Wednesday, October 14, 2015

নারী-পুরুষ: প্রসঙ্গ সেক্সুয়াল অর্গাজম... বলে দিলাম ১৮+


তেতো লাগার কথা। অনেক অনেক পুরুষ আনন্দ দিতে অক্ষম।ফিমেইল অর্গাজম বলে একটা জিনিস আছে তা তারা জানে না। তারপরেও এই দেশের মেয়েরা তাদের ছেড়ে যায় না। আটকে থাকে। অন্যান্য দেশের হলে মেয়েরা ঝেটিয়ে বিদায় করে। ডিভোর্স দেয় স্বামীকে। এরপরেও তারা বোধহয় গবেষণা করে না, কোন মেয়ের যোনির অবস্হা কেমন। এই দেশের পোলাপানরা করে।তাদের জিনিসপত্র ঠিকঠাক না থাকলেও সেটা নিয়ে কোনো কথা বলা মানে, মেয়ের চরিত্র খারাপ। বেশ্যা, হ্যানত্যান আরও কত কি! শুনতে হবে আপনাকে এইসব কথা! চোখে লজ্জার পর্দা দিয়ে হলেও! একটা প্রজন্ম যখন জুসের মুখের সাথে মেয়েদের যোনির তুলনা করে জানতে চাই আপনার যোনির অবস্হা কেমন তখন বুঝতে হবে কতটা সিকনেসের দিকে যাচ্ছি আমরা!কার যোনিপথের কি অবস্হা তা গবেষণার শেষ নেই!

এই বীর পুরুষেরা যখন বিছানায় যায় তখন ১ মিনিটের মধ্যেই সামর্থের পরিচয় দিয়ে হাপিয়ে উঠে ছটফট করে সারারাত! তবুও দিনের পর দিন সংসার করে যায় মুখ বুঝে! তাদের প্লেজার সেখানে মুখ্য না! মুখ্য যোনি গবেষকের প্লেজার! সাচ আ লুজার!

"এইতরাজ" নামে একটা ছবিতে দেখেছিলাম অমরেশ পুরিকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায় তার আগের স্ত্রীরা ইম্পোটেন্ট হবার কারনে! কত গবেষকের জীবনে এরকম তালাক আসত এই দেশে যদি তার হিসেব আর কে রাখত!

শরীরের কামনা তুচ্ছ করার ক্ষমতা সবার থাকে না। যারা পারে তারা মহামানবী পর্যায়ের হয়! এই দেশে প্রচুর মহামানবী আছে,যারা কখনই মুখ ফুটে বলতে পারে না, আমারও শরীর আছে! তাও এদেরকেই শুনতে হয় যোনি মুখের বর্ণনা!সবকিছুর উর্ধে যখন কেউ রাতের অতৃপ্ততা ভুলে সকালে স্বামীর জন্য হাসিমুখে নাস্তা বানাতে যায়, কিংবা রাতের খাবারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে তার যোনি পথ টাইট কি ঢিলা তাও আপনি জানতে চান?। যদি চান তবে সেই চোখের কামনা ছাপিয়ে ভালোবাসার গল্প কখনও আপনি দেখেননি।
দেখেননি বঞ্চিত হবার পরও পৃথিবীর সমস্ত সুখকে বুকে ধারন করান ক্ষমতা!
দেখেননি মায়াবতীর আঁচলে আটকে থাকা সুখের চাবির ছড়া!
তবুও তারা সুখী হয়! আস্ত পৃথিবী যাদের মমতায় ঢেকে দিয়েছে, সেখানে শরীরও নিরুত্তাপ হয়ে যায়!
প্রিয় মায়াবতী! একটু আলো দিবে! এ গ্রহে ভীষণ অন্ধকার! ভীষণ ভীষণ অন্ধকার!