প্রেমপত্র-৯০
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন...
হে মানবী,তোমার খোঁজে আকাশ মাথায় করে গোটা শহর হেঁটে বেড়িয়েছি,রাস্তায় রাস্তায় হকারের মতো, কখনওবা ক্ষুধার্ত কাকের মতো পাড়ার মোড়ে, সবজি বাজার, লাইব্রেরী থেকে রেল কলনী,মার্কেট, কলেজ গেট, বইয়ের পাতা, পার্ক থেকে শুরু করে চায়ের দোকান কোথাও বাদ রাখিনি।হাটতে হাটতে ইচ্ছে করেই বহুদূর কখনও কখনও হারিয়ে গেছি রোদে পুড়েছি,
ঘামে ভিজে আবার শুকিয়েছি গায়ের শার্ট।বৃষ্টির মাঝে দৌড়ে যেতেই কাদার ওপর আছড়ে পড়েছি এর ওর জানালায় উঁকি দিয়েছি ইলেক্ট্রিক তাড়ে, চিঠির বাক্সে, ব্যাঙ্গের ছাতায় সবখানে তন্নতন্ন করে তোময় খুঁজেছি
কোথাও ছিলেনা তুমি।এই তোমার খোঁজ আমি কোথাও পাইনি মাঝ রাতে মাতাল হয়ে, পুকুর পারে, খাটের তলে, খোলা মাঠে, ঘুমের ঘোরে অনেক খুঁজেছি ।মিছিল থেকে জনসভা,রুদ্র থেকে জয় গোস্বামী হাসপাতাল থেকে আরাম চেয়ার তারে ঝোলানো ভেজা কাপড়ে ফুলের টবে এমনকি মগের মুলুকে!!বিশ্বাস করো আমি সবখানেই তোমায় খুঁজেছি।শুধুমাত্র তোমার খোঁজে বহু রাত জেগে কাটিয়েছি একের পর এক সিগারেট জ্বালিয়েছি
তারপর,ফুটপাতকে বিছানা ভেবে খানিকক্ষণ ঘুমিয়ে নিয়েছি আগুন থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠ।কনসার্ট থেকে গহীন বন বাসে চড়েছি, পাহাড়ে গিয়েছি
এত বছর একলা হেঁটেছি পথহীন বন্ধুর পথে,কন্টকাকীর্ন পথে।তোমার খোঁজে বারবার প্রেমে পড়েছি তোমাতে,ভালবেসেছি তোমাকে ঘৃণাও পেয়েছি আবার বিরক্ত চহুনী উপহার পেয়েছি তোমার কাছ থেকে।
তোমার ক্রধভরা চাহুনী দেখে পালিয়ে গেছি কখনও,ভয় পেয়েছি আবার ফিরেও এসেছি।চাঁদের আলোয় কিছু স্বপ্ন ধানক্ষেতে ফেলে এসেছি
চুপচাপ ফুটপাত, নরম ঘাস, কংক্রিট, পুরনো শ্যাওলা খবরের পাতা থেকে ক্যাকটাসের ঝোপ।এখানে ওখানে কতো জায়গায় খুঁজেছি
সব ছেড়ে তোমার কাছে, তোমার মাঝে হন্নে হয়ে খুঁজেছি তোমর খোঁজে আমি কোথায় যাইনি বলো?সেই তোমাকে দেখেছি এত পরে তচ্ছতাচ্ছিল্য ভরা চাহুনীতে তাকিয়েছিলে বারংবার কড়া হওয়ার হুমকীতেও তোমায় আমি আরও ভালবেসেছি।একটা প্রশ্ন করি?
আচছা একটি বারও কি ভেবে দেখেছো,এই যে সারাদিন তুমি নিজের মতো করে কাটিয়ে দাও।কে কে তোমায় ভাবে,জনি হয়তো বলবে তোমার পরিবার,তোমার বন্ধুরা ,আর তোমার প্রিয়জন,হায়তো কথাটা সত্য কিন্ত
তাদের কাছে যেয়ে বল,যে কতক্ষন তোমাকে তারা ভাবে,আমি তোমাকে ভাবে প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিটি ক্ষন,কোন সম্পর্ক নেই আমাদের তবুও ভাবি তুমি কখন আসবে,তোমার খবর কখন জানতে পারব,আমার লেখাগুলো কখন দেখবে? যদি অতটাকেও ভালবাসা না বলে আর কা কে ভালবাসা বলে আমি জানি না।সত্যি জানিনা।তবে এতটুকু জানি এই তোমাকে আমি তোমার মাঝেই খুঁজে যাবো।
বুঝলে মেয়ে তুমি যখন শাড়ি খোঁপায় ফুলে দাও,তখনকি একটু ফিরে তাকাবে কথা দিচ্ছি,মুখের উপর পড়া চুলগুলো সরিয়ে দেব না,
কথা দিচ্ছি বলব না তুমি থেকে যাও।তোমার ওই কাজল কালো চোখে
তাকিয়ে লিখে যাব হাজার কবিতা,বলবোনা তোমার ওই পবিত্র হাসি দেখে
লিখে যাবো আরেক মোনালিসা, বলব না তোমার সুখগুলো দিয়ে যাও আমায় শুধু বলব আমার দুঃখ গুলোকে লেপটে দাও ওই চোখের কাজলে।
বড্ড ভালবাসিতো ।
ইতি
তোমার চাতক
প্রেমপত্র-৮৯
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন-
প্রেয়সী,তোমাকে ভালবাসি ঠিক তেমনটাই যেমনটা প্রথম বেসেছিলাম।
এখনো হৃদয়ে মেখেছি তোমার প্রিয় নীল রং ঠিক যেমনটি আগেও হৃদয়ে রেখেছিলাম।তুমি ছাড়া কি দুঃসহ এ পাথার হয়তোবা তোমার জন্যই আমি জন্মছিলাম।
চলার পথে কখনও মূহুর্তের জন্য থেম।দেখবে ভিড়ের মাঝে তোমার পিছনে অবস্থানমান বেহায়া,এই আমিও আছি।তোমার কাছে থাকব বলে এই আমি দুনিয়ার কত কথা শুনি।তোমার হৃদয়ে বাসা বাঁধব বলে বেহায়া হতেও আমি রাজি।অস্তিত্বে,জাগরণে,কল্পনায়,আমার শুদ্ধতম স্পর্শই তুমি।হৃদয়ে রেখ আমাকে যেন তোমারই মাঝে আনন্তকাল আমি বাঁচি।
কতবার বোঝাবো বলো,কতবার জানাব বলো,নিঃস্ব এ জীবনে তুমি আমার সম্বল।
জানতো খুব ইচ্ছে করে,তুমি যদি বুকে নাক ঘষে একজন বলতে,"এই শোন, আমার মন খারাপ। আমার মন ভালো করে দাও"সেই ইচ্ছেতে বহুদিন হয়ে গেল,মনে হয় তোমার মন খারাপ হয়নি।আজ বিকেলের আকাশটা অদ্ভুত মেঘাচ্ছন্ন। আচ্ছা তুমিও কি এখন আকাশ দেখছে? হুড খোলা রিক্সায় দুটো শালিক পাখি বসে আছে। শালিকদের জোড়ে থাকার নিয়ম। জোড় ভাংলেই শালিক একলা হয়ে যায়। একলা শালিকদের অনেক রকম কষ্ট থাকে। জোড়ের শালিক হারানোর কষ্ট।এই যেমন আমার তুমিহীনতার কষ্ট।বুকে নাক ঘষার জন্যে হলেও তোমাকে আমার খুব দরকার।
একটা কথা বলা হয়নি জানো তোমাকে না শাড়ি পড়লে জোস্ লাগে।একজীবনে আমি এমনটা আর দেখি নি।ঠিক যেন কবিতা হয়ে যায়।
বলতে ইচ্ছে করে।
"তুমি যখন শাড়ির আড়াল থেকে,শরীরের জ্যোৎস্নাকে একটু একটু করে খুলছিলে,পর্দা সরে গিয়ে অকস্মাৎ এক আলোকিত মঞ্চ,
সবুজ বিছানায় সাদা বাগান,তুমি হাত রেখেছিলে আমার উৎক্ষিপ্ত শাখায়
আমি তোমার উদ্বেলিত পল্লবে,ঠিক তখনই একটা ধুমসো সাদা বেড়াল
মুখ বাড়িয়েছিল খোলা জানালায়।অন্ধকারে ও আমাদের ভেবেছিল
রুই মৃগেলের হাড় কাঁটা।পৃথিবীর নরনারীরা যখন নাইতে নামে আকাঙ্খার নদীতে,তখন রুই মৃগেলের চেয়ে আরো কত উজ্জ্বল দীর্ঘশ্বাস সহ সেই দৃশ্য দেখে বেড়ালটা ফিরে চলে গেলো।হাড়কাঁটার খোঁজে অন্য কোথা অন্য কোনখানে।দ্বিতীয় সাক্ষী ছিল তোমার হত্যাকারী চোখ আর তৃতীয় সাক্ষী আমার রক্তের সঙ্গে ওতপ্রোত শুয়ে আছে"
আমি শুধু এতটুকু বলে তোমায় প্রেয়সী,খরতাপে রাতজাগা প্রেম যাচ্ছে পুড়ে,দুমড়ে মুচড়ে বাঁধন-বিধি তুমি আসবে নাকি উড়ে?
