লিখেছেন রহমান পৃথু
বাংলাদেশী মুসলমানদের প্রধান বৈশিষ্ট্য - টাকার প্রতি বেশি লোভ। টাকার লোভের সামনে ঈমান ধর্ম, নৈতিকতা এদের কাছে তুচ্ছ।
আমি এক সময় দোভাষীর কাজ করতাম। তখন ইউরোপে থাকার অনুমতি লাভের আসায় বা সেই
দেশ থেকে বহিষ্কার হয়ে যাবার ভয়ে একেক ঈমানদার মুসলমানকে দাড়ি-টুপি ফেলে
ছেলে-মেয়ে নিয়ে খ্রিষ্টানদের গীর্জায় আশ্রয় নিতে দেখেছি।
দেখেছি, এরা একের পর এক মিথ্যা বলে, মানসিক অসুস্থতার অভিনয় করে। দেখেছি,
ইউরোপে থাকার জন্য কী করে তারা সেখানকার সরলপ্রাণ, বিশ্বাসী মানুষ ও সরকারী
কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে।
এরাই টাকার লোভে মদ বিক্রি করে, মদের দোকানে কাজ করে, সোশ্যাল সিকিউরিটিকে
ফাঁকি দিয়ে টাকা আয় করে। মোদ্দা কথা, হারাম টাকা উপার্জনের জন্য এমন কোনো
দুই নম্বরী উপায় নেই, যেগুলোর আশ্রয় তারা নেয় না। দুই টাকায় এদের ঈমান
বিক্রি হয়ে যায়।
আবার এরাই শুক্রবার হলে সবার আগে মসজিদে হাজিরা দেয়। টুপি পরে গর্বভরে
রাস্তায় হাঁটে। দোকানে গিয়ে হালাল খোঁজে। মেয়ে-বৌকে বোরখা পরায়।
এরাই তাদের সন্তানদের শিশুকাল থেকে ইউরোপীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ঘৃণা
করতে শেখায়। শেখায় - তাদের স্কুলের সহপাঠী খ্রিষ্টান ও মুসলিমরা নিকৃষ্ট ও
ঘৃণীত জীব। ওরা জাহান্নামে যাবে।
সন্তানদেরকে আরবি পড়ার জন্য এরা শিক্ষক রাখে। অদ্ভুত নৈতিকতাবোধ!
হলফ করে বলতে পারি: ইউরোপ-আমেরিকা যদি শর্ত দেয় - হয় খ্রিষ্টান হও, নাহয়
দেশ ছাড়, তাহলে এরাই বোরখা ছেড়ে, দাড়ি কামিয়ে, টুপি ফেলে সবার আগে গির্জার
সামনে লাইন দেবে।