট- এদের হয়ত মুজিজা ছিল। তারা অনেক কিছু পারত, যা অন্য কেউ পারত না। অলৌকিক কিছু। সত্য – মিথ্যা যাই হোক, ব্লাফ হোক আর পবিত্র হোক, ধরে নেই এর কিছু অন্তত সত্যি। অন্তত ব্ল্যাক আর্ট সত্য। বৌদ্ধ সন্যাসীদের ক্ষমতা সত্য। তাহলে এরা এই ক্ষমতা কই পেল?? কে দিল?? সাধারনভাবে এর উত্তর হবে- “ঈশ্বর।”। আমারও প্রথমে তাই মনে হয়। ধর্ম টর্ম কিছু না। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি দেন। সেটা যেই হোক। কিন্তু আরেকবার রিভাইজ দিতে গিয়ে আমি এর খুত পেলাম-
হজরত মুহাম্মদ ছিলেন আস্তিক, গৌতম নাস্তিক আর ব্ল্যাক আর্টিস্টরা স্রষ্টা বিরোধী, রাস্পুটিন ছিল চরিত্রহীন। কিন্তু সবার “অলৌকিক ক্ষমতা ছিল”। তারমানে এই ক্ষমতা অর্জন সৃষ্টিকর্তার কাছে চাওয়া, তার ওপর বিশ্বাসের ওপর ডিপেন্ড করে না, সাধু হবার ওপরও না। অন্য কোন ব্যাপার আছে। সেটা কি?? সেটা হল স্টাইল... পদ্ধতি।
মুহাম্মদ হেরার গুহায় ধ্যান করেছিলেন, গৌতম গাছের নিচে। বুদ্ধিস্টরা মেডিটেশন করে। ব্ল্যাক আর্টিস্টরাও ধ্যান, “জিকির” টাইপ কি সব করে (যতদুর জানি...) অর্থাৎ ব্যাপারটা সিমিলার। তাহলে কি দাঁড়ালো?? এই লোকগুলা একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে, নির্দিষ্ট কারণে নির্দিষ্ট প্যাটার্নে ধ্যান, তথা চিন্তা করেছিল। এর ফলে তারা প্রকৃতির কিছু নতুন নিয়ম (যা আর কেউ জানে না) উপলব্ধি করে। পুরোটা চিন্তা দ্বারা উদ্ভাবিত। তারা নিজেরাও তেমন একটা ব্যাখ্যা জানত না জিনিসটার। কিন্তু করতে পারত। ... আচ্ছা, কি জানি মিল মিল লাগছে না???...
মনে আছে রামানুজনের কথা?? ভারতের অশিক্ষিত “গণিতবিদের গনিতবিদ”। তিনিও তো গনিত সল্ভ করতে পারতেন, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারতেন না। গনিতের বিশাল বিশাল সমস্যা তিনি সমাধান করতেন ভাসা ভাসা ভাবে। তিনি বলতেন- তার কাছে রাতে স্বপ্নে দেবী আসত – বলে দিত গনিতের সমস্যার সমাধান। তিনি মাঝ রাতে উঠে অংক করতেন।
মানুষ স্বপ্নে কি দেখে?? তিনি যা তার অবচেতন মনে ভাবেন, তাই দেখেন। রামানুজন তার এই চিন্তার ফলাফল পেয়েছিলেন দেবীর মুখ থেকে। কারণ তিনি ছিলেন অসম্ভব গোঁড়া ধার্মিক। ঠিক যেমনটা মুহাম্মদ পেয়েছিলেন আলোর তৈরি “ফেরেস্তা”র কাছ থেকে। স্বপ্ন হোক, কল্পনা হোক, হেলুসিনেশন হোক- একই ব্যাপার ... সবার ক্ষেত্রে একই জিনিস খাটছে ... হঠাৎ আইনস্টাইনের কথা মনে পড়ল। আপেক্ষিক তত্ত্ব কিভাবে আবিষ্কার করলেন – তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন যে তিনি ভাবতেন তিনি আলোর কনার ওপর বসে ঘুরে বেরাচ্ছেন। তখন দেখলেন জগত কত আলাদা। এভাবেই জাস্ট একটা ভাবনা থেকেই আসলে এসেছে সবকিছু – বিজ্ঞান, গনিত, ধর্ম ,সমাজ কিছুই এর বাইরে না। নবী ভেবেছিলেন তার সমাজের কথা, উত্তর পেয়েছিলেন। তখনকার সমাজের জন্য এটা ছিল দরকারী। আবার বিজ্ঞানী ভাবেন বিজ্ঞানের সমস্যার কথা- উত্তর পান... আর অলৌকিক কাজ?? ১০০ বছর আগে ব্যাঙ্গের পাখা গজানো কি ছিল?? অলৌকিক, তাই না?? এখন?? জিনেটিক ইঞ্জিনিয়াররা চাইলেই তা করতে পারবেন। একটা নির্দিষ্ট যুগের মানুষের ধারনা ও জ্ঞানের বাইরে যা ঘটে, তাই আমরা “অলৌকিক”, “জাদু” বলি। এগুলোও কিছু নতুন নিয়ম, আর কিছু না...কিছু অজানা সুত্র। ওই সুত্রই তারা পারফর্ম করেন।
