মুহাম্মাদ (অসম্পূর্ণ)
জন্মঃ ২৬ এপ্রিল ৫৭০, বনি হাশিম বংশ, কুরাইশ গোত্র, মক্কা নগরী, সৌদি আরব।
- প্রচলিত ধারনা মোতাবেক জন্ম ৫৭০ খৃস্টাব্দে।
- ইতিহাসবেত্তা মন্টগোমারি ওয়াট তার পুস্তকে ৫৭০ সন ব্যবহার করেছেন।
- সাইয়েদ সোলাইমান নদভী, সালমান মনসুরপুরী এবং মোহাম্মদ পাশা ফালাকির গবেষণায় জন্ম ৫৭১ সালের ২০ বা ২২ শে এপ্রিল।
- নবীর জন্মের বছরেই হস্তী যুদ্ধের ঘটনা ঘটে এবং সে সময় সম্রাট নরশেরওয়ার সিংহাসনে আরোহনের ৪০ বছর পূর্তি ছিল।
- ৫৭০ বা ৫৭১ খৃস্টাব্দে আবরাহা ৬০ হাজার সৈন্য ও ১৩ টি হস্তী নিয়ে মক্কার দিকে যাত্রা করে।
- হিজরী ১১ সালের সফর মাসে জ্বরে আক্রান্ত
- এই অসুস্থতা ছিল খাইবারের এক ইহুদি নারীর তৈরি বিষ মেশানো খাবার গ্রহণের কারণে
- চল্লিশ বছর বয়সে
- জন্ম ৫৭০ সাল ধরলে- ৬১০ সালে
- জন্ম ৫৭১ সাল ধরলে- ৬১১ সালে
- ৩০ বছর বয়স থেকে হেরাগুহায় যাতায়াত
- হালিমা বিনতে আবু জুয়াইবের (অপর নাম হালিমা সাদিয়া)-এর কাছে জন্মের পর থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত
- পরের বছর মায়ের কাছে
- তারপর দাদার কাছে
- দাদা মারা গেলে আপন চাচা আবু তালিবের কাছে
দাদাঃ আব্দুল মুত্তালিব
- কুরাইশ গোত্রের প্রধান
- মারা যাওয়ার সময় মুহাম্মদের বয়স ৮ বছর ২ মাস ১০ দিন
পিতাঃ আব্দুল্লাহ
- বিয়ের ৩দিন পর নতুন বউ নিয়ে বাড়িতে ফেরত
- বিয়ের পরপরই বানিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়া যান (এসময় তার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন)
- সিরিয়াতেই মার যান
- মহাম্মদের জন্মের ৫/৬ মাস আগে মারা যান
মাতাঃ আমিনা
- মহাম্মদের ৬ বছর বয়স কালে মারা যান
স্ত্রীঃ
১. খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ
- বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ৪০ আর মুহাম্মদের ২৫
- আগেও খাদীজার দুইবার বিয়ে হয়েছিলো
- হস্তী বর্ষের ১৫ বছর আগে অর্থাৎ নবীর জন্মেরও ১৫ বছর আগে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন
- পিতা খুওয়াইলিদ ইবন আসাদ এবং মাতা ফাতিমা বিনতু যায়িদ
- নবী ও খাদীজার মধ্যে ফুফু-ভাতিজার সম্পর্ক ছিল
- ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি
- বিবাহিত জীবনঃ ৫৯৫-৬১৯
- বিধবা
- হিজরতের পূর্বেই আনুমানিক ৬২০ খ্রিস্টাব্দে বিবাহ
- নবী মারা যাওয়ার সময় সাওদার বয়স ছিল ৪৬ বছর।
- বিয়ের সময় বয়স ৩৩, নবীর ৪৯
- অন্তরঙ্গ বন্ধু, চাচাতো ভাই আবু বকরের মেয়ে
- বিয়ের সময় বয়স ৬, নবীর ৫১
- ৯ বছর বয়সে বাসর
- নবীর মৃত্যুকালে বয়স ১৮
- ইসলামের ২য় খলিফা ওমরের মেয়ে।
-
হিজরী ২য় বা ৩য় সালে মুহাম্মদ উনাকে বিবাহ করেন।
-
৪১ অথবা ৪৫ হিজরিতে পরলোকগমন করেন।
- হিজরতের একত্রিশ মাস পরে ৩য় হিজরীর রমজান মাসে বিবাহ করেন
- মাত্র আটমাস উনার বিবাহাধীনে থেকে বিয়ের পরবর্তী বৎসরেই ৪র্থ হিজরীর রবিউস সানি মাসে উনার ইন্তেকাল হয়
- জন্ম: ৫৮৮ খৃঃ
- মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশের বিখ্যাত বনি হাশেম গোত্রের জাহাশ পরিবারের মেয়ে
- মাতাঃ উমাইমাহ বিনত আব্দ আল (মোতালিবের মেয়ে)
- আপন ফুফাতো বোন
- পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী
- ওহী এলে জায়েদ তালাক দিতে বাধ্য হয়
- মৃত্যু ২০ হিজরিতে
- বিধবা
- আবু সুফিয়ানের মেয়ে
- জন্মঃ ৫৮৯ সালে, মৃত্যুঃ ৬৬৬ সালে
- বিয়ে হয় মহাম্মদের অনুপস্থিতে
- ৪র্থ হিজরিতে উনার প্রথম স্বামী আবু সালামা এক যুদ্ধে শদীদ হন
- অত:পর, শাওয়াল মাসে মুহাম্মাদ উনাকে বিবাহ করেন
- তিনি উনার স্ত্রীদের মধ্যে সব শেষে (মতান্তরে ৫৯ বা ৬২ হিজরিতে) ইন্তেকাল করেন
- বিধবা, বানু কুরাইজা গোত্রের লোকদেরকে পরাজিত করার পর তাকে গণিমতের মাল হিসাবে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেছিলেন কি না তা নিয়ে মতভেদ আছে।
১১. সাফিয়া বিনতে হুওয়াই (৬২৯-৬৩২)
১২. মাইমুনা বিনতু আল-হারিস (৬৩০-৬৩২)- বিধবা ইহুদী রমনী, খায়বার দখলের পর সব পুরুষকে হত্যা করে তাদের সর্দারের স্ত্রীকে ভাগে পান মোহাম্মদ। পরে বিয়ে করেন। বিশেষ বিষয় হলো- যেদিন মোহাম্মদ ও তার দলবল সাফিয়ার স্বামী সহ সকল আত্মীয় স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যা করেন সেদিনই রাতে তিনি সাফিয়ার সাথে রাত কাটান।
- আসল নাম ছিলো বাররা
- বিয়ের সময় বয়স ৩৬, মহাম্মদের ৬০
