Wednesday, August 17, 2016

ইসলামী দাসপ্রথা পর্ব-১-,২



লিখেছেন-Mohammad Nilhan Chowdhury


কোরান হাদিসে দাসপ্রথার অনুমতি ও উৎসাহ প্রদান

মনে করুন দেশে ইসলামী খেলাফত চলছেআপনি ইসলামী যৌনদাসী মার্কেটে গেলেন সেখানে দোকানের ভিতর সুন্দরী মেয়েরা কেউ দাঁড়িয়ে কেউবা হেটে নিজেদের রুপ-সৌন্দর্য আর দেহসৌষ্ঠব প্রদর্শন করছেমেয়েগুলোর মুখ, ঠোট, স্তন, কোমর ইত্যাদি আকর্ষণীয় অঙ্গগুলো আপনি টিপেটিপে দেখা শুরু করলেন অথচ কেউ কোন প্রতিবাদ করছেনা কিছু বলছেনা ঠায় সহ্য করেই যাচ্ছে . . . .
হ্যা, এই মেয়েগুলো ইসলামী আইনে যৌনদাসিযেগুলো একদম নতুন ভার্শন মানে যেগুলোর ভার্জিনিটি আছে সেগুলোর দাম অনেক বেশিমুখ, ঠোট, স্তন সহ দেহের বিভিন্ন অংশ টিপেটুপে চেক করে আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী একটা মেয়েকে কিনে আনলেন কিছুদিন ইচ্ছেমত ব্যবহার করে আর এইটাকে ভাল্লাগছেনা তো এখন এইটা বিক্রি করে দিয়ে নতুন আরেকটা কিনে আনুন
শুধুমাত্র খাঁটি কোরানের আইনে পরিচালিত ইসলামীক কল্পরাজ্যে (উটোপিয়া) এইসবই সম্ভব
কোরানে সর্বমোট অন্তত চারটি আয়াতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধে পরাজিত পক্ষের সকল অবিশ্বাসী নারীগণকে দাসী রাখা এবং তাদের সাথে যৌনাচার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে (দেখুন কোরান ৩৩. ৫০, ২৩.৫-৬, ৭০.২৯-৩০, ৪.২৪, ৮.৬৯) হাদিসের কথা না হয় বাদই দিলাম যদিও এইসব আয়াতের তাফসীরে অসংখ্য হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে যুদ্ধে পরাজিত অবিশ্বাসীগণের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির ন্যায় তাদের স্ত্রী এবং কন্যাগণও যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুসলমানগণের সম্পত্তিরুপে বিবেচিত হবে একটা হাদীস পড়ুন-
বুখারীঃ ২৩৭৩ আলী ইবনু হাসান ইবনু শাকীক (রাঃ) এবং ইবনে আউন (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন আমি নাফি (রাঃ) পত্র লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমাকে জানালেন যে বনী মুস্তালীক গোত্রের অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনা করা হয়তাদের গবাদিপশুকে তখন তারা পানি পান করাচ্ছিলোতিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা করলেন এবং নাবালক এবং নারীদের দাস হিসেবে বন্দী করেনএই ঘটনায় যৌনদাসী ধর্ষণের নির্দেশনা আরো হাদিসে আছে রেফারেন্স থেকে খুঁজে পড়ুন (অন্যভাবে ইংরেজি অনুবাদে পড়ুন বোখারী ৫.৫৯.৪৫৯, অন্যভাবে পড়ুন বোখারী ৩৪.৪৩২, বোখারী ৬২.১৩৭)
এমনকি যুদ্ধে লব্ধ বন্দি নারীদের তাদের জীবিত বন্দী স্বামীর উপস্থিতিতে মুসলিম যোদ্ধাদের মধ্যে ভাগ ভাটোয়ারা করে যৌনদাসী হিসেবে নিয়ে নেওয়া যাবে ইসলামী আইনে যুদ্ধে বন্দি হওয়ার ফলে যুদ্ধবন্দি স্ত্রীদের তাদের স্বামীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের বিলোপ ঘটেতাই বিজিত অঞ্চলের নারীগণকে তাদের স্বামী-সন্তানের উপস্থিতিতেই ভোগ করা যাবে
কোরান ৪.২৪-এ আল্লাহ বলেছেনঃ "এবং (তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে) সকল সধবা নারী কিন্তু তারা ব্যতীত যাদেরকে তোমাদের দক্ষিণহস্ত দখল করেছে। "
এই আয়াতের শানে নুযুলে আবু দাউদ ১১২১.৫০ হাদিসে আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণিতঃ "আল্লাহর রাসুল হুনাইনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আওতাসে একটি যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করেনতারা শত্রুদের (আওতাসবাসীদের) মুখোমুখি হন এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করেতারা তাদের পরাজিত করে তাদের বন্দী করেনসাহাবাগণ বন্দী নারীদের সাথে তাদের জীবিত স্বামীদের উপস্থিতিতে যৌনমিলন করতে দ্বিধান্বিত হয়ে এর থেকে বিরত ছিলেন তাই এইসময় মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ কোরান ৪.২৪-এ এই সম্পর্কিত নির্দেশ দেন যে যুদ্ধবন্দীনী নারীগণ ব্যতীত সকল সধবা স্ত্রীলোক আমাদের জন্য হারাম।"
[এই হাদিসটি আরো পড়ুন সহীহ মুসলিম ৮.৩৪৩২]
তো বন্দিনীদের সাথে সাথে তাদের জীবিত স্বামীদের উপস্থিতিতেই যৌনমিলন তথা তাদেরকে ধর্ষণের অনুমতি পাওয়ার পর কি হলো আমরা সাইদ খুদরির মুখেই বোখারীর আরেকটি হাদিস থেকে শুনি
বোখারী ৫.৫৯.৪৫৯-এ মুহাইরিজ বর্ণিতঃ আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবু সাইদ খুদরীকে দেখতে পেয়ে তার পাশে বসে তাকে "আজল" সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম (যৌনমিলনের সময় স্ত্রীযোনিতে বীর্য না ফেলে বীর্যপাতের পূর্ব মুহুর্তে পুরুষাঙ্গ স্ত্রীযোনী থেকে বের করে বাইরে বীর্যপাত করাকে আযল বলেপূর্বে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রুখতে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হতো)
 
