Tuesday, August 22, 2017

নাস্তিক হয়ে যাব কি?


১। কোনো কিছু দেখা যায় না বলেই প্রমাণ হয় না যে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। যেমন অবলাল আলো দেখা যায় না। কিন্তু তার অস্তিত্ব আছে। এমন আরো অনেক কিছুই থাকতে পারে। সৃষ্টিকর্তাকে দেখা যায় না। কিন্তু সৃষ্টি দেখা যায়। সৃষ্টি কর্তা ব্যতীত এগুলো কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে?  যদি বলেন এগুলো সৃষ্টি নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছে তবে আপনার এই অবিশ্বাস্য বক্তব্যের পিছনে প্রমাণ দিন। (বিঃদ্রঃ অমুকের অমুক বই পড়ুন এ টাইপের কপট উত্তর আশা করছি না। পারলে আপনি নিজে প্রমাণ করুন। কোনো সৃষ্টি হতে সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই।
.
২। ধর্মকে মানুষ জীবনের বিধান হিসেবে পালন করে। ধর্মকে বাদ দেওয়ার পর আমার জীবনের গাইডলাইন কি হবে? নাস্তিকতাবাদে এরকম কোনো নীতি আছে কি? থাকলে তার উৎস কি? এই বিধানগুলো কেউ না মানলে তাকে কিছু করা যাবে কি?
.
৩। নাস্তিকদের প্রায়ই দেখা ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করতে। যেমনঃ
ক) ইসলামে পুরুষ ৪ বিয়ে করতে পারে কেন?(যদিও কুরআন বলছে ইসলাম মনোগ্যামি পছন্দ করে) প্রশ্ন হলঃ নাস্তিকতাবাদে কি বিয়ের কোনো বিধান আছে? না থাকলে গার্লফেন্ডের সীমা কত? যদি কোনো সীমা না থাকে তাহলে কেউ যদি ৫০ গার্লফ্রেন্ড রাখে তবে তাকে কোনোভাবে বিরত করা যাবে কি? তার কোনো গার্লফ্রেন্ড যদি চায় অন্য গার্ল ফ্রেন্ডদের কাছে সে না যাক তখন তার করনীয় কি হবে? একজন নারী ১০ জন বয়ফ্রেন্ড থাকলে তাদের মধ্যে ৫ জন তাকে একই সময়ে চাইলে তার করনীয় কি হবে?
.
খ) ইসলামে ধর্মদ্রোহীতার শাস্তি মৃত্যু দন্ড কেন? প্রশ্ন হলো রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তিওতো মৃত্যু দন্ড। ধর্মদ্রোহিতা আর রাষ্ট্রদ্রোহিতার মাঝে পার্থক্য কোথায়?
.
গ) ইসলামে জিহাদের নামে মানুষ হত্যা করা হয় কেন? প্রশ্ন হলোঃ পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে না কেন?
.
৪। নাস্তিকতাবাদে মা বা বোনের সাথে যৌন সম্পর্ক করতে কোনো বাধা আছে কি? যদি না থাকে তাহলে মানুষ নামের একটা জীব হয়ে নিজেদের সবচেয়ে উন্নত প্রানী দাবি করে এমন গর্হিত চিন্তা আমি করব কেন?
.
৫। কোনো পুরুষ কোনো নারীকে যত খোলা মেলা দেখবে তার যৌন আকাঙ্ক্ষা তত বৃদ্ধি পাবে এটা শারীরতত্ত্ব বিদ্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং প্রজনন বিদ্যা মানলেও নাস্তিকতাবাদ এটাকে মানে কেন?
.
৬। সেক্স ফ্রি পৃথিবী গড়তে পারলেই যদি সব সমস্যার সমাধান হবে তাহলে আমেরিকায় যৌন হয়রানি ও ধর্ষনে ওয়ার্ল্ড এ প্রথম হয় কেন?
.
৭। এ পর্যন্ত কোনো মতবাদই পৃথিবীর সকল মানুষ মেনে নেয় নি। নাস্তিকরা যদি ক্ষমতায় যায় যারা নাস্তিকতা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
.
৮। নাস্তিকতাবাদ যদি স্বচ্ছ ও পরিষ্কারই হয় তাহলে এটা পৃথিবীর এত অল্প সংখ্যক মানুষ মানে কেন?
.
৯। মানুষ তো মহাজগতের সব জ্ঞান অর্জন করে ফেলেনি। তাহলে নাস্তিকতাবাদ সব জান্তা হওয়ার ভাব দেখায় কেন? সেটার ভিত্তিতে ধর্ম পালনকারীদের ব্যঙ্গ করে কেন?
.
১০। এবং এ মর্মে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে কেন? নিজেরা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয় কেন? নিজেরা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটার তথ্যকে রেফারেন্স হিসেবে গ্রহন করে কেন?