- জয়নব বিনতে খুযায়মার সৎ বোন
- জন্মঃ ৫৯৪ সালে, মৃত্যুঃ ৬৭৪ সালে। ৮০ বছর বয়সে মারা যান।
- বিধবা
- নবী তাঁর সাথে যৌন-সংগমে অগ্রসর হলে চক্রান্তকারী অন্যান্য স্ত্রীদের মন্ত্রণায় গাজিয়া উচ্চারণ করেঃ “আমি আল্লাহর কাছে তোমার থেকে আশ্রয় চাই।” শুনেই নবী তাকে তৎক্ষণাৎ তালাক দেন।
- নবী আবিষ্কার করেন যে, তার শরীরে সাদা দাগ ছিল, যা তিনি অপছন্দ করতেন। ফলে তাকেও তৎক্ষণাৎ তালাক দেন নবী।
কাতিলা
- কাতিলার সাথে বিয়ে হতে-না-হতেই নবী অসুস্থ হয়ে পড়েন ও যৌন-সহবাসের সুযোগ হওয়ার আগেই মারা যান। নবীর মৃত্যুর পর কাতিলা ইসলাম ত্যাগ করেন।
খাওলা বিন্তে হুযাইল
লাইলা বিন্তে খাতিম
নাম না-জানা বনী কিলাবের এক মহিলা
দাসী-বাদীঃ
মারিয়া আল-কিবতিয়া (৬৩০-৬৩২)
- মিশরের বাদশার কাছ থেকে দাসী হিসাবে উপঢৌকন পান ও এর সাথে বিয়ে ছাড়াই যৌন সঙ্গম করতেন
- মারিয়ার গর্ভে ইব্রাহিমের জন্ম
সন্তান
পুত্রগণ:
কাসিম
আব্দাল্লাহ
ইব্রাহিম
- দাসী মারিয়ার গর্ভে ইব্রাহিমের জন্ম
জায়নাব
রুকাইয়্যা
উম্মে কুলসুম
ফাতিমা
অন্যান্য
আলী
- চাচাতো ভাই
- ইসলাম গ্রহণকারী ২য় ব্যক্তি
- ইসলাম গ্রহণের সময় বয়স ছিল ১০ বছর
আবু বকর
- অন্তরঙ্গ বন্ধু
- ইসলাম গ্রহণকারী তৃতীয় ব্যক্তি
যুদ্ধ
সত্য সন্ধানী সত্যের পথিক মুহাম্মদ
জন্মসূত্রে ইহুদি হওয়া ছাড়া এই ধর্মে যোগদানের তেমন সুযোগ ছিল না। খুব সম্ভবত এই সীমাবদ্ধতাই ইহুদি ধর্ম থেকে একটি শাখা বের হয়ে খ্রীষ্টান ধর্ম নামক আরেকটা ধর্মের সৃষ্টির অন্যতম বড় কারণ। প্রাকটিসের দিক দিয়ে একটু এদিক-ওদিক হলেও ধর্মের মূল কাহিনীগুলো প্রায় একই রয়ে গেলো।
ইসলাম ধর্মের বেলাতেও তাই। কিঞ্চিত পরিবর্তন-পরিবর্ধন ব্যতীত মূল কাহিনী সেই ইহুদি-খ্রীষ্টান ধর্মের গোড়া ইব্রাহিমেই রয়ে গেলো।
পৌত্তলিকতার মধ্যে জন্ম নিয়ে মুহাম্মদ পরিবেষ্টিত ছিল ইহুদিদের দ্বারা।
এছাড়া যখন খাজিদার কাজের লোক হিসাবে ব্যবসার কাজে বাইরে যেত, তখন খ্রীষ্টান
ধর্মের সাথে পরিচয় হয়, সেই ধর্মের গল্প-কাহিনী জানা হয়।
ইসলাম ধর্ম প্রচারকালে আগের দুই ধর্মের সেইসব শোনা কাহিনীও ইসলাম ধর্মে কপিপেস্ট করে। আবার যেহেতু শোনা কাহিনী, সেহেতু তাতে অনেক ভুলভালও ছিল, যার প্রভাব কোরানেও পড়েছে। যেমন, বাইবেলে ট্রিনিটি বলতে পিতা (ঈশ্বর), সন্তান (যিশু) আর হলি স্পিরিটকে বুঝায়, সেখানে কোরানে এই তিনটি জিনিস উল্লেখ করতে গিয়ে পিতা, সন্তান ও মেরির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, খ্রীষ্টান ধর্মের ওইসব গল্প-কাহিনী শুনে তাতে মুহাম্মদ কিছু ভুল পেয়েছিল, এবং সেই ভুল সংশোধন করার চিন্তা করতে করতেই নতুন একটা ধর্ম সৃষ্টির কথা তার মাথায় আছে। ভুলটা কী?
তোরাহ-বাইবেলে আছে– দুইভাই হাবিল-কাবিলের মধ্যে মারামারি লাগলে কাবিল হাবিলকে মেরে ফেলে। হাবিলকে হত্যা করলে ঈশ্বর কাবিলকে অভিশাপ দেয় ওই ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত জায়গায় আর গাছপালা হবে না। ফলে কাবিল পুর্বদিকে নোদ নামক এক দেশে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়। সেখানে কাবিলের এক সন্তান হয়। কিন্তু এই ছেলে কার গর্ভে? খুব সম্ভবত মুহাম্মদের মনে এই প্রশ্ন জেগেছিল।
আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী। তখন দুনিয়ার আর কোথাও মানুষ থাকার কথা না। তাহলে নোদ দেশে কাবিলের সন্তান হলো কিভাবে? কার গর্ভে? তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে অন্য কোনো জনগোষ্ঠী ছিল। তাহলে আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী–তোরাহ-বাইবেলের এই কাহিনী ভুল! এই ভুলটা মুহাম্মদ ধরতে পেরেছিল। এভাবে হয়তো আরো অনেক ভুল ধরেছিল যা পরে কোরানে স্বীকার করা হয়েছে, এবং সেসব জিনিসগুলো বাতিল করে দিয়ে নতুন কাহিনী প্রচলন করছে।
তবে আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী–এই ধারণা থেকে মুহাম্মদও বের হতে পারে নাই। আর পারে নাই বলেই এই কাহিনীকে কোনদিকে নেবে, সে ব্যাপারেও দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে নাই। তাই কাহিনী এমন জগাখিচুড়ি পাকিয়েছে যে এখন পড়াশোনা জানা মুসলমানরা পর্যন্ত বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়–হাবিল-কাবিল তাদের মা হাওয়াকে বিবি বানিয়েছিল। তারপর পরবর্তী বংশধরদের জন্ম হয়। আর পরের দিকে নাকি আদম-হাওয়ার জোড়ায় জোড়ায় ছেলে-মেয়ে হত। তারা একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের সৃষ্টি করেছে। মহাম্মদ আরেকটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে হয়তো আরো সুন্দর বাস্তবসম্মত কোনো গল্প বানাতে পারত।