সত্যি বলছি, আমি তোমারে পারি না এড়াতে,সর্বক্ষন মনে হয় তুমি আমার হাত রাখে হাতে;পৃথিবীর সব কাজ তুচ্ছ হয়,ঝামেলা মনে হয়,
সব চিন্তা প্রার্থনার সকল সময় তুমিহীনা নিজেকে শূন্য মনে হয়,
বড্ড শূন্য মনে হয়!
ইতি
মেঘবালক
প্রেমপত্র-৮৮
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন...
পাগলী,তুমি জানো এখন রাত ২টা ৩টার আগে ঘুমানো হয় না। খুব ইচ্ছে যখন তুমি থাকবে,তোমার সাথে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শত শত রুপকথার গল্প করবো।আর আমাকে তাড়াতাড়ি ঘুমুতে পাঠানোর জন্য তুমিও সব কাজ ফেলে আমার সাথে গল্প করবে।আমি ঘুমিয়ে গেলে তুমি তখন তোমার বাকি কাজ শেষ করবে।মনে আছে, আমি অনেক অসুস্থ যদি হয়ে যাই তখন তুমি আল্লাহর কাছে দোয়া করলবে যাতে আমার অসুখ
আল্লাহ তোমায় দিয়ে দেন!কি এমন পাগলি কি হবে তুমি?জানো, আমি পাগলের মতো হয়ে গেছি? ঠিক তানা বলতে পারো তোমার জন্যে পাগলি।
ক্ষুধা লাগেনা ঘুম আসেনা।রাত জেগে কাজ করি।মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে যাই। সকালবেলা কেউ ডেকে দেয় না।ইস্ তুমি যদি পাশে থাকতে?
আমি এমনই কারন কয়েক হাজার রাত নির্ঘুম কাটানোর জন্য তোমার ঐ শান্ত, ঘুমন্ত মুখখানিই যথেষ্ট !তুমি শুধু মাঝরাত্তিতে ঘুমন্ত তোমাকে অবাক বিস্ময়ে দেখে যাওয়ার অধিকারটুকু দিও !তবুও একজন "আমি " বেঁচে থাকতে একজন " তুমি " লাগবেই.।আমার বেঁচে থাকার জন্যে তোমাকে লাগবেই।অনেক পথ হাটার পর যখন দেখব,আমার পেছনের রাস্তা আর দেখা যাচ্ছে না সামনে শুধুই তুমি,তখন বুঝব আমি পথ অতিক্রম করেছি।অনেক ভালবাসার পর যখন দেখব আমার জন্যে তোমার চোখ থেকে এক বিন্দু অশ্রু ঝরে পরছে,তখন বুঝব আমি তোমাকে ভালবাসতে পেরছি।যদি আমি তখন না থাকি তবে তাই সই।
ঈদ গেলো,গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ গেলো,আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে পাগলী নীল শাড়িটা পড়ে আসবা, মুঠ ভর্ভি চুড়ি থাকবে হাতে, পারলে একটু আলতা দিও,আর একটু কাঁজল।
বুঝলে না পাগলী হৃদয়ে ক্ষত তা তোমার কারণেই তাই,তুমিই সেলাই করে দেবে বিনা মজুরিতে।কিছু নেই এমন যা দিতে পারি তোমাকে,ঠান্ডা মাথায় অনেক দেখেছি ভেবে!শুধু ভালবাসা নিও,আর কিছু তোমার দেয়া ক্ষত থাকুক এবুকে ও এক ভালো!তোমাকেই গেঁথে দেবো কবিতার শরীরে প্রতি রাতে বিনা মজুরিতে বিনা শর্তে!
তবে তুমি যাই বলো না পাগলী, এক হ্যাঁচকা টানে চুল ধরে কাছে টেনে আনবো, খবরদার যদি চোখ থেকে চোখ অন্যদিকে সরিয়েছতো।
একটা বউয়ের বড়ই অভাব,আমার তোমার বড্ড অভাব গো।
ইতি
অনিমেষ
প্রেমপত্র-৮৭
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন...
