Thursday, October 22, 2015

মুমিনদের ধর্ম পরীক্ষা সিরিজ: ইসলাম ধর্ম বনাম বিজ্ঞান - (পর্ব ১, ২, ৩)


ইসলাম ধর্ম বনাম বিজ্ঞান - (পর্ব - ৩)

প্রশ্ন – ১
কুরআন জানায়, আমাদের মহাবিশ্ব সাত স্তর বিশিষ্ট (Quran 71:15) ! কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এই মহাবিশ্ব ট্রিলিয়ন সংখ্যক ছায়াপথ আর সাথে বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র নিয়ে গঠিত, যেখানে সপ্তস্তর বলে কিছু নেই ! তবে কেন এ ধরনের অসত্য তথ্য ?
http://en.wikipedia.org/wiki/Galaxy

অনেকেই দাবি করেন আয়াতে উল্লেখিত সপ্তস্তর বলতে আকাশের বায়ু মন্ডলিয় স্তর বোঝানো হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর উপরিভাগে বায়ুস্তর রয়েছে পাঁচটা Click This Link

প্রশ্ন – ২
কুরান অনুসারে, সূর্য এবং নক্ষত্র (Stars) সম্পূর্ণ দুটো ভিন্ন জিনিস (Quran 7:54) ! প্রকৃত সত্যটা কি তাই ?

প্রশ্ন – ৩
কুরানের আয়াত 21:30, 41:9-11 এবং 2:29 থেকে বোঝা যায় যে পুরো ইউনিভার্স সৃষ্টির আগেই পৃথিবী তৈরি করা হয়েছে বা বর্তমান ছিল ! কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বিগব্যাং সংগঠিত হওয়ার মুহুর্তে কোন ম্যাটারেরই অস্তিত্ব ছিলো না, আর পৃথিবী ও তৈরি হয়েছে বহু পড়ে ! আল্লাহ কেন এমন ভুল তথ্য সরবরাহ করলেন ?
http://en.wikipedia.org/wiki/BigBang

প্রশ্ন – ৪
কুরান অনুসারে, আল্লাহ এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন কোন ধরনের অসঙ্গতি (বা ফাটল) ব্যতীত (Quran 67:3) ! তিনি কি ব্লাক হোলের (Black Hole) ব্যাপারে কিছুই জানতেন না ?
The evidence of Black Hole indicates certain degree of instability in the galaxy. Black holes absorb stars and even galaxies in regions of space where from which no entity, including light, can escape.
http://en.wikipedia.org/wiki/Black_hole



প্রশ্ন – ৫
বজ্রপাত (একজন ফেরেস্তা যে আল্লাহর প্রশংসা করে সভয়ে) ঘটার উদ্দেশ্য কি মানুষকে ভয় দেখানো বা কাউকে আঘাত করা (Quran 13:12-13 see Tafsir Ibn Abbas) ?

প্রশ্ন – ৬
একমাত্র আল্লাহ জানেন গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে, একমাত্র আল্লাহই জানেন কখন বৃষ্টি হবে যা অন্য কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয় (Quran 31:34) (Sahih Bukhari 2:17:149) ! তিনি কি জানতেন না ভবিষ্যতে আল্ট্রাসনোগ্রাফি, আবহাওয়া অফিস আবিষ্কৃত হবে ?

প্রশ্ন – ৭
কুরান দাবি করে, ছায়া পড়ে সূর্যের আবর্তনের কারনে (পৃথিবীর নয়) (Quran 25:45) ! আসলেই কি তাই ?

প্রশ্ন – ৮
আসমান কি শক্ত কিছুর তৈরি যে তা স্তম্ভ বা পিলার (যা মানুষের কাছে অদৃশ্য) দিয়ে খাড়া রাখতে হবে (Quran 13:2) ? (This originated from the ancient Greek myth)

প্রশ্ন – ৯
আল্লাহ যদি পৃথিবী এবং আকাশমণ্ডলী ছয় দিনে সৃষ্টি করে থাকেন (Quran 50:38) [ যা মানুষের হিসেবে ১০০০ বছর (Quran 22:47, 32:5) অথবা ৫০০০০ বছর (Quran 70:4) ], তবে বিজ্ঞান কেন বলে বিগব্যাং সংগঠিত হওয়ার পর পৃথিবী তৈরি হতে প্রায় কয়েক বিলিয়ন বছর লেগেছে ?

