Wednesday, May 19, 2021

রাত নামলেই সে’নাবাহি’নীর স’দস্যরা এসে দর’জায় টোকা দেয়।

রাত নামলেই সে’নাবাহি’নীর স’দস্যরা এসে দর’জায় টোকা দেয়। ঘরের ভে’তরে ঢু’কেই তারা খোঁজে সুন্দ’রী মে’য়েদের। পছন্দ’মতো কাউকে পেয়ে গেলে তাকে টে’নে হিঁ’চড়ে নিয়ে যায় জঙ্গলে। এর’পর গ’ণ’ধ**ণ করে। কারো কপাল ভা’লো হলে গ্রামের রাস্তার পা’শে অ’র্ধমৃ”ত অবস্থায় তা’কে ফেলে যায় তারা। অন্য’দের মে”রে ফেলা হয়। তাদের গ’লা কে’টে হ**ত্যা করা হয়। মি’য়ানমা’রের রাখা’ইনে সে’নাবাহি’নীর নৃশংসতা এভাবেই বর্ণনা করেন কক্স’বাজারের কুতুপালংয়ে আশ্র’য় নেয়া রো’হিঙ্গা নারী হামিদা খাতুন। ২৫শে আগস্ট রা’খাইনে সহিংসতা ছড়ি’য়ে পড়ার পর সেখানে রো’হিঙ্গা মু’সলিম’দের ওপর চলছে অকথ্য নির্যা’তন। এ জন্য তারা পা’লিয়ে বাংলা’দেশে আ’সতে বাধ্য হ’চ্ছেন।এখানে আ’শ্রয় নেয়া এমন আরো রো’হিঙ্গা নারী-পুরুষ রাখাইনে সংঘ’টিত নৃ’শংসতার কথা তুলে ধরে’ছেন। তাদের নিয়ে এক’টি প্র’তিবেদন প্রকাশ করেছে অ’নলাইন টাই’মস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়ে’ছে, বনের ভেতর দিয়ে টানা তি’নদিন খা’লি পায়ে হেঁটে’ছেন বেগম বাহার। এ সময় কাপড় দিয়ে পিঠের স’ঙ্গে বাঁধা ছিল তার আট মাস বয়সী শি’শু।বনের বিভিন্ন জি’নিস খেয়ে জীবন র’ক্ষা করেছেন। তৃ’ষ্ণার্ত হলে পান করে’ছেন লো’না পানির ধারা থে’কে পানি। এটাই তার স’ঙ্গীদের স’ফরের শক্তি যুগি’য়েছে। শেষ পর্যন্ত বেগম বাহার যখন নাফ নদে পৌঁ’ছেন তখন তিনি নৌ’কা দেখতে পান। এসব নৌকায় করে শ’রণার্থীদের পার করে দে’য়া হচ্ছে। তিনি স্ব’স্তির নিঃ’শ্বাস নেন।মনে করেন, এটা’ই তাকে ও তার স’ন্তান’কে নিরা’পদে পৌঁছে দেবে বাংলা’দেশে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মা’টিতে বসে পড়েন। কা’ন্নায় ভেঙে পড়েন। নৌ’কায় উঠে’ই যেন তার চেতনা ফে’রে। খালি পায়ে কেটে, ছিঁড়ে যাও’য়া স্থান দিয়ে র’ক্ত ঝরছে। তিনি ব্যথা অ’নুভব করতে শু’রু করেন। চ’ন্দ্রাকৃতির নৌ’কায় করে ন’দী পার হন তিনি।এভাবেই হা’জার হাজার রো’হিঙ্গা মৃ”ত্যু”র হাত থেকে পালিয়ে বাংলা’দেশে আশ্রয় নি’য়েছেন। নৌ’কা ছুটে চলতে থা’কে। বেগম বাহার পেছনের দিকে তা’কিয়ে থা’কেন। আস্তে আস্তে রাখা’ইনের স্থ’লসীমানা তার দৃষ্টি’সীমা থেকে দূরে সরে যে’তে থাকে। ওই দেশ, ওই মাটি’ই তার জ’ন্মভূমি- এ কথা ভেবে হাউ’মাউ করে কেঁ”দে ফে’লেন বেগম বা’হার।ওই সেই দেশ যে’খানে তিনি জ’ন্মেছেন, কিন্তু তাকে রাষ্ট্র’হীন করে রাখা হয়েছে, গৃ’হহীন করা হয়েছে। বেগম বাহা’রের মতো প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা এরই মধ্যে বাংলা’দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বেগম বাহার বলেন, আমরা জানি মানুষ যে’খানে জন্ম’গ্রহণ করে সব সময় সেটাই তার মাতৃ’ভূমি। চরম অবস্থায় ঠেলে না দিলে কেউ কোনো’দিন তার ’মা’কে ছে’ড়ে যায় না।তাই আমাদের সামনে কোনো বি’কল্প পথ ছিল না, দেশ ছেড়ে আ’সা ছাড়া। সে’নাবাহি’নী আমাদের গ্রাম’গুলোতে ঢুকে কোনো দেখ’ভালের তো’য়াক্কা না করে অবাধে হত্যা’কাণ্ড শুরু করে। উ’ল্লেখ্য, মি’য়ানমা’রের রাখাইনে রোহিঙ্গারা যুগের পর যুগ রা’ষ্ট্রহীন। সে’খানে রো’হিঙ্গা’র সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ।