Saturday, August 6, 2016

যৌনদাসীদের ধর্ষণ করার সহিহ সম্মত উপায় : আইসিস


গত বছর আইসিস “নারী দাসী ও তাদের স্বাধীনতা” সম্পর্কিত ২৫টা প্রশ্নোত্তর প্রকাশ করেছিল। এবার প্রকাশিত হয়েছে কিভাবে নারীদের যৌনদাসী-গণিমতের মাল বানাতে হবে এবং কিভাবে তাদেরকে ধর্ষণ করতে হবে, তার একটি বিবরণ। ইংরেজি থেকে লেখাটা বাংলায় অনুবাদ করে তসলিমা নাসরিন ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। নিচে সেটা হুবহু তুলে ধরা হলো :–
যৌনদাসীদের কী করে ধর্ষণ করতে হবে, তার একটি ফতোয়া জারি করেছে ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠী আইসিস, এ বছরের ২৯ জানুয়ারিতে। এই ফতোয়া অনুযায়ীই আইসিসের সদস্যরা চলে। চমৎকার ফতোয়া। ইসলাম যতটা মর্যাদা দিয়েছে নারীকে, মনে হচ্ছে আইসিস তারও চেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছে। মাসিকের সময় এবং গর্ভবতী অবস্থায় ধর্ষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পায়ুধর্ষণও নিষিদ্ধ। পিতা পুত্রের এক নারীকে ধর্ষণ নিষিদ্ধ। দু’বোনকে ধর্ষণ নিষিদ্ধ, শুধু এক বোনকে ধর্ষণ জায়েজ। যৌনদাসীদের নির্যাতন না করার কথাও বলা হয়েছে।
ধর্ষণের নিয়ামাবলীতে যা লেখা ছিল, সেটাই অনুবাদ করে দিচ্ছি। ধর্ষণ না লিখে যৌনসম্পর্ক লিখছি যেহেতু ইংরেজিতে ইন্টারকোর্স লেখা হয়েছে, রেপ নয়। তবে আমরা তো জানি যৌনদাসীর সঙ্গে যা হয়, তা রেপ বা ধর্ষণ। সঙ্গমে যৌনদাসীর সম্মতি তো কেউ চাইছে না, সম্মতি ছাড়া সেক্সের অপর নাম রেপ।
১. যৌনদাসীদের মাসিক শেষ হওয়ার পর, শরীর তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার পর যৌনসম্পর্ক করতে হবে।
২. যৌনদাসীরা গর্ভবতী হলে তাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করা যাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা সন্তান প্রসব না করে।
৩. যৌনদাসীদের গর্ভপাত করানো যাবে না।
৪. কোনও যৌনদাসীকে যদি তার মালিক মুক্তি দেয়, তবে সেই যৌনদাসীর সঙ্গে এক মালিকই পারবে যৌনসঙ্গম করতে। সেই মালিকের অধিকার নেই অন্য কাউকে যৌনদাসীটির সঙ্গে যৌনসঙ্গম করার জন্য লেলিয়ে দেওয়া।
৫. কোনও যৌনদাসীর মালিক যদি তার যৌনদাসীর সঙ্গমযোগ্য কন্যার সঙ্গে সঙ্গম করে, তবে মালিকের অধিকার নেই সেই কন্যার মায়ের সঙ্গে সঙ্গম করার। আবার মালিক যদি মায়ের সঙ্গে সঙ্গম করে, তবে তার অধিকার নেই তার কন্যার সঙ্গে সঙ্গম করার।
৬. কোনও মালিকের যদি এমন দু’জন যৌনদাসী থাকে যে দু’জন সম্পর্কে বোন, তাহলে সঙ্গম করতে হবে তাদের একজনের সঙ্গে, দু’জনের সঙ্গে নয়। একজনকে মালিক বিক্রি করে দিতে পারেন।
৭. মালিকের যৌনদাসীর সঙ্গে মালিকের পুত্র যৌনসঙ্গম করতে পারবে না। মালিক আবার তার স্ত্রীর যৌনদাসীর সঙ্গেও সঙ্গম করতে পারবে না।
৮. কোনও মালিক যদি তার যৌনদাসীর সঙ্গে সঙ্গম করার পর নিজের পুত্রর কাছে বিক্রি করে দেয়, তবে সেই যৌনদাসীর সঙ্গে তার আর সঙ্গম করার অনুমতি নেই।
৯. কোনও যৌনদাসী যদি মালিক দ্বারা গর্ভবতী হয় তবে মালিক তাকে বিক্রি করতে পারবে না। আর মালিকের মৃত্যুর পরই সে মুক্তি পাবে, তার আগে নয়।
১০. কোনও মালিক যদি তার যৌনদাসীকে মুক্তি দেয়, তবে তার সঙ্গে মালিক আর যৌনসঙ্গম করতে পারবে না, কারণ সে আর তখন তার সম্পত্তি নয়।
১১. যদি দুই বা ততোধিক লোক কোনও মেয়েকে ক্রয় করে, তবে কেউই একা তার সঙ্গে যৌনসঙ্গম করতে পারবে না, কারণ সে অনেকের যৌনদাসী, কারও একার নয়।
১২. যৌনদাসীর যখন মাসিক হতে থাকে, তখন তার সঙ্গে যৌনসঙ্গম করা যাবে না।
১৩. যৌনদাসীর সঙ্গে পায়ুসঙ্গম করা যাবে না।
১৪. যৌনদাসীর মালিক যেন যৌনদাসীকে নির্যাতন করা থেকে বিরত থাকে, তার প্রতি আন্তরিক হতে হয়, দয়া মায়া দেখায়। তাকে এমন কাজ দেওয়া ঠিক হবে না যা সে করতে পারবে না।
১৫. যৌনদাসীর মালিক যেন যৌনদাসীকে এমন কারও কাছে বিক্রি না করে, যে যৌনদাসীকে অত্যাচার করবে বা তার ওপর আল্লাহ যা নিষিদ্ধ করেছেন তা করবে।