মায়াবতী,জানো খুব ইচ্ছে করে আমার সকাল টা শুরু হোক তোমার ফোন পেয়ে। রোজ সকালে তোমার সাথে কথা না বল্লে ভাল লাগবেনা কিছুই। একরকম অভ্যাস এ পরিনত হোক ব্যাপার টা ।তুমি হয়তো বুঝবে তাই প্রতিদিন সকাল এ ফোন করবে। কোনও সকাল আমি ঘুমিয়ে থাকব। কল রিসিভ করে দেখা যাবে. আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কথা বলছি। প্রতিদিন অনেক রাত করে ঘুমাই আমি ।তোমার হয়তো প্রচণ্ড ভাল লাগবে আমার ঘুম জরানো কণ্ঠে টা শুনতে । প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলে আমি দৌড় দিব এই অফিস মিস হয়ে যাবার ভয়ে ।ভীষণ হাসি আসবে হয়তো আমার কাজ কর্ম দেখে। তবু আমি জনি আমার সব কিছু একদিন তোমার অনেক ভাল লাগবে। তোমাকে সব সময় সব কিছুতে উৎসাহিত করব আমি। "এটা কর ওইটা কর যা করতে ভালোবাসো তাই কর। নিজেকে সব সময় কাজে রাখ।" শুধু একটা কাজ ভুলে যেওনা আমাকে ভালবাসা।আমি কোনোদিন চাইনা আমাকে একলা করে তুমি সরে যাও।প্রতিদিন নিজের ভেতর থেকে অনুভব করি তোমাকে আমি জীবনের বেশি কিছু ভাবছি। ভীষণ শংকিত হয়ে যাই ব্যাপারটা ভেবে। শুরু হয়ে যায় তোমাকে হারাবার ভয়ের সাথে আমার অদৃশ্য যুদ্ধ।কিন্তু আমি জানতাম না ও আমার মনের ভিতর অনেক আগেই তোমার ভালবাসা পাওয়ার লোভ বেড়েছে। আমার মনে তুমি মিশে আছে। শত চেষ্টা করেও সরাতে পারবেনা আমাকে। আমি হয়তো তোমার মনের কোনে কোথাও নেই।হয়ত থাকবও না। তবু আমার হৃদয় আকাশে আমি তোমার চেহারা খুঁজে যাব।কারন তুমি তো জানই তোমায় বড্ড ভালাবাসি।উহু বাংলালিংক দড়ে নয় গ্রামীনফোনের মতো।সবজায়গায় আমি আছি অথচও তুমি ছাড়া আর কারো হাতে আসা চরম দুঃসাধ্য।তুমিতো জানই আমি তোমার প্রেমেই মজেছি।
বুঝলে মেয়ে অনাদীকালের স্বপ্ন আমার তোমায় ঘিরে।সেই সন্ধ্যাটা থমকে যাক,চা ওয়ালা মামাটা দাঁত বের করে হাঁসুক,সবাই হা করে চেয়ে থাকুক,সেই পিচ্চি ফুলওয়ালী ২০ টাকায় সব বকুল ফুলের মালা দিয়ে যাক,তোমার সবুজ রঙ্গের শাড়িতে সোডিয়াম লাইট পরে আরো উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর লাগুক,ঐ পৌরনিক অ্যাফ্রোদিতীর মতো লাগুক তোমাকে,সেই বকুল ফুলের মালা গুলো হাত নিয়ে হাটুমুড়ে তোমার সামনে তোমাকে বলতে চাই-
"খুব বেশিকিছু চাইনা,এমন এক সুন্দর দিনে তোমার চোখে চোখ রেখে,তোমার হাতটি ধরে জানিয়ে দিতে চাই তোমায় আমি কত ভালোবাসি,যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এর ১১ জনের পিতা হবার স্বপ্ন দেখি আমি,আমি সেই দলের মা তোমাকে বানাতে চাই"
এই এতটুকু ইচ্ছা আমার পূরন করবে কি তুমি??
ইতি
অনিরুদ্ধ
প্রেমপত্র-৮৬
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন...
বুঝলে
অপরাজিতা,ভালবাসা মানে ?শুভ্রতায় মোড়ানো জীবনের উপকথা।ক্ষণিকের অপূর্ণতায় জীবনের পথভোলা।হ্দয়ের অনুভূতিকে পূর্ণতা দেয়া।
কিংবা জীবনের বৃত্তটাকে রঙিন করা।কোনো কারণ ছাড়াই
কিংবা স্বার্থহীনভাবে কারো মাঝে মিশে যাওয়া। কিংবা প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে আবোল তাবোল লেখা।
আরও কত কি বা বলা যেতে পারে।কখনও বা প্রমান করা লাগে।তবে সব থেকে বড় হলো অনুভূতির ব্যাপার।আমি তুমি ছাড়া বিনা রক্তপাতে মারা যাচ্ছি।এর থেকে বেশি কষ্টের কিছু নাই।ফিল করাটা আসলে একটা ব্যাপার ।কত শত সে মুহূর্ত।এই যেম বাড়ি যেতে শত শত লোকের ভীরে কামড়া ভর্তি লোকের ট্রেনের বগিতে কাউকে দেখে চমকে উঠি না তার পর ভাল করে দেখি না তুমিতো সে নও।থাকার কথাও না তবুও মাঝ রাস্তায় গরমে অথবা ভীরে কাউকে দেখে তুমি মনে হয়।না হলেও মনে হয়।ইসস্ তুমি ঝদি থাকতে?হয়তো কিছু বলা হতো না চলা হতো না তবুও হা করে দেখতাম মুখে মাছি ঢুকে যেত।তবুও যদি থাকতে।
ঐযে একটা কথা আছে না,কাছে নেও না দেখা নাও না আর কতো থাকি দুরে কেমনে চিনিব তোমারে ও সের ধনহে,মায়া জ্বালে বন্দি হইয়া আর কত কাল থাকিব মনে হয় সব ছাড়িয়া তোমারে খুজি নেব আশা করি তোমারে পাব ডুবে যাই অন্ধকারে কেমনে পাই তোমারে?
তন্ত্র মন্ত্র করে দেখি এই হৃদয়ে তোমার ঠাই,।শাস্র তন্ত্র পড়ি মনে লয় আরো তোমার কাছে যাই,বলো কেমনে তোমার কাছে যাই।
তখন ঘড়িতে আনুমানিক সকাল ৫ টা বাজে Iচারিদিক কেমন যেন থমথমে Iহঠাৎ এমন মনে পড়লো আমি আর বিছানায় থাকতে পারলাম না।আমি মাঝে মাঝে ভাবি কাকে আসলে ধন্যবাদ দিব।ঈশ্বরকে না কি জুকারবার্গকে।তারা দুজনেই ভরসা না হলে আমার কি সাধ্য তোমায় খুঁজে পাই।দুএকবার ডি একটিভে বা আপডেট না দিলে আমি শতবার খুঁজে ফিরি।তোমার নামে যত ফেক আইডি আছে সবটাতে।কারন আমার তোমাকে দেখা লাগবেই।আমি তোমাকে দেখতে না পাইলে শ্বাসকষ্টলাগে এমন মনে হয়।
তুমি দেখে নিও ,প্রেয়সী,খরতাপে রাতজাগা প্রেম যাচ্ছে পুড়ে.
দুমড়ে মুচড়ে বাঁধন-বিধি তুমি আসবে নাকি উড়ে?তোমার অস্ত্র লাগবে না, বুলেট লাগবে না,তোমার চাহুনীতে শতবার মৃত্যু হানে আমায়।চলছি নিরন্তর গন্তব্যে।তোমাকে যে আমার পেতেই হবে।
তবে একটা কথা বলি তোমাকে,আমি যদি মরেও যাই আমাকে চাইলেও ভোলা যাবেনা।প্রতি ঝাঁঝালো সন্ধ্যায় (চায়ের কাপে) শীতল গ্রিলের পাহারায়,আমি ফিসফিস করবো তোমার কানের পাশে…আমি আছি
আমাকে চাইলেও এড়ানো যাবেনা
ইতি
মেঘবালক
প্রেমপত্র-৮৫
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন...
আত্রিলতা,তুমি কি জানো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ,তোমার কপালের ওই কালো টিপ।পূর্নিমার চাঁদ দেখেছি আমি,তোমার ওই মায়াবী মুখের হাসিতে।তোমাকে ছাড়া আমার বাস্তবের ভালোবাসাটাকে সাজাতে পারিনি কিন্তু কল্পনার ভালোবাসাটা রঙ্গিন আমার,যেখানে শুধুই তোমার বিচরণ!
কবে যে বলবে এই যে শুনছো দরজা খোলা। ঘরের ও মনেরও।
শীতের বাতাস হুহু করে ঢুকছে। দরজা দিয়ে কী শুধু বাতাসই ঢুকবে?
