১.
কোলকাতার ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’ এর একটা গান আছে , গীতগোবিন্দ নামে । এই গানের প্রথম লাইনগুলো এরকম-
তোমাকে দেখাব নায়াগ্রা/তোমাকে শেখাব ভায়াগ্রা
তোমাকে করব আদর আত্মি যত্নম
ওগো ত্বমসি মম জীবনং, ত্বমসি মম ভূষণং
ত্বমসি মম ভব জলধি রত্নম।।
তোমাকে শোনাবো জয় গোঁসাই, তোমার বাবাকে মেসোমশাই
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
আরে, আজি এ পরাণে রবির কর কেমনে জাগালো ডাইনোসর
হাউমাউ বেগে দেখি প্রিয়া মুখচন্দা!
দারুণ কাটলে ছোট্ট চুল, বোতাম আঁটতে করছো ভুল
সরু সংসারে কেমন ফুটিলে উদারা
স্মারগারলা খাণ্ডনাং ত্বম শিরসি মাণ্ডানাং
দেবী দেহিপদপল্লবমুদারম্।
আগে ভাবতাম , এই ত্বমসি মম জীবনং লাইন গুলা
হয়তো পপুলার কোনো তামিল সিনেমার ডায়লগ । কিছুদিন আগে ভুল ভাংল । এগুলো আসলে
জয়দেবের লেখা গীতগোবিন্দ নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া । জয়দেব এই
গীতগোবিন্দ লিখেছিলেন ১৫০০ সেঞ্চুরিতে । সেই সময়কার ত্বমসি মম জীবনং ৫০০
বছরের বিবর্তন পেরিয়ে বাংলা ভাষায় এখন ‘তুমি আমার জীবন’ হয়েছে ।
২.
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম উদাহরন হিসেবে
চর্যাপদ কে সবাই উল্লেখ করেন । ড মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদ লেখা
হয়েছিল ৬৫০ সাল থেক ১২০০ সালের মধ্যে । ড সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এর মতে,
চর্যাপদ লেখা হয়েছিল ৯৫০ থেকে ১২০০ এর মধ্যে । এই চর্যাপদের ২ টা লাইন
শুনুন ।
দিবসহি বহুড়ী কাউ হি ডর ভাই
রাতি ভইলে কামরূ জাই ।
এই কবিতার বর্তমান সময়কার বাংলা ভাবানুবাদ
হচ্ছে, গৃহবধূ দিনের বেলায় কাকের ডাক শুনলেই আতকে ওঠে । কিন্তু গভীর রাতে
সেই মেয়েই কামরুপে ডেটিং করতে চলে যায়
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মূল চর্যাপদ বইটা খুজে
পাননি । তিনি পেয়েছিলেন চর্যাপদের হাতে লেখা একটা অনুলিপি , আর সেই সাথে
সংস্কৃত ভাষায় লেখা কবিতাগুলোর ব্যাখ্যা/টীকা । মূল চর্যাপদে ৫১ টা কবিতা
ছিল, কিন্তু উদ্ধার করা চর্যাপদের কপিতে সাড়ে ৪৬ টা কবিতা আছে । বাকি
কবিতাগুলো হারিয়ে গেছে ।
চর্যাপদ নিয়ে যারা দীর্ঘদিন গবেষনা করেছেন
,যেমন সুকুমার সেন, ড মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ড সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
ইত্যাদি, তারা সংস্কৃত অনুবাদ দেখে দেখে মিসিং কবিতাগুলো লিখে ফেলেছেন ,ওই
১২০০ সালের চর্যাপদের ভাষাতেই । মূল কবির কবিতার মত অবশ্যই হবেনা, কিন্তু
নিশ্চিতভাবেই এই কবিতাগুলো মূল কবিতার অনেক কাছাকাছি পৌছেছে ।
৩.
উইলিয়াম শেকস্পিয়ার তার নাটক/নভেল লিখেছিলেন
১৬০০ সেঞ্চুরিতে । তার সময়কার ইংরেজির সাথে বর্তমান সময়কার ইংরেজির বেশ
কিছু পার্থক্য চোখে পড়ে । তার নাটকে thou, thee,ye এই শব্দ গুলো ঘন ঘন চোখে
পড়ে । ইংরেজি ভাষায় এখন এই শব্দগুলো নেই । এই সব শবই রিল্পেস হয়ে এখন
একটিমাত্র শব্দ এসেছে, সেটা হচ্ছে You
শেকসপিয়ারের নাটকে That can I মানে হচ্ছে এখনকার I Can
শেকস্পিয়ারের Naught মানে এখনকার Naughty . আরো পার্থক্য দেখার জন্য নিচের ৫ আর ৬ নাম্বার রেফারেন্সে ক্লিক করুন
৪.
বেডরুম সিনেমাতে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যবহার
করা হয়েছে । মায়াবন বিহারিনী হরিনী টাইটেলের একটা অংশে মূল রবীন্দ্রনাথের
লেখা গানের লিরিকের একটি জায়গায় পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে । গায়িতা সোমলতা
এখানে গেয়েছেন , থাক থাক নিজ মনে দূরেতে । মূল রবীন্দ্রসঙ্গীতে ছিল, থাক
থাক নিঝুম নিধুরেতে ।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনেক শব্দ আমাদের কাছে এখন
অপরিচিত হয়ে গেছে । একটি খুব জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত হচ্ছে, এসো নীপবনে
,ছায়া বিথী তলে এসো করো স্নান নব ধারা জনে এসো নীপবনে।’ আচ্ছা আপনি কি
জানেন নীপ শব্দের অর্থ কি ?
সম্ভবত জানেন না । আমি বলে দেই, নীপ মানে কদম
গাছ । রবীন্দ্র সঙ্গীতে দুর্বোধ্য শব্দ রিপ্লেস করে বর্তমান সময়ে প্রচলিত
শব্দ ব্যবহার করলে আরো বেশি মানুষের কাছে এই গান সহজবোধ্য হবে ।
৫.
বংকিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর জন্ম ১৮৩৮ সালে,
মৃত্যু ১৮৯৪ সালে । ১৮৬৬ সালে তিনি কপালকুন্ডলা নামে একটি বই লিখেন ,
বাংলা ভাষায় । বর্তমান সময়ের যেকোনো পাঠক সেই বইটা পড়ার চেষ্টা করলে তার
দাত ভেঙ্গে যাওয়ার মত অবস্থা হবে ।
কিছুদিন আগে সেবা প্রকাশনী থেকে নিয়াজ মোর্শেদ এই কপালকুন্ডলা কে ‘অনুবাদ’ করে প্রকাশ করেছেন ,২০০০ সালের বাংলা ভাষায়।
৬ .
মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষা । আজ আমরা
যে ভাষায় কথা বলছি, কয়েকশো বছর পরে আমাদের নাতি নাতনিদের কাছে এই ভাষা হয়ে
যাবে দুর্বোধ্য । কোনো কারনে মূল টেক্সট যদি অবিকৃত রাখা হয়, তাহলে টেক্সট
টিকে থাকবে ঠিকই ,কিন্তু সেই ভাষায় কথা বলা মানুষ থাকবে না । চর্যাপদ পুথি
টিকে আছে, কিন্তু সেই ভাষা টিকে নেই ।
বেদের মন্ত্রগুলো বিয়ে পড়ানো আর শ্মশানে কাজে
লাগত । সংস্কৃত ভাষার এই মন্ত্রগুলো তাই একসময় মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে
গেল। মানুষ এখন আর কেউ এই ভাষায় কথা বলে না, কেউ বোঝেও না ।
কিন্তু মানুষের কাজে লাগে যে সাহিত্য,সেটা
মানুষ নিজের প্রয়োজনমত এডপ্ট করে নেয় । খনা ছিলেন ৮০০ সেঞ্চুরির মেয়ে ।
কৃষি বিষয়ক কিছু কবিতা বলে গিয়েছেন তিনি । এই কবিতাগুলো খুব কাজের । এই
কবিতা শুনে শুনে কৃষক তার ফসলের দিক নির্দেশনা পায় ।
একটি খনার বচন বলি।
১৬ চাষে তুলা
তার অর্ধেক মূলা
তার অর্ধেক ধান
বিনা চাষে পান ।
আমার বাবা আমাকে এই ছড়া শুনিয়েছিলেন । আমি
যখন আমার বাচ্চাকে এই ছড়া শিখাতে যাব, তখন কমবেশি ৫০ বছরের ডিফারেন্স থাকবে
। আমি তখন বাচ্চাটাকে শিখাবো, ১৬ চাষে তুলো, তার অর্ধেক মূলো । ৫০ বছরের
ব্যবধানে তুলা হয়ে গেছে তুলো । যত বেশি সময় যাবে ভাষার পরিবর্তন তত বেশি
হবে ।
খনার বচন যেহেতু মানুষের প্রাকটিকাল কাজে
লাগে, তাই এটি প্রতি সেঞ্চুরিতেই আপডেটেড হয়েছে মানুষের মুখে মুখে । তাই
খনার বচনকে আমরা ২০১৭ সালের ভাষাতেই পাচ্ছি, কিন্তু গীতগোবিন্দ বা
চর্যাপদকে ১২০০ সালের ভাষাতে পাচ্ছি ।
৭.
প্রপচলিত মিথ অনুযায়ী, আল্লাহ লওহে মাহফুজ
নামক আসমানের কোন এক জায়গায় কোরান লিখেছিলেন । পরে ৬০০ সেঞ্চুরিতে কিস্তিতে
কিস্তিতে এটা মহানবীর মাধ্যমে নাজিল হয় ।
লওহে মাহফুজে যে কোরান লেখা হয়েছিল, সেটা কত
সালে লেখা ? হায়ারোগ্লিফিকস এর আমলের ভাষা দিয়ে লেখা ? নাকি প্রাচীন আরবী
ভাষার কোনো এক ফরম্যাটে লেখা ?
নাকি ৬০০ সালের আরবী গ্রামার ফলো করেই আল্লাহ লওহে মাহফুজে কোরান লিখেছিলেন ?
অন্য সকল ভাষা যেহেতু সময়ের পরিক্রমায় চেঞ্জ
হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আরবীও নিশ্চয়ই চেঞ্জ হচ্ছে প্রতিনিয়ত । ৬০০ সালের আরবী
ভাষা বর্তমানে প্রচলিত আরবীর পাশে কতটা প্রাচীন ?
দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমি আরবি দেখে দেখে উচ্চারন করতে পারি , কিন্তু আরবি পড়তে পারি না
। ( না বুঝে বুঝে আরবি রিডিং পড়তে পারি, কিন্তু ইংরেজি যেভাবে বুঝে বুঝে
পড়তে পারি,সেভাবে আরবি পারিনা) একারনে শেক্সপিয়ারের নাটক পড়েই তুলনা করতে
পারি বর্তমানের ইংরেজি ভাষার সাথে, কোরানের আরবি এবং ইন্টারনেটে এভেইলেবল
আরবি নিউজপেপারের আরবির মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারছি না । (একটা পার্থক্য
চোখে পড়ছে, বর্তমান আরবিতে জের যবর পেশ দিয়ে বানান লিখছে না )
৮.
আল কোরানের সূরা হিজর এর ৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
We have, without doubt, sent down the Message; and We will assuredly guard it
দাবি করা হয় যে, লওহে মাহফুজে যেভাবে যে
ল্যাঙ্গুয়েজে কোরান লেখা ছিল, বর্তমানেও কোরান অবিকৃত অবস্থায় আছে । এর
মানে কি এই যে আরবি ভাষার কোনো চেঞ্জ হয়নি ? অনাদিকাল থেকে কোরানের
ল্যাঙ্গুয়েজ ধরে রাখার জন্য এই ভাষায় কোনো বিবর্তন আসেনি ?
ভাষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা অসম্ভব ।
সব ভাষাই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় । তাহলে , আরবি ভাষা যদি
পরিবর্তিত হতে থাকে, এবং কোরানের টেক্সট যদি একই থাকে, তাহলে দিনে দিনে
কোরানের ভাষা মানুষের জন্য দুর্বোধ্য হয়ে যাবে । মূল কোরান কেউ বুঝতে পারবে
না । কপালকুন্ডলা বই এর মত কোরানের আরবি অনুবাদ করে আরব দেশের লোকদের অর্থ
বুঝতে হবে ।
কিন্তু কোরান অনুযায়ী এটা সম্ভব নয় । কারন
আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয়ই আমি কোরানকে অবতীর্ণ করেছি সহজ সরল ভাষায়, যেন
তোমরা বুঝতে পারো । মানে , এই আয়াত অনুযায়ী, কোরান কখনো দুর্বোধ্য হবেনা ।
৯.
কোরানের সূরা নাজিয়াত এর ৩০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে , أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءهَا وَمَرْعَاهَا
প্রাচীনকালে এই আয়াত এর অনুবাদ করা হতো এভাবে
যে, অতঃপর তিনি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন । [রেফারেন্স ১১] যখন মানুষ
বিশ্বাস করতো যে পৃথিবী সমতল, তখন এই অনুবাদ নিয়ে কেউ হাউকাউ করেনি । যখন
প্রমানিত হল যে পৃথিবী গোল, তখন এই আয়াতের অনুবাদ পালটে হয়ে গেল, অতঃপর
তিনি (আল্লাহ) পৃথিবীকে দান করেছেন ডিম্ব আকৃতি।’ [রেফারেন্স ১২]
একইভাবে হাবল এর পর্যবেক্ষনের পরে যানা গেল
যে মহা বিশ্ব সম্প্রসারনশীল । তখন কোরানের কিছু আয়াত মডিফাই করে স্থির
মহাবিশ্বকে সম্প্রসারনশীল বানানো হল অনুবাদের মারপ্যাচে । বিগ ব্যাং এর
সপক্ষে বলার মত করে কোরানের অনুবাদ মডিফাইড হল
১০.
সুকুমার সেন এর মত চর্যাপদ বিশেষজ্ঞ না হলে
তার অনুবাদ/রিমেক এর ভুল ধরা সম্ভব নয় । একইরকমভাবে যারা প্রাচীন আরবি নিয়ে
গবেষনা করে, তারা প্রতিনিয়ত কোরানের নতুন নতুন অর্থ বের করে নিয়ে আসে ।
প্রাচীন আরবি না জানার কারনে আমরা তাদের কথার প্রতিবাদ করতে পারিনা ।
এই সুযোগে কেউ যদি নিজেকে ‘প্রাচীন আরবী ভাষা
বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে দাবি করে কোরানের নতুন নতুন ব্যাখ্যা দিতে থাকে, তাহলে
তার বিরুদ্ধে বলার কিছু থাকেনা । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ধর্মীয়ভাবে
পপুলার ব্যক্তিরাই ‘প্রাচীন আরবি বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে আবির্ভূত হয়, ওই ভাষা
নিয়ে তার গবেষনা থাকুক বা নাই থাকুক ।
উদাহরন হিসেবে ডাক্তার জাকির নায়েকের কথা বলা
যেতে পারে । তিনিএমবিবিএস ডাক্তার । এর বাইরে তুলনামূলক ধর্ম তত্ত্ব কিংবা
প্রাচীন আরবি নিয়ে কোনো লেখাপড়া নেই । অথচ তিনি দাবি করেন , কোরানে বর্নিত
হূর শব্দের অর্থ,আয়ত লোচন বিশিষ্ট প্রানী । ছেলে কিংবা মেয়ে উভয় জেন্ডারের
হুর আছে । বেহেস্তে গিয়ে ছেলেরা ৭০ পিস মেয়ে হুর পাবে, আর মেয়েরা ৭০ পিস
ছেলে হুর পাবে । (এতদিন ধরে আগের আরবি বিশেষজ্ঞরা আমাদের বলে এসেছেন, হুর
কেবলমাত্র মেয়ে জেন্ডার । ছেলে হুর নামে কিছু নেই)
রেফারেন্স-
১। চন্দ্রবিন্দুর গাওয়া গীতগোবিন্দের ইউটিউব ভিডিও https://www.youtube.com/watch?v=K8rR_VvOXXo
২। এই গানের লিরিক
৩। মূল গীতগোবিন্দ ডাউনলোড লিংক
৪ । গীতগোবিন্দের বাংলা অনুবাদ
৫। শেকস্প্যারের নাটক
৬। শেকস্পিয়ারের সাহিত্য কেন এত কঠিন ?
৭। বেডরুম সিনেমার মায়াবন বিহারিনী
৮। নিঝুম নিধুরেতে শব্দ ওয়ালা লিরিক
৯। নিয়াজ মোর্শেদের অনুবাদ করা কপালকুন্ডলা –
সেবা প্রকাশনীর ওয়েবসাইট নেই ।অন্য কোথাও
থেকে বইটার ডাউনলোড লিংক পাচ্ছিনা । তবে কিছু কিছু জায়গায় বইটার নাম পাচ্ছি
।যেমন-এই ওয়েবসাইট । এখানে ডাউনলোড করার অপশনও দেওয়া আছে,কিন্তু হচ্ছেনা ।
উপর থেকে ২৭ নাম্বার বইটা এখানে কপালকুন্ডলা http://www.bdeboi.com/2016/11/bangla-onubad-boi-ebooks-pdf.html
১০। আল জাজিরা নিউজ মিডিয়ার আরবি ওয়েবসাইট
১১। সূরা নাজিয়াত এর পুরনো অনুবাদ
১২। সূরা নাজিয়াত এর নতুন অনুবাদ