Wednesday, August 3, 2016

বোরাক এক সেকেন্ডেই যায় সাত আসমান


লিখেছেনঃ Hasibul Hasan Sharod
যুগ যুগ ধরে মহাকাশ-বিজ্ঞানীগণ পরম অধ্যবসায়ের সঙ্গে কঠিন পরিশ্রম ও সাধনায় একপা-দুপা করে এগিয়ে আজকের সাফল্যের পর্যন্ত এলেন। তাদের ভাঙতে হয়েছে মহাশূন্যে না-বোঝার অগণিত পাহাড়। অসংখ্য মেধার সম্মিলন, অসংখ্য ক্ষুদ্রবৃহৎ আবিষ্কার এবং এমনকি নিজ জীবন দিয়ে বিজ্ঞানীরা একদিন মহাকাশে দিলেন পাড়ি, বিশ্বকে চমকে দিলেন। তারপর চাঁদে অবতরণ করলেন (৩ জন না, অদ্যাবধি ২২ জন), মঙ্গলে পাঠালেন রোবটচালিত স্বয়ংক্রিয় যান, কিউরিওসিটি। যেটি, ভেবে দেখলে, অত্যন্ত বিস্ময়কর এক আবিষ্কার! মনুষ্যহীন যন্ত্রদানবটি অমিত বেগে ছুটে গেল গ্রহটিতে, একা একা ছবি তুলছে এখন, মঙ্গলের মাটি ফুঁড়ছে, পাথর কেটে-ভেঙে পরীক্ষা করছে, পরীক্ষা করে কিছু একটা পেলেই পৃথিবীতে মেইল করছে সে খবর ও ছবিগুলো, এবং এভাবে মঙ্গল চষে বেড়াবে সে দুবছর যাবৎ, কী ছিল না ছিল জানার চেষ্টা করবে সে। তারপর ফিরে আসবে পৃথিবীতে। কী মহাবিস্ময়!
এই বিজ্ঞান বস্তুবাদী। তাই ভাববাদীদের পূজা পায়নি এ বিজ্ঞান। ভাবের বিজ্ঞান আলাদা। তাতে কিউরিওসিটির বদলে আছে বোরাক। কিউরিওসিটি তো মঙ্গলে যেতেই সময় লাগিয়ে দিয়েছে চার মাস, বোরাক এক সেকেন্ডেই যায় সাত আকাশ (কত আলোকবর্ষে এক আসমান হয় আল্লা আর বোরাকেই জানে!)। যাহোক, বোরাক এক কিম্ভূতকিমাকার জীব! আল্লাতালার এক আজ্জিব সৃষ্টি। ১৮০০০ মখলুকের অদ্ভুততম এটি! ঘোড়ার দেহ, নারীর মাথা আর পাঙ্খা আছে, পুরাই ত্রিআঁশলা! অসাম সালা টাইপ জীব!
এটির পিঠে চেপে মুহাম্মদ কয়েক সেকেন্ডে বাজিমাৎ করে দিলেন! কোনো বস্তুবাদী বিজ্ঞান তার রেকর্ড ভাঙতে পারল না।
আজও সেই ভ্রমণের ঘানি টানছে তার গুণগ্রাহীরা।
তারা হয়তো একটু পরই আমাকে নামাজের ফাঁকে মেসেজ দেবে, ধর্ম নিয়ে এমন কথা বলো কেন? আর ইউ ননসেন্স?