Friday, August 25, 2017

নাস্তিকদের জীন ভুত পরী আছর করে না।

➽ নাস্তিকদের জীন ভুত পরী আছর করে না । গভীর রাইতে শিমুল গাছের নিচে খাড়ায়া মুতলেও করে না । তুলা রাশি হইলেও না !
গ্রামের সুন্দর চেহরার ছোড্ড ছেলেটার মতো কোনো নাস্তিকরে পরী ধইরা শহরে নিয়া যায় না । জাংগা পইড়া কবরস্থানের পাশে হাটলেও কিছু হয় না আর সন্ধ্যার সময় শশানঘাটে নামলেও কিছু হয় না । নাস্তিকের চুল নিয়া গিয়া পুতুল বানায়া সুই ফুটাইলেও নাস্তিকের কিছুই হয় না । এলাকার পীরসাহেব তার বাধ্য জীনগুলা দিয়া নাস্তিক হকিংরে আজও বলাইতে পারল না "অনলি আল্লা ইজ রিয়াল" , পারে নাই ডকিন্সরে দিয়া কলেমা পড়াইতে । মুমিন হইয়াও বান মাইরা শিরক করা কাফেরটা আইজকেও কোনো নাস্তিকরে বান মারতে পারে নাই । মুমিনের দুশমন ট্রাম্প এখনো মুখ দিয়া রক্তবমি কইরা মরল না । নাস্তিকেরা প্লানচ্যাট করলে আত্তা আসে না । গভীর রাতে তাদের রান্নাঘর থাইকা টুংটাং আওয়াজ ও আসে নাহ । কিন্তু কেন? নাস্তিকদের প্রতি কেন এ বৈষম্য ? মুমিন ভাইয়েরা উত্তর দেন ???


➽ মুমিনরা বলে আল্লাহ কাউকে জন্ম দেয়নি এবং জন্ম নেয়নি। তিনি নিযেই সৃষ্টি করেছে সব কিছু।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আল্লা সৃষ্টি হলো কিভাবে?
পৃথিবী সৃষ্টির আগে যে পানির উপরে আরশ ভাসমান ছিলো সেই পানি কিসের উপরে ছিলো?
কেন আল্লাহ আগে থেকে আরশে ছিলোনা?
যে পানির উপর আরশ ভাসমান ছিলো সেই পানি কে সৃষ্টি করেছে?
আল্লাহ যেহেতু বলার সাথে সাথে সব কিছু সৃষ্টি হয়ে যায় তবে কেনো পৃথিবী সৃষ্টি করতে তার ৬দিন অথবা ৮ দিন লাগলো?
কোরআন যদি সৃষ্টিকর্তার রচনা হয় তবে কেন তার সৃষ্টিকে আদেশ দিবে তার সৃষ্টি ধ্বংস করতে?
যদি বলেন আল্লাহ সব কিছু করতে পারে তবে প্রশ্ন উনি চাইলেই কি উনার থেকে শক্তিশালী কাউকে সৃষ্টি করতে পারবে?
নাকি নাস্তিকের কথা অনুযায়ী আল্লাও প্রকৃতির সৃষ্টি? মুমিন্স???

➽ কোরান বুঝতে আরবী ভাষার ইতিবৃত্ত...এবং ধর্মান্ধ ত্যানা দূরীকরণ...

হামেশাই যখন কোন মানুষ কোরানের রেফারেন্স টেনে কোরান বা ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে যায়, তখনি এক শ্রেনীর ইসলামিক জ্ঞানী পণ্ডিতগন কিছু কমন প্রশ্ন ছুঁড়ে মারে আলোচকদের উদ্দেশ্যে। আমরা যারা বাঙ্গালী, স্বাভাবিক অর্থেই আমাদের কোরান বুঝতে বাংলা ভাষার আরবীর প্রয়োজন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আপনার যুক্তি বা চিন্তা যদি ধর্মের বিপক্ষে যেতে থাকে, তখনই দেখবেন, আপনি যে আয়াতের যে ব্যাখ্যা জানেন বা দেখেছেন, অন্যজন একই আয়াতের আরেকটা অর্থ বের করে আপনাকে দেখাবে। তখন হামেশাই বিভ্রান্তিতে পরতে হয় এই ভেবে যে, কারটা সঠিক। আর যদি আপনার চিন্তা বা যুক্তি ধর্মের খুঁটিতে আবদ্ধ হয়, সেক্ষেত্রে অর্থের মিল না থাকলেও দেখবেন, সব পণ্ডিতই নীরব ভূমিকা পালন করছে। কমন প্রশ্ন গুলো হলঃ
১। আপনি কি আরবী ভাষা জানেন? (মানে ভাবখানা এমন, যেন উনি নিজে আরবীতে পিএইচডি করে এসে আপনার সামনে দাঁড়িয়েছে।)

