নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নাকি নারী ভোগের প্রতি দুর্বলতা
হাজার হাজার বছর পূর্বে এই পৃথিবীতে সুদর্শন এক পুরুষের জন্ম হয়েছিল। তার আদর্শে পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল। ধর্মের প্রতি তার ভালবাসা, অবিশ্বাস্য। মুগ্ধ করেছিল শুধুই অন্ধবিশ্বাসীদের। অতি নিখুঁতভাবে ইসলাম প্রচারের ব্যবসাটি তিনি দক্ষতার সাথে পালন করেছিলেন। নারীর প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান পৃথিবীর সকল ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের নারীভোগে উৎসাহী করে। সেই অদৃশ্য পুরুষ জয় করেছে আরব দেশগুলোর কুৎসিত মানুষগুলোর নোংরা মন। দুর্বলতা কার না থাকে! সবারই! স্বীকার করার মধ্যে সৎ ও সাহসিকতার পরিচয় পেলে। ব্যর্থ! প্রশ্নবিদ্ধ!
তিনি ন্যায়বিচারক, বৈষম্য তিনি করতেন না, উদার ছিলেন, জিহাদে বিশ্বাসী এক মানব কিভাবে বিশুদ্ধতার প্রতীক হয়, তা আমার জানা নেই। তার বড় গুরু নারীকে শষ্যক্ষেত্র বলে ঘোষনা দেয়। এর কারণেই কি তিনি নারীকে ভোগ্যপণ্য ভাবতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন? হয়তো; হয়তো বা জন্ম থেকেই তিনি কামুক, যৌন ক্ষুধায় আসক্ত ছিলেন অথবা শারীরিক চাহিদা মেটাতে এক উদ্যম পুরুষ! পবিত্র কুরআন নামক গ্রন্থে বলা আছে, অনেক নিয়মকানুন মেনে চার বিয়ে জায়েজ। তাহলে সেই আদিপুরুষ, মহাপুরুষ, উত্তমপুরুষ কিভাবে নারীকে সম্মান করেছে! তার স্ত্রীর তালিকা দেখলে পুরুষাঙ্গে কুট কুট ধ্বনি অনুভব হয়।
১. খাদিজা বিন্তে খালিদ ২.সাউদা বিন্তে জামিআ ৩.আয়েশা বিন্তে আবু বকর ৪.হাফসা বিন্তে উমর ৫.জয়নব বিন্তে খুজায়মা ৬.হিন্দ্ বিন্তে আবু উমাইয়া ৭.জয়নব বিন্তে জাইশ ৮.জুয়ারিয়া বিন্তে আল হারিথ ৯.রায়হানা বিন্তে জায়েদ
১০.সাফিয়া বিন্তে হুয়ায়া ১১.রামিয়া বিন্তে আবু সূফিয়ান ১২.মারিয়া আল কিবতিয়া ১৩.মামুনা বিন্তে আল হারিথ।
এগুলো বাদেও জনা পাঁচেক ছিলো তার উপপত্নী এবং খাদাম। (এটি আরবী শব্দ যার অর্থ দাসী) সবমিলিয়ে ১৮জনের সাথে সে তার কাম বাসনা, যৌনক্ষুধা মিটিয়েছিলো।
তারপরও তিনি মহান। এই ইতিহাস কি নারীর প্রতি সুদর্শন এই পুরুষের শ্রদ্ধাবোধ নাকি নারী ভোগের প্রতি দুর্বলতা! আর আমরা টিএসসি/ বইমেলাতে কোন তরুণীর সাথে দাড়িয়ে/ বসে থাকলেও আমরা লম্পট; ধর্মান্ধতা তুমি করেছ জাতিকে নির্বোধ; আমাদের করেছ অপরাধী।
বিঃদ্রঃ ধর্মানুভুতি নিজ দায়িত্বে রাখুন। এখানে কোদাকোদি করবেন না। তলপেটে আঘাত লাগলে বাথরুমে যান; ফেলে আসুন, শান্তি পাবেন (নারী পুরুষ উভয়েরই জন্য)।
ধর্ম কোনসময় সুখ দিতে পারেনি – অনন্য আজাদ
মুসলমান সবই পারে। মানুষ মারতে পারে, মন্দির ভাঙতে পারে, হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীকে ধর্ষণ করা, তাদের বাড়িঘর পুরিয়ে ফেলতে পারে- শুধু মুসলমানরাই পারে। এতে কোন গুনাহ নেই। কোন হিন্দু যদি ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপ করে তাহলে দেশ থেকে বিতারিত করা বাধ্যতামূলক। এই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নমুনা প্রায়ই দেখা যায় যদিও মন্দির ভাঙ্গা সওয়াব, এক একটি মূর্তি ভাঙলে সে ততদ্রুত বেহেস্তে যেতে পারবে। এছাড়া কোন এক কাল্পনিক ভণ্ড পুরুষ তিনিও মূর্তি ভাঙতে পারদর্শী ছিলেন সুতরাং ইসলাম মুসলমানদের আদেশ দেয় সাম্প্রদায়িকতা ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে। এখনও ধর্ম পালন করবেন! করবেন; তাহলে করেন।
ধর্ম কোনসময় সুখ দিতে পারেনি। সৃষ্টি করেছে জটিলতা। পৃথিবীর সকল ধর্মই অবাঞ্ছিত গাধাদের দ্বারা সৃষ্টি।
—Ananya Azad