সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে আলোচনার পূর্বে প্রথমে মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
যেমন মানুষ প্লেন আবিস্কার করেছে, কম্পিউটার আবিস্কার করেছে, মোবাইল আবিস্কার করেছে, অনেক ঔষধ আবিস্কার করেছে।
যারা আবিস্কার করে তাদেরকে বলে আবিস্কারক।
ইংলিশ ডিকশনারী অনুযায়ী (ডিসকভারিয়ান / ইনভেন্টর) বলে।
প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে কেন ক্রিয়েটর বলা হয়না।
ক্রিয়েটর হতে হলে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।
যেমন: মহাবিশ্ব থেকে কোন উপাদান/পদার্থ গ্রহন না করেই নিজ থেকে সবকিছু তৈরী করতে হবে।
(হও বললেই পদার্থ অথবা উপাদান হয়ে যাবে) যদি পদার্থ এবং উপাদানসমূহ নিজ থেকে সৃষ্টি করতে পারে তাহলেই তাকে সৃষ্টিকর্তা বলা হবে।
তাহলে আমাদের অর্থাৎ মানবজাতির ক্ষমতা এখানেই শেষ।
মানুষ নিজ থেকে কোন কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা।
এই জন্য নোবেল বিজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী প্রফেসর এম এ সালামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল পৃথিবী সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন “তিনি বললেন তোমরা আমাকে উপাদান দাও আমি তোমাদের পৃথিবী উপহার দেব” তার মানে এই বিজ্ঞানী মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন মানুষ উপাদান সৃষ্টি করতে পারেনা।
মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ মতবাদ দিযেছেন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মার্শাল। তিনি উৎপাদন অধ্যায়ে বলেন “প্রকৃতপক্ষে মানুষ কোন কিছুই সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়, মানুষ শুধু উপাদান গুলোর সমম্বয় সাধন করে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পন্য আবিস্কার করতে সক্ষম”।
তাহলে অধ্যাপক মার্শালও স্পষ্ট করে মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন যে মানুষ কোন উপাদান অথবা পদার্থ সৃষ্টি করতে সক্ষম নয় এবং এটা মানুষের ক্ষমতার বাইরে।
আরও সহজভাবে বুঝানোর জন্য একটি অরেঞ্জ জুস এর উদাহরণ তুলে ধরলাম।
পানি + কমলালেবু = অরেঞ্জ জুস। এখন যদি কোন মানুষকে বলা হয় আপনি কমলালেবু সৃষ্টি করেন তাহলে সে পারবে না।
আপনি পানি সৃষ্টি করেনে তাহলে সে পারবেনা।
মানুষ দুটো উপাদানকে সমম্বয় সাধন করে জুস তৈরী করতে পারে কিন্তু কোন উপাদান সৃষ্টি করতে অতিতে পারেনি, বর্তমানে পারবেনা, ভবিষ্যতেও কোন সম্ভাবনা নেই,
১০০% গ্যারাটি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে: মানুষ নামের এই বিষ্ময়কার প্রাণীটি কে সৃষ্টি করলো।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে অবাক ও বিস্ময়কর প্রাণী।
বিশ্বভ্রহ্মান্ডের আশ্চর্যজনক উপাদান/পদার্থ।
কে সৃষ্টি করলো প্রাণীসমূহের বেড়ে ওঠা, বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদানাসমূহ।
এখানে চিন্তাশীল মানুষদের জন্য আছে গবেষণা করার অন্যতম.