২। আরবী ব্যাকরণ জানেন?
৩। আরবীর অমুক শব্দের কতগুলো অর্থ আছে জানেন?
৪। ঐ অর্থের তাৎপর্য জানেন? ইত্যাদি ইত্যাদি।
মূলত এইসব ধান্দাবাজদের জবাবেই এই প্রচেষ্টা। আরবী ভাষার আদি অন্ত জানুন আগে।

সেমিটীয় ভাষা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত যত গুলো ভাষা ছিল, তার মধ্যে আরবী ভাষা অন্যতম। হিব্রু ও আরামীয় ভাষার সাথে এ ভাষার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আধুনিক আরবী ভাষার ২৭ রকমের উপভাষা রয়েছে। তৎকালীন সময়ে সমগ্র আরব ভূখন্ড জুড়েই এসব উপভাষার প্রচলন ছিল। বিশ্বের অনেক ভাষা যেমন আরবী ভাষা থেকে ধার নেয়া, তদ্রুপ আরবী ভাষাও বাইজেন্টীয় গ্রীক ভাষা এবং ফার্সি ভাষা থেকে ধার নেয়া এবং এর সাথে নিজস্ব চিন্তা ধারা যুক্ত করে এবং নতুন নতুন শব্দের যোগ ঘটিয়ে এবং ব্যকরন পরিবর্তন করে ভাষাটি সমৃদ্ধশালী হয়। সকল সেমিটীয় ভাষার একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, ব্যঞ্জন দিয়ে শব্দরূপ বা ধাতুমূল গঠিত। সাধারণত তিনটি ব্যঞ্জন নিয়ে একটু ধাতুমূল গঠিত হয় এবং প্রতিটির একটি মূল অর্থ থাকে। এরপর এর মূলকে বিভিন্ন ভাবে স্বরবর্ণ, উপসর্গ, মধ্যসর্গ, অন্তপ্র্যত্যয় বসিয়ে অন্যান্য কাছাকাছি অর্থের শব্দ সৃষ্টি করা যায়। উদাহরণস্বরূপ আরবী সালিম শব্দকেই বিবেচনা করুন, যার অর্থ নিরাপদ। আরো সঠিক ভাবে এর অর্থ পুরুষ। এখান থেকে পাওয়া যায় সাল্লাম অর্থ সরবরাহ করা, আসলামা অর্থ সমর্পণ বা জমা দেয়া, ইস্তালামা অর্থ গ্রহন করা, ইস্তাস্তালামা অর্থ আত্মসমর্পণ করা, সালামুন অর্থ শান্তি, সালামাতুন অর্থ নিরাপত্তা, মুসলিমুন অর্থ মুসলিম। আরবী ভাষার এই বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে আপনি ইচ্ছামত কোন অর্থের কাছাকাছি একটা শব্দ তৈরি করে নিতে পারেন।

এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, গ্যানী ইসলামিক ফেসবুকীয় পণ্ডিতরা কেন বারবার ব্যকরন আর আরবী ভাষা জানতে বলে? আরো নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, উনারা কেন বিতর্কের সময় বলে যে, এটা দ্বারা ওটা বুঝানো হয়েছে, ওটা দ্বারা সেটা বুঝানো হয়েছে? এসব ত্যানা কেন প্রয়োজন হয় তাদের, এটা বুঝতে নিশ্চয় আর আরবীর পণ্ডিত হতে হবে না। আর আমাগো টাই বাবা জাকির নায়েকই বা কোন পদ্ধতির ভিত্তিতে কোরানের সাথে মিল করতে পারছে, এটা বুঝতেও নিশ্চয় সমস্যা হবার কথা নয়। এবার আসুন আরেকটু গভীরে।