আবার এই “ধ্যানে” কিছুর ব্যাখ্যা তারা বের করেন, কিছু পারেন না। বিজ্ঞানে তাকে বলি প্রস্তাবনা, আর ধর্মে সেটাকে “মনে রেখ আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক” বলে ব্যাক্ষার উরধে রাখা হয়। ”
আমার এই তত্ত বের করার পর আমি আমি প্রচণ্ড আনন্দিত হই। এটা ছিল আমার কাছে সবকিছুর একযোগীকরণ। স্ট্রিং থিউরীর মতো। কিন্তু সমস্যা থেকে যায়। অনেকে শারীরিকভাবে লিমিটের বাইরে চলে যান। যেমন পানির নিচে অনেকক্ষণ থাকা, ব্যাথা সহ্য করা- এটা কিভাবে হয়?? উত্তর পেলাম কদিন পরই – মেডিটেশন নিয়ে পড়ার সময়।
মেডিটেশন করে আমাদের শরীরের “লিমিট” অনেকদুর বাড়ানো যায়। অনৈচ্ছিক অংশের ওপর নিজের কন্ট্রোল আনা যায়। যেমন হৃদকম্পন মিনিটে ২ বার পর্যন্ত করা যায়, তখন নিশ্বাস না নিয়ে অনেকক্ষণ থাকা যায় ... আর এ সবই সাইন্টিফিক। বৌদ্ধ সন্যাসী রা তো আছেনই, ক্রিস অ্যাঞ্জেলস ও এই মেডিটেশন করে। আমি টিভি তে দেখেছি।
বাকি থাকল “স্পিরিট বম্ব”, টেলিপ্যাথি। আমি ন্যাট জিও তে দেখেছি - এগুলো আসলেই আছে। স্পিরিট বম্ব দিয়ে দূর থেকে টাচ না করেই মানুষকে আঘাত করা, ইভেন দেয়ালের ওপাশ থেকে অজ্ঞানও করে দেয়া সম্ভব। এসব সাইকিক সমস্যার ব্যাখ্যা আমি পেয়েছি অনেক পর। “কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্ট” সম্পর্কে জানার পর। দুটি কোয়ান্টাম কণার উৎস একই হলে, এদেরকে যদি মহাবিশ্বের ২ মাথায়ও নিয়ে যাওয়া হয়, একটার পরিবর্তনে আরেকটাও একা একা পরিবর্তিত হবে ...অর্থাৎ আমি একটা জিনিস চিন্তা করার সময় ব্রেন থকে যে ওয়েভ (তথা কণা) তৈরি হয়, তা অন্য কিছুকে বদলে দিতেই পারে ... “কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্ট” সম্পর্কে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না, তাই ব্যাখ্যা করতে পারব না। এটা আদৌ সম্ভব কিনা- আমি তা জানি না। “অলৌকিক” কিছুতে বিশ্বাস করার চেয়ে অন্তত বিজ্ঞানের সম্ভাবনায় আস্থা রাখা ভাল... তাই না??
এরপর আমার ধর্মীয় চিন্তা আর তেমন চেঞ্জ হয় নাই। ডক্টর সি জে ভেন্টর এর কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি এ চেতনাকে দিয়েছে আরও শক্তি। মাঝখানে দুনিয়ায় খারাপ জিনিস এত বেশি দেখে আমি “ম্যালথিস্ট” হয়েছিলাম। গড আছে, কিন্তু সে ভাল না... আসলেই কিন্তু, আমরা ভাবি সব ভাল জিনিস গডের গুন, আর খারাপ গুলা সে “আমাদেরকে পরীক্ষা করতে দিসে”... উল্টাটা কি হতে পারে না??
