উদ্দীপকঃ-
করিম সাহেবের কোন পুত্র না থাকায় তিনি ২২ বছর আগে অসহায় আব্দুর রহমান কে নিজের পালক নেন। তিনি নিজ
পুত্রের ন্যায় আব্দুর রহমান কে লালন পালন
করেন, কখনই তাকে বুঝতে দেননি যে সে পালক পুত্র পাছে যদি সে কষ্ট পায় এই ভেবে। নির্ধারিত সময়ে তিনি পালক পুত্রকে
সুন্দরী মেয়ে দেখে বিয়েও দেন। কিন্ত
কিছুদিন যেতে না যেতেই ঘটলো বিপত্তি। করিম সাহেব তার পুত্রবধূর রুপে মুগ্ধ হয়ে যান, তিনি পুত্রবধূ কে বিবাহ করার
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এ খবর
লোখমুখে ছড়িয়ে পড়লে সবাই ছিঃ ছিঃ করতে থাকে। এ খবর এলাকার
চেয়ারম্যান এর কানে পৌছালে তিনি করিম সাহেব কে তলব করেন।
-নারীর পোশাক বনাম পুরুষের চরিত্রঃ-
হুমায়ূন আজাদ স্যারের বিখ্যাত নারী বই এর একটা লাইন আমার খুব ভাল লাগে ''একটা অনৈতিক বিষয় কে পুরুষ সমাজে নৈতিক বলে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে'' । বিষয়টা নিয়ে যদি কেউ একটু গভীর ভাবে তাহলে দেখবে এই জীবন এই সমাজে কত শত মিথ্যের খুঁটি পুতে মানুষ গড়েছে ।
একটা উদাহরণ দেই,
আমাদের বাড়ি এক মিস্ত্রি কাজ করতে এসেছিল,কথায় কথায় উঠেছিল সে গতমাসে একটা ইশকুলে গিয়েছিল কাজ করতে সেখানে গিয়ে সে দেখল মেয়েরা মেহেন্দি পরে ইশকুলে আসে। এবং এই দেখে তার এই মন হল যে ইশকুলে মেয়েরা মেহেন্দি পরে ,সেখানে কিভাবে মানুষ বিদ্যাচর্চা
করতে পারে । আমি তাকে বুঝালাম মেহেন্দি পরেয়তো বিদ্যাচর্চা হতে পারে মেহেন্দি তো বিদ্যাচর্চা ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা নয় । পরে বুঝলাম বিদ্যাচর্চা থেকে মেয়েদের মেহেন্দি পরাতে তার পক্ষপাতিত্বও বেশি আর যুক্তি অপেক্ষা তার ধারনাই এখানে বেশী গ্রহণযোগ্য । কেন ? কারণ এমন ধারনা একজন পুরুষ সৃষ্টি করেছে করছে নারীর বিরুদ্ধে। মজার কথা হোল এমন উদাহরণ খুঁজতে সুদূর চিন দেশ পরিভ্রমণ করতে হয় না,নগ্ন চোখ দুটি খোলা রাখলেই হয় অথচ সুদূর চিন দেশ পরিভ্রমণ করেও পুরুষের এই সাধারণ জ্ঞান টুকু হয় না ।
বাংলাদেশে একজন মেয়েকে ধর্ষণ করে পরে খুন করা হয়েছে । এই প্রসঙ্গে পুরুষ সমাজে দুই ধরনের কথা উঠেছে-
১/হিজাব পরার পরও কিভাবে একজন মেয়ে রেপ হয় ?
