লিখেছেনঃ শফিক
শিয়া মূলত কারা :
শিয়া শব্দটি আরবি শব্দ, যার অর্থ গোত্র বা সম্প্রদায়। ইসলামে শিয়া এমন একটি মুসলিম সম্প্রদায়কে বলা হয় যারা সর্বক্ষেত্রে হযরত আলী (রাঃ) কে অনুসরণ করে।
শিয়াদের উত্থান :
৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর মুসলিম বিশ্ব যখন নেতা শূন্য হয়ে পড়েছিল তখন সাহাবায়ে কেরামের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে মুসলিম বিশ্বের প্রথম খলিফা হিসেবে হযরত আবু বকর (রাঃ) কে নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু তার মনোনয়নকে অনেকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেন নি। আবু বকর (রাঃ) কে যারা খলিফা হিসেবে মানতে পারেনি তাদের দাবি ছিল যে, মোহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসেবে হযরত আলী (রাঃ) সবার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। কারণ তিনি ছিলেন নবীর নিকট আত্মীয়, এছাড়াও হিজরতের সময় মোহাম্মদ (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) কে মক্কায় তার প্রতিনিধি হিসেবে রেখে গিয়েছিলেন। সুতরাং তিনিই যোগ্য ব্যক্তি যিনি নবীর অবর্তমানে মুসলমানদের সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আলী (রাঃ) এর সমর্থকরা প্রথম দিকে মনে মনে হতাশ হলেও পরে তারা প্রকাশ্যে খলিফাদের বিরোধিতা করতে শুরু করে। তারা বিভিন্ন সময় আলী (রাঃ) কে মুসলিম বিশ্বের খলিফা নির্বাচিত করার দাবি জানাতে থাকে। হযরত আবু বকর (রাঃ) এর ইন্তেকালের পর আলী (রাঃ) এর সমর্থকদের হতাশ করে ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে হযরত ওমর (রাঃ) ও ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে হযরত উসমান (রাঃ) কে মুসলিম বিশ্বের খলিফা নির্বাচিত করা হয়, ফলে আলী (রাঃ) এর সমর্থকরা আরও বেশী হতাশ হয়ে পড়ে। উপায় না দেখে তারা গোপনে তাদের দলে আরও আলী অনুসারীদের ভেড়াতে থাকে এবং আলী (রাঃ) এর অজ্ঞাতে পৃথক একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল সংগঠিত করে। হযরত উসমান (রাঃ) এর শাসনামলে আলী সমর্থকরা অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং তারা উসমান (রাঃ) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনয়ন করে এবং প্রকাশ্যে উসমান বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। এই সময় ইবনে সাবা নামক জনৈক ইহুদী ধর্মান্তরিত হয়ে আলী সমর্থকদের দলে যোগ দিলে উসমান বিরোধী আন্দোলন আরও বেশী জোরদার হয়। পরিশেষে তাদের আন্দোলন ও চক্রান্তের শিকার হয়ে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে হযরত উসমান (রাঃ) শাহাদাত বরন করেন।
