১ম পর্ব , ডি এনএ এবং মানব জীবনের রহস্য।
পর্ব-২, ডিএনএ ও মানব জীবনের রহস্য
ডিএনএ কী? দ্বিতীয় পর্ব।গঠন
ডিএন এর গঠন প্রনালী:
ডিএনএ একটি ডবল হেলিক্স এর স্পাইরাল (চিত্র ১ ও ১০) আকৃতির মস্তবড় অনু (POLYMER)। এর একটি STRAND (চেইন) আর একটি STRAND এর সংগে কয়েলের মতন করে পেচিয়ে থাকে। এবং এর একটি কে আর একটির সম্পূরক (COMPLEMENTARY) বলা হয়।
ডিএনএ এর BUILDING BLOCK হইল নিউক্লীওটাইড (NUCLEOTIDE )। (৩)
ডিএনএ এর মধ্যে এই নিউক্লীওটাইড গুলী একটির পরে আর একটি যার যার STRAND এর নির্দিষ্ট দিক অনুসারে তার তার নির্দিষ্ট দিক লক্ষ করে সংযুক্ত থাকে। (চিত্র-৯ )
Figure source- http://www.chemguide.co.uk/organicprops/aminoacids/dna1.html
চিত্র- ১) ডি এন এর একটি ডবল হেলিক্স।
চিত্রে দেখানো হয়েছে, ডিনএর ২ টি চেইন কি ভাবে একটি AXIS এর উপর কয়েল আকারে পেচানো থাকে । আরো দেখানো হয়েছে একটি চেইন এর নিউক্লিওবেছ আর একটি চেইনের নিউক্লিওবেছ এর সংগে সংযুক্ত হয়ে ডিএনএর দুইটি চেইন কে, কি ভাবে একত্রে সংযুক্ত রেখেছে।
চিত্র ৯ দেখুন, কয়েল উন্মুক্ত ডিএনএর ২টা চেইন। ।
চিত্রে দেখানো হয়েছে:ডিএনএর ২টি চেইন কয়েল উন্মুক্ত অবস্থায় কি ভাবে একে অপরের সংগে সংযুক্ত হয়ে আছে,ও কিভাবে উভয় চেইনের BACKBONE তেরী হয়ছে।
এখন তাহলে আমাদের দেখতে হবে,
এই নিউক্লীওটাইড গুলী কি ভাবে গঠিত হয়েছে এবং এদের উপাদান কি কি?
এরা একটার সংগে আর একটা কি ভাবে সংযুক্ত থাকে।
একটা STRAND (চেইন)এর নিউক্লীওটাইড তার পার্শবর্তি সম্পূরক STRAND এর নিউক্লীওটাইড এর সংগে কি ভাবে সংযুক্ত থাকে।
নিম্নের আলোচনা থেকে এই বিষয় গুলী পরিস্কার হয়ে আসবে।
ডিএন এর গঠন প্রনালী:
ডিএনএ একটি ডবল হেলিক্স এর স্পাইরাল (চিত্র ১ ও ১০) আকৃতির মস্তবড় অনু (POLYMER)। এর একটি STRAND (চেইন) আর একটি STRAND এর সংগে কয়েলের মতন করে পেচিয়ে থাকে। এবং এর একটি কে আর একটির সম্পূরক (COMPLEMENTARY) বলা হয়।
ডিএনএ এর BUILDING BLOCK হইল নিউক্লীওটাইড (NUCLEOTIDE )। (৩)
ডিএনএ এর মধ্যে এই নিউক্লীওটাইড গুলী একটির পরে আর একটি যার যার STRAND এর নির্দিষ্ট দিক অনুসারে তার তার নির্দিষ্ট দিক লক্ষ করে সংযুক্ত থাকে। (চিত্র-৯ )
Figure source- http://www.chemguide.co.uk/organicprops/aminoacids/dna1.html
চিত্র- ১) ডি এন এর একটি ডবল হেলিক্স।
চিত্রে দেখানো হয়েছে, ডিনএর ২ টি চেইন কি ভাবে একটি AXIS এর উপর কয়েল আকারে পেচানো থাকে । আরো দেখানো হয়েছে একটি চেইন এর নিউক্লিওবেছ আর একটি চেইনের নিউক্লিওবেছ এর সংগে সংযুক্ত হয়ে ডিএনএর দুইটি চেইন কে, কি ভাবে একত্রে সংযুক্ত রেখেছে।
চিত্র ৯ দেখুন, কয়েল উন্মুক্ত ডিএনএর ২টা চেইন। ।
চিত্রে দেখানো হয়েছে:ডিএনএর ২টি চেইন কয়েল উন্মুক্ত অবস্থায় কি ভাবে একে অপরের সংগে সংযুক্ত হয়ে আছে,ও কিভাবে উভয় চেইনের BACKBONE তেরী হয়ছে।
এখন তাহলে আমাদের দেখতে হবে,
এই নিউক্লীওটাইড গুলী কি ভাবে গঠিত হয়েছে এবং এদের উপাদান কি কি?
এরা একটার সংগে আর একটা কি ভাবে সংযুক্ত থাকে।
একটা STRAND (চেইন)এর নিউক্লীওটাইড তার পার্শবর্তি সম্পূরক STRAND এর নিউক্লীওটাইড এর সংগে কি ভাবে সংযুক্ত থাকে।
নিম্নের আলোচনা থেকে এই বিষয় গুলী পরিস্কার হয়ে আসবে।
Figure source- http://commons.wikimedia.org/wiki/File:AMP_structure.svg
চিত্র-২, এডিনোছিন মনোফছফেট(একটি পূর্ণ নিউক্লীওটাইড)
নিউক্লীওটাইডের উপাদান: (চিত্র-২)
নিউক্লীওটাইডের উপাদান ৩ টি।
১) নিউক্লীওবেছ (নাইট্রোজেন সংযুক্ত)
২)ডিঅক্সিরিবোছ (পাচটা কার্বন অনু বিশিষ্ট সরকরা)।(চিত্র ৮)
৩) ফছফেট গ্রুপ।(চিত্র ৩,পর্ব-১)-ফসফেটের বিবরন ডি অক্সিরিবোছের সংগে এসে যাবে।
এবার তাহলে এই উপাদান গুলী সম্পর্কে কিছু জানা যাক।
নিউক্লীওবেছ: নিউক্লীওবেছ ৪টি যথা:
ক) ছাইটোছিন(CYTOSINE)-(চিত্র-৩) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন-C
খ) গুয়ানিন (GUANINE)- )-(চিত্র-৪) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন- G
গ) এ্যাডেনাইন (ADENINE)- )-(চিত্র-৫) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন-A
ঘ) থাইমিন (THYMINE)- )-(চিত্র-৬) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন- T
যেহেতু এই বেছ গুলী জেনেটিক তথ্য গুলী ধরে রাখে একারণে এদেরকে জেনেটিক বেছ ও বলা হয়।
চিত্র-২, এডিনোছিন মনোফছফেট(একটি পূর্ণ নিউক্লীওটাইড)
নিউক্লীওটাইডের উপাদান: (চিত্র-২)
নিউক্লীওটাইডের উপাদান ৩ টি।
১) নিউক্লীওবেছ (নাইট্রোজেন সংযুক্ত)
২)ডিঅক্সিরিবোছ (পাচটা কার্বন অনু বিশিষ্ট সরকরা)।(চিত্র ৮)
৩) ফছফেট গ্রুপ।(চিত্র ৩,পর্ব-১)-ফসফেটের বিবরন ডি অক্সিরিবোছের সংগে এসে যাবে।
এবার তাহলে এই উপাদান গুলী সম্পর্কে কিছু জানা যাক।
নিউক্লীওবেছ: নিউক্লীওবেছ ৪টি যথা:
ক) ছাইটোছিন(CYTOSINE)-(চিত্র-৩) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন-C
খ) গুয়ানিন (GUANINE)- )-(চিত্র-৪) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন- G
গ) এ্যাডেনাইন (ADENINE)- )-(চিত্র-৫) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন-A
ঘ) থাইমিন (THYMINE)- )-(চিত্র-৬) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন- T
যেহেতু এই বেছ গুলী জেনেটিক তথ্য গুলী ধরে রাখে একারণে এদেরকে জেনেটিক বেছ ও বলা হয়।
Molecular formula- C4H5N3O
Figure source- http://commons.wikimedia.org/wiki/File:Cytosine_chemical_structure.png
চিত্র-৩, ছাইটোছিন
—————————————————————————-
Figure source- http://commons.wikimedia.org/wiki/File:Cytosine_chemical_structure.png
চিত্র-৩, ছাইটোছিন
—————————————————————————-
Molecular formula- C5H5N5O
Figure source –http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/0/0d/Guanine_chemical_structure.png
চিত্র-৪, গুয়ানিন
———————————————-
Figure source –http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/0/0d/Guanine_chemical_structure.png
চিত্র-৪, গুয়ানিন
———————————————-
Molecular formula- C5H5N5
Figure source –http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/c/cf/Adenine_chemical_structure.png
চিত্র-৫, এডেনিন
—————————————————-
Figure source –http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/c/cf/Adenine_chemical_structure.png
চিত্র-৫, এডেনিন
—————————————————-
Molecular formula- C5H6N2O2
Figure source –http://commons.wikimedia.org/wiki/File:Thymine_chemical_structure.png
চিত্র-৬, থাইমিন
———————————————-
এ্যাডেনাইন ও গুয়ানিন কে “পিউরিন” এবং থাইমিন, ও ছাইটোছিন কে “পাইরিমিডিন” বলা হয়।
পিউরিন এর STRUCTURE এ ২টা রিং ও পাইরিমিডিন এর এর STRUCTURE এ ১টা রিং থাকে,লক্ষ্য করুন।
এখানে বলা প্রয়োজন, ডি এন এর একটি চেইন এ সংরক্ষিত GENETIC তথ্য গুলী ঠিক একই ভাবে ডি এন এ এর COMPLEMENTARY চেইনে ও সংরক্ষিত থাকে। এইটার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বেছ গুলীকে প্রতিটা ধাপে পার্শ পরিবর্তন করাতে হয়েছে।যেমন চিত্র ৯ এ লক্ষ্য করুন (নীচ ও বাম হতে)-
1) G-C 2)T-A
3)C-G 4)A-T ………
এভাবে উভয় চেইনে বেছ ৪টি কে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ছেট না করলে উভয় চেইনে একই জেনেটিক কোড রাখা সম্ভব হতনা। তাই এভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে ছেট করে উভয় চেইনে ডবল জেনেটিক কোড SAVE করে রাখা হয়েছে।
কেন ডবল জেনেটিক কোড রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে?
কারণ, কোন কারণ বসতঃ একটার GENETIC CODE অকেজো হয়ে পড়লে সেটা পুনর্ণিমান না করা পর্যন্ত যাতে অপর চেইনটির GENETIC CODE টি DNA ব্যবহার করে কাজ চালাতে পারে, ঠিক যেমনটা আমরা গাড়ীতে SPARE বা অতিরিক্ত টায়ার রেখে থাকি।
কোষ বিভাজনের সময় DNA তে ছোট খাট বৈকল্য ঘটলে DNA তা নিজেই REPAIR করে থাকে।বয়োবৃদ্ধির সাথে সথে আবার এই REPAIRING এর ক্ষমতাটা কমতে থাকে।
এখন দেখা যাক ডিএন এর দুইটি STRAND বা চেইন কী রাসায়নিক প্রকৃয়ায় একে অপরের সংগে সংযুক্ত থাকে।
দুইটি STRAND এর রাসায়নিক সংযুক্তির এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সমাধা করে এই নিউক্লিওবেছ গুলী।
এটা করা হয় হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি দ্বারা। চিত্র-৭
হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি।
একটি STRAND এর নিউক্লিওটাইডের বেছ তার সম্পূরক STRAND এর নিউক্লিওটাইডের বেছ এর সংগে হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা সংযুক্ত করে।
যে ভাবে সংযুক্তিটা ঘটে-
এক চেইনের BASE এর নির্দিষ্ট অবস্থানের হাইড্রোজেন পরমানুটি পজিটিভ চার্জ (CATION) ধারণ করে, আর অন্য চেইনটির নির্দিষ্ট অবস্থানের অক্সিজেন অথবা নাইট্রোজেন পরমানুটি নিগেটিভ চার্জ (ANION)ধারন করে থাকে। তখন এই দুই বিপরীত মুখী চার্জের মধ্যে আকর্ষনের ফলশ্রুতিতে উভয় চেইনের বেছ আকর্ষিত হয়ে দুইটি DNA চেইনকে আকৃষ্ট করে টেনে ধরে রাখে। (চিত্র-১,৭,৯)।
এটাকেই বলা হয় হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি।
হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি COVALENT BOND সংযুক্তির মতন অতটা শক্ত্ সংযুক্তি নয়, যথেষ্ঠ দুর্বল সংযুক্তি।(5,6)
DNA এর এই দুই চেইনকে কেন COVALENT BOND এর শক্ত সংযুক্তি দিয়ে না আটকিয়ে হাইড্রোজেন বন্ড এর মত একটা অতি দুর্বল সংযুক্তি ব্যবহার করে জোড়া লাগিয়ে আটকিয়ে রাখা হল?
জী হ্যা, এর বিশেষ কারন আছে। কারন এই জোড়াটা স্থায়ী ভাবে রাখার জন্য লাগানো হয় নাই। প্রতিবার কোষ বিভাজনের সময় এদের জোড়া খুলে ফেলা লাগে, আবার কোষ বিভাজনের পর এদের সংযুক্ত হয়ে থাকা লাগে, তাই এখানে COVALENT BOND এর মত শক্তিশালী সংযুক্তি এখানে দেওয়া হয় নাই, তা করলে প্রতিবার কোষ বিভাজন কালে এদের পৃথক হওয়ার সময় DNA এর CODE ছিড়ে কেটে বৈকল্য ঘটে যেত।
তাই এটা এমন ব্যবস্থা ঠিক মনে করতে পারেন যেমনটা আমরা ছাতা গুটিয়ে এর ELASTIC টেপটার দ্বারা ইচ্ছামত ছাতাটকে আটকিয়েও রাখতে পারি আবার ছাতাটা খুলার সময় ইচ্ছামত ELASTIC সংযুক্তিটাকে সহজেই ছাড়িয়েও ফেলতে পারি।
তাই এখানে COVALENT BOND এর দ্বারা পেরেক মারার মত করে আটকানো হয়নাই।
এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয়- বেছ গুয়ানিন(G) ও ছাইটোছিন (C) সংযুক্তিতে ৩টা হাইড্রোজেন বন্ড এবং এডেনিন(A) ও থাইমিন(T) সংযুক্তি তে ২টা হাইড্রোজন বন্ড ব্যবহৃত হয়।(চিত্র,৭ A,৭ B)
Figure source –http://commons.wikimedia.org/wiki/File:Thymine_chemical_structure.png
চিত্র-৬, থাইমিন
———————————————-
এ্যাডেনাইন ও গুয়ানিন কে “পিউরিন” এবং থাইমিন, ও ছাইটোছিন কে “পাইরিমিডিন” বলা হয়।
পিউরিন এর STRUCTURE এ ২টা রিং ও পাইরিমিডিন এর এর STRUCTURE এ ১টা রিং থাকে,লক্ষ্য করুন।
এখানে বলা প্রয়োজন, ডি এন এর একটি চেইন এ সংরক্ষিত GENETIC তথ্য গুলী ঠিক একই ভাবে ডি এন এ এর COMPLEMENTARY চেইনে ও সংরক্ষিত থাকে। এইটার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বেছ গুলীকে প্রতিটা ধাপে পার্শ পরিবর্তন করাতে হয়েছে।যেমন চিত্র ৯ এ লক্ষ্য করুন (নীচ ও বাম হতে)-
1) G-C 2)T-A
3)C-G 4)A-T ………
এভাবে উভয় চেইনে বেছ ৪টি কে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ছেট না করলে উভয় চেইনে একই জেনেটিক কোড রাখা সম্ভব হতনা। তাই এভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে ছেট করে উভয় চেইনে ডবল জেনেটিক কোড SAVE করে রাখা হয়েছে।
কেন ডবল জেনেটিক কোড রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে?
কারণ, কোন কারণ বসতঃ একটার GENETIC CODE অকেজো হয়ে পড়লে সেটা পুনর্ণিমান না করা পর্যন্ত যাতে অপর চেইনটির GENETIC CODE টি DNA ব্যবহার করে কাজ চালাতে পারে, ঠিক যেমনটা আমরা গাড়ীতে SPARE বা অতিরিক্ত টায়ার রেখে থাকি।
কোষ বিভাজনের সময় DNA তে ছোট খাট বৈকল্য ঘটলে DNA তা নিজেই REPAIR করে থাকে।বয়োবৃদ্ধির সাথে সথে আবার এই REPAIRING এর ক্ষমতাটা কমতে থাকে।
এখন দেখা যাক ডিএন এর দুইটি STRAND বা চেইন কী রাসায়নিক প্রকৃয়ায় একে অপরের সংগে সংযুক্ত থাকে।
দুইটি STRAND এর রাসায়নিক সংযুক্তির এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সমাধা করে এই নিউক্লিওবেছ গুলী।
এটা করা হয় হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি দ্বারা। চিত্র-৭
হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি।
একটি STRAND এর নিউক্লিওটাইডের বেছ তার সম্পূরক STRAND এর নিউক্লিওটাইডের বেছ এর সংগে হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা সংযুক্ত করে।
যে ভাবে সংযুক্তিটা ঘটে-
এক চেইনের BASE এর নির্দিষ্ট অবস্থানের হাইড্রোজেন পরমানুটি পজিটিভ চার্জ (CATION) ধারণ করে, আর অন্য চেইনটির নির্দিষ্ট অবস্থানের অক্সিজেন অথবা নাইট্রোজেন পরমানুটি নিগেটিভ চার্জ (ANION)ধারন করে থাকে। তখন এই দুই বিপরীত মুখী চার্জের মধ্যে আকর্ষনের ফলশ্রুতিতে উভয় চেইনের বেছ আকর্ষিত হয়ে দুইটি DNA চেইনকে আকৃষ্ট করে টেনে ধরে রাখে। (চিত্র-১,৭,৯)।
এটাকেই বলা হয় হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি।
হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি COVALENT BOND সংযুক্তির মতন অতটা শক্ত্ সংযুক্তি নয়, যথেষ্ঠ দুর্বল সংযুক্তি।(5,6)
DNA এর এই দুই চেইনকে কেন COVALENT BOND এর শক্ত সংযুক্তি দিয়ে না আটকিয়ে হাইড্রোজেন বন্ড এর মত একটা অতি দুর্বল সংযুক্তি ব্যবহার করে জোড়া লাগিয়ে আটকিয়ে রাখা হল?
জী হ্যা, এর বিশেষ কারন আছে। কারন এই জোড়াটা স্থায়ী ভাবে রাখার জন্য লাগানো হয় নাই। প্রতিবার কোষ বিভাজনের সময় এদের জোড়া খুলে ফেলা লাগে, আবার কোষ বিভাজনের পর এদের সংযুক্ত হয়ে থাকা লাগে, তাই এখানে COVALENT BOND এর মত শক্তিশালী সংযুক্তি এখানে দেওয়া হয় নাই, তা করলে প্রতিবার কোষ বিভাজন কালে এদের পৃথক হওয়ার সময় DNA এর CODE ছিড়ে কেটে বৈকল্য ঘটে যেত।
তাই এটা এমন ব্যবস্থা ঠিক মনে করতে পারেন যেমনটা আমরা ছাতা গুটিয়ে এর ELASTIC টেপটার দ্বারা ইচ্ছামত ছাতাটকে আটকিয়েও রাখতে পারি আবার ছাতাটা খুলার সময় ইচ্ছামত ELASTIC সংযুক্তিটাকে সহজেই ছাড়িয়েও ফেলতে পারি।
তাই এখানে COVALENT BOND এর দ্বারা পেরেক মারার মত করে আটকানো হয়নাই।
এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয়- বেছ গুয়ানিন(G) ও ছাইটোছিন (C) সংযুক্তিতে ৩টা হাইড্রোজেন বন্ড এবং এডেনিন(A) ও থাইমিন(T) সংযুক্তি তে ২টা হাইড্রোজন বন্ড ব্যবহৃত হয়।(চিত্র,৭ A,৭ B)
Figure source – https://www.pinterest.com/pin/350647520957672078/
চিত্র-৭ A.
চিত্র-৭ A.
Figure source – http://cnx.org/contents/185cbf87-c72e-48f5-b51e-f14f21b5eabd@9.66:14/Biology
চিত্র ৭-B.
চিত্র ৭-A ও ৭-B, এখানে দেখানো হচ্ছে বেছ গুয়ানিন ও ছাইটোছিন সংযুক্তিতে ৩টা হাইড্রোজেন বন্ড এবং এডেনিন ও থাইমিন সংযুক্তি তে ২টা হাইড্রোজন বন্ড ব্যবহৃত হয়।
এজন্য G-C সংযুক্তি A-T সংযুক্তি হতে বেশী STABLE (শক্ত)। এখানে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ করুন, রাসায়নিক যৌগের STRUCTURE ফর্মুলার বিভিন্ন অবস্থানের মৌলকে বিজ্ঞানীগন গানিতিক সংখ্যা ব্যবহার করে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট করে রেখেছেন।আর যখন বেছ গুলী একে অপরের সংগে পরশ্পর ও অন্যপার্শে ছুগার ও ফছফেটের সংগে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বড় ধরনের যৌগ (POLYMER)তৈরী করিয়া DNA নির্মান করতেছে, তখন যার যার STRUCTURE ফর্মুলার গানিতিক সংখ্যা দ্বারা সুনির্দিষ্ট অবস্থানের মৌল পদার্থের সংগে সঠিক ভাবে প্রতিক্রিয়া করিয়া বড় যৌগ DNA টি উৎপাদিত করিয়াছে। এর কোথাও সামান্য পরিমান ব্যতিক্রম নাই।
এই সমস্ত অর্গানিক যৌগগুলী মূলতঃ অত্যন্ত UNSTABLE ও এর পার্শবর্তী রাসায়নিক অসংখ্য যৌগের সংগে অত্যন্ত বিক্রিয়াশীল।এ যেন প্রডন্ড উত্তাল সমুদ্রের মধ্যখানে একটি ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকার মধ্যে আশ্রয়ে থাকা।বিপদটা যে কোন মুহূর্তে ঘটলে ঘটেও যেতে পারে। একারণে এই DNA কে HISTONE নামক প্রোটীন দ্বারা অত্যন্ত সুকৌশলে এটে অল্প পরিসরে পেচিয়ে পেচিয়ে প্যাক করে CHROMOSOME আকারে রাখা হয়েছে এবং এদের বিভাজনের সময়, এবং RNA কপি করার সময় অতিশয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
নচেৎ যে কোন মুহূর্তে একটা বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।
এদের সুস্থ ও সঠিক ভাবে কাজ কাম চালনার উপর আমাদের জীবন ও দেহের শুস্থতা নির্ভর করে, যদিও আমরা এর কিছুই টের পাইনা।
যদি কখনো কোন কারণ বশতঃ এর কোন একটি যৌগ বিরুপ প্রতিক্রিয়া করে বসে অথবা STABILITY হারিয়ে ফেলে, তাহলে তার সংগে সম্পর্কিত কোন গুরুত্বপূর্ণ জ্বীন টি অকেজো হয়ে জীবন পরিচালনায় মরাত্মক সমস্যা এসে যেতে পারে।
সংযুক্তি করনে উভয় চেইনের নিউক্লিওবেছ কে সর্বদা একটা কঠোর নিয়ম অনুসরন করতে হয়েছে।
নিউক্লিওবেছ গুলী যে যার সংগে খুশী তার সংগেই জোড় মিলাতে পারেনা।
সংযুক্তির ক্ষেত্রে :
এডেনাইন বেছকে অবশ্যই থাইমিন বেছ এর সংগে সংযুক্ত হইতে হইবে এবং ছাইটোছিন বেছ কে অবশ্যই গুয়াণিন বেছ এর সংগে সংযুক্ত হইতে হইবে।(চিত্র -৭)
এই বন্ড গুলীর সংযুক্তি কতকটা ZEEPER এর ন্যায় তাই ডিএনএ বিভাজনের সময় চেইন দুইটি পেচ খুলে খুলে ZEEPER উন্মুক্ত করার ন্যায় পৃথক পৃথক হয়ে যায়। এবং ১টা DOUBLE STRAND DNA (DS DNA) ২টা SINGLE STRAND DNA (SS DNA) তে পরিণত হয়।
একটি নিউক্লীওবেছ এর সংগে ফসফেট ছাড়া শুধু ছুগার(ডিঅক্সিরিবোছ ) সংযুক্ত থাকিলে তাহাকে নিউক্লীওছাইড বলে। (4)
ডিঅক্সিরিবোছ (পাচটা কার্বন অনু বিশিষ্ট সর্করা)।(চিত্র- ৮)
ডিঅক্সিরিবোছ কে ২ ডিঅক্সিরিবোছ ও বলা হয়। এটা একটি সাধারন মনোছ্যাকারাইড পেনটোজ ছুগার শর্করা । এর আদর্শগত ফর্মুলা হল:
চিত্র ৭-B.
চিত্র ৭-A ও ৭-B, এখানে দেখানো হচ্ছে বেছ গুয়ানিন ও ছাইটোছিন সংযুক্তিতে ৩টা হাইড্রোজেন বন্ড এবং এডেনিন ও থাইমিন সংযুক্তি তে ২টা হাইড্রোজন বন্ড ব্যবহৃত হয়।
এজন্য G-C সংযুক্তি A-T সংযুক্তি হতে বেশী STABLE (শক্ত)। এখানে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ করুন, রাসায়নিক যৌগের STRUCTURE ফর্মুলার বিভিন্ন অবস্থানের মৌলকে বিজ্ঞানীগন গানিতিক সংখ্যা ব্যবহার করে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট করে রেখেছেন।আর যখন বেছ গুলী একে অপরের সংগে পরশ্পর ও অন্যপার্শে ছুগার ও ফছফেটের সংগে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বড় ধরনের যৌগ (POLYMER)তৈরী করিয়া DNA নির্মান করতেছে, তখন যার যার STRUCTURE ফর্মুলার গানিতিক সংখ্যা দ্বারা সুনির্দিষ্ট অবস্থানের মৌল পদার্থের সংগে সঠিক ভাবে প্রতিক্রিয়া করিয়া বড় যৌগ DNA টি উৎপাদিত করিয়াছে। এর কোথাও সামান্য পরিমান ব্যতিক্রম নাই।
এই সমস্ত অর্গানিক যৌগগুলী মূলতঃ অত্যন্ত UNSTABLE ও এর পার্শবর্তী রাসায়নিক অসংখ্য যৌগের সংগে অত্যন্ত বিক্রিয়াশীল।এ যেন প্রডন্ড উত্তাল সমুদ্রের মধ্যখানে একটি ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকার মধ্যে আশ্রয়ে থাকা।বিপদটা যে কোন মুহূর্তে ঘটলে ঘটেও যেতে পারে। একারণে এই DNA কে HISTONE নামক প্রোটীন দ্বারা অত্যন্ত সুকৌশলে এটে অল্প পরিসরে পেচিয়ে পেচিয়ে প্যাক করে CHROMOSOME আকারে রাখা হয়েছে এবং এদের বিভাজনের সময়, এবং RNA কপি করার সময় অতিশয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
নচেৎ যে কোন মুহূর্তে একটা বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।
এদের সুস্থ ও সঠিক ভাবে কাজ কাম চালনার উপর আমাদের জীবন ও দেহের শুস্থতা নির্ভর করে, যদিও আমরা এর কিছুই টের পাইনা।
যদি কখনো কোন কারণ বশতঃ এর কোন একটি যৌগ বিরুপ প্রতিক্রিয়া করে বসে অথবা STABILITY হারিয়ে ফেলে, তাহলে তার সংগে সম্পর্কিত কোন গুরুত্বপূর্ণ জ্বীন টি অকেজো হয়ে জীবন পরিচালনায় মরাত্মক সমস্যা এসে যেতে পারে।
সংযুক্তি করনে উভয় চেইনের নিউক্লিওবেছ কে সর্বদা একটা কঠোর নিয়ম অনুসরন করতে হয়েছে।
নিউক্লিওবেছ গুলী যে যার সংগে খুশী তার সংগেই জোড় মিলাতে পারেনা।
সংযুক্তির ক্ষেত্রে :
এডেনাইন বেছকে অবশ্যই থাইমিন বেছ এর সংগে সংযুক্ত হইতে হইবে এবং ছাইটোছিন বেছ কে অবশ্যই গুয়াণিন বেছ এর সংগে সংযুক্ত হইতে হইবে।(চিত্র -৭)
এই বন্ড গুলীর সংযুক্তি কতকটা ZEEPER এর ন্যায় তাই ডিএনএ বিভাজনের সময় চেইন দুইটি পেচ খুলে খুলে ZEEPER উন্মুক্ত করার ন্যায় পৃথক পৃথক হয়ে যায়। এবং ১টা DOUBLE STRAND DNA (DS DNA) ২টা SINGLE STRAND DNA (SS DNA) তে পরিণত হয়।
একটি নিউক্লীওবেছ এর সংগে ফসফেট ছাড়া শুধু ছুগার(ডিঅক্সিরিবোছ ) সংযুক্ত থাকিলে তাহাকে নিউক্লীওছাইড বলে। (4)
ডিঅক্সিরিবোছ (পাচটা কার্বন অনু বিশিষ্ট সর্করা)।(চিত্র- ৮)
ডিঅক্সিরিবোছ কে ২ ডিঅক্সিরিবোছ ও বলা হয়। এটা একটি সাধারন মনোছ্যাকারাইড পেনটোজ ছুগার শর্করা । এর আদর্শগত ফর্মুলা হল:
Molecula formula of Ribose-C6H10O5. Molecular formula of Deoxyribose- C6H10O4
Figure source- http://opentextbc.ca/biology/chapter/9-1-the-structure-of-dna/
চিত্র- ৮, (একটি DEOXYRIBOSE ও RIBOSE এর STRUCTURE)
লক্ষ করুন এর ৫টি কার্বন অনু C1 C2 C3 C4 C5 এর অবস্থান যথাক্রমে 1 2 3 4 ও 5 দ্বারা দেখানো হইয়াছে।
ডিঅক্সিরিবোছ, নিউক্লীওটাইড অনু নির্মানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিঅক্সিরিবোছের রাসায়নিক উপাদানে ৫টি কার্বন অনু আছে। এজন্য একে পেনটোছ ছুগার ও বলে ।
আগেই বলা হয়েছে একটি ডিএনএ র দুইটি চেইন আছে। এই উভয় চেইনের মেরুদন্ড (BACKBONE) তৈরী হয়েছে ডি অক্সিরিবোছ ও ফসফেট অনু দ্বারা। এরা একটার পর আর একটা (ALTERNATELY) সংযু্ক্ত হয়ে আছে। আবার এই ডি অক্সিরিবোছ অনুটি চেইনে যার যার পার্শের নিউক্লীওবেছের সংগেও সংযুক্ত রয়েছে। (চিত্র-১ ও ৯ লক্ষ করুন)
চেইনের মেরুদন্ডে (BACK BONE) ডি অক্সিরিবোছ ও ফসফেট এর এই সংযূক্তি টা যেমন খুশী তেমন ভাবে হলেই চলবেনা। সংযুক্তি টা একটা বিশেষ নিয়ম কানুন মেনে হতে হয়েছে।
নীচে দেখা যাক কী সেই নিয়ম কানুন এবং এর তাৎপর্যই বা কি?।
ডিঅক্সিরিবোছ ও ফসফেটের সংযোগের ক্ষেত্রে ডিএনএর উভয় চেইন এর মেরুদন্ড(BACKBONE) তৈরী হতে মাত্র ১টি বিশেষ নিয়ম জোরালো ভাবে অনুসরন করতে হয়েছে (চিত্র-১ ও ৯)।
নিয়মটি হল- একই চেইনে ফসফেট অনুটিকে তার এক প্রান্তের ডিঅক্সিরিবোছের কার্বন অনু C5 এর সংগে সংযোগ এবং OH কে অপর প্রান্তের ডিঅক্সিরিবোছের কার্বন অনু C3 এর সংগে সংযোগ করতে হবে। অপর চেইনেও একই ঘটনা ঘটে তবে প্রান্তদ্বয় প্রথম চেইনের বিপরীত দিকে থাকে। (চিত্র- ৯ লক্ষ করুন)
(Source of figure- http://en.wikipedia.org/wiki/DNA)
চিত্র ৯) কয়েল উন্মুক্ত ডিএনএর ২টা চেইন।
এখানে নিউক্লিওটাইড গুলী কি ভাবে একটার সংগে আর একটা ও একটা চেইন কি ভাবে এর COMPLEMENTARY চেইন এর সংগে সংযুক্ত থাকে, তা দেখানো হয়েছে। উভয় চেইনের BACKBONE কিভাবে ছুগার ডিঅক্সিরিবোছ ও ফসফেট দ্বারা তৈরী হয়েছে। দুইটি চেইন এর দিক কিভাবে বিপরীত মুখী হয়ে ANTI PARALLEL হয়েছে তাও দেখানো হয়েছে।
এই একটি মাত্র নিয়ম মেনে চলার ফলে ২ টি বিশেষ অবস্থার উদ্ভব হয়েছে।
১) সমস্ত নিউক্লীওটাইড গুলী এক মুখি হয়ে গিয়ে চেইনের একটা নির্দিষ্ট দিক হয়ে গিয়েছে।
২)যেহেতু এই নিয়মটি উভয় চেইনে মানতে হয়েছে, তার ফলে দুইটি চেইনের দিক বিপরীত মুখী হয়েছে। নিয়মটি মানতে গেলে এটা হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।(চিত্র-৯ লক্ষ করুন)
দুই টি STRAND এর বিপরীত মুখী দিক হওয়ার কারনে এদেরকে বলা হয় এন্টিপ্যারালেল (ANTI PARALLEL)।
ডিএনএ STRAND এর এই ANTI PARALLEL গুনাগুনটি, ডিএনএ বিভাজনের সময় বিশেষ ভাবে প্রয়োজন হয়।
এ ধরনের ASYMMETRICAL(অসামঞ্জস্যপূর্ণ) সংযোজনের মাধ্যমে ডিএনএ STRAND এর যে প্রান্তটিতে ডি অক্সিরিবোছের C5 অবস্থিত রয়েছে সেই প্রান্তকে 5’ PRIME END এবং যে প্রান্তে ডি অক্সিরিবোছের C3 অবস্থিত হয়েছে তাকে 3’ PRIME END বলা হয়।
5’ PRIME END এ একটি প্রান্তিয় ফসফেট গ্রুপ এবং 3’ PRIME END এ একটি হাইড্রক্সিল গ্রুপ সংযুক্ত থাকে। (১,২,৩,৪,)
DNA তে কেন এক প্রান্তে 5’ PRIME END ও অপর প্রান্তে 3’ PRIME END রাখা হয়েছে? এর তাৎপর্য কী?
আমরা যদি কারো নিকট বাংলা বা ইংরেজী ভাষায় চিঠি লিখি অথবা পড়ি, তখন যেমনটা বাম দিক হতে লিখি ও পড়ি।ঠিক DNA তদ্রুপ তার GENETIC CODE নির্দেশের টিঠির ভাষা লিখা বা পড়ার কাজ আরম্ভ করা হয় 5’ PRIME এর প্রান্ত হতে এবং শেষ কর হয় 3’ PRIME এর প্রান্তে।
DNA এর ভাষা সম্পর্কে জানতে পড়ুন-
ডিএনএ কী?( ১০ম পর্ব), ক্রোমোজোম-পুস্তকে ডিএনএ কোন ভাষা ব্যবহার করেছে?
Figure source –http://imgkid.com/dna-model-with-beads.shtml
চিত্র-১০ (ডিএনএ মডেল)একটি AXIS এর উপর নিউক্লীওবেছ দ্বারা সংযুক্ত DNA এর ডবল হেলিক্স।
দ্বিতীয়পর্বের সূত্রসমুহ:
অন্যান্য পর্বের সূত্র সমূহ– http://www.chkdr02.wordpress.com
Edited on 5/14/2015
।)http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/164492004।
2) http://en.wikipedia.org/wiki/Chromosome
3)http://en.wikipedia.org/wiki/DNA
4)http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC177480/?tool=pmcentrez
5)http://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication
6)http://en.wikipedia.org/wiki/Hydrogen
পর্ব-৩, ডিএনএ ও মানব দেহের রহস্য RNA,TRANSCRIPION & CODON কী?
পর্ব-৩, ডিএনএ ও মানব দেহের রহস্যRNA,TRANSCRIPION & CODON কী?
ডিএনএ এর সংগে প্রানী বিবর্তনের সম্পর্ক-
২০০৫ সালে বিজ্ঞানীগন শিম্পাঞ্জীর GENOME আবিস্কারে সমর্থ হন। GENOME বলা হয় কোন একটি প্রাণীর সম্পূর্ণ GENETIC CODE এর SET কে। বিজ্ঞানী গন দেখতে পান মানবের GENOME এর সংগে শিম্পাঞ্জীর GENOME প্রায় ৯৯% মিল। সম্প্রতি বিজ্ঞানীগন একই রকম মিলের আর একটি প্রানী মধ্য আফ্রিকায় আবিস্কার করেছেন যার নাম বনোবো। বিজ্ঞানীগন মনে করেন, মানব,শিম্পাঞ্জী ও বনোবোর একই পূর্ব পুরুষের বসবাস ছিল ৪০-৫০ লক্ষ বৎসর পূর্বে।
তবে বিজ্ঞানী গন এখনো নিশ্চিত হতে পারেন নাই যে সেই পূর্বপুরুষেরা দেখতে কেমন ছিল বা তাদের আচার আচরন ও কেমন ছিল? (১)
ডিএনএ সম্পর্কে পরবর্তিতে আরো কিছু বুঝতে গেলে আরএনএ সম্পর্কে এখনি কিছুটা জেনে নেওয়া দরকার। কারন ডিএনএ এর অনেক কাজ কামের সংগে আরএনএ সরাসরি জড়িত। এ কারনে আরএনএ কে ডিএনএ এর COUSIN ও আখ্যা দেওয়া হয়। আসুন তাহলে দেখা যাক আরএনএ কি?
আরএনএ
Figure source- http://en.wikipedia.org/wiki/Phoebus_Levene
Figure-1
ফটো- Phoebus Levene
আবিস্কার– Phoebus Levene নামে একজন রাসিয়ান বায়োকেমিষ্ট ১৯০৯ সালে একটি YEAST হতে পাচ কার্বন বিশিষ্ট একটি শর্করা অনু বের করেছিলেন। এর তখন নাম দিয়েছিলেন রিবোছ (RIBOSE)।
পরবর্তিতে ১৯২৯ সালে তিনি একটি প্রানীর থাইমাছ গ্লান্ডের নিউক্লীয়াছ হতে আর একটি পাচ কার্বন বিশিষ্ট শর্করা অনু বের করেছিলেন। কিন্তু এই অনুটি পূর্ববর্তী অনু হতে সামান্য কিছুটা পৃথক ছিল।এই অনুতে রিবোছ অনু হতে একটা অক্সিজেন অনু কম ছিল।
তিনি তখন এই দ্বিতীয় অনুটির নাম দিলেন ডিঅক্সিরিবোছ এবং প্রথমটির নাম দিলেন রিবোছ যা আর এনএ এর উপাদান এবং ডিঅক্সিরিবোছ ডি এন এ এর উপাদান।
এই পরীক্ষা হতেই ডিএনএ ও আরএনএ এর পার্থক্য ভিন্ন উপাদানের মধ্য দিয়ে ধরা পড়ে গেল এবং রিবোছ সম্বলিত নিউক্লীক এসিডটিকে “আরএনএ” নাম দেওয়া হইল।(2)
আর এন এ এর উপাদান-
আর এন এ ও ডিএনএ এর উপাদান ও আকৃতি প্রায় একই, অতএব এদের পার্থক্য ও সামঞ্জস্য টা দেখিয়ে দিলেই বুঝার জন্য যথেষ্ট হইবে।
১) রিবোছ অনুতে ডিঅক্সিরোছ হতে C2 তে OH অনু আকারে ১টি অক্সিজেন অনু বেশী আছে, যেখানে ডিঅক্সিরোছ এ শুধু মাত্র H অনু আছে। লক্ষ করুন চিত্র ২ ও ৩ ।
২) ডিএনএ ডবল হেলিক্স, অর্থাৎ ২টা STRAND বা চেইন বিশিষ্ট হয়। কিন্তু আর এন এ এক চেইন বিশিষ্ট হয়।(চিত্র-৩,চিত্র-৭)
৩) আরএনএ তে থাইমিন বেছ নাই, তার স্থলে আছে ইউরাছিল বেছ (U)।(চিত্র-৩ ও ৭)অতএব আর এন এ এর বেছ হইল, ACGU।আর সেখানে ডিঅক্সিরোছ এর বেছ হইলACGT।
আর এনএ এর চেইন ডিএনএ এর চেইন অপেক্ষা স্বল্প দৈর্ঘের হয়।
Fiure -2, Deoxyribose & Ribose
(Figure source-http://www.mun.ca/biology/scarr/iGen3_02-07.html)
Figure source- http://www.quora.com/Whats-the-difference-between-DNA-and-RNA
চিত্র-৩) ডিএন এ দুই চেইন বিশিষ্ট ও আর এন এ ১ চেইন বিশিষ্ট। এখানে উভয়ের বেছ এর পার্থক্য ও দেখানো হয়েছে।
আরএনএ চেইন ও ডিএন এ চেন এর মতই নিউক্লীওটাইড সংযোজন দ্বারা গঠিত এবং এর ও 5’ – 3’ PRIME END ও রয়েছে। এদের ও DNA NUCLEOTIDE এর মত 5’ PRIME প্রান্তে ফসফেট (PO4) ও 3’ PRIME প্রান্তে হাইড্রক্সিল (OH) অনু থাকে।চিত্র-৪
Figure source- http://tonga.usp.edu/gmoyna/biochem341/lecture36.html
চিত্র-৪) এখানে একটি আরএনএ নিউক্লীওটাইড (উপরে) ও আর একটি ডি এন এ নিউক্লীওটাইড (নীচে)কি ভাবে গঠিত হয়েছে এবং এদের পার্থক্য ও গঠন প্রকৃয়া দেখানো হয়েছে।
আর এনএ কত প্রকার ও তাদের প্রধান কাজ।
আরএনএ ৩ প্রকারের।
১) মেছেনজার আরএনএ (MESSENGER RNA) সংক্ষিপ্ত নাম এমআরএনএ (mRNA)-এম আর এন এর কাজ হল কোষের নিউক্লীয়াছের মধ্যে অবস্থিত ডিএনএ হতে GENETIC CODE হুবহু কপি করা। একে বলা হয় ট্রান্সক্রিপসন(TRANSCRIPTION) করা। একটি mRNA এক সংগে মাত্র একটা GENE কে TRANSCRIBE করে বহন করে আনতে পারে। কিন্তু একটি ডিএনএ SEQUENCE কে অসংখ্য mRNA বার বার কপি করে অসংখ্য প্রোটীন তৈরী করতে পারে।ডিএনএ কোড TRANSCRIBE সম্পূর্ণ ভাবে করার পর mRNA কোষের নিউক্লীয়াছ বেড়ী অতিক্রম করে কোষের CYTOPLASM এর মধ্যে চলে আসে। কোষের CYTOPLASM এর মধ্যে RIBOSOME নামে একটি অতিক্ষুদ্র কোষ একক(ORGANELLE) আছে। কোষের মধ্যে এটা প্রোটীন (আমিশ) তৈরীর কারখানা হিসাবে কাজ করে।
mRNA কপি কৃত GENE বহন করে RIBOSOME এর মধ্যে ঢুকে পড়ে।
২)TRANSFER আরএনএ(tRNA)- mRNA দ্বারা কপি কৃত GENE RIBOSOME এর মধ্যে আনলে, RIBOSOME এর মধ্যের tRNA তার ANTICODON এর মাধ্যমে, mRNA এর বহনকৃত আনা GENE CODE টি DECODE বা ভাষায় রুপান্তরিত করে ফেলে।একে TRANSLATION বলা হয়।
যেহেতু আরএনএ তে THYMINE (T) এর পরিবর্তে URACIL (U) থাকে, এ কারণে কপিকৃত RNA কোডে T এর স্থলে U আসে।
প্রতি ৩টা ডিএনএ কোড বা কপিকৃত আরএনএ কোড এক একটা এমাইনো এসিডের নির্দেশক হিসাবে কাজ করে। একে CODON (কডন) বলা হয়। রাইবোছোমের অভ্যন্তরে tRNA, mRNA হতে প্রাপ্ত কপিকৃত কোড গুলীকে কডন টেবিলের চার্ট অনুসারে, যে কডনটি এর বিপরীতে যে এমাইনো এসিডটি আনতে হবে tRNA ঠিক সেই AMINO ACID টি একের পর এক এনে এনে, এবং SEQUENCE ঠিক রেখে রেখে প্রোটীন উৎপন্ন করে ফেলে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ১১তম পর্ব পড়ুন।
mRNA এর INTRON অংস( যেখানে কোন GENETIC CODE থাকেনা)কেটে বাদ দেওয়া হয়, এবং EXON অংস (যেখানে GENETIC CODE থাকে) গুলীকে যোড়া লাগানো হয়।
একে SPLICING বলে (4)
কডনকে ভাষায় রুপান্তর করে এমিনো এসিড উৎপন্ন করার CODON TABLE টি দেখুন, চিত্র-৬,
রাইবোছোম (চিত্র-৮)
৩) RIBOSOMAL RNA (rRNA)-DNA, rRNA কে নিউক্লীয়াসের NUCLEOLI এর মধ্যে উৎপাদন করিয়া সাইটোপ্লাজমে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে এটা একত্রে মিলিত হয়ে একটি বিশেষ ধরণের প্রোটীন উৎপাদন করে। এই প্রোটীন দ্বারা রাইবোজোম উৎপাদিত হয়।অতএব রাইবোজোম যেমনটা RNA প্রোটীন দ্বারা উৎপন্ন হয়, তেমনি রাইবোজোমের মধ্যে এখানে সেখানে প্রচুর RNA ও ছড়িয়ে থাকে।(9)(VIDEO NO 2 দেখুন)
তাহলে ব্যাপারটা এরুপ দাড়াল যে, যে রাইবোজোমের নিকট DNA, mRNA পাঠিয়ে প্রোটীন উৎপাদন করাচ্ছে, সেই রাইবোজোমকে DNA পূর্বেই NUCLEOLI দ্বারা উৎপাদন করিয়ে বিশেষ ভাবে প্রোটীন উৎপাদনের উপযোগী ফ্যাক্টরী আকারে তৈরী করে সইটোপ্লাজমের মধ্যে রাখিয়া দিয়াছে।
এ কতবড় কৌশল!!! এরুপ কৌশল অবলম্বন না করলে কী আর জটীল জীবন প্রকৃয়া চলতে পারে !!!
পূর্বেই বলা হয়েছে mRNA ডিএনএ হতে GENE, TRANSCRIBE করে লয়ে আসে।এবার তাহলে একটু দেখা যাক কি ভাবে TRANSCRIPTION করা হয়।
DNA TRANSCRIPTION
ট্রান্সক্রিপসন এমন একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে ডিএনএ, আরএনএকে GENE কপি করে দেয় এবং সেই কপি কৃত GENETIC CODE এর বার্তা অনুসরন করিয়া শরীরের প্রোটীন তৈরী করা হয়।ডিএনএ এর অবস্থান কোষের নিউক্লীয়াসের মধ্যে। সেখান থেকে বার্তা পাঠিয়ে প্রোটীন তৈরীর নির্দেশ দিয়ে কোষের কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করে। তবে ডিএনএ এই কাজটি নিজে সরাসরি কোষকে নির্দেশের মাধ্যমে কখনই করেনা। ডিএনএ নিজে সরাসরি এই কাজে জড়িত হয়ে পড়লে তাতে তার মধ্যে সংরক্ষিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ GENETIC তথ্যাবলীর অস্তিত্বের উপর আঘাত আসার সম্ভাবনা থেকে যেত, এ কারনে ডিএনএ এ কাজটি আর এনএ এর মাধ্যমে তার কাছে GENETIC CODE আকারের নির্দেশ এর কপি করে পাঠিয়ে দিয়ে করায়।
GENETIC CODE এর মূল পান্ডুলিপি DNA এর মধ্যে ঠিকই সংরক্ষিত থাকে।
এখন প্রশ্ন আসে, এই কাজগুলী করাতে শক্তির প্রয়োজন হয়।
কে এই শক্তিটা সরবরাহ করে?
জী,হ্যাঁ,
ATP (ADENOSINE TRIPHOSPHATE) এই শক্তি সরবরাহ করে।
কী ভাবে করে?
ATP, হতে একটি ফছফেট (PO4)অনু HYDROLYSIS প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বেরিয়ে গেলে ADP (ADENOSINE DIPHOSPHATE)এ পরিণত হয়। এভাবে ATP অনু ভাঙ্গনের ফলশ্রুতিতে আনবিক সূত্র অনুসারে একটি শক্তি উৎপন্ন হয়ে বেরিয়ে আসে।
শরীর তখন এই শক্তির ব্যবহার করে। এই শক্তিই আমাদের মাসপেশী ব্যবহার করে আমাদের চলা ফিরা দৌড়ানো ইত্যাদিতে সহায়তা করে, হৃদপিন্ডের শ্পন্দন ও আরো অনেক কিছু ঘটায়।
ATP হল শরীর এর শক্তির মুদ্রা (CURRENCY)এর একক।শরীর এই মুদ্রা ব্যয় করে করে শক্তি ক্রয় করে কাজ চালায়।(8)
মনে রাখবেন বিনা খরচে এই জগতে কিছুই পাওয়া যায়না।তাই শরীর ও বিনা খরচে কিছু পায়না।
যে ভাবে RNA TRANSCRIBE করা হয়।
১)আরএনএ পলিমারেজ নামক একটি এনজাইম ডিএনএ হতে GENETIC CODE এর কপি করে। নিউক্লিওটাইডের বেছ এর বিশেষ ধারা (SEQUENCE) এনজাইমটাকে বলে দেয়, কপি করা কোথা থেকে আরম্ভ করতে হবে এবং কোথায় শেষ করতে হবে। আরএনএ পলিমালেজ, ডিএনএর একটা নির্দিষ্ট জায়গায় সংযুক্ত হয় সে জায়গার নাম দেওয়া হয়েছে “প্রোমোটার এরিয়া”।
২।“ট্রান্সক্রিপসন ফ্যাক্টর” নামে এক ধরনের প্রোটীন, ডিএনএর প্যাচ কে উন্মুক্ত করে দেয়। এবার আরএনএ পলিমারেজ ডিএনএর একটি চেইন (নির্দিষ্ট খন্ডাংসের অংস)হইতে একটি আর এন এ কপি করে ফেলে। এই আরএনএ টার নাম PRECURSOR mRNA।
যে চেইন টাকে কপি করা হয় তাকে বলা হয় “SENSE চেইন” এবং যেটাকে কপি করা হয়না, তাকে বলা হয় “ANTISENSE চেইন”।
ডিএনএ বেছ এ থাকে কোড ATGC, সেখানে আরএনএ বেছ এ থাকে কোড AUGC। ডিএনএ কপি করার সময় ডিএনএ এর SENSE এর A আরএনএ এর U এর সংগে এবং G আরএনএ এর C এর সংগে সংযুক্ত থাকে। (চিত্র-৫)
৩। TERMINATION (সমাপ্তি)-আরএনএ পলিমারেছ ডিএনএ চেইন বেয়ে চলতে থাকে যতক্ষন না TERMINATION SEQUENCE পর্যন্ত পৌছায়। TERMINATION SEQUENCE এ পৌছানো মাত্রই আরএনএ পলিমারেছ PRECURSOR mRNA কে ছেড়ে দেয় এবং ডিএনএ হতেও পৃথক করে দেয় ও DNA চেইন দুইকে পূর্বের ন্যায় একত্রে পেচিয়ে দেয়।
তখন PRECURSOR mRNA নিউক্লীয়াছের বেড়ী হতে বেরিয়ে ছাইটোপ্লাজমের মধ্যে চলে আসে।
এবার একে বলা হয় MATURE mRNA বা mRNA ।
এর পরবর্তী কাজ ইতিপূর্বেই বলা হয়েছে।
Figure source- http://www.angelfire.com/dc/apgenetics/rna.htm
চিত্র-৫, এখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে ডিএনএ GENETIC CODE mRNA এর মধ্যে কপি করে পাঠাচ্ছে।
এ ছাড়াও আরএনএর আরো বহু ধরনের কাজ রয়েছে, যা পরে কখনো আলোচনা করা যেতে পারে।
ডিএন এ আলোচনার মাঝখানে আরএনএ সম্পর্কে আলোচনা করতে হল,কারণ এর পরবর্তিতে ডিএনএ সম্পর্কে বুঝতে গেলে, আর এনএ সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকা আবশ্যক।এবার তাহলে আসুন আমরা আবার ডিএনএ তে ফিরে যাই।
(TRANSCRIPTION ও TRANSLATION বিস্তারিত বুঝতে VIDEO ১-৪ দেখুন)
Figure source- http://www.biogem.org/blog/rna-to-protein-translation-in-perl/
চিত্র-৬, কডন টেবিল (CODON TABLE)- tRNA এই চার্ট অনুসারে CODON কে ভাষায় রুপান্তরিত করে দেয়। যেমন AUG এর অর্থ মিথিওনিন এমাইনো এসিড, এটা START CODON এবং এর A আসে ADENINE থেকে,U আসে URACIL থেকে ও G আসে GUANINE থেকে।(5,6,7 ও VIDEO1,2,3,4)
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/Genetic_code
চিত্র-৭ আএনএ কডন সহ
Figure source- http://micro.magnet.fsu.edu/cells/ribosomes/ribosomes.html
চিত্র-৮,রাইবোছোম, বা প্রোটিন তৈরীর কারখানা–
মানব দেহের জীবন রহস্য জানতে সংগে থাকুন।
Updated on-6/9/2015
অন্যন্য পর্ব এখানে দেখুন– https://chkdr02.wordpress.com/
ভিডিও–
1) TRANSCRIPTION AND TRANSLATION
https://www.youtube.com/watch?v=h3b9ArupXZg
2) mRNA,rRNA,tRNA
https://www.youtube.com/watch?v=dcvtHSFzKOQ
3)protein synthesis video
https://www.youtube.com/watch?v=Ikq9AcBcohA
4) PROTEIN SYNTHESIS
https://www.youtube.com/watch?v=2zAGAmTkZNY
৪৮ (৮) তম পর্ব।কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? Toll Like Receptor কী ? DNA সম্পর্ক।
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? Toll Like Receptor কী ? DNA সম্পর্ক।
৪৮ (৮) তম পর্ব।
Figure-1 (চিত্র-১)
Figure source- .http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
(1)
ঐ বৈজ্ঞানিকত্রয় শরীর এর প্রতিরক্ষাব্যূহের উপর নূতন এমন কী অবদান রাখিয়াছিলেন যার জন্য তারা ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়ে বিশ্ব বিখ্যাত হলেন? তাদের আবিস্কারটা বুঝতে গেলে শরীর এর প্রতিরক্ষাব্যূহের কার্য কলাপের পদ্ধতির (IMMUNOLOGY)উপর আপনাদের কিছুটা প্রাথমিক জ্ঞ্যান থাকার প্রয়োজন ছিল, এ কারণে আমি ইতিপূর্বে IMMUNOLOGY এর উপর ৭টি পর্ব দিয়েছি। আশা করি ইতিমধ্যে আপনাদের IMMUNOLOGY এর উপর মোটামুটি কিছুটা ধারণা জন্মেছে।
তাই এবার উক্ত বিজ্ঞানীদের অবদান টা সরাসরি আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরব।
আপনারা ইতিপূর্বে জানতে পেরেছেন, আমাদের শরীর রোগ জীবানূর বিরুদ্ধে দুই সারিতে প্রতিরক্ষার কাজ করে থাকে, যেমন-
১) প্রথম সারির প্রতিরক্ষা,
একে INNATE IMMUNITY বলে। এই সারিতে শরীর রোগ জীবানুকে (যেমন, BACTERIA,VIRUS, FUNGUS, PARASITES ইত্যাদি) শরীরের রক্তের মূল প্রবাহে প্রবেশ করার পূর্বেই এক ধরণের বিশেষ প্রকৃয়ার মাধ্যমে জীবানুকে ঢুকবার স্থানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলে ও আক্রমন করে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এই প্রথম সারির কার্য কলাপ টা বিস্তারিত জানতে ৪২ তম পর্ব টা একটু পুনরায় পড়ে নিন।
২) আর যদি রোগ জীবানু কোনক্রমে এই প্রথম সারির প্রতিরক্ষাব্যূহকে পরাজিত করতে পারে, তাহলে তখন এরা রক্তের মূল প্রবাহে ঢুকে সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে আমাদেরকে মারাত্মক ভাবে আক্রমন করে।
এই সময় শরীর দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষাব্যুহকে কাজে নামতে আহবান জানায়। এই দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষার নাম ADAPTIVE IMMUNITY।
কী এই দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা ব্যূহ বা ADAPTIVE IMMUNITY? এরা এসে কী কাজ করে?