প্রশ্ন – ১০
আপনার কি মনে হয় পাশাপাশি অবস্থিত সমুদ্রের মাঝে আসলেই কোন অন্তরাল রয়েছে যা তারা অতিক্রম করতে পারে না (Quran 55:19-20) ?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৮
৯৮ বার পঠিত০০ ১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
১. ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৯ ০
 পিচ্চি হুজুর বলেছেন: প্রথমত, স্রষ্টারে বিশ্বাসীরাও দেখেনাই, অবিশ্বাসীরাও দেখে নাই; সুতরাং দেখি না তাই মানি না এই থিওরীতে চলনেওয়ালাদের যদি বিজ্ঞান দিয়া স্রষ্টারে মানাইতে হয় সেইটা কখনই সম্ভব না। বিজ্ঞান এখনও নিজেদের সৌরজগত ঠিকঠাকমত এক্সপ্লোর করতে পারে নাই, দিল্লী ত বহুদূর। তাও যেই সকল তরংগ মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে এইগুলার অস্থির মার্কা নয়েজ এর জন্য এইগুলা থেকে ডাটা ইন্টারপ্রেট করা যায় না। আমাদের এখনও বহুদূরের পথ পাড়ি দিতে হবে।

কুরান অনুসারে, সূর্য এবং নক্ষত্র (Stars) সম্পূর্ণ দুটো ভিন্ন জিনিস (Quran 7:54) ! প্রকৃত সত্যটা কি তাই ? আপনি যা করতেছেন তা হইল মিসইন্টারপ্রিটেশন।
indeed, your Lord is Allah , who created the heavens and earth in six days and then established Himself above the Throne. He covers the night with the day, [another night] chasing it rapidly; and [He created] the sun, the moon, and the stars, subjected by His command. Unquestionably, His is the creation and the command; blessed is Allah , Lord of the worlds.

এইখানে কোথাও বলা নাই সূর্য আর নক্ষত্র দুইটা আলাদা। আরবের বেদুঈন রা নেভিগেশন এর জন্য নক্ষত্র ফলো করত। কিন্তু তখন সায়েন্স অন্তত এই জায়গায় ছিল না যে সূর্য আর নক্ষত্র কি জিনিস দুইটা এক না আলাদা সেইটা বর্ণনা করে। যেই ভাষায় তারা বুঝবে ঠিক সেই ভাষায় উপমা ব্যাবহার করা হইছে। যেমন আপনি যদি রিলিজিয়াস এসকেটেলজি পড়েনঃ মান সম্মান জনিত কারণে ইসলাম এর টা পড়ার দরকার নাই, আজকাল ত লোকজন আবার কথায় ওল্ড টেস্টেমন্ট, স্ক্রল অফ মোজেজ এর কথা বলে সবই পাওয়া যায় ওইখানের এস্কেটলোজি পড়ে দেইখেন। ডুমস ডে অথবা লাস্ট আওয়ার এর প্রফেসিতে বলা আছে লাস্ট আওয়ার একজন ফলস মেসাইয়া আসবে যার নাম হবে দাজ্জাল, যার বাহন হবে উড়ন্ত গাধা; গাধার কানের মত তারা ডানা থাকবে। সেই সময়ে যদি বলা হইত ফলস মেসাইয়ার বাহন হবে প্লেন তাইলে সেইটা বুঝাইতে গেলে আরও চার পাচটা গ্রন্থ নাযিল করা লাগত। (আপনি যদি ত্যানা প্যাচাইতে চান, এখন আপনার ব্যাপার আমার এই রকম ম্যালা ত্যানা প্যাচানো ফ্রেন্ড আছে)

আল্লাহ যদি পৃথিবী এবং আকাশমণ্ডলী ছয় দিনে সৃষ্টি করে থাকেন (Quran 50:38)
And We did certainly create the heavens and earth and what is between them in six days, and there touched Us no weariness.

আপনি যদি এরাবিক জানেন তাইলে দেখবেন এইখানে ইয়াওম (মূল আয়াহ তে আইয়াম) শব্দটির ব্যাবহার করা হইছে। শুধু জি আর ই এর ওয়ার্ড এর থার্ড অথবা ফোর্থ মিনিং থাকে না, আরবী শব্দের ও থাকে। আইয়াম একটি নির্দিষ্ট সময় বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয় (অনেকটা ইনডেফেনিট নাউন এর মত স্পেসিফিক রেফারেন্স অথবা লিমিট নাই)। এখন আপনি যদি এইটার মিস ইন্টারপ্রেট করেন তাইলে আপনার সমস্যা।

সময় পাইলে বাকীগুলার এক্সপ্লেনেশন দিয়ে যাব। আপনাকে ছোট করার কোন ইচ্ছা আমার নাই। কারণ কোরআন এ এইটা বলা আছে। ওয়ালাক্বাদ কাররাম না বানী আদাম যার অর্থ উই হ্যাভ অনরড দা এভরি সন অফ আদাম। সুতরাং আপনিও সম্মানিত, কাজেই আপনাকে সম্মান করা আমার দায়িত্ব।

আপনি যদি মনে করেন এই রকম মিস ইন্টারপ্রিটেশন টাইপ কথা দিয়ে কাউকে ধর্ম থেকে ফেরাবেন তাহলে সেইখানেও আপনি ভূল ভাবলেন। কারণ আল্লাহ বলেছেন
So whoever Allah wants to guide - He expands his breast to [contain] Islam; and whoever He wants to misguide - He makes his breast tight and constricted as though he were climbing into the sky. Thus does Allah place defilement upon those who do not believe
Verse (6:125)