যাই হোক, এই চিন্তা বেশিদিন থাকে নাই ...
আমরা এখনও শিওর না যে ঈশ্বর নাই। আমি তার কোন প্রমান পাই নাই। আমার বিশ্বাস আগামীদিনের পদার্থবিজ্ঞান তা বের করবে। তবে অনেকে মনে করেন এটা কখনও প্রমাণ করা যাবে না। হ্যাঁ, যদি মহাবিশ্ব ১টা বিচ্ছিন্ন সিস্টেম হয়। অর্থাৎ ঈশ্বর বাইরে থেকে এতে ভর, শক্তি কিছুই না দেন, তাহলে দুনিয়ার সব কিছু সুত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করার পর ও শিওর হওয়া যাবে না তার অনস্তিত্তে ।তবে তখন প্রশ্ন জাগে তাকে বিশ্বাসে প্রয়োজনীয়তায়। এই বিষয়ে গবেষণা বাইরে এখন হচ্ছে। স্টিফেন হকিন্স সম্প্রতি প্রমান করেছেন যে মহাবিশ্ব তৈরি হতে ঈশ্বর লাগে না। প্রমাণটা অতি সুন্দর। আমরা জানি ব্ল্যাক হোলের আশপাশে সময় ধীর হয়ে যায়। হোলের ওপর বা ভিতরে সময়ের পরিবর্তন থেমে যায়। অর্থাৎ তা আক্ষরিক অর্থেই “নাই” হয়ে যায়।
আমাদের এই বিশাল মহাবিশ্ব একসময় একটা কনায় পুঞ্জিভুত ছিল। (বিগ ব্যাং) এটার আয়তন ছিল ক্ষুদ্র। ভর ছিল অসীম। অর্থাৎ এটাও ছিল একটা ব্ল্যাক হোল। বিস্ফরিত হবার আগে এটা ব্ল্যাক হোল-ই ছিল। অর্থাৎ সময় বলে কিছু ছিল না। তার মানে কার্যকারণ সম্পর্ক (CASUALITY) ছিল না। এই বিস্ফরনের “আগে” কিছু হয় নাই। “কারও জন্য” বা “কোন কারণে” এই বিস্ফোরন ঘটে নাই। অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে কারও কোন হাত নাই ... অর্থাৎ গড নাই ...
তবে এখানে আমার কিছু প্রস্ন আছে। বলা হয়েছে এই সুপারএটম এসেছে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন দিয়ে। আমি জতদুর জানি, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন হয় ভার্চুয়াল কনার। আর তাছাড়া কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন হয় একটা নির্দিষ্ট জায়গা, তথা স্পেসে। অর্থাৎ, আমাদের মহাবিশ্ব আরেকটার ভেতরে আছে?? আমি জানি না... পরাশুনা করা দরকার...:) আবার পুরো জিনিসটাই সময়ের ওপর নির্ভরশীল। নিচে ছবি হিসেবে সমীকরণটা দেয়া আছে ...
যেখানে সময়ই (t)নাই, সেখানে কিভাবে ফ্লাকচুয়েশন হবে?? কেউ যদি জানেন, আমাকে জানাবেন। আমি জানি না।
তবে আমি যা জানি, তা হল- আমি সব কিছুই আমার যুক্তিবোধ, জ্ঞান এর নিরিখে ব্যাখ্যা করব। এর বাইরে হুদাই কাউকে আনব না। কারণ যদি টানি, তাহলে তার সৃষ্টি, সে কিছু স্রিষ্টি করার আগে তার অবস্থান নিয়ে ক্যাচাল লাগবে। তাহলে তো একই হইল। দরকার কি?? উনি থাকলে কি আর না থাকলেই বা কি?? আমাদের জীবনে তো তার কোন প্রভাব নাই... আর উনি থাকলে তো অনেক বড় কিছু উনি – আমার মানা না মানায় তার কি এসে যায়?? আমি আমার মতই থাকি...??
তবে আমরা যদি ঈশ্বরে বিশ্বাসী হই, তাহলে ভাবতে হবে তিনি একা একা তৈরি হয়েছেন- কেউ বানায় নাই তাকে।
একা একা একটা ক্ষুদ্র কণা সৃষ্টি হওয়া আর একটা জটিল সত্ত্বা (বস্তুত সবচেয়ে জটিল) ঈশ্বর তৈরি হওয়া - কোনটা বেশী গ্রহণযোগ্য??
আমার কাছে প্রথমটা...