চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে কক্ষপথে ঘুরে বেড়ায়। তাই ছবির মাঝখানে আমরা পৃথিবীকে রেখেছি এবং তার চারদিকে চাঁদের বিভিন্ন সময়ের ছবি দিয়েছি। সূর্য্য কিন্তু চাঁদের ভ্রমণ-পথের ভেতরে নেই ,বাহিরে আছে। সূর্য্যের আলো চাঁদের গায়ে লেগে কি রকমে তার কলার হ্রাসবৃদ্ধি করায় তা ছবিতে বুঝতে পারা যাবে।
চাঁদ যখন ছবির এক নম্বর জায়গায় থাকে তখন কি হয় ভেবে দেখুন । এই অবস্থায় চাঁদ প্রায় পৃথিবী ও সূর্য্যের মাঝে এসে গেছে । কাজেই চাঁদের যে পিঠে সূর্য্যের আলো পড়ে তাকে পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। পৃথিবী থেকে চাঁদের অন্ধকার দিক্টাই দেখা যায়। সুতরাং এ অবস্থায় আমরা চাঁদকে একেবারে দেখিতে পাই না। এটাই অমাবস্যা। অমাবস্যায় চাঁদ দেখা যায় না।
তার পরে চাঁদ যখন অগ্রসর হয়ে দুই নম্বর জায়গায় এসে দাঁড়ায় তখন তার যে জায়গায় সূর্য্যের আলো পড়ে, তার একটা অংশ পৃথিবী থেকে দেখা যায়। এটাই দ্বিতীয়া তৃতীয়ার চাঁদ। এর আকৃতি তখন সরু কাস্তের মত হয়।
এর পরে চাঁদ যখন ছবির তিন নম্বর জায়গায় এসে দাঁড়ায়, তখন চাঁদের ঐ আলোকিত অংশের কিছুটা আমরা পৃথিবী হইতে দেখিতে পাই। তার পরে চার নম্বর জায়গায় এসে দাঁড়ালে চাঁদের আলোকিত অংশের প্রায় বারো আনা আমাদের নজরে পড়ে এবং শেষে পাঁচ নম্বর জায়গায় চাঁদকে আমরা সম্পূর্ণ গোল দেখিতে আরম্ভ করি। এই অবস্থায় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য্যের মাঝে থাকে; কাজেই চাঁদের যে আধ্খানা সূর্য্যের আলো পায়, তাহার সবটাই আমরা দেখিতে পাই। এটাই পূর্ণিমার চাঁদ।
পূর্ণিমার পরে চাঁদ যতই ছয়, সাত ও আট নম্বর জায়গায় যেতে আরম্ভ করে, তার আলোকিত অংশ ততই আমাদের আড়ালে পড়তে আরম্ভ করে। এই সময়টাতেই চাঁদের ক্ষয় হয়। এটাই কৃষ্ণপক্ষ। তার পর আট নম্বর জায়গা ছেড়ে আবার এক নম্বর জায়গায় আসলে চাঁদ একেবারে অদৃশ্য হইয়া যায় অর্থাৎ আবার অমাবস্যা হয়।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, চাঁদ যে সময়ে পৃথিবীকে একবার ঘুরে আসে সেই সময়ে অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমা ও পূর্ণিমা থেকে আবার অমাবস্যা হয়।