সবশেষে এটাই বলব, মুহাম্মদ অন্তত প্রগতিশীল মানুষ ছিল। সে ধর্মের কাহিনীতে ভুল পেয়ে তার সময়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যতটুকু সাধ্য ছিল, সে চেষ্টা করে গেছে সত্যকে জানতে। এখন তার জানাতে যদি যদি ভুল পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনাদেরও উচিত হবে মুহাম্মদের মত আগের ভুলে ভরা ধর্মগুলোর অবাস্তব কল্প-কাহিনী ত্যাগ করে তারই মত প্রকৃত সত্যকে জানার চেষ্টা করা।
–রোদেলা প্রকাশনীর বাংলাবাজারের অফিসে হামলা চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে
দিয়েছে এদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলমানরা। এটা পুরান খবর। (সামান্য একটা সহিহ
হাদিস কপিপেস্ট করে দিলেই যেখানে মমিনরা বেইজ্জতী রাখার জায়গা পায় না,
সেখানে মুহাম্মদ তার ২৩ বছরের নবি জীবনে কী কী করেছে, সেগুলো পড়ে তারা আর
বেইজ্জতী হতে চায় না।) নতুন খবর হলো বাংলা একাডেমিও বই মেলায় রোদেলা
প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দিয়েছে এই একই অজুহাতে। অজুহাতটা হলো ইরানের
বিখ্যাত লেখক আলি দস্তির ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ বইটির বাংলা অনুবাদ
করেছেন আবুল কাশেম ও সৈকত চৌধুরী এবং বই আকারে প্রকাশ করেছে রোদেলা
প্রকাশনী।
–আলি দস্তির মূল বইটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ নয়, নিষিদ্ধ নয় বাংলাদেশেও। যে কেউ এর ইংলিশ ভার্সন কিনে পড়তে পারেন। তাহলে বাংলা অনুবাদে সমস্যা কোথায়? অনুবাদে ভুল আছে? তসলিমা নাসরিন কিংবা হুমায়ুন আজাদের বই মমিনরা না পড়েই নিষিদ্ধের দাবি করে, কারণ এনারা ধর্মকর্ম করেন না। তাদের বইয়ে ভুলটা কোথায়, সেটা কোনো মমিন আজ পর্যন্ত বলতে পারল না! ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ বইটির অনুবাদও কোনো মমিন পড়ে দেখে নাই, পড়ে দেখাতে পারে নাই যে কোথায় অনুবাদে ভুল আছে। তারপরেও এত ক্যাচাল…কারণ বইটির অনুবাদক দুজনের কেউও ধর্মকর্ম করেন না। চুলকানিটা এখানেই! আর চুলকানি হবেই বা না কেন! ২/৩ ইঞ্চি বাঁকানো আগা মোটা গোড়া চিকন ঈমানদণ্ডে চুলকানি বেশি—সে আর নতুন করে কী বলব!
–একটা মজার বিষয়—কোরানের বাংলা অনুবাদ করেছে মমিনরা। কেউ সেই অনুবাদ কপিপেস্ট করলে আবার মমিনরাই বলে—অনুবাদে ভুল আছে! ইসলামের ইতিহাস মুসলমানদেরই লেখা। নাস্তিকরা নতুন করে কোনো কিছু বানিয়ে বলে না। তারা শুধু দেখায় মুসলমানদের নিজেদের বানানো কাহিনীতেই অসংগতি এবং তথ্যে গরমিল। এরকম হয় কেননা একটা মিথ্যাকে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে সেই মিথ্যাকে আগে ঢাকতে হবে। একটা মিথ্যাকে ঢাকতে আরো হাজারটা মিথ্যার দরকার হয়। এভাবে শেষ পর্যন্ত পুরা জিনিসটাই তাসের ঘরের মত পুরা মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর একটা মিথ্যাকে টান দিলে যা হয়…পুরা কাহিনীটাই প্রশ্নবিদ্ধ!
–কয়েকদিন আগে ইসলামের ইতিহাস থেকে হামযা আর নবির জন্ম কাহিনীর দুইটা লাইন তুলে দিয়ে নাস্তিকরা দেখিয়েছে তথ্যে গরমিল আছে। সেটা মেকআপ দিতে মমিনরা আরো হাজারটা অযৌক্তিক তথ্যের আমদানি করেছে। কেউ কেউ বলেছে নবি নাকি তার মায়ের গর্ভে ৪ বছর ছিল! ঈশা নবির মত নবিও যে আল্যার মাল, সেইটা কইতেই শুধু বাকি রেখেছে! আরেকটু চেপে ধরলে তারা এটাও বলবে একদিন… আমি নিশ্চিত!
–যা হোক, আলি দস্তির ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ বইটিতে লেখক কোথাও নিজ থেকে আগ বাড়িয়ে নবিকে কোনো বিশেষণে ভূষিত করেন নাই। তিনি শুধু ইসলামিক ইতিহাস থেকে তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন। ঈমানদণ্ডে কী পরিমান চুলকানি থাকলে এতেই মমিনরা এত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে পারে, একটু ভেবে দেখেন!
–কিন্তু বাংলায় আরেকটা আসল চুলকানি কামিং সুন। উহু, নবিকে কেউ নতুন করে গালাগালি করবে না। হামযা আর নবির জন্ম কাহিনীতে মমিনদের সূত্রানুসারেই নবি যে জারজ হয়ে যায়—এমন কথাও নাস্তিকরা বলবে না। ইসলামের ইতিহাস আর মমিনদের দেয়া তথ্যতে হাজারো অসংগতি দেখে দ্যা আলটিমেট প্রশ্ন—মুহাম্মদের অস্তিত্ব বলে কি আদৌ কিছু ছিলো?