জ্বী, হ্যা, দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা ব্যূহে শরীর DENDRITIC নামক কোষকে কার্যকরী (ACTIVE) করে ও ব্যবহার করে T- LMPHOCYTE ও B-LYMPHOCYTE কে কার্যকরী ও ব্যবহার করে ৩ প্রকারের কাজ করে যেমন-
১) এরা “NATURAL KILLER” বা CYTOTOXIC T CELL (TC) নামক এক ধরনের কোষ উৎপাদন করে, যা জীবানু দ্বারা আক্রান্ত কোষটিকে তৎক্ষনাৎ সরাসরি ধংস করে দেয়, যাতে করে তার থেকে রোগ জীবানু শরীরের অন্যত্র আর বিস্তার লাভ না করতে পারে।
এই কার্যলাপ টা বিস্তারিত জানতে ৪৬ পর্বটা আর একবার পড়ে নিন।
২) শরীরে উক্ত রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে ধংস কারী সঠিক অস্ত্র উৎপাদন করায়। বৈজ্ঞ্যানিক ভাষায় এই অস্ত্রকে বলা হয় ANTIBODY।
এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ৪৭ পর্বটা আর একটু পড়ে নিন।
৩) শরীরে উক্ত রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে তাদের তথ্য ও বৈশিষ্ট্য, MEMORY CELL উৎপাদন করে সংগ্রহ করে ধরে রাখে, যাতে ভবিষ্যতে এই জীবানু আর কখনো শরীরে ঢুকে পড়লে এদের বিরুদ্ধে সঠিক কী করনীয় তা বুঝে দ্রুত যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া সহজর হয়।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ৪৭ পর্বটা পুনরায় একটু পড়ে নিন।
আসুন তাহলে এবার একটু খতিয়ে দেখা যাক এই বৈজ্ঞানিকত্রয় IMMUNOLOGY এর উপর কে কোথায় কী অবদান রেখে ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হলেন।
আগে দেখা যাক RALPH M STEINMAN, IMMUNITY এর উপর কোথায় কী অবদান রাখলেন?
আপনারা ৪৭ পর্বে দেখেছেন যে APC (ANTIGEN PRESENTING CELL) যারা জীবানুকে গিলে, মেরে জীবানুর ANTIGEN কে T- LYMPHOCYTE এর নিকট তুলে দিয়ে এই দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষার কাজ চালায়, সেই APC এর তালিকায় রয়েছে 1) DENDRITIC CELL 2) MACROPHAGE 3) B- LYMPHOCYTE.
এই যে দেখতে পেলেন, DENTRITIC কোষটি, এই কোষটি এই IMMUNOLOGY এর এই অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজটিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। আর এইটাই RALPH M STEINMAN ল্যাবরেটরীতে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে সর্ব প্রথম প্রমান করেছিলেন যে DENDRITIC CELL, ADAPTIVE IMMUNITY তে জীবানুকে মেরে তার ANTIGEN কে T-LYMPHOCYTE কে তুলে দিয়ে শরীরে ADAPTIVE IMMUNITY আরম্ভ করাতে মস্তবড় ভূমিকা পালন করে ।
পরবর্তিতে আরো বিজ্ঞানীদের দ্বারা আরো নিশ্চিত ভাবে এটা প্রমাণিত হয়, এরপর ১৯১১ সনে এসে এর উপর RALPH M STEINMAN নোবেল পুরস্কারের অংশীদার হন।(1)
দুখের বিষয় তিনি জীবিত থাকা কালে তার পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জেনে যেতে পারেন নাই। তিনি বিজয় প্রাপ্তি ঘোষনার ৩দিন পূর্বে ৩০শে সেপ্টেম্বর অগ্নাশয় (PANCREATIC) ক্যান্সারে ভুগে মৃত্যু বরন করেন।(4)
এবার তাহলে দেখা যাক, BRUCE A. BUETLER এবং JULES A. HOFFMAN IMMUNITY এর কিসের উপর অবদান রাখিয়া ২০১১ সনের নোবেল বিজয়ী হলেন?
এরা দুই জন ল্যাবরেটরীতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রথম সারির IMMUNITY এর উপর বিশেষ অবদান রেখেছেন।
তারা কী অবদান রেখেছেন প্রথম সারির IMMUNITY এর উপর?
জী, হ্যা,
আপনারা ৪২ তম পর্বে দেখেছেন, শরীরে প্রথমে কোন স্থানে জীবানু ঢুকিলে শরীর তার সৈনিক কোষগুলী ও তাদের দ্বারা নিংসরিত এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যাকে CYTOKINE বলে, ও আরো কয়েক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ যেমন INTERFERON, TNF, HISTAMIN ইত্যাদি নিঃসরণ করে, প্রদাহ (INFLMMATION) সৃষ্টি করে। এই প্রথম সারির IMMUNITY কে INNATE YMMUNITY বলে।
তখন ঐ স্থান টা ফুলে যায়, ব্যাথা হয়, লাল হয়ে যায়, তাপ মাত্রা বেড়ে যায়। শরীর এই জটিল প্রকৃয়ার মাধ্যমে রোগ জীবানুকে শরীরে ঢুকার পথেই আটকিয়ে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলে রোগ জীবানুকে ধংস করে দিতে চেষ্টা করে, যাতে তারা আর রক্ত প্রবাহের মূল শ্রোতে ঢুকে শরীর এর সর্বত্র ছড়িয়ে বিপদ্জনক অবস্থার সৃষ্টি না করতে পারে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ৪২তম পর্বটা আর একবার পড়ে নিন।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে শরীর রোগ জীবানুকে এই প্রথম সারির IMMUNITY প্রকৃয়ার মাধ্যমে প্রতিহত করে দিতে সক্ষম হয়। আর যদি কোন কারণে শরীর এই প্রথম সারির যুদ্ধে পরাজিত হয় যায়, তাহলে এই ঘাতক রোগ জীবানু রক্তের মূল শ্রোতের মাধ্যমে শরীর এর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে যায়, এমতাবস্থায় শরীর তখন তার দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা ব্যুহকে (যাকে ADAPTIVE IMMUNITY বলে) আহবান করে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে ইঙ্গিত দেয়।
কী ভাবে এটা করে তা ইতিপূর্বে জেনেছেন ৪৬ ও ৪৭ পর্বে।
মূলতঃ আমাদের শরীর এভাবে ২ সারির প্রতিরক্ষা ব্যূহকে অনবরত ব্যবহার করে আমাদেরকে রক্ষা করে রাখতেছে।
এখন ব্যাপারটা হল, শরীর প্রথম শ্রেনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহে যে প্রক্রীয়া ব্যবহার করে (৪২ তম পর্ব দেখুন)জীবানুদেরকে প্রতিহত করে, এ খবরটা আমাদের নিকট যথেষ্ঠ তৃপ্তিদায়ক হলেও বিজ্ঞানীরা এতটুকু জেনে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন নাই।
তাদের কাছে একটা মস্তবড় রহস্য ও প্রশ্ন থেকে গিয়েছিল যে,
১)তাহলে শরীর এর দ্বার-রক্ষী কে?
২)শরীর এর কোন প্রথম সারীর দ্বার রক্ষী শরীরে সর্বপ্রথম জীবানু-শত্রুর অনুপ্রবেশ টের পায়?
৩)আর তখন সেই দ্বার-রক্ষী কীই বা পদক্ষেপ গ্রহন করে বা নাকী কিছুই করেনা?
দীর্ঘদীন বিজ্ঞানীগন এই সব প্রশ্নের উত্তর হন্যে হয়ে খুজতেছিলেন। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করতে করতে অবশেষে সর্ব প্রথম এই রহস্য উদ্ঘাটিত করেন ১৯৯৬ সনে Jules A.Hoffman ও তার একদল সহকর্মীরা FRUIT FLY এর উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে।
আবার Bruce A.Buetler, ১৯৯৮ সনে তার একদল সহকর্মী লয়ে ইদুরের উপর ভিন্ন ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েও Jules A.Hoffman এর একই আবিস্কারের উপর জোরালো প্রমান স্থাপন করেন।(১,২)
তারা কী রহস্য উদঘাটন করলেন?
তারা প্রমান করলেন যে প্রথম সারির IMMUNITY তে শরীর যে প্রকৃয়া টা ঘটায়,(৪২ তম পর্ব দেখুন) তা আপনা আপনিই ঘটেনা।
এইটা ঘটায় শরীর এর প্রথম দ্বার-রক্ষী।
আর শরীরের কে এই প্রথম দ্বার-রক্ষী?
প্রথম দ্বার রক্ষী হল শরীর এর APC কোষ এর (DENDRITIC, MACROPHAGE ও B CELL)প্রাচীরের একটি RECEPTOR এর বিশেষ প্রোটীন। (RECEPTOR কী জানতে ১৬ তম ও ৪৭ তম পর্ব পড়ুন)
কী এই RECEPTOR টার নাম?
এর নাম “TOLL RECEPTOR”.
কী কাজ করে এই TOLL RECEPTOR?
এর বিস্তারিত কাজ দেখতে ভিডিও নং ১-৩ দেখুন।
তবে অতি সংক্ষিপ্তাকারে বলা যায়-
শরীরের বহিরাবারণ (চামড়া, ঝিল্লী মেমব্রেন ইত্যাদি) এর নীচে যখনি প্রথম কোন জীবানু ঢুকে পড়ে তখনি এই RECEPTOR টা তা শরীরে প্রথম সারির দ্বার-রক্ষী হিসাবে টের পায় ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
কী ভাবে এই RECEPTOR জীবানুর উপস্থিতি টের পায়?
প্রতিটা জীবানু প্রকৃতিগত ভাবেই তার কোষ প্রাচীর হতে প্রোটীন জাতীয় এক ধরনের (যেমন, Lipopoly sacharide, glyco protein ইত্যাদি ধরনের)বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ছড়াতে থাকে।
এই রাসায়নিক পদার্থটাকে সাথে সাথে APC ও আরো অনেক কোষ এর প্রাচীরে অবস্থিত TOLL RECEPTOR সর্ব প্রথম ধরে ফেলে।
তখন এই RECEPTOR এই রাসানিক পদার্থটা কে একটা অতি সূক্ষ্ম ও জটিল প্রকৃয়ায় মাধ্যমে (বিস্তারিত জানতে VIDEO গুলী দেখুন)কোষটির কেন্দ্রে অবস্থিত নিউক্লীয়াস এর মধ্যে অবস্থিত DNA এর নিকট, এর বিরুদ্ধে বহিশত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে পাঠিয়ে দেয়।
তখন DNA কী করে?
জী হ্যাঁ,
তখন DNA, এই জীবানুর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট জ্বীন এর RNA কপি করে RIBOSOME এর নিকট পাঠিয়ে দেয়(কী ভাবে পাঠায় বিস্তারিত জানতে ১১তম পর্ব দেখুন) প্রথম সারীর IMMUNITY এর প্রতিক্রীয়া (INFLAMMATION)ঘটায়ে প্রতিরোধ গড়তে, যেসব রাসায়নিক পদার্থ (যেমন CYTOKINE,INTERFERON, TNF ইত্যাদি)কাজ করে তা উৎপাদন করে নিঃসরন করতে।
যখন এই কোষ গুলী উক্ত রাসায়নিক দ্রব্যগুলী উৎপাদন করে নিঃসরণ করে দেয়, তখন অন্যান্য সৈনিক কোষগুলী টের পেয়ে যায় যে ঘাতক শত্রু শরীর রাজ্যের দ্বার প্রান্তে উপস্থিত, এখনি প্রতিরোধ না গড়লে ও এদের এই দ্বার প্রান্তে নিশ্চিহ্ন না করলে, শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সর্বনাস করে দিবে।
তখন রাইবোজোম উক্ত জীবানু বিরোধী রাসায়নিক পদার্থ গুলী উৎপাদন করে ফেলে। এরপর এটা কোষগুলী ছড়িয়ে দিয়ে প্রথম সারীর নিরাপত্তাব্যুহ সৃষ্টি করে ফেলে।
এই প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গড়ার ফলেই প্রথম সারির IMMUNITY (INNATE IMMUNITY)এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া যাকে আমরা প্রদাহ (INFLAMMATION)বলি তার আরম্ভ হয়।
এভাবে এই দুই বিজ্ঞানী প্রথম সারীর IMMUNITY এর উপর বিশেষ অবদান রাখিয়া ২০১১ সনে নোবেল বিজয়ী হন।
তাদের এই আবিস্কার এর ফলে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে পরবর্তীতে এর কিছু সুফল ও বয়ে আনবে। যেমন,কিছু কিছু IMMUNITY জনিত ব্যাধি যেমন Hypersensitivity, Autoimmune disease, Allergy ইত্যাদি চিকিৎসার ক্ষেত্রে, উন্নত টীকা তৈরীতে, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টীকা তৈরীতে, এই আবিস্কার অবদান রাখবে।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন-
কোষ-প্রাচীর এর উপর এই বিশেষ ধরণের TOLL RECEPTOR টা কে স্থাপন করল?
জী,হ্যাঁ, ভাল প্রশ্ন।
TOLL RECEPTOR ১০ প্রকারের আছে, যেমন TL1,TL2,TL3,TL4,TL5,TL6,TL7,TL8,TL9,TL10 (VIDEO গুলী দেখুন)
এ সমস্ত RECEPTOR গুলীকেই DNA তার নির্দিষ্ট জ্বীন দ্বারা উৎপাদন করে করে আমাদেরকে জীবানুর আক্রমন হতে রক্ষা করার জন্য শরীরের আবরনের নীচের বিশেষ বিশেষ কোষ কোষ প্রাচীরের উপর দ্বার-রক্ষী হিসাবে পাহারা দেওয়ার জন্য বসিয়ে রখেছে।
বিজ্ঞানীরা এ সবই বের করে ফেলেছেন ও তার বিস্তারিত বর্ণনা ও রয়েছে।
তবে উদাহরণ স্বরুপ এখানে শুধু মাত্র TOLL RECEPTOR 1 বা TL1 এর DNA টা দেখতে পারেন।
দেখুন তাহলে
Molecular Location on chromosome (আনবিক অবস্থান) 4: base pairs 38,787,554 to 38,805,799
The TLR1 gene is located on the short (p) arm of chromosome 4 at position 14.
More precisely, the TLR1 gene is located from base pair 38,787,554 to base pair 38,805,799 on chromosome 4.(3)
চিত্র-2
Figure source-http://ghr.nlm.nih.gov/gene/TLR1
মানব শরীর এর আরো রহস্য জানতে সংগে থাকুন।
অন্যান্য পর্ব সমূহ এখানে দেখতে পারেন- HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
Video-
1) TLR
https://www.youtube.com/watch?v=8mEnyBdsrr8
2) TLR
https://www.youtube.com/watch?v=JICySIEeSS8
৪৮ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1) NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
2) TLR WIKI
http://en.wikipedia.org/wiki/Toll-like_receptor
3) TLR 1 GENE
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/TLR1
4) RALF STEINMAN
http://en.wikipedia.org/wiki/Ralph_M._Steinman
৪৮ (৮) তম পর্ব।
Figure-1 (চিত্র-১)
Figure source- .http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
(1)
ঐ বৈজ্ঞানিকত্রয় শরীর এর প্রতিরক্ষাব্যূহের উপর নূতন এমন কী অবদান রাখিয়াছিলেন যার জন্য তারা ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়ে বিশ্ব বিখ্যাত হলেন? তাদের আবিস্কারটা বুঝতে গেলে শরীর এর প্রতিরক্ষাব্যূহের কার্য কলাপের পদ্ধতির (IMMUNOLOGY)উপর আপনাদের কিছুটা প্রাথমিক জ্ঞ্যান থাকার প্রয়োজন ছিল, এ কারণে আমি ইতিপূর্বে IMMUNOLOGY এর উপর ৭টি পর্ব দিয়েছি। আশা করি ইতিমধ্যে আপনাদের IMMUNOLOGY এর উপর মোটামুটি কিছুটা ধারণা জন্মেছে।
তাই এবার উক্ত বিজ্ঞানীদের অবদান টা সরাসরি আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরব।
আপনারা ইতিপূর্বে জানতে পেরেছেন, আমাদের শরীর রোগ জীবানূর বিরুদ্ধে দুই সারিতে প্রতিরক্ষার কাজ করে থাকে, যেমন-
১) প্রথম সারির প্রতিরক্ষা,
একে INNATE IMMUNITY বলে। এই সারিতে শরীর রোগ জীবানুকে (যেমন, BACTERIA,VIRUS, FUNGUS, PARASITES ইত্যাদি) শরীরের রক্তের মূল প্রবাহে প্রবেশ করার পূর্বেই এক ধরণের বিশেষ প্রকৃয়ার মাধ্যমে জীবানুকে ঢুকবার স্থানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলে ও আক্রমন করে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এই প্রথম সারির কার্য কলাপ টা বিস্তারিত জানতে ৪২ তম পর্ব টা একটু পুনরায় পড়ে নিন।
২) আর যদি রোগ জীবানু কোনক্রমে এই প্রথম সারির প্রতিরক্ষাব্যূহকে পরাজিত করতে পারে, তাহলে তখন এরা রক্তের মূল প্রবাহে ঢুকে সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে আমাদেরকে মারাত্মক ভাবে আক্রমন করে।
এই সময় শরীর দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষাব্যুহকে কাজে নামতে আহবান জানায়। এই দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষার নাম ADAPTIVE IMMUNITY।
কী এই দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা ব্যূহ বা ADAPTIVE IMMUNITY? এরা এসে কী কাজ করে?
জ্বী, হ্যা, দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা ব্যূহে শরীর DENDRITIC নামক কোষকে কার্যকরী (ACTIVE) করে ও ব্যবহার করে T- LMPHOCYTE ও B-LYMPHOCYTE কে কার্যকরী ও ব্যবহার করে ৩ প্রকারের কাজ করে যেমন-
১) এরা “NATURAL KILLER” বা CYTOTOXIC T CELL (TC) নামক এক ধরনের কোষ উৎপাদন করে, যা জীবানু দ্বারা আক্রান্ত কোষটিকে তৎক্ষনাৎ সরাসরি ধংস করে দেয়, যাতে করে তার থেকে রোগ জীবানু শরীরের অন্যত্র আর বিস্তার লাভ না করতে পারে।
এই কার্যলাপ টা বিস্তারিত জানতে ৪৬ পর্বটা আর একবার পড়ে নিন।
২) শরীরে উক্ত রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে ধংস কারী সঠিক অস্ত্র উৎপাদন করায়। বৈজ্ঞ্যানিক ভাষায় এই অস্ত্রকে বলা হয় ANTIBODY।
এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ৪৭ পর্বটা আর একটু পড়ে নিন।
৩) শরীরে উক্ত রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে তাদের তথ্য ও বৈশিষ্ট্য, MEMORY CELL উৎপাদন করে সংগ্রহ করে ধরে রাখে, যাতে ভবিষ্যতে এই জীবানু আর কখনো শরীরে ঢুকে পড়লে এদের বিরুদ্ধে সঠিক কী করনীয় তা বুঝে দ্রুত যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া সহজর হয়।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ৪৭ পর্বটা পুনরায় একটু পড়ে নিন।
আসুন তাহলে এবার একটু খতিয়ে দেখা যাক এই বৈজ্ঞানিকত্রয় IMMUNOLOGY এর উপর কে কোথায় কী অবদান রেখে ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হলেন।
আগে দেখা যাক RALPH M STEINMAN, IMMUNITY এর উপর কোথায় কী অবদান রাখলেন?
আপনারা ৪৭ পর্বে দেখেছেন যে APC (ANTIGEN PRESENTING CELL) যারা জীবানুকে গিলে, মেরে জীবানুর ANTIGEN কে T- LYMPHOCYTE এর নিকট তুলে দিয়ে এই দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষার কাজ চালায়, সেই APC এর তালিকায় রয়েছে 1) DENDRITIC CELL 2) MACROPHAGE 3) B- LYMPHOCYTE.
এই যে দেখতে পেলেন, DENTRITIC কোষটি, এই কোষটি এই IMMUNOLOGY এর এই অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজটিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। আর এইটাই RALPH M STEINMAN ল্যাবরেটরীতে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে সর্ব প্রথম প্রমান করেছিলেন যে DENDRITIC CELL, ADAPTIVE IMMUNITY তে জীবানুকে মেরে তার ANTIGEN কে T-LYMPHOCYTE কে তুলে দিয়ে শরীরে ADAPTIVE IMMUNITY আরম্ভ করাতে মস্তবড় ভূমিকা পালন করে ।
পরবর্তিতে আরো বিজ্ঞানীদের দ্বারা আরো নিশ্চিত ভাবে এটা প্রমাণিত হয়, এরপর ১৯১১ সনে এসে এর উপর RALPH M STEINMAN নোবেল পুরস্কারের অংশীদার হন।(1)
দুখের বিষয় তিনি জীবিত থাকা কালে তার পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জেনে যেতে পারেন নাই। তিনি বিজয় প্রাপ্তি ঘোষনার ৩দিন পূর্বে ৩০শে সেপ্টেম্বর অগ্নাশয় (PANCREATIC) ক্যান্সারে ভুগে মৃত্যু বরন করেন।(4)
এবার তাহলে দেখা যাক, BRUCE A. BUETLER এবং JULES A. HOFFMAN IMMUNITY এর কিসের উপর অবদান রাখিয়া ২০১১ সনের নোবেল বিজয়ী হলেন?
এরা দুই জন ল্যাবরেটরীতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রথম সারির IMMUNITY এর উপর বিশেষ অবদান রেখেছেন।
তারা কী অবদান রেখেছেন প্রথম সারির IMMUNITY এর উপর?
জী, হ্যা,
আপনারা ৪২ তম পর্বে দেখেছেন, শরীরে প্রথমে কোন স্থানে জীবানু ঢুকিলে শরীর তার সৈনিক কোষগুলী ও তাদের দ্বারা নিংসরিত এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যাকে CYTOKINE বলে, ও আরো কয়েক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ যেমন INTERFERON, TNF, HISTAMIN ইত্যাদি নিঃসরণ করে, প্রদাহ (INFLMMATION) সৃষ্টি করে। এই প্রথম সারির IMMUNITY কে INNATE YMMUNITY বলে।
তখন ঐ স্থান টা ফুলে যায়, ব্যাথা হয়, লাল হয়ে যায়, তাপ মাত্রা বেড়ে যায়। শরীর এই জটিল প্রকৃয়ার মাধ্যমে রোগ জীবানুকে শরীরে ঢুকার পথেই আটকিয়ে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলে রোগ জীবানুকে ধংস করে দিতে চেষ্টা করে, যাতে তারা আর রক্ত প্রবাহের মূল শ্রোতে ঢুকে শরীর এর সর্বত্র ছড়িয়ে বিপদ্জনক অবস্থার সৃষ্টি না করতে পারে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ৪২তম পর্বটা আর একবার পড়ে নিন।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে শরীর রোগ জীবানুকে এই প্রথম সারির IMMUNITY প্রকৃয়ার মাধ্যমে প্রতিহত করে দিতে সক্ষম হয়। আর যদি কোন কারণে শরীর এই প্রথম সারির যুদ্ধে পরাজিত হয় যায়, তাহলে এই ঘাতক রোগ জীবানু রক্তের মূল শ্রোতের মাধ্যমে শরীর এর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে যায়, এমতাবস্থায় শরীর তখন তার দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা ব্যুহকে (যাকে ADAPTIVE IMMUNITY বলে) আহবান করে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে ইঙ্গিত দেয়।
কী ভাবে এটা করে তা ইতিপূর্বে জেনেছেন ৪৬ ও ৪৭ পর্বে।
মূলতঃ আমাদের শরীর এভাবে ২ সারির প্রতিরক্ষা ব্যূহকে অনবরত ব্যবহার করে আমাদেরকে রক্ষা করে রাখতেছে।
এখন ব্যাপারটা হল, শরীর প্রথম শ্রেনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহে যে প্রক্রীয়া ব্যবহার করে (৪২ তম পর্ব দেখুন)জীবানুদেরকে প্রতিহত করে, এ খবরটা আমাদের নিকট যথেষ্ঠ তৃপ্তিদায়ক হলেও বিজ্ঞানীরা এতটুকু জেনে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন নাই।
তাদের কাছে একটা মস্তবড় রহস্য ও প্রশ্ন থেকে গিয়েছিল যে,
১)তাহলে শরীর এর দ্বার-রক্ষী কে?
২)শরীর এর কোন প্রথম সারীর দ্বার রক্ষী শরীরে সর্বপ্রথম জীবানু-শত্রুর অনুপ্রবেশ টের পায়?
৩)আর তখন সেই দ্বার-রক্ষী কীই বা পদক্ষেপ গ্রহন করে বা নাকী কিছুই করেনা?
দীর্ঘদীন বিজ্ঞানীগন এই সব প্রশ্নের উত্তর হন্যে হয়ে খুজতেছিলেন। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করতে করতে অবশেষে সর্ব প্রথম এই রহস্য উদ্ঘাটিত করেন ১৯৯৬ সনে Jules A.Hoffman ও তার একদল সহকর্মীরা FRUIT FLY এর উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে।
আবার Bruce A.Buetler, ১৯৯৮ সনে তার একদল সহকর্মী লয়ে ইদুরের উপর ভিন্ন ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েও Jules A.Hoffman এর একই আবিস্কারের উপর জোরালো প্রমান স্থাপন করেন।(১,২)
তারা কী রহস্য উদঘাটন করলেন?
তারা প্রমান করলেন যে প্রথম সারির IMMUNITY তে শরীর যে প্রকৃয়া টা ঘটায়,(৪২ তম পর্ব দেখুন) তা আপনা আপনিই ঘটেনা।
এইটা ঘটায় শরীর এর প্রথম দ্বার-রক্ষী।
আর শরীরের কে এই প্রথম দ্বার-রক্ষী?
প্রথম দ্বার রক্ষী হল শরীর এর APC কোষ এর (DENDRITIC, MACROPHAGE ও B CELL)প্রাচীরের একটি RECEPTOR এর বিশেষ প্রোটীন। (RECEPTOR কী জানতে ১৬ তম ও ৪৭ তম পর্ব পড়ুন)
কী এই RECEPTOR টার নাম?
এর নাম “TOLL RECEPTOR”.
কী কাজ করে এই TOLL RECEPTOR?
এর বিস্তারিত কাজ দেখতে ভিডিও নং ১-৩ দেখুন।
তবে অতি সংক্ষিপ্তাকারে বলা যায়-
শরীরের বহিরাবারণ (চামড়া, ঝিল্লী মেমব্রেন ইত্যাদি) এর নীচে যখনি প্রথম কোন জীবানু ঢুকে পড়ে তখনি এই RECEPTOR টা তা শরীরে প্রথম সারির দ্বার-রক্ষী হিসাবে টের পায় ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
কী ভাবে এই RECEPTOR জীবানুর উপস্থিতি টের পায়?
প্রতিটা জীবানু প্রকৃতিগত ভাবেই তার কোষ প্রাচীর হতে প্রোটীন জাতীয় এক ধরনের (যেমন, Lipopoly sacharide, glyco protein ইত্যাদি ধরনের)বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ছড়াতে থাকে।
এই রাসায়নিক পদার্থটাকে সাথে সাথে APC ও আরো অনেক কোষ এর প্রাচীরে অবস্থিত TOLL RECEPTOR সর্ব প্রথম ধরে ফেলে।
তখন এই RECEPTOR এই রাসানিক পদার্থটা কে একটা অতি সূক্ষ্ম ও জটিল প্রকৃয়ায় মাধ্যমে (বিস্তারিত জানতে VIDEO গুলী দেখুন)কোষটির কেন্দ্রে অবস্থিত নিউক্লীয়াস এর মধ্যে অবস্থিত DNA এর নিকট, এর বিরুদ্ধে বহিশত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে পাঠিয়ে দেয়।
তখন DNA কী করে?
জী হ্যাঁ,
তখন DNA, এই জীবানুর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট জ্বীন এর RNA কপি করে RIBOSOME এর নিকট পাঠিয়ে দেয়(কী ভাবে পাঠায় বিস্তারিত জানতে ১১তম পর্ব দেখুন) প্রথম সারীর IMMUNITY এর প্রতিক্রীয়া (INFLAMMATION)ঘটায়ে প্রতিরোধ গড়তে, যেসব রাসায়নিক পদার্থ (যেমন CYTOKINE,INTERFERON, TNF ইত্যাদি)কাজ করে তা উৎপাদন করে নিঃসরন করতে।
যখন এই কোষ গুলী উক্ত রাসায়নিক দ্রব্যগুলী উৎপাদন করে নিঃসরণ করে দেয়, তখন অন্যান্য সৈনিক কোষগুলী টের পেয়ে যায় যে ঘাতক শত্রু শরীর রাজ্যের দ্বার প্রান্তে উপস্থিত, এখনি প্রতিরোধ না গড়লে ও এদের এই দ্বার প্রান্তে নিশ্চিহ্ন না করলে, শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সর্বনাস করে দিবে।
তখন রাইবোজোম উক্ত জীবানু বিরোধী রাসায়নিক পদার্থ গুলী উৎপাদন করে ফেলে। এরপর এটা কোষগুলী ছড়িয়ে দিয়ে প্রথম সারীর নিরাপত্তাব্যুহ সৃষ্টি করে ফেলে।
এই প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গড়ার ফলেই প্রথম সারির IMMUNITY (INNATE IMMUNITY)এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া যাকে আমরা প্রদাহ (INFLAMMATION)বলি তার আরম্ভ হয়।
এভাবে এই দুই বিজ্ঞানী প্রথম সারীর IMMUNITY এর উপর বিশেষ অবদান রাখিয়া ২০১১ সনে নোবেল বিজয়ী হন।
তাদের এই আবিস্কার এর ফলে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে পরবর্তীতে এর কিছু সুফল ও বয়ে আনবে। যেমন,কিছু কিছু IMMUNITY জনিত ব্যাধি যেমন Hypersensitivity, Autoimmune disease, Allergy ইত্যাদি চিকিৎসার ক্ষেত্রে, উন্নত টীকা তৈরীতে, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টীকা তৈরীতে, এই আবিস্কার অবদান রাখবে।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন-
কোষ-প্রাচীর এর উপর এই বিশেষ ধরণের TOLL RECEPTOR টা কে স্থাপন করল?
জী,হ্যাঁ, ভাল প্রশ্ন।
TOLL RECEPTOR ১০ প্রকারের আছে, যেমন TL1,TL2,TL3,TL4,TL5,TL6,TL7,TL8,TL9,TL10 (VIDEO গুলী দেখুন)
এ সমস্ত RECEPTOR গুলীকেই DNA তার নির্দিষ্ট জ্বীন দ্বারা উৎপাদন করে করে আমাদেরকে জীবানুর আক্রমন হতে রক্ষা করার জন্য শরীরের আবরনের নীচের বিশেষ বিশেষ কোষ কোষ প্রাচীরের উপর দ্বার-রক্ষী হিসাবে পাহারা দেওয়ার জন্য বসিয়ে রখেছে।
বিজ্ঞানীরা এ সবই বের করে ফেলেছেন ও তার বিস্তারিত বর্ণনা ও রয়েছে।
তবে উদাহরণ স্বরুপ এখানে শুধু মাত্র TOLL RECEPTOR 1 বা TL1 এর DNA টা দেখতে পারেন।
দেখুন তাহলে
Where is the TLR1 gene located?
Cytogenetic Location(কোষীয় অবস্থান): 4p14Molecular Location on chromosome (আনবিক অবস্থান) 4: base pairs 38,787,554 to 38,805,799
The TLR1 gene is located on the short (p) arm of chromosome 4 at position 14.
More precisely, the TLR1 gene is located from base pair 38,787,554 to base pair 38,805,799 on chromosome 4.(3)
চিত্র-2
Figure source-http://ghr.nlm.nih.gov/gene/TLR1
মানব শরীর এর আরো রহস্য জানতে সংগে থাকুন।
অন্যান্য পর্ব সমূহ এখানে দেখতে পারেন- HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
Video-
1) TLR
https://www.youtube.com/watch?v=8mEnyBdsrr8
2) TLR
https://www.youtube.com/watch?v=JICySIEeSS8
4) Immunology – Innate Immunity (PAMP and PRR)
https://www.youtube.com/watch?v=4rEgaOW7Exk৪৮ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1) NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
2) TLR WIKI
http://en.wikipedia.org/wiki/Toll-like_receptor
3) TLR 1 GENE
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/TLR1
4) RALF STEINMAN
http://en.wikipedia.org/wiki/Ralph_M._Steinman
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন?৪৭ (৭) তম পর্ব।
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? T- HELPER কোষ যে ভাবে CYTOKINE এর ব্যবহার করে, অন্য কোষকে করণীয় নির্দেশ পাঠায়, DNA সম্পর্ক।
৪৭ (৭) তম পর্ব।
Figure-1 (চিত্র-১)
Figure source- .http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
(1)
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিক কোষ বাহিনী শরীরকে প্রতিরক্ষা করার জন্য অনবরত অজস্র প্রকারের কলা কৌশল প্রয়োগ করে সমন্বীত ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মূলতঃ এতদ-সমস্ত জটিল কলাকৌশল টি DNA তার নির্দিষ্ট জ্বীন এর কোড দ্বারা বিশেষ বিশেষ প্রোটীন উৎপাদন করে করিয়ে থাকে। যেখানে যে ধরনের কাজের প্রয়োজন হয় DNA সেখানে ঠিক সেই ধরনের কাজ করতে পারে তেমন ধরনের প্রোটীন তৈরী করাইয়া কাজ করায়।
DNA ও তার জ্বীন সম্পর্কে জানতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।
আগের পর্বে আপনারা MHC CLASS 2 এর প্রতিরক্ষার কলা কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সেখানে আপনারা দেখেছেন, কী ভাবে APC (ANTIGEN PRESENTING CELL), CD4 T NAÏVE কোষকে জীবানূর ANTIGEN তুলে দেয় ও তাকে উত্তেজিত করে T HELPER কোষে উন্নীত করে বাকী গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার পালনের দায়িত্ব দিয়ে দেয়।
আর তা হল-
১) এই শত্রু জীবানুর IDENTITY টা নিরাপত্তা বিভাগে MEMORY CELL তৈরী করে তার কম্পিউটারে SAVE করে রাখবে, ভবিষ্যতে এই জীবানুর সংগে যুদ্ধের সময় কাজে লাগানোর জন্য।
২) অন্য সৈনিক কোষরা যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই, তাদের অনুপ্রবেশ কারী জীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে উত্তেজিত করবে।
৩) এই জীবানুটার সংগে যুদ্ধের জন্য যে ধরনের অস্ত্র ঊপযোগী, ঠিক সেই ধরণের সঠিক অস্ত্র যার নাম “ANTIBODY” উৎপাদনের নির্দেশ দিবে।
জী, হ্যা,
তাহলে এবার দেখুন, কীভাবে T HELPER কোষ তার এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলী পালন করে?
Figure-2 (চিত্র-২)
Figure source- http://en.wikipedia.org/wiki/T_helper_cell
[ Th1/Th2 Model for helper T cells. An antigen is ingested and processed by an APC. It presents fragments from it to T cells. The upper, Th0, is a T helper cell. The fragment is presented to it by MHC2.[2] IFN-γ, interferon γ; TGF-β, transforming growth factor β; mø, macrophage; IL-2,interleukin 2; IL-4, interleukin 4 ]
(2)
উপরের চিত্র-২ লক্ষ করুন। APC (ANTIGEN PRESENTING CELL) যারা হল শরীরের DENDRITIC, PHAGOCYTIC বা B LYMPHOCYTE, কোষ জীবানু কে মেরে ফেলে তার ANTIGEN বা IDENTITY কে CD4 T NAIVE কোষের নিকট ঐ জীবানু শত্রুর বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ লওয়ার জন্য তুলে দিচ্ছে,(পর্ব ৪৬ দেখুন)।
এখন ঐ CD4 T NAIVE কোষ T- HELPER (TH) কোষে উন্নীত হয়ে পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। (VIDEO NUMBER-1 দেখুন)
কিন্তু প্রশ্ন হল CD4 T NAIVE কোষ কী ভাবে T- HELPER (TH) কোষে উন্নীত হবে?
জী, হ্যাঁ, তাকে T- HELPER (TH) কোষে উন্নীত হতে ও হওয়ার পরেও পরবর্তী ধাপের কাজ কাম চালাতে তাকে কিছুটা মাল মসল্লা অবশ্যই খরচ করতে হবে, একেবারে বিনা খরচে এ জগতে কিছুই হয়না, নিশ্চয়ই জানেন।
এর জন্য CD4 T NAIVE কোষ কে এখন এক ধরণের রাসায়নিক প্রোটীন পদার্থ, যাকে CYTOKINE বলে তা উৎপাদন করে এই কাজ চালাতে হবে। এই CYTOKINE বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যেমন কিছু CYTOKINE এর নাম নীচে দেওয়া হল-
INTERLEUKIN (IL)2, INTERLEUKIN (IL)4, INTERLEUKIN (IL)5,INTERLEUKIN (IL)9, INTERLEUKIN (IL)10, INTERLEUKIN (IL)13, INTERFERON GAMMA, TUMOR NECROSIS FACTOR (TNF)
ইত্যাদি ও আরো অনেক রকমের আছে। (3)
(CYTOKINE সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন VIDEO NUMBER-2 ও Ref-3)
চিত্র লক্ষ্য করুন, এখানে CD4 T- NAÏVE কোষ , IL2 উৎপাদন করে সর্বপ্রথম CD4 নিজে নিজেকেই উত্তেজিত করিয়ে কাজের বিস্তারের জন্য আরো অনেক CD4T-HELPER 1(CD4 TH1) উৎপাদন করিয়ে নিচ্ছে। এরপর এই TH1 কোষের একটি কোষদল T MEMORY কোষে পরিণত হয়ে জীবানুর IDENTITY কোষের COMPUTER এ ধরে রাখতেছে, ও আর একটি TH1 কোষদল CYTOKINE IL2 ও INTERFERON GAMMA (IFN Y) নিঃসরণ করে অন্যান্য PHAGOCYTE কোষদল কে এই জীবানু শরীরের যেখানেই আছে ধরে ধরে মেরে ফেলার জন্য উত্তেজিত করে আরো বেশী হিংস্র করে তুলতেছে।
লক্ষ্য করুন, এরপর আর একটা CD4 T naïve কোষদল IL4 উৎপাদন করে নিজের উপর প্রয়োগ করে নিজেকে T-HELPER 2 (TH2) এ উন্নীত করে নিচ্ছে। এবার এই পদোন্নীত T-HELPER 2 (TH2)আবার IL4 উৎপাদন করে B- LYMPHOCYTE এর উপর প্রয়োগ করে B-LYMPHOCYTE এর উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে এদের PLASMA কোষে পরিণত করে দিচ্ছে।
এবার এই PLASMA কোষের একটি দল উক্ত জীবানুর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত অস্ত্র উৎপাদন করে রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে লিপ্ত হয়ে পড়তেছে। কোষের কোন বিশেষ জীবানুর বিরুদ্ধে এই অস্ত্রের নাম ANTIBODY.
ধরা যাক এই ANTIBODY টা যক্ষ্মা জীবানুর বিরুদ্ধে উৎপাদন করেছে, তাহলে এই ANTIBODY টা শুধুমাত্র যক্ষ্মা জীবানুকেই ধংস করতে পারবে। অন্য কোন জীবানুকে মারতে পারবেনা।
আর ওদিকে চিত্রে লক্ষ্য করুন, আর একটি B LYMPHOCYTE কোষদলকে এই জীবানুটার ANTIGEN বা IDENTITY টাকে তার COMPUTER MEMORY তে SAVE করে রেখে B MEMORY কোষে পরণত করিয়ে দিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কখনো এই শত্রু জীবানু পুনরায় রক্তে ঢুকে পড়লে এদের বিরুদ্ধে সৈনিক কোষ গুলী দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত লয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে পারে।
CYTOKINE এর মাধ্যমে এভাবে শরীর এর সৈনিক কোষ গুলী পরশ্পর যোগযোগ রক্ষা করিয়া কাজ চালায়।
CYTOKINE কী?
CYTOKINE এক ধরনের প্রোটীন জাত রাসায়নিক পদার্থ। আপনারা জানেন একটি দেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা যখন শত্রুদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাতে থাকে, তখন এদের পরশ্পরের সংগে যোগাযোগ রক্ষা করা একান্ত বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়ে, নইলে তারা অপারেশন চালাতেই পারবেনা।
দেশের নিরাপত্তা কর্মীরা পরশ্পর এই যোগাযোগটি করে থাকে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে।
কিন্তু শরীরের নিরাপত্তা কোষগুলীর তো আর বেতার যন্ত্র নাই, তাহলে তারা শরীরের শত্রু মোকাবেলায় কী ভাবে পরশ্পর যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ চালাবে?
জী,হ্যা, শরীর এর নিরাপত্তা কোষগুলী পরশ্পরের যোগাযোগ এই CYTOKINE নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরন করে অন্য নিরাপত্তা কোষের নিকট বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
এখন একটা প্রশ্ন করতে পারেন দেশের নিরাপত্তা প্রহরীরা যখন পরশ্পর মতামত লেনদেন করেন তখন এটা অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে করেন, দেশের জনগনকে এটা জানতে দেননা অথবা জনগনের বেতার যন্ত্রে এটা ধরা সম্ভব ও হয়না, তাহলে কাজের বিঘ্নতা এসে যাবে, বরং ক্ষতিও হতে পারে।
অথচ শরীর এর নিরাপত্তা কোষগুলী যখন এই CYTOKINE রসায়নিক পদার্থ টা অন্য নিরাপত্তা কোষগুলীর নিকট পাঠায়, তখন তো শরীর এর রক্ত বা কোন তরলের মধ্যে নিঃসরন করে পাঠানো লাগে। আর রক্ত তো CIRCULATION এর মাধ্যমে শরীর এর সমগ্র কোষে (১০০ ট্রিলিয়ন) পৌছে যাচ্ছে। তাহলে এই CYTOKINE রসায়নিক পদার্থটির উপস্থিতি সমগ্র কোষ টের পাচ্ছে এবং এর একটা প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া ও তাদের উপর পড়তেছে? যা কাম্য হতে পারেনা, বা হলে শরীর এর কাজ ও বিঘ্নিত হয়ে যাবে।
তাহলে শরীর এই সমস্যা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য কী কোন ব্যবস্থা করেছে?
জী হ্যাঁ, শরীর সে ব্যবস্থা অবশ্যই করেছে।
যেমন ধরুন যখন কোন বেতার যন্ত্র দ্বারা কোন শব্দ প্রচার করা হয় তখন সেই শব্দ তরঙ্গকে একটি সুনির্দিষ্ট FREQUENCY এর বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সৃষ্টি করে প্রচার করা হয়। এবং যাকে শব্দটা শুনাবার ইচ্ছা থাকবে তার নিকট ঠিক ঐ মাপের বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে ধরতে পারে এমন মেসিন রাখতে হবে। এভাবেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সংগে মতামত আদান প্রদান সম্ভব হয়।
অন্য একজন পার্শে থাকলেও তার নিকট এই সংবাদ যায়না।
এমনকী আমাদের কর্ণের ও শ্রুতিক্ষমতার একটা সুনির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের কর্ণের শ্রুতি ক্ষমতার বায়ুমন্ডলে শব্দের দ্বারা উৎপন্ন তরঙ্গের রেঞ্জ ১২ HZ FREQUENCY হতে ২০ KILO HZ FREQUENCY এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
এর বাইরের রেঞ্জের কোন শব্দ তরঙ্গ আমাদের কর্ণ শুনতে সক্ষম নয়। বাদুরের শ্রুতি ক্ষমতাও আমাদের চেয়ে ঢের বেশী। বাদুরের শ্রবন ক্ষমতা ১ HZ হতে ২০০ KILO HZ পর্যন্ত।
(বিস্তারিত জানতে ২৯ পর্ব পড়ুন)
ঠিক তদ্রুপ ই শরীর এর নিরাপত্তা বিভাগের কোষ গুলী তাদের তথ্য শুধুমাত্র তাদের নিজেদের মধ্যেই আদান প্রদান করে থাকে। এর পার্শে অবস্থিত অন্য বিভাগের একটি কোষ ও ঘূনাক্ষরেও তা টেরও পায়না বা তাদের উপর এই রাসায়নিক পদার্থের কোন প্রভাব ও পড়েনা।
কীভাবে শরীর এই কাজটি করে?
জী,হ্যাঁ, তাহলে দেখুন।
প্রতিটা কোষের বহিরাবারণের উপর অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য বিশেষ প্রোটীন দ্বারা ছিদ্রের মত চিহ্ন করে বসানো রয়েছে। এই গুলিকে বলা হয় RECEPTOR. এই RECEPTOR গুলীর মধ্যে যখন কোন রাসায়নিক দ্রব্য ঢুকতে পারে তখন কোষটি বুঝতে পারে যে সে কী বার্তা পেয়েছে, এবং কোষটিকে এর প্রতি উত্তর কী দিতে হবে বা তাকে এখন কী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
আর যে রাসানিক পদার্থটি তার RECEPTOR এ ঢুকতে পারতেছেনা, তার সম্পর্কে সে কোনই খবর রাখেনা, এবং তার উপর এর কোন প্রভাব বা প্রতিক্রিয়াও পড়েনা। RECEPTOR হল কোষের অভ্যন্তর গৃহে ঢুকার দরজা। এই দরজাকে এড়িয়ে কোন রাসায়নিক দ্রব্যকে কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার উপায় নাই।
(এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ১৬ পর্ব পড়ুন)
আর জেনে রাখুন এই RECEPTOR দরজা গুলী বিশেষ প্রোটীন দ্বারা নির্মিত পৃথক পৃথক তালা দ্বারা আটকানো।
আর এই বিভিন্ন দরজার বিভিন্ন রকম তালাকে খুলে ভিতরে ঢুকার জন্য, প্রোটীন দ্বারা নির্মিত যার যার নির্দিষ্ট চাবিও তৈরী করে নির্দিষ্ট বস্তুর নিকট সরবরাহ করে দেওয়া হয়েছে।
কাজেই খুব সহজেই বুঝতে পারতেছেন যে, যে কোন বস্তুর পক্ষে ইচ্ছামত যেকোন কোষ গৃহে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই নাই, যদিও কোষগুলী পাশাপাশি থাকে।
এবার ধরে নিতে পারেন ঐ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক CYTOKINE গুলীর নিকট থাকে তার নির্দিষ্ট কোষ গৃহের RECEPTOR নামক দরজার তালার চাবিটা এবং আর থাকে পরশ্পর একটা আকর্ষন। ঐ আকর্ষনের ফলে ঐ CYTOKINE টা ওখানে ধাবিত হয় এবং তার চাবিটা দিয়েও তার কোষ গৃহের RECEPTOR নামক দরজার তালাটা খুলে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কোষকে সুনির্দিষ্ট বার্তাটি সরবরাহ করে।টি
এর পর উক্ত কোষটি তদনুরুপ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
কোষ হল আমাদের পূর্ণ দেহের জৈবিক মূল একক। প্রতিটা কোষকে দেহের বিভিন্ন ধরনের অতি জটিল ও গূরত্বপূর্ণ কাজ চালাতে হয়। এক একটি কোষ যেন এক একটি রাজ্য। এর অভ্যন্তরে নিউক্লীয়াসের মধ্যে শরীর এর মূল পরিচালক DNA সংরক্ষিত থাকে।
কাজেই এই কোষের অভ্যন্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। তাই এর অভ্যন্তরে কোন কিছুর প্রবেশ অতি মাত্রায় নিয়ন্ত্রিত রেখে এর RECEPTOR দরজা করে তালা-চাবীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
CYTOKINE কী কী ধরণের বার্তা কোষের অভ্যন্তরে পাঠায়?
জী,হ্যাঁ,
যেমন ধরুন ,
বার্তাটি কখনো কখনো কোষ নিজের উপর প্রয়োগ করিয়ে নিজেকে আরো পরিপক্ক ও নিজেকে ACTIVE করায়। যেমন উপরে দেখেছেন, IL2, T NAÏVE CELL কে ACTIVE T-HELPER CELL এ পরিণত করছে।
এভাবে নিজের উপর কাজ করানোর পদ্ধতিকে AUTOCRINE পদ্ধতি বলে।
আবার কখনো অন্য কোষকে পাঠিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ লওয়ার নির্দেশ দেয়। একে PARACRINE বলে।
কখনো কখনো ১টি CYTOKINE ই কয়েক ধরণের কোষকে প্রয়োজন অনুসারে কয়েক প্রকারের নির্দেশ দিয়ে থকে। একে PLEIOTROPIC বলে।
আবার কখনো কখনো কয়েকটি CYTOKINE একত্রে মিলে কোষগুলীকে একই কাজের নির্দেশ দেয়। যাতে একটায় ভূল করলে আর একটা কাজ করতে পারে। একে REDUNDANCY বলে।
আবার কখনো নির্দেশটাকে অধিক জোরালো করার জন্য একটা CYTOKINE আর একটাকে সহযোগিতা করে। একে SYNERGISTIC বলে।
আবার কখনো একটার কাজ ফুরিয়ে গেলে তার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আর একটা CYTOKINE পাঠিয়ে দেয়। একে ANTAGONISTIC বলে।
এই CYTOKINE আরো একটি মজার যোগাযোগ ঘটায়- কোন এক পর্যায়ে T-HELPER কোষ CYTOKINE INTERFERON GAMMA প্রেরণ করিয়া MACROPHAGE কোষকে উক্ত জীবানুকে ধরে ধরে মেরে ফেলার নির্দেশ পাঠায়। এরপর MACROPHAGE কোষ, “কাজ ঠিকমত চলতেছে” এই খবরটা T-HELPER কোষকে INTERLUKIN 12 পাঠিয়ে ঊত্তর দিয়ে জানায় । একে “POSITIVE FEED BACK” বলে। তখন T-HELPER কোষ আরো INTERFERON GAMMA পাঠিয়ে আরো বেশী সংখ্যক MACROPHAGE কে জীবানু হত্যা করতে উত্তেজিত করে দেয়।(ভিডিও-২ দেখুন)
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, কোষের RECEPTOR দরজার সুনির্দিষ্ট তালাটাই বা কে করায় আর সুনির্দিষ্ট CYTOKINE এর হাতে তার সুনির্দিষ্ট তালার সুনির্দিষ্ট চাবীটাও বা কে ধরিয়ে দেয়?
জী, হ্যাঁ,
অবশ্যই এর পিছনে কোন একজন সমন্বয়কারীকে থাকতে হবে। নইলে আপনা আপনি কখনোই এরুপ জটীল সমন্বয় মুলক হওয়া সম্ভব নয়।
এই উভয় কাজটির সমন্বয় সাধন করে CHROMOSOME এর DNA এর নির্দিষ্ট জ্বীন.
প্রতিটা ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন জ্বীন এটা করায়। (DNA কীভাবে কাজ করে বুঝতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।)
আমি এখানে উদাহরণ হিসাবে ১টি মাত্র CYTOKINE কে দেখাচ্ছি-
দেখা যাক CYTOKINE INTERLUKIN 2 (IL2) এর তালা চাবী কোন DNA করায়?
দেখুন তাহলে এর জ্বীন এর অবস্থান-
আনবিক অবস্থান chromosome NO 4: base pairs 122,451,469 to 122,456,494
The IL2 gene is located on the long (q) arm of chromosome 4 between positions 26 and 27.
More precisely, the IL2 gene is located from base pair 122,451,469 to base pair 122,456,494 on
এই CHROMOSOME 4 এর হলুদ চিহ্নিত স্থানে IL2 এর জ্বীন অবস্থান করতেছে।
DIAGRAM-3 (চিত্র-৩)
FIGURE SOURCE- http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL2
(4)
দেখলেন তো IL2 CYTOKINE কে কোন জ্বীন এ চাবী-রুপ প্রোটীন উৎপাদন করে দিচ্ছে। জ্বীন টি CHROMOSOME NO 4 এর কোথায় অবস্থিত তাও দেখানো হয়েছে।
এবার তাহলে দেখুন IL 2 এর RECEPTOTOR তালা-রুপ প্রোটীন কোন জীন এ তৈরী করে দিচ্ছে।
CHROMOSOME NO. X
আনবিক অবস্থান on the X chromosome: base pairs 71,107,403 to 71,111,630
The IL2RG (RECEPTOR) gene is located on the long (q) arm of the X chromosome at position 13.1.
More precisely, the IL2RG gene is located from base pair 71,107,403 to base pair 71,111,630 on the X chromosome.
DIAGRAM-4 (চিত্র-৪)
FIGURE SOURCE- http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL2RG
জ্বীন টি CHROMOSOME NO. X এর কোথায় অবস্থিত তাও দেখানো হয়েছে।
এই CHROMOSOME X এর হলুদ চিহ্নিত স্থানে IL2 এর RECEPTOR এর জ্বীন অবস্থান করতেছে।
(5)
এভাবে IL4 উৎপাদন করে ৫ নং CHROMOSOME (6) এবং এর RECEPTOR কে উৎপাদন করে ১৬ নং CHROMOSOME (7)
এভাবে প্রতিটা CYTOKINE ও তার RECEPTOR কে DNA জায়গামত ও পরশ্পর কে MATCH করে উৎপাদন করে দিচ্ছে।
DNA এভাবে অতিসূক্ষ্মভাবে সবকিছুর সমন্বয় রেখে না করলে শরীর এর প্রতিরক্ষা ব্যুহ এক মুহূর্তও কাজ করতে পারতোনা।
শরীর এর প্রতিরক্ষা ব্যূহের আরো রহস্যময় কার্যকলাপ জানতে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকুন।
VIDEO:-
অন্যান্য পর্ব সমূহ এখানে দেখতে পারেন- HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৭ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1)NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
2) T-HELPER CELL (PICTURE),FUNCTION OF CYTOKINES/INTERLEUKINS
http://en.wikipedia.org/wiki/T_helper_cell
3) CYTOKINE FUNCTION
http://www.sinobiological.com/Cytokine-Rerview-Receptor-Source-Targets-Main-Function-Disease-Association-a-1310.html
4) IL2 GENE-CHROMOSOME-4
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL2
5) IL2RG GENE CHROMOSOME X
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL2RG
6) IL4, CHROMOSOME-5
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL4
7) IL4R, CHROMSOME-16
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL4R
৪৭ (৭) তম পর্ব।
Figure-1 (চিত্র-১)
Figure source- .http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
(1)
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিক কোষ বাহিনী শরীরকে প্রতিরক্ষা করার জন্য অনবরত অজস্র প্রকারের কলা কৌশল প্রয়োগ করে সমন্বীত ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মূলতঃ এতদ-সমস্ত জটিল কলাকৌশল টি DNA তার নির্দিষ্ট জ্বীন এর কোড দ্বারা বিশেষ বিশেষ প্রোটীন উৎপাদন করে করিয়ে থাকে। যেখানে যে ধরনের কাজের প্রয়োজন হয় DNA সেখানে ঠিক সেই ধরনের কাজ করতে পারে তেমন ধরনের প্রোটীন তৈরী করাইয়া কাজ করায়।
DNA ও তার জ্বীন সম্পর্কে জানতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।
আগের পর্বে আপনারা MHC CLASS 2 এর প্রতিরক্ষার কলা কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সেখানে আপনারা দেখেছেন, কী ভাবে APC (ANTIGEN PRESENTING CELL), CD4 T NAÏVE কোষকে জীবানূর ANTIGEN তুলে দেয় ও তাকে উত্তেজিত করে T HELPER কোষে উন্নীত করে বাকী গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার পালনের দায়িত্ব দিয়ে দেয়।
আর তা হল-
১) এই শত্রু জীবানুর IDENTITY টা নিরাপত্তা বিভাগে MEMORY CELL তৈরী করে তার কম্পিউটারে SAVE করে রাখবে, ভবিষ্যতে এই জীবানুর সংগে যুদ্ধের সময় কাজে লাগানোর জন্য।
২) অন্য সৈনিক কোষরা যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই, তাদের অনুপ্রবেশ কারী জীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে উত্তেজিত করবে।
৩) এই জীবানুটার সংগে যুদ্ধের জন্য যে ধরনের অস্ত্র ঊপযোগী, ঠিক সেই ধরণের সঠিক অস্ত্র যার নাম “ANTIBODY” উৎপাদনের নির্দেশ দিবে।
জী, হ্যা,
তাহলে এবার দেখুন, কীভাবে T HELPER কোষ তার এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলী পালন করে?
Figure-2 (চিত্র-২)
Figure source- http://en.wikipedia.org/wiki/T_helper_cell
[ Th1/Th2 Model for helper T cells. An antigen is ingested and processed by an APC. It presents fragments from it to T cells. The upper, Th0, is a T helper cell. The fragment is presented to it by MHC2.[2] IFN-γ, interferon γ; TGF-β, transforming growth factor β; mø, macrophage; IL-2,interleukin 2; IL-4, interleukin 4 ]
(2)
উপরের চিত্র-২ লক্ষ করুন। APC (ANTIGEN PRESENTING CELL) যারা হল শরীরের DENDRITIC, PHAGOCYTIC বা B LYMPHOCYTE, কোষ জীবানু কে মেরে ফেলে তার ANTIGEN বা IDENTITY কে CD4 T NAIVE কোষের নিকট ঐ জীবানু শত্রুর বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ লওয়ার জন্য তুলে দিচ্ছে,(পর্ব ৪৬ দেখুন)।
এখন ঐ CD4 T NAIVE কোষ T- HELPER (TH) কোষে উন্নীত হয়ে পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। (VIDEO NUMBER-1 দেখুন)
কিন্তু প্রশ্ন হল CD4 T NAIVE কোষ কী ভাবে T- HELPER (TH) কোষে উন্নীত হবে?
জী, হ্যাঁ, তাকে T- HELPER (TH) কোষে উন্নীত হতে ও হওয়ার পরেও পরবর্তী ধাপের কাজ কাম চালাতে তাকে কিছুটা মাল মসল্লা অবশ্যই খরচ করতে হবে, একেবারে বিনা খরচে এ জগতে কিছুই হয়না, নিশ্চয়ই জানেন।
এর জন্য CD4 T NAIVE কোষ কে এখন এক ধরণের রাসায়নিক প্রোটীন পদার্থ, যাকে CYTOKINE বলে তা উৎপাদন করে এই কাজ চালাতে হবে। এই CYTOKINE বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যেমন কিছু CYTOKINE এর নাম নীচে দেওয়া হল-
INTERLEUKIN (IL)2, INTERLEUKIN (IL)4, INTERLEUKIN (IL)5,INTERLEUKIN (IL)9, INTERLEUKIN (IL)10, INTERLEUKIN (IL)13, INTERFERON GAMMA, TUMOR NECROSIS FACTOR (TNF)
ইত্যাদি ও আরো অনেক রকমের আছে। (3)
(CYTOKINE সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন VIDEO NUMBER-2 ও Ref-3)
চিত্র লক্ষ্য করুন, এখানে CD4 T- NAÏVE কোষ , IL2 উৎপাদন করে সর্বপ্রথম CD4 নিজে নিজেকেই উত্তেজিত করিয়ে কাজের বিস্তারের জন্য আরো অনেক CD4T-HELPER 1(CD4 TH1) উৎপাদন করিয়ে নিচ্ছে। এরপর এই TH1 কোষের একটি কোষদল T MEMORY কোষে পরিণত হয়ে জীবানুর IDENTITY কোষের COMPUTER এ ধরে রাখতেছে, ও আর একটি TH1 কোষদল CYTOKINE IL2 ও INTERFERON GAMMA (IFN Y) নিঃসরণ করে অন্যান্য PHAGOCYTE কোষদল কে এই জীবানু শরীরের যেখানেই আছে ধরে ধরে মেরে ফেলার জন্য উত্তেজিত করে আরো বেশী হিংস্র করে তুলতেছে।
লক্ষ্য করুন, এরপর আর একটা CD4 T naïve কোষদল IL4 উৎপাদন করে নিজের উপর প্রয়োগ করে নিজেকে T-HELPER 2 (TH2) এ উন্নীত করে নিচ্ছে। এবার এই পদোন্নীত T-HELPER 2 (TH2)আবার IL4 উৎপাদন করে B- LYMPHOCYTE এর উপর প্রয়োগ করে B-LYMPHOCYTE এর উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে এদের PLASMA কোষে পরিণত করে দিচ্ছে।
এবার এই PLASMA কোষের একটি দল উক্ত জীবানুর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত অস্ত্র উৎপাদন করে রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে লিপ্ত হয়ে পড়তেছে। কোষের কোন বিশেষ জীবানুর বিরুদ্ধে এই অস্ত্রের নাম ANTIBODY.
ধরা যাক এই ANTIBODY টা যক্ষ্মা জীবানুর বিরুদ্ধে উৎপাদন করেছে, তাহলে এই ANTIBODY টা শুধুমাত্র যক্ষ্মা জীবানুকেই ধংস করতে পারবে। অন্য কোন জীবানুকে মারতে পারবেনা।
আর ওদিকে চিত্রে লক্ষ্য করুন, আর একটি B LYMPHOCYTE কোষদলকে এই জীবানুটার ANTIGEN বা IDENTITY টাকে তার COMPUTER MEMORY তে SAVE করে রেখে B MEMORY কোষে পরণত করিয়ে দিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কখনো এই শত্রু জীবানু পুনরায় রক্তে ঢুকে পড়লে এদের বিরুদ্ধে সৈনিক কোষ গুলী দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত লয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে পারে।
CYTOKINE এর মাধ্যমে এভাবে শরীর এর সৈনিক কোষ গুলী পরশ্পর যোগযোগ রক্ষা করিয়া কাজ চালায়।
CYTOKINE কী?
CYTOKINE এক ধরনের প্রোটীন জাত রাসায়নিক পদার্থ। আপনারা জানেন একটি দেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা যখন শত্রুদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাতে থাকে, তখন এদের পরশ্পরের সংগে যোগাযোগ রক্ষা করা একান্ত বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়ে, নইলে তারা অপারেশন চালাতেই পারবেনা।
দেশের নিরাপত্তা কর্মীরা পরশ্পর এই যোগাযোগটি করে থাকে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে।
কিন্তু শরীরের নিরাপত্তা কোষগুলীর তো আর বেতার যন্ত্র নাই, তাহলে তারা শরীরের শত্রু মোকাবেলায় কী ভাবে পরশ্পর যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ চালাবে?
জী,হ্যা, শরীর এর নিরাপত্তা কোষগুলী পরশ্পরের যোগাযোগ এই CYTOKINE নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরন করে অন্য নিরাপত্তা কোষের নিকট বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
এখন একটা প্রশ্ন করতে পারেন দেশের নিরাপত্তা প্রহরীরা যখন পরশ্পর মতামত লেনদেন করেন তখন এটা অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে করেন, দেশের জনগনকে এটা জানতে দেননা অথবা জনগনের বেতার যন্ত্রে এটা ধরা সম্ভব ও হয়না, তাহলে কাজের বিঘ্নতা এসে যাবে, বরং ক্ষতিও হতে পারে।
অথচ শরীর এর নিরাপত্তা কোষগুলী যখন এই CYTOKINE রসায়নিক পদার্থ টা অন্য নিরাপত্তা কোষগুলীর নিকট পাঠায়, তখন তো শরীর এর রক্ত বা কোন তরলের মধ্যে নিঃসরন করে পাঠানো লাগে। আর রক্ত তো CIRCULATION এর মাধ্যমে শরীর এর সমগ্র কোষে (১০০ ট্রিলিয়ন) পৌছে যাচ্ছে। তাহলে এই CYTOKINE রসায়নিক পদার্থটির উপস্থিতি সমগ্র কোষ টের পাচ্ছে এবং এর একটা প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া ও তাদের উপর পড়তেছে? যা কাম্য হতে পারেনা, বা হলে শরীর এর কাজ ও বিঘ্নিত হয়ে যাবে।
তাহলে শরীর এই সমস্যা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য কী কোন ব্যবস্থা করেছে?
জী হ্যাঁ, শরীর সে ব্যবস্থা অবশ্যই করেছে।
যেমন ধরুন যখন কোন বেতার যন্ত্র দ্বারা কোন শব্দ প্রচার করা হয় তখন সেই শব্দ তরঙ্গকে একটি সুনির্দিষ্ট FREQUENCY এর বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সৃষ্টি করে প্রচার করা হয়। এবং যাকে শব্দটা শুনাবার ইচ্ছা থাকবে তার নিকট ঠিক ঐ মাপের বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে ধরতে পারে এমন মেসিন রাখতে হবে। এভাবেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সংগে মতামত আদান প্রদান সম্ভব হয়।
অন্য একজন পার্শে থাকলেও তার নিকট এই সংবাদ যায়না।
এমনকী আমাদের কর্ণের ও শ্রুতিক্ষমতার একটা সুনির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের কর্ণের শ্রুতি ক্ষমতার বায়ুমন্ডলে শব্দের দ্বারা উৎপন্ন তরঙ্গের রেঞ্জ ১২ HZ FREQUENCY হতে ২০ KILO HZ FREQUENCY এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
এর বাইরের রেঞ্জের কোন শব্দ তরঙ্গ আমাদের কর্ণ শুনতে সক্ষম নয়। বাদুরের শ্রুতি ক্ষমতাও আমাদের চেয়ে ঢের বেশী। বাদুরের শ্রবন ক্ষমতা ১ HZ হতে ২০০ KILO HZ পর্যন্ত।
(বিস্তারিত জানতে ২৯ পর্ব পড়ুন)
ঠিক তদ্রুপ ই শরীর এর নিরাপত্তা বিভাগের কোষ গুলী তাদের তথ্য শুধুমাত্র তাদের নিজেদের মধ্যেই আদান প্রদান করে থাকে। এর পার্শে অবস্থিত অন্য বিভাগের একটি কোষ ও ঘূনাক্ষরেও তা টেরও পায়না বা তাদের উপর এই রাসায়নিক পদার্থের কোন প্রভাব ও পড়েনা।
কীভাবে শরীর এই কাজটি করে?
জী,হ্যাঁ, তাহলে দেখুন।
প্রতিটা কোষের বহিরাবারণের উপর অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য বিশেষ প্রোটীন দ্বারা ছিদ্রের মত চিহ্ন করে বসানো রয়েছে। এই গুলিকে বলা হয় RECEPTOR. এই RECEPTOR গুলীর মধ্যে যখন কোন রাসায়নিক দ্রব্য ঢুকতে পারে তখন কোষটি বুঝতে পারে যে সে কী বার্তা পেয়েছে, এবং কোষটিকে এর প্রতি উত্তর কী দিতে হবে বা তাকে এখন কী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
আর যে রাসানিক পদার্থটি তার RECEPTOR এ ঢুকতে পারতেছেনা, তার সম্পর্কে সে কোনই খবর রাখেনা, এবং তার উপর এর কোন প্রভাব বা প্রতিক্রিয়াও পড়েনা। RECEPTOR হল কোষের অভ্যন্তর গৃহে ঢুকার দরজা। এই দরজাকে এড়িয়ে কোন রাসায়নিক দ্রব্যকে কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার উপায় নাই।
(এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ১৬ পর্ব পড়ুন)
আর জেনে রাখুন এই RECEPTOR দরজা গুলী বিশেষ প্রোটীন দ্বারা নির্মিত পৃথক পৃথক তালা দ্বারা আটকানো।
আর এই বিভিন্ন দরজার বিভিন্ন রকম তালাকে খুলে ভিতরে ঢুকার জন্য, প্রোটীন দ্বারা নির্মিত যার যার নির্দিষ্ট চাবিও তৈরী করে নির্দিষ্ট বস্তুর নিকট সরবরাহ করে দেওয়া হয়েছে।
কাজেই খুব সহজেই বুঝতে পারতেছেন যে, যে কোন বস্তুর পক্ষে ইচ্ছামত যেকোন কোষ গৃহে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই নাই, যদিও কোষগুলী পাশাপাশি থাকে।
এবার ধরে নিতে পারেন ঐ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক CYTOKINE গুলীর নিকট থাকে তার নির্দিষ্ট কোষ গৃহের RECEPTOR নামক দরজার তালার চাবিটা এবং আর থাকে পরশ্পর একটা আকর্ষন। ঐ আকর্ষনের ফলে ঐ CYTOKINE টা ওখানে ধাবিত হয় এবং তার চাবিটা দিয়েও তার কোষ গৃহের RECEPTOR নামক দরজার তালাটা খুলে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কোষকে সুনির্দিষ্ট বার্তাটি সরবরাহ করে।টি
এর পর উক্ত কোষটি তদনুরুপ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
কোষ হল আমাদের পূর্ণ দেহের জৈবিক মূল একক। প্রতিটা কোষকে দেহের বিভিন্ন ধরনের অতি জটিল ও গূরত্বপূর্ণ কাজ চালাতে হয়। এক একটি কোষ যেন এক একটি রাজ্য। এর অভ্যন্তরে নিউক্লীয়াসের মধ্যে শরীর এর মূল পরিচালক DNA সংরক্ষিত থাকে।
কাজেই এই কোষের অভ্যন্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। তাই এর অভ্যন্তরে কোন কিছুর প্রবেশ অতি মাত্রায় নিয়ন্ত্রিত রেখে এর RECEPTOR দরজা করে তালা-চাবীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
CYTOKINE কী কী ধরণের বার্তা কোষের অভ্যন্তরে পাঠায়?
জী,হ্যাঁ,
যেমন ধরুন ,
বার্তাটি কখনো কখনো কোষ নিজের উপর প্রয়োগ করিয়ে নিজেকে আরো পরিপক্ক ও নিজেকে ACTIVE করায়। যেমন উপরে দেখেছেন, IL2, T NAÏVE CELL কে ACTIVE T-HELPER CELL এ পরিণত করছে।
এভাবে নিজের উপর কাজ করানোর পদ্ধতিকে AUTOCRINE পদ্ধতি বলে।
আবার কখনো অন্য কোষকে পাঠিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ লওয়ার নির্দেশ দেয়। একে PARACRINE বলে।
কখনো কখনো ১টি CYTOKINE ই কয়েক ধরণের কোষকে প্রয়োজন অনুসারে কয়েক প্রকারের নির্দেশ দিয়ে থকে। একে PLEIOTROPIC বলে।
আবার কখনো কখনো কয়েকটি CYTOKINE একত্রে মিলে কোষগুলীকে একই কাজের নির্দেশ দেয়। যাতে একটায় ভূল করলে আর একটা কাজ করতে পারে। একে REDUNDANCY বলে।
আবার কখনো নির্দেশটাকে অধিক জোরালো করার জন্য একটা CYTOKINE আর একটাকে সহযোগিতা করে। একে SYNERGISTIC বলে।
আবার কখনো একটার কাজ ফুরিয়ে গেলে তার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আর একটা CYTOKINE পাঠিয়ে দেয়। একে ANTAGONISTIC বলে।
এই CYTOKINE আরো একটি মজার যোগাযোগ ঘটায়- কোন এক পর্যায়ে T-HELPER কোষ CYTOKINE INTERFERON GAMMA প্রেরণ করিয়া MACROPHAGE কোষকে উক্ত জীবানুকে ধরে ধরে মেরে ফেলার নির্দেশ পাঠায়। এরপর MACROPHAGE কোষ, “কাজ ঠিকমত চলতেছে” এই খবরটা T-HELPER কোষকে INTERLUKIN 12 পাঠিয়ে ঊত্তর দিয়ে জানায় । একে “POSITIVE FEED BACK” বলে। তখন T-HELPER কোষ আরো INTERFERON GAMMA পাঠিয়ে আরো বেশী সংখ্যক MACROPHAGE কে জীবানু হত্যা করতে উত্তেজিত করে দেয়।(ভিডিও-২ দেখুন)
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, কোষের RECEPTOR দরজার সুনির্দিষ্ট তালাটাই বা কে করায় আর সুনির্দিষ্ট CYTOKINE এর হাতে তার সুনির্দিষ্ট তালার সুনির্দিষ্ট চাবীটাও বা কে ধরিয়ে দেয়?
জী, হ্যাঁ,
অবশ্যই এর পিছনে কোন একজন সমন্বয়কারীকে থাকতে হবে। নইলে আপনা আপনি কখনোই এরুপ জটীল সমন্বয় মুলক হওয়া সম্ভব নয়।
এই উভয় কাজটির সমন্বয় সাধন করে CHROMOSOME এর DNA এর নির্দিষ্ট জ্বীন.
প্রতিটা ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন জ্বীন এটা করায়। (DNA কীভাবে কাজ করে বুঝতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।)
আমি এখানে উদাহরণ হিসাবে ১টি মাত্র CYTOKINE কে দেখাচ্ছি-
দেখা যাক CYTOKINE INTERLUKIN 2 (IL2) এর তালা চাবী কোন DNA করায়?
দেখুন তাহলে এর জ্বীন এর অবস্থান-
IL2 কোথায় অবস্থিত?
CHROMOSOME NO 4.
কোষীয় অবস্থান: 4q26-q27আনবিক অবস্থান chromosome NO 4: base pairs 122,451,469 to 122,456,494
The IL2 gene is located on the long (q) arm of chromosome 4 between positions 26 and 27.
More precisely, the IL2 gene is located from base pair 122,451,469 to base pair 122,456,494 on
এই CHROMOSOME 4 এর হলুদ চিহ্নিত স্থানে IL2 এর জ্বীন অবস্থান করতেছে।
DIAGRAM-3 (চিত্র-৩)
FIGURE SOURCE- http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL2
(4)
দেখলেন তো IL2 CYTOKINE কে কোন জ্বীন এ চাবী-রুপ প্রোটীন উৎপাদন করে দিচ্ছে। জ্বীন টি CHROMOSOME NO 4 এর কোথায় অবস্থিত তাও দেখানো হয়েছে।
এবার তাহলে দেখুন IL 2 এর RECEPTOTOR তালা-রুপ প্রোটীন কোন জীন এ তৈরী করে দিচ্ছে।
CHROMOSOME NO. X
IL2RG (RECEPTOR) কোথায় অবস্থিত?
কোষীয় অবস্থান: Xq13.1আনবিক অবস্থান on the X chromosome: base pairs 71,107,403 to 71,111,630
The IL2RG (RECEPTOR) gene is located on the long (q) arm of the X chromosome at position 13.1.
More precisely, the IL2RG gene is located from base pair 71,107,403 to base pair 71,111,630 on the X chromosome.
DIAGRAM-4 (চিত্র-৪)
FIGURE SOURCE- http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL2RG
জ্বীন টি CHROMOSOME NO. X এর কোথায় অবস্থিত তাও দেখানো হয়েছে।
এই CHROMOSOME X এর হলুদ চিহ্নিত স্থানে IL2 এর RECEPTOR এর জ্বীন অবস্থান করতেছে।
(5)
এভাবে IL4 উৎপাদন করে ৫ নং CHROMOSOME (6) এবং এর RECEPTOR কে উৎপাদন করে ১৬ নং CHROMOSOME (7)
এভাবে প্রতিটা CYTOKINE ও তার RECEPTOR কে DNA জায়গামত ও পরশ্পর কে MATCH করে উৎপাদন করে দিচ্ছে।
DNA এভাবে অতিসূক্ষ্মভাবে সবকিছুর সমন্বয় রেখে না করলে শরীর এর প্রতিরক্ষা ব্যুহ এক মুহূর্তও কাজ করতে পারতোনা।
শরীর এর প্রতিরক্ষা ব্যূহের আরো রহস্যময় কার্যকলাপ জানতে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকুন।
VIDEO:-
1. How T Cells Work
https://www.youtube.com/watch?v=RO6qmpApyDM- GYTOKINES
অন্যান্য পর্ব সমূহ এখানে দেখতে পারেন- HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৭ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1)NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
2) T-HELPER CELL (PICTURE),FUNCTION OF CYTOKINES/INTERLEUKINS
http://en.wikipedia.org/wiki/T_helper_cell
3) CYTOKINE FUNCTION
http://www.sinobiological.com/Cytokine-Rerview-Receptor-Source-Targets-Main-Function-Disease-Association-a-1310.html
4) IL2 GENE-CHROMOSOME-4
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL2
5) IL2RG GENE CHROMOSOME X
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL2RG
6) IL4, CHROMOSOME-5
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL4
7) IL4R, CHROMSOME-16
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/IL4R
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? MHC CLASS-2 কী? DENDRITIC কোষের কী কাজ?DNA এর সম্পর্ক, ৪৬ (৬) তম পর্ব।
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন?
MHC CLASS-2 কী? DENDRITIC কোষের কী কাজ?DNA এর সম্পর্ক, ৪৬ (৬) তম পর্ব।
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিক কোষ বাহিনী শরীরকে প্রতিরক্ষা করার জন্য অনবরত অজস্র প্রকারের কলা কৌশল প্রয়োগ করে যাচ্ছে। মূলতঃ এতদ-সমস্ত জটিল কলাকৌশল টি DNA তার নির্দিষ্ট জ্বীন এর কোড দ্বারা বিশেষ বিশেষ প্রোটীন উৎপাদন করে করিয়ে থাকে। যেখানে যে ধরনের কাজের প্রয়োজন হয় DNA সেখানে ঠিক সেই ধরনের কাজ করতে পারে তেমন ধরনের প্রোটীন তৈরী করাইয়া কাজ করায়।
DNA ও তার জ্বীন সম্পর্কে জানতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।
আগের পর্বে আপনারা MHC CLASS 1 এর প্রতিরক্ষার কলা কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আজ বর্ণনা করতে চাচ্ছি “MHC CLASS-2” নামক একটি প্রোটীন যৌগ COMPLEX কী ভাবে অনবরত শরীর এর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
MHC এর পূর্ণ অর্থ “MAJOR HISTOCOMPATIBILITY COMPLEX”.
অর্থাৎ কোন টিসু বা কোষ শরীরের অভ্যন্তরে থাকবার যোগ্য কিনা তা লক্ষ্য করার প্রধান দায়িত্ব এই প্রোটীন যৌগটির। HISTO অর্থ টিসু বা কোষ।
এই প্রোটীন যৌগটি কী ভিন্ন ধরনের কলা কৌশল প্রয়োগ করে প্রতিরক্ষার দায়িত্বটা পালন করে, তা এখনই জানতে চলেছেন।
কী এই MHC CLASS 2 প্রোটীন?
কোথায় কী ভাবে উৎপাদন হয়?
কোথায় এটা অবস্থান করে?
আর কী-ই বা এর কাজ?
জী, হ্যাঁ, তাহলে আসুন এ সব বিষয়ে এক এক করে পর্যালোচনা করে দেখা যাক।
নীচে চিত্রে-১ এ এই যৌগটির আকৃতি দেখুন।
এটা গঠিত ALPHA 1, ALPHA 2, BETA 1 ও BETA 2 প্রোটীন দ্বারা।
চিত্র-১-
MHC CLASS 2. ALPHA 1, ALPHA 2, BETA 1 ও BETA 2 নামক প্রোটীন উপাদান দ্বারা এভাবে এ যৌগটি গঠিত। এটা APC (ANTIGEN PRESENTING CELL) এর কোষ প্রাচীরের উপরে রয়েছে। এর খাজের মধ্যে CD4 T NAÏVE কোষকে PRESENT করার জন্য জীবানুর ANTIGEN (লাল রংএর) ধরে রেখেছে
(2)
উৎপাদন স্থান-
DNA অন্যান্য সমস্ত প্রোটীন এর ন্যায় এর প্রোটীন উপাদান গুলীও RIBOSOME নামক প্রোটীন ফ্যাক্টরীর দ্বারা উৎপাদন করিয়ে ER (ENDOPLASMIC RETICULUM)এর মধ্যে পাঠিয়ে দেয়। এর পর ER এই উপাদান গুলীকে একটি জটিল প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে MHC 2 এর রুপ দান করে এর খাজের মধ্যে জীবানুর প্রোটীন (ANTIGEN) ঢুকিয়ে কোষ (APC) প্রাচীর এর বহিরাবারণে CD4 T NAÏVE কোষ কে PRESENT করার জন্য পাঠিয়ে দেয়। (১১ তম পর্ব পড়লে DNA কী ভাবে RIBOSOME দ্বারা প্রোটীন উৎপাদন করায় বিস্তারিত জানতে পারেন।)
আপনাদের সহজে বুঝার জন্য, MHC CLASS-2 বর্ণণার সংগে সংগে ছোট্ট একটা উদাহরণ দিতে চাই। তাহলে আশা করি এই সূক্ষ্ম জটিল বিষয়টি আপনাদের বুঝতে কিছুটা সহজ হবে। যদিও উদাহরণে উভয় পক্ষের বিষয়ে সবক্ষেত্রে শত ভাগ মিল নাও থাকতে পারে।
কল্পনা করুন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিভাগের একটি বিশেষ ব্যবস্থাপনার কথা। সে ব্যবস্থাপনাটা ধরুন ঠিক নিম্ন বর্ণিত ভাবে পরিচালনা করে:-(উদাহরণে “ক” বিভাগ বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিভাগের জন্য ও “খ” বিভাগ শরীরের এর নিরাপত্তা বিভাগের এর জন্য বর্ণণা করা হয়েছে)
উদাহরণ-১ (ক)
ধরুন, বাংলাদেশের অসংখ্য বিভিন্ন ধরনের SECURITY FORCE বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে, প্রতিটা দল যার যার ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব লয়ে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও যোগাযোগ মাধ্যম সহ COVERED ভ্যানে করে সমগ্র দেশ ব্যাপী হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে ও খুজতেছে কোথাও কোন বহিদেশের শত্রু পাওয়া যায় কিনা।
এদের নাম ধরে নিন,যথাক্রমে “BATTALION A”, “BATTALION B” ও “BATTALION C”, ,………ইত্যাদি ।
এদের প্রথম সারির সেনা দলের নাম ধরুন “BATTALION A”
এদের কাজ হল দেশের মধ্যে কোথাও কোন শত্রু পেলে তাকে ধরে কেটে টুকরো টুকরো করে মেরে ফেলা এবং তাদের নিকট থেকে তাদের IDENTITY টা সংগ্রহ করে “mhc 2” নামক একটি লাল-হলুদ বক্সে করে আর একটি দল যাদের নাম “BATTALION B” এর হাতে তুলে দেওয়া।
ধরুন, যেহেতু এই “BATTALION A” টা শত্রুর IDENTITY অন্য দলের হাতে তুলে দেয় এই কারনে এদেরকে IDENTITY PRESENTING BATTALION বা “IPB” দল ও বলা হয়।
উদাহরণ-১ (খ)
আর ঠিক একই ভাবে আমাদের শরীরের মধ্যেও প্রতিরক্ষা কোষ সমূহ ও হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কোথাও কোন জীবানু, যা আমাদের শরীর রাজ্যের কোন শত্রু পাওয়া যায় কিনা।
শরীর এর কোষের এই বিভিন্ন নিরাপত্তা দল গুলীর নাম ধরে নিন যথাক্রমে, “battalion a”, “battalion b” ও “battalion c”, “,…… ইত্যাদি ।
এর মধ্যে শরীরের প্রথম সারির দলটির নাম “battalion a” ধরুন। এই “battalion a” এর অন্তর্ভূক্ত আছে শরীরে বাস্তবে DENDRITIC CELL. PHAGOCYTIC (MACROPHAGE) CELL ও B CELL.
এই দলটি শরীরের কোথাও কোন জীবানু পেলে তাকে ENGULF (গিলে ফেলে)করে ও মেরে এর প্রোটীনকে MHC 2 নামক একটি প্রোটীন যৌগের বক্সে করে, “battalion b” (যারা শরীরে বাস্তবে হল “CD 4 T NAÏVE CELL”)নামক কোষ এর নিকট তুলে ধরে। ( চিত্র-১,২ ও ৩ দেখুন)
যেহেতু এরা জীবানুর ANTIGEN কে ধরে অন্য দলের নিকট তুলে ধরে এই কারণে এদেরকে ANTIGEN PRESENTING CELL বা “APC” বলা হয়।
উদাহরন-২ (ক)
এবার মনে করুন বাংলাদেশের প্রথম সারির টহল সেনা দল “BATTALION A”, টহল দিতে দিতে, দেশের কোন এক জায়গায় কিছু বার্মিজ শত্রু অস্ত্রসস্ত্র সহ পেয়ে গেল। তখন এদের দায়িত্ব হল, এই শত্রুদলকে ঘিরে ফেলে কভার্ড ভ্যানে তুলে এনে সবাইকে টুকরো টুকরো করে ও খন্ড বিখন্ড করে ধংশ করে ফেলা।
এবং এই বার্মিজ শত্রু দলের IDENTITY টা “BATTALION B” এর নিকট তুলে দেওয়া।
আর এই IDENTITY টার মধ্যে থাকে, এরা বার্মিজ শত্রু, এরা কী ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করে ও সেই অনুসারে তাদের সংগে যুদ্ধের জন্য এর বিপরীতে কী ধরণের অস্ত্র উৎপাদন করতে হবে।
উদাহরন-২ (খ)
ঠিক এভাবেই শরীরের প্রথম সারির টহল সেনাদল “battalion a”, যারা হল “APC” যারা হল বাস্তবে DENDRITIC CELL, PHAGOCYTIC CELL ও B CELL. ঠিক তাদেরও দায়িত্ব হল শরীরে অনবরত টহল দিতে দিতে যদি কোথাও কোন জীবানু বা অন্য কোন বহি শত্রু পেয়ে যায় তাহলে তাকে ENGULF বা গিলে ফেলে কোষের অভ্যন্তরে এনে একটি প্যাকেটে করে যার নাম PHAGOSOME, এর মধ্যে ঢুকিয়ে কোষের নিজস্ব রাসায়নিক অত্যধিক এসিডিক অস্ত্র, যা LYSOSOME নামক প্যাকেটের মধ্যে থাকে, এর এসিড এই জীবানূর প্যাকেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে এর দেহের প্রোটীনকে খন্ড বিখন্ড করে করে মেরে ফেলা, ঠিক যেমনটা করে বংলাদেশের “BATTALION A” দল অস্ত্র দ্বারা।
এরপর এদের খন্ডিত প্রোটীন কে ANTIGEN হিসাবে “battalion b” এর হাতে তুলে দেওয়া।
এই ANTIGEN প্রোটীনটাই জীবানুটার IDENTITY. এর মধ্যে থেকে যায় জীবনুটা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে এবং এর বিরুদ্ধে কী ধরণের অস্ত্র উৎপাদন করা প্রয়োজন।
জেনে রাখা দরকার, শরীর এর অস্ত্রের নাম “ANTIBODY” নামক একটা বিশেষ প্রোটীন।
ধরা যাক এই কোষ গুলী টহল দিতে দিতে টিবি(যক্ষ্মা) এর জীবানু পেয়ে গেল। তাহলে এই টিবি(যক্ষ্মা) এর ANTIGEN ই এদেরকে জানিয়ে দিবে এর বিরুদ্ধে কী ধরনের অস্ত্র (ANTIBODY) উপযোগী হইবে। এদের বিরুদ্ধে একমাত্র উপযোগী অস্ত্র হইল টিবি(যক্ষ্মা) ANTIBODY নামক বিশেষ প্রোটীন।
নীচে চিত্র-২ দেখুন।
চিত্র-২
লক্ষ্য করুন যেভাবে একটি PHAGOCYTIC কোষ জীবানুকে গিলে মেরে ফেলতেছে, ও এর প্রোটীনকে LYSOSOME এর এসিড দ্বারা টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে। এরপর এর খন্ডিত প্রোটীন কে এর বহি প্রাচীরে MHC-2 এর বক্সের খাজের ভিতর রেখে CD4 T NAÏVE কোষকে PRESENT করতেছে।(নীচে চিত্র-৩ দেখুন)
(3)
চিত্র-৩
(৩)
উদাহরণ-৩ (ক)
এবার চিন্তা করুন, বাংলা দেশের নিরাপত্তা ফোর্স “BATTALION A”, যদি এখানেই শুধুমাত্র ঐ বার্মিজ শত্রুগুলীকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, তাহলেই কী সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বা তাতেই কী দেশের জন্য যথেষ্ঠ নিরাপত্তা এনে দিবে?
উত্তর- মোটেই নয়। আরো অতিরিক্ত কিছু ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রয়োজন আছে নয় কী? ঐ গ্রুপের শত্রুরা যখন ভবিষ্যতে আক্রমন করবে তখন এদের সংগে মোকাবেলা করতে গেলে, ওদের পরিচিতি, ওরা কী ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করে তা রেকর্ডে ধরে রাখার প্রয়োজন আছেনা? এবং আক্রমনের পদ্ধতি আগে থেকে জানা থাকলে পরবর্তিতে আক্রমনের সময় ওদের দ্রুত পরাজিত করা সহজ হবে না?
এই সমস্ত কারনে ঐ বার্মিজ শত্রুদের পরিচিতি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের কম্পিউটার MEMORY তে SAVE করে রাখার দরকার আছে নয় কী?
অন্য সমস্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যোদ্ধা সৈনিকদরকে এই বার্মিজ শত্রুদের তথ্য পাঠিয়ে, এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উৎসাহিত করার প্রয়োজন আছেনা?
এদের সংগে এই মুহুর্তেই ও ভবিষ্যতে যুদ্ধ করতে এদের বিরুদ্ধে উপযোগী অস্ত্রটা উৎপাদনের প্রয়োজন আছেনা?
এই সমস্ত উদ্যেশ্যকে সামনে রেখেই, এরপর বাংলাদেশ ফোর্স ঐ বার্মিজ শত্রুদের শরীর হতে একটি সুনির্দিষ্ট IDENTITY (সমস্ত তথ্য সম্বলিত একটি পরিচায়ক) সংগ্রহ করল। এই IDENTITY এর মধ্যে রয়েছে তারা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে, ও কী কৌশলে শত্রুকে আক্রমন করে, এর বিরুদ্ধে কী ধরণের অস্ত্র উপযোগী ।
আর এদিকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ পূর্ব হতে ঐ “BATTALION A” কে একটি বিশেষ ছোট লাল-হলুদ বক্স সরবরাহ করে দিয়ে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যে যখনি কোন বহিশত্রু আটকিয়ে মেরে ফেলতে পারবে তখনি তোমরা ঐ শত্রুদের বিশেষ IDENTITY টা ঐ লাল-হলুদ বক্সের মধ্যে রেখে, BATTALION B এর হাতে তুলে দিবে। তখন তারা এর জন্য বাকী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এই লাল-হলুদ বক্সটির নাম ধরুন “mhc 2”
উদাহরণ-৩ (খ)
প্রীয় পাঠক বর্গ, শরীর এর ঐ APC কোষগুলী (“battalion a”) ও ঠিক বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগের “BATTALION A” এর মত একই কাজ করে থাকে।
কী ভাবে করে?
জী,হ্যা,
ঐ কোষগুলী জীবানুগুলীকে LYSOSOME নামক একটি ক্ষুদ্র প্যাকেট এর শক্তিশালী এসিড দ্বারা ঐ টিবি জীবানু মেরে ফেলার পর, তার দেহের খন্ডিত প্রোটীন যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় ANTIGEN বলে, তাকে MHC 2 (চিত্র-১,২,৩ ) নামক একটি বিশেষ বড় যৌগ প্রোটীন বক্সের উপরের খাজের মধ্যে গূজে এনে এই বক্সকে “battalion b” নামক কোষ দলের কাছে তুলে ধরে।
“battalion b” শরীরে বাস্তবে হল “CD4 NAIVE T CELL”.
এখন প্রশ্ন হল কোষের “battalion a”, এই MHC-2 এর বিশেষ বক্স কোথা হতে সংগ্রহ করে?
জী,হ্যা,
কোষের CHROMOSOME NO. 6 এর জ্বীন এর নির্দেশ অনুসারে কোষের RIBOSOME (প্রোটীন উৎপাদক ফ্যাক্টরী)এই MHC-2 এর প্রোটীন উপাদানগুলী উৎপাদন করে ROUGH ENDOPLASMIC RETICULUN (RE) নামক কোষের আর একটি জটিল ফ্যাক্টরীর মধ্যে পাঠিয়ে দেয়(পর্ব ১১ ও ৪৫ দেখুন)।
তখন এই ফ্যাক্টরী(RE) এই প্রোটীন উপাদানগুলীকে একটি জটিল প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে, MHC-2 আকারে নির্মান করে ও সাজিয়ে গুছিয়ে এর উপরে খাজের মধ্যে ঐ টিবি জীবানুর ঐ খন্ডিত প্রোটীন যার বৈজ্ঞানিক নাম ANTIGEN টাকে গূজে বসিয়ে GOLGI BODY ও ENDOSOME নামক ট্রাফিক এর মাধ্যমে কোষের বহি আবরনে পাঠিয়ে দেয়।
এই ANTIGEN টাই টিবি(যক্ষ্মা) জীবানুর IDENTITY. এর মধ্যে টিবি জীবানূর সমস্ত তথ্য বিদ্যমান।
এই TB ANTIGEN টার নিকট থেকে তথ্য পাওয়া যায়, টিবি(যক্ষ্মা)জীবানুর বিরুদ্ধে শরীরের নিরাপত্তা বিভাগ কে কী ধরণের অস্ত্র (ANTIBODY) উৎপাদন করতে হবে। এরা এটার দ্বারা জেনে ফেলে এদের বিরুদ্ধে একমাত্র অস্ত্র ‘TB ANTIBODY” উৎপাদন করতে হবে।
কী ভাবে জটিল পদ্ধতির মধ্য দিয়ে এবং আরো কয়েকটা প্রোটীন এর সহযোগিতায় RE এই MHC 2 কে সাজিয়ে গুছিয়ে কোষের অভ্যন্তর হতে কোষের বহিরাবারনে পাঠিয়ে দেয় তা সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে নীচে VIDEO নং ১ এ এটা আপনারা দেখতে পারেন।
এখানে সেটা বর্ণনা করতে গেলে বিষয়টা আপনাদের নিকট জটিল হয়ে যাবে। একারণে এখানে বর্ণণা করা হলনা।
এরপর এই “battalion a” দল টিবি(যক্ষ্মা) জীবানুর এই ANTIGEN কে বহিরাবারনের উপর ধরিয়া আর একটি বিশেষ বাহিনী “battalion b” নামক কোষ দলের কাছে তুলে ধরে বা PRESENT করে, কেমন যেন বলে এটা গ্রহন কর ও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন কর।( চিত্র-৩ ও ৪ দেখুন)
এই বাহিনীটার বাস্তবে বৈজ্ঞানিক নাম হল “ CD4 NAIVE T CELL”,
এর পরে কী ঘটবে?
উদাহরণ-৪ (ক)
এদিকে মনে করুন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ তার “BATTALION B” বিভাগকে একটি নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যে, যখনই “BATTALION A” তোমাদের নিকট mhc 2 বক্সে করে. যেটা তালা দিয়ে আটকানো থাকে, বিদেশী শত্রুদের IDENTITY তুলে ধরবে, ওটাকে তোমরা তোমাদের চাবী দ্বারা খুলে গ্রহণ করবে।
আর বলে দিয়েছে, তোমাদের চাবী নং হল cd4. এই নাম্বার এর চাবী আর কাকেও দেওয়া হয় নাই। অতএব এই বক্স একমাত্র তোমরা “BATTALION B” ছাড়া আর কেহই খুলতে সক্ষম নয়।
তালাটা খুলে এর মধ্যে বিদেশী শত্রুদের যে IDENTITY টা পাইবে, তখনি বিদেশী শত্রুদের IDENTITY টা সংগ্রহ, সংরক্ষন করবে ও এদের আগমনের কথা অন্য সকল বাহিনীকে জানিয়ে দিয়ে বলবে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এখনি ঝাপিয়ে পড়, এবং এই অনুপ্রবেশকারী শত্রুদের IDENTITY টা ভবিষ্যতের জন্য কম্পিউটারের MEMORY তে SAVE করে রাখ ও এই শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যথোপোযোগী অস্ত্র উৎপাদন কর।
বক্স হতে “BATTALION B” বার্মিজ শত্রুর IDENTITY সংগ্রহ করার পর কী করবে?
জী, হ্যা,
তবে, মনে করুন, এই “BATTALION B” টা এমন একটি দল যারা এই কাজে এই প্রথম, অপরিপক্ক ও অকর্মা ভাবে থাকে। এরা এখনো পর্যন্ত কোন নিরাপত্তার কাজে নামে নাই। এই সর্বপ্রথম কোন নিরাপত্তা কাজের দায়িত্ব পেতে চলেছে।
এরা প্রথমে সহজে সাড়া দেয়না। একে জাগ্রত করতে ৩ জোড়া বস্তু দ্বারা পরপর আঘাত করে উত্তেজিত করে এদের শুপ্ত ক্ষমতাকে জাগ্রত ও কার্যকরী করতে হয়। (যদিও বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগের ক্ষেত্রে বাস্তবে এরুপ ঘটেনা, মনে করুন, কোষের ক্ষেত্রের সংগে মিল রাখার জন্য এ ঘটনা এখানে কল্পনা করা হল)
এদের আঘাতের পর একবার জাগ্রত ও কার্যকরী হয়ে গেলে, এদের প্রমোশন ও দায়িত্ব দিয়ে নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগ “BATTALION C”
এবার এই “BATTALION C” বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা বিভাগে পরিণত হইল।
মনে রাখবেন এই “BATTALION C” কে এখন এই বার্মিজ শত্রুর IDENTIY টা লয়ে এই বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ৩ টা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ লইতে হইবে, যেমন-
১) বার্মিজ শত্রুদের IDENTITY টা নিরাপত্তা বিভাগের কম্পিউটারে SAVE করে রাখবে, ভবিষ্যতে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাতে সহজ হয়।
২) অন্য সৈনিকেরা যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই, তাদের অনুপ্রবেশ কারী বার্মিজ শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে নির্দেশ দিবে।
৩) এদের সংগে যুদ্ধের জন্য যে ধরনের অস্ত্র উপযোগী, ঠিক সেই ধরণের অস্ত্র নির্মানের নির্দেশ দিয়ে দিবে।
উদাহরণ-৪ (খ)
এবার আসুন দেখা যাক এদিকে কোষে কী ঘটতেছে-
ইতিমধ্যে কোষের এই “battalion a” টিবি(যক্ষ্মা)জীবানুকে টুকরো টুকরো করে মেরে, এর খন্ডাংশ প্রোটীনকে ANTIGEN বা IDENTITY হিসাবে MHC 2 এর খাজের মধ্যে আটকিয়ে রেখে আর একটি কোষদল যার নাম “CD4 T NAIVE CELL” (এদের নাম ধরা হয়েছে “battalion b”) কে তুলে ধরবে। (আগেই জেনেছেন)।
এখানেও ঠিক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের ন্যায় শরীর এর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ CHROMOSOME NO 12 এর DNA, NAIVE T CELL (যাকে “battalion b” নাম দেওয়া হয়েছে) কে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে যে, যখনি তোমাদেরকে “battalion a” MHC 2 বক্স PRESENT করবে তখন ওটা তোমরা গ্রহন করবে ও খুলে এর মধ্য হতে জীবানুর ANTIGEN বা IDENTITY সংগহ করে পরবর্তী ধাপের পদক্ষেপ গুলী লইবে।
আরো বলে দেয় এই MHC 2 এর বদ্ধ তালাটা খোলার চাবীটা একমাত্র তোমাদের হাতেই দেওয়া হল।
আর সেই চাবীটার নং হল “CD 4”(CO-RECEPTOR).
অতএব “Battalion a” (যাদের কে APC কোষ বলা হয়েছে) কোষের MHC 2 এর ANTIGEN (টিবি জীবানুর IDENTITY) টা “CD4 T NAIVE CELL” ছাড়া অন্য কারো পক্ষে খোলা সম্ভব নয়।
১১ ও ১৬ তম পর্বে DNA এর এই কাজের বিস্তারিত বিবরণ দেখুন।
DNA এভাবে সুনির্দিষ্ট করে নির্বাচন না করতে পারলে জীবন প্রকৃয়া বহু পূর্বেই অচল হয়ে যেত। একটা পদক্ষেপ ও অগসর হইতে পারিতোনা।
এখানে একটা বিষয় জানা ভাল-
এই CD4 T CELL টি একটি NAIVE T CELL. NAIVE অর্থ হল ঘুমন্ত বা এখনো পর্যন্ত নিরাপত্তার কাজের যোগ্যতা অর্জন করে পারে নাই, কিন্ত এর মধ্যে সে যোগ্যতা শুপ্ত রয়েছে।
এখানে আরো একটি জটিল ব্যাপার রয়েছে, তা হল “CD4 T NAIVE CELL” গুলী যেহেতু অপরিপক্ক ও অনুপোযোগী, এই কারণে এদেরকে পরিপক্ক ও যোগ্য করার জন্য উত্তেজিত (STIMULATION)করার প্রয়োজন হয়।
NAÏVE অর্থ হল অপরিপক্ক বা নূতন বা ঘুমন্ত।
এদেরকে উত্তেজিত করে দায়িত্বপূর্ণ কাজে নামিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ জোড়া CO-STIMULATORY পদার্থ কে সমন্বীত ভাবে এদেরকে উত্তেজিত করা লাগে ।
এর পর যখন এরা উত্তেজিত হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব লয়ে কাজ করা আরম্ভ করে দেয়, তখন এদের পদোন্নতি দিয়ে নাম দেওয়া হয় T-HELPER CELL, অর্থাৎ এখন আর “CD4 T NAIVE CELL” বা অপরিপক্ক কোষ নামটা থাকলনা।
এরা এখন শরীরের নিরাপত্তা বিভাগের উচু মাপের দায়িত্ববান ও ক্ষমতাবান অফিসার “T HELPER CELL” এ রুপান্তরিত হল ও ঐ নামে পরিচিত হইল।
এদের এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।(VIDEO 1,2,3,4 ও REF, 2,5 দেখূন)
ধরে নিতে পারেন এরা যেন ঠিক পূর্বোল্লিখিত বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনী “BATTALION C” এর সমপর্যায়ের হইল।
আর হ্যা,
যে ৩ জোড়া CO-STIMULATORY FACTOR যৌথ ভাবে উত্তেজিত করে CD4 NAIVE T-CELL কে T- HELPER কোষে উন্নীত করল, তাদেরকেও একটু চিনে রাখতে পারেন, তারা হল-
ON LYMPHOCYTE-
1.LFA 1= LYMPHOCYTE FUNCTIONAL ANTIGEN 1.
- CD 2= CLUSTER DIFFERIANTIATION 2
- CD 28= CLUSTER DIFFERIANTIATION 28
- ICAM 1= INTERCELLULAR ADHESION MOLECULE
- LFA 3= LYMPHOCYTE FUNCTIONAL ANTIGEN 3
- CD 80= CLUSTER DIFFERIANTIATION 80.
