Sunday, October 11, 2015

সলামে পুরুষের বহু বিবাহের বৈধতা এবং আল্লার ভবিষ্যৎ জ্ঞানে অজ্ঞতা।


ইসলামে একজন পুরুষকে একাধিক(চারটা পর্যন্ত) বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
,
এর পক্ষে জাকির নায়েক সহ বিখ্যাত সব ইসলামী চিন্তাবিদগন যুক্তি,কারন দেখিয়েছেন। এসব যুক্তি,কারনগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল,,,
,
"পৃথিবীতে নারীদের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে অধিক। ""
,
যদিও এই যুক্তিতেও কিছু গলদ আছে যেমন,,,
,
ক) বিভিন্ন দেশে নারীদের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি তবে এত বেশি না যে পুরুষের চারটা বিয়ে করার অনুমতি দিতে হবে।
,
খ) আর সামগ্রিকভাবে পুরো বিশ্বে বিবাহযোগ্য জনসংখ্যার ক্ষেত্রে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
,
গ) নারীদের মৃত্যুহার কম তাই শেষ বয়সে তাদের সংখ্যা বেশি । তাই বলে এই নয় যে, তাদেরও তখন বিবাহযোগ্য ধরে হিসেব করতে হবে।
,
গড়ে পৃথিবীতে পুরুষ ও নারীর অনুপাত ১.০১/১
,
পনের বছরের নিচে পুরুষ ও নারীর সংখ্যার অনুপাত ১.০৬/১
,
৬৫ বছরের উর্ধে পুরুষ ও নারীর অনুপাত ০.৭৯/১
,
তথ্যসূত্র :: https://en.m.wikipedia.org/wiki/Human_sex_ratio
,
,
এর মাধ্যমে আমরা ইসলামি চিন্তাবিদদের ভন্ডামি একটু হলেও বুঝতে পেরেছি।
এবার আল্লাহর সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করা যাক,,,,,
,
ইসলামে সর্বশক্তিমান, সৃষ্টিকর্তা হলেন আল্লাহ। যিনি অতীত,বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব জানেন।
আসলেই কি তাই?
,
আগেই আমরা নারী, পুরুষের অনুপাতটা দেখেছি ,তারপরও মানলাম নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি।
তাই আল্লাহ এই সমস্যার সমাধান দিয়েছেন পুরুষের একাধিক বিয়ের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে।
,
জাকির নায়েকও উঁচু গলায় বলতে পারেন "আপনার বোনকে এমন কারো কাছে বিয়ে দিবেন যার স্ত্রী আছে নাকি তাকে জনগনের সম্পত্তি বানাবেন।""
,
এবার আসুন ঘটনার গভীরে প্রবেশ করা যাক।
,
আল্লাহ যে সমাধানটা দিয়েছেন সেটা হল প্রতিকার, প্রতিরোধ নয়।আবারো বলছি সেটা প্রতিকার, প্রতিরোধ নয়।
,
ধরুন আপনার সন্তান খেলা শুরু করেছে ধারালো যন্ত্রপাতি দিয়ে।তখন আপনি প্রতিরোধ হিসেবে ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো সরিয়ে নিবেন নাকি কিছুই করবেননা যতক্ষননা হাত,পা কাটে।
যখন হাত পা কেটে যাবে তখন প্রতিকার হিসেবে স্যাভলন,ব্যান্ডেজ, ঔষধ ইত্যাদি নিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করবেন?
আপনি জ্ঞানী হয়ে থাকলে অবশ্যই প্রতিরোধ করবেন, আর যদি প্রতিরোধ করতে অপারগ হন তবেই প্রতিকারের চিন্তা করবেন।
,
যেহেতু আল্লাহ সর্বশক্তিমান, ভবিষ্যৎ জানেন এবং তিনি সবাইকেই সমান চোখে দেখেন তাই সবার সমান অধিকার নিশ্চিন্ত করাও উনার কাজ। যেহেতু সব ভাল কাজই উনি করে থাকেন ।
তাহলে,উনি কেন এমন ব্যবস্থা নিলেননা যাতে নারী, পুরুষের সমান সংখ্যা থাকে এবং অধিকারও বজায় থাকে।
এর জন্য সম্ভাব্য কারনগুলো হতে পারে, ,,,
,
ক)তিনি পুরুষতান্ত্রিক, তাই নারীদের অধিকার নিয়ে এত মাথা ঘামাননি।
,
খ) তিনি ভবিষ্যৎ জানতেন না,তাই যখন দেখলেন নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে তখন তিনি জীবরাঈল মারফৎ নবীর কাছে এর সমাধান দিলেন পুরুষের একাধিক বিয়ের মাধ্যমে।
,
গ)তিনি ভবিষ্যৎ জানলে আগেই নারী পুরুষের সংখ্যা এমনভাবে নির্ধারণ করতেন যাতে জন্মহার বা মৃত্যুহার যাইহোক না কেন,নারী পুরুষের অনুপাত সমান থাকে।এটা করতে তিনি অপারগ।
,
ঘ)হয়তো ভবিষ্যৎ জানেন কিন্তু প্রতিরোধের উপায় জানা নেই বা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ তাই প্রতিকার হিসেবে ঐশী বানী পাঠিয়েছেন ।
আর যারা প্রকৃত জ্ঞানী তারা জানেন যে,
,
"প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম। "
,
তাই ,
আল্লাহ হয় এইটা জানতেননা বা জেনে থাকলেও অক্ষম হওয়ার কারনে প্রতিরোধ করতে পারেননি।