আবু সাইদ খুদরী বললেনঃ "রসুলের সাথে বনু মুস্তালিকের যুদ্ধ অভিযানে আমরা অনেক যুদ্ধবন্দী পেলামআমরা চাচ্ছিলাম ওই বন্দিনীদের সাথে আযল করতে (যাতে ওরা গর্ভবতী না হয়ে পড়ে)তখন আমরা বললাম আমরা আল্লাহর রসুলকে কোনো জিজ্ঞেস করিনা যে আযল করবো কিনা? তখন রসুল বললেন তোমরা আযল না করলেও চলবে কারণ কিয়ামত পর্যন্ত যাদের জন্ম নির্ধারিত তাদের জন্ম হবেই

হুনাইনের যুদ্ধে জয়ী হয়ে পরাজিত অঞ্চলের নারীগণের স্বামী-সন্তানের উপস্থিতিতেই উনারা নারীগণকে যৌনদাসী হিসেবে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং কোরানে এই ধর্ষণের অনুমতি এবং তাতে উৎসাহ দিয়ে আয়াতও নাযিল হয়এই ঘটনাদি বোখারী ৫.৫৯.৪৫৯ হাদিস এবং সহীহ মুসলিম ৮.৩৪৩২-তেও পড়ুন
 
♦♦♦ [যেকেউ পড়ুন, তাফসীর কাসীর, তাফসীর ইবনে জালালাইন এবং তাফসীর ইবনে আব্বাসেও আলোচ্য ৪.২৪ আয়াতের তাফসীরেও একই বর্ণনা পাবেন।]
এছাড়া পড়ুন ইবনে কাতির - আব্দুল রাহমান পর্ব-৫, পৃষ্টা -১৪, ★ উমদাত আল সালিক ০৯.১৩ )
(আরোও দেখুন বোখারী - ৮০:৭৫৩, ৫২:২৫৫, ৪১:৫৯৮, ৬২:১৩৭, ৩৪:৪৩২, ৪৭:৭৬৫, ৩৪:৩৫১, ৭২:৭৩৪, ৫৯:৬৩৭, ★ মুসলিম - ৩৯০১, ৪৩৪৫, ৪১১২ আবু দাউদ - ২১৫০, ১৮১৪, ★ ইবনে ইসহাক ৬৯৩, ৭৩৪ সহ আরো অনেক)

নবীজী একের পর এক নিরীহ গোত্রগুলোতে হামলা লুণ্ঠন চালিয়ে ওদের সকল পুরুষদের খুন করে নারী আর শিশুদের কৃতদাস যৌনদাসী হিসেবে আটক করে ভাগবাটোয়ারা করেন কিন্তু একপর্যায়ে আটককৃত কৃতদাস-যৌনদাসীর পরিমাণ নিজেদের চাহিদার চেয়েও বেশি হয়ে গেলে তিনি সেগুলো আরবের বাইরে দাসব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রির বন্দোবস্ত করেন
 
আত্বসমপর্ণকৃত অসহায় গোত্র বনু কুরায়জার হাজারখানেক পুরুষ খুন করার পর তাদের নারীদের নিজেদের মধ্যে যতোখুশি ততো ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার পরও আরোও অনেক নারী-শিশু থেকে যায় যাদেরকে আরবের বাইরে নিজের দাস ব্যবসার প্রথম চালান হিসেবে পাঠিয়ে নিজের এবং পরবর্তীকালে তার অনুসারীদের জগৎজোড়া দাসব্যবসার বিশাল নেটওয়ার্ক এর সূচনা করেনএই ঘটনাটি আমরা বরং হাদিস থেকে সরাসরি শুনি

"অতঃপর আল্লাহর রাসুল সাদ ইবনে যায়েদ আল আনসারীকে বনু কুরায়জার হতে আটককৃত কৃতদাসীদের নিয়ে গঠিত এক কৃতদাসীর চালান নজদে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাঠান এবং তিনি সেগুলো অশ্ব এবং অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময়ে বিক্রি করেন। [ সীরাতে রাসুল, ইবনে ইসহাক ৬৯৩]
বোখারী ২৩৬৬ নং হাদীসে আমরা আবার মজার এক দৃশ্য দেখি, পরিবারের দুই জন পুরুষ আপন দুই ভাই যৌনদাসীর সাথে সেক্স করে বাচ্চার জন্ম হলে পরিবারে টানাপোড়ন সৃষ্টি হয় যে বাচ্চাটা দুজনের মধ্যে কার ঔরসজাতকেউই এই উটকো ঝামেলা নিতে চাচ্ছিলেননাঅস্বীকার করে যাচ্ছিলেন যে বাচ্চা তার ঔরসজাত নয় এই নিয়ে রসুলের কাছে যাওয়ার পর রসুল তাদের দুজনের মধ্যে বাচ্চার চেহারার বেশি মিল যার সাথে মনে হলো তার কাঁধে বাচ্চার দায়িত্ব তুলে দেন
এখন কথাহলো মুমিনদের জন্য দাসী ভোগ হালাল করাটা কি এতোটাই অত্যাবশ্যকীয় ছিলো যে এই কোরান ক্ষুদ্র পুস্তকের মধ্যে চার-চারটিবার তাদের উপর যৌনকার্য করা জায়েজ করা হলো?? অথচ মজার ব্যাপার হলো কোরানে "পাঁচবার" সালাত আদায়ের কথা একবারও উল্ল্যেখ করা হয়নি (সালাত আদায় করতে বলা হয়েছে কিন্তু কিভাবে, কতোবার এইসব কিচ্ছু বলা হয়নি) নামাজের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়ার জায়গা কোরানে নেই কিন্তু চার-চারবার যৌনদাসীদের মুমিন বান্দাদের জন্য হালাল নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে অগণনীয় অসংখ্য যৌনদাসী সম্ভোগ এবং বেচাবিক্রি থেকে প্রিয় মুমিন বান্দারা যাতে বঞ্চিত না হোন

ইউএন ইউনিভারসাল হিউম্যান রাইটস ঘোষণার পর সকল মানুষের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং মানুষ কেনাবেচা নিষিদ্ধ হওয়ার পর জাতিসংঘের সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক তীব্র চাপের মুখে আরব বিশ্বের রাষ্ট্র সমূহে ১৯৬০ এর দিকে দাসপ্রথার শরীয়া আইন রাষ্ট্রীয়ভাবে বিলোপ করতে বাধ্য হয় তথাপি আজ পর্যন্ত আরব বিশ্বে দাসপ্রথা সামাজিকভাবে শরীয়া আইন হিসেবে স্বীকৃত

