24-এর বদলে 25 ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের হবে একটি পূর্ণ দিন। কারণ পৃথিবীর আহ্নিক গতির বেগ কমছে। জানিয়েছেন ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটি গবেষক মহল এবং ইউ কে-এর নটিক্যাল অ্যালমানাক অফিস।
তবে এখনই উল্লসিত হওয়ার কিছুই হয়নি। কারণ এই বর্ধিত সময় আসতে লাগবে আরও অন্তত 200 মিলিয়ন বছর। প্রতি 100 বছরে দিনের সময় বাড়ছে 2 মিলিসেকেন্ড করে। ফলে পুরো একঘণ্টা অতিরিক্ত আসতে লাগবে প্রায় 200 মিলিয়ন বছর।
পৃথিবীর আবর্তনের বেগ কেন কমছে? কমছে কারণ স্বয়ং চাঁদ তার আকর্ষণের জোরে পৃথিবীর আবর্তনে বাধা দিচ্ছে। ব্যাপারটা ঘটছে জোয়ারের মধ্যস্থতায়। চাঁদের আকর্ষণে ফুলে ওঠে সমুদ্রের জল, কিন্তু পৃথিবীর বেগের কারণে সেই জোয়ারের চূড়া ছোটে চাঁদের থেকে এক কদম আগে। ফলে চাঁদ যেমন পিছন থেকে পৃথিবীর আঁচলে দেয় টান, পৃথিবী কিছুটা শক্তি হারায়, তেমনই উল্টো দিকে জোয়ারের জল চাঁদকে যেন টেনে নিয়ে চলে গুণ টানার মতো, তাতে শক্তি সঞ্চারিত করে। পৃথিবী যা হারায়, চাঁদ তা পায়। ফলে ভরবেগের হিসেব অপরিবর্তিত রাখার জন্য গ্রহগতিবিদ্যার নিয়ম মেনে চাঁদ দূরে সরে যাচ্ছে বছরে প্রায় 3.78 সেন্টিমিটার করে।
বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মতে, 100 কোটি বছর আগে পৃথিবীর মাটিতে একটি গোটা দিনের মাপ ছিল বড়জোড় 18 ঘণ্টা।
ধীরে ধীরে তা বেড়ে হয় 24 ঘণ্টা। ক্রমশ পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্ব বাড়ছে। ফলে প্রভাবিত হচ্ছে পৃথিবীর আহ্নিক গতি। নিজের চারপাশে আবর্তিত হচ্ছে বেশি সময় নিচ্ছে পৃথিবী।
সব হিসেব মিলিয়ে হিসেবের শেষে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ছে। এবং বিজ্ঞানীরা সহমত, সুদূর ভবিষ্যতে 24-এর বদলে 25 ঘণ্টাই হতে চলেছে একটি দিনের পূর্ণমান, তারপরও আরো বাড়তে থাকবে ।