১ /১২
এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জন মহাকাশচারী চাঁদে গিয়েছেন। তাঁদেরই দু’জন নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন। বাকি যে ১০ মহাকাশচারী চাঁদে পা রেখেছেন তাঁরা ১৯৬৯-৭২ এর মধ্যে নাসার আরও পাঁচটি (অ্যাপোলো ১২, অ্যাপোলো ১৪, অ্যাপোলো ১৫, অ্যাপোলো ১৬ এবং অ্যাপোলো ১৭) চন্দ্রাভিযানের শরিক হয়েছিলেন। আর্মস্ট্রং এবং অলড্রিন অ্যাপোলো ১১-এ চেপে চাঁদে গিয়েছিলেন।
২ /১২
৫০ বছর আগে, ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘অ্যাপোলো ১১’। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হয়েছিল অ্যাপোলো ১১-র। তিন জন মার্কিন মহাকাশচারী সে দিন চাঁদের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। নিল আর্মস্ট্রং, এডুইন (বাজ) অলড্রিন এবং পাইলট মাইকেল কলিন্স। চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন নিল আর্মস্ট্রং। তার পরে নামেন এডুইন অলড্রিন। কলিন্স মহাকাশযানেই ছিলেন। চাঁদে নামেননি।
চাঁদের মাটিতে পা রেখে তাঁরাই বদলে দিয়েছিলেন সভ্যতার ইতিহাস। তার পর থেকে একাধিক বার চাঁদে পাড়ি দিয়েছে মানুষ। আর প্রতি বারই নতুন নতুন তথ্য এসেছে চাঁদ থেকে। সে দিন চাঁদে মানুষের সেই প্রথম পদার্পণের ঘটনা বিশ্বজুড়ে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল।
৩/১২
পেট কনরাড: তৃতীয় মহাকাশচারী যিনি চাঁদের মাটিতে পা রাখেন। ১৯৬৯ সালে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে অ্যাপোলো ১২-র উৎক্ষেপণ হয়েছিল। ৭ দিন পর ১৯ নভেম্বর তাঁরা চাঁদে অবতরণ করেন। তাঁরাই প্রথম রঙিন টেলিভিশন ক্যামেরা নিয়ে যান চাঁদে।
৪ /১২
অ্যালান বিন: পেট কনরাডের সঙ্গে ছিলেন অ্যালান। তিনিও চাঁদের পিঠে নেমেছিলেন। দু’জনে চাঁদের পিঠে বেশ কিছু ক্ষণ হাঁটাহাটিও করেন। নমুনা নিয়ে সুরক্ষিত ভাবে পৃথিবীতে ফিরেও আসেন।
৫/১২
অ্যালান শেফার্ড: ১৯৭১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাপোলো ১৪ মিশনে চাঁদে পাড়ি দেন অ্যালান। এখনও পর্যন্ত যে ১২ জন মহাকাশচারী চাঁদে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শেফার্ডই একমাত্র চাঁদে গলফ খেলেছেন! অ্যালান আসলে চাঁদে গিয়ে অভিনব একটা কিছু করতে চেয়েছিলেন। সে জন্য ওই গলফ ব্যাট আর দু’টো বল নিয়ে গিয়েছিলেন চাঁদে।
৬ /১২
এডগার মিশেল: অ্যালান শেফার্ডের সঙ্গে লুনার মডিউল অ্যাপোলো ১৪-র পাইলট হয়ে চাঁদে গিয়েছিলেন এডগার মিশেল। চাঁদে পা দেওয়া ষষ্ঠ মহাকাশচারী তিনি।
৭ /১২
ডেভিস স্কট: অ্যাপোলো ১৫ অভিযানে ১৯৭১ সালে চাঁদে গিয়েছিলেন মহাকাশচারী ডেভিস। বায়ুর উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতিতে হাতুড়ি আর পালক দিয়ে গ্যালিলিওর বিখ্যাত পদার্থের ভর এবং গতিবেগের পরীক্ষা চাঁদে নেমে করেছিলেন তিনি। চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই। তাই ভারী হাতুড়ি আর হালকা পালক এক সঙ্গেই পড়ে সেখানে।
৮ /১২
জেমস আরউইন: ১৯৭১ সালে অ্যাপোলো ১৫ অভিযানে তিনিও ডেভিস স্কটের সঙ্গে ছিলেন। জেমস অষ্টম মহাকাশচারী হিসেবে চাঁদে নামেন। ডেভিস স্কট এবং জেমস আরউইনকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল চন্দ্রাভিযানের জন্য। তাঁরাই প্রথম চাঁদ থেকে বিভিন্ন ধরনের পাথর সংগ্রহ করে এনেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ‘জেনেসিস’। বহু দিন ধরে নাসার গবেষণাগারে সেই পাথরে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজেছিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রমাণ মেলেনি।
৯ /১২
জন ইয়ং: ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৬ চন্দ্রাভিযানে গিয়েছিলেন জন ইয়ং। তিনি চাঁদে নামা নবম মহাকাশচারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাইলট চার্লস ডিউক। চাঁদের পিঠে তাঁর আমেরিকার পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট করার ছবি সকলেরই মনে রয়েছে। জন ইয়ংকে ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
১০/১২
ছবিটা তুলেছিলেন চার্লস ডিউক। চার্লস ডিউক চাঁদে অবতরণ করা দশম মহাকাশচারী।
১১ /১২
জিন সারমন: নাসার অ্যাপোলো প্রোগামের শেষ অভিযান ছিল অ্যাপোলো ১৭। তার পর থেকে আর কোনও মানুষ চাঁদে পা রাখেননি। আর মহাকাশচারী জিন সারমন ছিলেন ১১ নম্বর বিজ্ঞানী, যিনি চাঁদে নেমেছিলেন।
১২/১২
হ্যারিসন স্মিথ: জিনের সঙ্গে ওই অভিযানে ছিলেন হ্যারিসনও। চাঁদে যাওয়া মহাকাশচারীদের তালিকায় হ্যারিসনই শেষ মহাকাশচারী। পরীক্ষার জন্য সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ৫টি ইঁদুর। ইঁদুর-সহ দুই মহাকাশচারী অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন।
https://youtu.be/TmHABUfjYPI
https://youtu.be/snCNhgY6r5o