চিত্র–৪
এখানে লক্ষ্য করুন, MACROPHAGE CELL (এটা একটি PHAGOCYTIC CELL) MHC 2 (ANTIGEN সহ) CD 4 T LYMHOCYTE(NAÏVE T CELL) ,উপরে, এর সংগে সাক্ষাৎ করে ANTGEN PRESENT করতেছে। ও একই সংগে যে ভাবে ৩ জোড়া CO-STIMULATORY FACTOR সমন্বীত ভাবে কাজ করে CD4 NAIVE T CELL কে T- HELPER CELL এ উন্নীত করে গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে।
(বিস্তারিত VIDEO-3 এ দেখুন)
আশা করি উদাহরনের মাধ্যমে বর্ণনায় এই জটিল বিষয়টি আপনাদের বুঝতে কিছুটা সহজ হবে।
এরপর এই T-HELPER কোষ ও বাংলাদেশ নিরাপত্তা বিভাগ “BATTALION C”
এর মত ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করায়। আর তা হল-
১) এই শত্রু টিবি(যক্ষ্মা)জীবানুর IDENTITY টা নিরাপত্তা বিভাগে MEMORY CELL তৈরী করে তার কম্পিউটারে SAVE করে রাখবে, ভবিষ্যতে এই টিবি জীবানুর সংগে যুদ্ধের সময় কাজে লাগানোর জন্য।
২) অন্য সৈনিক কোষরা যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই, তাদের অনুপ্রবেশ কারী টিবি (যক্ষ্মা)জীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে উত্তেজিত করবে।
৩) টিবি (যক্ষ্মা) জীবানুর সংগে যুদ্ধের জন্য যে ধরনের অস্ত্র ঊপযোগী, সেই ধরণের সঠিক অস্ত্র যার নাম “TB ANTIBODY” উৎপাদনের নির্দেশ দিবে।
মনে রাখবেন শরীরে এদের এই অস্ত্র “TB ANTIBODY” আমাদের তৈরী রাইফেল,বন্দুক, মেসিনগান অস্ত্রের চাইতেও অনেক বেশী শক্তিশালী ও কলা কৌশলপূর্ণ।
রাইফেল, মেসিনগান, একটি দলের মধ্যে শত্রু-মিত্র সবাইকে হত্যা করে,বার্মিজ, চাইনীজ, জাপানীজ সব শত্রুদেরই হত্যা করবে, কিন্ত শরীর এই TB ANTIBODY অস্ত্র এমন ভাবে উৎপাদন করে যে, সে শুধু মাত্র যে শত্রুর জন্য উৎপাদন করে কেবল মাত্র সেই শত্রুকেই চিনে চিনে বেছে বেছে আক্রমন করবে।
রাইফেল মেসিনগান কখনো শরীরের টিবি (যক্ষ্মা) জীবানু মারতে সক্ষম নয়, কিন্তু শরীর এর এই উৎপাদিত অস্ত্র সক্ষম।
এখানে এই TB ANTIBODY টা শুধু মাত্র টিবি (যক্ষ্মা)জীবানুকেই আক্রমন করবে, এই অস্ত্র (TB ANTIBODY)কখনোই টাইফয়েড বা ম্যালেরিয়া জীবানুকে ভূল করেও আক্রমণ করবেনা বা করার ক্ষমতাই নাই।
আবার এরা নিজ শরীরের কোষকেও কখনই আক্রমন করবেনা।
তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এদের মূল উৎপাদক DNA তে যদি কোন MUTATION (বৈকল্য) ঘটে যায়, তখন ভূল ANTIBODY অস্ত্র তৈরী হয়ে যায়, তখন এই ANTIBODY গুলীই শত্রুকে চিনতে সক্ষম হয়না, ফলে আত্মঘাতি হয়ে নিজ শরীরের কোষকেই আক্রমন করতে থাকে। এরা তখন MISFIRING করতে থাকে। তখন এটা বড় বড় মারাত্মক ব্যাধি আকারে দেখা দেয়।
এই ব্যাধি গুলীকে AUTOIMMUNE DISEASE বলে। যেহেতু এটা DNA সম্পর্কিত, এ কারণে এই রোগ শরীর এর যে কোন SYSTEM এ হতে পারে।
এই T HELPER কোষ এখন কীভাবে অন্য যোদ্ধা কোষ, যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত হয় নাই, তাদের এই শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তেজিত করায় ও এই শত্রদের IDENTITY টা MEMORY CELL এর কম্পিউটারে SAVE করে রাখায়, কী ভাবে এই শত্রুদের বিরুদ্ধে ঠিক উপযোগী অস্ত্র উৎপাদন করায়, সেই আকর্ষনীয় ঘটনা পরবর্তী পর্বে জানতে পারবেন।
এখানে বর্নণা করতে গেলে পর্বটা অনেক বড় ও আপনাদের জন্য অনেক জটিল হয়ে যাবে, এ কারণে এখানে বর্নণা করা হলনা।
ধৈর্য ধরে সংগে থাকুন। রহস্যময় মানব দেহের অনেক রহস্য জানতে পারবেন।
কী ভাবে কোষ MHC-2 উৎপাদন করে সে সম্পর্কিত VIDEO এখানে দেখুন-
- https://www.youtube.com/watch?v=TMnkihN6zVM
- https://www.youtube.com/watch?v=RBaTZQthmCk&feature=iv&src_vid=Am2RVvWdT48&annotation_id=annotation_3840034177%23t=11m41s
- https://www.youtube.com/watch?v=LwLYGTS_3EI
4. Difference between MHC Class I and MHC Class II
https://www.youtube.com/watch?v=gn-Q9r7app8পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-
HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৬ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1.NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
- MHC 2 STRUCTURE
3, PHAGOCYTOSIS
http://en.wikipedia.org/wiki/Phagocyte
- RE
- cd 74
- T-HELPER CELL (PICTURE),FUNCTION OF CYTOKINES/INTERLEUKINS
6.MHC 2 GENE
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/HLA-DQB1
7.CD4 GENE
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/CD4
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? MHC CLASS-1 কী? DNA এর সম্পর্ক। ৪৫ (৫) তম পর্ব।
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন?
MHC CLASS-1 কী? DNA এর সম্পর্ক। ৪৫ (৫) তম পর্ব।
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিক কোষ বাহিনী শরীরকে প্রতিরক্ষা করার জন্য অনবরত অজস্র প্রকারের কলা কৌশল প্রয়োগ করে যাচ্ছে। মূলতঃ এতদ-সমস্ত জটিল কলাকৌশল টি DNA তার নির্দিষ্ট জ্বীন এর কোড দ্বারা বিশেষ বিশেষ প্রোটীন উৎপাদন করে করিয়ে থাকে।
DNA ও তার জ্বীন সম্পর্কে জানতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।
আজ বর্ণনা করতে চাচ্ছি “MHC CLASS-1” নামক একটি প্রোটীন যৌগ COMPLEX কী ভাবে অনবরত শরীর এর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
MHC এর পূর্ণ অর্থ “MAJOR HISTOCOMPATIBILITY COMPLEX”.
অর্থাৎ কোন টিসু বা কোষ শরীরের অভ্যন্তরে থাকবার যোগ্য কিনা তা লক্ষ্য করার প্রধান দায়িত্ব এই প্রোটীন যৌগটির। HISTO অর্থ টিসু বা কোষ।
এই প্রোটীন যৌগটি কী ভাবে সেই দায়িত্বটা পলন করে, তা এখনই জানতে চলেছেন।
MHC (major histocompatibility complex) প্রোটীন যৌগ ৩ প্রকারের-1) MHC CLASS- 1. 2) MHC CLASS- 2. 3) MHC CLASS-3.
এখানে শুধু MHC CLASS-1 সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে।
MHC CLASS 2 ও 3 এর আলোচনা পরে করা হবে।
আসুন তাহলে-
কী এই MHC CLASS 1 প্রোটীন?
কোথায় কী ভাবে উৎপাদন হয়?
কোথায় এটা অবস্থান করে?
আর কী-ই বা এর কাজ?
জী, হ্যাঁ, তাহলে আসুন এ সব বিষয়ে এক এক করে পর্যালোচনা করে দেখা যাক।
নীচে চিত্রে-১ এ এই যৌগ টির আকৃতি দেখুন।
এই যৌগটি আমাদের শরীরের প্রতিটা নিউক্লীয়াছ যুক্ত কোষের প্রাচীরের বাহিরে সর্বত্র ঝান্ডা ধরিয়া দাড়িয়ে আছে। তবে যেহেতু একমাত্র রক্তের লোহিত কনিকায় কোন নিউক্লীয়াছ থাকেনা, তাই এরাও শুধুমাত্র লোহিত কনিকায় থাকেনা।
এর দন্ডটি কোষ প্রাচীরের ভিতর দিয়ে খুটির মত গাঁড়া থাকে, আর মূল কার্যকরী অংশটা উপরে থেকে কাজ করে। এই অংশগুলীকে DOMAINS বলে। ওখানে ৪টা DOMAINS আছে।
লক্ষ্য করুন, এটা ৪টা DOMAIN প্রোটীন দ্বারা গঠিত- যেমন 1) ALPHA 1. 2)ALPHA 2. 3) ALPHA 3. 4) BETA MICROGLOBULIN.
এগুলী সবই ই প্রোটীন যৌগ। যেসব প্রোটীন পেচানো আকৃতিতে গঠিত হয়, তাকে ALPHA প্রোটীন ও যারা ফ্লাট আকারে গঠিত হয় তাদেরকে BETA প্রোটীন বলা হয়।
যে সব প্রোটীন লম্বা PEPTIDE দ্বারা গঠিত হয় তাকে HEAVY CHAIN PROTEIN বলে। আর যে সব প্রোটীন SHORT PEPTIDE CHAIN দ্বারা গঠিত হয়, তাদেরকে LIGHT CHAIN PROTEIN বলা হয়।
এখানে ALPHA প্রোটীন ৩টি HEAVY CHAIN প্রোটীন ও BETA MICROGLOBULIN প্রোটীনটি LIGHT CHAIN প্রোটীন দ্বারা গঠিত।
এই BETA MICROGLOBULIN টি MHC 1 কে, কোষের অভ্যন্তরে তৈরী হওয়ার পর কোষ প্রাচীরের বাহিরে ঠেলে বের করে এনে জায়গা মত বসিয়ে দেয়।
লক্ষ্য করুন, ALPHA 1. ও ALPHA 2 এর মধ্যখানে একটা খাজ (GROOVE) রয়েছে।
কেন এই খাজ টি রয়েছে?
উত্তর-
আমাদের শরীরের সৈনিক কোষ “CD-8 CYTOTOXIC T LYMHOCYTE” কোষ গুলী রক্তের মধ্যদিয়ে অনবরত হন্যে হয়ে খুজে বেড়াচ্ছে, যে আমাদের শরীর এর কোন একটি কোষ ও কোথাও জীবানু, ভাইরাছ বা ক্যানসার দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ল কি না।
যদি কখনো কোথাও তারা এভাবে আক্রান্ত কোষ পেয়ে যায়, তখন তারা তৎক্ষনাৎ সেই কোষটির উপর GRANZYME-B বা CYTOKINE নামক এক ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, শত্রু সহ সেই আক্রান্ত কোষটিকে মেরে ফেলে।
এরপরে এই বিভাগের পরিচ্ছন্ন কারী কোষ গুলী আসিয়া এই কোষের মৃত দেহ খানা, যার মধ্যে মৃত শত্রু কোষ ও থাকে, তা সহ পরিস্কার করিয়া ফেলে।
এখন কথা হল, এই সৈনিক কোষ “CD-8 CYTOTOXIC T LYMHOCYTE” কোষ গুলী শুধু কোষের বহিরাবারণ দেখে নিশ্চিত ভাবে চিনবে কী করে যে, এই কোষটির অভ্যন্তর ভাগে শত্রু ঢুকে পড়েছে?
জী,হাঁ, এভাবে শত্রু আক্রান্ত কোষকে নিশ্চিত ভাবে চিনিয়ে দেওয়ার জন্যই এই MCH-1 কে সৃষ্টি করা হয়েছে।
নীচে চিত্র-১ এ এর আকৃতি দেখুন।
চিত্র-১, MHC-1. লক্ষ্য করুন এর উপরে একটি GROOVE বা খাজ রয়েছে, যার মধ্যে কোষের অভ্যন্তরে উৎপাদিত প্রোটীন ধরে লয়ে আসে।
(2)
নীচে চিত্র-৩ দেখুন। কোষ অনবরত, তার অভ্যন্তরে তার নিজ দেহের প্রোটীন উৎপাদন করিয়া MHC-1 এর খাঁজ এর মধ্যে ঢুকিয়ে কোষ প্রাচীরের আবরণের উপর খাড়া করিয়া রাখে।
এটা তার ল্যাবেল, এটা শরীর এর নিজস্ব কোষ হওয়ার নিশ্চিত পরিচয় পত্র।
শরীরের সৈনিক কোষ “CD-8 CYTOTOXIC T LYMHOCYTE” কোষ গুলী, সাধারণ কোষ গুলীর উপর এরুপ ল্যাবেল লাগানো দেখলে, আর তখন তাকে আক্রমন করা হতে বিরত হয়ে যায়।
কারণ, সে-তো শরীর এর নিজস্ব কোষ। তাকে কেন মারবে?
এটা যেন ঠিক এরুপ, যেমন ধরা যাক, কোন একটা সময়ে আমেরিকার সংগে জাপান এর যুদ্ধ চলছে। আর আমেরিকান বোম্বার প্লেন গুলী আটলান্টিক মহাসাগরে তাদের নিজস্ব যুদ্ধ জাহাজ গুলীকে জাহাজের উপরে লাগানো নিজস্ব কোড নং দেখিয়া সনাক্ত করিয়া তার উপর বোম্ব আক্রমন হতে বিরত থাকল।
নীচে চিত্র-২ দেখুন।
চিত্র-২ এটা একটি সুস্থ কোষ। কোষ প্রাচীরের উপর MHC-1. এই কোষ MHC-1 এর মাধ্যমে তার নিজস্ব প্রোটীন (সবুজ রংএর) , MHC-1 এর খাজের ভিতর ধরে ধরে রেখে, শরীর এর সৈনিক কোষ CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE কে জানিয়ে দেয়, যে আমি শরীর এর নিজস্ব্ কোষ, আমার রাজ্যের অভ্যন্তরে কোন শত্রু নাই, আমি শুস্থ আছি, আমাকে হত্যা করনা।
(3)
এবার যদি এই সুস্থ কোষে কোন ভাইরাছ ঢুকে যায়, তখন সেই ভাইরাছ, কোষের ডিএনএ ও প্রোটীন উৎপাদক মেসিনারীজ দখল করে লয়ে তার নিজস্ব প্রোটীন ঊৎপাদন করতে থাকে, তখন MHC-1 সেই VIRUS প্রোটীন অভ্যন্তর হতে ধরে এনে একই ভাবে কোষের বহি আবরণের উপর ধরে রাখে।
এবার শরীর এর সৈনিক কোষ “CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE” এটাকে তার RECEPTOR তারা পরীক্ষা করিয়া এই কোষটিকে বহিশত্রু আক্রান্ত কোষ হিসাবে অতি সহজে চিনে ফেলতে সক্ষম হয়ে যায়।
তখন কোষটির ভাষা যেন এরুপ হয়, আমি ভয়ংকর শত্রু দ্বারা আক্রান্ত। আমাকে শত্রু সহ এখনি মেরে ফেল, নইলে এরা আমাকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে শরীরের সমগ্র কোষে বিস্তার লাভ করে আক্রান্ত করবে, ও সমগ্র কোষকেই তথা মানব প্রানীটিকেই মেরে ফেলবে।
তখন সৈনিক কোষ “CD 8 CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE” এই কোষটাকে লক্ষ্য করে সংগে সংগে তার দিকে রাসায়নিক অস্ত্র নিক্ষেপ করে হত্যা করে ফেলে।
এটা এরুপ যেন আক্রান্ত কোষটি অন্য সুস্থ কোষ সমূহ তথা মানব প্রাণীটাকে বাচাবার জন্য নিজেকেই নিজে হত্যা করিয়ে দিল।
অবাক হচ্ছেন?
অবাক হওয়ার কিছুই নাই। ঠিক এই কাজটিই বর্তমানে চিকিৎসক গন ও করে থাকেন।
তবে সেটা বড় আকারে।
যেমন ধরুন কারো পায়ের নীচের পাতায় আঙ্গুলে একটি বিশেষ মারাত্মক ধরনের নিরাময়ের অযোগ্য ধরনের পচন ক্রিয়া আরম্ভ হইল।
তখন চিকিৎসক সেই পচন ক্রিয়া যাতে শরীরের বাকী উপরের অংশকে আক্রান্ত না করতে পারে, সেজন্য নীচের আঙ্গুলীটাকে কেটে বাদ দিয়ে চিকিৎসা করে।
এরুপ ভাবে কোথাও প্রথম ক্যানছার টিউমার ধরা পড়লেও সেখানেও কেটে বাদ দেওয়া হয়, যদি ইতিমধ্যে অন্যত্র ছড়িয়ে না থাকে।
অতএব MHC-1 ও ঠিক একই কাজ করে, তবে সে করে অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষ লেভেলে, একেবারে রোগের অঙ্কুরোদ্গমে। এটুকুই পার্থক্য।
অতএব এই প্রতিরক্ষা কোষ গুলী ও এই প্রতিরক্ষা NET WORK অমূল্য সম্পদ। দেখতেই পাচ্ছেন এরা আমাদের শরীরে বড় বড় রোগ ভিত্তি গাড়বার আগেই অঙ্কুরেই প্রতিহত করে দেয়।
নীচের চিত্র ৩ দেখুন।
চিত্র- ৩,
এটা একটা ভাইরাছ আক্রান্ত অসুস্থ কোষ। এর বহিরাবারনের উপর MHC-1 এর খাজে লাল রংএর যে প্রোটীন দেখা যাচ্ছে, ধরা যাক ওটা ভাইরাছ এর প্রোটীন। এই কোষকে সৈনিক কোষ “CD 8 CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE” বহিশত্রু আক্রান্ত কোষ হিসাবে চিনে ফেলবে ও সংগে সংগে তার দিকে রাসায়নিক অস্ত্র নিক্ষেপ করে হত্যা করে ফেলবে।
(3)
DNA এর সংগে সম্পর্ক।
ALPHA PROTEIN গুলী CHROMOSOME NO, 6 (4A)ও BETA MICROGLOBULIN টা CHROMOSOME NO 10 এর DNA তে অবস্থিত। DNA কোষের অভ্যন্তরে RIBOSOME এর নিকট mRNA এর মাধ্যমে কোড পাঠিয়ে উৎপাদন করায়।
MHC এর জ্বীন গুলী HLA(HUMAN LEUCOCYTE ANTIGEN)GENE FAMILY এর অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়।(4B)
CHROMOSOME সম্পর্কে জানতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।
শরীরে অর্গান TRANSPLANT এর ঊপর MHC-1 এর কোন প্রভাব কী আছে?
জী,হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। আপনারা উপরে লক্ষ্য করেছেন MHC-1 তার খাজের মধ্যে সেই প্রোটীন ই ধরে রাখে যা তার অভ্যন্তরে উৎপাদিত হচ্ছে। অতএব TRANPLANTED অর্গানটির কোষ গুলীর MHC-1 সেই অর্গানের কোষেরই উৎপাদিত প্রোটীন তার খাজের মধ্যে এনে কোষ প্রাচীর এর বাইরে ধরে রাখবে, যা শরীর বহির্ভূত প্রোটীন বস্তু, বা DONOR এর শরীর এর প্রোটীন।
অতএব সৈনিক কোষ “ CD-8 CYTOTOXIC T LYMHOCYTE” কোষ গুলী TRANSPLANTED অর্গানটির কোষ গুলীকে, শরীর বহির্ভূত কোষ হিসাবে চিহ্নিত করে ফেলবে ও আক্রমণ করবে।
এই কারণে, DONOR ও RECIPIENT এর CHROMOSOME খুব নিকটবর্তী না হইলে TRANSPLANTED অর্গানটি RECIPIENT এর শরীর REJECT করে দেয়।
CD 8 CYTOTOXIC T সৈনিক কোষ কী? আর এরা কী ভাবেই বা কোষের উপরে অবস্থিত MHC-1 কে চিনতে পারে?
জী,হ্যাঁ, এটা বুঝতে গেলে, আগে বুঝতে হবে কোষ এর RECEPTOR কী? কোষের RECEPTOR বুঝার জন্য ১৬ ও ১৮ পর্ব আগে পড়ে নিন।
নীচের চিত্র- ৪ লক্ষ্য করুন। এখানে উপরে নীচে ২টি কোষ আছে। এর নীচের কোষটি (হালকা লাল রং এর) একটি CD-8 CYTOTOXIC T কোষ। এটা রক্তের একটা শ্বেত কনিকা লিম্ফোছাইট কোষ। এর একটা CO-RECEPTOR আছে, যার নাম CD 8 বা(CLUSTER DIFFERENTIATION-8)। CO RECEPTOR এর কাজ হল RECEPTOR কে সাহায্য করা।
লক্ষ্য করুন, এই কোষটির RECEPTOR ও রয়েছে, যাকে বলা হয় T CELL RECEPTOR বা TCR.
এবার লক্ষ্য করুন উপরের কোষটিকে (গোলাপী রং এর)। এটা একটি ভাইরাছ আক্রান্ত সাধারন কোষ। ভাইরাছ এই কোষটির আভ্যন্তরীন যন্ত্রপাতি দখল করে লয়ে, ভাইরাল প্রোটীন (PEPTIDE) উৎপাদন করতেছে।
এবার MHC-1, এই ভাইরাল প্রোটীন (সবুজ রংএর)কোষ প্রাচীর এর বাহিরে এনে তুলে ধরতেছে।
এদিকে রক্তের সৈনিক কোষ “CD-8 CYTOTOXIC T CELL” এর চলার পথে এই আক্রান্ত কোষটির সাক্ষাৎ হয়ে গেল। তখন এই সৈনিক কোষের CO RECEPTOR CD 8 আগে, আক্রান্ত কোষের MHC-1 এর VIRAL প্রোটীনকে ধরে চেক করে, রিপোর্টটি সৈনিক কোষের অভ্যন্তরে পাঠিয়ে দিবে।
তখন সৈনিক কোষটির RECEPTOR (TCR), তার খাঁজের মধ্যে, আক্রান্ত কোষের MHC-1 এ অবস্থিত ভাইরাল প্রোটীনকে শক্ত করে আটকিয়ে ফেলবে। এখানে জোর করে আটকানোর কাজে CD-8 CO RECEPTOR ও পাশে থেকে RECEPTOR কে সহযোগিতা করবে।
এ ভাবে আটকিয়ে, CD8 CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE তার RECEPTOR এর মাধ্যমে প্রোটীনটির তথ্য সংগ্রহ করে যখন নিশ্চিত হয়ে যাবে যে এটা একটা FOREIGN বা VIRAL প্রোটীন।
তখন সৈনিক T LYMPHOCYTE কোষটি নিশ্চিত হয়ে যাবে যে এই কোষটিকে ভাইরাছে আক্রমন করিয়াছে।
তখন সৈনিক কোষটি রাসায়নিক অস্ত্র (GRANZYME-B বা CYTOKINE) নিক্ষেপ করে আক্রান্ত কোষটিকে মেরে ফেলবে।
ঠিক একই রকমের ঘটনা ঘটবে যদি কোষটি কোন জীবানু বা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়।
RECEPTOR গুলী এভাবেই এদের খাঁজের মধ্যে কোন বহিবস্তুকে আটকিয়ে ধরে, কোষের অভ্যন্তরে খবর পাঠিয়ে কোষটির দ্বারা সঠিক কাজ কাম চালায়।
মনে রাখতে হবে অসংখ্য সৈনিক কোষ রয়েছে, এবং প্রত্যেকের উপর অসংখ্য CD8 CO-RECEPTOR ও RECEPTOR রয়েছে। আবার প্রত্যেক কোষের উপর অসংখ্য MCH-1 ও রয়েছে।
আর সবচাইতে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল এর প্রতিটি RECEPTOR ও প্রতিটি MHC-1 অদ্বিতীয়। একটার খাজের সংগে আর একটার খাজের কখনোই মিল হইবেনা।
আর এগুলী CHROMOSOME এর DNA তৈরী ও নিয়ন্ত্রন করে।
CD-8 CO RECEPTOR ও TCR (T CELL RECEPTOR) ২নং CHROMOSOME এর DNA করায়।(6)
চিত্র-৪
একটা CD 8 T CELL একটা ভাইরাছ আক্রান্ত কোষকে রাসায়নিক অস্ত্র নিক্ষেপ করে হত্যা করতেছে।
কোষ কী ভাবে MHC-1 উৎপাদন করে ও কোষ প্রাচীরের উপরে আনে?
জী,হ্যাঁ, এটা বুঝতে গেলে কোষ সম্পর্কে আগে বুঝতে হবে। কোষ এর কার্যাবলী বুঝার জন্য আগে ১৬ ও ১৮ তম পর্বটা পড়ে নিন ও নীচের ভিডিও গুলী দেখুন।
VIDEO তে অত্যন্ত পরিস্কার ভাবে বর্নণা করা হয়েছে।
এখানে এটা বিস্তারিত বর্নণা করতে গেলে পর্বটি অনেক বৃহৎ ও জটিল হয়ে যাবে। তবে সংক্ষেপে কিছুটা বলি।
নীচে চিত্র-৫ লক্ষ্য করুন।
১) কোষের অভ্যন্তরে CYTOPLASM এ অনবরত প্রোটীন উৎপাদিত হচ্ছে।
২) PROTEASOME নামক একটি অতি ক্ষুদ্র অর্গান বড় বড় প্রোটীন কে ভেঙ্গে ছোট আকারের (15 AMINOACID LEGTH) PEPTIDE এ পরিণত করে দেয়।(চিত্র-৬ দেখুন)
৩) এবার এই প্রোটীন TAP1 ও TAP2 নামক দুইটি বিশেষ প্রোটীন যাকে TAP TRANSPORTER বলে, এর দরজা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে ROUGH ENDOPLASMIC RETCULUM বা ER(চিত্র-৭)এর মধ্যে ঢুকানো হয়। এখানে আসার পর ER এর একটা এনজাইম এটাকে আরো একবার ভেঙ্গে ১০ এমিনো এসিড পর্যন্ত ক্ষুদ্র করে দেয়।
এর দ্বারা এটা বুঝা যাচ্ছে যে RIBOSOME যেমন একটী প্রোটীন উৎপাদনের কারখানা, সেখানে ROUGH ENDOPLASMIC RETCULUM বা ER হল একটি MACHINERY PARTS এর ASSEMBLY করার কারখানা।
এটাকে এপর্যন্ত এখানে রেখে দিয়ে এবার অন্য জায়গায় আসুন।
৪) এদিকে DNA এর প্রেরিত mRNA এর কোড অনুসারে RIBOSOME, MHC1 এর ৩টি ALPHA PROTEIN ও ১টা BETA MICROGLOBULIN উৎপাদন করে ROUGH ENDOPLASMIC RETCULUM (ER) এর মধ্যে সঠিক ভাবে সাজিয়ে দেওয়ার জন্য বা ASSEMBLY করানোর জন্য পাঠিয়ে দেয়।
৫)এবার ER MHC1 কে সাজিয়ে (ASSEMBLY)করে ফেলে। তাকে এখানে সহযোগিতা করে আরো কতকগুলো প্রোটীন। এই সমস্ত প্রোটীন গুলী হল যেমন, CULNEXIN, CALRETICULIN, ERP57 ও TAPASIN.
৬) এবার উপরে ৩ নং এ চলে যান। ওখানে CELL CYTOPLASM হতে যে প্রোটীন এনে ভেঙ্গে রাখা হয়েছে, সেই প্রোটীন কনা MHC 1 এর ALPHA PROTEIN এর খাজের মধ্যে ধরা হয়।
মনে রাখতে হবে MHC 1 এর ALPHA PROTEIN এর এই খাজ অদ্বিতীয়। এটাকে তৈরী করা হয় একটি মাত্র বিশেষ প্রোটীনকে ধরতে ও বহন করার জন্য।
তাকে যেটাই দেওয়া হবে সেইটাই সে গ্রহন করবেনা। এখানে অনেক প্রোটীনকে তার চাহিদা অনুসারে, মিল না হওয়ায় গ্রহন করতে অস্বীকার করবে।
এর মধ্যে একমাত্র সেই প্রোটীনটাকেই সে গ্রহন করতে সক্ষম হবে, যে প্রোটীনটার সংগে মিল রেখে তার খাজটি তৈরী করা হয়েছে।
এটা এরুপ যেমন নির্দিষ্ট তালাটিতে ঢুকাবার জন্য নির্দিষ্ট চাবি করে দেওয়া হয়।
এতবড় সূক্ষ্ম ভাবে সমন্বীত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটা অত্যন্ত দক্ষ্য কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক শক্তি থাকার অবশ্যই প্রয়োজন।
তাহলে সেই কেন্দ্রটা কী?
উত্তর- সেই কেন্দ্র হল DNA. DNA একদিকে জায়গামত তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখে, আবার অন্যদিকে সেই তালাটি খোলার চাবি তৈরী করে সঠিক ব্যক্তিটির হাতেই তুলে দেয়। অন্য কারো হাতে দেয়না। (পর্ব ১৬ ও ১৮ দেখুন)
এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে সব কিছু অচল হয়ে যেত। আমরা মুহূর্তেই অসুস্থ হয়ে মারা যেতাম।
৭)MHC1 এর খাজ এর মধ্যে আকাংখিত প্রোটীনটা স্থাপিত হয়ে গেলে TRANSPORT ASSOCIATED PROTEIN (TAP1.TAP2) এর মাধ্যমে ROUGH ENDOPLASMIC RETICULUM (RE)এর মধ্য হতে GOLGI এর মধ্য দিয়ে CYTOPLASM এর মধ্যে, তারপর ENDOSOME এর মধ্য দিয়ে, EXOCYTOSIS পদ্ধতিতে, কোসের বহিরাবারনে এসে প্রোটীনটার ল্যাবেল বা পরিচিতি ধরে দাড়িয়ে যায়।
৮) এর পরবর্তী ঘটনা ইতিমধ্যে উপরে জেনেছেন। এখন দুইটার একটা ঘটনা ঘটবে।
ক) যদি MHC 1 কোষের নিজস্ব প্রোটীন ধরে রাখে, তাহলে নিরাপদে থাকবে। কেহ তাকে আক্রমন করে মেরে ফেলবেনা।
খ) আর যদি MHC1 কোষের অভ্যন্তর হতে ভাইরাছ বা ক্যানছার প্রোটীন বহন করে এনে থাকে, তাহলে CD8 CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE কোষ, এই কোষটিকে রাসায়নিক অস্ত্র GRANZYME B বা CYTOKINE নিক্ষেপ করে মেরে ফেলবে।
এভাবে MHC 1 অনবরত আমাদের শরীরে তার জটীল প্রক্রীয়ার মাধ্যমে রোগ জীবানু, ভাইরাছ ও ক্যানছার শিকড় গাড়ার আগেই অঙ্কুরে ধংশ করে দিচ্ছে।
নচেৎ আমরা কবেই ভাইরাছ বা ক্যানছারে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতাম!!
অতএব আমাদের সুস্থভাবে বেচে থাকার জন্য আমাদের এই IMMUNITY শক্তিকে শক্তিমান রেখে ধরে রাখার একান্ত প্রয়োজন।
কী ভাবে IMMUNITY কে সমুন্নত ভাবে ধরে রাখা যায়, তা পরে কোন একটি পর্বে বলব।
ততক্ষন ধৈর্য্য সহকারে সংগে থাকুন।
MHC 1 যে ভাবে উৎপাদিত হয়।
চিত্র-৫
যে ভাবে MHC-1 কোষের অভ্যন্তর হতে প্রোটীন ধরে লয়ে কোষ প্রাচীর এর উপর আসে।
(7)
কোষের CYTOPLASM এ PROTEASOME যে ভাবে পোটীন ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছোট করে।
চিত্র-৬,
PROTEASOME নামক এই ক্ষুদ্র অর্গানটি কোষের অভ্যন্তরে CYTOPLASM এ প্রোটীন এর বড় বড় চেইন, এর মধ্যে ঢুকিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছোট PEPTIDE (UPTO 15 AMINOACID LEGTH)করে দেয়.
চিত্র- ROUGH ENDOPLASMIC RETICULUM (ER)
চিত্র-৭
ROUGH ENDOPLASMIC RETICULUM (RE)
এখানে MHC-1 এর ASSEMBLY করা হয়। এই ক্ষুদ্র অর্গান টি কোষের CYTOPLASM এ থাকে।
(8)
কী ভাবে কোষ MHC-1 উৎপাদন করে সে সম্পর্কিত VIDEO এখানে দেখুন-
HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৫ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1.NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
3.. MHC 1
http://en.wikipedia.org/wiki/Major_histocompatibility_complex#mediaviewer/File:MHC_expression.svg
4.A. MCH-1
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/HLA-A
4.B HLA
http://ghr.nlm.nih.gov/geneFamily/hla
MHC CLASS-1 কী? DNA এর সম্পর্ক। ৪৫ (৫) তম পর্ব।
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিক কোষ বাহিনী শরীরকে প্রতিরক্ষা করার জন্য অনবরত অজস্র প্রকারের কলা কৌশল প্রয়োগ করে যাচ্ছে। মূলতঃ এতদ-সমস্ত জটিল কলাকৌশল টি DNA তার নির্দিষ্ট জ্বীন এর কোড দ্বারা বিশেষ বিশেষ প্রোটীন উৎপাদন করে করিয়ে থাকে।
DNA ও তার জ্বীন সম্পর্কে জানতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।
আজ বর্ণনা করতে চাচ্ছি “MHC CLASS-1” নামক একটি প্রোটীন যৌগ COMPLEX কী ভাবে অনবরত শরীর এর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
MHC এর পূর্ণ অর্থ “MAJOR HISTOCOMPATIBILITY COMPLEX”.
অর্থাৎ কোন টিসু বা কোষ শরীরের অভ্যন্তরে থাকবার যোগ্য কিনা তা লক্ষ্য করার প্রধান দায়িত্ব এই প্রোটীন যৌগটির। HISTO অর্থ টিসু বা কোষ।
এই প্রোটীন যৌগটি কী ভাবে সেই দায়িত্বটা পলন করে, তা এখনই জানতে চলেছেন।
MHC (major histocompatibility complex) প্রোটীন যৌগ ৩ প্রকারের-1) MHC CLASS- 1. 2) MHC CLASS- 2. 3) MHC CLASS-3.
এখানে শুধু MHC CLASS-1 সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে।
MHC CLASS 2 ও 3 এর আলোচনা পরে করা হবে।
আসুন তাহলে-
কী এই MHC CLASS 1 প্রোটীন?
কোথায় কী ভাবে উৎপাদন হয়?
কোথায় এটা অবস্থান করে?
আর কী-ই বা এর কাজ?
জী, হ্যাঁ, তাহলে আসুন এ সব বিষয়ে এক এক করে পর্যালোচনা করে দেখা যাক।
নীচে চিত্রে-১ এ এই যৌগ টির আকৃতি দেখুন।
এই যৌগটি আমাদের শরীরের প্রতিটা নিউক্লীয়াছ যুক্ত কোষের প্রাচীরের বাহিরে সর্বত্র ঝান্ডা ধরিয়া দাড়িয়ে আছে। তবে যেহেতু একমাত্র রক্তের লোহিত কনিকায় কোন নিউক্লীয়াছ থাকেনা, তাই এরাও শুধুমাত্র লোহিত কনিকায় থাকেনা।
এর দন্ডটি কোষ প্রাচীরের ভিতর দিয়ে খুটির মত গাঁড়া থাকে, আর মূল কার্যকরী অংশটা উপরে থেকে কাজ করে। এই অংশগুলীকে DOMAINS বলে। ওখানে ৪টা DOMAINS আছে।
লক্ষ্য করুন, এটা ৪টা DOMAIN প্রোটীন দ্বারা গঠিত- যেমন 1) ALPHA 1. 2)ALPHA 2. 3) ALPHA 3. 4) BETA MICROGLOBULIN.
এগুলী সবই ই প্রোটীন যৌগ। যেসব প্রোটীন পেচানো আকৃতিতে গঠিত হয়, তাকে ALPHA প্রোটীন ও যারা ফ্লাট আকারে গঠিত হয় তাদেরকে BETA প্রোটীন বলা হয়।
যে সব প্রোটীন লম্বা PEPTIDE দ্বারা গঠিত হয় তাকে HEAVY CHAIN PROTEIN বলে। আর যে সব প্রোটীন SHORT PEPTIDE CHAIN দ্বারা গঠিত হয়, তাদেরকে LIGHT CHAIN PROTEIN বলা হয়।
এখানে ALPHA প্রোটীন ৩টি HEAVY CHAIN প্রোটীন ও BETA MICROGLOBULIN প্রোটীনটি LIGHT CHAIN প্রোটীন দ্বারা গঠিত।
এই BETA MICROGLOBULIN টি MHC 1 কে, কোষের অভ্যন্তরে তৈরী হওয়ার পর কোষ প্রাচীরের বাহিরে ঠেলে বের করে এনে জায়গা মত বসিয়ে দেয়।
লক্ষ্য করুন, ALPHA 1. ও ALPHA 2 এর মধ্যখানে একটা খাজ (GROOVE) রয়েছে।
কেন এই খাজ টি রয়েছে?
উত্তর-
আমাদের শরীরের সৈনিক কোষ “CD-8 CYTOTOXIC T LYMHOCYTE” কোষ গুলী রক্তের মধ্যদিয়ে অনবরত হন্যে হয়ে খুজে বেড়াচ্ছে, যে আমাদের শরীর এর কোন একটি কোষ ও কোথাও জীবানু, ভাইরাছ বা ক্যানসার দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ল কি না।
যদি কখনো কোথাও তারা এভাবে আক্রান্ত কোষ পেয়ে যায়, তখন তারা তৎক্ষনাৎ সেই কোষটির উপর GRANZYME-B বা CYTOKINE নামক এক ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, শত্রু সহ সেই আক্রান্ত কোষটিকে মেরে ফেলে।
এরপরে এই বিভাগের পরিচ্ছন্ন কারী কোষ গুলী আসিয়া এই কোষের মৃত দেহ খানা, যার মধ্যে মৃত শত্রু কোষ ও থাকে, তা সহ পরিস্কার করিয়া ফেলে।
এখন কথা হল, এই সৈনিক কোষ “CD-8 CYTOTOXIC T LYMHOCYTE” কোষ গুলী শুধু কোষের বহিরাবারণ দেখে নিশ্চিত ভাবে চিনবে কী করে যে, এই কোষটির অভ্যন্তর ভাগে শত্রু ঢুকে পড়েছে?
জী,হাঁ, এভাবে শত্রু আক্রান্ত কোষকে নিশ্চিত ভাবে চিনিয়ে দেওয়ার জন্যই এই MCH-1 কে সৃষ্টি করা হয়েছে।
নীচে চিত্র-১ এ এর আকৃতি দেখুন।
চিত্র-১, MHC-1. লক্ষ্য করুন এর উপরে একটি GROOVE বা খাজ রয়েছে, যার মধ্যে কোষের অভ্যন্তরে উৎপাদিত প্রোটীন ধরে লয়ে আসে।
(2)
নীচে চিত্র-৩ দেখুন। কোষ অনবরত, তার অভ্যন্তরে তার নিজ দেহের প্রোটীন উৎপাদন করিয়া MHC-1 এর খাঁজ এর মধ্যে ঢুকিয়ে কোষ প্রাচীরের আবরণের উপর খাড়া করিয়া রাখে।
এটা তার ল্যাবেল, এটা শরীর এর নিজস্ব কোষ হওয়ার নিশ্চিত পরিচয় পত্র।
শরীরের সৈনিক কোষ “CD-8 CYTOTOXIC T LYMHOCYTE” কোষ গুলী, সাধারণ কোষ গুলীর উপর এরুপ ল্যাবেল লাগানো দেখলে, আর তখন তাকে আক্রমন করা হতে বিরত হয়ে যায়।
কারণ, সে-তো শরীর এর নিজস্ব কোষ। তাকে কেন মারবে?
এটা যেন ঠিক এরুপ, যেমন ধরা যাক, কোন একটা সময়ে আমেরিকার সংগে জাপান এর যুদ্ধ চলছে। আর আমেরিকান বোম্বার প্লেন গুলী আটলান্টিক মহাসাগরে তাদের নিজস্ব যুদ্ধ জাহাজ গুলীকে জাহাজের উপরে লাগানো নিজস্ব কোড নং দেখিয়া সনাক্ত করিয়া তার উপর বোম্ব আক্রমন হতে বিরত থাকল।
নীচে চিত্র-২ দেখুন।
চিত্র-২ এটা একটি সুস্থ কোষ। কোষ প্রাচীরের উপর MHC-1. এই কোষ MHC-1 এর মাধ্যমে তার নিজস্ব প্রোটীন (সবুজ রংএর) , MHC-1 এর খাজের ভিতর ধরে ধরে রেখে, শরীর এর সৈনিক কোষ CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE কে জানিয়ে দেয়, যে আমি শরীর এর নিজস্ব্ কোষ, আমার রাজ্যের অভ্যন্তরে কোন শত্রু নাই, আমি শুস্থ আছি, আমাকে হত্যা করনা।
(3)
এবার যদি এই সুস্থ কোষে কোন ভাইরাছ ঢুকে যায়, তখন সেই ভাইরাছ, কোষের ডিএনএ ও প্রোটীন উৎপাদক মেসিনারীজ দখল করে লয়ে তার নিজস্ব প্রোটীন ঊৎপাদন করতে থাকে, তখন MHC-1 সেই VIRUS প্রোটীন অভ্যন্তর হতে ধরে এনে একই ভাবে কোষের বহি আবরণের উপর ধরে রাখে।
এবার শরীর এর সৈনিক কোষ “CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE” এটাকে তার RECEPTOR তারা পরীক্ষা করিয়া এই কোষটিকে বহিশত্রু আক্রান্ত কোষ হিসাবে অতি সহজে চিনে ফেলতে সক্ষম হয়ে যায়।
তখন কোষটির ভাষা যেন এরুপ হয়, আমি ভয়ংকর শত্রু দ্বারা আক্রান্ত। আমাকে শত্রু সহ এখনি মেরে ফেল, নইলে এরা আমাকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে শরীরের সমগ্র কোষে বিস্তার লাভ করে আক্রান্ত করবে, ও সমগ্র কোষকেই তথা মানব প্রানীটিকেই মেরে ফেলবে।
তখন সৈনিক কোষ “CD 8 CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE” এই কোষটাকে লক্ষ্য করে সংগে সংগে তার দিকে রাসায়নিক অস্ত্র নিক্ষেপ করে হত্যা করে ফেলে।
এটা এরুপ যেন আক্রান্ত কোষটি অন্য সুস্থ কোষ সমূহ তথা মানব প্রাণীটাকে বাচাবার জন্য নিজেকেই নিজে হত্যা করিয়ে দিল।
অবাক হচ্ছেন?
অবাক হওয়ার কিছুই নাই। ঠিক এই কাজটিই বর্তমানে চিকিৎসক গন ও করে থাকেন।
তবে সেটা বড় আকারে।
যেমন ধরুন কারো পায়ের নীচের পাতায় আঙ্গুলে একটি বিশেষ মারাত্মক ধরনের নিরাময়ের অযোগ্য ধরনের পচন ক্রিয়া আরম্ভ হইল।
তখন চিকিৎসক সেই পচন ক্রিয়া যাতে শরীরের বাকী উপরের অংশকে আক্রান্ত না করতে পারে, সেজন্য নীচের আঙ্গুলীটাকে কেটে বাদ দিয়ে চিকিৎসা করে।
এরুপ ভাবে কোথাও প্রথম ক্যানছার টিউমার ধরা পড়লেও সেখানেও কেটে বাদ দেওয়া হয়, যদি ইতিমধ্যে অন্যত্র ছড়িয়ে না থাকে।
অতএব MHC-1 ও ঠিক একই কাজ করে, তবে সে করে অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষ লেভেলে, একেবারে রোগের অঙ্কুরোদ্গমে। এটুকুই পার্থক্য।
অতএব এই প্রতিরক্ষা কোষ গুলী ও এই প্রতিরক্ষা NET WORK অমূল্য সম্পদ। দেখতেই পাচ্ছেন এরা আমাদের শরীরে বড় বড় রোগ ভিত্তি গাড়বার আগেই অঙ্কুরেই প্রতিহত করে দেয়।
নীচের চিত্র ৩ দেখুন।
চিত্র- ৩,
এটা একটা ভাইরাছ আক্রান্ত অসুস্থ কোষ। এর বহিরাবারনের উপর MHC-1 এর খাজে লাল রংএর যে প্রোটীন দেখা যাচ্ছে, ধরা যাক ওটা ভাইরাছ এর প্রোটীন। এই কোষকে সৈনিক কোষ “CD 8 CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE” বহিশত্রু আক্রান্ত কোষ হিসাবে চিনে ফেলবে ও সংগে সংগে তার দিকে রাসায়নিক অস্ত্র নিক্ষেপ করে হত্যা করে ফেলবে।
(3)
DNA এর সংগে সম্পর্ক।
ALPHA PROTEIN গুলী CHROMOSOME NO, 6 (4A)ও BETA MICROGLOBULIN টা CHROMOSOME NO 10 এর DNA তে অবস্থিত। DNA কোষের অভ্যন্তরে RIBOSOME এর নিকট mRNA এর মাধ্যমে কোড পাঠিয়ে উৎপাদন করায়।
MHC এর জ্বীন গুলী HLA(HUMAN LEUCOCYTE ANTIGEN)GENE FAMILY এর অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়।(4B)
CHROMOSOME সম্পর্কে জানতে ৯-১২ পর্ব পড়ুন।
শরীরে অর্গান TRANSPLANT এর ঊপর MHC-1 এর কোন প্রভাব কী আছে?
জী,হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। আপনারা উপরে লক্ষ্য করেছেন MHC-1 তার খাজের মধ্যে সেই প্রোটীন ই ধরে রাখে যা তার অভ্যন্তরে উৎপাদিত হচ্ছে। অতএব TRANPLANTED অর্গানটির কোষ গুলীর MHC-1 সেই অর্গানের কোষেরই উৎপাদিত প্রোটীন তার খাজের মধ্যে এনে কোষ প্রাচীর এর বাইরে ধরে রাখবে, যা শরীর বহির্ভূত প্রোটীন বস্তু, বা DONOR এর শরীর এর প্রোটীন।
অতএব সৈনিক কোষ “ CD-8 CYTOTOXIC T LYMHOCYTE” কোষ গুলী TRANSPLANTED অর্গানটির কোষ গুলীকে, শরীর বহির্ভূত কোষ হিসাবে চিহ্নিত করে ফেলবে ও আক্রমণ করবে।
এই কারণে, DONOR ও RECIPIENT এর CHROMOSOME খুব নিকটবর্তী না হইলে TRANSPLANTED অর্গানটি RECIPIENT এর শরীর REJECT করে দেয়।
CD 8 CYTOTOXIC T সৈনিক কোষ কী? আর এরা কী ভাবেই বা কোষের উপরে অবস্থিত MHC-1 কে চিনতে পারে?
জী,হ্যাঁ, এটা বুঝতে গেলে, আগে বুঝতে হবে কোষ এর RECEPTOR কী? কোষের RECEPTOR বুঝার জন্য ১৬ ও ১৮ পর্ব আগে পড়ে নিন।
নীচের চিত্র- ৪ লক্ষ্য করুন। এখানে উপরে নীচে ২টি কোষ আছে। এর নীচের কোষটি (হালকা লাল রং এর) একটি CD-8 CYTOTOXIC T কোষ। এটা রক্তের একটা শ্বেত কনিকা লিম্ফোছাইট কোষ। এর একটা CO-RECEPTOR আছে, যার নাম CD 8 বা(CLUSTER DIFFERENTIATION-8)। CO RECEPTOR এর কাজ হল RECEPTOR কে সাহায্য করা।
লক্ষ্য করুন, এই কোষটির RECEPTOR ও রয়েছে, যাকে বলা হয় T CELL RECEPTOR বা TCR.
এবার লক্ষ্য করুন উপরের কোষটিকে (গোলাপী রং এর)। এটা একটি ভাইরাছ আক্রান্ত সাধারন কোষ। ভাইরাছ এই কোষটির আভ্যন্তরীন যন্ত্রপাতি দখল করে লয়ে, ভাইরাল প্রোটীন (PEPTIDE) উৎপাদন করতেছে।
এবার MHC-1, এই ভাইরাল প্রোটীন (সবুজ রংএর)কোষ প্রাচীর এর বাহিরে এনে তুলে ধরতেছে।
এদিকে রক্তের সৈনিক কোষ “CD-8 CYTOTOXIC T CELL” এর চলার পথে এই আক্রান্ত কোষটির সাক্ষাৎ হয়ে গেল। তখন এই সৈনিক কোষের CO RECEPTOR CD 8 আগে, আক্রান্ত কোষের MHC-1 এর VIRAL প্রোটীনকে ধরে চেক করে, রিপোর্টটি সৈনিক কোষের অভ্যন্তরে পাঠিয়ে দিবে।
তখন সৈনিক কোষটির RECEPTOR (TCR), তার খাঁজের মধ্যে, আক্রান্ত কোষের MHC-1 এ অবস্থিত ভাইরাল প্রোটীনকে শক্ত করে আটকিয়ে ফেলবে। এখানে জোর করে আটকানোর কাজে CD-8 CO RECEPTOR ও পাশে থেকে RECEPTOR কে সহযোগিতা করবে।
এ ভাবে আটকিয়ে, CD8 CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE তার RECEPTOR এর মাধ্যমে প্রোটীনটির তথ্য সংগ্রহ করে যখন নিশ্চিত হয়ে যাবে যে এটা একটা FOREIGN বা VIRAL প্রোটীন।
তখন সৈনিক T LYMPHOCYTE কোষটি নিশ্চিত হয়ে যাবে যে এই কোষটিকে ভাইরাছে আক্রমন করিয়াছে।
তখন সৈনিক কোষটি রাসায়নিক অস্ত্র (GRANZYME-B বা CYTOKINE) নিক্ষেপ করে আক্রান্ত কোষটিকে মেরে ফেলবে।
ঠিক একই রকমের ঘটনা ঘটবে যদি কোষটি কোন জীবানু বা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়।
RECEPTOR গুলী এভাবেই এদের খাঁজের মধ্যে কোন বহিবস্তুকে আটকিয়ে ধরে, কোষের অভ্যন্তরে খবর পাঠিয়ে কোষটির দ্বারা সঠিক কাজ কাম চালায়।
মনে রাখতে হবে অসংখ্য সৈনিক কোষ রয়েছে, এবং প্রত্যেকের উপর অসংখ্য CD8 CO-RECEPTOR ও RECEPTOR রয়েছে। আবার প্রত্যেক কোষের উপর অসংখ্য MCH-1 ও রয়েছে।
আর সবচাইতে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল এর প্রতিটি RECEPTOR ও প্রতিটি MHC-1 অদ্বিতীয়। একটার খাজের সংগে আর একটার খাজের কখনোই মিল হইবেনা।
আর এগুলী CHROMOSOME এর DNA তৈরী ও নিয়ন্ত্রন করে।
CD-8 CO RECEPTOR ও TCR (T CELL RECEPTOR) ২নং CHROMOSOME এর DNA করায়।(6)
চিত্র-৪
একটা CD 8 T CELL একটা ভাইরাছ আক্রান্ত কোষকে রাসায়নিক অস্ত্র নিক্ষেপ করে হত্যা করতেছে।
কোষ কী ভাবে MHC-1 উৎপাদন করে ও কোষ প্রাচীরের উপরে আনে?
জী,হ্যাঁ, এটা বুঝতে গেলে কোষ সম্পর্কে আগে বুঝতে হবে। কোষ এর কার্যাবলী বুঝার জন্য আগে ১৬ ও ১৮ তম পর্বটা পড়ে নিন ও নীচের ভিডিও গুলী দেখুন।
VIDEO তে অত্যন্ত পরিস্কার ভাবে বর্নণা করা হয়েছে।
এখানে এটা বিস্তারিত বর্নণা করতে গেলে পর্বটি অনেক বৃহৎ ও জটিল হয়ে যাবে। তবে সংক্ষেপে কিছুটা বলি।
নীচে চিত্র-৫ লক্ষ্য করুন।
১) কোষের অভ্যন্তরে CYTOPLASM এ অনবরত প্রোটীন উৎপাদিত হচ্ছে।
২) PROTEASOME নামক একটি অতি ক্ষুদ্র অর্গান বড় বড় প্রোটীন কে ভেঙ্গে ছোট আকারের (15 AMINOACID LEGTH) PEPTIDE এ পরিণত করে দেয়।(চিত্র-৬ দেখুন)
৩) এবার এই প্রোটীন TAP1 ও TAP2 নামক দুইটি বিশেষ প্রোটীন যাকে TAP TRANSPORTER বলে, এর দরজা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে ROUGH ENDOPLASMIC RETCULUM বা ER(চিত্র-৭)এর মধ্যে ঢুকানো হয়। এখানে আসার পর ER এর একটা এনজাইম এটাকে আরো একবার ভেঙ্গে ১০ এমিনো এসিড পর্যন্ত ক্ষুদ্র করে দেয়।
এর দ্বারা এটা বুঝা যাচ্ছে যে RIBOSOME যেমন একটী প্রোটীন উৎপাদনের কারখানা, সেখানে ROUGH ENDOPLASMIC RETCULUM বা ER হল একটি MACHINERY PARTS এর ASSEMBLY করার কারখানা।
এটাকে এপর্যন্ত এখানে রেখে দিয়ে এবার অন্য জায়গায় আসুন।
৪) এদিকে DNA এর প্রেরিত mRNA এর কোড অনুসারে RIBOSOME, MHC1 এর ৩টি ALPHA PROTEIN ও ১টা BETA MICROGLOBULIN উৎপাদন করে ROUGH ENDOPLASMIC RETCULUM (ER) এর মধ্যে সঠিক ভাবে সাজিয়ে দেওয়ার জন্য বা ASSEMBLY করানোর জন্য পাঠিয়ে দেয়।
৫)এবার ER MHC1 কে সাজিয়ে (ASSEMBLY)করে ফেলে। তাকে এখানে সহযোগিতা করে আরো কতকগুলো প্রোটীন। এই সমস্ত প্রোটীন গুলী হল যেমন, CULNEXIN, CALRETICULIN, ERP57 ও TAPASIN.
৬) এবার উপরে ৩ নং এ চলে যান। ওখানে CELL CYTOPLASM হতে যে প্রোটীন এনে ভেঙ্গে রাখা হয়েছে, সেই প্রোটীন কনা MHC 1 এর ALPHA PROTEIN এর খাজের মধ্যে ধরা হয়।
মনে রাখতে হবে MHC 1 এর ALPHA PROTEIN এর এই খাজ অদ্বিতীয়। এটাকে তৈরী করা হয় একটি মাত্র বিশেষ প্রোটীনকে ধরতে ও বহন করার জন্য।
তাকে যেটাই দেওয়া হবে সেইটাই সে গ্রহন করবেনা। এখানে অনেক প্রোটীনকে তার চাহিদা অনুসারে, মিল না হওয়ায় গ্রহন করতে অস্বীকার করবে।
এর মধ্যে একমাত্র সেই প্রোটীনটাকেই সে গ্রহন করতে সক্ষম হবে, যে প্রোটীনটার সংগে মিল রেখে তার খাজটি তৈরী করা হয়েছে।
এটা এরুপ যেমন নির্দিষ্ট তালাটিতে ঢুকাবার জন্য নির্দিষ্ট চাবি করে দেওয়া হয়।
এতবড় সূক্ষ্ম ভাবে সমন্বীত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটা অত্যন্ত দক্ষ্য কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক শক্তি থাকার অবশ্যই প্রয়োজন।
তাহলে সেই কেন্দ্রটা কী?
উত্তর- সেই কেন্দ্র হল DNA. DNA একদিকে জায়গামত তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখে, আবার অন্যদিকে সেই তালাটি খোলার চাবি তৈরী করে সঠিক ব্যক্তিটির হাতেই তুলে দেয়। অন্য কারো হাতে দেয়না। (পর্ব ১৬ ও ১৮ দেখুন)
এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে সব কিছু অচল হয়ে যেত। আমরা মুহূর্তেই অসুস্থ হয়ে মারা যেতাম।
৭)MHC1 এর খাজ এর মধ্যে আকাংখিত প্রোটীনটা স্থাপিত হয়ে গেলে TRANSPORT ASSOCIATED PROTEIN (TAP1.TAP2) এর মাধ্যমে ROUGH ENDOPLASMIC RETICULUM (RE)এর মধ্য হতে GOLGI এর মধ্য দিয়ে CYTOPLASM এর মধ্যে, তারপর ENDOSOME এর মধ্য দিয়ে, EXOCYTOSIS পদ্ধতিতে, কোসের বহিরাবারনে এসে প্রোটীনটার ল্যাবেল বা পরিচিতি ধরে দাড়িয়ে যায়।
৮) এর পরবর্তী ঘটনা ইতিমধ্যে উপরে জেনেছেন। এখন দুইটার একটা ঘটনা ঘটবে।
ক) যদি MHC 1 কোষের নিজস্ব প্রোটীন ধরে রাখে, তাহলে নিরাপদে থাকবে। কেহ তাকে আক্রমন করে মেরে ফেলবেনা।
খ) আর যদি MHC1 কোষের অভ্যন্তর হতে ভাইরাছ বা ক্যানছার প্রোটীন বহন করে এনে থাকে, তাহলে CD8 CYTOTOXIC T LYMPHOCYTE কোষ, এই কোষটিকে রাসায়নিক অস্ত্র GRANZYME B বা CYTOKINE নিক্ষেপ করে মেরে ফেলবে।
এভাবে MHC 1 অনবরত আমাদের শরীরে তার জটীল প্রক্রীয়ার মাধ্যমে রোগ জীবানু, ভাইরাছ ও ক্যানছার শিকড় গাড়ার আগেই অঙ্কুরে ধংশ করে দিচ্ছে।
নচেৎ আমরা কবেই ভাইরাছ বা ক্যানছারে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতাম!!
অতএব আমাদের সুস্থভাবে বেচে থাকার জন্য আমাদের এই IMMUNITY শক্তিকে শক্তিমান রেখে ধরে রাখার একান্ত প্রয়োজন।
কী ভাবে IMMUNITY কে সমুন্নত ভাবে ধরে রাখা যায়, তা পরে কোন একটি পর্বে বলব।
ততক্ষন ধৈর্য্য সহকারে সংগে থাকুন।
MHC 1 যে ভাবে উৎপাদিত হয়।
চিত্র-৫
যে ভাবে MHC-1 কোষের অভ্যন্তর হতে প্রোটীন ধরে লয়ে কোষ প্রাচীর এর উপর আসে।
(7)
কোষের CYTOPLASM এ PROTEASOME যে ভাবে পোটীন ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছোট করে।
চিত্র-৬,
PROTEASOME নামক এই ক্ষুদ্র অর্গানটি কোষের অভ্যন্তরে CYTOPLASM এ প্রোটীন এর বড় বড় চেইন, এর মধ্যে ঢুকিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছোট PEPTIDE (UPTO 15 AMINOACID LEGTH)করে দেয়.
চিত্র- ROUGH ENDOPLASMIC RETICULUM (ER)
চিত্র-৭
ROUGH ENDOPLASMIC RETICULUM (RE)
এখানে MHC-1 এর ASSEMBLY করা হয়। এই ক্ষুদ্র অর্গান টি কোষের CYTOPLASM এ থাকে।
(8)
কী ভাবে কোষ MHC-1 উৎপাদন করে সে সম্পর্কিত VIDEO এখানে দেখুন-
- https://www.youtube.com/watch?v=soWtpAO1Nr0
- https://www.youtube.com/watch?v=Am2RVvWdT48
- https://www.youtube.com/watch?v=VPvCekgPwRI
- https://www.youtube.com/watch?v=vrFMWyJwGxw
HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৫ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1.NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
- MHC-1
3.. MHC 1
http://en.wikipedia.org/wiki/Major_histocompatibility_complex#mediaviewer/File:MHC_expression.svg
4.A. MCH-1
http://ghr.nlm.nih.gov/gene/HLA-A
4.B HLA
http://ghr.nlm.nih.gov/geneFamily/hla
- T CELL
- CD 8 TCR
- HOW MHC 1 WORKS
- RE
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? লিম্ফ তন্ত্র কী? ৪৪ (৪) তম পর্ব।
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন?
লিম্ফ তন্ত্র কী? ৪৪ (৪) তম পর্ব।
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
তবে রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে আরো সম্মুখে বুঝতে গেলে তার পূর্বে আমাদের শরীরের রক্ত ও LYMPHATIC SYSTEM (লিম্ফ তন্ত্র) সম্পর্কে অন্ততঃ অতি সংক্ষিপ্তাকারে কিছুটা জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
পূর্বের পর্বে রক্ত সম্পর্কে জেনেছেন।
এই পর্বে LYMPHATIC SYSTEM (লিম্ফ তন্ত্র) সম্পর্কে কিছুটা বর্ণনা করা হচ্ছে।
রক্ত সঞ্চালন তন্ত্রের পাশাপাশি LYMPHATIC SYSTEM বা লিম্ফাটিক তন্ত্র নামে একটি তন্ত্র যা রক্তকে ও শরীরকে প্রতিরক্ষার কাজে একটি SISTER ORGANIZATION এর ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতেছে।
কী এই লিম্ফ তরল?
এটা শরীরের রক্ত নয় তবে রক্ত হইতে নির্যাষিত একটি পরিস্কার স্বচ্ছ তরল অংস যার উপাদান হল জল, ELECTROLYTES ও ছোট আকারের PLASMA PROTEIN, এবং এর মধ্যে WBC, শরীরের খাদ্য ও হরমোন ও থাকে, যা শরীরকে বর্জ, বিষাক্ত, ও অনাকাংখিত পদার্থ মুক্ত রাখে। (৪)
লিম্ফ কী ভাবে ও কোথায় তৈরী হয়?
যেহেতু এর উৎপাদন ও সঞ্চালন রক্ত ও রক্ত সঞ্চালন এর সংগে সরাসরি সম্পর্কিত এই কারনে এই লিম্ফ এর উৎপাদন ও সঞ্চালন বুঝতে গেলে পূর্বেই “রক্ত” ও “রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র” সম্পর্কে আপনাদের একটু জ্ঞ্যান থাকা প্রয়োজন আছে। এই জন্য “রক্ত” সম্পর্কে কিছুটা জানতে পৃর্বের পর্ব- ৪৩ ও “রক্ত সঞ্চালন” পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আগেই পড়ে নিন:
ও
আপনারা সেখানে দেখেছেন, “রক্ত সঞ্চালন” অনবরত হৃদপিন্ডের পাম্প এর মাধ্যমে একটা CLOSED CIRCUIT এর মধ্য দিয়ে বার বার আবর্তন করতে থাকে।
হৃদপিন্ড পাম্প এর মাধ্যমে অক্সিজেন মিশ্রিত রক্ত, খাদ্য দ্রব্য. হরমোন সহ সবকিছু শরীরের ১০০ ট্রিলিয়ন কোষের প্রতিটা কোষে (কেন্দ্রীয় স্নায়ুকোষ বাদে) ধমনীর মধ্য দিয়ে পৌছে দেয়।
এই সমস্ত অতি ক্ষুদ্র কোষে শেষ প্রান্তে রক্ত পৌছানো হয় অতি সূক্ষ্ম ও সরু রক্ত নালীর (CAPILLARY)এর মধ্য দিয়ে।
এই পর্যায়ে রক্ত এখানে এসে ৩টা কাজ করে থাকে-
১) রক্ত প্রতিটা কোষকে অক্সিজেন, খাদ্য দ্রব্য ও হরমোন ইত্যাদি সরবরাহ করে জীবিত ও কর্মক্ষম রাখে।
২)প্রতিটা কোষে খাদ্য ব্যবহার করে তাপ ও শক্তি উৎপাদনের সাথে সাথে বিষাক্ত বর্জ পদার্থ কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হতে থাকে। রক্ত এই ধরনের বিষাক্ত বর্জ পদার্থ গুলী কোষ হতে সংগ্রহ করে শিরার মধ্য দিয়ে পুনরায় হৃদপিন্ডে ফেরত লয়ে আসে।(বিস্তারিত পর্ব ৩৫ ও ৩৬ দেখুন)
৩) এই খানে রক্ত আর একটা কাজ করে তা হল রক্তের একটা জলীয় অংশ (কেন্দীয় স্নায়ূ তন্ত্র বাদে) CAPILLARY এর গাত্রের দুই কোষের মধ্যখানের অতিশয় সূক্ষ্ম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে রক্তের INTRAVASCULAR COMPARTMENT হতে CAPILLARY এর বাইরে EXTRA VASCULAR COMPARTMENT এর INERSTITIAL COMPARTMENT বা টিসুর মধ্য স্থানে পাঠিয়ে দেয়। রক্তের মধ্যে কোন অপ্রয়োজনীয়, অনাকাঙ্খিত বা ক্ষতিকর পদার্থ বা জীবানু থাকলে তাও এখানে রক্ত সঞ্চালন এর মধ্য হতে (INTRA VASCULAR COMPARTMENT) হতে বের করে দিয়ে রক্তকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও নির্ভেজাল করে রাখতে থাকে।
এই তরল এর মধ্যে থাকে, জল, ELECTROLYTES, ছোট ছোট PLASMA PROTEIN, WBC. গ্লুকোজ ইত্যাদি।
এইটাকেই LYMPH FLUID বলে। একে আরো বলা যায়, INTERSTITIAL FLUID বা INTERCELLULAR FLUID বা TISSUE FLUID।
এই ভাবেই LYMPH ফ্লুইড ও LYMPHATIC CIRCULATION এর প্রারম্ভ হয় ।
এটা কেন করা হয়?
এটা রক্তকে পরিস্কার রাখার একটা ছাকনী পদ্ধতি। রক্তকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও নির্ভেজাল রাখার জন্য্ রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র এভাবে রক্তকে দুষন মুক্ত রাখার জন্য অনবরত ছাকতে থাকে, ঠিক যেমনটা আমরা চা-ছাকনি দ্বারা চা-দানা গুলীকে তরল বিশুদ্ধ চা নির্জাস হতে পৃথক করে ফেলি।
আর তা ছাড়া, LYMPH NODE, LYMPHOID TISSUE, ও LYMPHOID ORGAN, (যেমন SPLEEN বা প্লীহা) গুলী শরীর প্রতিরক্ষার কাজে ও রক্তকে পরিস্কার রাখার কাজে একটা বিরাট ভূমিকা রাখে, যা একটু পরেই জানতে পারবেন।
তা হলে এটা এক রকম পরিস্কার হয়ে গেল যে LYMPHATIC তন্ত্রের একমাত্র কাজ হল আমাদের রক্তকে নির্দোষ ও পরিচ্ছন্ন রাখা ও শরীর কে প্রতি রক্ষা করা। একই সংগে প্রকোষ্ঠ গুলীর জলীয় অংশের সাম্যতা বজায় রাখা।
এখানে একটা কথা জেনে নেওয়া দরকার যে BLOOD CAPILLARY এর গাত্রের এই ক্ষুদ্র ছিদ্র গুলী এমন মাপের যে এর মধ্য হতে রক্তের RBC বা PLATELET কনিকা বেরিয়ে আসতে পারেনা, কারণ এদের এখানে (EXTRA VASCULAR COMARTMENT এর INERSTITIAL COMPARTMENT বা টিসুর মধ্য স্থানে) কোন কাজ নাই। এখানে অপ্রয়োজনীয় ভাবে বেরিয়ে এলে, বরং WBC শরীর এর আবর্জনা ও ক্ষতিকর বস্তু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ কে ব্যাহত করবে।
WBC এর আয়তন এমন মাপের যে রক্তকোষ গূলীর মধ্য হতে একমাত্র WBC ই ঐ ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে।
পক্ষান্তরে RBC ও PLATELET কনিকার আয়তন CAPILLARY এর ছিদ্রপথ এর তুলনায় বড় হওয়ায় ঐ ছিদ্রপথ দিয়ে বাহিরে আসতে পারেনা। এদের যার যার আয়তন এই ছিদ্রপথের আয়তনের সংগে প্রয়োজনানুসারে খাপে খাপ মিলিয়ে মাফ মত সৃষ্ট।
যদি এই ছিদ্রপথের আকৃতি রক্ত কনিকার আকৃতির সংগে সংগতিপূর্ণ না হইতো, তাহলে বুঝতেই পারছেন শরীর অচল হয়ে যেত। অর্থাৎ ছিদ্র খুব বেশী ক্ষুদ্র হলে এর মধ্যদিয়ে WBC কনিকা ও চলাচল করতে পারতোনা, আবার খুব বেশী বড় হলে RBC, PLATELET কনিকা ও রক্ত হতে বেরিয়ে এসে পরিকল্পনা মাফিক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করিয়া দিত।
WBC এখানে কী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে তা শীঘ্রই জানতে পারবেন।
এতক্ষনে জানতে পারলেন, রক্ত হতে নির্যাশিত হয়ে এই পরিস্কার স্বচ্ছ তরল পদার্থ বাইরে এসে “LYMPH FLUID” নাম ধারণ করল। এর সম্পূর্ণ উপাদান ই রক্তের মৌলিক উপাদানের একটি অংস মাত্র। ঠিক মনে করুন যেমন ঘোল ও মূল দুধেরই একটা অংস।
এখন প্রশ্ন আসে এই “LYMPH FLUID” –
১) এখানেই জমা থেকে যায়?
২) নাকী অন্য কোথাও প্রবাহিত হয়ে যায়?
উত্তর- জী,না, এটা এখানে জমা থাকেনা। বরং কোন কারন বসত: যদি এটা এখান থেকে LYMH নালীর মধ্য দিয়ে টিউমর বা PLAQUE ইত্যাদির কারণে আটকে গিয়ে প্রবাহিত না হইতে পারে তা হলে সেখানে রস জমে ফুলে যাবে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় OEDEMA বলে। শরীরের নিম্নাংস পায়ে এটা কখনো কখনো ঘটে থাকে।
LYMPH SYSTEM এর কাজ এই তরলকে LYMPH CAPILLARY দ্বারা শোষন করে নিস্কাষন করে লয়ে স্থানীয় তরলের ভারসাম্য রক্ষা করা।
এখান থেকে এই LYMPH কোথায় যায়?
জী,হ্যা, এখান থেকে লিম্ফ CAPILLARY, LYMPH কে শোষন করে লয়ে, LYMPHATIC VESSEL (লিম্ফ নালী) ও লিম্ফ নোডের মধ্য দিয়া প্রবাহিত করাইয়া, ও সেখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও আবর্জনা মুক্ত করিয়া পুনরায় আবার সেই রক্তকেই তার সঞ্চালনের মধ্যে ফেরত দেয়।
অতএব দেখা গেল LYMPH সঞ্চালন টা রক্ত সঞ্চালন এর ন্যায় CLOSED CIRCULATION নয় বরং OPEN CIRCULATION. অর্থাৎ এক জায়গায় উৎপন্ন হয়, আর সেখান থেকে সংগ্রহ করে আর এক জায়গায় উদগীরন করে।
তা হলে এটা রক্তের কোথায় মিশে যায়?
জী,হ্যা.
আমাদের বোগলের নীচে দুই পার্শে দুইটি শিরা আছে যার নাম ডান পার্শে RIGHT SUBCLAVIAN VEIN ও বাম পার্শে LEFT SUBCLAVIAN VEIN । শরীরের উপরের অংশের লিম্ফ (কেন্দ্রীয় স্নায়ূকোষ বাদে) RIGHT SUBCLAVIAN VEIN এ ও শরীরের নীচের অংশের লিম্ফ LEFT SUBCLAVIAN VEIN এ এসে রক্তের মধ্যে ঢুকে পড়ে। নীচের ও উপরের LYMPH VESSEL এর সর্ব শেষ প্রশস্ত নালী ২ টি এখানে এসে মিলিত হয়ে গিয়েছে। এই ভাবে এই LYMPH যা মূলত রক্তের ই একটি অংশ ছিল তা আবার সেই রক্তের মধ্যেই ফিরে এল। আবার একই ভাবে রক্তের আবর্তনের মধ্য দিয়ে পুনরায় সর্বশেষ প্রান্তিক সূক্ষ্ম CAPILLARY তে পৌছে আবার সেখান থেকে বাইরে একই পদ্ধতিতে রক্তের নির্যাস আকারে রক্ত সঞ্চালন তন্ত্রের বহি স্থানে (INTERSTITIAL SPACE)এ বের করে দিবে, আবার সেখান থেকে লিম্ফ নালী ও লিম্ফ নোড এর মধ্য দিয়ে পুনরায় SUBCLAVIAN শিরার মধ্যে ঢুকে রক্তে মিশে যাবে।
এভাবে এই LYMPH FLUID এর সঞ্চালন চলতে থাকে।
এই কর্মকান্ড চালাবার জন্য সমগ্র শরীর ব্যাপী রক্ত নালীর পাশা পাশি লিম্ফ নালী জালের ন্যায় বিস্তৃত রয়েছে।
চিত্র- ১ দেখুন।
(2)
চিত্র-১, সমগ্র শরীর ব্যাপী রক্ত নালীর পাশা পাশি লিম্ফ নালী বিরাজ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তাহলে আশাকরি আপনাদের নিকট এটা এক রকম পরিস্কার হয়ে গেল LYMPH CIRCULATION টা কীভাবে BLOOD CIRCULATION এর মত তার পাশা পাশি থেকেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে BLOOD CIRCULATION টা হৃদপিন্ড সরাসরি পাম্প এর মাধ্যমে করায়, আর LYMPH CIRCULATION হৃদপিন্ডের পাম্পের মাধ্যমে ঘটেনা।(তবে জীব বিজ্ঞানীদের মতে কিছু কিছু AMPHIBIAN প্র্রানীদের LYMPH CIRCULATION এর জন্য পৃথক HEART রয়েছে)(৩)।
LYMPH অনবরত অতি ধীর গতিতে অথচ নিয়মিত ভাবে শরীর এর নড়াচড়ার প্রভাবে ও LYMH VESSEL এর উপর চাপের মাধ্যমে সম্মুখ দিকে অগ্রসর হতে থাকে। আর LYMPH VESSEL এর VALVE এর গতি পথ নিয়ন্ত্রন করে এক মুখী রেখে শুধু সম্মুখেই অগ্রসর করিয়ে লয়, পিছনে যেতে দেয়না।
লিম্ফ নোড (LYMPH NODE)কী?
মনে রাখা দরকার LYMPH উৎপন্ন হওয়ার পর, LYMPH VESSEL এর মধ্য দিয়ে একেবারে সরাসরি প্রবাহের মাধ্যমে SUBCLAVIAN VEIN এর রক্তে গিয়ে ঢুকে পড়ে না। এরুপ ঘটলে LYMPH উৎপাদনের কোনই তাৎপর্য বা উদ্যেশ্য থাকতোনা।
তাহলে কী করে?
জী, হ্যাঁ,
এই বিশেষ উদ্যেশ্যটা সাধন করে LYMH NODE. LYMPH FLUID কে LYMPH NODE এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন করতে হয়। লিম্ফ নোড লিম্ফ তরলকে ছেকে আবর্জনা ও দুষনমূক্ত করে।
লিম্ফ তরল লিম্ফ নালীর মধ্য দিয়ে চলার পথে এক ধরনের BEAN অথবা গোলাকৃতির, যার দৈর্ঘ কয়েক মিঃ মিঃ হতে কয়েক সেঃমিঃ হতে পারে, এমন গোটা গোটা বস্তুর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হয়, যার নাম “লিম্ফ নোড” (LYMPH NODE)।
যদি কখনো গলার পার্শের (CERVICAL LYMPH NODE) বা বোগলের নীচের (AXILLARY LYMPH NODE)প্রদাহ বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ফুলে বড় হয়ে যায়, তখন এটা চিকিৎসকেরা হাতের দ্বারা স্পর্ষ করে অনুভব করতে পারেন এবং ক্যান্সার সন্দেহ হইলে, এখান থেকে টিসু কেটে লয়ে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা (TISSUE BIOPSY) করিলে ক্যানসার হয়েছে কিনা, পরীক্ষা রিপোর্টে বলে দেয়।
চিত্র-২, LYMPH NODE দেখুন।
(7)
চিত্র-২, একটা লিম্ফ নোডের CROSS SECTION এর চিত্র, যার মধ্য দিয়ে লিম্ফ তরল কে অতিক্রম করতে হয়।
এর এক দিকের পথ দিয়ে লিম্ফ তরল LYMPH NODE এর অভ্যন্তরে ঢুকে ও আর একদিকের পথ দিয়ে বাহির হয়ে যায়। ঢুকার পথকে AFFERENT ও বাহির হওয়ার পথকে EFFERENT LYMPH VESSEL বলে।
সমগ্র শরীরের LYMPH VESSEL জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলার পথে তা ছোট বড় আকৃতির সব মিলিয়ে অন্ততঃ ৬-৭ শত LYMPH NODE রয়েছে। এরা এমন ভাবে বিস্তৃত ভাবে সাজানো যে, শরীরের যেকোন স্থান হতে সংগৃহিত লিম্ফ তরলকে SUBCLAVIAN VEIN এ রক্তে ঢুকার পূর্বে এই LYMPH NODE এর মধ্য দিয়ে পার হয়ে আসতে হবে।
কেন নিম্ফ ফ্লুইড চলার পথে এই LYMPH NODE এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে?
লিম্ফ ফ্লুইড তো সরাসরি রক্তে চলে আসলেই তো আরো সহজ হতো?
জ্বী,না-জীবনকে তার শত্রু হতে রক্ষা করে রাখাটা অতটা সহজ সরল পথে হয়না, তাই এই ব্যবস্থা।
এটাকে (LYMPH NODE) মনে করতে পারেন এমন একটা ব্যবস্থা, যেমন ধরুন, বাংলাদেশ সরকার এমন একটা ব্যবস্থা করল যে প্রতিটা রুটের রেল লাইন এর কিছু কিছু ষ্টেষনে এমন বিশেষ ধরনের ষ্টেষন রাখা হল, যেখানে নিরাপত্তা পরীক্ষার অতি উন্নত যন্ত্রপাতি সহ, বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সৈনিকদের রাখা হল। কারণ সমস্ত রেলপথ ধরে দেশের ক্ষতি সাধন কারী শত্রুরা চলা ফিরা করতেছে, আর সৈনিকদের নিকট এমন অত্যাধুনিক যন্ত্র দেওয়া হয়েছে, যা কারো চেহারার দিকে তাক করে ধরা মাত্রই, সাথে সাথে সেই যন্ত্র বলে দেয় ঐ ব্যক্তি দেশের শত্রু বা ক্ষতিকর কিনা। এবং সাথে সাথে বন্দী করে ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি নিতে পারে।
এ বিষয়ে পরে আলোচনা করা হবে।
এই LYMPH NODE গুলীকে এমনই এক বিশেষ ধরনের ষ্টেষন মনে করে নিতে পারেন, যদিও বিজ্ঞানীদের পক্ষে এমন উন্নত ধরনের DETECTION CENTER বা ষ্টেষন ক্যাম্প তৈরী করা আজো সম্ভব হয় নাই, তা করতে পারলে তো বিশ্বে আর অপরাধীরা সন্ত্রাস বা অপরাধ করতেই পারতোনা।
কিন্তু সত্যই আমাদের শরীরের নিরাপত্তা বিভাগের এমন উন্নত কলা কৌশল সম্বলিত প্রশিক্ষিত সৈনিকেরা রয়েছে, যারা এই কাজটি করতে পারে ও অনবরত করতেছেও।
আমি কোন গাজাখুরী গল্প বল্পতেছিনা। এখানে অতটা গভীরের আলোচনায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। সত্যিই DNA শরীর এর সৈনিক রক্তকোষ গুলীকে এমন জ্বীন প্রোটীন দিয়ে নির্মান করে দিয়েছে যে, সে যে কোন বহিঃশত্রু দেখতে পেলে সংগে সংগে তাকে চিনে ফেলতে ও ধংস করার জন্য বহু রকমের পদ্ধতি নিতে পারে।
আমাদের শরীরের কোন নিজস্ব কোষ যখন ক্যান্সার কোষে পরিণত হয়ে আত্মঘাতি হয়ে পড়ে, তখন শরীরের এই সৈনিক কোষগুলী এই ক্যান্সার কোষকেও একটা বহিশত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে ফেলে ও আক্রমন করে।
নীচে চিত্র- ৩ দেখুন।
চিত্র-৩
(4)
তাই এই LYMPH NODE গুলী হল এমন সৈনিকদের একটা শক্ত ঘাটি।
এখান থেকে শরীর এর কোনই শত্রু বা ক্ষতিকারক, বা অনাকাংখিত পদার্ধকে পার হয়ে যাওয়ার উপায় নাই। কারন ঘাতক এখান থেকে পার হতে পারলেই তো LYMPH এর সংগে প্রবাহিত হয়ে SUBCLAVIAN VEIN এ রক্তে ঢুকে পড়বে।
বুঝা যাচ্ছে শরীর এটা আগে ভাগে ভাল করে বুঝে শুনেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
তাহলে এই সৈনিকেরা কারা?
জী,হা.
এরা হল বেশীর ভাগ WBC কনিকা-
১) MACROPHAGE-
২) DENDRITIC কোষ-
৩) T- LYMPHOCYTE, T- CYTOTOXIC, T- MEMORY
৫) B-LYMPHOCYTE, PLASMA CELL, B-MEMORY CELL ইত্যাদি
(এদের সম্পর্কে কিছুটা পর্ব ৪৩ এ দেখুন)
LYMPH NODE এর অভ্যন্তরে GERMINAL CENTER নামক স্থানে এই সব দক্ষ রক্ত কনিকা সৈনিক গুলি বিশ্বের সব চাইতে উন্নত সামরিক যন্ত্রপাতির চাইতেও অনেক বেশী উন্নত যন্ত্রপাতি সহ ঘাটি করে বসে আছে।
(উপরে চিত্র-২ দেখুন।)
LYMPHOID ORGAN কী?
এখানে জেনে রাখা ভাল, শরীরে আরো কিছু কিছু অর্গান রয়েছে যারা রক্তকে তার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করাইয়া এই লিম্ফ নোডের মতই তারা সরাসরি অনবরত রক্তকে পরিস্কার ও আবর্জনা মূক্ত রাখতেছে। এদেরকে LYMPHOID TISSUE বা LYMPHOID ORGAN বলা হয়। যেমন
১) SPLEEN (প্লীহা) এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্গান হল প্লীহা বা SPLEEN, যার অবস্থান আমাদের পেটের বাম পার্শে উপরে। এই প্লীহা ও রক্তের জীবানুকে মারে ও আমাদের রক্তের মৃত RBC কে ভেঙ্গে এর হেমোগ্লোবীন এর হেম অংশকে BILIRUBIN (বিলিরুবিন)বানিয়ে বের করার জন্য লিভারে পাঠিয়ে দেয়, ও গ্লোবীন প্রোটীন কনাকে প্রোটীন আকারেই রক্তে রেখে দেয়। এটা রক্তের মৃত ও জীবানু আক্রান্ত কোষকেও পরিস্কার করে(চিত্র-৪ দেখুন)
চিত্র-৪-SPLEEN (প্লীহা) (11)
২) “টনছিল” নামক একটি LYMPHOID অর্গান আমাদের গলায় ঢুকার পথে দুই পার্শে রয়েছে, যা জীবানু প্রতিরোধ করে। টনছিল কখনো কখনো জীবানু বা ক্যনসার কোষ দ্বারা ও আক্রান্ত হয়ে থাকে।
৩) ADENOIDS-এটা শিশুদের গলার উপরি অংশে নাসিকার পিছনে থেকে রোগ প্র্রতিরোধ করে। ৫ বৎসর বয়সের পর হতে এটা ক্রমান্ববয়ে শুকিয়ে যায়। ১০ বৎসর পরে একেবারে শুকিয়ে যায়। (12)
৪) “থাইমাছ” নামক একটি অর্গান আমাদের বুকের মধ্যে ১৫ বৎসর বয়স পর্যন্ত থাকে। এটার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল, অপরিপক্ক LYMPHOCYTE (NAIVE T-CELL) কে জমা রেখে রেখে পরিপক্ক LYMPHOCYTE, বা T-CELL বানিয়ে কর্মক্ষম করে দেয়।
৫) APPENDIX নামক একটি LYMPHOID ORGAN আমাদের পেটের নীচে ডান পার্শে বৃহদান্ত্রের প্রারম্ভে থাকে। এটাও শরীরের প্রতিরোধ অর্গান হিসাবে কাজ করে। এটা কখনো কখনো জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হইয়া মারাত্বক প্রদাহ সৃষ্টি করিলে তাকে ACUTE APPENDICITIS বলা হয়। তখন এটাকে কেটে ফেলা লাগে।
৬) PEYER’S PATCHES নামক কিছু LYMPHOID TISSUE, সংখ্যায় ৩০টা পেটের নিম্নাংশে ক্ষুদ্রান্ত্রে, SUB MUCOSA LAYER এ থাকিয়া জীবানু বিধংসী কার্যে নিয়োজিত আছে।
মস্তিস্ক (CENTRAL NERVOUS SYSTEM)
মস্তিস্কে(CENTRAL NERVOUS SYSTEM)কী লিম্ফ চলাচলের ব্যবস্থা আছে?
উত্তর-
মস্তিস্কে(CENTRAL NERVOUS SYSTEM) লিম্ফ উৎপাদন বা চলাচলের ব্যবস্থা নাই। কারণ মস্তিস্ক কোষ শরীরের অন্যান্য জায়গার কোষের তুলনায় অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ওখানে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আগেই জেনেছেন লিম্ফ তৈরী হয় প্রান্তিক সূক্ষ রক্তনালীর(CAPILLARY)এর গাত্রের কোষ গুলীর মাঝের সুক্ষ্ম ছিদ্রের বা ফাকা জায়গার মধ্য দিয়ে রক্তের একটি অংস বাইরে বেরিয়ে আসার মধ্য দিয়ে। কিন্ত মস্তিস্কের CAPILLARY এর গাত্রের কোষ গূলী এমন ভাবে আটানো থাকে যে এর মাঝে কোন ছিদ্র থাকেনা, তাই এখানে লিম্ফ উৎপাদন ও হতে পারেনা।
মস্তিস্কের নিজস্ব এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বলা হয় BLOOD BRAIN BARRIER(BBB).
মস্তিস্কের আরো একটি নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে, তাহল সমগ্র মস্তিস্ক, মেরুমজ্জা সহ ৩টি পর্দা দ্বারা আবৃত করিয়া রাখা হয়েছে। এই পর্দাগুলীর নাম যথাক্রমে (বাহির হতে) ১)DURA MATTER ২)ARACHNOID MATTER ও ৩) PIA MATTER.
পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-
HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৪ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1.NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
.2. LYMPATIC SYSTEM- AID
http://www.lamission.edu/lifesciences/AliAnat1/Chap%2015-%20The%20Lymphatic%20System.pdf
3.WIKIPEDIA
http://en.wikipedia.org/wiki/Lymphatic_system
4.FUNCTION
http://www.livescience.com/26983-lymphatic-system.html
10.BLOOD BRAIN BARRIER
https://faculty.washington.edu/chudler/bbb.html
11.SPLEEN
http://www.docticare.co.uk/pagine/Spleen.aspx
12) ADENOIDS
http://kidshealth.org/kid/ill_injure/sick/adenoids.html
13.PEYER’S PATCH
http://en.wikipedia.org/wiki/Peyer%27s_patch
লিম্ফ তন্ত্র কী? ৪৪ (৪) তম পর্ব।
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
তবে রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে আরো সম্মুখে বুঝতে গেলে তার পূর্বে আমাদের শরীরের রক্ত ও LYMPHATIC SYSTEM (লিম্ফ তন্ত্র) সম্পর্কে অন্ততঃ অতি সংক্ষিপ্তাকারে কিছুটা জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
পূর্বের পর্বে রক্ত সম্পর্কে জেনেছেন।
এই পর্বে LYMPHATIC SYSTEM (লিম্ফ তন্ত্র) সম্পর্কে কিছুটা বর্ণনা করা হচ্ছে।
রক্ত সঞ্চালন তন্ত্রের পাশাপাশি LYMPHATIC SYSTEM বা লিম্ফাটিক তন্ত্র নামে একটি তন্ত্র যা রক্তকে ও শরীরকে প্রতিরক্ষার কাজে একটি SISTER ORGANIZATION এর ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতেছে।
কী এই লিম্ফ তরল?
এটা শরীরের রক্ত নয় তবে রক্ত হইতে নির্যাষিত একটি পরিস্কার স্বচ্ছ তরল অংস যার উপাদান হল জল, ELECTROLYTES ও ছোট আকারের PLASMA PROTEIN, এবং এর মধ্যে WBC, শরীরের খাদ্য ও হরমোন ও থাকে, যা শরীরকে বর্জ, বিষাক্ত, ও অনাকাংখিত পদার্থ মুক্ত রাখে। (৪)
লিম্ফ কী ভাবে ও কোথায় তৈরী হয়?
যেহেতু এর উৎপাদন ও সঞ্চালন রক্ত ও রক্ত সঞ্চালন এর সংগে সরাসরি সম্পর্কিত এই কারনে এই লিম্ফ এর উৎপাদন ও সঞ্চালন বুঝতে গেলে পূর্বেই “রক্ত” ও “রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র” সম্পর্কে আপনাদের একটু জ্ঞ্যান থাকা প্রয়োজন আছে। এই জন্য “রক্ত” সম্পর্কে কিছুটা জানতে পৃর্বের পর্ব- ৪৩ ও “রক্ত সঞ্চালন” পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আগেই পড়ে নিন:
হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠ ও ভালভ সমূহ, হৃদপিন্ড যখন সম্প্রসারিত বা সংকুচিত হয়, তখন হৃদপিন্ডে যা ঘটে, ফুসফুস এর সহযোগিতা, ৩৫(৪) পর্ব
লিংক-https://www.amarblog.com/HAKIM-CHAKLADAR/posts/181204ও
হৃদপিন্ড যে ভাবে RHYTHMIC সংকোচন-সম্প্রসারনের মধ্য দিয়ে রক্তকে সঞ্চালন করিয়া থাকে। পর্ব ৩৬(৫ )
লিংক –https://www.amarblog.com/HAKIM-CHAKLADAR/posts/181324।আপনারা সেখানে দেখেছেন, “রক্ত সঞ্চালন” অনবরত হৃদপিন্ডের পাম্প এর মাধ্যমে একটা CLOSED CIRCUIT এর মধ্য দিয়ে বার বার আবর্তন করতে থাকে।
হৃদপিন্ড পাম্প এর মাধ্যমে অক্সিজেন মিশ্রিত রক্ত, খাদ্য দ্রব্য. হরমোন সহ সবকিছু শরীরের ১০০ ট্রিলিয়ন কোষের প্রতিটা কোষে (কেন্দ্রীয় স্নায়ুকোষ বাদে) ধমনীর মধ্য দিয়ে পৌছে দেয়।
এই সমস্ত অতি ক্ষুদ্র কোষে শেষ প্রান্তে রক্ত পৌছানো হয় অতি সূক্ষ্ম ও সরু রক্ত নালীর (CAPILLARY)এর মধ্য দিয়ে।
এই পর্যায়ে রক্ত এখানে এসে ৩টা কাজ করে থাকে-
১) রক্ত প্রতিটা কোষকে অক্সিজেন, খাদ্য দ্রব্য ও হরমোন ইত্যাদি সরবরাহ করে জীবিত ও কর্মক্ষম রাখে।
২)প্রতিটা কোষে খাদ্য ব্যবহার করে তাপ ও শক্তি উৎপাদনের সাথে সাথে বিষাক্ত বর্জ পদার্থ কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হতে থাকে। রক্ত এই ধরনের বিষাক্ত বর্জ পদার্থ গুলী কোষ হতে সংগ্রহ করে শিরার মধ্য দিয়ে পুনরায় হৃদপিন্ডে ফেরত লয়ে আসে।(বিস্তারিত পর্ব ৩৫ ও ৩৬ দেখুন)
৩) এই খানে রক্ত আর একটা কাজ করে তা হল রক্তের একটা জলীয় অংশ (কেন্দীয় স্নায়ূ তন্ত্র বাদে) CAPILLARY এর গাত্রের দুই কোষের মধ্যখানের অতিশয় সূক্ষ্ম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে রক্তের INTRAVASCULAR COMPARTMENT হতে CAPILLARY এর বাইরে EXTRA VASCULAR COMPARTMENT এর INERSTITIAL COMPARTMENT বা টিসুর মধ্য স্থানে পাঠিয়ে দেয়। রক্তের মধ্যে কোন অপ্রয়োজনীয়, অনাকাঙ্খিত বা ক্ষতিকর পদার্থ বা জীবানু থাকলে তাও এখানে রক্ত সঞ্চালন এর মধ্য হতে (INTRA VASCULAR COMPARTMENT) হতে বের করে দিয়ে রক্তকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও নির্ভেজাল করে রাখতে থাকে।
এই তরল এর মধ্যে থাকে, জল, ELECTROLYTES, ছোট ছোট PLASMA PROTEIN, WBC. গ্লুকোজ ইত্যাদি।
এইটাকেই LYMPH FLUID বলে। একে আরো বলা যায়, INTERSTITIAL FLUID বা INTERCELLULAR FLUID বা TISSUE FLUID।
এই ভাবেই LYMPH ফ্লুইড ও LYMPHATIC CIRCULATION এর প্রারম্ভ হয় ।
এটা কেন করা হয়?
এটা রক্তকে পরিস্কার রাখার একটা ছাকনী পদ্ধতি। রক্তকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও নির্ভেজাল রাখার জন্য্ রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র এভাবে রক্তকে দুষন মুক্ত রাখার জন্য অনবরত ছাকতে থাকে, ঠিক যেমনটা আমরা চা-ছাকনি দ্বারা চা-দানা গুলীকে তরল বিশুদ্ধ চা নির্জাস হতে পৃথক করে ফেলি।
আর তা ছাড়া, LYMPH NODE, LYMPHOID TISSUE, ও LYMPHOID ORGAN, (যেমন SPLEEN বা প্লীহা) গুলী শরীর প্রতিরক্ষার কাজে ও রক্তকে পরিস্কার রাখার কাজে একটা বিরাট ভূমিকা রাখে, যা একটু পরেই জানতে পারবেন।
তা হলে এটা এক রকম পরিস্কার হয়ে গেল যে LYMPHATIC তন্ত্রের একমাত্র কাজ হল আমাদের রক্তকে নির্দোষ ও পরিচ্ছন্ন রাখা ও শরীর কে প্রতি রক্ষা করা। একই সংগে প্রকোষ্ঠ গুলীর জলীয় অংশের সাম্যতা বজায় রাখা।
এখানে একটা কথা জেনে নেওয়া দরকার যে BLOOD CAPILLARY এর গাত্রের এই ক্ষুদ্র ছিদ্র গুলী এমন মাপের যে এর মধ্য হতে রক্তের RBC বা PLATELET কনিকা বেরিয়ে আসতে পারেনা, কারণ এদের এখানে (EXTRA VASCULAR COMARTMENT এর INERSTITIAL COMPARTMENT বা টিসুর মধ্য স্থানে) কোন কাজ নাই। এখানে অপ্রয়োজনীয় ভাবে বেরিয়ে এলে, বরং WBC শরীর এর আবর্জনা ও ক্ষতিকর বস্তু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ কে ব্যাহত করবে।
WBC এর আয়তন এমন মাপের যে রক্তকোষ গূলীর মধ্য হতে একমাত্র WBC ই ঐ ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে।
পক্ষান্তরে RBC ও PLATELET কনিকার আয়তন CAPILLARY এর ছিদ্রপথ এর তুলনায় বড় হওয়ায় ঐ ছিদ্রপথ দিয়ে বাহিরে আসতে পারেনা। এদের যার যার আয়তন এই ছিদ্রপথের আয়তনের সংগে প্রয়োজনানুসারে খাপে খাপ মিলিয়ে মাফ মত সৃষ্ট।
যদি এই ছিদ্রপথের আকৃতি রক্ত কনিকার আকৃতির সংগে সংগতিপূর্ণ না হইতো, তাহলে বুঝতেই পারছেন শরীর অচল হয়ে যেত। অর্থাৎ ছিদ্র খুব বেশী ক্ষুদ্র হলে এর মধ্যদিয়ে WBC কনিকা ও চলাচল করতে পারতোনা, আবার খুব বেশী বড় হলে RBC, PLATELET কনিকা ও রক্ত হতে বেরিয়ে এসে পরিকল্পনা মাফিক কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করিয়া দিত।
WBC এখানে কী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে তা শীঘ্রই জানতে পারবেন।
এতক্ষনে জানতে পারলেন, রক্ত হতে নির্যাশিত হয়ে এই পরিস্কার স্বচ্ছ তরল পদার্থ বাইরে এসে “LYMPH FLUID” নাম ধারণ করল। এর সম্পূর্ণ উপাদান ই রক্তের মৌলিক উপাদানের একটি অংস মাত্র। ঠিক মনে করুন যেমন ঘোল ও মূল দুধেরই একটা অংস।
এখন প্রশ্ন আসে এই “LYMPH FLUID” –
১) এখানেই জমা থেকে যায়?
২) নাকী অন্য কোথাও প্রবাহিত হয়ে যায়?
উত্তর- জী,না, এটা এখানে জমা থাকেনা। বরং কোন কারন বসত: যদি এটা এখান থেকে LYMH নালীর মধ্য দিয়ে টিউমর বা PLAQUE ইত্যাদির কারণে আটকে গিয়ে প্রবাহিত না হইতে পারে তা হলে সেখানে রস জমে ফুলে যাবে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় OEDEMA বলে। শরীরের নিম্নাংস পায়ে এটা কখনো কখনো ঘটে থাকে।
LYMPH SYSTEM এর কাজ এই তরলকে LYMPH CAPILLARY দ্বারা শোষন করে নিস্কাষন করে লয়ে স্থানীয় তরলের ভারসাম্য রক্ষা করা।
এখান থেকে এই LYMPH কোথায় যায়?
জী,হ্যা, এখান থেকে লিম্ফ CAPILLARY, LYMPH কে শোষন করে লয়ে, LYMPHATIC VESSEL (লিম্ফ নালী) ও লিম্ফ নোডের মধ্য দিয়া প্রবাহিত করাইয়া, ও সেখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও আবর্জনা মুক্ত করিয়া পুনরায় আবার সেই রক্তকেই তার সঞ্চালনের মধ্যে ফেরত দেয়।
অতএব দেখা গেল LYMPH সঞ্চালন টা রক্ত সঞ্চালন এর ন্যায় CLOSED CIRCULATION নয় বরং OPEN CIRCULATION. অর্থাৎ এক জায়গায় উৎপন্ন হয়, আর সেখান থেকে সংগ্রহ করে আর এক জায়গায় উদগীরন করে।
তা হলে এটা রক্তের কোথায় মিশে যায়?
জী,হ্যা.
আমাদের বোগলের নীচে দুই পার্শে দুইটি শিরা আছে যার নাম ডান পার্শে RIGHT SUBCLAVIAN VEIN ও বাম পার্শে LEFT SUBCLAVIAN VEIN । শরীরের উপরের অংশের লিম্ফ (কেন্দ্রীয় স্নায়ূকোষ বাদে) RIGHT SUBCLAVIAN VEIN এ ও শরীরের নীচের অংশের লিম্ফ LEFT SUBCLAVIAN VEIN এ এসে রক্তের মধ্যে ঢুকে পড়ে। নীচের ও উপরের LYMPH VESSEL এর সর্ব শেষ প্রশস্ত নালী ২ টি এখানে এসে মিলিত হয়ে গিয়েছে। এই ভাবে এই LYMPH যা মূলত রক্তের ই একটি অংশ ছিল তা আবার সেই রক্তের মধ্যেই ফিরে এল। আবার একই ভাবে রক্তের আবর্তনের মধ্য দিয়ে পুনরায় সর্বশেষ প্রান্তিক সূক্ষ্ম CAPILLARY তে পৌছে আবার সেখান থেকে বাইরে একই পদ্ধতিতে রক্তের নির্যাস আকারে রক্ত সঞ্চালন তন্ত্রের বহি স্থানে (INTERSTITIAL SPACE)এ বের করে দিবে, আবার সেখান থেকে লিম্ফ নালী ও লিম্ফ নোড এর মধ্য দিয়ে পুনরায় SUBCLAVIAN শিরার মধ্যে ঢুকে রক্তে মিশে যাবে।
এভাবে এই LYMPH FLUID এর সঞ্চালন চলতে থাকে।
এই কর্মকান্ড চালাবার জন্য সমগ্র শরীর ব্যাপী রক্ত নালীর পাশা পাশি লিম্ফ নালী জালের ন্যায় বিস্তৃত রয়েছে।
চিত্র- ১ দেখুন।
(2)
চিত্র-১, সমগ্র শরীর ব্যাপী রক্ত নালীর পাশা পাশি লিম্ফ নালী বিরাজ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তাহলে আশাকরি আপনাদের নিকট এটা এক রকম পরিস্কার হয়ে গেল LYMPH CIRCULATION টা কীভাবে BLOOD CIRCULATION এর মত তার পাশা পাশি থেকেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে BLOOD CIRCULATION টা হৃদপিন্ড সরাসরি পাম্প এর মাধ্যমে করায়, আর LYMPH CIRCULATION হৃদপিন্ডের পাম্পের মাধ্যমে ঘটেনা।(তবে জীব বিজ্ঞানীদের মতে কিছু কিছু AMPHIBIAN প্র্রানীদের LYMPH CIRCULATION এর জন্য পৃথক HEART রয়েছে)(৩)।
LYMPH অনবরত অতি ধীর গতিতে অথচ নিয়মিত ভাবে শরীর এর নড়াচড়ার প্রভাবে ও LYMH VESSEL এর উপর চাপের মাধ্যমে সম্মুখ দিকে অগ্রসর হতে থাকে। আর LYMPH VESSEL এর VALVE এর গতি পথ নিয়ন্ত্রন করে এক মুখী রেখে শুধু সম্মুখেই অগ্রসর করিয়ে লয়, পিছনে যেতে দেয়না।
লিম্ফ নোড (LYMPH NODE)কী?
মনে রাখা দরকার LYMPH উৎপন্ন হওয়ার পর, LYMPH VESSEL এর মধ্য দিয়ে একেবারে সরাসরি প্রবাহের মাধ্যমে SUBCLAVIAN VEIN এর রক্তে গিয়ে ঢুকে পড়ে না। এরুপ ঘটলে LYMPH উৎপাদনের কোনই তাৎপর্য বা উদ্যেশ্য থাকতোনা।
তাহলে কী করে?
জী, হ্যাঁ,
এই বিশেষ উদ্যেশ্যটা সাধন করে LYMH NODE. LYMPH FLUID কে LYMPH NODE এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন করতে হয়। লিম্ফ নোড লিম্ফ তরলকে ছেকে আবর্জনা ও দুষনমূক্ত করে।
লিম্ফ তরল লিম্ফ নালীর মধ্য দিয়ে চলার পথে এক ধরনের BEAN অথবা গোলাকৃতির, যার দৈর্ঘ কয়েক মিঃ মিঃ হতে কয়েক সেঃমিঃ হতে পারে, এমন গোটা গোটা বস্তুর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হয়, যার নাম “লিম্ফ নোড” (LYMPH NODE)।
যদি কখনো গলার পার্শের (CERVICAL LYMPH NODE) বা বোগলের নীচের (AXILLARY LYMPH NODE)প্রদাহ বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ফুলে বড় হয়ে যায়, তখন এটা চিকিৎসকেরা হাতের দ্বারা স্পর্ষ করে অনুভব করতে পারেন এবং ক্যান্সার সন্দেহ হইলে, এখান থেকে টিসু কেটে লয়ে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা (TISSUE BIOPSY) করিলে ক্যানসার হয়েছে কিনা, পরীক্ষা রিপোর্টে বলে দেয়।
চিত্র-২, LYMPH NODE দেখুন।
(7)
চিত্র-২, একটা লিম্ফ নোডের CROSS SECTION এর চিত্র, যার মধ্য দিয়ে লিম্ফ তরল কে অতিক্রম করতে হয়।
এর এক দিকের পথ দিয়ে লিম্ফ তরল LYMPH NODE এর অভ্যন্তরে ঢুকে ও আর একদিকের পথ দিয়ে বাহির হয়ে যায়। ঢুকার পথকে AFFERENT ও বাহির হওয়ার পথকে EFFERENT LYMPH VESSEL বলে।
সমগ্র শরীরের LYMPH VESSEL জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলার পথে তা ছোট বড় আকৃতির সব মিলিয়ে অন্ততঃ ৬-৭ শত LYMPH NODE রয়েছে। এরা এমন ভাবে বিস্তৃত ভাবে সাজানো যে, শরীরের যেকোন স্থান হতে সংগৃহিত লিম্ফ তরলকে SUBCLAVIAN VEIN এ রক্তে ঢুকার পূর্বে এই LYMPH NODE এর মধ্য দিয়ে পার হয়ে আসতে হবে।
কেন নিম্ফ ফ্লুইড চলার পথে এই LYMPH NODE এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে?
লিম্ফ ফ্লুইড তো সরাসরি রক্তে চলে আসলেই তো আরো সহজ হতো?
জ্বী,না-জীবনকে তার শত্রু হতে রক্ষা করে রাখাটা অতটা সহজ সরল পথে হয়না, তাই এই ব্যবস্থা।
এটাকে (LYMPH NODE) মনে করতে পারেন এমন একটা ব্যবস্থা, যেমন ধরুন, বাংলাদেশ সরকার এমন একটা ব্যবস্থা করল যে প্রতিটা রুটের রেল লাইন এর কিছু কিছু ষ্টেষনে এমন বিশেষ ধরনের ষ্টেষন রাখা হল, যেখানে নিরাপত্তা পরীক্ষার অতি উন্নত যন্ত্রপাতি সহ, বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সৈনিকদের রাখা হল। কারণ সমস্ত রেলপথ ধরে দেশের ক্ষতি সাধন কারী শত্রুরা চলা ফিরা করতেছে, আর সৈনিকদের নিকট এমন অত্যাধুনিক যন্ত্র দেওয়া হয়েছে, যা কারো চেহারার দিকে তাক করে ধরা মাত্রই, সাথে সাথে সেই যন্ত্র বলে দেয় ঐ ব্যক্তি দেশের শত্রু বা ক্ষতিকর কিনা। এবং সাথে সাথে বন্দী করে ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি নিতে পারে।
এ বিষয়ে পরে আলোচনা করা হবে।
এই LYMPH NODE গুলীকে এমনই এক বিশেষ ধরনের ষ্টেষন মনে করে নিতে পারেন, যদিও বিজ্ঞানীদের পক্ষে এমন উন্নত ধরনের DETECTION CENTER বা ষ্টেষন ক্যাম্প তৈরী করা আজো সম্ভব হয় নাই, তা করতে পারলে তো বিশ্বে আর অপরাধীরা সন্ত্রাস বা অপরাধ করতেই পারতোনা।
কিন্তু সত্যই আমাদের শরীরের নিরাপত্তা বিভাগের এমন উন্নত কলা কৌশল সম্বলিত প্রশিক্ষিত সৈনিকেরা রয়েছে, যারা এই কাজটি করতে পারে ও অনবরত করতেছেও।
আমি কোন গাজাখুরী গল্প বল্পতেছিনা। এখানে অতটা গভীরের আলোচনায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। সত্যিই DNA শরীর এর সৈনিক রক্তকোষ গুলীকে এমন জ্বীন প্রোটীন দিয়ে নির্মান করে দিয়েছে যে, সে যে কোন বহিঃশত্রু দেখতে পেলে সংগে সংগে তাকে চিনে ফেলতে ও ধংস করার জন্য বহু রকমের পদ্ধতি নিতে পারে।
আমাদের শরীরের কোন নিজস্ব কোষ যখন ক্যান্সার কোষে পরিণত হয়ে আত্মঘাতি হয়ে পড়ে, তখন শরীরের এই সৈনিক কোষগুলী এই ক্যান্সার কোষকেও একটা বহিশত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে ফেলে ও আক্রমন করে।
নীচে চিত্র- ৩ দেখুন।
চিত্র-৩
(4)
তাই এই LYMPH NODE গুলী হল এমন সৈনিকদের একটা শক্ত ঘাটি।
এখান থেকে শরীর এর কোনই শত্রু বা ক্ষতিকারক, বা অনাকাংখিত পদার্ধকে পার হয়ে যাওয়ার উপায় নাই। কারন ঘাতক এখান থেকে পার হতে পারলেই তো LYMPH এর সংগে প্রবাহিত হয়ে SUBCLAVIAN VEIN এ রক্তে ঢুকে পড়বে।
বুঝা যাচ্ছে শরীর এটা আগে ভাগে ভাল করে বুঝে শুনেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
তাহলে এই সৈনিকেরা কারা?
জী,হা.
এরা হল বেশীর ভাগ WBC কনিকা-
১) MACROPHAGE-
২) DENDRITIC কোষ-
৩) T- LYMPHOCYTE, T- CYTOTOXIC, T- MEMORY
৫) B-LYMPHOCYTE, PLASMA CELL, B-MEMORY CELL ইত্যাদি
(এদের সম্পর্কে কিছুটা পর্ব ৪৩ এ দেখুন)
LYMPH NODE এর অভ্যন্তরে GERMINAL CENTER নামক স্থানে এই সব দক্ষ রক্ত কনিকা সৈনিক গুলি বিশ্বের সব চাইতে উন্নত সামরিক যন্ত্রপাতির চাইতেও অনেক বেশী উন্নত যন্ত্রপাতি সহ ঘাটি করে বসে আছে।
(উপরে চিত্র-২ দেখুন।)
LYMPHOID ORGAN কী?
এখানে জেনে রাখা ভাল, শরীরে আরো কিছু কিছু অর্গান রয়েছে যারা রক্তকে তার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করাইয়া এই লিম্ফ নোডের মতই তারা সরাসরি অনবরত রক্তকে পরিস্কার ও আবর্জনা মূক্ত রাখতেছে। এদেরকে LYMPHOID TISSUE বা LYMPHOID ORGAN বলা হয়। যেমন
১) SPLEEN (প্লীহা) এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্গান হল প্লীহা বা SPLEEN, যার অবস্থান আমাদের পেটের বাম পার্শে উপরে। এই প্লীহা ও রক্তের জীবানুকে মারে ও আমাদের রক্তের মৃত RBC কে ভেঙ্গে এর হেমোগ্লোবীন এর হেম অংশকে BILIRUBIN (বিলিরুবিন)বানিয়ে বের করার জন্য লিভারে পাঠিয়ে দেয়, ও গ্লোবীন প্রোটীন কনাকে প্রোটীন আকারেই রক্তে রেখে দেয়। এটা রক্তের মৃত ও জীবানু আক্রান্ত কোষকেও পরিস্কার করে(চিত্র-৪ দেখুন)
চিত্র-৪-SPLEEN (প্লীহা) (11)
২) “টনছিল” নামক একটি LYMPHOID অর্গান আমাদের গলায় ঢুকার পথে দুই পার্শে রয়েছে, যা জীবানু প্রতিরোধ করে। টনছিল কখনো কখনো জীবানু বা ক্যনসার কোষ দ্বারা ও আক্রান্ত হয়ে থাকে।
৩) ADENOIDS-এটা শিশুদের গলার উপরি অংশে নাসিকার পিছনে থেকে রোগ প্র্রতিরোধ করে। ৫ বৎসর বয়সের পর হতে এটা ক্রমান্ববয়ে শুকিয়ে যায়। ১০ বৎসর পরে একেবারে শুকিয়ে যায়। (12)
৪) “থাইমাছ” নামক একটি অর্গান আমাদের বুকের মধ্যে ১৫ বৎসর বয়স পর্যন্ত থাকে। এটার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল, অপরিপক্ক LYMPHOCYTE (NAIVE T-CELL) কে জমা রেখে রেখে পরিপক্ক LYMPHOCYTE, বা T-CELL বানিয়ে কর্মক্ষম করে দেয়।
৫) APPENDIX নামক একটি LYMPHOID ORGAN আমাদের পেটের নীচে ডান পার্শে বৃহদান্ত্রের প্রারম্ভে থাকে। এটাও শরীরের প্রতিরোধ অর্গান হিসাবে কাজ করে। এটা কখনো কখনো জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হইয়া মারাত্বক প্রদাহ সৃষ্টি করিলে তাকে ACUTE APPENDICITIS বলা হয়। তখন এটাকে কেটে ফেলা লাগে।
৬) PEYER’S PATCHES নামক কিছু LYMPHOID TISSUE, সংখ্যায় ৩০টা পেটের নিম্নাংশে ক্ষুদ্রান্ত্রে, SUB MUCOSA LAYER এ থাকিয়া জীবানু বিধংসী কার্যে নিয়োজিত আছে।
মস্তিস্ক (CENTRAL NERVOUS SYSTEM)
মস্তিস্কে(CENTRAL NERVOUS SYSTEM)কী লিম্ফ চলাচলের ব্যবস্থা আছে?
উত্তর-
মস্তিস্কে(CENTRAL NERVOUS SYSTEM) লিম্ফ উৎপাদন বা চলাচলের ব্যবস্থা নাই। কারণ মস্তিস্ক কোষ শরীরের অন্যান্য জায়গার কোষের তুলনায় অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ওখানে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আগেই জেনেছেন লিম্ফ তৈরী হয় প্রান্তিক সূক্ষ রক্তনালীর(CAPILLARY)এর গাত্রের কোষ গুলীর মাঝের সুক্ষ্ম ছিদ্রের বা ফাকা জায়গার মধ্য দিয়ে রক্তের একটি অংস বাইরে বেরিয়ে আসার মধ্য দিয়ে। কিন্ত মস্তিস্কের CAPILLARY এর গাত্রের কোষ গূলী এমন ভাবে আটানো থাকে যে এর মাঝে কোন ছিদ্র থাকেনা, তাই এখানে লিম্ফ উৎপাদন ও হতে পারেনা।
মস্তিস্কের নিজস্ব এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বলা হয় BLOOD BRAIN BARRIER(BBB).
মস্তিস্কের আরো একটি নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে, তাহল সমগ্র মস্তিস্ক, মেরুমজ্জা সহ ৩টি পর্দা দ্বারা আবৃত করিয়া রাখা হয়েছে। এই পর্দাগুলীর নাম যথাক্রমে (বাহির হতে) ১)DURA MATTER ২)ARACHNOID MATTER ও ৩) PIA MATTER.
পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-
HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৪ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1.NOBEL PRIZE
.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
.2. LYMPATIC SYSTEM- AID
http://www.lamission.edu/lifesciences/AliAnat1/Chap%2015-%20The%20Lymphatic%20System.pdf
3.WIKIPEDIA
http://en.wikipedia.org/wiki/Lymphatic_system
4.FUNCTION
http://www.livescience.com/26983-lymphatic-system.html
- FUNCTION OF LYMH NODE
- LYMPH
- LYMH NODE STRUCTURE
- KIDS HEALTH
- BRITANICA LYMPHATIC SYSTEM
10.BLOOD BRAIN BARRIER
https://faculty.washington.edu/chudler/bbb.html
11.SPLEEN
http://www.docticare.co.uk/pagine/Spleen.aspx
12) ADENOIDS
http://kidshealth.org/kid/ill_injure/sick/adenoids.html
13.PEYER’S PATCH
http://en.wikipedia.org/wiki/Peyer%27s_patch
.
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? রক্ত কী? শরীর এর জলীয় পদার্থের প্রকোষ্ঠ কী? ৪৩ (৩) তম পর্ব।
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
তবে রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে আরো সম্মুখে বুঝতে গেলে তার পূর্বে আমাদের শরীরের রক্ত সম্পর্কে অন্ততঃ অতি সংক্ষিপ্তাকারে কিছুটা জ্ঞান থাকা আবশ্যক। বিশেষ করে রক্তের
১। COMPOSITION (উপাদান)
২।FUNCTION (রক্ত কী কাজ করে)
৩) CIRCULATION ( রক্ত কী ভাবে সঞ্চালিত হয়)- হৃদপিন্ড ও ফুসফুস উভয়ে সম্মিলিত ভাবে কী পদ্ধতিতে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন করে থাকে তা আপনারা ইতিপূর্বে পর্ব ৩২ হতে পর্ব ৩৯ পর্যন্ত বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
(বিস্তারিত পূর্বের পর্বে দেখুন- হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠ ও ভালভ সমূহ, হৃদপিন্ড যখন সম্প্রসারিত বা সংকুচিত হয়, তখন হৃদপিন্ডে যা ঘটে, ফুসফুস এর সহযোগিতা,৩৫(৪) পর্ব
লিংক-https://www.amarblog.com/HAKIM-CHAKLADAR/posts/181204ও
হৃদপিন্ড যে ভাবে RHYTHMIC সংকোচন-সম্প্রসারনের মধ্য দিয়ে রক্তকে সঞ্চালন করিয়া থাকে। পর্ব ৩৬(৫ )
লিংক –https://www.amarblog.com/HAKIM-CHAKLADAR/posts/181324 দেখুন।)কেন রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে তার পূর্বেই কিছুটা রক্ত সম্পর্কে জ্ঞ্যান থাকা প্রয়োজন?
উত্তর-
জী,হ্যাঁ, কারণ রক্তই, আমাদের শরীরে কখনো বহিশত্রু ঢুকে পড়লে, তার বিভিন্ন ধরনের সৈন্য সামন্ত, অস্ত্র সস্ত্র, ও অত্যন্ত জটিল কলা কৌশল লয়ে, এই শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে আমাদের জীবন রক্ষা করে।
সত্যিই সে এক রীতিমত মহাযুদ্ধ, যেখানে রক্ত শুধু সরাসরি তার সৈনিকদেরই ব্যবহার করেনা, সেখানে রক্ত আরো অতিরিক্ত ব্যবহার করে থাকে, ক্ষেপনাস্ত্র, রাসায়নিক অস্ত্র, কম্পিউটার মেমরি, যুদ্ধ পরিচালনা সুবিধার জন্য প্রয়োজনে নিজেদের দুরবর্তী নিজ পক্ষীয় সৈনিকদের সংগে বেতার যোগাযোগ এর মত যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান।
শরীর এর এসব জটিল কলা কৌশল এর কাহিনী আপনারা যতই জানবেন ততই মুগ্ধ ও অভিভূত হয়ে পড়বেন।
জী, হ্যাঁ, এরা পরস্পর বেতার যোগাযোগ এর মত যোগাযোগ টা বিভিন্ন ধরনের প্রোটীন ও রাসানিক দ্রব্যাদি পাঠিয়ে দূরবর্তী সৈনিক কোষকে পাঠানোর মাধ্যমে করে থাকে।
রক্তের কোষ সৈনিকদের এ সমস্ত অত্যাধুনিক সাজ সরঞ্জামাদি না থাকলে কী আর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ভয়ংকর অনুজীব শত্রুদের সংগে অহরহ মুকাবেলা করা কী কখনো সম্ভব হতো? কখোনোই না।
এই কারণে রক্তের এই ধরনের কাজ কাম বুঝার জন্য আপনাদেরই বুঝার সুবিধার্থে অগ্রেই রক্ত এর উপাদান ও কার্যাবলী সম্পর্কে অন্ততঃ কিছুটা হলেও জ্ঞ্যান থাকা আবশ্যক মনে করছি। একই কারণে রক্ত সঞ্চালন তন্ত্রের পাশাপাশি LYMPHATIC SYSTEM বা লিম্ফাটিক তন্ত্র নামে একটি তন্ত্র যা রক্তকে প্রতিরক্ষার কাজে SISTER ORGANIZATION এর ন্যায় প্রতিরক্ষার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতেছে তার সম্পর্কেও কিছু জ্ঞ্যান থাকা প্রয়োজন।
তাই মাঝখানে বিষয় বহির্ভূত হওয়া সত্বেও এই পর্বে রক্তের গঠন ও কাজ সম্পর্কে ও পরবর্তী পর্বে LYMPHATIC SYSTEM বা লিম্ফাটিক তন্ত্র কিছুটা বর্ণনা করা প্রয়োজন মনে করছি।
আসুন তাহলে, রক্ত সম্পর্কে কিছুটা জানুন-
রক্তের উপাদান
রক্ত বস্তু টা কী?
উত্তর- রক্ত হল শরীর এর এক ধরনের তরল টিসূ (LIQUID CONNECTIVE TISSUE).যেমন ধরুন আমাদের শরীরের হাড্ডি, চামড়া, মাংস ও টিসু, কিন্তু এরা শক্ত টিসু। সেক্ষেত্রে ওদের জায়গায় রক্তকে একটা তরল টিসু আকারে রাখা হয়েছে, শরীরের বিশেষ বিশেষ কার্য সমাধান করানোর জন্য। যা জানতে পারবেন একটু পরেই রক্তের কার্যাবলী বর্ণনা করার সময়।
রক্তের উপাদান প্রথমত: ২ ভাগে বিভক্ত-
১) কোষীয়-অর্থাৎ শুধু মাত্র কোষ।
২) প্লাজমা-এটা শুধু মাত্র তরল অংশ। (নীচের চিত্র- ১ দেখুন)(৫)।
চিত্র-১, উপরের সারিতে অ-জমাট বাধা রক্তের বাম টেষ্ট টিউবটায় রক্তের সব উপাদান একত্রে মিশ্রিত। ডান টেষ্ট টিউবটায় নীচের অংশে RBC. তার উপরে WBC ও PLATELETS ও তার উপরে রক্তের জলীয় অংস PLASMA দেখানো হয়েছে। নীচের টেষ্ট টিউবটার উপরি অংশে জমাট বাধা রক্তের SERUM দেখানো হয়েছে।(৭,৮)
১) কোষীয়
রক্তে ৩ প্রকার কোষ আছে, যথা-১) লোহিত কনিকা। ২) শ্বেত কনিকা। ৩) PLATELETS কনিকা।
১) লোহিত কনিকা (চিত্র-২) (RBC বা RED BLOOD CELL)- এই RBC ই রক্তের রং লাল বর্ণের করে থাকে। এর মধ্যে হেমোগ্লোবিন নামক পদার্থ ফুসফুস হতে অক্সিজেন বহন করে এনে রক্ত সঞ্চালন এর মাধ্যমে শরীর এর সমগ্র কোষে (১০০ট্রিলিয়ন) পৌছে দিয়ে প্রতি মুহূর্ত আমাদের জীবন রক্ষা করে।
চিত্র-২ দেখুন।চিত্র-২, রক্তের লোহিত কনিকা, স্লাইডে স্টেইন করলে মাইক্রোস্কোপে যে ভাবে দেখা যায়।
লোহিত কনিকা জন্ম নেয় হাড্ডি মজ্জায় (BONE MARROW)এবং এদের জীবনকাল ১২০ দিন।
এদের মৃত্যুর পর এর থেকে BILIRUBIN নামক এক ধরণের হলুদ পদার্থ উৎপন্ন হয়, যার কিছুটা মল দিয়ে ও কিছুটা মূত্র দিয়ে বেরিয়ে যায়।
২) শ্বেত কনিকা (WBC বা WHITE BLOOD CELL)-শ্বেত কনিকা পাচ প্রকারের,যথা-
১) নিউট্রোফিল ২)ইওছিনোফিল ৩)বেছোফিল ৪) লিম্ফোছাইট (টি-লিম্ফোছাইট ও বি-লিম্ফোছাইট)৫)মনোছাইট।(১২)
চিত্র-৩, রক্তের পাচ প্রকারের শ্বেত কনিকা, স্লাইডে স্টেইন করলে মাইক্রোস্কোপে যে ভাবে দেখা যায়।
WBC এর জন্ম- এদের সবারই জন্ম হয় হাড্ডি মজ্জা হতে। এছাড়াও লিম্ফোছাইট জন্মায় থাইমাছ গ্লান্ড, প্লীহা ও লিম্ফ নোড হতেও।
এদের মৃত কোষ গুলী মৃত কোষ বা PUS CELL আকারে মূত্র দিয়ে বেরিয়ে যায়।
জীবন কাল- এদের প্রায় সবার জীবন কাল কয়েক ঘন্টা হতে কয়েক দিন। তবে MEMORY B LYMPHOCYTE কোষ দীর্ঘ বছর বা আজীবন বেচে থাকে।(১২)
৩) PLATELETS কনিকা।
এরা টিসু পুনঃ নির্মানের সময় রক্ত জনাট বাধা আরম্ভ করে রক্তক্ষরন কমিয়ে টিসু পুনঃ নির্মানে সাহায্য করে।
রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার স্বাভাবিক সময় ১-৯ মিনিট।
এরা জন্ম লয় হাড্ডি মজ্জা হতে এবং এদের জীবন কাল ৮-৯ দিন।
চিত্র- ৪, রক্তের PLATELET কনিকা, তীর চিহ্নিত গুলী(অন্যেরা RBC), স্লাইডে স্টেইন করলে মাইক্রোস্কোপে যে ভাবে দেখা যায়।
২) প্লাজমা-
রক্ত জমাট বাধার পূর্বের তরল অংস, যার মধ্যে রক্তের কোষ RBC, WBC, PLATELET, PROTEIN, SALT, ENZYME, HORMONE, কার্বন ডাই অক্সাইড, রক্ত জমাট বাধার উপাদান, FIBRINOGEN ইত্যাদি থাকে। এটা দেখতে কিছুটা হালকা হলুদ (STRAW)রং এর। (চিত্র-১)
আর রক্ত জমাট বাধার পর উপর থেকে যে পরিস্কার তরল পদার্থটুকু পৃথক করা যায় তাকে SERUM বলে। SERUM এ রক্ত জমাট বাধানোর উপাদান ও কোষ থাকেনা। PLASMA এর অন্য সমস্ত উপাদান বিদ্যমান থাকে।(চিত্র-১)
FLUID COMPARTMENTS OF BODY
শরীরের জলীয় তরল পদার্থের প্রকোষ্ঠ সমূহ।
শরীরের জলীয় অংস যে সব প্রকোষ্ঠে থাকে তাকে FLUID COMPARTMENTS(প্রকোষ্ঠ) বলে। কোন FLUID শরীরের কোন প্রকোষ্ঠে অবস্থান করে, কখন তারা এক প্রকোষ্ঠ হতে অন্য প্রকোষ্ঠে কীজন্য গমনাগমন করে, শরীর এর প্রতিরক্ষা পদ্ধতি বুঝার জন্য এটা জানা একান্ত প্রয়োজন।
আসুন তাহলে-
শরীরের জলীয় তরল পদার্থের অবস্থানের প্রকোষ্ঠ প্রথমতঃ ২টি
১)INTRACELLULAR (প্রতিটা কোষ এর প্রাচীরের অভ্যন্তরে)-এখানে শরীরের ৬০-৬৫ % তরল পদার্থ থাকে। কোসের CYTOPLASM এর মধ্যে এই জলীয় অংস টুকু থাকে।
২) EXTRACELLULAR- কোষের বাইরে। এখানে শরীরের ৩৫-৪০% তরল পদার্থ থাকে।
এটা দুই অংশে বিভাক্ত-
ক) INTRAVASCULAR- এটা রক্ত নালীর অভ্যন্তর। এখানে রক্তের সমগ্র প্লাজমা (PLASMA)অংশ টুকু থাকে।
খ ) INTERSTITIAL- রক্ত নালীর বাইরে এবং কোষ প্রাচীরের ও বাইরে, দু কোষের মধ্যবর্তী সূক্ষ্ম ফাকা জায়গায় এর অবস্থান। এই জায়গাতেই রক্তের প্লাজমা হতে CAPILLARY এর সূক্ষ্ম ছিদ্র দিয়ে প্লাজমা এর একটি অংশ (RBC বাদে) বেরিয়ে এসে LYMPH FLUID নামে এক ধরনের হালকা সাদা তরল পদার্থ অবস্থান করে। শরীরের প্রতিরক্ষার কাজে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।(১০,১১)
এ বিষয়ে আগামী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এ ছাড়াও আর কিছু পৃথক ধরনের প্রকোষ্ঠ রয়েছে যেমন, INTRAPERICARDIAL, PLEURAL CAVITY, PERITONEAL CAVITY ইত্যাদি। এসব জায়গায় বিশেষ বিশেষ তরল পদার্থ থেকে বিশেষ বিশেষ কাজ ও করে থাকে। যা জায়গামত কিছু কিছু ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। যেমন হার্ট এর পেরিকার্ডিয়ামে পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড থেকে ওটাকে পিচ্ছিল রেখে হৃদপিন্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারনকে সহজ করায়।
মনে রাখবেন রক্তের ৩ প্রকার কোষের মধ্যে, একমাত্র শ্বেত কনিকাই (WBC) আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষাব্যুহ হিসাবে কাজ করে।
তাই আপনারা পরবর্তীতে প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনার সময় রক্তের এই বিভিন্ন ধরনের শ্বেত কনিকা (WBC) এর একটা বড় ধরনের ভূমিকা দেখিতে পাইবেন।
তাই আগে ভাগে এই শ্বেত কনিকা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেওয়া হল।
শুধু মাত্র শ্বেত কনিকাই আমাদের প্রতিরক্ষাব্যূহে কাজ করেনা। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যূহে শ্বেত কনিকার সংগে সমন্বীত ভাবে আরো যারা কাজ করে থাকে,তারা হল, যেমন-
১) LYMPHATIC SYSTEM ও এর LYMPH NODE ও LYMPHOID ORGANS- যা পরবর্তী পর্বে বর্ণনা করা হবে।
২)MAST CELL- এই কোষ PRIMARY বা INNATE IMMUNITY তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে। এরা HISTAMINE নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে, ক্ষুদ্র রক্ত নালীকে প্রশস্ত করে দিয়ে সেখানে রক্ত সরবরাহ এবং WBC চলাচল বৃদ্ধি করে। এটা কোষের মাঝে মাঝে সর্বত্র বিশেষ করে চর্ম ও বিভিন্ন নালীর আভ্যন্তরীন গাত্রে থাকে। চিত্র-৫
চিত্র-৫, MAST CELL
৩) MACROPHAGE CELL-MONOCYTE রক্ত নালীর বাহিরে INTERSTITIAL COMPARTMENT এ এলে MACROPHAGE CELL এ পরিণত হয়। এদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটা হল এরা PHAGOCYTOSIS পদ্ধতিতে জীবানূ বা শরীরের কোন অনাকাংখিত বস্তুকে গিলে ফেলে অকেজো করে দেয় এবং একই সংগে ঐ জীবানুর গাত্র হতে বিশেষ সাংকেতিক প্রোটীন (ANTIGEN) টা সংগ্রহ করে ঐ জীবানুকুলের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপের গ্রহন করার জন্য DENDRITIC কোষের হাতে তুলে দেয়। চিত্র-৬
চিত্র-৬ MACROPHAGE
৪) DENDRITIC CELL- এটা IMMUNE SYSTEM এর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোষ। এটা MACROPHASE এর নিকট হতে জীবানুর গাত্রের বিশেষ ধরনের প্রোটীন (ANTIGEN)টা গ্রহন করে T- HELPER কোষকে দেয়। তখন T- HELPER কোষ, ঐ জীবানুর বিরুদ্ধে B- LYMPHOCYTE দ্বারা সঠিক ANTIBODY উৎপাদন করায় এবং B-MEMORY কোষ ও উৎপাদন করায়। আবার T-CYTOTOXIC KILLER কোষ ও উৎপাদন করায়। চিত্র-৭
টিত্র-৭, DENDRITIC CELL
৫) PLASMA CELL- T-HELPER কোষ B লিম্ফোছাইট কে CYTOKINE দ্বারা উত্তেজিত করে PLASMA CELL উৎপন্ন করে দেয়। এরা ANTIBODY উৎপাদন করে।
চিত্র-৮
চিত্র-, ৮
৬) PHAGOCYTE-যে সমস্ত কোষ যেমন, NEUTROPHIL, LYMPHOCYTE, MONOCYTE, MACROPHAGE ইত্যাদি যখন PHAGOCYTIC পদ্ধতিতে বহি বস্তুকে গিলে ফেলে, তখন এদের PHAGOCYTE বলা হয়।চিত্র-৯
চিত্র-৯-PHAGOCYTE
৭) ANTIBODY-PLASMA কোষ দ্বারা উৎপাদিত বিশেষ ধরনের প্রোটীন, যা বহিবস্তুকে আক্রমন করে পরাস্ত করে দেয়। চিত্র-১০
চিত্র-১০, ANTIBODY
৮) COMPLEMENT PROTEIN- রক্তের মধ্যে উৎপাদিত বিশেষ প্রোটীন যা ANTIBODY কে PHAGOCYTE এর সংগে সম্মিলিত ভাবে জীবানু মারতে সহায়তা করায়।
৯) CYTOKINE-বিভিন্ন কোষ হতে উৎপাদিত বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্য যার মাধ্যমে একটি কোষ আর একটি কোষকে কী করতে হবে তার সংকেত পাঠায়।
১০) HISTAMINE-MAST কোষ হতে নির্গত এই রাসায়নিক পদার্থ রক্ত নালীকে প্রশস্ত করে দিয়ে আক্রান্ত স্থানে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় ও সেখানে WBC এর সরবরাহ ও বাড়িয়ে দেয়।
১১) KININ-লিভার কোষ হতে উৎপন্ন এই রাসায়নিক পদার্থ রক্ত নালীর(CAPILLARIES) গাত্রের দুই কোষের মধ্যখানের ছিদ্রকে প্রশস্ত করে দিয়ে WBC কোষকে INTRAVASCULAR প্রকোষ্ঠ হতে INTERSTITIAL প্রকোষ্ঠে এনে জীবানুকে আক্রমন করতে সহযোগিতা করায়।
এরা এই কাজ না করলে WBC রক্তের মধ্য হতে কখনো বেরও হতে পারতোনা আর ওখানকার জীবানুর সংগে যুদ্ধ করার সুযোগ ও পাইতোনা।
১২) CYTOTOXIC T-CELL- এটা ক্যানসার কোষ, ভাইরাস আক্রান্ত কোষ, ও মৃত কোষকে পরিস্কার করে।
১৩) T- HELPER CELL- এটা একটা T- LYMPHOCYTE যা DENDRITIC কোষের নিকট থেকে জীবানুর বিশেষ কোডিং প্রোটীন (ANTIGEN) সংগ্রহ করে B-LYMPHOCYTE কে দেয়।এবং B-LYMPHOCYTE তখন PLASMA কোষ উৎপন্ন করায়। আর PLASMA কোষ তখন উক্ত জীবানু বিধংষী ANTIBODY উৎপাদন করে রক্তে ছেড়ে দেয়।চিত্র -১১
চিত্র-১১, DENDRITIC কোষ জীবানুর প্রোটীন (ANTIGEN) HELPER T LYMPHOCYTE কে দিচ্ছে। আর T- HELPER কোষ তখন CYTOKINE নিসরন করে B- LYMPHOCYTE ও T-CYTOTOXIC KILLER CELL কে সরবরাহ করে বিশেষ সংকেৎ দিচ্ছে।
তখন B- LYMPHOCYTE ঐ জীবানু বিধংশী ANTIBODY উৎপাদন করছে। আর T-CYTOTOXIC কোষ ক্যানসার কোষ,ভাইরাস আক্রান্ত কোষ, ও মৃত কোষকে পরিস্কার করে।
১৪) ANTIGEN- এটা একটা বহিবস্তু, হতে পারে CARBOHYDRATE, FAT, PROTEIN বা অন্য কিছু, যা শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যুহকে সাড়া জাগায়। এর পর শরীর এই পদার্থের বিরুদ্ধে ANTIBODY তৈরী করায়, এর পূর্বের ANTIBODY থাকলে তার দ্বারা আক্রান্ত হয়, অথবা T-HELPER কোষকে সমর্পন করে দেওয়া হয় পরবর্তী যথাযথ পদক্ষেপ লওয়ার জন্য।(১৩)
এছাড়া INFLAMMATION এর সময় একই সাথে DAMAGED TISSUE পুননির্মানের জন্য FIBROBLAST কোষ ও COAGULATION CASCADE ও কাজ করতে থাকে।
রক্তের কী কাজ?
নীচে সংক্ষিপ্তাকারে রক্তের কিছু কাজ এর তালিকা দেওয়া হল-
রক্ত ৩ ধরনের কাজ করে থাকে।.
১)পরিবহন
রক্ত নিম্ন লিখিত বস্তুগুলী পরিবহন করে-:
- অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ফুসফুস হতে প্রতিটা কোষ পর্যন্ত।
- খাদ্য পুষ্টি-পরিপাক তন্ত্র হইতে শরীরের সর্বত্র।
- শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নির্বিষ করতে লিভারে এবং বর্জ পদার্থ নিস্কাশনের জন্য কীডনী পর্যন্ত।
- গ্লান্ডে যে সব হরমোন উৎপাদন হয় সে গুলী তার লক্ষ্য বস্তু কোষ পর্যন্ত।
- শরীরের তাপ মাত্রা নিয়ন্ত্রনের জন্য তাপ চামড়া পর্যন্ত।
২) প্রতিরক্ষা-
প্রদাহ বা INFLAMMATION এ কয়েক ভাবে ভূমিকা রাখে যেমন-
- WBC শরীরের জীবানু ও CANCER কোষকে ধংস করে।
- ANTIBODY এবং প্রোটীন জীবানুকে ধংস করে।
- PLATELET FACTORS রক্ত জমাট বাধানো আরম্ভ করে দিয়ে রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
৩) নিয়ন্ত্রন-
রক্ত নিয়ন্ত্রন করে-
- Ph নিয়ন্ত্রন করে রাখতে, ACID এবং BASE পরশ্পর সমন্বীত কাজ করে।
- জলের সাম্যতা (WATER BALANCE) টিসুতে জল বাড়িয়ে কমিয়ে করে।(১)
একজনের শরীরের রক্ত আর একজনের শরীরে দেওয়া কে BLOOD TRANSFUSION
বলে। সাবধান!! এটা করার পূর্বে ঊভয়ের রক্তের গ্রুপ ল্যাবরেটরীতে ম্যাচ করিয়ে দিতে হইবে। অন্যথায় গ্রুপ ম্যাচিং সঠিক না হইলে প্রদান কৃত ব্যক্তি সাথে সাথে মারা যাইবে।
রক্ত পরীক্ষার স্বভাবিক ফলাফল।
রক্তে সাধারণতঃ যে সব বস্তু গুলী পরীক্ষা করা হয়, তার কিছু কিছুর স্বাভাবিক মাত্রা নীচে দেওয়া হল।(ল্যাবরেটরী ভেদে এর মাত্রা সামান্য কিছু কিছু পার্থক্য ধরে থাকে। এ ছাড়াও আরো অনেক কিছু রক্তের মধ্যে পরীক্ষা করার মত রয়েছে যা প্রয়োজন অনুসারে পরীক্ষা করা হয়)
হেমোগ্লোবিন (HgB)A1C———– ৪ হতে ৫.৬%
মোট শ্বেত কনিকা (WBC)——- ৩.৮ হতে ১০.৮ হাজার প্রতি মাইক্রোলিটারে
মোট লোহিত কনিকা (RBC)——— ৪.২০ হতে ৫.৮০ মিলিয়ন প্রতি মাইক্রোলিটারে
হেমোগ্লোবিন (HgB)—————- ১৩.২ হতে ১৭.১ গ্রাম প্রতি ডি:এল
হেমাটক্রিট —————— ৩৮.৫ হতে ৫০%
MCV (Average Red Blood Cell Size) ৮০-১০ fL(femtoliter)
MCH(Hemoglobin amount per red blood cell) ২৭ হতে ৩১ Picogram/cell
MCHC————————————————— ৩২ হতে ৩৬ GRAM/DL
RDW—————————————————- ১১ হতে ১৫%
PLATELET COUNT—————– ১৪০ হতে ৪০০ হাজার /MICROLITER
MPV (Mean Platelet volume)——— 7.4 to 11.5 fl (femtoliter)
Total Neutrophils—————- 38 to 80%
Total Lymphocyte—————– 15 to 49%
Monocyte ———————- 0 to 13%
Eosinophil ——————– 0 to 8%
Basophil ——————— 0 to 4%
Neutrophils absolute———— 1500 to 1800 per mcl(microliter)
Lymphocytes absolute————- 850 to 3900 per mcl(microliter)
Monocytes absolute ———— 200 to 950 per mcl(microliter)
Eosinophil absolute ————— 15 to 500 per mcl(microliter)
Basophil ——————– 0 to 200 per mcl(microliter)
METABOLIC PANEL
Glucose——————— 65 to 139 mg /dl
Sodium———————— 135 to 146 mmol/Liter
Potassium——————– 3,5 to 5.3 mmol/Liter
Chloride——————— 98 to 11o mmol/Liter
Carbon Dioxide—————– 19 to 30 mmol/Liter
Blood Urea Nitrogen (BUN)——– 7 to 25 mg/dl
Creatinine———————– 0.6 to 1.39 mg/dl
Calcium ———————— 8.6 to 10.3 mg/dl
Protein total serum ————— 6.1 to 8.1 gram/dl
Albumin ——————— 3.6 to 5.1 gram/dl
Globulin ——————— 1.9 to 3.7 gram/dl
Albumin/Globulin (A/G) ratio——– 1 to 2.5
Bilirubin total —————– 0.2 to 1.2 mg/dl
Alkaline Phosphatase————– 40 to 150 U/L
AST ————————– 10 to 40 U/L
ALT ————————– 4 to 46 U/L
EFGR ———————- >60 ml/minute/ 1.73M square
LIPID PANEL
Cholesterol,Total—— 125 to 200 mg/dl
HDL Cholesterol————– >= 40 mg/dl
Cholesterol/Hdl ratio ———– <= 5
LDL Cholesterol——- < 130 mg/dl
Triglycerides——– >150 mg/dl
VLDL———————– 5 TO 40 mg/dl
PSA, total————– 4 ng/dl
TSH——- 0.40 to 4.50 mIU/ml
VitaminB12, serum———— 200 to 1100 pg/ml
Vitamin D——————- 32 t9 100 ng/ml
Folate, serum ———– >5.4 ng/ml
টিকা-
CBC- Complete Blood Count Test
Femtolitre (fl)- (US femtoliter) is the metric unit of volume equal to 10−15 litres, or one thousand trillionth
DL = deciliter
Ng-Nanogram= One billionth (1/1,000,000,000) of a gram
Pg=picogram- One trillionth (10-12) of a gram.
MCHC- The amount of hemoglobin relative to the size of the cell (hemoglobin concentration) per red blood cell
RDW- Red cell distribution width or RDW is a parameter that measures variation in red blood cell size or red blood cell volume. A high RDW(over 14.5%) means that the red blood cells vary a lot in size.
HEMATOCRIT (হেমাটোক্রিট) -The ratio of the volume of red blood cells to the total volume of blood. an instrument for measuring this, typically by centrifugation.
EGFR-(Estimated Glomerular Filtration Rate)- >60
PSA- Prostate-Specific Antigen (PSA) Test – National Cancer …
http://www.cancer.gov/cancertopics/factsheet/…/PSAThe PSA test measures the blood level of PSA, a protein that is produced by the prostate gland. The higher a man’s PSA level, the more likely it is that he has prostate cancer. However, there are additional reasons for having an elevated PSA level, and some men who have prostate cancer do not have elevated PSA.
AST (SGOT) – Serum Glutamic-Oxaloacetic Transaminase; SGOT; GOT; Aspartate Transaminase
Formal name: Aspartate Aminotransferase
ALT (SGPT) – Serum Glutamic-Pyruvic Transaminase; SGPT; GPT; Alanine Transaminase
Formal name: Alanine Aminotransferase
Means more than< means Less than
HDL- High Density Cholesterol (Not harmful, rather useful)
LDL- Low density Cholesterol(Harmful)
VLDL- Very Low Density Cholesterol(Harmful)
TSH-Thyroid stimulating hormone
A1C-রক্তের গ্লুকোজ মাপের পদ্ধতি। এর দ্বারা বিগত ২-৩ মাসের রক্তের ছুগার এর গড় পাওয়া যায়।
রেঞ্জ-
< 6.7——— normal (no risk for Diabetes)
5.7 to 6.4——- Increased Risk for Diabetes
=> 6.5 ——– Consistent with Diabetes
Blood Glucose Level-
The American DiabetesAssociation recommends a fasting plasma glucose level of 70–130 mg/dL (3.9-7.2 mmol/L) and after meals less than 180 mg/dL (10 mmol/L).
ESR-(Erythrocytic Sedimentation Rate)
Normal Results
For adults (Westergren method):
- Men under 50 years old: less than 15 mm/hr
- Men over 50 years old: less than 20 mm/hr
- Women under 50 years old: less than 20 mm/hr
- Women over 50 years old: less than 30 mm/hr
HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৩ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1) BLOOD COMPOSITION/FUNCTION
http://www.myvmc.com/anatomy/blood-function-and-composition/#C2
2) Range
http://www.nlm.nih.gov/medlineplus/ency/article/003648.htm
3)Blood count-
http://en.wikipedia.org/wiki/Complete_blood_count
4) A1C
http://www.webmd.com/diabetes/guide/glycated-hemoglobin-test-hba1c
5) PLASMA
http://www.urmc.rochester.edu/encyclopedia/content.aspx?ContentTypeID=160&ContentID=37
6) PLASMA
http://en.wikipedia.org/wiki/Blood_plasma
7) SERUM
http://www.medicinenet.com/script/main/art.asp?articlekey=5470
8) SERUM
http://en.wikipedia.org/wiki/Serum_%28blood%29
9) FLUID CPMPARTMENTMENTS
http://en.wikipedia.org/wiki/Fluid_compartments
- BODY FLUID COMPARTMENTS
- BODY FLUID COMPARTMENTS
- DIFFERENTIAL COUNT.
- ANTIGEN/ANTIBODY
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? INNATE IMMUNITY কী? ৪২ (২) তম পর্ব।
কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন?
INNATE IMMUNITY কী? ৪২ (২) তম পর্ব।
এই ৩জন বিজ্ঞানী শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার (IMMUNITY) উপর কিছু আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন। ইনাদের আবিস্কারটা বুঝতে গেলে শরীরের IMMUNITY সম্পর্কে কিছুটা পূর্ব ধারনা থাকার দরকার আছে।
তাই ৪১ পর্বে শরীরের IMMUNITY সম্পর্কে আপনারা কিছুটা ধারনা পেয়েছেন। সেখানে আপনারা জানতে পেরেছেন আমাদেরকে এই গ্রহে বেচে থাকতে হচ্ছে আমাদের পারিপার্শিক ভয়ংকর অসংখ্য শত্রু জীবানুকুলের সংগে যুদ্ধ করে করে।
আমাদের শরীর আমাদেরই অজান্তে অনবরত এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। যদি কখনো আমাদের শরীর কোন কারনে এই শত্রুর সংগে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যায়, এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত জীবানু নাসক ঔষধকেও প্রতিহত (RESIST) করে দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে তখন আমাদের অবস্থা এদের কাছে এরুপ হয়, যেমন আফ্রিকার জঙ্গলে একটা মহিষের উপর এক ঝাক সিংহ ঝাপিয়ে পড়লে যা হয়।
তখন ঐ আক্রান্ত মহিষটির ন্যায় আমরাও এদের কাছে অতি সহজেই পরাভূত হয়ে মূত্যু কোলে ঢলে পড়ি।
আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে এই জীবানুকুল কে সর্ব প্রথম যে অর্গান সর্বক্ষন রক্ষক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেই অর্গান হল আমাদের চর্ম, খাদ্য প্রনালী, শ্বাষ প্রণালী, মূত্র প্রণালী, ইত্যাদি জায়গার নালীর গাত্রের আভ্যন্তরীন কোষীয় আবরন যার নাম “মিউকাছ মেমব্রেন”।
এই আবরন ভেদ করে কোন ভাবে যদি জীবানু অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে, তাহলে সাথে সাথে আমাদের শরীরের নিরাপত্তা ব্যুহের দায়িত্বে নিয়োজিত সৈনিকেরা তাদের কলাকৌশল, ও অস্ত্র সস্ত্র লয়ে সেই ঢুকার বর্ডারেই তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
অতএব এই বর্ডারেই এদের সংগে একটা যুদ্ধের কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়ে যায়।
ঢুকে পড়ার সংগে সংগে বর্ডারে এই যে যুদ্ধ্যের হত্যাযজ্ঞ্যটা চলে এইটাকে বলা হয় প্রথম সারির যুদ্ধ যার বৈজ্ঞ্যানিক নাম দেওয়া হয়েছে “INNATE IMMUNITY”
এর ফলে এখানে যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তার নাম প্রদাহ বা বৈজ্ঞানিক নাম INFLAMMATION।
কোন জায়গায় প্রদাহ হলে ৫টি লক্ষণ দেখা যায় যেমন,
১) লাল হয়ে যাওয়া।
২) ফুলে যাওয়া।
৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।
৪) ব্যাথা হওয়া।
৫) কার্য ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়া।(দীর্ঘ দিন থাকলে)
এই INFLAMMATION পদ্ধতিটা কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যেশ্য সামনে রেখে অনবরত কাজ করে চলে যেমন-
১) শত্রুকে অভ্যন্তরে ঢুকতে না দিয়ে বর্ডারেই হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া. ঠিক যেমনটা একটা দেশের বর্ডারের সেনা বাহিনীরা দেশে শত্রু সেনা ঢুকা আরম্ভ করলে করে থাকে।
২) যে সমস্ত কোষ আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তাদেরকে পূজ (PUS) কোষ আকারে বের করে পরিস্কার করা।
৩) ক্ষত বিক্ষত অংশটুকুকে পুনর্নির্মান করা।
শরীর আর এক ভাবে বহিশত্রুর সংগে মোকাবেলা করে, যেটা দ্বিতীয় সারির যুদ্ধ যার বৈজ্ঞানিক নাম “ADAPTIVE বা ACQUIRED IMMUNITY”। এ সম্পর্কে ৪১ পর্বে কিছুটা আভাষ পেয়েছেন। পরে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।
আজ কিছুটা আলোচনা করা হচ্ছে, শরীরের INNATE IMMUNITY বা প্রথম সারির প্রতিরোধ সম্পর্কে।
প্রথম সারির IMMUNITY আপনাদের সহজে বোঝার জন্য, সর্বপ্রথম আমি একটা আমার সদ্য বাস্তব ঘটনার উদাহরন দিয়ে আরম্ভ করছি।
সপ্তাহ খানেক পূর্বে আমার কপালে চামড়ার নীচে বাম পার্শে উপরের দিকে হঠাৎ একটা ক্ষুদ্র অত্যধিক ব্যাথা পূর্ণ লাল গোটা (দানার মত) দেখা দিল। আমরা একে বিষ ফোড়া বলে থাকি। বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে CARBANCLE বা BOIL বলে।
এবার দেখা যাক এটা কেন ও কী ভাবে হয়েছে, এখানে অভ্যন্তরে চামড়ার নীচে কী ঘটতেছে, আমার কী করা উচিত ও অনুচিৎ এবং এর ফলাফল ই বা কী?
এইটাকেই পর্যালোচনা করলে আপনারা প্রথম সারির INNATE IMMUNITY সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে যেতে পারবেন।
আসুন তাহলে এই বিষ ফোড়াটাকে খতিয়ে দেখা যাক।
১।এটা কেন হল-কারণ
ধরা যাক হাত দিয়ে ঐ জায়গায় চুলকানোর সময় হাতের নখ দ্বারা অথবা অন্য যে কোন ভাবে ঐ স্থানের চর্মের উপরের পাতলা স্তরের কোষ আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জখম হয়েছে এবং সংগে সংগে বাহিরে চর্মে বা নখে অবস্থিত অসংখ্য PATHOGENIC জীবানুর কোন একটা বা একাধিক ঢুকে পড়েছে।
২। এখন ওখানে কী ঘটতেছে?
এখন ওখানে শরীরের প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের সাজ সরজ্ঞ্জাম সহ সাথে সাথে পৌছে গিয়ে ঐ জীবানূর সংগে মারাত্মক ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে শত্রুদেরকে অভ্যন্তরে না ঢুকতে দিয়ে ওখানেই শেষ করে দিতে চাচ্ছে।
কেন এটা করতে চাচ্ছে? কারণ আমরা টের না পেলেও শরীরের সৈনিকেরা এটা বুঝতে পেরেছে এটা বহি শত্রু, এটা দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে সব ছারখার করে দিবে।
তাই তখন শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিকেরা ঐ শত্রুবৃন্দকে ওখানেই ঘিরে ঘিরে মেরে ফেলার কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।
এই যুদ্ধ বড় জটিল ও কলা কৌশল পূর্ণ যুদ্ধ। তা বলতে পারেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বের চাইতেও অনেক বেশী কলা কৌশলপূর্ণ যুদ্ধ।
সে কথা বর্ননার পূর্বে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োযন।
আমার একজন আত্মীয় আমার ঐ ছোট্ট্ ফোড়াটা দেখে আমাকে সতর্ক করে দিলেন, যেন আমি ওখানে না চুলকাই, বা এর উপর কোন কিছু দিয়ে চাপাচাপি বা ঘষা ঘষি না করি। তিনি বল্লেন তার এক আত্মীয় ঐরুপ একটি ফোড়ার উপর দিয়া একটি রুলার দিয়ে ঘষে ঘষে দিয়েছিলেন। তার কিছুক্ষন পরেই তার আত্মীয় মারা যান।
আচ্ছা বলুনতো? এভাবে ঐ ফোড়া ঘষে দেওয়ার পর কেহ মরে যাওয়ার পিছনে কী কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে?
উত্তর- অবশ্যই বৈজ্ঞ্যানিক কারণ রয়েছে।
কী বৈজ্ঞানিক কারণ জানেন?
জী,হ্যা, তার শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিকেরা তার ঐ ভয়ংকর শত্রুদেরকে শরীরের অভ্যন্তরে ঢুকার পূর্বেই, ঐ স্থানেই অত্যন্ত জটিল প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে নিশ্চিহ্ন করে তাকে রক্ষার কাজে যখন নিয়োজিত ছিল, যার জন্য ওখানে প্রদাহ (INFLAMMATION)সৃষ্টি হয়ে, তাকে শত্রুদের হাত হতে রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিল, ঠিক সেই সময়েই সে ঐ জায়গায় রুলার দিয়ে ঘষা ঘষি করে আভ্যন্তরীন সৈনিকদের কাজে বাধার সৃষ্টি করে দিয়ে, তারই শত্রদেরকে মুক্ত করে দিয়ে, শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
আর সাথে সাথে শত্রুগন রক্তের অভ্যন্তরে ঢুকে তাকে ধংশ করে দিয়েছে।
এভাবে আমরা জীবনের বহু ক্ষেত্রে নিজেই নিজেদের ধংশ করে থাকি, কিন্ত করার সময় আমরা মনে করি আমরা ভাল করতেছি।
IMMUNITY বিষয়টি একটু জটিল আছে। তাই আপনাদের পক্ষে সহজ করার জন্য অল্প অল্প করে বর্ণনা করতে চাচ্ছি। কাজেই এখানেই শেষ করছি।
সংগে থাকুন পরবর্তি বিষয় জানার জন্য।
পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-
HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
VIDEOS-
https://www.youtube.com/watch?v=8mEnyBdsrr8
৪২ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
NOBEL PRIZE
1.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
INNATE IMMUNITY কী? ৪২ (২) তম পর্ব।
এই ৩জন বিজ্ঞানী শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার (IMMUNITY) উপর কিছু আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন। ইনাদের আবিস্কারটা বুঝতে গেলে শরীরের IMMUNITY সম্পর্কে কিছুটা পূর্ব ধারনা থাকার দরকার আছে।
তাই ৪১ পর্বে শরীরের IMMUNITY সম্পর্কে আপনারা কিছুটা ধারনা পেয়েছেন। সেখানে আপনারা জানতে পেরেছেন আমাদেরকে এই গ্রহে বেচে থাকতে হচ্ছে আমাদের পারিপার্শিক ভয়ংকর অসংখ্য শত্রু জীবানুকুলের সংগে যুদ্ধ করে করে।
আমাদের শরীর আমাদেরই অজান্তে অনবরত এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। যদি কখনো আমাদের শরীর কোন কারনে এই শত্রুর সংগে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যায়, এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত জীবানু নাসক ঔষধকেও প্রতিহত (RESIST) করে দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে তখন আমাদের অবস্থা এদের কাছে এরুপ হয়, যেমন আফ্রিকার জঙ্গলে একটা মহিষের উপর এক ঝাক সিংহ ঝাপিয়ে পড়লে যা হয়।
তখন ঐ আক্রান্ত মহিষটির ন্যায় আমরাও এদের কাছে অতি সহজেই পরাভূত হয়ে মূত্যু কোলে ঢলে পড়ি।
আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে এই জীবানুকুল কে সর্ব প্রথম যে অর্গান সর্বক্ষন রক্ষক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেই অর্গান হল আমাদের চর্ম, খাদ্য প্রনালী, শ্বাষ প্রণালী, মূত্র প্রণালী, ইত্যাদি জায়গার নালীর গাত্রের আভ্যন্তরীন কোষীয় আবরন যার নাম “মিউকাছ মেমব্রেন”।
এই আবরন ভেদ করে কোন ভাবে যদি জীবানু অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে, তাহলে সাথে সাথে আমাদের শরীরের নিরাপত্তা ব্যুহের দায়িত্বে নিয়োজিত সৈনিকেরা তাদের কলাকৌশল, ও অস্ত্র সস্ত্র লয়ে সেই ঢুকার বর্ডারেই তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
অতএব এই বর্ডারেই এদের সংগে একটা যুদ্ধের কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়ে যায়।
ঢুকে পড়ার সংগে সংগে বর্ডারে এই যে যুদ্ধ্যের হত্যাযজ্ঞ্যটা চলে এইটাকে বলা হয় প্রথম সারির যুদ্ধ যার বৈজ্ঞ্যানিক নাম দেওয়া হয়েছে “INNATE IMMUNITY”
এর ফলে এখানে যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তার নাম প্রদাহ বা বৈজ্ঞানিক নাম INFLAMMATION।
কোন জায়গায় প্রদাহ হলে ৫টি লক্ষণ দেখা যায় যেমন,
১) লাল হয়ে যাওয়া।
২) ফুলে যাওয়া।
৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।
৪) ব্যাথা হওয়া।
৫) কার্য ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়া।(দীর্ঘ দিন থাকলে)
এই INFLAMMATION পদ্ধতিটা কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যেশ্য সামনে রেখে অনবরত কাজ করে চলে যেমন-
১) শত্রুকে অভ্যন্তরে ঢুকতে না দিয়ে বর্ডারেই হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া. ঠিক যেমনটা একটা দেশের বর্ডারের সেনা বাহিনীরা দেশে শত্রু সেনা ঢুকা আরম্ভ করলে করে থাকে।
২) যে সমস্ত কোষ আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তাদেরকে পূজ (PUS) কোষ আকারে বের করে পরিস্কার করা।
৩) ক্ষত বিক্ষত অংশটুকুকে পুনর্নির্মান করা।
শরীর আর এক ভাবে বহিশত্রুর সংগে মোকাবেলা করে, যেটা দ্বিতীয় সারির যুদ্ধ যার বৈজ্ঞানিক নাম “ADAPTIVE বা ACQUIRED IMMUNITY”। এ সম্পর্কে ৪১ পর্বে কিছুটা আভাষ পেয়েছেন। পরে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।
আজ কিছুটা আলোচনা করা হচ্ছে, শরীরের INNATE IMMUNITY বা প্রথম সারির প্রতিরোধ সম্পর্কে।
প্রথম সারির IMMUNITY আপনাদের সহজে বোঝার জন্য, সর্বপ্রথম আমি একটা আমার সদ্য বাস্তব ঘটনার উদাহরন দিয়ে আরম্ভ করছি।
সপ্তাহ খানেক পূর্বে আমার কপালে চামড়ার নীচে বাম পার্শে উপরের দিকে হঠাৎ একটা ক্ষুদ্র অত্যধিক ব্যাথা পূর্ণ লাল গোটা (দানার মত) দেখা দিল। আমরা একে বিষ ফোড়া বলে থাকি। বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে CARBANCLE বা BOIL বলে।
এবার দেখা যাক এটা কেন ও কী ভাবে হয়েছে, এখানে অভ্যন্তরে চামড়ার নীচে কী ঘটতেছে, আমার কী করা উচিত ও অনুচিৎ এবং এর ফলাফল ই বা কী?
এইটাকেই পর্যালোচনা করলে আপনারা প্রথম সারির INNATE IMMUNITY সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে যেতে পারবেন।
আসুন তাহলে এই বিষ ফোড়াটাকে খতিয়ে দেখা যাক।
১।এটা কেন হল-কারণ
ধরা যাক হাত দিয়ে ঐ জায়গায় চুলকানোর সময় হাতের নখ দ্বারা অথবা অন্য যে কোন ভাবে ঐ স্থানের চর্মের উপরের পাতলা স্তরের কোষ আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জখম হয়েছে এবং সংগে সংগে বাহিরে চর্মে বা নখে অবস্থিত অসংখ্য PATHOGENIC জীবানুর কোন একটা বা একাধিক ঢুকে পড়েছে।
২। এখন ওখানে কী ঘটতেছে?
এখন ওখানে শরীরের প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের সাজ সরজ্ঞ্জাম সহ সাথে সাথে পৌছে গিয়ে ঐ জীবানূর সংগে মারাত্মক ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে শত্রুদেরকে অভ্যন্তরে না ঢুকতে দিয়ে ওখানেই শেষ করে দিতে চাচ্ছে।
কেন এটা করতে চাচ্ছে? কারণ আমরা টের না পেলেও শরীরের সৈনিকেরা এটা বুঝতে পেরেছে এটা বহি শত্রু, এটা দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে সব ছারখার করে দিবে।
তাই তখন শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিকেরা ঐ শত্রুবৃন্দকে ওখানেই ঘিরে ঘিরে মেরে ফেলার কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।
এই যুদ্ধ বড় জটিল ও কলা কৌশল পূর্ণ যুদ্ধ। তা বলতে পারেন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বের চাইতেও অনেক বেশী কলা কৌশলপূর্ণ যুদ্ধ।
সে কথা বর্ননার পূর্বে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োযন।
আমার একজন আত্মীয় আমার ঐ ছোট্ট্ ফোড়াটা দেখে আমাকে সতর্ক করে দিলেন, যেন আমি ওখানে না চুলকাই, বা এর উপর কোন কিছু দিয়ে চাপাচাপি বা ঘষা ঘষি না করি। তিনি বল্লেন তার এক আত্মীয় ঐরুপ একটি ফোড়ার উপর দিয়া একটি রুলার দিয়ে ঘষে ঘষে দিয়েছিলেন। তার কিছুক্ষন পরেই তার আত্মীয় মারা যান।
আচ্ছা বলুনতো? এভাবে ঐ ফোড়া ঘষে দেওয়ার পর কেহ মরে যাওয়ার পিছনে কী কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে?
উত্তর- অবশ্যই বৈজ্ঞ্যানিক কারণ রয়েছে।
কী বৈজ্ঞানিক কারণ জানেন?
জী,হ্যা, তার শরীরের প্রতিরক্ষা সৈনিকেরা তার ঐ ভয়ংকর শত্রুদেরকে শরীরের অভ্যন্তরে ঢুকার পূর্বেই, ঐ স্থানেই অত্যন্ত জটিল প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে নিশ্চিহ্ন করে তাকে রক্ষার কাজে যখন নিয়োজিত ছিল, যার জন্য ওখানে প্রদাহ (INFLAMMATION)সৃষ্টি হয়ে, তাকে শত্রুদের হাত হতে রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিল, ঠিক সেই সময়েই সে ঐ জায়গায় রুলার দিয়ে ঘষা ঘষি করে আভ্যন্তরীন সৈনিকদের কাজে বাধার সৃষ্টি করে দিয়ে, তারই শত্রদেরকে মুক্ত করে দিয়ে, শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
আর সাথে সাথে শত্রুগন রক্তের অভ্যন্তরে ঢুকে তাকে ধংশ করে দিয়েছে।
এভাবে আমরা জীবনের বহু ক্ষেত্রে নিজেই নিজেদের ধংশ করে থাকি, কিন্ত করার সময় আমরা মনে করি আমরা ভাল করতেছি।
IMMUNITY বিষয়টি একটু জটিল আছে। তাই আপনাদের পক্ষে সহজ করার জন্য অল্প অল্প করে বর্ণনা করতে চাচ্ছি। কাজেই এখানেই শেষ করছি।
সংগে থাকুন পরবর্তি বিষয় জানার জন্য।
পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-
HTTP://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
VIDEOS-
- INNATE & ADAPTIVE IMMUNITY
- INFLAMMATION PART1
https://www.youtube.com/watch?v=8mEnyBdsrr8
৪২ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
NOBEL PRIZE
1.http://www.nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/2011/
- INFLAMMATION
- INFLAMMATION
ডিএনএ কী?-ষস্ঠ পর্ব- কোষ বিভাজন MITOSIS(১)
ডিএনএ কী?-ষস্ঠ পর্ব- কোষ বিভাজন MITOSIS(১)
চিত্র-১
ছবি-ওয়ালটার ফ্লেমিং (Walther Flemming)- মাইটোসিস পদ্ধতির আবিস্কর্তা।
Source of figure- https://en.wikipedia.org/wiki/Walther_Flemming
মাইটোসিস (MITOSIS)কী?-
মাইটোসিস কোষ চক্রের একটি ক্ষুদ্রাংস এবং কোষ বিভাজনের একটি পদ্ধতির নাম। আর একটা কোষ বিভাজন পদ্ধতির নাম মীওসিস (MEIOSIS)। আগে আলোচনা করা হবে মাইটোসিস সম্পর্কে।
মাইটোসিস আরম্ভ হওয়ার পূর্বে কোষ তার নিউক্লীয়াছের অভ্যন্তরে পিতৃ ও মাতৃ উভয় ক্রোমোজোম কে যাদের একটাকে আর একটার HOMOLOGOUS CHROMOSOME বলা হয়(৮), REPLICATION (৪র্থ পর্ব দ্রষ্টব্য) বা কপি করার পদ্ধতির মাধ্যমে ঠিক একেবারে একই রুপে সমান দুই অংসে বিভাজন করিয়া ফেলে। এই কপিকৃত নবীন CHROMOSOME ও তার মাতৃ CHROMOSOME কে এখন একটাকে আর একটার SISTER CHROMATID বলা হয়। (১) চিত্র-২
Source of figure- https://en.wikipedia.org/wiki/Chromatid
চিত্র-২,
[চিত্র,২ এর বর্ণনা-
চিত্রে (১ চিহ্ন), এটা একটা CHROMATID: কোষ বিভাজনের সময় কপিকৃত CHROMOSOME এর একটা IDENTICAL COPY. একে SISTER CHROMATID বলা হয়। যে স্থানে এরা সংযুক্ত রয়েছে তাকে বলা হয় CENTROMERE (২ চিহ্ন)। MITOSIS এর ANAPHASE সময় কালে যখন এই SISTER CHROMATID গুলী একটা আর আর একটা হতে পৃথক হয়ে যায়, তখন এরা প্রত্যেকে নিজেরাই এক একটা নূতন পৃথক “ DAUGHTER CHROMOSOME” এ পরিণত হয়ে যায়।CENTROMERE ক্রোমাটিড কে দুইটি বাহুতে (ARM) বিভাজন করেছে। একটি SHORT ARM যার নাম ‘P’ ARM, যেটা এখানে বাম CHROMATID এর (৩ চিহ্ন) দ্বারা দেখানো হয়েছে।আর একটা লম্বা বাহু বা LONG ARM যার নাম q ARM যেটা এখানে ডান CHROMATID এ (৪ চিহ্ন) দ্বারা দেখানো হয়েছে । ]
এরপর কোষটি বিভাজিত CHROMOSOME,অতিক্ষুদ্র কোষ একক (ORGANELLE),ছাইটোপ্লাছম.ও কোষ প্রাচীর সহ প্রায় সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি শিশু কোষের জন্ম নেয়।
এই দুইটি শিশু কোষ ও এদের মাতৃ কোষের সম্পূর্ণ GENETIC INFORMATION হুবহু একেবারে একই থাকে।
কোষের প্রাচীর সহ CYTOPLASM বিভাজন হওয়াকে বলা হয় CYTOKYNESIS। এই পদ্ধতিটা হয় বহুকোষী (EUKARYOTIC) প্রাণীর মধ্যে।(২)
MITOSIS ঘটে কোষ চক্রের M PHASE এ। এই PHASE টি পূর্ণ CELL CYCLE (কোষ চক্র) এর ১০% মাত্র। (৩) (কোষ চক্র এর বিস্তারিত বর্ণনা পর্ব ৪ এ দেখুন)
ইউ টিউব টি দেখুন।
মাইটোসিস ও বিবর্তন বাদ:-
বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন, এই ভূমন্ডলে শুধু মাত্র এককোষী প্রাণী (PROKARYOTES) এর অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল এক বিলিয়ন (১,০০০,০০০,০০০) বৎসরের উর্ধকাল যাবৎ।এদের বংশ বিস্তার হয় কোষ সরাসরি বিভাজন (BINARY FISSION) পদ্ধতির মাধ্যমে। এরপর যখন বহু কোষ জাতীয় প্রাণীর (EUKARYOTES)আবির্ভার হতে থাকল তখন এই BINARY FISSION পদ্ধতি রুপান্তরিত হয়ে মাইটোসিস ও মীওসিস পদ্ধতিতে পরিণত হয়ে যায়।
আবিস্কার-
ওয়ালটার ফ্লেমিং (২১ এপ্রিল ১৮৪৩ – ৪ঠা আগষ্ট ১৯০৫ খৃ) একজন জার্মান জীব-বিজ্ঞানী এবং ছাইটোজেনেটিকস (Cytogenetics.)এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। (চিত্র-১)
ছাইটোজেনেটিকস (Cytogenetics.)-জীব বিজ্ঞানের ঐ শাখা কে বলা হয়, যেখানে কোষের নিউক্লীয়াছে অবস্থিত ক্রোমোজোম ও জেনেটিকছ সম্পর্কে আলোচনা করে।
তিনি ১৮৬৮ সনে University of Rostock, হতে মেডিসিনে গ্রাজুয়েসন অর্জন করেন। এর পর তিনি ১৮৭০-১৮৭১ পর্যন্ত ফ্রান্স-রাসিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ১৮৭৩-১৮৭৬ পর্যন্ত University of Prague.এ শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।১৮৭৬ সনে University of Kiel এ এনাটমির প্রফেসর এর পদে যোগদান করেন।সেখানে তিনি এনাটমি ইনসটিটিউটের পরিচালক পদে উন্নীত হয়ে সেখানে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কর্ম রত ছিলেন।
এখানে তিনি কোষের মাইটোসিস বিভাজন সর্ব প্রথম পর্যবেক্ষন ও বিশ্লেষন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তার এই গবেষনার ফলাফল সর্বপ্রথম ১৮৭৮ ও ১৮৮২ সালে Seminal Book Zellsubstanz, Kern und Zelltheilung এ প্রকাশিত হয়েছিল।(৪)
ভ্রুণ বিকাশ ও শিশু বৃদ্ধির সংগে MITOSIS এর সম্পর্ক-
জরায়ূর FALLOPIAN TUBE এ OVUM এর সংগে একটি মাত্র শুক্রকীট সংযুক্ত হয়ে FERTILZED হয়ে এক কোষী ZYGOTE এর সৃষ্টি হয়I (চিত্র-৩)
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/Zygote
চিত্র-৩, এক কোষী ZYGOTE।
এই ZYGOTE নামের এক কোষী প্রাণীটা MITOSIS পদ্ধতিতে বৃদ্ধি হতে হতে, এবং কোষ বিশেষায়িত (CELL DIFFERENTIATION) হওয়ার মধ্য দিয়ে,জরায়ূর মধ্যে শিশু বর্ধিত হতে থাকে। জরাহূতে ৯ মাস ১০ দিন অবস্থানের পর শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। এর পর এই আমরাই ১০০ ট্রিলিয়ন (১০০,০০০,০০০,০০০,০০০) বিশিষ্ট পূর্ণ বয়স্ক মানবে পরিণত হই। এই সম্পূর্ণ বৃদ্ধি কোষচক্র ও তার MITOSIS পদ্ধতির মাধ্যমে হয়।
তবে সমস্ত SOMATIC কোষে (GERM CELL ছাড়া অন্য সমস্ত কোষ),যেমন চামড়া মাংস,অস্থি,সমস্ত অর্গান ইত্যদি MITOSIS পদ্ধতিতে বর্ধিত হয়।(৫)
এবং শুধুমাত্র পুরুষ ও স্ত্রী প্রজনন কোষ গঠনে (GERM CELL) মীওসিস (MEIOSIS) পদ্ধতির ব্যবহার হয়।
এই বিভাজিত CHROMOSOME কে বলা হয় CHROMATID বা SISTER CHROMATID। এই বিভাজিত CHROMATID দ্বয়ের GENETIC
INFORMATION পরশ্পরের মধ্যে এবং PARENT DNA এর GENETIC INFORMATION হুবহু একই থাকে।(১)
বিভাজিত CHROMATID দ্বয় ডিএনএর একটি অংশে COHESIN নামক একটি PROTEIN COMPLEX (৬) এর মাধ্যমে আটকানো থাকে,যাকে বলা হয় CENTROMERE।এই সদ্য জন্মানো CHROMATID গুলীই পরবর্তি বিভাজিত কোষে গিয়ে,পূর্নাঙ্গ CHROMOSOME এ পরিণত হয়।এবং বিভাজিত কোষ গুলীর ও GENETIC INFORMATION পরশ্পর হুবহু একই থাকে।
মনে রাখতে হবে MITOTIC বিভাজনে মাতৃ কোষটি যে ভাবে DIPLOID কোষ ছিল সদ্য বিভাজিত নবীন কোষ ২ টিও ঠিক তদ্রুপ DIPLOID কোষ হয়।
অর্থাৎ PARENT কোষ ও শিশু নবীন কোষে CHROMOSOME এর সংখ্যা ২৩ জোড়াই (জোড়ার একটি পিতৃ হতে আগত ও একটি মাতৃ হতে আগত) থাকে। এই পিতৃ হতে আগত ও একটি মাতৃ হতে আগত CHROMOSOME জোড়াকে HOMOLOGOUS CHROMOSOME বলে।(৮)
কিন্তু পুরুষ প্রজনন কোষ SPERM ও স্ত্রী প্রজনন কোষ OVUM, MEIOSIS পদ্ধতিতে বিভাজনের কারনে DIPLOID কোষ হতে HAPLOID কোষে পরিণত হয়।
অর্থাৎ MEIOTIC বিভাজনের পর প্রতিটা SPERM ও OVUM এ ২৩ জোড়া CHROMOSOME না থেকে,থাকে ২৩ টা CHROSOME। এই কারণে একে HAPLOID CELL বলে।
প্রজনন কোষে HOMOLOGOUS CHROMOSOME এর জোড় থাকেনা।
কিন্তু যদি একটা SPERM একটা OVUM কে FERTILIZED করে, তখন এই FERTILIZED OVUM একটি এক কোষী ZYGOTE এ পরিণত হয়, যাতে পিতা ও মাতা হতে HOMOLOGOUS CHROMOSOME এসে যায় ও এটা একটি DIPLOID কোষে পরিণত হয়ে যায়।(৫)(চিত্র- ৩)
অর্থাত এর মধ্যে পুনরায় ২৩ জোড়া CHROMOSOME এসে যায়।এবং এই এক কোষী ZYGOTE টি কোষ চক্রে এসে MITOSIS পদ্ধতিতে বর্ধিত হতে হতে পূর্নাঙ্গ ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ বিশিষ্ট মানবে পরিণত হয়। এবং এর প্রতিটা কোষের CHROMOSOME ও GENETIC INFORMATION হুবহু একই থাকে।
এ কারণে MITOTIC বিভাজন টি মানব জীবনের বৃদ্ধির একমাত্র পথ, অতএব এটা প্রানীর উপর অত্যধিক গুরুত্ব বহন করে।
মাইটোসিস এর পদ্ধতি-
মাইটোসিস এর পদ্ধতিকে কে ৫ টি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন-
১) প্রোফেজ (PROPHASE) ২)প্রোমেটাফেজ (PROMETAPHASE) ৩) মেটাফেজ (METAPHASE) ৪) এনাফেজ (ANAPHASE) ৫) টেলোফেজ (TELOPHASE)
এর পরের স্তর CYTOKINESIS কে MITOSIS থেকে পৃথক ধরা হয়।
MITOSIS পর্বটি অতিদীর্ঘ হওয়ার কারনে এখানেই এই পর্বের সমাপ্তি করা হইল।
MITOSIS এর স্তর গুলী পরবর্তী পর্বে বর্ণনা করা হইবে।
নীচের ইউ টিউবটায় CELL CYCLE ও MITOSIS কী দেখতে পারেন-
ইউ টিউব- লিংক http://highered.mcgraw-hill.com/sites/0072495855/student_view0/chapter2/animation__how_the_cell_cycle_works.html
পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখতে পারেন- https://chkdr02.wordpress.com/
Edited on-7/10/2015
ষষ্ঠ পর্বের সূত্র সমূহ-
১) http://en.wikipedia.org/wiki/Chromatid
২) http://en.wikipedia.org/wiki/Cytokinesis
৩) http://en.wikipedia.org/wiki/Mitosis
৪) http://en.wikipedia.org/wiki/Walther_Flemming
৫) http://en.wikipedia.org/wiki/Zygote
৬) http://en.wikipedia.org/wiki/Cohesin
৭) http://en.wikipedia.org/wiki/Centrosome
৮) http://en.wikipedia.org/wiki/Homologous_chromosome
চিত্র-১
ছবি-ওয়ালটার ফ্লেমিং (Walther Flemming)- মাইটোসিস পদ্ধতির আবিস্কর্তা।
Source of figure- https://en.wikipedia.org/wiki/Walther_Flemming
মাইটোসিস (MITOSIS)কী?-
মাইটোসিস কোষ চক্রের একটি ক্ষুদ্রাংস এবং কোষ বিভাজনের একটি পদ্ধতির নাম। আর একটা কোষ বিভাজন পদ্ধতির নাম মীওসিস (MEIOSIS)। আগে আলোচনা করা হবে মাইটোসিস সম্পর্কে।
মাইটোসিস আরম্ভ হওয়ার পূর্বে কোষ তার নিউক্লীয়াছের অভ্যন্তরে পিতৃ ও মাতৃ উভয় ক্রোমোজোম কে যাদের একটাকে আর একটার HOMOLOGOUS CHROMOSOME বলা হয়(৮), REPLICATION (৪র্থ পর্ব দ্রষ্টব্য) বা কপি করার পদ্ধতির মাধ্যমে ঠিক একেবারে একই রুপে সমান দুই অংসে বিভাজন করিয়া ফেলে। এই কপিকৃত নবীন CHROMOSOME ও তার মাতৃ CHROMOSOME কে এখন একটাকে আর একটার SISTER CHROMATID বলা হয়। (১) চিত্র-২
Source of figure- https://en.wikipedia.org/wiki/Chromatid
চিত্র-২,
[চিত্র,২ এর বর্ণনা-
চিত্রে (১ চিহ্ন), এটা একটা CHROMATID: কোষ বিভাজনের সময় কপিকৃত CHROMOSOME এর একটা IDENTICAL COPY. একে SISTER CHROMATID বলা হয়। যে স্থানে এরা সংযুক্ত রয়েছে তাকে বলা হয় CENTROMERE (২ চিহ্ন)। MITOSIS এর ANAPHASE সময় কালে যখন এই SISTER CHROMATID গুলী একটা আর আর একটা হতে পৃথক হয়ে যায়, তখন এরা প্রত্যেকে নিজেরাই এক একটা নূতন পৃথক “ DAUGHTER CHROMOSOME” এ পরিণত হয়ে যায়।CENTROMERE ক্রোমাটিড কে দুইটি বাহুতে (ARM) বিভাজন করেছে। একটি SHORT ARM যার নাম ‘P’ ARM, যেটা এখানে বাম CHROMATID এর (৩ চিহ্ন) দ্বারা দেখানো হয়েছে।আর একটা লম্বা বাহু বা LONG ARM যার নাম q ARM যেটা এখানে ডান CHROMATID এ (৪ চিহ্ন) দ্বারা দেখানো হয়েছে । ]
এরপর কোষটি বিভাজিত CHROMOSOME,অতিক্ষুদ্র কোষ একক (ORGANELLE),ছাইটোপ্লাছম.ও কোষ প্রাচীর সহ প্রায় সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি শিশু কোষের জন্ম নেয়।
এই দুইটি শিশু কোষ ও এদের মাতৃ কোষের সম্পূর্ণ GENETIC INFORMATION হুবহু একেবারে একই থাকে।
কোষের প্রাচীর সহ CYTOPLASM বিভাজন হওয়াকে বলা হয় CYTOKYNESIS। এই পদ্ধতিটা হয় বহুকোষী (EUKARYOTIC) প্রাণীর মধ্যে।(২)
MITOSIS ঘটে কোষ চক্রের M PHASE এ। এই PHASE টি পূর্ণ CELL CYCLE (কোষ চক্র) এর ১০% মাত্র। (৩) (কোষ চক্র এর বিস্তারিত বর্ণনা পর্ব ৪ এ দেখুন)
ইউ টিউব টি দেখুন।
মাইটোসিস ও বিবর্তন বাদ:-
বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন, এই ভূমন্ডলে শুধু মাত্র এককোষী প্রাণী (PROKARYOTES) এর অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল এক বিলিয়ন (১,০০০,০০০,০০০) বৎসরের উর্ধকাল যাবৎ।এদের বংশ বিস্তার হয় কোষ সরাসরি বিভাজন (BINARY FISSION) পদ্ধতির মাধ্যমে। এরপর যখন বহু কোষ জাতীয় প্রাণীর (EUKARYOTES)আবির্ভার হতে থাকল তখন এই BINARY FISSION পদ্ধতি রুপান্তরিত হয়ে মাইটোসিস ও মীওসিস পদ্ধতিতে পরিণত হয়ে যায়।
আবিস্কার-
ওয়ালটার ফ্লেমিং (২১ এপ্রিল ১৮৪৩ – ৪ঠা আগষ্ট ১৯০৫ খৃ) একজন জার্মান জীব-বিজ্ঞানী এবং ছাইটোজেনেটিকস (Cytogenetics.)এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। (চিত্র-১)
ছাইটোজেনেটিকস (Cytogenetics.)-জীব বিজ্ঞানের ঐ শাখা কে বলা হয়, যেখানে কোষের নিউক্লীয়াছে অবস্থিত ক্রোমোজোম ও জেনেটিকছ সম্পর্কে আলোচনা করে।
তিনি ১৮৬৮ সনে University of Rostock, হতে মেডিসিনে গ্রাজুয়েসন অর্জন করেন। এর পর তিনি ১৮৭০-১৮৭১ পর্যন্ত ফ্রান্স-রাসিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ১৮৭৩-১৮৭৬ পর্যন্ত University of Prague.এ শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।১৮৭৬ সনে University of Kiel এ এনাটমির প্রফেসর এর পদে যোগদান করেন।সেখানে তিনি এনাটমি ইনসটিটিউটের পরিচালক পদে উন্নীত হয়ে সেখানে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কর্ম রত ছিলেন।
এখানে তিনি কোষের মাইটোসিস বিভাজন সর্ব প্রথম পর্যবেক্ষন ও বিশ্লেষন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তার এই গবেষনার ফলাফল সর্বপ্রথম ১৮৭৮ ও ১৮৮২ সালে Seminal Book Zellsubstanz, Kern und Zelltheilung এ প্রকাশিত হয়েছিল।(৪)
ভ্রুণ বিকাশ ও শিশু বৃদ্ধির সংগে MITOSIS এর সম্পর্ক-
জরায়ূর FALLOPIAN TUBE এ OVUM এর সংগে একটি মাত্র শুক্রকীট সংযুক্ত হয়ে FERTILZED হয়ে এক কোষী ZYGOTE এর সৃষ্টি হয়I (চিত্র-৩)
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/Zygote
চিত্র-৩, এক কোষী ZYGOTE।
এই ZYGOTE নামের এক কোষী প্রাণীটা MITOSIS পদ্ধতিতে বৃদ্ধি হতে হতে, এবং কোষ বিশেষায়িত (CELL DIFFERENTIATION) হওয়ার মধ্য দিয়ে,জরায়ূর মধ্যে শিশু বর্ধিত হতে থাকে। জরাহূতে ৯ মাস ১০ দিন অবস্থানের পর শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। এর পর এই আমরাই ১০০ ট্রিলিয়ন (১০০,০০০,০০০,০০০,০০০) বিশিষ্ট পূর্ণ বয়স্ক মানবে পরিণত হই। এই সম্পূর্ণ বৃদ্ধি কোষচক্র ও তার MITOSIS পদ্ধতির মাধ্যমে হয়।
তবে সমস্ত SOMATIC কোষে (GERM CELL ছাড়া অন্য সমস্ত কোষ),যেমন চামড়া মাংস,অস্থি,সমস্ত অর্গান ইত্যদি MITOSIS পদ্ধতিতে বর্ধিত হয়।(৫)
এবং শুধুমাত্র পুরুষ ও স্ত্রী প্রজনন কোষ গঠনে (GERM CELL) মীওসিস (MEIOSIS) পদ্ধতির ব্যবহার হয়।
এই বিভাজিত CHROMOSOME কে বলা হয় CHROMATID বা SISTER CHROMATID। এই বিভাজিত CHROMATID দ্বয়ের GENETIC
INFORMATION পরশ্পরের মধ্যে এবং PARENT DNA এর GENETIC INFORMATION হুবহু একই থাকে।(১)
বিভাজিত CHROMATID দ্বয় ডিএনএর একটি অংশে COHESIN নামক একটি PROTEIN COMPLEX (৬) এর মাধ্যমে আটকানো থাকে,যাকে বলা হয় CENTROMERE।এই সদ্য জন্মানো CHROMATID গুলীই পরবর্তি বিভাজিত কোষে গিয়ে,পূর্নাঙ্গ CHROMOSOME এ পরিণত হয়।এবং বিভাজিত কোষ গুলীর ও GENETIC INFORMATION পরশ্পর হুবহু একই থাকে।
মনে রাখতে হবে MITOTIC বিভাজনে মাতৃ কোষটি যে ভাবে DIPLOID কোষ ছিল সদ্য বিভাজিত নবীন কোষ ২ টিও ঠিক তদ্রুপ DIPLOID কোষ হয়।
অর্থাৎ PARENT কোষ ও শিশু নবীন কোষে CHROMOSOME এর সংখ্যা ২৩ জোড়াই (জোড়ার একটি পিতৃ হতে আগত ও একটি মাতৃ হতে আগত) থাকে। এই পিতৃ হতে আগত ও একটি মাতৃ হতে আগত CHROMOSOME জোড়াকে HOMOLOGOUS CHROMOSOME বলে।(৮)
কিন্তু পুরুষ প্রজনন কোষ SPERM ও স্ত্রী প্রজনন কোষ OVUM, MEIOSIS পদ্ধতিতে বিভাজনের কারনে DIPLOID কোষ হতে HAPLOID কোষে পরিণত হয়।
অর্থাৎ MEIOTIC বিভাজনের পর প্রতিটা SPERM ও OVUM এ ২৩ জোড়া CHROMOSOME না থেকে,থাকে ২৩ টা CHROSOME। এই কারণে একে HAPLOID CELL বলে।
প্রজনন কোষে HOMOLOGOUS CHROMOSOME এর জোড় থাকেনা।
কিন্তু যদি একটা SPERM একটা OVUM কে FERTILIZED করে, তখন এই FERTILIZED OVUM একটি এক কোষী ZYGOTE এ পরিণত হয়, যাতে পিতা ও মাতা হতে HOMOLOGOUS CHROMOSOME এসে যায় ও এটা একটি DIPLOID কোষে পরিণত হয়ে যায়।(৫)(চিত্র- ৩)
অর্থাত এর মধ্যে পুনরায় ২৩ জোড়া CHROMOSOME এসে যায়।এবং এই এক কোষী ZYGOTE টি কোষ চক্রে এসে MITOSIS পদ্ধতিতে বর্ধিত হতে হতে পূর্নাঙ্গ ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ বিশিষ্ট মানবে পরিণত হয়। এবং এর প্রতিটা কোষের CHROMOSOME ও GENETIC INFORMATION হুবহু একই থাকে।
এ কারণে MITOTIC বিভাজন টি মানব জীবনের বৃদ্ধির একমাত্র পথ, অতএব এটা প্রানীর উপর অত্যধিক গুরুত্ব বহন করে।
মাইটোসিস এর পদ্ধতি-
মাইটোসিস এর পদ্ধতিকে কে ৫ টি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন-
১) প্রোফেজ (PROPHASE) ২)প্রোমেটাফেজ (PROMETAPHASE) ৩) মেটাফেজ (METAPHASE) ৪) এনাফেজ (ANAPHASE) ৫) টেলোফেজ (TELOPHASE)
এর পরের স্তর CYTOKINESIS কে MITOSIS থেকে পৃথক ধরা হয়।
MITOSIS পর্বটি অতিদীর্ঘ হওয়ার কারনে এখানেই এই পর্বের সমাপ্তি করা হইল।
MITOSIS এর স্তর গুলী পরবর্তী পর্বে বর্ণনা করা হইবে।
নীচের ইউ টিউবটায় CELL CYCLE ও MITOSIS কী দেখতে পারেন-
ইউ টিউব- লিংক http://highered.mcgraw-hill.com/sites/0072495855/student_view0/chapter2/animation__how_the_cell_cycle_works.html
পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখতে পারেন- https://chkdr02.wordpress.com/
Edited on-7/10/2015
ষষ্ঠ পর্বের সূত্র সমূহ-
১) http://en.wikipedia.org/wiki/Chromatid
২) http://en.wikipedia.org/wiki/Cytokinesis
৩) http://en.wikipedia.org/wiki/Mitosis
৪) http://en.wikipedia.org/wiki/Walther_Flemming
৫) http://en.wikipedia.org/wiki/Zygote
৬) http://en.wikipedia.org/wiki/Cohesin
৭) http://en.wikipedia.org/wiki/Centrosome
৮) http://en.wikipedia.org/wiki/Homologous_chromosome
পর্ব-৪, ডিএনএ ও মানব দেহের রহস্য, কোষ চক্র কী?DNA REPLICATION, TELOMERE কী?বার্ধক্য কেন আসে? DNA REPLICATION জানবার পূর্বে, কোষের জীবন চক্রটা একটু জানার বিশেষ প্রয়োজন আছে। কারণ?
পর্ব-৪, ডিএনএ ও মানব দেহের রহস্য, কোষ চক্র কী?DNA REPLICATION, TELOMERE কী?বার্ধক্য কেন আসে?
DNA REPLICATION জানবার পূর্বে, কোষের জীবন চক্রটা একটু জানার বিশেষ প্রয়োজন আছে।
কারণ?
কারণ, DNA REPLICATION কোষের জীবন চক্রের বাইরে নয়, বরং এটা প্রতিটা কোষের জীবন চক্রের একটি নির্দিষ্ট সময়ের অংসের কাজ।কাজেই কোষের জীবন চক্রটা জানলেই কোষের অন্যান্য কাজও বুঝতে সহজ হবে।
কোন কিছুর জীবন চক্র তার জন্ম হতে আরম্ভ হয়ে মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত সময়ের ঘটনাবলীকে বুঝায়।আমাদের শরীরের কোষের জীবনচক্র তো আমাদের জীবন চক্রের মত মাত্র একবার জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যদিয়ে হয়না।
কোষের জীবন চক্র ভিন্ন।
তাহলে কী ভাবে হয়?
আমাদের দেহের সর্বপ্রথম ZYGOTE নামক কোষটি মাতৃ জরায়ূতে জন্ম নিয়েছিল(পর্ব ১৪ দেখুন)। এরপর সেই একটি মাত্র কোষ MITOTIC বিভাজনের মধ্য দিয়ে প্রতি ১৫-২০ মিনিটে, ১টি হতে ২টা, ২টা হতে ৪, ৪টা হতে ৮টা, ৮টা হতে ১৬টা, ১৬টা হতে ৩২টা, এভাবে সেই আদি কোষের হুবহু DNA কপি করে করে, DNA ঠিক রেখে তার থেকে জন্ম লওয়া শিশু কোষের মধ্যে DNA পাঠিয়ে দিয়ে, আমাদের পরিপূর্ণ দেহের ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ জন্মিয়েছে।
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/Mitosis
চিত্র-১, কোষের MITOTIC বিভাজন দেখানো হয়েছে।
উপরের চিত্র- ১ এ লক্ষ্য করুন কী ভাবে ১টি কোষ তার DNA হুবহু কপি করে ও সঠিক রেখে ১টি হতে ২টা হয়েছে। এভাবেই আবার এর ২টি হতে একই ভাবে ৪টি হইবে।এভাবেই আমাদের দেহের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ জন্মিয়ে আমাদের দেহকে বর্ধিত করেছে।
(MITOTIC পদ্ধতির বিভাজন কী ভাবে হয় বিস্তারিত জানতে পর্ব ৬ ও ৭ দেখুন, VIDEO, ৫ দেখুন)।
তাহলে কোষের যখন এরুপ অবস্থা, এর মধ্যে আমরা একটি নির্দিষ্ট কোষের জীবন চক্র কোথা হতে কোন পর্যন্ত ধরব?
জী,হা, একটি কোষের জীবনচক্র আমাদের অবশ্যই এঁকে ফেলতে হবে, নইলে আমরা কোষের কোন্ “কাজটি” কখন ঘটাচ্ছে এটা সুনির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করতে পারবনা।
কোষের কোন্ কোন্ “কাজগুলীর” সময় জানতে চাই?
ঐযে,
১)কোষ কখন তার DNA REPLICATION ঘটায়?
২)কোষ কখন তার MITOTIC বিভাজন ঘটিয়ে তার শিশু কোষ উৎপাদন করে দিয়ে নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিয়ে শিশু কোষ রুপে পূনর্জীবন আরম্ভ করে?
৩)কোষের এই ক্ষনিকের জীবন কালে তার নিজস্বও অনেক কাজ থাকে, তাও করতে হয় যেমন, কোষের বৃদ্ধি ঘটাতে হয়, প্রোটীন উৎপাদন করতে হয় (কীভাবে কোষ প্রোটীন উৎপাদন করে, পর্ব-১১ দেখুন)।
একটি কোষকে তার এই জীবন চক্রের মধ্যেই সমগ্র কাজ অবশ্যই সমাধান করতে হবে। এর মধ্যেই MITOTIC বিভাজন ঘটিয়ে তার মধ্য দিয়ে নিজেকে বিলীন করে দিয়ে নবীন কোষের মধ্যে হুবহু DNA পাঠিয়ে দিতে হবে।
আবার নবীন কোষকেও ঠিক একই জীবন চক্রের মধ্যে ঢুকে, এই একই জীবন চক্রকে অতিক্রম করতে হবে। সে পুনরায় নিজেকে বিলীন করে দিয়ে, তার শিশু কোষের মধ্যে MITOTIC বিভাজনের মধ্য দিয়ে DNA পাঠিয়ে দিতে হবে।
এভাবেই কোষ চক্র প্রত্যেক কোষেই আবর্তিত হতে থাকবে ও একই সংগে কোষের বৃদ্ধি ঘটিয়ে শরীর এরও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হতে থাকে।
অতএব বুঝতেই পারতেছেন, DNA REPLICATION, কোষ বিভাজন, শরীর বৃদ্ধি এ সবই কোষ চক্রের মধ্যে একের পর এক পরশ্পর অতি ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত। এর একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটা ঘটতে পারেনা।
এজন্যই, DNA REPLICATION বা কোষ বিভাজন টা বুঝতে গেলে, তার পূর্বেই কোষ চক্র (CELL CYCLE)টা বুঝা একান্ত দরকার।
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/Mitosis
চিত্র-২, এখানে একটি কোষের জীবন চক্র এর ডায়াগ্রাম দেখানো হয়েছে।
উপরে চিত্র- ২ এর কোষ চক্রটির ব্যাখা লক্ষ্য করুন-
১) M PHASE- কোষ চক্রটির এই অবস্থানের সময় সমগ্র চক্রটির মাত্র ১/১০ অংস সময় ব্যবহার করে।কোষ এই অবস্থানে এলেই কোষ বিভাজনের চারটি স্তর, ক)PROPHASE. খ)METAPHAE. গ)ANAPHASE ও ঘ)TELOPHAE এর স্তর গুলী অতিক্রম করে নবীন শিশু কোষ উৎপাদন করে, নিজেকে বিভাজিত করে দিয়ে DNA প্রদান করে(MITOTIC বিভাজনে হুবহু DNA বিতরণ করে, পর্ব ৬,৭ দেখুন, আর MEIOSIS বিভাজনে DNA বিতরণে বিরাট পার্থক্য আছে-পর্ব ৮ ও VIDEO-৬ দেখুন) ২ টি শিশু কোষ জন্ম দেয়। এর পরে মাতৃকোষ এর পৃথক আর কোনই অস্তিত্ব থাকেনা। এই দুইটি শিশু কোষের মধ্যেই মাতৃকোষের হুবহু DNA ও গুনাগুন থেকে যায়। আবার শিশু কোষ দুইটির ও DNA ও গুনাগুন হুবহু একই হয়।
সেক্ষেত্রে মানুষের সন্তানেরা কখনোই পিতৃমাতৃর হুবহু DNA ও গুনাগুন পায়না।এটা SEX কোষের MEIOSIS বিভাজনের কারনে ঘটে, (এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পর্ব ৮ ও VIDEO-৬ দেখুন)
কোষের বাকী ৯০ ভাগ অংসকে INTERPHASE অবস্থান বলে।এর মধ্যে কোষের যাবতীয় কার্য সমাধা করে, সে গুলী হল যেমন-
২)G1 PHASE-এটা কোষের শিশু অবস্থা। শিশুকোষ এই সময় বাড়তে ও পরিপক্ক হতে থাকে, ও কোষের অন্যান্য কাজ ও আরম্ভ করে দেয়।
৩) S PHASE- কোষের এই অবস্থানে আমাদের আলোচ্য বিষয় “DNA REPLICATION” এর কাজ টি সেরে ফেলে, ও কোষ বিভাজনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে।
৪)G2 PHASE- এই অবস্থানে কোষ এসে গেলে, কোষ পূর্ণ মাত্রায় বিভাজনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
এরপর কোষ পুনরায় M PHASE এ গিয়ে একই চক্রের পুনরাবৃতি ঘটাতে থাকে। (VEDIO,1-4 দেখুন)
এখানে জেনে রাখা ভাল, একটা সুস্থ শরীর এর সুস্থ কোষগুলী তার এই কোষচক্রকে সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে চালিয়ে শরীরকে শুস্থ রাখে।
আর যদি কোন কোষ তার এই স্বাভাবিক চক্রটির নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে, তখন কোষটি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অতি দ্রুত গতিতে বিভাজন হয়ে হয়ে টিউমার আকারে বাড়তে থাকে। তখন বলা হয় কোষটি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে গেছে। ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলী ছড়াতে থাকে, আর রোগীর জীবন বিপন্ন হয়ে যায়।
(VIDEO-৭ দেখুন)
তাহলে এখন পরিস্কার হল যে, কোষ তার DNA REPLICATION এর মত এতবড় বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কাজটি তার জীবন চক্রের কোন্ অবস্থানে থাকা কালে ঘটায়?
জী, হ্যাঁ,
কোষ তার এই DNA REPLICATION এর কাজটি S PHASE এ থাকা কালে সম্পন্ন করে ফেলে।এই কাজ টি সম্পন্ন করে কোষ G2 ও M PHASE এ চলে যায়, সেখানে বিভাজনের মাধ্যমে শিশু কোষ জন্ম নেয়। এবং সেই শিশু কোষ ও পুণরায় এই একই চক্র অতিক্রম করতে থাকে।
এবার তাহলে আসুন দেখা যাক কোষ তার DNA REPLICATION বা DNA এর হুবহ কপি কী ভাবে করে।
DNA REPLICATION
যখনই কোষ বিভাজনের সময় হয়ে যায় তার পূর্বেই (কোষ এর জীবন চক্রের S PHASE এ) কোষের নিউক্লীয়াছের অভ্যন্তরে DNA REPLICATION ঘটে। REPLICATION (কপি) করার মাধ্যমে DNA নিজে নিজেই তার উভয় চেইনের প্রত্যেকটির একই রুপের আর একটি চেইন নিউক্লীয়াছের অভ্যন্তরে করে ফেলে।
একই সংগে ২৩ জোড়া DNA কপি করতে হয়।
এরপর এই বিভাজিত DNA নবীন কোষে সমান ভাবে বন্টিত হয়ে যায়।
কিছু বিজ্ঞানীদের মতে এই বন্টন প্রকৃয়া SEMI CONSERVATIVE প্রকৃয়ায় হয়। এর অর্থ হল কপি প্রকৃয়া শেষে উভয় কোষের DNA এর ডবল হেলিক্স এ একটা মুল চেইন ও একটা কপিকৃত চেইন থাকে।
আবার কিছু কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন, একটি কোষে উভয় PARENT DNA STAND ও আর একটি কোষে উভয় নবীন DNA STRAND যায়। একে CONSERVATIVE প্রকৃয়া বলা হয়।(Video-১ ও ৫ দেখুন)
প্রশ্ন করতে পারেন,
কোষ বিভাজনের পূর্বে কেন DNA কে বিভাজনের প্রয়োজন হয়?
জী, হ্যাঁ, কারণ প্রতিটা বিভাজিত নবীন কোষ (Somatic cell-যৌণ কোষ ছাড়া শরীরের অন্য সমস্ত কোষ)এ মাতৃ কোষের হুবহু GENETIC CODE সহ DNA অবশ্যই থাকতে হবে। আর তা থাকতে হলে প্রতিবার কোষ বিভাজনের সময় DNA কেও হুবহু বিভাজন (Replication)হওয়া লাগে।
(SOMATIC CELL এ MITOTIC বিভাজনে হুবহু DNA বিতরণ করে, পর্ব ৬,৭ দেখুন, আর SEX কোষেও MEIOSIS বিভাজনে DNA বিতরণ করে, তবে হুবহু DNA বিতরণ করেনা।বিরাট পার্থক্য আছে-পর্ব ৮ দেখুন)
কারণ একদিকে যেমন, কোন কোষ ই DNA ছাড়া কার্যকরী বা জীবন্ত থাকতে পারেনা ঠিক তদ্রুপ একই শরীরের ভিন্ন ভিন্ন কোষে ভিন্ন রকমের DNA থাকলেও জীবন অচল হয়ে যাবে।শরীর এর সমগ্র কোষের DNA হুবহু একই থাকতে হবে। আর এই কাজটি MITOTIC কোষ বিভাজনের মাধ্যমে হয়।
আরো প্রশ্ন করতে পারেন,
কোষ কেন বিভাজন হয়, বা না হলে ক্ষতি কী?
জী হ্যাঁ, ভাল প্রশ্ন।
এটা বুঝতে হলে আমাদের দেহ গঠনের একেবারে আদিতে চলে যেতে হবে। আমাদের বর্তমান(ধরা যাক ৪০ বৎসর বয়স্ক এক জন ব্যক্তির) এই ৭০ কেজী ওজনের এবং ১০০ ট্রিলিয়ন এর বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম বিশিষ্ট কোষ ধারন কৃত ব্যক্তিটি, ৪০ বৎসর ৯ মাস পূর্বে সর্ব প্রথম কোথায় কী অবস্থায় ছিল? একটু অনুধাবন করুন?
আমাদের প্রত্যেকের এই বিরাট সুন্দর দেহখানা সর্বপ্রথম পিতৃ হতে আগত ২৩ টি ক্রোমোজোম এর একটি অর্ধ SEX কোষ(Haploid) ও মাতৃ হতে আর একটি ২৩ টি ক্রোমোজোম এর অর্ধ SEX কোষ(Haploid) এর সম্মেলনে একটি ৪৬ ক্রোমোজোম বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ (DIPLOID) কোষে পরিণত হয়ে মাতৃ জরায়ুর নালীর AMPULA নামক স্থানে অবস্থান লয়েছিল।
তখন এটি একটি মাত্র কোষ ছিল। এই কোষটির নাম ZYGOTE.
এই এখনকার এই আমরা প্রত্যেকেই তখন এই এক কোষ বিশিষ্ট ZYGOTE আকারে ছিলাম। সেই একটি মাত্র অতি ক্ষুদ্র কোষের মধ্যেই এই এতবড় আমাদের সবকিছুই শুপ্ত আকারে বিদ্যমান ছিল। আমাদের তখন কিছুই ছিলনা, একমাত্র পিতৃ-মাতৃ হতে প্রাপ্ত ২৩+২৩=৪৬ টা ক্রোমোজোম সম্পদ ছাড়া।
এরপর কী ঘটল?
এরপর এই ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম ঐ একটি মাত্র কোষকে MITOTIC পদ্ধতিতে বিভাজন আরম্ভ করতে থাকল।
আর ঐ একটি মাত্র কোষ এর বিভাজন ও যথাযথ বৃদ্ধির ফল স্বরুপ আজ এই আমরা ৭০ কেজী ওজনের ও ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মানব আকারে বর্ধিত হয়েছি।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে ১৪ তম পর্ব পড়ে দেখুন।
এই কোষ বিভাজন কখন হতে কখন পর্যন্ত চলে?
–একেবারে সেই এক কোষী ZYGOTE থেকে আরম্ভ করে মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত চলে।
তাহলে এভাবে এ যাবৎকাল কতবার বিভাজন হয়?