মুহাম্মদের অস্তিত্ব নিয়ে যে বিষয়গুলো একাট্টা করা হয়েছে তার একটা আউট লাইন (অনুবাদ করেছেন অনুসন্ধানী আবাহন)—
১) বর্ণিত মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছর পার হবার আগে কোথাও কখনো ৬৩২ সালে মোহাম্মদের মৃত্যু হয়েছে, এমন প্রসঙ্গের কোন রেকর্ড পাওয়া যায় না।
২) খুব সম্ভব ৬৩৪ সালে নথিভুক্ত একজন খ্রিষ্টানের জবানীতে তলোয়ারধারী একজন আরব নবীর বর্ণনা পাওয়া যায়, যে তখনো জীবিত ছিলো।
৩) প্রথম দিকে যে সমস্ত গোষ্ঠী আরবদের কাছে পরাজিত হয়, তাদের রেকর্ডে কোথাও ইসলাম, মোহাম্মদ বা কুরানের উল্লেখ নেই। তারা তাদের পরাভুতকারীদেরকে “ইসমাইলী”, “সারাসেন”, “মুজাহিরুন”, “হাগারিয়ান” এসমস্ত বলে উল্লেখ করেছে, কিন্তু “মুসলিম” নয়।
৪) আরব দখলদারেরা অন্তত প্রথম ৬ দশক তাদের মুদ্রা বা দলিলের কোথাও ইসলাম বা কুরান শব্দদ্বয় উল্লেখ করনি। অন্তত দু’টো ক্ষেত্রে “ক্রুশ” চিহ্ন পাওয়া গেছে।
৫) এমনকি গোঁড়া মুসলিম উৎস মতেও কুরানের বর্তমান রূপ ৬৫০ সালের আগে ছিলো না। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, অষ্টম শতাব্দির আগে ঐ এলাকার আরব, খ্রিস্টান বা ইহুদী কেউই কুরানের কোন উল্লেখ করেনি।
৬) খলিফা মুয়াবিয়ার (৬৬১-৬৮০) শাষনামলে আরবরা অন্তত একটা পাবলিক বিল্ডিং নির্মাণ করেছিলো যার চুড়া ক্রুশাঙ্কিত ছিলো।
৭) মুহাম্মদ, ইসলামের নবী এমনকি খোদ ইসলাম শব্দটারই প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ৬৯০ সালে খলিফা আবদ আল মালিকের শাসনামলে। মুদ্রা বা দলীলে ইসলামের নামও তার সমসাময়িক।
৮) ঠিক এই সময় হতেই আরব শাসিত অঞ্চলের লেখ্য ভাষা হিসেবে সিরিয়াক বা গ্রীকের পরিবর্তে আরবীর প্রচলন ঘটে।
৯) অনেক হাদিসে এই উল্লেখ আছে যে, আবদ আল-মালিকের সময়কার ইরাকী গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কুরান সংকলন ও বিতরণ করে, যা উসমান কর্তৃক সংকলনের প্রচলিত ধারণার পরিপন্থী।
১০) এমনকি কিছু ইসলামী মতবাদ অনুসারে, এই হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আদেশেই নামাজের মাঝে সুরাপাঠ প্রচলিত হয়, যার প্রচলন আগে ছিলো না।
১১) অষ্টম শতকের মাঝামাঝি সময়ে আব্বাসীয় বংশ উমাইয়া বংশ থেকে খিলাফত দখল করে নেয়, এবং উমাইয়াদেরকে সাংঘাতিক রকমের অধার্মিকতার দায়ে অভিযুক্ত করে। এই আব্বাসীয় খিলাফতের আমল থেকেই মুহাম্মদের জীবনীভিত্তিক তথ্য গজিয়ে উঠতে থাকে এবং পরিশেষে মুহাম্মদের কথিত মৃত্যুর ১২৫ বছর পরে মুহাম্মদের পূর্ণাঙ্গ জীবনী লিপিবদ্ধ করা হয়।
এসমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইসলামের উত্থানকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে আরব সংস্কৃতি, ভাষা এবং ধর্মাচরণকেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক ধর্মমত হিসেবে। তাঁ্র ভাষায়, আরবেরা তাদের বিজিত অঞ্চলগুলোর সংস্কৃতি যাচাই করে দেখেছিলো, রোমানরা তাদের গোটা সাম্রাজ্যকে এক সুতোয় গেঁথে রাখতে ব্যবহার করেছিলো একটি রাজনৈতিক ধর্মতত্ব, ক্রিশ্চিয়ানিটি। রোমানদের দেখাদেখি আরবরাও তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সাথে আঞ্চলিক আব্রাহামিক বিশ্বাসকে একত্রিত করে একটা ধর্মমত গড়ে তুলতে থাকে যা পরিপূর্ণতা পায় ৬৯১ সাল নাগাদ।
জেরুজালেম দখলের পরে “ডোম অফ রকস”-এ খোদাইকৃত প্রশংশিত জন হিসেবে জিসাসকে বিযুক্ত করে আরব নিজস্বতা প্রদর্শন জরুরী হয়ে দাঁড়ায় এবং সেখান থেকেই মুহাম্মদ নামক চরিত্রের সৃষ্টি। এমনকি মুহাম্মদের অস্তিত্ব যদি আদৌ নাও থেকে থাকে, মুহাম্মদ ব প্রশংশিত নামটা রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কেননা, রাজনৈতিক ক্রিশ্চিয়ানিজমক টেক্কা দিতে আরবী ঐশী গ্রন্থসমেত একজন আরব নবী, রাজনৈতিকভাবে আরবদের খুবই দরকার হয়ে পড়েছিলো।
(পুরা বাংলা অনুবাদ না আসা অবধি বাকি চুলকানি তোলা রইল।)
লিখেছেন- আসিফ মহিউদ্দিন
একদিন বর্বরদের দেশ আরবে একজন সাধারণ মানুষ বাপদাদার ধর্ম ত্যাগ করে সেই সময়ের সমাজ, ধর্ম, প্রথা এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন। সেই দেশের প্রচলিত ধর্মের নামে অনাচার, মূর্তিপুজা, মেয়েদের জন্মের সময়ই মাটিতে পুতে ফেলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন। তিনি বললেন, এই সব অনাচার বন্ধ হোক, এই সব আইন মানি না। ধর্মের নামে কোন অনাচার চলতে দেয়া হবে না।
এরপরে শুরু হলো তার উপরে নিদারুন অত্যাচার। তার অনুসারীদের হত্যা করা হলো, তাকে ভয়ভীতি দেখানো হলো। তাকে বলা হলো প্রচলিত দেবতাদের সম্মান করে কথা বলতে, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করতে।
কিন্তু তিনি দমে গেলেন না। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধে মুখর হলেন। চেষ্টা চালিয়ে গেলেন বর্বর আরবদের বর্বর সব প্রথার বিরুদ্ধে। শক্তিশালী বক্তব্য দিয়ে আঘাত করতে লাগলেন সেই সব প্রথা নামের অনাচারের বিরুদ্ধে। পৌত্তলিক ধর্মগুলোকে প্রশ্ন করলেন, সন্দেহ করলেন, এবং অবিশ্বাস করলেন, বাতিল ঘোষণা করলেন। মূর্তিগুলো ভেঙ্গে দিলেন।
প্রথা এবং ধর্মবিরোধীতার অভিযোগে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। তিনি পালিয়ে গেলেন মদিনায়।সেই লোকটার নাম ছিল মুহাম্মদ। সময়টা ৬০০ সালের কিছু পরে। আজও তার অনুসারীরা তার তৈরি প্রথা পালন করে, তাকে অনুসরণ করে। ঠিক যেমনটা মুহাম্মদের সময়কালের আরবের জনগনও পালন করতো তাদের পুর্বপুরুষের তৈরি করে দিয়ে যাওয়া ধর্ম।
এরপরে ধীরে ধীরে মুহাম্মদের অনুসারীরাও সেই প্রথাকে আকড়ে ধরে রাখলেন। সময়ের সাথে সাথে যে সমস্ত প্রথা এবং ধর্মেরও সংস্কার প্রয়োজন, সব আইনের সংস্কার প্রয়োজন, সেটা বেমালুম ভুলে গেলেন। তাদের কাছে মুহাম্মদই হয়ে উঠলো আরেক প্রথার নাম। যিনি সমাজ সংস্কার করেছিলেন, যিনি প্রথা ভেঙ্গে ছিলেন, যিনি সে সময়ের ধর্মকে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন, তিনিই হয়ে উঠলেন আরেক মূর্তি!!! আরেক প্রথা!!! আরেক ধর্ম!!!