২/ মেয়েটি নাকি নাটক দলে কাজ করতো এইধরনের মেয়েদের সাথে এমনই হওয়া উচিৎ। হায়রে পুরুষ এরাই বিশ্বাস
করে সর্বশক্তিমানে,উপাশনাকরে তার অথচ যখন একজন নারী ধর্ষিতা হয় তখন টানা হেঁচড়া করে একটুকরো কাপড় নিয়ে,এ যেন এ শুধু কাপড় নয় টানা হেঁচড়া করছে মেয়েটির ভাগ্য দেবতাকে নিয়ে । যেন পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের ঘাড় থেকে বিষ নামাবার কত সস্তা প্রচেষ্টা।
হিজাব পরার পরও কিভাবে একজন মেয়ে রেপ হয় ? এই প্রশ্ন উঠার আগে দশবার ভাবা উচিৎ হিজাব কি আসলেই নারীর নিরাপত্তার জন্য প্রচলন করা হয়েছে ? বা হিজাব কি পারে নারীর নিরাপত্তা আদৌ দিতে দিতে পারে ? আসুন একটু যৌক্তিক বিশ্লসন করি। নিরাপত্তার প্রশ্ন তো সবার ক্ষেত্রে সমান হওয়া উচিৎ নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে। তাহলে নারীর জন্য আলাদা ভাবে নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠে কেন ? এইজন্য যে নারীর অধিকার কেড়ে নিয়ে তাকে নিরাপত্তার নামে সামাজিক ভাবে পঙ্গু করে রাখার জন্য। নারী তুমি এটা করো নিরাপদ থাকবে,ওটা
করো নিরাপদ থাকবে,পুরুষের উপর কথা বোল না নিরাপদ থাকবে। এই অলিক নিরাপত্তার কি মূল্য আছে ? সন্দেহ নেই পুরুষের কাছে এর মূল্য
অনেক কিন্তু বাস্থোভ যৌক্তিক দৃষ্টি কোন থেকে কতটুকু ? ''একটা অনৈতিক বিষয় কে পুরুষ সমাজে নৈতিক বলে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে'' এতটুক । ধরি কোন একজন ব্যক্তি যে ট্রেন কোনদিন দেখেনি, তার চোখ বেঁধে একটা স্টেশনে তাকে আনা হল । এমন সময় তার সামনে দিয়ে একটা ট্রেন চল গেল এখন তার অবস্থা কি হবে ? তারকী ট্রেন টা দেখতে ইচ্ছে হবে, নাকি ট্রেনের প্রতি তার সকল আগ্রহ শেষ হয়ে যাবে ? অবশ্যই প্রথমটিই হবে । নারীর হিজাবও সেরকম প্রাচীন কালে নারীর স্তন এর প্রতি কোন যৌন আকর্ষণই ছিল না কারণ ওটা খুলাই থাকতো । কিন্তু বর্তমান সময়ে বিষয়টা তার উল্টো শরীরের ওই অংশ ঢেকেই আকর্ষণ বৃদ্ধি করেছে । আমাদের সমাজের পুরুষরা তো নারীর স্তন কে যৌনাঙ্গ ভাবে । তাই হিজাব তো
টেকনিক্যালি পুর উল্টো কাজ করে । তাছাড়া নগ্নতা মানেই যৌনতা নয় বরং এই ধরনের ধারনা গুলই বিকৃত যৌনতার আগাছা ।
তাহলে কেন এই পোশাক কে এই ধারনা ? জৈবিক বিচ্ছিন্নতার কারণে মূল্যবোধের এই বৈষম্য সৃষ্টি কেবল নারী পুরুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি । নারী পুরুষ জৈবিক ভাবে আলাদা, তার মানে তো এই না যে পুরুষ নারী এক সাথে কাজ করা যাবে না,নারী বাইরে কাজ করতে পারবেনা, পুরুষ শাসন করবে নারীদের । এগুলর একটাও জৈবিক প্রতিবন্ধকতার কারণে হয় না । তাহলে কি জৈবিক বিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিয়ে নারীদের ঠকানোর একটা রাস্তা এটি ? হ্যা তাই নারী