মন্তব্য গুলোঃ-

♣১। ১.আপনার সৃষ্টি হতে সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন হয়েছে কী?শুধুমাত্র  সৃষ্টিকর্তাকে সাক্ষী রেখে বিবাহ করে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকলে কোন সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা নেই নতুন শিশু জন্মানো।
২.তাহলে ধর্মের আগে মানুষ ছিল না?পৃথিবীতে ধর্মের সূচনা ৪০০০ বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে,তার আগে কি মানুষ ছিল না?
মনুষ্যত্ব বলে মানুষের যে স্বাভাবিক ধর্ম আছে সেটাই মেনে চলবেন।
৩.ক))প্রথমত,নাস্তিক্যবাদটা হল ধর্মীয় গোড়ামী দূর করা।৫০ গার্লফেন্ড্র,১০ বয়ফেন্ড্র এই সব মনোভাব আপনি ধর্ম থেকে পেয়েছেন।যদি ধর্মে ৪ বিয়ে,দাসীর সাথে সঙ্গম না মানতেন তবে এই সব চিন্তা করে দিনপার করতেন না।

খ))রাষ্ট্রদ্রোহিতা যদি মৃত্যুদন্ড হতো তাহলে কোন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে কোন দেশ স্বাধীন হতো না।কাশ্মিরের সমস্ত স্বাধীনতাকামী মানুষকে ভারত বিনাবিচারে হত্যা করতে পারত।কিন্তু তারা পারবে না।কোন ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড সেটা পড়াশোনা না করে শুনে-মুসলমানের মতো কথা বলবেন না।

গ))জিহাদের নামে নিরপরাধ মানুষ হত্যার সাথে প্রতিরক্ষার তুলনা!!জঙ্গীবাদ কি আপনার পারিবারিক শিক্ষা নাকি!!

৪)আপনার বিশ্বাসী আদম-হাওয়ার আবিল-কাবিলের বৌ
কে?আপনার কি আপনার ঘরে কিংবা বাইরে মেয়ে দেখলে যৌন আকাঙ্ক্ষা লাগে নাকি!!যদি লাগে তাহলে অতি শিঘ্রই মানসিক ডাক্তার দেখান,নারীজাতি আরেকটা কুলাঙ্গার থেকে অন্তত বাঁচবে

৫)হা,হা,হা মেডিকেল পড়ুয়া স্টুডেন্ট আসছে রে।

৬)আমেরিকা কি এথিস্ট দেশ।তারা সহনশীল দেশ।যদি এথিষ্ট হিসাব করেন তাহলে তাজাকিস্তান,কাজাকিস্তান,ইসরাইল,ভিয়েতনাম এইসব দেশে খোজ করেন।আর রেপের দিকে যদি গোয়াড়া হন তাহলে সরিয়া আইন দেশগুলোতে কোন ধর্ষনের বিচারের নির্মমতাগুলো খবরে পড়েন।সৌদিতে কাজ করতে যাওয়া নারীরা যে কিভাবে নির্যাতিত হচ্ছে সেই সব খবর মনে হয় চোখে পড়ে না।

৭)নাস্তিকতা কোন একক মতবাদ নয়।এটা যে দিন বুঝবেন সে দিন নাস্তিকতা নিয়ে লিখেন।
৮)আমার প্রশ্ন পরিপূর্ণ ধর্ম কয়জন মানে?আপনি নিজে মানেন?আর নাস্তিকের সংখ্যা অল্প নয়।এটা দিন দিন বাড়ছে।আর সেটা ইসলামের আদর্শ বাচ্চা পয়দা কারখানা ছাড়া।
৯)ইসলাম নিজে কি পৃথিবীর বাইরের নিয়ে কোন সত্যতা লিখেছে যে খোঁড়া যুক্তি দেন?
১০)অধিকাংশ রেফারেন্স সত্য।নিজের ওয়েবসাইট রেফারেন্স খুবই কম দেয় আর যেগুলো দেয় সেগুলো আপনাদের সুবিধার্তে।কারন আপনারা এতটা পরিশ্রমী না যে নেট ঘেটে কোন তথ্য বের করে চুপচাপ গালি দিয়ে পালাবেন।

সর্বশেষ আপনার মতো মানসিকতার লোকজন খুবভাল ইসলামী হতে পারবে কিন্তু নাস্তিক হওয়ার মতো মানসিকতা হতে পারবে বলে মনে হয় না।

♣২। ১) আলো ইন্দ্রিওগ্রাহ্য, আল্লাহ কি ইন্দ্রিওগ্রাহ্য?