পত্রিকা খুললেই পাবেন সৌদিআরব, সিরিয়া, ইউএইতে যাওয়া মহিলাদের সবাইই আরবীয়দের দ্বারা যৌন নিগ্রহের শিকার হয়ে মুখ খুলে এতোটুকুই বলেন যে এইখানে আরব পুরুষদের যৌনদাসী হওয়া থেকে দেশে ভিক্ষা করাই ভালো ছিলোঅসভ্য ইতর আরবদেশীয় মুসলমানরা নারীশ্রমিকদের নিজেদের দক্ষিণহস্তের অন্তর্গত মনে করে দিনভর গাধারখাটুনি খাটায় আর রাতের বেলা বাপ ছেলে মিলে রীতিমতো টানাহেঁচড়া করে আজকের রাত খাদিমাকে কার বিছানায় নিবে তাই নিয়ে
বাপ-ছেলে আর ভাই ভাইয়ে মিলে এক যৌনদাসীকে নিয়ে টানাহেঁচড়া ইসলামের ইতিহাসে পুরনো ঐতিহ্যকয়েকদিন আগেও দেখলাম সিরিয়ায় দামেস্কে যাওয়া নারী শ্রমিক প্রথম আলোর রিপোর্টারকে বলছেন যে মালিক মহিলা ঠিকমতো খেতেও দেয়না আর বলে ওরা নাকি কিনে নিয়েছে এমনকি প্রথম আলোর রিপোর্টারকে ওই নারীশ্রমিকের গৃহকর্ত্রী ফোনে এই কথাই বলে ফোন রেখে দেয় যে ওরা নাকি শ্রমিকদের কিনে নিয়েছে তাই যা খুশি তাই করবে

আরবীয় সমাজে এখনো এই বিষয় বোধগম্য হয়নি যে মানুষ কেনা বেচা করা যায়না আর কেনোইবা তারা বুঝতে যাবে কারণ তাদের নিজের ভাষায় লিখা কোরান-হাদীসে স্পষ্টত লিখা দেখতে পাচ্ছে যে দাসদাসী কেনা বেচা ইসলামী আইনে সম্পূর্ণ বৈধ
হ্যাএইখানে আরেকটা ব্যাপার ইসলাম প্রচারের সুবিধার্থে ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে দাসদাসী মুক্ত করে দেওয়া অনেক মহৎ এবং পুণ্যের কাজ বলা হয়েছে কিন্তু কখনোই কিছুতেই দাসদাসী প্রথা নিষিদ্ধ এমনকি আংশিক নিষিদ্ধ কিংবা নিরোৎসাহিতও করা হয়নি
বোখারী ৪৭.৭৬৫ নং হাদিসে আমরা দেখি একজন মহিলা তার কৃতদাসীকে মুক্ত করে দিলে মুহাম্মদ বলেন তিনি তাকে মুক্ত না করলেই ভালো হতোমুক্ত না করে তারচেয়ে বরং প্রতিবেশীকে কৃতদাসীটি উপহার দিলেই ভালো হতো
 
নবীজী ইসলাম প্রসারের স্বার্থে জাকাতের টাকা থেকে মুক্ত হতে ইচ্ছুক মুসলিম দাসদাসীদের মুক্তিপণ আদায়ে সহযোগিতা করার নির্দেশনা জারী করেন যার ফলে ইসলাম গ্রহণ করলে যাকাতের টাকায় দাসত্ব হতে মুক্তির সুযোগ বর্ধিত হওয়ায় দলেদলে দাসদাসীরা ইসলাম গ্রহণ করে যাকাতের টাকায় মুক্তিও পেতে থাকেনবীজীর পরিকল্পনা অনুসারে শুধুমাত্র অবিশ্বাসীদেরকে চিরকাল দাসত্বের নিগড়ে রাখার পরিকল্পনা সফল হয়ইসলাম গ্রহণ করার শর্তে দাসত্ব হতে জাকাতের টাকার বিনিময়ে মুক্তির সুযোগ পাওয়ায় দাসদাসীরা দলেদলে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে এবং জাকাতের টাকায় ক্রমান্বয় মুক্তিও পেতে থাকেযার ফলে রাশেদুন খেলাফতের পরেই হঠাৎ করে গোটা আরবে অমুসলিম দাসদাসীর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে যায়
 
এর ফলশ্রুতিতে উমাইয়াদ খেলাফত থেকেই পূর্ব আফ্রিকা থেকে শুরু করে আন্দালুসিয়া, দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকা, আইবেরিয়া, সিসিলি পর্যন্ত সম্পূর্ণ অঞ্চল মুসলিম শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলিম বণিকদের প্রধান বাণিজ্য হয়ে উঠে আফ্রিকার কালো মানুষদের এবং দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপের সাদা মানুষদে ধরে ধরে ইসলামী সাম্রাজ্যের নানা প্রান্তে বিক্রি করা
এইসময়ই বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে মানব ইতিহাসের অন্যতম গর্হিত বিভৎস জঘন্য এক প্রথা মুসলমানদের দ্বারা চালু হয়হ্যা, নারীদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের প্রথা এইসময়েই চালু হয়
মুসলিম বণিকগণ আফ্রিকা থেকে কুমারী মেয়েদের দাসী হিসেবে ধরে বিক্রির জন্য আরববিশ্বে নিয়ে আসার পথেই এদের অনেকেরই গর্ভবতী হয়ে পড়তোএর ফলে এরা আর বিক্রি উপযোগী থাকতোনা আবার প্রায় সবারই কুমারীত্ব হরণ হতো তাতে আর ভালো দাম পাওয়া যেতোনা
 
ব্যাবসায় এইরুপ ক্ষতি হতে রেহাই পেতে মুসলিম বণিকদল এইসকল কুমারী দাসীদের ধরেই যৌনাঙ্গচ্ছেদ শুরু করেনআরববিশ্বে নিয়ে এসে বিক্রি করা পর্যন্ত যাতে এদের যৌনাঙ্গ সুস্থ ব্যাবহার উপযোগী না হয়আর তাতে কুমারীত্ব অটুট থাকে এবং ভালো দামও পাওয়া যায়যৌনাঙ্গ কাটা থাকা সত্ত্বেও যখন বেশি সুন্দরী দাসীরা পথিমধ্যে ধর্ষিত হয়ে কুমারীত্ব হারাতো তখন মুত্রধার হিসেবে ক্ষুদ্র একটি ছিদ্র রেখে যৌনাঙ্গ সম্পূর্ণটাই উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সেলাই করে দেওয়া হতোআরবে এসে বিক্রি হয়ে যাবার পর তাদের মালিকেরা নিজ হাতে ছোট্ট একখানা চাকু দিয়ে ওদের যোনীর সেলাই কেটে ওদের কুমারীত্বের স্বাদ নিতেন
মুসলিম বণিকদল এক পর্যায়ে এটিকে ইসলামী প্রথা হিসেবে আফ্রিকানদের মধ্যে প্রচার করেনআফ্রিকানরা পরবর্তিতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরও তাদের মধ্যে ইসলামী আচার হিসেবে এই প্রথা স্থায়ী রুপ লাভ করেআজো আফ্রিকায় -এশিয়াজুড়ে বিশ মিলিয়নের বেশি মেয়েশিশু যৌনাঙ্গচ্ছেদের ভয়াবহ অমানবিক লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আর মুসলমানগণ কিছু না জেনে না বুঝেই মন্তব্য করেন এইটা আফ্রিকান মুসলমানদের নিজস্ব প্রথা এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই

এখন আবার আসি দাসদাসী প্রথা প্রসঙ্গেদাসদাসী প্রথা সম্পর্কে আধুনিক মোডারেট মুসলিমদের জিজ্ঞেস করলে অধিকাংশই প্রথমে দাসপ্রথা পুরোপুরিভাবে অস্বীকার করেন কিন্তু কোরান, হাদিস, ফিকাহ থেকে সুস্পষ্ট দলীল দেখানোর পর বলেন ওইটা ইসলাম পূর্ব যুগ থেকেই চালু ছিলো এবং রাসুল বলেছেন দাসদাসী মুক্ত করা বা তাদের সাথে মানবিক আচরণ করা মহা পুণ্যের কাজহ্যা, পুণ্যের কাজ নিজে না খেয়ে অন্য অভুক্তকে খাওয়ানো, নিজের সম্পদ বিলিয়ে দেওয়া এইসবই পুণ্যের কাজ আর ঠিক তেমনি দাসদাসী মুক্ত করাও পুণ্যের কাজ কিন্তু এইটা নিতান্তই ঐচ্ছিক, কারো মন চাইলে নিজে যে কোন কিছুর উপর স্বত্ব ত্যাগ করতে পারে সেটা বস্তুগত সম্পদই হোক আর জীবন্ত দাসদাসীই হোক সেটা নিতান্তপক্ষে ঐচ্ছিক পুণ্যার্জন
আর এইরকম পুণ্যার্থে দাস আযাদ করে দেওয়া ইসলামের আগেও ঠিক একইরকম প্রচলিত ছিলো যেটা ইসলাম আপনাকে পারতপক্ষে জানতে দেয়নানিন, একটা হাদিস পড়ুন এই প্রসঙ্গেবোখারীঃ ২৩৭১ উবায়েদ ইবনে ইসমাইল রাঃ এবং হিশাম রাঃ থেকে বর্ণিত, আমার পিতা আমাকে অবগত করলেন যে, হাকীম ইবনে হিশাম (রাঃ) জাহিলী যুগে কাফের থাকা অবস্থায় একশো গোলাম আযাদ করেছিলেনইসলাম গ্রহণের পরও তিনি আবার একশো গোলাম আযাদ আর একশো উট বাহন হিসেবে দান করলেনরসুল সাঃ কে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন হে রাসুল কাফির থাকা অবস্থায় কল্যাণের জন্য যে কাজ গুলো করতাম সেগুলো সম্পর্কে আমাকে বলুন রাসুল উত্তর দিলেন তোমার ওইসময়ে কৃত কল্যাণকর কাজের জন্যই তুমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছো
 
মানুষ যে পণ্য নয়, মানুষ যে বিক্রি করা আরেক মানুষের নিতান্ত ব্যাক্তিগত হস্তান্তর যোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা কতোটা জঘন্য প্রথা; এই প্রথা উপলক্ষে যে কতো কোটিকোটি নিষ্পাপ মানুষ বাজারে বিক্রির পণ্য হবে আর এর প্রভাব যে কতো সুদূর প্রসারী তা আজকের আরব বিশ্বে যাওয়া আমাদের গরীব খেটে খাওয়া নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের প্রতি ওদের ব্যাবহার থেকেই বিবেচনাবোধ সম্পন্ন মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবেন

এখন আসি মোডারেট মুসলমানদের যুক্তি দাসপ্রথা পূর্ব থেকে ছিলো তাই বন্ধ করা সম্ভব হয়নি আচ্ছা ভালোকথা, পূর্ব থেকে মানুষ মূর্তিকে স্রষ্টা মেনে পূজো করতো, মদ খেতো ইসলাম একবাক্যে এক নির্দেশে মানুষের আজন্ম স্রষ্টায় বিশ্বাস আর মদের নেশা বন্ধ করে দিতে পারলো কিন্তু দাসপ্রথার ন্যায় মানবতার জঘন্য অপমান বন্ধ করতে পারলোনা আর তাই আজো আরবে খেটে খাওয়া আমাদের শ্রমিকরা আরবীয়দের সেই দাস প্রথার সামাজিক নিয়মে নিষ্পেষিত হয়
আজ শত বছর হলো বিশ্বের সবপ্রান্তে দাস প্রথা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু আরবি ভাষায় কোরান এবং হাদিস, ফিকহে সুস্পষ্ট অনুমতি থাকায় প্রত্যেকটা উগ্র আরবিভাষী গোষ্ঠী দাসপ্রথা অনুযায়ী বিধর্মী মেয়েদের যৌনদাসী বানিয়ে ধর্ষণ করছে আর একজনের প্রতি মজা শেষ হয়ে গেলে এটাকে বাজারে বিক্রি আরেকটা কিনছে
 
কোরান বা হাদিসের কোত্থাও বলা হয়নি যে কোরানের আইনগুলো কোন নির্দিষ্ট যুগে প্রযোজ্য বরং বলা হয়েছে কোরান এবং হাদিস সর্বযুগের সবমানুষেরএইটাও বলা হয়েছে যতোই মানুষ এই কোরান-হাদিসের আইন আকড়ে থাকবে ততোই কল্যাণআর এই হলো কোরানিক আইনআর এরাবিয়ান কান্ট্রিতে তখন দাস প্রথা ছিলো তাই ইসলামে দাসপ্রথা হালাল??? এরাবিয়ান সমাজে তখন শতশত বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত মূর্তিপূজা প্রচলিত ছিলো, দেবদেবীকে ঈশ্বর মান্য করা হতো ইসলাম এসে মানুষের স্রষ্টায় বিশ্বাস পালটে দিতে পারলো কিন্তু তখনকার সমাজে চলমান দাসপ্রথা বন্ধ করলোনা

মানুষের ইতিহাসে জঘন্যতম সামাজিক আচার দাসপ্রথা বন্ধের চেয়ে স্রষ্টায় বিশ্বাস আর উপাস্যের পরিবর্তন করাটা ইসলামের কাছে বেশি ইম্পরট্যান্ট ছিলো? যারা মদের নেশাখোর তারা জানে নেশা ছাড়া দুনিয়াতে সবচেয়ে কষ্টসাধ্য কাজ অথচ ইসলাম এক আদেশে সম্পূর্ণ সমাজ থেকে নেশা বিলোপ করতে পারলো কিন্তু সৃষ্টির জঘন্যতম প্রথা দাসপ্রথা বন্ধ করতে পারলোনা ইসলাম তাদের স্রষ্টায় বিশ্বাস পালটে দিতে পেরেছিলো, মদের নেশা থামিয়ে দিতে পেরেছিলো কিন্তু মানুষ্য প্রজাতির অপমান জঘন্যতম দাসপ্রথা হালাল রেখেছিলো অর্থনৈতিক বিবেচনায়?

