লিখেছেন: হাসিবুল হাসান শারদ
ইরানে এত দিন বেশ্যাবৃত্তি চলত বেশ জমপেশ। মোটামুটি আশি হাজার বেশ্যা ছিল তেহরান শহরেই। আর সারা দেশে ছিল আরো কয়েক লাখ। এমন পরিস্থিতির কারণ হচ্ছে ওদেশে অতি বিত্তবানেরা ছাড়া আর তেমন কোনো পুরুষ বিয়ে করতে সমর্থ হয় না, আর বিত্তবানেরা করে বহুবিবাহ। সাধারণ দরিদ্র জিহাদি যুবকদের বিয়ে করা যেহেতু সম্ভবপর না, তাই তারা চায় বেশ্যা। আর এই পরিস্থিতিতে অনেক মেয়েরই বিয়েও হয় না, খাদ্যসংস্থানও থাকে না। তাই তাদেরকে বেশ্যাবৃত্তিতে নেমে পড়তে হয় বা নামানোটা সোজা হয়।
পরিস্থিতি ওখানে অনেক দিন থেকেই এমন উৎকট হয়ে পড়েছিল যে ইরান সরকার এই বেশ্যাবৃত্তিকে আইনসিদ্ধ করে দিয়েছে মুতাহ্ বিবাহের লেবাস পরিয়ে।
সমাজ ও ধর্মের গোঁড়ায়, অর্থাৎ মূলগত সিস্টেমেই যখন পচন ধরে যায় তখন সে রাষ্ট্রটাকে বাঁচানোর কোনো উপায় থাকে না, এবং তখন এইভাবেই একটা কিছুর আভরণে বা আবরণে সে লজ্জাকর পরিস্থিতি ঢাকতে হয়। ওখানে ঐ বেশ্যাদেরকে কর্মজীবী করাটা দরকার ছিল, সম্ভব হয়নি; এবং ঐ ধনীপুরুষের বহুবিবাহ একদম কঠোর হাতে বন্ধ করিয়ে, একবিবাহ চালু করিয়ে এবং দরিদ্র পুরুষদের জন্য বিয়ে করার যথাযথ ব্যবস্থা করে দিয়ে তবেই এই সমস্যা নির্মূল করা যেত; তাও সম্ভব হয়নি এবং হবেও না। তো ঐখানে বেশ্যাবৃত্তির রমরমা পসার হবে না তো কি…!
এখন দরিদ্র জেহাদিরা পতিতাদেরকে যখন চাইবে তখনই একটু একটু বিয়ে করতে পারবে। স্ত্রী বলতে যেটা বোঝায় তা হচ্ছে পুরো একটা মস্ত ফ্যামিলি প্যাকেজ, আর মুতাহ্ বিয়ে করা স্ত্রীটা তারই একটা ক্ষুদ্র সংস্করণ বা একটি মিনিপ্যাক। এখন যেকেউ কয়েক ডলার দিয়ে ক্ষণকালের জন্য ঐ মেয়েদের সাথে সেক্স করতে পারবে, আর গুনাহ্ও হবে না।
বাংলার ছাগুদের কাছে অতি জনপ্রিয় মজলুম নেতা, সর্বসাধারণ জনতার প্রতিনিধি, বাসের রড ধরে ঝুলতে ঝুলতে অফিসে যাওয়া এবং যেখানে-সেখানে নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে যাওয়া রাষ্ট্রপ্রধান আহমেদিন এজাদের আইনসভা এই সময়োপযোগী আইনটি করে ভালোই করেছে, কী বলেন?
কী বলে ধন্যবাদ দেয়া যায়?
বিদ্র ইরানি মোল্লারা বলেছে, মুতাহ্ বিবাহ করা স্বামীস্ত্রী যাতে জন্মনিরোধক ব্যবহার করে সে ব্যবস্থা আমরা করব।
আমি ভাবছি, হেফাজত কি ইরানে নাই! হেলিকপ্টার শফি কি খালি বাংলাদেশটা নিয়েই ভাববে? ইরানের ব্যাপারে কিছু বলবে না? বলবে না, ইরানির ইয়ে বিরানির মতো?