Tuesday, October 20, 2015

মুসলমানরা ব্রিটিশ কলোনিয়াল প্রিয়ডকে অপছন্দ করতো!


কয়েকদিন আগে মীর জাফরকে নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম
এটা ঠিক মুসলমানদের মধ্যে সবাই মীর জাফর নামক ব্যক্তিকে পছন্দ করে না
তাই বাংলাদেশ-ভারতের মুসলমানরা কখনই এই নামে তার সন্তানের নাম রাখে না।
এ বিষয় থেকে এটাও প্রমাণিত হয় এ অঞ্চলের মুসলমানরা ব্রিটিশ কলোনিয়াল প্রিয়ডকে অপছন্দ করতো এবং যারা সেই সময় মাতৃভূমির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্রিটিশ দালালি করেছে তাদেরও তারা অপছন্দ করতো এবং এখনও করে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কখন সেটা করতে দেখিনি। তারা যেন ব্রিটিশদেরকেই জানে প্রাণে ভালোবেসে ফেলেছে। যেমন ধরুন, দূর্গা পূজার ক্ষেত্রে। শারদীয় দূর্গা পূজার চালু করেছিলো ‘নবকৃষ্ণ’ নামক এক ব্রিটিশ দালাল, যে ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা অস্ত যাওয়ার খুশিতে ব্রিটিশদের সংবর্ধনা দিতে শরৎ মাসে দূর্গা পূজা শুরু করে (https://goo.gl/2lXIPV)।
বিষয়টি চিন্তা করে দেখুন,
মুসলিমরা যেখানে মীর জাফর নামটা পর্যন্ত বিশ্বাসঘাতকতার কারণে রাখে না, সেখানে হিন্দুরা বিশ্বাসঘাতকের অনুষ্ঠানকে ধর্মীয় রীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে !!!
সত্যিই অবাক !!
আসলে এখানে একটা গোপন সত্য লুকিয়ে আছে। মূলতঃ এ উপমহাদেশে হিন্দু নামে কোন ধর্মের অস্তিত্ব কখনই ছিলো না, ছিলো হিন্দু নামে একট সভ্যতাহীন পৌত্তলিক সম্প্রদায়ের বসবাস। যদি হিন্দু নামে কোন নির্দ্দিষ্ট ধর্ম থাকতো, তবে সবাই একজনের পুজা করতো, একেক এলাকায় একেক দেব-দেবীর পূজা করতো না।
ব্রিটিশরা যখন এ এলাকায় আসলো তখন তারা দেখলো, মুসলিমরা হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শাসনব্যবস্থায় এক উন্নত জাতি এবং হিন্দুরা হচ্ছে তার সম্পূর্ণ উল্টো। ব্রিটিশরা তাই প্র্রথমে চাইলো মুসলমানদের থেকে প্রশাসন চালানোর শিক্ষাটা শিখে নিতে। এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন- মুসলমানদের প্রশাসন চালানোর যোগ্যতা সেই শুরু থেকেই ছিলো অত্যাধুনিক। এ শিক্ষাটিতে মুসলমানদের ধারে কাছেও কখন কোন জাতি সেই সময় যেতে পারেনি। বর্তমানে আধুনিক শহর, ভূমি ও প্রশাসন চালানোর সিস্টেমের পুরোটাই মুসলিমদের দান (বিস্তারিত পড়তে- http://goo.gl/JrLyY3)। অন্য সম্প্রদায় মুসলিমদের থেকে ঐ শিক্ষাটা গ্রহনের জন্য সব সময় উদগ্রিব হয়ে থাকতো।
এজন্য ব্রিটিশরা ভেবেছিলো তারা মুসলিমদের থেকে প্রশাসন চালানো প্রথমে শিখে নিবে এবং পরে কাজে লাগাবে, অন্যদিকে হিন্দু নামক অনুন্নত সম্প্রদায়টিকে কৌশলে কনর্ভাট করে তাদের ধর্মভূক্ত করে নিবে। এজন্য তারা কৌশলে সৃষ্টি করলো ব্রাহ্ম সমাজ(http://goo.gl/D4vY76) । এই সমাজের অন্তর্ভূক্তরা উপর দিয়ে হিন্দু হতো, কিন্তু ভেতর দিয়ে ১০০ ভাগ খ্রিস্টান হয়ে যেতো।