উসমান (রাঃ) এর শাহাদাতের পর ৬৫৬ সালে অবশেষে হযরত আলী (রাঃ) মুসলিম বিশ্বের খলিফা নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পরই সিরিয়ার শাসনকর্তা মুয়াবিয়া (রাঃ) এর সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। পরে সিফফিনের যুদ্ধে মুয়াবিয়া ও আমর বিন আল আস এর নিকটে হযরত আলী (রাঃ) এর কূটনৈতিক পরাজয় ঘটলে আলী (রাঃ) এর দল থেকে বা শিয়া মতবাদ থেকে কতিপয় অনুসারী বের হয়ে নতুন দল গঠন করে, যারা ইতিহাসে খারিজি সম্প্রদায় নামে পরিচিত। এই খারিজিদের হাতে ৬৬১ সালে হযরত আলী (রাঃ) শাহাদাত বরণ করেন, ফলে শিয়া আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়। আমীর মুয়াবিয়ার ইন্তেকালের পর হযরত আলীর পুত্র ইমাম হাসান (রাঃ) এর সাথে সন্ধি ভঙ্গ করে তার পুত্র ইয়াজিদ নিজেকে খেলাফতের উত্তরাধিকারী মনোনীত করে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। হাসান ও হোসেন (রাঃ) ইয়াজিদের হাতে বায়াত হতে অস্বীকৃতি জানালে কৌশলে হাসান (রাঃ) কে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয় এবং হোসেন (রাঃ) কে কারবালার প্রান্তরে তার পরিবার ও অনুসারী সহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হোসেন (রাঃ) এর শাহাদাতের পর হযরত আলী (রাঃ) এর অনুসারীরা ইয়াজিদ বিরোধী আন্দোলনে মাঠে নামে এবং শিয়া সম্প্রদায় নামে আত্মপ্রকাশ করে। কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসেন সহ ৭২ জন মুসলমান শাহাদাত বরণ করায় শিয়াগন উমাইয়া বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে। আন্দোলন চলাকালে আল মুখতার নামক একজন শিয়া সমর্থক ইমাম হোসেন এর হত্যাকারী উবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদকে হত্যা করে কারবালার প্রতিশোধ গ্রহণ করেন। ৭৫০ সালে উমাইয়াদের পতনের পর আব্বাসীয়রা ক্ষমতায় এসে শিয়াদের উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করলে তারা তানজিয়াতে গমন করে ইদ্রিসের নেতৃত্বে প্রথম শিয়া রাষ্ট্র গঠন করে। অপরদিকে ৭৫৬ সালে মিশরে ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠিত হলে শিয়ারা নতুন উদ্যমে তাদের প্রচার প্রসার বাড়ানো শুরু করে। বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের মধ্যে শিয়া
মতাদর্শীদের রয়েছে আলাদা প্রভাব। আশির দশকে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানে শিয়াদের এক সফল বিপ্লব সংঘটিত হয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিশ্বের সকল শিয়ারা ইরানে এসে একত্রিত হয়ে স্বাধীন শিয়া রাষ্ট্র ইরান প্রতিষ্ঠা করে। এছাড়াও ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান সহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে শিয়াদের বাস রয়েছে। শিয়ারা প্রথম থেকেই সর্বদা বিভক্ত ছিল তাদের ইমামতের ক্ষেত্রে। কেউ ইমাম হুসাইনের পুত্র জয়নুল আবেদিনকে আবার কেউ মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়াকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করে। শিয়াদের মোট ইমামের সংখ্যা ১২ জন। তাদের প্রথম ইমাম ছিলেন হযরত আলী (রাঃ) এবং সর্বশেষ ইমাম ছিলেন মোহাম্মদ আল মুনতাজির। তাদের অন্যান্য ইমাম গন ছিলেন যথাক্রমে : -
(১) আলী (রাঃ) (৬৫৬-৬৬১ খ্রীঃ),
(২) হাসান (৬৬১-৬৬৯ খ্রীঃ),
(৩) হোসেন (৬৬৯-৬৮০ খ্রীঃ),
(৪) ২য় আলী (জয়নুল আবেদীন) (৬৮০-৭১২ খ্রীঃ),
(৫) মুহাম্মদ আল বাকের (৭১২-৭৩১ খ্রীঃ),
(৬) জাফর আস সাদিক (৭৩১-৭৬৫ খ্রীঃ),
(৭) মুসা আল-কাজিম (৭৬৫-৭৯৯ খ্রীঃ),
(৮) আলী আর-রেজা (৭৯৯- ৮১৮ খ্রীঃ),
(৯) মুহাম্মদ আল জাওয়াইদ (৮১৮-৮৩৫ খ্রীঃ),
(১০) আলী হাদী (৮৩৫-৮৬৮ খ্রীঃ),
(১১) হাসান আল-আসকারী (৮৬৮-৮৭৪ খ্রীঃ)
(১২) মুহাম্মদ আল মুস্তাজির (৮৭৪-৮৭৮ খ্রীঃ)
শিয়াদের বিশ্বাস ও মতবাদ :
শিয়ারা প্রাথমিক অবস্থায় একটি রাজনৈতিক সম্প্রদায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও সময়ের বিবর্তনে তারা বেশ কিছু ধর্মীয় মতবাদও প্রতিষ্ঠা করে। যার মধ্যে অন্যতম প্রধান মতবাদগুলো হলো-
• মুসলমানরা সাধারণত যে কালিমা পাঠ করে থাকে শিয়ারা তার থেকে একটু বাড়িয়ে কালিমা পাঠ করে থাকে। তারা বলে আল্লাহ ছাড়া কোনও ইলাহ নেই, মোহাম্মদ (সাঃ) তার প্রেরিত রসূল এবং আলী (রাঃ) তার যোগ্য প্রতিনিধি।
• শিয়াদের মতে ইমামত মোহাম্মদ (সাঃ) এর বংশধরদের মধ্য হতে প্রাপ্ত হবে। তারা আবু বকর, ওমর ও উসমান (রাঃ) কে মুসলিম জাহানের খলিফা হিসেবে স্বীকার করে না। তারা আলী (রাঃ) কে শুধুমাত্র সঠিক খলিফা মনে করে। এদের অনেকে আবু বকর, ওমর ও উসমান (রাঃ) কাফির মনে করে ।
• শিয়াদের মতে ইমাম আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হবেন, এখানে জনগণের কোনও এখতিয়ার নেই।
• সাধারণত শিয়ারা হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস, আবু হোরায়রা, ইবনে উমর, আয়েশা (রাঃ) এর হাদিসকে সঠিক মনে করেন না। তারা শুধুমাত্র হযরত আলী (রাঃ) এবং তার বংশধরদের বর্ণিত হাদিসগুলো বিশ্বাস করে থাকেন।
• শিয়াদের মতে ইমাম তার কার্যকলাপের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়।
• তাদের মধ্যে ইমাম অবিভাজ্য। সুতরাং একই সময়ে দুজন ইমাম পৃথিবীতে আসা অসম্ভব।
• তাদের মতে ইমাম মানুষ ও আল্লাহর মাঝে মধ্যস্থতাকারী। সুতরাং তার সিদ্ধান্তই সর্বদা চূড়ান্ত।
• শিয়াদের মতে আল-কুরআন ও আল-হাদিস ইসলামী জ্ঞানের একমাত্র উৎস। সুতরাং ইজমা ও কিয়াসের কোনও বিধান ইসলামে নেই।
• শিয়াদের মতে প্রত্যেক দিন তিন ওয়াক্ত নামাজ ফরজ এবং কবর জিয়ারত করা উত্তম কাজ।
• তাদের মতে অন্যান্য নামাজের মতো জুম্মার নামাজও একাকী আদায় করা যায়। দ্বাদশ পন্থী শিয়াদের মতে ইমাম মোহাম্মদ আল মুন্তাজির কিয়ামতের আগে আল মাহদী হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করবেন। তারা অনেকেই মনে করেন পৃথিবীর সকল মাটি অপবিত্র, তাই তারা নামাজ পড়ার সময় কাবা শরীফ থেকে নিয়ে আসা মাটি দিয়ে তৈরি করা টালির উপর সেজদা প্রদান করে।
• শিয়াদের বেশির ভাগ গোত্র হযরত আলী (রাঃ) কে নিয়ে এবং তাদের ইমাম দের নিয়ে শিরক করে থাকে।
• মহরমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরার দিন মাতম করাকে তারা ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে মনে করে। তারা মনে করে এতে ইমাম হোসেনের কষ্টকে তার সাথে শেয়ার করা হয়।
• তারা হোসেন (রাঃ) এর নকল মাযার (তাজিয়া), ক্ষেত্র বিশেষে হযরত আলী (রাঃ), হোসেন (রাঃ) এর ছবি, নকল মৃতদেহ তৈরি করার দ্বারা উনাদের অপমান করে থাকে ।
শিয়া সম্প্রদায় কি মুসলমান?
শিয়া আকীদাহ আসলে কি? তারা কারা?
তারা
কি আদৌ ইসলাম ধর্মের অনুসারী নাকি ভিন্ন
মাজহাবের এ নিয়ে অনেকের ভেতরই কৌতুহল রয়েছে। আছে
বিতর্ক। আমাদের
ভেতর অনেকেই না জেনে না বুঝে বলে থাকে শিয়ারাও মুসলমান
আর এই শিয়া-সুন্নি বিভেদ নিতান্তই রাজনৈতিক। এটা মোটেও সত্য নয় এবং যারা এটা বলে তারা শিয়া কনসেপ্ট সম্পর্কে কোনোরকম পড়াশুনা না
করেই এমনটা বলে থাকে।
প্রথমত, শিয়ারা হলো সেই গোত্র যারা সর্বক্ষেত্রে হযরত আলীকে (রাঃ) অনুসরণ করে। তাঁকে শিয়ারা আখেরী নবীর (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) নবুয়াতের উত্তরসুরী হিসেবে মনে করে! অথচ কোরআন মোতাবেক রাসুলে পাক মুহাম্মদই (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর পরে আর কোনো নবী নেই। আর এই বিষয়টা মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করাটা আমাদের জন্যে ফরজ যা কিনা শিয়ারা অস্বীকার করেছে! একই কাজটি পরবর্তিতে এই উপমহাদেশের কাদিয়ানী গোষ্ঠীও করেছে গোলাম আহমেদকে দিয়ে। হাদীস কিতাবের আমিরুল মুমিনুন ইমাম বুখারী (রহঃ) এই শিয়াদের সম্পর্কে বলে গেছেন, “ এদের আকীদাহ এতই জঘন্য যে আমার দৃষ্টিতে একজন রাফেজী শিয়ার পেছনে নামাজ পড়া আর একজন ইহুদির পেছনে নামাজ পড়ার মাঝে কোন পার্থক্য নেই।”
এই পথভ্রষ্ট শিয়াদের ভেতরেই আবার অনেক ফিরকা ও মত আছে যেমন আলাভী, ইসমাইলি, জায়েদী, নুসাইরি (সিরিয়ার বর্তমান স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ এই ফিরকার অনুসারী)। এছাড়া আমাদের উপমহাদেশেও বোহরা, আগাখানি, ইমামিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি শিয়া ফিরকা আছে।
বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে অধিক সংখ্যক শিয়া ইরানে বসবাস করে। যারা মূলত রাফেজি শিয়া। রাফেজি শিয়াদের একটি উল্লেখযোগ্য শিরকি ও কুফুরী আকীদাহ হলো তাদের ১২ ইমাম আল্লাহর সমান ক্ষমতাবান! (নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক)। বর্তমানে কথিত ইসলামিক(!) রাষ্ট্র ইরানের ইমাম ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমিনেই বলেছে মহবিশ্বের প্রতিটি কণার উপরেই তাঁদের ১২ ইমামের ক্ষমতা রয়েছে। এখন আপনারাই বলুন, এইরকম জঘন্য আকীদাহর লোককে যদি মুশরিক বলা না হয় তাহলে হিন্দুদের মুশরিক বলার কোনো অধিকার আছে? শিয়া গোষ্ঠীর আরো বলে থাকে যে "কোরআন সম্পূর্ণ দোষত্রুটি মুক্ত নয়! কোরআনকে যদি কেউ কামেল বা পূর্ণাংগ মনে করে তবে সে কাফের!" কত বড় ভুল ও মিথ্যা কথা!
শিয়াদের সবচাইতে পবিত্র গ্রন্থ উসুলে কাফীরের ঈমান অধ্যায়ে এই মুনাফেকরা উল্লেখ করেছে মা আয়িশাহ (রাঃ) নাকি যিনা করেছিলেন। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালেক)। মা আয়িশাহ (রাঃ) যে নির্দোষ ও সচ্চরিত্রের ছিলেন, এই সার্টিফিকেট স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন সুরা নূরে। কোরআনের স্পষ্ট আয়াতের যে বিরোধিতা করে সে সরাসরি কাফের হয়ে যায়। এছাড়াও এই শিয়া মুনাফেকরা বলে থাকে যে রাসুলের (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর মৃত্যুর পরে মাত্র ৩ জন সাহাবী ছাড়া বাকি সব সাহাবীরা কাফের হয়ে গিয়েছিলেন! (নাউযুবিল্লাহ)। এসব কথার রেফারেন্স শিয়াদের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ ‘উসুলে কাফীরে পাওয়া যায়।
শিয়ারা এও বিশ্বাস করে থাকে যে কবর, মাজারের পুজো, অলি আওলিয়াদের কাছে দুয়া করা, তাদের কাছে বিপদে সাহায্য চাওয়া যায়েজ! (নাউযুবিল্লাহ)। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্থানে কবর মাজার পুজোর যেই শিরকি চর্চার প্রচলন চালু রয়েছে সেটা মূলত এই পারস্য ইরানের শিয়াদের কাছ থেকেই এসেছে। তাছাড়া কতিপয় মোঘল বাদশাহও এই উপমহাদেশে ইসলামের নামে এসব কবর, মাজার পুজো, পীর আওলিয়ায়ার পুজো আর হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলামকে মিশিয়ে দীন-ই-ইলাহী নামক খিচুড়ী মার্কা ধর্ম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।
শিয়া মতবাদ অনুযায়ী কারবালার মর্যাদা পবিত্র কাবার চাইতে বেশি আর এই কারবালা তাওয়াফ
করলে দুই হজ্জের সমান নেকী! (নাউযুবিল্লাহ)। বর্তমানে শিয়াদের যারা আয়াতুল্লাহ, ইমাম, আলেম যেমন খোমেনি, সিস্তানি, তিজানি এরা পরিষ্কার কাফের কারণ তারা জেনে বুঝে কোরআনের কথাকে অস্বীকার করে। এরা আরবের তত্কালীন মাজুসী অর্থাৎ অগ্নিপূজারীদের মতোই অপবিত্র ও নিকৃষ্ট।
প্রথমত, শিয়ারা হলো সেই গোত্র যারা সর্বক্ষেত্রে হযরত আলীকে (রাঃ) অনুসরণ করে। তাঁকে শিয়ারা আখেরী নবীর (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) নবুয়াতের উত্তরসুরী হিসেবে মনে করে! অথচ কোরআন মোতাবেক রাসুলে পাক মুহাম্মদই (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর পরে আর কোনো নবী নেই। আর এই বিষয়টা মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করাটা আমাদের জন্যে ফরজ যা কিনা শিয়ারা অস্বীকার করেছে! একই কাজটি পরবর্তিতে এই উপমহাদেশের কাদিয়ানী গোষ্ঠীও করেছে গোলাম আহমেদকে দিয়ে। হাদীস কিতাবের আমিরুল মুমিনুন ইমাম বুখারী (রহঃ) এই শিয়াদের সম্পর্কে বলে গেছেন, “ এদের আকীদাহ এতই জঘন্য যে আমার দৃষ্টিতে একজন রাফেজী শিয়ার পেছনে নামাজ পড়া আর একজন ইহুদির পেছনে নামাজ পড়ার মাঝে কোন পার্থক্য নেই।”
এই পথভ্রষ্ট শিয়াদের ভেতরেই আবার অনেক ফিরকা ও মত আছে যেমন আলাভী, ইসমাইলি, জায়েদী, নুসাইরি (সিরিয়ার বর্তমান স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ এই ফিরকার অনুসারী)। এছাড়া আমাদের উপমহাদেশেও বোহরা, আগাখানি, ইমামিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি শিয়া ফিরকা আছে।
বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে অধিক সংখ্যক শিয়া ইরানে বসবাস করে। যারা মূলত রাফেজি শিয়া। রাফেজি শিয়াদের একটি উল্লেখযোগ্য শিরকি ও কুফুরী আকীদাহ হলো তাদের ১২ ইমাম আল্লাহর সমান ক্ষমতাবান! (নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক)। বর্তমানে কথিত ইসলামিক(!) রাষ্ট্র ইরানের ইমাম ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমিনেই বলেছে মহবিশ্বের প্রতিটি কণার উপরেই তাঁদের ১২ ইমামের ক্ষমতা রয়েছে। এখন আপনারাই বলুন, এইরকম জঘন্য আকীদাহর লোককে যদি মুশরিক বলা না হয় তাহলে হিন্দুদের মুশরিক বলার কোনো অধিকার আছে? শিয়া গোষ্ঠীর আরো বলে থাকে যে "কোরআন সম্পূর্ণ দোষত্রুটি মুক্ত নয়! কোরআনকে যদি কেউ কামেল বা পূর্ণাংগ মনে করে তবে সে কাফের!" কত বড় ভুল ও মিথ্যা কথা!