২০০৪ সালের দিকে ঢাকায় এই সময়ের প্রথা এবং ধর্মকে অস্বীকার করবার জন্য, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠস্বর হয়ে ওঠার জন্য একজন প্রথাবিরোধীকে হত্যা করা হলো। তিনিও প্রচলিত ধর্মকে অস্বীকার করেছিলেন, তিনিও প্রথার উপরে জ্ঞানের কুঠারাঘাত করেছিলেন। সেই মানুষটার নাম হুমায়ুন আজাদ। আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে যারা মুহাম্মদের উপরে নির্যাতন করেছিলেন, প্রথা এবং ধর্মবিরোধীতার কারণে যারা মুহাম্মদকে নির্যাতন করেছিল, তারা ছিল সেই সময়ের ধর্মান্ধ এবং মৌলবাদী, তারাই ছিল সেই সময়ের প্রথা সমুহের রক্ষক। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, মুহাম্মদের বর্তমান সময়ের অনুসারীরা আজকে আসলে কার অনুসরণ করছে? আইয়ামে জাহেলিয়াতের সেই সকল কাফেরদের, নাকি মুহাম্মদের? কিন্তু আইয়্যামে জাহেলিয়াতের সময়ে মুহাম্মদের বিরোধীতাকারী সেই সকল কাফেরদের চরিত্রের সাথে এই সময়ে মৌলবাদীদের এত মিল কিভাবে? প্রথাবিরোধী মুহাম্মদের উপরে নির্যাতনের বিরোধীতা তারা করে, অথচ নিজেরাই আরেকজন প্রথাবিরোধীকে হত্যা করে!!! তাহলে প্রথাবিরোধী মুহাম্মদের উত্তরসুরীই কি হুমায়ুন আজাদ? আর আজকের মৌলবাদীরা কি সেই সব নির্যাতক কাফেরদেরই বংশধর?
পেশাগত জীবনে চিকিৎসক হয়ে এটুকু বলতে পারি, গরু আর শুকর দুটোই লাল
মাংস। ছাগলও লাল মাংস। রেড মিট সবগুলোই একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এবং কিছু
অসুখে (Stroke, hypertension, cardiac disease, atherosclerosis, obesity)
শরীরের জন্য ক্ষতিকর, সেটা শুকর হোক আর গরু বা ছাগল। parasite বা helminth,
tapeworm (Taenia saginata) পূর্ণ সিদ্ধ হয়নি এ রকম গরুর মাংস দিয়েও হতে
পারে, শুকর দিয়েও হতে পারে। Fasciola hepatica ( LIVER FLUKE) গরু বা ভেড়া
দিয়ে হতে পারে, কিংবা যে কোন গবাদি পশু দিয়েই হতে পারে। বিদেশে ফার্মে
খাবারের জন্য শুকর পালন করে খুব পরিষ্কার পরিছন্নভাবে, স্বাস্থ্যসম্মত
উপায়ে। এগুলো সঠিকভাবে সিদ্ধ করে খেলে এসব রোগ সংক্রমন হবার সম্ভাবনা খুবি
কম। ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড এর মানুষ প্রচুর শুকর খায়। তাদের গড় আয়ু কিন্তু
কম না। আর পশ্চিমা বিশ্বসহ, চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতে শুকর খেয়ে বহু
মানুসই বেঁচে আছে। আমরা চিকিৎসকরা রোগী আসলে বলি না যে আপনার hypertension,
আপনি শুকর খাবেন না, গরু খেতে পারেন। বরং দুটোই ক্ষতিকর আমরা বলে দেই লাল
মাংস খাবেন না। গরু খেলে তো ভয়ঙ্কর mad cow ডিজিজ হয়, সেটার কি ব্যাখ্যা
হয়? শুধু শুকর এর দোষ দিয়ে লাভ কি? কোরআন-এ লেখা আছে তাই?
চিকিৎসা বিজ্ঞানে আছে বোরখা যেসব মেয়ে বেশী পরিধান করে তাদের OSTEOPOROSIS (হাড়ের ক্ষয় রোগ) বেশী হয়, কারণ সূর্যের আলো ভিটামিন D তৈরিতে সাহায্য করে এবং এই ভিটামিন D শরীরে CALCIUM শোষনে সহায়তা করে। অস্থির গঠন আর বৃদ্ধির জন্য এই CALCIUM আর VITAMIN D খুবই প্রয়োজনীয়। Grays anatomy তে পড়েছিলাম নিজের আত্মীয়স্বজন বা রক্তের মাঝে বিয়ে হলে hereditary deformity (বংশগতি অঙ্গবিকৃতি), congenital anomaly (জন্মগত অস্বাভাবিকতা) অসুখগুলি একটি পর্যায়ে গিয়ে জীনগত কারন এ বেশি হয়। কোরআন তো বিজ্ঞানের ধর্ম। তাহলে ওখানে আত্মীয় স্বজনের মাঝে (খালাত, চাচাত ভাই বোন) বিয়ের কথা কেন উল্লেখ আছে?
এবার আসি ফরেনসিক মেডিসিনে। ফরেনসিক মেডিসিনে ১৫ বছরের নিচে কোন মেয়ের puberty হোক বা না হোক, সেই মেয়ের ইচ্ছায় বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে যৌন সম্পর্ক করাকে ধর্ষণ বলা হয়েছে। বিজ্ঞান মতে ৬ বছর বা ৯ বছর বা ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ের মানসিক গঠন কখনই বিয়ের জন্য উপযোগী হয় না। আগে মানুস করত সামাজিক কারণ কিংবা কুসংস্কারের কারণে। কিন্তু নবিজি তো তা নন। উনি তো মহাকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান অনুযায়ী মুহাম্মাদ নবি দুটি দোষে অপরাধী, (১) বাল্যবিবাহ (বিয়ের জন্য মানসিক গঠন সম্পূর্ণ হয়নি এমন কোন মেয়েকে বিবাহ) (২) ধর্ষন (৯ বছরের মেয়ের সাথে বিছানায় গমন)।
আর puberty এর বিজ্ঞান প্রমান করার জন্য বা আয়েশার ৯ বছর পর puberty হলে ৫২ বছর এর নবিজিকে তাকে বিয়ে করে সেই প্রমান করতে হবে ? প্রমান করার জন্য আর কোন অল্পবয়স্ক ছেলে আরবজাহানে ছিল না?
– টেস্ট অফ চেরি
Thursday, February 2, 2012 at 12:25am
আমরা সত্য কথা বলি তাই আমরা বেয়াদপ”
(http://www.facebook.com/beyadop/posts/372195672794320)
ইসলাম ধর্ম প্রচারকালে আগের দুই ধর্মের সেইসব শোনা কাহিনীও ইসলাম ধর্মে কপিপেস্ট করে। আবার যেহেতু শোনা কাহিনী, সেহেতু তাতে অনেক ভুলভালও ছিল, যার প্রভাব কোরানেও পড়েছে। যেমন, বাইবেলে ট্রিনিটি বলতে পিতা (ঈশ্বর), সন্তান (যিশু) আর হলি স্পিরিটকে বুঝায়, সেখানে কোরানে এই তিনটি জিনিস উল্লেখ করতে গিয়ে পিতা, সন্তান ও মেরির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, খ্রীষ্টান ধর্মের ওইসব গল্প-কাহিনী শুনে তাতে মুহাম্মদ কিছু ভুল পেয়েছিল, এবং সেই ভুল সংশোধন করার চিন্তা করতে করতেই নতুন একটা ধর্ম সৃষ্টির কথা তার মাথায় আছে। ভুলটা কী?