দুটো দরজাই খোলা তোমার জন্য! শীতের বাতাস ঢুকে আমার মনের মাঝেও সর্দি লেগে যাবে।আসো না?দরজাটা লাগাতে হবে তো।
আমি তোমাকে এটাই বলতে চাই,তোমার কাছে সঁপে দিলাম আমার জীবন মরণ দূরে রাখ, কাছে রাখ যেমন রাখ তেমন। এই হৃদয় আর এই তোমাকে চাওয়ার অদম্য ইচ্ছে। করবে তোমায় স্মরণ।কতো যে ইচ্ছে তোমায় নিয়ে বুঝলে।তোমায় নিয়ে কাঁটিয়ে দিতে চাই ১ লক্ষ বছর।
কি আনন্দময় হবে সেই জীবন। কত কথা হবে তোমার সাথে। কত টুকরো রঙিন স্মৃতি ঢেউয়ের মতো একের পর এক ভেঙে ভেঙে স্মৃতির তটভূমি ক্রমাগত ভিজিয়ে দিবে।ইচ্ছে করবে তোমাকেই বউ করে পেতে।যেদিন আসবে আমার ঘরে কিছুটা এমনই বলা হবে "তুমি প্রস্ফুটিত দুরু দুরু বুকে বধু সেজে বসে থাকবে।আমি এসে তার পাশে বসব। আমি আবেগময় কন্ঠে বলব, পাগলী, আজ থেকে আমার আর কোন ভাবনা নেই ।আমার যে ছোট ডিঙিখানি যমুনার জলে ভাসালাম,সেটি বাইবার দায়িত্ত্ব তোমার। তুমি যে দিকে তরি বাইবে ,আমি নিসংশয়ে তোমার হাত ধরে নিশ্চিত মনে সেদিকেই যাবো ।অতি সাধারন সাদাসিধে মানুষ।আমি জানি,তুমি প্রখর বুদ্ধিমতী মেয়ে ।তোমায় পাশে পেয়েছি তাই আজ থেকে আমি ভাবনামুক্ত মানুষ । তুমি তাকিয়ে দেখবে ,এ চোখে কত ভালবাসা। তুমি নবরত্নের নিপট সরলতায় মুগ্ধ হয়ে নববধুর অতি সাধারণ সলাজ জড়তা উপেক্ষা করে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলবে "তোমায় ভালবাসি আমি,তোমার সমস্ত দুঃখ কষ্টেও আমি শান্তির আচল প্রসারিত করে তোমায় জড়িয়ে রাখব। " অত:পর তোমার চোখে কাটিয়ে দিব কতশত মুহূর্ত আর ঐ গভীর আঁখিতে ভেসে যাব আমি।ভাসব কখনও আবার কখনো ডুব দিব।তোমার মায়াবী আঁখিতে মজে তোমায় জড়িয়ে বিভোর হয়ে থাকব শতবর্ষ ।জীবনের টুকরো ভালোলাগার সবটুকু শুষে নিব গভীর একাগ্রতায়। জীবনের টুকরো টুকরো মধুসুখের ক্ষনগুলো অবাক করা সুন্দরতায় তোমার আমার জীবনকে কানায় কানায় পুরন করে দিবে শত বর্ষ ।বেঁচে থাকবে হৃদয় মাঝে এমনই জীবনের প্রত্যাশা।আমি শতবর্ষ এভাবেই একাগ্র ভাবে তোমাকেই চাইব আর এভাবেই ভালবাসব।তোমার এ আঁখির কসম।শত সহস্র ভাবে বলে দিব ভালবাসি।আগুন ছুঁয়ে বলতে পারি-ভালবাসি,সহস্রবার বলতে পারি,লক্ষ-কোটি উচ্চারনেও তিলমাত্র ক্লান্তি নেই। লজ্জা,দ্বিধা সংকোচহীন ভালবাসি বলেই। আমি গর্ব করে বলতে পারি-ভালবাসি।বলতে পারি মিছিল করে কিংবা তোমার কানের কাছে মুখটি নিয়ে ফিসফিসিয়ে।খুব আবেগে বলতে পারি- ভালবাসি
না বলেও বলতে পারি,শত শত বার ফিরিয়ে দিলেও ফিরে এসে তোমায় লি ভালবাসি খুব ভালবাসি।
এমন শত ভালবাসা রয়েছে তোমারই জন্যে।তুমি হ্যা বললেও তোমাকেই ভালোবাসবো; না বললেও ভালোবাসবো শুধু তোমাকেই.।তোমার দিব্যি।
তোমার
মেঘকাব্য
প্রেমপত্র-৮৪
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন...
মাধবীলতা,তোমার স্পর্শে রঙিন হবো বলেই এতটা দীর্ঘ পথ এসেছি। সময়ের বিপরীতে হেঁটেছি কতটা কাল।তোমার নামে এক মহাকাল বর্ষণেই
কেটে গেলো আমার। কতটা স্বিন্ন তুমি, কতটা স্নিগ্ধ তুমি,তোমাতেই মজেছি আজন্মকাল ;আলোর বিপরীতে যদি না থাকো,তবে আঁধার না হয় আমার নামেই তোলা থাক নিলাভ রাত্তিরে। অথচ তোমার কিন্তু জানা হয়নি আমার প্রতি রাত্তিরের ইতিহাস ! জানা হয়নি তোমার অযাচিত অবহেলাভরে কতটা নুয়ে আছি অনন্তকাল।কতটা ভালবাসি এটা ঘরের প্রতিটা সিলিং জানে,তিনপাখা ফ্যানটা জানে আর ঈশ্বর তো জানেনই।
আমার প্রতিটাক্ষন তোমার মধ্য মিশে থাকতে ইচ্ছে করে মনে মনে বলতে ইচ্ছে হয় আমাকে নিও,তোমার সকাল বিকাল চায়ের আড্ডায়,চিনি, দুধের পাশাপাশি আমাকেও গুলিয়ে দিও,আমি জেগে উঠব গরম কাপে ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়,কাপ উপচে পড়া বাস্পে,আমাকে নিঃশ্বাসে নিও, ফুসফুসে যাবো না,তোমার নাকের ডগায় ঠাই করে নিব,এই আমাকে নাও, নিয়ে মিশিয়ে দাও।আমাকে পান করো,আটকাবো না, পাথর নই,ইচ্ছে হয় জিভতলে পড়ে থাকি,চুমুকে চুমুকে মিশে যায় তোমার ঠোঁটে,ছোবল মারি শরীরের প্রতিটি কোনায় কোনায় ভাঁজে ভাঁজে,এই আমাকে নাও, নিয়ে মিশিয়ে দাও।তুমি স্বাভাবিক থেকো,আমার অস্বাভাবিক এলোমেলো অশান্তির আড়ালে।এখনো অমাবস্যাগুলো তোমার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনে,আলোর সুখেরই একাগ্র কাঙাল তুমি,চন্দ্র রাতের উত্তাল আলোয়,তৃষ্ণার্ত কবিচোখ তোমাকে দেখতে গিয়ে,নীরব ধূসর মেঘ এগিয়ে আসে,অশরীরী সর্পিল ক্ষয়প্রাপ্ত পাহাড়ের চুড়ায়।কত যুগ পেরিয়ে গেল, অবিরত ক্ষয় হোল সময়েরপ্রতীক্ষার কামনা তীব্র হয়,পৃথিবীর দেয়ালে কার্নিশে যেটুকু উত্তাপ,
তাঁর, অবহেলায় অনাদরে ব্যথার জল ঝরে অসুখী মৃত্তিকায়।
এখনো ঘুম ভাঙে অসময়ে অন্ধ দু’চোখে,ভালবাসার আঁতুড়ঘরে ক্ষণিক থেমে থাকে জীবনের পরাজয়।প্রতিজ্ঞা আমার, আজীবন পরাজিত হবো,
আমায় সশ্রম কারাদণ্ড দাও,শুধু তোমার বিনাশ্রম ভালোবাসা চাই।
তোমাকে এতটা চাই যতটা একজন মা তার সন্তানের মঙ্গল কামনা করে। আমার একা নির্জনে আমি যতটা ভেবেছি একাকিত্ত্বে তোমার নামটাই এসেছে।আমি জেনেছি ভালবাসা বলতে আমি তোমাকেই বুঝি।
তোমাকে ঘীরে আপন আঁধারে যেখানে স্বর্গ ভাসে সেখানে আলোর সিড়ি হয়ে তোমাকে আকড়ে ধরি।তুমি মিশে আছো মোর স্বত্তার।তোমাকে ভালবেসেছি অন্তরালে সংগোপনে।যখনই জেনেছি ভালবাসা বলতে কি বুঝি মনে তখনই এসেছে,তুমি আমার।হৃদয়ে তোমারই নাম।
ইতি
অনিমেষ
প্রেমপত্র-৮৩
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন
প্রিয় পাগলী,আমার সবকিছুতে কেন তুই থাকিস তা আমি কখনোই বুঝতে পারি না ! তুই কেন,সবসময় আমার সাথে থাকিস ?ফোনের পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে আমার জীবনের প্রত্যেকটা অংশে তুই কোন না কোনভাবে জড়িয়ে আছিস । আমার সকাল শুরু হয় তোকে ভেবে আর রাতে চোখ বন্ধ
করি তোকে দেখে ।আমি জানি আমি তোকে ভালবাসি কিন্তু আমি এটাও জানি এই ভালবাসার বিনিময়ে শুধু আমি তোকে চাই।জীবনের কঠিন বাস্তবতার সামনে আমার হাত-পা বাঁধা তবু আমি প্রত্যহ প্রার্থনায় শুধু তুই আর তুই।এইজন্য দূরে থেকেই তোকে দেখছি আর কাছ থেকে দেখার কি অদম্য ইচ্ছে আমর।আমি চাই আস্তে আস্তে তুই আমার কাছে আয়।
একসময় হৃদয়ে তুই মিশে যা। আমি জানি তুই অনেক ভালো একটা মেয়ে এটা হয়তো তুই নিজেও জানিস না।তোর বাচ্চার মত সরলতা দেখে
প্রেমে পড়েছি ,তোর চেহারা দেখে নয় ।এখনো মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি ,একটা মেয়ে কিভাবে এত সহজ-সরল হয়?তোকে অনেক কথা বলার আছে কিন্তু কিছুই বলা হল না ঐযে তুই চুপ থাকিস।আমি শত বিপদেও তোর পাশে থাকবে ।সবসময় তুই চাইলেও থাকব না চাইলে থাকব।বুঝলি ইদানিং খুউব খুঁজছি তোকে এই বর্ষার শীতল রাতে হিম হয়ে যাওয়া হাতের মুঠোয় ধরা এক টুকরো ওম এর মত।তোকে লিখে দেয়া চির কুটের কথা ভেবে কেটে যাচ্ছে এক একটি মন খারাপের দিন।এক একটি পুড়ে যাওয়া গাঢ় রাত।আজ বিকেলে ঝাপি খুলে বসেছিলাম সৃতি গুলোর
হলদে হয়ে যাওয়া সে সব সৃতি ঝাড়া দিতেই তুই বের হয়ে এলি ছড়িয়ে গেলি ঘরময়।তোকে আমি ভেবে ভেবে.খুঁজে খুঁজে অস্থির বিকেল কাটে।
এক সাথে কাটিয়ে দিতে চাই আমার সারাজীবন তোর সাথে।চিৎকার করে বলব"ইশ যদি বৃস্টি হতো এখন"তুই যখন থাকবি।আমার সে চিৎকার শুধু তুই শুনবি।ইদানিং ভিশন রকম চুপচাপ হয়ে গেছি,ভিশন রকম থম মেরে থাকি।ঝিম ধরা লাঠিমের মতন।কিছু ভালো লাগেনা। একদম না।
এই শোন তুই,
তোকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে হাজারও কবিতা।খুব যতনে রাখা তোর কপালে টিপ টাকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে।বুঝলি দুপুর বেলায় বেখেয়ালে ঘুমিয়ে পরেছিলাম দেখলাম, তুই মাথার কাছে বসে আছিস।.
পরনে নীল শাড়ী, হাত ভর্তি গোলাপ ফুল।এত মায়াবতী কেন তুমি?
হাত বাড়িয়ে তোকে ছুয়েই চমকে উঠলাম তপ্ত লাভার মত পুড়ছিলো তোর শরীর মনে হলো তোর বুঝি খুব জ্বর।তোকে বুকে লেপ্টে নিতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল।খুব একা লাগছিলো আমার। একা। খুব একা।আমি পুড়ে যাচ্ছিলাম তুই ছাড়া।
ইদানিং তোকে খুউব অনুভব করছি,ইদানিং স্বপ্নে তোর গায়ের গন্ধ গায়ে মাখছি,ইদানিং তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে হয়,ইদানিং তোর ভালবাসার আগুনে পুড়ে যতে মন চায়।
তোরই
অনিরুদ্ধ
প্রেমপত্র-৭৯
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন
পরী,আচ্ছা আমি শুনেছি ভালবাসা নাকি পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না?