শিয়াদের সবচাইতে পবিত্র গ্রন্থ উসুলে কাফীরের ঈমান অধ্যায়ে এই মুনাফেকরা উল্লেখ করেছে মা আয়িশাহ (রাঃ) নাকি যিনা করেছিলেন। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালেক)। মা আয়িশাহ (রাঃ) যে নির্দোষ ও সচ্চরিত্রের ছিলেন, এই সার্টিফিকেট স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন সুরা নূরে। কোরআনের স্পষ্ট আয়াতের যে বিরোধিতা করে সে সরাসরি কাফের হয়ে যায়। এছাড়াও এই শিয়া মুনাফেকরা বলে থাকে যে রাসুলের (সাল্লালাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর মৃত্যুর পরে মাত্র ৩ জন সাহাবী ছাড়া বাকি সব সাহাবীরা কাফের হয়ে গিয়েছিলেন! (নাউযুবিল্লাহ)। এসব কথার রেফারেন্স শিয়াদের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ ‘উসুলে কাফীরে পাওয়া যায়।
শিয়ারা এও বিশ্বাস করে থাকে যে কবর, মাজারের পুজো, অলি আওলিয়াদের কাছে দুয়া করা, তাদের কাছে বিপদে সাহায্য চাওয়া যায়েজ! (নাউযুবিল্লাহ)। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্থানে কবর মাজার পুজোর যেই শিরকি চর্চার প্রচলন চালু রয়েছে সেটা মূলত এই পারস্য ইরানের শিয়াদের কাছ থেকেই এসেছে। তাছাড়া কতিপয় মোঘল বাদশাহও এই উপমহাদেশে ইসলামের নামে এসব কবর, মাজার পুজো, পীর আওলিয়ায়ার পুজো আর হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলামকে মিশিয়ে দীন-ই-ইলাহী নামক খিচুড়ী মার্কা ধর্ম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।
শিয়া মতবাদ অনুযায়ী কারবালার মর্যাদা পবিত্র কাবার চাইতে বেশি আর এই কারবালা তাওয়াফ
করলে দুই হজ্জের সমান নেকী! (নাউযুবিল্লাহ)। বর্তমানে শিয়াদের যারা আয়াতুল্লাহ, ইমাম, আলেম যেমন খোমেনি, সিস্তানি, তিজানি এরা পরিষ্কার কাফের কারণ তারা জেনে বুঝে কোরআনের কথাকে অস্বীকার করে। এরা আরবের তত্কালীন মাজুসী অর্থাৎ অগ্নিপূজারীদের মতোই অপবিত্র ও নিকৃষ্ট।
মোবাশ্বের
হোসেন বলেছেন: মুসলিমের হতে হলে , একজন মানুষকে
পরিপূর্ণ ভাবে আল্লাহর একত্ববাদ ও তার
প্রেরিত শেষ নবী ও রাসুল মোহাম্মেদ (স: ) উপর নিরঙ্কুশ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। কোরান ও
হাদীস ( রাসুল স : জীবনধারা ও বাণীর ) প্রতি নিরঙ্কুশ
বিশ্বাস রখতে হবে। ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস এর প্রতি সংঘাত
মূলক সকল ধারণা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অনেক
সময় আমরা মুসলিমরা নিজের অজান্তে মৌলিক
বিশ্বাসের প্রতি সাংঘর্ষিক কিছু আমল করি বা কথা বার্তা বলি , যেমন শিয়ারা বলে হজরত আলী (র সম্পর্কে
, উনার
নামের পরে (স উল্লেখ
করে , যেটা একমাত্র নবী (স ক্ষেত্রে
প্রযোজ্য। শিরিক ( যাহা আল্লাহর ক্ষমতার তুল্ল ) করা , পরোক্ষভাবে
যেমন ইমাম আল্লাহর প্রদত্ত ক্ষমতাশালী বা পীর অলীগণ , তাদের মাধ্যমে প্রাথনা করতে হবে ( এটা সম্পূর্ণ শিরিক যেটা আল্লাহর
সমতায় বা কাছাকাছি আরেকজনকে নিয়ে যাই ) .
কেননা পবিত্র কোরানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অনেক অনেক দোয়া ও মুনাজাত শিখিয়ে দিয়েছেন তার মহান দরবারে প্রাথনা করার জন্য , কই ওখানে তো বলেননি কারো নাম , (ইমামের বা পীরের) করে প্রাথনা করার। এমন কী কোরানে দোয়াগুলা যারা করেছেন তাদের নামও অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখ আছে, দয়া করার সময় তারাও কারো নাম উল্লেখ নাকরে সরাসরি আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন।
তাই আল্লাহর একত্তাবাদ , শেষ রাসুলের স্বীকৃতি , কোরান ও সহী হাদিছের অনুকরণকারীরা মুসলিম।
কেননা পবিত্র কোরানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অনেক অনেক দোয়া ও মুনাজাত শিখিয়ে দিয়েছেন তার মহান দরবারে প্রাথনা করার জন্য , কই ওখানে তো বলেননি কারো নাম , (ইমামের বা পীরের) করে প্রাথনা করার। এমন কী কোরানে দোয়াগুলা যারা করেছেন তাদের নামও অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখ আছে, দয়া করার সময় তারাও কারো নাম উল্লেখ নাকরে সরাসরি আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন।
তাই আল্লাহর একত্তাবাদ , শেষ রাসুলের স্বীকৃতি , কোরান ও সহী হাদিছের অনুকরণকারীরা মুসলিম।