সাধারণত লাল গ্রহের আকাশে যতটা উঁচুতে মেঘ থাকে, এই মেঘগুলির অবস্থান তার চেয়েও উপরে। বিজ্ঞানীদের আশা, এই ছবিগুলি থেকে তাঁরা মঙ্গলের আরও কোনও অজানা দিক জানতে পারবেন।
নাসার টুইটার হ্যান্ডলে শেয়ার করা হয়েছে মঙ্গলের আকাশে ভাসমান মেঘেদের আনাগোনর নানা মুহূর্ত। ছবিগুলি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘কখনও কখনও কেবল দাঁড়িয়ে পড়ে তাকিয়ে থাকতে হয় মেঘেদের ভেসে যাওয়ার দিকে… মঙ্গলে। মেঘলা দিন অবশ্য এখানে খুবই বিরল। কেননা বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত পাতলা ও শুকনো। কিন্তু আমাদের ক্যামেরা তাক করে রাখা আছে। আপনাদের সঙ্গে সম্প্রতি তোলা কিছু ছবি শেয়ার করছি।’’
কেন এই মেঘগুলির অবস্থান অতটা উঁচুতে। আসলে সাধারণত মঙ্গলে যখনই মেঘ দেখা যায়, সেগুলির অবস্থান থাকে মাটি থেকে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি উচ্চতার মধ্যে। কিন্তু এই মেঘগুলির অবস্থান তার থেকে অনেকটাই উঁচুতে। মনে করা হচ্ছে সাধারণত যে মেঘ দেখা যায় মঙ্গলে তা তৈরি হল জলের বরফ থেকেই। কিন্তু এবারে যে মেঘেদের ছবি ধরা পড়ল সেগুলি অনেক উঁচুতে অবস্থান করার কারণেই অত্যন্ত শীতল। যা থেকে পরিষ্কার এগুলি জল নয়, ড্রাই আইস বা শুষ্ক কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে নির্মিত।
এই নতুন ধরনের মেঘের দেখা পেয়ে উত্তেজিত বিজ্ঞানীরা। তাঁরা মনে করছেন সব ধরনের মেঘের ছবি থেকে প্রাপ্ত তথ্য তাঁদের মঙ্গলের আকাশে মেঘেদের বৈচিত্রকে বুঝতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে দিয়েই লাল গ্রহের চরিত্রই আরও ভাল করে বোঝা সম্ভব হবে। মেঘগুলির এমন ঢেউ খেলানো চেহারা জন্য কিউরিওসিটির সাদা-কালে নেভিগেশন ক্যামেরাতেও দিব্যি বোঝা যাচ্ছে তাদের অস্তিত্ব। কিন্তু রোভারের মাস্টক্যামে তোলা রঙিন ছবিগুলি থেকে দেখা যাচ্ছে মেঘগুলি অত্যন্ত উজ্জ্বল।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লাল গ্রহের মাটি স্পর্শ করেছে রোভার। তারপর থেকেই চমকে দিয়েছে রোভার। খুঁজে চলেছে লাল গ্রহের হাল হকিকত।