তৎকালীন আরব্য অর্থনীতিতে কোন ম্যাস প্রডাকশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্রাকচার ছিলোনা যে দাসপ্রথা হঠাৎ থামিয়ে দিলে উৎপাদন ব্যাবস্থা থেমে মানুষ না খেয়ে মরবেআরব্য অর্থনীতি আর উৎপাদন ব্যাবস্থা তখন পরিবার কেন্দ্রিক ছিলো তাই দাসব্যাবস্থা বিলোপে উৎপাদন ব্যাবস্থায় কোন প্রভাবই পরতোনামক্কাবাসী মুসলমানরা মদিনায় মাইগ্রেট (হিজরত) করার পর যেমন প্রত্যেক আনসারের সম্পত্তিতে একজন মুহাজিরের সমান ভাগ করে দেওয়া হয়েছিলো ( ইভেন দুইটা বউ থাকলে একটা মুহাজিরকে কারণ ইসলাম নারীকে মানুষ নয় সাধারণ সম্পত্তি অথবা শস্যক্ষেত্র বিবেচনা করে। ( পড়ুন বোখারী ৫৮.২৫ ) ঠিক তেমনি প্রত্যেক দাসকে তাদের নিজনিজ মালিকের সম্পত্তির অংশীদার করে মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব ছিলো তা করা হয়নি
 
শিক্ষা-সভ্যতার অগ্রগতিতে সারা বিশ্বে আজ শত বছর হয় দাস ব্যবসা অতিত অথচ ইসলামী বিশ্বে বিশেষতে আরববিশ্বে যেখানে মানুষ কোরান-হাদিস বুঝে নিজের ভাষায় পড়ে তারা কোরান আর হাদিসে এর অনুমতি থাকা দেখিয়ে সামাজিকভাবে দাস ব্যবসা চালু রেখেছে

আমার দেশ থেকে যাওয়া গরীব অসহায় মহিলাদের তারা কৃতদাসী যৌনদাসী হিসেবে নিচ্ছেভিসা দিয়ে নিয়ে যাওয়াটাকে তারা কিনে নিয়ে যাওয়া হিসেবেই বিবেচনা করছেইসলামে যেহেতু বলা হয়েছে ইসলাম সর্বযুগের তাই আমরা আপেক্ষিক অবস্থার সাথে ইসলামকে তুলনা করবো ঠিকই কিন্তু সেই সাথে অবশ্যই ইসলামী আইন সমূহ কালের আবর্তে বর্তমান বাস্তবতায় যৌক্তিক কিনা সেটা যাচাই করবো
পৃথীবির এমন একটা কোন ধর্ম নেই যেটা ওই ধর্মের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে প্রচলিত সামাজিক বিধানের তুলনায় অনেক বেশি মানবিক অনেক বেশি যৌক্তিক ছিলোনাতদ্রুপ ইসলামও তার ব্যতিক্রম নয়ইসলামী আইনকানুনও ওই সময়ে প্রচলিত সামাজিক আইনকানুনের চেয়ে শত সহস্ররগুণ উন্নত আধুনিক এবং মানবিক ছিলো
 
আমি অবশ্যই বলবো প্রাকইসলামী যুগে দাসদাসীদের প্রতি আচরণের তুলনায় ইসলাম অনেক বেশি মানবিক হতে বলছে আর সেটাই সবগুলো ধর্মেরই বৈশিষ্ট্যসমকালীন আইন আচার ব্যবস্থা থেকে আধুনিক না হলে কেনো তাহলে মানুষ নতুন ধর্ম গ্রহণ করবেএখন কথা হচ্ছে কোরানের ওই বিধান সম্বলিত বাণী এখনকার যুগে কতোটুক যৌক্তিক?? যদি যৌক্তিক নাইই হয় তবে কেনো বলা হলো কোরান সর্বযুগের
কোনকোন সুন্দরী দাসী যাকে ভবিষ্যৎকালে বিক্রির সম্ভাবনা নেই তাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে আপাত স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে কিন্তু এই ক্ষেত্রে শুধু মোহরানার অর্থ পাওয়াটাই স্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে একমাত্র পাওয়া ছিলো কারণ এইক্ষেত্রে তাদের স্বাধীন ইচ্ছে বলে কিছু ছিলোনাএছাড়া আরেকটা উল্ল্যেখ্যোগ্য ব্যাপার রাসুলের সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত স্ত্রীর বিধান না থাকায় তিনি চারটি স্ত্রী ছাড়াও যতোজন ইচ্ছে দাসীকে মোহরানা দিয়ে বা কোন ক্ষেত্রে ননা দিয়েও নামেমাত্র স্ত্রী বানিয়ে নিজেকে মহৎপ্রাণ দেখাতে পেরেছেনতারপর মু্হাম্মদ রায়হানা, মারিয়া কিবিতিয়া সহ আরোও যৌনদাসী রেখেছিলেন