২)আমার লাইফের গাইডলাইন আমি তৈরি করবো, গাইডলাইন এর জন্য ধর্ম কে ফলো করবো কেন? মানুষের জন্য ধর্ম,ধর্মের জন্য মানুষ নয়।

৩। ক) কোর্টে গিয়ে রেজিস্ট্রি করলেই তো বিয়ে হয়ে গেলো। বিয়ে করার জন্য ধর্ম লাগে নাকি?

খ) ধর্মদ্রোহিতা আর রাষ্ট্রদ্রোহিতা এক? ধর্মদ্রোহিতা করলে কার কার কি কি ধরণের ক্ষতি হয় একটু বলবেন?

গ)আপনি রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার সাথে ধর্ম কেন তুলছেন বোঝা গেলো না। প্রতিরক্ষায় যুক্ত ব্যাক্তিদের মাইনে কে দেয়? ধর্ম না রাষ্ট্র?। সুতরাং এই পয়েন্ট টা নিতান্তই অযৌক্তিক মনে করি।

৪)যৌন সম্পর্কটা হলো একটা পুরুষ এবং একটা নারীর ব্যাক্তিগত ব্যাপার। সেটা নিয়ে আমার নিজস্ব কোনো ব্যাক্তিগত মতামত নেই।  আর নাস্তিকতা একটা মতবাদ নয়, ধর্মের প্রতি অবিশ্বাস ই হলো নাস্তিকতা। এটাকে আপনি হাইপথিসিসের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। আর পশুদের সাথে মানুষের মিল অনেকজায়গায় কিন্তু পার্থক্য হলে মানুষের মনুষত্ববোধ। এবার আপনার যদি মনুষত্ববোধ না থাকে তাহলে আপনি মানুষ হিসাবে নিজেকে নিয়ে গর্ব নাই করতে পারেন। তবে এই বোধ জাগরণের জন্য কোনো ধর্মের দরকার হয় না।

৫)ঠিক, কোনো পুরুষ কোনো নারী কে খোলামেলা দেখলে পুরুষের যেমন যৌন আকাঙ্খা বাড়ে তেমনি উল্টোটাও হয় কিন্তু। যৌন আকাঙ্খা হলেই যে তার সাথে যৌন মিলন করতে হবে এটা কি ধরণের মনুষত্ববোধ? তাহলে পশুর সাথে মানুষের পার্থক্য কোথায়? এমনি মানসিকতা হলে নিজেকে মানুষ হিসাবে গর্ব নাই করতে পারেন।

৬) সেক্স ফ্রি পৃথিবী গড়লেই সব সমস্যার সমাধান হবে কে বলেছে আপনাকে? খালি পেটে যৌন উদ্দীপনা হয় কি?

৭)আগেই বলেছি নাস্তিকতা কোনো মতবাদ নয়, আর কোনোদিন শুনি নি যে নাস্তিকরা আস্তিকদের ধর্মপালনে বাধাসৃষ্টি করছে। এর পর যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে চাইলে আইন করে ধর্ম পালনে বাধা দান করতেই পারে। যেমন চায়না করেছে

৮) পয়েন্ট টা ঠিক বুঝলাম না, ভেঙে বললে ভালো হয়।

৯)সবজান্তা হওয়ার ভাব মনে হয় না কেউ করে, কিন্তু নূন্যতম জ্ঞান তারা রাখে বলে মনে করি। ধর্ম পালনকারীদের সঙ্গে ব্যাঙ্গ তো করবেই কারণ তারা একটা বিশ্বাস কে সত্য বলে মনে করছে।

১০) ধর্ম যে মিথ্যা নয় সেইটার মূল্যায়ন তো কেউ করে নি। ধর্ম যখন মনগড়া তাহলে মনগড়া ব্যাখ্যা দিতে কি অসুবিধা? যদিও বা কেউ দেয় কিনা জানা নেই আমার। আর নিজের ওয়েবসাইট তৈরির ব্যাপারটা বোঝা গেলো না ঠিক।

♣ ৩। আশা করছি আমি আপনার সাধারণ প্রশ্নের কিছু উত্তর দিতে পেরেছি এবার আপনি আস্তিক মানুষ, তা আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়া আপনার দায়বদ্ধতার মধ্যে পরে
প্রশ্ন – ১

বর্তমানে বিশ্বে মাত্র 150 million আরবি ভাষাভাষি মানুষ আছে । আল্লাহ কেন এমন একটা ভাষায় কুরআন নাজিল করলেন না যেটাতে অধিক মানুষ কথা বলে, যেমন English (350 million), Mandarin (800 million), Spanish (358 million), Hindi (200 million) কিংবা Russian (160 million) ?