দেহের নখ হতে চুল অবধি সব কিছু নিয়েই রাজনীতি করে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ । আবার মেয়েটি নাকি নাটক দলে কাজ করতো তাই তার সাথে এমন হওয়া উচিৎ । ধরি কারও পিতা চাকরি করে,মাস শেষে বেতনের টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল । এমন সময় একজন ছিনতাইকারী তার টাকা ছিনিয়ে নিলো এবং তাকে খুন করল তার আত্মার শান্তি মিলুক, কথা-হল এখন কি এই যুক্তি উঠাতে পারি সে চাকরি কেন করল ? সে যদি চাকরি না করতো তাহলে বেতনও পেত না খুনও হতো না সব দোষ তার ছিনতাই কারির কোন দোষ
নাই । পোশাক বা নাটকের জন্য যদি কেউ ধর্ষণ হয়ে দোষ করে থাকে তাহলে এ মামলায় কেন এমন হবেনা । এধরনের যুক্তি খণ্ডন করতে আমার ভাল লাগে না । একজন পুরুষ হিসাবে লজ্জা লাগে কারণ এই যুক্তি ব্যাবহার করেছে আমারই মতন পুরুষ । ধরি কেউ নাটক করতো, ধরি কেউ হিজাব পরেনি তার জন্য সাড়ের মতন তার উপর পড়তে হবে ? হিতাহীত জ্ঞান কি মানুষের নাই,মানবিকতা, বিবেক এসবকি মানুষের ভিতর থাকতে নাই আমিকি মানুষ নোই ? তবে এই যারা করে আর এই যুক্তি যাদের মাথা দিয়ে বেরয় তারা মানুষ নয় সাড় তবে পুরুষ বটে ।
আর কত লিখবো ? আমার সব ভাবনা সব লেখা তো বৃথা তাও স্বন্প দেখি একদিন ভোরে উঠে দেখব পিৃথীবির হাজার হাজার তরুণ ভিজে চোখ নিয়ে বলছে,
''আমরা যদি না জাগি মা ক্যামনে সকাল হবে''
চেয়ারম্যান তাকে নিয়ে আলোচনায় বসলেন।
চেয়ারম্যানঃ আপনি হলেন এলাকার প্রতিনিধি, আপনিই যদি এমন জঘন্য কাজ করেন তাহলে সবাই কি বলবে?
করিম সাহেবঃ আমি যা করেছি তা কোরান এবং হাদিস সম্মত, রাসুল (সঃ) নিজেও এমন মহান করে দেখিয়েছিলেন।
চেয়ারম্যান বেচারি ছিলেন ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ, তিনি এলাকার বড় ইমাম কে ডেকে এনে এর সত্যতা যাচাই করে নিজেই অবাক হয়ে গেলেন।
= প্রশ্ন
১) যায়েদের স্ত্রী জয়নব, মহানবী (সঃ) এর সম্পর্কে কি হতেন? (জ্ঞানমুলক)
২)নিজের স্ত্রীকে পরবর্তিতে কে আম্মা বলে ডাকতো? (অবুধাবন)
৩)"আমি যা করেছি তা কোরান এবং হাদিস সম্মত, রাসুল (সঃ) নিজেও এমন মহান করে দেখিয়েছিলেন।" উক্তিটি বিশ্লেষণ করুন। (প্রয়োগ)
৪) "মহানবীর আদর্শ সর্বযুগের জন্য পালনীয়" উল্লেখিত উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করুন (উচ্চতর দক্ষতা)
চেয়ারম্যানঃ আপনি হলেন এলাকার প্রতিনিধি, আপনিই যদি এমন জঘন্য কাজ করেন তাহলে সবাই কি বলবে?
করিম সাহেবঃ আমি যা করেছি তা কোরান এবং হাদিস সম্মত, রাসুল (সঃ) নিজেও এমন মহান করে দেখিয়েছিলেন।
চেয়ারম্যান বেচারি ছিলেন ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ, তিনি এলাকার বড় ইমাম কে ডেকে এনে এর সত্যতা যাচাই করে নিজেই অবাক হয়ে গেলেন।
= প্রশ্ন
১) যায়েদের স্ত্রী জয়নব, মহানবী (সঃ) এর সম্পর্কে কি হতেন? (জ্ঞানমুলক)
২)নিজের স্ত্রীকে পরবর্তিতে কে আম্মা বলে ডাকতো? (অবুধাবন)
৩)"আমি যা করেছি তা কোরান এবং হাদিস সম্মত, রাসুল (সঃ) নিজেও এমন মহান করে দেখিয়েছিলেন।" উক্তিটি বিশ্লেষণ করুন। (প্রয়োগ)