অন্যান্য সাধারণ মুসলমান চারটির বেশি স্ত্রী রাখতে না পারায় তারা চাইলেও পছন্দের যৌনদাসীগুলোকে স্ত্রী বানাতে পারবেনাউদাহরণস্বরূপ সাফিয়ার প্রসঙ্গে আমরা দেখি ইহুদী গোত্রের সম্মানিত সর্দারের স্ত্রী সাফিয়া উনার চোখের সামনে উনার বাবা, ভাই,স্বামীকে হত্যা করে উনার বোন আত্বীয়স্বজনকে দাসী হিসেবে দখলে নিয়ে ধর্ষণ করে বিক্রি করে ওই উনাকে মুক্তির বিনিময়ে বিয়ের প্রস্তাবনা দেওয়া হয় তারই সাথে যিনি উনার বাপভাই স্বামীসহ গোত্রের আটশো পুরুষ হত্যা করেছেনদাসী হিসেবে হাত থেকে হাতে বিক্রি হওয়ার চেয়ে মোহরানা গ্রহণ করে নাম কা ওয়াস্তে স্ত্রী হয়ে যাওয়াই উনার জন্য খোলা একমাত্র পথ ছিলো কিন্তু এই ক্ষেত্রে মোহরানা না দিয়ে সাফিয়া নিজেকে মুক্ত করতে মু্হাম্মদকে যে পরিমাণ মুক্তিপণ দিতে হতো সেটাকেই মু্হাম্মদ মোহরানা ধরে নেয় এবং সেই অনুযায়ী সাফিয়াকে কোন মোহরানাও দেয়নিকই তেলে কই ভাজা আর কি
বনুকুরায়যার লুটে সাফিয়ার কাজিন রায়হানাও মু্হাম্মদের ভাগে পড়েছিলো কিন্তু রায়হানা বাপ ভাইয়ের খুনির কাছ থেকে মোহরানা নিয়ে ঢং-এর স্ত্রী হতে অস্বীকৃতি জানানোয় বাকিটা জীবন মারিয়া কিবতিয়ার মতো তাকে মু্হাম্মদের যৌনদাসী হিসেবেই কাটাতে হয়

বর্তমান যুগেও দখলদার বাহিনী কর্তৃক বিচ্ছিন্নভাবে দুচারটি থেকে শতটি পর্যন্ত নারী নির্যাতন ধর্ষণ হচ্ছে আর হবেই কারণ মানুষ ফেরেস্তা নয়কিন্তু প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ধর্ষক বিচারের অধীনে আসতেছেহাতে গোনা দু একটা ধর্ষণের ঘটনা মার্কিন বাহীনি ইরাক দখলের পর ঘটেছিলো এবং প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে খোদ আমেরিকা তাদের সেনাদের জেলে ঢুকিয়েছেঅথচ এই ধর্ষনকেই যদি আইন করে সাংবিধানিকভাবে বৈধতা দেওয়া হয় এবং ইচ্ছেমত ধর্ষণ করে একজনের উপর সখ মিটে গেলে একে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে আরো নতুন কিনে আনার আইনি বৈধতা দেওয়া হয় তখন সেটা কতোটা গর্হিত জঘন্য আর অমানবিক সেটা আধুনিক মানুষ মাত্রই ভাবলে গা শিউরে উঠে অথচ ইসলাম ঠিক এই কাজটিই করেছে তাও কোরানের মতো ঐশী বিধানে চার-চারবার এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে
ভাবুনতো আমেরিকা ইরাক দখলের পর ইরাকের সব নারী এবং শিশুকে ধরে নিয়ে গিয়ে দুনিয়ার নানা প্রান্তে বিক্রি করে দিচ্ছেআপনি এমাজনডটকমে ঢুকে দেখে দেখে বেছে বেছে সামর্থ্যানুযায়ী ইরাকী যৌনদাসী কিনছেন
ভাবুনতো এইসব নারী ও কিশোরীর ভাই, বাবা, স্বামী, সন্তান বেচে থাকা অবস্থায় তাদেরকে ধর্ষণ করে করে বিক্রি করে দিচ্ছে অন্যের কাছে আর এইভাবে হাত থেকে হাত ঘুরছে লাখো যুদ্ধবন্দিনী কৃতদাসী যৌনদাসীঅথচ ইসলামী আইনে হাদিস কোরানে ঠিক এই কাজটিই চার-চারবার গুরুত্ব সহকারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে
 
পৃথিবীবাসীর কপাল ভালো যে খাঁটী মুসলমানেরা ক্ষমতায় নেই আর যারা ক্ষমতায় আছে তারা কোরান-হাদিসের আইনে রসুলের প্রদর্শিত পথে চলেনা নইলে মুসলিম ঘরে ঘরে যৌনদাসী থাকতোওয়েবসাইটে সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে যৌনদাসী বিক্রি হতো শপিংমলে যৌনদাসীর দোকানগুলোয় ভিড় জমে থাকতো কারণ যেসব বান্দারা কিনতে অসামর্থ্য তারা দেখে অন্তত চোখের শান্তি পেতেন
এতোক্ষণ পড়লেন সরাসরি কোরান হাদিস অনুযায়ী দাসপ্রথার কাহিনী।। দাসপ্রথা দ্বিতীয় পর্বে থাকবে দয়াল নবী মুহাম্মদের দাসদাসীদের লিস্ট এবং ইমাম আবু হানিফা সহ ইসলামী ইমামগণ কর্তৃক দাসপ্রথা সম্পর্কিত আইনের বর্ণনা


পর্ব-২ > নবী মুহাম্মদের দাসদাসীর তালিকা +
ফিকহ শাস্ত্র ও ইসলামী ইমানগন কর্তৃক দাসপ্রথা সম্প্রসারন
====================================
ইসলামী আইনে দাসদাসী আর নিত্য প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি পণ্য ক্রয়বিক্রয়ের আইন প্রায় একই রকমইসলামী আইন এবং এর প্রভাবে গড়ে উঠা আরবীয় সমাজে দাসদাসী ক্রয়বিক্রয় অত্যাবশ্যকীয় উপাদানআপনার ছেলে বালেগ হয়েছে কিন্তু ছেলেকে যেকোন কারণে বিয়ে দিতে দেরী হচ্ছে তাহলে ছেলের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য বাজার থেকে সুন্দরী দেখে একটি দাসী কিনে আনুন তাহলেই সমস্যা মিটে গেলো

প্রায়ই শোনা যায় সৌদি বা অন্যান্য আরব দেশের বড় বড় আলেম-উলামারা আফসোস করে বলেন পশ্চিমা ইহুদী-নাছাড়াদের চাপে আরবদেশগুলো থেকে দাসপ্রথা উচ্ছেদ করায় আরবদেশীয় নিষ্পাপ মুমিন-মুসলমানেরা যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য দাসী না পাওয়ায় পথভ্রষ্ট হতে হচ্ছেএইকারণেই সৌদিআরব তার জনগণের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ থেকে নারী শ্রমীকের ছদ্মবেশে মূলত যৌনদাসী আমদানি করছে
সৌদিআরব যাওয়া প্রত্যেক নারী শ্রমীকই যৌনদাসী হিসেবে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেও বেশিরভাগ নারীই নিজের দেশে দেশে মান-ইজ্জত যাওয়ার ভয়ে চুপ থাকেন
এই প্রসঙ্গে সৌদি ফেরত এক নারী শ্রমিক খুব স্পষ্ট করেই বলেনআমরা হই দাসী আর সৌদিরা ভাবে যৌনদাসী
[নিউজ লিংক http://www.aaj24.com/আমরা-হই-দাসী-সৌদি-ভাবে-যৌন/BDNews ]