প্রশ্ন – ২

আল্লাহ কেন মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল গুলোতেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকম্প গুলো ঘটিয়ে থাকেন ? যদি এটা তাদের বিশ্বাসের পরিক্ষা নেওয়াই হয়ে থাকে, তবে এর ফলে যে নিরীহ মহিলা ও বাচ্চাগুলো মারা যাচ্ছে সেটা কি বৈষম্যের পর্যায়ে পড়ে না ?

(Out of the 10 most deadly earthquakes in the last 50 years, 6 of the 8 countries affected were populated by a Muslim majority. Peter Hough – Understanding Global Security)

প্রশ্ন – ৩

মুসলিম দেশ গুলোতে ভুমিকম্পের ফলে যখন মসজিদ গুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, তখন তার প্রতিরক্ষায় আল্লাহ কেন কোন ব্যবস্থা নেন না ?

প্রশ্ন – ৪

বর্তমানে মুসলিম দের সাথে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ চলছে বিভিন্ন দেশে : Hindus in Kashmir / Christians in Nigeria, Egypt, and Bosnia / Atheists in Chechnya / Baha’is in Iran / Animists in Darfur / Buddhists in Thailand / each other in Iraq, Pakistan, Somalia, and Yemen / Jews in Israel. কেন মুসলিমরা সর্বদাই এমন গোড়ামিপূর্ণ এবং ধর্মীয় সংঘর্ষে লিপ্ত যেখানে অন্য ধর্মের অনুসারীরা নয় ?

প্রশ্ন – ৫

আল্লাহর ঘর ‘কাবা’ (Quran 3:96) মুহম্মদের মৃত্যুর পর কয়েকবার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ! কাবার কালো পাথর (Black stone) বিদীর্ণ হয় বহু খন্ডে, Qarmatians-রা সেটা চুরি করে এবং বহু বছর পরে তার বিনিময়ে মুক্তিপন আদায় করে ! সর্ব শক্তিমান আল্লাহ কেন সমগ্র মুসলিম জাহানের এই পবিত্র ঘর এবং পাথর কে বাঁচাতে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিলেন না ?

http://en.wikipedia.org/wiki/Kaaba#After_Muhammad
http://www.al-islam.org/kaaba14/1.htm
http://en.wikipedia.org/wiki/Black_Stone#History_and_tradition

প্রশ্ন – ৬

“The 100 : A Ranking of the Most Influential Persons in History” বই এর লেখক Michael H. Hart । এতে প্রথম পজিশনে আছে ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ (সঃ), যেটা উল্লেখ করে সকল মুসলিম আত্মতৃপ্তি লাভ করেন !

Michael H. Hart দাবি করেছেন যে, দুটো কারনে তিনি মুহম্মদ কে নাম্বার ১ পজিশনে রেখেছেন –

১) যুদ্ধের নেতৃত্বে সফলতার জন্যে
২) কুরআন রচনা করে ইসলামের ধর্মতত্ব ও আইন প্রতিষ্ঠার জন্যে ।

মুসলিম হিসেবে আপনি কি এই দাবীর সাথে একমত ? যদি না হন, তবে মুহম্মদের এই প্রথম পজিশনে থাকায় আপনি কি এখন আর গর্বিত হবেন ??

(অনেকে এই বইয়ের সূত্র ধরে মুহাম্মদকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বলে প্রচার করেন। তারা কি শ্রেষ্ঠ আর Influential Persons এর মধ্যে পার্থক্য বুঝেন না?)

প্রশ্ন – ৭

পবিত্র স্থান মক্কায় আল্লাহ কতৃক বন্যা ঘটানোর উদ্দেশ্য কি ? নিজের বান্দাদের ঈমানের পরীক্ষা নেওয়া ?

♣ ৪। প্রকৃতি একটি নিজস্ব নিয়মে চলে, তাতে কেউ সৃষ্টিকর্তা মানুক আর না মানুক,যা খুশি মন গড়া নাম দিক, আল্লা ভগবান রাম রব ইত্যাদি। Water কে আপনি জলই বলুন, বা পানিই বলুন, জল জলই থাকবে। আপনি বলবেন আপনার ধর্ম ঠিক, আরেকজন বলবে তার ধর্ম ঠিক, বাস্তবে কোন ধর্মই সঠিক নয়, কারণ সব ধর্মই মনুষ্যপ্রসূত, স্থান কাল পাত্র পরিবেশ অনুযায়ী আলাদা আলাদা। তাই কোনো ধর্মের সাথে কোন ধর্ম কোনদিনই মিলবে না। আরবে শাক সব্জি কম, তাই তারা মাংস বেশী খাবে, এটাও যেমন সত্যি, আবার ভারতে শাকসব্জি বেশি, তাই তারা মাংস কম খাবে,এটাও সত্যি। যখন বিজ্ঞান ছিলনা, তখন ধর্মের উৎপত্তি হয়েছিল মানুষের মনকে একটা ব্যাখ্যা দিয়ে শান্ত করার জন্য। কিন্তু এখন বিজ্ঞান এসেছে, তাই ধর্মের অস্পষ্ট ত্রুটিপূর্ণ বিধান দরকার নেই। প্রমাণ আমাদের চোখের সামনে।একটিমাত্র জিনিস মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব করেছে, সেটা হল মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব কি? মনুষ্যত্ব হল মানুষের গুণ, বা প্রোপার্টি,বা বৈশিষ্ট্য। মানুষের গুন কি? মানুষের গুন হল মান আর হুঁশ , যেটা অন্য কোন প্রাণীর নেই, তারা নিজেদের অজান্তেই সব করে ,তারা জানেনা পেটের ভিতরে কীভাবে খাবার পরিপাক হয়। মানুষ জানে। তাই সে মানুষ, সবার সেরা। ধর্ম সব জিনিসের তো দূর, বেশিরভাগ জিনিসেরই সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। কারণ ওগুলো মানুষের কল্পনার ফসল। বিজ্ঞান পেরেছে, কারণ বিজ্ঞান কল্পনা করেনা, খোলা চোখে দেখে। আর খোলা চোখ নিশ্চই ভূল দেখেনা। ধর্মের নিয়ম কানুন কালক্রমে বিকৃত হয়। ধর্ম যখন যার হাতে যায়, তখন তার মনের কথা তাতে যুক্ত হয়। ফলে সাধু সন্তের কথাও যেমন থাকে, তেমনি বদমাশের কথাও থাকে ধর্মে। নাহলে কোরাণ থাকা সত্বেও এতগুলো হাদিস তৈরি হতনা। বেদ থাকা সত্বেও এতগুলো পুরাণ তৈরি হতনা। কোরাণের একটা সাধু অংশ  বলে,"তোমরা অন্যদেরকে ইসলামে আকৃষ্ট করার চেষ্টা কর, আর তাতে যদি তারা না আসে, তাহলে তাদেরকে তাদের মত থাকতে দাও।" আবার হাদীসের একটা শয়তান অংশ বলে,"কাফেরকে হত্যা করলে বেহেশ্তে পচাত্তরটা হুর পাবে।"
বেদের একটা সাধু অংশ বলে,"জগতের সবার অধিকার রয়েছে জ্ঞান অর্জনের"। আবার মনুসংহিতার একটা শয়তান অংশ বলে,"শূদ্রের বেদপাঠের অধিকার নেই।

একই ধর্মের দুধরনের কথা!!!

মানুষের কাজ হল সৃষ্টি করা, রক্ষা করা, ধ্বংস করা নয়। মানুষ যেদিন খাবা সংরক্ষন এবং উৎপাদনের কথা ভেবেছে, সেদিন থেকেই তারা মানুষ হয়েছে। তার আগে তারা পশুই ছিল, পশুর মতই কেবল খেয়ে পরে বেঁচে থাকত। একটা বাঘ আপনাকে খাওয়ার পর ভাববেনা যে প্রকৃতি থেকে আপনার মত একটি প্রাণী ধ্বংস হল। কিন্তু মানুষ একটা প্রাণীকে হত্যা করার পর ভাববে যে, এরকম একটা প্রাণী প্রকৃতি থেকে ধ্বংস হল। তখন আর মানুষ কখনই লোভে পড়ে সেই প্রাণীকে কেটে কেটে খাবেনা, বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু দরকার সেটুকু খাবে। এটাই পশু আর মানুষের পার্থক্য।

তাই যে ধর্ম আমাদের পুনরায় মানুষ থেকে পশুতে পরিণত করে, সেই ধর্মের আমাদের দরকার নেই।  আমরা বিজ্ঞানের আলোতে পৃথিবীকে রক্ষা করব। কারন,মনে রাখতে হবে, যেদিন থেকে আমরা শস্যের বীজ না খেয়ে রক্ষা করতে ,সংরক্ষন করতে শিখেছি, সেদিন থেকেই আমরা পশু থেকে মানুষ হয়েছি।

আশাকরি আপনাদের সব প্রশ্নের  উত্তর আপনারা পেয়ে গেছেন।