তোরাহ-বাইবেলে আছে– দুইভাই হাবিল-কাবিলের মধ্যে মারামারি লাগলে কাবিল হাবিলকে মেরে ফেলে। হাবিলকে হত্যা করলে ঈশ্বর কাবিলকে অভিশাপ দেয় ওই ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত জায়গায় আর গাছপালা হবে না। ফলে কাবিল পুর্বদিকে নোদ নামক এক দেশে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়। সেখানে কাবিলের এক সন্তান হয়। কিন্তু এই ছেলে কার গর্ভে? খুব সম্ভবত মুহাম্মদের মনে এই প্রশ্ন জেগেছিল।
আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী। তখন দুনিয়ার আর কোথাও মানুষ থাকার কথা না। তাহলে নোদ দেশে কাবিলের সন্তান হলো কিভাবে? কার গর্ভে? তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে অন্য কোনো জনগোষ্ঠী ছিল। তাহলে আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী–তোরাহ-বাইবেলের এই কাহিনী ভুল! এই ভুলটা মুহাম্মদ ধরতে পেরেছিল। এভাবে হয়তো আরো অনেক ভুল ধরেছিল যা পরে কোরানে স্বীকার করা হয়েছে, এবং সেসব জিনিসগুলো বাতিল করে দিয়ে নতুন কাহিনী প্রচলন করছে।
তবে আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী–এই ধারণা থেকে মুহাম্মদও বের হতে পারে নাই। আর পারে নাই বলেই এই কাহিনীকে কোনদিকে নেবে, সে ব্যাপারেও দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে নাই। তাই কাহিনী এমন জগাখিচুড়ি পাকিয়েছে যে এখন পড়াশোনা জানা মুসলমানরা পর্যন্ত বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়–হাবিল-কাবিল তাদের মা হাওয়াকে বিবি বানিয়েছিল। তারপর পরবর্তী বংশধরদের জন্ম হয়। আর পরের দিকে নাকি আদম-হাওয়ার জোড়ায় জোড়ায় ছেলে-মেয়ে হত। তারা একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের সৃষ্টি করেছে। মহাম্মদ আরেকটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে হয়তো আরো সুন্দর বাস্তবসম্মত কোনো গল্প বানাতে পারত।
সবশেষে এটাই বলব, মুহাম্মদ অন্তত প্রগতিশীল মানুষ ছিল। সে ধর্মের কাহিনীতে ভুল পেয়ে তার সময়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যতটুকু সাধ্য ছিল, সে চেষ্টা করে গেছে সত্যকে জানতে। এখন তার জানাতে যদি যদি ভুল পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনাদেরও উচিত হবে মুহাম্মদের মত আগের ভুলে ভরা ধর্মগুলোর অবাস্তব কল্প-কাহিনী ত্যাগ করে তারই মত প্রকৃত সত্যকে জানার চেষ্টা করা।
মুহাম্মদের অস্তিত্ব বলে কি আদৌ কিছু ছিলো?
–আলি দস্তির মূল বইটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ নয়, নিষিদ্ধ নয় বাংলাদেশেও। যে কেউ এর ইংলিশ ভার্সন কিনে পড়তে পারেন। তাহলে বাংলা অনুবাদে সমস্যা কোথায়? অনুবাদে ভুল আছে? তসলিমা নাসরিন কিংবা হুমায়ুন আজাদের বই মমিনরা না পড়েই নিষিদ্ধের দাবি করে, কারণ এনারা ধর্মকর্ম করেন না। তাদের বইয়ে ভুলটা কোথায়, সেটা কোনো মমিন আজ পর্যন্ত বলতে পারল না! ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ বইটির অনুবাদও কোনো মমিন পড়ে দেখে নাই, পড়ে দেখাতে পারে নাই যে কোথায় অনুবাদে ভুল আছে। তারপরেও এত ক্যাচাল…কারণ বইটির অনুবাদক দুজনের কেউও ধর্মকর্ম করেন না। চুলকানিটা এখানেই! আর চুলকানি হবেই বা না কেন! ২/৩ ইঞ্চি বাঁকানো আগা মোটা গোড়া চিকন ঈমানদণ্ডে চুলকানি বেশি—সে আর নতুন করে কী বলব!
–একটা মজার বিষয়—কোরানের বাংলা অনুবাদ করেছে মমিনরা। কেউ সেই অনুবাদ কপিপেস্ট করলে আবার মমিনরাই বলে—অনুবাদে ভুল আছে! ইসলামের ইতিহাস মুসলমানদেরই লেখা। নাস্তিকরা নতুন করে কোনো কিছু বানিয়ে বলে না। তারা শুধু দেখায় মুসলমানদের নিজেদের বানানো কাহিনীতেই অসংগতি এবং তথ্যে গরমিল। এরকম হয় কেননা একটা মিথ্যাকে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে সেই মিথ্যাকে আগে ঢাকতে হবে। একটা মিথ্যাকে ঢাকতে আরো হাজারটা মিথ্যার দরকার হয়। এভাবে শেষ পর্যন্ত পুরা জিনিসটাই তাসের ঘরের মত পুরা মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর একটা মিথ্যাকে টান দিলে যা হয়…পুরা কাহিনীটাই প্রশ্নবিদ্ধ!
–কয়েকদিন আগে ইসলামের ইতিহাস থেকে হামযা আর নবির জন্ম কাহিনীর দুইটা লাইন তুলে দিয়ে নাস্তিকরা দেখিয়েছে তথ্যে গরমিল আছে। সেটা মেকআপ দিতে মমিনরা আরো হাজারটা অযৌক্তিক তথ্যের আমদানি করেছে। কেউ কেউ বলেছে নবি নাকি তার মায়ের গর্ভে ৪ বছর ছিল! ঈশা নবির মত নবিও যে আল্যার মাল, সেইটা কইতেই শুধু বাকি রেখেছে! আরেকটু চেপে ধরলে তারা এটাও বলবে একদিন… আমি নিশ্চিত!
–যা হোক, আলি দস্তির ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ বইটিতে লেখক কোথাও নিজ থেকে আগ বাড়িয়ে নবিকে কোনো বিশেষণে ভূষিত করেন নাই। তিনি শুধু ইসলামিক ইতিহাস থেকে তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন। ঈমানদণ্ডে কী পরিমান চুলকানি থাকলে এতেই মমিনরা এত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে পারে, একটু ভেবে দেখেন!