কই আমার তা মনে হয় না আমি সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনের নিয়মে তোমাতে বিমুগ্ধ হয়েছি।খুব স্বাভাবিক ভাবে কখন থেকে কিভাবে কেন এই সব প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজিনি।তবে তো এটা বলতে পারি ভাললাগাটা আস্তে আস্তে ভালবাসায় রুপ নিয়েছে।হুমম আমি জানি তোমাকে জয় করার পথটা সহজ নয়,ঠিকই আছে এত সহজ হবে কেন?তুমিও তো সহজলভ্য কিছু নও।আমি আস্ত আস্তে অথচও চূড়ান্ত বিশ্বাসে তোমায় জয় করতে চাই।হুমম এর জন্যে আমাকে শুদ্ধ থেকে শুদ্ধতম হতে হবে,তাই সই।
আমি সারাক্ষন তোমার মাঝে মিশে থাকতে চাই।কথাটা যদিও রুপক অর্থে ব্যাবহৃত,তবুও আসলে ঠিক মনের কাছে থাকা অথবা না বলেই বুঝে ফেলা।একটা পিন পরার শব্দও শেয়ার করা এইতো,হয়ত অনেক তুচ্ছ তবে দিন শেষে এতটা পাশে তুমি থাকলে আমার স্বর্গও চাই না।তুমি জানো মেয়ে,আমি শুধু তোমার পানে চেয়ে থাকি।তোমার কাছে আমি বুঝতে শিখেছি ভালবাসার মানে।কিভাবে লড়াই করে যেতে হয় নিজের চাওয়া টকে আদায় করতে হয়।এত প্রতিকূলতার মাঝে এগিয়ে যেতে হয় কিভাবে তা তো তুমিই করে দেখয়েছো।আমি তাই বুঝতে পারি,কিভাবে তোমাকে চাইতে হয়।তোমাকে অর্জন করে নিতে হয় কিভাবে,যুদ্ধ করতে হয়
ভালবাসার পবিত্র সম্পর্ককে রক্ষা করতে হয় কিভাবে।আমি শিখেছি মাথা নত না করেও কোন কিছু জয় করা যায়।আমি একটা যুদ্ধ করছি প্রতিনিয়ত,তোমাকে আমার নাম দেয়ার লড়াই।যুদধ নয় এ লড়াই শুধু অপেক্ষার,তোমার জন্য,আমাদের জন্য।সত্যি যদি ঈশ্বর বলে কেউ থাকেন, তবে আমি শুধু চাইবো,লড়াই করে তোমাকে পাবার আধিকার।
বেঁচে থাকলে কোন একদিন সুন্দর সময়ে তোমার কাছে আমি ঠিকই পৌঁছব।তোমার জন্য,তোমার সাথে থাকার জন্য।
বুঝলে আনিসুল হকের মা গল্পটা পড়লে দুঃখে কুকরে যাই।শুধু তোমায় এতটুকু বলতে ইচ্ছে করে আমি তো সেই কবেই আজাদ হয়ে গেছি মনে প্রানে তুমি কি আমার মিলি হবে,শুধুই আমার।এবারের গল্পটা আর বিয়োগাত্বক হবেনা হবে মিলনাত্বক।প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কচি কাচা দের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনাব তুমি আর আমি একসাথে।এর জন্য আমাকে একটু কষ্টতো করতেই হবে,তার জন্যে তুমি যদি কঠিন হও অনেক কঠিন জেনে নিও আমি কঠিনেরেই ভালবাসলাম।
বালিকা আমার জীবন কখনই অনেক আনন্দের ছিল না।তবু জীবনে কিছু ব্যাপার নতুন করে আমি শুরু করি।কত বার তোমার ঐ রঙিন শাড়ি ঢেউয়ের মতো একের পর এক আঁছড়ে পরে স্মৃতির তটভূমিতে এবং ক্রমাগত ভিজিয়ে দেয়।প্রথম কথা মনে পরে যায় ।কি স্নিগ্ধ শান্ত কোমল মেয়েটি,মন চায় সারা জীবন পাশে বসে গল্প করি।কিছু কথা বলি খুব দৃঢ় ভাবে, এই যেমন "এখন থেকে তোমার আর কোন ভাবনা নেই ।আমার যে ছোট হৃদয় সম ডিঙিখানি যমুনার জলে ভাসালাম ,সেটি বাইবার দায়িত্ত তোমার। তুমি যে দিকে তরি বাইবে,আমি নিঃসংশয়ে তোমার হাত ধরে নিশ্চিত মনে সেদিকেই যাবো।আমি অতি সাধারন সাধারন মানুষ। আমি জানি,তুমি প্রখর বুদ্ধিমতী মেয়ে ।তোমায় পাশে পেয়েছি তাই আজ থেকে আমি ভাবনামুক্ত মানুষ।জানিনা তুমি তখন কি বলবে?
নিপট সরলতায় তোমার হাত খানি ধরে আরও বলে দিবো"
তোমায় ভালবাসি আমি,তোমার সমস্ত দুঃখ কষ্টেও আমি শান্তির ছায়ার মত প্রসারিত হয়ে তোমায় জড়িয়ে রাখব " অত:পর শুধু উপভোগ করবো তোমার মায়াময় চোখ।এত মায়াময় গভীর করো চোখ হতে পারে!এত অতল গহীন যে তাতে ভাসাও আমায় আবার ডোবাও কখনো ।আমি একবার দমবন্ধ করা অলিঙ্গনে তোমায় আবদ্ধ করতে চাই।তোমার সাথে পথ চলতে চাই ভাললাগার সবটুকু সাথে নিয়ে সমস্ত একাগ্রতায় । জীবনের টুকরো টুকরো ঝগড়া ,অভিমান,মধুসুখের ক্ষনগুলো তোমার চোখে চোখ রেখে কাটিয়ে দিতে চাই।
তোমাকে ই বলছি একটু ভাবো তো কতটা পাগল আমি তোমার জন্যে।
কত আর চুপ করে থাকবে পাগলী,অনেক হয়েছে তো আর কতো?একটি বার চোখটি বন্ধ ভাবো আর বলো."ভালোবাসি তো",বুঝলে পাগলী তোমাকে আমি লবন এর মত ভালবাসি ।
তুমি বলবে এটা স্বপ্ন,হুমম স্বপ্নই তো তুমিও তো আমার কাছে স্বপ্নেরই মত,একটা কথা বলি আমি তোমার সাথে বৃদ্ধহতে চাই,এইজনমে ৮০ বছর বয়সে বাগানে বসে তোমার সাথে চা খেতে চাই।এর জন্য অবশ্যই তোমাকে লাগবে।বুঝলে না তুমি আমার জীবনের জন্য খুব জরুরী।
ইতি
মেঘবালক
প্রেমপত্র-৭৮
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন
'প্রিয় রাজকুমারী,কেমন আছিস ? খুব ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছিস,তাই না ? আমিও প্রচুর ব্যস্ত ।তবে আমার এই ব্যস্ততা তোকে নিয়ে । দিবানিশি তোকে নিয়েই আমার কল্পনারাজ্যে বিচরন । আজও মনে হয় এইতো সেদিন তোকে দেখেছিলাম ।তারপর প্রেমটা হতে কিছু সময় নিয়েছিল এই যা। প্রথম প্রথম তোকে দেখে মনে হয়েছিল তুই বুঝি খুব আগোছালো । কি অবাক লাগছে? আমারও এখন এসব কথা মনে পড়লে অবাক লাগে । কি ভাবতাম এসব ?
ধীরে ধীরে ভুই ভাঙ্গলো । তোকে বুঝতে শিখলাম । যতক্ষন তোকে দেখি ততক্ষনই একটা কথা মাথায় ঘুরে তোর মনে শিশুর মত এতো সরলতা কেন ?
