Saturday, August 6, 2016

ভাই চলেন নামায পড়ে আসি


দোষটা আমারই । সবার সামনে সাধু আস্তিক সেজে থাকি ।তার জন্যই তো আজ গন্ড শিক্ষিত ছেলেটি আমাকে বলল, “ভাই চলেন নামায পড়ে আসি ।” মনটা যদিও খারাপ ছিল তবুও খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললাম, “যে ধর্মের প্রবর্তক ১৩ টি বিয়ে করে, যার একাধিক উপপত্নী থাকে এবং গনিমতের মাল ভোগ করার জন্য যে অস্থির থাকে সে ধর্ম পালনের বা নামায পড়ার ইচ্ছা নাই ।” প্রত্যুত্তরে ছেলেটি আমাকে গালিগালাজ করে এমনকি আমার জন্ম পরিচয় নিয়ে টান দেয় ।বলে আমি নাকি তাকে মিথ্যা বলেছি এবং ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানি না । আরো বলে যে, যদি আমার সাথে তার ন্যূনতম আন্তরিক সম্পর্ক না থাকত তাহলে আজকে নাকি রক্তের স্রোত বইয়ে দিত । আমি বললাম, ” মুসলমান বা ধার্মিকরা আজীবন এসব রক্তারক্তিই করতে পারে , কুরুচিপূর্ণ আচরণই করতে পারে , অশালীন ভাষায় কথাই বলতে পারে , মানুষের মুক্তি আনতে পারে না ।
…….. আজ থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম সুবিধাবাদীদের মত নিজের চারপাশে রহস্যের জাল বিছিয়ে না রেখে নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করব যেমন নিজেদেরকে স্পষ্ট করেছিল আমার আমার শিক্ষাগুরু বার্টান্ড রাসেল, আরজ আলী, আহমেদ শরীফ, আহমেদ ছফা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এবং হুমায়ুন আজাদ । ফলে তাদের শিষ্য হয়ে আমি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অনুকম্পার জন্য ছলনার আশ্রয় নিতে পারি না । তারা যেমন ফরোয়া করেন নি আমিও করব না । তাই আজ স্পষ্টই আমি ফেইসবুকে আমার আপোষমূলক প্রোফাইল পরিবর্তন করে নিজেকে নতুন রূপে প্রকাশ করলাম । “তোরা কে কি করতে পারিস করিস । তোদের করার সুযোগ দিলাম ।”