যাইহোক আমি আমার পূর্বতন দাসপ্রথা সম্পর্কীয় পোস্টে কোরান এবং হাদিসের আলোকে ইসলামে দাসপ্রথার প্রণোদনা বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম আর আজ ইসলামী ফিকহ শাস্ত্র এবং ইসলামী ইমামগণ কর্তৃক দাসপ্রথার উৎসাহকরণ বিষয়ে আলোকপাত করবো

ইবনে কাইয়ুম আল জাওযিয়া সংকলিত সিরাতে রাসুল যাদ আল মায়াদ”-এর প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ১৬০ তে রসুলের দাসব্যবসার যাবতীয় বিবরণ দেওয়া আছেনিচে হুবহু তুলে ধরা হলো
রসুলের অনেক নারী এবং পুরুষ দাসদাসী ছিলোতিনি সেগুলো ক্রয়-বিক্রয় করতেন কিন্তু তিনি বিক্রির চেয়ে ক্রয়ই বেশি করতেন, বিশেষত আল্লাহ্‌ তায়ালা উনাকে তার বার্তার মাধ্যমে ক্ষমতায়নের পর এবং তিনি মদিনায় হিজরত করার পরতিনি একদা ইয়াকুব আল মুদবির নামে এক কালো দাসকে দুটি দাসের বিনিময়ে বিক্রি করলেনএছাড়াও রাসুল দাসদাসী ভাড়া নিতেন এবং দিতেন এবং তিনি ভাড়ায় দেওয়ার চেয়ে ভাড়ায় নিতেন বেশি

যাদ আল মায়াদ-এ বর্ণিত মুহাম্মদের কিছুসংখ্যক দাসদাসীদের প্রাপ্ত নাম নিম্নরুপএছাড়া অনেকের নাম তার বর্ণনায় সংগ্রহ করা যায়নি যাদের রসুল বিক্রি অথবা উপহার হিসেবে হাতবদল করেছিলেন (দেখুন যাদ আল মায়াদ ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ১১৪-১১৬)
 
দাস (পুরুষ)
১ ইয়াকান আবু সারা
২ আফলাহ
৩ উবায়েদ
৪ যাখওয়ান
৫ তাহমান
৬ মিরওয়ান
৭ হুনাইন
৮ সানাদ
৯ ফাদালা ইমামিন
১০ আনজাশা আল হাদী
১১ আবু রাফি
১২ সোয়াওবান
১৩ আবু কাবশা
১৪ সালেহ
১৫ রাবাহ
১৬ ফাযিলা
১৭ আবু ওয়াকীদ
১৮ মাবুর
১৯ আবু মুয়াহিবা
২০ আবু আইয়ুব
২১ যায়েদ ইবন হারিস (মুহাম্মদ তাকে মুক্ত করে পালকপুত্র হিসেবে গ্রহণ)
২২ মাহরান (নিগ্রো দাস, পরবর্তীতে রসুল তার নাম পালটে রাখেন সাফিন বা জাহাজ)
২৩ ইয়ারা নাবয়ান

সাফিন আর তার ঘটনা আমরা তার নিজের মুখেই শুনি
রাসুলের সাথে আমরা এক সফরে রওয়ানা দিইআমরা সফরসঙ্গীদের জিনিসপত্র অত্যধিক ভারী হয়ে যাওয়ার আমাদের জন্য এইগুলো বহন করা কষ্টকর হয়ে উঠেরসুল তখন আমাকে আমার চাদর মেলে ধরতে বলে সবাইকে তাদের অতিরিক্ত জিনিসপত্র সব তারমধ্যে রাখতে নির্দেশ দিলেন এবং সেটি পূর্ণ হয়ে গেলে রসুল সেটি আমার পিঠে চাপিয়ে দিয়ে বললেন এটি বহন করো তুমি হলে জাহাজ (সাফিন)যদিও ওই সময় আমি ছয় সাতটি গাধার সমপরিমাণ জিনিসপত্র বহন করছিলাম তথাপি কেউ তার তার কাপড়, বর্ম অথবা তলোয়ার বহন করতে দুর্বল অনুভব করলেই সেগুলো আমার উপর চাপিয়ে দিতো
 
( পড়ুন, ইবনে কাইয়ুম, আল হুলিয়া ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৩৬৯ আহমেদ ৫.২২২ থেকে উদ্ধৃতআরো দেখুন তারিখ আল তাবারী ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নং ২১৬-২১৮ )

দাসী (নারী)
১ সালমা উম্মে রাফী
২ মায়মুনা বিনতে আবু আসিব
৩ মায়মুনা বিনতে সাদ
৪ খাদরা
৫ রাদওয়া
৬ রাযিনা
৭ উম্মে দামিরা
৮ মারিয়া কিবতিয়া (মিশরের রাজা কর্তৃক মুহাম্মদকে পাঠানো উপহার, তার গর্ভে মুহাম্মদের ইব্রাহীম নামে এক শিশুপুত্র জন্মলাভ করে)
৯ রায়হানা ( বনু কুরাইযার লুটে প্রাপ্ত সাফিয়ার চাচাতো বোন)

বনু কুরাইযা গোত্রকে আক্রমণ করার পর তারা আত্ব সমর্পণ করলে রসুল তাদের সকল পুরুষ সদস্যকে (৭০০-৮০০ জন) হত্যা করেন এবং সকল নারী এবং শিশুদের মুসলিম বাহিনীর মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দেন তাতে প্রত্যেক মুসলিমের অংশেই একাধিক যৌনদাসী পরেতারপরও উদ্ধৃত যৌনদাসী এবং এবং শিশু দাসদেরকে নজদের দাসব্যবসা কেন্দ্রে ঘোড়া এবং অস্ত্রসস্ত্রের বিনিময়ে বিক্রি করতে পাঠিয়ে দেন
ঘটনাবহ নিজেই পড়ুন,
মালিক ইবনে আনাস বা ইমাম মালিক (মালিকি মাজহাবের ইমাম) রচিত মুয়াত্তা ২য় খণ্ড, অধ্যায় ৩ পৃষ্ঠা ১৩
ইবনে কাইয়ুম, যাদ আল মায়াদ ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৪৮৬
ইবনে ইসহাক
কোরান অনুসারে একজন দাসকে খুনের অপরাধে একজন স্বাধীন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবেনা
হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছেস্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবেএটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহএরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব“ [ সুরা বাক্বারা - ১৭৮]