ইসলামের আবির্ভাবের ঠিক আগের যুগেই আরব উপদ্বীপে আরবী ভাষার জন্ম হয় বাইজেন্টীয় গ্রীক ভাষা এবং ফার্সি ভাষা থেকে ধার নিয়ে। প্রাক ইসলামী আরব কবিরা আরবীর যে ভাষা ব্যবহার করত, তা ছিল অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মানের। আরবী ভাষাতে খুব সহজেই নিজের প্রয়োজনে শব্দ ও পরিভাষা তৈরি করা যেত এবং এখনো যায় এবং জাকির নায়েক বিজ্ঞানের সাথে মিল করনে যা ব্যবহার করে চলেছে অবিরত এবং পাবলিকদের মানুষ থেকে ধার্মিক বানিয়ে চলেছে। ইসলাম প্রচারকেরা তাদের ধর্ম প্রচার করতে আরব উপদ্বীপের সীমানা ছাড়িয়ে ৭ম শতাব্দীতে বেড়িয়ে পরে এবং প্রথমে দামেস্কে এবং পরে বাগদাদে রাজধানী স্থাপন করে। ঠিক এই সময় ভূমধ্য সাগরের তীরবর্তী বিশালএলাকা জুরে আরবী ভাষা, প্রধান প্রশাসনিক ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হত।

৯ম ও ১০ম শতাব্দীতে গ্রীক ভাষার বহু প্রাচীন বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক লেখাকে আরবী ভাষাতে রূপান্তরিত করা হয় এবং সেই সাথে আরবী চিন্তাবিদেরা তাদের নিজস্ব চিন্তা সংযোজন করতে থাকে। শুরু হয় জ্ঞান চর্চা এবং এর সূত্র ধরেই ইউরোপে মধ্যযুগের অবসান ঘটিয়ে রেনেসাঁসের সূচনা হয়। এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, কোরানিক ভুল ভাল বিজ্ঞানের তথ্য, যাকে বিজ্ঞান বললেও লজ্জা হয়, সেসব তথ্য মুহাম্মদ কোথা থেকে পেয়েছিল? হেরা গুহা পর্বতে তো আর এমনি এমনি চল্লিশ বছর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটায় নি। এসব বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা সমালোচনা কি তার কাছে পৌঁছাত না? যারা এখনো এরকম কথা বলে, তারাই মূলত ইসলামের শত্রু এবং সত্য গোপনকারী। ধীরে ধীরে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠির মানুষ এই ভাষার প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে এবং গড়ে উঠে এক বিশাল আরব সভ্যতা। ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী পর্যন্ত যারা রাজনীতি, বিজ্ঞান, দার্শনিক ইত্যাদি পড়তে বা আলোচনা করতে চাইত, তাদের জন্য আরবী ভাষা জানাটা ছিল বাধ্যতামূলক। তৎকালীন সময়ে যারা এরিস্টটলের দর্শন এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চা করত, তাদের জন্য আরবী জানাটা ছিল আবশ্যক।

আরবীকে সাধারণত ধ্রুপদী আরবী, আধুনিক লেখ্য আরবী এবং আধুনিক কথ্য আরবী এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল। ধ্রুপদী আরবী ৬ষ্ঠ শতক থেকেই প্রচলিত এবং এই আরবীতেই কোরান লিখিত। আল মুতানাব্বি ও ইবন খালদুন, দুজনেই ধ্রুপদী আরবীর বিখ্যাত কবি। আধুনিক লেখ্য আরবীতে আধুনিক শব্দ যোগ করা হয়েছে এবং প্রাচীন আরবী বর্জন করা হয়েছে। ধ্রুপদী আরবীর সাথে এর পার্থক্য খুব একটা বেশি নয়।
এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, সাম্প্রতিক বিজ্ঞানের শুক্রানু শব্দ কিভাবে কোরানের অর্থের সাথে জুড়ে গেল? কোরানিক এম্ব্রায়োলজিতে ডিম্বানুর কোন অস্তিত্ত এখন পর্যন্ত দেখা যায় না। তবে নিশ্চিত থাকেন যে, যেভাবে আরবী শব্দ উপশব্দ তৈরি হওয়া শুরু হয়েছে এবং আমাদের টাই বাবা যেরুপে কোরানের ব্যাখ্যা করে চলেছে, সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন কোরানের মধ্যে ডিম্বানুও দেখতে পাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ।

