Saturday, August 6, 2016

সত্য ও ভন্ড নবী যাচাইয়ের সেমিটিক পদ্ধতি!



“ভন্ড নবী” কথাটাই ভন্ডামী। কারণ নবী ব্যাপারটাই প্রতারণা, জোচ্চুরি। নবী, অবতার বলে যাদেরকে আমরা জানি তারা হয় প্রতারক নয়ত কাল্পনিক চরিত্র। কোন অবতার বা নবীই নিজেদের কোনদিন প্রমাণ করতে পারেননি তবু তাদের অনুসারীদের কাছ থেকেই “ভন্ড নবী” বলে একে অপরকে দাবী করা হয়েছে। হযরত মুহাম্মদের মৃত্যুর পরে কিছু “ভন্ড নবীর” আবির্ভাব হয়েছিল। তারাও নিজেদেরকে নবী বলে দাবী করেছিল যেমনটা করেছিল হযরত মুহাম্মদ। তাহলে সেইসব কথিত ব্যক্তিতে “ভন্ড নবী” বলে কেন আক্ষায়িত করা হলো? কিসের ভিত্তিতে? হযরত মুহাম্মদ যদি নিজের নবীত্বের বিষয়ে একটিও প্রমাণ দেখাতে না পেরেও নবী হতে পারেন তাহলে কথিত সেই “ভন্ড নবীদের” অযৌগ্যতাটা কোথায়? আপনারা হয়ত অনেকে জানেন না হযরত মুহাম্মদ নিজেকে সেমিটিক ধর্মের সর্বশেষ নবী বলে ঘোষণা করার পর সেমিটিক ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্ম ইহুদী ধর্মের যাযকদের চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হয়েছিলেন। বলাই বাহুল্য সেই চ্যালেঞ্জে মুহাম্মদ চরমভাবে ব্যর্থ হন! কি সেই চ্যালেঞ্জ? তাওরাত মতে নবীদের কিছু চিহৃ আছে যা দেখে তার অনুসারীরা বুঝতে পারবেন তিনিই সেই প্রত্যাশিত নবী। নবীদের লক্ষণের বলে সেমিটিক ধর্মগুলো যা বিশ্বাস করে, সেগুলো হযরত মুহাম্মদ দেখাতে ব্যর্থ হন। মুহাম্মদের ভুয়া বংশ পরিচয় নিয়ে আগে লিখেছি বলে এই রচনায় সেটা বাদ দেয়া হলো। এখানে শুধু সেমিটিক ধর্ম মতে নবীত্বের চিহৃগুলো কি এবং সেগুলি কিভাবে দেখাতে মুহাম্মদ ব্যর্থ হয়েছিলেন তার বর্ণনা করা হবে।

তাওরাত অনুসারে একজন সত্য নবীকে ভন্ড নবী থেকে আলাদা করা যায় প্রথমত নবী দাবীকৃতের ভবিষ্যতবাণী সত্য বলে প্রমাণিত হওয়া। দ্বিতীয়ত সেই নবী পূর্ববর্তী নবীদের দেয়া বিধানের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না। সর্বশেষ নবী দাবীকৃতের দুই বা ততোধিক সাক্ষী থাকতে হবে তার ঐশ্বরিক শক্তির সঙ্গে যোগাযোগের। এসবই তাওরাত মতে সেমিটিক নবীদের যাচাইয়ের নিয়ম।(দ্বিতীয় বিবরণ, আয়াত- ১৭:৬)।
ইহুদী খ্রিস্টানদের নবীদের গল্প পাঠ করলে দেখা যায় তাদের নবীদের ভবিষ্যতবাণী জনগণ হাতেনাতে ফলতে দেখেছিল। নবী দাবীকৃত ব্যক্তি এর মাধ্যমে তার ঐশ্বরিক ক্ষমতাকে প্রমাণ করতেন। হযরত নূহ মহা প্লাবণের হুঁশিয়ারী জানিয়েছিলেন এবং সে মোতাবেক মহাপ্লাবণ সংগঠিত হয়েছিল। তার অনুসারীরা দেখেছি নূহের বর্ণিত প্লাবণ সংঘঠিত হয়েছে এবং তার প্রস্তাবিত কিস্তির কল্যাণেই তারা রক্ষা পেয়েছে। হযরত ইলিয়াস তার দেশে টানা ৩ বছর ৬ মাস বৃষ্টি না হওয়ার ভবিষ্যত বাণী করেছিল। বলেছিল রাজা যদি স্বেচ্ছায় সরে না যায় তাহলে বৃষ্টি হবে না। সেটাই ঘটেছিল। এভাবে তাওরাতে, বাইবেলে, কুরআনে বিভিন্ন নবীদের হাতেনাতে তাদের ভবিষ্যত বাণীকে তাদের অনুসারীরা ঘটতে দেখেছে বলে বর্ণনা করা আছে। এই ঘটনাগুলো কল্পনিক, মিথ যাই-ই আমরা বলি না কেন- বিশ্বাসী মানুষের কাছে বাস্তবের চেয়েও সত্য। যেহেতু কুরআনে এরকম ঘটনা প্রচুর বর্ণনা করা হয়েছে সেহেতু মুসলিমরাও খুব ভাল করে জানেন নবীদের ভবিষ্যত বাণী কখনো মিথ্যা হয় না। কেবলমাত্র ভন্ড নবীদের ভবিষ্যত বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে থাকে। নবীদের যাচাই করার এই রীতি’র কথা ইসলামী পন্ডিতরা কিন্তু জানে। জানেন বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় বক্তা জাকির নায়েকও। তাই তিনি কুরআনের ভবিষ্যতবাণী সত্য প্রমাণের উপর বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, আবু লাহাব ইসলাম গ্রহণ করবে না সেটা সুরা লাহাবেই বলা আছে, সেখানে বলা আছে আবু লাহাব ধ্বংস হবে। কিন্তু লাহাব যদি ইসলাম গ্রহণ করতো তাহলে সুরা লাহাবের কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যেতো। কিন্তু সেটা হয়নি। লাহাব মুশরিক হয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন…। জাকির নায়েক এতটাই চতুর আর ধুরন্ধর যে তেল আর জলকেও সে মিশ খাওয়াতে সক্ষম। জাকিরের ভক্তদের জন্য অবশ্য অতখানি দরকারও নেই। যদি তাদের সামান্য কমনসেন্স থাকতো তাহলে মাথায় এটা আসতো আবু লাহাব ইসলাম গ্রহণ করলে সুরা লাহাব যে মিথ্যা হয়ে যায় সেটা কি মুহাম্মদ জানতো না? কাজেই লাহাব যদি ইসলাম গ্রহণ করতেও চাইতো সেটা মুহাম্মদ কখনই হতে দিতো না।

কাজেই এই ভবষ্যিতবাণী সফল হওয়া পুরোপুরিই মুহাম্মদের নিয়ন্ত্রাধীন। আরো একটি দাবী করা হয় রোম সাম্রাজ্য পতন হওয়ার ভবিষ্যতবাণী নবী মুহাম্মদ ও কুরআন করেছিল। রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে যে সব রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা চিন্তা-ভাবনা করেন, (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পড়াশোনা তো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়) সমাজবিজ্ঞানীরা বহু ভবিষ্যতবাণী ১৮ শতকে, ১৯ শতকে করেছিলেন বিংশ শতাব্দি সম্পর্কে, ২১ শতক সম্পর্কে যা ফলে গিয়েছিল। নিশ্চয় এসব বলার জন্য কোন সমাজ বিজ্ঞানী বা রাষ্ট্র বিজ্ঞানীকে নবী হতে হয়নি! মুহাম্মদ সে যুগে অন্য যে কারুর চাইতে রাজনীতিটা ভাল বুঝতেন, উনি উনার সময়ে খুবই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ ছিলেন বিধায় বুঝতে পারছিলেন রোম সাম্রাজ্যের ভিতরে ঘুনে ধরেছে। এসব বুঝার জন্য উনার জিব্রাইলের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাওরাত, বাইবেলে নবীদের ভবিষ্যত বাণী হচ্ছে তাদের ঘটমান জীবনের উপজিব্য। মুসাকে তার ঈশ্বর বলছেন ইহুদীদের তিনি নতুন দেশ দিবেন। তারা জয়ী হবে। সেটাই ঘটতে দেখা গেছে। যীশু বলছেন তার সাহাবীদের মধ্যে কে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং তখন মোরগ ডেকে উঠবে। পরে সেটাই ঘটতে দেখে তার অনুসারীরা। কিন্তু ইসলামের নবী দাবীদার হযরত মুহাম্মদ এরকম কোন ভবিষ্যত বাণী করতে পারেননি যেটা দেখে আমরা আশ্চর্য হয়ে যেতে পারি। উনি জীবনে যতগুলো যুদ্ধ বা আক্রমণ করেছিলেন তার কোনটার পূর্বেই উনি ভবিষ্যতবাণী করেননি যে এই যুদ্ধের আমরা নিশ্চিত জিতবো। বরং সফল আক্রমণের পর কুরআনে এসেছে আল্লাহর নিজের স্তুতির তুবড়ি ছোটানোর বাণী। একবারও কুরআনে আসেনি আসন্ন যুদ্ধে তোমরা জিতবে এই গ্যারান্টি আমি তোমাদের দিচ্ছি। আল্লাহ খুব সেয়ানা, তিনি কোন গ্যারান্টি দেন না, বরং “ভাল মত লেখাপড়া করলে পাশ করবা” জাতীয় ডিপলোমেটিক কথাবার্তা বলে এড়িয়ে যান। অবশ্য হযরত ইমাম হোসেনের কারবালার করুণ মৃত্যুর ভবিষ্যত বাণী পাওয়ার কিছু হাদিস পাওয়া যায় যা যেখানে জিব্রাইল এসে নবীকে হোসাইনের ইয়াজিত বাহিনীর হাতে মৃত্যুর ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে যা শুনে নবীজি কাঁদতে থাকেন। এ ধরণের ভবিষ্যত বাণী কি হেতু বুঝা মুশকিল। নবী যদি এসব জিব্রাইল মাধ্যমে জানবেনই সেটা কুরআনে নেই কেন? কুরআনে কারবারলার ঘটনা ঘটার পূর্বেই যদি ভবিষ্যতবাণী করা হতো তাহলে সেটা তো হযরত মুহাম্মদের জন্য অনন্য ভবিষ্যতবাণীর নজির। আর তাহলে তিনি নিশ্চয় আবু সুফিয়ান, তার পুত্র মুয়াবিয়াকে কখনই ইসলামের অনুপ্রবেশ করাতেন না? কাজেই বুঝাই যাচ্ছে নবীর জবানে কোন আলী ভক্ত এই হাদিস পরবর্তীকালে তৈরি করেছিলেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য নবীদের মত হযরত মুহাম্মদের ভবিষ্যতবাণীর মত কোন ঘটনাই নেই।

নবীরা সেমিটিক তথা তাওরাত মতে পূর্ববর্তী নবীদের ঈশ্বরকৃত বিধানের বিপক্ষে যাবে না।

কাজেই এই ভবষ্যিতবাণী সফল হওয়া পুরোপুরিই মুহাম্মদের নিয়ন্ত্রাধীন। আরো একটি দাবী করা হয় রোম সাম্রাজ্য পতন হওয়ার ভবিষ্যতবাণী নবী মুহাম্মদ ও কুরআন করেছিল। রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে যে সব রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা চিন্তা-ভাবনা করেন, (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক পড়াশোনা তো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়) সমাজবিজ্ঞানীরা বহু ভবিষ্যতবাণী ১৮ শতকে, ১৯ শতকে করেছিলেন বিংশ শতাব্দি সম্পর্কে, ২১ শতক সম্পর্কে যা ফলে গিয়েছিল। নিশ্চয় এসব বলার জন্য কোন সমাজ বিজ্ঞানী বা রাষ্ট্র বিজ্ঞানীকে নবী হতে হয়নি! মুহাম্মদ সে যুগে অন্য যে কারুর চাইতে রাজনীতিটা ভাল বুঝতেন, উনি উনার সময়ে খুবই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ ছিলেন বিধায় বুঝতে পারছিলেন রোম সাম্রাজ্যের ভিতরে ঘুনে ধরেছে। এসব বুঝার জন্য উনার জিব্রাইলের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাওরাত, বাইবেলে নবীদের ভবিষ্যত বাণী হচ্ছে তাদের ঘটমান জীবনের উপজিব্য। মুসাকে তার ঈশ্বর বলছেন ইহুদীদের তিনি নতুন দেশ দিবেন। তারা জয়ী হবে। সেটাই ঘটতে দেখা গেছে। যীশু বলছেন তার সাহাবীদের মধ্যে কে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং তখন মোরগ ডেকে উঠবে। পরে সেটাই ঘটতে দেখে তার অনুসারীরা। কিন্তু ইসলামের নবী দাবীদার হযরত মুহাম্মদ এরকম কোন ভবিষ্যত বাণী করতে পারেননি যেটা দেখে আমরা আশ্চর্য হয়ে যেতে পারি। উনি জীবনে যতগুলো যুদ্ধ বা আক্রমণ করেছিলেন তার কোনটার পূর্বেই উনি ভবিষ্যতবাণী করেননি যে এই যুদ্ধের আমরা নিশ্চিত জিতবো। বরং সফল আক্রমণের পর কুরআনে এসেছে আল্লাহর নিজের স্তুতির তুবড়ি ছোটানোর বাণী। একবারও কুরআনে আসেনি আসন্ন যুদ্ধে তোমরা জিতবে এই গ্যারান্টি আমি তোমাদের দিচ্ছি। আল্লাহ খুব সেয়ানা, তিনি কোন গ্যারান্টি দেন না, বরং “ভাল মত লেখাপড়া করলে পাশ করবা” জাতীয় ডিপলোমেটিক কথাবার্তা বলে এড়িয়ে যান। অবশ্য হযরত ইমাম হোসেনের কারবালার করুণ মৃত্যুর ভবিষ্যত বাণী পাওয়ার কিছু হাদিস পাওয়া যায় যা যেখানে জিব্রাইল এসে নবীকে হোসাইনের ইয়াজিত বাহিনীর হাতে মৃত্যুর ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে যা শুনে নবীজি কাঁদতে থাকেন। এ ধরণের ভবিষ্যত বাণী কি হেতু বুঝা মুশকিল। নবী যদি এসব জিব্রাইল মাধ্যমে জানবেনই সেটা কুরআনে নেই কেন? কুরআনে কারবারলার ঘটনা ঘটার পূর্বেই যদি ভবিষ্যতবাণী করা হতো তাহলে সেটা তো হযরত মুহাম্মদের জন্য অনন্য ভবিষ্যতবাণীর নজির। আর তাহলে তিনি নিশ্চয় আবু সুফিয়ান, তার পুত্র মুয়াবিয়াকে কখনই ইসলামের অনুপ্রবেশ করাতেন না? কাজেই বুঝাই যাচ্ছে নবীর জবানে কোন আলী ভক্ত এই হাদিস পরবর্তীকালে তৈরি করেছিলেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য নবীদের মত হযরত মুহাম্মদের ভবিষ্যতবাণীর মত কোন ঘটনাই নেই।

নবীরা সেমিটিক তথা তাওরাত মতে পূর্ববর্তী নবীদের ঈশ্বরকৃত বিধানের বিপক্ষে যাবে না।

বলবে না ঐ সব নবীদের জন্য যা বিধান ছিল আজ তা বাতিল বলে গোণ্য করা হলো। তাহলে এটি সেমিটিক ঈশ্বরকে নিজের বিধানকেই নিজের সমালোচনা করার মত। বাইতুল মোকাদ্দাস থেকে আরব মূর্তি পুজারীদের কাবাঘরকে নিজের খেয়ালখুশি মত কিবলা নির্বাচন সেরকমই একটি লঙ্ঘন। কাবাঘর ইব্রাহিম নবী তৈরি করলে তার উল্লেখ তাওরাতের পুরাতন ও নতুন নিয়মে উল্লেথ থাকতো। ইহুদীরা যদি তাওরাত বিকৃত করেও ফেলে তবু কাবাঘর ও হজকে তারা তাওরাত থেকে উঠিয়ে দিবে না কারণ কাবাঘর থেকে প্রচুর অর্থ প্রাপ্তি ঘটে থাকে। ইহুদীরা কেন এরকম একটা দুধেল গাভীকে অস্বীকার করতে যাবে?... সেমিটিক নবীদের ঐতিহ্যকে হযরত মুহাম্মদের অস্বীকার করার আরো নজির আরো দেখানো যেতে পারে কিন্তু রচনাটি দৈর্ঘ্য সীমিত রাখার জন্য সেটি আর আলোচনা করা হলো না।
হযরত মুহাম্মদ যখন নিজেকে মুসা ও ঈসার ধারাবাহিকতায় শেষ নবী হিসেবে দাবী করলেন তখন ইহুদী রাব্বিরা তাকে নবীত্বের প্রমাণ দাখিল করতে বললেন। এটা ইহুদীদের শয়তানী ছিল না। কারুর কারুর মধ্যে সেটা কাজ করতে পারে, কিন্তু ধার্মীক ধর্মভীরু ইহুদী যাযকরা সৎভাবেই তাওরাত নিদের্শিত যাচাই বিধি মোতাবেক মুহাম্মদকে সেরকম কিছু নজির দেখাতে বললেন। যীশুর সাহাবী ইয়োহান্না যীশুকে বলেছিল আমরা কি দেখে আপনার উপর ঈমান আনতে পারি? যীশু তখন সাতটি রুটি ও ৫ টি মাছ দিয়ে ৫ হাজার মানুষকে খাইয়ে মুজেজা বা অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়ে বুঝিয়ে ছিলেন তিনি ঈশ্বর প্রেরিত নবী। মুসার লাঠিকে শাপ বানানো বা দরিয়াকে দুভাগ করে ফেলা হাজার হাজার মানুষের সামনে ঘটেছে। এসব কুরআনেও বলা আছে। তুর পাহাড়ে স্বয়ং মুসার কাছে ঈশ্বরের বাক্যালাপ মুসার অনুসরণকারীরা নিজ কানে শুনেছে। ঈসা নবীর সঙ্গে ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার তার সাহাবীরা স্বচোক্ষে দেখেছে। এসবকেই তাওরাত দ্বিতীয় সাক্ষি হিসেবে উল্লেখ করেছে। ঠিক এই কারণেই ইহুদীরা হযরত মুহাম্মদকে সেরকম কিছু নজির দেখানোর কথা বললে তিনি পিছলাতে শুরু করেন। যার জন্য আল্লাহ গোটা সৃষ্টি জগত সৃষ্টি করেছেন, পরবর্তীকালে যাকে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ফেরেস্তারা তার দলে যোগ দিবে সেই তাকে একটা মামুলি মুজেজা বা অলৌকিক ঘটনা দেখানোর জন্য আল্লাহ সহায়তা করলেন না! অথচ তাওরাতে তিনিই বলেছেন নবীদের দ্বিতীয় সাক্ষি থাকতে হবে! এখন মুহাম্মদকে বেজ্জইতি করে কি সাফাই গাইছে দেখেন-
“তারা বলে, তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রতি কিছু নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।সূরা আল আন কাবুত”- ২৯:৫০ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
সুরা হুদের এই অংশটা খুব ইন্টারেস্টিং-
“আর সম্ভবতঃ ঐসব আহকাম যা ওহীর মাধ্যমে তোমার নিকট পাঠানো হয়, তার কিছু অংশ বর্জন করবে? এবং এতে মন ছোট করে বসবে? তাদের এ কথায় যে, তাঁর উপর কোন ধন-ভান্ডার কেন অবতীর্ণ হয়নি? অথবা তাঁর সাথে কোন ফেরেশতা আসেনি কেন? তুমিতো শুধু সতর্ককারী মাত্র; আর সব কিছুরই দায়িত্বভার তো আল্লাহই নিয়েছেন”।সূরা হুদ-১১:১২ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
এর মানে অবিশ্বাসকারীরা জিব্রাইলকে দেখতে চেয়েছিল। উপরে দেখানো হয়েছে মুসা ও ঈসার অনুসারীরা খোদ ঈশ্বরকেই নাকি চোখে দেখেছেন, তার কন্ঠ শুনেছেন! আর যীশুর মা মরিয়ম তো দেবদূর্তকে দেখতেই পেয়েছিলেন। তাহলে জিব্রাইলকে একপলক দেখালে আল্লার এমন কি ধনসম্পত্তি নষ্ট হয়ে যেতো? অথচ মুহাম্মদ পরবর্তীকালে জিব্রাইলকে অন্যের কাছে প্রমাণ করার জন্য কত নাটকই না করেছেন! নাহ্, জিব্রাইলকে হযরত মুহাম্মদ ছাড়া দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি দেখেছেন এমন কোন ইসলামী তথ্য দুনিয়াতে নেই। অর্থ্যাৎ জিব্রাইলকে মুহাম্মদ একাই দেখতেন ও শুনতেন। সেমিটিক ধর্মমতে এটি প্রথম সাক্ষী, দ্বিতীয় সাক্ষী নেই। অবাক হয়ে দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস মতে মুসা, যীশু নিজেদের নবী হিসেবে তাদের অলৌকিক ক্ষমতা, ঈশ্বরকে দেখানো পর্যন্ত সব করেছেন তাদের সময়কালে যা কুরআনও বর্ণনা করছে। অথচ মুহাম্মদের জীবনে এরকম কোন ঘটনা নেই!
মিরাজের ঘটনা তারও সাক্ষী মুহাম্মদ নিজে ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নেই। এতসব কিছুর পরে, নিজেকে কোনভাবেই নবী হিসেবে প্রমাণ করতে না পেরেও যদি মুহাম্মদ নবী হন তাহলে তার মৃত্যুর পরে নবী দাবীকৃতরা কি দোষ করলো? বা এর পর দুনিয়াতে ইমাম মেহেদী বলে দাবীকারীরাই বা কি অপরাধটা করল? মুসলিমরাই তাহলে সত্য নবী আর ভন্ড নবী’র পার্থক্য বলে দিক। ইহুদী-খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম বিকৃতি করে ফেলেছে- এ রকম দাবী যারা করতে পারেন তাদেরও উচিত হবে নিজেদের নবীর সত্যতা যাচাইয়ের কমনসেন্সগুলোকে নিয়ে একটু ভাবার…।