–কিন্তু বাংলায় আরেকটা আসল চুলকানি কামিং সুন। উহু, নবিকে কেউ নতুন করে গালাগালি করবে না। হামযা আর নবির জন্ম কাহিনীতে মমিনদের সূত্রানুসারেই নবি যে জারজ হয়ে যায়—এমন কথাও নাস্তিকরা বলবে না। ইসলামের ইতিহাস আর মমিনদের দেয়া তথ্যতে হাজারো অসংগতি দেখে দ্যা আলটিমেট প্রশ্ন—মুহাম্মদের অস্তিত্ব বলে কি আদৌ কিছু ছিলো?
মুহাম্মদের অস্তিত্ব নিয়ে যে বিষয়গুলো একাট্টা করা হয়েছে তার একটা আউট লাইন (অনুবাদ করেছেন অনুসন্ধানী আবাহন)—
১) বর্ণিত মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছর পার হবার আগে কোথাও কখনো ৬৩২ সালে মোহাম্মদের মৃত্যু হয়েছে, এমন প্রসঙ্গের কোন রেকর্ড পাওয়া যায় না।
২) খুব সম্ভব ৬৩৪ সালে নথিভুক্ত একজন খ্রিষ্টানের জবানীতে তলোয়ারধারী একজন আরব নবীর বর্ণনা পাওয়া যায়, যে তখনো জীবিত ছিলো।
৩) প্রথম দিকে যে সমস্ত গোষ্ঠী আরবদের কাছে পরাজিত হয়, তাদের রেকর্ডে কোথাও ইসলাম, মোহাম্মদ বা কুরানের উল্লেখ নেই। তারা তাদের পরাভুতকারীদেরকে “ইসমাইলী”, “সারাসেন”, “মুজাহিরুন”, “হাগারিয়ান” এসমস্ত বলে উল্লেখ করেছে, কিন্তু “মুসলিম” নয়।
৪) আরব দখলদারেরা অন্তত প্রথম ৬ দশক তাদের মুদ্রা বা দলিলের কোথাও ইসলাম বা কুরান শব্দদ্বয় উল্লেখ করনি। অন্তত দু’টো ক্ষেত্রে “ক্রুশ” চিহ্ন পাওয়া গেছে।
৫) এমনকি গোঁড়া মুসলিম উৎস মতেও কুরানের বর্তমান রূপ ৬৫০ সালের আগে ছিলো না। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, অষ্টম শতাব্দির আগে ঐ এলাকার আরব, খ্রিস্টান বা ইহুদী কেউই কুরানের কোন উল্লেখ করেনি।
৬) খলিফা মুয়াবিয়ার (৬৬১-৬৮০) শাষনামলে আরবরা অন্তত একটা পাবলিক বিল্ডিং নির্মাণ করেছিলো যার চুড়া ক্রুশাঙ্কিত ছিলো।
৭) মুহাম্মদ, ইসলামের নবী এমনকি খোদ ইসলাম শব্দটারই প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ৬৯০ সালে খলিফা আবদ আল মালিকের শাসনামলে। মুদ্রা বা দলীলে ইসলামের নামও তার সমসাময়িক।
৮) ঠিক এই সময় হতেই আরব শাসিত অঞ্চলের লেখ্য ভাষা হিসেবে সিরিয়াক বা গ্রীকের পরিবর্তে আরবীর প্রচলন ঘটে।
৯) অনেক হাদিসে এই উল্লেখ আছে যে, আবদ আল-মালিকের সময়কার ইরাকী গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কুরান সংকলন ও বিতরণ করে, যা উসমান কর্তৃক সংকলনের প্রচলিত ধারণার পরিপন্থী।
১০) এমনকি কিছু ইসলামী মতবাদ অনুসারে, এই হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আদেশেই নামাজের মাঝে সুরাপাঠ প্রচলিত হয়, যার প্রচলন আগে ছিলো না।
১১) অষ্টম শতকের মাঝামাঝি সময়ে আব্বাসীয় বংশ উমাইয়া বংশ থেকে খিলাফত দখল করে নেয়, এবং উমাইয়াদেরকে সাংঘাতিক রকমের অধার্মিকতার দায়ে অভিযুক্ত করে। এই আব্বাসীয় খিলাফতের আমল থেকেই মুহাম্মদের জীবনীভিত্তিক তথ্য গজিয়ে উঠতে থাকে এবং পরিশেষে মুহাম্মদের কথিত মৃত্যুর ১২৫ বছর পরে মুহাম্মদের পূর্ণাঙ্গ জীবনী লিপিবদ্ধ করা হয়।
এসমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইসলামের উত্থানকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে আরব সংস্কৃতি, ভাষা এবং ধর্মাচরণকেন্দ্রিক একটি রাজনৈতিক ধর্মমত হিসেবে। তাঁ্র ভাষায়, আরবেরা তাদের বিজিত অঞ্চলগুলোর সংস্কৃতি যাচাই করে দেখেছিলো, রোমানরা তাদের গোটা সাম্রাজ্যকে এক সুতোয় গেঁথে রাখতে ব্যবহার করেছিলো একটি রাজনৈতিক ধর্মতত্ব, ক্রিশ্চিয়ানিটি। রোমানদের দেখাদেখি আরবরাও তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সাথে আঞ্চলিক আব্রাহামিক বিশ্বাসকে একত্রিত করে একটা ধর্মমত গড়ে তুলতে থাকে যা পরিপূর্ণতা পায় ৬৯১ সাল নাগাদ।
জেরুজালেম দখলের পরে “ডোম অফ রকস”-এ খোদাইকৃত প্রশংশিত জন হিসেবে জিসাসকে বিযুক্ত করে আরব নিজস্বতা প্রদর্শন জরুরী হয়ে দাঁড়ায় এবং সেখান থেকেই মুহাম্মদ নামক চরিত্রের সৃষ্টি। এমনকি মুহাম্মদের অস্তিত্ব যদি আদৌ নাও থেকে থাকে, মুহাম্মদ ব প্রশংশিত নামটা রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কেননা, রাজনৈতিক ক্রিশ্চিয়ানিজমক টেক্কা দিতে আরবী ঐশী গ্রন্থসমেত একজন আরব নবী, রাজনৈতিকভাবে আরবদের খুবই দরকার হয়ে পড়েছিলো।
(পুরা বাংলা অনুবাদ না আসা অবধি বাকি চুলকানি তোলা রইল।)
প্রথাবিরোধী মুহাম্মদের উত্তরসুরীই কি ?