এরপরেও যেসব ইমানদার পাবলিক আরবীর অর্থ নিয়ে ত্যানা পেঁচায়। তাদের ডাইরেক্ট জুতা মারা উচিত। কেননা, এরা নিজের চিন্তাকেই ১০০% সঠিক বিবেচনার ভিত্তিতে বিতর্কে লিপ্ত হয়।
আল্লাহ সবাইকে শান্তি দিক, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা দূর হোক।

 ➽
সূরা: তেঁতুল
নাযিল: তেঁতুল গাছের মগডাল হতে নাযিলকৃত।
আয়াত: ১১
শুরু করছি তেঁতুল হুজুরের নামে।

১। হে বিশ্বাসীগন, তোমরা কি দেখো নি তেঁতুল নামক ফল, যাহা আরব ভূখন্ডের বাহিরে অবস্থানরত?

২। অবিশ্বাসী কাফের ও নাস্তিকগন হামেশাই বলিয়া থাকে যে, আল্লাহ কেন শুধু আরবের ফলমূলের নাম বলিল, অন্য দেশ বা মহাদেশের ফলের নাম কেন বলিল না।

৩। তুমি বলিয়া দাও, আল্লাহ তেঁতুল নামক ফল সৃষ্টি করিয়াছে, যাহা এক শ্রেনীর মানুষের নিকট অতি লোভনীয়।

৪। এমন কি আমি ইহাতে এমন লোভনীয় উপকরন মিশিয়েছি যে, ইহা যাহারা পছন্দ করে না, তাহারও এই ফলের নাম শুনিলে জিহ্বা লকলক করিয়া উঠিবে এবং নারী জাতি ইহা পাইবার আকুল আবেদন করিবে।

৫। ইহারই অনুরুপ লোভনীয় করিয়াছি নারী জাতিকে পুরুষের নিকট, যাহা ঈমানদারদের প্রত্যক্ষ হইলেই, তাহাদের ঈমানদন্ড লাফালাফি করিয়া উঠিবে।

৬। ইহাই তোমাদের জন্য ঈমানের পরীক্ষা এবং এমন হইলে মিলিত হইবে স্ত্রী অথবা দাসীর সহিত এবং যাহারা তোমার দক্ষিন হস্তের অধিকারী এবং রুচি পরিবর্তনের জন্য নবীর দেখানো পথে একাধিক বিবাহ করিতে পারো, কিন্তু জেনা হইতে সাবধান।

৭। আমিই মেঘমালাকে প্রবাহিত করি তেঁতুল গাছের দিকে এবং আকাশ হইতে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে থাকি, নিশ্চয় ইহাতে তোমরা খুঁজিয়া পাইবে পানিচক্র, তবে তা বিজ্ঞান আবিষ্কার করা পরে।

৮। কসম তেঁতুলের টক স্বাদের, তোমরা এই লোভনীয় ফলের সাথে নামকরন করিয়া কোন ব্যক্তিকে সম্বোধন করিও না।

৯। জান্নাতে তোমাদের জন্য থাকিবে এতো বিশাল তেঁতুল গাছ, যাহার দৈর্ঘ হইবে ৭০ হাজার বছর পথের সমান।

১০। জান্নাতি নারীদের প্রদান করা হইবে এরকম ৭০ হাজার তেঁতুল গাছ সমৃদ্ধ বাগান।

১১। তোমরা আল্লাহর কোন অবদানকে অস্বীকার করিবে?