৪) "মহানবীর আদর্শ সর্বযুগের জন্য পালনীয়" উল্লেখিত উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করুন (উচ্চতর দক্ষতা)
হুমায়ূন আজাদ স্যারের বিখ্যাত নারী বই এর একটা লাইন আমার খুব ভাল লাগে ''একটা অনৈতিক বিষয় কে পুরুষ সমাজে নৈতিক বলে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে'' । বিষয়টা নিয়ে যদি কেউ একটু গভীর ভাবে তাহলে দেখবে এই জীবন এই সমাজে কত শত মিথ্যের খুঁটি পুতে মানুষ গড়েছে ।
একটা উদাহরণ দেই,
আমাদের বাড়ি এক মিস্ত্রি কাজ করতে এসেছিল,কথায় কথায় উঠেছিল সে গতমাসে একটা ইশকুলে গিয়েছিল কাজ করতে সেখানে গিয়ে সে দেখল মেয়েরা মেহেন্দি পরে ইশকুলে আসে। এবং এই দেখে তার এই মন হল যে ইশকুলে মেয়েরা মেহেন্দি পরে ,সেখানে কিভাবে মানুষ বিদ্যাচর্চা
করতে পারে । আমি তাকে বুঝালাম মেহেন্দি পরেয়তো বিদ্যাচর্চা হতে পারে মেহেন্দি তো বিদ্যাচর্চা ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা নয় । পরে বুঝলাম বিদ্যাচর্চা থেকে মেয়েদের মেহেন্দি পরাতে তার পক্ষপাতিত্বও বেশি আর যুক্তি অপেক্ষা তার ধারনাই এখানে বেশী গ্রহণযোগ্য । কেন ? কারণ এমন ধারনা একজন পুরুষ সৃষ্টি করেছে করছে নারীর বিরুদ্ধে। মজার কথা হোল এমন উদাহরণ খুঁজতে সুদূর চিন দেশ পরিভ্রমণ করতে হয় না,নগ্ন চোখ দুটি খোলা রাখলেই হয় অথচ সুদূর চিন দেশ পরিভ্রমণ করেও পুরুষের এই সাধারণ জ্ঞান টুকু হয় না ।
বাংলাদেশে একজন মেয়েকে ধর্ষণ করে পরে খুন করা হয়েছে । এই প্রসঙ্গে পুরুষ সমাজে দুই ধরনের কথা উঠেছে-
১/হিজাব পরার পরও কিভাবে একজন মেয়ে রেপ হয় ?
২/ মেয়েটি নাকি নাটক দলে কাজ করতো এইধরনের মেয়েদের সাথে এমনই হওয়া উচিৎ। হায়রে পুরুষ এরাই বিশ্বাস
করে সর্বশক্তিমানে,উপাশনাকরে তার অথচ যখন একজন নারী ধর্ষিতা হয় তখন টানা হেঁচড়া করে একটুকরো কাপড় নিয়ে,এ যেন এ শুধু কাপড় নয় টানা হেঁচড়া করছে মেয়েটির ভাগ্য দেবতাকে নিয়ে । যেন পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের ঘাড় থেকে বিষ নামাবার কত সস্তা প্রচেষ্টা।
হিজাব পরার পরও কিভাবে একজন মেয়ে রেপ হয় ? এই প্রশ্ন উঠার আগে দশবার ভাবা উচিৎ হিজাব কি আসলেই নারীর নিরাপত্তার জন্য প্রচলন করা হয়েছে ? বা হিজাব কি পারে নারীর নিরাপত্তা আদৌ দিতে দিতে পারে ? আসুন একটু যৌক্তিক বিশ্লসন করি। নিরাপত্তার প্রশ্ন তো সবার ক্ষেত্রে সমান হওয়া উচিৎ নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে। তাহলে নারীর জন্য আলাদা ভাবে নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠে কেন ? এইজন্য যে নারীর অধিকার কেড়ে নিয়ে তাকে নিরাপত্তার নামে সামাজিক ভাবে পঙ্গু করে রাখার জন্য। নারী তুমি এটা করো নিরাপদ থাকবে,ওটা
করো নিরাপদ থাকবে,পুরুষের উপর কথা বোল না নিরাপদ থাকবে। এই অলিক নিরাপত্তার কি মূল্য আছে ? সন্দেহ নেই পুরুষের কাছে এর মূল্য
অনেক কিন্তু বাস্থোভ যৌক্তিক দৃষ্টি কোন থেকে কতটুকু ? ''একটা অনৈতিক বিষয় কে পুরুষ সমাজে নৈতিক বলে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে'' এতটুক । ধরি কোন একজন ব্যক্তি যে ট্রেন কোনদিন দেখেনি, তার চোখ বেঁধে একটা স্টেশনে তাকে আনা হল । এমন সময় তার সামনে দিয়ে একটা ট্রেন চল গেল এখন তার অবস্থা কি হবে ? তারকী ট্রেন টা দেখতে ইচ্ছে হবে, নাকি ট্রেনের প্রতি তার সকল আগ্রহ শেষ হয়ে যাবে ? অবশ্যই প্রথমটিই হবে । নারীর হিজাবও সেরকম প্রাচীন কালে নারীর স্তন এর প্রতি কোন যৌন আকর্ষণই ছিল না কারণ ওটা খুলাই থাকতো । কিন্তু বর্তমান সময়ে বিষয়টা তার উল্টো শরীরের ওই অংশ ঢেকেই আকর্ষণ বৃদ্ধি করেছে । আমাদের সমাজের পুরুষরা তো নারীর স্তন কে যৌনাঙ্গ ভাবে । তাই হিজাব তো
টেকনিক্যালি পুর উল্টো কাজ করে । তাছাড়া নগ্নতা মানেই যৌনতা নয় বরং এই ধরনের ধারনা গুলই বিকৃত যৌনতার আগাছা ।
তাহলে কেন এই পোশাক কে এই ধারনা ? জৈবিক বিচ্ছিন্নতার কারণে মূল্যবোধের এই বৈষম্য সৃষ্টি কেবল নারী পুরুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি । নারী পুরুষ জৈবিক ভাবে আলাদা, তার মানে তো এই না যে পুরুষ নারী এক সাথে কাজ করা যাবে না,নারী বাইরে কাজ করতে পারবেনা, পুরুষ শাসন করবে নারীদের । এগুলর একটাও জৈবিক প্রতিবন্ধকতার কারণে হয় না । তাহলে কি জৈবিক বিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিয়ে নারীদের ঠকানোর একটা রাস্তা এটি ? হ্যা তাই নারী
দেহের নখ হতে চুল অবধি সব কিছু নিয়েই রাজনীতি করে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ । আবার মেয়েটি নাকি নাটক দলে কাজ করতো তাই তার সাথে এমন হওয়া উচিৎ । ধরি কারও পিতা চাকরি করে,মাস শেষে বেতনের টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল । এমন সময় একজন ছিনতাইকারী তার টাকা ছিনিয়ে নিলো এবং তাকে খুন করল তার আত্মার শান্তি মিলুক, কথা-হল এখন কি এই যুক্তি উঠাতে পারি সে চাকরি কেন করল ? সে যদি চাকরি না করতো তাহলে বেতনও পেত না খুনও হতো না সব দোষ তার ছিনতাই কারির কোন দোষ
নাই । পোশাক বা নাটকের জন্য যদি কেউ ধর্ষণ হয়ে দোষ করে থাকে তাহলে এ মামলায় কেন এমন হবেনা । এধরনের যুক্তি খণ্ডন করতে আমার ভাল লাগে না । একজন পুরুষ হিসাবে লজ্জা লাগে কারণ এই যুক্তি ব্যাবহার করেছে আমারই মতন পুরুষ । ধরি কেউ নাটক করতো, ধরি কেউ হিজাব পরেনি তার জন্য সাড়ের মতন তার উপর পড়তে হবে ? হিতাহীত জ্ঞান কি মানুষের নাই,মানবিকতা, বিবেক এসবকি মানুষের ভিতর থাকতে নাই আমিকি মানুষ নোই ? তবে এই যারা করে আর এই যুক্তি যাদের মাথা দিয়ে বেরয় তারা মানুষ নয় সাড় তবে পুরুষ বটে ।
আর কত লিখবো ? আমার সব ভাবনা সব লেখা তো বৃথা তাও স্বন্প দেখি একদিন ভোরে উঠে দেখব পিৃথীবির হাজার হাজার তরুণ ভিজে চোখ নিয়ে বলছে,
''আমরা যদি না জাগি মা ক্যামনে সকাল হবে''