শুধু তাই নয় অন্যের বিপদ আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তোর কি আকুলতা ,ব্যস্ততা। আমাকে ক্রোধ থেকে মুক্ত করে তোর পাগলামী আর তোর আনন্দ আমার মনের শেষ প্রকোষ্ঠ পর্যন্ত ছুয়েছিল ।
আমি চাই পাশাপাশি চলতে চলতে একদিন তোর হাতে হাত রেখে চলার আনন্দ। অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে তোর নিকট আমার প্রেমের অর্ঘ নিবেদন করলাম ।বুঝলি তোর অভাবে আমি ঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে খোল ভেঙ্গে যাওয়া তরীর ন্যায় অকুল পাথারে ডুবে যাচ্ছি ।তুই একবার এসে বাড়িয়ে দে পবিত্রতায় ভরা তোর সেই হাত ।জানিস আজও আমার কাছে এটা একটা বিস্ময় ।তুই মানুষ নাকি পরী।
তোর সব কথা আমি চোখ বুজে শুনতে চাই। আমার এলোমেলো মরুভূমির জীবনে তুই যেন একফোটা জলের মতো । যে তৃষ্ণা কমানোর পরিবর্তে তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয় ।থাক আর বেশি কিছু বলব না ।যেখানেই থাকিস একটা কথা মনে রাখিস বদ্বীপের এই ছোট ভূ খন্ডের এক বাসিন্দা তার ছোট্ট হ্রদয়ের সবটুকু ভালোবাসা নিয়ে তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোর অপেক্ষায় থাকবে ।'অসম্ভব স্বপ্ন দেখাটা বিশাল অপরাধ দিন
শেষে,চূড়ান্ত অপরাধে যদি মরতে হয় তা হলেও আমি রাজি আছি।
আমি নাটাইবিহীন ঘুড়ি হয়ে তোর আঁকাশে উড়ি আর ছাতা হাতে
নিয়ে তীব্র ভালবাসার বৃষ্টিহীনতায় ভুগতে থাকি! আশায় থাকি যদি ফোঁটায়
ফোঁটায় বৃষ্টি নামে,সেই বৃষ্টি পুরোটা গাল আমার ছুঁয়ে নেমে যায় আর তোর আঙ্গুলে আমার আঙ্গুল ছুঁয়ে থেমে যায় এই প্রত্যাশায়।ঠিক যেমন
আমি সুউচ্চ তোর আলিঙ্গনে,আমি ভালোবাসা তোর প্রতি নিঃশ্বাসে।
আমি দূর্গ তোর সিংহাসনে,আমি দিগন্ত তোর ভাবনা-বিশ্বাসে।
আমি হিমালয় তোর অভিধানে,আমি ভীষণ আবেগী তোর নির্জনে।
আমি বৈরাগী তোর সুরে সুরে,আমি বিবাগী তোর অবর্তমানে।আমি ছন্নছাড়া তোর বিষন্নতায়,আমি সংবৃতা তোর চেতনায়,আমি স্বপ্ন-বিলাসী তোর আয়নায়,আমি সংসারী তোর মমতায়।আমি হাসি তোর দূরন্তপনায়,
আমি কাঁদি তোর অবহেলায়।আমি সদ্য ফোটা ফুল তোর আঙিনায়
আমি প্রকৃতি তোমার মহানুভবতায়।আমি ঝরা বকুল তোর পরাজয়ে
আমি প্রতিবাদী কমরেড,তোকে পাবার লড়াইয়ে।আমি আনন্দ তোর আনমনে,আমি সমঝোতা তোর বিশ্বাসে-বোধে।আমি নিঃস্তব্ধতা তোর নিঃসঙ্গতায়,আমি শ্রাবণধারা তোর ভালোবাসায়।আমি ঝড়ো হাওয়া তোর আকাশে,আমি বিকীর্ণ রোদ তোর উচ্ছাসে।আমি জোছনা তোর আঁধার সময়ে,আমি উষ্ণতা তোর শীতার্ত আবহে।আমি মমতাময় তোমার হৃদয় ক্ষরণে,আমার হৃদয় গালিচা তোর বরণে।আমি একাত্তরের গেরিলাযোদ্ধা,তোর স্বাধীনতায়,ঔজ্জ্বল্যে,হেমে আমি বিহ্বল ব্যাকুল দিশাহারা আমি ব্যাপ্ত, মগ্ন তোর প্রেমে।
ইতি
তোর ঘুটেকুমার '
প্রেমপত্র-৭৭
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন
প্রিয়ন্তীকা,মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে তোমাকে গাল চেপে ধরে কল্পনা থেকে বাস্তবে নিয়ে আসি! এনে দেখাই.কি ভয়ংকর রকম শব্দ করে বিজলি চমকাচ্ছে,টিনের চালে শব্দ হচ্ছে, লোডশেডিং এ অন্ধকার ভিষন!তুমি যদিও ঢং করে বলো ভয় পাও নাহহ, তবুও একেকটা বজ্রপাতের তীব্র শব্দে তোমার
উচিৎ আমার হাত চেপে ধরে রাখা! আমারও তো মাঝেসাঝে একটু আকটু উষ্ণতা লাগে..তাই না?
এমন একটা তুমি দরকার। যে ভালোবাসি বলার আগে তিনবার হোচট খাবে।ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার চেয়ে চিঠিতে যে সপ্ন আঁকতে ভালবাসে।
ভালোবাসার বিজ্ঞাপন করা যার ভীষণ অপছন্দ,আমি না হয় সারা পৃথিবীর থেকে লুকিয়ে তোমায় নিয়ে পত্র লিখি।অভিজাত রেস্তোরা থেকে চারুকলার বকুলতলার আড্ডাখানা বকুল তলায় গেলে মুখে খই ফুটবে তোমার। চুমু খেতে চাইলে যে লজ্জায় অবনত শিরে দাড়িয়ে থাকবে তুমি, কিন্তু রাস্তা পেরোবার সময় যে ভয়ে আমার হাত খামচে ধরে ভালোবাসার তীব্রতা বুঝিয়ে দেবে।চটপট আধুনিকাদের ভিড়ে তুমি হবে বড্ড সেকেলে।
প্রেমিকের জন্মদিনের অপেক্ষায় নীল খামে ছবি আঁকবে।আমার দেয়া দামি উপহার টি থেকে আমার পাশে চলাই তোমার কাছে মুখ্য হবে।
অতিভালবাসায় সে যখন ছোট্ট একটা ভুল করে ফেলবে,অপরাধীর দৃষ্টি
নিয়ে তখন দু চোখে প্লাবন আনবে। সেই বর্ষায় আমারবিরক্তি গলে
পানি হয়ে যাবে।সেই তুমি আমার কত আপন সেই তুমি আমার কত ভালবাসা।
আমার দু-চোখের মধ্যখানে গহীন এক অন্ধকার আছে, আমার বিশ্বাস তুমি থাকো সেখানে;মাঝে মাঝে যখন চুপচাপ বসে থাকি,হয়তো অভিমানে কিংবা ক্রোধে স্থিমিত হয়ে যাচ্ছে আমার চিন্তা ভাবনা ঠিক তখনি ডুব দেই তোমার ভূবনে।মগোজ হাত বুলাতে বুলাতে বলে আমায়, ওহে তোমার দেবীর খবর কি?
আমি কিচ্ছু বলিনা, আমার চোখে মুখে শুধু 'লড়াই আর লড়াই'
মগোজ আস্তে আস্তে মাথায় হাত বুলাতে থাকে আর বলে,পূনর্জন্ম, পূনর্জন্ম।আমার আর কিচ্ছু বুঝতে বাকি থাকেনা,ক্লান্তির ছায়া ছেড়ে তখন চলে আসি নীরবে।
কারো চোখের কাজলে সমার্পিত হলে একান্ত নিজের বলে থাকেনা কিচ্ছু আর, জীবন পেরিয়ে কিচ্ছু নেই,আমি কয়েক জন্ম লড়াই চালিয়ে যাব তোমার সাথে বুড়ো হওয়ার জন্যে।
ইতি
গ্লাডিয়েটর
প্রেমপত্র-৭৬
লিখেছেন: সানবীর খাঁন
অরন...
কুহেলীকা,ধরো কাল তোমার প্রেজেন্টেশন,রাত জেগে লেপটপে বসে আছ,
মাথাটা বড্ড ধরেছে তোমার,হঠাত যদি উইন্ডোজ বন্ধ করে দুষ্টুমির কন্ঠে বলে উঠি ভালবাস? তুমি কি আমাকে ঘর থেকে বের করে দিবে?নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে,ভালবাসি, ভালবাসি।ধরো ক্লান্ত তুমি,ক্লাস থেকে সবে ফিরেছ ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত.।খাওয়ার টেবিলে কিছুই তৈরি নেই,এমন সময় যদি চিকেন পিজ্জাটা সামনে দিয়ে,আমি তোমার
হাত ধরে যদি বলি- ভালবাস?তুমি কি বিরক্ত হয়ে খাওয়ায় মনযোগ দিবে?