–তা ধরুন অন্তত প্রায় ১০ হাজার ট্রিলিয়ন বার বিভাজন হওয়া লাগে। (VIDEO 3,5 দেখুন)
অন্য ভাবে বলা যায়, কোষ বিভাজনের মাধ্যমেই আমাদের অস্তিত্বের সৃষ্টি ও অস্তিত্বের রক্ষাও হয়।
এছাড়াও কোষ বিভাজনের আরো কাজ আছে, যেমন আমাদের শরীরের কোথাও কেটে ছিড়ে গেলে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে সেখানে মেরামত করা হয়। লিভার এর কিয়দংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে কোষ বিভাজনের দ্বারা মেরামত করে ফেলে।
কোষ বিভাজনের মাধ্যমে শরীর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে, তা হল,
শরীরে যখন কোন জীবানু শত্রু ঢুকে পড়ে, তখন শরীর এর রক্তের প্রতিরক্ষা বাহিনীর শ্বেত কনিকা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের সংগে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে শরীরকে রক্ষা করার চেষ্টা চালায়।
এই কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে থাকে, তা হল এই, শত্রুকে সহজে পরাজিত করার লক্ষে কিছু কিছু শ্বেত কনিকা দ্রুত বিভাজনের মাধ্যমে একই রুপের অসংখ্য শ্বেত কনিকা বা সৈনিক কোষ উৎপাদন করে ফেলে। একে PROLIFERATION বলে। এভাবে একটি B কোষ PROLIFERATE করে অসংখ্য PLASMA কোষ উৎপন্ন করে, এবং তারা জীবানুর বিরুদ্ধে অসংখ্য ANTIBODY ছড়িয়ে জীবানুকে ধংশ করতে থাকে।
অবশ্য জীবানুরাও শরীরে দ্রুত সংখ্যায় বিস্তার লাভ করতে থাকে।
(এ ব্যাপারে ৪৬ ও ৪৭ পর্বে বিস্তারিত দেখুন)।
আমরা মানব সৈনিকরা কিন্তু কখনো এভাবে একজন সৈনিক হতে একাধিক বা শত শত সৈনিকে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখিনা, কিন্তু কোষ এ ক্ষমতা রাখে।
তা হলে আশা করি এবার বুঝতে সক্ষম হয়েছেন কোষ কেন বিভাজিত হয় ও এর গুরুত্ব কত বেশী।
অন্য ভাবে বলা যায় কোষ বিভাজনের মধ্য দিয়েই আমাদের সৃষ্টি।
DNA REPLICATION
তাহলে এবার দেখুন DNA, একদল প্রোটীন ও এনজাইম এর সমন্বীত কর্ম তৎপরতায় কীভাবে কপি ও বিভাজিত হয়, যাকে REPLICATION বলা হয়।
REPLICATION আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই কিছু সংখ্যক প্রোটীন ও এনজাইম কোষের NUCLEUS এর মধ্যে DNA এর পার্শে এসে জড় হয়ে দাড়িয়ে যায়। এরা তখন নিউক্লীয়াসটার অভ্যন্তরে একটা পূর্ণ মাত্রার ফ্যাক্টরীর মত অত্যন্ত সুশৃংখল, সুনিয়ন্ত্রিত, ও সুসমন্বীত ভাবে DNA এর উপর অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল প্রকারের কাজ কাম আরম্ভ করে দেয়।
আর যদি এই সময়ে কোন কারনে, ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটে যায়, এবং তা যদি হয় বিশেষ করে SEX কোষে বা শিশুটির মাতৃগর্ভে শরীর গঠন কালে, তাহলে শিশুটির উপর চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে, এমনকি এই ত্রুটি বংশ পরম্পরাও চলতে থাকে যদি এই ত্রুটি SEX কোষে ঘটে।
ফলশ্রুতিতে বিকলাঙ্গ,পাগল,ক্যান্সার,ডায়বেটিস সহ অসংখ্য প্রকারের জটিল রোগ গ্রস্থ শিশু জন্মাবে।
এবার তাহলে আসুন দেখা যাক এই সমস্ত প্রোটীন ও এনজাইম গুলী কী ভাবে সমন্বীত ভাবে কাজ চালিয়ে এই দুরুহ কার্য সম্পাদন করে।
যেভাবে এরা কাজ করে DNA REPLICATION ঘটায়।
শিশু হবু ডিএনএর একটি চেইনে DNA POLYMERASE নামক একটি প্রোটীন এনজাইম এই কাজটি এক নাগাড়ে সেরে ফেলে। এই চেইনটিকে বলা হয় LEADING STRAND।
অন্য হবু চেইনটিতে DNA POLYMERASE এভাবে এক নাগাড়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনা।
সেখানে কাজটি খন্ড খন্ড ভাবে করতে হয়। এই চেইনটিকে বলা হয় LAGGING STRAND।
মনে রাখতে হবে-
DNA POLYMERASE, DNA CHAIN এর কোনো প্রান্ত থেকে কাজ আরম্ভ করেনা বরং আরম্ভ করে মাঝখান থেকে।
দুইটি চেইনে একই সংগে বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন DNA POLYMERASE কাজ করে করে REPLICATION করতে থাকে।
উভয় DNA POLYMERASE শিশু হবু সম্পূরক চেইনের একমাত্র 5’ T0 3’ PRIME প্রান্ত অভিমুখে কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম।এর বিপরীত অর্থাৎ 3’ To 5’ PRIME প্রান্ত এর দিকে কখনোই কাজ চালাতে সক্ষম নয়।
যেহেতু হবু শিশু চেইনের LEADING চেইনটিতে 5’ T0 3’ PRIME এর অভিমুখ ও DNA FORK এর অগ্রসর হওয়ার অভিমুখ একই দিকে থাকে এই কারনে DNA পলিমারেজ এখানে এক নাগাড়ে 5’ T0 3’ PRIME এর অভিমুখে CONTINUOUS পদ্ধতিতে REPLICATION এর কাজটি চালিয়ে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়।
কারণ LEADING CHAIN এ DNA FORK, DNA CHAIN কে খুলে খুলে 3’ PRIME প্রান্তের দিকে অগ্রসর হতে থাকে আর এদিকে DNA POLYMERASE ও DNA কপি করতে করতে একই দিকে অর্থাৎ 3’ PRIME প্রান্তের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
অপরপক্ষে হবু চেইনের LAGGING চেইনটিতে 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখ, DNA FORK এর অগ্রসর হওয়ার অভিমুখ, বিপরীতমুখী হয়। এ কারণে DNA POLYMERASE কে উল্টা মুখী হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে খন্ডাংস DNA তৈরী করে করে 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখে পিছন মুখী সেজে অগ্রসর হতে হয়। চিত্র-৩,৪ দেখুন,ভিডিও ১-৪ দেখুন।)(২)
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication
চিত্র- ৩ DNA Fork
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication
চিত্র- ৪ DNA REPLICATION
অর্থাৎ একটি ডিএনএ খন্ডাংস 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখে উৎপন্ন করে ,পলিমারেজকে উক্ত খন্ডাংশের পিছনের দিকে ,যেদিকে 5’ PRIME প্রান্ত ও DNA FORK অবস্থান করছে, চলে আসতে হয়। সেখানকার আর একটা RNA PRIMER এর 3’ PRIME এর OH গ্রুপ- প্রান্ত হতে আর একটি ডিএনএ খন্ডাংস তৈরী করে যার অভিমুখ হয় পূর্ববর্তি DNA খন্ডাংসের দিকে, যেটা 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখি,ও DNA FORK অগসর হওয়ার বিপরীত অভিমুখে হয়,এমন আর এক খন্ড ডিএনএ উৎপন্ন করে।
পুনরায়,DNA POLYMERASE ঠিক একই কাজ পিছনের দিকে ,যেদিকে 5’ PRIME প্রান্ত ও DNA FORK অবস্থান করছে, সেখান কার আর একটি RNA PRIMER এর 3’ PRIME প্রান্ত এর OH গ্রুপ হতে আর একটি ডিএনএ খন্ডাংস তৈরী করে, যার অভিমুখ হয় পূর্ববর্তি DNA খন্ডাংসের দিকে, অর্থাৎ 5’ T0 3’ PRIME এর অভিমুখ,ও DNA FORK এর অগ্রসর হওয়ার বিপরীত অভিমুখে।
এভাবে LAGGING চেইনে উল্টা মুখী,কিন্তু ডিএনএ খন্ডাংসের মুখ 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখী হয়ে, কাজ চালিয়ে চালিয়ে LAGGING চেইনের 5’ PRIME প্রান্ত এর দিকে, ও DNA FORK এর মুখ খুলার অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকে। (২)
মনে রাখতে হবে, উভয় শিশু চেইনটির 5’ -3’ PRIME প্রান্তের দিক তাদের PARENT CHAIN এর 5’ -3’ PRIME প্রান্তের দিকের বিপরীতে থাকে এবং কপি হওয়ার সময় শিশু চেইনের 5’ -3’ এর দিককেই হিসাবে গন্য করিয়া 5’ হতে 3’ PRIME এর দিকে কপি কাজ চলে।
যেহেতু চেইন দুইটি ANTIPARALLEL একারনে উভয়ের কাজের দিক ও এভাবে বিপরীত মুখী হতে হয়।এবং যেহেতু LAGGING চেইনে DNA FORK এর মুখ 5’ PRIME প্রান্তের দিকে থাকে একারনে এক নাগাড়ে সম্পন্ন করতে পারেনা।
ORIGIN- যে স্থান হতে DNA REPLICATION সূচনা হয় তাহার নাম ORIGIN।আমরা জানি A-T জোড় মাত্র ২টা হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা সংযুক্ত হওয়ার কারনে G-C জোড় অপেক্ষা দুর্বল,কারন G-C জোড় ৩টা হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা সংযুক্ত। আর এ কারনে এই ORIGIN এ বেশী পরিমান
A-T জোড় বিদ্যমান থাকে। কারণ দুর্বল সংযোগ পৃথক করতে সহজ হয়।
HELICASE নামক একটি ৬ প্রোটীন বিশিষ্ট এনজাইম DNA এর দুইটি চেইনকে পৃথক করে ফেলে।এবং TOPOISOMERASE নামক আর একটি প্রোটীন দুইটি চেইনের পেঁচ খুলে চেইন দুটিকে সোজা করিয়া ধরিয়া রাখে।(চিত্র-৩,৪)
এই পৃথক কৃত মুল চেইন দুইটি হবু ডিএনএ কপির জন্য TEMPLATE বা মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
SINGLE STRAND BINDING PROTEIN নামে এক ধরনের প্রোটীন এসে পৃথক হওয়া চেইন দুইটিকে পুনরেকত্রিত হতে বাধা দিয়ে প্রত্যেকটিকে পৃথক পৃথক ভাবে একটু ফাক করিয়া ধরিয়া রাখে।DNA POLYMERASE ডিএনএ NUCLEOTIDE উৎপন্ন আরম্ভ করিয়া পূর্ণ চেইন তৈরী করিতে থাকিলে তখন এদের আর প্রয়োজন না থাকায় এরা একটার পর একটা সরে যেতে থাকে।
যেহেতু DNA POLYMERASE নূতন কপিকৃত চেইনে নিজে নিজেই DNA NUCLEOTIDE SYNTHESIS আরম্ভ করিতে পারেনা,
এ কারনে প্রথমে RNA প্রাইমেজ নামক একটি এনজাইম এসে ৬০টি RNA NUCLEOTIDE বিশিষ্ট একটি ডিএনএ চেইন এর খন্ডাংস উৎপন্ন করে দেয়। এর নাম RNA PRIMER। এবার DNA POLYMERASE এসে RNA PRIMER এর 3’ PRIME এর OH গ্রুপ হতে, শিশু চেইনটির 5’-3’ PRIME অভিমুখে, ডিএনএ NUCLEOTIDE উৎপন্ন করতে করতে অগ্রসর হয়ে যায়। মানুষের ক্ষেত্রে DNA POLYMERASE প্রতি সেকেন্ডে ৮০ টি NUCLEOTIDE উৎপন্ন করতে পারে।
SLIDING CLAMP নামে একটি প্রোটীন DNA POLYMERASE কে কাজ সম্পাদনের জন্য চেইন বরাবর সম্মুখ দিকে ঠেলে অগ্রসর করিয়ে নিতে থাকে।
ডিএনএর LEADING চেইন এ DNA POLYMERASE এই কাজটি এভাবে এক নাগাড়ে করে ফেলে। এজন্য একে CONTINUOUS WORK বলে।
অন্য চেইনটিতে(LAGGING STRAND) DNA POLYMERASE এভাবে এক নাগাড়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনা।কেন পারেনা তা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে DNA POLYMERASE কে এই কাজটি খন্ড খন্ড ভাবে করতে হয়। এজন্য একে DISCONTINUOUS WORK বলে।
সেখানে প্রথমে প্রারম্ভিক জায়গায় RNA PRIMASE এনজাইম RNA PRIMER সংযোগ করিয়া একটি DNA খন্ডাংস তৈরী করে দেয়। এর পর আরো ফাকা জায়গায় এভাবে আরো RNA PRIMER স্থাপন করিয়া খন্ড খন্ড DNA চেইন তৈরী করে ফেলে।
এবার DNA POLYMERASE এসে RNA PRIMER এর 3’ PRIME এর OH প্রান্ত থেকে আরম্ভ করিয়া শিশু চেইন এর 5” To 3’ PRIME প্রান্ত অভিমুখে কিন্তু DNA FORK এর বিপরীত অভিমুখে কাজ চালিয়ে একটার পর একটা ফাঁকা জায়গায় DNA NUCLEOTIDE উৎপন্ন করে DNA CHAIN এর খন্ড খন্ড অংশ তৈরী করে ফেলে।
নবীন এই কপিকৃত চেইন এখনো মূল চেইন এর সম্পূরক চেইনে পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয় নাই, কারণ এতে এখনো RNA PRIMER স্থাপিত রয়ে গেছে।
এখন প্রয়োজন এই RNA PRIMER কে দুরীভূত করার। কে এই কাজ করিবে?
এই কাজ করার জন্য এরপর RNase H নামে একটি ENZYME এসে RNA PRIMER গুলীর SUGAR RIBOSE এর সংগে সংযুক্ত ফসফেট দ্বয়ের বন্ড (DIESTER BOND) এর উপর HYDROLIZING REACTION এর মাধ্যমে, RNA PRIMER কে মুছে ফেলে।
এই অবস্থায় এই নবীন চেইনটিতে DNA POLYMERASE এর ইতিপূর্বেই নিজস্ব তৈরী ফাকা ফাকা খন্ড খন্ড চেইনের অংশ দৃশ্যমান হয়।
DNA CHAIN এর এই ফাকা ফাকা খন্ডাংস গুলীকে বলা হয় OKAZAKI FRAGMENT ।চিত্র-৪)
এবার DNA POLYMERASE এই OKAZAKI FRAGMENT এর প্রত্যেকটির 3’ PRIME এর প্রান্তের OH গ্রুপ হতে আরম্ভ করিয়া এবং শিশু চেইনের 5’ To 3’ PRIME অভিমুখে কাজ চালিয়ে DNA NUCLEOTIDE উৎপন্ন করিয়া দুই OKAZAKI FRAGMENT এর মধ্যে অবস্থিত ফাকা জায়গা গুলী একটার পর একটা পুরন করতে থাকে। একটা অংসের কাজ সম্পন্ন হলে সামনে এগিয়ে গিয়ে আর একটা অংশকে ধরে। সেইটা শেষ হলে সামনে আর একটা ধরে।
এভাবে DNA POLYMERASE , LAGGING CHAIN এর উপর 5’ To 3’ PRIME অভিমুখে কিন্তু DNA FORK এর বিপরীত অভিমুখে DISCONTNUE পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে চালিয়ে কাজটি সমপন্ন করে নূতন কপি কৃত সম্পূরক চেইনটি তৈরী করে ফেলে।
এর পরেও দুটি খন্ডাংসের জোড়ানো জায়গায় কিছুটা ফাঁকা থেকেই যায়।
BACK BONE এর এই জোড়ার ফাকা বন্ধ করতে DNA LIGASE নামক একটি এনজাইম এসে এই ফাঁকা স্থানগুলী ATP বা NAD REACTION এর মাধ্যমে ফছফেট অনু যোগ করিয়া পূরন করিয়া দেয়।
REPLICATION FORK বলা হয় যে স্থানে DNA চেইন দুইটি ক্রমান্বয়ে পৃথক হইতে হইতে ও কাজ চালাতে চালাতে অগ্রসর হয়ে যেতে থাকে।উভয় দিকেই REPLICATION FORK থাকে।(চিত্র-৩)
DNA REPLICATION এর সংগে TELOMERE এর সম্পর্ক,বার্ধক্য কেন আসে?
লক্ষ করেছেন, DNA POLYMERASE, কপি করার সময় RNA PRIMER স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত নিজে নিজে কপি করে DNA উৎপাদন করতে পারেনা। RNA PRIMER স্থাপিত হলে তার প্রান্ত থেকে DNA POLYMERASE, DNA কপি করতে সক্ষম হয়।
যার ফলে সর্বশেষে অবস্থিত RNA PRIMER টা যে জায়গায় অবস্থিত ছিল সেই জায়গাটা কপি হতে বাদ থেকে যায়, কারন ঐ জায়গাটুকু কপি করতে গেলে তার পিছনে আর একটা RNA PRIMER থাকার প্রয়োজন হয়, যার পিছন থেকে ঐ জায়গা টুকু কপি করার দরকার হয়। কিন্তু তার পিছনে তো আর RNA PRIMER অবস্থান করার জায়গাই নাই, তাই কী করে থাকবে এবং ঐ জায়গা টুকু কপি করবে?
অতএব প্রতিবারই কপিকৃত DNA তে মূল DNA এর প্রান্তের কিয়দাংশ বাদ থেকে যায়। এভাবে প্রতিবার কপি হওয়ার ফলে প্রতিবার শিশু কোষ এর DNA ক্রমান্বয়ে আকৃতিতে ছোট হতে থাকে। মারাত্মক ব্যাপার বটে!!
একারনে DNA STRAND এর প্রান্তে থাকে বেশ কিছু GENETIC কোড বিহিন সাধারন BASE PAIR, যাকে TELOMERE বলে।
কাজেই এই ঘাটতিটার আঘাত পথম দিকে এই GENETIC কোড বিহিন TELOMERE এর উপর দিয়ে যেতে থাকে, যাতে এই ঘাটতির আঘাতটা DNA এর মূল GENETIC কোড এর উপর না লাগে । তাতে প্রথম জীবনের দিকে আমাদের কোন অসুবিধা মনে হয়না, কারণ এই TELOMERE এ তো কোন GENETIC CODE থাকেনা ও এটা হারালেও আমাদের শারীরিক কাজেরও কোন বিঘ্ন ঘটেনা।
বলা নিশ্প্রয়োজন, এই TELOMERE ঘাটতির মাধ্যমেই আমাদের বার্ধক্য আসতে থাকে।
যত বয়স বৃদ্ধি হতে থাকে ততই TELOMERE কমতে থাকে। এরপর অধিক বয়োবৃদ্ধির কারনে এক পর্যায়ে এসে এই TELOMERE একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়, তখন এই ঘাটতিটা DNA এর মূল GENETIC কোড এর উপর দিয়ে যাওয়া আরম্ভ করে।
এই বার আমরা এখন থেকে শরীর এর ঘাটতি অনুভব করা আরম্ভ করি।কারণ এখন আমাদের DNA এর TELOMERE খরচ হয়ে গিয়ে DNA এর মূল জায়গায় ক্রমান্বয়ে আঘাত পড়া আরম্ভ হয়ে গিয়েছে।
এই বার আমরা মারত্মক বিপদ গ্রস্থ।কারণ এখন থেকে আমাদের জীবন এর মূল চাবী কাঠি GENETIC CODE বা GENE এর উপর সরাসরি আঘাত পড়তে থাকে।
বয়স আরো যত বাড়তে থাকে, যেমন, ৪০>৫০>৬০>৭০>৮০>৯০>১০০ আমাদের DNA এর মূল অংশে ততই ঘাটতি ও আঘাত আসতে থাকে, আর আমরা ততই বার্ধক্য অনুভব করতে ও বার্ধক্য জনক সমস্যায় ভুগতে আরম্ভ করি।
অন্য ভাবে বলা যায় আমরা যৌবন হারাই কেন? কারণ আমাদের শরীর এর কোষ তার প্রতি বিভাজনে DNA এর প্রান্তের TELOMERE হারায়।
কপিকৃত কোষে এভাবে DNA এর মূল GENETIC CODE কমা আরম্ভ করলে বৃদ্ধ বয়সে কোন এক পর্যায়ে কোষ গুলী নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বড় বড় ব্যাধি যেমন, CANCER, ALZHEIMER’S, MULTIPLE SCLEROSIS নামক নানাবিধ জটিল নিরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিতে থাকে। তখন আর জীবন চলা সম্ভব হয়না।
এই TELOMERE কে রক্ষার জন্য এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীগন তেমন কিছু অবদান রাখতে পারেন নাই। তবে বর্তমানে এটা বিজ্ঞানীদের একটা গুরুত্বপূর্ণ কর্মক্ষেত্র হিসাবে রয়েছে।
হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীগন TELOMERASE ACTIVATOR জাতীয় কোন রাসায়নিক পদার্থ আবিস্কার করিয়া TELOMERE এর ক্ষয় রোধ করে ফেলবে এবং আমাদের এই অতি ক্ষণস্থায়ী যৌবনকে হাজার হাজার বৎসর পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী করতে সক্ষম হবেন।
মানব দেহের রহস্য জানতে সংগে থাকুন।
TELOMERE সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পর্ব-৫ পড়ুন।
অন্যান্য পর্ব গুলী এখানে দেখুন- https://chkdr02.wordpress.com/
Edited on-6/25/2015
ভিডিও লিংক-
চতুর্থ পর্বের সূত্র সমূহ–
1) CELL CYCLE, MITOSIS
https://en.wikipedia.org/wiki/Mitosis
2) DNA REPLICATION
https://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication
DNA REPLICATION জানবার পূর্বে, কোষের জীবন চক্রটা একটু জানার বিশেষ প্রয়োজন আছে।
কারণ?
কারণ, DNA REPLICATION কোষের জীবন চক্রের বাইরে নয়, বরং এটা প্রতিটা কোষের জীবন চক্রের একটি নির্দিষ্ট সময়ের অংসের কাজ।কাজেই কোষের জীবন চক্রটা জানলেই কোষের অন্যান্য কাজও বুঝতে সহজ হবে।
কোন কিছুর জীবন চক্র তার জন্ম হতে আরম্ভ হয়ে মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত সময়ের ঘটনাবলীকে বুঝায়।আমাদের শরীরের কোষের জীবনচক্র তো আমাদের জীবন চক্রের মত মাত্র একবার জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যদিয়ে হয়না।
কোষের জীবন চক্র ভিন্ন।
তাহলে কী ভাবে হয়?
আমাদের দেহের সর্বপ্রথম ZYGOTE নামক কোষটি মাতৃ জরায়ূতে জন্ম নিয়েছিল(পর্ব ১৪ দেখুন)। এরপর সেই একটি মাত্র কোষ MITOTIC বিভাজনের মধ্য দিয়ে প্রতি ১৫-২০ মিনিটে, ১টি হতে ২টা, ২টা হতে ৪, ৪টা হতে ৮টা, ৮টা হতে ১৬টা, ১৬টা হতে ৩২টা, এভাবে সেই আদি কোষের হুবহু DNA কপি করে করে, DNA ঠিক রেখে তার থেকে জন্ম লওয়া শিশু কোষের মধ্যে DNA পাঠিয়ে দিয়ে, আমাদের পরিপূর্ণ দেহের ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ জন্মিয়েছে।
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/Mitosis
চিত্র-১, কোষের MITOTIC বিভাজন দেখানো হয়েছে।
উপরের চিত্র- ১ এ লক্ষ্য করুন কী ভাবে ১টি কোষ তার DNA হুবহু কপি করে ও সঠিক রেখে ১টি হতে ২টা হয়েছে। এভাবেই আবার এর ২টি হতে একই ভাবে ৪টি হইবে।এভাবেই আমাদের দেহের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ জন্মিয়ে আমাদের দেহকে বর্ধিত করেছে।
(MITOTIC পদ্ধতির বিভাজন কী ভাবে হয় বিস্তারিত জানতে পর্ব ৬ ও ৭ দেখুন, VIDEO, ৫ দেখুন)।
তাহলে কোষের যখন এরুপ অবস্থা, এর মধ্যে আমরা একটি নির্দিষ্ট কোষের জীবন চক্র কোথা হতে কোন পর্যন্ত ধরব?
জী,হা, একটি কোষের জীবনচক্র আমাদের অবশ্যই এঁকে ফেলতে হবে, নইলে আমরা কোষের কোন্ “কাজটি” কখন ঘটাচ্ছে এটা সুনির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করতে পারবনা।
কোষের কোন্ কোন্ “কাজগুলীর” সময় জানতে চাই?
ঐযে,
১)কোষ কখন তার DNA REPLICATION ঘটায়?
২)কোষ কখন তার MITOTIC বিভাজন ঘটিয়ে তার শিশু কোষ উৎপাদন করে দিয়ে নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিয়ে শিশু কোষ রুপে পূনর্জীবন আরম্ভ করে?
৩)কোষের এই ক্ষনিকের জীবন কালে তার নিজস্বও অনেক কাজ থাকে, তাও করতে হয় যেমন, কোষের বৃদ্ধি ঘটাতে হয়, প্রোটীন উৎপাদন করতে হয় (কীভাবে কোষ প্রোটীন উৎপাদন করে, পর্ব-১১ দেখুন)।
একটি কোষকে তার এই জীবন চক্রের মধ্যেই সমগ্র কাজ অবশ্যই সমাধান করতে হবে। এর মধ্যেই MITOTIC বিভাজন ঘটিয়ে তার মধ্য দিয়ে নিজেকে বিলীন করে দিয়ে নবীন কোষের মধ্যে হুবহু DNA পাঠিয়ে দিতে হবে।
আবার নবীন কোষকেও ঠিক একই জীবন চক্রের মধ্যে ঢুকে, এই একই জীবন চক্রকে অতিক্রম করতে হবে। সে পুনরায় নিজেকে বিলীন করে দিয়ে, তার শিশু কোষের মধ্যে MITOTIC বিভাজনের মধ্য দিয়ে DNA পাঠিয়ে দিতে হবে।
এভাবেই কোষ চক্র প্রত্যেক কোষেই আবর্তিত হতে থাকবে ও একই সংগে কোষের বৃদ্ধি ঘটিয়ে শরীর এরও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হতে থাকে।
অতএব বুঝতেই পারতেছেন, DNA REPLICATION, কোষ বিভাজন, শরীর বৃদ্ধি এ সবই কোষ চক্রের মধ্যে একের পর এক পরশ্পর অতি ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত। এর একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটা ঘটতে পারেনা।
এজন্যই, DNA REPLICATION বা কোষ বিভাজন টা বুঝতে গেলে, তার পূর্বেই কোষ চক্র (CELL CYCLE)টা বুঝা একান্ত দরকার।
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/Mitosis
চিত্র-২, এখানে একটি কোষের জীবন চক্র এর ডায়াগ্রাম দেখানো হয়েছে।
উপরে চিত্র- ২ এর কোষ চক্রটির ব্যাখা লক্ষ্য করুন-
১) M PHASE- কোষ চক্রটির এই অবস্থানের সময় সমগ্র চক্রটির মাত্র ১/১০ অংস সময় ব্যবহার করে।কোষ এই অবস্থানে এলেই কোষ বিভাজনের চারটি স্তর, ক)PROPHASE. খ)METAPHAE. গ)ANAPHASE ও ঘ)TELOPHAE এর স্তর গুলী অতিক্রম করে নবীন শিশু কোষ উৎপাদন করে, নিজেকে বিভাজিত করে দিয়ে DNA প্রদান করে(MITOTIC বিভাজনে হুবহু DNA বিতরণ করে, পর্ব ৬,৭ দেখুন, আর MEIOSIS বিভাজনে DNA বিতরণে বিরাট পার্থক্য আছে-পর্ব ৮ ও VIDEO-৬ দেখুন) ২ টি শিশু কোষ জন্ম দেয়। এর পরে মাতৃকোষ এর পৃথক আর কোনই অস্তিত্ব থাকেনা। এই দুইটি শিশু কোষের মধ্যেই মাতৃকোষের হুবহু DNA ও গুনাগুন থেকে যায়। আবার শিশু কোষ দুইটির ও DNA ও গুনাগুন হুবহু একই হয়।
সেক্ষেত্রে মানুষের সন্তানেরা কখনোই পিতৃমাতৃর হুবহু DNA ও গুনাগুন পায়না।এটা SEX কোষের MEIOSIS বিভাজনের কারনে ঘটে, (এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পর্ব ৮ ও VIDEO-৬ দেখুন)
কোষের বাকী ৯০ ভাগ অংসকে INTERPHASE অবস্থান বলে।এর মধ্যে কোষের যাবতীয় কার্য সমাধা করে, সে গুলী হল যেমন-
২)G1 PHASE-এটা কোষের শিশু অবস্থা। শিশুকোষ এই সময় বাড়তে ও পরিপক্ক হতে থাকে, ও কোষের অন্যান্য কাজ ও আরম্ভ করে দেয়।
৩) S PHASE- কোষের এই অবস্থানে আমাদের আলোচ্য বিষয় “DNA REPLICATION” এর কাজ টি সেরে ফেলে, ও কোষ বিভাজনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে।
৪)G2 PHASE- এই অবস্থানে কোষ এসে গেলে, কোষ পূর্ণ মাত্রায় বিভাজনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
এরপর কোষ পুনরায় M PHASE এ গিয়ে একই চক্রের পুনরাবৃতি ঘটাতে থাকে। (VEDIO,1-4 দেখুন)
এখানে জেনে রাখা ভাল, একটা সুস্থ শরীর এর সুস্থ কোষগুলী তার এই কোষচক্রকে সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে চালিয়ে শরীরকে শুস্থ রাখে।
আর যদি কোন কোষ তার এই স্বাভাবিক চক্রটির নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে, তখন কোষটি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অতি দ্রুত গতিতে বিভাজন হয়ে হয়ে টিউমার আকারে বাড়তে থাকে। তখন বলা হয় কোষটি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে গেছে। ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলী ছড়াতে থাকে, আর রোগীর জীবন বিপন্ন হয়ে যায়।
(VIDEO-৭ দেখুন)
তাহলে এখন পরিস্কার হল যে, কোষ তার DNA REPLICATION এর মত এতবড় বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কাজটি তার জীবন চক্রের কোন্ অবস্থানে থাকা কালে ঘটায়?
জী, হ্যাঁ,
কোষ তার এই DNA REPLICATION এর কাজটি S PHASE এ থাকা কালে সম্পন্ন করে ফেলে।এই কাজ টি সম্পন্ন করে কোষ G2 ও M PHASE এ চলে যায়, সেখানে বিভাজনের মাধ্যমে শিশু কোষ জন্ম নেয়। এবং সেই শিশু কোষ ও পুণরায় এই একই চক্র অতিক্রম করতে থাকে।
এবার তাহলে আসুন দেখা যাক কোষ তার DNA REPLICATION বা DNA এর হুবহ কপি কী ভাবে করে।
DNA REPLICATION
যখনই কোষ বিভাজনের সময় হয়ে যায় তার পূর্বেই (কোষ এর জীবন চক্রের S PHASE এ) কোষের নিউক্লীয়াছের অভ্যন্তরে DNA REPLICATION ঘটে। REPLICATION (কপি) করার মাধ্যমে DNA নিজে নিজেই তার উভয় চেইনের প্রত্যেকটির একই রুপের আর একটি চেইন নিউক্লীয়াছের অভ্যন্তরে করে ফেলে।
একই সংগে ২৩ জোড়া DNA কপি করতে হয়।
এরপর এই বিভাজিত DNA নবীন কোষে সমান ভাবে বন্টিত হয়ে যায়।
কিছু বিজ্ঞানীদের মতে এই বন্টন প্রকৃয়া SEMI CONSERVATIVE প্রকৃয়ায় হয়। এর অর্থ হল কপি প্রকৃয়া শেষে উভয় কোষের DNA এর ডবল হেলিক্স এ একটা মুল চেইন ও একটা কপিকৃত চেইন থাকে।
আবার কিছু কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন, একটি কোষে উভয় PARENT DNA STAND ও আর একটি কোষে উভয় নবীন DNA STRAND যায়। একে CONSERVATIVE প্রকৃয়া বলা হয়।(Video-১ ও ৫ দেখুন)
প্রশ্ন করতে পারেন,
কোষ বিভাজনের পূর্বে কেন DNA কে বিভাজনের প্রয়োজন হয়?
জী, হ্যাঁ, কারণ প্রতিটা বিভাজিত নবীন কোষ (Somatic cell-যৌণ কোষ ছাড়া শরীরের অন্য সমস্ত কোষ)এ মাতৃ কোষের হুবহু GENETIC CODE সহ DNA অবশ্যই থাকতে হবে। আর তা থাকতে হলে প্রতিবার কোষ বিভাজনের সময় DNA কেও হুবহু বিভাজন (Replication)হওয়া লাগে।
(SOMATIC CELL এ MITOTIC বিভাজনে হুবহু DNA বিতরণ করে, পর্ব ৬,৭ দেখুন, আর SEX কোষেও MEIOSIS বিভাজনে DNA বিতরণ করে, তবে হুবহু DNA বিতরণ করেনা।বিরাট পার্থক্য আছে-পর্ব ৮ দেখুন)
কারণ একদিকে যেমন, কোন কোষ ই DNA ছাড়া কার্যকরী বা জীবন্ত থাকতে পারেনা ঠিক তদ্রুপ একই শরীরের ভিন্ন ভিন্ন কোষে ভিন্ন রকমের DNA থাকলেও জীবন অচল হয়ে যাবে।শরীর এর সমগ্র কোষের DNA হুবহু একই থাকতে হবে। আর এই কাজটি MITOTIC কোষ বিভাজনের মাধ্যমে হয়।
আরো প্রশ্ন করতে পারেন,
কোষ কেন বিভাজন হয়, বা না হলে ক্ষতি কী?
জী হ্যাঁ, ভাল প্রশ্ন।
এটা বুঝতে হলে আমাদের দেহ গঠনের একেবারে আদিতে চলে যেতে হবে। আমাদের বর্তমান(ধরা যাক ৪০ বৎসর বয়স্ক এক জন ব্যক্তির) এই ৭০ কেজী ওজনের এবং ১০০ ট্রিলিয়ন এর বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম বিশিষ্ট কোষ ধারন কৃত ব্যক্তিটি, ৪০ বৎসর ৯ মাস পূর্বে সর্ব প্রথম কোথায় কী অবস্থায় ছিল? একটু অনুধাবন করুন?
আমাদের প্রত্যেকের এই বিরাট সুন্দর দেহখানা সর্বপ্রথম পিতৃ হতে আগত ২৩ টি ক্রোমোজোম এর একটি অর্ধ SEX কোষ(Haploid) ও মাতৃ হতে আর একটি ২৩ টি ক্রোমোজোম এর অর্ধ SEX কোষ(Haploid) এর সম্মেলনে একটি ৪৬ ক্রোমোজোম বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ (DIPLOID) কোষে পরিণত হয়ে মাতৃ জরায়ুর নালীর AMPULA নামক স্থানে অবস্থান লয়েছিল।
তখন এটি একটি মাত্র কোষ ছিল। এই কোষটির নাম ZYGOTE.
এই এখনকার এই আমরা প্রত্যেকেই তখন এই এক কোষ বিশিষ্ট ZYGOTE আকারে ছিলাম। সেই একটি মাত্র অতি ক্ষুদ্র কোষের মধ্যেই এই এতবড় আমাদের সবকিছুই শুপ্ত আকারে বিদ্যমান ছিল। আমাদের তখন কিছুই ছিলনা, একমাত্র পিতৃ-মাতৃ হতে প্রাপ্ত ২৩+২৩=৪৬ টা ক্রোমোজোম সম্পদ ছাড়া।
এরপর কী ঘটল?
এরপর এই ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম ঐ একটি মাত্র কোষকে MITOTIC পদ্ধতিতে বিভাজন আরম্ভ করতে থাকল।
আর ঐ একটি মাত্র কোষ এর বিভাজন ও যথাযথ বৃদ্ধির ফল স্বরুপ আজ এই আমরা ৭০ কেজী ওজনের ও ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মানব আকারে বর্ধিত হয়েছি।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে ১৪ তম পর্ব পড়ে দেখুন।
এই কোষ বিভাজন কখন হতে কখন পর্যন্ত চলে?
–একেবারে সেই এক কোষী ZYGOTE থেকে আরম্ভ করে মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত চলে।
তাহলে এভাবে এ যাবৎকাল কতবার বিভাজন হয়?
–তা ধরুন অন্তত প্রায় ১০ হাজার ট্রিলিয়ন বার বিভাজন হওয়া লাগে। (VIDEO 3,5 দেখুন)
অন্য ভাবে বলা যায়, কোষ বিভাজনের মাধ্যমেই আমাদের অস্তিত্বের সৃষ্টি ও অস্তিত্বের রক্ষাও হয়।
এছাড়াও কোষ বিভাজনের আরো কাজ আছে, যেমন আমাদের শরীরের কোথাও কেটে ছিড়ে গেলে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে সেখানে মেরামত করা হয়। লিভার এর কিয়দংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে কোষ বিভাজনের দ্বারা মেরামত করে ফেলে।
কোষ বিভাজনের মাধ্যমে শরীর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে, তা হল,
শরীরে যখন কোন জীবানু শত্রু ঢুকে পড়ে, তখন শরীর এর রক্তের প্রতিরক্ষা বাহিনীর শ্বেত কনিকা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের সংগে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে শরীরকে রক্ষা করার চেষ্টা চালায়।
এই কৌশলের মধ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে থাকে, তা হল এই, শত্রুকে সহজে পরাজিত করার লক্ষে কিছু কিছু শ্বেত কনিকা দ্রুত বিভাজনের মাধ্যমে একই রুপের অসংখ্য শ্বেত কনিকা বা সৈনিক কোষ উৎপাদন করে ফেলে। একে PROLIFERATION বলে। এভাবে একটি B কোষ PROLIFERATE করে অসংখ্য PLASMA কোষ উৎপন্ন করে, এবং তারা জীবানুর বিরুদ্ধে অসংখ্য ANTIBODY ছড়িয়ে জীবানুকে ধংশ করতে থাকে।
অবশ্য জীবানুরাও শরীরে দ্রুত সংখ্যায় বিস্তার লাভ করতে থাকে।
(এ ব্যাপারে ৪৬ ও ৪৭ পর্বে বিস্তারিত দেখুন)।
আমরা মানব সৈনিকরা কিন্তু কখনো এভাবে একজন সৈনিক হতে একাধিক বা শত শত সৈনিকে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখিনা, কিন্তু কোষ এ ক্ষমতা রাখে।
তা হলে আশা করি এবার বুঝতে সক্ষম হয়েছেন কোষ কেন বিভাজিত হয় ও এর গুরুত্ব কত বেশী।
অন্য ভাবে বলা যায় কোষ বিভাজনের মধ্য দিয়েই আমাদের সৃষ্টি।
DNA REPLICATION
তাহলে এবার দেখুন DNA, একদল প্রোটীন ও এনজাইম এর সমন্বীত কর্ম তৎপরতায় কীভাবে কপি ও বিভাজিত হয়, যাকে REPLICATION বলা হয়।
REPLICATION আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই কিছু সংখ্যক প্রোটীন ও এনজাইম কোষের NUCLEUS এর মধ্যে DNA এর পার্শে এসে জড় হয়ে দাড়িয়ে যায়। এরা তখন নিউক্লীয়াসটার অভ্যন্তরে একটা পূর্ণ মাত্রার ফ্যাক্টরীর মত অত্যন্ত সুশৃংখল, সুনিয়ন্ত্রিত, ও সুসমন্বীত ভাবে DNA এর উপর অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল প্রকারের কাজ কাম আরম্ভ করে দেয়।
আর যদি এই সময়ে কোন কারনে, ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটে যায়, এবং তা যদি হয় বিশেষ করে SEX কোষে বা শিশুটির মাতৃগর্ভে শরীর গঠন কালে, তাহলে শিশুটির উপর চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে, এমনকি এই ত্রুটি বংশ পরম্পরাও চলতে থাকে যদি এই ত্রুটি SEX কোষে ঘটে।
ফলশ্রুতিতে বিকলাঙ্গ,পাগল,ক্যান্সার,ডায়বেটিস সহ অসংখ্য প্রকারের জটিল রোগ গ্রস্থ শিশু জন্মাবে।
এবার তাহলে আসুন দেখা যাক এই সমস্ত প্রোটীন ও এনজাইম গুলী কী ভাবে সমন্বীত ভাবে কাজ চালিয়ে এই দুরুহ কার্য সম্পাদন করে।
যেভাবে এরা কাজ করে DNA REPLICATION ঘটায়।
শিশু হবু ডিএনএর একটি চেইনে DNA POLYMERASE নামক একটি প্রোটীন এনজাইম এই কাজটি এক নাগাড়ে সেরে ফেলে। এই চেইনটিকে বলা হয় LEADING STRAND।
অন্য হবু চেইনটিতে DNA POLYMERASE এভাবে এক নাগাড়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনা।
সেখানে কাজটি খন্ড খন্ড ভাবে করতে হয়। এই চেইনটিকে বলা হয় LAGGING STRAND।
মনে রাখতে হবে-
DNA POLYMERASE, DNA CHAIN এর কোনো প্রান্ত থেকে কাজ আরম্ভ করেনা বরং আরম্ভ করে মাঝখান থেকে।
দুইটি চেইনে একই সংগে বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন DNA POLYMERASE কাজ করে করে REPLICATION করতে থাকে।
উভয় DNA POLYMERASE শিশু হবু সম্পূরক চেইনের একমাত্র 5’ T0 3’ PRIME প্রান্ত অভিমুখে কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম।এর বিপরীত অর্থাৎ 3’ To 5’ PRIME প্রান্ত এর দিকে কখনোই কাজ চালাতে সক্ষম নয়।
যেহেতু হবু শিশু চেইনের LEADING চেইনটিতে 5’ T0 3’ PRIME এর অভিমুখ ও DNA FORK এর অগ্রসর হওয়ার অভিমুখ একই দিকে থাকে এই কারনে DNA পলিমারেজ এখানে এক নাগাড়ে 5’ T0 3’ PRIME এর অভিমুখে CONTINUOUS পদ্ধতিতে REPLICATION এর কাজটি চালিয়ে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়।
কারণ LEADING CHAIN এ DNA FORK, DNA CHAIN কে খুলে খুলে 3’ PRIME প্রান্তের দিকে অগ্রসর হতে থাকে আর এদিকে DNA POLYMERASE ও DNA কপি করতে করতে একই দিকে অর্থাৎ 3’ PRIME প্রান্তের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
অপরপক্ষে হবু চেইনের LAGGING চেইনটিতে 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখ, DNA FORK এর অগ্রসর হওয়ার অভিমুখ, বিপরীতমুখী হয়। এ কারণে DNA POLYMERASE কে উল্টা মুখী হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে খন্ডাংস DNA তৈরী করে করে 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখে পিছন মুখী সেজে অগ্রসর হতে হয়। চিত্র-৩,৪ দেখুন,ভিডিও ১-৪ দেখুন।)(২)
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication
চিত্র- ৩ DNA Fork
Figure source- https://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication
চিত্র- ৪ DNA REPLICATION
অর্থাৎ একটি ডিএনএ খন্ডাংস 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখে উৎপন্ন করে ,পলিমারেজকে উক্ত খন্ডাংশের পিছনের দিকে ,যেদিকে 5’ PRIME প্রান্ত ও DNA FORK অবস্থান করছে, চলে আসতে হয়। সেখানকার আর একটা RNA PRIMER এর 3’ PRIME এর OH গ্রুপ- প্রান্ত হতে আর একটি ডিএনএ খন্ডাংস তৈরী করে যার অভিমুখ হয় পূর্ববর্তি DNA খন্ডাংসের দিকে, যেটা 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখি,ও DNA FORK অগসর হওয়ার বিপরীত অভিমুখে হয়,এমন আর এক খন্ড ডিএনএ উৎপন্ন করে।
পুনরায়,DNA POLYMERASE ঠিক একই কাজ পিছনের দিকে ,যেদিকে 5’ PRIME প্রান্ত ও DNA FORK অবস্থান করছে, সেখান কার আর একটি RNA PRIMER এর 3’ PRIME প্রান্ত এর OH গ্রুপ হতে আর একটি ডিএনএ খন্ডাংস তৈরী করে, যার অভিমুখ হয় পূর্ববর্তি DNA খন্ডাংসের দিকে, অর্থাৎ 5’ T0 3’ PRIME এর অভিমুখ,ও DNA FORK এর অগ্রসর হওয়ার বিপরীত অভিমুখে।
এভাবে LAGGING চেইনে উল্টা মুখী,কিন্তু ডিএনএ খন্ডাংসের মুখ 5’T0 3’ PRIME এর অভিমুখী হয়ে, কাজ চালিয়ে চালিয়ে LAGGING চেইনের 5’ PRIME প্রান্ত এর দিকে, ও DNA FORK এর মুখ খুলার অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকে। (২)
মনে রাখতে হবে, উভয় শিশু চেইনটির 5’ -3’ PRIME প্রান্তের দিক তাদের PARENT CHAIN এর 5’ -3’ PRIME প্রান্তের দিকের বিপরীতে থাকে এবং কপি হওয়ার সময় শিশু চেইনের 5’ -3’ এর দিককেই হিসাবে গন্য করিয়া 5’ হতে 3’ PRIME এর দিকে কপি কাজ চলে।
যেহেতু চেইন দুইটি ANTIPARALLEL একারনে উভয়ের কাজের দিক ও এভাবে বিপরীত মুখী হতে হয়।এবং যেহেতু LAGGING চেইনে DNA FORK এর মুখ 5’ PRIME প্রান্তের দিকে থাকে একারনে এক নাগাড়ে সম্পন্ন করতে পারেনা।
ORIGIN- যে স্থান হতে DNA REPLICATION সূচনা হয় তাহার নাম ORIGIN।আমরা জানি A-T জোড় মাত্র ২টা হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা সংযুক্ত হওয়ার কারনে G-C জোড় অপেক্ষা দুর্বল,কারন G-C জোড় ৩টা হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা সংযুক্ত। আর এ কারনে এই ORIGIN এ বেশী পরিমান
A-T জোড় বিদ্যমান থাকে। কারণ দুর্বল সংযোগ পৃথক করতে সহজ হয়।
HELICASE নামক একটি ৬ প্রোটীন বিশিষ্ট এনজাইম DNA এর দুইটি চেইনকে পৃথক করে ফেলে।এবং TOPOISOMERASE নামক আর একটি প্রোটীন দুইটি চেইনের পেঁচ খুলে চেইন দুটিকে সোজা করিয়া ধরিয়া রাখে।(চিত্র-৩,৪)
এই পৃথক কৃত মুল চেইন দুইটি হবু ডিএনএ কপির জন্য TEMPLATE বা মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
SINGLE STRAND BINDING PROTEIN নামে এক ধরনের প্রোটীন এসে পৃথক হওয়া চেইন দুইটিকে পুনরেকত্রিত হতে বাধা দিয়ে প্রত্যেকটিকে পৃথক পৃথক ভাবে একটু ফাক করিয়া ধরিয়া রাখে।DNA POLYMERASE ডিএনএ NUCLEOTIDE উৎপন্ন আরম্ভ করিয়া পূর্ণ চেইন তৈরী করিতে থাকিলে তখন এদের আর প্রয়োজন না থাকায় এরা একটার পর একটা সরে যেতে থাকে।
যেহেতু DNA POLYMERASE নূতন কপিকৃত চেইনে নিজে নিজেই DNA NUCLEOTIDE SYNTHESIS আরম্ভ করিতে পারেনা,
এ কারনে প্রথমে RNA প্রাইমেজ নামক একটি এনজাইম এসে ৬০টি RNA NUCLEOTIDE বিশিষ্ট একটি ডিএনএ চেইন এর খন্ডাংস উৎপন্ন করে দেয়। এর নাম RNA PRIMER। এবার DNA POLYMERASE এসে RNA PRIMER এর 3’ PRIME এর OH গ্রুপ হতে, শিশু চেইনটির 5’-3’ PRIME অভিমুখে, ডিএনএ NUCLEOTIDE উৎপন্ন করতে করতে অগ্রসর হয়ে যায়। মানুষের ক্ষেত্রে DNA POLYMERASE প্রতি সেকেন্ডে ৮০ টি NUCLEOTIDE উৎপন্ন করতে পারে।
SLIDING CLAMP নামে একটি প্রোটীন DNA POLYMERASE কে কাজ সম্পাদনের জন্য চেইন বরাবর সম্মুখ দিকে ঠেলে অগ্রসর করিয়ে নিতে থাকে।
ডিএনএর LEADING চেইন এ DNA POLYMERASE এই কাজটি এভাবে এক নাগাড়ে করে ফেলে। এজন্য একে CONTINUOUS WORK বলে।
অন্য চেইনটিতে(LAGGING STRAND) DNA POLYMERASE এভাবে এক নাগাড়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনা।কেন পারেনা তা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে DNA POLYMERASE কে এই কাজটি খন্ড খন্ড ভাবে করতে হয়। এজন্য একে DISCONTINUOUS WORK বলে।
সেখানে প্রথমে প্রারম্ভিক জায়গায় RNA PRIMASE এনজাইম RNA PRIMER সংযোগ করিয়া একটি DNA খন্ডাংস তৈরী করে দেয়। এর পর আরো ফাকা জায়গায় এভাবে আরো RNA PRIMER স্থাপন করিয়া খন্ড খন্ড DNA চেইন তৈরী করে ফেলে।
এবার DNA POLYMERASE এসে RNA PRIMER এর 3’ PRIME এর OH প্রান্ত থেকে আরম্ভ করিয়া শিশু চেইন এর 5” To 3’ PRIME প্রান্ত অভিমুখে কিন্তু DNA FORK এর বিপরীত অভিমুখে কাজ চালিয়ে একটার পর একটা ফাঁকা জায়গায় DNA NUCLEOTIDE উৎপন্ন করে DNA CHAIN এর খন্ড খন্ড অংশ তৈরী করে ফেলে।
নবীন এই কপিকৃত চেইন এখনো মূল চেইন এর সম্পূরক চেইনে পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয় নাই, কারণ এতে এখনো RNA PRIMER স্থাপিত রয়ে গেছে।
এখন প্রয়োজন এই RNA PRIMER কে দুরীভূত করার। কে এই কাজ করিবে?
এই কাজ করার জন্য এরপর RNase H নামে একটি ENZYME এসে RNA PRIMER গুলীর SUGAR RIBOSE এর সংগে সংযুক্ত ফসফেট দ্বয়ের বন্ড (DIESTER BOND) এর উপর HYDROLIZING REACTION এর মাধ্যমে, RNA PRIMER কে মুছে ফেলে।
এই অবস্থায় এই নবীন চেইনটিতে DNA POLYMERASE এর ইতিপূর্বেই নিজস্ব তৈরী ফাকা ফাকা খন্ড খন্ড চেইনের অংশ দৃশ্যমান হয়।
DNA CHAIN এর এই ফাকা ফাকা খন্ডাংস গুলীকে বলা হয় OKAZAKI FRAGMENT ।চিত্র-৪)
এবার DNA POLYMERASE এই OKAZAKI FRAGMENT এর প্রত্যেকটির 3’ PRIME এর প্রান্তের OH গ্রুপ হতে আরম্ভ করিয়া এবং শিশু চেইনের 5’ To 3’ PRIME অভিমুখে কাজ চালিয়ে DNA NUCLEOTIDE উৎপন্ন করিয়া দুই OKAZAKI FRAGMENT এর মধ্যে অবস্থিত ফাকা জায়গা গুলী একটার পর একটা পুরন করতে থাকে। একটা অংসের কাজ সম্পন্ন হলে সামনে এগিয়ে গিয়ে আর একটা অংশকে ধরে। সেইটা শেষ হলে সামনে আর একটা ধরে।
এভাবে DNA POLYMERASE , LAGGING CHAIN এর উপর 5’ To 3’ PRIME অভিমুখে কিন্তু DNA FORK এর বিপরীত অভিমুখে DISCONTNUE পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে চালিয়ে কাজটি সমপন্ন করে নূতন কপি কৃত সম্পূরক চেইনটি তৈরী করে ফেলে।
এর পরেও দুটি খন্ডাংসের জোড়ানো জায়গায় কিছুটা ফাঁকা থেকেই যায়।
BACK BONE এর এই জোড়ার ফাকা বন্ধ করতে DNA LIGASE নামক একটি এনজাইম এসে এই ফাঁকা স্থানগুলী ATP বা NAD REACTION এর মাধ্যমে ফছফেট অনু যোগ করিয়া পূরন করিয়া দেয়।
REPLICATION FORK বলা হয় যে স্থানে DNA চেইন দুইটি ক্রমান্বয়ে পৃথক হইতে হইতে ও কাজ চালাতে চালাতে অগ্রসর হয়ে যেতে থাকে।উভয় দিকেই REPLICATION FORK থাকে।(চিত্র-৩)
DNA REPLICATION এর সংগে TELOMERE এর সম্পর্ক,বার্ধক্য কেন আসে?
লক্ষ করেছেন, DNA POLYMERASE, কপি করার সময় RNA PRIMER স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত নিজে নিজে কপি করে DNA উৎপাদন করতে পারেনা। RNA PRIMER স্থাপিত হলে তার প্রান্ত থেকে DNA POLYMERASE, DNA কপি করতে সক্ষম হয়।
যার ফলে সর্বশেষে অবস্থিত RNA PRIMER টা যে জায়গায় অবস্থিত ছিল সেই জায়গাটা কপি হতে বাদ থেকে যায়, কারন ঐ জায়গাটুকু কপি করতে গেলে তার পিছনে আর একটা RNA PRIMER থাকার প্রয়োজন হয়, যার পিছন থেকে ঐ জায়গা টুকু কপি করার দরকার হয়। কিন্তু তার পিছনে তো আর RNA PRIMER অবস্থান করার জায়গাই নাই, তাই কী করে থাকবে এবং ঐ জায়গা টুকু কপি করবে?
অতএব প্রতিবারই কপিকৃত DNA তে মূল DNA এর প্রান্তের কিয়দাংশ বাদ থেকে যায়। এভাবে প্রতিবার কপি হওয়ার ফলে প্রতিবার শিশু কোষ এর DNA ক্রমান্বয়ে আকৃতিতে ছোট হতে থাকে। মারাত্মক ব্যাপার বটে!!
একারনে DNA STRAND এর প্রান্তে থাকে বেশ কিছু GENETIC কোড বিহিন সাধারন BASE PAIR, যাকে TELOMERE বলে।
কাজেই এই ঘাটতিটার আঘাত পথম দিকে এই GENETIC কোড বিহিন TELOMERE এর উপর দিয়ে যেতে থাকে, যাতে এই ঘাটতির আঘাতটা DNA এর মূল GENETIC কোড এর উপর না লাগে । তাতে প্রথম জীবনের দিকে আমাদের কোন অসুবিধা মনে হয়না, কারণ এই TELOMERE এ তো কোন GENETIC CODE থাকেনা ও এটা হারালেও আমাদের শারীরিক কাজেরও কোন বিঘ্ন ঘটেনা।
বলা নিশ্প্রয়োজন, এই TELOMERE ঘাটতির মাধ্যমেই আমাদের বার্ধক্য আসতে থাকে।
যত বয়স বৃদ্ধি হতে থাকে ততই TELOMERE কমতে থাকে। এরপর অধিক বয়োবৃদ্ধির কারনে এক পর্যায়ে এসে এই TELOMERE একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়, তখন এই ঘাটতিটা DNA এর মূল GENETIC কোড এর উপর দিয়ে যাওয়া আরম্ভ করে।
এই বার আমরা এখন থেকে শরীর এর ঘাটতি অনুভব করা আরম্ভ করি।কারণ এখন আমাদের DNA এর TELOMERE খরচ হয়ে গিয়ে DNA এর মূল জায়গায় ক্রমান্বয়ে আঘাত পড়া আরম্ভ হয়ে গিয়েছে।
এই বার আমরা মারত্মক বিপদ গ্রস্থ।কারণ এখন থেকে আমাদের জীবন এর মূল চাবী কাঠি GENETIC CODE বা GENE এর উপর সরাসরি আঘাত পড়তে থাকে।
বয়স আরো যত বাড়তে থাকে, যেমন, ৪০>৫০>৬০>৭০>৮০>৯০>১০০ আমাদের DNA এর মূল অংশে ততই ঘাটতি ও আঘাত আসতে থাকে, আর আমরা ততই বার্ধক্য অনুভব করতে ও বার্ধক্য জনক সমস্যায় ভুগতে আরম্ভ করি।
অন্য ভাবে বলা যায় আমরা যৌবন হারাই কেন? কারণ আমাদের শরীর এর কোষ তার প্রতি বিভাজনে DNA এর প্রান্তের TELOMERE হারায়।
কপিকৃত কোষে এভাবে DNA এর মূল GENETIC CODE কমা আরম্ভ করলে বৃদ্ধ বয়সে কোন এক পর্যায়ে কোষ গুলী নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বড় বড় ব্যাধি যেমন, CANCER, ALZHEIMER’S, MULTIPLE SCLEROSIS নামক নানাবিধ জটিল নিরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিতে থাকে। তখন আর জীবন চলা সম্ভব হয়না।
এই TELOMERE কে রক্ষার জন্য এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীগন তেমন কিছু অবদান রাখতে পারেন নাই। তবে বর্তমানে এটা বিজ্ঞানীদের একটা গুরুত্বপূর্ণ কর্মক্ষেত্র হিসাবে রয়েছে।
হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীগন TELOMERASE ACTIVATOR জাতীয় কোন রাসায়নিক পদার্থ আবিস্কার করিয়া TELOMERE এর ক্ষয় রোধ করে ফেলবে এবং আমাদের এই অতি ক্ষণস্থায়ী যৌবনকে হাজার হাজার বৎসর পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী করতে সক্ষম হবেন।
মানব দেহের রহস্য জানতে সংগে থাকুন।
TELOMERE সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পর্ব-৫ পড়ুন।
অন্যান্য পর্ব গুলী এখানে দেখুন- https://chkdr02.wordpress.com/
Edited on-6/25/2015
ভিডিও লিংক-
- DNA REPLICATION
2. DNA Structure and Replication: Crash Course Biology #10
https://www.youtube.com/watch?v=8kK2zwjRV0M3. Leading strand vs. lagging strand
https://www.youtube.com/watch?v=cDwJTLnGEyw4. DNA Replication
https://www.youtube.com/watch?v=FBmO_rmXxIw5. Mitosis: Splitting Up is Complicated – Crash Course Biology #12
https://www.youtube.com/watch?v=L0k-enzoeOM6. Meiosis: Where the Sex Starts – Crash Course Biology #13
https://www.youtube.com/watch?v=qCLmR9-YY7o7. The Cell Cycle and Cancer
https://www.youtube.com/watch?v=lpAa4TWjHQ4চতুর্থ পর্বের সূত্র সমূহ–
1) CELL CYCLE, MITOSIS
https://en.wikipedia.org/wiki/Mitosis
2) DNA REPLICATION
https://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication
তৃতীয় পর্বের সূত্র সমূহ-
1) http://www.bbc.co.uk/bengali/multimedia/2012/06/120616_mrk_science_june12.shtml
2) http://en.wikipedia.org/wiki/Phoebus_Levene
3) https://en.wikipedia.org/wiki/Genetic_code
4) http://www.angelfire.com/dc/apgenetics/rna.htm
5) RNA
http://en.wikipedia.org/wiki/RNA
6) protein production
http://ghr.nlm.nih.gov/handbook/howgeneswork/makingprotein
7) RNA TRANSLATION
http://en.wikipedia.org/wiki/Translation_(biology)#/media/File:Protein_synthesis.svg
8) ATP
http://www.trueorigin.org/atp.php
9) RIBOSOME
http://en.wikipedia.org/wiki/Ribosome