Saturday, August 6, 2016

যুক্তি শুধু জানার জন্য!


ইসলাম বলে, কোন গৃহে যদি পবিত্র কোরআন থাকে এবং পাঠের কাজে তা ব্যবহৃত হয় তবে সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারেনা।
হিন্দুরাও তাদের ধর্মগ্রন্থ নিয়ে প্রায় একই মত পোষণ করে।
স্বাভাবিক ভাবেই কোরআন কিংবা গীতা কাগজে প্রিন্ট করা থাকে। প্রাযুক্তিক উৎকর্ষের ফলে এসব গ্রন্থ ইলেকট্রিক মিডিয়ার বদৌলতে এখন পিডিএফ আকারে কম্পিউটার, মোবাইল, ট্যাপ প্রভৃতি যন্ত্রে ধারণ করা যায়। ফলে ব্যাপারটা দাঁড়াল এই যে, যদি মোবাইলে কোরআন, গীতা প্রভৃতি পবিত্র বই এর পিডিএফ ফাইল থাকে তাহলে সাথে কোরআন আছে বলে ধরে নেয়া যায়। ফলে শয়তান কিংবা ভুত, খারাপ জ্বিন কাছে না আসারই কথা।
মানুষের মস্তিষ্কের নিউরনে বইয়ের মত করে তথ্যগুলো সাজানো থাকে। কোন হাফেজ যখন কোরআন সম্পূর্ণ মুখস্থ করেন কিংবা গীতা মুখস্থ করেন তখন তার বা তাদের মাথার নিউরণে সেটা বইয়ের মত করেই তথ্যগুলো থাকে।
যদি কাগুজে বইয়ের প্রভাবে শয়তান দূরে থাকে তবে, পিডিএফ বই কিংবা মস্তিষ্কের নিউরণে সেভ হওয়া কুরআনও একই ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার কথা।
তাহলে যখন কোন কোরআনে হাফেজ খারাপ কাজ করে ফেলেন তখন তা শয়তানের কাজ বলে কিভাবে বিবেচিত হয়? কিংবা মোবাইলে পিডিএফ রাখা কোন ব্যক্তি কুরআন সাথে নিয়ে কিভাবে শয়তান দ্বারা প্ররোচিত হয়?
পবিত্র কোরআনের সূরা ব্যবহার করে তাবিজ বানানো হয়, ঝাড়ফুঁক হরা হয়। বলা হয়ে থাকে তাতে রোগ সেরে যায়। যদি সবসময় সাথে কুরআন থাকে তাহলে রোগব্যাধি কাছে না আসারই কথা! কিন্তু হাফেজ ব্যক্তিদের রোগ হয়না একথা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।
প্লিজ কেউ আমারে হেল্প করেন!