হুমায়ুন আজাদ
একদিন বর্বরদের দেশ আরবে একজন সাধারণ মানুষ বাপদাদার ধর্ম ত্যাগ করে সেই সময়ের সমাজ, ধর্ম, প্রথা এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন। সেই দেশের প্রচলিত ধর্মের নামে অনাচার, মূর্তিপুজা, মেয়েদের জন্মের সময়ই মাটিতে পুতে ফেলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন। তিনি বললেন, এই সব অনাচার বন্ধ হোক, এই সব আইন মানি না। ধর্মের নামে কোন অনাচার চলতে দেয়া হবে না।
এরপরে শুরু হলো তার উপরে নিদারুন অত্যাচার। তার অনুসারীদের হত্যা করা হলো, তাকে ভয়ভীতি দেখানো হলো। তাকে বলা হলো প্রচলিত দেবতাদের সম্মান করে কথা বলতে, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করতে।
কিন্তু তিনি দমে গেলেন না। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধে মুখর হলেন। চেষ্টা চালিয়ে গেলেন বর্বর আরবদের বর্বর সব প্রথার বিরুদ্ধে। শক্তিশালী বক্তব্য দিয়ে আঘাত করতে লাগলেন সেই সব প্রথা নামের অনাচারের বিরুদ্ধে। পৌত্তলিক ধর্মগুলোকে প্রশ্ন করলেন, সন্দেহ করলেন, এবং অবিশ্বাস করলেন, বাতিল ঘোষণা করলেন। মূর্তিগুলো ভেঙ্গে দিলেন।
প্রথা এবং ধর্মবিরোধীতার অভিযোগে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। তিনি পালিয়ে গেলেন মদিনায়।সেই লোকটার নাম ছিল মুহাম্মদ। সময়টা ৬০০ সালের কিছু পরে। আজও তার অনুসারীরা তার তৈরি প্রথা পালন করে, তাকে অনুসরণ করে। ঠিক যেমনটা মুহাম্মদের সময়কালের আরবের জনগনও পালন করতো তাদের পুর্বপুরুষের তৈরি করে দিয়ে যাওয়া ধর্ম।
এরপরে ধীরে ধীরে মুহাম্মদের অনুসারীরাও সেই প্রথাকে আকড়ে ধরে রাখলেন। সময়ের সাথে সাথে যে সমস্ত প্রথা এবং ধর্মেরও সংস্কার প্রয়োজন, সব আইনের সংস্কার প্রয়োজন, সেটা বেমালুম ভুলে গেলেন। তাদের কাছে মুহাম্মদই হয়ে উঠলো আরেক প্রথার নাম। যিনি সমাজ সংস্কার করেছিলেন, যিনি প্রথা ভেঙ্গে ছিলেন, যিনি সে সময়ের ধর্মকে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন, তিনিই হয়ে উঠলেন আরেক মূর্তি!!! আরেক প্রথা!!! আরেক ধর্ম!!!
২০০৪ সালের দিকে ঢাকায় এই সময়ের প্রথা এবং ধর্মকে অস্বীকার করবার জন্য, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠস্বর হয়ে ওঠার জন্য একজন প্রথাবিরোধীকে হত্যা করা হলো। তিনিও প্রচলিত ধর্মকে অস্বীকার করেছিলেন, তিনিও প্রথার উপরে জ্ঞানের কুঠারাঘাত করেছিলেন। সেই মানুষটার নাম হুমায়ুন আজাদ। আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে যারা মুহাম্মদের উপরে নির্যাতন করেছিলেন, প্রথা এবং ধর্মবিরোধীতার কারণে যারা মুহাম্মদকে নির্যাতন করেছিল, তারা ছিল সেই সময়ের ধর্মান্ধ এবং মৌলবাদী, তারাই ছিল সেই সময়ের প্রথা সমুহের রক্ষক। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, মুহাম্মদের বর্তমান সময়ের অনুসারীরা আজকে আসলে কার অনুসরণ করছে? আইয়ামে জাহেলিয়াতের সেই সকল কাফেরদের, নাকি মুহাম্মদের? কিন্তু আইয়্যামে জাহেলিয়াতের সময়ে মুহাম্মদের বিরোধীতাকারী সেই সকল কাফেরদের চরিত্রের সাথে এই সময়ে মৌলবাদীদের এত মিল কিভাবে? প্রথাবিরোধী মুহাম্মদের উপরে নির্যাতনের বিরোধীতা তারা করে, অথচ নিজেরাই আরেকজন প্রথাবিরোধীকে হত্যা করে!!! তাহলে প্রথাবিরোধী মুহাম্মদের উত্তরসুরীই কি হুমায়ুন আজাদ? আর আজকের মৌলবাদীরা কি সেই সব নির্যাতক কাফেরদেরই বংশধর?
ধর্মে গরু আর শুকর খাওয়া + আরো কিছু ধর্মীয় বিধান নিয়ে ফেসবুকের বেয়াদব পেজের কিছু “বেয়াদবি”
চিকিৎসা বিজ্ঞানে আছে বোরখা যেসব মেয়ে বেশী পরিধান করে তাদের OSTEOPOROSIS (হাড়ের ক্ষয় রোগ) বেশী হয়, কারণ সূর্যের আলো ভিটামিন D তৈরিতে সাহায্য করে এবং এই ভিটামিন D শরীরে CALCIUM শোষনে সহায়তা করে। অস্থির গঠন আর বৃদ্ধির জন্য এই CALCIUM আর VITAMIN D খুবই প্রয়োজনীয়। Grays anatomy তে পড়েছিলাম নিজের আত্মীয়স্বজন বা রক্তের মাঝে বিয়ে হলে hereditary deformity (বংশগতি অঙ্গবিকৃতি), congenital anomaly (জন্মগত অস্বাভাবিকতা) অসুখগুলি একটি পর্যায়ে গিয়ে জীনগত কারন এ বেশি হয়। কোরআন তো বিজ্ঞানের ধর্ম। তাহলে ওখানে আত্মীয় স্বজনের মাঝে (খালাত, চাচাত ভাই বোন) বিয়ের কথা কেন উল্লেখ আছে?
এবার আসি ফরেনসিক মেডিসিনে। ফরেনসিক মেডিসিনে ১৫ বছরের নিচে কোন মেয়ের puberty হোক বা না হোক, সেই মেয়ের ইচ্ছায় বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে যৌন সম্পর্ক করাকে ধর্ষণ বলা হয়েছে। বিজ্ঞান মতে ৬ বছর বা ৯ বছর বা ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ের মানসিক গঠন কখনই বিয়ের জন্য উপযোগী হয় না। আগে মানুস করত সামাজিক কারণ কিংবা কুসংস্কারের কারণে। কিন্তু নবিজি তো তা নন। উনি তো মহাকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান অনুযায়ী মুহাম্মাদ নবি দুটি দোষে অপরাধী, (১) বাল্যবিবাহ (বিয়ের জন্য মানসিক গঠন সম্পূর্ণ হয়নি এমন কোন মেয়েকে বিবাহ) (২) ধর্ষন (৯ বছরের মেয়ের সাথে বিছানায় গমন)।
আর puberty এর বিজ্ঞান প্রমান করার জন্য বা আয়েশার ৯ বছর পর puberty হলে ৫২ বছর এর নবিজিকে তাকে বিয়ে করে সেই প্রমান করতে হবে ? প্রমান করার জন্য আর কোন অল্পবয়স্ক ছেলে আরবজাহানে ছিল না?
– টেস্ট অফ চেরি
Thursday, February 2, 2012 at 12:25am
আমরা সত্য কথা বলি তাই আমরা বেয়াদপ”
(http://www.facebook.com/beyadop/posts/372195672794320)