নাকি আমার হাতে আরেকটু,চাপ দিয়ে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি।
ধরো তুমি শুয়ে আছ সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি,এমন সময় একটা তেলাপোকা যদি গায়ে ছেড়ে দিয়ে শশব্যস্ত এই তোমাকে বলি ভালবাস?
তুমি কি তখন ফুলঝাড়ুটি নিয়ে আমায় তাড়া করবে?নাকি ভয়ে জাপটে ধরে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি।ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,এমন সময় কিছু ইভটিজার যদি অশ্লিল মন্তব্য ছুঁড়ে দেয়,তবে আমি তাদের পিটিয়ে চামড়া তুলে তেজি কন্ঠে যদি বলি-ভালবাস?তবে তুমি কি আমার তেজ দেখে ভয় পেয়ে যাবে?নাকি পরম বিশ্বাসে তোমার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে তোমার মাথা এ বুকে রাখবে?ধরো আমারা দুজন টিএসসির পথে হাঁটছি মাথার উপর তপ্ত রোদ,সিএনজি পাওয়া যাচ্ছেনা,এমন সময় হঠাত দাঁড়িয়ে অপরাজেয় বাংলার পাশে হাটুমুড়ে পথরোধ করে চিৎকার করে হাতটা বাড়িয়ে যদি বলি-ভালবাস?তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?নাকি রাস্তার সবার দিকে তাকিয়ে হাতে হাত দিয়ে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি।
ধরো এক মন খারাপের বিকেলে কিছুই তোমার ভাললাগছে না।এমন সময়
এক ফোঁটা রক্ত দিয়ে দেয়ালে তোমার নাম লিখে যদি বলি ভালবাস?
তুমি কি বকা দেবে?নাকি ভেজা চোখে আমায় জড়িয়ে আমার গালে গাল লাগিয়ে আদুরে গলায় বলবে ভালবাসি, ভালবাসি।ধরো তুমি খুব অসুস্থ তুমি,জ্বরে কপাল পুড়ে যায় হাসপাতালের বিছানায় কাটে বিশ্বাদ দিনগুলি।
মুখে নেই রুচি, নেই কথা বলার অনুভুতি,এমন সময় কিছু ফলের টুকরো তোমার মুখে দিয়ে অথবা মাথা ঝাকিয়ে বলি তোমাকে কিন্তু তারাতারি সুস্থ্য হতে হবে তুমি ছাড়া যে আমি বড্ড একা তারপর হাতধরে যদি বলি-ভালবাস?তুমি কি চুপ করে থাকবে?নাকি তোমার গরম শ্বাস আমার
শ্বাসে বইয়ে দিয়ে বলবে ভালবাসি,ভালবাসি।
ধরো মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি আমি,প্রচন্ড যুদ্ধে তুমিও অঃশীদার আমার।মৌলবাদিরা ঘিরে ফেলেছে আমায় চারিদিক থেকে।হয়ত জয় নতুবা ক্ষয় এমন পরিস্থিতিতে শেষ যুদ্ধের আগে মাথা ঠান্ডা করে আমি তোমায় জিজ্ঞেস করলাম-পাগলি ভালবাস? ক্রুদ্ধস্বরে তুমি কি বলবে যাও তোমার মাথা কি ঠিক আছে?নাকি চিন্তিত আমায় আশ্বাস
দেবে,বলবে আমার তোমার উপর ভরসা আছে বুঝলে তোমায় ভালবাসি, ভালবাসি।
ধরো শিক্ষাসফরে বিদেশ যাচ্ছ তুমি,দেরি হয়ে যাচ্ছে,বেরুতে যাবে,হঠাত
পিছন থেকে পাজাকোলা করে জড়িয়ে যদি বলি-ভালবাস?তখন কি বিরক্ত হবে?নাকি ট্রাভেল ব্যাগফেলে চুলে বিলি কেটে বলবে ভালবাসি, ভালবাসি।
ধরো রোয়ানুতে উড়ে গেছে ঘরবাড়ি,আশ্রয় নেই বিধাতার দান এই
পৃথিবীতে,বাস করছি দুজনে চিন্তিত তুমি এমন সময় তোমায় বুকে জড়িয়ে ধরে যদি বলি পাগলি চিন্তা করোনা আমিতো আছি একবার খালি বলো ভালবাস?তুমি কি আমায় সরিয়ে দেবে?নাকি আমার বুকে হাত রেখে বলবেভালবাসি, ভালবাসি।
ধরো সব ছেড়ে চলে গেছ কত দুরে,সাড়েতিন হাত মাটির নিচে শুয়ে আছ
হতভম্ব আমি যদি বিদ্ধস্ত পাগল অপ্রকৃতস্থ ভাবে চিৎকার করে বলি-একদিনও কোথায় আমায় ছেড়ে একলা থাকতে পারবে না,সবসময় পাশে থেকে বলবে ভালবাসি ভালবাসি,বলো ভালবাস?তুমি কি তখন চুপ করে থাকবে?নাকি সেখান থেকেই উঠে এসে বলবে আরে পাগলা আমিতো মাটির নিচে শীতলতা মাপতে গিয়েছিলাম বাইরে যে গরম পড়েছে,তোমাকে ছেড়ে যাব সেই সাদ্ধি কি আছে?আমাকে তখন বলবে ভালবাসি, ভালবাসি।
যেখানেই যাও,যেভাবেই থাক,দূরে অথবা কাছে থাক অথবা না থাকলেও দূর থেকে একবারের জন্যে হলেও বলো ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি।
দূর থেকে অথবা তোমায় সর্বশক্তিতে এই বুহুতে জড়িয়ে শুনব তোমার।কন্ঠস্বর,বুঝব তুমি আছ,তুমি আছ।আমায় বলছো ভালবাসি, ভালবাসি.।
বুঝলে পাগলী এই ১৬ কোটির পৃথিবীতে তোমাকে সবথেকে আলাদা লাগে,থাকুক এমন ১৬ কোটি বা আরো হাজার হাজার জন।তুমি থাকো এমন অগোছালো এখনটা যেমন আছো আমি সারাজীবন পাশে থাকব তোমাকে গোছাতে।তোমার সব পাগলামির সাথে পাগল হবো তুমি বললে মতিঝিল সিটিসেন্টার থেকে লাফ দিব কিন্তু তাও তোমার হাত ছাড়ব না। তোমার জন্য আমার পৃথিবী বদলাবো কতকাল ভোরের সূর্য না দেখা এই আমি মোরগের মতো আলো ফুটলেই জেগে যাব কিন্তু তোমাকে বদলাতে হবে না।তোমার আকাশে হাজার তারা ঘুরঘুর করবে তোমার পিছু কিন্তু আমি হব তোমার একক সূর্য।আমি ছাড়া আর কোন তারা চোখে পরবে না।আমাকে কখনো ডাকার প্রয়োজন হবেনা কারন আমার অনুপস্থিতি কখনো অনুভব ই হবে না।তোমার সকল দুর্বলতা,পাগলামী,ভাল ও খারাপ সব নিয়ে ভালবাসি এবং বাসবো বিশ্বাস করো!
তোমাতে উদিত হয়ে তোমাতেই অস্তমিত যাব।
ইতি
মেঘবালক
[সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের “ভালবাসি, ভালবাসি” কবিতা অবলম্বনে]