'ক' আর 'খ' এর উচ্চারন কেউ কখনো বই থেকে শিখতে পারেনা ৷ যতক্ষন না তাকে হাতে কলমে এই উচ্চারন শিখানো হবে ততক্ষন সে 'বাবা' আর 'ভ্যা ভ্যা' এর তফাৎ বুঝতে পারবেনা ৷
আমরা যেই জিনিসটা চোখ কান দিয়ে দেখি শুনি সেই জিনসটা সবচেয়ে বেশি মনে থাকে ৷
অষ্টম শ্রেনীতে সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে ইতিহাসের আদ্যোপান্ত মুখস্ত করে নিউটন আর আইনস্টাইন হয়েছেন এই রকম নজীর দেখা মিলেনা ৷তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জানা দরকার ৷ এটা আমাদের গর্ব করার মত একটা ইতিহাস ৷ সারাবিশ্বের কাছে মাথা উচু করে বলার মত ইতিহাস ৷ কিন্তু এই ইতিহাসের সঠিক তথ্য কি আমরা জানি??জন্মের বিশ বছর হওয়া পরও এখনো যুদ্ধ ক্ষেত্রের আসল ইতিহাস জানার উৎস পাই নি ৷ জিয়া পরিবার যখনই ক্ষমতা নামক বস্তুটি হাতে নেন তখনই শেখ মুজিব নামে কোন আদর্শ আছে সেটা ভুলে যায় ৷ একই ঘটনা আওয়ামিলীগ এর ক্ষেত্রেও ৷ যেন সেই নামদুটি চিরতরে মুছে দিতে পারলেই শান্তি ৷
শেখ মুজিব আর জিয়াউর রহমান এর নাম পাচঁ বছর পরপর অন্তত একবার করে হলেও শুনা যায় ৷ কিন্তু শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক,আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর মত আদর্শ ব্যাক্তিদের নাম সেই ৯বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় শুনেছিলাম ৷ এর পর তাদের নাম আর উচ্চারিত হয়নি ৷ তাদের সম্পর্কে কোন রাজনীতিবীদ কখনো কিছু বলেনা ৷ তাদের জন্ম মূত্যু সম্পর্কে অনেকে হয়ত কিছুই জানেনা ৷
১৭কোটি মানুষের কাছে যদি বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে চাওয়া হয় ১৭ কোটি রকম উত্তর আসবে ৷ আসল উত্তরটাই বা কী?
একদল জোর করে জাতির পিতা তৈরী করেন অন্যদল জাতির কাথাঁ তৈরিতে ব্যস্ত ৷ প্রতিহিংসার রাজনীতির কারনে ইতিহাসের পাতা ছিড়ে একটা প্রজন্মকে পুরোপুরি অন্ধ করে দিচ্ছেন ৷ একই ধারাবাহিকতা যদি চলতে থাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম 'হাসিনা' আর 'খালেদা' বলতে বাসার কাজের বুয়াকেই চিনবে ৷ আপনাদের নয় ৷ একটি দেশের জন্মলগ্নে যে এত মানুষের অবদান তাদের নাম স্বর্নাক্ষরে লিখে রাখলে কি এমন ক্ষতি হয়?? হয়ত বইয়ের পাতায় দু তিনটা পাতা বেশি যাবে ৷ তাও অন্তত কিছু মানুষের প্রতি সম্মান বাড়বে ৷ যেই খেলায় আপনারা এখন মেতে উঠেছেন খেয়াল করলে দেখবেন অনেকে এখন আপনাদের নাম দিয়ে গালি দেয় ৷ সত্যিই খুব মজার ৷ অনেক কথা এখন বলতে ভয় করে ৷ সংবিধানের বেড়াজালে আবদ্ধ ৷ কিন্তু আসল সংবিধানটাইবা কোথায়? আসল নিয়মটিই বা মানছে কয়জন?