মুসলিমদের মাত্রাতিরিক্ত ধর্মান্ধতার কারণ।



মুসলিমরা এতো উগ্র কেনো? মুসলিমদের মধ্যে মানবিকতা এতো কম কেনো? মুসলিমরা এতো হিংস্র কেনো? মুসলিম প্রধান দেশ গুলিতে অমুসলিম সংখ্যালঘুদের অবস্থা এতো শোচনীয় কেনো? মুসলিম সমাজে নতুন চিন্তা ভাবনার স্থান নেই কেনো বা প্রগতিশীলতায় মুসলিমদের এতো অনিহা কেনো? 
এই প্রশ্নগুলি এখন সারা বিশ্বের অমুসলিমদের তথা মানবিকতার সপক্ষের মানুষদের মুখে মুখে। আর হবে নাই বা কেনো! সারা দুনিয়ায় মুসলমানদের হাতে যে হারে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে, যেভাবে ইসলামিক উগ্রপন্থা সারা দুনিয়াকে ভয়ের আবহে নিমজ্জিত করে দিচ্ছে দিনকে দিন তাতে এই জাতীয় প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক। যদিও অতিত থেকে আজ পর্যন্ত মুসলমানদের হাতে অমুসলিমদের থেকে মুসলিমই বেশি খুন হয়েছে। অবশ্য এটাও অস্বীকার করার কোনো যো নেই যে, হিংস্রতা শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যেই দেখা যায় অন্য ধর্মাবলম্বীরা তুলসী পাতা। পৃথিবীর প্রতিটা ধর্মই কম বেশি হিংস্র, একসময় খ্রিষ্টীয় উগ্রপন্থা যেমন লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, তেমনই ১০০০০০+ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে মইসিসের হাতে। আর হিংস্রতায় হিন্দুরাও কোনোদিকে কম যায়না, মা কালীকে তুষ্ট করতে নরবলি, সতীদাহ, বা গুজরাত বাবরি আরও কত কি। আমার মতে- 'ধর্মের বয়স, তার বর্বরতার ব্যস্তানুপাতিক অর্থাৎ ধর্মের বয়স যত কম হবে তার অনুসারীদের মধ্যে বর্বর রীতিনীতি গুলি পালনের প্রবণতা ততই বেশি থাকবে'। কিন্তু উপস্থাপিত উদাহরণ গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুজরাত ও বাবরি বাদ দিলে বাকি উদাহরণ গুলি খুবই পূরানো। পশ্চিমের দেশগুলিতে উগ্রপন্থা তো উগ্রপন্থা ধর্ম জিনিশটিই অপশনাল হয়ে গেছে, হিন্দুদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য হারে উগ্রপন্থী মানসিকতার অবনমন ঘঠেছে বিগত কয়েক দশকে, 'সতীদাহ' বহুকাল আগেই জাদুঘরে পৌছে গেছে 'বলি' নামক কুপ্রথারও বিরোধীতা হচ্ছে কয়েক বছর ধরে।
এটা একুশ শতাব্দীর কম্পিউটার সেল ফোন ও উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক যুগ, সুতরাং বিজ্ঞান নির্ভর এই আধুনিক যুগে ধর্মান্ধতার কোনো যায়গা নেই আর তা বুঝতে পেরে একসময় হিংস্রতা ও ধর্মান্ধতায় নিমজ্জিত থাকলেও আজকের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মগুলি প্রগতিশীলতা ও উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এই আধুনিক যুগে বাস করেও ধর্মের অন্ধ সেবক হিসেবেই নিজেদের জীবন নষ্ট করছে মুসলিমরা, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
কিন্তু কেনো?
ইসলাম ধর্মটায় আলোকপাত করলে দেখা যাবে- ধর্মটি পুরোপুরি প্রগতিশীলতা বিরোধী। কিছুদিন আগে আমি ফেসবুকে একটি পোষ্ট করেছিলাম 'ইসলামে নাচ, গান, প্রেম, আঁকা, লেখা নিষিদ্ধ হলেও মুসলিমরা তা অনুসরন করে, কারণ বেশির ভাগ মুসলিমই মানসিক ভাবে অসুস্থ' আপনারা হয়তো লক্ষ করেছেন ধর্মান্ধ মুসলিমরা আমাকে গালি দিলেও আমার কথা গুলি মিথ্যা প্রমান করতে পারেনি, আর পারবেই বা কি করে! আমি কি ভুল কিছু বলেছি! আমি যে ভুল কিছু বলিনি তা তারাও খুব ভালো করে জানে।

তাছাড়া ইসলাম তার অনুসারীদের মাঝে রোপন করে বিধর্মী ও নাস্তিকদের প্রতি সীমাহীন ঘৃণার বীজ। ধর্মনিরপেক্ষতাসহ একাধিক মানবিক কাজকে ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার পরেও পৃথিবীর অন্যান্য ধর্ম গুলির মতন ইসলামেরও এহেন বস্তা পঁচা আদেশ নির্দেশ গুলিকে Tolerate করা যায় কারণ হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা, উগ্রতা, মুক্তচিন্তা বিরোধী অবস্থান না নিলে ধর্মেরই বা চলবে কিভাবে! মানুষ যদি একে অপরকে ঘৃণা না করে তাহলে তো  মসজিদ, মন্দির নামক দোকান গুলোতে তো তালা পড়ে যাবে। কিন্তু অসুবিধা তখনই হয় যখন এই কুবাক্য কুনির্দেশ গুলিকে ধর্ম শিক্ষার(মাদ্রাসা) নামে কোমলমতি শিশু গুলির মনে নেশার ইঞ্জেকশনের মতন ঢুকিয়ে দিয়ে বিষাক্ত করা হয় তাদের মনকে পুরোপুরি নষ্ট করে দেওয়া হয় তাদের মুল্যবোধ ও বিচারবোধকে। এই প্রসঙ্গে একটি আয়াত উল্লেখ করা যাক-

সুরা আল ইমরান(মদিনায় অবতীর্ণ) আয়াত সংখ্যা-২৮

  يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَن تَتَّقُواْ مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللّهِ الْمَصِيرُ  
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। 
Let not the believers Take for friends or helpers Unbelievers rather than believers: if any do that, in nothing will there be help from Allah. except by way of precaution, that ye may Guard yourselves from them. But Allah cautions you (To remember) Himself; for the final goal is to Allah. 

পাঠক একবার ভাবুন যখন কোনো শিশুকে এই আয়াতটি পড়ানো হবে এবং তাকে বলা হবে- 'বাবা এটি আল্লাহর বানী যা পালন করা তোমার ফরজ আর যদি পালন না কর তাহলে দোজখে যাবে। যেখানে তোমাকে গরম তেলে ফ্রাই করা হবে, শূলে চড়ানো হবে, আগুনে পোড়ানো হবে, না
জানি আরও কত কি! তখন সেই শিশুটির মনোজগতে কি প্রভাব পড়বে! শিশুদের বলা হয় কাঁচা মাটি যাদের যেমন আকার দেওয়া যায় তেমনই আকার ধারণ করে, আপনার কি মনে হয়? শিশুটি এই শিক্ষা পেয়ে কি ধরণের আকার ধারণ করবে? শুধু মাদ্রাসাতেই না অধিকাংশ  মুসলিম পরিবারেই শিশুদের দেওয়া হয় এই জাতীয় শিক্ষা। যে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারে শিশুদের আধুনিক ও মানবিক শিক্ষা দেওয়া হয় যদিও তারা পরবর্তীকালে ইসলামের ছত্রীতল থেকে বেড় হয়ে আসে, অবশ্য বেড়িয়ে এসেও তাদের শান্তি নেই কারণ যেই শিশুরা ইসলামের যাঁতাকল থেকে বেড় হতে পারেনি তাদের তলোয়ার সর্বদা এদের গলার আসেপাশে ঘুরতে থাকে, আজকেই তো এক মোল্লা কি নোংরা ভাষায় তারিক স্যারকে ব্যক্তিগত আক্রমন করছিলো, যা দেখে আমার নিজেরই মাথা হেট হয়ে যাচ্ছিলো লজ্জায়।
কিন্তু দোষ কার? সেই শিশুটির! যে ভালো মন্দ বোঝার আগেই পেয়েছে মূল্যহীন ও একই সাথে ভয়ঙ্কর ধর্ম শিক্ষা যা তাকে মানুষ বানানোর আগেই বানিয়েছে পশু, সে কি দোষী? নাকি দোষী ওই মোল্লা গুলো? যারা ধর্ম বিক্রির দোকান খুলে কলুষিত করছে সমাজ, নাকি দোষ সরকারের? যারা সব জেনে শুনেও এইসবের অনুমোদন দেয়।
উত্তরটা আপনার সামনেই.....



➽ পর্নোগ্রাফির বড় বাজার সৌদি আরব - https://www.jagonews24.com/international/news/326908

➽ সাত দিনের বিলাসিতায় সৌদি প্রিন্সের ব্যয় সাড়ে ৪ কোটি টাকা-