এই আয়াতের বিশ্লেষণে আধুনিক মুসলিম এপোলোজিস্টরা বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বন করলেও আমরা দেখবো সাহাবাগণ, তাবে তাবেয়িন এবং ইমামগণ কিভাবে এই আয়াতকে ব্যাখ্যা করেছিলেনতাফসীরে জালালাইনে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখা আছে -
বিশ্বাসীগণের ক্ষেত্রে এই শাস্তি আরোপিত হয় যে একজন স্বাধীন ব্যক্তিকে আরেকজন স্বাধীন ব্যক্তি হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে কিন্তু কোন দাসকে হত্যা করার বদলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবেনাকোন অবিশ্বাসীকে হত্যার জন্য কোন মুসলিমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবেনাঅনুরূপ পড়ুন তাফসীর আল বায়দাওয়ী
 
ইমাম শাফিয়ি এবং মালিকি এবং ইবনে তায়মিয়া এই মতামত ব্যক্ত করেন কারণ আলী ইবনে আবি তালিব বর্ণিত একব্যক্তি তার দাসকে হত্যা করলে শাস্তিস্বরুপ রাসুল তাকে শুধুমাত্র বেত্রাঘাত করে ছেড়ে দেন (পড়ুন ইমাম শাফিয়ি রচিত আহকাম আল কোরান পৃষ্ঠা নং ২৭৫ এবং ইমাম মালিকি রচিত মুয়াত্তা ৬ষ্ঠ খণ্ড অধ্যায় ১৫ পৃষ্ঠা ১৬৪)
এই বিষয়ে ইসলামের প্রথম এবং একমাত্র সংস্কারক ইমাম আবু হানিফা রসুল, আবু বকর এবং উমারের দেখানো পথ বাতিল করে দিয়ে তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন করেন
দাস যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও গণিমতের মাল বা যুদ্ধের লুটের অংশ যেটি প্রত্যেক স্বাধীন যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি পাবে সেটি থেকে বঞ্চিত হবে

এই বিষয়ে পড়ুন, ইমাম মালিকি রচিত মুয়াত্তা ২য় খণ্ড অধ্যায় ৩ পৃষ্ঠা ৩৩-৩৪
দাসের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়ইমাম শাফী মালিকি এমনকি আবু হানিফার মতো সংস্কারপন্থী ইমামও দাসের সাক্ষী গ্রহণ যোগ্য নয় বলে মতামত দিয়েছেন
[এই বিষয়ে পড়ুন ইমাম শাফী রচিত আহকাম আল কোরান ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা ১৪২ , ইবনে তাইমিয়া ৩৫তম অধ্যায় পৃষ্ঠা ৪০৯। ]
ইমাম আবু হানিফা, শাফী, মালিক এবং সুফিয়ান আল তাওয়ারী সবার মতামত অনুযায়ী দাসীরা স্বাধীন নারীদের ন্যায় পর্দা করতে পারবেনা কারণ তাতে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের থেকে আলাদা করা যাবেনা
[পড়ুন ইবনে হাযম ৮ম খণ্ড অধ্যায় ২ পৃষ্ঠা নং ২৭১]
ইমাম শাফীর মতে দাসীরা তাদের মালিকের সম্পত্তি বৈকি কিছু নয় তাই তারা স্বাধীন নারীদের ন্যায় পর্দাপুশিদা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। [পড়ুন ইমাম শাফী রচিত আহকাম আল কোরান ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা ৩০৭]
দাসদাসীরা তাদের মালিকের সম্পত্তিরূপে গণ্য হওয়ায় তারা নিজেনিজে বিয়ে করতে পারবেনা আর বিয়ে করলে সেটি ব্যভিচার বলে গণ্য হবে এবং এর জন্য তারা ব্যভিচারের কঠোর শাস্তি পাবে যদি তাদের সন্তান হয় তবে সেও হবে সেও হবে তাদের মালিকের দাস এবং সমাজে ব্যভিচারজাত শিশু হিসেবে পরিচিত হবে
 
[পড়ুন ইবনে কাইয়ুম আল জাওযিয়া রচিত যাদ আল মায়াদ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১১৭] এছাড়া আরো পড়ুন ইবনে তাইমিয়া [অধ্যায় ৩২ পৃষ্ঠা ২০১আরো পড়ুন ইমাম মালিকি রচিত মুয়াত্তা ২য় খণ্ড ২য় অধ্যায় পৃষ্ঠা ১৯৯, ২০১, ২০৬)

ইবনে তাইমিয়ার মতে দাসীর গর্ভে জন্ম নেওয়া অন্যের ঔরসজাত সন্তান দাসীর মালিকের সম্পত্তি তাই তিনি চাইলে দাসীর গর্ভে জন্ম নেওয়া মেয়েদের সাথেও যৌনমিলন করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে একই সময়ে তদের মায়ের সাথে যৌনমিলন করা যাবেনা। [পড়ুন ইবনে তাইমিয়া ৩৫ অধ্যায় পৃষ্ঠা ৫৪]

ইবনে হাজম ৮ম খণ্ড, অধ্যায় ১১ পৃষ্ঠা ২৪৮ এবং ২৪৯ - খলিফা ওমরের বেশ কয়েকটি ঘটনা উদাহরণস্বরূপ বর্ণনা দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে কোন নারী তার দাসকে বিয়ে করতে পারবেনা এমনকি ওই দাসকে মূক্ত করে দিয়ে মুক্ত সেই পুরুষের সাথেও নয় আর যদি এইরূপ কোন নারী করে তবে সে ব্যভিচারিণী হিসেবে কঠিনতম সাজা পাবে

যাইহোক দুনিয়ার মানুষের কপাল ভালো যে বেশিরভাগ মুসলিম ইসলামী আইন অনুযায়ী জীবন চালায়নাদুনিয়ার ৯০% মুসলিম জীবনে কখনোইই কোরান হাদিস প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বুঝে পড়িনিএমনকি বেশিরভাগ মুসলিম শুধুমাত্র কোরানটিই নিজের ভাষায় পড়ে দেখেনি
বিশ্বের ৯০% মুসলিমই শোনাশোনা মুসলিমমুসলিমরা আরবী কোরান গভীর ভক্তি নিয়ে ঝুলেঝুলে তেলাওয়াত করবে অথচ কি নোংরা কথা ওইখানে লিখা আছে আর কি তারা পড়ছে তা যদি তারা জানতে পারতো তবে বেশিরভাগ অনারব মুসলিমই ইসলাম নামের এই বর্বরতম অসভ্য ধর্ম ত্যাগ করে নিজেকে অভিশাপ মুক্ত করতো