কিন্তু কালক্রমে ব্রিটিশরা একটা জিনিস অনুধাবন করতে পারলো, এ অঞ্চলে মুসলিমদের অবস্থান খর্ব করা তাদের মত বিদেশীদের পক্ষে কখণই সম্ভব নয়, এটা সম্ভব কেবল এ অঞ্চলে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষেই, কারণ তাদের পথঘাট ও সংস্কৃতি সবাই জানা। তাই হিন্দু নামক সম্প্রদায়টিকে যদি মুসলিমদের বিরুদ্ধে নামিয়ে দেওয়া যায়, তবে মুসলিমদের দমানো সম্ভব। কিন্তু হিন্দু তো কোন ধর্ম ছিলো না, ছিলো সম্প্রদায়। তাই ব্রিটিশরা ‘হিন্দু’ নামক বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়টিকে এক করে ‘হিন্দু’ নামক ধর্মের জন্ম দিতে চাইলো। এজন্য তারা বিভিন্ন নামে-বেনামে শ্লোক একত্র করে হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ রচনা করলো, ফলে বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীগুলো ঐ গ্রন্থঅনুসারে একত্র হয়ে জন্ম হলো ‘হিন্দু’ নামক একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর।
---------------------------------------------------------------------------------
১) ১৭৭৫ সালে ওয়ারেন হেস্টিংসয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর দ্বারা ‘গীতা’ নামক গ্রন্থটির জন্ম হয়। (http://goo.gl/aczMVg, https://goo.gl/HFyk7I)
২) ঋগ্বেদ (বেদ চার প্রকার তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হচ্ছে ঋগবেদ)
বর্তমান রূপ লাভ করেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মান পণ্ডিত ম্যাক্স মুলারের দ্বারা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ম্যাক্স মুলার ৪০ বছরের অধিক সময় নিয়েছিল ঋগ্বেদ প্রকাশের জন্য। (https://goo.gl/6YhQV5)
-----------------------------------------------------------------------------------
শুধু ধর্ম নয়, হিন্দুদের রক্তের মধ্যেও রয়েছে ব্রিটিশ অবদান। আইন বলছে, হিন্দু দুই প্রকার-
১) হিন্দু বাবা-মা’র ঘরে জন্ম নেওয়া সন্তান
২) খ্রিষ্টান বাবার ঔরসে, এবং হিন্দু মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান, যে মায়ের কাছে প্রতিপালিত হয়েছে। (হিন্দু আইন দেখতে পিডিএফ - https://goo.gl/8Y0cYJ)
দ্বিতীয় আইনটি ১৮৮১ সালে ব্রিটিশ ভারতে পাশ হয়। এ আইনের রহস্য ঐ সময় হিন্দু নারীদের গর্ভে বিপুল পরিমানে ব্রিটিশ সৈন্যদের জারজ জন্ম নিতো। এ সংখ্যাটা এতটাই বেশি যে, সে বিপুল সংখ্যক শিশুদের ব্যবস্থা করা ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলো না। ফলে ব্রিটিশ সরকার বাধ্য হয়ে এই আইনটি পাশ করে, যেন জারজ সন্তানগুলোতে ব্রিটেনে না নিয়ে যেতো হয়, তারা যেন ভারতেই থাকে।
তাই স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, বর্তমান হিন্দুদের মধ্যে একটি বড় অংশ হচ্ছে ব্রির্টিশদের থেকে আগত তথা ব্রিটিশদের জারজ।
সত্যিই বলতে বর্তমান হিন্দু সমাজ অনেক দিক থেকেই ব্রিটিশদের কাছে কৃতজ্ঞ। এবং সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থেই ব্রিটিশদের দানগুলো (যেমন দূর্গা পূজা) খুশি মনে গ্রহণ করে থাকে হিন্দু সম্প্রদায়, যা অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই।